সম্প্রতি “স্বপ্নের ডিবি লটারি ২০২২ এ আবার ও আবেদন শুরু !! ১৮-৪০ বছর বয়সী ছাত্র/ছাত্রী আবেদন করতে পারবে” শীর্ষক শিরোনামে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে , এখানে ও এখানে। আর্কাইভ দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে ও এখানে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধান বলছে, সাম্প্রতিক সময়ে পুনরায় ডাইভারসিটি ভিসা (ডিভি) কর্মসূচিতে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ করতে পারার বিষয়টি সত্য নয় বরংবাংলাদেশী নাগরিকদের এই লটারিতে অংশগ্রহণের অনুমতি নেই প্রায় এক দশক ধরেই।
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বার্তায় বলা হয়েছে, ২০০৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে ৫০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি ডিভি ভিসার আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছে। দেশটিতে যেসব দেশের অভিবাসীদের হার কম সাধারণত সেসব দেশের নাগরিকদের এই কর্মসূচীর আওতাভুক্ত করা হয়। কিন্তু ২০০৭ থেকে পরবর্তী পাঁচ বছরে বাংলাদেশীদের জন্য অভিবাসন কোটা পূরণ হয়ে যাওয়ায় ২০১২ সাল থেকেই বাংলাদেশ ডাইভারসিটি ভিসা (ডিভি) কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের যোগ্যতা হারিয়েছে। তবে শুধু বাংলাদেশই নয়, ডিভি লটারিতে অংশগ্রহণের যোগ্যতা হারিয়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, পাকিস্তান, চীনসহ ১৯টি দেশ। দেশগুলোর নাম দেখা যাবে এখান থেকে।
তাছাড়া, ঢাকায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের ওয়েবসাইটে ডিভি ভিসা সম্পর্কিত সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, “ঢাকায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের নাগরিক ও অধিবাসীদের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার আবেদনের জন্য ব্যক্তিগত মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার কথা আবার মনে করিয়ে দেয়। ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস নিয়মিতভাবে ভিসা যোগাড় করে দেওয়া বিষয়ক প্রতারণামূলক সহায়তার প্রস্তাব, ই-মেইল, চিঠি, ওয়েবসাইট, ফোন কল, এসএমএস এবং পত্রিকায় ছাপা বিজ্ঞাপনের বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করে থাকে। এসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সঙ্গে যুক্ত নয় এবং এমন কোন সেবা দেওয়ার জন্য দূতাবাস তাদের অনুমোদন, সনদ বা অনুমতি দেয়নি। প্রতারণার শিকার হবেন না।”
বিষয়টি পূর্বেও মিথ্যা হিসেবে শনাক্ত করে তিনটি ফ্যাক্টচেক ( প্রথমটি, দ্বিতীয়টি, তৃতীয়টি) প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।
সুতরাং, সাম্প্রতিক সময়ে ডিভি লটারি ২০২২ এ আবারও আবেদন শুরু এবং ১৯ থেকে ৪০ বছর বয়সী ছাত্র/ছাত্রী আবেদন করতে পারবে দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।