সম্প্রতি, ভারতীয় ক্রিকেট তারকা ভিরাট কোহলির কোলে থাকা এক মেয়ে শিশুকে কোহলির মেয়ে বলে দাবি করা হয়েছে গণমাধ্যম ও ফেসবুকের একাধিক পোস্টে।
উক্ত দাবিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন যুগান্তর।

একই দাবিতে ফেসবুক ছড়িয়ে পড়া কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ভিরাট কোহলির কোলে থাকা এক মেয়ে শিশুকে কোহলির মেয়ে শীর্ষক দাবিটি সঠিক নয় বরং শিশুটি ভারতীয় ক্রিকেটার হারভাজন সিংহ এবং অভিনেত্রী গীতা বস্র এর মেয়ে হিনায়া।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতি ব্যবহার করে ২০১৭ সালের ০২ মে ভারতীয় গণমাধ্যম ‘Times of India’ এর ওয়েবসাইটে “This pic of Geeta Basra’s baby girl with Virat Kohli is too cute to handle” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনের একটি ছবির সাথে আলোচিত ছবিটির মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

প্রতিবেদনটির বিস্তারিত পড়ে জানা যায় ভিরাট কোহলি যেই শিশু মেয়ের সাথে ছবি তুলেছেন সে ভারতীয় ক্রিকেটার হারভাজন সিংহ এবং বলিউড অভিনেত্রী গীতা বস্র এর মেয়ে হিনায়া।
পরবর্তীতে একইদিন (২০১৭ সালের ০২ মে) ‘Virat Kohli’ এর ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টের একটি পোস্টেও একই ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। এই পোস্টে কোহলি শিশুটিকে হারভাজন এবং গীতা বস্রের মেয়ে হিয়ানা বলে উল্লেখ করেন।

মূলত, সম্প্রতি জাতীয় দৈনিক যুগান্তরের একটি প্রতিবেদনে ভারতীয় ক্রিকেট তারকা ভিরাট কোহলির কোলে থাকা এক মেয়ে শিশুকে কোহলির মেয়ে বলে দাবি করা হয়। তবে রিউমর স্ক্যানার অনুসন্ধানে দেখেছে, কোহলির কোলে থাকা মেয়ে শিশুটি তার মেয়ে নয়৷ প্রচারিত ছবিটি ভারতীয় ক্রিকেটার হারভাজন সিংহ এবং অভিনেত্রী গীতা বস্র এর মেয়ে হিনায়ার।
প্রসঙ্গত, এর আগেও ইন্টারনেটে বিভিন্ন সময়ে ভারতীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে ভুল তথ্য ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে তা শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার। দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।
সুতরাং, ভারতীয় ক্রিকেটার হারভাজন সিংহের মেয়েকে ভিরাট কোহলির মেয়ে দাবি করে গণমাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
তথ্যসূত্র
- Virat Kohli – Instagram Post
- Times of India – “This pic of Geeta Basra’s baby girl with Virat Kohli is too cute to handle”
- The Indian Express – “Virat Kohli posts adorable selfie with Harbhajan Singh’s daughter Hinaya”