করোনা পরবর্তী সময়ে পৃথিবী আগের রূপে ফিরতে চেষ্টা করেছে সদ্য গত হওয়া বছরে। এই ফেরার চেষ্টাটা কতটুকু সফল সেই আলোচনা না হয় অন্য একদিন করা যাবে। তবে ঘরে বসে থাকা অলস সময় কিংবা লকডাউনের অভ্যস্ততায় ইন্টারনেট এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। অনলাইনে অনেকেই নিজেদের একটা লাভজনক কার্যক্রমও শুরু করেছেন। কেউ শুরু করেছেন অনলাইন সার্ভিস, কেউ প্রোডাক্ট সেলিং কিংবা কেউ মনোযোগী হয়েছেন কন্টেন্ট তৈরিতে। এই বাড়তে থাকা ব্যবহারকারীদের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হারে বেড়েছে অনলাইনে ভুল তথ্যের প্রচারও। বছরটির সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ছিল ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে নানাবিধ ভুল তথ্য, পরিসংখ্যান, ছবি ও ভিডিও প্রচার হয়েছে। ইউক্রেন-রাশিয়া বিষয়ক গুজবসমূহ নিয়ে আমাদের আলাদা আর্টিকেল প্রকাশিত হয়েছে। পড়া যাবে এই লিংকে। এই প্রতিবেদনে আমরা জানবো ইউক্রেন-রাশিয়া ইস্যু ব্যতীত আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রের আলোচিত গুজব সমূহ সম্পর্কে।
১। কুয়েতের সব চেয়ে ধনী ব্যক্তি নাসসি আল খিরকি মারা গিয়েছেন শীর্ষক গুজব (ছবিসহ)
বিভিন্ন সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কয়েকটি ছবিসহ “কুয়েতের সব চেয়ে ধনী ব্যক্তি নাসসি আল খিরকি মারা গিয়েছেন” শীর্ষক দাবি প্রচার হয়ে আসছে।
তবে, রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত পোস্টগুলোতে সংযুক্ত মৃত ব্যক্তির নাম নাসসি আল খিরকি নয় বরং শেরন সুখেদো এবং তিনি কুয়েতের নয় বরং ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো এর ধনী ব্যক্তি। এছাড়া নাসসি আল খিরকি নামের কুয়েতের কোনো ধনী ব্যক্তির নাম ফোর্বসের বিলিয়নিয়ার তালিকায় খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাছাড়া পোস্টগুলোতে সংযুক্ত গাড়ি, বিমান ও শয়নকক্ষের ছবিগুলোও ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত।
বিষয়টি নিয়ে রিউমর স্ক্যানারের ফ্যাক্ট-চেক আর্টিকেল পড়ুন এই লিংকে।
২। ফাঁসির দড়ি পরেও হাসি মুখে হ্যাকার হামজা বেনদেলাজ, যিনি ৪০ কোটি ডলার হ্যাক করে আফ্রিকা ও ফিলিস্তিনে মানুষদের মাঝে বিলিয়ে দেন শীর্ষক গুজব
বিভিন্ন সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুটি ছবিসহ “ফাঁসির দড়ি গলায় পড়ার পরেও এমন হাঁসি মুখে থাকা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। এই সেই হামজা বেনদেলাজ, যিনি ২১৭ টি ব্যাংক থেকে ৪০ কোটি ডলার হ্যাক করেন এবং আফ্রিকা ও ফিলিস্তিনে অনাহারে অর্ধাহারে মরে যাওয়ার উপক্রম মানুষদের মাঝে বিলিয়ে দেন।আদালতে তাঁর ফাঁসির রায় হলে অবশেষে হাসি মুখে ফাঁসিতে ঝুলে পড়েন” শীর্ষক দাবি প্রচার হয়ে আসছে।
তবে, রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, হামজা বেনদেলাজের নামে প্রচারিত তথ্যটি সত্য নয় এবং উক্ত তথ্যের সাথে সংযুক্ত দুইটি ছবির একটি হামজা বেনদেলাজের হলেও ফাঁসির ছবিটি ভিন্ন একজন ব্যক্তির। হ্যাকিংয়ের দায়ে হামজা বেনদেলাজ এর ফাঁসি হয়নি, তার ১৫ বছরের জেল হয়েছিলো। প্রচারিত দুইটি ছবির মধ্যে হাতকড়া পড়ানো অবস্থায় হাসি মুখের ছবিটি হামজা বেনদেলাজের হলেও গলায় ফাঁসির দড়ি লাগানো থাকা হাস্যোজ্জ্বল ব্যক্তিটি হামজা বেনদেলাজ নয় বরং এটি ইরানের নাগরিক মাজিদ কাভুসিফার এর ছবি, যাকে বিচারককে খুনের অপরাধে প্রকাশ্যে ফাঁসি দেয়া হয়। হামজা বেনদেলাজ হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আফ্রিকা ও ফিলিস্তিনে অনাহারে ও অর্ধাহারে মরে যাওয়ার উপক্রম মানুষদের মাঝে বিলিয়ে দেন নি বরং সেই টাকা তিনি বিলাসী জীবনযাপনের জন্য ব্যয় করেছেন।
বিষয়টি নিয়ে রিউমর স্ক্যানারের ফ্যাক্ট-চেক আর্টিকেল পড়ুন এই লিংকে।
৩। মুমূর্ষু অবস্থার ছবি দিয়ে সুদানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আকদ ইব্রাহিম দাবিতে ভুল ছবি প্রচার
বিভিন্ন সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুমূর্ষু অবস্থার দুটি ছবি ও একটি সাধারণ ছবিসহ “আকদ ইব্রাহিম যিনি ১৯৯৫ সালে সুদানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ছিলেন। সময় পরিবর্তনে বেশি সময় নেয় না, আল্লাহ যেমন উপরে উঠাতে জানে তেমনি আল্লাহ নিচে ফেলতে জানে।” শীর্ষক দাবি প্রচার হয়ে আসছে।
তবে, রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়,বৃদ্ধ ব্যক্তির মুমূর্ষু ছবিগুলো সুদানের কোনো প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বর্তমান অবস্থার নয় বরং এগুলো ২০১৯ সালে কেনিয়ায় দুর্ভিক্ষের কবলে পরা এক বৃদ্ধ ব্যক্তির ছবি। এমনকি, ছবিতে সামরিক পোশাক পড়া ব্যক্তিটি সুদানের কোনো প্রতিরক্ষামন্ত্রী নয় বরং এটি সুদানের সেনা শাসিত রাজনৈতিক দলের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওমর জেইন আল আবেদীনের ছবি।
বিষয়টি নিয়ে রিউমর স্ক্যানারের ফ্যাক্ট-চেক আর্টিকেল পড়ুন এই লিংকে।
৪। নোবেল জয়ী সাভান্তে পাবোর ছাত্ররা তাঁকে পানিতে ফেলে দিয়েছে শীর্ষক গুজব
অক্টোবর এর শুরুর দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে “নোবেল জয়ী সাভান্তে পাবোর ছাত্ররা তাঁকে পানিতে ফেলে দিয়েছে” শীর্ষক দাবি ছড়িয়েছিল।
তবে, রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সাভান্তে পাবোর ছাত্ররা তাঁকে পানিতে ফেলে দেয়নি বরং পাবোর সহকর্মীরা তাঁকে পানিতে ফেলে দিয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে রিউমর স্ক্যানারের ফ্যাক্ট-চেক আর্টিকেল পড়ুন এই লিংকে।
৫। ইন্দোনেশিয়ার মুদ্রায় গণেশের ছবি শীর্ষক গুজব
বিভিন্ন সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুটি ছবিসহ “ইন্দোনেশিয়ার মুদ্রায় গণেশের ছবি” শীর্ষক দাবি প্রচার হয়ে আসছে।
তবে, রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, হিন্দু দেবতা গণেশের ছবি থাকা ইন্দোনেশিয়ার ২০ হাজার রুপির ব্যাংক নোটটি বর্তমানে দেশটিতে প্রচলিত নেই বরং দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২০০৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর গণেশের ছবি সম্বলিত নোটটির ছাপা বন্ধ করে দেয়।
বিষয়টি নিয়ে রিউমর স্ক্যানারের ফ্যাক্ট-চেক আর্টিকেল পড়ুন এই লিংকে।
বাংলাদেশের সাথে সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যুতে ভুলতথ্য
- বাংলাদেশী চিকিৎসক ডা. রায়ান সাদী কি এ বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেয়েছেন?
- ক্যাসেলফোর্ডের জয় বাংলা রেস্টুরেন্টে পাকিস্তানি রিসিপশনিস্ট রাখার দাবিটি মিথ্যা
- তুরস্কে মতিউর রহমান নিজামীর নামে সড়ক থাকার দাবিটি মিথ্যা
- পাকিস্তান-বাংলাদেশের মধ্যে মাশরিক-মাগরিব এক্সপ্রেস নামে কি কোনো ট্রেন চলতো?
- বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশী ফেসবুক ব্যবহারকারী সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেননি মার্ক জাকারবার্গ
- ছবিটি দেশভাগের সময়ে ঢাকা-কলকাতার শেষ ট্রেনের নয়
বিখ্যাত ব্যক্তিদের উক্তি সম্পর্কিত ভুল তথ্য
- আমেরিকার প্রথম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটনের নাম উদ্ধৃত করে ভুয়া বক্তব্য প্রচার
- দুর্নীতি প্রসঙ্গে ইবনে বতুতার নামে ভুয়া উক্তি প্রচার
- “জাহাজ সমুদ্র তীরে সর্বদা নিরাপদ” শীর্ষক উক্তিটি আইনস্টাইনের নয়
- বিল গেটসের পিতা কাঠুরিয়া ছিলেন না
- সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়ে রতন টাটার উক্তিটি বানোয়াট
- “খালেদা জিয়া এশিয়ার নেলসন ম্যান্ডেলা” শীর্ষক মন্তব্য করেননি মাহাথির মোহাম্মদ
আর্ট, থ্রিডি ছবি কিংবা সাধারণ ছবি ভিডিও ব্যবহার করে ছড়ানো ভুলতথ্য
- এটি অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের বাস্তব ছবি নয়
- ভেনিস শহর হৃদয় আকৃতির নয়
- ভিডিওটি চীনের কৃত্রিম সূর্যের নয়
- এটি CGI পদ্ধতিতে নির্মিত, মহাকাশ থেকে দৃশ্যমান সূর্যাস্তের ছবি নয়
- এটি থ্রিডি কম্পিউটার আর্টওয়ার্ক, মহাকাশ থেকে তোলা হিমালয় পর্বতমালার ছবি নয়
- Fact Check: এটি একটি পেইন্টিং, জামবেজি নদী নয়
- যুক্তরাষ্ট্রের একটি রাস্তার ছবিকে বিকৃত করে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় যানজটের দৃশ্য দাবিতে প্রচার
- চা বাগানের ছবিটি চীনের জিনহুয়া সিটির, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার নয়
- সার্কিট বোর্ড দাবিতে প্রচারিত শহরের ছবিটি প্রকৃতপক্ষে একটি 3D আর্ট
আন্তর্জাতিক ইস্যুতে গণমাধ্যমে প্রচারিত ভুল কিংবা বিভ্রান্তিকর তথ্য ও ছবি
- ব্রাজিলের পুরুষশূন্য অবিবাহিত নারীদের গ্রাম দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি মিথ্যা
- প্রতি পোস্টে টিকটকার Khaby Lame এর সাড়ে সাত লাখ ডলার আয় করার দাবিটি বিভ্রান্তিকর
- সাম্প্রতিক আফগানিস্তানের বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় গণমাধ্যমে পুরোনো ছবি প্রচার
- চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং গৃহবন্দীর দাবিটি মিথ্যা
- পাকিস্তানে মসজিদে বোমা হামলার সংবাদে দেশীয় গণমাধ্যমে ভুল ছবি প্রচার
- ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের চড় খাওয়ার প্রচারিত ভিডিওটি পুরোনো
- ইউক্রেনে রকেট হামলায় নিহত বাংলাদেশি ব্যক্তি দাবিতে গণমাধ্যমে ভুল ছবি প্রচার
বছরজুড়ে বিভিন্ন ইস্যুতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরো বেশকিছু বিষয় আলোচনায় ছিল। যেমনঃ
- বাংলাদেশের জনপ্রিয় দল-মার্কা নিয়ে কোনো জরিপ প্রকাশ করেনি জাতিসংঘ
- কেনিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানকে বারাক ওবামার ‘ফলো বাংলাদেশ, ফলো শেখ হাসিনা’ বলার দাবিটি মিথ্যা
- ইন্দোনেশিয়ার মুদ্রায় গণেশের ছবি সম্বলিত নোটটি বর্তমানে প্রচলিত নয়
- ছবিটি ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হুসাইনের নাতির নয়
- রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের ১৯৬১ সালের ঢাকা আগমনের তারিখ নিয়ে গণমাধ্যমে ভুল তথ্য প্রচার
- রাশিয়ার ক্রিমিয়ান সেতুর ছবিকে পদ্মা সেতুর ছবি দাবিতে প্রচার
- ইউক্রেনের জন্য লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওর ১ কোটি ডলার অনুদান দেয়ার তথ্যটি মিথ্যা
- ছবিটিতে থাকা ২৯ জনের মধ্যে ২৮ জনের নোবেল পাওয়ার দাবিটি বিভ্রান্তিকর
- নরওয়ের প্রাইকেস্টোলেন পৃথিবীর শেষ প্রান্ত নয়
- পর্তুগালের নাজারে বিশাল ঢেউয়ের ছবিটি এডিটেড
- ভারতকে বিশ্বব্যাপী ৫৭টি দেশ কর্তৃক বয়কট করার তথ্যটি মিথ্যা
- ইন্দোনেশিয়ায় মায়ের পা ধোয়া দিবস থাকায় কোনো বৃদ্ধাশ্রম না থাকার দাবিটি মিথ্যা
- ছবিটি পৃথিবীর সর্বকালের সবচেয়ে ছোট বিড়ালের নয়
- ঋষি সুনাকের শাশুড়ী সুধা মূর্তির জীবনের গল্প দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি মিথ্যা
- ৮ ফেব্রুয়ারীকে ‘আন্তর্জাতিক তাকবির দিবস’ ঘোষণা করার দাবিটি মিথ্যা
- তুরস্কের বিস্ফোরণে কি বামসি বেরেক চরিত্রে অভিনয় করা ব্যক্তির স্ত্রী ও মেয়ে মারা গিয়েছে?
- প্রচারিত ছবিটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় এবং ঘটনাটিও তালেবান শাসনামলের নয়
- টিআইবি বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতকে দেউলিয়া ঘোষণা করে নি
- ইউক্রেন-রাশিয়া চলমান সংঘাতকে কেন্দ্র করে মুসলিম দেশগুলো নিয়ে পুতিনের ভুয়া বক্তব্য প্রচার
- অং সান সুচি’র কারাবন্দী অবস্থার চিত্র দাবীতে প্রচারিত ছবিটি ভুয়া
- জার্মানির এক টানেলের এডিটেড ছবি বঙ্গবন্ধু টানেল দাবিতে প্রচার
- ডাঃ মাহাথির মোহাম্মদ এর মৃত্যুর সংবাদটি গুজব
- জাপানি নারীর পুরোনো ছবি ভারতে মুসলিম নির্যাতনের চিত্র দাবিতে প্রচার
- ভিডিওটি ভারতের ফারাক্কা বাঁধ খুলে দেয়ার নয়, এটি মাহি বাজাজ বাঁধের পুরোনো ভিডিও
- বাংলাদেশের কোনো ব্যাংকের এলসি গ্রহণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া
সুতরাং, ডিজিটাল মাধ্যমে ইন্টারনেট থেকে পাওয়া বিভিন্ন ছবির সাথে বিভিন্ন ব্যক্তির গল্প জুড়ে দেওয়া কিংবা বিখ্যাত কোনো ব্যক্তির নামে বানোয়াট বাণী প্রচার করে বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদাহরণ পাওয়া যায়। পাশাপাশি ফাইল ছবি উল্লেখ না করে এক ঘটনায় ভিন্ন এক ঘটনার ছবি প্রচার করতে দেখা যায় দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোকেও। কিছু ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ঘটনার এই বিষয়গুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাধারণ ব্যবহারকারীরা সাধারণত ভাষাগত কারণে যাচাই করার ইচ্ছাও পোষণ করেননা। তবে প্রযুক্তির সহায়তায় বিভিন্ন ট্রান্সলেশন সার্ভিস ব্যবহার করে বিষয়গুলো সম্পর্কে ধারণা নেয়া যায়। এছাড়াও রিভার্স ইমেজ সার্চ কিংবা দেশীয় ফ্যাক্ট-চেকিং প্রতিষ্ঠানগুলোর সহযোগিতায় এসকল তথ্যের সঠিকতা সম্পর্কে জানা যায়।