সম্প্রতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রোকেয়া হলে ছাত্রলীগের এক নেত্রীকে হল থেকে টেনে হিঁচড়ে রুম থেকে বের করার ঘটনায় তিন সদস্যের কমিটি ঘোষণা করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এই বিষয়ে একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উক্ত কমিটির সদস্য দাবিতে এক নেত্রীর ছবি প্রচার করে তাকে ফাল্গুনী দাস তন্বী বলে দাবি করা হয়েছে।
উক্ত দাবিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন দৈনিক আমাদের সময়।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, গণমাধ্যমে প্রচারিত ছবিটি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেত্রী ফাল্গুনী দাস তন্বীর নয় বরং আতিকা বিনতে হোসেন নামে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের আরেক নেত্রীর ছবিকে ফাল্গুনী দাস তন্বীর ছবি বলে দাবি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে কমিটি গঠন বিষয়ক বিজ্ঞপ্তিটি খুঁজে পাওয়া যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে আলোচিত ঘটনাটি তদন্তে গঠিত কমিটিতে ফাল্গুনী দাস তন্বীর নাম খুঁজে পাওয়া যায়। বাকি দুই সদস্য হলেন, আতিকা বিনতে হোসেন এবং অন্তরা দাস পৃথা।
পরবর্তীতে কিওয়ার্ড সার্চ করে ফেসবুকে ফাল্গুনী দাস তন্বীর ব্যক্তিগত প্রোফাইল খুঁজে পাওয়া যায়।
তবে তন্বীর প্রোফাইলে থাকা ছবিগুলোর সাথে গণমাধ্যমে ফাল্গুনী দাস তন্বী দাবিতে প্রকাশিত ছবির নারীর মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে আরো অনুসন্ধান করে আলোচিত কমিটির আরেক সদস্য আতিকা বিনতে হোসেনের ফেসবুক প্রোফাইল খুঁজে পাওয়া যায়। আতিকার প্রোফাইলে গণমাধ্যমে প্রচারিত ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়।
মূলত, সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলে ছাত্রলীগের এক নেত্রীকে হল থেকে টেনে হিঁচড়ে রুম থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগের ঘটনা তদন্তে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের কমিটি ঘোষণার বিষয়ে মূলধারার সংবাদমাধ্যম ‘দৈনিক আমাদের সময়’ এর অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উক্ত কমিটির সদস্য দাবিতে এক নেত্রীর ছবি প্রচার করে তাকে ফাল্গুনী দাস তন্বী বলে দাবি করা হয়েছে। কিন্তু রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা যায়, উক্ত নারী ফাল্গুনী দাস তন্বী নয়। প্রকৃতপক্ষে, একই কমিটির সদস্য আতিকা বিনতে হোসেনের ছবিকে ফাল্গুনী দাস তন্বীর ছবি বলে দাবি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল ছাত্রলীগের সহসভাপতি আয়েশা সিদ্দিকা রূপাকে কক্ষছাড়া করার অভিযোগ উঠেছে। হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকা বিনতে হোসেনের নির্দেশে ৮ থেকে ১০ জন মেয়ে তাকে টেনেহিঁচড়ে কক্ষ থেকে বের করে দিয়েছেন বলে গণমাধ্যমে অভিযোগ করেন রূপা।
সুতরাং, গণমাধ্যমে ছাত্রলীগ নেত্রী ফাল্গুনী দাস তন্বীর ছবিকে আরেক নেত্রী আতিকা বিনতে হোসেনের ছবি বলে দাবি করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।
তথ্যসূত্র
- Bangladesh Students’ League: Facebook Post
- Atika Binte Hossain: Profile Picture
- Rumor Scanner’s own analysis