সম্প্রতি, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) এ ফরচুন বরিশালের হয়ে খেলতে এসেছেন এবং লাইভে এসে তিনি তামিম, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদ উল্লাহর পাশে আছেন দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।
এই প্রতিবেদন প্রকাশ অবধি এই ভিডিওটি দেখা হয়েছে প্রায় পৌনে তিন লক্ষ বারেরও বেশি। ভিডিওটিতে প্রায় ১২ হাজার পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিক্রিয়া দেখানো হয়েছে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল বিপিএলে ফরচুন বরিশালের হয়ে খেলতে ঢাকায় আসেননি বরং ম্যাক্সওয়েলের পুরোনো ভিডিওর ক্লিপ যুক্ত করে ভিত্তিহীন এই দাবিটি প্রচার করা হচ্ছে।
অনুসন্ধানের শুরুতে ভিডিওতে প্রচারিত আলোচিত দাবি নিয়ে প্রাসঙ্গিক একাধিক কি ওয়ার্ড সার্চ করেও গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে উক্ত দাবির সত্যতা পাওয়া যায়নি।
পরবর্তীতে আলোচিত ভিডিওটিতে প্রচারিত ক্লিপটির বিষয়ে পৃথকভাবে অনুসন্ধান চালায় রিউমর স্ক্যানার টিম।
অনুসন্ধানে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে ২০২৩ সালের ৯ মে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।
উক্ত ভিডিওর একটি অংশই আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওতে যুক্ত করা হয়েছে।
Video Comparison: Rumor Scanner
ভিডিও থেকে জানা যায়, ম্যাক্সওয়েল উক্ত ভিডিওর মাধ্যমে পরের দিন অর্থাৎ ২০২৩ সালের ১০ মে ফেসবুক লাইভে আসার কথা জানান। তবে এই ভিডিওতে তিনি বিপিএলের বিষয়ে কোনো কথা বলেননি।
মূলত, ২০২৩ সালের ৯ মে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল তার অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে ভিডিও প্রকাশ করে পরদিন ফেসবুক পেজে লাইভ করার কথা জানান। সম্প্রতি উক্ত ভিডিওটির ক্লিপ ব্যবহার করে ম্যাক্সওয়েল বিপিএলের এবারের আসরে ফরচুন বরিশালের হয়ে খেলতে এসে তামিম, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদ উল্লাহর পাশে থাকার ব্যাপারে লাইভে করেছেন দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।
সুতরাং, পুরোনো ও ভিন্ন ঘটনায় অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ভিডিও ফুটেজ ব্যবহার করে তিনি লাইভে এসে এবারের বিপিএলে খেলবেন বলে মন্তব্য করেছেন দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেননি বরং কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র ছাড়াই অধিক ভিউ পাওয়ার আশায় চটকদার শিরোনাম এবং থাম্বনেইল ব্যবহার করে আলোচিত ভিডিওটি প্রচার করা হয়েছে।
অনুসন্ধানের শুরুতেই আলোচিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। আলোচিত ভিডিওটি’র শিরোনাম এবং থাম্বনেইলে উল্লেখিত দাবির সাথে ভিডিওটি’র বিস্তারিত অংশের মিল পাওয়া যায়নি।
ভিডিওতে প্রচারিত আলোচিত দাবি নিয়ে অনুসন্ধানে, প্রাসঙ্গিক একাধিক কি ওয়ার্ড সার্চ করেও গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্যকোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে হতে উক্ত দাবির সত্যতা পাওয়া যায়নি।
আলোচিত ভিডিওটিতে প্রচারিত দাবির বিষয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধানে ভিডিওটিতে দেখানো ভিডিও ক্লিপটির বিষয়ে আলাদাভাবে অনুসন্ধান চালায় রিউমর স্ক্যানার টিম।
ভিডিও যাচাই
প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে Bogra News Live এর ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৩ সালের ৩১ জুলাই “জাতীয় পার্টির জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর আওয়ামী লীগ ।। জিএম কাদের” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত জি এম কাদেরের একই বক্তব্যের ভিন্ন কোণ থেকে ধারণকৃত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।
Comparison By Rumor Scanner
উক্ত ভিডিওর বিস্তারিত বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০২৩ সালের জুলাই মাসে বগুড়া জেলা জাতীয় পার্টির সম্মেলনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, ‘জাপার জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর আওয়ামী লীগ। জাপাকে ধংস ও ক্ষতি আওয়ামী লীগ বেশি করলেও, বিএনপিও জাপার ক্ষতি করেছে।’
উক্ত ভিডিওর সূত্র ধরে জাতীয় দৈনিক সমকালের ওয়েবসাইটে ২০২৩ সালের ৩০ জুলাই “দালালি করে ক্ষমতায় আসতে চাই না: জি এম কাদের” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।
Source: সমকাল
উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০২৩ সালের ৩০ জুলাই বগুড়া জেলা জাতীয় পার্টির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জি এম কাদের এসব কথা বলেন।
অর্থাৎ, ভিডিওটি পুরোনো এবং আলোচিত দাবির সাথে প্রচারিত ভিডিও ক্লিপটির কোনো সম্পর্ক নেই।
মূলত, ২০২৩ সালের জুলাই মাসে বগুড়া জেলা জাতীয় পার্টির সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। বগুড়ায় জাতীয় পার্টির সম্মেলনে তার দেওয়া ভাষণের একটি ভিডিওকেই সম্প্রতি, “সংসদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিল জি এম কাদের, ক্ষেপলো ওবায়দুল কাদের” শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়।
উল্লেখ্য, পূর্বেও চটকদার শিরোনাম ও থাম্বনেইল ব্যবহার করে বিভিন্ন ভুয়া তথ্য প্রচারের প্রেক্ষিতে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার। এমন কয়েকটি প্রতিবেদন দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।
সুতরাং, জি এম কাদের সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকে ‘২০২৪ সালের আইপিএলে তাওহীদ হৃদয়কে পাঞ্জাব কিংস সরাসরি চুক্তিতে দলে নিয়েছে’ দাবিতে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে।
উক্ত দাবিতে টিকটকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।
এই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া অবধি ভিডিওটি প্রায় ২ লাখ বার দেখা হয়েছে। ভিডিওটিতে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। ভিডিওটিতে হাজার ৬৩টি মন্তব্য করা হয়েছে এবং ভিডিওটি ৪৭ বার শেয়ার করা হয়েছে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০২৪ সালের আইপিএলে তাওহীদ হৃদয়কে পাঞ্জাব কিংস কর্তৃক দলে নেওয়ার দাবিটি সঠিক নয় বরং পাঞ্জাব কিংসের মালিক প্রীতি জিনতার পুরোনো ভিডিও ক্লিপের সাথে তাওহীদ হৃদয়ের কিছু ছবি যুক্ত করে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। ভিডিওটিতে পাঞ্জাব কিংস এর মালিক ও বলিউড অভিনেত্রী প্রীতি জিনতাকে কথা বলতে দেখা যায়।
ভিডিওটি’র সংবাদপাঠ অংশে বলা হয়, “তাওহীদ হৃদয়কে আমার দলে চাই ই চাই। পাঞ্জাব কিংসের মালকিন প্রীতি জিনতা লাইভে এসে তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে একি বললো। সরাসরি চুক্তিতে তাওহীদ হৃদয় খেলবেন পাঞ্জাব কিংসের হয়ে।”
ভিডিওটি’র শুরুর অংশে প্রীতি জিনতার ভিডিও ক্লিপটি থেকে কিছু স্থিরচিত্র নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে প্রীতি জিনতার ভেরিফাইড ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ২০২১ সালের ২৭ আগস্ট প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। ভিডিওটিতে প্রীতি জিনতা ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লীগে (সিপিএল) নিজের দল সেন্ট লুসিয়া কিংসকে শুভকামনা জানান।
Screenshot: Preity G Zinta Instagram
এই ভিডিওটি’র সাথে আলোচিত ভিডিওটি’র শুরুতে দেখানো প্রীতি জিনতার অংশের হুবহু মিল পাওয়া যায়।
Video Comparison by Rumor Scanner
অর্থাৎ, এই ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় এবং এর সাথে পাঞ্জাবের হয়ে তাওহীদ হৃদয়ের আইপিএল খেলার কোনো সম্পর্ক নেই।
এছাড়াও, ২০২৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ২০২৪ আসরের নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। এবারের আইপিএলের চূড়ান্ত তালিকায় জায়গা পেয়েছিলেন বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার। এদের মধ্যে ছিলেন পেসার মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ এবং শরিফুল ইসলাম। মুস্তাফিজের ভিত্তিমূল্য ২ কোটি রুপি, তাসকিনের ভিত্তিমূল্য ৭৫ লাখ রুপি এবং শরিফুলের ভিত্তিমূল্য ছিল ৫০ লাখ রুপি। পরবর্তীতে শরিফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদ নিলাম থেকে তাদের নাম প্রত্যাহার করে নেওয়ায় শুধুমাত্র মোস্তাফিজুর রহমানের নামই নিলাম তালিকায় ছিল। সেখান থেকে চেন্নাই সুপার কিংস তাকে ভিত্তিমূল ২ কোটি রূপিতে দলে ভেড়ায়।
অর্থাৎ, চলতি বছরের আইপিএলে একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে চেন্নাই সুপারকিংসের হয়ে খেলবেন পেসার মোস্তাফিজুর রহমান।
তাছাড়া, নিলাম পরবর্তী সময়েও গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্যকোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে এখন পর্যন্ত আইপিএলে খেলার জন্য সরাসরি চুক্তিতে তাওহীদ হৃদয়কে উক্ত ফ্রেঞ্চাইজিটি’র পক্ষ থেকে দলে ভেড়ানোর বিষয়ে কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।
অর্থাৎ, উপরোক্ত বিষয়গুলো পর্যালোচনা করলে এটা স্পষ্ট যে, ২০২৪ সালের আইপিএলে পাঞ্জাব কিংস কর্তৃক বাংলাদেশি ব্যাটার তাওহীদ হৃদয়কে দলে নেওয়ার দাবিটি সঠিক নয়।
মূলত, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকে ‘২০২৪ সালের আইপিএলে তাওহীদ হৃদয়কে পাঞ্জাব কিংস সরাসরি চুক্তিতে দলে নিয়েছে’ দাবিতে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০২৪ সালের আইপিএলে তাওহীদ হৃদয়কে পাঞ্জাব কিংস কর্তৃক দলে নেওয়ার দাবিটি সঠিক নয় বরং পাঞ্জাব কিংসের মালিক প্রীতি জিনতার পুরোনো ভিডিও ক্লিপের সাথে তাওহীদ হৃদয়ের কিছু ছবি যুক্ত করে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, পূর্বেও বাংলাদেশি পেসার হাসান মাহমুদের আইপিএলে খেলার ভুয়া তথ্য প্রচারের প্রেক্ষিতে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।
সুতরাং, ২০২৪ সালের আইপিএলে তাওহীদ হৃদয়কে পাঞ্জাব কিংস সরাসরি চুক্তিতে দলে নিয়েছে দাবিতে টিকটকে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
সম্প্রতি, চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল) দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স দলে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে- শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে।
উক্ত দাবিতে টিকটকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।
একই দাবিতে ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, চলমান বিপিএলে খেলার জন্য কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের সাথে কোনো চুক্তি করেনি বরং কোনো তথ্য প্রমাণ ছাড়াই ভিত্তিহীনভাবে উক্ত দাবিটি প্রচার করা হচ্ছে।
শুরুতে আলোচিত দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে দাবিটির পক্ষে কোনো তথ্য গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কোনো বিশ্বস্ত সূত্রে পাওয়া যায়নি।
এছাড়া, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ এবং ওয়েবসাইটেও এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
পরবর্তীতে আলোচিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের একটি ভিডিও ক্লিপ এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কয়েকটি ছবি যুক্ত করে উপস্থাপককে মনগড়া কিছু কথা বলতে শোনা যায়।
আমরা গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ভিডিওটির বিষয়ে অনুসন্ধানে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ২০১৭ সালের ২৩ জুন প্রকাশিত একটি ভিডিও (আর্কাইভ) খুঁজে পেয়েছি।
উক্ত ভিডিওটির সাথে আলোচিত ভিডিওটির মিল রয়েছে।
Video Comparison: Rumor Scanner
অন্তত সাড়ে ছয় বছরের পুরোনো এই ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে জানা যায়, একটি ক্রীড়া সামগ্রী বিক্রি করা দোকানের বিজ্ঞাপনের ভিডিও এটি।
মূলত, গত ১৯ জানুয়ারি থেকে দেশের ফ্রেঞ্চাইজি ক্রিকেট লীগ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) এর দশম আসর শুরু হয়েছে। এই আসরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স দলে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে- শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আলোচিত দাবিটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে, ম্যাক্সওয়েলের ২০১৭ সালের একটি ভিডিও এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কয়েকটি ছবি যুক্ত করে আলোচিতে দাবিটি প্রচার করা হয়েছে।
এছাড়া, গণমাধ্যম ও বিশ্বস্ত কোনো মাধ্যমেও এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
সুতরাং, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে চলতি বিপিএলে দলে নিয়েছে দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
সম্প্রতি, ব্রেকিংঃ সকল শিক্ষার্থীরা পাবে ৫ হাজার করে টাকা, আবেদন এর শেষ সময় ২৮ ফেব্রুয়ারী! শীর্ষক শিরোনামে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সকল শিক্ষার্থীর পাঁচ হাজার টাকা করে পাওয়ার দাবিটি সত্য নয় বরং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি নিশ্চিতকরণে সহায়তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের মাধ্যমে বিভিন্ন পর্যায়ের দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভিন্ন ভিন্ন পরিমাণ অর্থ দেওয়ার ঘোষণা এসেছে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে সরকারের প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট এর ই-সার্ভিস’র অন্তর্ভুক্ত অনলাইন আবেদন ব্যবস্থাপনা সিস্টেম এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি খুঁজে পাওয়া যায়।
বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি নিশ্চিতকরণে ভর্তি সহায়তার অধীনে আর্থিক সাহায্য প্রদান করছে। এই সহায়তার অধীনে বর্তমানে মাধ্যমিক পর্যায়ে ৫ হাজার টাকা, উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ৮ হাজার টাকা এবং স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে ১০ হাজার টাকা হারে ভর্তি সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
অর্থাৎ, শুধু মাধ্যমিক পর্যায়ের দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীরা ৫ হাজার টাকা সহায়তা পাবে।
তাছাড়া, গত ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এ সংক্রান্ত আবেদন প্রক্রিয়া আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি রাত ১১ টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত চলমান থাকবে। তবে প্রচারিত পোস্টগুলোতে দাবি করা হচ্ছে, আবেদনের শেষ সময় ২৮ ফেব্রুয়ারি।
মূলত, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি নিশ্চিতকরণে ভর্তি সহায়তা করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছর দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি নিশ্চিতকরণে মাধ্যমিক পর্যায়ে ৫ হাজার টাকা, উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ৮ হাজার টাকা এবং স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে ১০ হাজার টাকা হারে ভর্তি সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। তবে উক্ত তথ্যকেই সম্প্রতি সকল শিক্ষার্থী ৫ হাজার টাকা ভর্তি সহায়তা পাবে দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। তাছাড়া, আবেদন প্রক্রিয়া ২৯ ফেব্রুয়ারি শেষ হওয়ার কথা বলা হলেও ফেসবুকের পোস্টগুলোতে একদিন কমিয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি বলে দাবি করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, পূর্বেও একই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষিতে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।
সুতরাং, শুধু মাধ্যমিক পর্যায়ের সুনির্দিষ্ট ক্যাটাগরির কিছু শিক্ষার্থীকে পাঁচ হাজার টাকা ভর্তি সহায়তা প্রদানের ঘোষণাকে সকল সকল পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা এই সুবিধা পাবে দাবিতে একটি তথ্য ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।
সম্প্রতি, এবার পুলিশকে চরম ধোলাই দিলো ব্যারিস্টার সুমন, ক্ষেপলো প্রধানমন্ত্রী – শীর্ষক থাম্বনেইল এবং রাস্তায় পুলিশকে গণধোলাই দিলো ব্যারিস্টার সুমন,রাগে সুমনের উপর ক্ষেপলো প্রধানমন্ত্রী – শীর্ষক শিরোনামে একটি ভিডিও ইউটিউবে প্রচার করা হয়েছে৷
ভিডিওটিতে দাবি করা হচ্ছে, হবিগঞ্জ-৪ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেনে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন পুলিশকে গণধোলাই দিয়েছে এবং এর কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার উপর ক্ষেপেছেন।
এই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া অবধি ইউটিউবে প্রচারিত এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও দেখা হয়েছে প্রায় ৭২ হাজার বার এবং ভিডিওটিতে প্রায় ১ হাজার পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ব্যারিস্টার সূমন কর্তৃক পুলিশকে গণধোলাই দেওয়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি বরং ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত এক নাগরিক সভায় দেওয়া ব্যারিস্টার সুমনের বক্তব্যের একটি ভিডিও ক্লিপের সাথে তার একাধিক ভিন্ন ঘটনার ভিডিও ক্লিপ যুক্ত করে তাতে চটকদার থাম্বনেইল এবং শিরোনামে আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।
অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে ভিডিওটি’র শিরোনাম এবং থাম্বনেইলে উল্লেখিত দাবির সাথে ভিডিওটি’র বিস্তারিত অংশের মিল পাওয়া যায়নি।
ভিডিওতে প্রচারিত আলোচিত দাবিগুলো নিয়ে প্রাসঙ্গিক একাধিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করেও গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে উক্ত দাবির সত্যতা পাওয়া যায়নি।
অনুসন্ধানের এ পর্যায়ে আলোচিত ভিডিওটিতে প্রচারিত ভিডিও ক্লিপগুলোর বিষয়ে পৃথকভাবে অনুসন্ধান চালায় রিউমর স্ক্যানার টিম।
ভিডিও যাচাই ০১
সংবাদ পাঠিকার পঠিত সংবাদের সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে যমুনা টেলিভিশনের ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৩ সালের ১৭ মার্চ “ব্যারিস্টার সুমনকে দেখামাত্রই মারতে আসেন সাকিব! কি ঘটেছিলো হোটেলে?।Barrister Sumon । Sakib” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।
উক্ত ভিডিও প্রতিবেদনটির একটি অংশের সাথে আলোচিত ভিডিওটিতে থাকা সংবাদ প্রতিবেদনের ফুটেজের মিল রয়েছে।
Video Comparison : Rumor Scanner
উক্ত সংবাদ প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, এটি ২০২৩ সালে সাকিবের বিরুদ্ধে ব্যারিস্টার সুমনের করা অভিযোগের বিষয় নিয়ে প্রকাশিত একটি সংবাদ প্রতিবেদন। যেখানে বলা হচ্ছে, ব্যারিস্টার সুমনকে দেখা মাত্রই মারতে আসেন ক্রিকেট তারকা সাকিব আল হাসান।
এই ভিডিওর কোথাও পুলিশকে গণধোলাই দেওয়ার কিংবা ব্যারিস্টার সুমনের উপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষেপেছেন সংক্রান্ত কোনো তথ্য বা দৃশ্যের উল্লেখ পাওয়া যায়নি। তাই এই ভিডিও প্রতিবেদনের সাথে আলোচিত দাবির কোনো সম্পর্ক নেই।
ভিডিও যাচাই ০২
ভিডিওর এই অংশে প্রদর্শিত ব্যারিস্টার সুমনের ভিডিও ক্লিপটির অনুসন্ধানে ‘খেলাযোগ’ এর ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৩ সালের ৪ ডিসেম্বর “হাউ মাউ করে কেন ব্যারিস্টার সুমন কাঁদলেন????” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।
উক্ত ভিডিওটির একটি অংশই আলোচিত ভিডিওটিতে যুক্ত করা হয়েছে।
Video Comparison : Rumor Scanner
উক্ত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে প্রচারণার সময় জনতার সামনে বক্তৃতা প্রদানকালে কান্নায় ভেঙে পড়েন ব্যারিস্টার সুমন। তখনকার একটি ভিডিওর একটি অংশই আলোচিত দাবিতে যুক্ত করা হয়েছে।
ভিডিও যাচাই ০৩
ভিডিওর সর্বশেষ অংশে দেখানো ব্যারিস্টার সুমনের ভিডিওটির বিষয়ে অনুসন্ধানে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে আরটিভির ইউটিউব চ্যানেলে ২০২২ সালের ২৫ এপ্রিল “সরকারের বারোটা বাজাতে মানুষের জায়গা দখল করেছেন পুলিশ-ব্যারিস্টার সুমন। Playground । Rtv News” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।
উক্ত ভিডিওটির কিছু অংশই আলোচিত ভিডিওটিতে যুক্ত করা হয়েছে।
Video Comparison : Rumor Scanner
উক্ত ভিডিও বিশ্লেষণ করে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৫ এপ্রিল অনুষ্ঠিত এক নাগরিক সভায় সরকারের বারোটা বাজানোর জন্য দু-চারজন পুলিশ অফিসারই যথেষ্ট বলে মন্তব্য করেছেন আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। কিন্তু ভিডিওর কোথাও পুলিশকে গণধোলাই দেওয়ার কোনো দৃশ্য দেখা যায়নি।
মূলত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-৪ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন গত ১০ জানুয়ারি এমপি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন। নির্বাচনের পূর্বে ব্যারিস্টার সুমনের নির্বাচনী প্রচারনার একটি ভিডিও ক্লিপের সাথে ২০২৩ সালের ২৫ এপ্রিল অনুষ্ঠিত এক নাগরিক সভায় দেওয়া বক্তব্যের একটি ভিডিও ক্লিপ, ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে নিয়ে অভিযোগের একটি সংবাদ প্রতিবেদনের ভিডিও ক্লিপ যুক্ত করে “এবার পুলিশকে চরম ধোলাই দিলো ব্যারিস্টার সুমন, ক্ষেপলো প্রধানমন্ত্রী” শীর্ষক থাম্বনেইল এবং “রাস্তায় পুলিশকে গণধোলাই দিলো ব্যারিস্টার সুমন, রাগে সুমনের উপর ক্ষেপলো প্রধানমন্ত্রী” শীর্ষক শিরোনামে ইন্টারনেটে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানার টিম যাচাই করে দেখেছে যে, আলোচিত দাবিটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে, একাধিক ভিন্ন ঘটনার পুরোনো ভিডিও যুক্ত করে তাতে চটকদার থাম্বনেইল এবং শিরোনাম ব্যবহার করে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।
সম্প্রতি, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল)-এর দল ফরচুন বরিশাল কোটি টাকার বিনিময়ে দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান এইডেন মার্করামকে দলে নিয়েছে দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।
এই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া অবধি টিকটকে প্রচারিত একটি ভিডিওই দেখা হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার বার। ভিডিওটিতে প্রায় চার হাজার পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিক্রিয়াও দেখানো হয়েছে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, চলমান বিপিএলে খেলার জন্য ফরচুন বরিশালের সাথে এইডেন মার্করামের কোনো চুক্তি হয়নি বরং কোনো তথ্য প্রমাণ ছাড়াই ভিত্তিহীনভাবে উক্ত তথ্যটি প্রচার করা হচ্ছে।
অনুসন্ধানের শুরুতে প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন কি-ওয়ার্ড সার্চ করে আলোচিত দাবিটির পক্ষে কোনো তথ্য গণমাধ্যম কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কোনো বিশ্বস্ত সূত্রে পাওয়া যায়নি।
এছাড়াও, ফরচুন বরিশালের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ এবং বিপিএলের ওয়েবসাইটে দলটির খেলোয়াড় সংক্রান্ত পেজে এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
পরবর্তীতে আলোচিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ভিডিওটির শুরুতে ফরচুন বরিশালের ক্রিকেটার তামিম ইকবালের একটি ভিডিও দেখানো হয়। এরপরই এইডেন মার্করামের ও তামিম ইকবালের কয়েকটি ছবি দেখিয়ে ভিডিওটির উপস্থাপক দাবি করেন কোটি টাকার বিনিমনে মার্করামকে ফরচুন বরিশালে নেওয়া হয়েছে। তবে তামিম ইকবালের ভিডিওটির কোনো অংশেই উপস্থাপকের এই সকল দাবির বিষয়ে তাকে কোনো কথা বলতে শোনা যায়নি। বরং ভিডিওটিতে তাকে ‘আসসালামু আলাইকুম সবাইকে, আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। বিশেষ করে যারা বরিশাল থেকে আছেন।’ শীর্ষক মন্তব্য করতে শোনা যায়।
ভিডিওটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির মিল রয়েছে।
Video Comparison by Rumor Scanner
তবে ভিডিওটির কোথাও আলোচিত দাবিটির বিষয়ে তামিম ইকবালকে কোনো কথা বলতে শোনা যায় না। বরং ভিডিওতে তিনি ‘আসসালামু আলাইকুম সবাইকে, আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। বিশেষ করে যারা বরিশাল থেকে আছেন। খুব বেশি সময় আর বাকি নেই বিপিএলের। আমরা ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে বসে যে কাজগুলো বাকি আছে, সেগুলো ঠিকঠাক করতে পারি। আমাদের মালিক মিজান ভাই উনি আমাদের অনেক সময়ও দিচ্ছেন। আমাদের যা যা চাহিদা সেটা চেষ্টা করছেন পূরণ করে দেওয়ার। আসলে এমন কঠিন একটা পরিস্থিতিতে আমরা আছি। আপনারা জানেন যে, বিপিএল এমন সময়ে শুরু হচ্ছে। একই সময়ে আরও পাঁচটা লিগ একইসঙ্গে চলবে। অনেক খেলোয়াড় আসা-যাওয়ার ওপর থাকবে, আমরা ওইটাই মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি এখন বসে সবাই। আমাদের যেন খুব বেশি এফেক্টেড হতে না হয়, তারপরও যারা ফরচুন বরিশালের ফ্যানরা আছেন আপনাদেরকে মেনে নিতে হবে। কারণ পরিস্থিতিটাই এরকম। আশা করি আমাদের দলের অতটা ক্ষতি হবে না। ইনশা-আল্লাহ অন্য সবদিক থেকে আমরা প্রস্তুত। আমি মনে করি আমরা একটা ভালো দল তৈরি করেছি, যেটা চ্যাম্পিয়নশিপ লড়াইয়ের জন্যও প্রস্তুত থাকবে।’ শীর্ষক কথাগুলো বলেন। এছাড়াও সমর্থকদের সমর্থন চেয়ে আরও কিছু কথা তাকে বলতে শোনা গেলেও দলটিতে দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান এইডেন মার্করামকে নেওয়ার বিষয়ে কোনো কথা বলতে শোনা যায়নি।
মূলত, চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল)-এর ফ্রেঞ্চাইজি ফরচুন বরিশাল কোটি টাকার বিনিময়ে দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান এইডেন মার্করামকে দলে নিয়েছে দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আলোচিত দাবিটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে, ফরচুন বরিশালের ক্রিকেটার তামিম ইকবালের ভিন্ন প্রেক্ষিতে দেওয়া বক্তব্যের একটি ভিডিওর সাথে কয়েকটি ছবি যুক্ত করে আলোচিতে দাবিটি প্রচার করা হয়েছে।
সুতরাং, বিপিএলের দল ফরচুন বরিশাল কোটি টাকার বিনিময়ে দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান এইডেন মার্করামকে দলে নিয়েছে দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
১১ মার্চ, ২০২৪ : এই প্রতিবেদন প্রকাশ পরবর্তী সময়ে ইউটিউবে একই দাবি সম্বলিত ভিডিও আমাদের নজরে আসার প্রেক্ষিতে উক্ত ভিডিওকে প্রতিবেদনে দাবি হিসেবে যুক্ত করা হলো।
সম্প্রতি, “বিশ্ব নবীর চাঁদ দুইভাগ করার রহস্য প্রমাণ করল আধুনিক বিজ্ঞান! সুবহানাল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ” শীর্ষক শিরোনামে নাসার বিজ্ঞানীরা চাঁদ দ্বিখণ্ডিত হওয়ার প্রমাণ পেয়েছেন দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।
রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, নাসার বিজ্ঞারা চাঁদ দ্বিখণ্ডিত হওয়ার কোনো প্রমাণ পাননি বরং কোনোপ্রকার নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র ছাড়া নাসাকে উদ্ধৃত করে উক্ত ভুয়া তথ্যটি ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।
প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে Scientific and Academic Publishing নামের একটি জার্নালে “The Evidence of the Split of the Moon” শীর্ষক শিরোনামের একটি গবেষণাপত্র খুঁজে পাওয়া যায়।
উক্ত গবেষণাপত্র থেকে জানা যায়, বর্তমানে প্রতিষ্ঠিত তত্ত্ব অনুসারে চাঁদের দ্বিখণ্ডিত হওয়ার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।
Source: Scientific and Academic Publishing
এছাড়াও, যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার ওয়েবসাইটে চাঁদ দ্বিখণ্ডিত হয়ে যাওয়ার বিষয়ে বিজ্ঞানী ব্র্যাড বেইলির একটি বিবৃতি খুঁজে পাওয়া যায়।
Source: NASA
চাঁদের দ্বিখণ্ডিত হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আমি ইন্টারনেটে পড়া সবকিছুই বিশ্বাস করতে নিরুৎসাহিত করছি। পিয়ার-রিভিউড জার্নাল বৈজ্ঞানিক তথ্যের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উৎস। বর্তমানের কোনো বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব অতীতে চাঁদের দুই বা ততোধিক ভাগে খণ্ডিত হয়ে যাওয়া এবং পুনরায় একত্র হওয়ার তথ্যকে সমর্থন করে না।
ছবি যাচাই
দ্বিখণ্ডিত চাঁদের দৃশ্য দাবিতে প্রচারিত ছবির বিষয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা’র ওয়েবসাইটে ২০০২ সালের ২৯ অক্টোবর প্রকাশিত একটি ছবি খুঁজে পাওয়া যায়।
উক্ত ছবির সাথে আলোচিত ছবিটির মিল খুঁজে পাওয়া যায়।
Comparison Image By Rumor Scanner
উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আলোচিত ছবিটি চাঁদের বুকে অবস্থিত Ariadaeus Rille নামক দীর্ঘকায় খাদের ছবি। ছবিটি ১৯৬৯ সালের মে মাসে অ্যাপোলো-১০ মহাকাশযানের মহাকাশচারীরা ধারণ করেন।
উক্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা চাঁদ দ্বিখণ্ডিত হওয়ার প্রমাণ পাননি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চাঁদের দ্বিখণ্ডিত হয়ে যাওয়ার প্রমাণ হিসেবে যে ছবিটি প্রচার করা হয়েছে সেটি চাঁদের বুকে অবস্থিত Rima Ariadaeus নামক একটি দীর্ঘ খাদের ছবি। ছবিটি ১৯৬৯ সালের মে মাসে অ্যাপোলো-১০ মহাকাশযানের মহাকাশচারীরা ধারণ করেন। চাঁদের বুকে অবস্থিত দীর্ঘ এই খাদটি টেকটোনিক প্লেটের স্থান পরিবর্তনের কারণেই সৃষ্ট। এর সাথে চাঁদ দ্বিখণ্ডিত হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
মূলত, ১৯৬৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপোলো-১০ মহাকাশযানের মহাকাশচারীরা চাঁদের বুকে একটি দীর্ঘকায় খাদের ছবি ধারণ করেন। অ্যাপোলো মিশনের মহাকাশচারীদের ধারণকৃত সে ছবি ব্যবহার করে বিগত কয়েকবছর ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা বিশ্বনবীর চাঁদ দ্বিখণ্ডিত করার প্রমাণ পেয়েছেন দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে। তবে, নাসার দায়িত্বশীল একজন বিজ্ঞানী নিশ্চিত করেছেন যে, বর্তমানে প্রতিষ্ঠিত তত্ত্ব অনুসারে চাঁদের দ্বিখণ্ডিত হওয়ার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।
উল্লেখ্য, পূর্বে চন্দ্রযান-৩ এর তোলা ছবি দাবিতে এআই জেনারেটেড ছবি প্রচার করা হলে সে বিষয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার টিম।
সুতরাং, নাসার বিজ্ঞানীরা বিশ্বনবীর চাঁদ দ্বিখণ্ডিত করার প্রমাণ পেয়েছেন দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত তথ্যটি মিথ্যা।
সম্প্রতি, চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে (বিপিএল) কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স দলে নিয়েছে ভারতের ক্রিকেটার বিরাট কোহলিকে- শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে।
উক্ত দাবি সম্বলিত টিকটকের ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, বিপিএলে খেলতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের সাথে বিরাট কোহলির কোনো চুক্তি হয়নি বরং কোনো তথ্য প্রমাণ ছাড়াই ভিত্তিহীনভাবে উক্ত দাবিটি প্রচার করা হচ্ছে।
শুরুতে আলোচিত দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে অনুসন্ধান এর স্বপক্ষে কোনো তথ্য গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কোনো বিশ্বস্ত সূত্রে পাওয়া যায়নি।
এছাড়া, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ এবং ওয়েবসাইটেও এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
পরবর্তীতে আলোচিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, শুরুতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মালিক নাফিসা কামালকে বক্তব্য দিচ্ছেন। পরবর্তীতে দলটির অধিনায়ক ইমরুল কায়েসকে বক্তব্য দিতে দেখা যায়। এরপর নাফিসা কামাল, ইমরুল কায়েস এবং বিরাট কোহলির কয়েকটি ছবি যুক্ত করে উপস্থাপককে মনগড়া কিছু কথা বলতে শোনা যায়।
তবে, আলোচিত ভিডিওটিতে বিরাট কোহলিকে দলে ভেড়ানো সংক্রান্ত কোনো তথ্য উল্লেখ করা হয়নি।
এরপর আলোচিত ভিডিওটিতে থাকা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মালিক নাফিসা কামাল এবং অধিনায়ক ইমরুল কায়েসের বক্তব্য দেওয়ার ভিডিওগুলো আলাদাভাবে অনুসন্ধান চালায় রিউমর স্ক্যানার টিম।
ভিডিও যাচাই-১
এই ক্লিপে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মালিক নাফিসা কামালকে বক্তব্য দিতে দেখা যায়। বক্তব্যে তিনি বলেন, চমকের জায়গা বা খুব এক্সাইটমেন্ট না এটা ভেরি কমফোর্টেবল ফ্যামিলিয়ার একটা জায়গা।
উক্ত ভিডিওর কিছু অংশের সাথে আলোচিত ভিডিওটির মিল রয়েছে।
Video Comparison: Rumor Scanner
উক্ত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে জানা যায়, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মালিক নাফিসা কামাল চলমান আসরের দল কেনার পর দেওয়া বক্তব্য এটি। এখানে বিরাট কোহলি সংক্রান্ত কোনো বক্তব্য দিতে দেখা যায়নি তাকে।
ভিডিও যাচাই-২
এই অংশে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অধিনায়ক ইমরুল কায়েসকে বক্তব্য দিতে দেখা যায়। বক্তব্যে তিনি বলেন, কুমিল্লা তো প্রথম প্রত্যেক বছরই ম্যাচ হারে, ফার্স্ট ম্যাচ। গত বছর শুধু ম্যাচ জিতেছিল।
উক্ত ভিডিওর কিছু অংশের সাথে আলোচিত ভিডিওটির মিল রয়েছে।
Video Comparison: Rumor Scanner
উক্ত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে জানা যায়, ৪ মিনিট ২৮ মিনিটে দলটির অধিনায়ক ইমরুল কায়েস প্রথম ম্যাচ হারা নিয়ে এমন মন্তব্য করেন। এছাড়া ৭ মিনিট ১২ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে আলোচিত দাবি সংক্রান্ত কোনো মন্তব্য করেননি ইমরুল কায়েস।
মূলত, গত ১৯ জানুয়ারি থেকে দেশের ফ্রেঞ্চাইজি ক্রিকেট লীগ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) এর দশম আসর শুরু হয়েছে। চলমান বিপিএলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স দলে নিয়েছে ভারতের বিরাট কোহলিকে- শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আলোচিত দাবিটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মালিক নাফিসা কামাল এবং অধিনায়ক ইমরুল কায়েসের ভিন্ন প্রেক্ষিতে দেওয়া পুরোনো বক্তব্যের ভিডিও ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনা করে আলোচিতে দাবিতে প্রচার করা হয়েছে। এছাড়া, গণমাধ্যম ও বিশ্বস্ত কোনো মাধ্যমেও এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
সুতরাং, বিপিএলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স বিরাট কোহলিকে দলে ভিড়িয়েছে দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
২০১৫ সাল থেকে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির অন্যতম নেতা ও দেশটির উত্তর প্রদেশের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ “মুসলিম নারীদের লাশ কবর থেকে তুলে ধর্ষণ কর” শীর্ষক মন্তব্য করেছেন দাবিতে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং গণমাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, মুসলিম নারীদের কবর থেকে তুলে ধর্ষণ সংক্রান্ত মন্তব্য যোগী আদিত্যনাথ করেননি বরং ২০০৭-০৮ সালে তার উপস্থিতিতে তারই দলের ভিন্ন এক ব্যক্তি উক্ত মন্তব্যটি করেছিলেন।
উক্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৭-০৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের সিদ্ধার্থনগরে হিন্দু যুব বাহিনী আয়োজিত হিন্দু চেতনা র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র্যালিতে বর্তমানে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ তার সংগঠন হিন্দু যুব বাহিনীর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন। তিনি তাঁর ভাষণে দাবি করেন হিন্দু সংস্কৃতি ও মুসলিম সংস্কৃতি কখনো একসাথে বাস করতে পারে না।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, একই র্যালিতে যোগী আদিত্যনাথের সহবক্তা মুসলিম নারীদের কবর থেকে বের করে ধর্ষণের দাবি জানান।
প্রতিবেদনটিতে যুক্ত বক্তব্যের ভিডিওগুলো পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। পর্যবেক্ষণে মুসলিম নারীদের ধর্ষণ সংক্রান্ত মক্তব্যটির সময় ক্যামেরার এক ফ্রেমে আদিত্যনাথকে বসে থাকতে দেখা যায়। তাছাড়া আলোচ্য মন্তব্যকারীর কণ্ঠের সঙ্গে যোগী আদিত্যনাথের কণ্ঠের আমিলও লক্ষ্যা করা যায়।
অর্থাৎ, মুসলিম নারীদের ধর্ষণ সংক্রান্ত মক্তব্যটি তিনি করেননি।
এছাড়া একই দাবি ভারতে ছড়িয়ে পড়লে ২০২০ সালে ভারতের দুইটি ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা অল্ট নিউজ এবং দ্য কুইন্ট এ বিষয়ে ফ্যাক্ট-চেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। দুইটি সংস্থাই জানায়, আলোচ্য মক্তব্যটি যোগী আদিত্যনাথের নয় বরং তার সহবক্তার।
তবে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির অন্যতম প্রধান নেতা এবং দেশটির উত্তর প্রদেশের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বিভিন্ন সময় মুসলিমদের বিরুদ্ধে মন্তব্য করে সমালোচিত হয়েছেন। যেমন ২০১৫ সালে তিনি বলেছিলেন, যদি তিনি সুযোগ পান তবে প্রত্যেক মসজিদে গৌরী-গণেশের মূর্তি স্থাপন করবেন।
মূলত, ২০০৭-০৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশে আয়োজিত হিন্দু চেতনা র্যালিতে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির অন্যতম প্রধান নেতা এবং দেশটির উত্তর প্রদেশের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের উপস্থিতিতে তার সংগঠন হিন্দু যুব বাহিনীর একজন নেতা মুসলিম নারীদের লাশ কবর থেকে তুলে ধর্ষণ করা সংক্রান্ত একটি মন্তব্য করেন। পরবর্তীতে উক্ত মন্তব্যটি ২০১৫ সাল থেকে যোগী আদিত্যনাথের করা মন্তব্য দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার হয়ে আসছে।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালে যোগী আদিত্যনাথ হিন্দু যুব বাহিনী প্রতিষ্ঠা করেন এবং ২০২২ সালে তিনি সংগঠনটির সমস্ত ইউনিট বিলুপ্তির ঘোষণা করেন।
সুতরাং, “মুসলিম নারীদের লাশ কবর থেকে তুলে ধর্ষণ কর” শীর্ষক মন্তব্য যোগী আদিত্যনাথ করেছেন দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত বিষয়টি মিথ্যা।