Home Blog Page 545

মাহিয়া মাহির প্রাক্তন স্বামী রকিব সরকার তার ছেলে ফারিশকে অস্বীকার করেননি

0

সম্প্রতি, ছেলে ফারিশকে অস্বীকার করে কি বলল মাহির স্বামী রকিব– শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। 

মাহিয়া মাহির

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ইউটিউবে প্রচারিত এমন ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

টিকটকে পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির প্রাক্তন স্বামী ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান সরকার রকিব তার ছেলে মো. মোসাইব আরাশ সামসুদ্দিন ফারিশ সরকারকে অস্বীকার করেনি বরং ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে মাহিয়া মাহির এবং রকিব সরকারের ভিন্ন দুইটি ভিডিওটি যুক্ত করে আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ মাহিয়া মাহির প্রাক্তন স্বামী ভিডিওর শুরুতে কামরুজ্জামান সরকার রকিবকে বক্তব্য দেখা যায়। পরবর্তীতে মাহিয়া মাহিকে বক্তব্য দিতে দেখা যায়। এরপর মাহিয়া মাহি, কামরুজ্জামান সরকার রকিব এবং তাদের ছেলে মো. মোসাইব আরাশ সামসুদ্দিন ফারিশ সরকারের কয়েকটি ছবি যুক্ত করে উপস্থাপিকাকে কিছু কথা বলতে শোনা যায়।

ভিডিওতে প্রচারিত আলোচিত দাবিটি নিয়ে কামরুজ্জামান সরকার রকিবমাহিয়া মাহির ফেসবুক অ্যাকাউন্ট পর্যবেক্ষণ করে এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

এছাড়া, প্রাসঙ্গিক একাধিক কি ওয়ার্ড সার্চ করেও গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্যকোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে উক্ত দাবির সত্যতা পাওয়া যায়নি। 

আলোচিত ভিডিওটিতে প্রচারিত দাবিগুলোর বিষয়ে আরও অনুসন্ধানে ভিডিওটিতে দেখানো ভিডিও ক্লিপগুলোর বিষয়ে আলাদাভাবে অনুসন্ধান চালায় রিউমর স্ক্যানার টিম।

ভিডিও যাচাই-১ 

আলোচিত ভিডিওর শুরুর অংশে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির প্রাক্তন স্বামী কামরুজ্জামান সরকার রকিবকে বক্তব্য দিতে শোনা যায়। বক্তব্যে কামরুজ্জামান সরকার রকিব বলেন, আগে সে তো প্রথম যে মূহুর্তগুলো সেগুলো আসলে ফারিশের সাথে কানেক্টেড করতে পারতাম না। নায়িকা মাহি তো আমার চাইতে ভালো সারাদেশবাসীই জানে। তো আমি নায়িকা হিসেবে যতটুকু দেখেছি আমি অনেকগুলো শ্যুটিংয়ে গিয়েছি তার৷ 

উক্ত বক্তব্যের সাথে আলোচিত দাবির কোনো যোগসূত্র নেই।

ভিডিও যাচাই-২

এই অংশে মাহিয়া মাহিকে কান্নারত অবস্থায় কথা বলতে শোনা যায়৷ তিনি বলেন, ‘আমার যে ছোট বাবুটা, আমার ফারিশ, আমার কলিজার টুকরা৷ ওকে নিয়েও যখন আপনারা অনেক উল্টাপাল্টা কথা লিখেন, আপনারা অনেক রকমের অনেকে বাজে কথা লেখেন ছোট বাচ্চাটাকে নিয়ে।’

ভিডিওটির বিষয়ে অনুসন্ধান করে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে মাহিয়া মাহির ফেসবুক পেজে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি “আমার ফারিশ কলিজাকে দোয়া করে দিবেন সবাই

ওর মা যেনো ওকে ভালো মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে পারে” শীর্ষক ক্যাপশনে প্রকাশিত একটি ভিডিও (আর্কাইভ) খুঁজে পাওয়া যায়। 

উক্ত ভিডিওটির কিছু অংশের সাথে আলোচিত ভিডিওটির হুবহু মিল রয়েছে।

Video Comparison: Rumor Scanner

উক্ত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে জানা যায়, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি স্বামী কামরুজ্জামান সরকার রকিবের সাথে বিয়ে বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়ে উক্ত ভিডিওটি নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট করেন মাহিয়া মাহি। এই ভিডিও বার্তায় মাহিয়া তার প্রাক্তন স্বামী রকিব সরকার সম্পর্কে এমন কোনো অভিযোগ করেননি।

মূলত, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে এক ভিডিও বার্তায় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান সরকার রকিবের সঙ্গে বৈবাহিত সম্পর্কের ইতি টানার কথা জানান। এরই মধ্যে ছেলে ফারিশকে অস্বীকার করে কি বলল মাহির স্বামী রকিব- শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আলোচিত দাবিটি মিথ্যা। প্রকৃতপক্ষে, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে ভিন্ন দুইটি ভিডিও যুক্ত করে কোনো তথ্য প্রমাণ ছাড়া আলোচিত ভিডিওটি প্রচার করা হয়েছে। 

সুতরাং, চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির প্রাক্তন স্বামী কামরুজ্জামান সরকার রকিব তার ছেলে মোসাইব আরাশ সামসুদ্দিন ফারিশ সরকারকে অস্বীকার করেছেন দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত তথ্যটি মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

লাইভে এসে তামিম-সাকিবের ছেলে-মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দুজনকে এক হয়ে যেতে বলেননি মাশরাফি 

0

সম্প্রতি, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও মাগুরা- ১ আসনের সংসদ সদস্য ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের মধ্যকার চলমান দ্বন্দ্ব নিরসনে তাদের ছেলে-মেয়েকে বিয়ে দিয়ে এক হয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলেন নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য  মাশরাফি বিন মর্তুজা দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

তামিম-সাকিবের ছেলে

উক্ত দাবিতে প্রচারিত টিকটকের ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

একই দাবিতে ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, তামিম ও সাকিবের আলোচিত দ্বন্দ্ব নিরসনে তাদের ছেলে-মেয়েকে বিয়ে দিয়ে এক হয়ে যাওয়ার মতো কোনো পরামর্শ দিয়ে লাইভ করেননি মাশরাফি বরং, সাকিব, তামিম ও মাশরাফির ভিন্ন ঘটনার দুটি লাইভ প্রোগামের কিছু অংশ ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় যুক্ত করে আলোচিত  ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে। 

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি পর্যালোচনা করে রিউমর স্ক্যানার টিম। এতে তামিম ইকবালকে বলতে শোনা যায়, ‘ওয়েলকাম মাশরাফি ভাই। থ্যাঙ্ক ইউ, আপনার ব্যস্ত সময় থেকে আমাকে সময় দিয়েছেন। ভাই, আমি একজনকে আমাদের সাথে আনতে চাই। আপনার খুবই ক্লোজ। ওর সাথে আমরা সবচাইতে বেশি আড্ডা মারছি। একটা মিনিট যদি সময় দেন তাহলে ওকে আমাদের সাথে নিয়ে আসি। আপনি হয়তো বা একটু সারপ্রাইজড হতে পারেন ওকে দেখে।’ এরপরই ভিডিওতে তাদের সাথে সাকিব আল হাসানকে যুক্ত হতে দেখা যায়। তারপর মাশরাফি বিন মর্তুজাকে ‘কাপ্তান সাহেব আসসালামু আলাইকুম। আচ্ছা, শোন সবাইকে সরি বল আগে। কারণ আমি তো খুব এক্সপার্ট এই বিষয়ে…সব সমস্যা তুই-ই বাঁধাইয়া দিস…শোন তোর বাচ্চাদের আদর দিস। মেয়েটা কেমন আছে?…তোদের ভালো চান্স আছে দেখ চেষ্টা কর।’ শীর্ষক মন্তব্য করতে শোনা যায়। তবে ভিডিওটির কোথাও সাকিব প্রসঙ্গে কাউকে কথা বলতে শোনা যায়নি। এছাড়াও ভিডিওতে আলোচিত দাবির বিষয়েও কাউকেই কোনো কিছু বলতে শোনা যায়নি।

পরবর্তীতে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত লাইভ ভিডিওটিতে ব্যবহৃত ভিডিও ক্লিপগুলোর বিষয়ে অনুসন্ধানে তামিম ইকবালের ইউটিউব চ্যানেলে ২০২০ সালের ৫ মে  #TI28 Tamim Iqbal Live with Mashrafe Bin Mortaza শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। 

উক্ত ভিডিওটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এটির সাথে আলোচিত ভিডিওর মাশরাফি বিন মর্তুজা এবং তামিম ইকবালের ফুটেজের বেশকিছু অংশের মিল পাওয়া যায়। মূলত এই ভিডিওটির বিভিন্ন অংশ কাট করে আলোটিত ভিডিওটির মাশরাফি ও তামিমের অংশটুকু তৈরি করা হয়েছে। 

Video Comparison by Rumor Scanner

এছাড়াও ভিডিওটির কোনো অংশেই সাকিব আল হাসানকে তাদের সাথে যুক্ত হতে দেখা যায় না। বরং তামিম ইকবালকে মাশরাফির কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে যাকে তাদের সাথে অনলাইন আড্ডায় যুক্ত করেন তিনি হলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সেসময়ের কম্পিউটার এনালিস্ট শ্রীনিবাস চন্দ্রশেকরন। 

তাছাড়াও জানা যায়, সে সময় তামিম তার ইউটিউব চ্যানেলে দেশি-বিদেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে প্রায়ই লাইভ ভিডিও প্রচার করতেন। এসব ভিডিওতে তিনি তাদের সাথে ক্রিকেট নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা করতেন। 

অর্থাৎ, আলোচিত ভিডিওতে উক্ত ব্যক্তির স্থলে সাকিব আল হাসানের ভিন্ন একটি ভিডিওর ক্লিপ যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।

পরবর্তীতে আলোচিত ভিডিওতে দেখানো সাকিব আল হাসানের ক্লিপটি অনুসন্ধানে দেশীয় ই-কমার্স ওয়েবসাইট দারাজ এর ফেসবুক পেজ Daraz Online Shopping-এ ২০২১ সালের ১ এপ্রিল Shakib Al Hasan Live Adda with Daraz শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি লাইভ ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। 

ভিডিওটি পর্যলোচনা করে দেখা যায়, আলোচিত ভিডিওটির সাকিব আল হাসানের ক্লিপের সাথে উক্ত ভিডিওতে দেখানো সাকিব আল হাসানের পোশাক, ব্যাকগ্রাউন্ডের মিল রয়েছে।

Video Comparison by Rumor Scanner

তাছাড়াও ভিডিওটির বিস্তারিত বিবরণী থেকে জানা যায়, পহেলা বৈশাখ ১৪২৮ উপলক্ষে ই-কমার্স ওয়েবসাইটটি ভিন্ন অফার দেন। যার প্রচারণার জন্যে তারা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের সাথে একটি অনলাইন আড্ডার আয়োজন করেন। ‍উক্ত ভিডিওটি মূলত সেই অনলাইন আড্ডারই।

পরবর্তীতে মাশরাফি বিন মর্তুজা বাস্তবে কখনো ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালকে নিয়ে আলোচিত দাবিটির বিষয়ে কোনো আলোচনা করেছেন কিনা তা জানতে প্রাসঙ্গিক নানা কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমেও কোনো গণমাধ্যম বা নির্ভরযোগ্য সূত্রে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। 

মূলত, বাংলাদেশ ক্রিকেটের দুই তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের মধ্যকার দ্বন্দ্ব নিয়ে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে আলোচনা হয়ে আসছে। এরই প্রেক্ষিতে সম্প্রতি, নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য ও ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মর্তুজা লাইভে এসে তাদের দুজনকে সাথে নিয়ে তামিম ইকবালের ছেলের সাথে সাকিব আল হাসানের মেয়ের বিয়ে দিয়ে তাদেরকে এক হয়ে যেতে বলেছেন দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা যায়, মাশরাফি বিন মর্তুজা তাদের ছেলে-মেয়েদের নিয়ে এমন কোনো কথা বলেননি। এছাড়াও তাদেরকে সাথে নিয়ে এ সংক্রান্ত কোনো লাইভ আলোচনাও করেননি। প্রকৃতপক্ষে, তাদের তিনজনের ভিন্ন ভিন্ন ঘটনার দুইটি লাইভ ভিডিওর কিছু ক্লিপ ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে যুক্ত করে আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে।

সুতরাং, লাইভে এসে মাশরাফি বিন মর্তুজা  সাকিব ও তামিমের ছেলে-মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দুজনকে এক হতে যেতে বলেছেন দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত ভিডিওটি এডিটেড বা সম্পাদিত।

তথ্যসূত্র

বিরাট কোহলি লাইভে এসে সাকিব-তামিমের দ্বন্দ্ব মিটিয়ে দেননি, এই ভিডিওটি সম্পাদিত 

0

সম্প্রতি, চলমান বিপিএলে রংপুর রাইডার্সের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও ফরচুন বরিশালের ক্রিকেটার তামিম ইকবালের মধ্যকার বিপিএল কান্ড এবং তাদের মধ্যকার পুরোনো দ্বন্দ্ব নিরসনে লাইভে এসে ভারতের ক্রিকেটার বিরাট কোহলি মিটমাট করে দিয়েছেন দাবিতে ইন্টারনেটে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ইউটিউবে প্রচারিত এমন ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

টিকটকে প্রচারিত এমন ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, তামিম ও সাকিবের মধ্যকার দ্বন্দ্ব নিরসনে তামিম বিরাট কোহলিকে নিয়ে কোনো লাইভে অংশ নেননি বরং, তামিম ও  কোহলির পুরোনো একটি লাইভ আলোচনার ভিডিওর সাথে সাকিবের ভিন্ন ঘটনার একটি ভিডিওর কিছু অংশ ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় যুক্ত করে আলোচিত লাইভ ভিডিও দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে। 

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে ভিডিওটিতে রিবাট কোহলিকে ‘আমার মনে হয় সামনে সবাই বেশ পরিবর্তন হয়ে যাবে সব জায়গায়। তাই এই যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এর সাথেই আমাদের মানিয়ে চলতে হবে। আমার মনে হয় সবার একটি স্লো প্রসেস রয়েছে…এটা জরুরীও বটে। কারণ পরিস্থিতিটা এমন যে আমরা কোনো কিছুকে হালকাভাবে নিতে পারছি না। কিন্তু ধীরে ধীরে আমাদের যে কেসের রেসিও আছে ডাবল হবার সেটারও উন্নতি হচ্ছে।’ শীর্ষক কথা বলতে শোনা যায়। এরপরই ভিডিওটির উপস্থাপক দাবি করেন, লাইভ ভিডিওতে বিরাট কোহলি উল্লেখিত কথাগুলোর পরই ‘সাকিব তামিম বাংলাদেশের ক্রিকেটের মাথা। তাদের কাছের শিখবে জুনিয়র ক্রিকেটাররা। এছাড়া সাকিব তামিমের এই কাণ্ডটি ঘটেছে মূলত আবেগের বশে। তামিমকে আউট করেই অদ্ভুত সেলিব্রেশন করেছিল সাকিব। যেটা যেকোনো বলারই কোনো ব্যাটসম্যানকে আউট করে করতে পারে। এরপর সাকিবের আউট হওয়ার পরই নিজের আবেগকে কন্ট্রোল করতে না পেরে তামিম ইকবালও সেলিব্রেশন করেছে। এতে কোনো দোষের কিছু নেই উইকেট পড়লে যে কেউই সেলিব্রেশন করতে পারে। কিন্তু মাঝখানে তাদের মধ্যে এমন ঝামেলা যা ব্যথীত করে পুরো বাংলাদেশের ক্রিকেট টিমকে। তাই আমি সাকিব-তামিমকে বলবো, যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। এখানেই সবকিছু ক্লোজ করুন। সাকিব-তামিম মিলে গেলেই বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নতি হবে।’ শীর্ষক মন্তব্য করেছেন।   

আলোচিত দাবিগুলোর সত্যতা যাচাইয়ে প্রচারিত লাইভ ভিডিওটিতে ব্যবহৃত ভিডিও ক্লিপগুলোর বিষয়ে অনুসন্ধানে  তামিম ইকবালের ইউটিউব চ্যানেলে ২০২০ সালের ১৮ মে #TI28 Tamim Iqbal Live with Virat Kohli শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। 

উক্ত ভিডিওটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এটির সাথে আলোচিত ভিডিওর বিরাট কোহলি এবং তামিম ইকবালের ফুটেজের বেশকিছু অংশের মিল রয়েছে। মূলত এই ভিডিওটির বিভিন্ন অংশ কাট করে আলোচিত ভিডিওটির বিরাট কোহলি ও তামিমের অংশটুকু তৈরি করা হয়েছে। 

Video Comparison by Rumor Scanner

এছাড়াও ভিডিওটির কোনো অংশেই সাকিব আল হাসানকে তাদের সাথে যুক্ত হতে দেখা যায় না। পাশাপাশি ভিডিওটিতে বিরাট কোহলি তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের দ্বন্দ্বের বিষয় নিয়ে নয় বরং করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন।

তাছাড়াও জানা যায়, উক্ত ভিডিওটি প্রচারের সময় তামিম তার ইউটিউব চ্যানেলে দেশি-বিদেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে প্রায়ই লাইভ ভিডিও প্রচার করতেন। যেখানে তিনি তাদের সাথে ক্রিকেট নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা করতেন। 

পরবর্তীতে আলোচিত ভিডিওতে দেখানো সাকিব আল হাসানের ক্লিপটি অনুসন্ধানে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে Shakib Al Hasan এর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে ২০২৩ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি Stay tuned to find out on February 27th, 7:30PM. #CaptureYourPassion #Reno8T #OPPO শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

ভিডিওটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আলোচিত ভিডিওতে সাকিব আল হাসানের দেখানো ফুটেজের সাথে উক্ত ভিডিওর মিল পাওয়া যায়।

Video Comparison by Rumor Scanner

এছাড়াও জানা যায়, ভিডিওটি মূলত বাংলাদেশে মোবাইল কোম্পানি OPPO এর নতুন মোবাইল ফোন OPPO Reno8T রিলিজ হতে নিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। যার সাথে আলোচিত দাবির কোনো সম্পর্ক নেই।

পরবর্তীতে বিরাট কোহলি বাস্তবে কখনো সাকিব ও তামিমকে নিয়ে আলোচিত দাবিটির বিষয়ে কোনো আলোচনা করেছেন কিনা তা জানতে প্রাসঙ্গিক নানা কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমেও কোনো গণমাধ্যম বা নির্ভরযোগ্য সূত্রে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। 

মূলত, চলমান বিপিএলের ৩৮তম ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের বিপরীতে মাঠে নামে ফরচুন বরিশাল। সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের চলমান দ্বন্দ্বের মাঝেই একে অপরের বিপক্ষে জয় লাভের আশায় মাঠে নামে এই ‍দুই তারকা ক্রিকেটার। ম্যাচটিতে সাকিব-তামিমের আউট হওয়ার পর দুজনের প্রতিক্রিয়ায় দ্বন্দ্বের ছাপটি দর্শকদের কাছে আরও স্পষ্ট হয়ে উঠে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে গণমাধ্যম সব জায়গাতেই শুরু হয় আলোচনা। এরই প্রেক্ষিতে সম্প্রতি, সাকিব ও তামিমের বিপিএল কাণ্ড এবং তাদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব নিরসনে লাইভে এসে বিরাট কোহলি মিটমাট করে দিয়েছেন দাবিতে ইন্টারনেটে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা যায়, বিরাট কোহলি তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানকে নিয়ে কোনো লাইভ আলোচনা করেননি। প্রকৃতপক্ষে, তাদের তিনজনের ভিন্ন ভিন্ন ঘটনার দুটি লাইভ ভিডিওর কিছু ক্লিপ ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে যুক্ত করে আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে।

সুতরাং, লাইভে এসে বিরাট কোহলি  সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের বিপিএল কাণ্ড ও তাদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব মিটমাট করে দিয়েছেন দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত ভিডিওটি এডিটেড বা সম্পাদিত। 

তথ্যসূত্র

হাতে খালেদা জিয়ার ছবি সম্বলিত তামিম ইকবালের এই ছবিটি এডিটেড

0

সম্প্রতি, বিপিএল চলাকালীন খেলার মাঠে ক্রিকেটার তামিম ইকবাল ও একজন যুবক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ছবি একত্রে ধরে থাকার একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

হাতে খালেদা জিয়ার

উক্ত দাবিতে টিকটকে প্রচারিত ভিডিওটি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

এই প্রতিবেদন প্রকাশ অবধি এই ভিডিওটি দেখা হয়েছে প্রায় ২ লক্ষাধিক বার। ভিডিওটিতে প্রায় ৪৯ হাজার পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিক্রিয়া দেখানো হয়েছে এবং প্রায় ৮ শতবার শেয়ার হয়েছে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, তামিম ও একজন যুবক একত্রে বেগম খালেদা জিয়ার ছবি ধরে রাখার দাবিতে প্রচারিত ছবিটি আসল নয় বরং বিপিএলে ম্যাচ শেষে তামিমের একজন শুভাকাঙ্ক্ষীর উপহার দেওয়া হাতে আঁকা তামিমের পরিবারের ছবি ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনা করে খালেদা জিয়ার ছবি যুক্ত করে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।

ছবিটির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে অনলাইন পোর্টাল ঢাকা পোস্ট’র ওয়েবসাইটে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি “ভক্তের উপহারও পেলেন ম্যাচসেরা তামিম” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত প্রতিবেদনের সাথে যুক্ত ফিচার ছবির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবির বেগম খালেদা জিয়ার অংশ ব্যতিত মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

Image Comparison: Rumor Scanner

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) এ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারিয়ে তামিম ইকবালের দল ফরচুন বরিশাল জয়লাভ করে। সেদিন ম্যাচ শেষে মাহিন নামে একজন শুভাকাঙ্ক্ষী হাতে আঁকা তামিম ইকবালের পুরো পরিবারের ছবি তাকে উপহার দেন।

আরো অনুসন্ধান করে MD Mahin Hasan নামক উক্ত ব্যক্তির ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত একই ছবি (আর্কাইভ) খুঁজে পাওয়া যায়।

এই ছবিতেও বেগম খালেদা জিয়াকে দেখা যায়নি।

Screenshot: Facebook

এই পোস্টে তিনি তামিমকে দেওয়ার ছবিটি উপহার দিয়েছেন জানিয়ে লিখেন, “আলহামদুলিল্লাহ। কোথা থেকে শুরু করবো বুঝতেছি না। মানুষটার সাথে দেখা করার স্বপ্ন দীর্ঘদিন ধরেই। ছবিটা আমি প্রায় ১৫ দিন সময় নিয়ে এঁকেছি ভাইকে দিবো বলে। আর আজ আসলো আমার সেই দীর্ঘদিনের অপেক্ষার ফল। ভাইয়া এতো ভালো একটা ইনিংস খেলছে আর আমি সেরা ফ্যান হয়েছি। ভাইয়া শুধু যে আমার ছবিটা নিয়েছে এমনটা না, আমাকে কথাও দিয়েছে যে, নিজের একটা জার্সি আমাকে দিবে। আলহামদুলিল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ।”

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে গত ২৩ ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত একটি ফেসবুক পোস্টেও একই ছবি পাওয়া যায়। 

সেই পোস্ট থেকে জানা যায়, মো. মাহিন হাসান গত ২৩ ফেব্রুয়ারির ম্যাচে সবচেয়ে উদ্যমী শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে মনোনীত হন।

Screenshot: Facebook

মূলত, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ-(বিপিএল) এ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারিয়ে তামিম ইকবালের দল ফরচুন বরিশাল জয়লাভ করে। সেদিন ম্যাচ শেষে মো. মাহিন হাসান নামে একজন শুভাকাঙ্ক্ষী তামিম ইকবালের পুরো পরিবারের হাতে আঁকা ছবি তামিমকে উপহার দেন। সম্প্রতি, সেই ছবিতে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ছবি যুক্ত করে প্রচার করা হয়েছে।

সুতরাং, তামিম ইকবাল ও একজন যুবক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল – বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ছবি একত্রে ধরে থাকার দাবিতে প্রচারিত ছবি এডিটেড বা বিকৃত।

তথ্যসূত্র

মাহিয়া মাহি ও রকিবের সাথে এই ছবিতে মুরাদ হাসান ছিলেন না 

0

সম্প্রতি, “মাহিকে মুরাদের হাতে তোলে দিলেন রাকিব” শীর্ষক ক্যাপশনে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি এবং তার স্বামী কামরুজ্জামান সরকার রকিবের (সদ্য বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন মাহি) সাথে ডা. মুরাদ হাসানের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। 

মাহিয়া মাহি

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি এবং কামরুজ্জামান সরকার রকিবের সাথে ডা. মুরাদ হাসানের এই ছবিটি বাস্তব নয় বরং ২০২২ সালে রাজশাহীর মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের সাথে তোলা একটি ছবিকে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনা করে লিটনের চেহারায় মুরাদের চেহারা বসানো হয়েছে। 

অনুসন্ধানের শুরুতে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে মাহিয়া মাহির ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর দুইটি ছবি সম্বলিত একটি পোস্ট (আর্কাইভ) খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত পোস্টের একটি ছবির সাথে আলোচিত ছবিটির ব্যাকগ্রাউন্ড, মাহিয়া মাহি এবং কামরুজ্জামান সরকার রকিবের পোশাকের মিল পাওয়া যায়। 

Image Comparison: Rumor Scanner

পোস্টের ক্যাপশন থেকে জানা যায়, সেসময় রাজশাহীর মেয়র খায়রুজ্জামানের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে যান মাহিয়া মাহি।  

এছাড়া, অনলাইন সংবাদমাধ্যম বিডিলাইভ২৪ এর ওয়েবসাইটে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর “অভিনেত্রী থেকে সভানেত্রী মাহি!” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনেও একই ছবি রয়েছে। 

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জ- ২’ আসনের উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হতে দেখা করেছেন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সাথে। ৩০ ডিসেম্বর রাজশাহীর মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের সাথে দেখা করেন তিনি।

অর্থাৎ, রাজশাহীর মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের সাথে তোলা ছবিকে এডিট করে মেয়র লিটনের চেহারায় ডা. মুরাদ হাসানের চেহারা বসানো হয়েছে। 

মূলত, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে এক ভিডিও বার্তায় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান সরকার রকিবের সঙ্গে বৈবাহিত সম্পর্কের ইতি টানার আভাস দেন। এরই মধ্যে “মাহিকে মুরাদের হাতে তোলে দিলেন রাকিব” শীর্ষক ক্যাপশনে মাহি এবং রকিবের সাথে ডা. মুরাদ হাসানের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আলোচিত ছবিটিতে মুরাদ ছিলেন না। ২০২২ সালে রাজশাহীর মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গিয়ে মাহি ও রকিব লিটনের সাথে একটি ছবি তোলেন। সেই ছবিকে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনা করে লিটনের চেহারায় ডা. মুরাদ হাসানের চেহারা বসিয়ে আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হচ্ছে। 

সুতরাং, “মাহিকে মুরাদের হাতে তোলে দিলেন রাকিব”- শীর্ষক দাবিতে প্রচারিত ছবিটি এডিটেড বা বিকৃত। 

তথ্যসূত্র

ফরচুন বরিশাল ম্যাচ ফিক্সিং করে জিতেছে’ শীর্ষক কোনো মন্তব্য সাকিব করেননি

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) এর চলতি আসরে গ্রুপ পর্বের একটি ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ৬ উইকেটে পরাজিত করে ফরচুন বরিশাল। এরপরই ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব ও শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকে ‘ফিক্সিং ম্যাচ জিতেছে বরিশাল, ম্যাচ শেষে তামিমকে ধুয়ে দিলেন সাকিব’ শীর্ষক শিরোনামে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে।

ফরচুন বরিশাল

উক্ত দাবিতে ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

উক্ত দাবিতে টিকটকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

এই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া অবধি এ বিষয়ে ইউটিউবে প্রচারিত একটি ভিডিও প্রায় ১৮ হাজার বার দেখা হয়েছে। ভিডিওটিতে প্রায় ৩ শত ৪৩ টি পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। এছাড়াও ভিডিওটিতে ৩০ টি মন্তব্য করা হয়েছে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সাকিব আল হাসান লাইভে এসে ফরচুন বরিশালকে নিয়ে এমন কোনো মন্তব্য করেননি বরং সাকিব আল হাসানের ভিন্ন প্রেক্ষাপটের পুরোনো একটি ভিডিও ক্লিপের সাথে চলতি বিপিএলে ক্রিকেটারদের খেলার কিছু ছবি যুক্ত করে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। ভিডিওটিতে বিপিএল ফ্রেঞ্চাইজি রংপুর রাইডার্সের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে কথা বলতে দেখা যায়। ভিডিওটিতে সাকিব আল হাসানকে ম্যাচ ফিক্সিং প্রসঙ্গে কোনো কথা বলতে দেখা যায়নি।

ভিডিওটি’র সংবাদপাঠ অংশে বলা হয়, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স বনাম ফরচুন বরিশালের তারিখের ম্যাচের খেলা দেখে লাইভে এসে সাকিব আল হাসান বলেন, “এটাতো পুরাই ফিক্সিং ম্যাচ। খেলা দেখে বোঝাই যাচ্ছে তাদের জেতার কোনো তাড়না নেই। তারা তাদের মেইন বোলার তানভীর ইসলামকে বোলিংয়েই আনেননি। এই ম্যাচ যদি ফিক্সিং ছাড়া খেলতো তাহলে কখনোই ফরচুন বরিশাল জিততেই পারতো না।”

ভিডিওটি’র শুরুর অংশে প্রচারিত সাকিব আল হাসানের ভিডিও ক্লিপটি থেকে কিছু স্থিরচিত্র নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে সাকিব আল হাসানের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে ২০২১ সালের ০৫ অক্টোবর ‘Planning to study abroad?’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। ভিডিওটিতে সাকিব আল হাসানকে বিদেশে উচ্চশিক্ষার বিষয়ে বিজ্ঞাপন দিতে দেখা যায়। 

Screenshot: Shakib Al Hasan Facebook

এই ভিডিওটি’র সাথে আলোচিত ভিডিওটি’র শুরুতে দেখানো সাকিব আল হাসানের ফুটেজ অংশের হুবহু মিল পাওয়া যায়।

Video Comparison by Rumor Scanner

অর্থাৎ, এই ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় এবং এর সাথে আলোচিত দাবিটি’র কোনো সম্পর্ক নেই।

তাছাড়া, গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্যকোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে সাকিব আল হাসানের চলতি বিপিএলে ফরচুন বরিশাল ম্যাচ ফিক্সিং করে জিতেছে শীর্ষক কোনো মন্তব্য বা তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

পাশাপাশি, সাকিব আল হাসানের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ কিংবা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টেও আলোচিত দাবির বিষয়ে তার কোনো লাইভ বা মন্তব্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

অর্থাৎ, উপরোক্ত বিষয়গুলো পর্যালোচনা করলে এটা স্পষ্ট যে, সাকিব আল হাসান লাইভে এসে  ‘ফরচুন বরিশাল ম্যাচ ফিক্সিং করে জিতেছে’ শীর্ষক কোনো মন্তব্য করেননি।

মূলত, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) এর চলতি আসরে গ্রুপ পর্বের একটি ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মুখোমুখি হয় ফরচুন বরিশাল। উক্ত ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ৬ উইকেটে পরাজিত করে ফরচুন বরিশাল। পরবর্তীতে ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব ও শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকে ‘ফিক্সিং ম্যাচ জিতেছে বরিশাল, ম্যাচ শেষে তামিমকে ধুয়ে দিলেন সাকিব’ শীর্ষক শিরোনামে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, উক্ত দাবিটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে সাকিব আল হাসান ফরচুন বরিশালকে নিয়ে এমন কোনো মন্তব্য করেননি। ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে সাকিব আল হাসানের ভিন্ন প্রেক্ষাপটের পুরোনো একটি ভিডিও ক্লিপের সাথে চলতি বিপিএলে ক্রিকেটারদের খেলার কিছু ছবি যুক্ত করে আলোচিত দাবি সম্বলিত ভিডিওটি প্রচার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, পূর্বেও সাকিব আল হাসানের বিষয়ে ভুয়া তথ্য প্রচারের প্রেক্ষিতে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।

সুতরাং, সাকিব আল হাসান লাইভে এসে ‘ফরচুন বরিশাল ম্যাচ ফিক্সিং করে জিতেছে’ শীর্ষক মন্তব্য করেছেন দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

  • Shakib Al Hasan Facebook: Video
  • Shakib Al Hasan: Facebook Page
  • Rumor Scanner’s Own Analysis

জার্মানি সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গণধোলাই খাওয়ার ভুয়া দাবি  

0

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন (এমএসসি) ২০২৪-এ যোগ দিতে তিন দিনের সফরে জার্মানি যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরই মধ্যে ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম ইউটিউবে “জার্মানিতে গিয়েই রাস্তায় গণধোলাই খেলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হাসিনাকে পিটালো বিএনপির নেতাকর্মীরা” শীর্ষক শিরোনাম এবং প্রায় সমজাতীয় থাম্বনেইলে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে।

শেখ হাসিনার গণধোলাই

ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিওগুলো দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

ইউটিউবের এ সংক্রান্ত একটি ভিডিওই এই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া অবধি প্রায় ২১ হাজার বার দেখা হয়েছে। 

আলোচিত ভিডিওটির লিংক ফেসবুকে একাধিক ব্যক্তি শেয়ার করেছেন। দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, জার্মানি সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গণধোলাই খাওয়ার দাবিটি সঠিক নয় বরং প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের প্রতিবাদে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি জার্মানির মিউনিখে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশি এবং বিএনপি নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ সমাবেশের একটি ভিডিওতে চটকদার শিরোনাম এবং থাম্বনেইল ব্যবহার করে আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে। 

অনুসন্ধানের শুরুতেই আলোচিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে ভিডিওটির শিরোনাম এবং থাম্বনেইলে উল্লেখিত দাবির সাথে ভিডিওটি’র বিস্তারিত অংশের মিল পাওয়া যায়নি। পুরো ভিডিও জুড়ে কোথাও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গণধোলাই খাওয়ার কোনো দৃশ্য কিংবা তথ্যেরও উল্লেখ পাওয়া যায়নি।

পরবর্তীতে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির বিষয়ে অনুসন্ধানে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে ‘Bangladesh Nationalist Party (BNP) এর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ‘জার্মানির মিউনিখ থেকে সরাসরি…’ শীর্ষক শিরোনামে একটি লাইভ ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। এই ভিডিওর একটি অংশই আলোচিত ভিডিওটিতে যুক্ত করা হয়েছে। 

Video Comparison : Rumor Scanner

ভিডিও বিশ্লেষনে জানা যায়, সেদিন জার্মানির মিউনিখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জার্মানি সফরকে কেন্দ্র করে এর প্রতিবাদে মিউনিখে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশি এবং বিএনপি নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করে। তবে ভিডিওর কোথাও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। 

ভিডিওটি ইউটিউবে দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

এছাড়া, একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী যদি কোনো দেশ সফরকালে সেখানে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হন তাহলে বিষয়টি নিয়ে জাতীয় কিংবা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হতো। তবে প্রাসঙ্গিক একাধিক কি-ওয়ার্ড সার্চে আলোচিত দাবির স্বপক্ষে কোনো তথ্য কিংবা সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি।  

মূলত, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন (এমএসসি) ২০২৪-এ যোগ দিতে তিন দিনের সফরে জার্মানি যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উক্ত সফরকে কেন্দ্র করে এর প্রতিবাদে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি জার্মানির মিউনিখে অবস্থানরত বাংলাদেশি এবং বিএনপি নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে। এরই প্রেক্ষিতে উক্ত সমাবেশের একটি ভিডিওকে ‘জার্মানিতে গিয়েই রাস্তায় গণধোলাই খেলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হাসিনাকে পিটালো বিএনপির নেতাকর্মীরা’ শীর্ষক শিরোনামে প্রচার করা হয়। তবে রিউমর স্ক্যানার টিম যাচাই করে দেখেছে যে, কোনো প্রকার নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র ছাড়াই সম্পূর্ন ভিত্তিহীনভাবে চটকদার থাম্বনেইল এবং শিরোনাম যুক্ত করে আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া গণমাধ্যম সূত্রেও আলোচিত দাবির পক্ষে কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

সুতরাং, জার্মানি সফরে বিএনপি নেতাকর্মী কর্তৃক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গণধোলাই খাওয়ার দাবিতে ইন্টারনেটে একটি ভিডিও প্রচার করা হচ্ছে ; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

রুবেল হোসেন ২০১৬ সালে ৬ বলে ৬ উইকেট নেননি 

সম্প্রতি, বাংলাদেশি ক্রিকেটার রুবেল হোসেন ২০১৬ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৬ বলে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন দাবিতে একটি ভিডিও টিকটকে প্রচার করা হয়েছে।

৬ বলে ৬ উইকেট

টিকটকে প্রচারিত এমন কিছু ভিডিও দেখুন এখানে(আর্কাইভ), এখানে(আর্কাইভ), এখানে(আর্কাইভ), এখানে(আর্কাইভ), এখানে(আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৬ সালে ক্রিকেটার রুবেল হোসেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৬ বলে ৬ উইকেট নেননি বরং ২০১৩ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নিজের ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ২৬ রানে ৬ উইকেট পাওয়া ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেন তিনি।

প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে, abc official এর ইউটিউব চ্যানেলে ২০২০ সালের ১ জুলাই “Rubel Hossain Unbelievable Hat-Trick | Rubel Hossain 6 Wickets | BAN vs NZ Highlights” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

Video Comparison : Rumor Scanner 

উক্ত ভিডিওর সাথে দাবিকৃত ভিডিওটির মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত ভিডিওতে, ক্রিকেটার রুবেল হোসেনকে ২৬ রানে ৬ উইকেট নিতে দেখা যায়। এছাড়াও, ইনিংসের ২৪তম ওভারে হ্যাটট্রিক করেন তিনি।

পরবর্তীতে প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে, খেলাধুলা বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোতে ২০১৩ সালের ২৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ বনাম নিউজিল্যান্ড উক্ত ম্যাচের স্কোরকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়। 

উক্ত স্কোরকার্ড পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, বাংলাদেশের পক্ষে ক্রিকেটার রুবেল হাসান ৫ ওভার ৫ বল করে ২৬ রানে ৬ উইকেট নেন।

ক্রিকইনফোর ওয়েবসাইটে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ক্রিকেটার রুবেল হাসান সেদিনের ম্যাচে নিউজিল্যান্ড ইনিংসের ১৩ ওভারের তৃতীয় বল, ২৩ ওভারের তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম বল, ২৭ ওভারের পঞ্চম বল এবং ২৯ ওভারের পঞ্চম বল মিলিয়ে মোট ৬টি উইকেটের শিকার করেন।

Source: espncricinfo

যা থেকে স্পষ্টতই প্রতীয়মান হয় যে, উক্ত ম্যাচে রুবেল হাসান ৬ বলে ৬ উইকেট শিকার করেননি।

মূলত, ২০১৩ সালের ২৯ অক্টোবর ক্রিকেটার রুবেল হোসেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ইনিংসের ২৪তম ওভারে হ্যাটট্রিক করেন। সে ম্যাচে রুবেল হোসেন সর্বমোট ৬টি উইকেট নেন, তবে সেটি টানা ৬ বলে নয়, কয়েকটি ওভার মিলিয়ে। ২০১৩ সালের আলোচ্য ম্যাচের একটি ভিডিও যুক্ত করে ‘রুবেল হোসেন ২০১৬ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৬ বলে ৬ উইকেট শিকার করেছিলেন’ দাবিতে সম্প্রতি ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, পূর্বেও ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে নিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে পড়লে সে বিষয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার টিম।

সুতরাং, রুবেল হোসেন ২০১৬ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৬ বলে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

সাকিবের কাছে অটোগ্রাফ নিতে যাওয়া শিশুটি তামিমের ছেলে নয় 

চলমান বিপিএলে রংপুর রাইডার্সের অনুশীলন চলাকালীন দলটির ক্রিকেটার  সাকিবকে দেখতে পেয়ে দৌড়ে গেলো তামিমের ছেলে। তামিমের ছেলে দিলো বিস্কুট, সাকিব দিলেন অটোগ্রাফ ও বল শীর্ষক ক্যাপশনে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

অটোগ্রাফ

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

একই দাবিতে টিকটকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সাকিব আল হাসানের কাছে গিয়ে অটোগ্রাফ নেওয়া ছেলেটি তামিম ইকবালের ছেলে নয় বরং হাসান সাবিত নামে সাকিবের একজন ক্ষুদে ভক্তের উক্ত ভিডিওকে ভিন্ন দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।  

এই বিষয়টির সত্যতা জানতে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে দেশীয় ক্রীড়া ভিত্তিক গণমাধ্যম বিডিক্রিকটাইমের ফেসবুক পেজে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর দৃশ্যের মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

Video Comparison: Rumor Scanner

ভিডিওটি থেকে জানা যায়, সাকিব আল হাসানের সাথে থাকা ছেলেটির নাম হাসান সাবিত। অটোগ্রাফ নেওয়ার জন্য সেদিন হাসান সাবিত চকলেট নিয়ে সাকিবের কাছে গিয়েছিলেন। 

একইদিনে আরেক দেশীয় ক্রীড়া গণমাধ্যম অলরাউন্ডার’র ফেসবুক পেজেও একই ঘটনার ভিডিও পাওয়া যায়।

এছাড়া তামিম ইকবালের ছেলের বিষয়ে অনুসন্ধানে তামিমের অফিসিয়াল  ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ২০২২ সালের ১৪ আগস্টে প্রকাশিত তার ছেলের ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। তামিমের ছেলে আরহামের সাথে সাবিতের চেহারার কোনো মিল পরিলক্ষিত হয়নি। 

Image Comparison: Rumor Scanner

মূলত, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি হাসান রংপুর রাইডার্সের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের কাছে সাবিত নামে তার একজন ক্ষুদে ভক্ত চকলেট নিয়ে অটোগ্রাফ নিতে যায়। উক্ত সময়ের ভিডিও ক্লিপ ব্যবহার করে ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে, এই শিশুটি তামিম ইকবালের ছেলে। তবে রিউমর স্ক্যানার টিম যাচাই করে দেখেছে, দাবিটি সঠিক নয়।  

সুতরাং, হাসান সাবিত নামক একজন শিশু সাকিব আল হাসানের কাছে অটোগ্রাফ নিতে যাওয়ার ভিডিও ব্যবহার করে সাবিতকে তামিম ইকবালের ছেলের দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর। 

তথ্যসূত্র

সৌরভ গাঙ্গুলি “রোহিত দেশসেরা ওপেনার কিন্তু তামিম পৃথিবীর সেরা ওপেনার” শীর্ষক কোনো মন্তব্য করেননি

0

সম্প্রতি, সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার সৌরভ গাঙ্গুলি “রোহিত দেশসেরা ওপেনার কিন্তু তামিম পৃথিবীর সেরা ওপেনার” শীর্ষক কোনো মন্তব্য করেছেন দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

রোহিত

টিকটকে প্রচারিত এমন ভিডিও দেখুন এখানে(আর্কাইভ), এখানে(আর্কাইভ)

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, সৌরভ গাঙ্গুলি “রোহিত দেশসেরা ওপেনার কিন্তু তামিম পৃথিবীর সেরা ওপেনার” শীর্ষক কোনো মন্তব্য করেননি বরং স্পোর্টস ডাইভারসিটি নামের একটি খেলাধুলা বিষয়ক ফেসবুক পেজে রোহিত শর্মার বিষয়ে করা সৌরভ গাঙ্গুলির মন্তব্য সম্বলিত একটি ফটোকার্ড ডিজিটাল প্রযুক্তির সাহায্যে এডিট করে আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতেই একাধিক প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চ করেও জাতীয় ও আন্তজার্তিক গণমাধ্যম কিংবা নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে সৌরভ গাঙ্গুলির আলোচিত মন্তব্যের কোনো সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি।

পরবর্তীতে, টিকটকে প্রচারিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। ভিডিওর ওপরে বাম কোণে থাকা Sports Diversity লেখার সূত্র ধরে স্পোর্টস ডাইভারসিটির ফেসবুক পেজে অনুসন্ধান চালায় রিউমর স্ক্যানার টিম।

কিন্তু, স্পোর্টস ডাইভারসিটির ফেসবুক পেজে সৌরভ গাঙ্গুলির আলোচিত মন্তব্য সম্বলিত কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

তবে, স্পোর্টস ডাইভারসিটির ফেসবুক পেজে ২০২৩ সালের ৩ ডিসেম্বরের একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত পোস্টের সাথে সংযুক্ত ফটোকার্ডের সাথে আলোচিত ভিডিওতে প্রচারিত ফটোকার্ডটিতে ব্যবহৃত শিরোনাম ব্যতীত বাকি অংশের হবহু মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

Comparison Image By Rumor Scanner

টিকটকে প্রচারিত ভিডিওতে ব্যবহৃত ফটোকার্ডের ফন্টের সাথে স্পোর্টস ডাইভারসিটি পেজে প্রচারিত ফটোকার্ডের ফন্টের ভিন্নতা খুঁজে পাওয়া যায়।

অর্থাৎ, স্পোর্টস ডাইভারসিটি পেজে প্রচারিত এই ফটোকার্ডের শিরোনাম সম্পাদনা করেই আলোচিত ভিডিওতে প্রদর্শিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

মূলত, স্পোর্টস ডাইভারসিটি নামের খেলাধুলাবিষয়ক একটি ফেসবুক পেজে ২০২৩ সালের ০৩ ডিসেম্বর ভারতীয় ক্রিকেটার রোহিত শর্মাকে নিয়ে সৌরভ গাঙ্গুলির করা মন্তব্য সম্বলিত একটি ফটোকার্ড প্রকাশ করা হয়। পরবর্তীতে সেই ফটোকার্ডটি ডিজিটাল প্রযুক্তির সাহায্যে এডিট বা সম্পাদনা করে সৌরভ গাঙ্গুলি “রোহিত দেশসেরা ওপেনার কিন্তু তামিম পৃথিবীর সেরা ওপেনার” শীর্ষক মন্তব্য করেছেন দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, পূর্বেও সৌরভ গাঙ্গুলির নামে ভুয়া মন্তব্য প্রচারিত হলে সে বিষয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার টিম।

সুতরাং, সৌরভ গাঙ্গুলি “রোহিত দেশসেরা ওপেনার কিন্তু তামিম পৃথিবীর সেরা ওপেনার” শীর্ষক মন্তব্য করেছেন দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি মিথ্যা এবং উক্ত দাবিতে প্রচারিত ফটোকার্ডটি  এডিটেড বা বিকৃত।

তথ্যসূত্র