Home Blog

আ.লীগের ‘লকডাউন’ কর্মসূচি ঘিরে অভিনব পন্থায় এআইয়ের অপব্যবহার

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির রায়ের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে আগামী ১৩ নভেম্বর। এই রায়কে ঘিরে ১৩ নভেম্বর রাজধানী ঢাকায় ‘লকডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এরই প্রেক্ষাপটে সামাজিক মাধ্যমে ঢাকায় লকডাউন শুরু হয়েছে দাবিতে অন্তত চারটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে।

দাবি ১

একটি মহাসড়কে ককশিট সদৃশ বস্তু পোড়ানোর দৃশ্যযুক্ত একটি ভিডিও ‘লকডাউন শুরু ঢাকায় জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’ ক্যাপশনে সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো হয়েছে। অর্থাৎ, ভিডিওটি আওয়ামী লীগের আসন্ন লকডাউন কর্মসূচির অংশ হিসেবে সড়ক অবরোধের দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে। ভিডিওটি ছড়িয়েছে ফেসবুক এবং টিকটকে। 

Screenshot: Facebook. 

রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে বাংলা ট্রিবিউনের ওয়েবসাইটে ২০২৩ সালের ২ নভেম্বর প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। প্রতিবেদনে সংযুক্ত ছবির সঙ্গে আলোচিত ভিডিওটির শুরুর অংশের হুবহু মিল রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেদিন বিএনপির নেতাকর্মীরা তৃতীয় দিনের মতো অবরোধ পালনকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। এটি সে ঘটনারই ছবি। বাংলাদেশ প্রতিদিনের একটি প্রতিবেদনেও ছবিটি সম্পর্কে একই তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

Comparison: Rumor Scanner.

ভিডিওটি বিশ্লেষণেও কয়েকটি অসংগতি ধরা পড়ে। দেখা যায়, একজন ব্যক্তি আগুন থেকে একটি বস্তু টেনে বের করছেন, কিন্তু সেটিতে কোনো আগুন নেই। এ ধরনের অসংগতি সাধারণত এআই দিয়ে তৈরি ভিডিওতে দেখা যায়। এছাড়া, ভিডিওটি বাস্তব হলে আগুনের ভেতরে হাত দেওয়া স্বাভাবিক নয়। তাছাড়া, ২০২৩ সালের ঘটনার ছবি পাওয়া গেলেও একই ঘটনার কোনো ভিডিও অনলাইনে পাওয়া যায়নি।

এসব তথ্য বিশ্লেষণে নিশ্চিত হওয়া যায়, ২০২৩ সালের বিএনপির সড়ক অবরোধের ছবি ব্যবহার করে এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।

দাবি ২

একটি সড়কে আগুন জ্বালানোর দৃশ্যযুক্ত একটি ভিডিও ‘ঢাকায় লকডাউন শুরু আসল খেলা শুরু হবে ১৩ তারিখে’ ক্যাপশনে সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো হয়েছে। অর্থাৎ, ভিডিওটি আওয়ামী লীগের আসন্ন লকডাউন কর্মসূচির অংশ হিসেবে সড়কে আগুন জ্বালানোর দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে। ভিডিওটি ছড়িয়েছে ফেসবুকে

Screenshot: Facebook. 

রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। প্রতিবেদনে সংযুক্ত ছবির সঙ্গে আলোচিত ভিডিওটির শুরুর অংশের দৃশ্যের মিল পাওয়া যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের কর্তৃক সড়কে আগুন জ্বালানোর দৃশ্য। সেদিন প্রথম আলোর আরেকটি প্রতিবেদনেও একই ছবি ব্যবহার করা হয়েছিল।

Comparison: Rumor Scanner. 

ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করেও কয়েকটি অসংগতি ধরা পড়ে। দেখা যায়, বিভিন্ন ফ্রেমে ভিডিওতে থাকা ব্যক্তিদের অবস্থান ও পোশাকের রঙ হঠাৎ পরিবর্তিত হচ্ছে এবং তাদের হাঁটার ভঙ্গিতেও অস্বাভাবিকতা রয়েছে। এ ধরনের বৈশিষ্ট্য সাধারণত এআই দিয়ে তৈরি ভিডিওতে দেখা যায়। তাছাড়া, ঘটনার ছবি পাওয়া গেলেও এর সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো ভিডিও অনলাইনে পাওয়া যায়নি। 

অর্থাৎ, জানুয়ারির ঢাবি ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের একটি ছবি ব্যবহার করে এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।

দাবি ৩

একটি সড়কে আগুন জ্বালিয়ে ‘জয় বাংলার জয়’ স্লোগান দিতে দিতে আগুনের পেছনে সমবেত হওয়ার একটি ভিডিও আওয়ামী লীগের আসন্ন লকডাউন কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ (১০ নভেম্বর) ভোরে ঢাকার দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হয়েছে। ভিডিওটি ছড়িয়েছে ফেসবুক এবং টিকটকে

Screenshot: Facebook. 

রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে সময় টিভির ওয়েবসাইটে গত ৩ নভেম্বর প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। প্রতিবেদনে সংযুক্ত ছবির সঙ্গে আলোচিত ভিডিওটির শুরুর অংশের দৃশ্যের হুবহু মিল রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছবিটি মাদারীপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দিকী লাভলু মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ার পর তার কর্মী-সমর্থকদের ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভের সময়ের দৃশ্য। ৪ নভেম্বর ডেইলি স্টারের একটি প্রতিবেদনেও ছবিটি ব্যবহৃত হয়েছে।

Comparison: Rumor Scanner. 

সেদিনের ঘটনার একাধিক ভিডিও (,) পাওয়া গেলেও আলোচিত ভিডিওটির সঙ্গে তাদের হুবহু মিল পাওয়া যায়নি এবং সেখানে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানও শোনা যায়নি। ভিডিওটিতে আরও কিছু অসংগতি দেখা যায়, যেমন একই ভঙ্গিতে একাধিক ব্যক্তি স্লোগান দিতে দিতে আগুনের পেছনে গিয়ে সমবেত হচ্ছেন এবং স্লোগানের শব্দেও কৃত্রিমতা লক্ষ্য করা যায়। এগুলোও এআই দিয়ে তৈরি ভিডিওর বৈশিষ্ট্য।

অর্থাৎ, মনোনয়ন বঞ্চিত বিএনপি নেতার কর্মী-সমর্থকদের অবরোধের ছবি এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে ভিডিওতে রূপান্তর করে আওয়ামী লীগের আসন্ন লকডাউন কর্মসূচির প্রেক্ষাপটে ছড়ানো হয়েছে।

দাবি ৪

একটি সড়কে আগুন জ্বলতে থাকার দৃশ্যযুক্ত একটি ভিডিও ‘এই মুহূর্তে চলছে, ১৩ তারিখ ঢাকা লকডাউন করে দেওয়া হবে এই  থেকে ঢাকা আন্দোলন সংগ্রাম চলবে আপনারা সবাই উপস্থিত থাকেন’ ক্যাপশনে সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো হয়েছে। অর্থাৎ, ভিডিওটি আওয়ামী লীগের আসন্ন লকডাউন কর্মসূচির অংশ হিসেবে সড়কে আগুন জ্বালানোর দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে। ভিডিওটি ছড়িয়েছে ফেসবুকে

Screenshot: Facebook.

রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে আরব নিউজের ওয়েবসাইটে ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। প্রতিবেদনে সংযুক্ত ছবির সঙ্গে আলোচিত ভিডিওটির শুরুর অংশের দৃশ্যের হুবহু মিল রয়েছে। ছবিটির ক্যাপশন অনুযায়ী এটি ঢাকায় অনুষ্ঠিত কোটা বিরোধী আন্দোলনের দৃশ্য। ছবিটি এএফপির সৌজন্যে প্রকাশিত, যা পরবর্তীতে এএফপির ওয়েবসাইটেও পাওয়া যায়।

Comparison: Rumor Scanner. 

ভিডিওটি পর্যবেক্ষণেও অসংগতি দেখা যায়। ভিডিওর শুরুর দিকে নীল টি-শার্ট পরা একজন ব্যক্তিকে পানি বিক্রি করতে দেখা গেলেও পরবর্তী ফ্রেমগুলোতে তার মাথার উপরের পানির বোতলগুলো অদৃশ্য হয়ে যেতে দেখা যায়।

অর্থাৎ, গত বছরের কোটা বিরোধী আন্দোলনের একটি ছবি ব্যবহার করে এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে ভিডিওতে রূপান্তর করে তৈরি করে আওয়ামী লীগের আসন্ন লকডাউন কর্মসূচির প্রেক্ষাপটে ছড়ানো হয়েছে।

লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো, আলোচিত চারটি ভিডিওর প্রতিটিই ছয় সেকেন্ড দীর্ঘ এবং ভিডিওগুলোর প্রথম দৃশ্যের সঙ্গে প্রাপ্ত ছবিগুলোর মিল রয়েছে, যা ইঙ্গিত করে এগুলো তৈরিতে কোনো নির্দিষ্ট এআই টুল ব্যবহার করা হয়েছে।

সুতরাং, ভিন্ন সময়ের চারটি আলাদা ঘটনার ছবি সংগ্রহ করে এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে ভিডিওতে রূপান্তরিত করে ১৩ নভেম্বর ঢাকায় আওয়ামী লীগের ডাকা ‘লকডাউন’ কর্মসূচির প্রেক্ষাপটে প্রচার করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

মনোনয়ন না পেয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদর ভাঙচুর-অগ্নিকাণ্ডের দৃশ্য দাবিতে এআই ভিডিও প্রচার 

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ২৩৭ আসনে বিএনপির প্রার্থীর নাম গত ৩ নভেম্বর ঘোষণা করা হয়েছে। এতে মনোনয়ন না পাওয়া বিএনপির বিভিন্ন নেতাকর্মীর কর্মী-সমর্থকরা বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেছেন। এরই প্রেক্ষিতে অনলাইনে সম্প্রতি একটি ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হয়েছে, ভিডিওটিতে বিএনপির নেতাকর্মীর মনোনয়ন না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে ট্রেন ও বাস আটকে ভাঙচুর ও অগ্নিকাণ্ডের দৃশ্য প্রদর্শিত হয়েছে।

এরূপ দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ হওয়া অবধি আলোচিত দাবিতে প্রচারিত উপরোল্লিখিত পোস্টটি ৫৫ লক্ষেরও অধিক বার দেখা হয়েছে, ১ লক্ষ ২৪ হাজারেরও অধিক পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্টটিতে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে এবং ৬৩ হাজারেরও অধিক বার শেয়ার করা হয়েছে।

এরূপ দাবিতে টিকটকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ হওয়া অবধি আলোচিত দাবিতে প্রচারিত উপরোল্লিখিত পোস্টটি ১ লক্ষ ৫০ হাজারেরও অধিক বার দেখা হয়েছে এবং ১০ হাজারেরও অধিক পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্টটিতে লাইক দেওয়া হয়েছে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি বিএনপির নেতাকর্মীর মনোনয়ন না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে ট্রেন ও বাস আটকে ভাঙচুর ও অগ্নিকাণ্ডের আসল দৃশ্যের নয় বরং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির সাহায্যে তৈরি এই ভিডিওকে আসল দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

ভিডিওটির বিষয়ে অনুসন্ধানে কোনো বিশ্বস্ত গণমাধ্যম বা নির্ভরযোগ্য সূত্রে এর অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। প্রচারিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করলে ভয়েস, ট্রেন ও বাসের অবস্থান, আগুনের মুভমেন্ট, মানুষের মুভমেন্ট ও পারিপার্শ্বিক অবস্থাতে অস্বাভাবিকতা পরিলক্ষিত হয়, যা সাধারণত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি কনটেন্টে পরিলক্ষিত হয়।

Screenshot of Claimed Video

এছাড়া, ভিডিওটি পর্যবেক্ষণে ভিডিওটির নিচের ডান কোণে ‘Veo’ নামের একটি জলছাপ ও এআই দিয়ে তৈরি কনটেন্টের লেবেল দেখতে পাওয়া যায়। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ‘Veo’ গুগলের একটি উন্নত এআই টুল, যা টেক্সট প্রম্পট থেকে ৮ সেকেন্ডের বাস্তবসম্মত ভিডিও তৈরি করতে সক্ষম। এই ভিডিওটির দৈর্ঘ্য ১৬ সেকেন্ড ও ৮ সেকেন্ড পর দৃশ্য পরিবর্তন হতে দেখা যায়। অর্থাৎ, ‘Veo’ এর সাহায্যে তৈরি ২টি ভিডিওর সমন্বয়ে এই ভিডিও তৈরি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অধিকতর নিশ্চিত হতে এআই ও ডিপফেক কনটেন্ট শনাক্তকারী প্ল্যাটফর্ম ‘হাইভ মডারেশন’ এ আলোচিত ভিডিওটি বিশ্লেষণ করলে এটি এআই দিয়ে তৈরি কনটেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা সিংহভাগ বলে জানা যায়।

এ থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে প্রচারিত ভিডিওটি এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির সাহায্যে তৈরি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, আলোচিত ভিডিওটি এআই দিয়ে তৈরি ভুয়া ভিডিও হলেও মনোনয়ন না পাওয়া নানা বিএনপি নেতাকর্মীর কর্মী-সমর্থকরা বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করার তথ্য গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়।

সুতরাং, এআই দিয়ে তৈরি ভিডিওকে বিএনপির নেতাকর্মীর মনোনয়ন না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে ট্রেন ও বাস আটকে ভাঙচুর ও অগ্নিকাণ্ডের আসল দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের জন্যে কেনা বুলেটপ্রুফ গাড়ি চট্টগ্রাম বন্দরে আনার দাবিটি ভুয়া 

0

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বুলেটপ্রুফ গাড়ি কেনার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্বাচনী প্রচারের নিরাপত্তায় দুটি বুলেটপ্রুফ গাড়ি কেনার অনুমতি দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর প্রেক্ষিতে সম্প্রতি, চট্টগ্রাম বন্দরে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের জন্যে কেনা বুলেটপ্রুফ গাড়িগুলো পৌঁছে গিয়েছে দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুটি গাড়ির ছবি প্রচার করা হয়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন ছবি দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত একই ছবি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আলোচিত ছবিটি খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের জন্যে ক্রয়কৃত বুলেটপ্রুফ গাড়ির ছবি নয়। প্রকৃতপক্ষে, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামার ব্যবহৃত সাজোয়া সামরিক বাসের ছবির সাথে ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহকৃত একটি বুলেটপ্রুফ এসইউভি গাড়ির ছবি ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় যুক্ত করে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবিটি তৈরি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত গাড়িগুলোর ছবি পৃথকভাবে অনুসন্ধান করে রিউমর স্ক্যানার।

ছবি যাচাই ১

আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবিতে দেখতে পাওয়া এসইউভি গাড়িটির ছবির বিষয়ে অনুসন্ধানে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে vocal নামের একটি ওয়েবসাইটে কালো রংয়ের ওই এসইউভি গাড়ির মূল ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়। 

Photo Comparison by Rumor Scanner 

প্রাপ্ত ছবিটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আলোচিত দাবির ছবিতে দেখতে পাওয়া কালো রংয়ের এসইউভি গাড়ির সাথে উক্ত ছবির গাড়ির মিল রয়েছে। এমনকি উভয় ছবিতে দেখতে পাওয়া গাড়ির গায়ের ছায়ার প্যাটার্নেরও মিল রয়েছে। তবে ছবি দুটোর ব্যাকগ্রাউন্ডের পার্থক্য থেকে এটি স্পষ্টত বোঝা যাচ্ছে যে, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যম উক্ত ছবি থেকে কালো রংয়ের এসইউভি গাড়িটি ক্রপ করে নিয়ে আলোচিত ছবিটিতে বসানো হয়েছে। এছাড়াও জানা যায়, প্রাপ্ত ছবিটি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ভিত্তিক গাড়ি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান Rezvani Motors-এর নতুন বুলেটপ্রুফ এসইউভি গাড়ি Rezvani Night এর। প্রাপ্ত প্রতিবেদনটি মূলত ওই গাড়িটি নিয়েই লেখা। এর সাথে বিএনপি কিংবা বাংলাদেশের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

ছবি যাচাই ২

আলোচিত ছবিটিতে দেখতে পাওয়া কালো রংয়ের বুলেটপ্রুফ বাসের ছবিটির বিষয়ে অনুসন্ধানে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যভিত্তিক গণমাধ্যম mirror এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে উক্ত গাড়ির মূল ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়।

Photo Comparison by Rumor Scanner 

প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, ছবিতে দেখতে পাওয়া কালো রংয়ের এই বাসটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামার প্রচারণার কাজে ব্যবহৃত সাজোয়া একটি সামরিক বাস। পাশাপাশি, উক্ত ছবিটিও পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবিটির সাথে এর গায়ে দেখতে পাওয়া ছায়ার প্যাটার্নের মিল রয়েছে। অর্থাৎ, উক্ত ছবিটিও ক্রপ করে আলোচিত ছবিতে যুক্ত করা হয়েছে। 

গত ১৯ অক্টোবর জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোর এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কোন দেশ থেকে কোন মডেলের এই বুলেটপ্রুফ গাড়ি কেনা হবে, তা এখনো চূড়ান্ত করেনি বিএনপি। তবে জাপান থেকে গাড়ি কেনার বিষয়ে আলোচনা চলছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

সুতরাং, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের জন্যে দুটি বুলেটপ্রুফ গাড়ি চট্টগ্রাম বন্দরে আনা হয়েছে শীর্ষক দাবিটি মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

ছাত্রলীগের অবরোধের দৃশ্য দাবিতে ছাত্রদলের পুরোনো ভিডিও প্রচার 

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার রায়ের তারিখ ঘোষিত হবে আগামী ১৩ নভেম্বর। এর প্রেক্ষিতে ১৩ নভেম্বর রাজধানী ঢাকায় লকডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি ‘ছাত্রলীগের অবরোধ চলছে,চলবে। গাড়ির চাকা ঘুরবে না,দোকানপাট খুলবে না।’ ক্যাপশনে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)৷

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি ছাত্রলীগের কর্মীদের অবরোধ কার্যক্রম পালনের দৃশ্য নয়। প্রকৃতপক্ষে, ২০২৩ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের অবরোধ পালনের ভিডিওকে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে গণমাধ্যম কালের কন্ঠের ওয়েবসাইটে ২০২৩ সালের ০৬ নভেম্বর ‘দয়াগঞ্জ মোড়ে আগুন জ্বালিয়ে জবি ছাত্রদলের অবরোধ’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনে যুক্ত ছবির সাথে আলোচিত ভিডিওটির দৃশ্যের সাদৃশ্য রয়েছে। 

Comparison: Rumor Scanner 

উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সে সময়ে বিএনপির ডাকা দ্বিতীয় দফার অবরোধের সমর্থনে পুরান ঢাকার দয়াগঞ্জ মোড়ে সড়কে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ পালন করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল। ২০২৩ সালের ০৬ নভেম্বর সকাল ৯ টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লার নেতৃত্বে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। প্রতিবেদনে যুক্ত ছবিটি উক্ত ঘটনার দৃশ্য। 

পরবর্তীতে, এ বিষয়ে আরেক গণমাধ্যম বাংলানিউজ২৪ এর ওয়েবসাইটে ২০২৩ সালের ০৬ নভেম্বর ‘দয়াগঞ্জ মোড়ে অবরোধ করেছে জবি ছাত্রদল’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য জানা যায়। 

অর্থাৎ, আলোচিত ভিডিওর ঘটনাটি সাম্প্রতিক সময়ের নয়। 

সুতরাং, সাম্প্রতিক সময়ে ছাত্রলীগের অবরোধ পালনের ভিডিও দাবিতে ২০২৩ সালে হরতাল সমর্থনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের অবরোধ পালনের দৃশ্য প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সামনে গুলিতে নিহত তারিক সাইফ মামুন সাংবাদিক নন 

অতি সম্প্রতি, “ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেলের সামনে, জঙ্গি হামলায় প্রথম আলোর শীর্ষ সাংবাদিক মামুনুর রহমান নিহত। জঙ্গি বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিবেদন করার কারণেই উনাকে হত্যা করা হয়েছে।” শীর্ষক ক্যাপশনে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। 

উক্ত দাবির ফেসবুক ভিডিও দেখুন এখানে, এখানে।  

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আলোচিত ভিডিওটির সাথে সন্ত্রাসী জঙ্গি হামলার কোনো সম্পর্ক নেই এবং নিহত ব্যক্তি সাংবাদিকও নয় বরং, ১০ নভেম্বর পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সামনে গুলিতে নিহত তারিক সাইফ মামুন নামের এই ব্যক্তি একজন ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ফেসবুকে Nilima Nilima নামের একটি প্রোফাইলে ১০ নভেম্বর প্রকাশিত একটি ভিডিওর সাথে আলোচিত ভিডিওটির মিল খুঁজে পাওয়া যায়। 

Comparison: Rumor Scanner 

ভিডিওটির ক্যাপশন থেকে জানা যায়, ১০ নভেম্বর সকাল ১১ টায় ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গেট দিয়ে এক ব্যাক্তি প্রবেশ করছিল। হঠাৎ সাদা পোশাক পরিহিত দু’জন লোক এসে ঐ লোকটির উপরে ৫টি গুলি চালায়। লোকটা ঘটনাস্থলেই মারা যায়। মৃত ব্যক্তির পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। 

জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোর এক প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সামনে গুলিতে নিহত ব্যক্তির বিস্তারিত নাম-পরিচয় জানা গেছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের একটি সূত্র প্রথম আলোকে বলছে, নিহত ব্যক্তির নাম তারিক সাইফ মামুন (৫৫), তিনি ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’।

পুলিশ বলছে, নিহত ব্যক্তি একসময় আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমনের সহযোগী ছিলেন, তবে অপরাধজগতের নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল।

মামুনের স্ত্রী বিলকিস আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, তারা ধারণা করছেন, শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমনের লোকজন এই হত্যার সঙ্গে জড়িত। এর আগেও ইমনের লোকজন মামুনকে হত্যার চেষ্টা করেছিল। 

প্রথম আলোর এই প্রতিবেদনে গণমাধ্যমটির কোনো সাংবাদিক এই ঘটনায় নিহত বা আহত হওয়ার তথ্য মেলেনি। 

অর্থাৎ, এটি কোনো জঙ্গি হামলা নয় এবং এই ঘটনায় প্রথম আলোর কোনো সাংবাদিকও মারা যাননি। 

পরবর্তী অনুসন্ধানে অন্যান্য গণমাধ্যম এবং নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলোর বরাতেও সম্প্রতি কোনো জঙ্গি হামলার ঘটনায় কোনো সাংবাদিক নিহতের তথ্য পাওয়া যায়নি। 

সুতরাং, পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সামনে তারিক সাইফ মামুন নামের এক ‘শীর্ষ সন্ত্রাসীর’ মরদেহ পড়ে থাকার ভিডিওকে জঙ্গি হামলায় প্রথম আলোর সাংবাদিক নিহত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

“জামায়াত ঐক্যজোট ১৬৩ আসন পাবে উঠে এসেছে গবেষণায়” শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি ভুয়া

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ত্রয়োদশ জাতীয় সংবাদ নির্বাচনে “জামায়াত ঐক্যজোট ১৬৩ আসন পাবে, উঠে এসেছে গবেষণায়” দাবিতে এনটিভির ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটোকার্ড প্রচার করা হচ্ছে। 

ফেসবুকে প্রচারিত এ সংক্রান্ত দাবির কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, জামায়াত ঐক্যজোট ১৬৩ আসন পাবে শীর্ষক শিরোনামে এনটিভি কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রকাশ করেনি বরং, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় গণমাধ্যমটির ডিজাইন নকল করে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া এ সংক্রান্ত কোনো গবেষণার তথ্যও খুঁজে পাওয়া যায়নি।

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে এতে মূলধারার গণমাধ্যম এনটিভির লোগো লক্ষ্য করা যায়। এর সূত্র ধরে অনুসন্ধানে এনটিভির ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। এমনকি এনটিভির ওয়েবসাইট ও ইউটিউব চ্যানেলেও এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য বা সংবাদ পাওয়া যায়নি।  

তবে গণমাধ্যমটি তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক পোস্টে জানিয়েছে, এটি ভুয়া ফটোকার্ড। 

Comparison: Rumor Scanner 

তাছাড়া, এনটিভি কর্তৃক প্রকাশিত ফটোকার্ডে ব্যবহৃত ফন্টের সাথে আলোচিত ফটোকার্ডে ব্যবহৃত ফন্টের অমিল লক্ষ্য করা যায়।

পাশাপাশি, প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে মূলধারার অন্য কোনো গণমাধ্যমেও এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য বা সংবাদ পাওয়া যায়নি। 

সুতরাং, ‘জামায়াত ঐক্যজোট ১৬৩ আসন পাবে ওঠে এসেছে গবেষণায়’ শীর্ষক তথ্যে বা শিরোনামে এনটিভির নাম-লোগো ব্যবহার করে প্রচার হওয়া ফটোকার্ডটি ভুয়া। 

তথ্যসূত্র 

  • NTV : Facebook Post 
  • Rumor Scanner’s own analysis 

মির্জা ফখরুলকে জড়িয়ে এখন টিভির নামে সম্পাদিত ফটোকার্ড প্রচার

0

সম্প্রতি, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর “চাদাবাজি দখলবাজি লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ করার চেষ্টা করা হলে, কোনদিনও মানবে না বিএনপি” শীর্ষক মন্তব্য করেছেন দাবিতে টেলিভিশন চ্যানেল এখন টিভির লোগো সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন ফটোকার্ড দেখুন এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, মির্জা ফখরুল আলোচিত মন্তব্যটি করেননি এবং উক্ত শিরোনামে এখন টিভিও কোন ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি। প্রকৃতপক্ষে, মির্জা ফখরুলের ভিন্ন মন্তব্য সম্বলিত এখন টিভির ফটোকার্ড ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তার সম্পাদনার মাধ্যমে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এতে এখন টিভির লোগো এবং এটি প্রকাশের তারিখ ৩০ অক্টোবর ২০২৫ উল্লেখ রয়েছে। প্রাপ্ত তথ্যের সূত্র ধরে এখন টিভির ফেসবুক পেজ এবং ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে, টেলিভিশনটির ফেসবুক পেজে ৩০ অক্টোবর “নির্বাচনের দিন ছাড়া গণভোটের সিদ্ধান্ত কোনদিনও মানবে না বিএনপি” শীর্ষক তথ্য সম্বলিত একটি ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়।

Photocard Comparison by Rumor Scanner

ফটোকার্ডটি পর্যালোচনা করে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ফটোকার্ডের ছবি ও গ্রাফিক্যাল ডিজাইনের সাথে এর সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়। তবে আলোচিত ফটোকার্ডটিতে ‘চাদাবাজি দখলবাজি লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ করার চেষ্টা করা হলে, কোনদিনও মানবে না বিএনপি’ শীর্ষক বাক্যের পরিবর্তে ‘নির্বাচনের দিন ছাড়া গণভোটের সিদ্ধান্ত কোনদিনও মানবে না বিএনপি’ শীর্ষক বাক্য লেখা হয়েছে।

অর্থাৎ, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় এখন টিভির ফটোকার্ড সম্পাদনা করে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

মূল ফটোকার্ড সংবলিত পোস্টটির কমেন্টে পাওয়া এ সংক্রান্ত কোনো সংবাদ প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি। তবে মূল ধারার আরেক গণমাধ্যম এটিএন নিউজের একই দিনের একটি সংবাদ প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন-নির্বাচনের দিন ছাড়া কোনো গণভোটের সিদ্ধান্ত বিএনপি মেনে নেবে না। তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে গণভোটের প্রস্তাব সময়, অর্থ ও প্রস্তুতির দিক থেকে অযৌক্তিক ও অবিবেচনাপ্রসূত। সেদিন বিকেলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। 

এই প্রতিবেদন এবং অন্যান্য গণমাধ্যম সূত্রে আলোচিত দাবিটির বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

সুতরাং, মির্জা ফখরুল ‘চাদাবাজি দখলবাজি লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ করার চেষ্টা করা হলে, কোনদিনও মানবে না বিএনপি’ শীর্ষক মন্তব্য করেছেন দাবিতে এখন টিভির নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি সম্পাদিত।

তথ্যসূত্র

আসিফ আকবরের নামে জুয়ার ভুয়া বিজ্ঞাপন প্রচার

সংগীতশিল্পী ও বিসিবি পরিচালক আসিফ আকবর বিডি থ্রি থ্রি থ্রি নামের একটি অ্যাপের মাধ্যমে টাকা উপার্জন করার কথা বলছেন, এমন একটি ভিডিও সম্প্রতি ফেসবুকে ‘BD333 – Free Spin Zone’ নামের একটি পেজ থেকে প্রচার করা হয়েছে। ভিডিওটিতে আসিফ আকবরের বক্তব্যের একটি ফুটেজ দেখানো হয়েছে। 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আসিফ আকবর জুয়ার অ্যাপের মাধ্যমে টাকা উপার্জনের কথা বলেননি বরং, ডিপফেক প্রযুক্তির সহায়তায় আসিফের সাক্ষাৎকারের পুরোনো ভিডিও সম্পাদনার মাধ্যমে আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম এটিএন নিউজ এর ইউটিউব চ্যানেলে ২০২২ সালের ১০ জুলাই প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। এই ভিডিওর সাথে আলোচিত জুয়ার বিজ্ঞাপনে ব্যবহৃত আসিফের বক্তব্যের ফুটেজের সাদৃশ্য পাওয়া যায়।

Comparison: Rumor Scanner 

ভিডিওটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এটি আসিফের সংগীত ও ব্যক্তিগত জীবনের নানা ঘটনা নিয়ে তার সাক্ষাৎকার দেওয়ার একটি ভিডিও। উক্ত সাক্ষাৎকারে তিনি জুয়ার অ্যাপ নিয়ে কোনো কথা বলেননি।

অর্থাৎ, এই ভিডিওতে ডিপফেক প্রযুক্তির সহায়তায় ভিন্ন অডিও যুক্ত করে আলোচিত জুয়ার বিজ্ঞাপনের ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।

‘BD333 – Free Spin Zone’ পেজে প্রকাশিত ভিডিওটি মেটার এড মডেলের মাধ্যমে অন্তত দুইবার স্পন্সরের মাধ্যমে বুস্ট করা হয়েছে। মেটার এড লাইব্রেরি থেকে জানা যায়, ভিডিওগুলো গত অক্টোবর এবং চলতি মাসে এড হিসেবে চালানো হয়েছে। 

Screenshot: Meta Ad Library 

পেজটির ট্রান্সপারেন্সি সেকশন পর্যবেক্ষণ করে জানা যায়, ২০২১ সালের ০৪ সেপ্টেম্বর পেজটি চালু করা হয়। তবে, পরিচালনা সংক্রান্ত তথ্য গোপন রাখায় পেজ পরিচালনা বিষয়ক অন্য কোনো তথ্য জানা যায়নি। এছাড়া, পেজটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এতে উল্লেখযোগ্য কোনো পোস্ট নেই এবং জুয়ার ভিডিওটি হোমপেজ থেকে সরিয়ে রেখে প্রচার করা হচ্ছে।

সুতরাং, আসিফ আকবর জুয়ার অ্যাপের মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের করার কথা বলেছেন শীর্ষক দাবিটি মিথ্যা এবং এ সংক্রান্ত ভিডিওটি সম্পাদিত।

তথ্যসূত্র

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে মাদকসহ জামায়াত নেতা আটক দাবিতে সম্পাদিত ছবি প্রচার 

0

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ছবি প্রচার করে দাবি করা হয়েছে, ‘কালিহাতি উপজেলা জামায়াতের আমীর শতকোটি টাকার মালিক। অভিযানে বিপুল পরিমাণ মা/দ/ক উদ্ধার।’

এরূপ দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ছবিটি সম্প্রতি উদ্ধারকৃত মাদকসহ টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলা জামায়াতের আমীরের নয় বরং, গত ২০ জানুয়ারিতে মাদারীপুর সদর উপজেলার ঝিকরহাটি এলাকায় অভিযানে আটক মাদক ব্যবসায়ী চক্রের সদস্য এনামুল দর্জির ছবিকে এআই প্রযুক্তির সহায়তায় পোশাক পরিবর্তন করে দাঁড়ি সংযুক্ত করে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে। এছাড়া, কালিহাতী উপজেলা জামায়াতের আমীরের সাথে প্রচারিত ছবির ব্যক্তির কোনো মিল পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে মূলধারার গণমাধ্যম ‘দেশ টিভি’র ওয়েবসাইটে গত ২২ জানুয়ারিতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। প্রতিবেদনে একটি ছবিরও সংযুক্তি পাওয়া যায়, যার সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবির তুলনা করলে আটক ব্যক্তির পোশাক ও দাঁড়ি ব্যতীত বাকী সবকিছুর মিল পাওয়া যায়। 

Comparison : Rumor Scanner

এ বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, মাদারীপুরে ১১০ বোতল ফেনসিডিলসহ মো. এনামুল দর্জি নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গত ২০ জানুয়ারিতে রাতে গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ অভিযানে এনামুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়াও, অনলাইন সংবাদমাধ্যম ‘বার্তা বাজার’ এর ওয়েবসাইটেও একই ঘটনার দাবিতে উল্লিখিত ভিন্ন পোশাকের, দাঁড়ি ছাড়া ছবিটি গত ২১ জানুয়ারিতে প্রচার হতে দেখা যায়। তবে কোথাও উক্ত মাদক ব্যবসায়ী জামায়াতে ইসলামীর নেতা হওয়ার কোনো উল্লেখ পাওয়া যায়নি।

তবে, অনুসন্ধানে দাঁড়িসহ পাঞ্জাবি পরিহিত ব্যক্তির আলোচিত দাবিতে প্রচারিত হুবহু একই ছবি কোনো গণমাধ্যম বা নির্ভরযোগ্য সূত্রে পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি, আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবির ব্যক্তির ত্বকের গঠনেও অসামঞ্জস্যতা লক্ষ্য করা যায় যা সাধারণত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির সাহায্যে তৈরি কনটেন্টে দেখা যায়। এ থেকে স্পষ্ট যে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত মাদারীপুরে ফেনসিডিলসহ আটক এনামুল দর্জির ছবি এআই এর সাহায্যে সম্পাদনা করে তাতে দাঁড়ি সংযুক্ত করে ও পোশাক পরিবর্তন করে পাঞ্জাবি পরিয়ে তৈরি করে প্রচার করা হয়েছে।

পরবর্তীতে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলা জামায়াতের আমীরের বিষয়ে অনুসন্ধানে ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী (পারখী ইউনিয়ন)’ নামের একটি ফেসবুক পেজে গত ৯ নভেম্বরে প্রচারিত একটি পোস্টে কালিহাতী থানা আমীর মাওলানা মোহাম্মদ আলী মিঞাকে টাঙ্গাইলের কালিহাতীর পালিমা বাজারের এক পথ সভায় বক্তব্য রাখতে দেখা যায়। কালিহাতী উপজেলা জামায়াতের আমীরের সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবিতে প্রদর্শিত ব্যক্তির তুলনা করলে দুইজন ভিন্ন ব্যক্তি বলে নিশ্চিত হওয়া যায়।

Comparison : Rumor Scanner

সুতরাং, গত ২০ জানুয়ারিতে মাদারীপুরে আটক মাদক ব্যবসায়ী চক্রের সদস্য এনামুল দর্জির ছবিকে এআই প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনা করে সম্প্রতি উদ্ধারকৃত মাদকসহ টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলা জামায়াতের আমীরের ছবি দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

নারায়ণগঞ্জ জেলা আ.লীগের সাম্প্রতিক মিছিল দাবিতে পুরোনো ভিডিও প্রচার 

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার রায়ের তারিখ ঘোষিত হবে আগামী ১৩ নভেম্বর। এর প্রেক্ষিতে ১৩ নভেম্বর রাজধানী ঢাকায় লকডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। সম্প্রতি ‘09–11–25 নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যেগে ১৩ তারিখ লকডাউন প্রস্তুতি মিছিল’ ক্যাপশনে একটি ভিডিও ইন্টারনেটের বিভিন্ন প্লাটফর্মে প্রচার করা হয়েছে। 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)৷

উক্ত দাবিতে ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত কোনো মিছিলের দৃশ্য নয়। প্রকৃতপক্ষে, গত আগস্টে রাজধানী ঢাকার গুলিস্তানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত ঝটিকা মিছিলের ভিডিওকে সাম্প্রতিক দাবিতে প্রচার করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে Mohammad Kafil Uddin নামক ফেসবুক প্রোফাইলে গত ২৪ আগস্ট প্রকাশিত আলোচিত ভিডিওটির অনুরূপ একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। 

Comparison: Rumor Scanner 

ভিডিওটির ক্যাপশন থেকে জানা যায়, এটি গত ২৪ আগস্ট ঢাকার গুলিস্তানে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলের দৃশ্য। 

অর্থাৎ, আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয়। 

পরবর্তীতে, জাতীয় দৈনিক যুগান্তরের ইউটিউব চ্যানেলে গত ২৪ আগস্ট ‘রাজধানীতে প্রকাশ্যে মিছিল, কী বার্তা দিচ্ছে আওয়ামী লীগ?’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনে যুক্ত একটি ভিডিও ফুটেজের সাথে আলোচিত ভিডিওটির সাদৃশ্য রয়েছে। 

Comparison: Rumor Scanner 

উক্ত ভিডিও প্রতিবেদনটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এটির ০০:০১ থেকে ০০:০০৩, ০০:৪৫ থেকে ০০:৪৮ এবং ০২:০২ থেকে ০২:০৬ অংশগুলোর সাথে আলোচিত ভিডিওটির মিল রয়েছে। 

উক্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, এটি গত ২৪ আগস্ট গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের আয়োজিত ঝটিকা প্রতিবাদী মিছিলের দৃশ্য। 

এ বিষয়ে আরেক গণমাধ্যম কালের কন্ঠের ওয়েবসাইটে গত ২৪ আগস্ট ‘রাজধানীতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের মিছিল, আটক ৩’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য জানা যায়। 

সুতরাং, সাম্প্রতিক সময়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত মিছিলের দৃশ্য দাবিতে গত আগস্ট মাসে ঢাকার গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের মিছিলের ভিডিও প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র