Home Blog Page 2

কথিত কূটনীতিকের বাসায় সময় কাটাতে যাচ্ছেন সামান্তা শারমিন দাবিতে ভিন্ন ঘটনার ভিডিও প্রচার

সম্প্রতি, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিনকে জড়িয়ে “এই সামান্তাদের বাসায় বাসায় পাঠাইয়া নেতাদের মন জয় করতেছে,, গতকাল রাত্রে ১ কূটনীতিকের বাসায় সময় কাটাতে যাচ্ছে সামান্তা।” শীর্ষক ক্যাপশনে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকের ভিডিও দেখুন এখানে।  

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ‘কথিত কূটনীতিকের বাসায় সময় কাটাতে যাচ্ছেন সামান্তা শারমিন’ শীর্ষক ক্যাপশনসহ প্রচারিত ভিডিওর দাবিটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে, ২২ অক্টোবর প্রধান উপদেষ্টার সাথে বৈঠক করতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সামান্তা শারমিনের প্রবেশের দৃশ্য এটি।   

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে মূল ধারার গণমাধ্যম বাংলা ট্রিবিউনের ফেসবুক পেজে ২২ অক্টোবর প্রচারিত একটি ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর মিল পাওয়া যায়। আলোচিত ভিডিও থেকে জানা যায়, এটি প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন হিসেবে পরিচিত রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনের দৃশ্য। ভিডিওতে সামান্তা শারমিনকে প্রথম ফোন হাতে পায়চারি করতে দেখা যায়। পরবর্তীতে দেখা যায়, একটি গাড়িতে করে তিনি যমুনার ভেতর প্রবেশ করছেন।

Comparison: Rumor Scanner

একাধিক গণমাধ্যমের (, )  ভিডিওতে সামান্তার একই স্থানের ফুটেজ পাওয়া যাচ্ছে।

অর্থাৎ, এটি যে কোনো কূটনীতিকের বাসা নয় তা নিশ্চিত।  

জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোর এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২২ অক্টোবর বুধবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে দলটির একটি প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। বৈঠকে এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ এবং উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম অংশ নেন। 

সুতরাং, কথিত কূটনীতিকের বাসায় সময় কাটাতে যাচ্ছেন সামান্তা শারমিন দাবিতে ভিন্ন ঘটনার ভিডিও প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

‘সেনা কর্মকর্তাদের নিঃশর্ত মুক্তি চায় জামায়াতে ইসলামী’ শীর্ষক মন্তব্য করেননি জামায়াত নেতা তাহের, প্রথম আলোর নামে ভুয়া ফটোকার্ড প্রচার

0

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলের গুম-নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের দুটি মামলায় এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা একটি মামলায় মোট ২৫ জন সাবেক-বর্তমান সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ৮ অক্টোবর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। সেদিনই এই তিন মামলায় ট্রাইব্যুনালে ফরমাল চার্জ বা আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেছিল প্রসিকিউশন। ১১ অক্টোবর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১৫ জন কর্মকর্তাকে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন কর্মকর্তা অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে (এলপিআর) আছেন। ১২ অক্টোবর ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবনকে সাময়িকভাবে কারাগার ঘোষণা করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে। গত ২২ অক্টোবর মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিন মামলার আসামি ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে ঢাকা সেনানিবাসের সাবজেলে নেওয়া হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে গত ২২ অক্টোবর থেকে, “সেনা কর্মকর্তাদের নিঃশর্ত মুক্তি চায় জামায়াতে ইসলামী” শীর্ষক মন্তব্য জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের করেছেন দাবিতে জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোর ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

এরূপ দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ‘সেনা কর্মকর্তাদের নিঃশর্ত মুক্তি চায় জামায়াতে ইসলামী’ শীর্ষক উক্ত মন্তব্য করেননি জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের এবং প্রথম আলোও এমন কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রকাশ করেনি। প্রকৃতপক্ষে, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় প্রথম আলো’র ফটোকার্ড ডিজাইনের আদলে ফটোকার্ড তৈরি করে ভুয়া এই দাবিটি প্রচার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত ফটোকার্ডে প্রথম আলো’র লোগো ও তারিখ হিসেবে ২২ অক্টোবর, ২০২৫ উল্লেখ থাকার সূত্রে সংবাদমাধ্যমটির ওয়েবসাইট এবং ফেসবুক পেজ পর্যবেক্ষণ করলে সাম্প্রতিক সময়ে উক্ত তথ্য সংবলিত কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি। সংবাদমাধ্যমটির ওয়েবসাইটেও উক্ত দাবির বিষয়ে কোনো প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়নি।

পাশাপাশি অন্য গণমাধ্যম এবং বিশ্বস্ত সূত্রগুলোর বরাতেও জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহেরের উক্ত মন্তব্য সম্বলিত কোনো তথ্য বা সংবাদ পাওয়া যায়নি৷

অনুসন্ধানে প্রথম আলো’র ফেসবুক পেজে এ বিষয়ে গত ২২ অক্টোবরে প্রচারিত একটি পোস্ট পাওয়া যায়। আলোচিত ফটোকার্ডটির বিষয়ে পোস্টে বলা হয়, ‘প্রথম আলোর নামে ছড়ানো এই তথ্য ও কার্ডটি ভুয়া। আমাদের প্রকাশিত নয়।’

Image: Rumor Scanner

সুতরাং, “সেনা কর্মকর্তাদের নিঃশর্ত মুক্তি চায় জামায়াতে ইসলামী : তাহের” শীর্ষক দাবিতে প্রথম আলো’র নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি ভুয়া।

তথ্যসূত্র

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে কুপিয়ে হত্যার গুজব 

সম্প্রতি, ‘বিএনপি নেতা ফখরুলকে কুপিয়ে হত্যা’ দাবিতে একটি ভিডিও ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকে প্রচার হতে দেখা যায়। 

টিকটকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

টিকটকে প্রচারিত ভিডিওটি ৮০ হাজার ৭৭১ ভিউ হয়েছে। এছাড়া পোস্টটিতে ১৫৪৮ জন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, ২০ টি মন্তব্য করা হয়েছে এবং ভিডিওটি ১১৫ বার শেয়ার করা হয়েছে। 

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কুপিয়ে হত্যার দাবিটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে, কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র ছাড়াই এবং ভিন্ন ঘটনার সংবাদের ভিত্তিতে চ্যানেল২৪ এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত পাঁচটি প্রতিবেদন পাঠের মাধ্যমে একটি ভিডিও তৈরি করে এই ভুয়া দাবি প্রচার করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, একজন উপস্থাপক কয়েকটি সংবাদ পাঠ করছেন। পাঠিত সংবাদের সূত্রে অনুসন্ধানে, সবগুলো প্রতিবেদন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল২৪ এর ওয়েবসাইটে পাওয়া গেছে।

শুরুতে ‘জবি ছাত্রদল নেতা জুবায়েদের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার’ শিরোনামের একটি প্রতিবেদন পাঠ করা হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে পাঠ করা হয় ‘জামায়াতের পিআর পদ্ধতির আন্দোলন পরিকল্পিত রাজনৈতিক প্রতারণা: নাহিদ’, ‘অসংখ্য মূল্যবান স্যাম্পল পণ্য সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে: বিজিএমইএ’, ‘আগুন লাগার ৩০ সেকেন্ডেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিমানবন্দরের ফায়ার ইউনিট’ এবং সর্বশেষ ‘চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্যবাহী গাড়ির বাড়তি মাশুল স্থগিত’ শিরোনামের প্রতিবেদন। 

তবে, কোথাও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কুপিয়ে হত্যা সংক্রান্ত কোনো সংবাদ বা তথ্য উপস্থাপন করতে শোনা যায়নি।

পাশাপাশি, প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে গণমাধ্যমেও এসংক্রান্ত কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

সুতরাং, ‘বিএনপি নেতা ফখরুলকে কুপিয়ে হত্যা’ শীর্ষক দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র 

উত্তরায় আওয়ামী লীগের মিছিল দাবিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিক্ষোভ মিছিলের পুরোনো ভিডিও প্রচার 

চলতি মাসের (অক্টোবর, ২০২৫) প্রথম সপ্তাহে রাজধানী ঢাকার উত্তরায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের মিছিল দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন: এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে। 

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি আওয়ামী লীগের সাম্প্রতিক সময়ের কোনো মিছিলের নয়। প্রকৃতপক্ষে, এটি গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বরে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একটি সমাবেশের ভিডিও। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ‘Bithi Nath’ নামক একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ২০২৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বর “জেগে জেগেছে সনাতনী জেগেছে। জয় শ্রী রাম, আজকে মশাল মিছিল” শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওতে থাকা দৃশ্যের সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর দৃশ্যের মিল রয়েছে। এছাড়া, ভিডিওটির ক্যাপশনেও দাবি করা হয়, এটি সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের মশাল মিছিলের দৃশ্য। 

Video Comparison by Rumor Scanner 

তবে, উক্ত ভিডিওর দৃশ্যের সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর দৃশ্যের মিল থাকলেও অডিওতে তফাৎ দেখতে পাওয়া যায়। মূল ভিডিওতে ‘সনাতনীদের অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘আমার মন্দিরে হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘আদিবাসীদের অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘জয় শ্রীরাম’ ইত্যাদি স্লোগান শোনা গেলেও আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওতে “দেখতে পাচ্ছি যে, হঠাৎ করে আওয়ামীলীগ মাঠে অবস্থান করছে” শীর্ষক অডিও শোনা যাচ্ছে। 

অর্থাৎ, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মিছিলের ভিডিওর অডিও পরিবর্তন করেই আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে। 

পাশাপাশি, ‘Rudro Nirmol Paul’ নামক আরেকটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একই তারিখে অর্থাৎ ২০২৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত একই ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়। এই ভিডিওটির ক্যাপশনেও এটিকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতিবাদ মিছিল বলে দাবি করা হয় এবং স্থান হিসেবে ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার উল্লেখ করা হয়। 

পরবর্তীতে উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে বাংলা ট্রিবিউনের ওয়েবসাইটে ২০২৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বরে “৮ দফা দাবিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মশাল মিছিল” শিরোনামে আলোচ্য বিষয়ে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

Screenshot from Bangla Tribune website 

প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, ২০২৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় দুর্গাপূজার ছুটি বৃদ্ধি ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় জড়িতদের বিচারসহ ৮ দফা দাবিতে মশাল মিছিল করেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। মশাল মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে রাজু ভাস্কর্য-টিএসসির মেট্রোরেল স্টেশন হয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংলগ্ন রমনা কালী মন্দিরে গিয়ে শেষ হয়। 

অর্থাৎ, সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানী ঢাকার উত্তরায় আওয়ামী লীগের মিছিল দাবিতে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একটি মিছিলের ভিডিওর অডিও পরিবর্তন করে প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পাদিত। 

তথ্যসূত্র 

দিল্লির উদ্দেশ্যে পুতুলের এয়ারপোর্টে রওনার দৃশ্য দাবিতে ট্রাভেল ভ্লগ ভিডিও প্রচার

সম্প্রতি, “দীর্ঘ পাঁচ ঘন্টা যাবৎ কলকাতায় আওয়ামীলীগের উচ্চপদস্থ নেতাদের সাথে গুরুত্বপূর্ণ মিটিং শেষে দিল্লির উদ্দেশ্যে এয়ারপোর্টে রওনা হচ্ছেন আওয়ামী লীগের বর্তমান প্রাণ  ভোমরা.. সায়মা ওয়াজেদ পুতুল” শীর্ষক ক্যাপশনে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকের ভিডিও দেখুন এখানে, এখানে।  

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওর সাথে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের কোনো সম্পর্ক নেই। প্রকৃতপক্ষে, ২০ অক্টোবর ভারতীয় একজন ভ্লগার তার ইউটিউব চ্যানেলে কলকাতার রাতের দৃশ্যের একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। উক্ত ভিডিওর কিছু অংশকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।   

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে Rudranil Bhaumik নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে ২০ অক্টোবর প্রচারিত একটি ভিডিওর ৮ মিনিট ৪০ সেকেন্ড সময় থেকে ৯ মিনিট ৪৫ সেকেন্ড সময়ের দৃশ্যের সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর মিল পাওয়া যায়।  

Comparison: Rumor Scanner

রূদ্রনীল ভৌমিক একজন ভ্লগার। কালকাতার এই তরুণ তার এই ভিডিওতে দিওয়ালির সময় কলকাতার রাতের দৃশ্য দেখিয়েছেন। ভিডিওটির লিংক তিনি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলেও শেয়ার করেছেন৷  

অর্থাৎ, এই ভিডিওর সাথে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের কোনো সম্পর্ক নেই। 

সুতরাং, দিল্লির উদ্দেশ্যে পুতুলের এয়ারপোর্টে রওনার দৃশ্য দাবিতে ট্রাভেল ভ্লগ ভিডিও প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

ঢাকায় যুব মহিলা লীগের সাম্প্রতিক মিছিল দাবিতে পুরোনো ভিডিও প্রচার 

গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ‘এই মুহূর্তে ১২/১০/২৫ সময় ১০/৪৪ মিনিট রাতের ঢাকার রাজপথে এই মুহূর্তে ঢাকায় মহিলা লীগের মিছিল।’ ক্যাপশনে একটি মিছিলের ভিডিও ইন্টারনেটে বিভিন্ন প্লাটফর্মে প্রচার করা হয়েছে। 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং  এখানে (আর্কাইভ)৷

ইন্সটাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ঢাকায় বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের মিছিল দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় এবং এটি ঢাকায় অনুষ্ঠিত কোনো মিছিলেরও নয়। প্রকৃতপক্ষে, ২০২৩ সালে ফরিদপুরে আয়োজিত ফরিদপুর জেলা যুব মহিলা লীগের মিছিলকে সাম্প্রতিক মিছিল দাবিতে প্রচার করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে S.m Tusher Ahamed নামক ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৩ সালের ০২ জুলাই ‘যুব মহিলা লীগের আনন্দ মিছিল (Jubo mohilalig er annodo missil)’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত ভিডিওটির সাদৃশ্য রয়েছে। 

Comparison: Rumor Scanner 

উক্ত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এটির ০০:৫৯ থেকে ০১:২৫ সেকেন্ড পর্যন্ত অংশটি আলোচিত ভিডিওতে ব্যবহার করা হয়েছে। 

ভিডিওটির বিস্তারিত বিবরণী থেকে জানা যায়, এটি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার পর ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, শ্রমিকলীগ, ফরিদপুর জেলা যুব মহিলা লীগের ফরিদপুরে আয়োজিত আনন্দ মিছিলের দৃশ্য। 

পরবর্তীতে, ফরিদপুর জেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক রুখসানা আহমেদ মেহেবীর ফেসবুক প্রোফাইলে ২০২৩ সালের ০১ জুন প্রকাশিত পোস্টে সংযুক্ত ছবি ও ক্যাপশন থেকেও একই তথ্য পাওয়া যায়। 

সুতরাং, সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকায় বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের মিছিলের ভিডিও দাবিতে ২০২৩ সালের ফরিদপুরে যুব মহিলা লীগের মিছিলের ভিডিও প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

কুমিল্লা নামে বিভাগ প্রসঙ্গে সারজিস আলমকে জড়িয়ে একাত্তর টিভির নামে সম্পাদিত ফটোকার্ড প্রচার

0

কুমিল্লাকে বিভাগ বাস্তবায়নের দাবি নানাসময়ে চলে আসছে, যা সম্প্রতি আবারও গতি পেয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে সম্প্রতি, “এবার কুমিল্লাকে বিভাগ বাস্তবায়ন করার দাবী জানালেন সমন্নয়ক সারজিস আলম। একাত্তরকে সারজিস আলম” শীর্ষক শিরোনামে মূলধারার সংবাদমাধ্যম একাত্তর টিভির ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। 

এরূপ দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

এরূপ দাবিতে ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, “এবার কুমিল্লাকে বিভাগ বাস্তবায়ন করার দাবী জানালেন সমন্নয়ক সারজিস আলম। একাত্তরকে সারজিস আলম” শীর্ষক তথ্যে বা শিরোনামে একাত্তর টিভি কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রকাশ করেনি বরং, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় একাত্তর টিভির ভিন্ন একটি ফটোকার্ড সম্পাদনার মাধ্যমে এই ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া, সারজিস আলমও সম্প্রতি এরূপ কোনো প্রকাশ্য মন্তব্য করেননি।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এতে একাত্তর টিভির লোগো এবং ফটোকার্ডটি প্রচারের তারিখ হিসেবে ২০ অক্টোবর উল্লেখ রয়েছে। 

একাত্তর টিভির লোগোর সূত্র ধরে একাত্তর টিভির ফেসবুক পেজে প্রচারিত ফটোকার্ডগুলো পর্যবেক্ষণ করে উক্ত শিরোনাম সম্বলিত কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়াও একাত্তর টিভির ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো গণমাধ্যমেও উক্ত দাবির বিষয়ে কোনো সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

তবে, গত ২০ অক্টোবরে “প্রয়োজনে ৬৪ জেলায় এনসিপির শাপলার জন্যে রাজপথে নামবে ছাত্র জনতা | একাত্তরকে সারজিস আলম” শীর্ষক শিরোনামে একাত্তর টিভির ফেসবুক পেজে প্রচারিত একটি ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়। ফটোকার্ডটি পর্যালোচনা করে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ফটোকার্ডের ছবি ও গ্রাফিক্যাল ডিজাইনের সাথে এর সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়। তবে আলোচিত ফটোকার্ডটিতে ‘প্রয়োজনে ৬৪ জেলায় এনসিপির শাপলার জন্যে রাজপথে নামবে ছাত্র জনতা’ শীর্ষক বাক্যের পরিবর্তে ‘এবার কুমিল্লাকে বিভাগ বাস্তবায়ন করার দাবী জানালেন সমন্নয়ক সারজিস আলম’ শীর্ষক বাক্য লেখা হয়েছে। এছাড়া, ফন্টেও অমিল রয়েছে এবং সারজিস আলমের ছবির ডানপাশে নিচের কোণায় কুমিল্লা লেখা সম্বলিত একটি ছবি সংযুক্ত করা হয়েছে।

Photocard Comparison by Rumor Scanner 

অর্থাৎ, একাত্তর টিভির এই ফটোকার্ডটি সম্পাদনা করেই আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে। 

উল্লেখ্য, এনসিপি তাদের দলীয় প্রতীক হিসেবে অনেকদিন ধরেই শাপলা প্রতীক চেয়ে আসছে কিন্তু এখন পর্যন্ত শাপলা প্রতীক এনসিপিকে বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।

পাশাপাশি, প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করলে মূলধারার গণমাধ্যম বা নির্ভরযোগ্য সূত্রে সম্প্রতি সারজিস আলমের পক্ষ থেকে কুমিল্লাকে বিভাগ বানানোর দাবি উত্থাপনের কোনো প্রত্যক্ষ প্রমাণ বা আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। 

সুতরাং, “এবার কুমিল্লাকে বিভাগ বাস্তবায়ন করার দাবী জানালেন সমন্নয়ক সারজিস আলম। একাত্তরকে সারজিস আলম” শীর্ষক দাবিতে একাত্তর টিভির নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি সম্পাদিত। 

তথ্যসূত্র 

পুলিশের ছয় দফা দাবিতে এআই দিয়ে তৈরি ভিডিও প্রচার

0

সম্প্রতি, পুলিশের পক্ষ থেকে ৬ দফা দাবির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। ভিডিওটিতে এক ব্যক্তিকে পুলিশ সদস্য পরিচয়ে বলতে শোনা যায়-

‘পুলিশের পক্ষ থেকে ৬ দাবি:

১. সরকারি হাসপাতালে সপ্তাহে একবার চিরুনি অভিযান চালাতে হবে,
২. অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে,
৩. স্কুল-কলেজের শিক্ষকরা ঠিকমতো পড়াচ্ছেন কি না, তা পুলিশের তত্ত্বাবধানে দিতে হবে,
৪. বাজার সিন্ডিকেট ভেঙে দেয়ার কাজ সেনাবাহিনীকে দিতে হবে,
৫. এক টাকা ঘুষ খেলেও বরখাস্ত করতে হবে,
৬. রাস্তাঘাটের টেন্ডার সেনাবাহিনীর হাতে থাকবে।

দাবিগুলো বেশি বেশি ছড়িয়ে দিন, বাস্তবায়নে সাহায্য করুন।’

উক্ত দাবিতে টিকটকে প্রচারিত ভিডিওটি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

উক্ত প্রতিবেদন প্রকাশ অবধি ভিডিওটি ২ কোটি ২ লক্ষবার দেখা হয়েছে। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আলোচিত ভিডিওটি আসল নয়। প্রকৃতপক্ষে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভুয়া এই ভিডিও তৈরি করা হয়েছে।

এই বিষয়ে অনুসন্ধানে বিশ্বস্ত কোনো সূত্র বা গণমাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে ছয় দফা দাবির বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। বরং, প্রচারিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করলে এতে থাকা ব্যক্তিদের মুখাবয়বের অস্বাভাবিকতা পরিলক্ষিত হয়, যা সাধারণত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি কনটেন্টে দেখা যায়। 

বিষয়টি আরও নিশ্চিত হতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহায়তায় তৈরি কনটেন্ট শনাক্তকারী টুল ‘ডিপফেক-ও-মিটার’ এর ‘AVSRDD (2025)’ মডেলের মাধ্যমে ভিডিওটি পরীক্ষা করে রিউমর স্ক্যানার। মডেলটির বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভিডিওটি এআই দিয়ে তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ১০০ শতাংশ।

Screenshot: DeepFake-o-meter

সুতরাং, এআই দিয়ে তৈরি ভিডিওকে পুলিশের ছয় দফা ঘোষণার দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।  

তথ্যসূত্র 

কলকাতায় নেতাদের সাথে মিটিং করতে হেলিকপ্টারে আসছেন পুতুল দাবিতে ভিন্ন ঘটনার ভিডিও প্রচার

সম্প্রতি, “গুরুত্বপূর্ণ মিটিং করতে বিশেষ হেলিকপ্টার কলকাতায় আসছেন সায়মা ওয়াজের পুতুল” শীর্ষক ক্যাপশনে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকের ভিডিও দেখুন এখানে, এখানে, এখানে।  

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওতে পুতুল থাকার দাবিটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে, ২২ অক্টোবর ভারতের রাষ্ট্রপতিকে বহনকারী হেলিকপ্টার হেলিপ্যাডে দেবে যাওয়ার দৃশ্য এটি।   

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনালের (এএনআই) ইউটিউব চ্যানেলে ২২ অক্টোবর প্রচারিত একটি ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর মিল পাওয়া যায়।  

Comparison: Rumor Scanner

সংবাদ সংস্থাটির ভিডিও প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ভারতের রাষ্ট্রপতিকে বহনকারী হেলিকপ্টার হেলিপ্যাডে দেবে যাওয়ার দৃশ্য এটি। 

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত  প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে বহনকারী হেলিকপ্টার ২২ অক্টোবর কেরালা রাজ্যের প্রামাদম স্টেডিয়ামে অবতরণের পর হেলিপ্যাডের একটি অংশ দেবে যায়। এমন পরিস্থিতিতে হেলিকপ্টারটি দেবে যাওয়া ওই অংশে আটকে পড়ে। কেরালায় চার দিনের সরকারি সফরের দ্বিতীয় দিনে আজ এমন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে পড়েন মুর্মু। ভিডিওটি সেসময়েরই।  

সুতরাং, কলকাতায় নেতাদের সাথে মিটিং করতে হেলিকপ্টারে আসছেন পুতুল দাবিতে ভিন্ন ঘটনার ভিডিও প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

নোয়াখালীতে আ.লীগের সমর্থনে মিছিল দাবিতে বিএনপির মিছিলের ভিডিও প্রচার

গত ১২ অক্টোবর  আওয়ামী লীগের সমর্থনে নোয়াখালীতে বিশাল মিছিল হয়েছে দাবিতে ‘জয় বাংলা’ নামের একটি টিকটক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। ভিডিওটিতে মিছিলে সমবেতদের “কে বলেছে মুজিব নাই, মুজিব সারা বাংলায়। শেখ হাসিনা সরকার বারবার দরকার” এ ধরনের স্লোগান দিতে শোনা যায়।

টিকটকে প্রচারিত এমন ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। টিকটকে ভিডিওটি দেখা হয়েছে প্রায় ১ লক্ষ ৩৩ হাজার বার।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, গত ১২ অক্টোবর নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগের সমর্থনে কোনো মিছিল হয়নি। প্রকৃতপক্ষে, গত ১৪ জুলাই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের প্রতিবাদ এবং মিটফোর্ড হাসপাতালে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের শাস্তির দাবিতে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি’র উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলের ভিডিওকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে। 

আলোচিত দাবিটির বিষয়ে অনুসন্ধানে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে গণমাধ্যম কিংবা অন্য কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে গত ১২ অক্টোবর নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগের সমর্থনে মিছিল অনুষ্ঠিত হওয়ার তথ্য পাওয়া যায়নি।

পরবর্তীতে ভিডিওটির কয়েকটি কি-ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে MD Al-amin Mahin নামের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের একজন নেতার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গত ১৪ জুলাই একই বিক্ষোভ মিছিলের ভিডিওটি প্রচারিত হতে দেখা যায়।

Video Comparison by Rumor Scanner 

ভিডিওটির শিরোনামে থেকে জানা যায়, উক্ত বিক্ষোভ মিছিলটি আওয়ামী লীগের নয় বরং, বিএনপির। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের প্রতিবাদ এবং মিটফোর্ড হাসপাতালে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের শাস্তির দাবিতে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি’র উদ্যোগে উক্ত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ আয়োজিত হয়। মিছিলটিতে “একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার,  জামায়াত-শিবির রাজাকার এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়” এ ধরনের স্লোগান শোনা যায়। অর্থাৎ, টিকটকে প্রচারিত ভিডিওটিতে সম্পাদনার মাধ্যমে ভিন্ন অডিও সংযোজন করা হয়েছে।

এছাড়া মাহিনের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট পর্যালোচনার মাধ্যমে গত ১৪ জুলাই প্রচারিত একই মিছিলের একাধিক ছবি সম্বলিত একটি পোস্টের সন্ধানও পাওয়া যায়।

Screenshot: Facebook 

পরবর্তীতে যুবদলের ফেসবুক পেজেও একই বিক্ষোভ মিছিলের ড্রোনের সহায়তায় ধারণ করা একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। ভিডিওটির শিরোনাম থেকে জানা যায়, উক্ত বিক্ষোভ মিছিলটি গত ১৪ জুলাই রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকায় অনুষ্ঠিত হয়। 

Screenshot: Facebook 

গুগলম্যাপের সহায়তায় জিওলোকেশন বিশ্লেষণের মাধ্যমে দেখা যায়, আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি মূলত নয়াপল্টন এলাকায় ধারণ করা হয়েছে। ভিডিওতে ‘ফেনী অনুবাদ কেন্দ্র’ নামের একটি দোকান দেখতে পাওয়া যায়, যা নয়াপল্টনে অবস্থিত। তবে গুগল স্ট্রিট ভিউয়ের ছবিটি ২০২৩ সালের হওয়ায় এবং আলোচিত ভিডিওটি ২০২৫ সালের হওয়ায় উল্লিখিত দোকানের নামের বোর্ডের রঙের পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। 

Comparison by Rumor Scanner 

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সেদিন ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখাসহ অন্যান্য অঙ্গসংগঠন রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে মিছিল নিয়ে নয়াপল্টনে অবস্থিত বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়। পরবর্তীতে সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

অর্থাৎ, আলোচিত ভিডিওটি আওয়ামী লীগের সমর্থনে আয়োজিত কোনো বিক্ষোভ মিছিলের নয়। এছাড়াও ভিডিওটি নোয়াখালীরও নয়। 

সুতরাং, গত ১২ অক্টোবর আওয়ামী লীগের সমর্থনে নোয়াখালীতে মিছিল হওয়ার দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র