Home Blog Page 546

এমপি আরাফাতকে গোয়েন্দা সংস্থা কর্তৃক অপহরণ ও মারধরের দাবিটি ভুয়া

সম্প্রতি, “ডিজিএফআই দ্বারা অপহৃত ও প্রহৃত হলেন আওয়ামী লীগের নতুন এমপি আরাফাত” শীর্ষক দাবিতে একটি বিষয় ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে।

আরাফাত

গণমাধ্যমের ফেসবুক পেজে প্রকাশিত উক্ত দাবিতে পোস্ট দেখুন ফেস দ্য পিপল। 

এছাড়া, একই দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত আরো কিছু পোস্ট দেখুন  এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে, ঢাকা-১৭ আসনের উপ নির্বাচনে বিজয়ী নব নির্বাচিত এমপি মোহাম্মদ এ আরাফাতকে গোয়েন্দা সংস্থা কর্তৃক অপহরণ ও নির্যাতন করার দাবিটির কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বরং কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র ছাড়াই ভুঁইফোড় কিছু অনলাইন পোর্টাল ও ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে দাবিটি ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে।

দাবিটির সূত্রপাত যেভাবে 

দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধানের মাধ্যমে গত ১৯ জুলাই “BD Politico” নামক একটি ওয়েবসাইটে “ডিজিএফআই দ্বারা অপহৃত ও প্রহৃত হলেন আওয়ামীলীগের নতুন এমপি আরাফাত” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: BD Politico Website

প্রতিবেদনটিতে দাবি করা হয়, ‘নির্বাচনে জেতার পর মোহাম্মদ এ আরাফাত একটি গোয়েন্দা সংস্থা কর্তৃক অপহৃত এবং মারধরের শিকার হয়েছেন।’ 

প্রতিবেদনটিতে আরও দাবি করা হয়, ‘আরাফাত ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট কেন্দ্রে কোনো ভোট পাননি। এতে বিরক্ত হয়ে তিনি ফোনে কাউকে গালাগালি করতে থাকেন এবং বলেন, “বঙ্গবন্ধুর ঘাতক এই আর্মি আমাকে ভোট দিবে কেনো? জননেত্রী এত কিছু দেয়ার পরেও এই দশা! শুয়ারের বাচ্চাদের আমি দেখে নেব।’

Screenshot: BD Politico Website

বিডি পলিটিকো নামের এই সাইটের দাবি অনুযায়ী, সংস্থাটির নিয়মিত মনিটরিংয়ে আরাফাতের এই গালাগালি ধরা পড়ে। পরবর্তীতে সোমবার অর্থাৎ ১৭ জুলাই মধ্যরাতের পরে আরাফাতকে তুলে এনে হাত মুখ বেধে অন্ধকার ঘরে বেধড়ক পেটানো হয় এবং ইলেকট্রনিক শক দেওয়া হয়, এতে এক পর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন আরাফাত। পরে ডাক্তার এনে চিকিৎসা শেষে ভোর রাতে তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেয় সংস্থাটি।

মোহাম্মদ এ আরাফাত কি ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট কেন্দ্রে কোনো ভোট পাননি?

বিডি পলিটিকোর দাবি অনুযায়ী, মোহাম্মদ এ আরাফাত ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় কোনো ভোট পাননি। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ঢাকা-১৭ আসন উপনির্বাচনে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের কেন্দ্রগুলোর মধ্যে অন্তত ৭ টিতে আরাফাত ৩৬৭ টি ভোট পেয়েছেন।

এ বিষয় নিয়ে অনুসন্ধানে জাতীয় দৈনিক আজকের পত্রিকাতে গত ১৮ জুলাই এক কেন্দ্রে আরাফাতের চেয়ে বেশি, আরেকটিতে সমান ভোট পেয়েছেন হিরো আলম’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। যেখানে উল্লেখিত ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের তিনটি কেন্দ্রের মধ্যে ১০৫ নম্বর কেন্দ্র [বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ডিওএইচএস মহাখালী, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, ঢাকা (২য় তলা) (পুরুষ ভোটার) কেন্দ্র-১] এ ৩ হাজার ১৮২ টি ভোটের বিপরীতে পড়া ২২৫ টি ভোটের মধ্যে আরাফাত পেয়েছেন ৭৯ ভোট।

Screenshot: Ajker Patrika

এছাড়া, ১১৩ নম্বর কেন্দ্রে [শহীদ বীর বিক্রম রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, ঢাকা (দক্ষিণ ভবন) (পুরুষ ও মহিলা ভোটার), কেন্দ্র-১] ২ হাজার ১৭ টি ভোটের বিপরীতে পড়া ৬০ ভোটের মধ্যে আরাফাত পেয়েছেন ২৫টি ভোট।

সর্বশেষ, ১১৪ নম্বর কেন্দ্রে [শহীদ বীর বিক্রম রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, ঢাকা (উত্তর ভবন) (পুরুষ ও মহিলা ভোটার), কেন্দ্র-২] ২ হাজার ৪২৯ টি ভোটের বিপরীতে পড়া ২৪টি ভোটের মধ্যে আরাফাত পেয়েছেন ১১ ভোট। 

ক্যান্টনমেন্টের এই তিনটি কেন্দ্র ছাড়াও রিউমর স্ক্যানার টিম অধিকতর অনুসন্ধানে অনলাইন নিউজ পোর্টাল বার্তা বাজারে গত ১৭ জুলাই ‘ঢাকা ১৭ আসন উপ নির্বাচনের ফলাফল সরাসরি’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি লাইভ সম্প্রচারেও ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের বিভিন্ন কেন্দ্রের ফলাফল খুঁজে পায়।

যেমন, ১০৬ নম্বর কেন্দ্র [বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ডিওএইচএস মহাখালী, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, ঢাকা (নীচ তলা) (মহিলা ভোটার) কেন্দ্র-২] এ আরাফাত পেয়েছেন ৪১ ভোট।

১০৭ নম্বর কেন্দ্র, বিএএফ শাহীন কলেজ, কুর্মিটোলা, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, ঢাকা (নীচ তলা, পূর্ব পার্শ্ব) (পুরুষ ভোটার-২) কেন্দ্র-১] এ আরাফাত পেয়েছেন ৮১ ভোট।

১০৮ নম্বর কেন্দ্র, বিএএফ শাহীন কলেজ, কুর্মিটোলা, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, ঢাকা (নীচ তলা, পূর্ব পার্শ্ব) (পুরুষ ভোটার-২) কেন্দ্র-২] এ আরাফাত পেয়েছেন ১০১ভোট।

১০৯ নম্বর কেন্দ্র, বিএএফ শাহীন কলেজ, কুর্মিটোলা, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, ঢাকা (নীচ তলা, পশ্চিম পার্শ্ব) (মহিলা ভোটার) কেন্দ্র-৩] এ আরাফাত পেয়েছেন ২৯ ভোট।

Screenshot: Barta Bazar facebook Live

১১০ নম্বর কেন্দ্রে [শহীদ বীর বিক্রম রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, ঢাকা, কলেজ ভবন ( নীচ তলা),  (পুরুষ ভোটার-১), কেন্দ্র-১] এ আরাফাত পেয়েছেন ৬৫ ভোট। 

১১১ নম্বর কেন্দ্রে [শহীদ বীর বিক্রম রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, ঢাকা, কলেজ ভবন ( ২য় তলা),  (পুরুষ ভোটার-২), কেন্দ্র-২] এ আরাফাত পেয়েছেন ২৮ ভোট।

১১২ নম্বর কেন্দ্রে [শহীদ বীর বিক্রম রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, ঢাকা, ডিগ্রি ভবন ( ২য় তলা),  (মহিলা ভোটার), কেন্দ্র-৩] এ আরাফাত পেয়েছেন ২২ ভোট।

Screenshot: Barta Bazar facebook Live

অর্থাৎ, অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে যে মোহাম্মদ এ আরাফাত ক্যান্টনমেন্ট এলাকার বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোট পেয়েছেন, তাই কোনো ভোট না পেয়ে ফোনকলে গালিগালাজ করতে থাকা শীর্ষক বিডি পলিটিকো সাইটের এই দাবিটি বানোয়াট ও ভিত্তিহীন হিসেবেই প্রতীয়মান হয়।

মোহাম্মদ এ আরাফাতের নির্বাচন পরবর্তী কার্যক্রম 

বিডি পলিটিকোর দাবি অনুযায়ী, মোহাম্মদ এ আরাফাতকে সোমবার (১৭ জুলাই) মধ্যরাতের পরে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয় এবং ইলেকট্রনিক শক দিয়ে কথা বের করা হয়। এসব ঘটনার এক পর্যায়ে আরাফাত অজ্ঞান হয়ে পড়েন এবং পরে ডাক্তার এনে চিকিৎসা শেষে ভোর রাতে তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেয় সংস্থাটি। 

অর্থাৎ, সাইটটির দাবি অনুযায়ী মোহাম্মদ এ আরাফাতের শারীরিক অবস্থা শোচনীয় হওয়াটাই অনুমেয়।তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ১৮ জুলাই বিকাল ৩ টায় ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে জয়ের পরদিন মঙ্গলবার আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে সস্ত্রীক দেখা করেন মোহাম্মদ এ আরাফাত। এই সাক্ষাতের সময় মোহাম্মদ এ আরাফাতকে স্বাভাবিক অবস্থাতেই দেখা গেছে।

Screenshot: Daily Jugantor

এছাড়া নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরবর্তী সময়ে গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাতকারে মোহাম্মদ এ আরাফাত যে বক্তব্য দেন, সেখানেও কম ভোট পাওয়া নিয়ে তিনি অস্বাভাবিক কোনো মন্তব্য করেননি।

Screenshot: Maasranga TV

মোহাম্মদ এ আরাফাতকে গোয়েন্দা সংস্থা কর্তৃক অপহরণ ও মারধরের দাবির বিষয়ে বিডি পলিটিকোর সূত্র কি?

মোহাম্মদ এ আরাফাতকে গোয়েন্দা সংস্থা কর্তৃক অপহরণ ও মারধরের দাবির বিষয়ে বিডি পলিটিকোর প্রকাশিত প্রতিবেদনের সূত্র সম্পর্কেও অনুসন্ধান করেছে রিউমর স্ক্যানার টিম।

বিশ্লেষণে দেখা যায়, বিডি পলিটিকোর প্রকাশিত প্রতিবেদনে প্রথমত কোনো সুনির্দিষ্ট ও নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র নেই। পাশাপাশি, প্রতিবেদনটি বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে এখানে বিভিন্ন দাবির সূত্র হিসেবে খবর পাওয়া গেছে’, ‘অনেকেই’, ‘সূত্র জানায়’, ‘একটি মাধ্যম’ ইত্যাদি শব্দচয়ন করা হয়েছে। 

এছাড়া, প্রতিবেদনটিতে এমন কিছু শব্দ বা বাক্যের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায় যা প্রতিবেদনটির দাবিগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। মূলত, সাইটটির প্রতিবেদনে থাকা শব্দচয়নের সাথে কোনো প্রতিষ্ঠিত গণমাধ্যমের শব্দচয়নেরও মিল নেই।

বিডি পলিটিকোর পূর্বের গুজব ছড়ানোর রেকর্ড

রিউমর স্ক্যানারের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, বিডি পলিটিকোতে পূর্বেও বিভিন্ন সময়ে কোনো প্রকার তথ্যসূত্র ছাড়া অসংখ্য ভুয়া খবর প্রচার করেছে।

পূর্ববর্তী সময়ে বিডি পলিটিকো সাইটে প্রচারিত গুজব সমূহের বিপরীতে রিউমর স্ক্যানারে প্রকাশিত ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদনগুলো দেখুন:

মামলায় হাজিরা দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আরব আমিরাত গমন দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি মিথ্যা 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২ লাখ দিরহাম অর্থদণ্ডের তথ্যটি মিথ্যা 

সরকারী ৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন স্যাংশনের দাবিটি মিথ্যা 

সাইটটি পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, তাদের দাবি অনুযায়ী বিডি পলিটিকো রাজনীতি বিষয়ক শীর্ষ গণমাধ্যম।

Screenshot: BD Politico Website

তবে অনুসন্ধানে দেখা যায়, ওয়েবসাইটটিতে পরিচিতিমূলক বা আমাদের সম্পর্কে এবং কোনোপ্রকার যোগাযোগের ঠিকানা উল্লেখ করা নেই। পাশাপাশি, ওয়েবসাইটটির মালিকানা, পরিচালক কিংবা সম্পাদক পর্যায়ে কে বা কারা রয়েছে, এই সম্পর্কেও কোনো প্রকার তথ্য দেওয়া নেই সেখানে। 

মূলত, গত ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে মোট ২৮ হাজার ৮১৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাত। তবে তার এ জয়ের পর গত ১৯ জুলাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি সূত্রহীন দাবি ছড়িয়ে পড়ে যে, মোহাম্মদ এ আরাফাত ঢাকা-১৭ আসনের ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় কোনো ভোট না পাওয়ায় সেনাবাহিনীর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং এর প্রেক্ষিতে গোয়েন্দা সংস্থা কর্তৃক তাকে অপহরণ ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। তবে প্রকৃতপক্ষে, মোহাম্মদ এ আরাফাত ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকা থেকে অন্তত ৭ টি কেন্দ্রে ৩৬৭ টি ভোট পেয়েছেন। পাশাপাশি, যে ওয়েবসাইটটি থেকে কোনোপ্রকার সূত্র ছাড়া ভিত্তিহীনভাবে মোহাম্মদ এ আরাফাতকে অপহরণ ও মারধরের দাবি প্রচার করা হয়েছে, সেটি একটি ভুঁইফোড় ওয়েবসাইট, যাদের পূর্বে বিভিন্ন সময়ে গুজব বা ভুয়া তথ্য ছড়ানোর রেকর্ড রয়েছে।

সুতরাং, ঢাকা-১৭ আসনের এমপি মোহাম্মদ এ আরাফাতকে গোয়েন্দা সংস্থা কর্তৃক অপহরণ ও মারধরের বিষয়টি সম্পূর্ণ বানোয়াট ও মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

গণতন্ত্র মঞ্চের পদযাত্রার ব্যানার এডিট করে প্রচার

সম্প্রতি গণতন্ত্র মঞ্চের পদযাত্রার একটি ছবি ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে। ছবিতে পদযাত্রার ব্যানারে ‘মিরপুর-১২ থেকে যার যার বাসা’ শীর্ষক একটি লেখা পরিলক্ষিত হয়। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকই ট্রল বা ব্যঙ্গ করতে দেখা যাচ্ছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু  পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, গণতন্ত্র মঞ্চের পদযাত্রার ব্যানার দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত এই ছবিটি এডিটেড। প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্র মঞ্চের সেই পদযাত্রার ব্যানারে নির্দিষ্ট কোনো গন্তব্যস্থল উল্লেখ ছিল না।

রিভার্স ইমেজ সার্চ অনুসন্ধানের মাধ্যমে মূলধারার অনলাইন সংবাদমাধ্যম বিডিনিউজ২৪ এর ওয়েবসাইটে গত ১৮ জুলাই “আন্দোলনের চাপে সরকার বেসামাল: মান্না” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদনে গণতন্ত্র মঞ্চের পদযাত্রার ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot from ‘Bdnews24’

উক্ত ছবিতে পদযাত্রার ব্যানারের লেখাটি যাচাই দেখা যায় সেখানে গণতন্ত্র মঞ্চের পদযাত্রা মিরপুর-১২ থেকে শুরু হওয়ার কথা উল্লেখ থাকলেও নির্দিষ্ট কোনো গন্তব্যস্থল উল্লেখ করা হয়নি।

গণতন্ত্র মঞ্চের পদযাত্রা নিয়ে গত ১৮ জুলাই গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির নিজস্ব ভেরিফাইড ফেসবুক ফেসবুক পেজ থেকে প্রচারিত একটি লাইভ ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot from ‘Facebook’

সেই ভিডিওর গণতন্ত্র মঞ্চের পদযাত্রার ব্যানারেও কোনো গন্তব্যস্থল উল্লেখ ছিল না।

মূলত, গত ১৮ জুলাই ক্ষমতাসীন সরকারের পদত্যাগসহ নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার ১ দফা দাবিতে মিরপুর-১২ থেকে গণতন্ত্র মঞ্চের পদযাত্রা করে গণতন্ত্র মঞ্চ। সম্প্রতি গণতন্ত্র মঞ্চের ঐ পদযাত্রার ছবি দাবি করে ব্যানারে ‘মিরপুর-১২ থেকে  যার যার বাসা’ লেখা একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে। তবে অনুসন্ধানে দেখা যায়, গণতন্ত্র মঞ্চের ঐ পদযাত্রার ব্যানারে মিরপুর-১২ থেকে শুরু হওয়ার কথা উল্লেখ থাকলেও নির্দিষ্ট কোনো গন্তব্যস্থল উল্লেখ ছিল না। তবে গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, উক্ত পদযাত্রাটি মিরপুর-১০ এ গিয়ে শেষ হয়েছে।

প্রসঙ্গত, পূর্বেও ফেসবুকে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের মিছিলের ব্যানার এডিট করে প্রচার হলে সেসময় বিষয়টি নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার। 

সুতরাং, গণতন্ত্র মঞ্চের পদযাত্রার ব্যানারে ‘মিরপুর-১২ থেকে যার যার বাসা’ শীর্ষক লেখা উল্লেখ ছিল দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ছবিটি এডিটেড বা বিকৃত।

তথ্যসূত্র

হোয়াটসঅ্যাপ এবং ফোন কলের জন্য নতুন যোগাযোগের নিয়ম চালুর দাবিটি মিথ্যা

0

সম্প্রতি “আগামীকাল থেকে হোয়াটসঅ্যাপ এবং ফোন কলের নতুন যােগাযােগের নিয়ম কার্যকর করা হবে” শীর্ষক একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে। 

ফেসবুকে প্রচারিত এমনকিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, কোনো প্রকার তথ্যসূত্র ছাড়াই ভিত্তিহীনভাবে উক্ত দাবিগুলো ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে এবং পূর্বেও বিভিন্ন সময়ে এই ভিত্তিহীন বিষয়টি ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছিল।

মূলত, কোনো ধরনের তথ্যসূত্র ছাড়াই বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময়ে “আগামীকাল থেকে হোয়াটসঅ্যাপ এবং ফোন কলের নতুন যােগাযােগের নিয়ম কার্যকর করা হবে” শীর্ষক দাবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে প্রচার করা হয়। তবে দাবিগুলোর কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য,পূর্বেও বিভিন্ন সময়ে বিষয়টি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষিতে এটিকে মিথ্যা হিসেবে শনাক্ত করে একাধিক ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।

ভিন্ন আহত ব্যক্তির ছবিকে পাকিস্তানের তারিক জামিল দাবিতে প্রচার 

0

সম্প্রতি, “পাকিস্তানের মাওলানা তারিক জামিল সড়ক দুর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে আহত হয়েছেন” শীর্ষক একটি দাবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রচার হচ্ছে। 

ফেসবুকে প্রচারিত এমনকিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ছবিটি পাকিস্তানের মাওলানা তারিক জামিলের নয় বরং ছবিটি পাকিস্তানের ইসলামিক স্কলার আজাদ জামিলের।

মূলত, ২০১৯ সালে পাকিস্তানি স্কলার আজাদ জামিলের সড়ক দুর্ঘটনায় আহত অবস্থায় তোলা ছবিকে আরেক পাকিস্তানি স্কলার তারিক জামিলের ছবি দাবিতে ফেসবুকে প্রচার হয়ে আসছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

উল্লেখ্য, পূর্বেও একই দাবিতে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হলে সে সময় বিষয়টিকে মিথ্যা হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।

সৌদি আরবের টেনিস কোর্টের কনসেপ্ট আর্টের ছবিকে বাস্তব দাবিতে প্রচার

সম্প্রতি, একটি টেনিস কোর্টের ছবিকে সৌদি আরবের বাস্তব টেনিস কোর্টের ছবি দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এরূপ কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

টুইটারে একই দাবিতে প্রচারিত কিছু টুইট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

Twitter Screenshot

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা যায়,  সৌদি আরবের বাস্তব কোনো টেনিস কোর্টের ছবি নয় এটি বরং একটি টেনিস কোর্টের কনসেপ্ট আর্টের ছবিকে বাস্তব দাবিতে প্রচার করা হয়েছে। 

রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে আলোচ্য ছবিগুলো moshowpod নামের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে গত ৭ জুলাইয়ের একটি পোস্টে খুঁজে পাওয়া যায়।

পোস্টের ক্যাপশন থেকে জানা যায়, norahdesignco নামের অপর এক ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের ব্যবহারকারী ছবিটি তৈরি করেছেন। 

Source: moshowpod Instagram account 

সেই পোস্টের সূত্র ধরে, norahdesignco নামের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে অনুসন্ধান চালায় রিউমর স্ক্যানার টিম। অনুসন্ধানে দেখা যায়, norahdesignco নামের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের ব্যবহারকারী Norah একজন ডিজিটাল আর্টিস্ট। 

গত ২৪ জুন ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ছবিগুলো আপলোড করেন তিনি। সেইসাথে পোস্টের ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, “ঠিক আল উলা পাহাড়ের বুকে! ভবিষ্যতের চূড়ান্ত টেনিস কোর্টের জন্য আমার সর্বশেষ ধারণার নকশা উপস্থাপন করতে পেরে গর্বিত।”

Source: norahdesignco instagram account

পাশাপাশি, norahdesignco নামের উক্ত ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট পর্যালোচনা করে দেখা যায়, Norah নামের সেই ডিজিটাল আর্টিস্ট পূর্বেও নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একাধিক কনসেপ্ট আর্টের ছবি আপলোড করেছেন।

Source: norahdesignco instagram account

অর্থাৎ, উক্ত ছবিটি সৌদি আরবের বাস্তব কোনো টেনিস কোর্টের ছবি নয়। 

মূলত, সম্প্রতি একটি টেনিস কোর্টের ছবিকে সৌদি আরবের বাস্তব টেনিস কোর্টের দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে। কিন্তু রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, দাবিটি সঠিক নয়। Norah নামে একজন ডিজিটাল আর্টিস্ট সৌদি আরবের আল উলা পাহাড়ের বুকে একটি টেনিস কোর্টের কনসেপ্ট আর্টের কিছু ছবি নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেন। পরবর্তীতে এসব ছবিকে সৌদি আরবের বাস্তব টেনিস কোর্টের ছবি দাবি করে ইন্টারনেটে প্রচারিত হচ্ছে।

উল্লেখ্য, পূর্বেও কনসেপ্ট আর্টের ছবিকে বাস্তব ছবি দাবি করে ইন্টারনেটে প্রচারিত হলে সে বিষয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।

সুতরাং, নোরাহ নামের জনৈক ডিজিটাল আর্টিস্টের তৈরিকৃত কনসেপ্ট আর্টের ছবিকে সৌদি আরবের টেনিস কোর্টের বাস্তব ছবি দাবিতে প্রচারিত হচ্ছে; যা সম্পূর্ন মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

বিমান বাংলাদেশ ফ্লাইট স্টুয়ার্ডেস পদে সম্প্রতি কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়নি

0

সম্প্রতি, বিমান বাংলাদেশ ফ্লাইট স্টুয়ার্ডেস পদে সম্প্রতি একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে শীর্ষক দাবিতে একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ছবি ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমনকিছু ছবি দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ফ্লাইট স্টুয়ার্ডেস পদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় বরং ২০২২ সালে প্রকাশিত একই পদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিকে এডিট করে তারিখ পরিবর্তনের মাধ্যমে সাম্প্রতিক দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে ফেসবুকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে কেবিন ক্রু পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে দাবিতে ছড়ানো বিজ্ঞপ্তিটি পর্যালোচনা করে রিউমর স্ক্যানার টিম। লক্ষ্য করলে দেখা যায়, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখ ২৩ জুন ২০২৩। 

বিজ্ঞপ্তিতে সূত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ৩০.৩৪.০০০০.০৭৩.০০০.২৯.২২/৯৯।

Screenshot source: Facebook

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে শুরুতে টেলিটকের ওয়েবসাইটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে নিয়োগ সংক্রান্ত পাতায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে গত ৬ এবং ২২ জুনে প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি রয়েছে। তবে গত ২৩ জুনে প্রকাশিত কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

গত ৬ এবং ২২ জুনে প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে কেবিন ক্রু কিংবা ফ্লাইট স্টুয়াডের্স নামে কোনো পদের বিষয়ে নিয়োগের তথ্য পাওয়া যায়নি।

Screenshot source: Teletalk

এছাড়া বিমান বাংলাদেশের নিজস্ব ওয়েবসাইটেও এ সংক্রান্ত কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি পাওয়া যায়নি। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে কিওয়ার্ড সার্চ করে জাতীয় দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকার ওয়েবসাইটে ২০২২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে বিমান বাংলাদেশে কর্তৃক প্রকাশিত ফ্লাইট স্টুয়ার্ডেস পদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে জানা যায়।

কালের কণ্ঠ লিখেছে, ফ্লাইট স্টুয়ার্ডেস পদে ১০০ জন নিয়োগ দেবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। রাজস্ব খাতের এ পদে চাকরির আবেদন করতে পারবেন শুধু নারীরা। অনলাইনে আবেদনের শেষ তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০২২। 

পত্রিকাটির প্রতিবেদনে এ সংক্রান্ত আবেদনের একটি লিংকও যুক্ত করা হয়েছে। তবে লিংকটি সচল পাওয়া যায়নি। 

Screenshot source: Kaler Kantho

পরবর্তীতে উক্ত লিংকটি ব্যবহার করে ইন্টারনেট আর্কাইভে আলোচিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি খুঁজে পাওয়া যায়। 

২০২২ সালের ১৮ সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির সাথে সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়া বিজ্ঞপ্তিটির দৃশ্যমান মিল খুঁজে পাওয়া যায়। এই বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশনা সূত্র নাম্বার ছিল ৩০.৩৪.০০০০.০৭৩.০০০.২৯.২২/৯৯ এবং ফ্লাইট স্টুয়াডের্স পদবির জন্য পদ সংখ্যা ছিলো ১০০; যা সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়া কেবিন ক্রু পদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির সাথে হুবহু মিলে যায়।

Image collage by Rumor Scanner

অর্থাৎ, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ২০২২ সালের ফ্লাইট স্টুয়াডের্স পদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির তারিখ এডিটের মাধ্যমে পরিবর্তন করে ২০২৩ সালের ২৩ জুনে কেবিন ক্রু নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।

মূলত, সম্প্রতি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কেবিন ক্রু পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে দাবিতে ফেসবুকে একটি বিজ্ঞপ্তির ছবি প্রচার করা হয়। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায় উক্ত বিজ্ঞপ্তিটি ২০২২ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হয়েছিল। উক্ত বিজ্ঞপ্তির তারিখ এডিট করে ২৩ জুন ২০২৩ বসিয়ে সাম্প্রতিক দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংক্রান্ত গুজব প্রায়ই ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। সম্প্রতি, “গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ৭৫০ পদে নিয়োগ দিচ্ছে” শীর্ষক দাবিতে একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ইন্টারনেটে প্রচার করা হলে এ বিষয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার। 

সুতরাং, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ২০২২ সালের একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি এডিট করে সাম্প্রতিক বিজ্ঞপ্তি দাবিতে ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

রাফিয়া আরশাদ যুক্তরাজ্যের প্রথম হিজাব পরিহিত ডেপুটি জেলা জজ, যুক্তরাষ্ট্রের নয়

সম্প্রতি, “যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম হিজাবধারী মুসলিম বিচারক রাফিয়া আরশাদ” শীর্ষক একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এ দাবির কিছু পোস্ট এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে
আর্কাইভ ভার্সন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে। 

একই দাবিতে ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও এখানে এবং এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, রাফিয়া আরশাদ যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম হিজাব পরিহিত মুসলিম বিচারক নন বরং তিনি যুক্তরাজ্যের হিজাব পরিহিত প্রথম মুসলিম ডেপুটি জেলা জজ।

অনুসন্ধানে বৃটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফের ওয়েবসাইটে ২০২০ সালের ২৭ মে “Muslim woman becomes first hijab-wearing judge in UK but says she is still mistaken for interpreter” প্রকাশিত প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, হিজাব পরিহিত প্রথম মুসলিম নারী হিসেবে যুক্তরাজ্যে বিচারক হয়েছেন রাফিয়া আরশাদ। তিনি বৃটেনের মিডল্যান্ডস সার্কিটের একজন ডেপুটি জেলা জজ হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন।

Screenshot : The Telegraph 

একই তারিখে বৃটেন ভিত্তিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি নিউজ এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সংবাদে রাফিয়া আরশাদকে যুক্তরাজ্যের হিজাব পরিহিত প্রথম ডেপুটি জেলা জজ হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়, নটিংহামে সেন্ট মেরি’স চেম্বারের সদস্য রফিয়া আরশাদ গত সপ্তাহে মিডল্যান্ডস সার্কিটের বিচারক হিসাবে তার নিয়োগপত্র পেয়েছেন।

Screenshot : BBC News 

বৃটেনের আরেক গণমাধ্যম মেট্রো’র ওয়েবসাইটে ২০২০ সালের ২৬ মে “Muslim woman becomes one of the first hijab-wearing judge in the UK” শিরোনামে অপর একটি প্রতিবেদনে রাফিয়া আরশাদকে যুক্তরাজ্যের প্রথম হিজাব পরিহিত মুসলিম বিচারকদের একজন হিসেবে উল্লেখ করেছে। 

Screenshot: Metro.co.uk

অর্থাৎ, রাফিয়া আরশাদ আমেরিকা কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের নয় বরং যুক্তরাজ্যের হিজাব পরিহিত মুসলিম বিচারক এবং তাকে যুক্তরাজ্যের প্রথম হিজাব পরিহিত মুসলিম নারী বিচারক বলা হচ্ছে। 

মূলত, রাফিয়া আরশাদ ২০২০ সালে যুক্তরাজ্যের মিডল্যান্ডস সার্কিটের একজন ডেপুটি জেলা জজ হিসেবে নিয়োগ পান। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে তাকে যুক্তরাজ্যের হিজাব পরিহিত প্রথম মুসলিম বিচারক উল্লেখ করা হয়েছে। যুক্তরাজ্যের হিজাব পরিহিত প্রথম মুসলিম বিচারক রাফিয়া আরশাদ বিষয়টিই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের জায়গায় যুক্তরাষ্ট্র উল্লেখ করে প্রচার করা হচ্ছে।

সুতরাং, যুক্তরাজ্যের প্রথম হিজাব পরিহিত মুসলিম বিচারক রাফিয়া আরশাদকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম হিজাব পরিহিত বিচারক দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

  1. BBC NEWS : First hijab-wearing UK court judge hopes to be ‘trailblazer’
  2. The Telegraph : Muslim woman becomes first hijab-wearing judge in UK but says she is still mistaken for interpreter”
  3. Metro : Muslim woman becomes one of the first hijab-wearing judge in the UK
  4. Vogue : This Muslim Woman Just Became UK’s First Hijab-Wearing Judge

ডিভি লটারি ২০২৪ এ বাংলাদেশিদের আবেদনের সুযোগ চালু হওয়ার দাবিটি গুজব

0

সম্প্রতি,”আমেরিকান ডিভি লটারি ২০২৪ এ আবারো আবেদন করতে পারবে বাংলাদেশিরা” শীর্ষক একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমনকিছু পোস্ট দেখুন- এখানে (আর্কাইভ) , এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০২৪ এর ডাইভারসিটি ভিসা (ডিভি) কর্মসূচীতে বাংলাদেশিরা অংশগ্রহণ করতে পারবে না। প্রকৃতপক্ষে, বাংলাদেশিরা ২০১২ সাল থেকে ডিভি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের যোগ্যতা হারিয়েছে।

তথ্যটির সত্যতা যাচাইয়ে DV Lottery নামের একটি ওয়েবসাইটে US DV Lottery 2025 Program শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

Screenshot: dvlottery.com

প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, ডাইভারসিটি ভিসা প্রোগ্রাম (ডিভি লটারি) এর মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রতি বছর বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫৫ হাজার নাগরিককে অভিবাসী ভিসায় দেশটিতে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হয়। 

পাশাপাশি এই ডিভি লটারির আবেদনের উপযুক্ততা সম্পর্কে ওয়েবসাইটটিতে আরও বলা হয়, ডিভি লটারির জন্য সবার আবেদনের সুযোগ থাকলেও নির্দিষ্ট কিছু দেশ ব্যতীত। 

Screenshot: dvlottery.com

এসব দেশের তালিকা থেকে দেখা যায়, সেখানে ব্রাজিল, কানাডা, চীন, কলম্বিয়া, ভারত, পাকিস্তান, ফিলিপাইন্স, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশের সাথে বাংলাদেশের নামও রয়েছে৷ 

পরবর্তীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশ দূতাবাসের ওয়েবসাইটে বাংলাদেশিদের ডিভি লটারির উপযুক্ততা সম্পর্কে প্রদত্ত তথ্য থেকে জানা যায়, ২০১২ সাল থেকে দেশটিতে বাংলাদেশিদের জন্য ডিভি লটারির মাধ্যমে ভিসা প্রাপ্তির সুযোগ বন্ধ রয়েছে। 

Screenshot:bd.usembassy.gov

এর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ডিভি ভিসার আওতায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ থেকে ৫০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি প্রবেশ করেছে। যেটা ডিভি লটারি কার্যক্রমের উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করে। কারণ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেসব দেশের অভিবাসী কম, ডিভি লটারি কার্যক্রম মূলত সেসব দেশের জন্য।

এছাড়া ওয়েবসাইটটিতে বাংলাদেশিরা ডিভি লটারি নিয়ে যেন প্রতারণার শিকার না হোন, সে বিষয়েও সচেতন করা হয়েছে। 

অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র ডাইভারসিটি ভিসা প্রোগ্রামের (ডিভি লটারি) মাধ্যমে বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিবছর ৫০ হাজারের বেশি নাগরিককে অভিবাসী ভিসা প্রদান করে থাকে। তবে বাংলাদেশ থেকে এই ভিসার মাধ্যমে নির্দিষ্ট সংখ্যক বাংলাদেশি আমেরিকায় যাওয়ায় বর্তমানে বাংলাদেশিদের জন্য এই সুযোগ বন্ধ রয়েছে।

মূলত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রতি বছর ডাইভারসিটি ভিসা প্রোগ্রামের (ডিভি লটারি) আওতায় বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫৫ হাজার নাগরিককে অভিবাসী ভিসায় দেশটিতে প্রবেশের সুযোগ দেয়। তবে ২০০৭ সাল থেকে ২০১২ সালের মধ্যে এই লটারির আওতায় দেশটিতে বাংলাদেশ থেকে ৫০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি প্রবেশ করেছে। এরপর থেকে ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশিদের জন্য এই সুযোগ বন্ধ রয়েছে। ফলে ২০২৪ সালের জন্য আমেরিকা কর্তৃক ডিভি লটারিতে ভিসা প্রদান করা হলেও বাংলাদেশিদের জন্য বর্তমানে আবেদনের সুযোগ নেই। 

উল্লেখ্য, পূর্বেও বিভিন্ন বছর ডিভি লটারিতে বাংলাদেশিদের আবেদনের সুযোগ চালু হওয়ার দাবি ইন্টারনেটে পড়লে বিষয়গুলোকে মিথ্যা হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার। প্রতিবেদনগুলো দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে। 

সুতরাং, ২০২৪ এর ডাইভারসিটি ভিসা(ডিভি) কর্মসূচীতে বাংলাদেশিরা অংশগ্রহণ করতে পারবে দাবি করে ইন্টারনেটে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

সাকিব আল হাসান ফেসবুক লাইভে এসে কোনো অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করেননি

0

সম্প্রতি, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের টি-টোয়েন্টি সংস্করণের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের একটি লাইভ ভিডিও ব্যবহার করে নগদ অর্থ দানের দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।

কি দাবি করা হচ্ছে 

সাকিব আল হাসানের নামে পরিচালিত একাধিক ফেসবুক পেইজ থেকে প্রচারিত লাইভ গুলোর ক্যাপশনে দাবি করা হচ্ছে ‘ আমি প্রথম ৫০০ জনের জন্য নগদ ৳ ১০,০০০ দান করছি,যারা সঠিকভাবে অঙ্কিত নম্বরটি অনুমন করতে পারে’ 

ফেসবুকে প্রচারিত এরকম কিছু পোস্ট দেখুন এখানে ( আর্কাইভ) , এখানে (আর্কাইভ) , এখানে ( আর্কাইভ) । 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের টি-টোয়েন্টি সংস্করণের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে এসে ইশিহারা টেস্টের মাধ্যমে নগদ

অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করেননি বরং সাকিব আল হাসানের নামে পরিচালিত বিভিন্ন ভুয়া ফেসবুক পেজ থেকে পুরোনো ভিডিও ব্যবহার করে উক্ত দাবিটি ছড়ানো হয়েছে। 

অনুসন্ধনের শুরুতেই কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে সাকিব আল হাসানের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজ থেকে ২০১৬ সালের ৮ আগস্ট প্রকাশিত ৪ মিনিট ১ সেকেন্ডের একটি লাইভ ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। 

Source: Shakib Al Hasan Facebook post 

 উক্ত ভিডিওর ব্যাকগ্রাউন্ড এবং আনুষঙ্গিক বিষয়গুলোর সাথে আলোচিত দাবিতে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোর মিল খুঁজে পাওয়া যায়। 

Video Comparison by Rumor Scanner

লাইভটি বিশ্লেষন করলে দেখা যায়, তিনি তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজের নয় মিলিয়ন ফলোয়ার পূর্তিতে লাইভে এসে ভক্তদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। 

পরবর্তীতে সাকিব আল হাসানের উক্ত লাইভ  ভিডিওটি ব্যবহার করে  ‘Sakib Al Hasan’ নামে তৈরী কিছু ভুয়া ফেসবুক পেইজ ( ,,)  হতে ইশিহারা টেস্টের মাধ্যমে তিনি নগদ অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করেছেন দাবিটি প্রচার করা হয়েছে। 

মূলত, ২০১৬ সালের ৮ আগস্ট সাকিব আল হাসান তার পেইজের  নয় মিলিয়ন ফলোয়ার পূর্তিতে ফেসবুক লাইভে এসে ভক্তদের উদ্দেশ্যে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগসহ ক্রিকেট নিয়ে নানাকথা বলেন। সম্প্রতি তার ঐ লাইভ ভিডিও ব্যবহার করে তার নামে একাধিক ভুয়া ফেসবুক পেজ থেকে তিনি লাইভে ইশিহারা টেস্টের মাধ্যমে নগদ অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করেছেন দাবিতে ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে। 

উল্লেখ্য, পূর্বেও বিভিন্ন সময় সাকিব আল হাসান, নায়ক অনন্ত জলিল, অভিনেত্রী তানজিন তিশা এবং ইউটিউবার তৌহিদ আফ্রিদি ফেসবুক লাইভে নগদ অর্থ পুরষ্কার ঘোষণা করেছেন শীর্ষক দাবি ছড়িয়ে পড়লে সেগুলো মিথ্যা হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক করে রিউমর স্ক্যানার। 

প্রতিবেদনগুলো দেখুন 

সুতরাং সাকিব আল হাসান ফেসবুক লাইভে ইশিহারা টেস্টের মাধ্যমে নগদ অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করেছেন দাবিতে একটি তথ্য প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

হাদীস নিয়ে করা মুহাম্মদ বিন সালমানের মন্তব্য বিকৃত করে প্রচার 

0

সম্প্রতি “নবী মুহম্মদের মৃত্যুর পর রচিত কোন হাদিসই সত্য ও বৈধ নয়: মুহাম্মদ বিন সালমান” শীর্ষক শিরোনামে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, নবী মুহম্মদের মৃত্যুর পর রচিত কোন হাদিসই সত্য ও বৈধ নয় দাবিতে সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের প্রচারিত উক্তিটি তিনি বলেননি বরং ২০২১ সালের এপ্রিলে সৌদি গণমাধ্যম Al- Arabiya কে দেয়া সৌদি যুবরাজের দীর্ঘ সাক্ষাৎকারের একটি অংশকে ভুল ব্যাখ্যা করে প্রচার হচ্ছে।

মূলত, ইসলামী আইনের ক্ষেত্রে কোরআন- হাদীসের ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান হাদীসের বিভিন্ন প্রকার নিয়ে আলোচনা করেন। এসময় হাদীসের বিশুদ্ধতা যাচাই ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে তিনি বলেন, সরকার ও শরিয়া সম্পর্কিত বিষয়ে মুতাওয়াতির হাদিস ও কুরআনের বিধিবিধান, শিক্ষাগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। আহাদ হাদীসগুলোর সত্যতা ও নির্ভরযোগ্যতা খতিয়ে দেখতে হবে এবং “খবর” হাদিসগুলিকে সম্পূর্ণরূপে উপেক্ষা করতে হবে, যদি না তা থেকে মানবতার জন্য একটি সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা পাওয়া না যায়।

উল্লেখ্য, পূর্বেও বিষয়টি ব্যাপকভাবে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে সেসময় এটিকে মিথ্যা হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।