Home Blog Page 571

বাস্তব আম কিংবা ডিম নয়, ছবিগুলো এআই দ্বারা তৈরি

সম্প্রতি, “গাছে ডিম ধরেছে ভেবে ভুল করবেন না! এটা “ডকমাই আম” একে হোয়াইট ম্যাংগো বলা হয়” শীর্ষক শিরোনামে কয়েকটি ছবি সহ দাবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচারিত হচ্ছে।

Screenshot: CrowdTangle

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এবং এখানে (আর্কাইভ)।

আবার, আলোচিত দাবিগুলো থেকে ক্যাপশন নিয়ে মূলধারার সংবাদমাধ্যম “সংবাদ সারাবেলা” এর ফেসবুক পেজে ভিন্ন ছবি দিয়ে পোস্ট করতে দেখা গেছে। [যদিও অন্যান্য পোস্টগুলোতে কিসের ডিম (দাবি), সেটি উল্লেখ না করা হলেও এখানে নির্দিষ্ট করে “হাঁসের ডিম” উল্লেখ করা হয়েছে।]

পোস্ট অনুযায়ী, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবিগুলোকে “গাছে ডিম ধরেছে” শীর্ষক ক্যাপশনে প্রচারিত দাবি-ও খুঁজে পাওয়া গেছে। দেখা যায়, এজাতীয় পোস্টগুলোর কমেন্ট বক্স ও বিভিন্ন শেয়ার পোস্টে বিষয়টিকে সত্য (বাস্তব ঘটনার ছবি) মনে করেছে অনেকে। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে হোয়াইট ম্যাংগো বা ‘ডকমাই আম’ দাবিতে প্রচারিত ছবিগুলো বাস্তব নয় বরং এগুলো কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই টুলস ব্যবহার করে তৈরি করা।

অনুসন্ধান

“ডকমাই আম” দাবিতে ইন্টারনেটে প্রকাশিত ছবি গুলো পর্যবেক্ষণ করে ছবির বাম দিকের নিচের কর্ণারে মাইক্রোসফট “বিং” এর লোগো খুঁজে পাওয়া যায়। এই লোগো সাধারণত মাইক্রোসফট বিং এর কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই টুলস ‘Bing Image Creator’ দিয়ে তৈরি ছবির সাথে ওয়াটারমার্ক হিসেবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়ে যায়।

Image by Rumor Scanner

অনুসন্ধানের মাধ্যমে গ্লোবাল কম্পিউটার ম্যাগাজিন ‘Pcworld’ এর ওয়েবসাইটে “Hands-on with Microsoft’s Dall-E 2-based Bing Image Creator: It’s good!” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে মাইক্রোসফট বিং এর কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই টুলস ‘Bing Image Creator’ দিয়ে তৈরি একটি ছবি পাওয়া যায়। এই ছবিতেও আলোচিত ছবিগুলোর ন্যায় মাইক্রোসফট বিং লোগো একই স্থানে দেখতে পাওয়া যায় (ওয়াটারমার্ক হিসেবে)।

Screenshot from Pcworld

পাশাপাশি, সংবাদ সংস্থা ‘Reuters’ এ “Fact Check-Images of eggs hanging from trees are AI-generated” শীর্ষক শিরোনামে গত ৫ মে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে, “সাদা আম বা “ডকমাই আম” দাবিতে প্রকাশিত ছবিগুলো বিং এর কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই টুলস ‘Bing Image Creator’ ব্যবহার করে তৈরি করা।”

Screenshot from Reuters

প্রতিবেদনটিতে ‘Generative AI and Deep Fakes’ বিষয়ক ইন্ডিপেন্ডেন্ট উপদেষ্টা হেনরি আইডর এর বরাতে উল্লেখ করা হয়, “ছবিগুলো স্পষ্টতই ত্রুটি এবং পক্ষপাতদুষ্ট, কিছু অংশ একে অপরের সাথে মিশে গেছে এবং অন্যান্য কিছু অংশে অসঙ্গতি আছে”।

Screenshot from Reuters

অর্থাৎ, রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী ছবিগুলো ডিমের (এআই জেনারেটেড) ছবি।

ওপেন এক্সেস সায়েন্টিফিক জার্নাল পাব্লিশার ‘MDPI’ এর ওয়েবসাইটে “Comparative Investigation of Combined Metabolomics-Flavoromics during the Ripening of Mango (Mangifera indica L.) cv. ‘Nam Dok Mai Si Thong’ and ‘Nam Dok Mai No. 4” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত ‘নাম ডক মাই’ আমের ছবির সাথে উক্ত দাবিতে ‘ডকমাই’ আমের পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়।

Image Comparison by Rumor Scanner

মূলত, মাইক্রোসফট বিং এর কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই দ্বারা ছবি তৈরির টুল ‘Bing Image Creator’ এর সাহায্যে ছবি গুলো তৈরি করা হয়। পরে এই ছবিগুলোই এর উপকরণের সাদা রং ও আকৃতির কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে “গাছে ডিম ধরেছে” শীর্ষক দাবিতে প্রথমে প্রচারিত হয়। পরবর্তীতে অনেক ব্যবহারকারীগণ ছবিগুলোর “ডিমের ছবি” দাবিটিকে খন্ডিত করে এগুলোকে হোয়াইট ম্যাংগো বা ‘ডকমাই আম’ দাবিতে ফেসবুকে প্রচার করেছে। যদিও ছবিগুলো বাস্তব কোনো ডিম কিংবা আমের ছবি নয়। এগুলো কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা টুলস ব্যবহার করে তৈরি করা ছবি।

প্রসঙ্গত, পূর্বেও বিভিন্ন সময়ে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা তৈরি ছবি নিয়ে ইন্টারনেটে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে পড়লে তা শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার। এমন কিছু প্রতিবেদন দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে

সুতরাং, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই টুলসের সাহায্যে তৈরি ছবি হোয়াইট ম্যাংগো বা ‘ডকমাই আম’ এর বাস্তব ছবি দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

এটি আদম আঃ এর পায়ের ছাপের ছবি নয়

“পৃথিবীর প্রথম নবী ও মানব হযরত আদম (আ.) এর পায়ের ছাপ চিহ্ন” শীর্ষক দাবিতে একটি ছবি দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে প্রচার হয়ে আসছে। 

সাম্প্রতিক সময়ে ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ইউটিউবে প্রচারিত এমন কিছু ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

টিকটকে প্রচারিত এমন কিছু ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রচারিত ছবিটি হযরত আদম আঃ এর পায়ের ছাপের নয় বরং এটি ইন্দোনেশিয়ার তাপাক তুয়ান নামক স্থানে অবস্থিত দৈত্য সদৃশ একটি পায়ের ছাপ। 

রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে ‘Steemit’ নামের একটি ব্লকচেইন-ভিত্তিক ব্লগিং এবং সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইটে ৭ বছর পূর্বে “the mystery of the giant footprint in southern Atjeh (Tapak Tuan)” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে আলোচিত ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়। 

Screenshot from ‘Steemit’ website

ছবিটির বিস্তারিত বিবরণীতে ইন্দোনেশিয়ার ‘Aceh’ নামক প্রদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমে তাপাকতুয়ান নামের শহরে অবস্থিত জায়গাটির নাম ‘তাপাকতুয়ান’, যার বাংলা অর্থ হচ্ছে পায়ের ছাপ। 

পরবর্তীতে, ‘তাপাকতুয়ান’ সম্পর্কে বিস্তারিত অনুসন্ধানে ইন্দোনেশিয়ান ভিত্তিক ওয়েবসাইট ‘Good News From Indonesia’ এ ২০২১ সালের ০৭ জুনে “Legenda Tuan Tapa, Telapak Kaki Raksasa di Kota Naga Aceh Selatan” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে একই ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। 

Screenshot from ‘Good News From Indonesia’ website

ইন্দোনেশিয়ান ভাষায় প্রকাশিত আলোচিত প্রতিবেদনটি বঙ্গানুবাদ করে জানা যায়, বিখ্যাত এই পায়ের ছাপ সদৃশ জায়গাটি প্রায় ২.৫ মিটার (৮.২ ফুট) প্রশস্ত এবং ৬ মিটার (১৯.৬ ফুট) লম্বা। ‘শেখ তুয়ান তাপা (Sheikh Tuan Tapa) নামে বিশালদেহী এক তপস্বীর পায়ের ছাপ থেকেই জায়গাটির নামকরণ করা হয়েছে’ এমন দাবি প্রচলিত থাকলেও তা শুধুমাত্র মানুষের বিশ্বাস বা স্থানীয় পুরাকথা। তবে, এর পিছনে বৈজ্ঞানিক কোনো তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি।  

মূলত, ইন্দোনেশিয়ার ‘Aceh’ নামক প্রদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমে তাপাকতুয়ান নামের শহরে অবস্থিত সমুদ্রের তীরবর্তী একটি প্রাকৃতিক জায়গায় দৈত্য সদৃশ পায়ের ছাপের ছবিকে হযরত আদম আঃ এর পায়ের ছাপ দাবিতে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে প্রচার করা হচ্ছে। স্থানীয়ভাবে এটিকে তুয়ান তাপা নামের এক তপস্বীর পায়ের ছাপ হিসেবে কথিত থাকলেও এর পক্ষে কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

উল্লেখ্য, পূর্বেও ইরাকের প্রাচীন শহর উর থেকে সংগৃহীত মানুষের পায়ের ছাপ সদৃশ একটি ইটের ছবিকে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা. এর পায়ের ছাপের ছবি দাবিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছিলো। সেসময়ে বিষয়টিকে মিথ্যা হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার টিম। 

অর্থাৎ, ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত ইন্দোনেশিয়ায় অবস্থিত সমুদ্রের তীরবর্তী একটি প্রাকৃতিক জায়গায় দৈত্য সদৃশ পায়ের ছাপের ছবিকে হযরত আদম আঃ এর পায়ের ছাপের ছবি দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে ইন্টারনেটে প্রচার হয়ে আসছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র 

ডিএমপির ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদের পদ হারানোর গুজব

সম্প্রতি ‘ডিবি প্রধানের পদ হারালেন বিতর্কিত পুলিশ অফিসার হারুন উর রশিদ’ শীর্ষক দাবিতে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ডিবি প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের পদ হারানোর তথ্যটি সঠিক নয় বরং কোনো ধরনের তথ্যসূত্র ছাড়াই ভিত্তিহীনভাবে হারুন অর রশীদের পদ হারানোর তথ্যটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।

দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে অনুসন্ধানে মূলধারার কোনো গণমাধ্যমে ডিবি প্রধানের পদ হারানো সংক্রান্ত কোনো তথ্য বা সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে গত ২৪ মে সংবাদ ভিত্তিক চ্যানেল DBC News এ ‘এক প্রজ্ঞাপনে পুলিশের ২৭ উর্দ্ধতন কর্মকর্তাকে বদলি‘ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: DBC News

প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, গত ২৪ মে বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টারের অ্যাডিশনাল ডিআইজি (পার্সোনেল ম্যানেজমেন্ট-২) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনারসহ ২৭ পুলিশ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। 

তবে এই ২৭ পুলিশ কর্মকর্তার তালিকা বিশ্লেষণ করে সেখানে ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের নাম পাওয়া যায়নি।

Screenshot: DBC News

এ নিয়ে অন্যান্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন বাংলা প্রতিদিন, জাগো নিউজ২৪

পরবর্তীতে তথ্যটি নিয়ে অধিকতর অনুসন্ধানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের পদ হারানোর বিষয়টি প্রচার হওয়ার পর ডিবি প্রধান হিসেবে হারুন অর রশীদের কোনো কার্যক্রম পাওয়া যায় কি না তা যাচাই করা হয়।

এতে ওপেন সোর্স অনুসন্ধানের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ডিবির পুলিশ পরিদর্শক শফিকুল ইসলামের ফেসবুক পেইজে ২৫ মে সকালে ‘প্রেস ব্রিফিং: *ডিএমপির গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ কর্তৃক চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার ও আসামি গ্রেফতার সংক্রান্তে মিডিয়া ব্রিফিং* শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি লাইভ ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। 

Screenshot: Md Shafiqul Islam Facebook live

ভিডিওটির বিস্তারিত বিবরণী থেকে আরও জানা যায়, ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এই প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের সাথে নানা তথ্য আদান-প্রদান করেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। 

এছাড়া ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)’র ভ্যারিফাইড ফেসবুক পেইজেও উক্ত লাইভ ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়। যেখানে সাংবাদিকদের ব্রিফ করছিলেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। 

এ নিয়ে ডিএমপির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন এখানে। 

Screenshot: DMP News

এছাড়া, ডিএমপির ডিবি প্রধান হিসেবে হারুন অর রশীদের পদচ্যুতির দাবি সংক্রান্ত কোনো তথ্য গণমাধ্যম, বাংলাদেশ পুলিশ কিংবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

অর্থাৎ, উপরোক্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে প্রতীয়মান হয় যে, ডিবি প্রধান হিসেবে হারুন অর রশীদের পদ হারানোর তথ্যটি বানোয়াট। 

এছাড়া ফেসবুকের নিজস্ব মনিটরিং টুল ব্যবহার করে দেখা যায়, ডিবি প্রধান হিসেবে হারুন অর রশীদের পদ হারানোর তথ্যটি সর্বপ্রথম প্রচার করা হয় Abdur Rab Bhuttow নামের একটি ফেসবুক পেইজ থেকে। 

Screenshot: Crowdtangle

উল্লেখ্য, এই পেইজটির সূত্রে পূর্বেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত একাধিক দাবিকে ভুল প্রমাণ করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার টিম। 

এমন কিছু প্রতিবেদন দেখুন:

মূলত, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘ডিবি প্রধানের পদ হারালেন বিতর্কিত পুলিশ অফিসার হারুন উর রশিদ’ শীর্ষক একটি দাবি ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, উক্ত দাবিটি কোনো ধরনের তথ্যসূত্র ছাড়াই প্রচার হচ্ছে। এছাড়া ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান হিসেবে হারুন অর রশীদের পদ হারানোর দাবি করা হলেও অনুসন্ধানে দেখা যায়, উক্ত দাবি প্রচারের পরবর্তী সময়েও তিনি ডিবি প্রধান হিসেবে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এবং এই প্রতিবেদন প্রকাশের আগ পর্যন্ত তিনি উক্ত দায়িত্বে বহাল আছেন।

সুতরাং, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা প্রধান(ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের পদ হারানোর তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

রাশিয়া এবং কানাডার মধ্যবর্তী আর্কটিক সার্কেল থেকে দেখা চাঁদের দৃশ্যটি বাস্তব নয়

0

সম্প্রতি, “রাশিয়া এবং কানাডার মধ্যবর্তী আর্কটিক সার্কেল থেকে দেখা এক অপূর্ব দৃশ্য” দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ইউটিউবে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

টিকটকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ভারতের ফেসবুক ব্যবহারকারীদের একই দাবিতে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, রাশিয়া এবং কানাডার মধ্যবর্তী আর্কটিক সার্কেল থেকে দেখা এক অপূর্ব দৃশ্য দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি বাস্তব নয় বরং এটি CGI পদ্ধতিতে নির্মিত ভিডিও।

মূলত, Aleksey নামে একজন 3D Animation & CGI Artist ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় উক্ত এনিমেশন ভিডিওটি ২০২১ সালে নির্মাণ করেছিলেন। Aleksey এর টিকটক এবং ইন্সটাগ্রাম একাউন্টে এই ধরণের একাধিক এনিমেশন ভিডিওর অস্তিত্ব রয়েছে। উক্ত ভিডিওকেই চাঁদ বিলীন হয়ে যাওয়ার বাস্তব ভিডিও দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, একই ভিডিও ২০২১ সালে উত্তর মেরুতে চাঁদ অবস্থানের বাস্তব দৃশ্য দাবিতে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।

ইউটিউবার তৌহিদ আফ্রিদি ফেসবুক লাইভে এসে অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করেননি

সম্প্রতি, ইউটিউবার তৌহিদ আফ্রিদ্রি লাইভে এসে অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করেছেন শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে।

কী দাবি করা হচ্ছে?

তৌহিদ আফ্রিদির নামে পরিচালিত একাধিক ফেসবুক পেজ থেকে প্রচারিত লাইভগুলোর ক্যাপশনে দাবি করা হচ্ছে, “আমি প্রথম ৭৫০ জনকে নগদ ১৫ হাজার ডলার দেব যারা ছবির নম্বর সঠিকভাবে অনুমান করবে। শুভকামনা।”

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ইউটিউবার তৌহিদ আফ্রিদি ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে এসে কোনো ধরণের অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করেননি বরং তৌহিদ আফ্রিদির নামে পরিচালিত বিভিন্ন ভুয়া ফেসবুক পেজ থেকে পুরোনো ভিডিও ব্যবহার করে উক্ত দাবিটি ছড়িয়ে পড়েছে।

রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে অনুসন্ধানে তৌহিদ আফ্রিদির ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে “Gift Opening” শীর্ষক ক্যাপশনে গত ৪ জানুয়ারি প্রকাশিত ৫০ মিনিট ৩ সেকেন্ডের একটি লাইভ ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

ভিডিওতে ব্যাকগ্রাউন্ড এবং আনুষঙ্গিক বিষয়গুলোর সাথে আলোচিত দাবিতে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোর মিল খুঁজে পাওয়া যায়। 

Screenshot from Facebook

লাইভ ভিডিওটি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত ০৩ জানুয়ারি তৌহিদ আফ্রিদি তার জন্মদিনে পাওয়া গিফটগুলো পরদিন লাইভ ভিডিওতে খুলে দেখান।

পরবর্তীতে, সাম্প্রতিক সময়ে তৌহিদ আফ্রিদির উক্ত লাইভ ভিডিও ব্যবহার করে ‘Tawhid Afridi’ নামে ফেসবুকে একাধিক পেজ (,,) খুলে তিনি অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করেছেন দাবিটি প্রচার করা হচ্ছে।

Image Comparison by Rumor Scanner

এ বিষয়ে জানতে তৌহিদ আফ্রিদি’র সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার সাজিদুল ইসলাম পাঠানের সাথে যোগাযোগ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। তিনি জানান, “গুটিকয়েক ফেসবুক পেজ তাদের ফলোয়ার বৃদ্ধির জন্যে এসব ফেইক লাইভ করছে। তৌহিদ আফ্রিদি এমন কোন কুইজ বা প্রতিযোগিতা আয়োজন করেননি।”

মূলত, গত ০৪ জানুয়ারি তৌহিদ আফ্রিদি এক ফেসবুক লাইভে তার জন্মদিনে পাওয়া গিফটগুলো খুলে দেখান। পরবর্তীতে উক্ত লাইভ ভিডিও ব্যবহার করে তার নামে একাধিক ভুয়া ফেসবুক পেজ থেকে তিনি অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করেছেন দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে। 

প্রসঙ্গত, ইতোপূর্বে নায়ক অনন্ত জলিল এবং অভিনেত্রী তানজিন তিশার নামে ভুয়া ফেসবুক পেজ খুলে ক্রিস্টমাস ও নতুন বছর উপলক্ষে তারা অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করেছেন দাবিতে প্রচার করা হলে সেসব পেজ ভুয়া হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।

সুতরাং, ইউটিউবার তৌহিদ আফ্রিদি ফেসবুক লাইভে এসে অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করেছেন শীর্ষক একটি দাবি  ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

  • Tawhid uddin Afridi – Facebook Page
  • Tawhid uddin Afridi – Facebook live
  • Statement from Sajedul Islam Pathan
  • Rumor Scanner’s own analysis

গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের নির্বাচনের পরের দিনে দুবাই যাওয়ার টিকিট কাটার সংবাদটি মিথ্যা 

সম্প্রতি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পরের দিনে(২৬ মে) দুবাইয়ে যাওয়ার জন্য টিকিট কেটেছেন শীর্ষক দাবিতে একটি তথ্য গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে। 

গণমাধ্যমে প্রচারিত এমন প্রতিবেদন দেখুন  বাংলা ভিশন, ডিবিসি নিউজ, চ্যানেল২৪, ঢাকা টাইমস, ঢাকা মেইল, ভোরের পাতা, জুম বাংলা, ফ্রিডম বাংলা নিউজ, বাহান্ন নিউজ, বাংলা ম্যাগাজিন

গণমাধ্যমের ফেসবুক পেইজে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন ডিবিসি নিউজ, বাংলা ভিশন। 

অন্যান্য ফেসবুক অ্যাকাউন্টে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের সিটি করপোরেশনটির চলমান নির্বাচনের পরের দিনে(২৬ মে) দুবাইয়ে যাওয়ার জন্য টিকিট কাটার দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সঠিক নয় বরং ইন্টারনেটে প্রচারিত যে টিকিটটির সূত্র ধরে উল্লেখিত তথ্যটি প্রচার করা হচ্ছে সে টিকিটটি ভুয়া ও বানোয়াট।

দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে রিউমর স্ক্যানার টিম প্রথমেই টিকিটটিতে থাকা তথ্যগুলো যাচাই করে দেখে। 

Image: Fake ticket circulated in name of Jahangir Alam

টিকিটের তথ্য বিবরণী অনুযায়ী গাজীপুর সিটি করপোরেশনে চলমান নির্বাচনের পরদিন শুক্রবার (২৬ মে) সকাল সোয়া আটটায় দুবাই যাওয়ার উদ্দেশ্যে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের টিকিট ক্রয় করেছেন গাজীপুর সিটির সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। বিজনেস ক্লাসের ঐ টিকিটে দেখা যায়, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টায় দুবাইয়ে পৌঁছাবেন তিনি। টিকিট অনুযায়ী, ফ্লাইট নাম্বার BS343। 

পরবর্তীতে এই ফ্লাইট নাম্বার ধরে অনুসন্ধানে দেখা যায়, এই নাম্বারধারী ফ্লাইটটি আজ ২৫ মে ঢাকা থেকে দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে গিয়েছে। এই নাম্বারের ফ্লাইটের পরবর্তী শিডিউল যথাক্রমে ২৭ ও ২৯ মে ও এবং পহেলা জুনে।

Screenshot: flightradar24

অর্থাৎ গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পরদিন অর্থাৎ আগামীকাল ২৬ মে এই ফ্লাইট নাম্বারের কোনো শিডিউল নেই।

তথ্যটি সম্পর্কে আরও নিশ্চিত হতে রিউমর স্ক্যানার টিম ইউএস বাংলার ওয়েবসাইটে পাওয়া তথ্যও বিশ্লেষণ করে দেখে। 

Screenshot: US Bangla Airlines website 

এতে দেখা যায়, আগামীকাল, ২৬ মে ইউএস বাংলার যে ফ্লাইটটি ঢাকা থেকে দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে যাবে, সেটির ফ্লাইট নাম্বার BS341। 

পাশাপাশি জাহাঙ্গীর আলমের টিকিট দাবিতে প্রচারিত টিকিটটি সম্পর্কে আরও নিশ্চিত হতে ইউএস বাংলার ওয়েবসাইটের manage booking অংশ থেকে টিকিটটিতে প্রদত্ত টিকিট নাম্বার ও প্যাসেঞ্জার বা যাত্রীর নাম দিয়ে যাচাই করে দেখা হয়।

Screenshot: US Bangla Airlines website

তবে যাচাইয়ে এই দুইয়ের মধ্যে কোনো সামঞ্জস্য না থাকায় উক্ত টিকিটটি সম্পর্কে কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

বিষয়টি নিয়ে অধিকতর অনুসন্ধানের লক্ষ্যে রিউমর স্ক্যানার টিম ইউএস বাংলার ওয়েবসাইটে টিকিট সংক্রান্ত বিষয়ের জন্য প্রদত্ত নাম্বারে যোগাযোগ করে টিকিটটির সত্যতা সম্পর্কে জানতে চায়।

এ প্রসঙ্গে ইউএস বাংলার কাস্টমার কেয়ার থেকে রিউমর স্ক্যানার টিমকে জানানো হয়, ‘টিকিটটিতে প্রদত্ত বুকিং রেফারেন্স 04QTMN অনুযায়ী, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এই টিকিটটি কাটা হয়েছে ঢাকা থেকে আরব আমিরাতের আরেক শহর শারজাহের জন্য এবং বুকিং রেফারেন্স 04QTMN সম্বলিত মূল টিকিটের যাত্রীর নামের সঙ্গেও সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের নামের মিল পাওয়া যায়নি।’

অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে, সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের টিকিট দাবিতে প্রচারিত টিকিটের সাথে ইউএস বাংলার ওয়েবসাইটে প্রদত্ত তথ্যের অসঙ্গতি রয়েছে।

পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এই টিকিট সংক্রান্ত একটি পোস্ট ও একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। 

ফেসবুক পোস্টটিতে (আর্কাইভ) জাহাঙ্গীর আলম লিখেন, “জাহাঙ্গীর আলম দুবাই পালিয়ে যাচ্ছে”, এমন একটি মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিমূলক তথ্য গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে আমাদের সাধারণ ভোটারদের ভীত এবং আতংকিত করতে চাচ্ছে আজমত উল্লাহ বাহিনী। প্রিয় গাজীপুরবাসী! আপনাদের জাহাঙ্গীর আলম গত ১৮ মাসে দেশ ছেড়ে পালায় নাই। কালকের পরের দিনও পালাবে না। আপনাদের জাহাঙ্গীর আলম আপনাদের ছেড়ে কোথাও যাবে না। মরতে হলে এই গাজীপুরেই নিজ বাড়িতে, আপনাদের কোলেই মরবে।’

Screenshot: Ex Mayor Jahangir Alam Facebook Post 

এছাড়া ভিডিও পোস্টেও তিনি একই কথা বলেন। ‘প্রিয় গাজীপুরবাসী, গুজব ও অপপ্রচারে কান দিবেন না। (আর্কাইভ)’ শীর্ষক ৩০ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আজকে দেখলাম, বিভিন্ন ফেসবুক, ইউটিউব ও টেলিভিশন চ্যানেলে অপপ্রচার করা হচ্ছে যে, আমি নাকি দুবাই চলে যাচ্ছি। তবে আমি আপনাদের অনুরোধ করবো, আপনারা কোনো গুজব ও মিথ্যায় কান দিবেন না।’ 

Screenshot: Ex Mayor Jahangir Alam Facebook Video

মূলত, আজ ২৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশনে মেয়র নির্বাচন চলছে। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন নিয়েছিলেন সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম ও তার মা জায়েদা খাতুন। পরবর্তীতে জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্রটি বাতিল করা হলে তিনি তার মায়ের পক্ষেই নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে থাকেন৷ এর মধ্যেই সিটি করপোরেশনটিতে নির্বাচনে ভোট গ্রহণের শুরু হওয়ার আগের দিন থেকে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি টিকিটের ছবি প্রচার করে দাবি করা হয় যে, এই নির্বাচনের পরের দিনে দুবাই যাওয়ার জন্য টিকিট কেটেছেন সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। তবে রিউমর স্ক্যানারের সার্বিক অনুসন্ধানে জানা যায়, জাহাঙ্গীর আলমের নির্বাচনের পরের দিনে দুবাই যাওয়ার টিকিট কাটার দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত টিকিটটি ভুয়া।

সুতরাং, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পরদিন (২৬ মে) সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের দুবাই যাওয়ার টিকিট কেটেছেন দাবিতে গণমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র 

Flight Radar24

US Bangla Flight Schedule

US Bangla Find Booking

Ex Mayor Jahangir Alam Facebook Post

Ex Mayor Jahangir Alam Facebook Video

Conversation with US Bangla Authority

শেখ হাসিনাকে হুমকির প্রতিবাদে ওবায়দুল কাদেরের দেওয়া বক্তব্যকে বিকৃত করে প্রচার

সম্প্রতি ‘শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে’ শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে প্রচার করা হচ্ছে। 

যেখানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘আর ২৭ নয়, আর ১০ দফা নয়, এবার এক দফা, শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে। ৭৫ এর হাতিয়ার, ১৫ আগস্ট আবার ঘটাতে হবে। শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে।’

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)। 

টিকটকে প্রচারিত এমন কিছু ভিডিও এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে শীর্ষক কোনো বক্তব্য দেননি বরং তার দীর্ঘ বক্তব্য থেকে একাধিক খণ্ডিত অংশ জুড়ে দিয়ে এটি তৈরি করা হয়েছে। 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত ভিডিওগুলোতে দৃশ্যমান ‘শান্তি সমাবেশ’ শীর্ষক একটি ব্যানারের সূত্রে বেসরকারি সংবাদ ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল২৪ এ গত ২১ মে ‘সরাসরি: রাজধানীর আগারগাঁও মুক্তিযোদ্ধা জাদুঘরের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে কথা বলছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের‘ শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি লাইভ ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। 

Screenshot: Channel 24

ভিডিওটির ৫৭ সেকেন্ড সময়কালে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এখন শেখ হাসিনার সরকারকে পতনের জন্য এক দফা ঘোষণা দিয়েছেন। আর গত ১৯ মে রাজশাহীর পুঠিয়ায় দলটির জেলা আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ বক্তৃতা করে বলেছেন, আর ২৭ দফা নয়, আর ১০ দফা নয়, এবার এক দফা,  শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে। এই এক দফা। এটা কি আপনারা শুনেছিলেন?’

এরপর একই বক্তব্যের ১ মিনিট ৫০ সেকেন্ড সময়কালে তিনি বলেন, ‘এই রাজশাহীতে সাবেক মেয়র প্রকাশ্যে দিবালোকে বলেছিল, ৭৫ এর হাতিয়ার, ১৫ আগস্ট আবারও ঘটাতে হবে। আজ তারা এক দফার নামে শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে।’

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, তার একই অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যের এই দুইটি খণ্ডিত অংশকে জুড়ে দিয়েই মূলত ২৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপ তৈরি করে প্রচার করা হচ্ছে। 

সেদিনের শান্তি সমাবেশে ওবায়দুল কাদেরের দেওয়া পুরো বক্তব্যটি আরও দেখুন somoynews.tv এর লাইভে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন পড়ুন এখানে, এখানে। 

Screenshot: Daily Prothom Alo

মূলত, গত ১৯ মে রাজশাহীর পুঠিয়ায় রাজশাহী জেলা ও মহানগর বিএনপির সমাবেশে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ বলেন, ‘আর ২৭ দফা ১০ দফার মধ্যে আমরা নাই। এক দফা- শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে।’ শীর্ষক একটি বক্তব্য দেন৷ পরবর্তীতে তার এই বক্তব্যের সমালোচনা করে গত ২১ মে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সমাবেশে দেওয়া ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্য থেকেই ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় আলাদা আলাদা দুইটি অংশ কেটে নিয়ে ওবায়দুল কাদের ‘শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে’ শীর্ষক বক্তব্য দিয়েছেন দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। 

উল্লেখ্য, বিএনপির জেলা আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ কর্তৃক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কবরে পাঠানোর হুমকির প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগসহ এর সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনগুলো দেশব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে এবং তাকে গ্রেফতারের দাবি জানায়। পাশাপাশি চাঁদের বিরুদ্ধে রাজশাহী সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মামলাও হয়। এরই প্রেক্ষিতে গত ২৫ মে চাঁদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। 

সুতরাং, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের একটি দীর্ঘ বক্তব্যের ভিডিও থেকে নেওয়া একাধিক খণ্ডিত অংশকে জোড়া লাগিয়ে ‘শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে’ শীর্ষক একটি বক্তব্যকে ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য দাবি করে ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে; যা সত্য নয়, উক্ত বক্তব্যটি সম্পূর্ণ বিকৃত।

তথ্যসূত্র

গুচ্ছ মানবিক (খ) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের গুজব

0

গত, ২০ মে অনুষ্ঠিত গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষ মানবিক (খ) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে শীর্ষকদাবিতে একটি পোস্ট ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। 

কী দাবি করা হচ্ছে?

গত ২০ মে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষ মানবিক (খ) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয় দুপুর ১২টায়। এর পূর্বে সকাল ১১ টা ৩০ মিনিটে ফেসবুকে ‘Arif Hasan Joy’ নামক একটি অ্যাকাউন্ট থেকে প্রকাশিত একটি পোস্টে (আর্কাইভ) দাবি করা হয়, “গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা ২০২৩ এর মানবিক শাখা ‘গ’ ইউনিট এর প্রশ্ন আমাদের হাতে চলে আসছে নিচে প্রশ্নের আংশিক অংশ দেওয়া হলো। সময় সকাল ১১ টা ৩০ মিনিট এই টুকুই প্রমাণের জন্য যথেষ্ট।”

পোস্টের সাথে একটি ছবি সংযুক্ত আছে যেখানে হাতে লেখা কিছু প্রশ্ন দেখা যাচ্ছে। 

Screenshot Source: Facebook

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষ মানবিক (খ) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে শীর্ষক দাবিটি সঠিক নয় বরং পরীক্ষা শুরুর পূর্বে প্রশ্নের ছবি ব্যতীত একটি পোস্ট করে পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরে একই পোস্ট এডিট/সম্পাদনা করে হতে লেখা প্রশ্নের ছবিটি সংযুক্ত করা হয়।

কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে অনুসন্ধান করে দেখা যায়, চলতি বছর গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষ মানবিক (খ) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২০ মে দুপুর ১২ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত। 

Source: GST Website 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত পোস্টটিতে থাকা হাতে লেখা প্রশ্নপত্রটি যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে গুচ্ছের মানবিক ইউনিটের মূল প্রশ্নের (আর্কাইভ) বাংলা অংশের সাথে পোস্টের প্রশ্নের মিল খুঁজে পাওয়া যায়। 

Screenshot source: Facebook

অর্থাৎ, আলোচিত পোস্টে চলতি বছরের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার মানবিক ইউনিটের প্রশ্নের একাংশ সংযুক্ত ছিল। 

পরবর্তীতে, ‘Arif Hasan Joy’ নামক আলোচিত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রকাশিত পোস্টটির ‘Edit History’ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সকাল ১১ টা ৩০ মিনিটে যখন পোস্ট করা হয়, তখন পোস্টের সাথে প্রশ্নপত্রের কোনো ছবি যুক্ত ছিল না। পরবর্তীতে বিকাল ৫ টা ২৮ মিনিটে প্রশ্নপত্রের ছবিটি যুক্ত করা হয়। 

Screenshot Source: Facebook

অর্থাৎ স্ট্যাটাসটিতে কোনো ছবি যুক্ত না করে পোস্ট করা হয়েছে সকালে এবং ভর্তি পরীক্ষা শেষ হওয়ার প্রায় সাড়ে চার ঘন্টা পর প্রশ্নপত্রটি যুক্ত করা হয়েছে।

এছাড়া, চলতি বছরের গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষ মানবিক (খ) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হওয়া শীর্ষক কোনো তথ্য ইন্টারনেটে খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

উক্ত অ্যাকাউন্টে আরও প্রতারণার নমুনা

Arif Hasan Joy নামের উক্ত ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, একই উপায়ে (পরীক্ষার পূর্বে ছবিবিহীন পোস্ট(আর্কাইভ) করে পরীক্ষার পরে প্রশ্নপত্রের ছবি সংযুক্ত করা) বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালস (BUP) এর ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের গুজব ছড়ানো হয়। 

Screenshot Source: Facebook

বিইউপি ছাড়াও, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের গুজব ছড়ানোর প্রমাণও মেলে উক্ত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে।

Collage by Rumor Scanner

মূলত, গত ২০ মে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষ মানবিক (খ) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় দুপুর ১২ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত। এই পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে একইদিন সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে প্রকাশিত একটি পোস্টে দাবি করা হয়, ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। উক্ত পোস্টগুলোর সাথে হাতে লেখা প্রশ্নপত্রের একটি ছবিও সংযুক্ত করা হয়। তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা যায়, উক্ত ভর্তি পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর বিকাল ৫টা ২৮ মিনিটে পোস্টটি এডিট/সম্পাদনা করে প্রশ্নপত্রের ছবিটি যুক্ত করা হয়।

উল্লেখ্য, পূর্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে দাবিতে একটি গুজব একইভাবে ছড়িয়ে পড়লে সেটির বিষয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার। 

সুতরাং, গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষ মানবিক (খ) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে শীর্ষক একটি দাবি ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

ছবিটি হযরত মুহাম্মাদ সা. পায়ের ছাপের নয়

0

সম্প্রতি ‘প্রিয় নবীজির পায়ের চাপ’ শীর্ষক দাবিতে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। 

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

টিকটকে প্রচারিত এমন একটি ভিডিও এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রচারিত ছবিটি মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা. এর পায়ের ছাপের নয় বরং এটি ইরাকের প্রাচীন শহর উর থেকে সংগৃহীত মানুষের পায়ের ছাপ সম্বলিত একটি ইটের ছবি, যা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার প্যান মিউজিয়ামে সংরক্ষিত আছে।

রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে Alain Truong নামের একটি ওয়েবসাইটে ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল ‘Penn Museum opens new Middle  East Galleries‘ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে আলোচিত ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Alain Truong

ছবিটির বিস্তারিত বিবরণীতে যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার প্যান মিউজিয়ামের সৌজন্যে বলা হয়, ইরাকের উর-নাম্মুর মানুষের পায়ের ছাপ সম্বলিত একটি ইট। 

পরবর্তীতে ছবিটির বিস্তারিত বিবরণীর সূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার প্যান মিউজিয়ামের ওয়েবসাইটে ‘BRICK‘ শীর্ষক শিরোনামে একই ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। 

Screenshot: Penn Museum

মিউজিয়ামের ওয়েবসাইটটিতে প্রদত্ত ছবিটির বিস্তারিত তথ্য থেকে জানা যায়, মিউজিয়ামে ইটটির নাম্বার B16460। এটিকে বর্তমানে মিউজিয়ামের মিডল ইস্ট গ্যালারিতে প্রদর্শন করা হচ্ছে। 

Screenshot: Penn Museum

ছবিটির বিস্তারিত তথ্য থেকে আরও জানা যায়, কাদামাটি নির্মিত এই ইটটি সংগ্রহ করা হয়েছিল ইরাকের উর শহর থেকে,  ইটটির নির্মাণকাল খ্রীস্টপূর্ব ২১০০-২০০০ সাল। 

আলোচিত ছবিটি ছাড়াও মিউজিয়ামটির ওয়েবসাইটে এটির আরও একাধিক ছবিও প্রকাশ করা হয়।

Screenshot: Penn Museum

অপরদিকে ওয়েবসাইটে প্রদত্ত ছবিটির বিস্তারিত বিবরণীর সাথে এটির হযরত মুহাম্মাদ সা. এর পায়ের ছাপ হওয়ার ব্যাপারে অনুসন্ধানে কোনো সম্পৃক্ততা খুঁজে পাওয়া যায়নি।

মূলত, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা. এর পায়ের ছাপ দাবিতে একটি ছবি প্রচার করা হচ্ছে। কিন্তু রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, এটি মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা. এর পায়ের ছাপের ছবি নয় এবং এর সঙ্গ সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পৃক্ততাও নেই। এটি মূলত ইরাকের প্রাচীন শহর উর থেকে সংগৃহীত খ্রীস্টপূর্ব ২১০০-২০০০ সালে কাদামাটি নির্মিত একটি ইটে পায়ের ছাপ। 

সুতরাং, ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার প্যান মিউজিয়ামে সংরক্ষিত পায়ের ছাপযুক্ত কাটামাটি দিয়ে নির্মিত ইটের একটি ছবিকে হযরত মুহাম্মাদ সা. এর পায়ের ছাপ দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে  প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কেই প্রথম নয়, এর আগেও দেশে ম্যাকাও পাখির বাচ্চা জন্মেছে

সম্প্রতি, গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষের বরাতে’দেশে প্রথমবার জন্ম নিলো ম্যাকাও পাখির বাচ্চা’ শীর্ষক দাবিতে একটি তথ্য গণমাধ্যম সূত্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। 

গণমাধ্যমে প্রচারিত এমন প্রতিবেদন দেখুন আরটিভি, প্রথম আলো, জাগো নিউজ২৪, বিডিনিউজ২৪, দেশ রূপান্তর, আমাদের সময়.কম, আজকের পত্রিকা, ডিবিসি নিউজ, ঢাকা পোস্ট, ঢাকা ট্রিবিউন, যুগান্তর, ডেইলি বাংলাদেশ, ভোরের কাগজ, দৈনিক আমাদের সময়.কম, মানবকন্ঠ, অধিকার বিডি, রাইজিং বিডি, অপারেজয় বাংলা, প্রতিদিনের সংবাদ, বাংলাদেশ বুলেটিন, আপন দেশ, কুমিল্লার কাগজ

গণমাধ্যমের ফেসবুক পেইজে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

Image Collage: Rumor Scanner

গণমাধ্যমের প্রিন্ট সংস্করণে প্রকাশিত এমন প্রতিবেদন দেখুন ভোরের কাগজ, দৈনিক আমাদের সময়, যুগান্তর। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষের বরাতে দেশে প্রথমবারের মতো ম্যাকাও পাখির বাচ্চা জন্মের দাবিতে গণমাধ্যমে প্রচারিত তথ্যটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে অন্তত ২০১১ সালেই বাংলাদেশে ম্যাকাও পাখির বাচ্চা জন্ম নেওয়ার তথ্য খোদ গণমাধ্যম সূত্রেই পাওয়া যায়। 

কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধানের মাধ্যমে ইংরেজি দৈনিক Daily Star এ ২০১১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ‘Macaws breed in captivity‘ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

Screenshot: Daily Star 

প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, ঢাকার একটি ব্যক্তিগত চিড়িয়াখানায় দুটি ডিম ফুটে ম্যাকাওয়ের বাচ্চা জন্মেছে। যা সেই সময়ে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ম্যাকাওয়ের প্রজননের ঘটনা। 

Screenshot: Daily Star

এছাড়া প্রতিবেদনটি থেকে ম্যাকাওয়ের বাচ্চা দুইটির ছবিও পাওয়া যায়। পাশাপাশি প্রতিবেদনটি থেকে আরও জানা যায়, উপমহাদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু ম্যাকাওয়ের প্রজননের জন্য আদর্শ নয়, বিশেষ করে আবদ্ধ পরিবেশে। তবে সেই সময়ে নারী ম্যাকাওটি এপ্রিল, জুন এবং আগস্ট মাসে ডিম দেয়৷ এর মধ্যে প্রথম চারটি ডিম থেকে বাচ্চা না ফুটলেও তৃতীয়বার দেওয়া ডিম থেকে দুইটি ডিম ফুটে বাচ্চা জন্ম নেয়।

Screenshot: Daily Star

পরবর্তীতে মূলধারার অনলাইন পোর্টাল বাংলানিউজ২৪ এ ২০১১ সালের পহেলা অক্টোবর ‘ম্যাকাও ছানাটি চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যাচ্ছে‘ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Bangla News24

প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, রাজধানীর হাতিরপুলে নিজ বাড়িতে মাঝারি আকারের একটি পাখির চিড়িয়াখানা পরিচালনা করেন পাখি-প্রজনন বিশেষজ্ঞ ডা. আব্দুল ওয়াদুদ৷ তার এই চিড়িয়াখানাতেই বাংলাদেশের মাটিতে প্রথমবারের মতো জন্ম নেয় ম্যাকাও পাখির দুইটি ছানা। পরবর্তীতে এদের মধ্যে একটি ছানা অসুস্থ হয়ে পড়লে  শিশুপাখিটিকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট প্লিজেন্ট পশু হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে নিয়ে যাওয়া হয়।

এছাড়া জাতীয় দৈনিক কালের কণ্ঠে ২০১৫ সালের ১৩ মে ‘সাত বাচ্চার মা সেই প্রিন্সেস‘ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Kaler Kantho

প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, পাখি-প্রজনন বিশেষজ্ঞ ডা. আব্দুল ওয়াদুদের কাছে থাকা প্রিন্সেস নামের ম্যাকাও পাখিটি ২০১১ সালে প্রথম ডিম পাড়ে। ডিম থেকে বাচ্চাও হয়। পরবর্তীতে এই পাখিটিই ২০১৫ সালে আরও সাতটি বাচ্চার জন্ম দেয়।

Screenshot: Kaler Kantho

তবে শুধু আব্দুল ওয়াদুদের কাছেই নয় গণমাধ্যম সূত্রে আরও বেশ কয়েকজন পাখি পালকের কাছে বাংলাদেশে ম্যাকাওয়ের বাচ্চা জন্ম নেওয়ার তথ্য পাওয়া যায়।

যেমন, ২০১৮ সালের ১২ মে জাতীয় দৈনিক সমকালে ‘ম্যাকাও প্রেমিক রনি‘ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

Screenshot: Samakal

প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিলেটের শ্রীমঙ্গলের রনি রাজ আহমেদ ম্যাকাও পাখি পোষেন। সেই সময়ে রনি রাজ আহমেদের পক্ষীশালায় ১১টি পূর্ণবয়স্ক ম্যাকাও পাখি ছিল। তিনি কলোনি করে পাখি পোষেন। তার পাখির কলোনিতে নয়টি বাচ্চা দেয় তিন জোড়া ম্যাকাও।

Screenshot: Samakal

উল্লেখ্য, কলোনি হলো অনেক বড় জায়গায় পাখি ছেড়ে পালন করা। প্রায় মুক্ত পরিবেশে পাখি খেলাধুলা করে। সঙ্গী বেছে নেয়। কলোনি পদ্ধতিতে বাংলাদেশে রনি রাজ প্রথম ম্যাকাও-এর বাচ্চা ফোটাতে পেরেছেন। তার আগে ড. ওয়াদুদ, শহীদুল ইসলাম পিন্টু ম্যাকাও-এর বাচ্চা উৎপাদনে সফল হন। যদিও তা কলোনি পদ্ধতিতে ছিল না।

Screenshot: Samakal

পরবর্তীতে ওপেন সোর্স অনুসন্ধানের মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণ, প্রাণী কল্যাণ ও সাপ বিষয়ক সচেতনতা নিয়ে কাজ করা অলাভজনক উদ্যোগ Deep Ecology and Snake Conservation Foundation এর ফেসবুক গ্রুপের একটি পোস্টে আকিজ ওয়াইল্ড লাইফ ফার্মের ইনচার্জ ও  গ্রুপটির এডমিন আদনান আজাদের একটি কমেন্ট খুঁজে পাওয়া যায়। সেখানে তিনি লিখেন, ‘২০০৯ সালে আমিই বাংলাদেশে প্রথম ম্যাকাও সফল ব্রিডিং শুরু করি। এরপর বাংলাদেশে আরো অনেকেই ম্যাকাও ব্রিডিং করেছে। ২০০৯ সালে ব্রিডিং করলেও ২০১১তে ফেসবুক প্রথম ভিডিও পোস্ট আপশন চালু করলে আমি সেই ভিডিও পোস্ট দেই যা আমার ফেসবুকে আজও আছে।’ 

Screenshot: Adnan Azad Facebook Comment

তিনি তার এই কমেন্টে ২০১১ সালের ১৪ আগস্ট ফেসবুকে ‘বাংলাদেশে জন্ম নেওয়া প্রথম ম্যাকাউ ছানা‘ শীর্ষক তার ধারণকৃত একটি ভিডিও দৃশ্যও সংযুক্ত করেন। 

Screenshot: Adnan Azad Facebook Post 

রিউমর স্ক্যানার টিমের এই পর্যন্ত অনুসন্ধানে প্রতীয়মান হয় যে, দেশে এবারেই প্রথম নয়, ইতোপূর্বেও দেশে ম্যাকাও পাখির বাচ্চা জন্মের ঘটনা ঘটেছে।

পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে অধিকতর অনুসন্ধানে রিউমর স্ক্যানার টিম বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক, গাজীপুরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ রফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করে। 

তিনি এ প্রসঙ্গে রিউমর স্ক্যানারকে জানান, ‘ব্যক্তিগত চিড়িয়াখানা বা অন্য কোথাও ব্যক্তিগতভাবে কেউ ম্যাকাওয়ের বাচ্চা জন্ম দিয়েছে কি না তা আমাদের জানা নেই। তবে কেউ চাইলে করতেও পারে। কিন্তু সরকারিভাবে অর্থাৎ আমাদের কোনো সাফারিপার্ক বা চিড়িয়াখানায় এর আগে হয় নাই, এটাই প্রথম।’

অর্থাৎ, দেশে এর আগেও ব্যক্তি উদ্যোগে বিভিন্ন জায়গায় ম্যাকাও পাখি জন্ম নিলেও সরকারিভাবে অর্থাৎ দেশের কোনো সাফারিপার্ক বা চিড়িয়াখানায় এবারই প্রথম ম্যাকাও পাখির বাচ্চার জন্মের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু পার্ক কর্তৃপক্ষের বরাতে গণমাধ্যমে এই তথ্যটিকেই দেশে প্রথমবারের মতো ম্যাকাও পাখির বাচ্চা জন্ম নেওয়ার ঘটনা দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে। অথচ পূর্বে গণমাধ্যমের বরাতেই দেশে একাধিকবার ম্যাকাও পাখি জন্ম নেওয়ার সংবাদ জানা যায়।

মূলত, সম্প্রতি গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে ম্যাকাও পাখির বাচ্চা জন্মের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে পরবর্তীতে দেশীয় একাধিক গণমাধ্যম সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষের বরাতে প্রচার করে যে, এটিই দেশে প্রথমবারের মতো ম্যাকাও পাখির বাচ্চা জন্ম নেওয়ার ঘটনা। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে ম্যাকাও পাখির বাচ্চা জন্মানোর ঘটনাটি প্রথমবারের মতো দেশে ম্যাকাও পাখির বাচ্চা জন্ম নেওয়ার ঘটনা নয়। প্রকৃতপক্ষে, খোদ গণমাধ্যম সূত্রেই ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথমবারের মতো ম্যাকাও পাখির বাচ্চা জন্মানোর তথ্য পাওয়া যায়। এছাড়া অনুসন্ধানে ব্যক্তি উদ্যোগে ২০০৯ সালেও দেশে ম্যাকাও পাখির প্রজননের তথ্য পাওয়া যায়। 

সুতরাং, গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষের বরাতে সম্প্রতি বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ম্যাকাও পাখির বাচ্চা জন্ম নেওয়ার দাবিতে গণমাধ্যমে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর। 

তথ্যসূত্র