২০২২ সালের ২০ নভেম্বর কাতারে শুরু হয় ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবলের ২২তম আসর। প্রায় এক মাসের ফুটবল মহারণ শেষে ১৮ ডিসেম্বর ফাইনালের মধ্য দিয়ে পর্দা নামে এই আসরের। ফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়ে ৩৬ বছর পর তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় লিওনেল মেসির দল আর্জেন্টিনা। ফিফা বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে আসর শুরুর পূর্বে থেকে বিশ্বকাপ ও অংশগ্রহণকারী দলকেন্দ্রিক নানা গুজব ছড়িয়ে পড়তে দেখেছে রিউমর স্ক্যানার টিম।
১৪ নভেম্বর “কাতার বিশ্বকাপে শিয়াকত আলীর রেফারি হওয়ার দাবিটি বিভ্রান্তিকর” শিরোনামে কাতার বিশ্বকাপ বিষয়ক প্রথম ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার। এরপর দিন যত গড়িয়েছে, বিশ্বকাপ যত উত্তেজনা ছাড়িয়েছে, তার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে গুজবের সংখ্যাও।
২০২২ সালের ১৪ নভেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কাতার বিশ্বকাপ বিষয়ে সর্বমোট ১১১টি গুজব শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার। এর মধ্যে ম্যাচ ভিত্তিক প্রতিবেদন ছিল ৩৫টি৷ বাকিগুলো ছিল মাঠের বাইরের বিষয়ে। এর মধ্যে, বাংলাদেশ কেন্দ্রিক প্রতিবেদন ছিল ২৩টি, ধর্মীয় বিষয়ে ছিল ১৪ টি প্রতিবেদন, ভুয়া বক্তব্য বিষয়ক প্রতিবেদন ছিল ২১টি।
এছাড়া দেশীয় গণমাধ্যমে বিশ্বকাপ নিয়ে ২৪টি বিষয়ে গুজব ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষিতে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার টিম। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুজব ও ভুল তথ্য ছড়ানোর তালিকায় প্রথম পাঁচ অবস্থানে রয়েছে সময় টিভি (১০), যমুনা টিভি (৯), জুম বাংলা (৮), প্রথম আলো (৮), আরটিভি (৮)।
বাংলাদেশে ফুটবলে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা সমর্থকই সবচেয়ে বেশি বলে প্রতীয়মান হয়। কাতার বিশ্বকাপেও তারই প্রতিফলন দেখা গেছে। এই দুই দল বিষয়ক গুজবই সিংহভাগ ছড়াতে দেখা গেছে। ব্রাজিলের বিষয়ে রিউমর স্ক্যানার ২৪টি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। অন্যদিকে আর্জেন্টিনার বিষয়ে রিউমর স্ক্যানার ৫৩টি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এর বাইরে পর্তুগাল (১০), সৌদি আরব (৬), ফ্রান্স (৫), জার্মানী (২), পোল্যান্ড (২), দক্ষিণ কোরিয়া (১), মেক্সিকো (১), মরক্কো (১), তুরস্ক (১) এবং সুইডেন (১) নিয়েও গুজব ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষিতে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।
বিশ্বকাপ বিষয়ে প্রকাশিত ১১১টি প্রতিবেদন থেকে বাছাইকৃত মাঠের শীর্ষ পাঁচটি এবং মাঠের বাইরের শীর্ষ পাঁচটি প্রতিবেদন নিয়ে আজকের এই আয়োজন। এছাড়া থাকছে বিশ্বকাপ বিষয়ে গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া গুজব বিষয়ক ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদনের তালিকা।
মাঠের বিশ্বকাপের আলোচিত পাঁচ
১. মাতেও লাহোজকে কি ফিফা শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বাদ দিয়েছে?
৯ ডিসেম্বর কোয়াটার ফাইনালে মুখোমুখি হয় আর্জেন্টিনা ও নেদারল্যান্ডস। সেই ম্যাচে ১৯টি হলুদ কার্ড দেখান রেফারি মাতিও লাহোজ। পরবর্তীতে “আর্জেন্টিনা–নেদারল্যান্ডস ম্যাচের রেফারি লাহোজকে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে ফিফা” শীর্ষক একটি দাবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষিতে অনুসন্ধান শুরু করে রিউমর স্ক্যানার টিম।
রিউমর স্ক্যানার টিম এ বিষয়ে অনুসন্ধানের পর জানায়, “মাতেও লাহোজকে বিতর্কিত রেফারিংয়ের কারণে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কাতার বিশ্বকাপ হতে অব্যাহতি দিয়েছে ফিফা” শীর্ষক দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি বিভ্রান্তিকর।
এ বিষয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার জানায়, লিওনেল মেসি এবং এমিলিয়ানো মার্টিনেজের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ফিফার শৃঙ্খলা কমিটি কোনো বৈঠক করেনি এবং ফিফা মাতেও লাহোজকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়নি বরং বিশ্বকাপে নিজ দায়িত্ব পালন শেষে তিনি নিজেই স্পেনে ফিরে গিয়েছেন।
২. জুলে রিমে ট্রফিকে ফিফা বিশ্বকাপ হিসেবে গণ্য করা যাবে না শীর্ষক দাবিটি মিথ্যা
কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর বিশ্বকাপ জয়ী দলগুলোর বিশ্বকাপ জয়ের সংখ্যার বিষয়ে গুজব ছড়িয়ে পড়তে দেখেছে রিউমর স্ক্যানার টিম। এ সংক্রান্ত “জুলে রিমে ট্রফিকে ফিফা বিশ্বকাপ হিসেবে ধরা যাবে না, জুলে রিমে ট্রফি জয়ের সংখ্যাও বিশ্বকাপ জয়ের সংখ্যার সাথে গণনা করা যাবে না৷” শীর্ষক একটি দাবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষিতে এ বিষয়ে অনুসন্ধান করে দেখেছে রিউমর স্ক্যানার টিম।
রিউমর স্ক্যানার টিম এ বিষয়ে অনুসন্ধানের পর জানায়, জুলে রিমে ট্রফিকে ফিফা বিশ্বকাপ হিসেবে ধরা যাবে না এবং জুলেরিমে ট্রফি জয়ের সংখ্যাও বিশ্বকাপ জয়ের সংখ্যার সাথে গণনা করা যাবে না দাবিতে ফেসবুকে যে তথ্য প্রচার করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা৷
এ বিষয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার জানায়, ফিফা ১৯৩০ সাল থেকে শুরু হওয়া জুলে রিমে ট্রফিকে বিশ্বকাপ হিসেবে ধরে নিয়েই সদ্য শেষ হওয়া কাতার বিশ্বকাপকে ২২তম আসর বলেছে। ফিফার ওয়েবসাইটের ১৯৩০ থেকে ১৯৭০ সালের জুলে রিমে ট্রফিকে বিশ্বকাপ হিসেবেই লেখা উল্লেখ পাওয়া যায়। অর্থাৎ, ফিফা বিশ্বকাপ এখন পর্যন্ত দুইটি ভিন্ন ট্রফি দিয়ে আয়োজন হয়েছে, একটি জুলে রিমে এবং অন্যটি বিশ্বকাপের বর্তমান ট্রফি। ট্রফি ভিন্ন হলেও আয়োজনটি মর্যাদা পেয়ে এসেছে বিশ্বকাপ হিসেবেই।
৩. উন্নত চিকিৎসার জন্য সৌদি ফুটবলারকে জার্মানিতে পাঠানোর দাবিটি মিথ্যা
২২ নভেম্বর গ্রুপ পর্বের ম্যাচে মুখোমুখি হয় আর্জেন্টিনা ও সৌদি আরব। উক্ত ম্যাচে সৌদি গোলকিপারের হাঁটুর আঘাতে একই দলের ইয়াসির আল-শাহরানি মুখমণ্ডল ও মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। সে সময় দেশীয় গণমাধ্যম ও ফেসবুকে আল-শাহরানিকে চিকিৎসার জন্য জার্মানিতে পাঠানো হয় বলে দাবি করা হয়।
এ বিষয়ে অনুসন্ধান করে রিউমর স্ক্যানার টিম জানতে পারে, উন্নত চিকিৎসার জন্য সৌদি ফুটবল দলের ডিফেন্ডার ইয়াসির আল-শাহরানিকে জার্মানিতে পাঠানোর তথ্যটি সঠিক সম্পূর্ণ মিথ্যা।
এ বিষয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার জানায়, চিকিৎসার জন্য ইয়াসির আল-শাহরানিকে প্রথমে কাতারের হামাদ মেডিকেল সিটিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয় এবং এক রাত সেখানেই থাকার পর তাকে সৌদি আরবের রিয়াদের ন্যাশনাল গার্ড হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে সেই হাসপাতালেই ইয়াসের আল শাহরানির সফলভাবে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে এবং তিনি পরবর্তীতে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছাড়েন।
বিশ্বকাপ চলাকালীন ইয়াসির আল-শাহরানি মৃত্যু হয়েছে দাবিতেও গুজব ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষিতে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার। তাছাড়া একই গুজব বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পরও ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষিতে ফের ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।
৪. ১৯৭৮ ও ১৯৮৬ বিশ্বকাপের তৃতীয় ম্যাচে আর্জেন্টিনা পেনাল্টি মিস করেনি
৩০ নভেম্বর গ্রুপ পর্বের ম্যাচে মুখোমুখি হয় আর্জেন্টিনা ও পোল্যান্ড। উক্ত ম্যাচে মেসির পেনাল্টি মিসের পর বিশ্বকাপের ইতিহাসে আর্জেন্টিনার পেনাল্টি মিসের একটি পরিসংখ্যান গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। দাবি করা হয়, মারিও কেম্পেস ১৯৭৮ সালের বিশ্বকাপের তৃতীয় ম্যাচে পেনাল্টি মিস করেন এবং সে বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জিতে। আবার, ম্যারাডোনা ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে তৃতীয় ম্যাচে পেনাল্টি মিস করেন এবং এবারও আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জিতে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধান করে রিউমর স্ক্যানার টিম জানতে পারে, যে বিশ্বকাপ আর্জেন্টিনা তৃতীয় ম্যাচে পেনাল্টি মিস করে সেই বিশ্বকাপ আর্জেন্টিনা জেতার পরিসংখ্যানটি মিথ্যা।
এ বিষয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার জানায়, ১৯৭৮ ও ১৯৮৬ বিশ্বকাপের তৃতীয় ম্যাচে আর্জেন্টিনা কর্তৃক পেনাল্টি মিসের কোনো ঘটনা ঘটেনি বরং সেই ম্যাচগুলোতে আর্জেন্টিনা কোনো পেনাল্টি-ই পায়নি।
৫. ব্রাজিলের ৬৬ বছর ধরে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে কোন ম্যাচ না হারার দাবিটি মিথ্যা
কাতার বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে ব্রাজিলের টানা দুই জয়ের প্রেক্ষিতে ফেসবুক ও গণমাধ্যমে ৬৬ বছরে ধরে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে ব্রাজিল কোনো ম্যাচ হারেনি ও গত ৬৪ বছরে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠতে কখনও তৃতীয় ম্যাচের উপর নির্ভর করতে হয়নি শীর্ষক দুইটি তথ্য প্রচার করা হয়।
এ বিষয়ে অনুসন্ধান করে রিউমর স্ক্যানার টিম জানতে পারে, এগত ৬৬ বছর ধরে ব্রাজিলের গ্রুপ পর্বের কোনো ম্যাচ না হারা ও ৬৪ বছর ধরে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠতে তৃতীয় ম্যাচের উপর নির্ভর না করার তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
এ বিষয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার জানায়, সর্বশেষ ১৯৯৮ সালের ফ্রান্স বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে নরওয়ের কাছে ২-১ গোলের ব্যবধানে হেরেছিল ব্রাজিল। এছাড়া বিগত দুই বিশ্বকাপে (২০১৪ ও ২০১৮) দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে ব্রাজিলকে তৃতীয় ম্যাচের অপেক্ষা করতে হয়েছিল।
মাঠের বাইরের সেরা পাঁচ
১. ভিডিওটি মেসির মাকে জড়িয়ে ধরার মুহূর্তের নয়
১৮ ডিসেম্বর আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর শিরোপা উদযাপনের মুহূর্তে মাঠে লিওনেল মেসিকে এক নারীর জড়িয়ে ধরার বিষয়ে গণমাধ্যম ও ফেসবুকে গুজব ছড়িয়ে পড়তে দেখেছে রিউমর স্ক্যানার টিম। দেশীয় গণমাধ্যমে দাবি করা হয়, উক্ত নারী মেসির মা। একই দাবি করা হয় বিবিসি স্পোর্টসের এক টুইটে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধান করে রিউমর স্ক্যানার টিম জানতে পারে, আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জয়ের পর দলটির রাঁধুনি অ্যান্টোনিয়া ফারিয়াস কর্তৃক মেসিকে আলিঙ্গনের দৃশ্যকে মেসি ও মেসির মায়ের আলিঙ্গনে দৃশ্য দাবিতে ইন্টারনেট ছড়িয়ে পড়েছে; যা মিথ্যা।
এ বিষয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার জানায়, ভিডিওটিতে থাকা নারী মেসির মা নন। বিশ্বকাপ ফাইনালের পুরো দিন মেসির মা আর্জেন্টিনার পার্পল কালারের জার্সি পরে ছিলেন, কিন্তু ভিডিওটিতে থাকা নারী আকাশী নীল জার্সি পরে ছিলেন। তাছাড়া ওই নারীর হাতে একটি ট্যাটু থাকলেও মেসির মায়ের হাতে কোনো ট্যাটু নেই। এছাড়াও, আর্জেন্টিনার একাধিক মূলধারার গণমাধ্যম নিশ্চিত করেছে যে ভিডিওতে থাকা নারী আর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দলের রাঁধুনি অ্যান্টোনিয়া ফারিয়াস। এছাড়া রিউমর স্ক্যানার টিমের নিজিস্ব অনুসন্ধানেও নিশ্চিত হয় ভিডিওতে থাকা নারী অ্যান্টোনিয়া ফারিয়াস।
২. সৌদি ফুটবলারদের রোলস রয়েস উপহার দেয়ার সংবাদটি মিথ্যা
২২ নভেম্বর গ্রুপ পর্বের ম্যাচে মুখোমুখি হয় আর্জেন্টিনা ও সৌদি আরব। উক্ত ম্যাচে সৌদি আরবের জয়ের পর গণমাধ্যম ও ফেসবুকে দাবি করা হয়, আর্জেন্টিনাকে হারানোয় সৌদি আরবের প্রতিটি ফুটবলারকে Rolls Royce উপহার দিবেন সৌদি বাদশা!
এ বিষয়ে অনুসন্ধান করে রিউমর স্ক্যানার টিম জানতে পারে, আর্জেন্টিনাকে হারানোয় সৌদি আরবের প্রতিটি ফুটবলারকে Rolls Royce উপহার দিবেন সৌদি বাদশা শীর্ষক সংবাদটি সম্পূর্ণ গুজব।
এ বিষয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার জানায়, আর্জেন্টিনা-সৌদি আরব ম্যাচের পর ভারত ও পাকিস্তানের ২ জন ভেরিফাইড টুইটার ব্যবহারকারী মোহাম্মদ বিন সালমান সৌদি ফুটবল দলের প্রত্যেককে একটি করে রোলস রয়েস ফ্যান্টম উপহার দিবেন’ শীর্ষক দাবিতে কোনোপ্রকার তথ্যসূত্র ছাড়া টুইট প্রকাশ করেন। উক্ত টুইটগুলোর ভিত্তিতেই দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। যা পরবর্তীতে মিথ্যা হিসেবে নিশ্চিত করেছেন সৌদি আরবের ফুটবলার সালেহ আল-শেহরি।
৩. লিওনেল মেসির ছবি সম্বলিত আর্জেন্টিনার নতুন মুদ্রা তৈরির দাবিটি কতটা সত্য?
আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর “আর্জেন্টিনার ব্যাংক নোটে লিওনেল মেসি এবং বিশ্বকাপ জয়ী দলের ছবি” শীর্ষক একটি তথ্য দেশের অধিকাংশ সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হওয়ার মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধান করে রিউমর স্ক্যানার টিম জানতে পারে, আর্জেন্টিনার কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক মেসির ছবি সম্বলিত ব্যাংক নোট ছাপা বিষয়ক দাবিগুলো সঠিক নয়।
এ বিষয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার জানায়, লিওনেল মেসির ছবি সম্বলিত নোট তৈরির দাবিটি মিথ্যা, মেসির ছবি সম্বলিত ভাইরাল নোটের ছবিটি ফ্যানমেড একটি প্রতীকী মুদ্রার ছবি এবং মেসির ছবি সম্বলিত মুদ্রা তৈরি করা হবে সে সংক্রান্ত প্রস্তাবনা আলোচনা হয়েছে সেই দাবিটিও এখন পর্যন্ত কোনো নির্ভরযোগ্যসূত্রে নিশ্চিত নয় বরং এই তথ্যটি আন-অফিশিয়াল সোর্সে এসেছে। উপরন্তু, এটি বৈঠকের সময় প্রসঙ্গক্রমে রসিকতা করে বলা বক্তব্য হিসেবে এসেছে।
৪. মেসিকে পরিয়ে দেয়া বিস্ত বগুড়ায় তৈরি হয়নি
আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে লিওনেল মেসিকে আয়োজকদের পক্ষ থেকে বিস্ত পরিয়ে দেওয়া হয়। এই বিস্ত বগুড়ায় তৈরি শীর্ষক একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এবং কতিপয় মূলধারার গণমাধ্যমে প্রচারিত হওয়ার মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধান করে রিউমর স্ক্যানার টিম জানতে পারে, মেসিকে পরিয়ে দেয়া বিস্তটি বগুড়ায় তৈরি দাবিটি মিথ্যা।
এ বিষয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার জানায়, কাতারের বিস্ত আল সালেমে কর্মরত বাংলাদেশী কর্মী রবিউল ইসলাম রনি, যিনি বগুড়ার বিস্ত আল-নুরের মালিকানার সাথেও যুক্ত। কাতারের সেই প্রতিষ্ঠান Bisht Al-Salem এর তৈরি বিস্ত মেসির গায়ে পড়ানোয় রবিউল তার ফেসবুক আইডিতে ‘আমাদের কোম্পানির বানানো বিশুত নিজ হাতে শেখ তামিম মেসিকে পরিয়ে দিচ্ছে’* শীর্ষক একটি পোস্ট করলে অনেকেই পোশাকটি তার বগুড়ার প্রতিষ্ঠানের তৈরি ভেবে ভুলভাবে প্রচার শুরু করে। প্রকৃতপক্ষে মেসিকে পরিয়ে দেয়া বিস্ত কাতারের আল সালেমের ওয়ার্কশপে তৈরি হয়।
৫. ‘কাতার বিশ্বকাপে এক সপ্তাহে ৫৫৮ জন ইসলাম গ্রহণ করেছে’ শীর্ষক দাবিটি সত্য নয়
কাতারে বিশ্বকাপ শুরুর প্রথম সপ্তাহে “কাতার বিশ্বকাপে এক সাপ্তাহে ৫৫৮ জন ইসলাম গ্রহণ করেছে” শীর্ষক একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধান করে রিউমর স্ক্যানার টিম জানতে পারে, “কাতার বিশ্বকাপে এক সপ্তাহে ৫৫৮ জন ইসলাম গ্রহণ করেছে” শীর্ষক তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
এ বিষয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার জানায়, eDialogue Center নামের সৌদি আরব ভিত্তিক ইসলাম প্রচারকারী প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন দেশে ইসলাম প্রচার করে থাকে এবং প্রতি সপ্তাহে তাদের মাধ্যমে ইসলাম গ্রহণকারীদের পরিসংখ্যান সপ্তাহের শুক্রবারে প্রকাশ করে। বিশ্বকাপ শুরুর পূর্বে ১৮ নভেম্বর শুক্রবারও যথারীতি পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছিলো প্রতিষ্ঠানটি। সেই সপ্তাহে ৪২টি দেশের ৫৫৮ জন ইসলাম গ্রহণের তথ্য দিয়েছিলো তারা। উক্ত বিষয়টিই তাদের সাথে কাজ করা ফয়সাল আল-হাশমী নামের এক ব্যক্তি একটি ভিডিওর মাধ্যমে তুলে ধরলে পরক্ষণেই সেটি “কাতার বিশ্বকাপে এক সপ্তাহে ৫৫৮ জন ইসলাম গ্রহণ করেছে” শীর্ষক দাবিতে ছড়িয়ে পড়ে। তবে ফয়সাল আল-হাশমী একটি টুইটের মাধ্যমে পুরো বিষয়টি ব্যাখ্যা করে জানান, কাতার বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে বিশ্বকাপ শুরুর এক সপ্তাহের মধ্যে ৫৫৮ জন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেনি বরং এটা তাদের প্রতি সপ্তাহের স্বাভাবিক কাজ।
এক নজরে কাতার বিশ্বকাপ বিষয়ে গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া গুজব বিষয়ক ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন
১. কুমিল্লায় আর্জেন্টিনা হারায় হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর সংবাদটি মিথ্যা (প্রথম আলো, নয়াদিগন্ত, বিজনেস বাংলাদেশ, সংবাদ প্রকাশ, বাংলাদেশ জার্নাল, ভোরের কাগজ, বিডি২৪লাইভ, সময়ের আলো, ডেইলি বাংলাদেশ, নিউজ২৪, ডেইলি ক্যাম্পাস, ঢাকা প্রকাশ, বিডি২৪রিপোর্ট, ইনকিলাব, রাইজিং বিডি, ঢাকা মেইল, মানবকন্ঠ, বাংলা ভিশন, এস এ টিভি, জনকণ্ঠ, দেশ রুপান্তর, আরটিভি, পূর্ব পশ্চিম, অলরাউন্ডার, কুমিল্লার কাগজ, যুগান্তর, জুম বাংলা।)
২. মেসির স্ত্রীর হৃদয়ভাঙা ফেসবুক পোস্ট শীর্ষক দাবিটি মিথ্যা (সময় টিভি, ডেইলি ক্যাম্পাস, নিউজ২৪, ভোরের কাগজ, কালবেলা, বিজনেস বাংলাদেশ এবং বাংলা ইনসাইডার।)
৩. সৌদি ফুটবলারকে জার্মানিতে পাঠানোর দাবিটি মিথ্যা (প্রথম আলো, সংবাদ প্রকাশ, নিউজ বাংলা২৪, চ্যানেল আই, ঢাকা প্রকাশ, একুশে টিভি, ইনকিলাব, মানবজমিন, যমুনা টিভি, সময় টিভি, বাংলা ভিশন, আজকের পত্রিকা, বাংলা নিউজ২৪, ঢাকা পোস্ট, আরটিভি, কালবেলা, আমাদের সময়, যুগান্তর, জুম বাংলা, আলোকিত বাংলাদেশ, নয়াশতাব্দী, বিডি মর্নিং, বিডি২৪লাইভ।)
৪. সৌদি আরব কোচের এই ভিডিওটি আর্জেন্টিনা ম্যাচের নয় (আরটিভি, একুশে টিভি, যমুনা টিভি)
৫. সৌদি ফুটবলারদের রোলস রয়েস উপহার দেয়ার সংবাদটি মিথ্যা (যমুনা টিভি, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি, দৈনিক যুগান্তর, দৈনিক ইনকিলাব, একুশে টিভি, দৈনিক জনকণ্ঠ, দৈনিক ইত্তেফাক, সময় টেলিভিশন, দৈনিক মানবজমিন, বাংলানিউজ২৪, সময়ের আলো, বাংলা ট্রিবিউন, আরটিভি, The Business Standard, বাংলাভিশন, দেশ রূপান্তর, ঢাকা পোস্ট, বিডি২৪ লাইভ, দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস, আজকের পত্রিকা, নাগরিক টিভি, আমাদের সময়, ডেইলি বাংলাদেশ, বিডি২৪ রিপোর্ট, এবিনিউজ২৪ এবং জুম বাংলা।)
৬. কাতার বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে অভিবাসী শ্রমিকদের মৃত্যু সংখ্যা নিয়ে ভুল তথ্য প্রচার (সময় টিভি)
৭. ২০১৪ সালের ফুটবল বিশ্বকাপে মেসুত ওজিল রোজা রেখে মাঠে নামেননি (আরটিভি)
৮. কোরআন তেলাওয়াতের দৃশ্যটি কাতার বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের নয় (যায়যায়দিন, নয়া দিগন্ত, সময় টিভি, যমুনা টিভি)
৯. মেসি ম্যাচ সেরা পুরস্কার ম্যাক অ্যালিস্টারকে দিয়ে দেননি (মানবজমিন, নয়া দিগন্ত, বিডি২৪রিপোর্ট)
১০. মেসিই বিশ্বকাপে প্রথম ২ টি পেনাল্টি মিস করেননি (প্যাভিলিয়ন)
১১. রোনালদোর ১৮ বছর পর বড় টুর্নামেন্টে ডাগআউটে বসে থাকার দাবিটি বিভ্রান্তিকর (প্রথম আলো (প্রতিবেদন ১), প্রথম আলো (প্রতিবেদন ২), কালের কণ্ঠ, দেশ রূপান্তর, লাইভ নিউজপেপার ২৪, আমাদের সময়, জুম বাংলা, ডেইলি স্টার, বিডি২৪ রিপোর্ট, সময় নিউজ, আরটিভি (প্রতিবেদন ১), আরটিভি (প্রতিবেদন ২), একাত্তর টিভি, সমকাল, ঢাকা মেইল, মানবজমিন, এবিনিউজ২৪, সাম্প্রতিক দেশকাল এবং ভোরের কাগজ।)
১২. বিশ্বের প্রথম দল হিসেবে ব্রাজিলের স্কোয়াডের সব সদস্যকে খেলানোর দাবিটি মিথ্যা (বাংলানিউজ২৪, বাংলাদেশ প্রতিদিন, দেশ রূপান্তর, বাংলা ইনসাইডার, দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস, চ্যানেল২৪, কালবেলা, নয়া দিগন্ত, বিডি২৪লাইভ, আমাদের সময়, জুম বাংলা, বিডি২৪রিপোর্ট, যমুনা টিভি)
১৩. মেসির স্ত্রীর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নেই, সেমিফাইনাল নিয়ে পোস্টটি ভুয়া (বিডিনিউজ২৪)
১৪. দ্বিতীয় মুসলিম দেশ হিসেবে ফিফা বিশ্বকাপে মরক্কোর সেমিফাইনালে যাওয়ার দাবিটি মিথ্যা (সময় টিভি, চ্যানেল২৪, নয়া শতাব্দী, সময়ের আলো এবং নয়া দিগন্ত।)
১৫. সমর্থকের বিবেচনায় আর্জেন্টিনার পাঁচে থাকার দাবিটি সঠিক নয় (নিউজবাংলা২৪, মানবজমিন, বনিক বার্তা, যুগান্তর, খোলা কাগজ।)
১৬. ভিডিওটি মেসির মাকে জড়িয়ে ধরার মুহূর্তের নয় (ঢাকাপোস্ট, সময় টিভি, জাগো নিউজ২৪, দৈনিক ইত্তেফাক, সমকাল, দেশ রুপান্তর এবং নিউজ২৪)
১৭. মেসিকে পরিয়ে দেয়া বিস্ত বগুড়ায় তৈরি হয়নি (দেশ রূপান্তর, আমাদের সময়, পূর্বপশ্চিম, ঢাকা মেইল, জুম বাংলা, নিরাপদ নিউজ, বাংলাভিশন।)
১৮. লিওনেল মেসির ছবি সম্বলিত আর্জেন্টিনার নতুন মুদ্রা তৈরির দাবিটি কতটা সত্য? (প্রথমআলো, যুগান্তর, যমুনা টিভি, নিউজ২৪, একাত্তর টিভি, সময় টিভি, এটিএন বাংলা, ইনকিলাব, মানবজমিন, বাংলাভিশন, বৈশাখি টিভি অনলাইন, দেশ রূপান্তর, ইত্তেফাক, ঢাকা পোস্ট, বিজনেস বাংলাদেশ, ঢাকা ট্রিবিউন, একুশে টিভি, কালবেলা, কালের কণ্ঠ, মানবকন্ঠ, ভোরের কাগজ, বাংলাদেশ টুডে, বাংলাদেশ প্রতিদিন, রাইজিং বিডি, ঢাকা টাইমস, নিউজজি২৪, আমাদের সময়, ডেইলি বাংলাদেশ, সাম্প্রতিক দেশকাল, এখন টিভি, নয়াশতাব্দী২৪, প্রতিদিনের সংবাদ।)
১৯. ইব্রাহিমোভিচের নামে গণমাধ্যমে ভুয়া বক্তব্য প্রচার (যমুনা টিভি, পূর্ব পশ্চিম বিডি)
২০. ডি স্টেফানোর নাম উদ্ধৃত করে মেসির সুপার ব্যালন ডি’অর সম্পর্কে প্রচারিত বক্তব্যটি মিথ্যা (যমুনা টিভি)
২১. রদ্রিগো ডি পলকে বিশ্বকাপের সবচেয়ে সুদর্শন পুরুষ ঘোষণা করলো কারা? (একাত্তর টিভি, জুম বাংলা৷)
২২. ১৯৭৮ ও ১৯৮৬ বিশ্বকাপের তৃতীয় ম্যাচে আর্জেন্টিনা পেনাল্টি মিস করেনি (প্রথম আলো, দ্য ডেইলি স্টার, দৈনিক ইনকিলাব, বাংলাদেশ প্রতিদিন, আমাদের সময়, দৈনিক আমাদের সময়, চ্যানেল২৪, বাংলানিউজ২৪, কালের কন্ঠ, আজকের পত্রিকা, সংবাদ প্রকাশ, নিউজ২৪বিডি, বাংলা ইনসাইডার এবং নয়া শতাব্দী)
২৩. মাতেও লাহোজকে কি ফিফা শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বাদ দিয়েছে? (ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি, নিউজ২৪, বাংলাদেশ প্রতিদিন, বাংলা নিউজ২৪, নয়াদিগন্ত, চ্যানেল২৪, বনিকবার্তা, প্রথম আলো, টিবিএস, বার্তা২৪, যমুনা টিভি, ইত্তেফাক, ঢাকা ট্রিবিউন, আমাদের সময়, জাগোনিউজ২৪, এনটিভি, চ্যানেল আই, ক্যাম্পাস লাইভ, বাংলাদেশ জার্নাল, ঢাকা পোস্ট, কালেরকণ্ঠ, ডেইলি অবজারভার (বাংলা), মানবজমিন, বাংলাদেশ টাইমস, ভোরের কাগজ, ঢাকা টাইমস, আরটিভি, ডেইলি বাংলাদেশ, বাংলা ট্রিবিউন, বাংলা ভিশন, বৈশাখী টিভি, পূর্ব পশ্চিম, একুশে টিভি, সময়ের কণ্ঠস্বর, ডিবিসি নিউজ, এবিনিউজ২৪, সময় টিভি, একাত্তর টিভি, অলরাউন্ডার, সমকাল, দৈনিক বাংলা, কালবেলা, প্যাভিলিয়ন, অবজারভার বিডি (ইংরেজি), সংবাদ প্রকাশ, নয়া শতাব্দী, জনকণ্ঠ, ঢাকা মেইল, আমার সংবাদ, বিবিএস বাংলা, প্রতিদিনের সংবাদ, বাংলা.২৪লাইভনিউজপেপার, যুগান্তর, দৈনিক আমাদের সময়, নাগরিক টিভি, দৈনিক করতোয়া, ইনকিলাব, বিডি মর্নিং, বিডি২৪লাইভ, দৈনিক শিক্ষা, সময়ের আলো, এসএ টিভি,দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস, বাংলা ইনসাইডার, বিজয় টিভি, বিডি২৪রিপোর্ট, অধিকার এবং নিরাপদ নিউজ)
২৪. মেসির স্ত্রীর ফেসবুক পেজ নেই, বাংলাদেশ নিয়ে পোস্টের দাবিটি মিথ্যা (প্রথম আলো, ভোরের কাগজ, নিউজ২৪, জুম বাংলা, দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস এবং বাংলাভিশন)
অর্থাৎ, ফিফা বিশ্বকাপের ২২তম আসরে গণমাধ্যম এবং ফেসবুকে সমান্তরালভাবে গুজব এবং ভুল তথ্য ছড়াতে দেখেছে রিউমর স্ক্যানার টিম। বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পরের এক সপ্তাহেও ভুল তথ্য ছড়ানো থামেনি। রিউমর স্ক্যানার প্রকাশিত শতাধিক ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন তারই প্রমাণ দেয়। প্রতিবেদনগুলো পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বক্তব্য, ধর্মীয় প্রসঙ্গ এবং সংখ্যা ভিত্তিক পরিসংখ্যানে সবচেয়ে বেশি ভুল তথ্য ছড়িয়েছে। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমকে অগ্রগামী দায়িত্বে দেখা প্রয়োজন থাকার সময়ে উল্টো গণমাধ্যমেই কুড়ির অধিক ভুল তথ্য প্রকাশ হতে দেখা গেছে। এক্ষেত্রে তাই তথ্য যাচাইয়ে নির্ভরযোগ্য মাধ্যমে আস্থা রেখে সত্যতা নিশ্চিত হওয়া জরুরি।