Home Blog Page 547

কানাডার টরন্টো শহরের বিলবোর্ডে সাকিব-লিটনের ছবি প্রদর্শিত হয়নি

সম্প্রতি, কানাডার টরন্টো শহরের একটি বিলবোর্ডে সাকিব আল হাসান এবং লিটন কুমার দাসের ছবি প্রকাশিত হওয়ার দাবিতে বিলবোর্ডের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমনকিছু ছবি দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, কানাডার টরন্টো শহরের বিলবোর্ডে সাকিব আল হাসান এবং লিটন কুমার দাসের ছবি প্রদর্শিত হওয়ার দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ছবিটি কানাডার টরন্টো শহরের নয় বরং উক্ত দাবিতে প্রচারিত ছবিটি ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় ফটোশপের মাধ্যমে এডিট করে তৈরী করা হয়েছে।

রিভার্স ইমেজ সার্চ অনুসন্ধানের মাধ্যমে স্টক ছবির ওয়েবসাইট ‘Adobe’ এ “Outdoor Billboard Mockup” শীর্ষক ক্যাপশনে হুবহু একই বিলবোর্ডের ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়।

Image Comparison by Rumor Scanner

এছাড়া, স্টক ছবির আরেক ওয়েবসাইট ‘Freepik’ তেও একই ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot from ‘Freepik’

পরবর্তীতে অনুসন্ধানের মাধ্যমে কানাডার ক্রিকেট লীগ ‘GT20 Canada’ এর দল Montreal Tigers এর ফেসবুক পেজে গত ১৬ জুলাই পোস্টকৃত ছবিটি পাওয়া যায়।

Screenshot from ‘Facebook’

তবে সেই পোস্টে Montreal Tigers এর কর্তৃপক্ষ ফেসবুক পোস্টে এই বিলবোর্ডটির অবস্থান সম্পর্কে কিছুই জানান নি।

মূলত, কানাডার ক্রিকেট লীগ ‘GT20 Canada’ এর দল Montreal Tigers এর ফেসবুক পেজে গত ১৬ জুলাই বাংলাদেশি ক্রিকেট খেলোয়াড় সাকিব আল হাসান এবং লিটন কুমার দাসকে নিয়ে একটি বিলবোর্ডের ছবি প্রকাশ করে। সম্প্রতি সেই বিলবোর্ডটি কানাডার টরন্টো শহরে অবস্থিত দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায় উক্ত বিলবোর্ডটি কানাডার টরন্টো শহরে অবস্থিত নয় বরং বিলবোর্ডটি ফটোশপের মাধ্যমে এডিট করে তৈরী করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গ্লোবাল ২০ লিগে সাকিব আল হাসান খেলবেন মন্ট্রিয়ল টাইগার্সের হয়ে এবং লিটন কুমার দাস খেলবেন সারে জাগুয়ার্সের হয়ে।

প্রসঙ্গত, পূর্বেও সাকিব আল হাসানকে নিয়ে ইন্টারনেটে ভুল তথ্য প্রচার করার প্রেক্ষিতে একাধিক ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার। প্রতিবেদন গুলো দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে

সুতরাং, কানাডার টরন্টো শহরের একটি বিলবোর্ডে সাকিব আল হাসান এবং লিটন কুমার দাসের ছবি প্রকাশিত হওয়ার দাবিতে একটি তথ্য ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং প্রচারিত ছবিটি এডিটেড।

তথ্যসূত্র

চলতি ইমার্জিং এশিয়া কাপে বাংলাদেশ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়নি

সম্প্রতি, এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের আয়োজনে ছেলেদের ইমার্জিং এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বে এ গ্রুপে বাংলাদেশ দল চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে শীর্ষক একটি দাবি কতিপয় গণমাধ্যম এবং ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। 

উক্ত দাবিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন একাত্তর টিভি (ইউটিউব),  রাইজিং বিডি

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ইমার্জিং এশিয়া কাপের চলতি আসরে বাংলাদেশ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়নি বরং উক্ত গ্রুপে শ্রীলঙ্কা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ গ্রুপে রানার্সআপ হয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে ভারতীয় ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট Cricbuzz এ ইমার্জিং এশিয়া কাপের পয়েন্ট টেবিল পর্যবেক্ষণ করে এ গ্রুপে বাংলাদেশ রানার্সআপ ও শ্রীলঙ্কা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার তথ্য পাওয়া যায়। 

Screenshot: Cricbuzz

এ বিষয়ে অধিকতর অনুসন্ধানের স্বার্থে গণমাধ্যমের দাবিগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, একাত্তর টিভি তাদের ফেসবুক পেজে আলোচিত তথ্যটি প্রকাশ করে গতকাল (১৮ জুলাই) সন্ধ্যা ৬ টা ৫২ মিনিটে এবং রাইজিং বিডি এ বিষয়ে তাদের প্রতিবেদন সর্বশেষ আপডেট করে সন্ধ্যা ৭ টা ৪৮ মিনিটে। 

সে সময় পয়েন্ট টেবিলে বাংলাদেশের অবস্থান কত ছিল সে বিষয়ে অনুসন্ধানে জানা যায়, বাংলাদেশের খেলা (আফগানিস্তানের বিপক্ষে) শুরু হয় গতকাল সকাল সাড়ে দশটায়। শেষ হয় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার কিছু পরে। 

আফগানদের হারিয়ে বাংলাদেশ নিজেদের গ্রুপে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে আসে। তবে সেসময় একই গ্রুপের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কা ও ওমানের খেলা চলছিল। তাই এটি চূড়ান্ত পয়েন্ট টেবিল ছিল না। 

Screenshot source: Channel24

রাতে শ্রীলঙ্কা ও ওমানের মধ্যকার ম্যাচটি শেষ হওয়ার পর (শ্রীলঙ্কা জয় পায়) টিভি স্ক্রিনে দেখা যায়, শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশের সমান জয় পেলেও নেট রান রেটে শ্রীলঙ্কা এগিয়ে থাকায় পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এসে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে দেশটি। অন্যদিকে বাংলাদেশ পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় অবস্থানে থাকায় রানার্সআপ হিসেবে সেমিফাইনালে গিয়েছে।

Screenshot source: Youtube

অর্থাৎ, চূড়ান্ত পয়েন্ট টেবিল নির্ধারণের পূর্বেই কতিপয় গণমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, বাংলাদেশ নিজেদের গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। 

মূলত, গত ১৮ জুলাই এসিসি ম্যানস ইমার্জিং এশিয়া কাপ-২০২৩ এ বাংলাদেশ দল গ্রুপ ‘এ’ থেকে আফগানিস্তানের সাথে জয়লাভ করায় সেমিফাইনালে উঠে। সেসময় গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ খেলছিল শ্রীলঙ্কা ও ওমান। এই ম্যাচ শেষ হওয়ার পূর্বেই বাংলাদেশকে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন দাবি করা হয় কতিপয় গণমাধ্যমে। কিন্তু, রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সেসময় বাংলাদেশ পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকলেও পরবর্তীতে গ্রুপের শেষ ম্যাচ শেষ হওয়ার পর টেবিলের শীর্ষে উঠে আসে শ্রীলঙ্কা এবং গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়। অপরদিকে বাংলাদেশ হয় রানার্সআপ।

সুতরাং, এসিসি ম্যানস ইমার্জিং এশিয়া কাপ-২০২৩ এ বাংলাদেশ দল গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে শীর্ষক একটি কতিপয় গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

  • Cricbuzz Website
  • Asian Cricket Council YouTube Channel
  • Rumor Scanner’s Own Analysis

পুরোনো ভিডিওকে ফ্রান্সের সাম্প্রতিক দাঙ্গায় পুলিশের আত্মসমর্পণের ভিডিও দাবিতে প্রচার

সম্প্রতি, পুলিশের হ্যান্ডকাপ মাটিতে ফেলে দেওয়ার একটি ভিডিওকে ফ্রান্সের চলমান দাঙ্গায় পুলিশের আত্মসমর্পণের ভিডিও দাবিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে।

টিকটকে প্রচারিত এমন কিছু ভিডিও দেখুন এখানে(আর্কাইভ), এখানে(আর্কাইভ), এখানে(আর্কাইভ), এখানে(আর্কাইভ) এবং এখানে(আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আলোচ্য ভিডিওটি ফ্রান্সের চলমান দাঙ্গার ঘটনায় পুলিশের আত্মসমর্পণের ভিডিও নয় বরং এটি ২০২০ সালে ফ্রান্স পুলিশের প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে ধারণকৃত ভিডিও।

কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে আলোচ্য ভিডিওটি ২০২০ সালের ১২ জুন আপলোডকৃত Clement Lanot নামক এক ফরাসি সাংবাদিকের টুইটার অ্যাকাউন্টে খুঁজে পাওয়া যায়।

টুইটের ক্যাপশনের বাংলা অনুবাদ থেকে জানা যায়, “ববিগনি পুলিশ সদর দফতরের সামনে মাটিতে ফেলে দেওয়া হাতকড়া। ক্ষুব্ধ পুলিশ বিশ্বাস করে যে কাস্টানারের ঘোষণা অনুসরণ করে সঠিকভাবে গ্রেপ্তার করার উপায় তাদের আর রইলো না।”

Source: Clement Lanot

উক্ত টুইটের সূত্র ধরে অনুসন্ধানে জানা যায়, ফ্রান্সের তৎকালীন মিনিস্টার অব ইন্টেরিয়র Christophe Castaner আসামি গ্রেফতারের ক্ষেত্রে বেশকিছু নতুন নিয়মের ঘোষণা দেন। পুলিশের বর্ণবাদী আচরণ রোধের উদ্দেশ্যেই নতুন এ নিয়মের সংযোজন ঘটান তিনি। 

Source: la nouvelle Republique.fr

মূলত, তার এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদেই ফ্রান্সের পুলিশ নিজেদের হাতকড়া মাটিতে ফেলে দিয়ে প্রতিবাদ জানায়।

পাশাপাশি, কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে আলোচ্য ভিডিওটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম Time এর ওয়েবসাইটে ২০২০ সালের ১২ জুন প্রকাশিত “French Police Throw Handcuffs on Ground in Protest of Ban on Chokehold” শীর্ষক একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ১১ জুন নিজেদের উপর বর্ণবাদী আচরণের অভিযোগ আনা এবং ইন্টেরিয়র মিনিস্টার Christophe Castaner গ্রেফতার সংক্রান্ত নতুন নিয়ম ঘোষণার প্রতিবাদে ফ্রান্সের পুলিশ প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। সেই প্রতিবাদের অংশ হিসেবেই তারা নিজেদের হ্যান্ডকাফ মাটিতে ছুঁড়ে ফেলে দেয়। 

Source: Time

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি প্যারিসের নানতের উপশহর এলাকায় পুলিশের গুলিতে অপ্রাপ্তবয়স্ক এক তরুণের মৃত্যুর ঘটনায় ফ্রান্সে বিক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু করে। অচিরেই ফ্রান্সের বিভিন্ন শহরে সে বিক্ষোভ দাঙ্গার রূপ নেয়। ফ্রান্সে চলমান এই বিক্ষোভ ব্যাপক সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। 

মূলত, ২০২০ সালের জুন মাসে ফ্রান্সের মিনিস্টার অব ইন্টেরিয়র Christophe Castaner পুলিশের বর্ণবাদী আচরণ রোধ করতে গ্রেফতারের পদ্ধতিতে বেশকিছু নতুন নিয়ম সংযোজনের ঘোষণা দেন। তার এই ঘোষণার প্রতিবাদে মাটিতে হাতকড়া ছুঁড়ে ফেলে ফ্রান্সের পুলিশ প্রতিবাদ জানায়। উক্ত প্রতিবাদ সমাবেশের সময় ধারণকৃত একটি ভিডিওকে ফ্রান্সের সাম্প্রতিক দাঙ্গার ঘটনায় পুলিশের আত্মসমর্পণের ভিডিও দাবিতে টিকটকে প্রচারিত হচ্ছে।

উল্লেখ্য, পূর্বেও পুরোনো ছবিকে গণমাধ্যমে ফ্রান্সের সাম্প্রতিক সহিংসতার দাবিতে প্রচার করা হলে সে বিষয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।

সুতরাং, ২০২০ সালে ফ্রেঞ্চ পুলিশের প্রতিবাদ সমাবেশে ধারণকৃত হ্যান্ডকাফ মাটিতে ফেলে দেওয়ার একটি ভিডিওকে ফ্রান্সের সাম্প্রতিক দাঙ্গায় পুলিশের আত্মসমর্পণের ভিডিও দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ন মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

প্রথম আলোর ফটোকার্ড নকল করে হিরো আলমকে নিয়ে ফখরুলের ভুয়া মন্তব্য প্রচার

0

সম্প্রতি ‘হিরো আলম আমাদের অনুপ্রেরণা, সাহস। বিএনপি নির্বাচনে এলে হিরো আলমকে বিএনপি থেকে মনোনয়ন দেয়া হবে’ শীর্ষক একটি তথ্যকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্য দাবিতে প্রথম আলোর আদলে তৈরি একটি ফটোকার্ডের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমনকিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ‘হিরো আলম আমাদের অনুপ্রেরণা, সাহস। বিএনপি নির্বাচনে এলে হিরো আলমকে বিএনপি থেকে মনোনয়ন দেয়া হবে’ শীর্ষক দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত এই মন্তব্যটি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নয় এবং প্রথম আলোও এধরণের কোনো সংবাদ প্রচার করেনি বরং ভিত্তিহীনভাবে প্রথম আলোর আদলে তৈরি করা একটি ফটোকার্ডের মাধ্যমে উক্ত দাবিটি প্রচার করা হচ্ছে। 

অনুসন্ধানের শুরুতে প্রথম আলোর আদলে তৈরি আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। সেখানে এই সংবাদটি প্রচারের তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে ১৮ জুলাই।

Screenshot: Facebook 

অনুসন্ধানে কি ওয়ার্ড সার্চ পদ্ধতি ব্যবহার করে প্রথম আলোর ওয়েবসাইট, ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ এবং ইউটিউব চ্যানেলে এই তারিখে বা তার আগে পরে উক্ত তথ্য সম্বলিত কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাছাড়া আলোচিত এই ফটোকার্ডের টেক্সট ফন্টের সাথে প্রথম আলোর অন্যান্য ফটোকার্ডের টেক্সট ফন্টের ভিন্নতা রয়েছে। 

Image Comparison by Rumor Scanner 

এছাড়াও প্রথম আলো ছাড়াও অন্যকোনো গণমাধ্যমেও প্রাসঙ্গিক একাধিক কি ওয়ার্ড সার্চ করে হিরো আলমকে নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উক্ত মন্তব্যের বিষয়ে কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

Screenshot: Google Search 

পরবর্তীতে বিষয়টি অধিকতর নিশ্চিতের জন্য ম্যানুয়ালি অনুসন্ধানে প্রথম আলোর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে ১৮ জুলাই হিরো আলমকে নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্য নিয়ে আলোচিত ফটোকার্ড সম্পর্কিত একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Prothom Alo

উক্ত পোস্টে হিরো আলমকে নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্য নিয়ে আলোচিত ফটোকার্ডটিকে ভূয়া সংবাদ উল্লেখ করে জানানো হয়, ‘প্রথম আলোর নামে ছড়ানো এই ছবিটি নকল, আমাদের তৈরি নয়। বিভ্রান্তি এড়াতে আমাদের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ ও অনলাইনের সঙ্গে থাকুন।’

অর্থাৎ, হিরো আলমকে নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্য নিয়ে প্রথম আলো এমন কোনো ফটোকার্ড কিংবা সংবাদ প্রকাশ করেনি। 

পাশাপাশি, উপরোক্ত বিষয়গুলো পর্যালোচনা করলে এটা স্পষ্ট যে, ‘হিরো আলম আমাদের অনুপ্রেরণা, সাহস। বিএনপি নির্বাচনে এলে হিরো আলমকে বিএনপি থেকে মনোনয়ন দেয়া হবে’ শীর্ষক মন্তব্যটি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের নয় এবং কোনো গণমাধ্যমে উক্ত মন্তব্য সম্পর্কিত কোনো সংবাদ প্রচার করা হয়নি।

মূলত, সম্প্রতি ‘হিরো আলম আমাদের অনুপ্রেরণা, সাহস। বিএনপি নির্বাচনে এলে হিরো আলমকে বিএনপি থেকে মনোনয়ন দেয়া হবে’ শীর্ষক একটি তথ্যকে মির্জা ফখরুল ইসলামের মন্তব্য দাবিতে প্রথম আলোর আদলে তৈরি একটি ফটোকার্ডের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রথম আলোর ওয়েবসাইট, ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ এবং ইউটিউব চ্যানেলে উক্ত তথ্য সম্বলিত কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়াও প্রথম আলোর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকেও উক্ত ফটোকার্ডটি ভুয়া এবং তাদের তৈরি নয় বলে জানানো হয়। 

প্রসঙ্গত, গত ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনে ভোট চলাকালে সংসদ সদস্য প্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম বেলা সোয়া তিনটার দিকে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে সেখানে নৌকা মার্কার প্রার্থীর ব্যাজ পরিহিত একদল লোক পেছন থেকে তাঁর উদ্দেশ্যে গালাগাল করতে থাকেন এবং কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে কেন্দ্রটির দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা হিরো আলমকে ঘিরে রেখে স্কুলের ফটকের দিকে নিয়ে যান। পরে নৌকার ব্যাজধারী ব্যক্তিরা ধাওয়া দিয়ে তাঁকে বাইরে আনার পর রাস্তায় তার ওপর হামলা করেন। পরবর্তীতে হামলায় জড়িত অভিযোগে সাতজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

উল্লেখ্য, পূর্বেও বিভিন্ন গণমাধ্যমের ফটোকার্ড নকল করে মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হলে সেসময় বিষয়গুলো নিয়ে  ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার। এমন কয়েকটি প্রতিবেদন দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে

সুতরাং, ‘হিরো আলম আমাদের অনুপ্রেরণা, সাহস। বিএনপি নির্বাচনে এলে হিরো আলমকে বিএনপি থেকে মনোনয়ন দেয়া হবে’ শীর্ষক একটি তথ্যকে মির্জা ফখরুল ইসলামের মন্তব্য দাবিতে প্রথম আলোর আদলে তৈরি একটি ফটোকার্ডের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং প্রচারিত ফটোকার্ডটি এডিটেড।

তথ্যসূত্র

হবিগঞ্জের রাস্তার ছবিকে নাটোরের দাবি

0

সম্প্রতি, ফেসবুকে একটি রাস্তার ছবিকে নাটোরের সিংড়ার ছবি বলে দাবি করা হচ্ছে। 

ফেসবুকে প্রচারিত এমনকিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ছবিটি নাটোরের নয় বরং হবিগঞ্জের বানিয়াচং থেকে ২০২০ সালে ছবিটি তুলেছিলেন ফটোগ্রাফার শঙ্কু দেব। 

মূলত, সম্প্রতি ফেসবুকে একটি রাস্তার ছবিকে নাটোরের সিংড়ার ছবি বলে দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু রিউমর স্ক্যানারের দীর্ঘ অনুসন্ধানে জানা যায়, আলোচিত ছবিটি নাটোরের নয়। ২০২০ সালে শঙ্কু দেব নামে একজন ফটোগ্রাফার হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের আদর্শবাজার-লক্ষীবাওর জলাবন রোডে অবস্থিত করতকলা নামক স্থান থেকে ছবিটি তুলেছিলেন। পরবর্তীতে এই ছবিটি ভিন্ন স্থান এবং ভিন্ন জনের তোলা বলে প্রচার হয়ে আসছে। 

উল্লেখ্য, পূর্বেও ছবিটি ব্যাপকভাবে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে সেসময় ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার। 

গণমাধ্যমে আফগানিস্তানের গায়িকা হাসিবা নুরির মৃত্যুর গুজব

গত ১৭ জুলাই আফগানিস্তানের জনপ্রিয় গায়িকা হাসিবা নুরিকে পাকিস্তানে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে শীর্ষক দাবিতে একটি তথ্য দেশি-বিদেশি বেশ কিছু গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশের গণমাধ্যমে প্রকাশিত  প্রতিবেদন দেখুন আরটিভি, ডিবিসি নিউজ, বাংলাদেশ মোমেন্টস, নিউজ নাউ, রাইজিং বিডি, বি বার্তা, জুম বাংলা, ২৪ আওয়ার বিডি, এমটি নিউজ, কলকাতা টিভি। 

ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন, টাইমস অব ইন্ডিয়া, সংবাদ প্রতিদিন, বাংলা হান্ট, The Statement, First Post, The Wire.in, News18, The tribune, BNN.Net, Latestly.Bangla, Snews.in, এপার-ওপার বাংলা। 

আফগানিস্তানের গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন Kabul Now

গণমাধ্যমের ফেসবুক পেজ এবং অন্যান্য অ্যাকাউন্টে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, পাকিস্তানে অজ্ঞাতনামা বন্দুকধারীর গুলিতে আফগানিস্তানের গায়িকা হাসিবা নুরির মৃত্যুর খবরটি গুজব বরং তিনি এখনো বেঁচে আছেন এবং নিজেই লাইভে এসে তার জীবিত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

অনুসন্ধানের শুরুতে প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের বাংলা সংস্করণে গত ১৭ জুলাই ‘Hasiba Noor: ‘আমি মরিনি, শরীর গুলিতে ঝাঁঝরাও হয়ে যায়নি!’ মৃত্যুর খবরে বলছেন গায়িকা হাসিবা নুরি’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Hindustan Times

প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, হাসিবা নুরির মৃত্যুর খবরটি ভুয়া। তিনি এখনো বেঁচে আছেন। হাসিবা নুরি এক ভিডিও বার্তায় নিজের বেঁচে থাকার খবর জানান। 

এই প্রতিবেদনটির সূত্রে পাকিস্তানের সাংবাদিক ও খোরাসান ডেইলির প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ইফতেখার ফিরদৌসের ভেরিফায়েড টুইটার অ্যাকাউন্টে হাসিবা নুরির জীবিত থাকা প্রসঙ্গে একটি টুইট খুঁজে পাওয়া যায়। 

Screenshot: Iftikhar Firdous Twitter 

টুইটটিতে ইফতেখার ফিরদৌস লিখেন, মাত্রই হাসিবা নুরির সাথে কথা হলো। তিনি খাইবার পাখতুনে গুলিতে মারা যাননি বরং বেঁচে আছেন এবং সুস্থ আছেন। তিনি বর্তমানে করাচিতে আছেন। তার মৃত্যুর খবরে যে ছবিটি প্রচার করা হচ্ছে, সেটি একটি অস্ত্রোপচারের সময় অ্যানেস্থেশিয়ার সময়ে তোলা।

পরবর্তীতে বিষয়টি সম্পর্কে অধিকতর নিশ্চয়তার জন্য প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড অনুসন্ধানের মাধ্যমে Hasiba Noori নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে গত ১৮ জুলাই প্রকাশিত আফগানিস্তানের আলোচিত গায়িকা হাসিবা নুরির একটি ভিডিও বার্তা খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Hasiba Noori YouTube

এই ভিডিও বার্তায় তিনি নিজের জীবিত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তিনি বেঁচে আছেন, সুস্থ আছেন।

অর্থাৎ, উপরিউক্ত বিষয়গুলো পর্যালোচনা করলে এটা স্পষ্ট যে, আফগানিস্তানের গায়িকা হাসিবা নুরি  জীবিত আছেন এবং তার উপরে অজ্ঞাত ব্যক্তি কর্তৃক গুলির কোনো ঘটনা ঘটেনি

মূলত, সম্প্রতি আফগানিস্তানের জনপ্রিয় গায়িকা হাসিবা নুরিকে পাকিস্তানে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে শীর্ষক দাবিতে দেশি-বিদেশি কিছু গণমাধ্যমে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। তবে অনুসন্ধানে জানা যায়, আফগানিস্তানের গায়িকা হাসিবা নুরির মৃত্যুর খবরটি গুজব বরং তিনি বেঁচে আছেন এবং নিজেই লাইভে এসে তার জীবিত থাকার বিষয়টি এবং তার উপর গুলি বর্ষণের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে নিশ্চিত করেছেন।

উল্লেখ্য, পূর্বেও কয়েকজন বিখ্যাত ব্যক্তির মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়লে সেসময় বিষয়গুলো নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার। 

সুতরাং, আফগানিস্তানের গায়িকা হাসিবা নুরিকে পাকিস্তানে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে দাবিতে গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

সুইডেনে কুরআন পোড়ানো ব্যক্তির কুষ্ঠ রোগ হওয়ার দাবিটি মিথ্যা

0

গত জুনে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমের প্রধান মসজিদের সামনে প্রকাশ্যে কুরআন শরিফে আগুন দেন এক ইরাকি বংশোদ্ভূত ব্যক্তি। সম্প্রতি ফেসবুকের ভাইরাল কিছু পোস্টে দাবি করা হয়েছে, উক্ত ব্যক্তির হাতে কুষ্ঠরোগ হয়েছে৷

কুরআন

ফেসবু্কে ছড়িয়ে পড়া এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সুইডেনে কুরআন পোড়ানো ব্যক্তির কুষ্ঠ রোগ হওয়ার দাবিটি সঠিক নয় বরং সালওয়ান মোমিকা নামক উক্ত ব্যক্তি সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন এবং তাকে নিয়মিত ফেসবুকে সক্রিয় থাকতে দেখা যাচ্ছে। 

এ বিষয়ে শুরুতে আলোচিত তথ্যটির সূত্র  অনুসন্ধানে গত ০৪ জুলাই Mazdul Islam নামে এক ব্যক্তির ফেসবুক পোস্ট (আর্কাইভ) নজরে আসে আমাদের।  

জনাব মাজদুল তার পোস্টে লিখেছেন, “সুইডেনে পবিত্র কুরআন শরীফ পুরানো, সেই রাজবুস নামক বেধর্মী কুলাঙ্গার জাহান্নামের কীটের দুই হাতে কুষ্ঠ রোগ বের হয়েছে, এবং দুদিন হল বিছানা থেকে উঠতে পারছে না, আল্লাহর আরো গজবের সম্মুখীন হতে যাচ্ছে।”

Screenshot source: Facebook 

জনাব মাজদুল কোনো সূত্র ছাড়াই উক্ত পোস্টে আলোচিত দাবিটি উত্থাপন করেছেন। 

উক্ত দাবির সত্যতার খোঁজে প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড সার্চ করে উক্ত ব্যক্তির বিষয়ে সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত সংবাদগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সুইডেনের স্টকহোম শহরের কেন্দ্রীয় মসজিদের বাইরে কোরআনের একটি কপিতে গত ২৮ জুন ঈদের দিন আগুন ধরিয়ে দেন সালওয়ান মোমিকা নামের উক্ত ব্যক্তি। তিনি সুইডেনে বসবাসরত একজন ইরাকি বলে জানানো হয়েছে বিবিসির এক প্রতিবেদনে। 

কিন্তু বিবিসির ০৬ জুলাই প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে সালওয়ান মোমিকার কুষ্ঠ বা তার শারীরিক অসুস্থতার বিষয়ে কোনো তথ্য উল্লেখ পাওয়া যায়নি। 

এমনকি কুরআন পোড়ানোর সাম্প্রতিক এই ঘটনা পরবর্তী সময়ে মোমিকার বিষয়ে একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত কোনো প্রতিবেদনেই তার শারীরিক অসুস্থতা জনিত কোনো তথ্য উল্লেখ পায়নি রিউমর স্ক্যানার টিম। 

এ বিষয়ে আরো অনুসন্ধান করে সালওয়ান মোমিকার ফেসবুক প্রোফাইল (আর্কাইভ) খুঁজে পাওয়া যায়। 

জনাব মোমিকার প্রোফাইল পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, তিনি নিয়মিতই কুরআন পোড়ানোর বিষয়ক আলোচিত প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন পোস্ট দিচ্ছেন।

Screenshot source: Facebook

প্রোফাইলে গত ০৯ (আর্কাইভ) এবং ১৩ (আর্কাইভ) জুলাই দুইটি ভিডিও পোস্ট করেছেন যেখানে তার হাতে কোনো কুষ্ঠরোগের চিহ্ন দেখা যাচ্ছে না। ভিডিওগুলোতে তিনি কুরআন পোড়ানোর ঘটনা পরবর্তী বিষয়ে আলোকপাত করেছেন যা থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়, ভিডিওগুলো অতি সম্প্রতি ধারণ করা। 

গত ১৪ জুলাই প্রকাশিত এক পোস্টে (আর্কাইভ) তিনি আগামী ২০ জুলাই ফের কুরআন পোড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।

সার্বিক বিষয়ে জানতে সালওয়ান মোমিকার সাথে যোগাযোগ করেছিল রিউমর স্ক্যানার টিম। তবে এই ফ্যাক্টচেক প্রকাশ হওয়ার আগ পর্যন্ত তার পক্ষ থেকে কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। 

মূলত, গত জুনে সুইডেনের কুরআন শরিফে আগুন দেন সালওয়ান মোমিকা নামে এক ব্যক্তি। সম্প্রতি ফেসবুকে দাবি করা হয়েছে, উক্ত ব্যক্তির হাতে কুষ্ঠরোগ হয়েছে৷ কিন্তু রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, দাবিটি সঠিক নয়। উক্ত ব্যক্তি তার ফেসবুক প্রোফাইলে নিয়মিত স্ট্যাটাস এবং ভিডিও পোস্ট করে যাচ্ছেন। আগামী ২০ জুলাই ফের কুরআন পোড়ানোর ঘোষণাও দিয়ে রেখেছেন তিনি। 

সুতরাং, সুইডেনে সম্প্রতি কুরআন পোড়ানো ব্যক্তির কুষ্ঠ রোগ হওয়া শীর্ষক একটি দাবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

৫১% ভোট না পড়লে আমেরিকা নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেবে না শীর্ষক মন্তব্য উজরা জেয়া করেননি

সম্প্রতি, ৫১% ভোট না পড়লে আমেরিকা নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেবে না- শেখ হাসিনাকে মার্কিন মন্ত্রী উজরা জেয়া শীর্ষক একটি দাবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।

নির্বাচন

ফেসবুকে প্রচারিত এমনকিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ),এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারসংক্রান্ত আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এমন কোনো কথা বলেননি বরং কোনোপ্রকার গ্রহণযোগ্য তথ্যসূত্র ছাড়াই দাবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। 

অনুসন্ধানের শুরুতে দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়ার অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। টুইটারে গত ১৫ জুলাই ইউএনবি’র সাংবাদিক AKM Moinuddin এর করা একটি টুইট রিটুইট করে উজরা জেয়া ক্যাপশনে লিখেন, একেএম মহিউদ্দিনের অবজারভারের সাথে কথা বলে আমি খুশি। ঢাকায় থাকাকালীন সময়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের গুরুত্ব এবং গণতন্ত্রের উন্নতির জন্য সুশীল সমাজ ও মিডিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেছি।

Screenshot: Under Secretary Uzra Zeya Twitter Account 

উক্ত রিটুইটে আলোচিত বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য AKM Moinuddin এর টুইটে সংযুক্ত ইউএনবি’র একটি সংবাদ প্রতিবেদন পড়তে বলেন উজরা জেয়া। যেখানে তিনি তার বাংলাদেশ সফরের বিষয়ে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন।

Screenshot: United News of Bangladesh

ইউএনবিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিষয়ে উজরা জেয়া বলেন, একটি সত্যিকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক, শান্তিপূর্ণ, অবাধ এবং ন্যায্য গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সমর্থন করার জন্য সকল পক্ষকে আহ্বান জানানো হয়েছে।

এছাড়া এ বিষয়ে আরো তথ্য জানতে ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম।

উক্ত ওয়েবসাইটে গত ১৩ জুলাই “যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র, মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাওয়া যায়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজরা জেয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎকারের বিষয় নিয়ে বলা হয়, মানবিক সহায়তা থেকে শুরু করে লিঙ্গ সমতাকার্যক্রম সমন্বয় করাসহ যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের মধ্যকার শক্তিশালী ও ক্রমবর্ধমান অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনা হয়। একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত ভবিষ্যৎ বির্নিমার্ণে শক্তিশালী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, সুশীল সমাজ ও সংবাদ মাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা  মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা, শ্রম অধিকার ও সমাবেশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখার ব্যাপারে আলোচনা হয়৷

Screenshot: ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস ওয়েবসাইট

অর্থাৎ, উপরোক্ত তথ্য উপাত্ত পর্যালোচনা করে এটা নিশ্চিত যে যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারসংক্রান্ত আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘৫১% ভোট না পড়লে আমেরিকা নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেবে না’ শীর্ষক কথাটি বলেননি।

মূলত, গত ১০ জুলাই থেকে ১৩ জুলাই বাংলাদেশে সফরে আসেন যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারসংক্রান্ত আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়ার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। উক্ত সফরে মার্কিন প্রতিনিধি দল  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন মহলের সাথে বৈঠক করেন। 

তবে, উজরা জেয়া আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বললেও ‘৫১% ভোট না পড়লে আমেরিকা নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেবে না‘ শীর্ষক দাবি সংশ্লিষ্ট কোনো মন্তব্য করেননি। 

সুতরাং, “৫১% ভোট না পড়লে আমেরিকা নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেবে না- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উজরা জেয়া” শীর্ষক দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ বানোয়াট ও মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

হজ যাত্রীদের টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে এ বছর এখনো সিদ্ধান্ত জানায়নি আফগান সরকার

0

সম্প্রতি ‘হজযাত্রীদের খরচ না হওয়া অর্থ ফেরত দিচ্ছে আফগান সরকার’ শীর্ষক দাবিতে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।

হজ

ফেসবুকে প্রচারিত এমনকিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আফগান সরকার কর্তৃক হজ যাত্রীদের খরচ না হওয়া অর্থ ফেরত দেওয়ার বিষয়ে এবছর আফগান সরকার এখনো কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি বরং গত বছরের টাকা ফেরত দেওয়া বিষয়টিকেই এই বছরের সিদ্ধান্ত দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে PiPa News এর ওয়েবসাইটে ২০২২ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ‘Haj survivors are being refunded by the Taliban government Pipa News’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: PiPa News

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আফগানিস্তানের হজ ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক ঘোষণায় বলা হয়, হজ থেকে অবশিষ্ট অর্থ হজ যাত্রীদের ফেরত দেওয়া হবে। হজ ও ধর্মমন্ত্রী নূর মুহাম্মদ সাকিব বলেন, ‘এবছর ১৩ হাজার ৫ শ এর চেয়ে হজযাত্রীর কাছ থেকে মোট ৫৩ মিলিয়ন ডলার নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে ৪৬ মিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে। বাকি টাকা হজ যাত্রীদের ফেরত দেওয়া হবে।’

পরবর্তী অনুসন্ধানে প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে আফগানিস্তানের সংবাদমাধ্যম TOLQUN NEWS এর ওয়েবসাইটে ২০২২ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ‘Taliban: This year, 500 dollars of their money will be returned to each Haji’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: TOLQUN NEWS

প্রতিবেদনে আফগানিস্তানের হজ ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বরাতে জানানো হয়, হজ যাত্রীদের অবশিষ্ট অর্থের মধ্যে ৬ মিলিয়ন ডলারের বেশি তাদের ফের‍ত দেওয়া হবে।

এছাড়াও আফগানিস্তানের সংবাদমাধ্যম Ariana News এর ওয়েবসাইটে একই তারিখে ‘IEA to return millions not spent by this year’s Hajj pilgrims’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য জানা যায়।

Screenshot: Ariana News

পাশাপাশি, আফগানিস্তানের গণমাধ্যম কিংবা অন্যকোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে চলতি বছর আফগান সরকার কর্তৃক হজযাত্রীদের খরচ না হওয়া অর্থ ফেরত দেওয়ার বিষয়ে এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

মূলত, ২০২২ সালে  আফগানিস্তানের হজ যাত্রীদের খরচ না হওয়া অর্থ ফেরত দেয় আফগান সরকার। চলতি বছর হজযাত্রীদের খরচ না হওয়া অর্থ ফেরত দেওয়ার বিষয়ে আফগান এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি। তবে সম্প্রতি  কোনোপ্রকার গ্রহণযোগ্য তথ্যসূত্র ছাড়াই ‘এ বছর হজমযাত্রীদের খরচ না হওয়া অর্থ ফেরত দিচ্ছে আফগান সরকার’ শীর্ষক দাবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যার ফলে তথ্যটি নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে বাংলাদেশেও হজ যাত্রীদের উদ্বৃত অর্থ ধর্ম মন্ত্রণালয় কর্তৃক ফেরত দেওয়ার বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

উল্লেখ্য, পূর্বেও পুরোনো তথ্যকে বর্তমান দাবিতে প্রচার করা হলে সেসময় বিষয়টি নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।

সুতরাং, আফগান সরকার কর্তৃক হজ যাত্রীদের টাকা ফেরত দেওয়ার এক বছর পূর্বের পুরোনো বিষয়টিকে নতুনকরে এবছর প্রচার করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

এআই দিয়ে তৈরি পাখি সদৃশ ফুলের ছবি সত্য দাবিতে ভাইরাল

সম্প্রতি,‘পাখির মতো দেখতে এই ফুলটির নাম ইগ্রেট ফুল’ শীর্ষক দাবিতে কিছু পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। 

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, পাখির অবয়ব সদৃশ ইগ্রেট ফুলের ছবি দাবিতে প্রচারিত ছবিগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই দ্বারা তৈরি। বাস্তবিক ইগ্রেট ফুলের সাথে ছবিগুলোর কোনো সাদৃশ্য নেই।

ছবিটি এআই জেনারেটেড

ইগ্রেট ফুলের ছবি দাবিতে প্রচারিত ছবিগুলোর সত্যতা যাচাইয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে ফেসবুকে Nature of universe নামের একটি পেইজে গত ১৯ মে ‘Beautiful Cranes orchid 💗💗💗 (আর্কাইভ)’ শীর্ষক শিরোনামে আলোচিত ছবিগুলোর একটি ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। 

Screenshot: Nature of universe

পেইজটিতে ফুলটিকে Cranes orchid দাবি করা হলেও রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, Cranes orchid নামে বাস্তবে কোনো ফুল নেই। 

তবে কাছাকাছি Crane-fly orchid নামে একটি ফুল খুঁজে পাওয়া যায়। কিন্তু উক্ত ফুলের সাথেও পেইজটিতে প্রচারিত ফুলটির কোনো মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি।

Image Collage: Rumor Scanner 

একইসাথে ফেসবুক পেইজটি ঘুরে পাখি বা প্রাণী সদৃশ এমন আরও কিছু ফুলের ছবি খুঁজে পাওয়া যায়, যেগুলোর কোনো কোনোটির শিরোনামে সরাসরি লেখা ছিল সেটি এআই দিয়ে তৈরি। 

Image Collage: Rumor Scanner 

আবার কোনো কোনোটিতে বিষয়টি উল্লেখ করা না থাকায় পরবর্তীতে রিভার্স ইমেজ সার্চে Share  Chat নামের একটি সাইটেই কেবল ছবিগুলো খুঁজে পাওয়া যায়। যেখানে এই ছবিগুলো ছাড়াও প্রযুক্তির সহায়তায় তৈরি আরও কিছু ছবির অস্তিত্ব রয়েছে। 

Image Collage: Rumor Scanner 

উল্লেখ্য, এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি ছবির ক্ষেত্রে রিভার্স ইমেজ সার্চে সাধারণত কোনো ফলাফল খুঁজে পাওয়া যায় না অথবা ফলাফল পাওয়া গেলেও সেটি সীমিত থাকে।

এআই দিয়ে তৈরি ছবি শনাক্তকরণ সম্পর্কে আরও জানতে ও পূর্বেও এআই দিয়ে তৈরি ছবি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত গুজবের বিপরীতে রিউমর স্ক্যানারের ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন পড়ুন 

ইগ্রেট ফুলের বাস্তব ছবি যেমন 

অনুসন্ধানের এ পর্যায়ে রিউমর স্ক্যানার টিম ইগ্রেট ফুল সম্পর্কে যাচাই করে। এতে দেখা যায়, ফেসবুকে ইগ্রেট ফুলের দাবিতে প্রচারিত ছবিটির সঙ্গে ইগ্রেট ফুলের বাস্তব ছবির কোনো মিল নেই। 

Image Comparison by Rumor Scanner 

ইগ্রেট ফুলের আরও ছবি দেখুন Egret Orchid। এছাড়া ফুলটি সম্পর্কে আরও জানতে পড়ুন How to Grow and Care for White Egret Orchid

Screenshot: The Spruce

মূলত, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইগ্রেট ফুলের ছবি দাবিতে পাখি সদৃশ একটি ফুলের ছবি ছড়িয়ে পড়ে। তবে অনুসন্ধানে দেখা যায়, ইগ্রেট ফুলের বাস্তব ছবির সঙ্গে উক্ত ফুলের ছবিটির কোনো মিল নেই এবং এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দ্বারা তৈরি। 

সুতরাং, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) দিয়ে তৈরি পাখি সদৃশ একটি ফুলের ছবিকে ইগ্রেট ফুলের ছবি দাবিতে ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র