সম্প্রতি, “মহাশূন্যে থেকে এন্টারটিকা মহাদেশ” শীর্ষক শিরোনামে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
পোস্টগুলোর আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, মহাশূন্যে থেকে অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশ দাবিতে প্রচারিত ছবিটি বাস্তব নয় বরং এটি অ্যান্টার্কটিকার চারপাশে সমুদ্রের বরফের পরিমাণ দেখানোর জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় তৈরি করা একটি ছবি।
কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধানের মাধ্যমে অনলাইন ম্যাগাজিন ‘Slate’ এর ওয়েবসাইটে ২০১৬ সালের ১৭ আগষ্টে “No, That’s Not a Picture of Antarctica From Space” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত প্রতিবেদনটিতে, ছবিটিকে ২০০৫ সালের ২১ সেপ্টেম্বরে অ্যান্টার্কটিকার চারপাশে সমুদ্রের বরফের পরিমাণ দেখানোর জন্য একটি কম্পিউটারে তৈরিকৃত চিত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

পাশাপাশি, ‘NASA’ এর ওয়েবসাইটে ২০০৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি “Global View of the Arctic and Antarctic on September 21, 2005” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত আরেকটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত প্রতিবেদনটিতে, এটিকে আন্তর্জাতিক মেরু বছর উপলক্ষে আর্কটিক এবং অ্যান্টার্কটিকের সমুদ্রের বরফের বৈশ্বিক দৃশ্য দেখানোর জন্য কম্পিউটারের সাহায্যে তৈরি করা ছবি হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া, ২০০৫ সালের ২১ সেপ্টেম্বর তারিখে উত্তর গোলার্ধে সমুদ্রের বরফ সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় ছিলো বিধায় অ্যান্টার্কটিকার চারপাশে সমুদ্রের বরফের পরিমাণ দেখানোর জন্য উক্ত ছবিটি সম্পাদন করা হয়েছিলো বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

মূলত, ২০০৫ সালের ২১ সেপ্টেম্বরে অ্যান্টার্কটিক সামুদ্রিক বরফ সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় ছিলো। সেসময়ে বরফের পরিমাণ দেখানোর জন্য কম্পিউটারে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় আলোচিত ছবিটি সম্পাদন করা হয়েছিলো। সাম্প্রতিক সময়ে একই ছবিটি ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহপূর্বক মহাশূন্যে থেকে এন্টারটিকা মহাদেশের বাস্তব ছবি দাবিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, মহাকাশ সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য ও ছবি নিয়ে ইতোপুর্বে বেশ কয়েকটি ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার টিম।
সুতরাং, ২০০৫ সালের ২১ সেপ্টেম্বর তারিখে অ্যান্টার্কটিক সামুদ্রিক বরফ সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় থাকার কারণে অ্যান্টার্কটিকার চারপাশে সমুদ্রের বরফের পরিমাণ দেখানোর জন্য কম্পিউটারে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় তৈরিকৃত একটি ছবিকে মহাশূন্যে থেকে এন্টারটিকা মহাদেশের বাস্তব ছবি দাবিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।