Home Blog Page 554

আরটিভি’র ফটোকার্ড বিকৃত করে নাজমুল হাসান পাপনের নামে ভুয়া মন্তব্য প্রচার

0

সম্প্রতি “বাংলাদেশ বিশ্বকাপ না জেতা পর্যন্ত আমি পদত্যাগ করব না।” শীর্ষক মন্তব্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন করেছেন দাবিতে মূলধারার বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভি’র ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।

আরটিভি

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ‘বাংলাদেশ বিশ্বকাপ না জেতা পর্যন্ত আমি পদত্যাগ করব না’ শীর্ষক কোনো মন্তব্য করেননি এবং আরটিভিও উক্ত তথ্য সম্বলিত কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রকাশ করেনি বরং আলোচিত এই ফটোকার্ডটি পাপনের মন্তব্য নিয়ে আরটিভিতে প্রচারিত একটি ফটোকার্ড নকল করে তৈরি করা হয়েছে। 

অনুসন্ধানের শুরুতে দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে ফটোকার্ডটিতে থাকা লোগোর সূত্র ধরে আরটিভি’র ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে সাম্প্রতিক সময়ে প্রচারিত ফটোকার্ডগুলো পর্যালোচনা করে উক্ত শিরোনাম বা তথ্য সম্বলিত কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়াও আরটিভি’র ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল বা অন্যকোনো গণমাধ্যমেও উক্ত দাবির বিষয়ে কোনো সংবাদ বা তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

তবে ২৮ অক্টোবরে আরটিভি’র ফেসবুক পেজে ‘পরাজয় বুঝতে পেরে আগেই মাঠ ছারেন পাপন’ শীর্ষক শিরোনাম বা তথ্যে প্রকাশিত একটি ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়।

Photocard Comparison: Rumor Scanner

ফটোকার্ডটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আলোচিত ফটোকার্ডটির সাথে উক্ত ফটোকার্ডটির ডিজাইন এবং ফটোকার্ডটিতে যুক্ত ছবির মিল রয়েছে। তবে আলোচিত ফটোকার্ডটির টেক্সট ফন্টের সাথে আরটিভি’র ফেসবুক পেজে প্রচারিত অন্যান্য ফটোকার্ডের টেক্সট ফন্টের ভিন্নতা রয়েছে। ধারণা করা যায়, এই ফটোকার্ডটি এডিট করে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

এছাড়া, উক্ত ফটোকার্ড পোস্টের কমেন্টে একই বিষয়ে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ২৮ অক্টোবর একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট (পুরুষ) বিশ্বকাপ-২০২৩ এ বাংলাদেশ বনাম নেদারল্যান্ডসের মধ্যকার ম্যাচে বাংলাদেশ পরাজিত হয়। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে পরাজয়ের ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই স্টেডিয়াম ত্যাগ করেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

এছাড়া, আলোচিত ফটোকার্ডের বিষয়ে আরটিভি’র ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে গত ১২ নভেম্বর ‘ভুয়া সংবাদ’ শীর্ষক একটি ফটোকার্ড পোস্ট করা হয়। উক্ত পোস্টে আরটিভি’র নামে ছড়ানো এই ছবি ও তথ্য নকল’ বলে জানানো হয়।

Screenshot: Facebook

অর্থাৎ, ‘বাংলাদেশ বিশ্বকাপ না জেতা পর্যন্ত আমি পদত্যাগ করব না: নাজমুল হাসান পাপন’ শীর্ষক শিরোনামে আরটিভি কোনো ফটোকার্ড প্রচার করেনি।

মূলত, গত ২৮ অক্টোবর একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট (পুরুষ) বিশ্বকাপ – ২০২৩ এ বাংলাদেশ বনাম নেদারল্যান্ডসের মধ্যকার ম্যাচে বাংলাদেশ পরাজিত হয়। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে বাংলাদেশের পরাজয়ের ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন স্টেডিয়াম ত্যাগ করেন। যার প্রেক্ষিতে মূলধারার বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভি তখন সংবাদ প্রতিবেদন এবং ফেসবুক পেজে ‘পরাজয় বুঝতে পেরে আগেই মাঠ ছারেন পাপন’ শীর্ষক শিরোনামে ফটোকার্ড প্রকাশ করে। সম্প্রতি সেই ফটোকার্ডটি-ই ডিজিটাল প্রযুক্তি সহায়তায় এডিট বা সম্পাদনার মাধ্যমে ‘বাংলাদেশ বিশ্বকাপ না জেতা পর্যন্ত আমি পদত্যাগ করব না: নাজমুল হাসান পাপন’ শীর্ষক শিরোনাম যুক্ত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়। 

প্রসঙ্গত, পূর্বে বিভিন্ন দেশিয় গণমাধ্যমের ফটোকার্ড বিকৃত করে ইন্টারনেটে ভুয়া তথ্য প্রচার করা হলে সেগুলো শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার। এমন কিছু প্রতিবেদন দেখুন এখানে:

সুতরাং, ‘বাংলাদেশ বিশ্বকাপ না জেতা পর্যন্ত আমি পদত্যাগ করব না: নাজমুল হাসান পাপন’ শীর্ষক তথ্যটি মিথ্যা এবং উক্ত দাবিতে আরটিভি’র নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি এডিটেড বা বিকৃত। 

তথ্যসূত্র

ফিলিস্তিনকে ১৩৮ দেশের স্বীকৃতি দেওয়ার খবরটি সত্য

0

ফিলিস্তিনের ওপর ইজরায়েলের সাম্প্রতিক হামলা ও গণহত্যার ঘটনার প্রেক্ষিতে সম্প্রতি ব্রেকিং নিউজ আকারে জাতিসংঘের ১৩৮টি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র বলে স্বীকৃতি দিয়েছে শীর্ষক তথ্য প্রচার হচ্ছে। অনুসন্ধানে দেখা গিয়েছে যে, তথ্যটি সত্য তবে ফিলিস্তিনের পক্ষে স্বীকৃতি ও জাতিসংঘে তাদের পক্ষে ভোটের এ ঘটনাটি সাম্প্রতিক সময়ের নয়। প্রকৃতপক্ষে ২০১২ সালে “জাতিসংঘে প্যালেস্টাইনের স্টাটাস” শিরোনামের একটি প্রস্তাবে ফিলিস্তিনের পক্ষে ১৩৮ টি দেশ ভোট দেওয়ার মাধ্যমে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

১৫ নভেম্বর ১৯৮৮ সালে আলজেরিয়ায় প্যালেস্টাইন জাতীয় কাউন্সিল কর্তৃক স্বাধীনতার ঘোষণার পর অনেক রাষ্ট্র ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়। বিস্তৃত দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পর সাম্প্রতিক সময়ে আরও বেশকিছু রাষ্ট্র ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতিদানকারী দেশের সংখ্যা বর্তমানে ১৩৯টি। ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি প্রদানকারী দেশ এবং তাদের স্বীকৃতির সংশ্লিষ্ট তারিখ দেখা যাবে এখানে

ফিলিস্তিন একটি আংশিকভাবে স্বীকৃত সার্বভৌম রাষ্ট্র, যা বর্তমানে জাতিসংঘ কর্তৃক ‘অ-সদস্য পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র’ হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ। ২০২২ সালের এপ্রিল পর্যন্ত জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্যের মধ্যে ১৩৮ টি সদস্য দেশ এবং একটি পর্যবেক্ষক দেশ ফিলিস্তিনকে সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

১৯৮৮ সালের ১৫ নভেম্বর ফিলিস্তিন নিজেদের স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করে। আর এই ঘোষণার এক মাসের মধ্যে ৭৫টির বেশি রাষ্ট্র ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়। ১৯৮৯ সালের মে মাসের মধ্যে ফিলিস্তিনের পিএলও সরকার এবং ‘স্টেট অব প্যালেস্টাইন’ কে স্বীকৃতি দেয় ১০৬টি সার্বভৌম রাষ্ট্র। 

২০১১ সালে জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের সরকারী মর্যাদা ছিল ‘স্থায়ী পর্যবেক্ষক সত্তা’। পরবর্তীতে ২০১১ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পক্ষে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রপতি মাহমুদ আব্বাস জাতিসংঘের তৎকালীন মহাসচিব বান কি-মুনের কাছে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদের জন্য একটি আবেদন জমা দেন। জাতিসংঘের সনদ অনুযায়ী, মহাসচিব তখন আবেদনটি তৎকালীন নিরাপত্তা পরিষদের (লেবানন) প্রেসিডেন্টের কাছে পাঠান। নিরাপত্তা পরিষদে নতুন সদস্যপদ দেওয়ার বিষয়ে স্থায়ী কমিটিতে অনেক আলোচনার পর ২০১১ সালের ১১ নভেম্বর কাউন্সিলে রিপোর্ট গৃহীত হয়, যাতে অনেক কাউন্সিল সদস্য সমর্থন প্রকাশ করেন, পাশাপাশি দুটি সদস্য দেশ ফিলিস্তিনের আবেদন সমর্থন করেনি, যার মধ্যে ভেটো ক্ষমতা সম্পন্ন স্থায়ী সদস্য দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে। তাই কমিটি আর ফিলিস্তিনের সদস্যপদের আবেদন নিরাপত্তা পরিষদে সর্বসম্মতভাবে সুপারিশ করতে পারেনি। ফিলিস্তিনের সেই আবেদন ইতিবাচক সুপারিশের অপেক্ষায় এখনও নিরাপত্তা পরিষদের সামনে রয়ে গেছে।

আরো পড়ুনঃ জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের পক্ষে ভুলবশত ভোট দেয়নি ইসরায়েল

সাধারণত জাতিসংঘের সদস্যপদ পাওয়ার জন্য নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ দেশের মধ্যে সকল বা ৫ টি স্থায়ী রাষ্ট্রের সমর্থনসহ কমপক্ষে ৯ টি দেশের সমর্থন প্রয়োজন। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশ যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধীতায় ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদের আবেদনটি জাতিসংঘ এবং নিরাপত্তা পরিষদের কাউন্সিলের পক্ষে সাধারণ পরিষদে সুপারিশ করা সম্ভব হয়নি। উল্লেখ্য, একই বছরে ইউনেস্কো ফিলিস্তিনকে সদস্যপদ দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র সেসময় ইউনেস্কোতে তাদের তহবিল প্রত্যাহার করেছিল।

১৩৮
Image by Rumor Scanner 

২০১২ সালে ফিলিস্তিন তার জাতিসংঘের মর্যাদা উন্নীত করে ‘অ-সদস্য পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র’ এর মর্যাদা পেতে আরও একটি বিড করে। এই মর্যাদা পেতে জাতিসংঘের সদস্যপদের মতো নিরাপত্তা পরিষদের ইতিবাচক সুপারিশের প্রয়োজন জরুরী নয়। ফলে এই মর্যাদা সাধারণ পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের মাধ্যমে অনুমোদিত হতে পারে।

২০১২ সালের ২৯ নভেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ “জাতিসংঘে প্যালেস্টাইনের স্টাটাস” শিরোনামে রেজুলেশনটি গৃহীত হয়, যেখানে ফিলিস্তিনের পক্ষে ১৩৮টি দেশ, বিপক্ষে ৯টি এবং ৪১টি দেশ কোনো পক্ষেই ভোট প্রদান করা থেকে বিরত থাকে। প্রয়োজনের চেয়ে অধিকসংখ্যক ভোট পাওয়ায় প্রস্তাবটি জাতিসংঘে ফিলিস্তিনকে অ-সদস্য পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের মর্যাদা প্রদান করে এবং এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো সাধারণ পরিষদ ফিলিস্তিনকে একটি রাষ্ট্র হিসাবে বিবেচনা করে।

ফিলিস্তিনের এই মর্যাদা লাভের ওপর ২০১২ সালের ২৯ নভেম্বর রয়টার্সে “ফিলিস্তিনিরা জাতিসংঘের সার্বভৌম রাষ্ট্রের অন্তর্নিহিত স্বীকৃতি জিতেছে” (অনূদিত) শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ১৯৩ জাতির জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ একটি সার্বভৌম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের ডি ফ্যাক্টো স্বীকৃতির অনুমোদন দিয়েছে। জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের পর্যবেক্ষকের মর্যাদাকে “সত্তা” থেকে “সদস্যহীন রাষ্ট্র” এ উন্নীত করার পক্ষে ভোট দিয়েছে ১৩৮টি দেশ, বিপক্ষে ৯টি দেশ এবং ৪১ টি অনুপস্থিত ভোট পড়ে।

পরবর্তীতে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সদর দফপ্তরের বাইরে ফিলিস্তিনি জাতীয় পতাকা উত্তোলনেরও স্বীকৃতি মিলে।

সুতরাং, ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের ১৩৮টি সদস্য দেশ রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করে ভোট দেওয়ার মাধ্যমে স্বীকৃতি দিয়েছে।

তথ্যসূত্র

  1. State of Palestine – Palestine UN 
  2. Countries that Recognize Palestine 2023 by World Population Review
  3. Status of Palestine – Palestine UN
  4. Palestinian UN “observer state” status: what it really means by UNA-UK
  5. Palestinians win implicit U.N. recognition of sovereign state– Reuters 

অ্যালান ডোনাল্ডকে জড়িয়ে ক্রিকেটার শরিফুল ইসলামের নামে ভুয়া মন্তব্য প্রচার

0

সম্প্রতি, চলতি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩ কে কেন্দ্র করে “শেষ অনুশীলনের আগে স্যার আমায় বলেছিলো, তোমাদের বোর্ডে অনেক পরিবর্তন দরকার” শীর্ষক মন্তব্যকে বাংলাদেশের ক্রিকেটার মোহাম্মদ শরিফুল ইসলামের মন্তব্য দাবিতে ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, “শেষ অনুশীলনের আগে অ্যালান ডোনাল্ড আমায় বলেছিল তোমাদের বোর্ডে অনেক পরিবর্তন দরকার” শীর্ষক কোনো মন্তব্য ক্রিকেটার শরিফুল ইসলাম করেননি। বরং ক্রিকেটার শরিফুল ইসলাম এর নামে ভুয়া এ মন্তব্য প্রচার করা হয়েছে।

গুজবের সূত্রপাত

ফেসবুকের নিজস্ব মনিটরিং টুল ব্যবহার করে দেখা যায়, গত ১২ নভেম্বর রাত ১ টা ২৬ মিনিটে ‘Sports X‘ নামক একটি ফেসবুক পেজে “শেষ অনুশীলনের আগে স্যার (ডোনাল্ড) আমায় বলেছিলো, তোমাদের বোর্ডে অনেক পরিবর্তন দরকার। শরিফুল” শিরোনামে সম্ভাব্য প্রথম পোস্টটি (আর্কাইভ) করা হয়। স্পোর্টস এক্স নামের পেজের পোস্টটিতে এই প্রতিবেদন লেখার সময় অব্দি প্রায় ৫০ হাজার মানুষ রিয়্যাক্ট করেছে, শেয়ার হয়েছে প্রায় ৫০০ বার। ফলে পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে উক্ত মন্তব্যটি কপি-পেস্ট হয়ে আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। 

তাছাড়া স্পোর্টস এক্স নামের এই পেজটিতে বিভিন্ন সময়ে খেলাধুলা বিষয়ক ভুয়া তথ্য এবং মন্তব্য প্রচার করা হয়। উক্ত পেজ থেকে প্রচারিত গুজবের এমন দুটি ফ্যক্টচেক দেখুন এখানে এবং এখানে। 

উক্ত দাবির সত্যতা যাচাইয়ে ক্রিকেটার মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম এর সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলো (ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম) পর্যালোচনা করে রিউমর স্ক্যানার টিম। কিন্তু তার কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই তার পক্ষ থেকে ডোনাল্ডকে নিয়ে কোনো প্রকার মন্তব্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধানে গত কয়েকদিনে ক্রিকেটার মোহাম্মদ শরিফুল ইসলামকে নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত  সংবাদগুলো পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করেও তার এমন কোনো মন্তব্য কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি।  

বিষয়টি অধিকতর নিশ্চিয়তার জন্য রিউমর স্ক্যানার এর পক্ষ থেকে ক্রিকেটার মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি রিউমর স্ক্যানারকে মন্তব্যটিকে পুরোপুরি মিথ্যা এবং ভুয়া বলে নিশ্চিত করেন।

একই মন্তব্য ক্রিকেটার হাসান মাহমুদের নামে প্রচার

স্পোর্টস এক্স নামের পেজ থেকে ক্রিকেটার শরিফুল ইসলামের নামে “শেষ অনুশীলনের আগে স্যার অ্যালান ডোনাল্ড আমায় বলেছিলো, তোমাদের বোর্ডে অনেক পরিবর্তন দরকার” শীর্ষক ভুয়া মন্তব্যটি প্রচারের পর তা ভাইরাল হলে একই পেজ থেকে অনুরূপ মন্তব্যটি পরবর্তীতে বাংলাদেশের আরেক ক্রিকেটার হাসান মাহমুদের নামেও প্রচার করা হয়। তবে অনুসন্ধানে হাসান মাহমুদেরও এমন কোনো মন্তব্য কোথাও করার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

অ্যালান ডোনাল্ড

মূলত, বিসিবির সঙ্গে পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ডের চুক্তি এ মাসের শেষ দিকে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তার আগেই বিসিবির দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। বাংলাদেশকে অ্যালান ডোনাল্ড এর বিদায় বলার এ বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে শেষ অনুশীলনের আগে অ্যালান ডোনাল্ডের বলা কথা দাবিতে ক্রিকেটার শরিফুল ইসলামের নামে ভুয়া এ মন্তব্য প্রচার করা হয়। 

সুতরাং, ‘শেষ অনুশীলনের আগে স্যার (ডোনাল্ড) আমায় বলেছিলো, তোমাদের বোর্ডে অনেক পরিবর্তন দরকার – শরিফুল’ শীর্ষক মন্তব্যটি ভুয়া।

তথ্যসূত্র

  • Rumor Scanner’s Analysis 
  • Statement of Cricketer Shoriful Islam 

ডাবল সেঞ্চুরির পর ম্যাক্সওয়েলের শচীনের পা ছোঁয়ার ছবিটি এডিটেড

0

সম্প্রতি, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল বিশ্বকাপে ডাবল সেঞ্চুরি করার পর শচীন টেন্ডুলকারের পা ছুঁয়েছেন দাবিতে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

ম্যাক্সওয়েল

ফেসবুকে প্রচারিত এমনকিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ম্যাক্সওয়েলের ডাবল সেঞ্চুরির পর শচীন টেন্ডুলকারের পা ছোঁয়ার ছবিটি বাস্তব নয় বরং এটি ডিজিটাল প্রযুক্তির সাহায্যে এডিট করে তৈরি করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতেই আলোচিত ছবিটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। পর্যবেক্ষণে ছবিটিতে শচীন টেন্ডুলকারের হাতের অবয়বে অসঙ্গতি লক্ষ্য করা যায়।

Indication By Rumor Scanner

পরবর্তীতে, প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে, ফটোস্টক ওয়েবসাইট getty image-এ ২০২৩ সালের ৬ নভেম্বর “Australia & Afghanistan Net Sessions – ICC Men’s Cricket World Cup India 2023” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ছবি খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত ছবিতে শচীন টেন্ডুলকারকে এক আফগান ক্রিকেটারের সাথে করমর্দন করতে দেখা যায়। উক্ত ছবিতে শচীন টেন্ডুলকারের দেহভঙ্গি এবং পোশাক পরিচ্ছদে মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

Comparison by Rumor Scanner

উক্ত ছবির বিস্তারিত বিবরণী থেকে জানা যায়, গত ৬ নভেম্বর মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ট্রেনিং সেশনের পূর্বে আফগানিস্তানের ক্রিকেটারদের সাথে কুশল বিনিময়ের সময় চিত্রগ্রাহক Robert Cianflone ছবিটি ধারণ করেন।  

পাশাপাশি, ফটো স্টক ওয়েবসাইট getty ইমেজের ওয়েবসাইটে ২০২৩ সালের ৭ নভেম্বর “Australia v Afghanistan – ICC Men’s Cricket World Cup India 2023” শীর্ষক শিরোনামের একটি ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। 

উক্ত ছবির সাথে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত ম্যাক্সওয়েলের ছবির দেহভঙ্গির মিল খুঁজে পাওয়া যায়। 

Comparison by Rumor Scanner

উক্ত ছবির বিস্তারিত বিবরণী থেকে জানা যায়, চিত্রগ্রাহক Robert Cianflone গত ৭ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়া বনাম আফগানিস্তান ম্যাচের সময় ছবিটি ধারণ করেন।

পরবর্তীতে, প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে India Today এর ওয়েবসাইটে ২০২৩ সালের ১০ নভেম্বর “Fact Check: Did Maxwell touch Sachin’s feet? Viral pic is photoshopped” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

উক্ত প্রতিবেদনে, SportsTak এর সাংবাদিকের বরাত দিয়ে জানানো হয় গত ৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত আফগানিস্তান বনাম অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে শচীন টেন্ডুলকার ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে উপস্থিত-ই ছিলেন না।

মূলত, গত ৬ নভেম্বর মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ম্যাচ পূর্ববর্তী অনুশীলন সেশনে আফগানিস্তানের খেলোয়াড়দের সাথে কুশল বিনিময় করেন কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার। সে সময় আফগানিস্তানের এক ক্রিকেটারের সাথে করমর্দনের একটি ছবিকে ৭ নভেম্বর ম্যাচ চলাকালীন গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের একটি ছবির সাথে ডিজিটাল প্রযুক্তির সাহায্যে সংযুক্ত করে আলোচিত দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে।

সুতরাং, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ডাবল সেঞ্চুরির পর শচীন টেন্ডুলকারের পা ছোঁয়ার ছবিটি এডিটেড বা বিকৃত।

তথ্যসূত্র

মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানীর পুরোনো ভিডিও সাম্প্রতিক দাবিতে প্রচার

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী উসকানিমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগসহ একাধিক অভিযোগের বেশ কয়েকটি মামলায় দীর্ঘ প্রায় আড়াই বছর কারাভোগের পর গত ০৪ নভেম্বর গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন শিশু বক্তা খ্যাত মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী।

তার এই কারামুক্তির পরবর্তী সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘আবারো মুক্তি পেলো রফিকুল ইসলাম মাদানী কঠিন হুঁশিয়ারি দিলেন’ শীর্ষক শিরোনামে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।  

রফিকুল ইসলাম

ফেসবুকে ভাইরাল ভিডিওটি দেখুন এখানে (আর্কাইভ

Rafiqul Islam Madani নামের ফেসবুক আইডি থেকে প্রচারিত ১ ঘন্টা ৩ মিনিটের ভাইরাল ভিডিওটি এই প্রতিবেদন প্রকাশ অবধি প্রায় ২ লক্ষ ২১ হাজার বার দেখা হয়েছে, শেয়ার করা হয়েছে প্রায় ৩ হাজার ৮ শত বার। এছাড়া, পোস্টটিতে প্রায় ২ হাজার ৬ শত পৃথক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিক্রিয়া দেখানো হয়েছে। ভাইরাল পোস্টটির মন্তব্যঘর ঘুরে পোস্টটির দাবির প্রেক্ষিতে অধিকাংশ নেটিজেনকে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানাতে দেখা যায়। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, শিশু বক্তা খ্যাত মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী’র আলোচিত এই ভিডিওটি তার সাম্প্রতিক কারামুক্তি পরবর্তী সময়ের নয় বরং ভিডিওটি ২০২১ সালে তার গ্রেপ্তার পূর্ববর্তী সময়ে ধারণকৃত।

অনুসন্ধানের শুরুতে ভাইরাল ভিডিওটির ওপরে ডানকোনে থাকা একটি লোগোতে Telikheli Media শীর্ষক লোগো দেখতে পায় রিউমর স্ক্যানার টিম।

প্রাপ্ত তথ্যের সূত্র ধরে কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে ‘Telikheli Media’ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ‘আবারো মুক্তি পেলো রফিকুল ইসলাম মাদানী কঠিন হুঁশিয়ারি দিলেন’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: YouTube 

এই ভিডিওটির সাথে আলোচিত ভিডিওটির হুবহু মিল পাওয়া যায়।

Video Comparison by Rumor Scanner 

তবে, ভিডিওটি উক্ত ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশকালীন সময়েও রফিকুল ইসলাম মাদানী কারাগারেই ছিলেন। তাই উক্ত ভিডিওটি কবে কোথায় ধারণ করা হয়েছিল তা জানতে অনুসন্ধান চলমান রাখে রিউমর স্ক্যানার টিম।

উক্ত বিষয়ে প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে Zia Islamic TV নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে ২০২১ সালের ৩১ জানুয়ারি “রফিকুল ইসলাম মাদানী | শিশু বক্তা কঠিন হুনকার দিলেন | Rafiqul Islam Madani | Bangla Waz 2021” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একই ঘটনায় ভিন্ন কোন থেকে ধারণকৃত ৫৭ মিনিটের একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

অর্থাৎ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে ভাইরাল এই ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ে নয়। 

এছাড়া, রফিকুল ইসলাম মাদানীর সাম্প্রতিক কারামুক্তির পরবর্তী সময়ে তার করা দুইটি(,) ওয়াজ এবং তার কারাগারের জীবনী নিয়ে করা আলোচনা সভার একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। এই ভিডিওগুলোতে রফিকুল ইসলাম মাদানী’র পূর্বের চেহেরার সাথে বর্তমান সময়ের ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়।

Screenshot: Facebook

মূলত, ২০২১ সালের জানুয়ারি বা তার পূর্বে কোন এক ওয়াজে মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানীর বক্তব্য প্রদানকালীন সময়ে ধারণকৃত একটি ভিডিওকে সাম্প্রতিক সময়ে তিনি কারামুক্তি পেয়ে কঠিন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।

সুতরাং, মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানীর ওয়াজের পুরোনো এই ভিডিওটি ভুল দাবিতে ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষিতে বিপুল সংখ্যক ফেসবুক ব্যবহারকারীর প্রতিক্রিয়া বিবেচনায় রিউমর স্ক্যানার টিম ভাইরাল পোস্টটিকে বিভ্রান্তিকর হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

উল্লেখ্য, পূর্বেও রফিকুল ইসলাম মাদানীকে জড়িয়ে ইন্টারনেটে ভুয়া তথ্য প্রচারের প্রেক্ষিতে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।

তথ্যসূত্র

সাকিব আল হাসানের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার গুজব 

0

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নিলেন সাকিব আল হাসান শীর্ষক দাবিতে একটি তথ্য শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম টিকটকে প্রচার করা হচ্ছে।

সাকিব

উক্ত দাবিতে টিকটকে প্রচারিত কিছু ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, বাংলাদেশি ক্রিকেট তারকা সাকিব আল হাসান আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেননি বরং কোনো প্রকাশ গ্রহণযোগ্য তথ্যসূত্র ছাড়াই উক্ত দাবিটি টিকটকে প্রচার করা হচ্ছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে সাকিব আল হাসান আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার দাবিতে টিকটকে প্রচারিত ভিডিওটি লক্ষ্য করে রিউমর স্ক্যানার টিম। ভিডিওটিতে দেখা যায় গত ৬ নভেম্বর একদিনের আন্তর্জাতিক পুরুষ ক্রিকেট বিশ্বকাপ – ২০২৩ এর বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কার মধ্যকার খেলার কিছু দৃশ্য এবং ম্যাচ পরবর্তী সাকিব আল হাসানের উপস্থাপনার দৃশ্য প্রচার করা হয়েছে।

সেই সূত্র ধরে একদিনের আন্তর্জাতিক পুরুষ ক্রিকেট বিশ্বকাপ – ২০২৩ এ বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কার মধ্যকার খেলার শেষে সাকিব আল হাসান অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন কিনা তা জানতে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে দেশিয় এবং আন্তর্জাতিক কোনো গণমাধ্যমে এমন কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এছাড়া সাকিব আল হাসানের ভ্যারিফাইড ফেসবুক পেজ এবং ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টেও খোঁজ করে তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার কোনো বিবৃতি বা তথ্য খুজে পাওয়া যায়নি।

পরবর্তী অনুসন্ধানে ক্রিকেট বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ইএসপিএন ক্রিকইনফোতে গত ৬ নভেম্বর একদিনের আন্তর্জাতিক পুরুষ ক্রিকেট বিশ্বকাপ – ২০২৩ এর বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কার মধ্যকার খেলা শেষে সাকিব আল হাসানের ম্যাচ পরবর্তী উপস্থাপনা খুঁজে পাওয়া যায়। 

উপস্থাপকের প্রশ্নের জবাবে সাকিব আল হাসান বলেন, “যখন আমি টস জিতেছিলাম, প্রথমে বোলিং করতে আমার কোন দ্বিধা ছিল না কারণ আমরা এখানে (কুয়াশায়) প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম। আমাদের খুব ভালো করে ব্যাটিং করতে হয়েছিল। ভাগ্যক্রমে আমরা একটি বড় জুটি পেয়েছি। শান্ত এবং আমি নিজেদেরকে খুব ভালোকরে চেষ্টা করেছি। উইকেট থাকলে আমরা তাড়াতাড়ি শেষ করতে পছন্দ করতাম। কিন্তু জয় মানেই জয়। আমাদের একজন সতীর্থ্য আমার কাছে এসে বললেন যে আমি আবেদন করলে সে আউট হয়ে যাবে। আম্পায়ার আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিল আমি সিরিয়াস কিনা। এটা আইনে আছে; এটা ঠিক না ভুল আমি জানি না। আমার মনে হয়েছিল আমি যুদ্ধে ছিলাম। আমার যা করার ছিল, আমি করেছি। বিতর্ক হবে। আজকে এই টাইম আউট আমাদের সাহায্য করেছে, আমি অস্বীকার করব না!”

তবে এখানে সাকিব আল হাসান আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার ব্যাপারে কিছু বলেননি।

এছাড়া, গত ৬ নভম্বরে Dream Line নামক ইউটিউব চ্যানেলে বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কার মধ্যকার খেলা শেষে সাকিব আল হাসান প্রেস কনফারেন্সে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নোত্তরের একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। তবে তিনি সেখানে তার অবরস নিয়ে কোনো কথা বলেননি।

এছাড়া বাংলাদেশি ক্রীড়া ভিত্তিক বেসরকারি টিভি চ্যানেল Tsports এর ইউটিউব চ্যানেলে গত ২৭ সেপ্টেম্বরে সাকিব আল হাসানের একটি সাক্ষাতকার খুঁজে পাওয়া যায়।

ভিডিও থেকে জানা যায়, উক্ত সাক্ষাতকারে সাংবাদিক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার থেকে সাকিব আল হাসান কখন অবসর নিবেন এমন প্রশ্ন করলে সাকিব জানান, ওডিআই থেকে তিনি ২০২৫ সালে অনুষ্ঠিতব্য চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শেষ করে অবসর নিবেন এবং টি২০ তে ২০২৪ সালের বিশ্বকাপের পর অবসর নিবেন। টেস্ট খেলায় কবে তিনি অবসর নিবেন এমন প্রশ্নের জবাবে সাকিব জানান খুব দ্রুত অবসর নিবেন। তবে কবে নিবেন নির্দিষ্ট করে কিছু জানাননি তিনি।

মূলত, সম্প্রতি বাংলাদেশি ক্রিকেট তারকা সাকিব আল হাসান আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন দাবিতে একধিক ভিডিও শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম টিকটকে প্রচার করা হচ্ছে। তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেশিয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এবং সাকিব আল হাসানের ভ্যারিফাইড ফেসবুকে পেজে এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, পূর্বে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে ইন্টারনেটে ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়লে তা শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার। এমন কিছু প্রতিবেদন দেখুন এখানে:

সুতরাং, বাংলাদেশি ক্রিকেট তারকা সাকিব আল হাসান আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন দাবিতে ইন্টারনেটে একটি তথ্য প্রচার করা হচ্ছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

রাতের মধ্যেই নুরের নেতৃত্বে ঢাকা ঘেরাও  দাবিতে পুরোনো ভিডিও প্রচার

সম্প্রতি, ‘এইমাত্র, রাতেই ঘেরাও ঢাকা || ফুঁসে উঠেছে নুর বাহিনী’ শীর্ষক শিরোনামে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।

নুর

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, নুর বাহিনীর ঢাকা ঘেরাওয়ের ভিডিও দাবিতে প্রচারিত এই ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় বরং এটি ২০২২ সালের ০৭ অক্টোবরে ছাত্রলীগ কর্তৃক ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মারধর করে পুলিশে দেওয়ার অভিযোগের ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকায় গণ অধিকার পরিষদের মশাল মিছিলের ভিডিও। যা ভুয়া লাইভ স্ট্রিমিং অ্যাপের সহায়তায় সাম্প্রতিক ভিডিও দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে দেশের মূলধারার গণমাধ্যম সমকালের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে ২০২২ সালে ০৭ অক্টোবর আলোচিত ভিডিওটির অনুরূপ একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Facebook

ভিডিওতে গণঅধিকার পরিষদের মিছিলের ব্যানারে থাকা লেখা থেকে থেকে জানা যায়, প্রয়াত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফরহাদের স্মরণসভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র অধিকার পরিষদ এর নেতাকর্মীদের উপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার আয়োজনে উক্ত মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। 

পরবর্তীতে প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড অনুসন্ধানের মাধ্যমে সমকালের অনলাইন বিভাগের প্রধান সংবাদ দাতা Zakaria Ibn Yusuf এর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজেও একই তারিখে একই ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Facebook

ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে, রাতেই ঢাকা ঘেরাও, ফুঁসে উঠেছে নুর বাহিনী’ শীর্ষক দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির সাথে এই ভিডিওটির ব্যানার এবং ব্যাকগ্রাউন্ডের মিল পাওয়া যায়।

Video Comparison by Rumor Scanner

এছাড়াও আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির স্লোগানের সাথে উক্ত ভিডিওর স্লোগানের হুবহু মিল রয়েছে। 

অর্থাৎ, আলোচিত ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয়।

পাশাপাশি, গণমাধ্যম বা সংশ্লিষ্ট অন্যকোনো সূত্রে গণঅধিকার পরিষদ বা নুরুল হক নুরের ঢাকা ঘেরাও করার বিষয়ে কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

মূলত, ২০২২ সালের ০৭ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়াত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের স্মরণসভায় ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। উক্ত ঘটনার প্রতিবাদে ঐ দিনই মশাল মিছিল করে গণ অধিকার পরিষদ। সম্প্রতি ঐ মশাল মিছিলের একটি ভিডিওকে নুর বাহিনীর রাতের মধ্যেই ঢাকা ঘেরাও করার ভিডিও দাবিতে  ভুয়া লাইভ স্ট্রিমিং অ্যাপের সহায়তায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়।

উল্লেখ্য, পূর্বে একই ভিডিওকে আমানউল্লাহ ও গয়েশ্বরের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে নুর বাহিনীর প্রতিবাদ ও গণ মিছিলের ভিডিও দাবি করে প্রচার করা হলে সেটি শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার। উক্ত প্রতিবেদনটি দেখুন এখানে

সুতরাং, পুরোনো ভিন্ন ঘটনার ভিডিওকে নুর বাহিনীর রাতের মধ্যেই ঢাকা ঘেরাও করার ভিডিও  দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা  মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

  • Samakal Facebook Page: Video
  • Zakaria Ibn Yusuf Facebook: Video
  • Rumor Scanner’s Own Analysis

অবরোধে বাসে আগুন দেওয়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে পুরস্কার দেওয়ার ভুয়া তথ্য প্রচার

সম্প্রতি, ‘অবরোধে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্তৃক ঢাকায় ৬৪ বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে ডিএমপির পক্ষ থেকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে’ শীর্ষক দাবিতে একটি ফটোকার্ড সম্বলিত তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।

বাসে আগুন

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং  এখানে (আর্কাইভ)।

এবিষয়ে প্রচারিত পোস্টটিতে বলা হয়েছে, “সকালে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন অবরোধে ঢাকায় ৬৪ বসে আগুন ধরিয়ে দেয় যুবলীগ ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ। বাসে আগুন দেয়া স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে পুরস্কার দেওয়া হয় এসব তথ্য জানান ডিএমপির মিডিয়া সেন্টার”

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ঢাকায় ৬৪ বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে ডিএমপির পক্ষ থেকে যুবলীগ ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কথা বলা হয়নি এবং বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় ডিএমপির পক্ষ থেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে পুরস্কার দেওয়ার দাবিটিও সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে এ বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির পক্ষ থেকে আসামি গ্রেফতারে সাহায্যকারী এক সাধারণ মানুষকে ২০ হাজার টাকা অর্থ পুরস্কার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সময় টিভি’র ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে গত ১০ নভেম্বর ‘হরতাল-অবরোধে ঢাকায় ৬৪ বাসে আগুন-ভাঙচুর, ১ জন পেলেন পুরস্কার’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত ফটোকার্ড সম্বলিত একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Somoy TV Facebook

এই পোস্টের বিস্তারিত বিবরণীতে কোথাও  যুবলীগ ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্তৃক বাসে আগুন দেওয়া কিংবা উক্ত ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে পুরস্কার দেওয়ার বিষয়ে কোনো তথ্য উল্লেখ করা হয়নি।

পরবর্তীতে সময়টিভি’র ওয়েবসাইটে গত ১০ নভেম্বর একই শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Somoy TV 

উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, নাশকতার উদ্দেশ্যে বাসে আগুন দেয়ার সময় দুজন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তিনজনকে গ্রেফতার এবং আগুন-সন্ত্রাসীদের ধরিয়ে দেয়ায় পুরস্কার প্রদানের বিষয়ে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে গত ১০ নভেম্বর আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার  ড. খ. মহিদ উদ্দিন জানান, ‘যানবাহনে আগুন দেয়ার সময় ধরিয়ে দেয়ায় পূর্বঘোষণা অনুযায়ী একজনকে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার দেয়া হয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। বলেন, নাশকতার উদ্দেশ্যে বাসে আগুন দেয়ার সময় দুজন ও তাদের দেয়া তথ্যে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে রাজধানীর ১২টি স্থানে যানবাহনে আগুন দেয়ার সময় ১২ জনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে এক আসামি গ্রেফতারে সাধারণ মানুষ পুলিশকে সাহায্য করেছে। ডিএমপির পক্ষ থেকে তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থ পুরস্কার দেয়া হয়েছে।’

উক্ত প্রতিবেদনে কোথাও বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে ডিএমপির পক্ষ থেকে যুবলীগ ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কথা বলা হয়নি। তাছাড়া সেখানে পুরস্কার পাওয়া ব্যক্তি হিসেবে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কোনো নেতার কথা বলা হয়নি বরং আসামি গ্রেফতারে সাহায্যকারী এক সাধারণ মানুষকে ২০ হাজার টাকা অর্থ পুরস্কার পুরস্কার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

অর্থাৎ, আলোচিত পোস্টটিতে উল্লেখিত “সকালে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন অবরোধে ঢাকায় ৬৪ বসে আগুন ধরিয়ে দেয় যুবলীগ ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ। বাসে আগুন দেয়া স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে পুরস্কার দেওয়া হয় এসব তথ্য জানান ডিএমপির মিডিয়া সেন্টার” শীর্ষক তথ্যটির সাথে এসম্পর্কিত প্রতিবেদনটি পর্যবেক্ষণ করে উক্ত তথ্যগুলোর সত্যতা পাওয়া যায়নি।

পাশাপাশি, মূলধারার গণমাধ্যম কিংবা অন্যকোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রেও উক্ত দাবির সত্যতা পাওয়া যায়নি।

অর্থাৎ, উপরোক্ত বিষয়গুলো পর্যালোচনা করলে এটা স্পষ্ট যে, অবরোধে ঢাকায় ৬৪ বাসে যুবলীগ ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্তৃক আগুন দেওয়া এবং উক্ত ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে ডিএমপির পক্ষ থেকে পুরস্কার দেওয়ার তথ্যটি সঠিক নয় এবং ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির পক্ষ থেকে এমন কোনো তথ্য জানানো হয়নি।

মূলত, গত ১০ নভেম্বর ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ড. খ. মহিদ উদ্দিন অবরোধে ঢাকায় বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় গ্রেফতার এবং আসামি গ্রেফতারে সাহায্যকারী ব্যক্তিদের একজন ২০ হাজার টাকা অর্থ পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দেন। এরপর বিষয়টি নিয়ে মূলধারার ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম সময় টিভি তাদের ফেসবুক পেজে ‘হরতাল-অবরোধে ঢাকায় ৬৪ বাসে আগুন-ভাঙচুর, ১ জন পেলেন পুরস্কার’ শীর্ষক শিরোনামে এসম্পর্কিত একটি ফটোকার্ড এবং ওয়েবসাইটে একই শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সময় টিভি’র উক্ত ফটোকার্ডটি প্রচার করে তাতে বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনার ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কথা উল্লেখ করে এঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে ডিএমপির পক্ষ থেকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে দাবিতে প্রচার করা হয়।

উল্লেখ্য, পূর্বেও আবরোধে বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় ভুয়া তথ্য শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।

সুতরাং, অবরোধে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্তৃক ঢাকায় ৬৪ বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে ডিএমপির পক্ষ থেকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

সময় টিভি’র নকল ফটোকার্ডে ভিকারুননিসার শিক্ষার্থীদের নিয়ে ভুয়া তথ্য প্রচার

0

সম্প্রতি,‘অধিকাংশ মেধাবী ও সুন্দরী মেয়েরা ঢাকার অন্যতম স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভিকারুননিসায় পড়ে’ শীর্ষক শিরোনামে টেলিভিশন চ্যানেল সময় টিভি’র লোগো সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।

শিক্ষার্থী

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সময় টিভি তাদের ফেসবুক পেজে ‘অধিকাংশ মেধাবী ও সুন্দরী মেয়েরা ঢাকার অন্যতম স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভিকারুননিসায় পড়ে’ শীর্ষক শিরোনামে কোনো ফটোকার্ড প্রচার করেনি। প্রকৃতপক্ষে, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় এডিট বা সম্পাদনার মাধ্যমে সময় টিভি’র লোগো সম্বলিত আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে। 

অনুসন্ধানের শুরুতে দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে ফটোকার্ডটিতে থাকা লোগোর সূত্র ধরে সময় টিভি‘র ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে সাম্প্রতিক সময়ে প্রচারিত ফটোকার্ডগুলো পর্যালোচনা করে উক্ত শিরোনাম বা তথ্য সম্বলিত কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়াও সময় টিভি’র ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল বা অন্যকোনো গণমাধ্যমেও উক্ত দাবির বিষয়ে কোনো সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি।

তাছাড়াও সময় টিভি’র পেজে প্রচারিত ফটোকার্ডগুলোর সাথে আলোচিত ফটোকার্ডের ডিজাইনের ব্যাপক পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। উভয় ফটোকার্ডে সময় টিভি’র লোগোর পজিশন, ছবি ব্যবহারের নিয়ম এবং শিরোনাম লেখার প্যার্টান ও ফন্টের মধ্যে সম্পূর্ণ ভিন্নতা রয়েছে।

Photocard Comparison by Rumor Scanner 

এছাড়াও সময় টিভি’র পেজে গত ৩ মাসে প্রকাশিত ফটোকার্ডগুলো পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সময় টিভি তাদের ফেসবুক পেজে উক্ত ডিজাইনে কখনো কোনো ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি।

পরবর্তীতে ফটোকার্ডটিতে থাকা @vnsc diary লেখাটি ফেসবুকে সার্চের মাধ্যমে VNSC Diary নামের একটি ফেসবুক পেজ পাওয়া যায়। উক্ত পেজটি পর্যালোচনা করে গত ৩ নভেম্বর Beauty with Brain শীর্ষক ক্যাপশনে প্রকাশিত আলোচিত ফটোকার্ডটি খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Facebook 

অর্থাৎ, ,‘অধিকাংশ মেধাবী ও সুন্দরী মেয়েরা ঢাকার অন্যতম স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভিকারুননিসায় পড়ে’ শীর্ষক শিরোনামে সময় টিভি কোনো ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি।

মূলত, ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজ-এর শিক্ষার্থীদের তৈরি একটি ফেসবুক পেজে সম্প্রতি ‘অধিকাংশ মেধাবী ও সুন্দরী মেয়েরা ঢাকার অন্যতম স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভিকারুননিসায় পড়ে’ শীর্ষক শিরোনামে টেলিভিশন চ্যানেল সময় টিভি’র লোগো সম্বলিত একটি ফটোকার্ড প্রচার করা হয়। যেটি পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা যায়, সম্প্রতি সময় টিভি এমন কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রকাশ করেনি। এছাড়াও সময় টিভি’র ফটোকার্ডের সাথে আলোচিত ফটোকার্ডের ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সময় টিভির লোগো নকল করে আলোচিত দাবিতে ভুয়া ফটোকার্ডটি তৈরি করে মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হয়েছে।  

উল্লেখ্য, পূর্বেও ইন্টারনেটে একাধিকবার সময় টিভি’র লোগো সম্বলিত বানোয়াট ফটোকার্ডে ভুল তথ্য প্রচারের প্রেক্ষিতে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।
প্রতিবেদনগুলো দেখুনএখানে এবং এখানে

সুতরাং, ‘অধিকাংশ মেধাবী ও সুন্দরী মেয়েরা ঢাকার অন্যতম স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভিকারুননিসায় পড়ে’ শীর্ষক শিরোনামে সময় টিভি‘র লোগো সম্বলিত আলোচিত ফটোকার্ডটি ভুয়া ও বানোয়াট। 

তথ্যসূত্র

  • VNSC Diary Facebook Page: Post
  • Rumor Scanner’s Own Analysis

বাংলাদেশ পুলিশ সেনাবাহিনীর অধীনে নির্বাচন চায়নি

সম্প্রতি, “সেনাবাহিনীর অধীনে নির্বাচন চাইলো পুলিশ, পুলিশের বক্তব্য নিয়ে তোলপাড়” শীর্ষক শিরোনামে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

সেনাবাহিনী

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু ভিডিও দেখুন এখানে(আর্কাইভ), এখানে(আর্কাইভ), এখানে(আর্কাইভ), এখানে(আর্কাইভ), এখানে(আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, বাংলাদেশ পুলিশ সেনাবাহিনীর অধীনে নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানায়নি বরং ভিন্ন ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ডিজিটাল প্রযুক্তির সাহায্যে এডিট করে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতেই আলোচিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত ভিডিওটির শুরুতেই কয়েকটি ভিডিওর খণ্ডাংশ দেখানো হয়। ভিডিওটিতে একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে বলতে শোনা যায়, “শুধু নৌকা নিয়ে আসলেই, টাকা-পয়সা থাকলেই, বড় বড় নেতার আত্মীয় স্বজন হলেই এই নির্বাচনে জয়লাভ করা যাবে না।”

তারপর ভিডিওটিতে বলতে শোনা যায়, লক্ষ্মীপুর উপনির্বাচনে প্রকাশ্যে নৌকায় সিল মারায় এবার ক্ষেপে গিয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। এসপি জুয়েল রানা কঠিন হুঙ্কার দিয়েছেন। তার বক্তব্যটি ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে সোস্যাল মিডিয়ায়। সেই ভিডিওটি আমরা দেখব। এদিকে সেনাবাহিনী মাঠে নামছে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসব খুশির বার্তা দেওয়া হয়েছে যে সেনাবাহিনীর অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। এসব নিয়ে আমরা বিস্তারিত দেখব একটি ভিডিওতে। 

এরপর প্রচারিত ভিডিওটিতে পুলিশ কর্মকর্তা জুয়েল রানা’র বক্তব্যের ভিডিওটি ফুটেজ দেখানো হয়।

ভিডিও যাচাই

প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে Rtv News এর ইউটিউব চ্যানেলে ২০২১ সালের ২১ ডিসেম্বর “সিলেটে বদলি হলেন কুমিল্লার ভাইরাল পুলিশ সুপার জুয়েল রানা | Cumilla Jewel Rana | Rtv Exclusive News” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও প্রতিবেদন খুঁজে পায় রিউমর স্ক্যানার টিম।

উক্ত ভিডিও প্রতিবেদনে পুলিশ কর্মকর্তা জুয়েল রানার বক্তব্যের ভিডিও ফুটেজের সাথে আলোচিত ভিডিওর পুলিশ কর্মকর্তার বক্তব্যের মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

Comparison Image by Rumor Scanner

পরবর্তীতে, ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর Nilkamal Media এর ইউটিউব চ্যানেলে “নৌকা আনলেই যে নির্বাচনে জয়ী হতে পারবেন এমন নয়। কি বললো পুলিশ!শুনে আসুন বক্তব্য। Viral police Officer” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত কুমিল্লার তৎকালীন সার্কেল এএসপি জুয়েল রানার বক্তব্যের পূর্ণদৈর্ঘ্যের একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত ভিডিওটির হুবহু মিল খুঁজে পাওয়া যায়। তবে, পুলিশ কর্মকর্তা জুয়েল রানার বক্তব্যের ভিডিও পর্যবেক্ষণ করে সেনাবাহিনীর অধীনে নির্বাচন আয়োজন সংক্রান্ত দাবি খুঁজে পাওয়া যায়নি।

Comparison Image by Rumor Scanner

পরবর্তীতে, প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে বাংলা ট্রিবিউনের ওয়েবসাইটে ২০২১ সালের ২৩ ডিসেম্বর “১০ মাসেই জনপ্রিয় পুলিশ কর্মকর্তাকে বদলি” শীর্ষক শিরোনামের একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আইনশৃঙ্খলা সভায় দেওয়া এএসপি জুয়েল রানার একটি বক্তব্য সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। ইউপি নির্বাচন নিয়ে ভাইরাল হওয়া বক্তব্যে জুয়েল রানা বলেন, ‘আপনি নৌকার প্রার্থী হয়েছেন বলেই চেয়ারম্যান হয়ে যাবেন বিষয়টি এমন নয়। আমি যেখানে ডিউটি করেছি নৌকা পেয়েছে ২৫১ ভোট। কিন্তু নৌকার প্রার্থী বলতে পারেননি ভোট সুষ্ঠু হয়নি। শুধু নৌকা নিয়ে আসলেই, টাকা পয়সা থাকলেই, বড় বড় নেতার আত্মীয়-স্বজন হলে এই নির্বাচনে জয় লাভ করা যাবে না৷’

অর্থাৎ, পুলিশ কর্মকর্তা জুয়েল রানার বক্তব্যটি কুমিল্লার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে প্রদান করা। লক্ষ্মীপুর উপনির্বাচনের সাথে তার উক্ত বক্তব্যের কোনো সম্পর্ক নেই।

এছাড়াও, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম কিংবা নির্ভরযোগ্য কোনো সূত্রে বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে সেনাবাহিনীর অধীনে নির্বাচন আয়োজনের দাবির বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি।

মূলত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো রাজপথে আন্দোলন করে আসছে। এরই প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি “সেনাবাহিনীর অধীনে নির্বাচন চাইলো পুলিশ, পুলিশের বক্তব্য নিয়ে তোলপাড়” শীর্ষক থাম্বনেইল এবং শিরোনামে ভিন্ন ঘটনার একটি ভিডিও প্রচার করা হয়। তবে অনুসন্ধানে জানা যায়, দাবিটি সঠিক নয়। অধিকতর ভিউ পাবার আশায় চটকদার থাম্বনেইল ও শিরোনাম ব্যবহার করে কোনোপ্রকার নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র ছাড়াই আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হয়। এছাড়া, নির্ভরযোগ্য কোনো সূত্রেও এমন কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

সুতরাং, পুলিশ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অধীনে নির্বাচন চেয়েছে দাবিতে একটি তথ্য ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র