সম্প্রতি, “এই সোনার বাংলা জালাাইয়া দিল শেখের বেটি হাসিনা।” শীর্ষক একটি গান তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ গেয়েছেন দাবিতে গেয়েছেন দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এবং শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্লার্টফর্ম টিকটকে প্রচার করা হচ্ছে।
টিকটকে প্রচারিত এমন একটি ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ ‘এই সোনার বাংলা জ্বালাইয়া দিল শেখের বেটি হাসিনা’ শীর্ষক গানটি গাননি। প্রকৃতপক্ষে ২০২০ সালে আরটিভিতে হাসান মাহমুদের গাওয়া রবীন্দ্রসংগীত ‘বধু মিছে রাগ করো না’ গানটির ভিডিওর সাথে আলোচিত ‘এই সোনার বাংলা জ্বালাইয়া দিলো শেখের বেটি হাসিনা’ শীর্ষকগানটির অডিও এডিটের মাধ্যমে যুক্ত করে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।
ভিডিওটির কিছু কি-ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে অনুসন্ধান করে বাংলাদেশি মূলধারার গণমাধ্যম আরটিভির ইউটিউব চ্যানেল ‘Rtv Music’ এ ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত একটি ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর মিল খুঁজে পাওয়া যায়।
Image Comparison by Rumor Scanner
আরটিভিতে প্রচারিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ সেদিন আরটিভিতে রবীন্দ্রসংগীত ‘বধু মিছে রাগ করো না’ গানটি গেয়েছিলেন বলে জানা যায়।
পরবর্তীতে আলোচিত দাবির বিষয়ে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ অনুসন্ধানের মাধ্যমে ‘One Plus’ নামক ইউটিউব চ্যানেলে ২০১৩ সালের ২৯ নভেম্বর প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।
Screenshot from Youtube
One Plus ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারিত ভিডিওটিতে গাওয়া গানের সাথে অর্থাৎ ভিডিওটির ব্যাকগ্রাউন্ড অডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর ব্যাকগ্রাউন্ড অডিওর মিল খুঁজে পাওয়া যায়। ভিডিওটির বিস্তারিত অংশ থেকে জানা যায় এই গানটি বাউল মদন কুমার বিএনপির একটি সমাবেশে গেয়েছিলেন।
মূলত, সম্প্রতি একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিয়ে ‘এই সোনার বাংলা জ্বালাইয়া দিল শেখের বেটি হাসিনা’ শীর্ষক একটি গান তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ গেয়েছেন দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে। তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা যায়, উক্ত গানটি হাসান মাহমুদ গাননি বরং ২০২০ এ আরটিভিতে হাসান মাহমুদের গাওয়া রবীন্দ্রসংগীতের সাথে উক্ত গানের অডিও এডিটের মাধ্যমে যুক্ত করে ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, এর আগেও চটকদার ক্যাপশন ও থাম্বনেইল ব্যবহার করে সাবেক তথ্যমন্ত্রীর মৃত্যুর সংবাদ প্রচার করলে তা শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।
সুতরাং, তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ ‘এই সোনার বাংলা জ্বালাইয়া দিলশেখের বেটি হাসিনা’ শীর্ষক গান দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত ভিডিওটি এডিটেড।
সম্প্রতি ‘নেলসন ম্যান্ডেলা জেলে থাকাকালীন সময়ে পানি খেতে চাইলে যে কারারক্ষী তাকে প্রস্রাব খেতে দিত, তাকেই রেস্টুরেন্টে খাইয়েছিলেন ম্যান্ডেলা’ শীর্ষক দাবিতে একটি গল্প সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, নেলসন ম্যান্ডেলাকে নিয়ে কারারক্ষীর প্রস্রাব পান সংক্রান্ত গল্পটি সঠিক নয় বরং নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্যসূত্র ছাড়াই ভিত্তিহীনভাবে দীর্ঘদিন যাবত উক্ত দাবিটি ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে।
এবিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে ম্যান্ডেলার বিষয়ে আলোচিত পোস্টগুলোতে উল্লেখিত তথ্য পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম।
আলোচিত পোস্টগুলো থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, ‘নেলসন ম্যান্ডেলা প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর একদিন এক হোটেলে খেতে গিয়ে তার জেলে থাকার সময়ের একজন কারারক্ষীর সাথে দেখা হয়। তখন সেই ব্যক্তি ম্যান্ডেলাকে দেখে ভয় পেলেও ম্যান্ডেলা তাকে কাছে টেনে নেয় এবং একসাথে খাবার খায়। পরে বিষয়টি নিয়ে তার সাথের লোকজন প্রশ্ন করলে ম্যান্ডেলা তাদেরকে বলেন, ওই লোকটি তার(ম্যান্ডেলার) জেলে থাকার সময়ে গার্ড ছিলেন এবং পিপাসা পেলে তিনি ম্যান্ডেলাকে নিজের(গার্ড) প্রস্রাব খেতে দিতেন। অর্থাৎ, ম্যান্ডেলা এত বছর পর সুযোগ পেয়েও কোনো প্রতিশোধ না নিয়ে ওই ব্যক্তিকে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন বলেই পোস্ট গুলোতে উল্লেখ পাওয়া যায়।’
উক্ত পোস্টগুলোর তথ্য ধরে অনুসন্ধান
ম্যান্ডেলার বিষয়ে প্রচারিত এই পোস্টগুলোতে কোথাও ওই হোটেলটির নাম বা স্থান উল্লেখ করা হয়নি। এছাড়াও ঘটনার সময়কাল এবং সেসময় ম্যান্ডেলার সাথে যারা ছিল তাদের পরিচয় বা তাদের ব্যাপারে তেমন কিছু নির্দিষ্টভাবে বলা হয়নি। এমনকি সেখানে আলোচিত সেই কারারক্ষীর নাম বা তার ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো তথ্যও পাওয়া যায়নি।
নেলসন ম্যান্ডেলার বিষয়ে আলোচিত দাবিগুলো অনুসন্ধানে রিউমর স্ক্যানার টিম ওপেন সোর্স অনুসন্ধানে কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে উল্লিখিত দাবি সংক্রান্ত কোনো তথ্য খুঁজে পায়নি।
South African News Agency এর ওয়েবসাইটে ‘Nelson Mandela famous quotes’ সেকশনেও নেলসন ম্যান্ডেলাকে নিয়ে প্রচারিত এই বিষয়টি সম্পর্কিত কোনো তথ্যের উল্লেখ নেই।
Screenshot: SA news website
পরবর্তী অনুসন্ধানে নেলসন ম্যান্ডেলা ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষণ করেও এধরনের কোনো ঘটনার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি।
Nelson Mandela Foundation website
তবে প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড অনুসন্ধানের মাধ্যমে আফ্রিকা ভিত্তিক ফ্যাক্টচেক প্রতিষ্ঠান Africa Check এর ওয়েবসাইটে ২০২১ সালের ২০ এপ্রিল ‘Did Mandela invite the prison guard who used to urinate on his head to lunch? Facebook anecdote false’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত ম্যান্ডেলার কারারক্ষীর প্রস্রাব পান সম্পর্কিত একটি ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।
Screenshot: Africa Check
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, জোহানেসবার্গের নেলসন ম্যান্ডেলা ফাউন্ডেশনের আর্কাইভ অ্যাণ্ড রিসার্চ ডিরেক্টর রাজিয়া সালেহ আফ্রিকা চেককে উক্ত বিষয়ে বলেন, “এবিষয়ে আমাদের কাছে অসংখ্য প্রশ্ন এসেছে। আমরা এটিকে সত্য বলে মনে করি না।”
তিনি আরও বলেন, “মাদিবা(ম্যান্ডেলা) সবসময় বলতেন, জেলে কখনো তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়নি। এবং কারাগারে কখনো একজন কারারক্ষী বা অন্যকারো দ্বারা তাকে প্রস্রাব খেতে দেওয়া হয়নি।”
পাশাপাশি, নেলসন ম্যান্ডেলা ফাউন্ডেশন এই গল্পের উৎস বের করতে পারেনি। এছাড়াও এটা সত্য হওয়ারও কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
অর্থাৎ, উপরোক্ত বিষয়গুলো পর্যালোচনা করলে এটা প্রতীয়মান হয় যে, নেলসন ম্যান্ডেলাকে নিয়ে কারারক্ষীর প্রস্রাব পান সম্পর্কিত তথ্যগুলো বানোয়াট।
মূলত, সম্প্রতি ‘নেলসন ম্যান্ডেলা জেলে থাকাকালীন সময়ে পানি খেতে চাইলে যে কারারক্ষী তাকে প্রস্রাব খেতে দিত, তাকেই রেস্টুরেন্টে খাইয়েছিলেন ম্যান্ডেলা’ শীর্ষক দাবিতে একটি গল্প সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে। তবে ম্যান্ডেলাকে নিয়ে প্রচারিত এই গল্পটি ভুয়া। পূর্বে এই গল্পটি ছড়ানোর প্রেক্ষিতে নেলসন ম্যান্ডেলা ফাউন্ডেশন থেকে উক্ত গল্পটিকে মিথ্যা বলে জানানো হয়।
উল্লেখ্য, পূর্বেও বিভিন্ন দেশের বিখ্যাত রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের নিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হলে সেসময় বিষয়গুলো নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার। এমন কয়েকটি প্রতিবেদন দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।
সুতরাং, নেলসন ম্যান্ডেলাকে নিয়ে কারারক্ষীর প্রস্রাব পান সংক্রান্ত একটি গল্প ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং মিথ্যা।
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, @highlight কমেন্ট করে গোপনে কে ফেসবুক প্রোফাইলে ভিজিট করছে তা জানা সম্ভব নয় বরং এটি ফেসবুকের একটি নতুন ফিচার, যার মাধ্যমে ফেসবুকে কনটেন্ট হাইলাইট করা যায়।
@highlight মূলত কী? হাইলাইট ফেসবুকের নতুন একটি ফিচার। ফিচারটই বর্তমানে কিছু ফেসবুক আইডিতে ব্যবহার করা গেলেও অনেক আইডিতে এখনো এই ফিচার আসেনি।
পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, বর্তমানে চালু থাকা @friends এবং @everyone এর মতো @highlight প্রায় একই ধরনের একটি ফিচার। ফেসবুকে @ মূলত মেনশন করার সময় ব্যবহার করা হয়। ফেসবুকে @friends লিখে ফেসবুক বন্ধু তালিকার সকল সদস্যদের একত্রে মেনশন করা যায়। আবার ফেসবুক গ্রুপে @everyone লিখে গ্রুপের সকল সদস্যদেরএকত্রে মেনশন করা যায়।
ঠিক একইভাবে @highlight কমেন্টের মাধ্যমে নির্দিষ্ট কোনো ফেসবুক পোস্টকে হাইলাইট করা যায়। ফেসবুক কমেন্ট বক্সে @highlight টাইপ করার পর কিছু আইডিতে ‘can highlight your content once a week’ লেখা আসে। আবার ব্যতিক্রমি কিছু আইডিতে ‘can highlight your content 3 times a day’ লেখা আসে। কত বার করা যাবে তা নির্দিষ্টভাবে জানা না গেলেও, এই ফিচারের মাধ্যমে ফেসবুকে কনটেন্ট হাইলাইট করা যাবে তা স্পষ্ট।
লুকিয়ে আপনার ফেসবুক প্রোফাইল কে দেখছে তা কি জানা সম্ভব?
ফেসবুক হেল্প সেন্টারের প্রাইভেসি, সেফটি এবং সিকিউরিটি অংশে বলা হয়েছে, ‘ফেসবুক ব্যবহারকারীদের তাদের প্রোফাইল কে দেখছে তা ট্র্যাক করতে দেয় না। থার্ডপার্টি অ্যাপগুলোও এই কার্যকারিতা প্রদান করতে অক্ষম৷ আপনি যদি এমন একটি অ্যাপ দেখেন যা এই ক্ষমতার অফার করার দাবি করে, তাহলে অনুগ্রহ করে অ্যাপটি রিপোর্ট করুন।’
অর্থাৎ, ফেসবুক স্পষ্টভাবেই বলে রেখেছে কে বা কার আপনার ফেসবুক প্রোফাইল ভিজিট করছে তা জানার সুযোগ তারা দেয় না।
প্রায় একই ধরনের একটি দাবি পূর্বেও গণমাধ্যমের হাত ধরে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সে দাবিটি মিথ্যা প্রমাণ করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার টিম।
মূলত, ফেসবুক কমেন্টে ‘@highlight লেখার মাধ্যমে গোপনে কে ফেসবুক প্রোফাইল ভিজিট করে তা জানা যাবে’ দাবিতে একটি তথ্য ফেসবুক ছড়িয়ে পড়ে। উক্ত দাবির প্রেক্ষিতে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, দাবিটি সত্য নয়। @highlight ফেসবুকের একটি নতুন ফিচার। এই ফিচারের মাধ্যমে ফেসবুকে কনটেন্ট হাইলাইট করা যায়। এটি @friends ও @everyone এর মতই একটি ফিচার। তাছাড়া ফেসবুক হেল্প সেন্টারেও স্পষ্টভাবে বলা রয়েছে ফেসবুক প্রোফাইল কে ভিজিট করে তা কোনোভাবেই জানা সম্ভব নয়।
সুতরাং, @highlight কমেন্ট করে গোপনে কে ফেসবুক প্রোফাইলে ভিজিট করছে তা জানা যাওয়ার দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
সম্প্রতি, প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে গণমাধ্যম সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে যে, এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৮৭.৪৪ শতাংশ, যা আগের বছরের তুলনায় ৬.১৪ ভাগ কম এবং এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ শিক্ষার্থী।
এ বছর জিপিএ-৫ বাড়ার দাবিতে গণমাধ্যমের ফেসবুক পেজে প্রকাশিত ডিজিটাল ব্যানার দেখুন প্রতিদিনের বাংলাদেশ (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২ লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ জন নয় এবং পাশের হারও ৮৭.৪৪ শতাংশ নয়। প্রকৃতপক্ষে, চলতি বছর এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৮ জন শিক্ষার্থী এবং পাশের হার ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে রিউমর স্ক্যানার টিম চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত একাধিক প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য যাচাই করে দেখে।
এ নিয়ে ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের বাংলা সংস্করণে ২৮ জুলাই ‘এবার জিপিএ-৫ কমেছে ৮৬ হাজার ২৪’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, চলতি বছরের (২০২৩) মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় সারা দেশে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৮ জন শিক্ষার্থী। গত বছর ২ লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন। গত বছরের চেয়ে এ বছর ৮৬ হাজার ২৪ জন কম জিপিএ-৫ পেয়েছেন।
Screenshot: Daily Star Bangla
প্রতিবেদনটি থেকে আরও জানা যায়, এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
পাশাপাশি আরেক জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোতে একই দিনে ‘এসএসসিতে এবার পাসের হার ও জিপিএ-৫ কত কমল’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ‘এ বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ দুটোই কমেছে। এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গড়ে পাস করেছে ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ শিক্ষার্থী। গতবার (২০২২ সালে) পাসের হার ছিল ৮৭ দশমিক ৪৪। এবার মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৮ জন। ২০২২ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২ লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ জন। ২০২২ ও ২০২৩ সালের পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ কমেছে।’
Screenshot: Daily Prothom Alo
চলতি বছরের এসএসসির ফলাফলে পাশের হার ও জিপিএ-৫ কমা নিয়ে অন্যান্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন
অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে, ২০২৩ সালে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে পাশের হার ও জিপিএ-৫ দুইটিই গত বছরের তুলনায় কমেছে।
মূলত, ২৮ জুলাই (শুক্রবার) চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এরপর কতিপয় গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাবি করা হয়, চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৮৭.৪৪ শতাংশ এবং এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ শিক্ষার্থী। তবে অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রকৃতপক্ষে চলতি বছর এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৮ জন শিক্ষার্থী এবং পাশের হার ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ। মূলত, ২০২২ সালের এসএসসির ফলাফলকেই চলতি বছরের ফলাফল হিসেবে গণমাধ্যমটিতে প্রচার করা হয়েছে।
সুতরাং, এসএসসি ২০২৩ এর পাশের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের সংখ্যা নিয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত তথ্যগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা।
সম্প্রতি, চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট দলের পেসার মারুফা আকতার ৪.৬ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন শীর্ষক দাবিতে একটি তথ্য গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের ক্রিকেটার মারুফা আকতার ৪.৬ (৪.৬০) নয় বরং বিকেএসপি থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মারুফা ৪.০৬ পেয়েছেন।
তথ্যটির সত্যতা যাচাইয়ে কি ওয়ার্ড অনুসন্ধানের মাধ্যমে ২৮ জুলাই অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোস্টে “এসএসসি: মাঠের বাইরেও সাফল্য পেলেন অদম্য মারুফা” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।
Screenshot: Dhaka Post
প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় ৪.০৬ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের পেসার মারুফা আকতার। বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) থেকে মানবিক বিভাগে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলেন তিনি।
পরবর্তীতে দাবিটি নিয়ে অধিকতর সত্যতা যাচাইয়ে এই প্রতিবেদনটির প্রতিবেদক ঢাকা পোস্টের রংপুর জেলা প্রতিনিধি মুহাম্মদ শরীফুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। তার সূত্রে ক্রিকেটার মারুফার এসএসসির ফলাফলের একটি কপি খুঁজে পাওয়া যায়।
এই ফলাফল থেকে জানা যায়, মারুফা আক্তার মানবিক শাখা থেকে জিপিএ ৪.০৬ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
Image: Marufa Akter’s Marksheet
বিষয়টি নিয়ে আরও নিশ্চিত হতে মারুফা আকতারের ভাই আল আমিন ইসলামের সঙ্গেও যোগাযোগ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। তিনি রিউমর স্ক্যানারকে, মারুফা আকতার এসএসসিতে ৪.০৬ পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন
মূলত, ২৮ জুলাই মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। এই পরীক্ষায় বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি)’র শিক্ষার্থী হিসেবে মানবিক বিভাগ থেকে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের পেসার মারুফা আকতার জিপিএ ৪.০৬ অর্জন করেন। তবে তার এই ফলাফলকেই কতিপয় গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জিপিএ ৪.৬ দাবিতে সংবাদ প্রকাশ করা হয়।
সুতরাং, নারী ক্রিকেট দলের পেসার মারুফা আকতার ৪.৬ পেয়ে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ছবিগুলো সাম্প্রতিক সময়ে ক্যামেরুনে ভবন ধসের ঘটনার নয় বরং পূর্বের ভিন্ন ভিন্ন ঘটনার পুরোনো ছবিকে ক্যামেরুনের সাম্প্রতিক ঘটনার দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।
ছবিটির মূল সূত্রের বিষয়ে অনুসন্ধানে ছবি শেয়ারিং এবং স্টোরেজ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান iStock এর ওয়েবসাইটে ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়।
Screenshot: iStock
ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২ ডিসেম্বর ছবিটি ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়।
অর্থাৎ, ছবিটি অন্তত চার বছরের পুরোনো।
ছবি যাচাই- ২
এই ছবিটি ব্যবহার করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ডেইলি বাংলাদেশ।
কিন্তু ছবিটি উক্ত ঘটনার নয়।
ছবিটির মূল সূত্রের বিষয়ে অনুসন্ধানে নাইজেরিয়া ভিত্তিক গণমাধ্যম Punchng এ ২০১৯ সালের ২৯ জুলাই প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে আলোচিত ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়।
Screenshot: Punchng
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৯ জুলাই লাগোস মেইমল্যান্ডের বারিগা এলাকায় আংশিক ধসে পড়া দুই তলা ভবন থেকে এক বাড়িওয়ালা ও যমজ মেয়েসহ চার শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে।
ছবিটির মূল সূত্রের বিষয়ে অনুসন্ধানে ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এর ওয়েবসাইটে আলোচিত ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়।
Screenshot: Reuters
ছবিটির ক্যাপশন থেকে জানা যায়, গত ০১ জুলাই আইভরি কোস্টের আবিদজানে নির্মাণাধীন একটি ভবন ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপের ঘটনার ছবি।
অর্থাৎ, ছবিটি সাম্প্রতিক সময়ের ক্যামেরুনের ঘটনার নয়।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে আলোচিত ছবিগুলোর ক্যাপশনে ফাইল ফটো বা পুরোনো ছবি শীর্ষক কোনো তথ্য উল্লেখ করা হয়নি বরং কিছু গণমাধ্যম ছবিগুলো সংগৃহীত এবং কোনো কোনো গণমাধ্যম ছবির ক্যাপশনে কোনো তথ্য উল্লেখ করা হয়নি। সাম্প্রতিক ঘটনার বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ছবিগুলো ব্যবহার করে সংগৃহীত উল্লেখ কিংবা কোনো তথ্য উল্লেখ না থাকায় স্বাভাবিকভাবেই ছবিগুলো ক্যামেরুনের সাম্প্রতিক ভবন ধসের ঘটনার বলে প্রতীয়মান হয়। এতে করে নেটিজেনদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হওয়া অমূলক নয়।
মূলত, গত ২৩ জুলাই ক্যামেরুনে ভবন ধসের ঘটনায় দেশীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ক্যামেরুনের ঘটনার দাবিতে চারটি ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। তবে, রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ছবিগুলো উক্ত ঘটনার নয়। নাইজেরিয়া এবং আইভরি কোস্টসহ ভিন্ন ভিন্ন দেশের ও ঘটনার ছবিকে ক্যামেরুনের সাম্প্রতিক ভবন ধসের ঘটনার খবরে ব্যবহার করা হয়েছে। প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোতে আলোচিত ছবিগুলোর ক্যাপশনে ফাইল ফটো বা পুরোনো ঘটনার ছবি শীর্ষক কোনো তথ্যও দেওয়া হয়নি। এতে করে স্বাভাবিকভাবে ছবিগুলো ক্যামেরুনের সাম্প্রতিক ঘটনার বলে প্রতীয়মান হয়, যা বিভ্রান্তির জন্ম দিয়েছে।
সুতরাং, ক্যামেরুনের সাম্প্রতিক ভবন ধসের ঘটনায় বাংলাদেশের গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে একাধিক পুরোনো ছবিকে সাম্প্রতিক দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।
সম্প্রতি, ভারতের মণিপুর রাজ্যে দুই নারী হেনস্তার শিকার হওয়ার ঘটনায় বলিউড নায়ক অক্ষয় কুমার ভিডিও প্রকাশ করে প্রতিবাদ করেছেন শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও ইউটিউব এবং ফেসবুকে প্রচারিত হচ্ছে।
রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, অক্ষয় কুমার ভারতের মণিপুর রাজ্যের দুই নারীকে হেনস্তার ঘটনায় ভিডিও বার্তার মাধ্যমে প্রতিবাদ করেননি বরং পূর্বের ভিন্ন ঘটনায় অক্ষয় কুমার কর্তৃক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিও ব্যবহার করে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে। তবে অক্ষয় এক টুইটের মাধ্যমে সাম্প্রতিক ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
ভিডিওটির কিছু কিফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে অনুসন্ধান করে ‘Akshay Kumar’ এর টুইটার অ্যাকাউন্টে ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি প্রকাশিত একটি ভিডিওর সাথে উক্ত দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত ভিডিওটির মিল খুঁজে পাওয়া যায়।
Image Comparison by Rumor Scanner
অক্ষয় কুমার সেদিন ভারতের বেঙ্গালুরুতে শ্লীলতাহানির ঘটনায় নিজের টুইটার আক্যাউন্টে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানান।
তবে অক্ষয় তার টুইটার অ্যাকাউন্টে মনিপুরে দুইজন নারীকে হেনস্তা নিয়ে গত ২০ জুলাই একটি টুইট পোস্ট করেন। কিন্তু সেখানে তিনি কোনো ভিডিও যুক্ত করেননি।
Screenshot from Twitter
মূলত, গত ১৯ জুলাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মণিপুরের রাস্তায় দুইজন নারীকে একদল লোক যৌন হয়রানি করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি ইন্টারনেটে বলিউড নায়ক অক্ষয় কুমার ভিডিও প্রকাশ করে প্রতিবাদ করেছেন শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও প্রচারিত হয়। তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, উক্ত ঘটনায় অক্ষয় কোনো ভিডিও প্রকাশ করেনি বরং পূর্বের ঘটনায় করা ভিডিও ব্যবহার করে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ১৯ জুলাই ভারতের মণিপুরের রাস্তায় কুকি-জোমি সম্প্রদায়ের দু’জন নারীকে নগ্ন করে একদল লোকের দ্বারা যৌন লাঞ্ছনা করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে তা পুরো ভারতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়।
প্রসঙ্গত, পূর্বে বলিউড নায়ক অক্ষয় কুমার ফিলিস্তিনকে সমর্থন করেছেন দাবিতে এডিটেড ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে তা শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।
সুতরাং, মণিপুর রাজ্যে দুই নারী হেনস্তার শিকার হওয়ার ঘটনায় অক্ষয় কুমার ভিডিও প্রকাশ করে প্রতিবাদ করেছেন শীর্ষক একটি দাবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।
সম্প্রতি “পোল্যান্ডের ফুটবলার রবার্ট লেভানদোভস্কি জাতীয় দলে তার ফুটবল ক্যারিয়ার ডিফেন্ডার হিসেবে শুরু করেছিলেন” শীর্ষক দাবিতে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচারিত হয়েছে।
ইউটিউবে প্রচারিত এমনকিছু ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, পোল্যান্ডের ফুটবল তারকা রবার্ট লেভানদোভস্কি জাতীয় দলে তার ফুটবল ক্যারিয়ার রক্ষণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে শুরু করেননি বরং তিনি সেন্টার ফরওয়ার্ডের খেলোয়াড় হিসেবে জাতীয় দলে খেলা শুরু করেছিলেন।
প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ অনুসন্ধানের মাধ্যমে, ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ ভিত্তিক ক্রীড়া গণমাধ্যম ‘Premierseason’ এ ২০২১ সালের ১২ অক্টোবর “Poland debut as a defender? That’s behind this picture” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।
Screenshot from ‘Premierseason’
প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, ২০০৮ সালের ১০ সেপ্টেম্বর সান মারিনোর বিপক্ষে পোল্যান্ডের হয়ে রবার্ট লেওয়ানডোস্কি জাতীয় দলের হয়ে প্রথম খেলতে নামেন। সেই খেলায় ম্যাচের ৫৯ মিনিটে জেহনার মারেক সাগানভস্কি এর বিকল্প হিসেবে লেভানদোভস্কি মাঠে নামেন। কিন্তু টেলিভিশন সম্প্রচারে পর্দার স্ক্রলে লেভানদোভস্কির নামের পাশে ভুলবশত ‘ডিফেন্ডার’ ট্যাগ দেখানো হয়।
এছাড়া, আফ্রিকা ভিত্তিক গণমাধ্যম ‘Opera News’ এ “How Robert Lewandowski was announced as a Defender on his International debut” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য জানা যায়।
Screenshot from Opera news
পরবর্তীতে বিষয়টি অধিকতর নিশ্চিতের জন্য, জার্মান ভিত্তিক ফুটবলের পরিসংখ্যান নিয়ে কাজ করা ওয়েবসাইট ‘Transfermarkt’ এ ২০০৮ সালের ১০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত সান মারিনো বনাম পোল্যান্ডের ফুটবল ম্যাচের লাইনআপের বিস্তারিত তথ্য পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম।
Screenshot from ‘Transfermarkt’
এই ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্যমতে, সেই খেলায় পোল্যান্ড ফুটবল দলের লাইনআপের সেন্টার ফরওয়ার্ডে রবার্ট লেভানদোভস্কির নাম পাওয়া যায়।
তাছাড়া, ‘Transfermarkt’ এর তথ্যানুযায়ী ২০০৮ সালের ১০ সেপ্টেম্বর সান মারিনো বনাম পোল্যান্ডের সেই ম্যাচে রবার্ট লেভানদোভস্কি ৫৯ মিনিটে যার (জেহনার মারেক সাগানভস্কি) বিকল্প হিসেবে মাঠে নামেন তিনিও সেই ম্যাচে সেন্টার ফরওয়ার্ড পজিশনে খেলেছিলেন।
Screenshot from ‘Transfermarkt’
অর্থাৎ, জেহনার মারেক সাগানভস্কির সেন্টার ফরওয়ার্ডের পজিশন পূরণ করার জন্যই ৫৯ মিনিটে রবার্ট লেভানদোভস্কিকে মাঠে নামানো হয়।
মূলত, ২০০৮ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ফুটবল তারকা রবার্ট লেভানদোভস্কির সান মারিনোর বিপক্ষে খেলায় অংশগ্রণের মাধ্যমে পোল্যান্ড ফুটবল টিমে অভিষেক হয়। সেই খেলায় ম্যাচের ৫৯ মিনিটে সেন্টার ফরওয়ার্ডের জেহনার মারেক সাগানভস্কি এর বিকল্প খেলোয়াড় হিসেবে লেভানদোভস্কি মাঠে নামেন। সম্প্রতি লেভানদোভস্কি জাতীয় দলে তার ফুটবল ক্যারিয়ার ‘ডিফেন্ডার’ হিসেবে শুরু করেছিলেন শীর্ষক দাবিটি ইন্টারনেটে প্রচার করা হলে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ২০০৮ সালের সান মারিনো বনাম পোল্যান্ডের ম্যাচের ৫৯ মিনিটে জেহনার মারেক সাগানভস্কি এর পরিবর্তে লেভানদোভস্কি মাঠে নামার সময় টেলিভিশন সম্প্রচারে পর্দার স্ক্রলে তার নামের পাশে ভুলে ‘ডিফেন্ডার’ ট্যাগ দেখানো হয়। সে থেকেই তার অভিষেকের পজিশন নিয়ে এই ভুল তথ্যের সূত্রপাত।
প্রসঙ্গত, পূর্বেও ব্রাজিল ও নেইমারকে নিয়ে রবার্ট লেভানদোভস্কির ভুয়া মন্তব্য প্রচার করার প্রেক্ষিতে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।
সুতরাং, পোল্যান্ডের ফুটবল খেলোয়াড় রবার্ট লেভানদোভস্কি জাতীয় দলের ফুটবল ক্যারিয়ার ‘ডিফেন্ডার’ হিসেবে শুরু করেছিলেন দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত তথ্যটিসম্পূর্ণ মিথ্যা।
সম্প্রতি, ‘সাবেক দুই প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ ৪ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির মার্কিন ভিসা বাতিল!’ শীর্ষক দাবিতে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।
ব্যক্তি চারজন হলেনঃ
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবুদ্দিন আহমদ
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান
এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, দুই সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার সহ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্যের যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বাতিল হয়নি। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করলেও এই নীতির আওতায় এখন পর্যন্ত কাউকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি। কোনো তথ্যসূত্র ছাড়াই এই চার ব্যক্তির ভিসা নিষেধাজ্ঞার ভিত্তিহীন দাবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।
দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক কোনো গণমাধ্যমে প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড অনুসন্ধানে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক কোনো গণমাধ্যমে দুই সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবুদ্দিন আহমদ, কে এম নুরুল হুদা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য মোহাম্মদ আখতারুজ্জামানের আমেরিকার ভিসা বাতিল সংক্রান্ত কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।
পরবর্তীতে তাদের আমেরিকান ভিসা বাতিলের দাবিটি সম্পর্কে অধিকতর অনুসন্ধানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট বা রাজস্ব বিভাগের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের Sanction Programs and Information সেকশনে উক্ত বিষয়ে কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।
Screenshot: U.S. Department of the treasury
বরং সবশেষ প্রকাশিত স্যাংশন বা ভিসা বাতিলের তথ্য সমূহ যাচাই করে দেখা যায়, দেশটি গত ২৪ জুলাই আফ্রিকান দেশ মালিতে রাশিয়ান ভাড়াটে সেনা ওয়াগনার গ্রুপের উপস্থিতি সহজতর ও প্রসারিত করার জন্য সহায়তার অভিযোগে মালির তিন নাগরিকের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এছাড়া গত ২০ জুলাই ওয়েবসাইটটিতে রাশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কিরগিজস্তানের ১২০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের উপর নিষেধাজ্ঞার একটি বিজ্ঞপ্তিও খুঁজে পাওয়া যায়।
পাশাপাশি সম্প্রতি বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে ভিসা নীতি ঘোষণা করা মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিনকেনের ভ্যারিফাইড টুইটার অ্যাকাউন্ট ঘুরেও আলোচিত চার ব্যক্তির যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা সম্পর্কে কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তবে তার টুইটার অ্যাকাউন্টে গত ২০ ও ২৪ জুলাই আরোপিত দুইটি নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তথ্য পাওয়া যায়। সাধারণত, যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক কোন দেশের নাগরিক বা প্রতিষ্ঠানের উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলে অ্যান্থনি ব্লিনকেন সে বিষয় নিয়ে টুইট প্রকাশ করে থাকেন।
Image Collage: Rumor Scanner
এছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের টুইটার অ্যাকাউন্ট ঘুরে দেখা যায়, তিনিও মালির তিন নাগরিকের উপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিয়েও টুইট করেছেন।
Screenshot: Matthew Millar Twitter
পাশাপাশি সাম্প্রতিক কম্বোডিয়ার নির্বাচনকে ঘিরে দেশটিতে গণতন্ত্রের মর্যাদা নষ্ট করার মতো পরিস্থিতির সঙ্গে যাঁরা জড়িত, তাঁদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে গত ২৩ জুলাই একটি টুইট করেন ম্যাথিউ মিলার।
Screenshot: Matthew Millar Twitter
এর বাইরে তার টুইটার অ্যাকাউন্টে বাংলাদেশের কারো উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে গত ২৪ জুলাই ম্যাথিউ মিলার বলেন, যাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়, যুক্তরাষ্ট্র তাদের নাম প্রকাশ করে না। তবে নিষেধাজ্ঞায় পড়া অফিসিয়াল বা সরকারি ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করে।
Screenshot: state.gov, USA
যেহেতু যুক্তরাষ্ট্র যাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়, তাদের মধ্যে অফিসিয়াল বা সরকারি ব্যক্তি ছাড়া অন্য কারো নাম প্রকাশ করে না সেহেতু দুই সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার সহ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য সরকারি অফিসিয়াল হওয়ায় তাদের ভিসা বাতিল হলে দেশটি নাম প্রকাশ করতো অথবা যদি নাম প্রকাশ নাও করে তাহলেও যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন ছাড়া অন্য কারো পক্ষে তাদের ভিসা বাতিলের বিষয়টি জানা সম্ভব নয়। অর্থাৎ তাদের আমেরিকার ভিসা বাতিলের দাবিটি কোনো ধরনের তথ্যসূত্র ছাড়াই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দেশীয় একাধিক গণমাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামানের কানাডার ভিসা না পাওয়ার একটি তথ্য প্রচার করা হয়। গণমাধ্যমের এসব প্রতিবেদন অনুযায়ী, কানাডায় অনুষ্ঠিত একটি কনফারেন্সে যোগ দিতে ভিসার আবেদন করেছিলেন ঢাবি উপাচার্য। কিন্তু আবেদনের এক মাস পরেও তিনি দেশটির ভিসা পাননি।
তবে ভিসা না পাওয়ার বিষয়ে অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি ভিসার জন্য আবেদন করেছি। বাকিটা কানাডিয়ান হাইকমিশনের বিষয়। এটি এখনো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ওয়েবসাইটে নোটিফিকেশন বলা আছে, তিন মাস সময় লাগতে পারে। যেহেতু মাত্র এক মাস হয়েছে এখনই কাউকে দোষারোপ করতে পারছি না।’
Screenshot: Jugantor
মূলত, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আমেরিকার ভিসা নীতি ঘোষণার প্রেক্ষিতে সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন সরকারি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের মার্কিন ভিসা বাতিলের একাধিক ভিত্তিহীন দাবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় দুইজন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্যের আমেরিকার ভিসা বাতিলের একটি দাবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়। তবে অনুসন্ধানে পূর্বের দাবিগুলোর মতোই উক্ত দাবিটিও গুজব বলে প্রতীয়মান হয়।
উল্লেখ্য, ইতোপূর্বেও সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির আমেরিকার ভিসা বাতিলের দাবিকে গুজব হিসেবে চিহ্নিত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার টিম।
সুতরাং, দুই সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্যের আমেরিকার ভিসা বাতিলের দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
সম্প্রতি, গণমাধ্যমের ওয়েবসাইটের আদলে ‘জামায়াতের রাজনীতিতে কোনো বাধা দেওয়া হবে না: প্রধানমন্ত্রী‘ শীর্ষক শিরোনাম সম্বলিত একটি স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ‘জামায়াতের রাজনীতিতে কোনো বাধা দেওয়া হবে না: প্রধানমন্ত্রী’ শীর্ষক দাবিতে প্রচারিত স্ক্রিনশটটি এডিটেড। মূলত প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে জামায়াত এবং বিএনপি উভয় দলের কথাই উল্লেখ ছিল। বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল নিউজ২৪ এর ওয়েবসাইটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য নিয়ে ‘বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতিতে কোনো বাধা দেওয়া হবে না: প্রধানমন্ত্রী’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের শিরোনাম বিকৃত করে উক্ত স্ক্রিনশটটি তৈরী করা হয়েছে।
অনুসন্ধানের শুরুতে কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে মূলধারার গণমাধ্যম NEWS24 এর অনলাইন সংস্করণে গত ২০ জুলাই ‘বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতিতে কোনো বাধা দেওয়া হবে না: প্রধানমন্ত্রী’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।
Screenshot: NEWS24
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বিএনপি ও জামায়াতের রাজনীতিতে কোনো বাধা দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে অতীতের মতো কোনো ধ্বংস ও সন্ত্রাস করতে গেলে ধরে ধরে কঠোর সাজা নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।’
রিউমর স্ক্যানার যাচাই করে দেখেছে, নিউজ টোয়েন্টিফোর এর শিরোনামে উল্লেখিত প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য থেকে ‘বিএনপি’ অংশটুকু বাদ দিয়ে উক্ত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে।
Image Comparison by Rumor Scanner
অর্থাৎ, নিউজ২৪ এর হেডলাইনটি বিকৃত করে উক্ত স্ক্রিনশটটি তৈরী করা হয়েছে।
পাশাপাশি একই বিষয়ে মূলধারার সংবাদমাধ্যম গণমাধ্যম বা আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট সূত্রেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুধুমাত্র জামায়াতকে নিয়ে এরূপ মন্তব্যের বিষয়ে উল্লেখ পাওয়া যায়নি বরং সেসব সূত্রগুলোতে বিএনপির কথাটিও উল্লেখ ছিল।
মূলত, দেশের মূলধারার গণমাধ্যম NEWS24 এর অনলাইন সংস্করণে গত ২০ জুলাই ‘বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতিতে কোনো বাধা দেওয়া হবে না: প্রধানমন্ত্রী’ শীর্ষক শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে উক্ত প্রতিবেদনের শিরোনামটিকে বিকৃত করে ‘জামায়াতের রাজনীতিতে কোনো বাধা দেওয়া হবে না: প্রধানমন্ত্রী’ শীর্ষক শিরোনামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, পূর্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জড়িয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুল তথ্য প্রচার করা হলে সেসময় বিষয়গুলো নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার। এমন কয়েকটি প্রতিবেদন দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।
সুতরাং, জামায়াতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত এই স্ক্রিনশটটি এডিটেড।