Home Blog Page 546

এই ভিডিওতে ফেরাউনের মমি কথা বলেনি, ভাইরাল অংশটি সম্পাদিত 

0

সম্প্রতি, কয়েক হাজার বছর পর এই প্রথম ফেরাউনের মমি কথা বলছে দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। 

ফেরাউনে

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।  

একই দাবিতে টিকটকের একটি ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, কয়েক হাজার বছর পর এই প্রথম ফেরাউনের মমির কথা বলার দাবিটি সঠিক নয় বরং, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারিত একটি ডকুমেন্টারির কিছু অংশ নিয়ে তাতে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে ভিন্ন একটি অডিও যুক্ত করে আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে।

আলোচিত ভিডিওতে ফেরাউনের মমির কথা বলার ফুটেজ দাবিতে দেখানো ক্লিপটির বিষয়ে অনুসন্ধানে National Geographic এর ইউটিউব চ্যানেলে ২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর The Mummification of Seti I | Ultimate Treasure Countdown শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি ডকুমেন্টারি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

ভিডিওটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়,  ফেরাউনের মমির কথা বলার ফুটেজ দাবিতে দেখানো ক্লিপের সাথে উক্ত ভিডিওর ৫৭ সেকেন্ড থেকে ১ মিনিট ১ সেকেন্ড পর্যন্ত ফুটেজের মিল রয়েছে। 

Video Comparison by Rumor Scanner

এটিও লক্ষ্য করা যায় যে, উক্ত ভিডিওর এই অংশটিকে মিরর করে আলোচিত ক্লিপটি তৈরি করা হয়েছে। তবে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের ডকুমেন্টারি ভিডিওটির উক্ত অংশে আলোচিত ভিডিওতে থাকা গোঙানির শব্দটি শুনতে পাওয়া যায় না।

অর্থাৎ, ফেরাউনের মমির কথা বলার ক্লিপ দাবিতে দেখানো ভিডিওতে শুনতে পাওয়া গোঙানি অডিওটি এডিট করে যুক্ত করা হয়েছে।

এছাড়াও ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের ভিডিওটি থেকে জানা যায়, উক্ত মমিটি মূলত Seti the first বা প্রথম সেতি নামের ফেরাউনের। তিনি Ramesses the first এবং Sitre এর পুত্র ছিলেন। মনে করা হয়ে থাকে যে, প্রচীন মিশরের যে কয়েকটি মমি আজ পর্যন্ত পাওয়া গিয়েছে তার মধ্যে Seti the first এর মমিটিই সবথেকে উত্তমভাবে সংরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। 

মূলত, ২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের ইউটিউব চ্যানেলে ফেরাউন Seti the first বা প্রথম সেতির মমি নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি ভিডিও প্রচার করা হয়। উক্ত ভিডিওর একটি ফুটেজ নিয়ে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় মিরর করে তাতে ভিন্ন একটি অডিও যুক্ত করে কয়েক হাজার বছর পর এই প্রথম ফেরাউনের মমি কথা বলছে দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। 

সুতরাং, ফেরাউনের মমি কথা বলছে দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও প্রচার করা হচ্ছে; যা এডিটেড বা সম্পাদিত।

তথ্যসূত্র

হালনাগাদ/ Update

০৩ এপ্রিল, ২০২৪ : এই প্রতিবেদন প্রকাশ পরবর্তী সময়ে টিকটকে একই দাবি সম্বলিত ভিডিও আমাদের নজরে আসার প্রেক্ষিতে উক্ত ভিডিওকে প্রতিবেদনে দাবি হিসেবে যুক্ত করা হলো।

প্রাক্তন প্রেমিককে বিরক্ত করার দায়ে প্রেমিকাকে গ্রেফতারের তথ্যটি সঠিক নয়

0

সম্প্রতি, “প্রাক্তনের যন্ত্রণা” শীর্ষক শিরোনামে মেক্সিকোর লিন্ডা মারফি নামের এক তরুণী তার প্রাক্তন প্রেমিককে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর এক সপ্তাহে ক্রমাগত ৭৭ হাজার ৬৩৯ বার ফোন, মোট ১৯৩৭টি ইমেইল, ৪১ হাজার ২২৯টি মেসেজ, ২১৭টি ভয়েস মেসেজ এবং ৬৪৭টি চিঠি দিয়ে হয়রানির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন দাবিতে একটি তথ্য ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

প্রাক্তন প্রেমিককে

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে(আর্কাইভ), এখানে(আর্কাইভ), এখানে(আর্কাইভ), এখানে(আর্কাইভ), এখানে(আর্কাইভ) ।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, “প্রাক্তনের যন্ত্রণা” শীর্ষক শিরোনামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ছবির ঘটনাটি সত্য নয় বরং এই ছবি ও ছবির গল্পটি সর্বপ্রথম একটি স্যাটায়ার বা ব্যাঙ্গাত্মক লেখা প্রকাশকারী সাইটে প্রকাশিত হয় এবং প্রতিবেদনটিতে প্রকাশিত গ্রেফতারকৃত নারীর ছবিটি ভিন্ন ঘটনার।

মূলত, প্রেমিকের সাথে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ায় প্রেমিকা কর্তৃক তাকে  ৩ টি ফোন থেকে ক্রমাগত এক সপ্তাহে ৭৭ হাজার ৬৩৯ বার ফোন, মোট ১৯৩৭টি ইমেইল, ৪১ হাজার ২২৯টি মেসেজ, ২১৭টি ভয়েস মেসেজ এবং ৬৪৭টি চিঠি দেওয়ার ঘটনাটি সর্বপ্রথম World news Daily Report নামের একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়। যেটি মূলত একটি স্যাটায়ার বা ব্যাঙ্গাত্মক কন্টেন্ট নির্মাণকারী ওয়েবসাইট। পাশাপাশি প্রতিবেদনটিতে যে নারীর ছবি ব্যবহার করা হয়েছে সেটি মূলত যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমা সিটিতে ২০১০ সালে ম্যাকডোনাল্ডসে অনুপ্রবেশের দায়ে গ্রেফতারের পরের ছবি।

উল্লেখ্য, পূর্বেও বিষয়টি ব্যাপকভাবে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টিকে মিথ্যা হিসবে শনাক্ত করে  ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘সাহস থাকলে দেশে ফিরে আসো’ শীর্ষক বক্তব্য মিজানুর রহমান আজহারীর উদ্দেশ্যে দেননি

0

সম্প্রতি, “আমি ফিরে আসব সিংহের বেশে” শীর্ষক শিরোনামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে। ভিডিওটির ওপরের অংশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি বক্তব্যের ভিডিও এবং নিচের অংশে ইসলামিক বক্তা মিজানুর রহমান আজহারীর একটি বক্তব্যের ভিডিও ব্যবহার করা হয়েছে। উক্ত ভিডিওতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলতে শোনা যায়, “ওর সাহস থাকলে আসে না কেন বাংলাদেশে”। মিজানুর রহমান আজহারীকে বলতে শোনা যায়, “জীবনের কোন না কোনো সময়ে এর প্রায়শ্চিত্ত আপনাকে করতে হবে। জীবনের কোনো না কোনো সময় এর প্রায়শ্চিত্ত করে আপনাকে মরতে হবে।”

ভিডিওটির এমন উপস্থাপনার কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উক্ত বক্তব্যটি ইসলামিক বক্তা মিজানুর রহমান আজহারীর উদ্দেশ্যে করেছেন বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।

সাহস থাকলে দেশে

টিকটকে প্রচারিত ভিডিওটি দেখুন এখানে(আর্কাইভ)

টিকটকে প্রচারিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, প্রতিবেদনটি লেখার সময় অবধি ভিডিওটিতে, ২ লাখ ৯১ হাজারের অধিক রিয়্যাক্ট ও ৫হাজারের অধিক মানুষ কমেন্ট করেছেন। এছাড়াও, ভিডিওটি ৯ হাজারের অধিকবার শেয়ার করা হয়েছে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা “ওর সাহস থাকলে আসে না কেন বাংলাদেশে” শীর্ষক বক্তব্যটি মিজানুর রহমান আজহারীর উদ্দেশ্যে দেননি বরং তাঁর বক্তব্যটি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে দেওয়া। 

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের ভিডিও যাচাই

প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সময় টিভি’রর ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৩ সালের ২১ আগস্ট “সাহস থাকলে বাংলাদেশে আসুক, তারেক জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী | Sheikh Hasina | 21st August | Tarique Rahman” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত ভিডিওর খণ্ডাংশের সাথে দাবিকৃত ভিডিওটির হুবহু মিল পাওয়া যায়।

Comparison Image By Rumor Scanner

উক্ত ভিডিওর বিস্তারিত বিবরণী থেকে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, “সাহস থাকলে দেশে আসুক”।

পরবর্তীতে প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে, দেশীয় মূলধারার গণমাধ্যম বাংলা ট্রিবিউনে’র ওয়েবসাইটে ২০২৩ সালের ২১ আগস্ট “সাহস থাকলে তারেক রহমান দেশে আসুক: শেখ হাসিনা” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

Source: বাংলা ট্রিবিউন

উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ১৯তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “একুশে আগস্ট হত্যার বিচার হয়েছে, রায় হয়েছে। কাজেই এই রায় কার্যকর করা উচিত। কিছু আছে কারাগারে, কিন্তু মূলহোতা তো বাইরে। সে তো মুচলেকা দিয়ে বাইরে চলে গেছে। তো সাহস থাকলে আসে না কেন বাংলাদেশে? আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি, সেই সুযোগ নিয়ে লম্বা লম্বা কথা বলে। আর কত হাজার হাজার কোটি টাকা চুরি করে চলে গেছে, সেই টাকা খরচ করে। তো সাহস থাকলে বাংলাদেশে আসুক।”

এছাড়াও, প্রাসঙ্গিক একাধিক কি ওয়ার্ড সার্চ করে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম কিংবা নির্ভরযোগ্য কোনো সূত্র থেকে মিজানুর রহমান আজহারীর উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া এমন কোনো বক্তব্যের তথ্য পাওয়া যায়নি।

মিজানুর রহমান আজহারীর বক্তব্যের ভিডিও যাচাই

প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে, ইসলামিক বক্তা মিজানুর রহমান আজহারীর ভেরিফাইড ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর “জুলুম করার ভয়াবহতা | Mizanur Rahman Azhari” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত ভিডিওটির সাথে দাবিকৃত ভিডিওতে যুক্ত মিজানুর রহমান আজহারীর বক্তব্যের ভিডিওর হুবহু মিল পাওয়া যায়।

ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ভিডিওটিতে মিজানুর রহমান আজহারী ইসলামের আলোকে জুলুম বা অত্যাচার সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। ভিডিওটির কোন অংশে দেশে ফেরা সংক্রান্ত কোন বক্তব্য তিনি দেননি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কেও কিছু বলেননি।    

মূলত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২৩ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ১৯তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় অংশ নেন। উক্ত সভায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে দেওয়া একটি বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপ ব্যবহার করে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী মিজানুর রহমান আজহারীকে উদ্দেশ্য করে “ওর সাহস থাকলে আসে না কেন বাংলাদেশে?” শীর্ষক মন্তব্য করেছেন দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, পূর্বেও মিজানুর রহমান আজহারীর বিষয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচারিত হলে সে বিষয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২৯ জানুয়ারি এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে ইসলামিক বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী জানান, রিসার্চের কাজে মালয়েশিয়া ফিরে যাচ্ছেন তিনি। উক্ত ঘটনার পর এখন অবধি দেশে ফিরেননি তিনি।

সুতরাং, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিজানুর রহমান আজহারীকে উদ্দেশ্য করে “ওর সাহস থাকলে আসে না কেন বাংলাদেশে” শীর্ষক মন্তব্য করেছেন দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

১৩ বছরের বালককে পরিবার কর্তৃক বিয়ে দেওয়ার ঘটনাটি বাংলাদেশের নয়, পাকিস্তানের 

0

সম্প্রতি, স্কুলে না যাওয়ায় ১৩ বছরের ছেলেকে পরিবার কর্তৃক বিয়ে দেওয়ার একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকে প্রচার করা হয়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

বিয়ে

উক্ত দাবিতে টিকটকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ১৩ বছরের ছেলেকে পরিবার কর্তৃক বিয়ে দেওয়ার উক্ত ঘটনাটি বাংলাদেশের নয় বরং ঘটনাটি পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের।

অনুসন্ধানের শুরুতে ফেসবুকে প্রকাশিত পোস্টগুলোর সূত্র ধরে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে দেশীয় একাধিক গণমাধ্যমে (দৈনিক জনকণ্ঠ, কালবেলা, ডেইলি বাংলাদেশ) এ বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: The Daily Janakantha

উক্ত প্রতিবেদনগুলো পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, সংবাদগুলোর শিরোনামে দেশের নাম উল্লেখ না করা হলেও প্রতিবেদনগুলোর বিস্তারিত অংশে এটি পাকিস্তানের ঘটনা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

তাছাড়া একাধিক গণমাধ্যম তাদের ফেসবুক পেজে (, , ) বিষয়টি’র বিস্তারিত উল্লেখ না করে শুধুমাত্র শিরোনাম এবং ফটোকার্ড পোস্ট করার ফলে ঘটনাটি পাকিস্তানের হলেও দেশটি’র নাম উল্লেখ না করে বাংলাদেশে প্রচার করায় বিষয়টি বাংলাদেশের ভেবে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে এবং বাংলাদেশের নেটিজেনরা বিষয়টি সঠিকভাবে না জেনেই ঘটনাটি বাংলাদেশের মনে করেছেন।

Screenshot: Daily Bangladesh

উক্ত পোস্টগুলোর কমেন্টবক্স পর্যবেক্ষণ করে নেটিজেনদের ঘটনাটি বাংলাদেশের ভেবে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করতে দেখা যায়।

Comment Collage by Rumor Scanner

পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধানের মাধ্যমে ভারতীয় গণমাধ্যম The Indian Express এর ওয়েবসাইটে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ‘13-year-olds set to get married in Pakistan after boy gives an ultimatum to parents, shocked netizen react’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বিয়ে না দিলে আর পড়াশোনা করবে না বলে বাবা-মাকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের ১৩ বছর বয়সি এক ছেলে। এরপর চাপে পরে ১২ বছর বয়সি এক নাবালিকার সঙ্গে ঐ কিশোরের বাগদান অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেছে পরিবার। তাদের বাগদানের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে তীব্র সমালোচনা করছেন নেটিজেনরা।

এছাড়াও, বিষয়টি নিয়ে পাকিস্তানের টেলিভিশন চ্যানেল ‘SAMAA TV’ এর ইউটিউব চ্যানেলে গত ২১ ফেব্রুয়ারি ‘13 Years Old Newly Married Pakistani Kid Couple Goes Viral in Social Media’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদন থেকেও আলোচিত বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়।

Screenshot: SAMAA TV

অর্থাৎ, স্কুলে না যাওয়ায় ১৩ বছরের ছেলেকে পরিবার কর্তৃক বিয়ে দেওয়ার উক্ত ঘটনাটি বাংলাদেশের নয়। তবে এসম্পর্কিত খবরের শিরোনামে স্থানের নাম না উল্লেখ করায় ঘটনাটি বাংলাদেশের ভেবে নেটিজেনরা বিভ্রান্ত হয়েছেন।

পাশাপাশি, মূলধারার গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্যকোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে ১৩ বছরের কোনো ছেলেকে পরিবার কর্তৃক বিয়ে দেওয়ার বিষয়ে কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

মূলত, সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে পরিবারের সম্মতিতে ১৩ বছরের এক বালকের সাথে ১২ বছরের এক বালিকার বাগদান সম্পন্ন হয়েছে। উক্ত বিষয়টি ইন্টারনেটে ভাইরাল হলে তা নিয়ে পাকিস্তান ও ভারতের একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের শিরোনামে দেশটি’র নাম উল্লেখ না করে প্রচার করা হয়। পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা বিষয়টি বাংলাদেশের ঘটনা মনে করে ফেসবুকে প্রচার করেন।

প্রসঙ্গত, পাকিস্তানে ছেলে ও মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স আইনিভাবে নির্দিষ্ট রয়েছে। সেখানে পুরুষদের জন্য বৈধ বিবাহের বয়স ১৮ বছর এবং নারীদের ক্ষেত্রে ১৬ বছর। সিন্ধু প্রদেশ ২০১৩ সালে উভয় লিঙ্গের জন্য বিবাহের ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর করার জন্য আইন পাশ হয়েছিল। তবে তা দেশব্যাপী কার্যকর করা হয়নি।

উল্লেখ্য, পূর্বে ভারতের একাধিক ঘটনা বাংলাদেশে স্থানের নাম উল্লেখ ব্যতীত প্রচারিত হলে তা নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার। এমন কয়েকটি প্রতিবেদন দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে

সুতরাং, পাকিস্তানে স্কুলে না যাওয়ায় ১৩ বছরের ছেলেকে পরিবার কর্তৃক বিয়ে দেওয়ার ঘটনাটি বাংলাদেশে স্থানের নাম উল্লেখ না করে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে সংঘর্ষে বিজিবি ও মিয়ানমার সেনা নিহতের গুজব

0

সম্প্রতি, বাংলাদেশের বিজিবির গুলিতে মিয়ানমারের ৭ সেনা নিহত হয়েছে এবং বাংলাদেশের ২৭ বিজিবি নিহত হয়েছে মিয়ানমারের গুলিতে শীর্ষক ক্যাপশনে আলাদা দুইটি ভিডিও শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম টিকটকে প্রচার করা হয়েছে।

সীমান্তে সংঘর্ষে

বাংলাদেশের বিজিবির গুলিতে মিয়ানমারের ৭ সেনা নিহত হওয়ার দাবিতে টিকটকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

মিয়ানমারের গুলিতে বাংলাদেশের ২৭ বিজিবি নিহত হওয়ার দাবিতে টিকটকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর সদস্যের গুলিতে মিয়ানমারের ৭ সেনা নিহত হননি এবং মিয়ানমারের গুলিতেও বিজিবির ২৭ সদস্য নিহত হননি বরং কোনোপ্রকার গ্রহণযোগ্য তথ্যসূত্র ছাড়াই আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে গত ০৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো’র ওয়েবসাইটে “মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে বাংলাদেশিসহ নিহত ২” শীর্ষক শিরোনামে একটি প্রকাশিত প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত কয়েক সপ্তাহ যাবৎ বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় আরাকান আর্মিসহ কয়েকটি গোষ্ঠী যুদ্ধ জোরালো করেছে। তারা সম্মিলিতভাবে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে। এরই মধ্যে গত ৫ ফেব্রুয়ারি বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাইতলী গ্রামের একটি রান্নাঘরের ওপর মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেল এসে পড়ে। মর্টার শেলটির আঘাতে একজন বাংলাদেশি নারী এবং একজন রোহিঙ্গা পুরুষ নিহত হন।

নিহত বাংলাদেশি নারীর নাম হোসনে আরা। জলপাইতলী গ্রামের বাদশা মিয়ার স্ত্রী। এছাড়া নিহত রোহিঙ্গার নাম নবী হোসেন। তিনি বালুখালী আশ্রয়শিবিরের ৮-ই ব্লকের শরণার্থী ছিলেন। তিনি নবী হোসেনের বাড়িতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিলেন।

যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সংবাদ সংস্থা বিবিসি এর বাংলা বিভাগের ওয়েবসাইটে গত ৫ ফেব্রুয়ারি “মর্টার শেলে বাংলাদেশে দুই জনের মৃত্যু, জনশূন্য হচ্ছে গ্রামগুলো” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য জানা যায়।

পাশাপাশি, প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে গত ১০ ফেব্রুয়ারি “উখিয়া সীমান্ত থেকে লাশ উদ্ধার” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা রহমতের বিল নামক স্থান থেকে পুলিশ একটি অজ্ঞাতনামা লাশ উদ্ধার করেছে।

এছাড়া, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে গোলাগুলি বা অন্য কোনো বিস্ফোরণ নিয়ে দেশিয় এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম প্রকাশিত প্রতিবেদনে কোনো বিজিবি সদস্যের  মৃত্যুর তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি এবং বিজিবি কর্তৃক মিয়ানমার সেনাদের গুলি করে হত্যা কিংবা হামলা করার তথ্যও পাওয়া যায়নি।

মূলত, বিগত বেশ কিছুদিন ধরে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় আরাকান আর্মিসহ কয়েকটি গোষ্ঠী জোরালো অবস্থান নিয়েছে এবং তারা সম্মিলিতভাবে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে। এরই মধ্যে গত ৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমার থেকে ছোড়া একটি মর্টার শেল বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাইতলী গ্রামের একটি রান্নাঘরের ওপর এসে পড়ে। সেই মর্টার শেলের আঘাতে একজন বাংলাদেশি নারী এবং একজন রোহিঙ্গা পুরুষ নিহত হয়। এছাড়া গত ১০ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে পুলিশ একটি অজ্ঞাতনামা লাশ উদ্ধার করে। এসব ঘটনার মধ্যেই  সম্প্রতি, বাংলাদেশের বিজিবি সদস্যের গুলিতে মিয়ানমারের ৭ সেনা নিহত হওয়া এবং মিয়ানমারের গুলিতে ২৭ বিজিবি সদস্য মারা যাওয়ার দাবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে উক্ত দাবির কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।

সুতরাং, বাংলাদেশের বিজিবি সদস্যের গুলিতে মিয়ানমারের ৭ সেনা নিহত হওয়া এবং মিয়ানমারের গুলিতে ২৭ বিজিবি সদস্য মারা যাওয়ার দাবিতে প্রচারিত তথ্যগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

মারুফা আক্তার ক্রিকইনফোর বর্ষসেরা ওডিআই বোলিং পারফরম্যান্সের পুরস্কার জিতেছেন, আইসিসির নয়

0

সম্প্রতি, বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের পেসার ‘মারুফা আক্তার ২০২৩ সালের নারী ওডিআই ক্রিকেটে আইসিসির বর্ষসেরা পারফরম্যান্সের পুরস্কার জিতেছেন’ দাবিতে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।

মারুফা আক্তার

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, মারুফা আক্তার ২০২৩ সালের নারী ওয়ানডে ক্রিকেটে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল বা আইসিসির বর্ষসেরা হননিবরং তিনি ক্রিকেট বিষয়ক গণমাধ্যম ইএসপিএন ক্রিকইনফো’র ২০২৩ সালের সেরা নারী ওয়ানডে বোলিং পারফরম্যান্সের পুরস্কার জিতেছেন। 

গুজবের সূত্রপাত

দাবিটির সূত্রপাত অনুসন্ধানে গত ২০ ফেব্রুয়ারি ‘The Sports Page’ নামক ফেসবুক পেজে উক্ত দাবিতে প্রথম পোস্টটি নজরে আসে রিউমর স্ক্যানারের।

এই বিষয়ে অনুসন্ধানে ক্রিকেট বিষয়ক গণমাধ্যম ইএসপিএন ক্রিকইনফো’র ওয়েবসাইটে গত ২০ ফেব্রুয়ারি “ESPNcricinfo Awards 2023 Women’s ODI bowling winner: Marufa four, Bangladesh won” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন (আর্কাইভ) খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Espncricinfo

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মারুফা আক্তার এসপিএন ক্রিকইনফোর ২০২৩ সালের সেরা নারী ওয়ানডে বোলিং পারফরম্যান্সের পুরস্কার জিতেছেন। গত জুলাইয়ে ভারতের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডের ঐতিহাসিক জয়ে মারুফা আক্তার বড় ভূমিকা রাখায় তিনি এই সম্মাননায় ভূষিত হন। সে ম্যাচে তিনি ৭ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ হন।

এই তথ্যে দেশীয় কিছু গণমাধ্যমেও (,,) সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের (মহিলা)  ক্রিকেটার মারুফা আক্তার ২০২৩ সাল জুড়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) কর্তৃক বর্ষসেরা উদীয়মান মহিলা ক্রিকেটারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন। তবে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় ক্রিকেট দলের (মহিলা) খেলোয়াড় ফোবি লিচফিল্ড বর্ষসেরা উদীয়মান মহিলা ক্রিকেটারের মর্যাদা লাভ করেন।

এছাড়া, আইসিসির ওয়েবসাইটে মহিলাদের জন্য ওডিআই এ বর্ষসেরা পারফর্মেন্সের কোনো পুরস্কার বিষয়ক কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে আইসিসি কর্তৃক বর্ষসেরা ওডিআই মহিলা ক্রিকেটারের পুরস্কার দেওয়ার তথ্য জানা যায়।

মূলত, গত জুলাইয়ে ভারতের বিপক্ষে ওডিআই সিরিজের প্রথম ম্যাচে ভারত মহিলা ক্রিকেট দলের বিপক্ষে প্রথম বারের মতো বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল (মহিলা) ওয়ানডের জয় লাভ করে। সে ম্যাচে বাংলাদেশ নারী দলের পেসার মারুফা আক্তার ৭ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ হন। তার এই পারফরম্যান্স ক্রিকেট বিষয়ক গণমাধ্যম ইএসপিএন ক্রিকইনফো’র ২০২৩ সালের সেরা নারী ওয়ানডে বোলিং পারফরম্যান্স হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। তবে সম্প্রতি, মারুফা আক্তার এই সম্মাননা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) কর্তৃক পেয়েছেন দাবিতে একটি তথ্য ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

সুতরাং, ইএসপিএনক্রিকইনফো কর্তৃক বাংলাদেশি ক্রিকেটার মারুফা আক্তারের পারফরম্যান্স বছরের সেরা নারী ওয়ানডে বোলিং পারফরম্যান্স হিসেবে নির্বাচিত করার তথ্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) কর্তৃক নির্বাচিত হয়েছেন দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত তথ্যটি বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

ব্যারিস্টার সুমন ও ক্রিকেটার সাকিবের সংসদে লড়াইয়ের গুজব

0

সম্প্রতি, “সংসদে সাকিব ও ব্যারিস্টার সুমনের তুমুল লড়াই! অবাক প্রধানমন্ত্রী” শীর্ষক শিরোনামে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

ব্যারিস্টার সুমন

টিকটকে প্রচারিত এমন ভিডিও দেখুন এখানে(আর্কাইভ)।

ইউটিউবে প্রচারিত এমন ভিডিও দেখুন এখানে(আর্কাইভ), এখানে(আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সংসদে  সায়েদুল হক সুমন ও সাকিব আল হাসানের মধ্যে লড়াইয়ের কোনো ঘটনা ঘটেনি বরং সংসদ অধিবেশনে ব্যারিস্টার সুমনের দেওয়া বক্তব্যের ভিডিওর সাথে ভিন্ন একটি ঘটনার অডিও ক্লিপ এবং সাকিবের ভিন্ন ঘটনার ফুটেজ ডিজিটাল প্রযুক্তির সাহায্যে যুক্ত করে আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতেই আলোচিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। আলোচিত ভিডিওটি’র শিরোনাম এবং থাম্বনেইলে উল্লেখিত দাবির সাথে ভিডিওটি’র বিস্তারিত অংশের মিল পাওয়া যায়নি।

ভিডিওতে প্রচারিত আলোচিত দাবিটি নিয়ে প্রাসঙ্গিক একাধিক কি ওয়ার্ড সার্চ করেও গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্যকোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে উক্ত দাবির সত্যতা পাওয়া যায়নি। 

আলোচিত ভিডিওটিতে প্রচারিত দাবিটির বিষয়ে আরও অনুসন্ধানে ভিডিওটিতে দেখানো ভিডিও ক্লিপগুলোর বিষয়ে অনুসন্ধান চালায় রিউমর স্ক্যানার টিম।

ভিডিও যাচাই – ১

প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে, ২০২৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি Channel 24 এর ইউটিউব চ্যানেলে “সংসদে ব্যারিস্টার সুমনের প্রশ্নের জবাব দিলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী | Barrister Suman | Parliament” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত ভিডিও প্রতিবেদনের অংশের সাথে আলোচিত ভিডিওর মিল খুঁজে পাওয়া যায়। 

Comparison Image By Rumor Scanner 

উক্ত ভিডিও প্রতিবেদনে ব্যারিস্টার সুমনকে সংসদে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সাথে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নিতে দেখা যায়। কিন্তু, উক্ত ভিডিওর অডিও ক্লিপের সাথে আলোচিত ভিডিওর অডিও ক্লিপের পার্থক্য খুঁজে পাওয়া যায়। এছাড়া ব্যারিস্টার সুমন সংসদে দেওয়া বক্তব্যে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে কিছু বলেননি।

পরবর্তীতে, আলোচিত ভিডিওতে ব্যবহৃত অডিও ক্লিপের বিষয়ে অনুসন্ধান চালায় রিউমর স্ক্যানার টিম।

অডিও যাচাই-১

প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে, ২০২৩ সালের ১৬ মার্চ Kalbela News এর ইউটিউব চ্যানেলে “ব্যারিস্টার সুমনকে মারতে গিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান | Barrister Sumon | Shakib Al Hasan | Kalbela” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত ভিডিও প্রতিবেদনের ১২ সেকেন্ড থেকে ২০ সেকেন্ড অংশের অডিও ক্লিপের সাথে আলোচিত ভিডিওতে ব্যবহৃত অডিও ক্লিপের মিল খুঁজে পাওয়া যায়। 

অডিও যাচাই-২

প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে, ২০২৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি Jamuna TV এর ইউটিউব চ্যানেলে “সংসদে ব্যারিস্টার সুমনের ৭ মিনিট | Barrister Suman Speech | Parliament | Jamuna TV” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত ভিডিও প্রতিবেদনের একটি অংশের অডিও ক্লিপের সাথে আলোচিত ভিডিওতে ব্যবহৃত অডিও ক্লিপের মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

ভিডিও যাচাই- ২

ভিডিওতে প্রদর্শিত সাকিব আল হাসানের ফুটেজটির বিষয়ে অনুসন্ধানে ঐ ঘটনার মূল ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায় যায়নি। তবে এটি নিশ্চিত যে সাকিব আল হাসান এই ফুটেজটি সংসদ অধিবেশনের নয়। কারণ বিপিএলে খেলার কারণে সাকিব আল হাসান দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে যোগ দেননি।

মূলত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-৪ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন সংসদের প্রথম অধিবেশন যোগ দিয়ে বক্তব্য রাখেন। তার সংসদে দেওয়া সে বক্তব্যের ভিডিওর সাথে তার-ই পুরোনো বক্তব্যের অডিও ক্লিপ যুক্ত করে “সংসদে সাকিব ও ব্যারিস্টার সুমনের তুমুল লড়াই! অবাক প্রধানমন্ত্রী” শীর্ষক একটি দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, পূর্বেও সাকিব আল হাসানকে নিয়ে ব্যারিস্টার সুমনের নামে ভুয়া মন্তব্য প্রচার করা হলে সে বিষয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার। 

সুতরাং, সংসদে ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন ও ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের লড়াইয়ের দাবিতে ইন্টারনেট প্রচারিত ভিডিওটি সম্পাদিত বা এডিটেড।

তথ্যসূত্র

নবম শ্রেণির বিজ্ঞান বইয়ের এক অধ্যায়ে একাধিক ভুল

0

দেশে চলতি বছর থেকে নবম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষা কারিকুলাম বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। নতুন কারিকুলামের ‘বিজ্ঞান (অনুসন্ধানী পাঠ)’ বইয়ের একাধিক ভুল নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে সমালোচনা দেখেছে রিউমর স্ক্যানার টিম। 

যেসব ভুল নিয়ে আলোচনা

নবম শ্রেণির ‘বিজ্ঞান (অনুসন্ধানী পাঠ)’  বইয়ের ‘জৈব অণু’ (৯ম অধ্যায়) নামে একটি অধ্যায় রয়েছে। এই অধ্যায়ের ১৩৭ নং পৃষ্ঠায় ‘কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা’ শিরোনামের পাঠের ৯.৩ নং চিত্রে গ্লুকোজের দুইটি চিত্রের প্রথমটিতে কার্বন ৬ টি, হাইড্রোজেন ১০ টি ও অক্সিজেন ৫ টি দেখানো হয়েছে।

এছাড়া, একই অধ্যায়ের ১৪০ নং পৃষ্ঠায় ‘ডিএনএ’ শিরোনামের পাঠের ৯.৫ নং চিত্রে ডিএনএর নাইট্রোজেন বেসের গঠনের একটি ছবি রয়েছে যাতে গুয়ানিন এবং থাইমিনের গঠনে একটি করে হাত খালি দেখা যাচ্ছে।

তাছাড়া, একই পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায় দাবি করা হয়েছে, ডিএনএর রাসায়নিক গঠন আবিষ্কারের জন্য ওয়াটসন ও ক্রিক ১৯৬৩ সালের নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। 

বইয়ে

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, নবম শ্রেণির ‘বিজ্ঞান (অনুসন্ধানী পাঠ)’ বইয়ের ‘জৈব অণু’ নামের অধ্যায়ে গ্লুকোজ, গুয়ানিন ও থাইমিনের যে চিত্র রয়েছে তা সঠিক নয় এবং ডিএনএ নিয়ে পাওয়া নোবেল পুরষ্কারের বিষয়ে ভুল তথ্য রয়েছে৷ প্রকৃতপক্ষে, গ্লুকোজের চিত্রে ১০টি হাইড্রোজেন ও ৫টি অক্সিজেন এবং গুয়ানিনে একটি নাইট্রোজেন এবং থাইমিনে H2C বসবে। তাছাড়া, ১৯৬৩ সালে নয়, ডিএনএ এর রাসায়নিক গঠন আবিষ্কারের জন্য ১৯৬২ সালে নোবেল পুরষ্কার পান জেমস ওয়াটসন, ফ্রান্সিস ক্রিক ও মরিস উইলকিনস। 

পাঠ্যবইয়ে থাকা গ্লুকোজের গঠনের বিষয়ে অনুসন্ধানে ভারতের এডুটেক সংস্থা বাইজুসের ওয়েবসাইটে গ্লুকোজের একই গঠনের চিত্রের সন্ধান মিলেছে। 

সাধারণত গ্লুকোজের গঠনে ৬টি কার্বন, ১২টি হাইড্রোজেন ও ৬টি অক্সিজেন থাকে। বাইজুসে পাওয়া গ্লুকোজের গঠনে এমনটাই উল্লেখ রয়েছে। তবে পাঠ্যবইয়ের একই গঠনে ৬টি কার্বন ঠিক থাকলেও ১০টি হাইড্রোজেন ও ৫টি অক্সিজেন রয়েছে। 

Screenshot collage: Rumor Scanner

বইটির ১৪০ নং পৃষ্ঠায় নাইট্রোজেন বেসের গঠনের যে ছবি রয়েছে এতেও অসঙ্গতি লক্ষ্য করেছে রিউমর স্ক্যানার টিম। বাইজুসের ওয়েবসাইটেই একই চিত্র পাওয়া যাচ্ছে যার সাথে তুলনা করে দেখা যাচ্ছে, পাঠ্যবইয়ের চিত্রে গুয়ানিনের ফাঁকা থাকা হাতে একটি নাইট্রোজেন রয়েছে। এর ফলে গুয়ানিনের সংকেত (, ) দাঁড়াচ্ছে, C5H5N5O। 

অন্যদিকে, পাঠ্যবইয়ে থাইমিনের গঠনে একটি হাত খালি রয়েছে যাতে মূলত H2C হওয়ার কথা (, )। এর ফলে থাইমিনের সংকেত হবে, C5H6N2O2। 

Screenshot collage: Rumor Scanner 

নোবেল সংক্রান্ত দাবিটির বিষয়ে অনুসন্ধানে নোবেল প্রাইজের ওয়েবসাইট থেকে জানা যাচ্ছে, ১৯৬২ সালে ডিএনএ এর রাসায়নিক গঠন আবিষ্কারের জন্য চিকিৎসায় নোবেল পুরষ্কার পান জেমস ওয়াটসন, ফ্রান্সিস ক্রিক ও মরিস উইলকিনস। অথচ, পাঠ্যবইয়ে সালটি এক বছর বাড়িয়ে লেখা হয়েছে এবং মরিস উইলকিনসের নামও উল্লেখ করা হয়নি। 

মূলত, চলতি বছর থেকে নবম শ্রেণিতে চালু হওয়া নতুন শিক্ষা কারিকুলামে ‘বিজ্ঞান (অনুসন্ধানী পাঠ)’ বইয়ের ‘জৈব অণু’ নামে একটি অধ্যায়ে একাধিক তথ্য ও ছবি সম্পর্কিত ভুলের প্রমাণ মিলেছে। অধ্যায়টির ১৩৭ নং পৃষ্ঠায় ‘কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা’ শিরোনামের পাঠের ৯.৩ নং চিত্রে গ্লুকোজের দুইটি চিত্রের প্রথমটিতে ছয়টি কার্বনের পাশাপাশি হাইড্রোজেন ১০ টি ও অক্সিজেন ৫ টি দেখানো হয়েছে যা প্রকৃতপক্ষে ১০টি হাইড্রোজেন ও ৫টি অক্সিজেন হবে। এছাড়া, একই অধ্যায়ের ১৪০ নং পৃষ্ঠায় ‘ডিএনএ’ শিরোনামের পাঠের ৯.৫ নং চিত্রে ডিএনএর নাইট্রোজেন বেসের গঠনের একটি ছবি রয়েছে যাতে গুয়ানিন এবং থাইমিনের গঠনে একটি করে হাত খালি দেখা যাচ্ছে। এতে গুয়ানিনে একটি নাইট্রোজেন এবং থাইমিনে H2C বসবে৷ তাছাড়া, একই পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায় দাবি করা হয়েছে, ডিএনএর রাসায়নিক গঠন আবিষ্কারের জন্য ওয়াটসন ও ক্রিক ১৯৬৩ সালের নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন যা মূলত ১৯৬২ সাল এবং একই বিষয়ে নোবেল পাওয়া তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে মরিস উইলকিনসের নামও বাদ পড়েছে।

উল্লেখ্য, পূর্বে একই শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে প্রাচীন জেরিকো নগরীর আলোচনায় ভুল মানচিত্র প্রচারের প্রেক্ষিতে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার। দেখুন এখানে। 

সুতরাং, নবম শ্রেণির ‘বিজ্ঞান (অনুসন্ধানী পাঠ)’ বইয়ের ‘জৈব অণু’ নামের অধ্যায়ে উল্লিখিত এই আলোচিত তথ্যগুলো বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

সুগন্ধা বিচে নয়, এই ছবিটি সেন্টমার্টিনে তোলা

0

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের সুগন্ধা সৈকতের নাম পরিবর্তন করে ‘বঙ্গবন্ধু বিচ’ করার একটি প্রস্তাব করা হয়। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেয় সেদিন। পরবর্তীতে এ বিষয়ে নানা মাধ্যমে সমালোচনা দেখা গেছে। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক নারীর একটি ছবি প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, ছবিটি আলোচিত সুগন্ধা বিচেই তোলা হয়েছে।

সুগন্ধা বিচে

উক্ত দাবিতে প্রচারিত ফেসবুকের কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ছবিটি কক্সবাজারের সুগন্ধা বিচে নয় বরং ২০২২ সালে সেন্টমার্টিনে তোলা হয়েছিল। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ২০২৩ সালের ০২ জানুয়ারি Rishi Kabbo নামে একটি পেজ থেকে “The Daughter Of Oceanus” নামে একটি অ্যালবামে এক নারীর একাধিক ছবি প্রকাশ করতে দেখা যায়৷ এসব ছবির মধ্যে আলোচিত ছবিটিও পাওয়া যায়৷ 

Screenshot: Facebook

তবে ছবি বা অ্যালবাম থেকে ছবিগুলো তোলার স্থান সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়নি৷ 

তবে গত ২০ ফেব্রুয়ারি একই পেজ থেকে ছবিগুলো আবার প্রকাশ করা হয়। এই পোস্টের কমেন্ট সেকশনে পেজের এডমিন (যিনি ছবিগুলোর ফটোগ্রাফার) লিখেছেন, “এই এল্বাম শুট করসিলাম দু হাজার বাইশ এর ডিসেম্বরে। তেইশ এর জানুয়ারিতে আপলোড ও করসিলাম। কিন্তু এইবার সমুদ্রে ছবি তোলার পর হটাৎ করর মনে হইলো আগের ছবি গুলার লাইট আরো ঠিকঠাক করা উচিত। তারপর গত এক মাস ধইরা এই এলবাম এর লাইট কালার চেঞ্জ করসি।” (বানান অপরিবর্তিত) 

একই পোস্টের কমেন্টে সুমাইয়া অনন্যা নামে এক নারী নিজেকে ছবিগুলোর মডেল বলে জানান। আমরা তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট পর্যবেক্ষণ করে ২০২৩ সালের ০৩ জানুয়ারি একই ছবিই পোস্ট করতে দেখেছি। 

ছবিটির লোকেশন সম্পর্কে নিশ্চিত হতে আমরা শুরুতে রিশি কাব্য পেজের এডমিনের সাথে যোগাযোগ করেছি। তিনি আমাদের স্থান সম্পর্কে জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তবে এটি নিশ্চিত করেন যে, ছবিটি সুগন্ধা বিচে তোলা হয়নি৷ 

পরবর্তীতে রিউমর স্ক্যানার টিমের পক্ষ থেকে সুমাইয়া অনন্যার সাথে কথা বলেছি আমরা। তিনি বলছিলেন, “এটা ২০২২ এর ছবি, সেন্টমার্টিনে অফ সিজনে তোলা। তাও মানুষের বসবাস করে এমন জায়গা থেকে বহু দূরে গিয়ে তুলছিলাম।” 

আমরা ওপেন সোর্স অনুসন্ধানেও একই স্থানে (সেন্টমার্টিন) তোলা একাধিক ব্যক্তির ছবি পেয়েছি। 

মূলত, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের সুগন্ধা সৈকতের নাম পরিবর্তন করে ‘বঙ্গবন্ধু বিচ’ করার একটি প্রস্তাব মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসককে জানিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে বলা হয়। পরবর্তীতে এ বিষয়ে নানা মাধ্যমে সমালোচনা দেখা গেছে। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক নারীর একটি ছবি প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, ছবিটি আলোচিত সেই সুগন্ধা বিচেই তোলা হয়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সুগন্ধা বিচ নয়, ছবিটি তোলা হয়েছিল সেন্টমার্টিনে যা ছবিটির মডেলই রিউমর স্ক্যানারকে নিশ্চিত করেছেন। 

প্রসঙ্গত, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় নতুন এক চিঠিতে আজ জানিয়েছে, পূর্বে পাঠানো (১৯ ফেব্রুয়ারি) নির্দেশনার ওপর কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ না করার জন্য নির্দেশনাক্রমে অনুরোধ করা হলো। একইসঙ্গে পূর্বে পাঠানো পত্রটি বাতিল হলো। অর্থাৎ, সুগন্ধা বিচের নাম পরিবর্তন হচ্ছে না। 

সুতরাং, সেন্টমার্টিনে তোলা এক নারীর ছবিকে কক্সবাজারের সুগন্ধা বিচে তোলা ছবি দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

  • Rishi Kabbo: The Daughter Of Oceanus. 
  • Statement from Rishi Kabbo
  • Statement from Sumaiya Ananna
  • Rumor Scanner’s own investigation 

চলতি বিপিএলে ট্রেন্ট বোল্ট ফরচুন বরিশালের হয়ে খেলতে আসেননি

0

চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে (বিপিএল) ফরচুন বরিশালের হয়ে খেলতে এসেছেন নিউজিল্যান্ডের বোলার ট্রেন্ট বোল্ট- শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। 

ট্রেন্ট বোল্ট

উক্ত দাবিতে টিকটকের ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

একই দাবিতে ইউটিউবের ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ট্রেন্ট বোল্ট ফরচুন বরিশালের হয়ে চলতি বিপিএল খেলতে আসেননি বরং বোল্টের পুরোনো একটি ভিডিও ক্লিপ ও ফরচুন বরিশালের কয়েকটি ছবি যুক্ত করে আলোচিত ভিডিওটিতে উক্ত দাবি প্রচার করা হচ্ছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে ভিডিওটির শুরুতে ট্রেন্ট বোল্টকে বক্তব্য দিতে দেখা যায়। পরবর্তীতে ফরচুন বরিশালের কয়েকটি ছবি যুক্ত করে উপস্থাপনককে মনগড়া কিছু কথা বলতে শোনা যায়। 

ট্রেন্ট বোল্টের ভিডিও ক্লিপটির মূল ভিডিওটি খুঁজতে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে ICC- International Cricket Council এর ফেসবুক পেজে ২০২১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর “Time for another Book Cricket battle
Trent Boult VS Beth Mooney
Who will emerge victorious?

ICC Men’s #T20WorldCup Trophy Tour, driven by Nissan” শীর্ষক ক্যাপশনে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

ভিডিওটিতে একটি বই নিয়ে ট্রেন্ট বোল্ট এবং অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার বেথ মুনি এর মধ্যে একটি প্রতিযোগিতা হয়। সেই প্রতিযোগিতার অংশ এটি।  

এই ভিডিওটি’র শুরুর অংশের সাথে আলোচিত ভিডিওটি’র ১ মিনিট ৫০ সেকেন্ডে দেখানো ট্রেন্ট বোল্টের অংশের  মিল পাওয়া যায়।

Video Comparison: Rumor Scanner 

অর্থাৎ, এই ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় এবং এর সাথে বিপিএলের কোনো সম্পর্কও নেই।

এছাড়াও, ফরচুন বরিশালের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দলটি’র সাথে চুক্তিবদ্ধ অন্যান্য বিদেশি ক্রিকেটারদের বিষয়ে নিয়মিত আপডেট থাকলেও সেখানে ট্রেন্ট বোল্ট বিপিএলের চলতি আসরে খেলতে আসা নিয়ে কোনো পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

তাছাড়া, প্রাসঙ্গিক একাধিক কি ওয়ার্ড সার্চ করেও গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রেও বিপিএলের চলতি আসরে ট্রেন্ট বোল্ট খেলতে আসার বিষয়ে কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

মূলত, নিউজিল্যান্ডের বোলার ট্রেন্ট বোল্ট বিপিএলের চলতি আসরে ফরচুন বরিশালের হয়ে খেলতে এসেছেন শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও সাম্প্রতিক সময়ে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, উক্ত দাবিটি সঠিক নয়। ট্রেন্ট বোল্ট চলতি আসরে ফরচুন বরিশালের হয়ে বিপিএল খেলতে আসেননি। প্রকৃতপক্ষে, বোল্টের পুরোনো একটি ভিডিও ক্লিপ ও ফরচুন বরিশালের কয়েকটি ছবি যুক্ত করে আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করে ভিত্তিহীন দাবিটি প্রচার করা হয়েছে।

সুতরাং, চলতি বিপিএলে নিউজিল্যান্ডের বোলার ট্রেন্ট বোল্ট বরিশালের হয়ে খেলতে এসেছেন দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র