Home Blog Page 2

ডাকসু নির্বাচন নিয়ে মেঘমল্লার বসুর ফেসবুক পোস্ট বিকৃত করে প্রচার 

0

সম্প্রতি ডাকসু নির্বাচনে বাম ধারার সাত সংগঠন সমর্থিত ‘প্রতিরোধ পরিষদ’ এর জিএস (সাধারণ সম্পাদক) প্রার্থী বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন (একাংশ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেঘমল্লার বসু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে “পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটিকে পরাস্ত করুন। বাংলাদেশকে রক্ষা করুন। এই আস্ফালনের মূল্য যেন ব্যালটে এদের চোকাতে হয় তা নিশ্চিত করুন। কলাভবনের বটবৃক্ষের কসম, ধানমন্ডি ৩২ নাম্বারের সেই ডাকবাক্সের কসম, কসম মহান জাতির পিতার, শাহবাগের কসম, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালির কসম, কসম বাঙালির অন্নদাতা বঙ্গবন্ধু তনয়া দেশরত্ন শেখ হাসিনার, বাপের রক্ত মায়ের ইজ্জতের কসম, এই রাজাকারদের পরাস্ত করুন” শীর্ষক একটি পোস্ট দিয়েছেন দাবিতে একটি তথ্য ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে। 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন: এখানে, এখানে এবং এখানে। 

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, মেঘমল্লার বসু তার ফেসবুক পোস্টে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে এমন কোনো মন্তব্য করেননি। প্রকৃতপক্ষে, ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মেঘমল্লার বসুর ফেসবুকে দেওয়া ভিন্ন একটি পোস্ট ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনা করে আলোচিত স্থিরচিত্রটি প্রচার করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ছাত্রনেতা মেঘমল্লার বসুর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গত ৩০ আগস্ট রাত ১১:৫৯ মিনিটে ডাকসু নির্বাচন ঘিরে আলোচিত দাবির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত পোস্টে মেঘমল্লার বসু লিখেন “পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটিকে পরাস্ত করুন। বাংলাদেশকে রক্ষা করুন। এই আস্ফালনের মূল্য যেন ব্যালটে এদের চোকাতে হয় তা নিশ্চিত করুন। শহীদ শাফী ইমাম রুমির রক্তের কসম, শহীদ রমনী রঞ্জন চাকমার কসম, শহীদ খগেন্দ্র নাথ চাকমার কসম, বিচূর্ণ হওয়া মুক্তিযুদ্ধের প্রতিটি ভাস্কর্যের কসম বাপের রক্ত মায়ের ইজ্জতের কসম, এই রাজাকারদের পরাস্ত করুন।” 

মেঘমল্লার বসুর এই পোস্টের সাথে ফেসবুকে প্রচারিত স্থিরচিত্রটির বক্তব্য মিলিয়ে দেখা যায়, মেঘমল্লারের মন্তব্যের কিছু অংশ অপরিবর্তিত রেখে বাকি অংশ পরিবর্তন করে আলোচিত স্থিরচিত্রটি তৈরি করা হয়েছে। 

Comparison: Rumor Scanner

মূল পোস্টে মেঘমল্লার বসু “শহীদ শাফী ইমাম রুমির রক্তের কসম, শহীদ রমনী রঞ্জন চাকমার কসম, শহীদ খগেন্দ্র নাথ চাকমার কসম, বিচূর্ণ হওয়া মুক্তিযুদ্ধের প্রতিটি ভাস্কর্যের কসম” শীর্ষক মন্তব্য করলেও সম্পাদিত স্থিরচিত্রে “কলাভবনের বটবৃক্ষের কসম, ধানমন্ডি ৩২ নাম্বারের সেই ডাকবাক্সের কসম, কসম মহান জাতির পিতার, শাহবাগের কসম, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালির কসম, কসম বাঙালির অন্নদাতা বঙ্গবন্ধু তনয়া দেশরত্ন শেখ হাসিনার” শীর্ষক মন্তব্য সংযুক্ত করা হয়েছে। 

স্বাভাবিকই মেঘমল্লার বসু তার দেওয়া ফেসবুক পোস্টটি এডিট বা সম্পাদনা করলে তাতে এডিট হিস্টোরি দৃশ্যমান থাকার কথা। এক্ষেত্রে তার পোস্টে কোনো এডিট হিস্টোরি কিংবা সম্পাদিত হওয়ার কোনো প্রমাণ মিলেনি। এছাড়া পোস্ট মুছে ফেললে সেই পোস্টের একাধিক স্ক্রিনশটও ইন্টারনেটে পাওয়া যেত যা ইন্টারনেটে নেই।

প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধানেও গণমাধ্যম অথবা বিশ্বস্ত কোনো সূত্রে শেখ মুজিবুর রহমান এবং শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে মেঘমল্লার বসুর এমন কোনো মন্তব্যের হদিস পাওয়া যায়নি। 

সুতরাং, শেখ মুজিবুর রহমান এবং শেখ হাসিনাকে জড়িয়ে ছাত্রনেতা মেঘমল্লার বসুর ফেসবুক পোস্ট দাবিতে  সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত স্থিরচিত্রটি সম্পাদিত। 

তথ্যসূত্র 

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ মিছিলের নয়, এই ভিডিওটি চট্টগ্রামে বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনার 

0

গত ০১ সেপ্টেম্বর থেকে ‘ব্রেকিং নিউজ এই মুহূর্তে চলছে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ মিছিল।’ ক্যাপশনে একটি ভিডিও ইন্টারনেটের বিভিন্ন প্লাটফর্মে প্রচার করা হয়েছে। 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)৷

ইন্সটাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে নারায়ণগঞ্জে দলীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের কোনো বিক্ষোভ মিছিল সংঘটিত হয়নি। প্রকৃতপক্ষে,  গত জুলাই মাসে চট্টগ্রামের নিউ মার্কেট এলাকায় একটি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনার ভিডিওকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে৷ 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে মোহাম্মদ ইমতিয়াজ হোসেন নামক ফেসবুক প্রোফাইলে গত ২০ জুলাই প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত ভিডিওটির সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়৷ 

Comparison: Rumor Scanner 

ভিডিওটির ক্যাপশনে দাবি করা হয়, এটি সেদিন চট্টগ্রাম নগরের নিউমার্কেট এলাকায় একটি বাসে অগ্নিকাণ্ডের চিত্র। 

একই বিষয়ে অনলাইন নিউজ পোর্টাল রাইজিং বিডির ফেসবুক পেজে গত ২০ জুলাই প্রকাশিত পোস্টেও একই চিত্র ও তথ্য পাওয়া যায়৷ 

পরবর্তীতে, এই বিষয়ে গণমাধ্যম প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে গত ২১ জুলাই ‘বাসে আগুন দিয়েই সটকে পড়েন যুবক, ভিডিও ভাইরাল’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভিন্ন দিক থেকে একই ঘটনার ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। 

প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, চট্টগ্রাম নগরের নিউমার্কেট এলাকায় গত ২০ জুলাই সন্ধ্যায় আগুনে পুড়ে যায় একটি বাস। সেদিন রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, বাসটিতে আগুন লাগিয়ে দেয় এক যুবক এবং এরপর সে সটকে পড়ে।

সুতরাং, গেল জুলাইয়ে চট্টগ্রামে বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনার ভিডিওকে নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের সাম্প্রতিক বিক্ষোভ মিছিল দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা৷ 

তথ্যসূত্র

জিয়া-খালেদা-তারেককে জড়িয়ে সাদিক কায়েমের বক্তব্যের খণ্ডিত অংশ বিভ্রান্তিকরভাবে প্রচার

0

সম্প্রতি ‘জিয়াউর রহমান স্বৈরশাসক, খালেদা জিয়া এতিমের টাকা আত্মসাৎ কারী, তারেক জিয়া হলো একজন খুনি। বলেছেন শিবির নেতা সাদিক কায়েম’ ক্যাপশনে একটি ভিডিও ইন্টারনেটের বিভিন্ন প্লাটফর্মে প্রচার করা হয়েছে৷ 

ভিডিওটিতে বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েমকে বলতে শোনা যায়- ‘জিয়াউর রহমান হচ্ছে একজন স্বৈরশাসক, সে হচ্ছে খুনি, তারেক জিয়া হচ্ছে একজন খুনি, খালেদা জিয়া এতিমের টাকা আত্মসাৎকারী’ এই অংশের পরে সাদিক কায়েমকে বলতে শোনা যায় ‘তো ঐ ধরণের বয়ান দ্বারা যখন আমাদের আবিদ ভাইয়েরা যখন প্রভাবিত হয় তখন তো আর কিছু বলার থাকেনা …ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদের এই বিষয়ে  অবশ্যই তারা বুঝার কথা…।’

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)৷

ইন্সটাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সাদিক কায়েম সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াকে জড়িয়ে আলোচিত মন্তব্যটি করেননি। প্রকৃতপক্ষে, একটি সাম্প্রতিক আলোচনায় সাদিক কায়েমের বক্তব্যের খণ্ডিত অংশকে বিভ্রান্তিকরভাবে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম যমুনা টিভির ইউটিউব চ্যানেলে গত ২৬ আগস্ট ‘দুই ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম- আবিদুলের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর দৃশ্যাবলীর সাথে আলোচিত ভিডিওটির সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়। 

উল্লিখিত ভিডিওটি যমুনা টিভির ইউটিউব চ্যানেলে গত ২৬ আগস্ট ‘ডাকসু নির্বাচন- ২০২৫: দ্য স্টুডেন্ট’স ভয়েস | DUCSU Election-2025’ শিরোনামে প্রকাশিত ভিডিওটির একটি অংশ৷ 

 Comparison: Rumor Scanner 

ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এতে থাকা সাদিক কায়েমের বক্তব্যের ৩৭:৩২ থেকে ৩৭:৫২ সেকেন্ড পর্যন্ত অংশটি আলোচিত ভিডিওতে ব্যবহার করা হয়েছে। 

উক্ত ভিডিওটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থীদের সাথে ভোটারদের কথোপকথনের জন্য যমুনা টেলিভিশন কর্তৃক আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানের।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্রদল মনোনীত ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খানকে উদ্দেশ্য করে ভিডিওটির ৩৭:১৯ থেকে ৩৭:৫২ সেকেন্ড পর্যন্ত অংশে ছাত্রশিবির মনোনীত ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম বলেন, “ উনি (ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী আবিদ) যে বিষয়টা বলতেছে, উনি বারবার যে উনি কিছুদিন আগে শিবিরের বিভিন্ন হচ্ছে ওনার সোকল্ড অপকর্ম বলে তিনি হচ্ছে পাঠ করেছিল একাত্তর ডট ওআরজি থেকে। ওই এর অপর পেজে বলা আছে জিয়াউর রহমান হচ্ছে একজন স্বৈরশাসক সে হচ্ছে খুনি, তারেক জিয়া হচ্ছে একজন খুনি এবং হচ্ছে ওখানে আমি কোট আন-কোট বলতেছি এবং ওখানে বলা আছে হইলো খালেদা জিয়া এতিমের টাকা আত্মসাৎকারী।” এই অংশের পরে সাদিক কায়েমকে বলতে শোনা যায় “তো ঐ ধরণের বয়ান দ্বারা যখন আমাদের আবিদ ভাইয়েরা যখন প্রভাবিত হয় তখন তো আর কিছু বলার থাকেনা …ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদের এই বিষয়ে  অবশ্যই তারা বুঝার কথা…।”

অর্থাৎ, প্রচারিত ভিডিওটিতে সাদিক কায়েমের দীর্ঘ বক্তব্যের পৃথক পৃথক খণ্ডিত অংশ সংযুক্ত করা হয়েছে। মূল ভিডিওতে থাকা খালেদা জিয়া সম্পর্কিত বক্তব্যের আগের অংশটুকু, ‘এবং হচ্ছে ওখানে আমি কোট আন-কোট বলতেছি এবং ওখানে বলা আছে হইলো’ কর্তন করে আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।

সাদিক কায়েমের বক্তব্য অনুযায়ী, একটি লেখায় ‘জিয়াউর রহমান হচ্ছে একজন স্বৈরশাসক সে হচ্ছে খুনি, তারেক জিয়া হচ্ছে একজন খুনি এবং খালেদা জিয়া এতিমের টাকা আত্মসাৎকারী’ উল্লেখ করা রয়েছে, সেই বিষয়টি সাদিক কায়েম তার বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন। এটি সাদিক কায়েমের নিজস্ব মন্তব্য নয়। এছাড়াও, ভিডিওতে তিনি সরাসরি জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া কিংবা তারেক রহমানকে নিয়ে নিজ থেকে কোনো মন্তব্য করেননি।

সুতরাং, জিয়াউর রহমান–খালেদা জিয়া- তারেক রহমানকে জড়িয়ে সাদিক কায়েম মন্তব্য দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

চট্টগ্রাম জেলা শিবিরের সভাপতিকে বিএনপির কুপিয়ে হত্যা করার দাবিটি ভুয়া

0

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাবি প্রচার করা হয়েছে, “চট্টগ্রাম জেলা শিবিরের সভাপতি কে কুপিয়ে হত্যা করেছে বি এন পি”। কিছু পোস্টে হত্যাকারী ছাত্রদল উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও, কিছু পোস্টে একটি ভিডিওও সংযুক্ত করে প্রচার করা হয়েছে।

এরূপ দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

এরূপ দাবিতে ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, চট্টগ্রাম জেলা শিবির নামে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কোনো শাখা নেই। চট্টগ্রামে শিবিরের ৪টি জেলা শাখা রয়েছে এবং যার কোনোটারই সভাপতি সম্প্রতি খুন হননি। এ বিষয়ে প্রচারিত ভিডিওটিও ২০২৪ সালে বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের যা আলোচিত দাবির ক্ষেত্রে অপ্রাসঙ্গিক।

অনুসন্ধানে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত পোস্টগুলো পর্যবেক্ষণ করলে তাতে আলোচিত দাবিটির সপক্ষে তথ্যপ্রমাণ হিসেবে একটি ভিডিও প্রচার করতে দেখা যায়। ভিডিওটির বিষয়ে অনুসন্ধানে ভিডিওটির একাধিক কী-ফ্রেম রিভার্স সার্চে করে অনলাইন সংবাদমাধ্যম ‘বাংলানিউজ২৪’ এর ফেসবুক পেজে ২০২৪ সালের ১ মার্চে প্রচারিত একটি ভিডিও পোস্ট পাওয়া যায়। ভিডিওটির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির তুলনা করলে প্রদর্শিত দৃশ্যের হুবহু মিল পাওয়া যায়। ভিডিওটি সম্পর্কে ‘বাংলানিউজ২৪’ এর ফেসবুক পোস্টটির ক্যাপশনে বলা হয়, “বেইলি রোডে আগুন: ঢামেকে লাশের সারি। ৩১ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বার্ন ইউনিট ও ঢামেক ”।

Comparison : Rumor Scanner

উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে অনুসন্ধানে জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো’র ওয়েবসাইটে ২০২৪ সালের ১ মার্চে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, “গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪) রাত পৌনে ১০টার দিকে (রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল একটি ভবনে) আগুন লাগে। আগুন নেভানোর পর হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়।”

এ থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে প্রচারিত ভিডিওটি ২০২৪ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতের এবং আলোচিত দাবির ক্ষেত্রে অপ্রাসঙ্গিক।

পরবর্তীতে ‘চট্টগ্রাম জেলা শিবির’ নামে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কোনো জেলা শাখা আছে কি না এ বিষয়ে অনুসন্ধানে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ওয়েবসাইটে শিবিরের সব শাখার নামের একটি তালিকা পাওয়া যায়। তালিকাটি পর্যবেক্ষণ করলে ‘চট্টগ্রাম জেলা শিবির’ নামে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কোনো জেলা শাখার উল্লেখ পাওয়া যায়নি। তবে চট্টগ্রামে শিবিরের চারটি জেলা শাখার উল্লেখ পাওয়া যায় যেগুলোর নাম: ‘চট্রগ্রাম জেলা পশ্চিম’, ‘চট্রগ্রাম জেলা পূর্ব’, ‘চট্রগ্রাম জেলা দক্ষিণ’, ‘চট্রগ্রাম জেলা উত্তর’। এছাড়া, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়’, ‘চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণ’ ও ‘চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর’ নামে আরো ৩টি সদস্য শাখা পাওয়া যায়।

পরবর্তীতে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করলে চট্টগ্রাম জেলায় শিবিরের কোনো সভাপতি খুন হওয়ার বিষয়ে গণমাধ্যম বা নির্ভরযোগ্য সূত্রে কোনো তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ‘আজিজুর রহমান আজাদ’ এর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গত ২৮ আগস্টে প্রচারিত একটি পোস্ট পাওয়া যায়। পোস্টটিতে বলা হয়, “চট্টগ্রাম জেলা ছাত্রশিবির সভাপতিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে এমন একটি নিউজ অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি সত্য নয়, একটি চক্র পরিকল্পিত প্রোপাগাণ্ডার অংশ হিসেবে এমন খবর প্রচার করছে। বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ।”

সুতরাং, চট্টগ্রাম জেলা শিবিরের সভাপতিকে বিএনপি কুপিয়ে হত্যা করেছে শীর্ষক দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

২৯ আগস্ট রাতে ঢাকায় যৌথ বাহিনীর সাথে ডাকাতদের গোলাগুলির দৃশ্য দাবিতে পুরোনো ভিডিও প্রচার

0

গত ২৯ আগস্ট, “এই মুহূর্তে গভীর রাতে রাজধানীতে যৌথ বাহিনীর সাথে চলছে ডাকাতের ব‍্যাপক গোলাগুলি। জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিনত করলো সোনার বাংলাদেশ সুদখোর ইউনুছ।” দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি গত ২৯ আগস্ট রাতের নয় এবং ওই দিন ঢাকায় যৌথ বাহিনীর সাথে ডাকাতদের গোলাগুলির কোনো ঘটনা ঘটেনি। প্রকৃতপক্ষে, ২০২৪ সালের আগস্ট মাস থেকে ইন্টারনেটে ভিডিওটির অস্তিত্ব রয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে ভিডিওটির কিছু কী ফ্রেম রিভার্স সার্চ করে “Travelogue by Ofa Yaad” নামক ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৪ সালের ৬ আগস্ট প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর মিল রয়েছে।  

Comparison: Rumor Scanner

উক্ত ভিডিওর ক্যাপশনে দাবি করা হয়, এটি ২০২৪ সালের ৬ আগস্ট ঢাকায় RAW এর হামলার ভিডিও।

সেসময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রকাশিত পোস্টেও  (,,) ভিডিওটি সম্পর্কে একই দাবি করা হয়। তবে, কোনো পোস্টেই এই দাবির সপক্ষে কোনো তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি। সেসময় এ বিষয়ে গণমাধ্যমগুলোতেও কোনো সংবাদ প্রকাশ হতে দেখা যায়নি।

ভিডিওটি ঠিক কোন স্থানে, কোন সময়ে ধারণ করা হয়েছে তা রিউমর স্ক্যানারের পক্ষ থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে, এটি নিশ্চিত যে ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয়। 

সুতরাং, অন্তত ২০২৪ সালের আগস্ট মাস থেকে ইন্টারনেটে বিদ্যমান ভিডিওকে সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকায় যৌথ বাহিনীর সাথে ডাকাতদের গোলাগুলির ভিডিও দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

কেবাব এক্সপ্রেস মিরপুর রেস্টুরেন্ট মালিকের সাথে হাসনাত আব্দুল্লাহর গোপন বৈঠকের দাবিটি ভুয়া

0

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহর একটি ছবি প্রচার করা হয়েছে, যেখানে তাকে এক ব্যক্তির সাথে একটি রেস্টুরেন্টে বসে থাকতে দেখা যায়। ছবিটি শেয়ার করে দাবি করা হয়েছে, “মিরপুর-২-এর কাবাব এক্সপ্রেস রেস্তোরাঁর মালিকের সাথে গতকাল ৩ ঘণ্টা বৈঠক করেছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ।” আরও বলা হয়েছে, “কাবাব এক্সপ্রেসের মালিকের মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচারের বন্দোবস্ত করতেছে হাসনাত।”

উক্ত দাবিতে ফেসবুক প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে

এক্সে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ছবিতে হাসনাত আবদুল্লাহর পাশে থাকা ব্যক্তি ‘কেবাব এক্সপ্রেস মিরপুর’ এর মালিক নন। এই ব্যক্তির নাম মুক্তাদির রশীদ রোমিও। তিনি একজন সাংবাদিক। অন্যদিকে, কেবাব এক্সপ্রেস মিরপুর- এর মালিক পনির হোসাইন নামের এক ব্যক্তি।

অনুসন্ধানে আলোচিত ছবিটি পর্যবেক্ষণ করে ছবিতে হাসনাত আবদুল্লাহর সাথে থাকা ব্যক্তি সাংবাদিক মুক্তাদির রশীদ রোমিও বলে নিশ্চিত হয়েছে রিউমর স্ক্যানার। 

Face Comparison: Rumor Scanner

পরবর্তীতে বিষয়টি সাংবাদিক মুক্তাদির রশীদ রোমিও-র সাথে যোগাযোগ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। তিনি বলেন- ‘সম্প্রতি আমরা (সাংবাদিক রোমিও এবং হাসনাত আব্দুল্লাহ) দুজন মিরপুরের একটা রেস্টুরেন্টে বসে কাবাব খেয়েছি। পাশাপাশি রাজনীতিতে যে পরিমাণ টক্সিসিটি বাড়ছে তা কমিয়ে আনতে তরুণরা কিভাবে ভূমিকা পালন করতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা করেছি। এই রেস্টুরেন্টটি আমাদের র‍্যানডম চয়েস।’ 

আলোচিত রেস্টুরেন্ট কেবাব এক্সপ্রেসের বিষয়ে অনুসন্ধানে রিউমর স্ক্যানার টিম ওই রেস্টুরেন্টের ফেসবুক পেজের খোঁজ পায়। পেজের বিভিন্ন পোস্ট পর্যালোচনা করে রেস্টুরেন্টের মালিক সম্পর্কেও তথ্য পাওয়া যায়। তাদের পেজে গত (১ সেপ্টেম্বর ২০২৪) একটি ফেসবুক পোস্ট পাওয়া যায় যেখানে তারা বিষয়টিকে অপপ্রচার হিসেবে উল্লেখ করে লিখেছেন- ‘কে বা কারা আমার কেবাব এক্সপ্রেস সম্পর্কে বা আমি পনির হোসাইন সম্পর্কে সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচার  করছে। আমি পনির হোসাইন কোন রাজনৈতিক দল বা কোরামের সাথে কখনো জড়িত ছিলাম না এখনো নাই।’ 

তাদের ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত একটি লাইভও খুঁজে পাওয়া যায়। যেখানেও রেস্টুরেন্টটির সেফ পরিচয়দানকারী পনির হোসাইন নামের এক ব্যক্তি আলোচিত বিষয়টিকে অপপ্রচার হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি থানায় গিয়ে পুলিশকে বিষয়টি অবগত করেছেন বলেও ওই লাইভে জানিয়েছেন।

কেবাব এক্সপ্রেস মিরপুর রেস্টুরেন্টের মালিক পনির হোসাইন, যিনি নিজেই একজন সেফ। গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকেও বিষয়টি জানা যায়। গত জুলাই মাসে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে কেবাব এক্সপ্রেসের কর্ণধার হিসেবে পনির হোসাইনের নাম পাওয়া যায়। পনির হোসাইনের ফেসবুক আইডি এবং তাদের পেজের বিভিন্ন পোস্ট ও লাইভ থেকেও তিনি এই রেস্টুরেন্টের মালিক বলে নিশ্চিত হওয়া যায়।

পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে কেবাব এক্সপ্রেস মিরপুর-এর মালিক পানির হোসাইনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টিকে অপপ্রচার এবং গুজব বলে জানান। থানায় বিষয়টি নিয়ে তিনি একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন বলেও রিউমর স্ক্যানারকে জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ২৬ আগস্ট সাংবাদিক মুক্তাদির রশীদের দেয়া একটি ফেসবুক পোস্ট পাওয়া যায়, যেখানে তিনি বিএনপি নেত্রী রুমিন ফারহানা এবং হাসনাত আব্দুল্লাহর ছবি যুক্ত করে একটি পোস্টে লেখেন— “এরা দুজনেই আমার বন্ধু। আমার বাড়তি টাকা থাকলে এদের দুজনকে নিয়ে ভালো কোন রেস্টুরেন্টে গিয়ে খুব মজা করে খেতে খেতে আড্ডা দিতাম। 

পুনশ্চ সংঘাত উসকে দেবার প্রচুর মানুষ আছে। কিন্তু শান্তি খোঁজার মানুষের অভাব।”

সুতরাং, সাংবাদিক মুক্তাদির রশীদ রোমিওর সাথে হাসনাত আব্দুল্লাহর রেস্টুরেন্টে বসে থাকার ছবি রেস্টুরেন্ট মালিকের সাথে হাসনাত আব্দুল্লাহর গোপন বৈঠক দাবি করে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

গভীর রাতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে তিন বাহিনীর কর্মকর্তাদের প্রবেশ দাবিতে পুরোনো ভিডিও প্রচার 

0

গত ০১ সেপ্টেম্বর ‘গভীর রাতে যমুনায় তিন বাহিনীর প্রধানসহ সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। কিছু একটা হতে চলছে যমুনায়। হঠাও ইউনুছ বাঁচাও দেশ’ শীর্ষক ক্যাপশনে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় তিন বাহিনীর প্রধানের প্রবেশের কোনো ঘটনার নয়। প্রকৃতপক্ষে, অন্তত গত বছরের অক্টোবর মাস থেকেই উক্ত ভিডিওটি ইন্টারনেটে বিদ্যমান রয়েছে।

অনুসন্ধানে যুব মহিলা লীগের যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি ইয়াসমিন সুলতানা পলিন এর অ্যাকাউন্ট থেকে গত বছরের ০৯ অক্টোবর প্রচারিত একটি ভিডিও পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত ভিডিওর মিল রয়েছে। 

Video Comparison By Rumor Scanner 

গত বছরের অক্টোবর মাসে আওয়ামী লীগের নেত্রী পলিন দাবি করেন, প্রচারিত ভিডিওটি সেনাবাহিনী কর্তৃক প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা ঘিরে ফেলার দৃশ্য। 

উক্ত পোস্টের পর আলোচিত দাবিটি নিয়ে অনুসন্ধান করে ফ্যাক্ট স্টোরি প্রকাশ করেছিল রিউমর স্ক্যানার। রিউমর স্ক্যানারের তখনকার অনুসন্ধানে আলোচিত দাবির সপক্ষে কোনো তথ্য প্রমাণ পায়নি। 

অর্থাৎ, সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় তিন বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রবেশের দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি পুরোনো এবং পূর্বে যে দাবিতে প্রচার করা হয়েছিল সেটিও ছিল ভিত্তিহীন। 

উল্লেখ্য, গত (৩১ আগস্ট) যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সাথে বৈঠক করে বিএনপি, জামায়াত এবং এনসিপি।  এছাড়া, গতকাল (০১ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রধান উপদেষ্টার সাথে যমুনায় সাক্ষাৎ করেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

সুতরাং, পুরোনো ভিডিওকে সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় গভীর রাতে তিন বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রবেশের দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র 

আগস্টে ৩২০ ভুল তথ্য শনাক্ত

0

চলতি বছরের আগস্ট মাসে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া ৩২০টি ভুল তথ্য শনাক্ত করেছে বাংলাদেশের ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার। রিউমর স্ক্যানারের ওয়েবসাইটে আগস্ট মাসে প্রকাশিত ফ্যাক্টচেক থেকে গণনাকৃত এই সংখ্যার মধ্যে রাজনৈতিক বিষয়ে সবচেয়ে বেশি (২০২) ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়ার প্রমাণ মিলেছে, যা মোট ভুল তথ্যের প্রায় ৬৩ শতাংশ। এছাড়া জাতীয় বিষয়ে ৬৩টি, আন্তর্জাতিক বিষয়ে ১৫টি, বিনোদন ও সাহিত্য বিষয়ে ১৪টি, ধর্মীয় বিষয়ে ১১টি, শিক্ষা বিষয়ে নয়টি, প্রতারণা বিষয়ে ০৩টি, খেলাধুলা বিষয়ে ০২টি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে একটি ভুল তথ্য শনাক্ত হয়েছে এ মাসে।

এসব ঘটনায় ভিডিও কেন্দ্রিক ভুলই ছিল সবচেয়ে বেশি, ২১৮টি। এছাড়া তথ্য কেন্দ্রিক ভুল ছিল ৬৪টি এবং ছবি কেন্দ্রিক ভুল ছিল ৩৮টি। শনাক্ত হওয়া ভুল তথ্যগুলোর মধ্যে মিথ্যা হিসেবে ২১৯টি, বিকৃত হিসেবে ২৫টি এবং বিভ্রান্তিকর হিসেবে ৭৫টি এবং সার্কাজম হিসেবে ০১টি ঘটনাকে সাব্যস্ত করা হয়েছে। 

প্লাটফর্ম হিসেবে এ মাসে ফেসবু্কে সবচেয়ে বেশি ভুল তথ্য ছড়িয়েছে, সংখ্যার হিসেবে যা ২৭১টি। এছাড়া ইনস্টাগ্রামে ১৪৭টি, টিকটকে ৮৬টি, ইউটিউবে ৫৪টি, এক্সে ২৭টি, থ্রেডসে অন্তত ০৩টি ভুল তথ্য প্রচারের প্রমাণ মিলেছে। ভুল তথ্য প্রচারের তালিকা থেকে বাদ যায়নি দেশের গণমাধ্যমও। ২২টি ঘটনায় দেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গণমাধ্যমে ভুল তথ্য প্রচার হতে দেখেছে রিউমর স্ক্যানার।  

বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক অপতথ্য প্রচারের বিষয়টি গেল বেশ কয়েক মাস ধরে আলোচনায়। আগস্টে ১১টি সাম্প্রদায়িক অপতথ্য শনাক্ত করেছে রিউমর স্ক্যানার। এর মধ্যে ০৬টি ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশি পরিচয়ধারী অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে অপতথ্য প্রচারের প্রমাণ পাওয়া গেছে। 

রিউমর স্ক্যানার টিমের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, আগস্টে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে জড়িয়ে ০৫টি ভুল তথ্য প্রচার করা হয়েছে। ভুলতথ্যগুলোর ধরণ বুঝতে এগুলোকে রিউমর স্ক্যানার ০২টি আলাদা ভাগে ভাগ করেছে৷ সরকারের পক্ষে যায় এমন ভুল তথ্যের প্রচারকে ইতিবাচক এবং বিপক্ষে যায় এমন ভুলতথ্যের প্রচারকে নেতিবাচক হিসেবে ধরে নিয়ে রিউমর স্ক্যানার দেখেছে, এসব ভুলতথ্যের সবগুলোতেই সরকারকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। 

আগস্ট মাসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ১০টি ভুল তথ্য প্রচার করা হয়েছে। সবগুলোতেই তাকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া, সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ও ড. আসিফ নজরুলকে জড়িয়ে ০২টি করে (সবগুলোই নেতিবাচক) এবং আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে জড়িয়ে ০১টি (নেতিবাচক) ভুল তথ্য শনাক্ত করা হয়েছে। 

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে সর্বত্র। গেল বেশ কয়েক মাসে এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অপতথ্যের প্রচার বৃদ্ধি পেয়েছে। আগস্টে এ সংক্রান্ত ০৮টি অপতথ্য শনাক্ত হয়েছে।  

রিউমর স্ক্যানার আগস্ট মাসের ফ্যাক্টচেকগুলো বিশ্লেষণে দেখেছে, এই সময়ে সক্রিয় রাজনীতিতে থাকা দলগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), তার অঙ্গসংগঠন এবং নেতাকর্মীদের জড়িয়ে সবচেয়ে বেশি অপতথ্য (৪৫টি) প্রচার করা হয়েছে। এর মধ্যে দল হিসেবে বিএনপিকে জড়িয়ে ২৩টি অপতথ্য প্রচার করা হয়েছে, যার প্রায় ৯১ শতাংশ ক্ষেত্রেই দলটিকে নিয়ে নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টির সুযোগ রেখেছে। এই সময়ে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে ০২টি (অর্ধেকই নেতিবাচক) অপতথ্যের প্রচার করা হয়েছে। এর বাইরে ছাত্রদলকে জড়িয়ে এই সময়ে ০৫টি (৮০ শতাংশই নেতিবাচক) ও যুবদলকে জড়িয়ে ০২টি (সবগুলোই নেতিবাচক) অপতথ্য প্রচার করা হয়েছে।

বিএনপির পর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, তার অঙ্গসংগঠন এবং নেতাকর্মীদের জড়িয়ে সবচেয়ে বেশি (২৫টি) অপতথ্যের প্রচার করা হয়েছে। এর মধ্যে দল হিসেবে জামায়াতকে জড়িয়ে ১৩টি অপতথ্য প্রচার করা হয়েছে। এসবের সবগুলোতেই দলটিকে নিয়ে নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টির সুযোগ রেখেছে। দলটির ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে এই সময়ে ০৯টি (সবগুলোই নেতিবাচক) অপতথ্য প্রচার করা হয়েছে।

এছাড়া, আগস্ট মাসে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও দলটির নেতাকর্মীদের জড়িয়ে ১৬টি অপতথ্য শনাক্ত করেছে রিউমর স্ক্যানার। এর মধ্যে দল হিসেবে এনসিপিকে জড়িয়ে ১০টি অপতথ্য প্রচার করা হয়েছে, যার সবগুলোই দলটিকে নিয়ে নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টির সুযোগ রেখেছে।  

কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, তার অঙ্গ-ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন এবং নেতাকর্মীদের নিয়ে আগস্টে ৯২টি অপতথ্যের প্রচার করা হয়েছে। এর মধ্যে দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে জড়িয়ে ৩২টি অপতথ্য প্রচার করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৯৭ শতাংশ ক্ষেত্রেই দলটির প্রতি ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টির সুযোগ ছিল। দলটির সভাপতি শেখ হাসিনাকে জড়িয়ে এই সময়ে ২৩টি অপতথ্য (প্রায় ৯৬ শতাংশই ইতিবাচক) প্রচারের প্রমাণ মিলেছে। এছাড়া নিষিদ্ধ ঘোষিত হওয়া দলটির ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে জড়িয়ে এ মাসে ১৩টি অপতথ্য (৮৫ শতাংশই ইতিবাচক) ও যুবলীগকে জড়িয়ে ০৯টি অপতথ্য (৮৯ শতাংশই ইতিবাচক) শনাক্ত করা হয়েছে। 

ভুল তথ্যের রোষানল থেকে রক্ষা পাচ্ছে না রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলোও। আগস্টে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে জড়িয়ে আটটিসহ এই বাহিনীকে জড়িয়ে ২১টি ভুল তথ্যের প্রচার দেখেছে রিউমর স্ক্যানার। এছাড়া বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলমকে জড়িয়ে ০১টিসহ এই বাহিনীকে জড়িয়ে ২৩টি ভুল তথ্য শনাক্ত করেছে রিউমর স্ক্যানার।    

আগস্টে শনাক্ত হওয়া ভুল তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করে রিউমর স্ক্যানার দেখেছে, এই সময়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি ভুয়া কনটেন্ট শনাক্ত হয়েছে ৩৮টি। একই সময়ে ডিপফেক কনটেন্ট শনাক্ত করা হয়েছে ০৩টি। 

আগস্ট মাসে ০৬টি ঘটনা বা ইস্যু দেখেছে বাংলাদেশ। গত ০৭ আগস্ট গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যা, ১৫ আগস্ট বাংলাদেশ প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী, আসন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন, সিলেটে পাথর লুটের ঘটনা, পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ ইসহাক দারের বাংলাদেশ সফর, ২৯ আগস্ট ঢাকায় জাতীয় পার্টি (জাপা) ও গণ অধিকার পরিষদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘিরে একাধিক ভুয়া তথ্যের প্রবাহ লক্ষ্য করা গেছে। এর মধ্যে শেখ মুজিবর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীকে কেন্দ্র করে সর্বাধিক (২১টি) ভুয়া তথ্যের প্রচার দেখা গেছে। এছাড়া, ডাকসু নির্বাচন ইস্যুতে ০৮টি, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফর ঘিরে ০৬টি এবং অন্য তিন ইস্যুতে ০৪টি করে ভুয়া তথ্য শনাক্ত হয়েছে। 

গণমাধ্যমের নাম, লোগো, শিরোনাম এবং নকল ও ভুয়া ফটোকার্ড ব্যবহার করে ভুল তথ্য প্রচারের পরিমাণ হ্রাস পেতে দেখা যাচ্ছে৷ আগস্ট মাসে এই পদ্ধতির ব্যবহার করে ১৯টি ঘটনায় দেশের ১২টি সংবাদমাধ্যমকে জড়িয়ে ১৯টি ভুল তথ্য প্রচার করা হয়েছে।   

বার্তা প্রেরক

তানভীর মাহতাব আবীর
সিনিয়র ফ্যাক্টচেকার,
রিউমর স্ক্যানার বাংলাদেশ। 
[email protected]

মুক্তিযোদ্ধাদের গ্রেফতার ও লাঞ্চিত করার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে মশাল মিছিল দাবিতে ভিন্ন ঘটনার ভিডিও প্রচার 

0

গত ২৮ আগস্ট, “আজ মুক্তিযোদ্ধাদের গ্রেফতার ও লাঞ্চিত করার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে মশাল মিছিল চলছে” দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

টিকটকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি মুক্তিযোদ্ধাদের গ্রেফতার ও লাঞ্চিত করার প্রতিবাদে কোনো মশাল মিছিলের নয় এবং ঘটনাটি ২৮ আগস্টেরও নয়। প্রকৃতপক্ষে, এটি ২৭ আগস্ট বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের দাবির বিরুদ্ধে ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের মশাল মিছিলের ভিডিও।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে ভিডিওটির কিছু কী ফ্রেম রিভার্স সার্চ করে দৈনিক কালের কণ্ঠের ফেসবুক পেজে গত ২৭ আগস্ট “LIVE : এবার৷ চট্টগ্রামে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের দাবির বিরুদ্ধে ডিপ্লোমা’দের মশাল মিছিল” প্রচারিত একটি লাইভ ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর ২০ সেকেন্ড অংশ থেকে ৩৮ সেকেন্ড অংশের সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর মিল রয়েছে। 

Comparison: Rumor Scanner

উল্লিখিত সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যের সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চ করে অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘প্রতিদিনের বাংলাদেশ’ এর ওয়েবসাইটে ২০২৫ সালের ২৭ আগস্ট “চুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, ডিপ্লোমাধারীদের মশাল মিছিল” শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২৭ আগস্ট (বুধবার) চট্টগ্রাম নগরীর দুই নম্বর গেইট এলাকায় বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের প্রতি বৈষম্য নিরসন এবং তিন দফা দাবিতে বুয়েট শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে। চুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ডিপ্লোমা ডিগ্রীধারী শিক্ষার্থীরাও মশাল মিছিল করে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শুরু হওয়া মিছিলটি পলিটেকনিক মোড় থেকে বের হয়ে দুই নম্বর গেইটে এসে শেষ হয়।

সুতরাং, বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের দাবির বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের মশাল মিছিলের ভিডিওকে মুক্তিযোদ্ধাদের গ্রেফতার ও লাঞ্চিত করার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে মশাল মিছিল দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র