সম্প্রতি, বাংলাদেশের চাঁদাবাজি প্রসঙ্গে এক সেনা সদস্যের সঙ্গে সাংবাদিকের কথোপকথনের দৃশ্য দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।
ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, এক সাংবাদিক সেনা কর্মকর্তাকে প্রশ্ন করছেন, “আপনারা থাকতে দেশে এতো চাঁদাবাজি হচ্ছে! ব্যবস্থা নিচ্ছেন না কেন?” এসময় প্রত্যুত্তরে ওই সেনা কর্মকর্তাকে বলতে শোনা যায়, “চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দায়িত্ব পুলিশের, আমাদের নয়।”

উক্ত দাবিতে টিকটকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন: এখানে (আর্কাইভ)।
একই দাবিতে ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখুন: এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, চাঁদাবাজদের প্রসঙ্গে সেনা সদস্য এবং সাংবাদিকের কথোপকথনের ভিডিওটি আসল নয় বরং, এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি একটি ভুয়া ভিডিও।
ভিডিওটির বিষয়ে অনুসন্ধানে কোনো বিশ্বস্ত গণমাধ্যম বা নির্ভরযোগ্য সূত্রে এর অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। প্রচারিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করলে ভয়েস ও পারিপার্শ্বিক অবস্থাতেও খানিকটা অস্বাভাবিকতা পরিলক্ষিত হয় যা সাধারণত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি কনটেন্টে পরিলক্ষিত হয়।
পরবর্তীতে ভিডিওটি এআই কনটেন্ট শনাক্তকারী টুল ক্যান্টিলাক্সে বিশ্লেষণ করা হলে, এটি এআই দিয়ে তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা ৯৮ শতাংশ বলে ফলাফল আসে।

আলোচিত দাবিতে প্রচারিত এই ভিডিওটির দৈর্ঘ ৮ সেকেন্ডের। ভিডিওটি ৮ সেকেন্ড দীর্ঘ হওয়ায় এটি গুগলের অত্যাধুনিক এআই টুল Veo দিয়ে তৈরি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। ‘Veo’ টেক্সট প্রম্পট থেকে ৮ সেকেন্ড দৈর্ঘ্যের বাস্তবসম্মত ভিডিও তৈরি করতে সক্ষম।
সুতরাং, এআই ভিডিওকে চাঁদাবাজির বিষয়ে সেনা সদস্যের সঙ্গে সাংবাদিকের কথোপকথনের আসল দৃশ্য দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।
তথ্যসূত্র
- AI Content Detection Tool: Cantilux
- Rumor Scanner’s Analysis