Home Blog Page 2

প্রবাসীদের টাকায় বাংলাদেশ চলে না শীর্ষক মন্তব্য করেননি প্রেস সচিব, সম্পাদিত ফটোকার্ড প্রচার 

0

সম্প্রতি, ‘প্রবাসীদের টাকায় বাংলাদেশ চলে না’ শীর্ষক মন্তব্যটি প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের দাবিতে ডিবিসি নিউজের ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ‘প্রবাসীদের টাকায় বাংলাদেশ চলে না’ শীর্ষক কোনো মন্তব্য প্রেস সচিব করেননি এবং ডিবিসি নিউজও এ ধরনের কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রকাশ করেনি। প্রকৃতপক্ষে, প্রেস সচিব শফিকুল আলমের ভিন্ন একটি মন্তব্য নিয়ে ডিবিসি নিউজ কর্তৃক প্রকাশিত একটি ফটোকার্ড সম্পাদনা করে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে এতে ডিবিসি নিউজ এর লোগো দেখতে পাওয়া যায় এবং এটি প্রকাশের তারিখ হিসেবে ০৮ই অক্টোবর, ২০২৫ উল্লেখ রয়েছে। উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে ডিবিসি নিউজের ফেসবুক পেজ এবং ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি, অন্য কোনো গণমাধ্যম বা নির্ভরযোগ্য সূত্রে দাবিটির বিষয়ে কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।  

তবে, ডিবিসি নিউজ এর ফেসবুক পেজে গত ০৮ অক্টোবর প্রকাশিত একটি ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়। ফটোকার্ডটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আলোচিত ফটোকার্ডের সাথে উক্ত ফটোকার্ডের লিখা ব্যতিত বাকি সকল উপাদানের মিল রয়েছে। ডিবিসি এর মূল ফটোকার্ডটিতে ‘অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশিদের ভিসার জন্য নয়াদিল্লিতে গিয়ে আবেদন করতে হয়। প্রধান উপদেষ্টা চান, এসব জটিলতা দ্রুত দূর হোক।’ শীর্ষক বাক্য লেখা হয়েছে। তাছাড়া, আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ফটোকার্ডের শিরোনামের ফন্টের সাথে ডিবিসি নিউজ এর ফটোকার্ডের শিরোনামের ফন্টের অমিল রয়েছে। 

Photocard Comparison By Rumor Scanner 

অর্থাৎ, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে ডিবিসি নিউজ এর এই ফটোকার্ডটি সম্পাদনা করেই আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

সুতরাং, ‘প্রবাসীদের টাকায় বাংলাদেশ চলে না’ শীর্ষক মন্তব্যটি প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের মন্তব্য দাবিতে ডিবিসি নিউজের নামে প্রচারিত  ফটোকার্ডটি সম্পাদিত।

তথ্যসূত্র

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার নৌবহরে ইসরায়েলের হামলা দাবিতে ইন্দোনেশিয়ার ভিডিও প্রচার 

সম্প্রতি, গাজায় চলমান ইসরায়েলের অবৈধ অবরোধের প্রতিবাদে গত ৩১ আগস্ট স্পেনের বার্সেলোনা থেকে যাত্রা শুরু করে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মীদের ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার নৌ উদ্যোগ গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা। পরবর্তীতে ১৩ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর তিউনিসিয়া, ইতালির সিসিলি দ্বীপ ও গ্রিসের সাইরাস দ্বীপ থেকে আরও কিছু নৌযান ত্রাণ নিয়ে বহরে যুক্ত হয়। এরই প্রেক্ষিতে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা ইসরায়েলের সৈন্যরা বোমা মেরে উড়িয়ে দিয়েছে দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন: এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে। 

একই দাবিতে ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত ভিডিও দেখুন: এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার নয় বরং, এটি ইন্দোনেশিয়ার মানাদো বন্দরে একটি যাত্রীবাহী জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার ভিডিও। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে Joecel Lapinig নামক ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে প্রকাশিত কিছু ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ছবিগুলোর সঙ্গে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর দৃশ্যের মিল রয়েছে। 

Comparison: Rumor Scanner 

পোস্টটির ক্যাপশন থেকে জানা যায়, এটি ইন্দোনেশিয়ার মানাদো বন্দরের দৃশ্য। চলতি বছরের ২০ জুলাই ‘KM বার্সেলোনা-৫’ নামক একটি ফেরিতে তালিসে দ্বীপের কাছে আগুন ধরে যায়। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একজন গর্ভবতী যাত্রীসহ পাঁচজন নিহত হন এবং অনেক যাত্রী সমুদ্রে ঝাঁপ দিয়ে আত্মরক্ষা করেন। 

পরবর্তীতে, উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে সংযুক্ত আরিব আমিরাত ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘গালফ টুডে’ এর ওয়েবসাইটে গত ২০ জুলাইয়ে ‘VIDEO: Indonesia passenger ferry fire kills five as hundreds rescued’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

প্রতিবেদনটির বিস্তারিত বিবরণী থেকে জানা যায়, গত ২০ জুলাই ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপের কাছে একটি যাত্রীবাহী ফেরিতে অগ্নীসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উদ্ধারকারীরা একজন গর্ভবতী নারীসহ পাঁচটি মরদেহ উদ্ধার করেন। 

এছাড়া, ‘Kigali Today’ নামক আরেকটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একই ঘটনার বিষয়ে গত ২২ জুলাই প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। যেখান এটিকে ইন্দোনেশিয়ার ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। 

অর্থাৎ, সাম্প্রতিক সময়ে নৌ উদ্যোগ গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার সঙ্গে এই ভিডিওটির কোনো সম্পর্ক নেই তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে। 

সুতরাং, ইন্দোনেশিয়ার মানাদো বন্দরে যাত্রীবাহী জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের ভিডিওকে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা ইসরায়েলের সৈন্যরা বোমা মেরে উড়িয়ে দিয়েছে দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র 

সেরা ২০ বিজ্ঞানীর মধ্যে সজীব ওয়াজেদের ১ম স্থান পাওয়ার দাবিটি মিথ্যা

0

সম্প্রতি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে জড়িয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাবি প্রচার করা হয়েছে, ‘সেরা বিশ জন বিজ্ঞানীর মধ্যে সজীব ওয়াজেদ জয় ১ম স্থান পেলেন’।

এরূপ দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

এরূপ দাবিতে ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সেরা বিশ জন বিজ্ঞানীর মধ্যে সজীব ওয়াজেদ জয় ১ম স্থান পাওয়ার দাবিটি সঠিক নয়। কোনো সুখ্যাত প্রতিষ্ঠান এরূপ কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি। প্রকৃতপক্ষে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে। এছাড়া, প্রচারিত ছবিটি ২০১৬ সালে সজীব ওয়াজেদের ‘ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ফর আইসিটি’ পুরষ্কার জয়ের ছবি যা জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) গ্রহণের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে টেকসই উন্নয়নের একটি হাতিয়ার হিসেবে প্রতিযোগিতামূলক আইসিটির গুরুত্ব তুলে ধরতে ২০১৬ সালে নিউইয়র্কের হোটেল মিলেনিয়ামে উচ্চপর্যায়ের একটি অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে প্রদান করা হয়েছিল।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবিটি নিয়ে রিভার্স সার্চে দেশিয় মূলধারার গণমাধ্যম ‘দ্য ডেইলি স্টার’ এর ওয়েবসাইটে ‘Joy receives ‘ICT for Development Award’’ শিরোনামে ২০১৬ সালের ২০ সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। প্রতিবেদনে একটি ছবিরও সংযুক্তি পাওয়া যায়, যার সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবির মিল পাওয়া যায়। 

Comparison : Rumor Scanner

প্রতিবেদনে ছবিটির বর্ণনায় বলা হয়, ‘(সাবেক) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ২০১৬ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার নিউইয়র্কের হোটেল মিলেনিয়ামে আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে মার্কিন অভিনেতা রবার্ট ডাভির কাছ থেকে ‘আইসিটি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ করেন।’ (অনূদিত)

এরই সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করলে জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো’র ওয়েবসাইটে ‘ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ফর আইসিটি পেলেন সজীব ওয়াজেদ’ শিরোনামে এ বিষয়ে ২০১৬ সালের ২১ সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘‘ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ফর আইসিটি’ পেয়েছেন (সাবেক) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি উপদেষ্টা ও তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। সুদূরপ্রসারী উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ডিজিটাল বিশ্বের সড়কে পৌঁছে দেওয়ার স্বীকৃতি হিসেবে এই পুরস্কার পান তিনি। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) গ্রহণের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে টেকসই উন্নয়নের একটি হাতিয়ার হিসেবে প্রতিযোগিতামূলক আইসিটির গুরুত্ব তুলে ধরতে গত সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬) রাতে নিউইয়র্কের হোটেল মিলেনিয়ামে উচ্চপর্যায়ের একটি অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রখ্যাত অভিনেতা রবার্ট ডাবি এই জমকালো অনুষ্ঠানে সজীব ওয়াজেদের হাতে ওই পুরস্কার তুলে দেন।

ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশন অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড কমপিটিটিভনেস, প্ল্যান ট্রিফিনিও, গ্লোবাল ফ্যাশন ফর ডেভেলপমেন্ট ও যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব নিউ হ্যাভেনের স্কুল অব বিজনেস যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭১তম অধিবেশন উপলক্ষে এ বছর চালু করা হয়েছে পুরস্কারটি। প্রতিবছর এই পুরস্কার দেওয়া হবে।অনুষ্ঠানে (সাবেক) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশের মন্ত্রী ও উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক নেতা, জাতিসংঘের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনের প্রধান, রাষ্ট্রদূত, বেসরকারি খাত ও সুশীল সমাজের নেতা ও খ্যাতিমান তারকারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।’

এছাড়াও, এ বিষয়ে দেশিয় একাধিক মূলধারার গণমাধ্যমে ২০১৬ সালে প্রতিবেদন প্রকাশ হতে দেখা যায়। অর্থাৎ, আলোচিত ছবির সাথে ‘সেরা বিশ জন বিজ্ঞানীর মধ্যে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ১ম স্থান অর্জন’ এর দাবির কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

পরবর্তীতে আলোচিত দাবির বিষয়ে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করলেও মূলধারার গণমাধ্যম বা নির্ভরযোগ্য সূত্রে কোনো সুখ্যাত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সেরা বিশ জন বিজ্ঞানীর মধ্যে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ১ম স্থান অর্জনের দাবির সপক্ষে কোনো তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি।

সুতরাং, ‘সেরা বিশ জন বিজ্ঞানীর মধ্যে সজীব ওয়াজেদ জয় ১ম স্থান পেলেন’ শীর্ষক দাবিটি মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

ভোটের আশায় পূজা মণ্ডপে জামায়াত নেতার নৃত্য দাবিতে ভারতের ভিডিও প্রচার

এ বছরের দুর্গাপূজায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কথিত নেতাকর্মীরা পূজার মণ্ডপে নেচেছেন দাবিতে ‘সামান্য কিছু ভোটের আশায় জামায়াত নেতা পূজা মণ্ডপে নাচতেছে এরা কিভাবে শরীয়া আইন প্রতিষ্ঠা করবে?’ শীর্ষক শিরোনামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে। প্রচারিত ভিডিওতে দাঁড়ি-টুপিওয়ালা একজন বয়স্ক ব্যক্তিকে দুর্গাপূজার মণ্ডপে অপর একজন ব্যক্তির সাথে নাচতে দেখা যায়।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত একই ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, দুর্গাপূজার মণ্ডপে দাঁড়ি-টুপিওয়ালা ব্যক্তির নাচের ভিডিওটি বাংলাদেশের নয়। প্রকৃতপক্ষে, ভিডিওটি ২০২২ সালে ভারতের কলকাতার মোহাম্মদ আলী পার্কের দুর্গাপূজার মণ্ডপে ধারণ করা হয়। সে সময় ভিডিওটি ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করে। 

আলোচিত ভিডিওটির বিষয়ে অনুসন্ধানে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে The Logical Indian নামের ভারতীয় একটি অনলাইনভিত্তিক গণমাধ্যমের ফেসবুক পেজে ২০২২ সালের ৪ অক্টোবর একই ভিডিও প্রচার হতে দেখা যায়। 

Video Comparison by Rumor Scanner 

ভিডিওটির শিরোনাম থেকে জানা যায়, এটি ২০২২ সালের দুর্গাপূজার সময় কলকাতার মোহাম্মদ আলী পার্ক মন্ডপে ধারণ করা হয়েছে। সে সময় ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিষয়টিও আলোচনায় আসে বলে পোস্টে উল্লেখ করা হয়। তবে ভিডিওতে দেখতে পাওয়া মুসলিম ব্যক্তির কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ততা রয়েছে কিনা এ বিষয়ে পোস্টে কোনো তথ্য উল্লেখ পাওয়া যায়নি।

পরবর্তীতে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে আরেক ভারতীয় গণমাধ্যম Times Now News এর ওয়েবসাইটেও একই ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। সেখানেও ভিডিওটি সম্পর্কিত একই তথ্য মেলে। তবে অনুসন্ধানে উক্ত মুসলিম ব্যক্তির সাথে ভারতের জামায়াতে ইসলামী কিংবা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কোনো যোগসূত্র আছে কিনা তা জানা যায়নি। যেহেতু ভিডিওটি ২০২২ সালের এবং ভারতের, সেহেতু এর সাথে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কোনো সম্পর্ক নেই।  

সুতরাং, ভোটের জন্যে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা দুর্গাপূজার মণ্ডপে নেচেছেন দাবিতে ভারতের ভিডিও প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

রাজধানীতে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের পর রাস্তায় ফেলে যাওয়ার দৃশ্য দাবিতে ভিন্ন ঘটনার ভিডিও প্রচার 

সম্প্রতি, ‘এই মুহূর্তে মধ্যে রাতে রাজধানীতে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ করে রাস্তায় ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা। পরে পথচারীরা মেয়েটিকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে। প্রশাসনকে ফোন দিলেও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়নি। নতুন বাংলাদেশ উপভোগ করছে দেশের জনগণ।’- শীর্ষক ক্যাপশনে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। 

ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি রাজধানীতে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের পর রাস্তায় ফেলা যাওয়ার দৃশ্য নয়। এমনকি ভিডিওটি ঢাকারও নয়। প্রকৃতপক্ষে, গত ০৫ অক্টোবর মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা পরিষদের সামনে মিম নামের এক নারী অজ্ঞান হয়ে পড়েন৷ পরবর্তীতে ইউএনও এবং পুলিশের সহযোগিতায় তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সেখানে ধর্ষণের মত কোনো ঘটনাই ঘটেনি। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ‘Dhamrai News24.com’ নামক একটি ফেসবুক পেজ থেকে গত ০৫ অক্টোবর রাতে প্রচারিত একটি ভিডিও পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত ভিডিওর মিল রয়েছে। 

Video Comparison By Rumor Scanner 

উক্ত ভিডিওর ক্যাপশনে দাবি করা হয়েছে, মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার সামনে পড়ে আছে এক তরুণী। পরিচয় জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, চেতনানাশক কিছু খাইয়ে ফেলে রেখে গেছে। 

এই পোস্টের সূত্র ধরে সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং সিংগাইর থানার সাথে যোগাযোগ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। 

সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুল হাসান সোহাগ বলেন, ‘এটি সিংগাইর উপজেলা পরিষদের সামনের ঘটনা। রাস্তায় অচেতন হয়ে পড়ে থাকা নারীর নাম মিম৷ স্বামীর নাম সোহান। বাবার নাম জলিল এবং মায়ের নাম হাজেরা। ধর্ষণের কোন ঘটনা ঘটেনি। দাবিটি গুজব।’

সিংগাইর থানার পুলিশ পরিদর্শক জে. ও. এম. তৌফিক আজম বলেন, ‘এটি গত ০৫ অক্টোবর (রবিবার) সন্ধ্যার দিককার ঘটনা। নারীটি অচেতন হয়ে রাস্তায় পড়ে যান। পরে তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

বিষয়টি আরও অধিকতর যাচাইয়ের জন্য অচেতন হয়ে পড়ে যাওয়া নারী মিমের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। মিমের মা হাজেরা জানান, গত ০৫ অক্টোবর মিম কাজ থেকে (মিম একটি হাসপাতালে আয়ার কাজ করেন) ফেরার পথে অজ্ঞান হয়ে উপজেলা পরিষদের সামনে পড়ে যান। পরে স্থানীয় মেম্বারের মাধ্যমে তাদের জানানো হলে মিমকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে মিম বাড়িতে আছেন। 

অর্থাৎ, প্রচারিত ভিডিওটি রাজধানীর কোনো স্থানের নয়। এমনকি উক্ত ঘটনায় ধর্ষণের কোনো ঘটনাও ঘটেনি। 

সুতরাং, সম্প্রতি মানিকগঞ্জের এক নারী অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাওয়ার দৃশ্যকে ঢাকায় কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ করে রাস্তায় ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র 

  • Dhamrai News24.com- Facebook Post
  • Singair- UNO Officer Statement 
  • Singair Police Station- OC Statement 
  • Mim’s Mother- Statement 

আ.লীগ নেতার বাড়িতে অগ্নিসংযোগের পুরোনো ভিডিওকে এনসিপি নেতার বাড়িতে আগুন দাবিতে প্রচার

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হয়েছে, শরীয়তপুরে নাহিদ ইসলামের জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এক নেতার বাড়িতে আগুন দিয়েছে নিষিদ্ধ ঘোষিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।

উক্ত দাবিতে প্রচারিত টিকটক ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)

একই দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)। 

ইনস্টাগ্রামের ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

একই দাবিতে গত জুলাই মাসে ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি এনসিপির কোনো নেতার বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনার নয় এবং এটি সাম্প্রতিক সময়েরও ভিডিও নয়। প্রকৃতপক্ষে, এটি ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের ভিডিও। সেদিন শরীয়তপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপুর বাড়িতে আন্দোলনকারীরা আগুন দেয়। এটি সেই ঘটনার ভিডিও।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ২০২৪ সালের ৬ আগস্ট অনলাইন নিউজ পোর্টাল রাইজিং বিডি.কম এর ইউটিউবে চ্যানেলে ‘শরীয়তপুরে এমপির বাড়িতে হামলা’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর দৃশ্যের সাথে আলোচিত ভিডিওর দৃশ্যের মিল খুঁজে পাওয়া যায়।  

Comparison: Rumor Scanner 

পরবর্তীতে প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে STV News Portal নামক একটি ইউটিউব চ্যানেলে আলোচিত ঘটনায় ধারণকৃত আরেকটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। ২০২৪ সালের ০৫ আগস্ট প্রকাশিত এই ভিডিওর বর্ণনা থেকে জানা যায়, শরীয়তপুরের সাবেক এমপি ইকবাল হোসেন অপুর বাড়িতে ভাংচুড়ের দৃশ্য এটি। 

এ বিষয়ে সেসময় ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দুপুর ৩টার দিকে শরীয়তপুর-ঢাকা সড়কের জেলা সদরের ঋষিপাড়া এলাকায় অবস্থান নেয় কয়েকশ আন্দোলনকারী। তারা শরীয়তপুর -১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপুর বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। একপর্যায়ে তাঁর বাসভবনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

অর্থাৎ, প্রচারিত ভিডিওটি কোনো এনসিপি নেতার বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনার নয়। 

সুতরাং, শরীয়তপুরের এনসিপি নেতার বাড়িতে অগ্নিসংযোগের দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র 

আফগানিস্তানের কাবুলে বোমা হামলার দৃশ্য দাবিতে পাকিস্তানের পুরোনো ভিডিও প্রচার 

গত ১০ অক্টোবর আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। যাকে তালিবান সরকার এবং আফগানিস্তানের স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোতে বিমান হামলা বলে দাবি করা হয়েছে। তালিবান সরকার কথিত এই বিমান হামলার জন্যে পাকিস্তানকে দায়ী করেন। এরই প্রেক্ষিতে, ‘পাকিস্তানি আ’মেরিকার এয়ারবাস থেকে, আফগানিস্তানের কাবুলে বো’মা হা’ম’লা করেছেন আমেরিকা!’ শীর্ষক শিরোনামে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের নয় বরং, গত মার্চে পাকিস্তানে ভারতের অপারেশন সিঁদুরের বোমা হামলার। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে অস্ট্রেলিয়ান গণমাধ্যম ‘sbsnews_au‘’ এর টিকটক অ্যাকাউন্টে গত ৭ মে প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির মিল রয়েছে।

Comparison: Rumor Scanner

ভিডিওর ক্যাপশন থেকে জানা যায়, গত ৭ মে বুধবার পাকিস্তান ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক প্রবল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা নয়টি স্থানে “সন্ত্রাসী অবকাঠামোতে” হামলা চালিয়েছে, আর পাকিস্তান জানিয়েছে যে তারা এর প্রতিক্রিয়া জানাবে। বিস্ফোরণের পর পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের রাজধানী মুজাফফরাবাদে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। তবে এসব বিস্ফোরণের কারণ তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার হয়নি পাকিস্তানি নিরাপত্তা কর্মকর্তার বরাতে বলা হয়, ৭ মে (বুধবার) ভোরে ভারত অন্তত তিনটি স্থানে সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে, এতে এক শিশু নিহত এবং আরও দুইজন আহত হয়েছে। গত মাসে ভারতের নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলার ঘটনায় দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। ভারত ওই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছে, তবে ইসলামাবাদ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। (অনূদিত) 

পরবর্তীতে, আইরিশ গণমাধ্যম ‘The Irish Sun’ এর ওয়েবসাইটেও একই তথ্যসংবলিত উক্ত ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়। সে সময় এ বিষয়ে একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সংবাদ ( ,, ) প্রকাশ করে।

অর্থাৎ, ভিডিওটি আফগানিস্তানের কাবুলের নয়।

সুতরাং, গত মে মাসে পাকিস্তানে বোমা হামলার দৃশ্যকে সাম্প্রতিক সময়ে আফগানিস্তানের কাবুলে পাকিস্তানের বোমা হামলার ভিডিও দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

মায়ানমারের পুরোনো ভিডিওকে বান্দরবানে আরাকান আর্মির প্রবেশের দৃশ্য দাবিতে প্রচার 

সম্প্রতি ‘বাংলাদেশে প্রবেশ করলো আরাকান আর্মি, বান্দারবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের ভাজাবুনিয়া গ্রাম সহ বেশকিছু অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তারা, রাত হলেই এসব অঞ্চলে শুরু হয় বাড়ি-ঘরে লুটপাট ও হত্যাযজ্ঞ।…’ ক্যাপশনে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)৷

ইন্সটাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আরাকান আর্মি কর্তৃক বান্দারবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের বেশকিছু অঞ্চল নিয়ন্ত্রণে নেওয়া এবং সেখানে লুটপাত চালানোর মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। প্রকৃতপক্ষে, ২০২৩ সালে মায়ানমারের কিছু বিদ্রোহী গোষ্ঠীর দেশটির নিয়াংপিন্থা পুলিশ স্টেশন দখল করার ভিডিওকে বান্দরবানে আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণ দাবিতে প্রচার করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে মায়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী Royal Peacock Column এর ফেসবুক পেজে ২০২৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর একটি অংশের সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির সাদৃশ্য রয়েছে। 

Comparison: Rumor Scanner 

উক্ত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এটির ০১:৩০ থেকে ০২:১২ সেকেন্ড পর্যন্ত অংশটি আলোচিত ভিডিওতে ব্যবহার করা হয়েছে। 

উল্লেখিত ভিডিওটির ক্যাপশন থেকে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর ভোরে রয়েল ডাউ কর্পস, ইয়োমা কর্পস (১), আলাওয়াকা কর্পস, বিপিএলএ এবং কেএনএলএ নামক মায়ানমারের কয়েকটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী মিলে দেশটির ফিউ টাউনশিপের পুরাতন ইয়াঙ্গুন-মান্ডালে রোডের কাছে নিয়াংপিন্থা পুলিশ স্টেশনে আক্রমণ চালায়। এরপর তারা স্টেশনটিতে প্রবেশ করে সেটি সম্পূর্ণরূপে দখল করতে সক্ষম হয়। সংযুক্ত ভিডিওটি উক্ত ঘটনার দৃশ্য।

পরবর্তীতে, থাইল্যান্ড ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম Red News Agency এর ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর প্রকাশিত একটি ভিডিও প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য জানা যায়। 

অর্থাৎ, আলোচিত ভিডিওর ঘটনাটি বাংলাদেশে ঘটেনি। 

সুতরাং, মায়ানমারের কতিপয় বিদ্রোহী গোষ্ঠীর একটি পুলিশ স্টেশন দখলে নেওয়ার ভিডিওকে বান্দরবানে আরাকান আর্মির অনুপ্রবেশ ও নিয়ন্ত্রণের ঘটনা দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

সেনাপ্রধানকে গ্রেফতার করে কথিত সেনা কর্মকর্তা লে. কর্ণেল আজমাতুল্লাহর ক্ষমতা গ্রহণের ভুয়া দাবি

0

গত ১২ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘মধ্যরাতে জেনারেল ওয়াকার গ্রেফতার দেশের ক্ষমতা গ্রহণ করলো লেফটেন্যান্ট কর্নেল আজমাতুল্লাহ’ শীর্ষক শিরোনামে কালের কণ্ঠের লোগো সম্বলিত একটি ফটোকার্ড প্রচার করা হচ্ছে। 

ফেসবুকে প্রচারিত এমন ফটোকার্ড দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের গ্রেফতার ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল আজমাতুল্লাহ নামের কথিত সেনা কর্মকর্তার দেশের ক্ষমতা গ্রহণের দাবিটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে লেফটেন্যান্ট কর্ণেল আজমাতুল্লাহ নামের কোনো সেনা কর্মকর্তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। এছাড়াও সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে গ্রেফতারও করা হয়নি। মূলত, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় কালের কণ্ঠের লোগো ব্যবহার করে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীনভাবে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে। 

আলোচিত দাবিটির বিষয়ে অনুসন্ধানে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে গণমাধ্যম, আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরবাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ফেসবুক পেজ কিংবা অন্য কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে গ্রেফতারের তথ্য পাওয়া যায়নি। এছাড়াও লেফটেন্যান্ট কর্নেল আজমাতুল্লাহ নামের কথিত সেনা কর্মকর্তার ক্ষমতা গ্রহণের বিষয়েও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

পরবর্তীতে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, এতে কালের কণ্ঠের লোগো এবং ফটোকার্ডটি প্রকাশের তারিখ হিসেবে ১২ অক্টোবর, ২০২৫ উল্লেখ রয়েছে। 

Image: Facebook 

প্রাপ্ত তথ্যের সূত্র ধরে গণমাধ্যমটির ফেসবুক পেজ পর্যবেক্ষণে উল্লিখিত তারিখে (১২ অক্টোবর, ২০২৫) কিংবা সাম্প্রতিক সময়ে এ ধরনের কোনো ফটোকার্ড প্রকাশের প্রমাণ মেলেনি। তাছাড়া গণমাধ্যমটির ওয়েবসাইটেও এ সংক্রান্ত কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি। 

পাশাপাশি কালের কণ্ঠের ফেসবুক পেজে প্রকাশিত ফটোকার্ডগুলোর সাথে উক্ত ফটোকার্ডের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, উভয় ফটোকার্ডের মাঝে সূক্ষ্ম পার্থক্য রয়েছে। কালের কণ্ঠের ফটোকার্ডে গণমাধ্যমটির নামের ফন্ট সাইজ বড়। অপরদিকে আলোচিত ফটোকার্ডে সেটি তুলনামূলক ছোট। এছাড়াও আলোচিত ফটোকার্ডে ছবির নিচে কালের কণ্ঠের লোগো থাকলেও আলোচিত ফটোকার্ডে সেটি অনুপস্থিত। পাশাপাশি আলোচিত ফটোকার্ডে বিস্তারিত কমেন্টে লেখাটি লাল বক্সে লেখা থাকলেও কালের কণ্ঠের ফটোকার্ডে সেটি ভিন্ন। এগুলো ছাড়াও ফটোকার্ড দুটিতে বেশ কিছু দৃশ্যমান পার্থক্য রয়েছে। 

Photocard Comparison by Rumor Scanner 

কালের কণ্ঠের উক্ত ডিজাইনের বিষয়ে অনুসন্ধানে দেখা যায়, ২০২৪ সালে কালের কণ্ঠ ফটোকার্ড তৈরিতে আলোচিত ফটোকার্ডটিতে ব্যবহৃত ফরমেট ব্যবহার করতো। ধারণা করা যাচ্ছে সে বছরের ১২ অক্টোবরে প্রচারিত উক্ত ফটোকার্ডটি ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনা করে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে। কারণ আলোচিত ফটোকার্ডে সেনা কর্মকর্তার ছবির দুইপাশে কালো রঙ দেখা যাচ্ছে। উক্ত ফটোকার্ডটিতে ব্যবহৃত ট্রাম্পের ছবির একই স্থানে কালো রঙ রয়েছে।

Photocard Comparison by Rumor Scanner 

পরবর্তীতে দাবিটির সূত্রপাত অনুসন্ধানে আজ রাত ২ টা ৫৯ মিনিটে Kutub Uddin নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এই দাবির সম্ভাব্য প্রথম পোস্টটি খুঁজে পাওয়া যায়। ওই পোস্টে কালের কণ্ঠের নাম উল্লেখ করা হলেও কোনো প্রতিবেদনের লিংক, স্ক্রিনশট বা ভিডিও যুক্ত করা হয়নি। অর্থাৎ, এই দাবির ভিত্তি একটি অনির্ভরযোগ্য ফেসবুক অ্যাকাউন্টের পোস্ট।

Screenshot: Facebook 

এছাড়াও উক্ত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট পর্যালোচনা করে এতে কালের কণ্ঠের নামে প্রচারিত এমন বেশ কিছু ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়। এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে। পাশাপাশি অ্যাকাউন্টটির অ্যাবাউট সেকশন উল্লেখ রয়েছে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গুজব বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন। যা থেকে প্রতীয়মান হয় যে, উক্ত অ্যাকাউন্টধারী ব্যক্তি সার্কাজম হিসেবে পোস্টগুলো তৈরি এবং প্রচার করেছেন। তবে সেটি পরবর্তীতে ফেসবুকে বাস্তব দাবিতে ছড়িয়ে পড়েছে।

পরবর্তীতে আলোচিত ফটোকার্ডে ব্যবহৃত সেনা কর্মকর্তার বিষয়ে জানতে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে অনুসন্ধান করা হয়। অনুসন্ধানে Grate Grand Masti নামের একটি ফেসবুক পেজে ২০১৭ সালের ১২ জানুয়ারি প্রচারিত একটি পোস্টে একই সেনা কর্মকর্তার ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। 

Screenshot: Facebook 

পোস্টটিতে উল্লেখ করা হয়, উক্ত সেনা কর্মকর্তার নাম লেফটেন্যান্ট কর্নেল তৌহিদ। উক্ত ব্যক্তির ছবিতেও তার ব্যাজে তৌহিদ নামটি লেখা দেখতে পাওয়া যায়। তবে পরবর্তী অনুসন্ধানে তার বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। কিন্তু এটি নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে যে উক্ত ব্যক্তির নাম লেফটেন্যান্ট কর্নেল আজমাতুল্লাহ নয়।

কথিত সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল আজমাতুল্লাহ বিষয়ে অনুসন্ধানে রিউমর স্ক্যানার টিম এমন নামের কোনো ব্যক্তির সন্ধান পায়নি। এছাড়া সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের তালিকা যাচাই করেও এই নামে কোনো লেফটেন্যান্ট কর্নেল পাওয়া যায়নি। উক্ত নাম ব্যবহার করে পূর্বেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া তথ্য প্রচার করা হলেও সেসময় তথ্যটি গুজব হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।  

অর্থাৎ, সম্পূর্ণ ভিত্তিহীনভাবে কালের কণ্ঠের নাম ব্যবহার করে সেনাবাহিনীর সম্পর্কে আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে।

সুতরাং, সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে গ্রেফতার করে লেফটেন্যান্ট কর্নেল আজমাতুল্লাহ নামের কথিত সেনা কর্মকর্তার দেশের ক্ষমতা গ্রহণের দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং উক্ত দাবিতে প্রচারিত ফটোকার্ডটি সম্পাদিত।

তথ্যসূত্র

  • Kaler Kantho Facebook Post
  • Kutub Uddin Facebook Post
  • Grate Grand Masti Facebook Post
  • Rumor Scanner’s Analysis

ইসরায়েল কর্তৃক শহিদুল আলমকে আটকের দৃশ্য দাবিতে লাইফ জ্যাকেট ব্যবহারের প্রশিক্ষণের ভিডিও প্রচার 

গত ৩১ আগস্ট স্পেনের বার্সেলোনা থেকে গাজার ইসরায়েলি অবরোধ ভেঙে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ নামে একটি নৌবহর যাত্রা শুরু করে। এই মিশনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অ্যাক্টিভিস্ট, সাংবাদিক এবং মানবাধিকারকর্মীরা অংশ নেন। এর ধারাবাহিকতায়, গত ১ অক্টোবর ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের (এফএফসি) জাহাজ ‘কনশানস্’ আন্তর্জাতিক সাংবাদিক এবং চিকিৎসা পেশাদারদের নিয়ে গাজার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। এই জাহাজে বাংলাদেশের আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলমও যোগ দেন। গত ৮ অক্টোবর ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নৌবহরের আরো অনেকের সাথে শহিদুল আলমও আটক হন। পরবর্তীতে মুক্তি পেয়ে গত ১১ অক্টোবর দেশে ফিরেছেন শহিদুল আলম। এরই প্রেক্ষিতে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হয়েছে, ভিডিওটি ইসরায়েল কর্তৃক শহিদুল আলমকে আটক করার দৃশ্যের।

এরূপ দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি ইসরায়েল কর্তৃক শহিদুল আলমকে আটক করার দৃশ্যের নয়। বরং ইসরায়েল কর্তৃক আটক হওয়ার আগে শহিদুল আলমসহ ফ্লোটিলার যাত্রীদের জরুরি পরিস্থিতিতে লাইফ জ্যাকেট ব্যবহারের প্রশিক্ষণ নেওয়ার দৃশ্যকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে দেশের মূলধারার গণমাধ্যম ‘ইনডিপেনডেন্ট টিভি’র ইউটিউব চ্যানেলে গত ৫ অক্টোবরে ‘জরুরি পরিস্থিতিতে লাইফ জ্যাকেট ব্যবহারের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন ফ্লোটিলার যাত্রীরা’ শিরোনামে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত একটি ভিডিও পাওয়া যায়। ভিডিওটির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির মিল পাওয়া যায়। 

Comparison : Rumor Scanner 

ভিডিওটি সম্পর্কে বলা হয়, ‘কীভাবে জরুরি পরিস্থিতিতে লাইফ জ্যাকেট ব্যবহার করতে হয় প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন ফ্লোটিলার যাত্রীরা’। এছাড়াও, আলোচিত দাবিতে প্রচারিত কিছু ভিডিওতে ইনডিপেনডেন্ট টিভির লোগোর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। এ থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে প্রচারিত ভিডিওটি মূলত ইনডিপেনডেন্ট টিভিতে প্রচারিত উক্ত ভিডিও থেকে নেওয়া হয়েছে। 

এছাড়াও, ইনডিপেনডেন্ট টিভির ফেসবুক পেজেও ‘জরুরি পরিস্থিতিতে লাইফ জ্যাকেট ব্যবহারের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন ফ্লোটিলার যাত্রীরা’ শিরোনামে আলোচিত দৃশ্যটি গত ৫ অক্টোবরে প্রচার হতে দেখা যায়।

অপরদিকে, গত ৮ অক্টোবর ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নৌবহরের আরো অনেকের সাথে শহিদুল আলম আটক হন। অর্থাৎ, প্রচারিত ভিডিওটি শহিদুল আলমের আটক হওয়ার আগেই অনলাইনে প্রচার করা হয়েছে।

সুতরাং, আটক হওয়ার কয়েকদিন আগে শহিদুল আলমসহ ফ্লোটিলার যাত্রীদের জরুরি পরিস্থিতিতে লাইফ জ্যাকেট ব্যবহারের প্রশিক্ষণ নেওয়ার দৃশ্যকে ইসরায়েল কর্তৃক শহিদুল আলমকে আটক করার ভিডিও দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র