রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ছড়িয়ে পড়া ছবিটি ফাতেমা (রা.) এর কবরের নয় বরং এটি উসমান ইবনে আফফান (রা.) এর কবরের ছবি।
রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে, ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্বের তথ্য ও ছবি সংরক্ষণ বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘Madain Project’ এ “Tomb of Uthman ibn Affan” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে ভিন্ন কোণ থেকে ধারণকৃত একটি কবরের ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আলোচ্য কবরটি হযরত উসমান ইবনে আফফান (রা.) এর কবর।
মূলত, আলোচিত ছবিটি হযরত উসমান ইবনে আফফান(রা.) এর কবর এর। উক্ত কবরটি সৌদি আরবের মদিনা শরীফের মসজিদে নববীর দক্ষিণ পূর্ব দিকে “জান্নাতুল বাকি” নামের কবরস্থানে অবস্থিত। ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত উসমান ইবনে আফফান (রা.) এর ঐ কবরের ছবিকেই সাম্প্রতিক সময়ে ফাতেমা (রা.) এর কবরের ছবি দাবি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, পূর্বেও একই স্থানের ভিন্ন কোন থেকে আরেকটি ছবিকে ফাতিমা (রা.) এর কবরের ছবি দাবি করে ফেসবুকে প্রচার করা হলে সেসময় বিষয়টিকে মিথ্যা হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।
সম্প্রতি, এক মুসলিম নারী তার স্বামীর চার বিয়ের প্রতিবাদ করায় স্বামী কর্তৃক তালাকের শিকারহয়ে ভারতের উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্য নাথের কাছে বিচার চাইতে এসেছেন দাবি করে একটি ছবি ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে মুসলিম নারীর তালাক বিষয়ে অভিযোগের দাবিটি সঠিক নয় এবং ভাইরাল ছবিটিও সাম্প্রতিক সময়ের নয় বরং ছবিটি যোগী আদিত্য নাথের বাসভবনে ২০২২ সালে জনসাধারণের সাথে জনতা দর্শনের সময় তোলা। সেখানে যোগী আদিত্য নাথ একাধিক ব্যক্তির সমস্যা শুনলেও কে কী সমস্যা নিয়ে গিয়েছিল তা জানা যায়নি।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে ভারতের উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্য নাথের মিডিয়া অ্যাডভাইজার Mrityunjay Kumar এর অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে ২০২২ সালের ১১ মে প্রকাশিত একটি টুইটে উক্ত ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে উক্ত নারী ছাড়াও অপর এক ব্যক্তির সাথে মুখ্যমন্ত্রীর আলাপরত অবস্থার আরেকটি ছবিও পাওয়া যায়।
ছবিটিতে হিন্দি ভাষার ক্যাপশন দেখা যায়, যার ইংরেজি অনুবাদ করলে দাঁড়ায় ‘Hate them as much as you want, they never discriminate’.তবে সেখানে বিস্তারিত কোনো তথ্য উল্লেখ করা হয়নি।
Screenshot: Twitter
উপরোক্ত তথ্যের সূত্র ধরে পরবর্তীতে প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড অনুসন্ধানের মাধ্যমে ভারতের উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অফিসের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে ২০২২ সালের ১১ মে প্রকাশিত একটি পোস্টে একই ছবি খুঁজে পাওয়া যায়।
Screenshot: Facebook
উক্ত ছবির সাথে হিন্দি ভাষার ক্যাপশনে আরও কয়েকটি ছবি পোস্ট করা হয়। ক্যাপশনটি বাংলায় অনুবাদ করে জানা যায়, জনসাধারণের সমস্যা ও অভিযোগ সমাধান করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
Screenshot: Facebook
উক্ত পোস্ট থেকে বোঝা যায়, মুখ্যমন্ত্রী সাধারণ জনগনের সমস্যার কথা শোনেন এবং তা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে থাকেন। সেখানে ওই নারী ছাড়াও আরও কয়েকজন সাহায্যপ্রার্থী উপস্থিত ছিলেন। তবে তাদের সমস্যার ব্যাপারে উক্ত পোস্টে কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।
বিষয়টি অধিকতর অনুসন্ধানে ভারতীয় গণমাধ্যম One India এর ওয়েবসাইটে চলতি বছরের ০৬ এপ্রিল ‘সাধারণ মানুষের অভিযোগ মন দিয়ে শুনতে হবে কড়া নির্দেশ যোগীর’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।
Screenshot: One India
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছতে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জনতা দর্শন করে থাকেন। সেই জনতা দর্শনে রাজ্যের সাধারণ মানুষ একেবারে সরাসরি তাঁর কাছে তাঁদের অভাব অভিযোগ জানাতে পারেন। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানানোর সুযোগ মেলে বলে দূরদূরান্ত থেকে মানুষ তাঁর জনতা দর্শন অনুষ্ঠীনে আসেন। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁকে দাবি দাওয়া অভাব অভিযোগ জানান।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মানুষের কাছে পৌঁছতে হবে আধিকারিকদের কড়া নির্দেশ দিয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ। মানুষের কাছে গিয়ে তাঁদের ভরসার যোগ্য হয়ে উঠতে হবে। জনতা দর্শনের জন্য যাঁরা দূরদূরান্ত থেকে আসছেন তাঁদের অভিযোগ মন দিয়ে শুনে অভিযোগ অনুযায়ী সমস্যার সমাধান দ্রুত করতে হবে। তিনি আধিকারীকদের কড়া নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, মানুষের অভাব শুনে সেই মত দ্রুত পদক্ষেপ করতে হবে। এবং তাঁদের সুনিশ্চিত করতে হবে।
পাশাপাশি, উক্ত ক্যাপশন বা ইন্টারনেটে খুঁজে কোথাও ওই ছবিতে প্রদর্শিত নারীর সমস্যার কথা জানা যায়নি।
অর্থাৎ, উপরোক্ত তথ্য উপাত্ত পর্যালোচনা করলে এটা স্পষ্ট যে, ছবিতে প্রদর্শিত নারীর বিষয়ে প্রচারিত তথ্যটি সঠিক নয়।
মূলত, সম্প্রতি ভারতের উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্য নাথের সাথে বোরকা পরিহিত এক নারীর ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে যেখানে দাবি করা হচ্ছে উক্ত নারী তার স্বামীর চার বিয়ের প্রতিবাদ করায় তালাকের শিকার হয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিচার দিতে এসেছেন। তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ছবিটি প্রথম প্রচারিত হয় ২০২২ সালের ১১ মে মুখ্যমন্ত্রী অফিসের ফেসবুক এবং মুখ্যমন্ত্রীর মিডিয়া অ্যাডভাইজারের টুইটার অ্যাকাউন্টে। যেখানে ওই নারী ছাড়াও আরও কয়েকজন সাহায্যপ্রার্থীর সাথে মুখ্যমন্ত্রীকে কথা বলতে দেখা যায়। তবে সেখানে বা অন্য কোথাও তাদের সমস্যা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, পূর্বেও ধর্মীয় বিষয়কে জড়িয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হলে সেসব ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।
সুতরাং, ২০২২ সালে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্য নাথের সাথে জনতার দর্শনে আসা এক নারীর ছবিকে সাম্প্রতিক সময়ে স্বামীর চার বিয়ের প্রতিবাদ করায় তালাকের শিকার করে বিচার দিতে আসার একটি ভিত্তিহীন দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর।
তথ্যসূত্র
UP CM Media Advisor Mrityunjay Kumar Twitter : Tweet 2022
Chief Minister Office Uttar Pradesh Verified Facebook Page: Post 2022
সম্প্রতি, “গাছে ডিম ধরেছে ভেবে ভুল করবেন না! এটা “ডকমাই আম” একে হোয়াইট ম্যাংগো বলা হয়” শীর্ষক শিরোনামে কয়েকটি ছবি সহ দাবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচারিত হচ্ছে।
আবার, আলোচিত দাবিগুলো থেকে ক্যাপশন নিয়ে মূলধারার সংবাদমাধ্যম “সংবাদ সারাবেলা” এর ফেসবুক পেজে ভিন্ন ছবি দিয়ে পোস্ট করতে দেখা গেছে। [যদিও অন্যান্য পোস্টগুলোতে কিসের ডিম (দাবি), সেটি উল্লেখ না করা হলেও এখানে নির্দিষ্ট করে “হাঁসের ডিম” উল্লেখ করা হয়েছে।]
পোস্ট অনুযায়ী, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবিগুলোকে “গাছে ডিম ধরেছে” শীর্ষক ক্যাপশনে প্রচারিত দাবি-ও খুঁজে পাওয়া গেছে। দেখা যায়, এজাতীয় পোস্টগুলোর কমেন্ট বক্স ও বিভিন্ন শেয়ার পোস্টে বিষয়টিকে সত্য (বাস্তব ঘটনার ছবি) মনে করেছে অনেকে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে হোয়াইট ম্যাংগো বা ‘ডকমাই আম’ দাবিতে প্রচারিত ছবিগুলো বাস্তব নয় বরং এগুলো কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই টুলস ব্যবহার করে তৈরি করা।
অনুসন্ধান
“ডকমাই আম” দাবিতে ইন্টারনেটে প্রকাশিত ছবি গুলো পর্যবেক্ষণ করে ছবির বাম দিকের নিচের কর্ণারে মাইক্রোসফট “বিং” এর লোগো খুঁজে পাওয়া যায়। এই লোগো সাধারণত মাইক্রোসফট বিং এর কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই টুলস ‘Bing Image Creator’ দিয়ে তৈরি ছবির সাথে ওয়াটারমার্ক হিসেবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়ে যায়।
Image by Rumor Scanner
অনুসন্ধানের মাধ্যমে গ্লোবাল কম্পিউটার ম্যাগাজিন ‘Pcworld’ এর ওয়েবসাইটে “Hands-on with Microsoft’s Dall-E 2-based Bing Image Creator: It’s good!” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে মাইক্রোসফট বিং এর কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই টুলস ‘Bing Image Creator’ দিয়ে তৈরি একটি ছবি পাওয়া যায়। এই ছবিতেও আলোচিত ছবিগুলোর ন্যায় মাইক্রোসফট বিং লোগো একই স্থানে দেখতে পাওয়া যায় (ওয়াটারমার্ক হিসেবে)।
Screenshot from Pcworld
পাশাপাশি, সংবাদ সংস্থা ‘Reuters’ এ “Fact Check-Images of eggs hanging from trees are AI-generated” শীর্ষক শিরোনামে গত ৫ মে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে, “সাদা আম বা “ডকমাই আম” দাবিতে প্রকাশিত ছবিগুলো বিং এর কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই টুলস ‘Bing Image Creator’ ব্যবহার করে তৈরি করা।”
Screenshot from Reuters
প্রতিবেদনটিতে ‘Generative AI and Deep Fakes’ বিষয়ক ইন্ডিপেন্ডেন্ট উপদেষ্টা হেনরি আইডর এর বরাতে উল্লেখ করা হয়, “ছবিগুলো স্পষ্টতই ত্রুটি এবং পক্ষপাতদুষ্ট, কিছু অংশ একে অপরের সাথে মিশে গেছে এবং অন্যান্য কিছু অংশে অসঙ্গতি আছে”।
Screenshot from Reuters
অর্থাৎ, রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী ছবিগুলো ডিমের (এআই জেনারেটেড) ছবি।
মূলত, মাইক্রোসফট বিং এর কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই দ্বারা ছবি তৈরির টুল ‘Bing Image Creator’ এর সাহায্যে ছবি গুলো তৈরি করা হয়। পরে এই ছবিগুলোই এর উপকরণের সাদা রং ও আকৃতির কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে “গাছে ডিম ধরেছে” শীর্ষক দাবিতে প্রথমে প্রচারিত হয়। পরবর্তীতে অনেক ব্যবহারকারীগণ ছবিগুলোর “ডিমের ছবি” দাবিটিকে খন্ডিত করে এগুলোকে হোয়াইট ম্যাংগো বা ‘ডকমাই আম’ দাবিতে ফেসবুকে প্রচার করেছে। যদিও ছবিগুলো বাস্তব কোনো ডিম কিংবা আমের ছবি নয়। এগুলো কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা টুলস ব্যবহার করে তৈরি করা ছবি।
প্রসঙ্গত, পূর্বেও বিভিন্ন সময়ে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা তৈরি ছবি নিয়ে ইন্টারনেটে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে পড়লে তা শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার। এমন কিছু প্রতিবেদন দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।
সুতরাং, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই টুলসের সাহায্যে তৈরি ছবি হোয়াইট ম্যাংগো বা ‘ডকমাই আম’ এর বাস্তব ছবি দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রচারিত ছবিটি হযরত আদম আঃ এর পায়ের ছাপের নয় বরং এটি ইন্দোনেশিয়ার তাপাক তুয়ান নামক স্থানে অবস্থিত দৈত্য সদৃশ একটি পায়ের ছাপ।
ছবিটির বিস্তারিত বিবরণীতে ইন্দোনেশিয়ার ‘Aceh’ নামক প্রদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমে তাপাকতুয়ান নামের শহরে অবস্থিত জায়গাটির নাম ‘তাপাকতুয়ান’, যার বাংলা অর্থ হচ্ছে পায়ের ছাপ।
পরবর্তীতে, ‘তাপাকতুয়ান’ সম্পর্কে বিস্তারিত অনুসন্ধানে ইন্দোনেশিয়ান ভিত্তিক ওয়েবসাইট ‘Good News From Indonesia’ এ ২০২১ সালের ০৭ জুনে “Legenda Tuan Tapa, Telapak Kaki Raksasa di Kota Naga Aceh Selatan” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে একই ছবি খুঁজে পাওয়া যায়।
ইন্দোনেশিয়ান ভাষায় প্রকাশিত আলোচিত প্রতিবেদনটি বঙ্গানুবাদ করে জানা যায়, বিখ্যাত এই পায়ের ছাপ সদৃশ জায়গাটি প্রায় ২.৫ মিটার (৮.২ ফুট) প্রশস্ত এবং ৬ মিটার (১৯.৬ ফুট) লম্বা। ‘শেখ তুয়ান তাপা (Sheikh Tuan Tapa) নামে বিশালদেহী এক তপস্বীর পায়ের ছাপ থেকেই জায়গাটির নামকরণ করা হয়েছে’ এমন দাবি প্রচলিত থাকলেও তা শুধুমাত্র মানুষের বিশ্বাস বা স্থানীয় পুরাকথা। তবে, এর পিছনে বৈজ্ঞানিক কোনো তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
মূলত, ইন্দোনেশিয়ার ‘Aceh’ নামক প্রদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমে তাপাকতুয়ান নামের শহরে অবস্থিত সমুদ্রের তীরবর্তী একটি প্রাকৃতিক জায়গায় দৈত্য সদৃশ পায়ের ছাপের ছবিকে হযরত আদম আঃ এর পায়ের ছাপ দাবিতে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে প্রচার করা হচ্ছে। স্থানীয়ভাবে এটিকে তুয়ান তাপা নামের এক তপস্বীর পায়ের ছাপ হিসেবে কথিত থাকলেও এর পক্ষে কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি খুঁজে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, পূর্বেও ইরাকের প্রাচীন শহর উর থেকে সংগৃহীত মানুষের পায়ের ছাপ সদৃশ একটি ইটের ছবিকে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা. এর পায়ের ছাপের ছবি দাবিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছিলো। সেসময়ে বিষয়টিকে মিথ্যা হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার টিম।
অর্থাৎ, ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত ইন্দোনেশিয়ায় অবস্থিত সমুদ্রের তীরবর্তী একটি প্রাকৃতিক জায়গায় দৈত্য সদৃশ পায়ের ছাপের ছবিকে হযরত আদম আঃ এর পায়ের ছাপের ছবি দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে ইন্টারনেটে প্রচার হয়ে আসছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ডিবি প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের পদ হারানোর তথ্যটি সঠিক নয় বরং কোনো ধরনের তথ্যসূত্র ছাড়াই ভিত্তিহীনভাবে হারুন অর রশীদের পদ হারানোর তথ্যটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।
দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে অনুসন্ধানে মূলধারার কোনো গণমাধ্যমে ডিবি প্রধানের পদ হারানো সংক্রান্ত কোনো তথ্য বা সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে গত ২৪ মে সংবাদ ভিত্তিক চ্যানেল DBC News এ ‘এক প্রজ্ঞাপনে পুলিশের ২৭ উর্দ্ধতন কর্মকর্তাকে বদলি‘ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।
Screenshot: DBC News
প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, গত ২৪ মে বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টারের অ্যাডিশনাল ডিআইজি (পার্সোনেল ম্যানেজমেন্ট-২) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনারসহ ২৭ পুলিশ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।
তবে এই ২৭ পুলিশ কর্মকর্তার তালিকা বিশ্লেষণ করে সেখানে ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের নাম পাওয়া যায়নি।
পরবর্তীতে তথ্যটি নিয়ে অধিকতর অনুসন্ধানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের পদ হারানোর বিষয়টি প্রচার হওয়ার পর ডিবি প্রধান হিসেবে হারুন অর রশীদের কোনো কার্যক্রম পাওয়া যায় কি না তা যাচাই করা হয়।
ভিডিওটির বিস্তারিত বিবরণী থেকে আরও জানা যায়, ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এই প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের সাথে নানা তথ্য আদান-প্রদান করেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
এছাড়া ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)’র ভ্যারিফাইড ফেসবুক পেইজেও উক্ত লাইভ ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়। যেখানে সাংবাদিকদের ব্রিফ করছিলেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
এ নিয়ে ডিএমপির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন এখানে।
Screenshot: DMP News
এছাড়া, ডিএমপির ডিবি প্রধান হিসেবে হারুন অর রশীদের পদচ্যুতির দাবি সংক্রান্ত কোনো তথ্য গণমাধ্যম, বাংলাদেশ পুলিশ কিংবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
অর্থাৎ, উপরোক্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে প্রতীয়মান হয় যে, ডিবি প্রধান হিসেবে হারুন অর রশীদের পদ হারানোর তথ্যটি বানোয়াট।
এছাড়া ফেসবুকের নিজস্ব মনিটরিং টুল ব্যবহার করে দেখা যায়, ডিবি প্রধান হিসেবে হারুন অর রশীদের পদ হারানোর তথ্যটি সর্বপ্রথম প্রচার করা হয় Abdur Rab Bhuttow নামের একটি ফেসবুক পেইজ থেকে।
Screenshot: Crowdtangle
উল্লেখ্য, এই পেইজটির সূত্রে পূর্বেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত একাধিক দাবিকে ভুল প্রমাণ করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার টিম।
মূলত, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘ডিবি প্রধানের পদ হারালেন বিতর্কিত পুলিশ অফিসার হারুন উর রশিদ’ শীর্ষক একটি দাবি ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, উক্ত দাবিটি কোনো ধরনের তথ্যসূত্র ছাড়াই প্রচার হচ্ছে। এছাড়া ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান হিসেবে হারুন অর রশীদের পদ হারানোর দাবি করা হলেও অনুসন্ধানে দেখা যায়, উক্ত দাবি প্রচারের পরবর্তী সময়েও তিনি ডিবি প্রধান হিসেবে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এবং এই প্রতিবেদন প্রকাশের আগ পর্যন্ত তিনি উক্ত দায়িত্বে বহাল আছেন।
সুতরাং, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা প্রধান(ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের পদ হারানোর তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
ভারতের ফেসবুক ব্যবহারকারীদের একই দাবিতে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, রাশিয়া এবং কানাডার মধ্যবর্তী আর্কটিক সার্কেল থেকে দেখা এক অপূর্ব দৃশ্য দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি বাস্তব নয় বরং এটি CGI পদ্ধতিতে নির্মিত ভিডিও।
মূলত, Aleksey নামে একজন 3D Animation & CGI Artist ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় উক্ত এনিমেশন ভিডিওটি ২০২১ সালে নির্মাণ করেছিলেন। Aleksey এর টিকটক এবং ইন্সটাগ্রাম একাউন্টে এই ধরণের একাধিক এনিমেশন ভিডিওর অস্তিত্ব রয়েছে। উক্ত ভিডিওকেই চাঁদ বিলীন হয়ে যাওয়ার বাস্তব ভিডিও দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, একই ভিডিও ২০২১ সালে উত্তর মেরুতে চাঁদ অবস্থানের বাস্তব দৃশ্য দাবিতে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।
সম্প্রতি, ইউটিউবার তৌহিদ আফ্রিদ্রি লাইভে এসে অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করেছেন শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে।
কী দাবি করা হচ্ছে?
তৌহিদ আফ্রিদির নামে পরিচালিত একাধিক ফেসবুক পেজ থেকে প্রচারিত লাইভগুলোর ক্যাপশনে দাবি করা হচ্ছে, “আমি প্রথম ৭৫০ জনকে নগদ ১৫ হাজার ডলার দেব যারা ছবির নম্বর সঠিকভাবে অনুমান করবে। শুভকামনা।”
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ইউটিউবার তৌহিদ আফ্রিদি ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে এসে কোনো ধরণের অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করেননি বরং তৌহিদ আফ্রিদির নামে পরিচালিত বিভিন্ন ভুয়া ফেসবুক পেজ থেকে পুরোনো ভিডিও ব্যবহার করে উক্ত দাবিটি ছড়িয়ে পড়েছে।
রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে অনুসন্ধানে তৌহিদ আফ্রিদির ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে “Gift Opening” শীর্ষক ক্যাপশনে গত ৪ জানুয়ারি প্রকাশিত ৫০ মিনিট ৩ সেকেন্ডের একটি লাইভ ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।
ভিডিওতে ব্যাকগ্রাউন্ড এবং আনুষঙ্গিক বিষয়গুলোর সাথে আলোচিত দাবিতে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোর মিল খুঁজে পাওয়া যায়।
Screenshot from Facebook
লাইভ ভিডিওটি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত ০৩ জানুয়ারি তৌহিদ আফ্রিদি তার জন্মদিনে পাওয়া গিফটগুলো পরদিন লাইভ ভিডিওতে খুলে দেখান।
পরবর্তীতে, সাম্প্রতিক সময়ে তৌহিদ আফ্রিদির উক্ত লাইভ ভিডিও ব্যবহার করে ‘Tawhid Afridi’ নামে ফেসবুকে একাধিক পেজ (১,২,৩) খুলে তিনি অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করেছেন দাবিটি প্রচার করা হচ্ছে।
Image Comparison by Rumor Scanner
এ বিষয়ে জানতে তৌহিদ আফ্রিদি’র সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার সাজিদুল ইসলাম পাঠানের সাথে যোগাযোগ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। তিনি জানান, “গুটিকয়েক ফেসবুক পেজ তাদের ফলোয়ার বৃদ্ধির জন্যে এসব ফেইক লাইভ করছে। তৌহিদ আফ্রিদি এমন কোন কুইজ বা প্রতিযোগিতা আয়োজন করেননি।”
মূলত, গত ০৪ জানুয়ারি তৌহিদ আফ্রিদি এক ফেসবুক লাইভে তার জন্মদিনে পাওয়া গিফটগুলো খুলে দেখান। পরবর্তীতে উক্ত লাইভ ভিডিও ব্যবহার করে তার নামে একাধিক ভুয়া ফেসবুক পেজ থেকে তিনি অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করেছেন দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ইতোপূর্বে নায়ক অনন্ত জলিল এবং অভিনেত্রী তানজিন তিশার নামে ভুয়া ফেসবুক পেজ খুলে ক্রিস্টমাস ও নতুন বছর উপলক্ষে তারা অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করেছেন দাবিতে প্রচার করা হলে সেসব পেজ ভুয়া হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।
সুতরাং, ইউটিউবার তৌহিদ আফ্রিদি ফেসবুক লাইভে এসে অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করেছেন শীর্ষক একটি দাবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
সম্প্রতি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পরের দিনে(২৬ মে) দুবাইয়ে যাওয়ার জন্য টিকিট কেটেছেন শীর্ষক দাবিতে একটি তথ্য গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের সিটি করপোরেশনটির চলমান নির্বাচনের পরের দিনে(২৬ মে) দুবাইয়ে যাওয়ার জন্য টিকিট কাটার দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সঠিক নয় বরং ইন্টারনেটে প্রচারিত যে টিকিটটির সূত্র ধরে উল্লেখিত তথ্যটি প্রচার করা হচ্ছে সে টিকিটটি ভুয়া ও বানোয়াট।
দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে রিউমর স্ক্যানার টিম প্রথমেই টিকিটটিতে থাকা তথ্যগুলো যাচাই করে দেখে।
Image: Fake ticket circulated in name of Jahangir Alam
টিকিটের তথ্য বিবরণী অনুযায়ী গাজীপুর সিটি করপোরেশনে চলমান নির্বাচনের পরদিন শুক্রবার (২৬ মে) সকাল সোয়া আটটায় দুবাই যাওয়ার উদ্দেশ্যে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের টিকিট ক্রয় করেছেন গাজীপুর সিটির সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। বিজনেস ক্লাসের ঐ টিকিটে দেখা যায়, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টায় দুবাইয়ে পৌঁছাবেন তিনি। টিকিট অনুযায়ী, ফ্লাইট নাম্বার BS343।
পরবর্তীতে এই ফ্লাইট নাম্বার ধরে অনুসন্ধানে দেখা যায়, এই নাম্বারধারী ফ্লাইটটি আজ ২৫ মে ঢাকা থেকে দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে গিয়েছে। এই নাম্বারের ফ্লাইটের পরবর্তী শিডিউল যথাক্রমে ২৭ ও ২৯ মে ও এবং পহেলা জুনে।
Screenshot: flightradar24
অর্থাৎ গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পরদিন অর্থাৎ আগামীকাল ২৬ মে এই ফ্লাইট নাম্বারের কোনো শিডিউল নেই।
তথ্যটি সম্পর্কে আরও নিশ্চিত হতে রিউমর স্ক্যানার টিম ইউএস বাংলার ওয়েবসাইটে পাওয়া তথ্যও বিশ্লেষণ করে দেখে।
Screenshot: US Bangla Airlines website
এতে দেখা যায়, আগামীকাল, ২৬ মে ইউএস বাংলার যে ফ্লাইটটি ঢাকা থেকে দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে যাবে, সেটির ফ্লাইট নাম্বার BS341।
পাশাপাশি জাহাঙ্গীর আলমের টিকিট দাবিতে প্রচারিত টিকিটটি সম্পর্কে আরও নিশ্চিত হতে ইউএস বাংলার ওয়েবসাইটের manage booking অংশ থেকে টিকিটটিতে প্রদত্ত টিকিট নাম্বার ও প্যাসেঞ্জার বা যাত্রীর নাম দিয়ে যাচাই করে দেখা হয়।
Screenshot: US Bangla Airlines website
তবে যাচাইয়ে এই দুইয়ের মধ্যে কোনো সামঞ্জস্য না থাকায় উক্ত টিকিটটি সম্পর্কে কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।
বিষয়টি নিয়ে অধিকতর অনুসন্ধানের লক্ষ্যে রিউমর স্ক্যানার টিম ইউএস বাংলার ওয়েবসাইটে টিকিট সংক্রান্ত বিষয়ের জন্য প্রদত্ত নাম্বারে যোগাযোগ করে টিকিটটির সত্যতা সম্পর্কে জানতে চায়।
এ প্রসঙ্গে ইউএস বাংলার কাস্টমার কেয়ার থেকে রিউমর স্ক্যানার টিমকে জানানো হয়, ‘টিকিটটিতে প্রদত্ত বুকিং রেফারেন্স 04QTMN অনুযায়ী, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এই টিকিটটি কাটা হয়েছে ঢাকা থেকে আরব আমিরাতের আরেক শহর শারজাহের জন্য এবং বুকিং রেফারেন্স 04QTMN সম্বলিত মূল টিকিটের যাত্রীর নামের সঙ্গেও সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের নামের মিল পাওয়া যায়নি।’
অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে, সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের টিকিট দাবিতে প্রচারিত টিকিটের সাথে ইউএস বাংলার ওয়েবসাইটে প্রদত্ত তথ্যের অসঙ্গতি রয়েছে।
পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এই টিকিট সংক্রান্ত একটি পোস্ট ও একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।
ফেসবুক পোস্টটিতে (আর্কাইভ) জাহাঙ্গীর আলম লিখেন, “জাহাঙ্গীর আলম দুবাই পালিয়ে যাচ্ছে”, এমন একটি মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিমূলক তথ্য গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে আমাদের সাধারণ ভোটারদের ভীত এবং আতংকিত করতে চাচ্ছে আজমত উল্লাহ বাহিনী। প্রিয় গাজীপুরবাসী! আপনাদের জাহাঙ্গীর আলম গত ১৮ মাসে দেশ ছেড়ে পালায় নাই। কালকের পরের দিনও পালাবে না। আপনাদের জাহাঙ্গীর আলম আপনাদের ছেড়ে কোথাও যাবে না। মরতে হলে এই গাজীপুরেই নিজ বাড়িতে, আপনাদের কোলেই মরবে।’
Screenshot: Ex Mayor Jahangir Alam Facebook Post
এছাড়া ভিডিও পোস্টেও তিনি একই কথা বলেন। ‘প্রিয় গাজীপুরবাসী, গুজব ও অপপ্রচারে কান দিবেন না। (আর্কাইভ)’ শীর্ষক ৩০ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আজকে দেখলাম, বিভিন্ন ফেসবুক, ইউটিউব ও টেলিভিশন চ্যানেলে অপপ্রচার করা হচ্ছে যে, আমি নাকি দুবাই চলে যাচ্ছি। তবে আমি আপনাদের অনুরোধ করবো, আপনারা কোনো গুজব ও মিথ্যায় কান দিবেন না।’
Screenshot: Ex Mayor Jahangir Alam Facebook Video
মূলত, আজ ২৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশনে মেয়র নির্বাচন চলছে। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন নিয়েছিলেন সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম ও তার মা জায়েদা খাতুন। পরবর্তীতে জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্রটি বাতিল করা হলে তিনি তার মায়ের পক্ষেই নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে থাকেন৷ এর মধ্যেই সিটি করপোরেশনটিতে নির্বাচনে ভোট গ্রহণের শুরু হওয়ার আগের দিন থেকে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি টিকিটের ছবি প্রচার করে দাবি করা হয় যে, এই নির্বাচনের পরের দিনে দুবাই যাওয়ার জন্য টিকিট কেটেছেন সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। তবে রিউমর স্ক্যানারের সার্বিক অনুসন্ধানে জানা যায়, জাহাঙ্গীর আলমের নির্বাচনের পরের দিনে দুবাই যাওয়ার টিকিট কাটার দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত টিকিটটি ভুয়া।
সম্প্রতি ‘শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে’ শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে প্রচার করা হচ্ছে।
যেখানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘আর ২৭ নয়, আর ১০ দফা নয়, এবার এক দফা, শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে। ৭৫ এর হাতিয়ার, ১৫ আগস্ট আবার ঘটাতে হবে। শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে।’
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে শীর্ষক কোনো বক্তব্য দেননি বরং তার দীর্ঘ বক্তব্য থেকে একাধিক খণ্ডিত অংশ জুড়ে দিয়ে এটি তৈরি করা হয়েছে।
ভিডিওটির ৫৭ সেকেন্ড সময়কালে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এখন শেখ হাসিনার সরকারকে পতনের জন্য এক দফা ঘোষণা দিয়েছেন। আর গত ১৯ মে রাজশাহীর পুঠিয়ায় দলটির জেলা আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ বক্তৃতা করে বলেছেন, আর ২৭ দফা নয়, আর ১০ দফা নয়, এবার এক দফা, শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে। এই এক দফা। এটা কি আপনারা শুনেছিলেন?’
এরপর একই বক্তব্যের ১ মিনিট ৫০ সেকেন্ড সময়কালে তিনি বলেন, ‘এই রাজশাহীতে সাবেক মেয়র প্রকাশ্যে দিবালোকে বলেছিল, ৭৫ এর হাতিয়ার, ১৫ আগস্ট আবারও ঘটাতে হবে। আজ তারা এক দফার নামে শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে।’
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, তার একই অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যের এই দুইটি খণ্ডিত অংশকে জুড়ে দিয়েই মূলত ২৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপ তৈরি করে প্রচার করা হচ্ছে।
সেদিনের শান্তি সমাবেশে ওবায়দুল কাদেরের দেওয়া পুরো বক্তব্যটি আরও দেখুন somoynews.tv এর লাইভে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন পড়ুন এখানে, এখানে।
Screenshot: Daily Prothom Alo
মূলত, গত ১৯ মে রাজশাহীর পুঠিয়ায় রাজশাহী জেলা ও মহানগর বিএনপির সমাবেশে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ বলেন, ‘আর ২৭ দফা ১০ দফার মধ্যে আমরা নাই। এক দফা- শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে।’ শীর্ষক একটি বক্তব্য দেন৷ পরবর্তীতে তার এই বক্তব্যের সমালোচনা করে গত ২১ মে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সমাবেশে দেওয়া ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্য থেকেই ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় আলাদা আলাদা দুইটি অংশ কেটে নিয়ে ওবায়দুল কাদের ‘শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে’ শীর্ষক বক্তব্য দিয়েছেন দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বিএনপির জেলা আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ কর্তৃক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কবরে পাঠানোর হুমকির প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগসহ এর সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনগুলো দেশব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে এবং তাকে গ্রেফতারের দাবি জানায়। পাশাপাশি চাঁদের বিরুদ্ধে রাজশাহী সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মামলাও হয়। এরই প্রেক্ষিতে গত ২৫ মে চাঁদকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সুতরাং, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের একটি দীর্ঘ বক্তব্যের ভিডিও থেকে নেওয়া একাধিক খণ্ডিত অংশকে জোড়া লাগিয়ে ‘শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে’ শীর্ষক একটি বক্তব্যকে ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য দাবি করে ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে; যা সত্য নয়, উক্ত বক্তব্যটি সম্পূর্ণ বিকৃত।
গত, ২০ মে অনুষ্ঠিত গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষ মানবিক (খ) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে শীর্ষকদাবিতে একটি পোস্ট ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
কী দাবি করা হচ্ছে?
গত ২০ মে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষ মানবিক (খ) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয় দুপুর ১২টায়। এর পূর্বে সকাল ১১ টা ৩০ মিনিটে ফেসবুকে ‘Arif Hasan Joy’ নামক একটি অ্যাকাউন্ট থেকে প্রকাশিত একটি পোস্টে (আর্কাইভ) দাবি করা হয়, “গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা ২০২৩ এর মানবিক শাখা ‘গ’ ইউনিট এর প্রশ্ন আমাদের হাতে চলে আসছে নিচে প্রশ্নের আংশিক অংশ দেওয়া হলো। সময় সকাল ১১ টা ৩০ মিনিট এই টুকুই প্রমাণের জন্য যথেষ্ট।”
পোস্টের সাথে একটি ছবি সংযুক্ত আছে যেখানে হাতে লেখা কিছু প্রশ্ন দেখা যাচ্ছে।
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষ মানবিক (খ) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে শীর্ষক দাবিটি সঠিক নয় বরং পরীক্ষা শুরুর পূর্বে প্রশ্নের ছবি ব্যতীত একটি পোস্ট করে পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরে একই পোস্ট এডিট/সম্পাদনা করে হতে লেখা প্রশ্নের ছবিটি সংযুক্ত করা হয়।
কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে অনুসন্ধান করে দেখা যায়, চলতি বছর গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষ মানবিক (খ) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২০ মে দুপুর ১২ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত পোস্টটিতে থাকা হাতে লেখা প্রশ্নপত্রটি যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে গুচ্ছের মানবিক ইউনিটের মূল প্রশ্নের (আর্কাইভ) বাংলা অংশের সাথে পোস্টের প্রশ্নের মিল খুঁজে পাওয়া যায়।
Screenshot source: Facebook
অর্থাৎ, আলোচিত পোস্টে চলতি বছরের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার মানবিক ইউনিটের প্রশ্নের একাংশ সংযুক্ত ছিল।
পরবর্তীতে, ‘Arif Hasan Joy’ নামক আলোচিত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রকাশিত পোস্টটির ‘Edit History’ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সকাল ১১ টা ৩০ মিনিটে যখন পোস্ট করা হয়, তখন পোস্টের সাথে প্রশ্নপত্রের কোনো ছবি যুক্ত ছিল না। পরবর্তীতে বিকাল ৫ টা ২৮ মিনিটে প্রশ্নপত্রের ছবিটি যুক্ত করা হয়।
অর্থাৎ স্ট্যাটাসটিতে কোনো ছবি যুক্ত না করে পোস্ট করা হয়েছে সকালে এবং ভর্তি পরীক্ষা শেষ হওয়ার প্রায় সাড়ে চার ঘন্টা পর প্রশ্নপত্রটি যুক্ত করা হয়েছে।
এছাড়া, চলতি বছরের গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষ মানবিক (খ) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হওয়া শীর্ষক কোনো তথ্য ইন্টারনেটে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
উক্ত অ্যাকাউন্টে আরও প্রতারণার নমুনা
Arif Hasan Joy নামের উক্ত ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, একই উপায়ে (পরীক্ষার পূর্বে ছবিবিহীন পোস্ট(আর্কাইভ) করে পরীক্ষার পরে প্রশ্নপত্রের ছবি সংযুক্ত করা) বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালস (BUP) এর ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের গুজব ছড়ানো হয়।
Screenshot Source: Facebook
বিইউপি ছাড়াও, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের গুজব ছড়ানোর প্রমাণও মেলে উক্ত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে।
Collage by Rumor Scanner
মূলত, গত ২০ মে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষ মানবিক (খ) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় দুপুর ১২ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত। এই পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে একইদিন সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে প্রকাশিত একটি পোস্টে দাবি করা হয়, ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। উক্ত পোস্টগুলোর সাথে হাতে লেখা প্রশ্নপত্রের একটি ছবিও সংযুক্ত করা হয়। তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা যায়, উক্ত ভর্তি পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর বিকাল ৫টা ২৮ মিনিটে পোস্টটি এডিট/সম্পাদনা করে প্রশ্নপত্রের ছবিটি যুক্ত করা হয়।
উল্লেখ্য, পূর্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে দাবিতে একটি গুজব একইভাবে ছড়িয়ে পড়লে সেটির বিষয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।
সুতরাং, গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষ মানবিক (খ) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে শীর্ষক একটি দাবি ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।