সম্প্রতি, “বাংলাদেশ সরকারের ৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন স্যাংশন। মানবাধিকার হরণের সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশ সরকারের ৪ উর্ধতন সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারী করেছে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন। এরা হলেন লেফটেনেন্ট জেনারেল এস এম মতিউর রহমান, মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মো. খায়রুল বাশার, দু’জন অতিরিক্ত মহা পুলিশ পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম এবং শাহাবুদ্দিন খান।” শীর্ষক শিরোনামে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এবং ভুঁইফোড় অনলাইনে পোর্টালে প্রচার করা হয়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
পোস্টগুলোর আর্কাই ভার্সন দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।

ভুঁইফোড় আনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন এখানে।
প্রতিবেদনটির আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে, ‘বাংলাদেশ সরকারের ৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন স্যাংশন’ শীর্ষক দাবিতে প্রচারিত তথ্যটির সত্যতা পাওয়া যায়নি বরং কোনোপ্রকার নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র ছাড়াই অনুমাননির্ভর হয়ে উক্ত সংবাদটি প্রচার করা হচ্ছে।
গুজবের সূত্রপাত
আলোচিত দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে ফেসবুকের নিজস্ব মনিটরিং টুলস এর সহায়তায়, ‘কামরুল বাংলাদেশ’ নামের একটি ফেসবুক পেজে গত ০১ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ০১ টা ২৭ মিনিটে “বাংলাদেশ সরকারের ৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন স্যাংশন” শীর্ষক তথ্য সম্বলিত একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়।

এছাড়া ‘কামরুল বাংলাদেশ’ নামক উক্ত পেজের পোস্টটির সূত্র ধরে কি-ওয়ার্ড সার্চ এর মাধ্যমে ফেসবুকে বিভিন্ন আইডি, গ্রুপ এবং পেজে প্রায় একই দাবি সম্বলিত পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়।
মূলত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক কোনো দেশ বা দেশের নির্দিষ্ট কোনো সংস্থার উপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে তা তাদের নিজস্ব ট্রেজারি বিভাগের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রকাশ করে থাকে। তবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগের ওয়েবসাইট, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ওয়েবসাইট এবং বাংলাদেশস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এর ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষণ করে এ ধরণের নিষেধাজ্ঞা বা তথ্যের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। প্রকৃতপক্ষে, কোনোপ্রকার নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র ছাড়াই ‘বাংলাদেশ সরকারের ৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন স্যাংশন’ শীর্ষক দাবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বিভিন্ন বাহিনীর ৯২ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা, বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২ লাখ দিরহাম অর্থদণ্ড, বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদার মার্কিন ভিসা বাতিল শীর্ষক ভিত্তিহীন দাবিসমূহ নিয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধানী ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার টিম।
সুতরাং, ‘বাংলাদেশ সরকারের ৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন স্যাংশন’ শীর্ষক উক্ত দাবিটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
তথ্যসূত্র
- Rumor Scanner’s Own Analysis.