ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বাংলাদেশের কয়েকটি জেলায় আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে পুরোনো ও ভিন্ন ঘটনা বা প্রেক্ষাপটের ছবি-ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার হচ্ছে, ছড়াচ্ছে বিভ্রান্তিকর নানা তথ্যও। এর প্রেক্ষিতে রিউমর স্ক্যানারের এই লাইভ আপডেটে আপনাকে স্বাগত।
সময়: ২৭ আগস্ট সকাল ০৯:১৬ মিনিট
জিজ্ঞাসা: চলমান বন্যায় কতজন মারা গেছেন?
ফ্যাক্ট: চলমান বন্যা ইস্যুতে মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা নিরূপণ বা স্বাধীনভাবে যাচাই সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে তাই গণমাধ্যম সূত্রে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য নিম্নে তুলে ধরা হলো –
সরকারি হিসাব – ২৩ জন। ছয়জন কুমিল্লায়, চট্টগ্রামে পাঁচজন, নোয়াখালীতে পাঁচজন, কক্সবাজারে তিনজন, ফেনীতে একজন, খাগড়াছড়িতে একজন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজন এবং লক্ষ্মীপুরে একজন। (২৬ আগস্ট দুপুর)
মূল ধারার সংবাদমাধ্যম
প্রথম আলো – ২৩ জন। (সরকারি হিসেব)
দ্য ডেইলি স্টার – ২৩ জন।
বণিক বার্তা – ২৩ জন।
নিউ এজ – ২৩ জন।
সূত্র: গণমাধ্যম।
৪১/ দাবি: বন্যা পরিস্থিতিতে ভারতের দায় থাকার অভিযোগের প্রেক্ষাপটে ভারতে গ্যাস সরবরাহ (লাইন) বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ।
ফ্যাক্ট: এই দাবিটি ছড়াচ্ছে একটি এক্স পোস্ট এবং একটি ভিডিওকে কেন্দ্র করে৷ আয়রন ক্ল্যাড নামের এক্স অ্যাকাউন্টটি থেকে গতকাল এক পোস্টে দাবি করা হয়, “ভারতের সেভেন সিস্টারে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ।” এরা কী গ্যাস তা অবশ্য পরিস্কার করেনি। এই অ্যাকাউন্টটি অবশ্য প্রোপাগাণ্ডা ছড়াতে সিদ্ধহস্ত৷ এই পোস্টের পর এরা আরেক পোস্টে দাবি করছে, ভারত সরকার নাকি সকল এনজিওকে বলেছে বাংলাদেশে যাতে কোনো ত্রাণ সহায়তা না পাঠানো হয়। আদতে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে এমন কোনো নির্দেশনাই আসেনি। ভারতের একজন ফ্যাক্টচেকারও রিউমর স্ক্যানারকে জানিয়েছেন, এমন কোনও খবর তাদের চোখে পড়েনি। তিনি বলছিলেন, “কূটনীতিক দোনামনা থাকলেও এমন পরিস্থিতিতে এই ধরনের কোনও নির্দেশনা বা সিদ্ধান্ত অবাস্তব মনে হয়। আজগুবি। সার্চ করেও এই এক্স পোস্ট ছাড়া এই সংক্রান্ত আর কিছু দেখলাম না।” তিনি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন আমাদের। বলছিলেন, “আগেও মনে হয় আন্তর্জাতিক স্তরে গুজব ছড়িয়েছে এই হ্যান্ডলটা। সরকারিভাবে ইন্ডিয়ায় ব্যান করা।”
ভিডিও যেটি ছড়াচ্ছে, তার মূল সোর্স অবশ্য এখনও অনুসন্ধান চলছে। পেলে এই পোস্টেই আপডেট করে জানানো হবে।
গ্যাস সরবরাহ বন্ধের দাবিটি নিয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধানে রিউমর স্ক্যানার দেখেছে, ২০২২ সালের জুনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতিক্রমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ৮২ মেট্রিক টন তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) ভারতে পাঠানো হয়। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর চাহিদা মেটাতে ৮ জুন এসব গ্যাস ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশনের অধীনে ত্রিপুরা রাজ্যের বিশালগড়ের প্লান্টে সরবরাহ করা হয়।
এই সরবরাহের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয় তারও বছর তিনেক আগে। ২০১৯ সালে বাংলাদেশের সেসময়ের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের সময় উভয় দেশের মধ্যে এক সমঝোতা হয়। সে অনুযায়ী বাংলাদেশ ত্রিপুরার ইন্ডিয়ান করপোশেনের (ওএনজিসি) বিশালগড় বটলিং প্লান্টে ট্যাংকারে করে এলপিজি সরবরাহে সম্মত হয়। ওই সমঝোতা অনুসারে বাংলাদেশের ব্যক্তি মালিকানাধীন ওমেরা, বেক্সিমকো ও বিএম এনার্জি পেট্রোলিয়ামের মাধ্যমে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর জন্য এলপিজি আমদানি করছে ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন। ২০২২ সালের পর আর এলপিজি গ্যাস পাঠানো হয়েছে কিনা এ বিষয়ে গণমাধ্যম সূত্রে কোনো তথ্য পাওয়া যায়না।
তবে ভারতে বাংলাদেশ থেকে কখনোই প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ করা হয়নি। এ বিষয়টি রিউমর স্ক্যানারকে নিশ্চিত করেছেন সরকারের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মোঃ নূরুল আলম।
তথ্যসূত্র: রিউমর স্ক্যানারের বিশ্লেষণ
সময়: ২৬ আগস্ট সকাল ০৯:১৬ মিনিট
জিজ্ঞাসা: চলমান বন্যায় কতজন মারা গেছেন?
ফ্যাক্ট: চলমান বন্যা ইস্যুতে মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা নিরূপণ বা স্বাধীনভাবে যাচাই সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে তাই গণমাধ্যম সূত্রে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য নিম্নে তুলে ধরা হলো –
সরকারি হিসাব – ২০ জন। কুমিল্লায় ৬ জন, চট্টগ্রামে ৫, নোয়াখালীতে ৩, কক্সবাজারে ৩ এবং ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও লক্ষ্মীপুরে একজন। (২৫ আগস্ট সন্ধ্যা)
মূল ধারার সংবাদমাধ্যম
প্রথম আলো – ২০ জন। (সরকারি হিসেব)
দ্য ডেইলি স্টার – ২১ জন।
বণিক বার্তা – ২০ জন।
নিউ এজ – ২০ জন।
সূত্র: গণমাধ্যম।
সময়: ২৫ আগস্ট সকাল ০৯:১৬ মিনিট
জিজ্ঞাসা: চলমান বন্যায় কতজন মারা গেছেন?
ফ্যাক্ট: চলমান বন্যা ইস্যুতে মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা নিরূপণ বা স্বাধীনভাবে যাচাই সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে তাই গণমাধ্যম সূত্রে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য নিম্নে তুলে ধরা হলো –
সরকারি হিসাব – ১৮ জন। চট্টগ্রামে ৫ জন, কুমিল্লায় ৪ জন, নোয়াখালীতে ৩ জন, কক্সবাজারে ৩ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১ জন, ফেনীতে ১ জন ও লক্ষ্মীপুরে ১ জন। (২৪ আগস্ট দুপুর)
মূল ধারার সংবাদমাধ্যম
প্রথম আলো – ১৮ জন। (সরকারি হিসেব)
দ্য ডেইলি স্টার – ১৮ জন। (সরকারি হিসেব)
বণিক বার্তা – ১৮ জন।
নিউ এজ – ২০ জন।
সূত্র: গণমাধ্যম।
৪০/ দাবি: তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা সেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে থ্রাণ সামগ্রী পাঠানোর দৃশ্য।
ফ্যাক্ট: ফান্ড রাইজ করে নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের কেনা ত্রাণসামগ্রী প্রস্তুতির ছবিকে নিজেদের বলে প্রচার করা হয়েছে আওয়ামী লীগের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে।
তথ্যসূত্র : রিউমর স্ক্যানারের ফ্যাক্টচেক পোস্ট।
৩৯/ দাবি: ছবিতে থাকা শিশুর পরিবারের সবাই মারা গেছে।
ফ্যাক্ট: ছবিটির ফটোগ্রাফার নাজমুল হাসান তপন জানিয়েছেন, বাচ্চা ও তার পরিবার সুস্থ আছেন।
তথ্যসূত্র : ফটোগ্রাফারের বক্তব্য।
৩৮/ দাবি: পবিত্র জুম্মার দিনে পানি বন্দি মসজিদে নামাজ শেষে মোনাজাতরত অবস্থার দৃশ্য।
ফ্যাক্ট: বন্যায় অনেক এলাকার মসজিদ এখনও পানির নিচে। কোনো মসজিদের শুধু চালা পানির উপরে রয়েছে, এমন দৃশ্যও গণমাধ্যমের ভিডিওতে এসেছে। তবে এই ছবিটি গতকালের জুম্মার সময়ের নয়। ২০২১ সালের ৮ অক্টোবর (সেদিনও শুক্রবার ছিল) সাতক্ষীরা থেকে ফটোগ্রাফার সারোয়ার হোসেন ছবিটি তোলেন।
তথ্যসূত্র : রিউমর স্ক্যানারের ফ্যাক্টচেক পোস্ট।
৩৭/ দাবি: বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক বন্যার্তদের উদ্ধার অভিযানের ভিডিও।
ফ্যাক্ট: ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয়, অন্তত ২০২২ সাল থেকে অনলাইনে রয়েছে।
তথ্যসূত্র : পুরোনো ভিডিও।
৩৬/ দাবি: বন্যা কবলিত এলাকার দৃশ্য।
ফ্যাক্ট: ২০২২ সালের ভারতের আগরতলায় বন্যার সময়কার ছবি উক্ত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স।
৩৫/ দাবি: ফেনী নোয়াখালী অভিমুখে সব নৌযান। এটাই বাংলাদেশ।
ফ্যাক্ট: ছবিটি ২০২৩ সালের মার্চ মাসে কর্ণফুলী নদী রক্ষায় চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত সাম্পান খেলা ও সাম্পান শোভাযাত্রার।
তথ্যসূত্র : পুরোনো সংবাদ।
৩৪/ দাবি: লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগের উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণের দৃশ্য।
ফ্যাক্ট: লক্ষ্মীপুরের ছাত্রদল নেতার ব্যক্তিগত উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণের ছবিকে আওয়ামী লীগের পেজে ছাত্রলীগের ত্রাণ বিতরণ বলে চালিয়ে দেওয়া হলো।
তথ্যসূত্র : রিউমর স্ক্যানারের ফ্যাক্টচেক পোস্ট।
৩৩/ দাবি: কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্স থেকে সংগৃহীত ৭ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার টাকা বন্যার্তদের দেওয়া হয়েছে।
ফ্যাক্ট: ভাইরাল তথ্যটি ভুয়া। উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও সমন্বয়ক সারজিস আলমের নামে তৈরি একটি ভুয়া পেজের পোস্টের ভিত্তিতে এই মিথ্যা তথ্য সামাজিক মাধ্যম এবং গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি ও কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ রিউমর স্ক্যানারকে জানিয়েছেন, এই দাবি সত্য নয়। মসজিদ কমিটির এই বিষয়ে কোনো মিটিং হয়নি।
তথ্যসূত্র : মসজিদ কমিটির সভাপতির বক্তব্য।
৩২/ দাবি: সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্যের পক্ষ থেকে বন্যা দুর্গতদের সহায়তা
ফ্যাক্ট: বড়বাজার সার্বজনীন পূজা উদযাপন পরিষদের এই ত্রাণ কার্যক্রমের পেছনে রাজনৈতিক হাত নেই বলে জানা গেছে।
তথ্যসূত্র : রিউমর স্ক্যানারের ফ্যাক্টচেক পোস্ট।
৩১/ দাবি: বিদ্যানন্দের প্রকাশিত এই ছবিটি সম্পাদিত।
ফ্যাক্ট: বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের ফেসবুক পেজ এক টাকায় আহার এ আলোচিত এই ছবিটি আপলোড করা হয় ২২ আগস্ট রাত ০৮ টা ০৪ মিনিটে। ছবিটি নিয়ে নেটিজেনদের মনে সন্দেহ কুকুরের অবস্থানের কারণে। প্রাণীটি দাঁড়িয়ে আছে পানির উপরে, তার পুরো শরীর শুকনো বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। অনেকেই এটিকে তাই এডিটেড ছবি বলে মনে করছেন।
রিউমর স্ক্যানার বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনে যোগাযোগ করে ছবির মূল ফাইলসহ একই সময়ের একাধিক ছবি সংগ্রহ করেছে। এই ছবিটির মেটাডাটা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, মূল ছবি আর এই ছবির মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। ছবিটি তোলা হয় ২২ আগস্ট বিকেল ০৪ টা ৩২ মিনিটে। ফেনীর বন্ধুুয়া ব্রিজের কাছ থেকে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের একজন বোর্ড মেম্বার (নিরাপত্তার স্বার্থে নাম প্রকাশ করছি না) শাওমির রেডমি থার্টিন সি ফাইভ জির একটি মডেলের মাধ্যমে এই ছবিটি তোলেন। রিউমর স্ক্যানার বিদ্যানন্দের উক্ত বোর্ড মেম্বারের সাথে কথা বলেছে। তিনি বলছিলেন, “কুকুরটি একটা মাটি কাটার স্কেভেটর গাড়ির উপর দাঁড়িয়েছিল। আমাদের বাম পাশের স্বেচ্ছাসেবকের পেছনে দেখবেন গাড়ির খাড়া অংশ পানির উপরে। গাড়ির হরাইজন্টাল অংশ পানির লেভেলে ছিল।পানি যথেষ্ট ঘোলা এবং স্কেভেটরের রঙ হলুদ হওয়ায় পানির নীচে কিছু একটা আছে সেটা বুঝা যায়না।” বিদ্যানন্দের এই সদস্য জানালেন, “কুকুরটা নিয়ে আসতে চাইলে দূর থেকে এক ব্যক্তি বলেন সেটি পালিত কুকুর।মালিক দূরে কোথাও আছে। আর নীতিগতভাবে এক এলাকার কুকুর আমরা অন্য এলাকায় ট্রান্সফার করিনা। তাই পাশের রাস্তায় রেখে এসেছি।”
অর্থাৎ, ছবিটি সম্পাদিত বা এডিটেড নয়।
তথ্যসূত্র: ছবির মেটাডাটা বিশ্লেষণ।
সময়: ২৪ আগস্ট সকাল ০৯:২০ মিনিট
জিজ্ঞাসা: চলমান বন্যায় কতজন মারা গেছেন?
ফ্যাক্ট: চলমান বন্যা ইস্যুতে মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা নিরূপণ বা স্বাধীনভাবে যাচাই সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে তাই গণমাধ্যম সূত্রে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য নিম্নে তুলে ধরা হলো –
সরকারি হিসাব – ১৩ জন। (২৩ আগস্ট দুপুর)
মূল ধারার সংবাদমাধ্যম
প্রথম আলো – ১৩ জন।
দ্য ডেইলি স্টার – ১৫ জন।
বণিক বার্তা – ১৫ জন।
নিউ এজ – ১৫ জন।
সূত্র: গণমাধ্যম।
৩০/ দাবি: ফেনীতে উদ্ধার কাজ করতে গিয়ে ডুবে মারা গেছে ৩ ছাত্রলীগ নেতা – কালবেলা ফটোকার্ড
ফ্যাক্ট: কালবেলা উদ্ধার কাজে সাহায্য করতে গিয়ে তিন ছাত্রলীগের নিহতের দাবিতে কোনো সংবাদ প্রচার করেনি।
তথ্যসূত্র : রিউমর স্ক্যানারের ফ্যাক্টচেক পোস্ট।
২৯/ দাবি: ফেনীতে বন্যার দৃশ্য।
ফ্যাক্ট: সাম্প্রতিক বন্যার প্রেক্ষাপটে ভাইরাল হলেও, অন্তত গত মে মাস থেকে এই ভিডিওর অস্তিত্ব ইন্টারনেটে পাওয়া যাচ্ছে।
তথ্যসূত্র : রিউমর স্ক্যানারের ফ্যাক্টচেক পোস্ট।
২৮/ দাবি: ছেলেটাকে একা পাওয়া গেছে। কেউ সাথে ছিল না।
ফ্যাক্ট: এই ছবিটি এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে বলে আমাদের বিশ্লেষণে উঠে এসেছে। গতকালই ছবিটির বিষয়ে জানিয়ে পোস্ট করেছি আমরা। সম্প্রতি, এই ছবির ভিত্তিতেই একটি ভিডিও তৈরি করে প্রচার করা হচ্ছে, যেখানে শিশুটিকে হাত নাড়তে দেখা যায়। প্রথমবারের মতো এই ভিডিওটি ‘Kalachan Miya’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে প্রচার করা হয়েছে। উক্ত পেজে এই ভিডিওটি প্রতীকী হিসাবে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে বলে ডিসক্লেইমার দেয়া থাকলেও, অনেকেই ভিডিওটি আসল ভেবে ফেসবুকে শেয়ার করছেন।
তথ্যসূত্র : রিউমর স্ক্যানারের ফ্যাক্টচেক পোস্ট।
২৭/ দাবি: ভারত থেকে বন্যার পানি আসছে।
ফ্যাক্ট: ভিডিওটি দেশের চলমান বন্যা পরিস্থিতির দৃশ্যের নয়। ২০২০ সালে মাদারীপুরের দৃশ্য।
তথ্যসূত্র : রিউমর স্ক্যানারের ফ্যাক্টচেক পোস্ট।
২৬/ দাবি: ফেঞ্চুগঞ্জ ছাত্রলীগ বন্যা কবলিতদের খাবার দিচ্ছে।
ফ্যাক্ট: ২০২২ সালে ফেঞ্চুগঞ্জে বন্যার্তদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণের ছবিকে প্রচার করা হচ্ছে সাম্প্রতিক উদ্যোগ দাবিতে।
তথ্যসূত্র: রিউমর স্ক্যানারের ফ্যাক্টচেক পোস্ট।
২৫/ দাবি: ছাত্রলীগের উদ্যোগে চাঁদপুরের বড় স্টেশনে স্পিডবোড ট্রাকে তোলার দৃশ্য৷
ফ্যাক্ট: এই উদ্যোগে কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের জড়িত থাকার প্রমাণ মেলেনি। ২২ আগস্টও একই ভিডিও পোস্ট হয়েছে ফেসবুকে, সেখানে লেখা রয়েছে এটি তরুণ উদ্যোক্তাদের উদ্যোগ। একই ঘটনা নিয়ে দেশের একাধিক গণমাধ্যমেও সংবাদ এসেছে। সেগুলোতে এই ঘটনাকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্যোগ বলা হয়েছে।
তথ্যসূত্র : রিউমর স্ক্যানারের ফ্যাক্টচেক পোস্ট।
২৪/ দাবি: কুমিল্লার পালপাড়া ব্রিজ এলাকায় গোমতী নদীর পাড়ে বেড়িবাঁধ সংস্কার কাজ করছে দাউদকান্দি ছাত্রলীগ।
ফ্যাক্ট: ছাত্রশিবিরের স্থানীয় কর্মীদের দ্বারা বেড়িবাঁধ সংস্কার কাজের ছবি এগুলো।
তথ্যসূত্র : রিউমর স্ক্যানারের ফ্যাক্টচেক পোস্ট।
২৩/ দাবি: বন্যার পানিতে কুমীর, অল্পের জন্য বেঁচে গেল।
ফ্যাক্ট: এটি বাংলাদেশের ভিডিও নয়৷ ভিডিওটি অন্তত দুই বছর পূর্ব থেকেই ইন্টারনেটে পাওয়া যাচ্ছে।
তথ্যসূত্র : পুরোনো ভিডিও।
২২/ দাবি: ফেনিতে বাচ্চাসহ ৪২৮ জনের মৃত্যু৷ নোয়াখালীতে ৩৮৫ জনের মৃত্যু। কুমিল্লাতে 103জনের মৃত্যু। – যমুনা টিভির ফটোকার্ড।
ফ্যাক্ট: যমুনা টিভি এমন কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি। যমুনা টিভির নামে তৈরি একটি ভুয়া ফেসবুক পেজ থেকে এই ফটোকার্ড প্রচার করা হয়েছে। এছাড়া ফেনীতে ৪২৮ জন, নোয়াখালীতে ৩৮৫ জন ও কুমিল্লায় ১০৩ জন মৃত্যুর সংবাদ অনান্য গণমাধ্যমেও পাওয়া যায়নি।
তথ্যসূত্র: রিউমর স্ক্যানারের ফ্যাক্টচেক পোস্ট।
২১/ দাবি: ছাত্রলীগের ত্রাণ উদ্যোগের দৃশ্য।
ফ্যাক্ট: ছাত্রলীগের ত্রাণ উদ্যোগের দাবিতে ডানের পোস্টে তিনটি ছবি যুক্ত করা হয়েছে। যার প্রথম দুটি প্রচেষ্টা ফাউন্ডেশনের পেজে তাদের গতকালের প্রোগ্রামের ছবি হিসেবে পাওয়া যায় এবং তৃতীয় ছবিটি ঢাবির অমর একুশে হলের সাধারণ শিক্ষার্থীদের।
তথ্যসূত্র : রিউমর স্ক্যানারের ফ্যাক্টচেক পোস্ট।
২০/ দাবি: বন্যায় ফেনী জেলার দৃশ্য।
ফ্যাক্ট: ফেনীর চলমান বন্যার দৃশ্য দাবিতে পাকিস্তানের ২০২২ সালের পুরোনো ভিডিও প্রচার।
তথ্যসূত্র : রিউমর স্ক্যানারের ফ্যাক্টচেক পোস্ট।
১৯/ দাবি: চলমান বন্যায় ছাত্রলীগের খিচুড়ি বিতরণের দৃশ্য।
ফ্যাক্ট: গত ২১ আগস্ট কুমিল্লায় ছাত্রদলের খিচুড়ি বিতরণের ভিডিও এটি।
তথ্যসূত্র : রিউমর স্ক্যানারের ফ্যাক্টচেক পোস্ট।
১৮/ দাবি: চলমান বন্যার প্রেক্ষাপটে শিশু উদ্ধারের দৃশ্য।
ফ্যাক্ট: এটি সাম্প্রতিক বা পূর্বের কোনো বন্যার দৃশ্য নয়। ২০১৭ সালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে নদী বিলাসের অন্যান্য ছবির সঙ্গে এই ছবিটিও অন্তর্ভুক্ত থাকতে দেখা যায়। ছবিটির ফটোগ্রাফার নাসিফ ইমতিয়াজ জানিয়েছেন, এটি মুন্সিগঞ্জের ধলেশ্বরী নদীতে তোলা, যেখানে বাচ্চাটি তার ভাইয়ের সঙ্গে খেলছিল।
তথ্যসূত্র: ফটোগ্রাফারের বক্তব্য।
১৭/ দাবি: শেখ হাসিনার অনুরোধে ভারত বাঁধ খুলে দিয়েছে। – যমুনা টিভির ফটোকার্ড
ফ্যাক্ট: যমুনা টিভি এমন কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি। শেখ হাসিনার অনুরোধে ভারত বাঁধ খুলে দিয়েছে শীর্ষক দাবিতে অন্যান্য গণমাধ্যমেও কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি৷
তথ্যসূত্র : রিউমর স্ক্যানারের ফ্যাক্টচেক পোস্ট।
১৬/ দাবি: বন্যায় ফেনীতে ছাত্রলীগের সহযোগিতার ছবি।
ফ্যাক্ট: গত জুলাইয়ে মৌলভীবাজারে ছাত্রলীগের সহযোগিতার ছবি এগুলো।
তথ্যসূত্র : রিউমর স্ক্যানারের ফ্যাক্টচেক পোস্ট।
১৫/ দাবি: হবিগঞ্জের খোয়াই নদী দিয়ে এই মুহুর্তে প্রচুর পানি আসতে শুরু করেছে।
ফ্যাক্ট: ভিন্ন দেশের পুরোনো ভিডিওকে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।
তথ্যসূত্র : পুরোনো ভিডিও।
১৪/ দাবি: ভারতের ফারাক্কা বাঁধ খুলে দেওয়ার দৃশ্য।
ফ্যাক্ট: এটি ভারতের শ্রীশাইলম বাঁধের ভিডিও, যার সাথে বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতির কোনো সম্পর্ক নেই।
তথ্যসূত্র : পুরোনো ভিডিও।
জরুরি যোগাযোগ ও সহায়তা
প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে সহায়তা
▫️হিসাবের নাম : ‘প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল’
▫️ব্যাংক : সোনালী ব্যাংক কর্পোরেট শাখা, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়
▫️হিসাব নম্বর : ০১০৭৩৩৩০০৪০৯৩
এ তহবিলের অর্থ ত্রাণ ও কল্যাণ কাজে ব্যয় করা হয়। প্রেরিত অর্থ সরকার কৃতজ্ঞতার সাথে গ্রহণ করে এর যথাযথ হিসাব সংরক্ষণ করবে।
বার্তা প্রেরক: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব।
বাংলাদেশ পুলিশ
বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্য যোগাযোগ করুন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ অথবা,
জেলা পুলিশ, নোয়াখালী
+8801320111898
জেলা পুলিশ, লক্ষ্মীপুর
+8801320112898
জেলা পুলিশ, ফেনী
+8801320113898
জেলা পুলিশ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
+880 1320-115898
জেলা পুলিশ, কুমিল্লা
+880 1320-114898
জেলা পুলিশ, চাঁদপুর
+880 13 2011 6898
জেলা পুলিশ, রাঙ্গামাটি
+8801320109898
জেলা পুলিশ, বান্দরবান
+8801320110898
জেলা পুলিশ, খাগড়াছড়ি
+8801320110398
জেলা পুলিশ, চট্টগ্রাম
+8801320108398
জেলা পুলিশ, কক্সবাজার
+8801320109398
জেলা পুলিশ, মৌলভীবাজার
+880 1320-120698
জেলা পুলিশ, হবিগঞ্জ
+880 1320-119698
বার্তা প্রেরক: পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, ঢাকা
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
বন্যার্তদের উদ্ধারে সেনাবাহিনীর জরুরী নম্বর সমূহ
১। মৌলভীবাজার সদর, শ্রীমঙ্গল, রাজনগর, কমলগঞ্জ, মৌলভীবাজার জেলা:
০১৭৬৯১৭৫৬৮০
০১৭৬৯১৭২৪০০
২। কুলাউড়া, জুরি, বড়লেখা, মৌলভীবাজার জেলা :
০১৭৬৩৯০১৬৯৮
৩। হবিগঞ্জ জেলা:
০১৭৬৯১৭২৫৯৬
০১৭৬৯১৭২৬৩৪
৪। ফেনী জেলা:
০১৭৬৯৩৩৫৪৬১
০১৭৬৯৩৩৫৪৩৪
০১৬১৪৪০৯৫৬৫
০১৯১৯৭৭৪৮৪০
টেলিফোন: ০২৩৩৭৭৩৪১১০
৫। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন: ০১৭৬৯-২৪৪০১২
৬। সীতাকুন্ড-মীরসরাই, চট্টগ্রাম জেলা:
০১৭২৮-২০২৬৭৭ ০১৭৬৯-২৪২১৩২ ০১৭৬৯-২৪২১২৮
৭। ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম জেলা: ০১৭৬৯-২৭২৩৪২ ০১৭৬৯-২৭২৩৩৬
৮। খাগড়াছড়ি জেলা: ০১৭৬৯-৩০২৩৪২ ০১৭৬৯-৩০২৩৩৬
বার্তা প্রেরক : বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
বাংলাদেশ নৌবাহিনী
বন্যার্তদের সহায়তায় ফেনীতে নৌবাহিনী কনটিজেন্টের গুরুত্বপূর্ণ ফোন নাম্বার সমূহঃ
১. ঢাকাস্থ কেন্দ্রীয় অপারেশন রুম অফিসারঃ ০১৭৬৯৭০১১১১
২. চট্টগ্রামস্থ কেন্দ্রীয় অপারেশন রুম অফিসারঃ ০১৭৬৯৭২১২২০
বন্যার্তদের সাহায্যের জন্য বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষের কাছে উদাত্ত আহবান জানাচ্ছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। আপনাদের যে কোন রকমের সহযোগিতা (অর্থ, খাদ্য, চিকিৎসা) সংগ্রহ করে বন্যার্তদের নিকট পৌঁছে দেয়া হবে। বন্যার্তদের নিকট খাদ্য সামগ্রী প্রেরণের জন্য যানবাহন সহায়তা দিতেও প্রস্তুত বাংলাদেশ নৌবাহিনী। বাংলাদেশ নৌবাহিনী পরিবার কল্যাণ সংঘের নিম্নোক্ত ব্যাংক হিসেবে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
Account Number: 01214-02000279
Account Name:
BNFWA Donation Fund.
Sonali Bank PLC, NHQ Branch, Banani, Dhaka.
Branch Routing Number: 200263434
বার্তা প্রেরক: বাংলাদেশ নৌবাহিনী
বাংলাদেশ বিমানবাহিনী
বন্যাদুর্গতদের উদ্ধারকার্য পরিচালনার জন্য এবং দুর্গত এলাকাসমূহে প্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেয়ার জন্য বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বিমানসমূহ প্রস্তুত রয়েছে। উল্লেখ্য, বৈরী আবহাওয়ার কারণে উদ্ধারকার্য ব্যহত হচ্ছে।
সহায়তার জন্য জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগের নম্বর: +8801769993888।
বার্তা প্রেরক: বাংলাদেশ বিমানবাহিনী
ফায়ার সার্ভিস
সারা দেশের বন্যা কবলিত এলাকার উদ্ধারকাজ বিষয়ে যেকোনো সেবা গ্রহণের জন্য ফায়ার সার্ভিসের হটলাইন নম্বর ১০২ এবং কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের নিয়মিত ফোন নম্বর ০২২২৩৩৫৫৫৫৫ চালু থাকবে। পাশাপাশি মনিটরিং সেলে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য ০১৭১৩-০৩৮১৮১ মোবাইল নম্বর ব্যবহার করা যাবে। এর পাশাপাশি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করেও ফায়ার সার্ভিসের এ সংক্রান্ত সেবা গ্রহণ করা যাবে।
বার্তা প্রেরক : ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেল।
সময়: ২৩ আগস্ট সকাল ০৯:২০ মিনিট
জিজ্ঞাসা: চলমান বন্যায় কতজন মারা গেছেন?
ফ্যাক্ট: চলমান বন্যা ইস্যুতে মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা নিরূপণ বা স্বাধীনভাবে যাচাই সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে তাই গণমাধ্যম সূত্রে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য নিম্নে তুলে ধরা হলো –
সরকারি হিসাব – ০২। একজন ফেনীর, আরেকজন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার। (২২ আগস্ট দুপুর)
মূল ধারার সংবাদমাধ্যম
প্রথম আলো – ০৮ জন, বন্যার পানিতে ডুবে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে। এর মধ্যে কুমিল্লায় চারজন, কক্সবাজারে দুজন, ফেনীতে একজন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজন মারা গেছেন।
দ্য ডেইলি স্টার – ০৫ জন। কক্সবাজারের রামুতে তিনজন এবং ফেনী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজন করে ডুবে মারা গেছেন।
বণিক বার্তা – ০৯ জন৷ ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কক্সবাজার, কুমিল্লা ও রাঙ্গামাটিতে।
নিউ এজ – ০৭ জন।
সূত্র: গণমাধ্যম।
১৩/ দাবি: ফেনীতে সাম্প্রতিক বন্যার দৃশ্য।
ফ্যাক্ট: এটি গত জুলাই মাসে চীনে অতিবৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যার ভিডিও।
তথ্যসূত্র : রিউমর স্ক্যানারের ফ্যাক্টচেক।
১২/ দাবি: সাম্প্রতিক বন্যায় ঢাকার নিউ মার্কেটের ভেতরে জলাবদ্ধতা।
ফ্যাক্ট: এটি গত জুলাইয়ে ঢাকার নিউ মার্কেটে বৃষ্টিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতার দৃশ্য।
তথ্যসূত্র : রিউমর স্ক্যানারের ফ্যাক্টচেক।
১১/ দাবি: ফেনী জেলায় বন্যার পানি প্রবেশের দৃশ্য।
ফ্যাক্ট: ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের বন্যার দৃশ্য।
তথ্যসূত্র : রিউমর স্ক্যানারের ফ্যাক্টচেক।
১০/ দাবি: বন্যার পানিতে মহিষের পাল ভাসার দৃশ্যটি সাম্প্রতিক সময়ের।
ফ্যাক্ট: সাম্প্রতিক বন্যার নয়। ভিডিওটি অন্তত গত মে মাস থেকেই ইন্টারনেটে রয়েছে।
তথ্যসূত্র : রিউমর স্ক্যানারের ফ্যাক্টচেক।
৯/ দাবি: সাম্প্রতিক বন্যার পানি থেকে বাঁচতে কয়েকজন শিশু একটি নারিকেল গাছে আশ্রয় নিয়েছে।
ফ্যাক্ট: ভিডিওটি সাম্প্রতিক বন্যার নয় বরং অন্তত ২০২২ সাল থেকেই এই ভিডিওটির অস্তিত্ব ইন্টারনেটে রয়েছে।
তথ্যসূত্র : রিউমর স্ক্যানারের ফ্যাক্টচেক।
৮/ দাবি: বন্যা কবলিত এলাকায় ট্রাক উল্টে যাওয়ার দৃশ্য।
ফ্যাক্ট: ২০২২ সালের সিলেটের সুনামগঞ্জের বন্যার সময়কার ছবি এটি।
তথ্যসূত্র : রিউমর স্ক্যানারের ফ্যাক্টচেক।
৭/ দাবি: বাংলাদেশে বন্যার দৃশ্য
ফ্যাক্ট: এটি পাকিস্তানের করাচিতে অবস্থিত কালারি হ্রদের দৃশ্য।
তথ্যসূত্র : রিউমর স্ক্যানারের ফ্যাক্টচেক।
৬/ দাবি: বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক বন্যার্তদের উদ্ধারের ছবি।
ফ্যাক্ট: প্রচারিত ছবিগুলোর অন্তত তিনটি ছবি সাম্প্রতিক সময়ের নয়। প্রকৃতপক্ষে, উক্ত ছবিগুলোর একটি ২০১৮ সালে মৌলভিবাজারে এবং একটি ২০২২ সালে সুনামগঞ্জে তোলা হয়। এছাড়াও আরেকটি ছবি ২০২২ সাল থেকেই ইন্টারনেটে বিদ্যমান রয়েছে।
তথ্যসূত্র : রিউমর স্ক্যানারের ফ্যাক্টচেক।
৫/ দাবি: নোয়াখালীতে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার দৃশ্য।
ফ্যাক্ট: ছবিগুলো নোয়াখালীর বন্যা পরিস্থিতি কিংবা সাম্প্রতিক সময়ের নয় বরং সিলেট ও ভারতের আসামের পুরোনো দুটি ছবি উক্ত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।
তথ্যসূত্র : রিউমর স্ক্যানারের ফ্যাক্টচেক।
৪/ দাবি: শিশুকে নিয়ে যুবকের বন্যার পানিতে ভেসে থাকার ভিডিও।
ফ্যাক্ট: ভিডিওটি পুরোনো যা গত মে মাস থেকে ইন্টারনেটে পাওয়া যাচ্ছে।
তথ্যসূত্র : রিউমর স্ক্যানারের ফ্যাক্টচেক।
৩/ দাবি: ফেনীতে বন্যার পানিতে গরু ভেসে যাওয়ার দৃশ্য
ফ্যাক্ট: এটি মেক্সিকোর ২০২০ সালের পুরোনো ভিডিও।
তথ্যসূত্র : রিউমর স্ক্যানারের ফ্যাক্টচেক।
২/ দাবি: বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বন্যার ছবি।
ফ্যাক্ট: প্রথম ছবিটি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের চলমান বন্যার, এবং দ্বিতীয় ছবিটি ২০১১ সালে ভারতের ওড়িশা রাজ্যে সংঘটিত বন্যার দৃশ্য।
তথ্যসূত্র : রিউমর স্ক্যানারের ফ্যাক্টচেক।
১/ জিজ্ঞাসা: ছবিটি কি এআই দিয়ে তৈরি?
ফ্যাক্ট: রিউমর স্ক্যানারের বিশ্লেষণে ভাইরাল ছবিটি এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা বলে প্রতীয়মান হয়েছে। তবে বন্যার বাস্তব দৃশ্য প্রকৃতপক্ষে আরো করুণ।
আলোর প্রতিফলন, শিশুটির চোখের অভিব্যক্তি, কপালের ভাঁজ ও ঠোঁটের অস্বাভাবিকতা ইত্যাদি অসংগতি অনুযায়ী আপাতদৃষ্টিতে অনেকেই ভাইরাল ছবিটিকে এআই জেনারেটেড বলেই ধারণা করেছেন। তাছাড়া, এআই ছবি যাচাইয়ের বিভিন্ন ওয়েবসাইটও ছবিটিকে ৬০% থেকে ৯১% পর্যন্ত এআই বলে ফলাফল দিয়েছে।
রিউমর স্ক্যানার টিম MidJourney AI ব্যবহার করে এই একই ধরনের ছবি পুনরায় তৈরি করার চেষ্টায়ও প্রায় একই ফলাফল পাওয়া গেছে।
তথ্যসূত্র : রিউমর স্ক্যানারের বিশ্লেষণ