Home Blog Page 582

বাংলাদেশের নয়, চীনের ২৫ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

সম্প্রতি, ২৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দাবিতে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।

নিষেধাজ্ঞা

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ)  এবং পোস্ট (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সম্প্রতি বাংলাদেশের ২৫ প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দেয়নি বরং গত ০৩ অক্টোবর চীনের ২৫ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

গুজবের সূত্রপাত

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে কিওয়ার্ড সার্চ করে কোন দেশের ঘটনা তা উল্লেখ না করে ২৫ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া সংক্রান্ত সমজাতীয় শিরোনামে দেশের একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত আলোচিত সংবাদটি খুঁজে পাওয়া যায়।

এমন কিছু প্রতিবেদন দেখুন কালবেলা, সমকাল, যুগান্তর, বাংলানিউজ ২৪, বাংলাভিশন, দেশ রুপান্তর, ঢাকা পোস্ট, পূর্বপশ্চিম, সাম্প্রতিক দেশকাল, বাংলা ইনসাইডার, সোনালি নিউজ

প্রতিবেদনগুলোর বিস্তারিত অংশে বলা হয়, চীনের ২৫ প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে গত ০৩ অক্টোবর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বেদনানাশক বা চেতনানাশক ওষুধ ফেনটানাইল উৎপাদনে ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থ তৈরির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। চীনের ১২ প্রতিষ্ঠান, ১৩ ব্যক্তি ছাড়াও কানাডার দুটি প্রতিষ্ঠান ও এক ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগের ওয়েবসাইটে গত ০৩ অক্টোবর প্রকাশিত এ সংক্রান্ত আলোচিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি খুঁজে পাওয়া যায়, যার সাথে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদগুলোর মিল রয়েছে।

Screenshot: U.S. Department of The Treasury

একই সংবাদ বিজ্ঞপ্তির বরাতে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। দেখুন BBC NEWS, AP, REUTERS, FINANCIAL TIMES। 

কিন্তু দেশীয় কতিপয় গণমাধ্যমের এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনের শিরোনামে স্থান বা দেশ উল্লেখ না থাকায় সেই সংবাদটির লিংক গণমাধ্যমগুলোর ফেসবুক পেজে প্রকাশের পর শুধু শিরোনাম দেখে পাঠকরা বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বলে ধরে নিয়েছেন, বাংলাদেশ কেন্দ্রিক মন্তব্যও করেছেন, যা স্পষ্ট বিভ্রান্তির শামিল। এমন কয়েকটি কমেন্ট দেখুন-

Facebook Comment Collage by Rumor Scanner

অর্থাৎ, চীনের ২৫ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে বাংলাদেশের কতিপয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে দেশের নাম উল্লেখ না করায় বিষয়টি বাংলাদেশের ২৫ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা দাবিতে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

এছাড়া, ওবায়দুল কাদেরের মন্তব্যের বিষয়ে প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড অনুসন্ধানের মাধ্যমে মূলধারার গণমাধ্যম প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণে গত ০৩ অক্টোবর ‘তলেতলে সবার সঙ্গে আপস হয়েছে, যথাসময়ে নির্বাচন: ওবায়দুল কাদের’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ০৩ অক্টোবর তলেতলে সবার সঙ্গে আপস হয়ে গেছে জানিয়ে নেতা-কর্মীদের নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘তলেতলে আপস হয়ে গেছে। আমেরিকার দিল্লিকে দরকার। দিল্লি আছে, আমরাও আছি। শেখ হাসিনা সবার সঙ্গে ভারসাম্য করে ফেলেছেন। আর কোনো চিন্তা নেই। যথাসময়ে নির্বাচন হবে।’

পরবর্তীতে ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের পর চীনের ২৫ প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার সংবাদে দেশটির নাম উল্লেখ না করে প্রচার করায় বিষয়টি নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়।

পাশাপাশি, গণমাধ্যম বা সংশ্লিষ্ট অন্যকোনো সূত্রে বাংলাদেশের ২৫ প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার বিষয়ে কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

মূলত, বেদনানাশক বা চেতনানাশক ওষুধ ফেনটানাইল উৎপাদনে ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থ তৈরির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ০৩ অক্টোবর চীনের ২৫ প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। পরবর্তীতে বাংলাদেশের কতিপয় গণমাধ্যমে এ বিষয়ে প্রকাশিত সংবাদের  শিরোনামে দেশটির নাম উল্লেখ না করায় বিষয়টি নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। এরপরই বিষয়টি বাংলাদেশের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার গত ২২ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। তবে এখনও পর্যন্ত বিজ্ঞপ্তিতে ভিসা নীতির আওতায় নিষেধাজ্ঞায় পড়া ব্যক্তিদের নাম বা তালিকা প্রকাশ করেনি যুক্তরাষ্ট্র।

উল্লেখ্য, পূর্বেও বিভিন্ন ব্যক্তির ওপর মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচারের প্রেক্ষিতে একাধিক ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার। এমন কয়েকটি প্রতিবেদন দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে

সুতরাং, চীনের ২৫ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞার একটি খবরকে বাংলাদেশে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

এস এ টিভি’র ফটোকার্ড নকল করে তারেক রহমান ও পিনাকী ভট্টাচার্যের মার্কিন ভিসা বিষয়ে ভুয়া তথ্য প্রচার

সম্প্রতি, “তারেক রহমান ও পিনাকী ভট্টাচার্যকে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র” শীর্ষক শিরোনামে মূলধারার টেলিভিশন চ্যানেল এস এ টিভি’র ফটোকার্ডের ডিজাইন সম্বলিত একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

তারেক রহমান

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও অনলাইন এক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্যকে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষক দাবিতে এস এ টিভি কোনো ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি বরং ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

ফটোকার্ড যাচাই

অনুসন্ধানের শুরুতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। ফটোকার্ডটিতে এস এ টিভি’র লোগোর উপস্থিতির সূত্র ধরে এস এ টিভি’র ফেসবুক পেজে অনুসন্ধান চালায় রিউমর স্ক্যানার টিম। কিন্তু, এস এ টিভি’র ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে অনুসন্ধান চালিয়ে উক্ত শিরোনামের কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি।

তবে, এস এ টিভি’র ফেসবুক পেজ থেকে প্রচারিত ফটোকার্ডের সাথে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত আলোচিত ফটোকার্ডের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে কিছু অসঙ্গতি খুঁজে পায় রিউমর স্ক্যানার টিম।

Indication by Rumor Scanner

এস এ টিভি’র প্রচলিত ফটোকার্ডের উপরের অংশে প্রকাশের তারিখ লেখা থাকলেও  আলোচিত ফটোকার্ডটিতে প্রকাশের তারিখ লেখা নেই।পাশাপাশি, এস এ টিভি’র প্রচলিত ফটোকার্ডের ফন্টের সাথে সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত ফটোকার্ডের ফন্টের ভিন্নতা  খুঁজে পাওয়া যায়। এছাড়া এস এ টিভি’র ফেসবুক পেজে প্রচারিত সাদা বেকগ্রাউন্ড এর ফটোকার্ডগুলোর শিরোনাের ফন্ট কালার লাল হলেও আলোচিত ফটোকার্ডটির শিরোনামের ফন্ট কালার কালো।

Photocard Comparison by Rumor Scanner 

অর্থাৎ, উপরোক্ত তথ্য থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে এস এ টিভি’র ফেসবুক পেজের ফটোকার্ড এডিট করেই আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

তথ্য যাচাই

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও অনলাইন এক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্যকে যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কিনা এ বিষয়ের সত্যতা যাচাইয়ে কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে দৈনিক যুগান্তরে গত ২৪ সেপ্টেম্বর “যে কারণে ভিসা নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্তদের নাম প্রকাশ করে না যুক্তরাষ্ট্র” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। 

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গণতন্ত্র ও নির্বাচনি প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের ওপর আনুষ্ঠানিক ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ওয়াশিংটন। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। তবে কোনো ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেনি যুক্তরাষ্ট্র।

কেন ভিসা নিষেধাজ্ঞা ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করা হয় না- এ বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু বলেন, ভিসানীতির আওতায় ভিসা নিষেধাজ্ঞা যাদের দেওয়া হবে, তাদের নাম প্রকাশ করা হয় না। কারণ কাউকে ভিসা না দেওয়াসহ যে কোনো ভিসা রেকর্ড মার্কিন আইন অনুযায়ী গোপনীয় তথ্য।

তিনি আরও বলেন, সাক্ষ্যপ্রমাণ ভালোভাবে পর্যালোচনা করার পর আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

অর্থাৎ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিসানীতিতে নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্তদের নাম প্রকাশ করে না।

মূলত, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার গত ২২ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই মূলধারার গণমাধ্যম এস এ টিভি’র একটি ফটোকার্ড নকল করে “তারেক রহমান ও পিনাকী ভট্টাচার্যকে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র” শীর্ষক ভুয়া দাবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি প্রথম আলো’র ফটোকার্ড নকল করে তারেক রহমান ও পিনাকী ভট্টাচার্যকে যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দাবিতে দেশটির রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের নামে ভুয়া মন্তব্য প্রচার করা হলে সে বিষয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার। 

সুতরাং, এস এ টিভিকে উদ্ধৃত করে “তারেক রহমান ও পিনাকী ভট্টাচার্যকে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র” শীর্ষক দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত তথ্যটি মিথ্যা এবং উক্ত দাবিতে প্রচারিত ফটোকার্ডটি এডিটেড বা বিকৃত।

তথ্যসূত্র

ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলনের সীমা বেঁধে দেওয়ার খবরটি ভারতের

0

সম্প্রতি, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলনের সীমা বেঁধে দেওয়া সংক্রান্ত একটি খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করে একাধিক পোস্টে ঘটনাটি বাংলাদেশের দাবি করে এ বিষয়ে সমালোচনা করা হচ্ছে।

ব্যাংক অ্যাকাউন্ট

উক্ত দাবিতে ফেসবুকের কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলনের সীমা বেঁধে দেওয়ার খবরটি বাংলাদেশের নয় বরং ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক জারিকৃত একটি বিজ্ঞপ্তিকে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে কিওয়ার্ড সার্চ করে কোন দেশের ঘটনা তা উল্লেখ না করে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলনের সীমা বেঁধে দেওয়া সংক্রান্ত সমজাতীয় শিরোনামে দেশের একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত আলোচিত সংবাদটি খুঁজে পাওয়া যায়। 

এমন কিছু প্রতিবেদন দেখুন জনকণ্ঠ, রিদ্মিক নিউজ, জুম বাংলা, শেয়ার নিউজ২৪

Screenshot: Google

সংবাদগুলোর বিস্তারিত অংশ পড়ে জানা যাচ্ছে, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলার সীমা নির্ধারণ করার ঘটনাটি ভারতের। এই বিধিনিষেধের অধীনে, একজন গ্রাহক অ্যাকাউন্ট থেকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা তুলতে পারবেন। গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে।

উক্ত প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়েছে, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক এবং পাঞ্জাব ও সিন্ধু ব্যাঙ্ককে সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার দ্বারা ভারী জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে কালার মার্চেন্টস সমবায় ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আহমেদাবাদের কালার মার্চেন্টস কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্কের আর্থিক পরিস্থিতি বিচার করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।

ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে। এই নিষেধাজ্ঞা আগামী ৬ মাস বলবৎ থাকবে। 

অন্যদিকে, আরবিআই -এর তরফে জানানো হয়েছে, এই ব্যাংকের গ্রাহকরা মোট সঞ্চয় থেকে ৫০ হাজার টাকার বেশি তুলতে পারবেন না।

পরবর্তীতে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক, Reserve Bank of India এর ওয়েবসাইটে গত ২৫ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত এ সংক্রান্ত আলোচিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি খুঁজে পাওয়া যায়, যার সাথে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদগুলোর মিল রয়েছে।

Screenshot: RBI

একই সংবাদ বিজ্ঞপ্তির বরাতে ভারতীয় গণমাধ্যমেও সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।  দেখুন DNA India, এই সময়। 

কিন্তু দেশীয় কতিপয় গণমাধ্যমের এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনের শিরোনামে স্থান বা দেশ উল্লেখ না থাকায় সেই সংবাদটির লিংক গণমাধ্যমগুলোর ফেসবুক পেজে প্রকাশের পর শুধু শিরোনাম দেখে পাঠকরা সংবাদটি বাংলাদেশের বলে ধরে নিয়েছেন, বাংলাদেশ কেন্দ্রিক মন্তব্যও করেছেন, যা স্পষ্ট বিভ্রান্তির শামিল।

 Screenshot collage: Rumor Scanner

দেশীয় কতিপয় গণমাধ্যমের ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)। 

মূলত, সম্প্রতি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলনের সীমা বেঁধে দেওয়া সংক্রান্ত একটি খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করে একাধিক পোস্টে ঘটনাটি বাংলাদেশের দাবি করে এ বিষয়ে সমালোচনা করা হচ্ছে। কিন্তু রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, ঘটনাটি বাংলাদেশের নয়, ভারতের। গত ২৫ সেপ্টেম্বর ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক জারিকৃত এক নোটিশ থেকে জানা যাচ্ছে, ভারতের তিনটি ব্যাংককে সম্প্রতি মোটা টাকার জরিমানা করা হয়েছে। একইসঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কালার মার্চেন্টস কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধেও। আহমেদাবাদের কালার মার্চেন্টস কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের আর্থিক পরিস্থিতির বিচার করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এই বিধিনিষেধের আওতায় একজন গ্রাহক অ্যাকাউন্ট থেকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা তুলতে পারবেন। এই সংবাদটিই বাংলাদেশের গণমাধ্যমে শিরোনামে স্থান বা দেশ উল্লেখ না থাকায় সেই সংবাদটির লিংক গণমাধ্যমগুলোর ফেসবুক পেজে প্রকাশের পর শুধু শিরোনাম দেখে পাঠকরা সংবাদটি বাংলাদেশের বলে ধরে নিয়েছেন, বাংলাদেশ কেন্দ্রিক মন্তব্যও করেছেন, যার ফলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হওয়া অমূলক নয়।

সুতরাং, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলনের সীমা বেঁধে দেওয়া সংক্রান্ত ভারতের একটি সংবাদকে বাংলাদেশের দাবিতে ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

  • Reserve Bank of India: Press Releases
  • Rumor Scanner’s own analysis

মুক্তিযুদ্ধে জিয়া পরিবারের অবদান নিয়ে ড. ইউনূসের নামে ভুয়া মন্তব্য প্রচার

0

দীর্ঘদিন ধরে ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বোচ্চ অবদান একমাত্র জিয়া পরিবারের। বাংলাদেশের রাজনীতিতে বহু দলীয় গণতন্ত্র চালু করছেন একমাত্র জিয়া পরিবার।’ শীর্ষক দাবিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নামে ইন্টারনেটে একটি বক্তব্য প্রচার করা হচ্ছে।

ড. ইউনূস

২০১৮ সালে ফেসবুকে প্রচারিত এমন পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

২০১৯ সালে ফেসবুকে প্রচারিত এমন পোস্ট দেখুন  এখানে (আর্কাইভ),  এখানে (আর্কাইভ)।

২০২০ সালে ফেসবুকে প্রচারিত এমন পোস্ট দেখুন  এখানে (আর্কাইভ)। 

২০২১ সালে ফেসবুকে প্রচারিত এমন পোস্ট দেখুন  এখানে (আর্কাইভ),  এখানে (আর্কাইভ)।

২০২২ সালে ফেসবুকে প্রচারিত এমন পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ),  এখানে (আর্কাইভ)।

২০২৩ সালে ফেসবুকে প্রচারিত এমন পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ),  এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে জিয়া পরিবারের অবদান এবং জিয়া পরিবারের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনীতিতে বহু দলীয় গণতন্ত্র চালু হওয়ার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে প্রচার হয়ে আসা মন্তব্যটি নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নয়। প্রকৃতপক্ষে ২০১৮ সাল থেকে তার নামে উক্ত মন্তব্যটি কোনো ধরনের তথ্যসূত্র ছাড়াই প্রচার হয়ে আসছে।

ফেসবুকে উক্তিটি প্রথম কখন পাওয়া যায়?

ড. মুহাম্মদ  ইউনূসের নামে দীর্ঘদিন ধরে প্রচারিত উক্ত মন্তব্যটির উৎস অনুসন্ধানে দেখা যায়, অন্তত ২০১৮ সালের ১৫ জানুয়ারি থেকে তার নামে উক্ত মন্তব্যটি ফেসবুকে প্রচার হয়ে আসছে। এ নিয়ে অনুসন্ধানে ফেসবুকের নিজস্ব মনিটরিং টুল ব্যবহার করে ২০১৮ সালের ১৫ জানুয়ারি এই সম্পর্কিত সম্ভাব্য প্রথম দিকের পোস্টটি (আর্কাইভ) খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Crowdtangle

তবে এই পোস্টটিসহ সে সময় ফেসবুকে প্রচারিত অন্যান্য পোস্টগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এগুলোর কোথাও তার এই সম্পর্কিত মন্তব্যের কোনো তথ্যসূত্র উল্লেখ করা হয়নি। অর্থাৎ ড. মুহাম্মদ ইউনূস কখন, কোথায় এমন মন্তব্য করেছেন সে বিষয়ে পোস্টগুলোতে কোনো তথ্য নেই।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস কি এমন মন্তব্য করেছেন?

পরবর্তীতে দাবিটি নিয়ে অধিকতর অনুসন্ধানে ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের কার্যক্রম বিশ্লেষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম।

এতে দেখা যায়, তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসের ১৫ তারিখের আগে ৪ টি পোস্ট দেওয়া হয়েছে। এই চারটি পোস্টের কোথাও আলোচিত দাবি সম্বলিত কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

Screenshot Collage: Rumor Scanner

পোস্টগুলো দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে। 

এছাড়া তাঁর প্রতিষ্ঠিত ইউনূস সেন্টারের ফেসবুক পেজ ঘুরেও উল্লিখিত সময়ে এমন কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

পরবর্তীতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নামে প্রচারিত আলোচিত দাবিটির উৎস যাচাইয়ে তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান ও বিএনপি বা রাজনৈতিক দলগুলো নিয়ে তাঁর মন্তব্য অনুসন্ধানে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রসঙ্গে বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যম, আওয়ামী লীগের ওয়েবসাইট ও ব্লগসাইটে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন ও মন্তব্য দেখুন

এ পর্যন্ত অনুসন্ধানে দাবিটির পক্ষে কোনো সত্যতা পাওয়া না যাওয়ায় রিউমর স্ক্যানার টিম থেকে বিষয়টি অধিকতর নিশ্চিতের জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিষ্ঠিত ইউনূস সেন্টারের সাথে মেইলে যোগাযোগ করা হয়। মেইলের উত্তরে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ‘অধ্যাপক ইউনূস কখনো এ ধরনের কথা বলেননি।’

মূলত, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে জিয়া পরিবারের অবদান এবং জিয়া পরিবারের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনীতিতে বহু দলীয় গণতন্ত্র চালু হওয়ার দাবিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বোচ্চ অবদান একমাত্র জিয়া পরিবারের। বাংলাদেশের রাজনীতিতে বহু দলীয় গণতন্ত্র চালু করছেন একমাত্র জিয়া পরিবার।’ শীর্ষক একটি মন্তব্য দীর্ঘদিন ধরে ইন্টারনেটে প্রচার হয়ে আসছে। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে ড. ইউনূসের করা এ ধরণের মন্তব্যের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। তিনি এ ধরনের কোনো মন্তব্য করেননি বলে তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ইউনূস সেন্টার রিউমর স্ক্যানারকে নিশ্চিত করেছে।

উল্লেখ্য, ইতোপূর্বেও  ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নামে ‘খালি মাঠে বসে গোল আর দেওয়ার সুযোগ নেই’ শীর্ষক একটি মন্তব্য প্রচার হলে সেটিও মিথ্যা প্রমাণ করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার। 

প্রতিবেদনটি দেখুন: ‘খালি মাঠে বসে গোল আর দেওয়ার সুযোগ নেই’ শীর্ষক মন্তব্যটি ড. ইউনূসের নয় 

সুতরাং, ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বোচ্চ অবদান একমাত্র জিয়া পরিবারের। বাংলাদেশের রাজনীতিতে বহু দলীয় গণতন্ত্র চালু করছেন একমাত্র জিয়া পরিবার।’ শীর্ষক মন্তব্যটি ড. মুহাম্মদ ইউনূস করেছেন দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

রুমিন ফারহানার এই কথাগুলো তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে বলা নয়

সম্প্রতি, ‘তারেক জিয়াকে নিয়ে রুমিন ফারহানার বেফাঁস মন্তব্য’ শীর্ষক ক্যাপশনে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে। 

ভিডিওটিতে রুমিন ফারহানাকে বলতে শোনা যায়, ‘তবে হ্যাঁ আপনার অনুপস্থিতি দেশের মানুষ কিন্তু বোধ করে। আমাদের এই নাভিশ্বাস ওঠা জীবনে আপনি কিন্তু আমাদের একটা… জোকার শব্দটা বলা ঠিক হবে না আপনি আমাদের জন্য একটা নির্মল বিনোদনের মত। আপনি কী বলছেন, আপনি কী ছবি আপলোড করছেন আপনার ফেসবুকে, আমরা কিন্তু তাকিয়ে থাকি, লক্ষ্য করি। আমাদের খুব কষ্টের জীবন।’

রুমিন ফারহানা

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু ভিডিও পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফেসবুক রিলে প্রচারিত এমন কিছু ভিডিও পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, বিএনপি নেত্রী রুমিন ফারহানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে উক্ত কথাগুলো বলেননি বরং তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে উক্ত কথাগুলো বলেছেন।

গুজবের সূত্রপাত

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ভিডিওটির উৎস খুঁজতে ভিডিওটি পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। প্রথমেই ভিডিওটির ওপরের অংশে ‘বাংলা পলিটিক্স’ শীর্ষক একটি লোগো আমাদের নজরে আসে।

এই লোগোর সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড অনুসন্ধানের মাধ্যমে Bangla Politix নামক ফেসবুক পেজে গত ২৯ সেপ্টেম্বর “তারেক জিয়াকে নিয়ে রুমিন ফারহানার বেঁফাস মন্তব্যে হতাশ বিএনপি নেতা- কর্মী” শীর্ষক শিরোনামে আলোচিত ভিডিওটি খুঁজে (আর্কাইভ) পাওয়া যায়।

পেজটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এটি একটি কমেডি পেজ। বিভিন্ন সময়ে এই পেজটি থেকে কমেডিধর্মী বিভিন্ন পোস্ট প্রচার করতে দেখা যায়।

Screenshot: Facebook

অর্থাৎ, এই পেজটি থেকে আলোচিত ভিডিওটি প্রথমে প্রচার হয় এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন জায়গায় তা আসল ভেবে ছড়িয়ে পড়ে।

এছাড়া, প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে Rumeen’s Voice নামক একটি ইউটিউব চ্যানেলে গত ২৭ সেপ্টেম্বর “এই দুঃসময়ে ওবায়দুল কাদেরের বিনোদন চলুক” শীর্ষক শিরোনামে একটি ভিডিও (আর্কাইভ) খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর একটি অংশের সাথে আলোচিত ভিডিওর হুবহু মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

১৪ মিনিট ২৩ সেকেন্ডের ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ১০ মিনিট ৭ সেকেন্ড থেকে বিএনপি নেত্রী রুমিন ফারহানা ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলছেন, ‘তবে হ্যাঁ আপনার অনুপস্থিতি দেশের মানুষ কিন্তু বোধ করে। আমাদের মন খারাপ হয়, প্রতিদিন বাজারে গেলে চুল ছিঁড়তে ইচ্ছা করে, রাস্তায় নামলে একটু বৃষ্টিতে যখন গলাপানি হয়ে যায়, আমরা রাস্তায় রাত দেড়টা-দুইটা পর্যন্ত আটকে থাকি, গাড়িগুলো বন্ধ হয়ে যায়, স্টার্ট বন্ধ হয়ে ভাসতে থাকে পানিতে। আমাদের এই নাভিশ্বাস ওঠা জীবনে আপনি কিন্তু আমাদের একটা… জোকার শব্দটা বলা ঠিক হবে না আপনি আমাদের জন্য একটা নির্মল বিনোদনের মত। আপনি কী বলছেন, আপনি কী ছবি আপলোড করছেন আপনার ফেসবুকে, আমরা কিন্তু তাকিয়ে থাকি, লক্ষ্য করি। আমাদের খুব কষ্টের জীবন ওবায়দুল কাদের সাহেব এটা আপনারা ঠিক বুঝবেন না। আপনারা যারা গত ১৫ বছর ধরে চেটেপুটে দেশটাকে খেয়েছেন, আপনারা ঠিক বুঝবেন না।’ 

অর্থাৎ, বিএনপি নেত্রী রুমিন ফারহানা আলোচিত ভিডিওর কথাগুলো বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে নয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে বলেছেন।

Indication By Rumor Scanner

মূলত, গত ২৭ সেপ্টেম্বর Rumeen’s Voice নামক একটি ইউটিউব চ্যানেলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি নেত্রী রুমিন ফারহানা দেওয়া একটি বক্তব্য প্রচারিত হয়। পরবর্তীতে সেই বক্তব্যের কিছু অংশ কেটে তাতে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় ‘তারেক জিয়াকে নিয়ে রুমিন ফারহানার বেঁফাস মন্তব্যে হতাশ বিএনপি নেতা- কর্মী’ শীর্ষক ভুয়া শিরোনাম যুক্ত করে প্রচার করা হয়। 

প্রসঙ্গত, পূর্বেও রুমিন ফারহানার ভিন্ন উদ্দেশ্যে করা বক্তব্যকে তারেক রহমানকে নিয়ে করা বক্তব্য দাবিতে প্রচার করা হলে তা নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন করেছে রিউমর স্ক্যানার। 

সুতরাং, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশ্যে করা বিএনপি নেত্রী রুমিন ফারহানার মন্তব্যের খণ্ডিত অংশকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উদ্দেশ্যে তার (রুমিন) মন্তব্য দাবিতে ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

পাকিস্তান দলের জন্য পার্টি আয়োজন নিয়ে কোনো টুইট করেননি কোহলি

0

সম্প্রতি, ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০২৩ এ অংশ নিতে পাকিস্তান দল ভারতে যাওয়ার পর তাদেরকে স্বাগত জানিয়ে টুইটারে পাকিস্তান দলের জন্য পার্টি আয়োজনের কথা জানিয়েছেন ভারতের ক্রিকেটার ভিরাট কোহলি শীর্ষক একটি তথ্য ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে।

পাকিস্তান

উক্ত দাবিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন স্পোর্টস মেইল২৪

একই দাবিতে ভুঁইফোঁড় একটি পোর্টালের প্রতিবেদন দেখুন এখানে।

একই দাবিতে ফেসবুকের পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, পাকিস্তান দলের জন্য পার্টি আয়োজন নিয়ে কোনো টুইট করেননি ভারতীয় ক্রিকেটার ভিরাট কোহলি বরং কোহলির নামে চালু থাকা একটি প্যারোডি এক্স অ্যাকাউন্টের টুইটকে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত দাবিটির সূত্রপাতের খোঁজে উক্ত দাবিতে সংবাদ প্রকাশকারী Sportsmail24 এর সংবাদটি পড়ে জানা যায়, কোহলির একটি টুইটের বরাতে উক্ত সংবাদটি প্রকাশ করা হয়েছে। 

সংবাদমাধ্যমটির দাবি, উক্ত টুইটে কোহলি লিখেছেন, “দীর্ঘ ৭ বছর পর পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে আমার দেশে (ভারত) আগমনে আমি আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই। আমি আমার বন্ধুদের জন্য বিশেষ করে শাদাবের জন্য আমার বাড়িতে একটি পার্টির আয়োজন করবো। আপনাদের সবাইকে ভালোবাসি, সর্বদা ভালোবাসা এবং আনন্দ ছড়িয়ে দিন।”

Screenshot: Sportsmail24

উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে এক্সে (সাবেক টুইটার) Virat Kohli নামক একটি অ্যাকাউন্টে (আর্কাইভ) আলোচিত টুইটটি (আর্কাইভ) খুঁজে পাওয়া যায়।

অ্যাকাউন্টটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যাচ্ছে, এটি কোনো ভেরিফাইড অ্যাকাউন্ট নয়৷ অ্যাকাউন্টের ইউজার নেমে লেখা, amiVkolhli, অর্থাৎ বাংলা ভাষার একটি উইজার নেম ব্যবহার করা হয়েছে অ্যাকাউন্টে। তাছাড়া, অ্যাকাউন্টের বায়োতেই স্পষ্ট করে লেখা রয়েছে, এটি একটি প্যারোডি অ্যাকাউন্ট। অ্যাকাউন্টটি গত আগস্টে চালু করা হয়েছে।

Screenshot: X

পরবর্তীতে কোহলির অফিশিয়াল এক্স অ্যাকাউন্ট, ফেসবুক পেজ এবং ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে অনুসন্ধান করে পাকিস্তান দলের জন্য পার্টি আয়োজন সংক্রান্ত কোনো তথ্য মেলেনি।

পাশাপাশি, ভারতীয় গণমাধ্যমেও এ সংক্রান্ত কোনো সংবাদ প্রকাশের তথ্য পায়নি রিউমর স্ক্যানার।

মূলত, সম্প্রতি ইন্টারনেটের বিভিন্ন মাধ্যমে দাবি করা হয়, ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০২৩ এ অংশ নিতে পাকিস্তান দল ভারতে যাওয়ার পর তাদেরকে স্বাগত জানিয়ে টুইটারে পাকিস্তান দলের জন্য পার্টি আয়োজনের কথা জানিয়েছেন ভারতের ক্রিকেটার ভিরাট কোহলি। কিন্তু রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, এমন কোনো টুইট করেননি কোহলি। প্রকৃতপক্ষে, কোহলির নামে চালু থাকা একটি প্যারোডি এক্স অ্যাকাউন্টের টুইটকে পাকিস্তান দলের জন্য পার্টি আয়োজন সংক্রান্ত ভিরাট কোহলির টুইট দাবি করে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩ এর বিষয়ে একাধিক ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে একাধিক ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার। 

সুতরাং, একটি প্যারোডি এক্স অ্যাকাউন্টের টুইটকে পাকিস্তান দলের জন্য পার্টি আয়োজন সংক্রান্ত ভিরাট কোহলির টুইট দাবি করে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

মেক্সিকোর সিনেটরের বক্তব্য দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত মন্তব্যটি ভুয়া

0

সম্প্রতি, মেক্সিকান সিনেটর আন্তোনিও গার্সিয়া কোনেজোর নামে একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।

যা দাবি করা হচ্ছে

আন্তোনিও গার্সিয়া কোনেজোর একটি ছবি ব্যবহার করে দাবি করা হচ্ছে, ‘ইনি মেক্সিকো পার্লামেন্টের একজন সদস্য। সংসদ ডিবেটে অংশগ্রহণ করার সময় শরীরে সব কাপড় খুলে ফেলেন। তার যুক্তি, আপনারা আমাকে দেখে লজ্জা পাচ্ছেন, তাই না? লজ্জা তখন পান না যখন রাস্তায় কোন গরীব অসহায় ক্ষুধার্ত মানুষ পয়সার অভাবে খালি পায়ে অর্ধনগ্ন হয়ে ঘুরে বেড়ায়, আর আপনি তাদের দেখে অবলীলায় পাশ কাটান অথচ ওদেরই শোষন করে আমি আপনি আজ সংসদের সদস্য।’

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ) এবং পোস্ট (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, মেক্সিকোর সংসদ সদস্য আন্তোনিও গার্সিয়ার রাস্তার গরিব-অসহায় মানুষদের নিয়ে সংসদে কথা বলার সময় নিজের সব কাপড় খুলে অর্ধনগ্ন হওয়ার দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে ২০১৩ সালে মেক্সিকোর সংসদে পাশ পাওয়া একটি বিতর্কিত জ্বালানি আইনের বিরোধিতা করে তিনি নিজের জামা-কাপড় খুলে ফেলেছিলেন। 

দাবিটি নিয়ে অনুসন্ধানে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যভিত্তিক গণমাধ্যম BBC News এর ওয়েবসাইটে  ২০১৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর “Mexican Congress approves controversial oil and gas bill” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

এই প্রতিবেদনে সংযুক্ত একটি ছবির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবিটির হুবহু মিল খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ছবির শিরোনাম থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়, এই ছবির ব্যক্তি মেক্সিকোর পার্লামেন্ট সদস্য আন্তোনিও গার্সিয়া।

Image comparison by Rumor Scanner

পরবর্তীতে প্রতিবেদনটি বিশ্লেষণ করে জানা যায়, ২০১৩ সালে মেক্সিকোর কংগ্রেস একটি বিতর্কিত আইনের অনুমোদন দেয়। এর ফলে দেশটির রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত তেলখাত বৈদেশিক বিনিয়োগের জন্য উন্মুক্ত হয়ে যায়। 

পাশ হওয়া এই আইন অনুযায়ী, বেসরকারি তেল ও গ্যাস কোম্পানিগুলো রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান পেমেক্সের সাথে লভ্যাংশ বিনিময়ের মাধ্যমে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান করতে পারবে। তবে পার্লামেন্টের বিরোধী আইনপ্রণেতারা এই বিলের তীব্র বিরোধিতা করে। 

এরই ধারাবাহিকতায় দেশটির পার্লামেন্টের তৎকালীন বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক রেভ্যুলেশন পার্টি (পিআরডি)’র সংসদ সদস্য আন্তোনিও গার্সিয়া নিজের জামা-কাপড় খুলে এই বিল প্রত্যাখ্যান করেন।

পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘এভাবেই আপনারা দেশকে নগ্ন করছেন। লাভ কোথায়? আমি লজ্জিত নই, আপনারা যা করছেন তা লজ্জার।’ 

Screenshot: BBC News

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম Wall Street Journal এ ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর “Mexico Congress Passes Historic Energy Bill” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়।

মূলত, ২০১৩ সালে মেক্সিকোর পার্লামেন্টে দেশটির তৎকালীন সরকার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত তেলখাতে বৈদেশিক ও বেসরকারি বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করতে একটি বিতর্কিত আইনের অনুমোদন দেয়। তবে সে সময়ে এই আইনের বিরোধিতা করে দেশটির পার্লামেন্টের বিরোধী দলগুলো। এরই ধারাবাহিকতায় আন্তোনিও গার্সিয়া কোনেজো নামে একজন বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্য নিজের জামা-কাপড় খুলে প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ‘এই ভাবে আপনারা দেশকে নগ্ন করছেন। লাভ কোথায়? আমি লজ্জিত নই, আপনারা যা করছেন তা লজ্জার।’ অনুসন্ধানে দেখা যায়, আন্তোনিও গার্সিয়ার জামা-কাপড় খুলে প্রতিবাদ করার এই ছবিটিকেই পরবর্তীতে ব্যবহার করে পার্লামেন্টে তার বক্তব্য দাবিতে ‘আপনারা আমাকে দেখে লজ্জা পাচ্ছেন, তাই না? লজ্জা তখন পান না যখন রাস্তায় কোন গরীব অসহায় ক্ষুধার্ত মানুষ পয়সার অভাবে খালি পায়ে অর্ধনগ্ন হয়ে ঘুরে বেড়ায়, আর আপনি তাদের দেখে অবলীলায় পাশ কাটান অথচ ওদেরই শোষন করে আমি আপনি আজ সংসদের সদস্য।’ শীর্ষক একটি মন্তব্য প্রচার করা হচ্ছে। 

সুতরাং, মেক্সিকান সংসদ সদস্য আন্তোনিও গার্সিয়া কোনেজোর জামা-কাপড় খুলে গরিব-অসহায়দের নিয়ে পার্লামেন্টে বক্তব্য দিয়েছেন দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত তথ্যটি দাবিতে সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

কালবেলা’র নকল ফটোকার্ডে খালেদা জিয়াকে জড়িয়ে আইনমন্ত্রী’র নামে ভুয়া মন্তব্য প্রচার

সম্প্রতি, “বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশ যেতে আইনে বাধা নেই। বাধা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, তিনি চাননা বলেই আমরা সরাসরি বলতে পারছি না।” শীর্ষক তথ্য বা শিরোনামে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হকের ছবিসহ জাতীয় দৈনিক কালবেলা’র ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।

কালবেলা

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক ‘বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশ যেতে আইনে বাধা নেই। বাধা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, তিনি চাননা বলেই আমরা সরাসরি বলতে পারছি না।’ বলে কোনো মন্তব্য করেননি এবং দৈনিক কালবেলাও উক্ত শিরোনামে কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রকাশ করেনি বরং ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে উক্ত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে কালবেলা’র ফটোকার্ডের ডিজাইন সম্বলিত ছবিটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। সেখানে এই সংবাদটি প্রচারের তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩।

Screenshot from Facebook

দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে ফটোকার্ডটিতে থাকা তারিখ এবং কালবেলা’র লোগোর সূত্র ধরে কালবেলা’র ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে গত ৩০ সেপ্টেম্বরে প্রচারিত ফটোকার্ডগুলো পর্যালোচনা করে উক্ত শিরোনাম বা তথ্য সম্বলিত কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়াও কালবেলা’র ওয়েবসাইট কিংবা অন্যকোনো গণমাধ্যমেও উক্ত দাবিতে প্রচারিত কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি।

তবে একই দিনে কালবেলা’র ফেসবুক পেজে “খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত কবে জানালেন আইনমন্ত্রী” শীর্ষক শিরোনাম বা তথ্য সম্বলিত একটি ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায় এবং এর কমেন্টে একই বিষয়ে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot from Facebook

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে ‘আমরা আগামীকাল (১ অক্টোবর) মতামত দিয়ে ফাইল ছেড়ে দেব।’ বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। গত ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

অর্থাৎ, কালবেলা’র ফেসবুক পেজে গত ৩০ সেপ্টেম্বর প্রচারিত ফটোকার্ডটির শিরোনাম ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় এডিট করে তাতে ‘বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশ যেতে আইনে বাধা নেই। বাধা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, তিনি চাননা বলেই আমরা সরাসরি বলতে পারছি না’ শীর্ষক শিরোনাম যুক্ত করে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

Photocard Comparison by Rumor Scanner

এছাড়া, একই প্রসঙ্গে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হকের সম্পূর্ণ বিপরীত একটি মন্তব্য পাওয়া যায়। গত ৪ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, ‘শর্ত অনুসারে বেগম খালেদা জিয়া কোনোভাবেই বিদেশে যেতে পারবেন না। আইনে সেই সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রীর যে ক্ষমতা সেই ক্ষমতাও আর ব্যবহারের সুযোগ নেই। এখন তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে পারেন। যে কারণে বেগম জিয়া দণ্ডিত, সেই দোষ স্বীকার করেই ক্ষমা চাইতে হবে। আর যে কেউ তার সাজা মওকুফের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করতে পারেন।’

মূলত, গত ৩০ সেপ্টেম্বর আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে সাংবাদিকদের ‘আমরা আগামীকাল (১ অক্টোবর) মতামত দিয়ে ফাইল ছেড়ে দেব।’ শীর্ষক বক্তব্য দেন। এরই প্রেক্ষিতে দৈনিক কালবেলা’র ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে ‘খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত কবে জানালেন আইনমন্ত্রী’ শীর্ষক শিরোনামে একটি ফটোকার্ড প্রচারিত হয়। পরবর্তীতে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় উক্ত ফটোকার্ডের শিরোনাম বিকৃতের মাধ্যমে ‘বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশ যেতে আইনে বাধা নেই। বাধা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, তিনি চাননা বলেই আমরা সরাসরি বলতে পারছি না।’ শীর্ষক শিরোনামে কালবেলা’র ফটোকার্ড দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত ৪ অক্টোবর ঢাকার রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের কনভেনশনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, খালেদা জিয়া বলেছেন বিদেশে চিকিৎসা নিতে তিনি কোনো শর্ত মানবেন না।

উল্লেখ্য, পূর্বেও কালবেলার আসল ফটোকার্ডকে বিকৃত করে ইন্টারনেটে প্রচার করলে তা শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার। এমন কিছু প্রতিবেদন দেখুন এখানে:

সুতরাং, মূলধারার গণমাধ্যম কালবেলাকে উদ্ধৃত করে ‘বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশ যেতে আইনে বাধা নেই। বাধা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, তিনি চাননা বলেই আমরা সরাসরি বলতে পারছি না।’ শীর্ষক মন্তব্যকে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হকের মন্তব্য দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত তথ্যটি মিথ্যা এবং উক্ত দাবিতে প্রচারিত ফটোকার্ডটি এডিটেড বা বিকৃত।

তথ্যসূত্র

খুচরা বা ভোক্তা পর্যায়ে জ্বালানি তেলের দাম কমেনি

0

সম্প্রতি, সকল জ্বালানি তেলের দাম কমেছে দাবিতে জ্বালানি তেলের মূল্য তালিকা সম্বলিত সরকারি গ্যাজেটের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।

জ্বালানি তেলের দাম

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ) এবং পোস্ট (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, খুচরা বা ভোক্তা পর্যায়ে জ্বালানি তেলের দাম কমেনি। প্রকৃতপক্ষে, জ্বালানি তেলের বিপণন প্রতিষ্ঠান এবং ডিলার পর্যায়ে কমিশন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মূল্য সমন্বয় সম্পর্কিত প্রজ্ঞাপনকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে। 

অনুসন্ধানের শুরুতে কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে মূলধারার গণমাধ্যম ডেইলি স্টারের অনলাইন সংস্করণে গত ০৩ অক্টোবর ‘বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেনি, শুধু ডিলারদের কমিশন বেড়েছে’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় গত সোমবার(০২ অক্টোবর) একটি গেজেট প্রকাশ করেছে, যেখানে ‘তেল বিপণন কোম্পানি’গুলোর কাছে কত দামে জ্বালানি তেল বিক্রি করা হবে এবং এর সঙ্গে অন্যান্য খরচ কত হবে, সেই তালিকা দেওয়া হয়েছে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক  প্রকাশিত গেজেটটিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) প্রতি লিটার ডিজেল ১০১ টাকা ৪৪ পয়সা, কেরোসিন ১০২ টাকা ৩১ পয়সা, অকটেন ১১৯ টাকা ৬২ পয়সা এবং পেট্রোল ১১৪ টাকা ৮৬ পয়সা দরে তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে সরবরাহ করবে।

Source: Ministry of Power, Energy and Mineral Resources Website

অর্থাৎ, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) কাছ থেকে জ্বালানি তেলের রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন প্রতিষ্ঠান পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা এই দামে জ্বালানি তেল কিনবে।

এছাড়া, বর্তমানে ভোক্তা বা খুচরা পর্যায়ে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন ১০৯ টাকা, অকটেন ১৩০ টাকা এবং পেট্রোল ১২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। জ্বালানি তেলের ডিলারদের কমিশন বৃদ্ধির নতুন প্রজ্ঞাপনেও এই দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

পরবর্তীতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে গত ০৩ অক্টোবর জ্বালানি তেলের দাম নিয়ে বিভ্রান্তির বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের বক্তব্যের একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Facebook

সেখানে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, তেলের দাম স্থিতিশীল আছে৷ দাম বাড়েওনি, কমেওনি। যারা তেল সরবরাহ করে তাদের কমিশনের ক্ষেত্রে একটা ফর্মুলা দেওয়া হয়েছে। অনেকে গ্যাজেটের ছবির প্রথম অংশ দিয়ে বলেছে, তেলের দাম কমেছে কিন্তু দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় ট্যাক্সের বিষয়টি যোগ হয়েছে সেটা দেখানো হয়নি। তিনি দাম কমানোর বিষয়টিকে গুজব হিসেবে আখ্যা দিয়ে সাংবাদিকদেরকেও এবিষয়ে কথা বলার আহ্বান জানান।

অর্থাৎ, উপরোক্ত বিষয়গুলো পর্যালোচনা করলে এটা স্পষ্ট যে, ভোক্তা পর্যায়ে জ্বালানি তেলের দাম কমার বিষয়টি সঠিক নয়।

মূলত, গত ২ অক্টোবর বিপণন প্রতিষ্ঠান এবং ডিলার পর্যায়ে জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন বৃদ্ধির জন্য   ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রোল ও অকটেনের নতুন মূল্য তালিকা নিয়ে একটি গেজেট প্রকাশ করে জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। পরবর্তীতে সেই গ্যাজেটের প্রথম পৃষ্ঠার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করে খুচরা পর্যায়ে সকল জ্বালানি তেলের দাম কমানো হয়েছে বলে দাবি করা হয়। তবে অনুসন্ধানে জানা যায়, ডিলার পর্যায়ে জ্বালানি তেলের দাম কমলেও খুচরা বা ভোক্তা পর্যায়ে জ্বালানি তেলের দাম কমেনি, অপরিবর্তিত রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন যাবত জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন বৃদ্ধির জন্য দাবি জানিয়ে আসছিল জ্বালানি তেল ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা। এই দাবির প্রেক্ষিতে গত ০১ অক্টোবর সকাল ৮টা থেকে খুলনার রাষ্ট্রয়ত্ত্ব তিন ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও ১৫ জেলায় পরিবহণ বন্ধ রাখেন তারা। পরবর্তীতে ওইদিন রাতে  বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) কাছ থেকে কমিশন বৃদ্ধির আশ্বাস পেয়ে ধর্মঘট তুলে নেয় তারা।

উল্লেখ্য, পূর্বেও জ্বালানি তেলের মূল্য তালিকা নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা হলে সেসময় বিষয়টি শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।

সুতরাং, বিপণন প্রতিষ্ঠান ও ডিলার পর্যায়ে জ্বালানি তেলের নতুন দর কাঠামো সম্পর্কিত প্রজ্ঞাপনের প্রথম পৃষ্ঠার ছবিকে খুচরা বা ভোক্তা পর্যায়ে সকল জ্বালানি তেলের দাম কমানোর প্রজ্ঞাপন দাবিতে ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

হাতে সালমান শাহ’র ছবি সম্বলিত সালমান খানের এই ছবিটি এডিটেড

0

সম্প্রতি, ভারতীয় অভিনেতা সালমান খানের হাতে বাংলাদেশের প্রয়াত অভিনেতা সালমান শাহ’র একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।

সালমান

ফেসবুকে প্রচারিত এমনকিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ভারতীয় অভিনেতা সালমান খানের হাতে বাংলাদেশের প্রয়াত অভিনেতা সালমান শাহ’র ছবিটি সঠিক নয় বরং ছবিটি ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় এডিট করে তৈরি করা হয়েছে।

রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতি ব্যবহার করে, Pameli Kayal নামের একটি ইন্সটাগ্রাম আইডিতে ০৪ ডিসেম্বর ২০১৭ সালে প্রকাশিত মূল ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায় যেখানে সালমান খানের অফিশিয়াল ইন্সটাগ্রাম আইডি মেনশন করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছিলেন তিনি।

Screenshot: Instagram

মূলত, পামেলী কায়াল একজন চিত্রশিল্পী এবং তার ইন্সটাগ্রাম আইডিতে এই ধরণের আরো অনেক পেন্সিল স্কেচের অস্তিত্ব রয়েছে। এছাড়া তার আইডির হাইলাইটসেও ছবিটি প্রকাশ করা হয়েছিলো যেখানে পামেলীর স্বাক্ষর দৃশ্যমান। তবে সালমান শাহ এর স্কেচটি কোন শিল্পী তৈরি করেছেন সেই সম্পর্কে কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, পূর্বেও ছবিটি ইন্টারনেটে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।