সম্প্রতি বাংলাদেশে ২০২৪ সালের জন্য আমেরিকান ডিভি লটারির আবেদন শুরু হয়েছে দাবি করে একাধিক পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
কোনো কোনো পোস্টে সাল হিসেবে ২০২৩ এর বিষয়টিও উল্লেখ রয়েছে।
ফেসবুকে প্রচারিত এমনকিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে পুনরায় ডাইভারসিটি ভিসা (ডিভি) কর্মসূচিতে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ বা আবেদন করার দাবিটি সঠিক নয় বরং গত প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরেই বাংলাদেশি নাগরিকদের এই লটারিতে আবেদনের অনুমতি নেই।
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বার্তায় বলা হয়েছে, ২০০৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে ৫০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি ডিভি ভিসার আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছে। দেশটিতে যেসব দেশের অভিবাসীদের হার কম সাধারণত সেসব দেশের নাগরিকদের এই কর্মসূচীর আওতাভুক্ত করা হয়। কিন্তু ২০০৭ থেকে পরবর্তী পাঁচ বছরে বাংলাদেশীদের জন্য অভিবাসন কোটা পূরণ হয়ে যাওয়ায় ২০১২ সাল থেকেই বাংলাদেশ ডাইভারসিটি ভিসা (ডিভি) কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের যোগ্যতা হারিয়েছে। তবে শুধু বাংলাদেশই নয়, ডিভি লটারিতে অংশগ্রহণের যোগ্যতা হারিয়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, পাকিস্তান, চীনসহ ১৯টি দেশ। দেশগুলোর নাম দেখা যাবে এখান থেকে।
মূলত, ২০০৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে ৫০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি ডিভি ভিসার আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছে। ফলে ২০১২ সাল থেকে ডাইভারসিটি ভিসা (ডিভি) কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের যোগ্যতা হারায় বাংলাদেশি নাগরিকরা। যুক্তরাষ্ট্রে যেসব দেশের অভিবাসীদের হার কম তাদের এই কর্মসূচীর আওতাভুক্ত করা হয়। তবে অভিবাসীদের হার তুলনামূলক বেশি হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশসহ ১৯ টি দেশকে ডিভি কর্মসূচী থেকে অযোগ্য বলে ঘোষণা করা হয়।
উল্লেখ্য, বিষয়টি পূর্বেও মিথ্যা হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।