Home Blog Page 547

ছাত্রলীগের তদন্ত কমিটির সমালোচনার খবরে গণমাধ্যমে ভুল পরিচয়ে ছবি প্রচার

সম্প্রতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রোকেয়া হলে ছাত্রলীগের এক নেত্রীকে হল থেকে টেনে হিঁচড়ে রুম থেকে বের করার ঘটনায় তিন সদস্যের কমিটি ঘোষণা করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এই বিষয়ে একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উক্ত কমিটির সদস্য দাবিতে এক নেত্রীর ছবি প্রচার করে তাকে ফাল্গুনী দাস তন্বী বলে দাবি করা হয়েছে। 

উক্ত দাবিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন দৈনিক আমাদের সময়। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, গণমাধ্যমে প্রচারিত ছবিটি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেত্রী ফাল্গুনী দাস তন্বীর নয় বরং আতিকা বিনতে হোসেন নামে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের আরেক নেত্রীর ছবিকে ফাল্গুনী দাস তন্বীর ছবি বলে দাবি করা হয়েছে।  

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে কমিটি গঠন বিষয়ক বিজ্ঞপ্তিটি খুঁজে পাওয়া যায়। 

Image source: Facebook 

বিজ্ঞপ্তিতে আলোচিত ঘটনাটি তদন্তে গঠিত কমিটিতে ফাল্গুনী দাস তন্বীর নাম খুঁজে পাওয়া যায়। বাকি দুই সদস্য হলেন, আতিকা বিনতে হোসেন এবং অন্তরা দাস পৃথা। 

পরবর্তীতে কিওয়ার্ড সার্চ করে ফেসবুকে ফাল্গুনী দাস তন্বীর ব্যক্তিগত প্রোফাইল খুঁজে পাওয়া যায়।  

তবে তন্বীর প্রোফাইলে থাকা ছবিগুলোর সাথে গণমাধ্যমে ফাল্গুনী দাস তন্বী দাবিতে প্রকাশিত ছবির নারীর মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

Image collage: Rumor Scanner 

এ বিষয়ে আরো অনুসন্ধান করে আলোচিত কমিটির আরেক সদস্য আতিকা বিনতে হোসেনের ফেসবুক প্রোফাইল খুঁজে পাওয়া যায়। আতিকার প্রোফাইলে গণমাধ্যমে প্রচারিত ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়। 

 Screenshot source: Facebook 

মূলত, সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলে ছাত্রলীগের এক নেত্রীকে হল থেকে টেনে হিঁচড়ে রুম থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগের ঘটনা তদন্তে  কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের কমিটি ঘোষণার বিষয়ে মূলধারার সংবাদমাধ্যম ‘দৈনিক আমাদের সময়’ এর অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উক্ত কমিটির সদস্য দাবিতে এক নেত্রীর ছবি প্রচার করে তাকে ফাল্গুনী দাস তন্বী বলে দাবি করা হয়েছে। কিন্তু রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা যায়, উক্ত নারী ফাল্গুনী দাস তন্বী নয়। প্রকৃতপক্ষে, একই কমিটির সদস্য আতিকা বিনতে হোসেনের ছবিকে ফাল্গুনী দাস তন্বীর ছবি বলে দাবি করা হয়েছে। 

উল্লেখ্য, গত ২৩ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল ছাত্রলীগের সহসভাপতি আয়েশা সিদ্দিকা রূপাকে কক্ষছাড়া করার অভিযোগ উঠেছে। হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকা বিনতে হোসেনের নির্দেশে ৮ থেকে ১০ জন মেয়ে তাকে টেনেহিঁচড়ে কক্ষ থেকে বের করে দিয়েছেন বলে গণমাধ্যমে অভিযোগ করেন রূপা। 

সুতরাং, গণমাধ্যমে ছাত্রলীগ নেত্রী ফাল্গুনী দাস তন্বীর ছবিকে আরেক নেত্রী আতিকা বিনতে হোসেনের ছবি বলে দাবি করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র 

চলচ্চিত্রের শ্যুটিংয়ের দৃশ্যকে শাকিব-বুবলির ঝগড়ার দাবিতে প্রচার

সম্প্রতি, একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিয়ে চিত্রনায়ক শাকিব খান এবং চিত্রনায়িকা শবনম বুবলির মাঝরাতে ঝগড়া হয়েছে এবং বুবলি শাকিবকে গালি দিয়েছেন শীর্ষক একটি দাবি প্রচার করা হচ্ছে।

উক্ত দাবিতে ইউটিউবের কিছু ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

একই দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওতে বুবলি কর্তৃক শাকিবকে গালি দিতে দেখা গেছে শীর্ষক দাবিটি সঠিক নয় বরং উক্ত ভিডিওতে শাকিব খান উপস্থিতই ছিলেন না। প্রকৃতপক্ষে, শবনম বুবলি এবং আদর আজাদ অভিনীত বাংলা চলচ্চিত্র তালাশের শ্যুটিংয়ের একটি দৃশ্যকে ব্যবহার করে উক্ত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে, কিওয়ার্ড সার্চ পদ্ধতি ব্যবহার করে, শবনম বুবলির ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে উক্ত দাবি সংশ্লিষ্ট কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এছাড়া দেশীয় মূলধারার সংবাদমাধ্যমেও উল্লিখিত তথ্য সম্বলিত কোনো প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়নি।

পরবর্তীতে আরো অনুসন্ধান করে, ‘Cleopatra Films’ নামক একটি ইউটিউব চ্যানেলে গত ২১ মার্চ প্রকাশিত একটি ভিডিওর ১ মিনিট ৫৮ সেকেন্ড থেকে ২ মিনিট ৯ সেকেন্ড সময়ের দৃশ্যের সাথে উক্ত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর ঝগড়ার দৃশ্যের মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot Comparison by Rumor Scanner

ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিওটির বিস্তারিত অংশ থেকে জানা যায়, এটি আদর আজাদ এবং শবনম বুবলি অভিনীত তালাশ নামক চলচ্চিত্রের শ্যুটিংয়ের দৃশ্য ছিল।

মূলত, সম্প্রতি একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিয়ে চিত্রনায়ক শাকিব খান এবং চিত্রনায়িকা শবনম বুবলির মাঝরাতে ঝগড়া হয়েছে এবং বুবলি শাকিবকে গালি দিয়েছেন শীর্ষক একটি দাবি ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে। তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা যায়, উক্ত দাবিটি সঠিক নয়। শাকিব উক্ত ভিডিওতেই উপস্থিত ছিলেন না। ভিডিওটি মূলত বাংলা চলচ্চিত্র তালাশ এর শ্যুটিংয়ের দৃশ্য ছিল। 

উল্লেখ্য, শাকিব খান ও বুবলি ২০১৮ সালের ২০ জুলাই বিয়ে করেন। তবে ২০২২ সালের শুরুর দিকে শাকিব খান এবং বুবলির বিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকে শাকিব ও বুবলির মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে বলে বিভিন্ন সময়ে খবর বেরিয়েছে গণমাধ্যমে। 

প্রসঙ্গত, পূর্বেও শাকিব খানকে নিয়ে ইন্টারনেটে ভুল তথ্য প্রচার করার প্রেক্ষিতে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার। প্রতিবেদন গুলো দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে

সুতরাং, একটি ভিডিও ছড়িয়ে দিয়ে বুবলি শাকিবকে গালি দিয়েছেন শীর্ষক একটি দাবি  ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

গণঅধিকার পরিষদ নেতা রাশেদ খানের বক্তব্য বিকৃত করে প্রচার

সম্প্রতি, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খানের বক্তব্যের একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুক প্রচার করা হচ্ছে।

ভিডিওতে রাশেদ খানকে বলতে শোনা যাচ্ছে, “জামায়াত বিএনপি যেহেতু মাঠে নামতে পারে না। আমাদেরকে পেছন থেকে অর্থ টাকা কড়ি দিয়ে মাঠে নামায়। তারেক রহমানের কাছ থেকে একশ পচিঁশ কোটি টাকা খেয়েছি।”  

ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিওটি দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে(আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে(আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।   

 ফ্যাক্টচেক

রিউমার স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, গণঅধিকার পরিষদ নেতা রাশেদ খান বিএনপি নেতা তারেক রহমানের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আন্দোলন করেন এমন কোনো মন্তব্য করেননি বরং রাশেদ খানের দেওয়া দীর্ঘ একটি বক্তব্যের কিছু অংশ জোড়া লাগিয়ে উক্ত ভিডিওটি তৈরী করা হয়েছে। 

প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ অনুসন্ধানের মাধ্যমে Changetv.press নামের একটি সংবাদ ভিত্তিক ইউটিউব চ্যানেলে গত ৫ জানুয়ারি ‘ভিপি নুরের সঙ্গে মোসাদের বৈঠক নিয়ে এসব কী বলছেন রাশেদ? শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও (আর্কাইভ)  খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Changetv.press Youtube

ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে ফেসবুকে প্রচারিত রাশেদ খানের বক্তব্যের ভিডিওর সাথে উক্ত ভিডিওর ৫৩ সেকেন্ড থেকে ৫৭  এবং ১ মিনিট ০১ সেকেন্ড থেকে ১ মিনিট ০৭  সেকেন্ড পর্যন্ত দেওয়া বক্তব্যের হবহু মিল রয়েছে।

এদিকে, Changetv.press এর ভিডিওটি শুরু থেকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, সম্প্রতি ভিপি নুর এবং ইসরায়েলি নাগরিক মেন্দি এন সাফাদির ভাইরাল হওয়া ছবির বিষয়টিকে গণ অধিকার পরিষদ কিভাবে খণ্ডিত করবে এমন প্রশ্নের জবাবে রাশেদ খান বলেন, “ভিপি নুরকে নিয়ে ষড়যন্ত্র যে আজকেই শুরু হয়েছে তা নয়। তাকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ষড়যন্ত্র চলছে। কোটা আন্দোলন থেকে শুরু করে এখনও পর্যন্ত এই সরকারের ব্যক্তি বিশেষ; বিশেষ করে নিয়োজিত মহল যারা রয়েছে তারা আসলে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় বলা হয়েছিল, আমরা নাকি তারেক রহমানের কাছ থেকে একশ পচিঁশ কোটি টাকা খেয়েছি। বলা হয়েছিল, এই আন্দোলন নাকি জামায়াত বিএনপির আন্দোলন। জামায়াত বিএনপি যেহেতু মাঠে নামতে পারে না। আমাদেরকে পেছন থেকে অর্থ টাকা কড়ি দিয়ে মাঠে নামায়।”

অর্থাৎ, রাশেদ খানের মূল বক্তব্যের শুরুর, “ভিপি নুরকে নিয়ে ষড়যন্ত্র যে আজকেই শুরু হয়েছে তা নয়। তাকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ষড়যন্ত্র চলছে। কোটা আন্দোলন থেকে শুরু করে এখনও পর্যন্ত এই সরকারের ব্যক্তি বিশেষ; বিশেষ করে নিয়োজিত মহল যারা রয়েছে তারা আসলে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় বলা হয়েছিল” এই অংশ এবং বক্তব্যের মাঝের “বলা হয়েছিল, এই আন্দোলন নাকি জামায়াত বিএনপির আন্দোলন।” এই অংশ  বাদ দিয়ে আগে পরের দুইটি খণ্ডিত অংশ জোড়া লাগিয়ে উক্ত ভিডিওটি তৈরী করা হয়েছে।

মূলত, গত ৫ জানুয়ারি সংবাদ ভিত্তিক ইউটিউব চ্যানেল Changetv.press এ প্রচারিত গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খানের এক সাক্ষাৎকারের শুরুর দিকে সাংবাদিক তাকে ভিপি নুর এবং মেন্দি এন সাফাদির ভাইরাল হওয়া ছবির বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করলে ভিপি নুরকে নিয়ে আগেও সমালোচনা হয়েছিল উল্লেখ করে রাশেদ খান বলেন, “কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় বলা হয়েছি, আমরা নাকি তারেক রহমানের কাছ থেকে একশ পচিঁশ কোটি টাকা খেয়েছি। বলা হয়েছিল, এই আন্দোলন নাকি জামায়াত বিএনপির আন্দোলন। জামায়াত বিএনপি যেহেতু মাঠে নামতে পারে না। আমাদেরকে পেছন থেকে অর্থ টাকা কড়ি দিয়ে মাঠে নামায়।” তবে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাশেদ খানের সেই বক্তব্যের দুইটি খণ্ডিত অংশ জোড়া লাগিয়ে“তারেক রহমানের কাছ থেকে একশ পচিঁশ কোটি টাকা খেয়েছি। জামায়াত বিএনপি যেহেতু মাঠে নামতে পারে না। আমাদেরকে পেছন থেকে অর্থ টাকা কোড়ি দিয়ে মাঠে নামায়।” শীর্ষক খণ্ডিত অংশটুকু বিকৃতভাবে প্রচার করা হচ্ছে। যার ফলে আলোচিত বক্তব্যটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৩০ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। এ সংবাদ সম্মেলনে আসার পূর্বেই ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতারা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দ্বারা মারধরের শিকার হন বলে অভিযোগ উঠে।  এরপর দুপুরে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের তৎকালীন যুগ্ম আহবায়ক মশিউর রহমানের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিওবার্তা প্রকাশ করা হয়। যেখানে তিনি সংগঠনটির ৪ নেতা রাশেদ, ফারুক, মামুন এবং নুর এর বিরুদ্ধে জামায়াত-শিবির ও বিএনপির কাছ থেকে টাকা খাওয়ার অভিযোগ তোলেন। তবে এ বিষয়ে সংগঠনটির তৎকালীন আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান সেসময় গণমাধ্যমে জানান, ‘ছাত্রলীগ দুপুরের আগেই মশিউরকে হল থেকে তুলে নিয়ে গেছে। সে কোথায় আছে তা আমি এখনও জানতে পারিনি।’

 উল্লেখ্য, পূর্বেও ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ এ. আরাফাতের দেওয়া একটি দীর্ঘ বক্তব্য কেটে বিকৃত বিকৃতভাবে প্রচার করা হলে সেসময় বিষয়টি নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।

সুতরাং, একটি সংবাদ ভিত্তিক ইউটিউব চ্যানেলে গণ অধিকার পরিষদের একাংশের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খানের দেওয়া এক দীর্ঘ বক্তব্যের একটি খণ্ডিত অংশ বিকৃতভাবে প্রচার করা হচ্ছে। ‍

তথ্যসূত্র

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক (সাবেক মহাব্যবস্থাপক) বিষ্ণু পদ বিশ্বাস ভারতীয় নন

0

সম্প্রতি, “বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক বিষ্ণু পদ বিশ্বাস ভারতের নাগরিক” শীর্ষক দাবিতে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে। 

সম্প্রতি ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

২০২০ সালে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক বিষ্ণু পদ বিশ্বাস ভারতের নাগরিক নন বরং তিনি জন্মসূত্রে বাংলাদেশি এবং তার জন্মস্থান যশোরে। 

দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধানের মাধ্যমে অনলাইন পোর্টাল জাগো নিউজ২৪ এ ২০১৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক হলেন বিষ্ণুপদ বিশ্বাস‘ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৯ আগস্ট বিষ্ণুপদ বিশ্বাসকে বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়।

Screenshot: Jagonews24

প্রতিবেদনটি থেকে আরও জানা যায়, বিষ্ণু পদ বিশ্বাসের জন্মস্থান যশোর জেলার বাঘারপাড়া উপজেলার রাঘবপুর গ্রামে। মাধ্যমিকে তার পড়াশোনা বন্দবিলা বিজয়চন্দ্র রায় উচ্চ বিদ্যালয়ে ও উচ্চ মাধ্যমিকে পড়াশোনা যশোর মাইকেল মধুসূদন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ এবং সম্মানসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে।

পাশাপাশি অনুসন্ধানে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে  বিষ্ণু পদ বিশ্বাসের পাসপোর্ট নবায়ন সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি খুঁজে পাওয়া যায়। 

২০২১ সালের ১২ জানুয়ারিতে প্রকাশিত এই বিজ্ঞপ্তিটি থেকে জানা যায়, বিষ্ণুপদ বিশ্বাস জন্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক। 

ছবি: বাংলাদেশ ব্যাংক বিজ্ঞপ্তি। 

পরবর্তীতে ওপেন সোর্স অনুসন্ধানের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিষ্ণু পদ বিশ্বাসের ফেসবুক প্রোফাইল খুঁজে পায় রিউমর স্ক্যানার টিম।  

রিউমর স্ক্যানার টিমের এই পর্যন্ত অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্যের সাথে তার ফেসবুক প্রোফাইলে প্রদত্ত তথ্যের মিল খুঁজে পাওয়া যায়। 

Screenshot: Bishnu Pada Biswas Facebook Profile 

অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক (সাবেক মহাব্যবস্থাপক) বিষ্ণু পদ বিশ্বাসকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভারতীয় হিসেবে পরিচয় দেওয়া হলেও তিনি প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশি নাগরিক।

মূলত, ২০১৯ সালের ২৯ আগস্ট বিষ্ণু পদ বিশ্বাস বাংলাদেশ ব্যাংকের উপমহাব্যবস্থাপক থেকে পদোন্নতি পেয়ে মহাব্যবস্থাপক পদে পদোন্নতি পান। তার এই পদোন্নতির পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে যে, বিষ্ণু পদ বিশ্বাস ভারতীয় নাগরিক। তবে অনুসন্ধানে দেখা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক বিষ্ণু পদ বিশ্বাস জন্মসূত্রে বাংলাদেশেরই নাগরিক। 

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৬ মে এক অফিস আদেশের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক মহাব্যবস্থাপক পদের নাম পরিবর্তন করে ‘পরিচালক’ এবং উপমহাব্যবস্থাপককে ‘অতিরিক্ত পরিচালক’ করে।

সুতরাং, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক ( সাবেক মহাব্যবস্থাপক)  বিষ্ণু পদ বিশ্বাস ভারতের নাগরিক দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনকে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র

সম্প্রতি ‘নির্বাচন কমিশনকে আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে’ শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে। 

ফেসবুকে প্রচারিত এমনকিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনকে নিষেধাজ্ঞা দেয়নি বরং গত ২৪ মে বাংলাদেশকে নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টোনি ব্লিঙ্কেনের করা একটি টুইটের তথ্যকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে এই দাবিটি প্রচার করা হয়েছে। 

গুজবের সূত্রপাত 

অনুসন্ধানের শুরুতে নির্বাচন কমিশনকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। 

Screenshot: Facebook 

ভিডিওটিতে প্রদর্শিত ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, ‘ইউএস ফরেইন সেক্রেটারি ব্লিঙ্কেন উনি আজকে টুইট করেছেন বিশেষ ল আনছে তারা, ভিসা রেস্ট্রিকশন আনছেন, বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনারদেরকে নিয়ে।’

তবে এই ভিডিওটি প্রকাশের তারিখে(২২ জুলাই) মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টোনি ব্লিঙ্কেনের অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে এ সম্পর্কিত কোনো টুইট খুঁজে পাওয়া যায়নি।

তবে প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড অনুসন্ধানে এই ভিডিওটির দীর্ঘ সংস্করণ বা মূল ভিডিওটি Mo Rahman Masum নামের একটি ফেসবুক (আর্কাইভ) পেজে গত ২৪ মে খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Facebook 

ভিডিওটিতে প্রদর্শিত এই ব্যক্তি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনকে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা  দেওয়ার বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টোনি ব্লিঙ্কেনের একটি টুইটের বিষয়ে উল্লেখ করেন।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টোনি ব্লিঙ্কেনের টুইটে কী আছে

উপরোক্ত ভিডিওটি প্রকাশের তারিখে অর্থাৎ গত ২৪ মে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টোনি ব্লিঙ্কেনের অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে বাংলাদেশের নতুন ভিসানীতি নিয়ে প্রকাশিত একটি টুইট খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Twitter

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টোনি ব্লিঙ্কেন নতুন ভিসানীতির ঘোষণায় টুইট বার্তায় বলেন, নতুন নীতির আওতায় বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বাংলাদেশিদের ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র।

পরবর্তীতে প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড অনুসন্ধানের মাধ্যমে মূলধারার গণমাধ্যম প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণে গত ২৫ মে ‘বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা দিলে ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Prothom Alo

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন নীতির আওতায় বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনপ্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বাংলাদেশিদের ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। গত ২৪ মে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দিয়েছেন।

এছাড়াও, মার্কিন ভিসা নীতির ঘোষণা নিয়ে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের ওয়েবসাইটে গত ২৪ মে প্রকাশিত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি খুঁজে পাওয়া যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আজ, বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যকে সহায়তা করতে, আমি ইমিগ্রেশন এন্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্টের ধারা 212(a)(3)(C) (“3C”) এর অধীনে একটি নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করছি। এই নীতির অধীনে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা যে কোনো বাংলাদেশি ব্যক্তির জন্য ভিসা প্রদানে বিধিনিষেধ আরোপে সক্ষম হবে। এর মধ্যে বর্তমান ও প্রাক্তন বাংলাদেশি কর্মকর্তা/কর্মচারী, সরকারপন্থি ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং আইন প্রয়োগকারী , বিচার বিভাগ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র গত ৩ মে, ২০২৩ তারিখে বাংলাদেশ সরকারকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।

গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কাজের মধ্যে রয়েছে: ভোট কারচুপি , ভোটারদের ভয় দেখানো , সহিংসতার মাধ্যমে জনগণকে সংগঠিত হবার স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার প্রয়োগ করতে বাধা দেয়া, এবং বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে রাজনৈতিক দল, ভোটার, সুশীল সমাজ বা গণমাধ্যমকে তাদের মতামত প্রচার করা থেকে বিরত রাখা। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব ভোটার, রাজনৈতিক দল, সরকার, নিরাপত্তা বাহিনী, সুশীল সমাজ এবং গণমাধ্যমসহ সকলের। যারা বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে চায় তাদের সকলকে আমাদের সমর্থন দিতে আমি এই নীতি ঘোষণা করছি।’

তাছাড়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এমন ভিসা নীতি ঘোষণার পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের মূলধারার ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম চ্যানেল আই এর টকশো অনুষ্ঠান তৃতীয় মাত্রায় লাইভে যুক্ত হন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু।

উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থাপক জিল্লুরের প্রশ্নের জবাবে ডোনাল্ড লু বলেন, “আমি একটি বিষয় খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই যে, আজ আমরা কাউকে স্যাংশন দিচ্ছি না। সেক্রেটারি অফ স্টেট একটি নতুন নীতির ঘোষণা করেছেন, যা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকার সেই সব ব্যক্তির ভিসা সুবিধায় বিধি–নিষেধ আরোপ করতে পারবে, যারা বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত বা ক্ষতিগ্রস্ত করবে।”

পাশাপাশি, নির্বাচন কমিশনের ওপর আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি অধিকতর যাচাইয়ের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগের ওয়েবসাইট (U.S. DEPARTMENT OF THE TREASURY), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ওয়েবসাইট (USA gov) এবং বাংলাদেশস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এর ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষণ করে এ ধরণের নিষেধাজ্ঞা বা তথ্যের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি।

অর্থাৎ, উপরোক্ত বিষয়গুলো পর্যালোচনা করলে এটা স্পষ্ট যে, বাংলাদেশের আগামী সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে গণতান্ত্রিক নির্বাচনপ্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বাংলাদেশিদের যুক্তরাষ্ট্র ভিসা না দেওয়ার ঘোষণা দিলেও সাম্প্রতিক সময়ে নির্বাচন কমিশন বা বাংলাদেশের কারো ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র তাদের নতুন ভিসা নীতির ঘোষণায় কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, দল বা সংগঠনের কথা উল্লেখ করেনি।

মূলত, গত ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনে সংসদ সদস্যের শূন্য পদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন চলাকালে বনানীতে এক ভোটকেন্দ্রের বাহিরে নৌকার ব্যাজ পরিহিত লোকদের হাতে মারধরের শিকার হন নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। উক্ত বিষয়টিকে কেন্দ্র করেই সম্প্রতি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনকে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দাবি করে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত দাবিটি সঠিক নয় বরং গত ২৪ মে বাংলাদেশকে নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টোনি ব্লিঙ্কেনের করা একটি টুইটের তথ্যকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে উক্ত দাবিটি প্রচার করা হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে নির্বাচন কমিশন বা বাংলাদেশের কারো ওপরই যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ঘটনা ঘটেনি।

প্রসঙ্গত, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে র‌্যাব ও বাহিনীটির ছয়জন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।

উল্লেখ্য, পূর্বেও রাষ্ট্রপতিসহ বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দাবিতে ভুয়া তথ্য প্রচার করা হলে সেগুলো শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার। এমন কিছু প্রতিবেদন দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে

সুতরাং, বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

চটকদার থাম্বনেইলে ইইউ প্রতিনিধির বরাতে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ও নির্বাচন নিয়ে গুজব

সম্প্রতি ‘প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ না করলে নির্বাচন হবে না পরিষ্কার জানালেন ইইউ প্রতিনিধি’ শীর্ষক থাম্বনেইল যুক্ত একটি ভিডিও ইউটিউবে প্রচার করা হচ্ছে। 

ইউটিউবে প্রচারিত উক্ত ভিডিওটি দেখুন এখানে(আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ইইউ প্রতিনিধির বরাতে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ না করলে নির্বাচন হবে না শীর্ষক দাবিতে ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিওটিতে এমন কোনো তথ্য নেই  বরং ভিন্ন ভিন্ন  ব্যক্তির ধারণকৃত দুইটি আলাদা ভিডিও যুক্ত করে  উক্ত দাবিতে ভিডিওটি  প্রচার করা হচ্ছে। এছাড়া ডোনাল্ড লুও  ইইউ বা ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনো প্রতিনিধি নন, প্রকৃতপক্ষে  তিনি যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী। 

অপ্রাসঙ্গিক ছবিযুক্ত থাম্বনেইল

দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে গত ১৬ জুলাই Al Minar নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে ‘প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ না করলে নির্বাচন হবে না পরিষ্কার জানালের ইইউ প্রতিনিধি‘ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত ভিডিওটি যাচাই করে দেখা যায়, ইইউ প্রতিনিধির বরাতে ভিডিওটি প্রচার করা হলেও ভিডিওটির থাম্বনেইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, বাংলাদেশে সদ্য সফর করে যাওয়া মার্কিন প্রতিনিধি দলের প্রধান উজরা জেয়া, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস,অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ব্যবহার করে ‘ব্রেকিং নিউজ | প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ না করলে নির্বাচন হবেনা | জানালেন ইইউ প্রতিনিধি ডোনাল্ড লু’ শীর্ষক শিরোনামে থাম্বনেইল তৈরি করে  উক্ত ভিডিওটি প্রচার করা হয়।

Screenshot: Al Minar Youtube Channel

অর্থাৎ থাম্বনেইলটিতে ইইউর কোনো প্রতিনিধির অস্তিত্ব নেই।

কি আছে ভিডিওতে?

এ নিয়ে অনুসন্ধানে  ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে  দেখা যায়, ভিডিওটি ভিন্ন দুইটি  ভিডিও ক্লিপের সমন্বয়ে তৈরি করা হয়েছে। যেখানে রয়েছে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ড.ফয়জুল হকের ভিন্ন দুইটি ভিডিও ক্লিপ।

ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার ভিডিওতে কি আছে? 

অনুসন্ধানে গত ১৬ জুলাই ‘Rumeen’s Voice নামের একটি ফেসবুক পেজে ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার না এলে সহসা আর নির্বাচন হচ্ছে না।‘ শীর্ষক একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। এই ভিডিওটির সঙ্গে ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিওটির মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Rumeen’s Voice

ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের সাথে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বৈঠকের বিষয়ে কথা বলেন পাশাপাশি  এই বৈঠককে কেন্দ্র করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ নিয়েও আলোচনা করেন।

এর মধ্যে আছে জাতীয় দৈনিক মানবজমিনে গত ১৫ জুলাই ‘আগামী নির্বাচন জনগণের ভোটে আদৌ সম্ভব হবে কিনা জানতে চেয়েছে ইইউ: খসরু’ ও একইদিনে অনলাইন পোর্টাল বিডিনিউজ২৪ এ ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব: ইইউকে আওয়ামী লীগ’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত দুইটি প্রতিবেদনও। 

তবে রুমিন ফারহানার বক্তব্যে ও প্রতিবেদন দুইটি থেকে এমন কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি, যা ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিওটির থাম্বনেইলে উপস্থাপিত তথ্যের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক। 

অর্থাৎ কোনো যোগসূত্র ছাড়াই রুমিন ফারহানার ভিডিওটিকে ইউটিউবের ‘প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ না করলে নির্বাচন হবে না পরিষ্কার জানালেন ইইউ প্রতিনিধি’ শীর্ষক থাম্বনেইলযুক্ত ভিডিওটিতে যুক্ত করা হয়েছে। 

অনুরূপভাবে গত ১৬ জুলাই Dr. Fayzul Huq Thw Youth Leader Of Bangladesh এর ফেসবুক পেজে ইউটিউবে প্রচারিত দ্বিতীয় ভিডিওটির মূল ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot:  Dr. Fayzul Huq Thw Youth Leader Of Bangladesh

৮ মিনিট ২ সেকেন্ডের এই ভিডিওটিতে ড. ফয়জুল হক জামায়াতে ইসলামের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৈঠক নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলাম বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না বলে ইইউকে জানিয়েছে ও এই সরকারের অধীনে  নির্বাচন হলে তাতে কোনো পর্যবেক্ষক না পাঠাতে অনুরোধ করেছে। 

পাশাপাশি তিনি জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোতে গত ১৫ জুলাই ‘এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না: ইইউ প্রতিনিধিদলকে জামায়াত’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পড়ে শোনান। তবে অনুসন্ধানে উক্ত প্রতিবেদনেও ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিওটির দাবির অনুরূপ কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

অর্থাৎ রুমিন ফারহানার ভিডিওটির মতোই এই ভিডিওটিও কোনো প্রাসঙ্গিকতা ছাড়াই ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিওটির সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। 

ডোনাল্ড লু কি ইইউর প্রতিনিধি? 

ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিওটিতে ডোনাল্ড লুকে ইইউর প্রতিনিধি হিসেবে দাবি করা হলেও রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ডোনাল্ড লু মূলত যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী। 

Screenshot: US Dept. Of State

প্রসঙ্গত, গত ৯ জুলাই থেকে ১০ দিনের সফরে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ছয় সদস্যের প্রাক নির্বাচন পর্যবেক্ষক প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে আসে। তবে প্রতিনিধি দলটির এই সফরকালে বাংলাদেশের নির্ভরযোগ্য গণমাধ্যম সূত্রে ‘প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ না করলে নির্বাচন হবে না’ শীর্ষক তাদের এমন কোনো বক্তব্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

মূলত, বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্প্রতি ১০ দিনের সফরে বাংলাদেশে আসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ছয় সদস্যের প্রাক নির্বাচন পর্যবেক্ষক প্রতিনিধিদল। এ সময় তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করে। এরই প্রেক্ষিতে ইউটিউবে ইইউ প্রতিনিধি ডোনাল্ড লু’র বরাতে ‘প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ না করলে নির্বাচন হবে না’ শীর্ষক একটি দাবি প্রচার করা হয়। তবে অনুসন্ধানে দেখা যায়, ইইউ প্রতিনিধিদল এমন কোনো মন্তব্য করেনি বরং দুইজন ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তির ধারণকৃত আলাদা দুইটি ভিডিও যুক্ত করে চটকদার থাম্বনেইল তৈরি করে  উক্ত দাবিটি প্রচার করা হচ্ছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র পরিচয়ও ভিডিওটিতে ভুলভাবে উপস্থাপন করে তাকে ইইউর প্রতিনিধি দাবি করা হয়েছে। 

সুতরাং, ইউটিউবে ইইউ প্রতিনিধি দলের বরাতে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ না করলে নির্বাচন হবে না শীর্ষক দাবিতে একটি তথ্য দেশি-বিদেশি বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের ছবির মাধ্যমে থাম্বনেইল তৈরি করে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

 তথ্যসূত্র

ব্রাজিলের ২০১৩ সালের বিশ্ব যুব দিবসের ছবিকে ১৯৯৪ সালের কনসার্টের ছবি দাবিতে প্রচার

0

সম্প্রতি ‘১৯৯৪ সালে ব্রাজিলের একটা কনসার্টে ৩.৫ মিলিয়ন মানুষ এসেছে কনসার্ট দেখার জন্য’ শীর্ষক শিরোনামে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে। 

ফেসবুকে প্রচারিত এমনকিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

একই দাবিতে ২০২২ সালে প্রচারিত এমনকিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

একই দাবিতে ২০২১ সালে প্রচারিত এমনকিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রচারিত এই ছবিটি ১৯৯৪ সালে ব্রাজিলের কোনো কনসার্টে ৩.৫ মিলিয়ন মানুষের উপস্থিতির নয় বরং এটি ২০১৩ সালের ২৮ জুলাই ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে হওয়া বিশ্ব যুব দিবসের সমাপনী অনুষ্ঠানের ছবি।

অনুসন্ধানের শুরুতে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে কানাডাভিত্তিক ক্যাথোলিক সংবাদের ওয়েবসাইট Catholic Register এ ২০১৩ সালের ২৮ জুলাই ‘Pope commissions young people to be missionaries without borders’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে আলোচিত ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Catholic Register

ছবিটির বিস্তারিত বিবরণী থেকে জানা যায়, এটি ২০১৩ সালের ২৮ জুলাই ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে হওয়া বিশ্ব যুব দিবসের সমাপনী অনুষ্ঠানের ছবি। 

পরবর্তী অনুসন্ধানে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে America Magazine নামের একটি ওয়েবসাইটে ‘Pope Francis Calls for Solidarity and Dialogue’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে আলোচিত ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়।

  Screenshot: America Magazine

এই প্রতিবেদন থেকেও ছবিটির বিষয়ে একই তথ্য জানা যায়।

অর্থাৎ, উপরোক্ত বিষয়গুলো পর্যালোচনা করলে এটা স্পষ্ট যে, প্রচারিত ছবিটি ১৯৯৪ সালে ব্রাজিলের কোনো কনসার্টের নয়।

মূলত, সম্প্রতি ১৯৯৪ সালে ব্রাজিলের একটি কনসার্টে ৩.৫ মিলিয়ন মানুষ উপস্থিত হয়েছিল দাবিতে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে। তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রচারিত ছবিটি ১৯৯৪ সালে ব্রাজিলের কোনো কনসার্টে ৩.৫ মিলিয়ন মানুষের উপস্থিতির নয়। প্রকৃতপক্ষে এটি ২০১৩ সালের ২৮ জুলাই ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে হওয়া বিশ্ব যুব দিবসের সমাপনী অনুষ্ঠানের ছবি।

সুতরাং, ব্রাজিলে ২০১৩ সালের বিশ্ব যুব দিবসের অনুষ্ঠানের একটি ছবিকে দেশটির ১৯৯৪ সালের কনসার্টের ছবি দাবিতে ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র 

ক্রিকেটার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী কোরআনের হাফেজ নয়

0

সম্প্রতি, ক্রিকেটার মোহাম্মদ মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী বাংলাদেশ দলের একমাত্র কোরআনের হাফেজ দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। 

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমার স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ক্রিকেটার মোহাম্মদ মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী হাফেজ নয় বরং কোনোপ্রকার তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই বানোয়াট এই তথ্যটি প্রচার করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের জন্যে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে   ক্রিকেটার মোহাম্মাদ মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে আজ ২৩ জুলাই সন্ধায় প্রকাশিত একটি পোস্ট  খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Facebook

পোস্টটিতে তিনি লিখেছেন, “কিছুদিন ধরে দেখছি আমাকে নিয়ে একটি নিউজ ভাইরাল হচ্ছে যে আমি হাফেজ কিন্তু আসলে আমি হাফেজ নয়। হাফেজ হওয়া একটা নেয়ামতের বিষয় যা আল্লাহ সবাইকে দেন না এবং আমিও সেই নেয়ামতের অংশ হতে পারিনি এখনো, তবে ইচ্ছে অনেক আছে (ইন শা আল্লাহ)।”

অর্থাৎ, ক্রিকেটার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী কোরআনের হাফেজ নয়।

মূলত, গত কয়েকদিন যাবৎ বাংলাদেশের ক্রিকেটার মৃত্যুঞ্জয়কে ক্রিকেট দলের একমাত্র কোরআনে হাফিজ দাবি করে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে। তবে অনুসন্ধানে জানা যায়, উল্লিখিত দাবিটি সঠিক নয়। আলোচিত বিষয়ে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে করা এক পোস্টে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী বিষয়টিকে মিথ্যা বলে উল্লেখ করেছেন।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালেও একই দাবিটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।

তথ্যসূত্র

  • Mohammad Mrittunjoy Chowdhury Facebook Account : Post

ডেইলি স্টারের ফটোকার্ড নকল করে হিরো আলমের নামে ভুয়া মন্তব্য প্রচার 

0

সম্প্রতি, ইংরেজি জাতীয় দৈনিক ডেইলি স্টারের একটি ফটোকার্ড ব্যবহার করে আলোচিত ব্যক্তি ও ঢাকা-১৭ আসন উপ নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমকে উদ্ধৃত করে ‘ঢাকা ১৭ আসনে আমাকে বলা হয়েছিল মার না খেলে নেতা হওয়া যায়না, রক্ত না জড়ালে ইতিহাস লেখা যায়না। তাই আমি সেদিন সাদা পাঞ্জাবি পরেছিলাম। যেন বিশ্ব আমার রক্তমাখা পাঞ্জাবি মিডিয়ায় ফলাওভাবে প্রচার করতে পারে’ শীর্ষক একটি মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন পোস্ট(আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারে হিরো আলমকে নিয়ে এমন কোনো ফটোকার্ড কিংবা সংবাদ প্রচার করা হয়নি বরং ভিন্ন একটি ফটোকার্ড এডিট করে দাবির বিষয়টি প্রচার করা হচ্ছে।

দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে ফটোকার্ডটিতে থাকা তারিখ ও ডেইলি স্টারের লোগোর সূত্রে গণমাধ্যমটির বাংলা সংস্করণের ফেসবুক পেজে গত ২২ জুলাই হিরো আলমকে নিয়ে প্রকাশিত একটি ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়। এই ফটোকার্ডটির সঙ্গে হিরো আলমের মন্তব্য দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ফটোকার্ডটির কিছু মিল খুঁজে পাওয়া যায়। তবে ফটোকার্ড দুইটিতে থাকা হিরো আলমের বক্তব্যের মধ্যে ভিন্নতা দেখা যায়। 

Image Collage: Rumor Scanner 

ডেইলি স্টারে প্রচারিত ফটোকার্ডটিতে হিরো আলমের বক্তব্য ছিল, ‘একজন নারী ভোটারকে দিয়ে ৪০টি ভোট দেওয়ানো হয়েছে। ১২-১৩ বছরের ছেলে-মেয়েদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকিয়ে ভোট দেওয়ানো হয়েছে। যারা ভোট দিয়েছেন তাদের অনেকের নাম-ঠিকানা ভোটার তালিকায় ছিল না। এসবের ভিডিও ফুটেজ আমার কাছে আছে।’

বিপরীতে ফেসবুকে প্রচারিত ফটোকার্ডটিতে হিরো আলমের বক্তব্যটি হলো, ‘ঢাকা ১৭ আসনে আমাকে বলা হয়েছিল মার না খেলে নেতা হওয়া যায়না, রক্ত না জড়ালে ইতিহাস লেখা যায়না। তাই আমি সেদিন সাদা পাঞ্জাবি পরেছিলাম। যেন বিশ্ব আমার রক্তমাখা পাঞ্জাবি মিডিয়ায় ফলাওভাবে প্রচার করতে পারে।’

এছাড়া ডেইলি স্টারের ফেসবুক পেজে গত ২২ জুলাই উক্ত ফটোকার্ডটি ছাড়া হিরো আলমকে নিয়ে করা আর কোনো ফটোকার্ডও খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

পাশাপাশি, ডেইলি স্টারের বাংলা সংস্করণের সম্পাদক গোলাম মোর্তোজাও ঢাকা-১৭ আসনের নির্বাচনকে ঘিরে ডেইলি স্টারের লোগো ব্যবহার করে ফেসবুকে প্রচারিত ফটোকার্ডটিকে মিথ্যা বলে রিউমর স্ক্যানারকে নিশ্চিত করেছেন।

অর্থাৎ হিরো আলমকে নিয়ে করা ডেইলি স্টারের ফটোকার্ডটিতে তার বক্তব্যটির উপর ভিন্ন আরেকটি বক্তব্য জুড়ে দিয়ে ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।

তাছাড়া, রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে হিরো আলমের ‘ঢাকা ১৭ আসনে আমাকে বলা হয়েছিল মার না খেলে নেতা হওয়া যায় না, রক্ত না জড়ালে ইতিহাস লেখা যায়না।…..’ এরূপ কোনো মন্তব্যের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি।

ঢাকা-১৭ আসনের নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত হিরো আলমের মন্তব্যগুলো দেখুন:

মূলত, গত ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন হিরো আলম। নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলাকালে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে হামলার শিকার হন তিনি। এরই প্রেক্ষিতে ডেইলি স্টারের একটি ফটোকার্ডে হিরো আলমের ‘ঢাকা ১৭ আসনে আমাকে বলা হয়েছিল মার না খেলে নেতা হওয়া যায়না, রক্ত না জড়ালে ইতিহাস লেখা যায়না। তাই আমি সেদিন সাদা পাঞ্জাবি পরেছিলাম। যেন বিশ্ব আমার রক্তমাখা পাঞ্জাবি মিডিয়ায় ফলাওভাবে প্রচার করতে পারে’ শীর্ষক একটি মন্তব্য ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে। তবে অনুসন্ধানে দেখা যায়, ডেইলি স্টারের নামে প্রচারিত উক্ত ফটোকার্ডটি এডিটেড এবং হিরো আলমও এমন কোনো বক্তব্য দেননি।

উল্লেখ্য, ইতোপূর্বেও বিভিন্ন গণমাধ্যমের ফটোকার্ড সম্পাদনা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত একাধিক গুজব নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার টিম। এমন কিছু প্রতিবেদন দেখুন 

সুতরাং, ঢাকা-১৭ আসনের নির্বাচনের দিন হিরো আলমের সাদা পাঞ্জাবি পরার কারণ দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ফটোকার্ডটি ভুয়া।

তথ্যসূত্র

হিরো আলমকে দেখতে হাসপাতালে যাননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

সম্প্রতি, হিরো আলমকে দেখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাসপাতালে গিয়েছেন দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এবং ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবে প্রচার করা হচ্ছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ইউটিউবে প্রচারিত এমন কিছু ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাসপাতালে হিরো আলমকে দেখতে যাননি বরং প্রধানমন্ত্রীর ২০১৩ সালে রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় আহতদের হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার পুরোনো একটি ছবি ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় এডিট করে সেই সাথে ইনডিপেনডেন্ট টিভির পুরোনো সংবাদের একটি ক্লিপ যুক্ত করে উক্ত ভিডিওটি তৈরী করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে প্রচারিত ভিডিওটি (আর্কাইভ) পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। ভিডিওটির শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হিরো আলমকে হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার কোনো দৃশ্য দাবিতে একটি ছবি দেখানো হয়েছে। এছাড়াও প্রচারিত এই ভিডিওটিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হিরো আলমকে হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানানো হয়নি।

Screenshot: Facebook 

পরবর্তী অনুসন্ধানে প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে মূলধারার গণমাধ্যম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর এর ওয়েবসাইটে ২০১৩ সালের ২৮ এপ্রিল ‘হাসপাতালে গিয়ে আহতদের খোঁজ নিলেন প্রধানমন্ত্রী’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে আলোচিত ছবিটির সদৃশ একটি ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। 

Screenshot: bdnews24.com

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সেসময় রানাপ্লাজা ধসের ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নিতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

রিউমর স্ক্যানারের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, উক্ত প্রতিবেদনে ব্যবহৃত এই ছবিটি থেকে আহত মেয়েটির ছবি সরিয়ে হিরো আলমের ছবি বসিয়ে প্রচার করা হয়েছে।

Image Comparison by Rumor Scanner 

অর্থাৎ, হিরো আলম কে প্রধানমন্ত্রীর হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার দাবিতে প্রচারিত ছবিটি আসল নয়।

পরবর্তী অনুসন্ধানে প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ইনডিপেনডেন্ট টিভির ইউটিউব চ্যানেলে ‘ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Independent TV YouTube 

এই প্রতিবেদনের শুরুর ১৫ সেকেন্ডের সাথে আলোচিত ভিডিওটির শুরুর অংশের কথোপকথনের অডিও’র মিল খুঁজে পাওয়া যায়। এছাড়াও গত ৪ বছর আগে ইনডিপেনডেন্ট টিভিতে প্রচারিত এই ভিডিওটির সংবাদ পাঠিকার সাথেও সাম্প্রতিক দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির সংবাদ পাঠিকার হুবহু মিল পাওয়া যায়।

 Video Comparison by Rumor Scanner 

পাশাপাশি মূলধারার গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্যকোনো সূত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হিরো আলমকে হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার বিষয়ে কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

মূলত, সম্প্রতি ঢাকা ১৭ আসনের নির্বাচনে সদ্য পরাজিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী এবং টিকটকার হিরো আলমকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাসপাতালে দেখতে গিয়েছেন দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষিতে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রচারিত এই দাবিটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালে রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় আহতদের হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার একটি ছবি ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করে সেখানে এডিট করে হিরো আলমের ছবি বসিয়ে, সেই সাথে ইনডিপেনডেন্ট টিভির সংবাদের একটি পুরোনো ক্লিপ বসিয়ে উক্ত ভিডিওটি তৈরী করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত,গত ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনে ভোট চলাকালে সংসদ সদস্য প্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম বেলা সোয়া তিনটার দিকে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে সেখানে নৌকা মার্কার প্রার্থীর ব্যাজ পরিহিত একদল লোক পেছন থেকে তাঁর উদ্দেশ্যে গালাগাল করতে থাকেন এবং কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে কেন্দ্রটির দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা হিরো আলমকে ঘিরে রেখে স্কুলের ফটকের দিকে নিয়ে যান। পরে নৌকার ব্যাজধারী ব্যক্তিরা ধাওয়া দিয়ে তাঁকে বাইরে আনার পর রাস্তায় তার ওপর হামলা করেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় হিরো আলমকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে হামলায় জড়িত অভিযোগে সাতজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

উল্লেখ্য, পূর্বেও একাধিকবার হিরো আলমকে জড়িয়ে ইন্টারনেটে ভুল তথ্য প্রচার করা হলে সেসময় বিষয়গুলো নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার। এমন কিছু প্রতিবেদন দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে

সুতরাং, হিরো আলমকে দেখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাসপাতালে গিয়েছেন শীর্ষক দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র