সম্প্রতি, গত ২৫ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বিসিসি অডিটোরিয়ামে ‘সুবর্ণজয়ন্তী ওয়েবসাইট’ ও ‘সুবর্ণজয়ন্তী অনলাইন কুইজ’ প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন “বাংলাদেশ বিশ্বের রোল মডেল।বাংলাদেশের উন্নতির জন্য বারাক ওবামা তার দাদার দেশ কেনিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানকে বলেছেন- ফলো শেখ হাসিনা, ফলো বাংলাদেশ।”
পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের এই বক্তব্যটি যুগান্তর, আরটিভি অনলাইন, বিডি২৪রিপোর্ট সহ একাধিক গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশের মাধ্যমে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। উক্ত বক্তব্যটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পরপরই নেটিজেনদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায় এবং বারাক ওবামা আদৌ কখনো এমন কিছু বলেছিলো কি না তা জানার জন্য অনেকেই উৎসাহ প্রকাশ করে। বিষয়টির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য রিউমর স্ক্যানার টিমের কাছে একাধিক ফ্যাক্টচেক অনুরোধও এসেছে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, কেনিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানকে উদ্দেশ্য করে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তার বক্তব্যে “ফলো শেখ হাসিনা, ফলো বাংলাদেশ” শীর্ষক কোনো মন্তব্য করেননি বরং প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন কেনিয়ায় একমাত্র রাষ্ট্রীয় সফরের এক বক্তব্যে ওবামা বাংলাদেশ এবং জিম্বাবুয়ের নির্বাচন ব্যবস্থায় কেনিয়ার আবিষ্কৃত উশাহিদি নামের প্রযুক্তি ব্যবহারের কথা উল্লেখ করেছিলেন।
মূলত, কেনিয়া বারাক ওবামার জন্মভূমি হলেও আমেরিকার প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন তিনি কেবলমাত্র একবারই কেনিয়া সফরে গিয়েছিলেন। এটিই ছিলো কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রথম কেনিয়া সফর। বারাক ওবামা প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথমবার ২০১৫ সালের ২৪ জুলাই কেনিয়ার উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রীয় সফরে যান।
সেই সফরে ২৫ জুলাই নাইরোবিতে কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উহুরু কেনিয়াত্তার সঙ্গে বৈশ্বিক উদ্যোক্তা বিষয়ক এক যৌথ সম্মেলনে বক্তব্য প্রদান করেন বারাক ওবামা। সেই বক্তব্যের ৮ মিনিট ১০ সেকেন্ডে সময়কালে কেনিয়ার প্রযুক্তিতে পারদর্শী তরুণ উদ্যোক্তাদের কথা বলতে গিয়ে ওবামা বলেছিলেন, “বিশ্বজুড়ে প্রতিদিন, লক্ষ লক্ষ মানুষ এম-পেসা [কেনিয়ার মোবাইল মানি ট্রান্সফার সার্ভিস] দিয়ে অর্থ পাঠায় এবং সঞ্চয় করে… জিম্বাবুয়ে থেকে বাংলাদেশে, নাগরিকরা ক্রাউড-সোর্সিং প্ল্যাটফর্ম উশাহিদি ব্যবহার করে নির্বাচন নিরাপদ রাখতে কাজ করে – এবং এটি একটি দুর্দান্ত ধারণা যা এখানে কেনিয়া থেকে শুরু হয়েছিল।”
উশাহিদি হলো একটি ওপেন সোর্স সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন যা ব্যবহারকারীর তৈরি করা প্রতিবেদনগুলোকে সংযুক্ত এবং ডেটা ম্যাপ করতে ব্যবহার করা হয়। কেনিয়ার তরুণদের তৈরি করা এই প্রযুক্তি জিম্বাবুয়ে এবং বাংলাদেশে ব্যবহৃত হচ্ছে এই কথা উল্লেখ করতে গিয়েই মূলত তিনি সেই বক্তব্যে বাংলাদেশের উদাহরণ উল্লেখ করেন এবং এরপর তিনি আরো বলেন “এটি একটি দুর্দান্ত ধারণা যা কেনিয়া থেকে শুরু হয়েছিলো“। ওবামার সেদিনের ঐ বক্তব্যের হোয়াইট হাউসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে লিখিত প্রতিলিপি দেখুন এখানে।
উশাহিদি’র অফিসিয়াল ওয়েবসাইটেও একই বক্তব্য খুঁজে পাওয়া যায়।
এছাড়াও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে ২০১৫ সালের ২৬ জুলাইতে “US President Barack Obama Praises Bangladesh” শীর্ষক শিরোনামে সময় টিভির এর প্রকাশিত ভিডিও প্রতিবেদন এবং ICT Division এর ইউটিউব চ্যানেলে চ্যানেল টোয়েন্টি ফোরের একটি ভিডিও প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া। মূলত, সে সময়ে বারাক ওবামার উক্ত বক্তব্যকে ঘিরে বাংলাদেশের প্রায় সকল মূলধারার গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিলো।
তবে অনুসন্ধানে দেখা যায়, সেসকল প্রতিবেদনগুলোতে বারাক ওবামার ঐ বক্তব্যকে বিকৃত করে প্রচার করা হয়েছে।
উদাহরণ স্বরূপ, ওবামার সেই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে দৈনিক যুগান্তরের অনলাইন সংস্করণে ২০১৫ সালের ২৮ জুলাইয়ে “ডিজিটাল বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করলেন ওবামা” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিস্তারিত অংশে উল্লেখ করা হয়,
“নাইরোবিতে কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উহুরু কেনিয়াত্তার সঙ্গে বৈশ্বিক উদ্যোক্তাবিষয়ক এক যৌথ সম্মেলনে বক্তব্য দেয়ার সময় বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাত নিয়ে উন্নয়নের প্রশংসা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তিনি বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বর্তমানে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। দৈনন্দিন জীবন এমনকি নির্বাচনে পর্যন্ত এসব দেশে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। বাংলাদেশ সুষ্ঠু এবং সুশৃংখলভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে ক্রাউড সোর্সিং প্ল্যাটফর্ম উষাহিদি ব্যবহার করেছে। আমি মনে করি, এটি খুবই ভালো কাজ ছিল। আর উষাহিদির আবিষ্কারক কেনিয়ারই একদল তরুণ উদ্যোক্তা। তাই আমি আবারও আপনাদের বলব, নতুন নতুন ভাবনা নিয়ে আপনারা এগিয়ে চলুন। সাফল্য আসবেই।’ প্রযুক্তিনির্ভর তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করতে, নির্বাচন পদ্ধতি ডিজিটালাইজড করতে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করছে বলে জানান তিনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট আফ্রিকার দেশগুলোকে এসব উদ্যোগ অনুসরণের আহ্বান জানান। বারাক ওবামা বলেন, আফ্রিকা বর্তমান বিশ্ব অর্থনীতিতে সবচেয়ে দ্রুত অগ্রসরমান অঞ্চল। তবে এ অঞ্চলে তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে বাণিজ্য সম্প্রসারণে ব্যবহার করতে হবে। বর্তমানে জিম্বাবুয়ে থেকে শুরু করে বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তিতে অনেক এগিয়ে গেছে। দৈনন্দিন জীবন থেকে শুরু করে নির্বাচনে পর্যন্ত এসব দেশে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দৃষ্টান্ত বলেও মন্তব্য করেন বারাক ওবামা।”
সময় টিভির অনলাইন সংস্করণে সেসময়ে “কেনিয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসায় ওবামা” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়
“মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা পিতৃভূমি কেনিয়ায় গিয়ে এবার প্রশংসা করলেন বাংলাদেশের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশকে কেনিয়ার মানুষের জন্য উদাহরণ হিসেবে টানলেন তিনি। এক যৌথ সম্মেলনে বক্তব্য দেয়ার সময় তিনি বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ডিজিটাল পন্থা অবলম্বন করার প্রশংসা করেন। ওবামা বলেন, ‘বাংলাদেশ সুষ্ঠু এবং সুশৃঙ্খলভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে ক্রাউড সোর্সিং প্ল্যাটফর্ম উষাহিদি ব্যবহার করেছে। আমি মনে করি এটি খুবই ভাল কাজ ছিল। ”
অথচ, বারাক ওবামার কেনিয়া সফরের সেই বক্তব্যে তিনি জিম্বাবুয়ে এবং বাংলাদেশে কেনিয়ার তৈরি সফটওয়্যার ব্যবহৃত হচ্ছে বলে কেনিয়ার তরুণদের প্রশংসা করতে গিয়েই বাংলাদেশের কথা উল্লেখ করেছিলেন।
একই বিষয়ে সময় টিভি এবং চ্যানেল ২৪-এ প্রকাশিত ভিডিও প্রতিবেদনেও ওবামার বক্তব্যের বিকৃতি পরিলক্ষিত হয়।
সময় টিভির ভিডিও প্রতিবেদনে ওবামার বক্তব্যের বিকৃত রূপ উপস্থাপন করা হয় এবং চ্যানেলের ২৪ এর ভিডিও প্রতিবেদনে ওবামার বক্তব্যের অনুবাদ করতে গিয়ে সেখানে জিম্বাবুয়ে কে বাদ দিয়ে শুধুমাত্র বাংলাদেশকে উল্লেখ করা হয়। অথচ ওবামা তার সেই বক্তব্যে জিম্বাবুয়ের পর বাংলদেশকে উল্লেখ করেছিলেন।
সেসময়ে ওবামার সেই বক্তব্য নিয়ে দেশীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত আরো কিছু প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা যায় সেখানেও বারাক ওবামার বক্তব্যের বিকৃতি ঘটেছে। ওবামার সেই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে “বাংলাদেশের দৃষ্টান্ত দিলেন ওবামা” শীর্ষক শিরোনামে দৈনিক কালের কণ্ঠে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, “মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দৃষ্টান্ত’ বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে বিশ্ব উদ্যোক্তাদের এক শীর্ষ সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।”
তবে প্রকৃতপক্ষে উক্ত বক্তব্যে বারাক ওবামা বাংলাদেশের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের বিষয়ে কোন কথা বলেননি বরং তিনি তার বক্তব্যে বলেছিলেন কেনিয়ার মোবাইল ব্যাংকিং M Pesa বিভিন্ন দেশে ব্যবহার করা হচ্ছে এবং এর মাধ্যমে কেনিয়ার প্রশংসা করেছিলেন তিনি। উল্লেখ্য, M Pesa বাংলাদেশ ভিত্তিক কোন মোবাইল ব্যাংকিং নয়, এটি কেনিয়ার মোবাইল মানি ট্রান্সফার সার্ভিস।
অর্থাৎ, বারাক ওবামার সেই বক্তব্যে কেনিয়ার মোবাইল ব্যাংকিং এর প্রশংসার বিষয়টি দেশীয় সংবাদমাধ্যমে বিকৃত করে বাংলাদেশের মোবাইল ব্যাংকিং এর প্রশংসা দাবিতে প্রকাশ করা হয়েছিলো।
অন্যদিকে বৈশ্বিক উদ্যোক্তা বিষয়ক সেই যৌথ সম্মেলনে দেয়া বারাক ওবামার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি ও ফোর্বসে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ওবামার বক্তব্যের এমন বিকৃতি দেখা যায়নি।
এছাড়া দেশীয় কিংবা আন্তর্জাতিক কোনো গণমাধ্যমে বারাক ওবামার দেয়া “ফলো বাংলাদেশ, ফলো শেখ হাসিনা” শীর্ষক কোনো বক্তব্যের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না।
প্রসঙ্গত, প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়ার পর সর্বশেষ ২০১৮ সালে কেনিয়া সফরে গিয়েছিলেন বারাক ওবামা। তার সেই সফরে বাংলাদেশ সংক্রান্ত কোন মন্তব্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। মূলত, নেলসন ম্যান্ডেলার জন্মদিনের শ্রদ্ধা নিবেদনে যোগ দিতে দক্ষিণ আফ্রিকা যাওয়ার পূর্বে ওবামা তার বোন আউমা ওবামার প্রতিষ্ঠিত একটি ক্রীড়া ও বৃত্তিমূলক কেন্দ্রের উদ্বোধনে যোগ দিতে পারিবারিক সফরে কেনিয়া যান এবং সে সময়ে তিনি কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উহুরু কেনিয়াত্তা ও বিরোধীদলীয় নেতা রাইলা ওডিঙ্গার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছিলেন।
আরো পড়ুনঃ প্রতিমন্ত্রী পলকের যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশে বাঁধা ও পুরোনো ছবি প্রচারের দাবিটি মিথ্যা
অর্থাৎ, যেহেতু মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক তার বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন যে, বারাক ওবামা তার দাদার দেশ কেনিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানকে বলেছেন- ফলো শেখ হাসিনা, ফলো বাংলাদেশ।” অপরদিকে বারাক ওবামা কেবলমাত্র একবার’ই কেনিয়ায় রাষ্ট্রীয় সফর করেন এবং সেই একমাত্র সফরেই কেনিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানকে সাথে নিয়ে তার বক্তব্য দেয়ার ঘটনা খুঁজে পাওয়া যায়। সেহেতু ধারণা করা যায় তিনি বারাক ওবামার ২৫ জুলাই ২০১৫ সালে বৈশ্বিক উদ্যোক্তাবিষয়ক সেই যৌথ সম্মেলনে দেয়া বক্তব্য এবং দেশীয় গণমাধ্যমে সেই বক্তব্যের বিকৃত রূপ প্রচারের বিষয়টির কারণে বিভ্রান্ত হয়ে এমন বক্তব্য দিয়েছেন।
অর্থাৎ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এর সাম্প্রতিক সময়ে দেয়া “বারাক ওবামা তার দাদার দেশ কেনিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানকে বলেছেন- ফলো শেখ হাসিনা, ফলো বাংলাদেশ।” শীর্ষক বক্তব্যটি ভিত্তিহীন এবং গুজব।
[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]
- Claim Review: কেনিয়াকে ওবামা বলেছেন ফলো শেখ হাসিনা, ফলো বাংলাদেশ
- Claimed By: AKM Mozammel Haque, Facebook Posts & Media Outlets
- Fact Check: False
[/su_box]
তথ্যসূত্র
- কেনিয়া সফরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা – BBC News বাংলা: https://www.bbc.com/bengali/news/2015/07/150725_pg_obama_us_visit
- President Barack Obama’s [FULL SPEECH] during the opening of Global Entrepreneurship Summit: https://youtu.be/ZaOVo1NI6jM
- Remarks by President Obama at the Global Entrepreneurship Summit | whitehouse.gov: https://obamawhitehouse.archives.gov/the-press-office/2015/07/25/remarks-president-obama-global-entrepreneurship-summit
- Impact Report – Ushahidi: https://www.ushahidi.com/impact-report/theory-of-change
- Obama’s trip to Kenya: 12 things – BBC News: https://www.bbc.com/news/world-africa-33677115
- Why Kenyan Tech Entrepreneurs Deserve All Obama’s Praise – Forbes: https://www.forbes.com/sites/tobyshapshak/2015/07/29/why-kenyan-tech-entrepreneurs-deserve-all-obamas-praise/?sh=3bf59ab70680
- Mpesa: https://www.vodafone.com/about-vodafone/what-we-do/consumer-products-and-services/m-pesa
- Somoy TV Report: https://www.somoynews.tv/pages/details/27360/কেনিয়ায়-বাংলাদেশের-প্রশংসায়-ওবামা / Archive: https://archive.ph/NVqSv
- Awamileage YouTube Video: https://www.youtube.com/watch?v=86Uyz145-qY
- ICT Division YouTube: https://www.youtube.com/watch?v=TJK_AW6OJZU
- Kalerkantho: https://www.kalerkantho.com/print-edition/first-page/2015/07/26/248713 / Archive: https://archive.ph/egIUm