Home Blog Page 554

হজ নিয়ে রচিত ‘ওয়েটিং ফর দ্যা কল’ গানটি মাইকেল জ্যাকসনের গাওয়া নয়

0

সম্প্রতি ‘মাইকেল জ্যাকসনের শেষ গান যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত হয়নি তার কপিরাইট সৌদি আরব সরকার কিনে নিয়েছে।’ শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। 

মাইকেল

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, পপ সংগীতশিল্পী মাইকেল জ্যাকসনের গাওয়া শেষ গানের দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটিতে উল্লেখিত গানটি তাঁর গাওয়া নয় বরং উক্ত গানটি পাকিস্তানি বংশদ্ভূত কানাডিয়ান গীতিকার ইরফান মক্কীর। তাছাড়া  উক্ত গানটির মেধাস্বত্ত্ব সৌদি আরবের কিনে নেওয়ার তথ্যটিও মিথ্যা।

দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধানের মাধ্যমে ইউটিউবে Awakening Music নামের একটি চ্যানেলে ২০১২ সালের ৩০ জুলাই ‘Irfan Makki – Waiting For The Call | Official Lyric Video‘ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। 

ভিডিওটির বিস্তারিত বিবরণী থেকে জানা যায়, ওয়েটিং ফর দ্যা কল গানটির শিল্পী ইরফান মাক্কী, এটি তার নতুন অ্যালবাম ‘I Believe’ এর একটি গান। 

এই তথ্যের সূত্রে পরবর্তীতে অনুসন্ধানে লেবানিজ বংশদ্ভূত সুইডিশ শিল্পী মাহের জেইনের ভ্যারিফাইড ফেসবুক পেইজে ২০১১ সালের ১১ জুলাই ‘”I Believe” which is mu duet with Irfan Makki is now available on iTunes.’ শীর্ষক একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়।

পোস্টটি থেকে জানা যায়,  ‘I Believe’ অ্যালবামটি কানাডিয়ান সংগীতশিল্পী ইরফান মক্কীর সাথে মাহের জেইনের গাওয়া একটি ডুয়েট বা দ্বৈত অ্যালবাম।

এছাড়া অনুসন্ধানে ইরফান মক্কীর টুইটার অ্যাকাউন্টে ২০১৪ সালের ২৬ সেপ্টেম্বরে Irfan Makki – Waiting For The Call | Live at The Apollo Theatre শীর্ষক একটি টুইট বার্তা খুঁজে পাওয়া যায়। 

এই টুইট বার্তাটি থেকেও দেখা যায়, এটি ইরফান মক্কীর গাওয়া গান। 

পাশাপাশি গান ভিত্তিক বিভিন্ন ওয়েবসাইট বিশ্লেষণ করেও দেখা যায়, ‘ওয়েটিং ফর দ্যা কল’ গানটির প্রকৃত গায়ক হিসেবে  ইরফান মক্কীর নামই উল্লেখ করা। 

Screenshot: Spotify.com

এমন আরও কিছু ওয়েবসাইট দেখুন Spotify, Last.fm, Genius

এছাড়া অনুসন্ধানে মাইকেল জ্যাকসনের  ‘ওয়েটিং ফর দ্যা কল’ নামে কোনো গান এবং সৌদি আরব কর্তৃক তার মেধাস্বত্ত্ব কিনে নেওয়ার ব্যাপারে নির্ভরযোগ্য সূত্রে কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

পাশাপাশি অনুসন্ধানে দেখা যায়, মাইকেল জ্যাকসনের গাওয়া গান দাবীতে যে ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, সেটি মূলত ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ সালে S M Mostafizur Rahman নামক একটি ইউটিউব চ্যানেলে “O Allah i am waiting for the call” শিরোনামে আপলোড করা হয়।

Screenshot: S M Mostafizur Rahman

তবে ইউটিউব ভিডিওটির বর্ণনায় ইরফান মাক্কির কথাই উল্লেখ ছিলো সেখানে।

Screenshot: S M Mostafizur Rahman

উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে ২০২১ সালেও আলোচিত দাবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সে সময়েও বিষয়টিকে মিথ্যা উল্লেখ  করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল রিউমর স্ক্যানার টিম। 

সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর সাম্প্রতিক ঘটনায় ইন্টারনেটে পুরোনো ছবি প্রচার

সম্প্রতি, সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় বাংলাদেশের একাধিক গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দুটি ভিন্ন ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। 

প্রথম ছবিটি থাম্বনেইলে ব্যবহার করে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন নিউজ(আর্কাইভ) গত ২৯ জুন এবং ইনডিপেনডেন্ট টিভি(আর্কাইভ) গত ৩০ জুন তাদের ইউটিউব চ্যানেলে সুইডেনের সাম্প্রতিক কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় সংবাদ প্রকাশ করেছে।

এছাড়াও এই ছবিটি ব্যবহার করে সংবাদ প্রকাশ করেছে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গণমাধ্যম চট্টলার খবর

এছাড়াও এই দুটো ছবি ব্যবহার করে সুইডেনের সাম্প্রতিক কোরআন পোড়ানোর বিষয়ে ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় গণমাধ্যম এবং ফেসবুকে প্রচারিত এই ছবি দুটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় বরং পূর্বে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর  ঘটনার পুরোনো দুটি ছবিকে সাম্প্রতিক কোরআন পোড়ানোর ঘটনার দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।  

গত ২৯ জুন ঈদুল আযহার দিনে সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটে। ইরাক থেকে আসা সলমন মোমিকা নামের এক অভিবাসী আদালতের অনুমতি নিয়ে প্রথমে পবিত্র কোরআনের পাতা ছেঁড়ে, তারপর তা পোড়ায়। আরেকজন ব্যক্তি তাকে সাহায্য করে।

এই ঘটনায় বাংলাদেশের গণমাধ্যমে প্রকাশিত সাম্প্রতিক সংবাদে একটি পুরোনো ছবি প্রচার করা হয়েছে। এছাড়াও এ ঘটনায় ফেসবুকে সম্প্রতি প্রচারিত একাধিক পোস্টেও একই ছবি সহ আরও একটি ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। 

ছবি যাচাই-০১

Image Collage by Rumor Scanner

রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম REUTERS এর ওয়েবসাইটে গত ২২ জানুয়ারি “Protests in Stockholm, including Koran-burning, draw condemnation from Turkey” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: REUTERS

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২১ জানুয়ারি সুইডেনের স্টকহোমে তুর্কি দূতাবাসের বাইরে কোরআন পোড়ানোর সময়ের ছবি এটি।

ছবি যাচাই-০২

Screenshot: Facebook 

রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম Al Jazeera-র ওয়েবসাইটে ২০২০ সালের ০৩ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Al Jazeera

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এক চরমপন্থী ডেনিস নাগরিক সুইডেনের নাগরিকত্ব চেয়ে কোরআন পোড়ানোর ঘটনার ছবি এটি।

অর্থাৎ, সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর সাম্প্রতিক ঘটনায় গণমাধ্যম এবং ফেসবুকে প্রচারিত ছবি দুটি সাম্প্রতিক সময়ের নয়। 

মূলত, গত ২৯ জুন সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটে। রিউমর স্ক্যানার যাচাই করে দেখেছে এই ঘটনায় বাংলাদেশের গণমাধ্যম এবং ফেসবুকে পূর্বে কোরআন পোড়ানোর পৃথক দুটি ঘটনার ছবি ব্যবহার করা হয়েছে, যা জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করে। 

প্রসঙ্গত, সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ। অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি) সুইডেনে পবিত্র কোরআনের পোড়ানোর প্রতিক্রিয়ায় নির্বাহী কমিটির জরুরি সভায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নিন্দা ও উদ্বেগ জানানো হয়।

উল্লেখ্য, পূর্বেও গণমাধ্যমে ভিন্ন ঘটনার ছবি ব্যবহার করে সংবাদ প্রকাশ নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।

সুতরাং, সুইডেনে সম্প্রতি কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দুটি পুরোনো ঘটনার ছবি প্রচার করা হয়েছে ; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

কলকাতার অভিনেত্রী মধুমিতার এডিটেড ছবি প্রচার

সম্প্রতি, কলকাতার অভিনেত্রী মধুমিতা সরকারের ‘I’M NOT VIRGIN’ শীর্ষক লেখা সম্বলিত টি-শার্ট পরিহিত একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। 

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ‘I’M NOT VIRGIN’ লেখা সম্বলিত টি-শার্ট পরিহিত মধুমিতা সরকারের এই ছবিটি  আসল নয় বরং ইন্টারনেট থেকে মধুমিতা সরকারের টি-শার্ট পরিহিত একটি ছবি সংগ্রহ করে তা ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় এডিট করে উক্ত ছবিটি তৈরী করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে কলকাতার অভিনেত্রী মধুমিতা সরকারের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে ২০২২ সালের ১৫ আগস্ট প্রকাশিত একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Madhumita Facebook Page

এই পোস্টে মধুমিতা সরকারের কয়েকটি ছবি পাওয়া যায়। ছবিগুলো পর্যবেক্ষণ করলে সেখানে আলোচিত ছবির সদৃশ একটি ছবি খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Madhumita Facebook Page

তবে এই ছবিতে প্রদর্শিত টি-শার্টের কোথাও ‘I’M NOT VIRGIN’ শীর্ষক লেখাটি দেখা যায়নি।

Image Comparison by Rumor Scanner

তবে আলোচিত ছবির সাথে মধুমিতার ফেসবুক পোস্টে প্রচারিত ছবির মধুমিতার টি-শার্টের রঙ, ব্যাকগ্রাউন্ড, অঙ্গভঙ্গি এবং হেয়ারস্টাইল এর হুবহু মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

Image Comparison by Rumor Scanner

অর্থাৎ, মধুমিতার টিশার্টে ‘I’M NOT VIRGIN’ লেখা সম্বলিত এই ছবিটি আসল নয়।

মূলত, সম্প্রতি কলকাতার অভিনেত্রী মধুমিতা সরকারের ‘I’M NOT VIRGIN’ লেখা সম্বলিত কালো টি-শার্ট পরিহিত একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। তবে অনুসন্ধানে দেখা যায়, ইন্টারনেট থেকে মধুমিতার  কালো টি-শার্ট পরিহিত একটি ছবি সংগ্রহ করে তাতে ফটোশপের মাধ্যমে  ‘I’M NOT VIRGIN’ শীর্ষক লেখাটি যুক্ত করে উক্ত ছবিটি তৈরি করা হয়েছে। 

উল্লেখ্য, পূর্বেও বিভিন্ন দাবিতে ইন্টারনেটে এডিটেড ছবি প্রচারিত হলে ছবিগুলো নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার। এমন কিছু প্রতিবেদন দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে। 

সুতরাং, কলকাতার অভিনেত্রী মধুমিতা সরকারের ‘I’M NOT VIRGIN’ লেখা সম্বলিত টি-শার্ট পরিহিত এই ছবিটি এডিটেড বা বিকৃত।

তথ্যসূত্র

চিলির সাম্প্রতিক বন্যার খবরে গণমাধ্যমে পুরোনো ছবি প্রচার

গত জুনে চিলিতে বন্যার ঘটনায় বাংলাদেশের কতিপয় গণমাধ্যম প্রকাশিত প্রতিবেদনে একটি ছবি ব্যবহার করা হয়েছে।

উক্ত ছবি ব্যবহার করে চিলিতে বন্যার ঘটনায় প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ডেইলি বাংলাদেশ, আপনজন পত্রিকা। 

একই দাবিতে ফেসবুকের একটি পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, উক্ত ছবিটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় বরং ২০১৫ সালে চিলির বন্যার সময়কার দৃশ্যকে সাম্প্রতিক দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম Wall Street Journal এর ওয়েবসাইটে ২০১৫ সালের ২৬ মার্চ ‘Chile Declares State of Emergency in Rain-Hit North’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে আলোচিত ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Wall Street Journal

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ছবিটি ২০১৫ সালের ২৫ মার্চ চিলির বন্যার দৃশ্য। 

এই প্রতিবেদনে উক্ত ছবিটির মূল সোর্স হিসেবে European Pressphoto Agency এর নাম উল্লেখ পাওয়া যায়।

পরবর্তীতে অনুসন্ধানের মাধ্যমে  European Pressphoto Agency এর ওয়েবসাইটে মূল ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: European Pressphoto Agency

উক্ত ছবির বিস্তারিত বিবরণী থেকেও চিলির বন্যার বিষয়ে একই তথ্য জানা যায়।

Screenshot Comparison by Rumor Scanner

অর্থাৎ, চিলিতে বন্যার ঘটনায় গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে আট বছরেরও বেশি পুরোনো ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। 

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে আলোচিত ছবিটির ক্যাপশনে ছবিটি সংগৃহীত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সাম্প্রতিক ঘটনার বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ছবিটি ব্যবহার করে সংগৃহীত উল্লেখ করায় স্বাভাবিকভাবেই ছবিটি চিলির সাম্প্রতিক বন্যার বলে প্রতীয়মান হয়। এতে করে নেটিজেনদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হওয়া অমূলক নয়। 

মূলত, গত জুনে চিলিতে বন্যার ঘটনায় কতিপয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে একটি ছবি প্রচারের প্রেক্ষিতে অনুসন্ধানে জানা যায়, ছবিটি সাম্প্রতিক সময়ের নয়। ২০১৫ সালের ২৫ মার্চ চিলিতে বন্যায় নদীতে পানির স্তর বৃদ্ধি পাওয়ার সময়ের ছবি। গণমাধ্যমের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনগুলোতে আলোচিত ছবিটির ক্যাপশনে পুরোনো ঘটনার ছবি শীর্ষক কোনো তথ্য না দেওয়ায় ছবিটি সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের ঘটনার বলে প্রতীয়মান হয়, যা বিভ্রান্তির জন্ম দিয়েছে। 

উল্লেখ্য, পূর্বে কঙ্গোতে ভারী বর্ষণে বন্যার ঘটনায় গণমাধ্যমে একাধিক পুরোনো ছবি ব্যবহার করা হলে সেসময় বিষয়টি নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার। 

সুতরাং, চিলিতে সাম্প্রতিক সময়ে বন্যার ঘটনায় গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে আট বছরের বেশি পূর্বের ছবিকে সাম্প্রতিক দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

হিরো আলম গুম হওয়ার গুজব প্রচার

সম্প্রতি, ‘হিরো আলম গুম হয়েছেন’ শীর্ষক একটি দাবি   সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচারিত হয়।

ফেসবুকে প্রচারিত এমনকিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম গুম হননি বরং কোনোপ্রকার তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই উক্ত দাবিটি ইন্টারনেটে প্রচারিত হয়।

দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ের রিউমর স্ক্যানার টিম কি-ওয়ার্ড পদ্ধতি ব্যবহার করলে, গত ২৪ জুন “Nagorik Tv – নাগরিক টিভি” নামক একটি ফেসবুক পেজ থেকে “হিরো আলমের মোবাইল ফোন বন্ধ: নেপথ্যে আরাফাত?” (আর্কাইভ) শীর্ষক শিরোনামে একটি পোস্টার প্রচার করা হয়। 

সেখানে দাবি করা হয়, গত ছয় ঘন্টা ধরে ঢাকা ১৭ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাতের প্রতিদ্বন্দ্বী হিরো আলমের মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। নাগরিক টিভি অনুসন্ধানের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছে নোমিনেশন প্রত্যাহার করে ভোটের মাঠ থেকে সরে যেতে হিরো আলমকে চাপ প্রয়োগ ও ভয়-ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে! হায়রে আরাফাত, হিরো আলমকেও এত ভয়? হয়তো চাপের কারণে আগামীকালকেই নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিতে পারেন হিরো আলম!

Screenshot: Facebook 

এরপরই হিরো আলমের গুম হওয়ার দাবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। 

পরবর্তীতে উক্ত দাবির সত্যতা যাচাইয়ে রিউমর স্ক্যানার টিম কি-ওয়ার্ড পদ্ধতি ব্যবহার করে দেশের গণমাধ্যম গুলোতে উক্ত দাবির সপক্ষে কোনো সংবাদ পায়নি। 

তবে এই দাবির প্রেক্ষিতে গত ২৫ জুন ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় হিরো আলমের গুম হওয়ার খবরটিকে গুজব বলে জানান তার বান্ধবী রিয়া মনি।

Screenshot: Facebook

পরবর্তীতে ২৬ জুন প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ অনুষ্ঠানে এসে সাংবাদিকদের নিকট সাক্ষাৎকার দেন হিরো আলম এবং সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তার গুম হওয়ার বিষয়টিকে গুজব বলে জানান। সাক্ষাৎকারটি দেখুন এখানে। 

Screenshot: Youtube

অর্থাৎ, উপরোক্ত তথ্য উপাত্ত থেকে এটি নিশ্চিত যে হিরো আলম গুম হননি।

মূলত, সম্প্রতি ঢাকা-১৭ আসনের শূন্য আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমকে গুম করা হয়েছে দাবিতে একটি তথ্য ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়। তবে, রিউমর স্ক্যানার টিম অনুসন্ধানে জানা যায়, হিরো আলম গুম হয়নি। তিনি নিয়মিত সশরীরে তার নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার গুম হওয়ার বিষয়টি গুজব বলে তিনি নিজেই সাংবাদিকদের জানিয়েছেন 

প্রসঙ্গত, আগামী ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের শূন্য পদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত। 

উল্লেখ্য, পূর্বেও হিরো আলমকে নিয়ে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া একাধিক গুজব শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার। প্রতিবেদনগুলো পড়ুন এখানে এবং এখানে। 

সুতরাং, হিরো আলম গুম হয়েছেন দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

‘পিনাকী ভট্টাচার্য সাহেব আমার কাছে টাকা চেয়েছিলেন’ শীর্ষক মন্তব্যটি নুরুল হক নুরের নয়

0

সম্প্রতি ‘পিনাকী ভট্টাচার্য সাহেব আমার কাছে টাকা চেয়েছিলেন, টাকা দিতে পারিনি বলেই এখন আমার বিরুদ্ধে বিষেদগার করছেন। আসলে এটাই উনার চরিত্র।’ শীর্ষক একটি তথ্য দৈনিক প্রথম আলোর আদলে তৈরি একটি ফটোকার্ডের মাধ্যমে গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুরের মন্তব্য দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।

পিনাকী

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ‘পিনাকী ভট্টাচার্য সাহেব আমার কাছে টাকা চেয়েছিলেন, টাকা দিতে পারিনি বলেই এখন আমার বিরুদ্ধে বিষেদগার করছেন। আসলে এটাই উনার চরিত্র’ শীর্ষক দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত এই মন্তব্যটি গণঅধিকার পরিষদ নেতা নুরুল হক নুরের নয় এবং প্রথম আলোও এধরণের কোনো সংবাদ প্রচার করেনি বরং ভিত্তিহীনভাবে প্রথম আলোর আদলে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় তৈরি করা একটি ফটোকার্ডের মাধ্যমে উক্ত দাবিটি প্রচার করা হচ্ছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে প্রথম আলোর আদলে তৈরি আলোচিত ফটোকার্ডটি বিশ্লেষণ করে রিউমর স্ক্যানার। সেখানে এই সংবাদটি প্রচারের তারিখ ২৬ জুনে অনুসন্ধানে কি-ওয়ার্ড সার্চ পদ্ধতি ব্যবহার করে প্রথম আলোর ওয়েবসাইট, প্রথম আলোর ফেসবুক পেজ এবং প্রথম আলোর ইউটিউব চ্যানেলে উক্ত দাবিতে প্রচারিত কোনো সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি।

প্রথম আলোর ছাড়াও অন্যকোনো গণমাধ্যমেও প্রাসঙ্গিক একাধিক কি ওয়ার্ড সার্চ করেও আলোচিত দাবিটির বিষয়ে কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

Screenshot from Google

সম্প্রতি অনলাইন এক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য তার ইউটিউব চ্যানেলে গণঅধিকার পরিষদ এবং নুরুল হক নুরকে নিয়ে একাধিক ভিডিও (,) প্রকাশ করেন। তবে সেসব ভিডিওতে নুরুল হক নুরের কাছে টাকা চাওয়ার ব্যাপারে কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

Screenshot from Youtube

গত ২৬ জুন ‘1A News’ নামক ফেসবুক পেজে “ভিপি নূরের বিরুদ্ধে একের পর এক ভিডিও – কি চায় পিনাকী ভট্টাচার্য ?” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত ভিডিও নুরুল হক নুর তার ফেসবুক পেজে শেয়ার দিয়ে লিখেন “দুঃখিত আমি চাইলেই ইউটিউব,ফেসবুকে কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের মতো অনেক কিছু বলতে পারি না। আলোচনা-সমালোচনা অনেক হয়েছে। আমার বক্তব্যেও আমি বিষয়গুলো পরিস্কার করেছি। তারপরও যারা সহজ বিষয়কে জটিল করে তুলছেন কিছু বলার নাই। আমরা রাজপথের সৈনিক,রাজপথই আমাদের পরিচয় দিবে আমরা কারা”। তবে তিনি সেখানে পিনাকী ভট্টাচার্য তার কাছে টাকা চেয়েছিলেন এবং টাকা দিতে পারিনি বলেই তার সমালোচনা করছেন এমন কোনো কথা বলেননি।

Screenshot from Facebook

এছাড়া, প্রথম আলোর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে একটি পোস্টের মাধ্যমে প্রচারিত এই ফটোকার্ডটিকে নকল এবং তাদের তৈরি নয় বলে জানানো হয়।

Screenshot from Facebook

অর্থাৎ, উপরোক্ত তথ্য উপাত্ত পর্যালোচনা করলে এটা স্পষ্ট যে, ‘পিনাকী ভট্টাচার্য সাহেব আমার কাছে টাকা চেয়েছিলেন, টাকা দিতে পারিনি বলেই এখন আমার বিরুদ্ধে বিষেদগার করছেন। আসলে এটাই উনার চরিত্র’ শীর্ষক মন্তব্যটি নুরুল হক নুরের নয় এবং এই দাবিতে দৈনিক প্রথম আলো কোনো ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি।

মূলত, সম্প্রতি ‘পিনাকী ভট্টাচার্য সাহেব আমার কাছে টাকা চেয়েছিলেন, টাকা দিতে পারিনি বলেই এখন আমার বিরুদ্ধে বিষেদগার করছেন। আসলে এটাই উনার চরিত্র’ শীর্ষক একটি তথ্য দৈনিক প্রথম আলোর আদলে তৈরি একটি ফটোকার্ডে গণঅধিকার পরিষদের নেতা নুরুল হক নুরের মন্তব্য দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়। তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে, প্রথম আলো’র ওয়েবসাইট ও সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট গুলোতে উক্ত তথ্য সম্বলিত কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়াও প্রথম আলোর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকেও উক্ত ফটোকার্ডটি তাদের নয় বলে জানানো হয়।

উল্লেখ্য, পূর্বেও বিভিন্ন সময় প্রথম আলোর ফটোকার্ড নকল করে  মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হলে সেসময় বিষয়গুলো নিয়ে  ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার। প্রতিবেদনগুলো দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে

সুতরাং, ‘পিনাকী ভট্টাচার্য সাহেব আমার কাছে টাকা চেয়েছিলেন, টাকা দিতে পারিনি বলেই এখন আমার বিরুদ্ধে বিষেদগার করছেন। আসলে এটাই উনার চরিত্র’ শীর্ষক একটি তথ্যকে নুরুল হক নুরের মন্তব্য দাবিতে ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

এটি ডুবোযান টাইটান থেকে আসা শব্দের অডিও নয়

সম্প্রতি, আটলান্টিক মহাসাগরে নিখোঁজ ডুবোযান টাইটান থেকে ভেসে আসা শব্দের অডিও দাবিতে কিছু ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

একই দাবিতে ইউটিউবের কিছু ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আটলান্টিক মহাসাগরে ডুবে যাওয়া ডুবোযান টাইটান থেকে আসা শব্দের অডিও দাবিতে প্রচারিত অডিওটি টাইটানের নয় বরং কোনো প্রকার তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই উক্ত অডিওকে টাইটানের দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ফ্রান্স ভিত্তিক সংবাদ সংস্থা ‘AP’ এর ওয়েবসাইটে গত ২৩ জুন প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, টাইটানের ধ্বংসাবশেষের কোনো শব্দ ডুবোযানটির খোঁজার কাজে নিয়োজিত সংস্থা যুক্তরাষ্ট্রের কোস্ট গার্ড প্রকাশ করেনি।

কোস্ট গার্ডের মুখপাত্র ‘Robert Hodges’  ‘AP’ কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

Screenshot source: AP

এ বিষয়ে আরো অনুসন্ধান করে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘USA Today’ এর ওয়েবসাইটে ২৮ জুন প্রকাশিত এক প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায় যেখানে আলোচিত শব্দটির বিষয়ে সংবাদমাধ্যমটি কানাডার কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছে।

Screenshot source: USA Today

কানাডিয়ান ডিপার্টমেন্ট অফ ন্যাশনাল ডিফেন্সের মুখপাত্র জেসিকা লামিরান্ডে ইউএসএ টুডেকে বলেছেন, কানাডা এমন কোনো অডিও প্রকাশ করেনি।

মূলত, আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখাতে পাঁচজন আরোহী নিয়ে টাইটান নামে একটি ডুবোযান গত ১৮ জুন যাত্রা করে। তবে যাত্রার প্রায় দুই ঘন্টা পরেই সাবমেরিনটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থাকা মূল জাহাজের সঙ্গে সংযোগ হারিয়ে ফেলে। পরবর্তীতে  ইন্টারনেটের বিভিন্ন মাধ্যমে টাইটান থেকে ভেসে আসা শব্দ দাবিতে একটি অডিও সম্বলিত ভিডিও প্রচার করা হয়। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, উক্ত দাবিটি সঠিক নয়। আলোচিত শব্দটি টাইটানের নয়। টাইটানের উদ্ধারকাজ সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রসঙ্গত, পূর্বে ওশানগেট টাইটানের চালকের মৃত্যুর পর সাবমেরিন চালক নিয়োগের দাবিতে ভুল তথ্য প্রচার করা হলে তা শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার টিম।

সুতরাং, আটলান্টিক মহাসাগরের গভীরে নিখোঁজ ডুবোযান টাইটান থেকে শব্দ শোনা গিয়েছে শীর্ষক যে অডিওটি প্রচার করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

যুক্তরাষ্ট্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদত্যাগের জন্য চিঠি দেয়নি

সম্প্রতি,“প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগের চিঠি দিলো যুক্তরাষ্ট্র” শীর্ষক একটি দাবি ইন্টারনেটে প্রচারিত হয়।

ফেসবুকে প্রচারিত এমনকিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্র  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদত্যাগের চিঠি দেয়নি বরং অধিক ভিউ পাবার আশায় চটকদার শিরোনাম ও থাম্বনেইল ব্যবহার করে নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্যসূত্র ছাড়াই ভিত্তিহীনভাবে দাবিটি প্রচার করা হয়। গত ১৪ জুন রুমিন ফারহানা ২.০ নামক একটি ফেসবুক পেজে “প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করার জন্য চিঠি দিলো যুক্তরাষ্ট্র। তত্ত্বাবধায়ক দেওয়ার চিঠি দিলো ইইউ ২৭ দেশ। BNP” শীর্ষক ক্যাপশনে ৮ মিনিট ৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়।  

অনুসন্ধানের শুরুতে ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। এতে দেখা যায়, এটি ভিন্ন ভিন্ন ঘটনার কয়েকটি ছবি ও ভিডিও ক্লিপ নিয়ে তৈরি একটি নিউজ ভিডিও। ভিডিওটি কয়েকজন বক্তার বক্তব্য দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এবং বক্তারা একাধিকবার একটি চিঠির উল্লেখ করেছেন। 

ভিডিওটির ১ মিনিট ২ সেকেন্ডে একজন বক্তা নতুন একটি চিঠির করা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নতুন একটি চিঠি যেটার জন্য আওয়ামী শিবিরে ঘুম নেই। আপনারা জানেন যে ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্টকে ইইউর ছয় এমপির চিঠি। নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে বাংলাদেশের নির্বাচন। অবাধ, স্বচ্ছ ও পক্ষপাতহীন নির্বাচন অনুষ্ঠানের ভূমিকা রাখতে ইইউর কাছে আহবান ৬ এমপির। 

সম্পূর্ণ ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৬ এমপির চিঠির কথা উল্লেখ করা হয়েছে একাধিকবার। 

এই সূত্র ধরে ইইউর এমপিদের চিঠির ব্যাপারে জানতে কি-ওয়ার্ড সার্চ করলে, গত ১৩ জুন দৈনিক যুগান্তরের অনলাইন সংস্করণে “বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ইইউতে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ৬ সদস্যের চিঠি” শীর্ষক শিরোনামে একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। 

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ছয় সদস্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেলকে বাংলাদেশের বিষয়ে একটি চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে তারা জোসেপ বোরেলকে বলেছেন, বাংলাদেশে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ সাধারণ নির্বাচন নিশ্চিত করতে অবদান রাখতে অনুরোধ করছি এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অবসান ঘটাতে হবে। 

এছাড়া, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলসহ (বিএনপি) অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সম্পৃক্ত করে চলমান সংকটের টেকসই ও গণতান্ত্রিক সমাধান খুঁজে বের করতে আহ্বান জানানো হয়।

Screenshot: Daily Jugantor

পরবর্তীতে, ১৪ জুন বিবিসি বাংলা “মার্কিন কংগ্রেসম্যান বা ইইউ এমপিদের মিঠি সরকারের জন্য কতটা উদ্বেগের?” শীর্ষক শিরোনামে একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। এই প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য জানা যায়।

Screenshot: BBC Bangla 

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগের চিঠি দেওয়া হয়েছে কি না জানতে কি-ওয়ার্ড সার্চ করে এরকম কোনো সংবাদ জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এছাড়া, ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের ওয়েবসাইট এবং ফেসবুক পেজেও এরকম কোনো নির্দেশনা খুঁজে পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেটের ওয়েবসাইটফেসবুক পেজেও এবিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। 

মূলত, প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগের চিঠি দিলো যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষক একটি দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচারিত হয়।তবে, রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, উক্ত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি কয়েকটি ভিন্ন ভিন্ন ঘটনার ছবি ও খণ্ড খণ্ড ভিডিও ফুটেজ ব্যবহার করে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় তৈরি করা হয়েছে। কোনোপ্রকার গ্রহণযোগ্য তথ্য প্রমাণ ছাড়াই উক্ত দাবিটি প্রচার করা হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে,যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এমন কোনো চিঠি দেওয়া হয়নি।  

প্রসঙ্গত, গত ২৪ মে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে একটি নতুন ভিসানীতি চালু করা হয়। যা যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে এই নতুন ভিসানীতি চালু করা হয় বলে জানায় যুক্তরাষ্ট্র। তবে, ওই ভিসানীতির আগে বা পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি এবং কোনো চিঠির ব্যাপারে উল্লেখও করা হয়নি। 

উল্লেখ্য, পূর্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ছড়িয়ে পড়া গুজবের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার। প্রতিবেদন পড়ুন এখানে এবং এখানে। 

সুতরাং, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদত্যাগের  চিঠি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষক দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন মারা যাওয়ার দাবিটি মিথ্যা 

0

সম্প্রতি,‘বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন মারা গেছেন‘ শীর্ষক একটি দাবিসামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে৷ 

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে ( আর্কাইভ) , এখানে ( আর্কাইভ ) , এখানে ( আর্কাইভ),  এখানে ( আর্কাইভ) এবং এখানে ( আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, বিএনপি নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন মারা যায়নি বরং তিনি বর্তমানে ভালো আছেন এবং সিঙ্গাপুরের একটি হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে অনুসন্ধানে ২৮ জুলাই বিএনপি’র অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে প্রকাশিত একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। 

Screenshot: Facebook

ঐ পোস্টে ২৮ জুলাই সিঙ্গাপুর সময় সকাল ১০ টায় তোলা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের একটি ছবি সংযুক্ত করে বলা হয়, ‘বিএনপির জাতীয় কমিটির সিনিয়র সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন আলহামদুলিল্লাহ আগের থেকে অনেক সুস্থ আছেন, ভাল আছেন। কোন ধরনের গুজবে কান দেবেন না।’

এছাড়াও দেশীয় মূলধারার অনলাইন গণমাধ্যম bdnews24.com এ গত ২৮ জুলাই ” সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন মোশাররফ ‘ভালো আছেন’ ” শীর্ষক শিরোনামে একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

Screenshot Source: bdnews24.com

উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ‘বেঁচে নেই‘ বলে যে খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছে তা নেহাতই ‘গুজব’ বলে জানিয়েছে তার পরিবার।

খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ছোট ছেলে ব্যারিস্টার খন্দকার মারুফ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গতকাল থেকে একটি মহল গুজব ছড়াচ্ছে। এটা ঠিক নয়। বাবা ভালো আছেন। তার চিকিৎসা চলছে।”

মূলত, গত জুন মাসের শেষের দিকে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যান বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এরই প্রেক্ষিতে খন্দকার মোশাররফ হোসেন মারা গেছেন দাবিতে একটি তথ্য গত ২৮ জুলাই ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, খন্দকার মোশাররফ হোসেনের মৃত্যুর দাবিটি সঠিক নয়। বিষয়টি গুজব বলে বিএনপি এবং তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

 উল্লেখ্য, পূর্বেও বিভিন্ন ব্যক্তিদের মৃত্যু নিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচারের ঘটনায় একাধিক ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার। এমন কিছু প্রতিবেদন  দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে

সুতরাং, বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন মারা গেছেন দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

সমস্ত সম্পত্তি দানের বিষয়ে রতন টাটা নামে প্রচারিত উক্তিটি বানোয়াট

0

শুধুমাত্র ১৫০০ কোটি টাকাই নয়, আমার দেশ যদি সংকটে পড়ে, তাহলে আমি আমার সমস্ত সম্পত্তিও দিয়ে দিতে রাজি আছি। — রতন টাটা” শীর্ষক দাবিতে একটি তথ্য বিগত কয়েক বছর ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার হয়ে আসছে।

Screenshot: Facebook 

২০২০ সালে ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানেএখানে। 
পোস্টগুলো আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানেএখানে

২০২১ সালে ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানেএখানে। 
পোস্টগুলো আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানেএখানে। 

২০২২ সালে ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানেএখানে। 
পোস্টগুলো আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে, এখানেএখানে। 

২০২৩ সালে ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানেএখানে। 
পোস্টগুলো আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে, এখানেএখানে। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ভারত সংকটে পড়লে রতন টাটা তার সমস্ত সম্পত্তি দানের বিষয়ে কোনো ধরনের বক্তব্য দেননি বরং করোনা মহামারীর সংকট চলাকালীন তার দানের বিষয়কে যুক্ত করে আলোচিত ভিত্তিহীন তথ্যটি দীর্ঘদিন ধরে ইন্টারনেটে প্রচারিত হচ্ছে।

আলোচিত দাবির সত্যতা যাচাইয়ে প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড অনুসন্ধানের মাধ্যমে ভারতীয় গণমাধ্যম ‘Hindustan Times’ এর ওয়েবসাইটে ২০২০ সালের ২৮ মার্চ “COVID-19: করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ১৫০০ কোটি টাকা দেবে টাটা গোষ্ঠী” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Hindustan Times

প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, সেসময় করোনো মহামারীর সংকট মোকাবিলায় দেশের জন্য ১৫০০ কোটি টাকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন রতন টাটা। এর মধ্যে টাটা ট্রাস্টের পক্ষ থেকে ৫০০ কোটি এবং টাটা গ্রুপের অন্য প্রতিষ্ঠান টাটা সন্সের পক্ষ থেকে বাকি ১০০০ কোটি অনুদান দেওয়ার কথা জানানো হয়। তবে উক্ত প্রতিবেদনে ভারত সংকটে পড়লে রতন টাটার সমস্ত সম্পত্তি দান সংক্রান্ত কোনো তথ্য মন্তব্য পায়নি রিউমর স্ক্যানার টিম।

হিন্দুস্তান টাইমের উক্ত প্রতিবেদনের সূত্র হিসেবে রতন টাটার টুইট এবং টাটা সন্সের বিবৃতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। 

আমরা উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে ঐ টুইট ও বিবৃতি পর্যবেক্ষণ করি। তবে, ২০২০ সালের ২৮ মার্চ কোভিডের অনুদান বিষয়ে প্রচারিত রতন টাটার ঐ টুইটেও তার সম্পত্তি দান সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো মন্তব্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

Screenshot: twitter

এছাড়া কোভিডের অনুদান নিয়ে টাটা সন্সের পক্ষ থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতেও রতন টাটার সমস্ত সম্পত্তি দান সংক্রান্ত কোনো মন্তব্য নেই।

Screenshot: twitter

তাছাড়া, ভারত সংকটে পড়লে রতন টাটা তার সমস্ত সম্পত্তি দান করবেন এমন মন্তব্য করেছেন কিনা এই তথ্যের অধিকতর সত্যতা যাচাইয়ে রতন টাটাকে নিয়ে ২০২০ সাল থেকে এ প্রতিবেদন প্রকাশের আগ পর্যন্ত ভারতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত গত তিন বছর প্রতিবেদনগুলো যাচাই করে দেখেছে রিউমর স্ক্যানার টিম। অনুসন্ধানে এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

মূলত, ২০২০ সালের মার্চে করোনা মহামারীর সংকট মোকাবেলায় ভারতের জন্য ১৫০০ কোটি অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দেয় রতন টাটার টাটা গ্রুপ। সে সময় সংকট উত্তরণে দেশের মানুষের মানুষের থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করে টাটা গ্রুপের মালিক রতন টাটা। ঐ বিষয়কে কেন্দ্র করে ২০২০ সাল থেকে “শুধুমাত্র ১৫০০ কোটি টাকাই নয়, আমার দেশ যদি সংকটে পড়ে, তাহলে আমি আমার সমস্ত সম্পত্তিও দিয়ে দিতে রাজি আছি।” শীর্ষক মন্তব্যকে রতন টাটার মন্তব্য দাবি করে ফেসবুকে প্রচার হয়ে আসছে। তবে অনুসন্ধানে জানা যায়, উক্ত দাবিটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে, ভারত সংকটে পড়লে রতন টাটা তার সমস্ত সম্পত্তি দান করবেন জানিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।

উল্লেখ্য, পূর্বেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রতন টাটার নামে ভুয়া উক্তি প্রচার করা হলে তা শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।

সুতরাং, ভারত সংকটে পড়লে সমস্ত সম্পত্তি দান নিয়ে রতন টাটার নামে প্রচারিত উক্তিটি সম্পূর্ণ বানোয়াট ও মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র