Home Blog Page 547

ঢাকায় করোনা শনাক্ত ৩৫ জনের ৩২ জনেই মঙ্গল শোভাযাত্রায় গিয়েছিলেন শীর্ষক তথ্যটি মিথ্যা

0

সম্প্রতি “ঢাকায় করোনা শনাক্ত ৩৫ জনের ৩২ জনেই মঙ্গল শোভাযাত্রায় গিয়েছিলেন!” শীর্ষক তথ্য সম্বলিত একটি সংবাদের স্ক্রিনশট সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

ভাইরাল কিছু ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে , এখানে  ও এখানে। আর্কাইভ দেখুন  এখানে, এখানে , এখানে  ও এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আলোচিত তথ্যটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং এর সাথে সংযুক্ত সংবাদের স্ক্রিনশটটি একটি স্যাটায়ার ওয়েবসাইট থেকে নেয়া।

কি-ওয়াড সার্চ পদ্ধতি ব্যবহার করে, অনলাইন ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘The Daily Campus’ এর ওয়েবসাইটে গত ১৪ এপ্রিলে “৩৫ জনের মধ্যে ৩২ জনই ঢাকার” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot from Daily Campus website

এছাড়াও, গত ১৪ এপ্রিলে একই বিষয় নিয়ে একাধিক মূলধারার গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনগুলোতে বিগত ২৪ ঘন্টায় অর্থাৎ ১৩ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল মহামারী করোনায় ৩৫ জন আক্রান্তের মধ্যে ৩২ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে সেখানে আক্রান্ত ৩২ জনের মঙ্গল শোভাযাত্রায় যাওয়ার বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

Screenshot from Bangla Tribune

গুজবের সূত্রপাত

অনুসন্ধানে দেখা যায়, Bengali Sarcasm নামের একটি ওয়েবসাইটে গত ১৫ এপ্রিলে “ঢাকায় করোনা শনাক্ত ৩৫ জনের ৩২ জনেই মঙ্গল শোভাযাত্রায় গিয়েছিলেন!” শীর্ষক শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

করোনা
Screenshot from Bengali Sarcasm

তবে, উক্ত ‘Bengali Sarcasm’ নামের ওয়েবসাইটের ‘About Us’ সেকশনে দেখা যায় এটি একটি বিনোদনমূলক/স্যাটায়ার ওয়েবসাইট।

Screenshot from Bengali Sarcasm

মূলত, ‘Bengali Sarcasm’ নামের একটা স্যাটায়ার ওয়েবসাইটে গত ১৫ এপ্রিলে “ঢাকায় করোনা শনাক্ত ৩৫ জনের ৩২ জনেই মঙ্গল শোভাযাত্রায় গিয়েছিলেন!” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের স্ক্রিনশট বাস্তব সংবাদ দাবি করে বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।

সুতরাং, একটি স্যাটায়ার ওয়েবসাইটের সার্কাজম প্রতিবেদনের তথ্যকে বাস্তব ঘটনার তথ্য দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: ঢাকায় করোনা শনাক্ত ৩৫ জনের ৩২ জনেই মঙ্গল শোভাযাত্রায় গিয়েছিলেন
  • Claimed By: Facebook Posts
  • Fact Check: False

[/su_box]

তথ্যসূত্র

সৌদিতে কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশি হাফেজ মামুনের প্রথম হওয়ার সংবাদটি ৫ বছর পুরোনো

0

সম্প্রতি “আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম হলেন বাংলাদেশি হাফেজ মামুন” শীর্ষক শিরোনামে একটি তথ্য কিছু ভূঁইফোড় অনলাইন পোর্টালে প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশি হাফেজ আবদুল্লাহ আল মামুনের প্রথম স্থান অর্জনের খবরটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় বরং ২০১৭ সালে ‘কিং আব্দুল আজিজ আল সৌদি আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায়’ বাংলাদেশি হাফেজ মামুন প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন।

কি- ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে, দেশীয় সংবাদমাধ্যমে Rtv এর অনলাইন সংস্করণে ২০১৭ সালের ১২ ই অক্টোবর ‘আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম হলেন বাংলাদেশি হাফেজ মামুন’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত মূল প্রতিবেদনটি খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot from RTV

এছাড়া, সেসময় হাফেজ আবদুল্লাহ আল মামুনের কৃতিত্ব নিয়ে দেশীয় মূলধারার সংবাদমাধ্যম ‘ভোরের কাগজডেইলি ইনকিলাবে প্রকাশিত প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

কোরআন
Screenshot from Bhorer Kagoj

মূলত, ২০১৭ সালে সৌদি আরবের বাদশা আব্দুল আজিজ আল সৌদি আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৭৩ টি দেশের অংশগ্রহনকারীদের পেছনে ফেলে প্রথম স্থান করেন বাংলাদেশি হাফেজ মামুন। হাফেজ মামুনের ২০১৭ সালের কৃতিত্বের বিষয়টিকেই সাম্প্রতিক সময়ে কোনো তারিখ উল্লেখ না করেই অপ্রাসঙ্গিকভাবে বেনামী অনলাইন পোর্টালে প্রকাশের মাধ্যমে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, সৌদি আরবে ধারাবাহিক ভাবে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ থেকে ২০১৪ এবং ২০১৭ সালে হাফেজ আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন, ২০১৮ সালে হাফেজ হুসাইন আহমদ চতুর্থ স্থান অর্জন করেছিলেন এবং সর্বশেষ ২০১৯ সালে ৪১তম প্রতিযোগিতায় হাফেজ শিহাব উল্লাহ দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন।

তাছাড়াও, গত মার্চে (২০২২) ইরানে আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণকারী হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরীম প্রথম স্থান অর্জন করেছেন এবং সম্প্রতি কাতারে কোরআন প্রতিযোগিতায় তিনটি শাখার মধ্যে বিদেশিদের জন্য নির্ধারিতদুইটি শাখায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশি দুইজন হাফেজ। তারা হলেন বাংলাদেশি তরুণ উসামা এবং তরুণী আয়েশা।

প্রসঙ্গত, ৪২তম বাদশাহ আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা এই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরবের ইসলামিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

Screenshot from Saudi Gazette website

উল্লেখ্য, পূর্বেও সৌদি এবং দুবাইয়ে আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশি হাফেজদের সাফল্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন তথ্যকে বিভ্রান্তিকরমিথ্যা হিসেবে শনাক্ত করে একাধিক ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।

সৌদিতে কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশি হাফেজ প্রথম দাবিতে পুরোনো ছবি প্রচার

দুবাই হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশি ৩ হাফেজের শীর্ষস্থান অর্জনের দাবিটি মিথ্যা

অর্থাৎ, ২০১৭ সালে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশি হাফেজের প্রথম স্থান অর্জনের পুরোনো সংবাদকে পূর্বের তারিখ উল্লেখ ব্যতীত অপ্রাসঙ্গিকভাবে সম্প্রতি নতুন করে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম হলেন বাংলাদেশি হাফেজ মামুন
  • Claimed By: Facebook Posts
  • Fact Check: Misleading

[/su_box]

তথ্যসূত্র

  1. Rtv Online- তৃতীয়বারের মতো বিশ্বসেরা হাফেজ হলেন আব্দুল্লাহ আল মামুন
  2. ডেইলি ইনকিলাব– সউদীতে আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশী হাফেজ মামুন প্রথম
  3. ভোরের কাগজ- হাফেজ আব্দুল্লাহ আল মামুনের  বিশ্বজয়
  4. জাগোনিউজ২৪- সৌদির আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ
  5. জাগোনিউজ২৪- সৌদি আরবের কুরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশি শিহাবের সাফল্য
  6. সৌদি গ্যাজেট- 42nd King Abdulaziz International Qur’an Competition in September

রোনালদোকে GOAT বলায় গার্নাচোকে মেসি ইন্সটাগ্রামে আনফলো করেনি

0

সম্প্রতি, “ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর সাথে একটি ছবি যুক্ত করে তাকে “GOAT” সম্বোধন করে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করায় আর্জেন্টাইন তরুন আলেজান্দ্রো গার্নাচোকে ইনস্টাগ্রামে আনফলো করেছেন লিওনেল মেসি” শীর্ষক একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

যেখানে মূলত দাবি করা হচ্ছে, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে GOAT বলে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করায় নিজ দেশের তরুন ফুটবলার আলেজান্দ্রো গার্নাচোকে আনফলো করে দিয়েছেন লিওনেল মেসি।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে। আর্কাইভ ভার্সন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে GOAT বলে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট দেওয়ার কারণে আর্জেন্টাইন তরুন ফুটবলার আলেজান্দ্রো গার্নাচোকে লিওনেল মেসি Unfollow করেছেন শীর্ষক তথ্যটি সত্য নয় বরং লিওনেল মেসি তাকে কখনও ইনস্টাগ্রামে অনুসরণ করতেন না।

আর্জেন্টাইন ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এর ফুটবলার Alejandro Garnacho এর অফিশিয়াল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে গতকাল ১৬ এপ্রিল ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে Greatest of all time উল্লেখ করে করা পোস্টটি খুঁজে পাওয়া যায়।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Alejandro Garnacho (@garnacho7)


অপরদিকে লিওনেল মেসির অফিশিয়াল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টটি খুঁজে দেখা যায়, লিওনেল মেসি তার ইনস্টাগ্রাম থেকে ২৮৭ টি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টকে অনুসরণ করছেন।

Screenshot Leo Messi Intagram

অর্থাৎ, লিওনেল মেসি যদি ১৬ এপ্রিল করা আর্জেন্টাইন সেই ফুটবলারের ইনস্টাগ্রাম পোস্টের পর তাকে আনফলো করে থাকেন তাহলে লিওনেল মেসির ইনস্টাগ্রাম Following অবশ্যই ২৮৭ এর বেশি হতে হবে। অন্তত ২৮৮ হতে হবে।

তবে, সমাজিক মাধ্যম পরিসংখ্যান ও বিশ্লেষণ করে এমন কিছু ওয়েবসাইটে লিওনেল মেসির ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট এর বিশ্লেষণে দেখা যায় অন্তত ১ এপ্রিল থেকে লিওনেল মেসির ইনস্টাগ্রাম ফলোয়িং সংখ্যা অপরিবর্তিত রয়েছে।

জনপ্রিয় Social media statistics and analytics ওয়েবসাইট Social Blade এ লিওনেল মেসির গত ১৫ দিনের INSTAGRAM STATS SUMMARY তে দেখা যায়, লিওনেল মেসির ফলোয়িং সংখ্যা ২৮৭, যা অপরিবর্তিত রয়েছে।

Screenshot from Social Blade

অর্থাৎ, লিওনেল মেসি তার ইনস্টাগ্রামে অন্তত গত ১৫ দিনে কাউকে Unfollow করে নি।

আর্থিক প্রতারণার উদ্দেশ্যে অজ্ঞাত শিশুর পুরোনো ছবি প্রচার

0

যা দাবি করা হচ্ছে

সম্প্রতি, “শিশুটি জটিল নার্ভের রোগে আক্রান্ত, টাকার অভাবে পরিবারে পক্ষে চিকিৎসা করার সম্ভব হচ্ছে না, ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী, চিকিৎসা করতে হলে প্রাই দুই লক্ষ টাকা দরকার!! তাই আপনারা আসুন একজন দরিদ্র অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াই, আর্থিক সহযোগিতার হাত বাঁড়াই।” শীর্ষক শিরোনামে এক শিশুর ছবি ব্যবহার করে একটি মানবিক সাহায্যের আবেদন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখান, এখান, এখানে এবং এখানে। এবং আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে, এখান, এখান, এখানে এবং এখানে

ফ্যাক্ট

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আল-আমিন নামে প্রচারিত ছবিগুলো সাম্প্রতিক সময়ে রোগাক্রান্ত বাংলাদেশি কোনো শিশুর নয় বরং ছবিটি বিগত দুই বছর ধরে ইন্টারনেটে প্রচার হয়ে আসছে।

মূলত, ইন্টারনেট থেকে এই রোগাক্রান্ত শিশুর ছবি সংগ্রহ করে এর সাথে দেশীয় নাম, ঠিকানা ব্যবহার করে সম্প্রতি ভিন্ন ভিন্ন বিকাশ নাম্বার ব্যবহার করে সামাজিক মাধ্যমে আর্থিক সহায়তার আবেদন প্রচার করা হচ্ছে। অন্যদিকে, আল-আমিন নামে সাম্প্রতিক সময়ে আর্থিক সাহায্যের জন্য আবেদনকৃত ফেসবুক পোস্টগুলোতে উল্লিখিত নাম্বারে (01968601782) একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

বিষয়টি পূর্বেও মিথ্যা হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।

অজ্ঞাত শিশুর পুরোনো ছবি ব্যবহার করে আর্থিক সহায়তার নামে প্রতারণা

স্ত্রীকে মা হওয়ার সুযোগ দিতে আসামির প্যারোলে মুক্তির ঘটনাটি ভারতের, বাংলাদেশের নয়

0

সম্প্রতি, “মা হতে চান স্ত্রী, প্যারোলে মুক্তি পেলেন স্বামী” শীর্ষক শিরোনামে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে। আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে স্ত্রীকে মা হওয়ার সুযোগ দিতে যাবজ্জীবনের আসামিকে প্যারোলে মুক্তির ঘটনাটি বাংলাদেশের কোনো স্থানের নয় বরং উক্ত ঘটনাটি ভারতের রাজস্থানের।

ফেসবুকে প্রকাশিত পোস্টগুলোর সূত্র ধরে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে, দেশীয় সংবাদমাধ্যম ‘আরটিভি‘ এর অনলাইন সংস্করণে এবং অনলাইন সংবাদমাধ্যম ‘জাগোনিউজ২৪‘ এ গত ১৬ এপ্রিল শনিবার “মা হতে চান স্ত্রী, প্যারোলে মুক্তি পেলেন স্বামী” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটির বিস্তারিত অংশে এটি ভারতের ঘটনা তা উল্লেখ করা হয়েছে।

Screenshot from Jagonews24 website

তবে বাংলাদেশের অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারীরা বিষয়টি যথাযথ যাচাই না করে শুধুমাত্র শিরোনামটি কপি-পেস্ট করে ফেসবুকে প্রচার করছেন ফলে ঘটনাটি ভারতের হলেও ভারত শব্দটি উল্লেখ না করে বাংলাদেশে প্রচার করায় ঘটনাটি বাংলাদেশের কোনো স্থানের ভেবে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়।

 

পরবর্তীতে, আলোচিত ঘটনাটি নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার’‘সংবাদ প্রতিদিন’ এবং দেশীয় সংবাদমাধ্যম যমুনা টিভি’‘একাত্তর টিভি এ প্রকাশিত প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

স্ত্রী
Screenshot from Anandabazar website

মূলত, ভারতের রাজস্থানে একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামির স্ত্রী জোধপুর হাইকোর্টে আবেদন করেন যে তিনি সন্তানের মা হতে চান কিন্তু তার স্বামী জেলে থাকায় তা সম্ভব হচ্ছে না। এজন্য তিনি তার স্বামীর প্যারোলে মুক্তি চেয়ে আদালতে আবেদন করেন এবং আদালত তার আবেদন মঞ্জুর করে আসামিকে ১৫ দিনের জন্য প্যারোলে মুক্তি দেন।

উক্ত জামিনের রায়ের আদেশের পর্যবেক্ষণে বিচারক সন্দীপ মেহতা জানিয়েছেন, “আদালত মনে করছে, এটা তার অধিকার। এই অধিকার থেকে কোনো নারীকে আইন বঞ্চিত করতে পারে না।”

প্রসঙ্গত, রাজস্থানে একটি খুনের মামলায় নন্দলাল নামের ঐ ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় ভিলওয়াড়া আদালত। রায় ঘোষণার পর বেশ কয়েক বছর ধরে তিনি সাজাভোগ করছেন।

উল্লেখ্য, রিউমর স্ক্যানার টিম পূর্বেও ভিনদেশের ঘটনাকে বাংলাদেশের ঘটনা দাবি করে প্রচারিত তথ্যকে বিভ্রান্তিকর হিসেবে শনাক্ত করে একাধিক ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

অর্থাৎ, ভারতে স্ত্রীকে মা হওয়ার সুযোগ দিতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে প্যারোলে মুক্তির ঘটনাটি বাংলাদেশে ‘ভারত’ শব্দ উল্লেখ না করে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: মা হতে চান স্ত্রী, প্যারোলে মুক্তি পেলেন স্বামী
  • Claimed By: Facebook Posts
  • Fact Check: Misleading

[/su_box]

তথ্যসূত্র

ভাস্কর্য বিরোধী আন্দোলনের কর্মসূচিকে আলেমদের মুক্তি চেয়ে কর্মসূচি দাবিতে প্রচার

0

যা দাবি করা হচ্ছে

সম্প্রতি, “জুমার নামাজ এর পর কারাবন্দী আলেমদের মুক্তির দাবিতে রাজপথে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।” শীর্ষক শিরোনামে একটি সরাসরি সম্প্রচারিত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন একটি পোস্ট দেখুন এখানে। এবং আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে

ফ্যাক্ট

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের কোনো আন্দোলনের নয় বরং এটি ২০২০ সালের নভেম্বরে ঢাকায় কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের ভাস্কর্য বিরোধী বিক্ষোভের সময় ধারণকৃত ভিডিও।

মূলত, ২০২০ সালের ২৭ নভেম্বর শুক্রবার জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে কওমি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ভাস্কর্য বিরোধী একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। উক্ত মিছিলটি নয়াপল্টনের নাইটিঙ্গেল মোড় হয়ে কাকরাইলের কর্ণফুলী মার্কেটের সামনে পৌঁছালে পুলিশ তাতে বাধা দেয় এবং বিক্ষোভকারীরা পুলিশের সাথে বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। এই সময় পুলিশ লাঠিচার্জের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকজনকে আটক করে। ঐ সংঘর্ষ চলাকালে ধারণকৃত একটি ভিডিও-ই বর্তমানে ভুয়া লাইভ স্ট্রিমিং অ্যাপের সহায়তায় পুনরায় ফেসবুকে কারাবন্দী আলেমদের মুক্তির চেয়ে আন্দোলন দাবিতে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।

বিষয়টি পূর্বেও মিথ্যা হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।

ভিডিওটি কারাবন্দী আলেমদের মুক্তির দাবিতে হেফাজতের কোনো কর্মসূচির নয়

কাফন পরে করা প্রতিবাদের ছবিকে হিন্দুদের দেওয়া আগুনে মুসলিমদের মৃত্যুর দৃশ্য দাবিতে প্রচার

0

সম্প্রতি, “কলিজা ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। হে মালিক দিল্লির মসজিদে, যে সব হিন্দুরা, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে, আমার ভাইদের শহীদ করেছে। তুমি শহীদি ভাইদের রক্তের বিনিময়, ভারতের শাসন ক্ষমতা, মুসলমানদের হাতে কবুল করে, মোদী সরকারকে, ফেরা উনের মতো, পতন ঘটিয়ে দাও।আমিন, ছুমমা আমিন” শীর্ষক শিরোনামে দুইটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।

ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে । আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে । 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আলোচিত ছবিগুলো সাম্প্রতিক সময়ে দিল্লির মসজিদে হিন্দুদের আগুনে মুসলমানদের মৃত্যুর কোনো ঘটনার নয় বরং এগুলো ২০২০ সালে সিএএ-এনআরসি বিলের বিরুদ্ধে ভারতের আওরাঙ্গাবাদ শহরে কাফনের কাপড় পরে প্রতিবাদের দৃশ্য।

রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতির মাধ্যমে, ‘Imam sals’ নামের ইউটিউব চ্যানেলে ২০২০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারিতে “Kafan pahen kar protest Against the Caa Nrc Npr” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত ভিডিওর কিছু খণ্ডিত দৃশ্যের সঙ্গে আলোচিত ছবিগুলোর মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

পাশাপাশি, ২০২০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারিতে “Sabir Saifi Rajdhan” নামের টুইটার একাউন্টে, “Peace Party Lucknow Mohammad irfan” নামের ফেসবুক পেজে এবং “Naushad Ahmad” নামের ফেসবুক একাউন্ট হতে প্রচারিত একই ছবি খুঁজে পাওয়া যায় ।


ছবি দুইটি সূক্ষ্মভাবে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, সেখানে শুয়ে থাকা এক ব্যক্তির উপরে প্ল্যাকার্ডে CAA ও NRC লেখা রয়েছে।

পরবর্তীতে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে, ভারতীয় অনলাইন গণমাধ্যম ‘JJPNEWS’ এর ওয়েবসাইটে ২০২০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারিতে “औरंगाबाद मैं कफ़न पहन कर लोग कर रहे हैं CAA और NRC का विरोध ,कई की हालत घंभीर (অনুবাদ – ঔরঙ্গাবাদে কাফন পরে মানুষ CAA এবং NRC-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে, অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক)” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে একই ঘটনায় ভিন্ন কোণ হতে ধারণকৃত একটি ছবি খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot JJPNEWS website

মূলত, ২০২০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) ও জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন (এনআরসি) বিলের প্রতিবাদে ভারতের আওরাঙ্গবাদ শহরে কাফনের কাপড় পরে সারিবদ্ধভাবে শুয়ে মুসলিমদের প্রতিবাদের ঘটনায় ধারণকৃত দৃশ্যকে সাম্প্রতিক সময়ে দিল্লির মসজিদে হিন্দুদের আগুনে মারা যাওয়া মুসলিমদের ছবি দাবিতে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত ১১ এপ্রিল ভারতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উৎসব রাম নবমীর শোভাযাত্রা চলাকালে ছড়ানো উত্তেজনায় দেশটির বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। মধ্যপ্রদেশের খারগোনে নবমীর র‌্যালি চলাকালে মসজিদে ও বাড়িতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে। রাম নবমীর র‌্যালি ঘিরে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগে দেশটিতে নিহত ও আহতের খবরও পাওয়া যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কয়েকটি শহরে জারি রয়েছে কারফিউ জারির খবরও গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়।

উল্লেখ্য, গত মার্চে ভারতে উক্ত ছবিগুলো ব্যবহার করে হিন্দু কর্তৃক মুসলিম হত্যার দৃশ্য দাবিতে সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত হলে সেসময় উক্ত বিষয়টিকে ভুয়া চিহ্নিত করে ভারতের গুজব শনাক্তকারী প্রতিষ্ঠান বুমলাইভ ফ্যাক্টক্রিসেন্ডো ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিলো।

সুতরাং, ২০২০ সালে সিএএ-এনআরসি বিলের প্রতিবাদে ভারতের আওরাঙ্গবাদ শহরে কাফনের কাপড় পরে মুসলিমদের প্রতিবাদের ঘটনায় ধারণকৃত দৃশ্যকে সম্প্রতি দিল্লিতে মসজিদে হিন্দুদের আগুনে মুসলিমদের মৃত্যুর ছবি দাবিতে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: দিল্লির মসজিদে, যে সব হিন্দুরা, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে, আমার ভাইদের শহীদ করেছে
  • Claimed By: Facebook Posts
  • Fact Check: False

[/su_box]

তথ্যসূত্র

  1. Imam sals ইউটিউব – https://youtu.be/YICWrBUVKDc 
  2. Sabir Saifi Rajdhan টুইটার – https://twitter.com/saifisabir155/status/1231838973649027072?s=20&t=bMaD3vtRDSN5PZhJPHCLxA 
  3. Peace Party Lucknow Mohammad irfan ফেসবুক পেজ – https://www.facebook.com/MohammadirfanAnsari97/posts/888938224856484 
  4. Naushad Ahmad ফেসবুক একাউন্ট – https://www.facebook.com/permalink.php?story_fbid=623027988259534&id=221276111768059 
  5. JJPNEWS – https://www.jjpnews.com/people-are-opposing-caa-and-nrc-in-aurangabad-wearing-kafan/ 
  6. বাংলা ট্রিবিউন – https://www.banglatribune.com/foreign/india/738388/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%AE%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E2%80%8C%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF-%E0%A6%98%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A6%9A%E0%A7%81%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97 
  7. ইনকিলাব – https://m.dailyinqilab.com/article/477746/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%9C%E0%A7%81%E0%A7%9C%E0%A7%87-%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A7%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%B8%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A6%A4-%E0%A7%A8-%E0%A6%86%E0%A6%B9%E0%A6%A4-%E0%A6%B6%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A6%BF%E0%A6%95 

টিউমার আক্রান্ত বাংলাদেশি শিশুর জন্য আর্থিক সহায়তা দাবিতে পুরোনো ছবি প্রচার

0

যা দাবি করা হচ্ছে

সম্প্রতি, “নারায়ণগঞ্জ এর রূপগঞ্জ উপজেলার উত্তর রূপসী তারাব পৌরসভা এলাকার মোহাম্মদ জোবায়ের হোসেনের একটি মাত্র ছেলে মোঃ আরাফাত। জন্ম থেকেই শিশুটি টিউমার নিয়ে জন্মগ্রহণ করে” শীর্ষক শিরোনামে এক শিশুর ছবি সংযুক্ত করে একটি মানবিক সাহায্যের আবেদন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে,এখানে, এখানে এবং এখানে। এবং আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে , এখানে, এখানে,এখানে,এবং এখানে

ফ্যাক্ট

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আর্থিক সাহায্য চেয়ে প্রচারিত উক্ত ছবিটি সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে রোগাক্রান্ত কোনো শিশুর নয় বরং ছবিটি বিগত ৬ বছর ধরে ইন্টারনেটে প্রচারিত হচ্ছে।

মূলত, আর্থিক সহায়তার নামে প্রতারণার উদ্দেশ্যে ইন্টারনেট থেকে এই রোগাক্রান্ত শিশুর পুরোনো ছবি সংগ্রহ করে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের রোগাক্রান্ত শিশু মোঃ আরাফাত দাবি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।

বিষয়টি পূর্বেও মিথ্যা হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।

বাংলাদেশের টিউমার আক্রান্ত শিশু দাবিতে প্রচারিত ছবিটি পুরোনো

শারজায় বিমান দূর্ঘটনায় ১৭৪ যাত্রীর মৃত্যুর তথ্যটি মিথ্যা

0

সম্প্রতি, “পাকিস্তান থেকে আসা ( 521 ) Emarat Airlines এর একটি বিমান Sharjah Airport এ লেন্ডিং গিয়ার ব্লক হয়ে যাওয়ার কারনে অবতরণ করার সময় মাটিতে আছড়ে পড়ে বিমানে থাকা ২০৮ জন যাত্রীর মধ্যে ১৭৪ জন মৃত্যু বরণ করেন এবং ৩৪ জন প্রাণে বাঁচলেও তাদের অবস্থা গুরুতর” শীর্ষক একটি তথ্য কয়েকটি ছবি যুক্ত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানেআর্কাইভ ভার্সন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সম্প্রতি Emairates Airlines এর বিমান Sharjah Airport এ দূর্ঘটনার শিকার হয়েছে শীর্ষক তথ্যটি সত্য নয় এবং উক্ত তথ্যের সাথে সংযুক্ত ছবিগুলো রাশিয়ার একটি বিমানবন্দরে সংঘটিত বিমান দূর্ঘটনার পুরোনো ছবি।

তথ্য যাচাই

সাম্প্রতিক সময়ে Emirates Airlines 521 বিমানের দূর্ঘটনার পতিত হওয়ার কোনো সংবাদ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম খুঁজে পাওয়া যায় নি। তবে ২০১৬ সালে একবার উক্ত বিমানের দুবাই এয়ারপোর্টে দূর্ঘটনায় পতিত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।

কি-ওয়ার্ড সার্চ পদ্ধতির মাধ্যমে, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম Firstpost এ ২০১৬ সালের ০৩ আগস্ট “Emirates flight EK521 from Thiruvananthapuram crash lands at Dubai airport” শিরোনামে প্রকাশিত একটি সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot Firstpost

সেখানে উল্লেখ করা হয়, কেরালা থেকে দুবাইগামী এমিরেটসের ফ্লাইট EK521-এ আগুন লেগেছে। সিএনএন এনং নিউজ 18 জানিয়েছে যে ফ্লাইটটি দুবাই বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে এবং সকল যাত্রীকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

Emirates এর অফিশিয়াল ফেসবুক পেজেও ২০১৬ সালের ৩ আগস্টের এই দূর্ঘটনা সংক্রান্ত একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়।

অর্থাৎ, Emirates Airlines 521 বিমানটি ২০১৬ সালে দুবাই এয়ারপোর্টে দূর্ঘটনায় পতিত হলেও সকল যাত্রী নিরাপদ ছিলো।

অন্যদিকে আলোচিত পোস্টগুলোতে বিমানটি পাকিস্তান থেকে শারজায় অবতরণ করার কথা উল্লেখ করা হয়। তবে অনুসন্ধানে দেখা যায়, বিমানটি পাকিস্তান থেকে শারজাহ নয় বরং এটি ভারতের কেরালার THIRUVANANTHAPURAM বিমানবন্দর থেকে দুবাই বিমানবন্দরে চলাচল করে।

সুতরাং, Emairates Airlines 521 বিমানের পাকিস্তান থেকে শারজায় অবতরণ করতে গিয়ে দূর্ঘটনায় পতিত হওয়া এবং ১৭৪ জন যাত্রীর মৃত্যুর তথ্যটি সত্য নয়।

ছবি যাচাই

Emirates Airlines 521 বিমানের শারজায় অবতরণ করার সময়ের দাবির সাথে প্রচারিত দুটি ছবিকে যাচাই করে দেখা যায়, ছবি দুটি রাশিয়ার মস্কোর শেরমেতয়েভো বিমানবন্দরে সংঘটিত ২০১৯ সালের একটি দুর্ঘটনার।

প্রথম ছবি যাচাই

রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতিতে মাধ্যমে, Fox news এর ওয়েবসাইটে ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল “Russia plane crash in Moscow that killed 41 in 2019 seen in new dramatic video” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে একই ছবি খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot from FoxNews website

উক্ত প্রতিবেদনে ছবিটির বর্ণনায় উল্লেখ করা হয়, ৫ মে, ২০১৯-এ হার্ড ল্যান্ডিংয়ের সময় আগুন ধরে যাওয়ার পরে মস্কোর শেরেমেতিয়েভো বিমানবন্দরে এরোফ্লট ফ্লাইট ১৪৯২ থেকে যাত্রীদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

উক্ত দূর্ঘটনা নিয়ে প্রকাশিত নতুন ভিডিওটিও উক্ত প্রতিবেদনে সংযুক্ত করা হয়েছে। ভিডিওটি দেখুন-

উক্ত দূর্ঘটনা নিয়ে ডয়েচে ভেলে এর ইউটিউব চ্যানেল DW News এর একটি ভিডিও প্রতিবেদনও খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটি দেখুন-

মূলত, ছবিটি ২০১৯ সালের ৫ মে শেরেমেতিয়েভো বিমানবন্দরে সংঘটিত বিমান দূর্ঘটনায় ধারণকৃত একটি ভিডিওর স্থিরচিত্র।

দ্বিতীয় ছবি যাচাই

রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতির মাধ্যমে, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ANI এর ওয়েবসাইটে ২০১৯ সালের ০৬ মে “Death toll rises to 41 in Russian passenger plane fire, Putin orders ‘thorough investigation” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে একই ছবি খুঁজে পাওয়া যায়।

বিমান
Screenshot from ANI News

মূলত এই ছবিটিও ২০১৯ সালের ৫ মে শেরেমেতিয়েভো বিমানবন্দরে সংঘটিত বিমান দূর্ঘটনার একটি স্থিরচিত্র। ভিডিওটি দেখুন-

অর্থাৎ, ছবি দুইটি মূলত রাশিয়ার শেরেমেডিয়েভো বিমানবন্দরে ২০১৯ সালে সংঘটিত একটি বিমান দূর্ঘটনার।

সুতরাং, সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তান থেকে আসা (521) Emirates Airlines এর Sharjah Airport এ অবতরণ করার সময় মাটিতে আছড়ে পড়ে বিমানে থাকা ২০৮ জন যাত্রীর মধ্যে ১৭৪ জন মৃত্যু শীর্ষক দাবিটি মিথ্যা এবং প্রচারিত ছবিগুলো রাশিয়ার একটি বিমানবন্দরে সংঘটিত বিমান দূর্ঘটনার পুরোনো ছবি।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: পাকিস্তান থেকে আসা ( 521 ) Emarat Airlines এর একটি বিমান Sharjah Airport এ লেন্ডিং গিয়ার ব্লক হয়ে যাওয়ার কারনে অবতরণ করার সময় মাটিতে আছড়ে পড়ে বিমানে থাকা ২০৮ জন যাত্রীর মধ্যে ১৭৪ জন মৃত্যু বরণ করেন এবং ৩৪ জন প্রাণে বাঁচলেও তাদের অবস্থা গুরুতর
  • Claimed By: Facebook Posts
  • Fact Check: False

[/su_box]

তথ্যসূত্র

১৭ এপ্রিল সরকারি ছুটি শুধুমাত্র মেহেরপুরের মুজিবনগরে, সারাদেশে নয়

0

সম্প্রতি, “ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে ১৭ এপ্রিল সরকারি ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি।” শীর্ষক একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে । আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপন উপলক্ষে সরকারি ছুটি সারাদেশে ঘোষণা করা হয়নি বরং শুধুমাত্র মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলায় এই ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

কি-ওয়ার্ড সার্চ পদ্ধতি ব্যবহার করে, অনলাইন ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘Bangla Tribune’ এর ওয়েবসাইটে গতকাল ১৩ এপ্রিল “মুজিবনগর উপজেলায় সরকারি ছুটি ১৭ এপ্রিল” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot from Bangla Tribune

পাশাপাশি, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে বিষয়টি নিয়ে প্রকাশিত একটি প্রজ্ঞাপন খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot from MOPA website

মূলত, ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপন উপলক্ষে শুধুমাত্র মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলায় সরকারি ছুটি ঘোষণা করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়। তবে, উক্ত সরকারি ছুটি শুধুমাত্র মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলার জন্য প্রযোজ্য তা উল্লেখ ব্যতীত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করায় জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়।

গুজবের সূত্রপাত

অনুসন্ধানের মাধ্যমে দেখা যায়, মূলধারার গণমাধ্যম ‘Independent Television’ এর ফেসবুক পেজে আলোচিত সরকারি ছুটির সংবাদটি মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলা উল্লেখ ব্যতিত প্রচার করা হয়। উক্ত পোস্টটি মুছে দেয়ার পূর্বে ফেসবুক ব্যবহাকারীদের নেয়া স্ক্রিনশট সম্বলিত পোস্ট দেখুন এখানে এবং এখানে

উক্ত পোস্টটি Independent Television এর ফেসবুক পেজ থেকে মুছে দেয়া দেওয়া হলেও দ্রুতই সেটি কপি-পেস্ট হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পরে।  

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে। পরে ঐ বৈদ্যনাথতলাকে মুজিবনগর হিসাবে নামকরণ করা হয়। ঐ দিনের স্বরণেই ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন করা হয়।

অর্থাৎ, ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপন উপলক্ষে সরকারি ছুটি শুধুমাত্র মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলায় প্রযোজ্য তা উল্লেখ ব্যতীত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর।

বিভ্রান্তির নমুনা

১৭ এপ্রিল
[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে ১৭ এপ্রিল সরকারি ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি
  • Claimed By: Facebook Posts
  • Fact Check: Misleading

[/su_box]

তথ্যসূত্র

  1. Bangla Tribune – মুজিবনগর উপজেলায় সরকারি ছুটি ১৭ এপ্রিল 
  2. Ministry of Public Administration – ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে সরকারি ছুটি
  3. Dhaka Tribune – ঐতিহাসিক মুজিবনগর সরকারের ৫০ বছর