২০২২ সাল ছিল রিউমর স্ক্যানারের একটি ব্যস্ততম বছর। সারা বছর জুড়েই রিউমর স্ক্যানার লড়াই করেছে মিথ্যা তথ্য, গুজব, বিভ্রান্তিকর ও প্রতারণামূলক তথ্যের বিরুদ্ধে৷ যার ধারাবাহিকতায় পুরো বছরে রিউমর স্ক্যানার উন্মোচন করেছে এক হাজার ৪০০ গুজব৷ এর মধ্যে ১০৭ টি বিভিন্ন প্রতারণামূলক গুজব।
এই প্রতারণামূলক গুজবগুলোর ধরণ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এর মধ্যে আছে চিকিৎসার জন্য আর্থিক অনুদান সংগ্রহের নামে বিভিন্ন উপায়ে প্রতারণা, নামীদামী প্রতিষ্ঠানের নামে ভুয়া ওয়েবসাইট তৈরি করে ক্যাম্পেইন ও মোবাইল ফোনে ক্ষুদে বার্তা প্রেরণের মাধ্যমে প্রতারণা।
আর্থিক অনুদান সংগ্রহের বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে ভিনদেশীদের ছবি নিয়ে বাংলাদেশি দাবিতে অনুদান সংগ্রহের প্রতারণা
রিউমর স্ক্যানার টিম আর্থিক প্রতারণা সংক্রান্ত যেসব গুজব উন্মোচন করেছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, বিভিন্ন আর্থিক অনুদান সংগ্রহের ওয়েবসাইট থেকে ভিনদেশীদের ছবি নিয়ে বাংলাদেশি দাবিতে অনুদান সংগ্রহের চেষ্টা।
যেমন, ২০২২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি রিউমর স্ক্যানার টিম “ফরিদপুর জেলার মধুখালি উপজেলার বাগাট ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া গ্রামের মোতালেব হোসেনের মেয়ে জান্নাতুল মালা। শিশুটির বয়স মাত্র সাত মাস। গত প্রায় চার মাস থেকে শিশুটির লিভারে ক্যান্সার ধরা পরে।। এতদিন স্থানিয়ভাবে চিকিৎসা নিলেও ক্যান্সার ধরা পরায় এখন শিশুটির উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন।” শীর্ষক শিরোনামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচারিত একটি আর্থিক অনুদান সংগ্রহের দাবি নিয়ে অনুসন্ধান চালায়।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, জান্নাতুল মালা নামে বাংলাদেশি শিশুর ছবি দাবি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে আর্থিক অনুদান সংগ্রহের সংগ্রহের যে পোস্টগুলো করা হচ্ছিল, সেই ছবিগুলো কোনো বাংলাদেশি শিশুর নয়। বরং ছবিগুলো ভারতের গণ-অর্থায়ন প্লাটফর্ম ‘Milaap’ এর ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত এবং শিশুটির প্রকৃত নাম জনমেজয় বেহেরা।
এ নিয়ে রিউমর স্ক্যানারের বিস্তারিত প্রতিবেদন পড়ুন এখানে।
তবে কেবল এটাই নয়, ২০২২ সালের ৭ এপ্রিল “”এই ছোট বাচ্চাটির নাম মরিয়ম। শিশুটি বিরল রোগ ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ডিসঅর্ডার এ আক্রান্ত” শীর্ষক শিরোনামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচারিত আরেকটি আর্থিক অনুদান সংগ্রহের দাবি নিয়ে অনুসন্ধান চালায়।
এই অনুসন্ধানে দেখা যায়, বাংলাদেশি শিশু মরিয়মের নামে প্রচারিত ছবিগুলো চরন্যা নামের ভারতীয় এক শিশুর ছবি। ভারতের গণ-অর্থায়ন প্লাটফর্ম ‘impactguru’ এর ওয়েবসাইটে তার ছবিগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
এ নিয়ে রিউমর স্ক্যানারের বিস্তারিত প্রতিবেদন পড়ুন এখানে।
বছর জুড়ে রিউমর স্ক্যানারের উন্মোচন করা এমন আরও কিছু গুজব দেখুন:
১. এক মাস বয়সী একজন ভারতীয় শিশুকে বাংলাদেশি শিশু আতিক দাবি করে আর্থিক প্রতারণা
২.রোগাক্রান্ত শিশু আয়েশার চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা দাবিতে প্রতারণা
৩.আর্থিক প্রতারণার উদ্দেশ্যে ভারতীয় রোগাক্রান্ত শিশু বাংলাদেশি শিশু রাকিব দাবিতে প্রচার
আর্থিক অনুদান সংক্রান্ত পোস্টের মোবাইল নাম্বার পরিবর্তনের মাধ্যমে প্রতারণা
বছর জুড়ে রিউমর স্ক্যানারের উন্মোচন করা আর্থিক প্রতারণা সংক্রান্ত গুজবগুলোর মধ্যে আরেকটি উল্লেখযোগ্য প্রতারণা হলো আর্থিক অনুদান সংক্রান্ত পোস্টের মোবাইল নাম্বার পরিবর্তনের মাধ্যমে প্রতারণার চেষ্টা।
যেমন, ২০২২ সালের ২৩ মার্চ “আমার রাউজানের নাট্টোন বাগিছা এক গরীব রোগীর জন্য আর্তিক সহায়তা খুব প্রয়জন। ৭ বছরের সুসমিতা জান্নাত নামের এই বাচ্ছা কঠিন দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত। যে যেখান থেকে পারেন এ বাচ্ছাটার চিকিৎসার সাহায্যার্থে এগিয়ে আসুন।” শীর্ষক শিরোনামে একটি অনুদান সংক্রান্ত পোস্ট নিয়ে অনুসন্ধানে নামে রিউমর স্ক্যানার টিম।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, কথিত সুসমিতা জান্নাত নামের রোগাক্রান্ত শিশুর ছবি সম্বলিত আর্থিক সাহায্যের জন্য আবেদনকৃত পোস্টগুলোতে যে বিকাশ নাম্বারটি(01306313164)ব্যবহার করা হয়েছিল, সেটি একটি আর্থিক প্রতারক চক্রের নাম্বার। তবে কেবল এই পোস্টেই নয়, এর পূর্বেও উক্ত নাম্বার সংযুক্ত আর্থিক প্রতারণা বিষয়ক একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।
এ নিয়ে রিউমর স্ক্যানারের বিস্তারিত প্রতিবেদন পড়ুন এখানে।
এছাড়া ২০২২ সালের ২৯ এপ্রিল “শাহরিনকে বাঁচাতে আপনার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। শাহরিন সুবহা শ্রেষ্ঠা, বয়স -১০. শাহরিন আওয়ার লেডি অব ফাতিমা গার্লস স্কুল ( মিশনারী স্কুল , কুমিল্লা ) এর তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্রী। শাহরিনের মায়ের পথ ধরেই হেটে চলেছে শাহরিন এবং তার দুটো কিডনি ফেলিউর হয়ে গিয়েছে।” শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত আরও একটি আর্থিক অনুদান সংক্রান্ত পোস্টে প্রদত্ত নাম্বার নিয়েও অনুসন্ধান চালায় রিউমর স্ক্যানার টিম।
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রচারিত আর্থিক সহায়তার আবেদনটি সত্য হলেও এতে উল্লিখিত বিকাশ ও নগদ নাম্বারটি শাহরিনের চিকিৎসার আর্থিক সাহায্য পাঠানো প্রকৃত নাম্বার নয় বরং শাহরিনের জন্য সহায়তা পাঠানোর মূল বিকাশ ও নগদ নাম্বারটি পরিবর্তন করে প্রতারণার উদ্দেশ্যে নতুন বিকাশ ও নগদ নাম্বার সংযুক্ত করা হয়েছে।
এ নিয়ে রিউমর স্ক্যানারের বিস্তারিত প্রতিবেদন পড়ুন এখানে।
বছর জুড়ে রিউমর স্ক্যানারের উন্মোচন করা এমন আরও কিছু গুজব দেখুন:
১. ভিন্ন ব্যক্তির অর্থ সহায়তা চাওয়া পুরোনো ভিডিও ব্যবহার করে আর্থিক প্রতারণা
২.আর্থিক সহায়তা চাওয়া শিশুর তথ্য ব্যবহার করে ভিন্ন নাম্বার যুক্ত করে আর্থিক প্রতারণা
৩.সুসমিতা নাথ নামের শিশুর চিকিৎসায় আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন দাবিতে প্রচারিত বিষয়টি ভুয়া
অসুস্থ বা রোগাক্রান্ত বিভিন্ন ব্যক্তির পুরাতন বা অজ্ঞাত ছবি ব্যবহার করে আর্থিক প্রতারণা
বিদেশি ওয়েবসাইট থেকে ছবি সংগ্রহ বা মোবাইল নাম্বার পরিবর্তনই নয় রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা যায়, বছর জুড়ে অসুস্থ বা রোগাক্রান্ত বিভিন্ন ব্যক্তির পুরাতন বা অজ্ঞাত ছবি ব্যবহার করে আর্থিক প্রতারণার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহার করা হয়েছে।
যেমন, ২০২২ সালের পহেলা মার্চ “আপনারদের সমান্য সাহায্য মাধ্যমের বেঁচে যেতে পারে একটি এতিম শিশু। অনেক গরিব পরিবার। অনুরোধ করছি সবাই এগিয়ে আসেন” শীর্ষক শিরোনামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচারিত একটি পোস্টের সত্যতা যাচাইয়ে নামে রিউমর স্ক্যানার টিম।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, আবদুল্লাহ নামে প্রচারিত ছবিগুলো প্রায় দুই বছর সময়কাল আগে থেকেই ইন্টারনেটে প্রচার হয়ে আসছিলো।
এই নিয়ে রিউমর স্ক্যানারের বিস্তারিত প্রতিবেদন পড়ুন এখানে।
এছাড়া ২০২২ সালের “আমার নাম হাফেজা তানিয়া আক্তার তন্নী।আমরা দুই বোন। আমার ছোট বোনের হার্টের একটি ভাল্প নষ্ট হয়ে গেছে। ডাক্তার বলছেন জরুরী অপারেশন করাতে না পারলে ওকে বাঁচানো যাবে না।” শীর্ষক শিরোনামে কিছু ছবি সংযুক্ত একটি পোস্টের রিউমর স্ক্যানারের সত্যতা অনুসন্ধানে দেখা যায়, ছবিগুলো ফাতেমা নামের কোন নারীর নয় বরং ছবিগুলো আরও আগে থেকেই প্রচার হয়ে আসা ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত কেয়া খাতুন নামের ভিন্ন এক নারীর।
এই নিয়ে রিউমর স্ক্যানারের বিস্তারিত প্রতিবেদন পড়ুন এখানে।
বছর জুড়ে রিউমর স্ক্যানারের উন্মোচন করা এমন আরও কিছু গুজব দেখুন:
১. ফাবিহা নামের রোগাক্রান্ত শিশুর পুরোনো ছবি ব্যবহার করে আর্থিক প্রতারণা
২.আর্থিক প্রতারণার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশি শিশু নিরব দাবি করে অজ্ঞাত শিশুর পুরোনো ভিডিও প্রচার
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে ভুয়া ওয়েবসাইট তৈরি করে প্রতারণা
কেবল আর্থিক প্রতারণাই নয়, রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা যায়, বিভিন্ন নামিদামি সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট নকল করে বিভিন্ন ভুয়া ক্যাম্পেইন প্রচার করার মাধ্যমেও প্রতারণার আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে এ ধরণের ভুয়া ক্যাম্পেইন প্রচারের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। বছর জুড়ে রিউমর স্ক্যানার টিম এধরণের অনেকগুলো ভুয়া ক্যাম্পেইন শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা যায়, এসব ভুয়া ক্যাম্পেইনের ধরণ প্রায় একই৷ যেমন, প্রথম ধাপে বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর জিজ্ঞেস করা এবং শেষ ধাপে ক্যাম্পেইনটি সম্পর্কে জানানোর জন্য অন্যদেরকে শেয়ার করা।
এছাড়া এসব ক্যাম্পেইনগুলো ভুয়া ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, বর্ষপূর্তির নামে বা বিভিন্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে চালানো হয়।
বছর জুড়ে রিউমর স্ক্যানারের উন্মোচন করা এমন আরও কিছু গুজব দেখুন:
১. ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ACI কোম্পানি থেকে ৫ হাজার টাকা জেতার সুযোগ
২.হোয়াটসঅ্যাপের দশম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ৫০ জিবি ফ্রি ইন্টারনেট
৩.ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে ৫০ জিবি ইন্টারনেট ফ্রি
৪. বাংলাদেশ রেলওয়ে হতে ৩০ হাজার টাকা জেতার ক্যাম্পেইনটি ভুয়া
৫. বিশ্বকাপ দেখার জন্য বিনামূল্য ৫০ জিবি ডাটা প্রদানের ক্যাম্পেইন
মুঠোফোনে ক্ষুদে বার্তা প্রেরণের মাধ্যমে প্রতারণা
রিউমর স্ক্যানারের উন্মোচন করা আর্থিক প্রতারণা সংক্রান্ত গুজবের আরেকটি উপায় হচ্ছে মুঠোফোনে ক্ষুদে বার্তা প্রেরণের মাধ্যমে প্রতারণা।
রিউমর স্ক্যানার টিম ২০২২ সালের শুরুতেই ১৮ জানুয়ারি “প্রিয় শিক্ষার্থী! Coronavirus এর কারণে তোমাদের উপবৃত্তির ৪,২০০ টাকা দেওয়া হচ্ছে। টাকা গ্রহনের জন্য নিম্নোক্ত শিক্ষাবোর্ডের নম্বরে যোগাযোগ করুন। মোবাঃ 01846582569 01848138844 যোগাযোগের সময় সকাল 10 টা থেকে রাত 10 টা পযন্ত)” শীর্ষক মুঠোফোনে পাঠানো একটি ক্ষুদে বার্তা নিয়ে অনুসন্ধান করে।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় হতে শিক্ষার্থী বা অভিভাবকদের মোবাইলে উপবৃত্তির টাকা দেওয়া হবে শীর্ষক কোনো ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হয়নি বরং উপবৃত্তি প্রদান শীর্ষক ক্ষুদে বার্তাটি ভুয়া।
মূলত, একটি প্রতারক চক্র পরিকল্পিতভাবে শিক্ষার্থীদের নাম্বার সংগ্রহ করে ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তিগত নাম্বার থেকে উপবৃত্তি দেওয়ার নামে ভুয়া বার্তা প্রেরণ করছে যেখানে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা সরকার থেকে MFS গেটওয়ে এবং ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে সরাসরি শিক্ষার্থীদের কাছে পৌছানো হয়। অর্থাৎ ব্যক্তিগত কোনো নাম্বার থেকে ঐ ধরণের উপবৃত্তি সংক্রান্ত ক্ষুদে বার্তা প্রেরণের কোনো অবকাশ নেই।
এ নিয়ে রিউমর স্ক্যানারের বিস্তারিত প্রতিবেদন পড়ুন: উপবৃত্তির নামে মোবাইলে প্রেরিত ক্ষুদে বার্তাটি ভুয়া
প্রকৃতপক্ষে ২০২২ সাল জুড়েই প্রতারক চক্র বিভিন্নভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ব্যবহার করে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে এসেছে। বিপরীতে রিউমর স্ক্যানার টিমও এসব প্রতারণা উন্মোচনে সক্রিয়ভাবে কাজ করে এসেছে এবং কাজ করে যাবে৷ তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী হিসেবে একজন ব্যবহারকারীকেও সচেতন থাকতে হবে প্রতারকদের এসব ফাঁদ সম্পর্কে। সেটা আর্থিক অনুদান সংক্রান্তও হতে পারে আবার বিভিন্ন ভুয়া ওয়েবসাইট তৈরি করে ক্যাম্পেইনের মাধ্যমেও হতে পারে।