Home Blog Page 610

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সূচী নিয়ে ফেসবুকে গুজব

সম্প্রতি, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সূচী প্রকাশ শীর্ষক দাবিতে একটি ডিজিটাল ব্যানার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।

উক্ত ব্যানারে থাকা তথ্যানুযায়ী

• ৯ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) তফসিল ঘোষণা করা হবে।

• ১৯ নভেম্বর (রবিবার) মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ।

• ২২ নভেম্বর (বুধবার) মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই করা হবে।

•  ২৯ নভেম্বর (বুধবার) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ।

• ৩০ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) প্রতীক বরাদ্দ করা হবে।

•  ২৩ ডিসেম্বর (শনিবার) ভোট গ্রহণ করা হবে। 

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন, পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ) এবং পোস্ট (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সূচি প্রকাশের দাবিতে প্রচারিত ব্যানারে থাকা তথ্যগুলো সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রথম ঘোষিত তফসিলের তথ্যগুলোই সম্প্রতি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সূচি দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে। এছাড়া বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল এখনো ঘোষণা করেনি।

অনুসন্ধানের শুরুতে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সূচি প্রকাশের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে খোঁজ নেয় রিউমর স্ক্যানার টিম। তবে ওয়েবসাইটটিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

Screenshot from Bangladesh Election Commission

পরবর্তীতে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে জাতীয় দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারে গত ৯ আগস্ট “সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা নভেম্বরে: ইসি আনিছুর” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি  প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot from ‘The Daily Star’ 

প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, তফসিল নিয়ে নির্বাচন কমিশন এখনো কোনো বৈঠক করেনি। এছাড়া আগামী নভেম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান।

পরবর্তীতে বেসরকারি টিভি চ্যানেল আইয়ের ওয়েবসাইটে ২৬ আগস্ট “অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া জাতীয় নির্বাচনের তফসিলটি ভুয়া: ইসি” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot from ‘Channel I’

প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, ২৬ আগস্ট একটি লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া জাতীয় নির্বাচনের তফসিলের ঘোষণা, মনোনয়নপত্র ও ভোট গ্রহণের তারিখ সংক্রান্ত ব্যানারটি গুজব বলে চিহ্নিত করেছেন।

তবে ফেসবুকে প্রচারিত তথ্যগুলোর উৎস অনুসন্ধানে  উক্ত দাবিতে প্রচারিত তারিখগুলোর সূত্র ধরে অনলাইন পোর্টাল বিডিনিউজ২৪ এ ২০১৮ সালের ৮ নভেম্বর “তফসিল ঘোষণা, ভোট ২৩ ডিসেম্বর” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot from ‘Bdnews24’ 

প্রকাশিত প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৮ নভেম্বরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনার সেদিন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত, তা বাছাই হবে ২২ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৯ নভেম্বর। তার ২৩ দিন পর হবে ভোটগ্রহণ। যা ফেসবুকে প্রচারিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সূচীর সাথে হুবহু মিলে যাচ্ছে।

Image Comparison by Rumor Scanner

এছাড়া অনলাইন পোর্টাল বাংলানিউজ২৪ এ ২০১৮ সালের ৯ নভেম্বর “একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২৩ ডিসেম্বর” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনেও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর হওয়ার তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়।

অর্থাৎ, ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়ে ৮ নভেম্বরে দেওয়া নির্বাচনের তফসিলে উল্লিখিত তফসিলের ঘোষণা, মনোনয়নপত্র ও ভোট গ্রহণের তারিখসমূহকে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সূচী দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।

মূলত, সম্প্রতি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সূচী প্রকাশ হয়েছে দাবিতে একটি ডিজিটাল ব্যানার ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সূচী প্রকাশ করেনি। প্রকৃতপক্ষে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রথম তফসিলে থাকা সময়সূচীকেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সূচী দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, একাদশ জাতীয় নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টসহ বিভিন্ন জোটের দাবির পর ভোট গ্রহণের সময় ২৩ ডিসেম্বর থেকে এক সপ্তাহ পিছিয়ে  ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল পুনঃনির্ধারণ করে নির্বাচন কমিশন৷

সুতরাং, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সূচী প্রকাশ দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত তথ্যগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

কাতার আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতির কান ধরে দল থেকে পদত্যাগ করার গুজব

0

সম্প্রতি, কাতার আওয়ামী লীগ সভাপতি কান ধরে উঠ বস করে দল থেকে পদত্যাগ করেছেন দাবিতে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে। 

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, কাতার আওয়ামী লীগ শাখার তৎকালীন সভাপতি ও বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা ওমর ফারুক চৌধুরীর কান ধরে উঠ বস করে দল থেকে পদত্যাগ করার তথ্যটি সঠিক নয় বরং ২০১৬ সালে নারায়ণগঞ্জে জাতীয় পার্টির স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান কর্তৃক শ্যামল কান্তি ভক্ত নামে এক শিক্ষককে কান ধরে ওঠবোস করানোর প্রতিবাদে নিজেই কান ধরে ওঠ বস করেছিলেন ওমর ফারুক চৌধুরী।

মূলত, ২০১৬ সালের মে মাসে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে স্কুলটির দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে শাসন করার সময় ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠে। পরবর্তীতে স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতিতে শ্যামল কান্তি ভক্তকে কান ধরে ওঠবস করানো হয়েছিল। এই ঘটনায় দেশের সচেতন নাগরিকেরাও কান ধরে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানান। এরই প্রেক্ষিতে কাতার আওয়ামী লীগ শাখার তৎকালীন সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরীও কানে ধরা ফেসবুকে ছবি পোস্ট করে প্রতিবাদ জানান। তবে তার কান ধরার এই ছবিটিই পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি কান ধরে দল থেকে পদত্যাগ করেছেন দাবিতে প্রচার করা হয়। কিন্তু অনুসন্ধানে দেখা যায়, তিনি দল থেকে পদত্যাগ করেননি বরং বর্তমানে তিনি আওয়ামী লীগ, কাতার শাখার প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

উল্লেখ্য, পূর্বেও বিষয়টি ব্যাপকভাবে ইন্টারনেটে প্রচার করা হলে সেসময় এটিকে মিথ্যা শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।

রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর অটোগ্রাফ চাননি

0

সম্প্রতি, রোনালদোই প্রথম মানুষ যার অটোগ্রাফ চেয়েছেন রানী শীর্ষক দাবিতে একটি তথ্য সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন, পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ) এবং পোস্ট (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ফুটবল তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর অটোগ্রাফ চাননি বরং কোনোপ্রকার গ্রহণযোগ্য তথ্যসূত্র ছাড়াই উক্ত দাবিটি ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে।

মূলত, ২০২১ সালের ০১ সেপ্টেম্বরে ‘Sport Innovation Society’ নামের একটি ভেরিফাইড টুইটার একাউন্ট থেকে রানী এলিজাবেথ পর্তুগিজ ফুটবল তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সাক্ষরিত জার্সি চাওয়ার দাবিতে একটি টুইট প্রকাশ করা হয় এবং উক্ত টুইটকে সূত্র উল্লেখ করে বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশের সংবাদমাধ্যম এবং সামাজিক মাধ্যমে বিষয়টি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এর দুই ঘন্টা পর ‘Sport Innovation Society’ টুইটটি সড়িয়ে নেয় এবং তাদের পূর্বের টুইটটের সোর্সের সত্যতা নিশ্চিত না থাকায় পরবর্তীতে তারা আরও একটি টুইট পোস্ট করে ক্ষমা প্রদর্শন করেন। যা রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ফুটবল তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর থেকে অটোগ্রাফ চেয়েছেন দাবিতে বিভিন্ন সময়ে প্রচার হয়ে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি, সময় টিভিতে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ এবং পর্তুগিজ ফুটবল তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর একটি কোলাজ ছবিসহ প্রকাশিত একটি সংবাদ প্রতিবেদনের স্ক্রিনশট নিয়ে রোনালদোই প্রথম মানুষ যার অটোগ্রাফ চেয়েছেন রানী শীর্ষক দাবিতে ভিত্তিহীন এই তথ্যটি সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।

পূর্বে একই দাবিটি ইন্টারনেটে প্রচার করা হলে সেসময় বিষয়টি নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।

সাকিব ফেসবুক লাইভে এসে নগদ অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করেননি

0

সম্প্রতি, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের একটি লাইভ ভিডিও ব্যবহার করে নগদ অর্থ দানের দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে এসে ইশিহারা টেস্টের মাধ্যমে নগদ অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করেননি বরং সাকিব আল হাসানের নামে পরিচালিত বিভিন্ন ভুয়া ফেসবুক পেজ থেকে পুরোনো ভিডিও ব্যবহার করে উক্ত দাবিটি ছড়ানো হয়েছে। 

মূলত, ২০১৬ সালের ৮ আগস্ট সাকিব আল হাসান তার পেইজের নয় মিলিয়ন ফলোয়ার পূর্তিতে ফেসবুক লাইভে এসে ভক্তদের উদ্দেশ্যে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগসহ ক্রিকেট নিয়ে নানাকথা বলেন। সম্প্রতি তার ঐ লাইভ ভিডিও ব্যবহার করে তার নামে একাধিক ভুয়া ফেসবুক পেজ থেকে তিনি লাইভে ইশিহারা টেস্টের মাধ্যমে নগদ অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করেছেন দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে। 

উল্লেখ্য, পূর্বেও একই দাবিতে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার। 

এইচএসসি-২০২৩ এর ইংরেজি ১ম পত্র পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের দাবিতে পুরানো প্রশ্ন প্রচার 

0

সম্প্রতি,‘এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৩ এর ইংরেজী ১ম পত্রের আগাম প্রশ্ন’ পাওয়ার দাবিতে একাধিক প্রশ্নপত্রের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে। যেখানে পোস্টদাতারা দাবি করছেন, তাদের কাছে এইচএসসি পরীক্ষা-২০২৩ এর ইংরেজি ১ম পত্রের প্রশ্ন আছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু প্রশ্নপত্রের ছবি দেখুন পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ) এবং পোস্ট (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এইচএসসি পরীক্ষা-২০২৩ এর ইংরেজি ১ম পত্রের আগাম প্রশ্ন পাওয়ার দাবিতে প্রচারিত ছবিগুলো ২০২৩ সালের প্রশ্নপত্র নয় বরং বিভিন্ন বোর্ড পরীক্ষার পুরানো প্রশ্নের ছবির মাধ্যমে উক্ত দাবিটি  প্রচার করা হচ্ছে। 

প্রশ্নপত্র যাচাই ১

এ নিয়ে অনুসন্ধানে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে অ্যাকাডেমিক ও ভর্তি কোচিং সেন্টার ‘উদ্ভাস – Udvash Academic & Admission Care’ এর ফেসবুক পেজে চলতি বছরের গত ২ মে প্রদত্ত একটি পোস্টে (আর্কাইভ) একটি প্রশ্নপত্র খুঁজে পাওয়া যায়।

Image Comparison By Rumor Scanner

উদ্ভাসের ফেসবুক পোস্ট থেকে পাওয়া এই প্রশ্নের সাথে এইচএসসি-২০২৩ পরীক্ষার ইংরেজি ১ম পত্রের প্রশ্ন দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্টটিতে উল্লেখিত প্রশ্নটির সেটসহ অন্যান্য কোডের হুবহু মিল খুঁজে পাওয়া যায়। 
পরবর্তীতে পোস্টটি থেকে আরও জানা যায়, এটি মূলত এসএসসি-২০২৩ এর ইংরেজি ১ম পত্র পরীক্ষার চট্টগ্রাম বোর্ডের প্রশ্ন। 

অর্থাৎ, ফেসবুক থেকে এই বছর অনুষ্ঠিত এসএসসি-২০২৩ এর ইংরেজি ১ম পত্রের একটি প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে সেটির মূল অংশ ঝাপসা করে এইচএসসি-২০২৩ এর প্রশ্ন দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।

প্রশ্নপত্র যাচাই ২

এসএসসি-২০২৩ এর ইংরেজি ১ম পত্রের প্রশ্নপত্র দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত দ্বিতীয় প্রশ্নটির সত্যতা যাচাইয়ে কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধানের মাধ্যমে ‘teachingbd24.com’ নামের একটি ওয়েবসাইটে ২০১৯ সালের ১৯ মার্চ প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে (আর্কাইভ) একটি প্রশ্ন খুঁজে পাওয়া যায়।

Image Comparison By Rumor Scanner

এই প্রশ্নপত্রের সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসএসসি-২০২৩ এর ইংরেজি ১ম পত্রের প্রশ্নপত্র দাবিতে প্রচারিত প্রশ্নপত্রটির হুবহু মিল খুঁজে পাওয়া যায়। ওয়েবসাইটটিতে প্রদত্ত তথ্যমতে, উক্ত প্রশ্নপত্রটি ২০১৮ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ঢাকা, দিনাজপুর, যশোর এবং সিলেট বোর্ডের ইংরেজি ১ম পত্রের প্রশ্নপত্র।

পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে অধিকতর অনুসন্ধানে, এসএসসি-২০২৩ এর ইংরেজি ১ম পত্রের কথিত প্রশ্নপত্র প্রচারকারী ব্যক্তি Anaf Al Siam এর ফেসবুকে এইচএসসি ২০২৩ এর ইংরেজি ১ম পত্রের প্রশ্নের দাবিতে দেওয়া প্রদত্ত পোস্টটির  Edit History বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, পোস্টটিতে শুরুতে কোনো প্রশ্নের ছবি যুক্ত ছিল না। তবে ২১ আগস্ট সন্ধ্যা ৭ টা ৩০ মিনিটে তিনি একটি প্রশ্নের ছবি যুক্ত করেন। 

পরবর্তীতে একইদিন রাত ৮ টা ২৮  মিনিট ও ১১ টা ৪৯  মিনিটে পোস্টটি সম্পাদনা করা হয় এবং সবশেষ ২২ তারিখে ইংরেজি ১ম পত্রের পরীক্ষা শেষে মূল প্রশ্নপত্রের ছবি যুক্ত করেন। 

Screenshot from Facebook

অর্থাৎ উক্ত ব্যক্তি প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টিকে বিশ্বাসযোগ্য করতে প্রথমে একটি পুরানো প্রশ্ন সংগ্রহ করে সেটির ছবি দিয়ে তার কাছে চলমান এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন আছে দাবি করে। এই দাবিটিকে আরও বিশ্বাসযোগ্য করতে ২২ আগস্ট ইংরেজি ১ম পত্রের পরীক্ষা শেষে আগে প্রশ্নের ছবিটি মূল প্রশ্নপত্রের ছবি দিয়ে প্রতিস্থাপন করে। 

প্রসঙ্গত, পূর্বেও একই পদ্ধতিতে চলমান এইচএসসি পরীক্ষার বাংলা ১ম পত্রের প্রশ্ন ফাঁসের গুজব প্রচার করা হলে তা শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের চলমান এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার বিষয়ে নির্ভরযোগ্য সূত্রে কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

মূলত, ২২ আগস্ট এইচএসসি-২০২৩ এর ইংরেজি – ১ম পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় সকাল ১০ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত। এই পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে পরীক্ষার একদিন আগে থেকেই ফেসবুকে দুইটি প্রশ্নপত্র প্রচার করে দাবি করা হয় যে, এইচএসসি-২০২৩ এর ইংরেজি – ১ম পত্রের পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে এবং উক্ত পোস্টগুলোর সাথে প্রশ্নপত্রের ছবিও যুক্ত করা হয়। তবে অনুসন্ধানে দেখা যায়, উক্ত প্রশ্নপত্রের ছবিগুলো চলমান এইচএসসি পরীক্ষার নয় বরং প্রশ্নের ছবিগুলো পুরানো এবং পুরো বিষয়টিকে বিশ্বাসযোগ্য করতে ইংরেজি ১ম পত্রের পরীক্ষা শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত পোস্টগুলো এডিট/সম্পাদনা করে পুরানো প্রশ্নগুলো সরিয়ে চলমান এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ছবি যুক্ত করা হয়।

সুতরাং, এইচএসসি-২০২৩ পরীক্ষার ইংরেজি ১ম পত্রের প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে শীর্ষক একটি দাবি ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুলের পুরোনো বক্তব্য আংশিক বিকৃত করে প্রচার

0

সম্প্রতি ‘খালেদা জিয়া প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা, আমরা একই শিবিরে যুদ্ধ করেছিলাম:ফখরুল‘ শীর্ষক দাবিতে দাবিতে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ইনডিপেনডেন্ট টিভির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদনের আদলে তৈরি একটি স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, উল্লিখিত শিরোনাম বা তথ্যে ইনডিপেনডেন্ট টিভির ওয়েবসাইটে কোনো সংবাদ প্রকাশিত হয়নি। তবে ২০২১ সালে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর খালেদা জিয়াকে প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে মন্তব্য করেছিলেন। সম্প্রতি ফটোশপের মাধ্যমে মির্জা ফখরুলের পুরোনো ঐ মন্তব্যের সাথে “আমরা একই শিবিরে যুদ্ধ করেছিলাম” শীর্ষক তথ্য যুক্ত করে ইনডিপেনডেন্ট টিভির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদনের আদলে উক্ত স্ক্রিনশটটি তৈরি করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত সংবাদ প্রতিবেদনের স্ক্রিনশটটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। 

Screenshot: Facebook

সেখানে এই সংবাদটি প্রচারের কোনো নির্দিষ্ট তারিখ উল্লেখ করা হয়নি। তাছাড়া আলোচিত এই সংবাদ প্রতিবেদনের স্ক্রিনশটের টেক্সট ফন্টের সাথে ইনডিপেনডেন্ট টিভির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদনের টেক্সট ফন্টের ভিন্নতা রয়েছে।

Image Comparison by Rumor Scanner

অনুসন্ধানে কি-ওয়ার্ড সার্চ পদ্ধতি ব্যবহার করে ইনডিপেনডেন্ট টিভির ওয়েবসাইট, ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ এবং ইনডিপেনডেন্ট টিভির ইউটিউব চ্যানেলে উক্ত তথ্য সম্বলিত কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়নি।

তবে, ইনডিপেনডেন্ট টিভির ওয়েবসাইটে গত ১৯ আগস্ট ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপ কাম্য নয়: ফখরুল’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: itvbd.com

এই প্রতিবেদনে সংযুক্ত ছবি এবং ছবির ক্যাপশনের সাথে ইনডিপেনডেন্ট টিভির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সংবাদ দাবিতে প্রচারিত স্ক্রিনশটটিতে থাকা ছবি এবং ছবির ক্যাপশনের মিল খুঁজে পাওয়া যায়। অর্থাৎ, উক্ত প্রতিবেদনের শিরোনাম এডিট করে ‘খালেদা জিয়া প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা, আমরা একই শিবিরে যুদ্ধ করেছিলাম’ শীর্ষক বাক্যটি বসিয়ে আলোচিত স্ক্রিনশটটি তৈরী করা করা হয়েছে।

Image Comparison by Rumor Scanner

পরবর্তীতে বিষয়টি অধিকতর নিশ্চিতের জন্য ম্যানুয়ালি অনুসন্ধানে ইনডিপেনডেন্ট টিভির ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে গত আগস্ট মির্জা ফখরুলের এই মন্তব্যের বিষয়ে আলোচিত সংবাদ প্রতিবেদনের স্ক্রিনশট সম্পর্কিত একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। সেখানে ইনডিপেনডেন্ট টিভির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনের আদলে তৈরী এই স্ক্রিনশটটিকে ফেইক বলে জানানো হয়।

Screenshot: Independent TV Facebook

অর্থাৎ, আলোচিত দাবিতে ইনডিপেনডেন্ট টিভি কোনো ফটোকার্ড কিংবা সংবাদ প্রকাশ করেনি।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের দিন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল তৎকালীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ‘দেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা’ বলে সম্বোধন করে বলেন, ‘এই দেশের অন্যতম নারী মুক্তিযোদ্ধা, প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় তারা আটক করে রেখেছে। তিনি এখন অত্যন্ত অসুস্থ, গুরুতর অসুস্থ।’

মূলত, সম্প্রতি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের মন্তব্য নিয়ে ইনডিপেনডেন্ট টিভির ওয়েবসাইটে ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপ কাম্য নয়:ফখরুল’ শীর্ষক দাবিতে একটি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। উক্ত সংবাদের শিরোনাম এডিট করে সেখানে ‘খালেদা জিয়া প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা, আমরা একই শিবিরে যুদ্ধ করেছিলাম’ শীর্ষক তথ্য যুক্ত করে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় তৈরি একটি ফটোকার্ডের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মির্জা ফখরুল ইসলাম সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা বলে সম্বোধন করেছিলেন। তবে, সম্প্রতি তিনি এমন কোনো মন্তব্য করেননি এবং ইনডিপেনডেন্ট টিভিও এরূপ কোনো সংবাদ প্রতিবেদন বা ফটোকার্ড প্রচার করেনি। 

উল্লেখ্য, পূর্বে বিভিন্ন গণমাধ্যমের ফটোকার্ড নকল করে মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হলে সেসময় বিষয়গুলো নিয়ে  ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার। এমন কয়েকটি প্রতিবেদন দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে

সুতরাং, ‘খালেদা জিয়া প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা, আমরা একই শিবিরে যুদ্ধ করেছিলাম:ফখরুল’ শীর্ষক শিরোনামে ইনডিপেনডেন্ট টিভির আদলে প্রচারিত স্ক্রিনশটটি বিকৃত বা এডিটেড।

তথ্যসূত্র

হিথ স্ট্রিকের মৃত্যুর গুজবে সয়লাব দেশি-বিদেশি গণমাধ্যম

সম্প্রতি, জিম্বাবুয়ের সাবেক ক্রিকেটার ও বাংলাদেশের সাবেক পেস বোলিং কোচ হিথ স্ট্রিক মারা গেছেন দাবি করে মূলধারার দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

উক্ত দাবিতে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন- রয়টার্স, ফক্স স্পোর্টস, দ্যা গার্ডিয়ান, ডেইলি মেইল,ক্রিকবাজ, হেরাল্ড ডট জিম্বাবুয়ে

একই দাবিতে ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুনটাইমস অব ইন্ডিয়া, ইকোনমিক টাইমসহিন্দুস্থান টাইমস, জি নিউজ ইন্ডিয়া, টাইমস নাউ নিউজ, এবিপি লাইভ, সংবাদ প্রতিদিন, আজতাক ইন্ডিয়া, এই সময়

দেশীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন প্রতিবেদন দেখুন– বিডিনিউজ২৪, বাংলা ট্রিবিউন, প্রথম আলো, ডেইলি স্টার (বাংলা), ডেইলি স্টার (ইংরেজি), ইউএনবি, ডেইলি অবজারভার, ইনডিপেনডেন্ট টিভি, যুগান্তর, সমকাল, দৈনিক আমাদের সময় ডটকম, নয়া দিগন্ত, ইত্তেফাক, আজকের পত্রিকা, বার্তা২৪, নিউজবাংলা২৪, জনকণ্ঠ, দ্যা বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড, সময় টিভি, কালের কণ্ঠ, রাইজিং বিডি (বাংলা), রাইজিং বিডি (ইংরেজি), ডিবিসি নিউজ, একাত্তর টিভি, জাগোনিউজ২৪ (বাংলা), বাংলাদেশ প্রতিদিন, মানবজমিন, ইনকিলাব, মানবকণ্ঠ, বিডিক্রিকটাইম, বাংলানিউজ২৪ (বাংলা), বাংলাভিশন, প্রতিদিনের বাংলাদেশ, এনটিভি, বাংলাদেশ জার্নাল, যমুনা টিভি, বৈশাখী টিভি, একুশে টিভি, ঢাকা পোস্ট, টি স্পোর্টস, দেশ রূপান্তর, কালবেলা, চ্যানেল আই, ভোরের কাগজ, দেশ টিভি, নিউজ২৪, আরটিভি, ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস, ডেইলি মেসেঞ্জার, এটিএন বাংলা, ডেইলি সান, ঢাকা ট্রিবিউন, জাগোনিউজ২৪ (ইংরেজি) বণিক বার্তা, এসএ টিভি, এশিয়ান টিভিবিজয় টিভি, বায়ান্ন টিভি, বাংলানিউজ২৪ (ইংরেজি), ঢাকা মেইল, যায়যায়দিন, বাহান্ন নিউজ, রেডিও টুডে, এবিনিউজ২৪, সংবাদ প্রকাশ, বিবার্তা২৪ঢাকা প্রকাশ, নয়া শতাব্দী, আমার সংবাদ, সময় জার্নাল, ডেইলি বাংলাদেশ (ইংরেজি), প্রতিদিনের সংবাদ, বাংলাদেশ বুলেটিন, ২৪লাইভনিউজপেপার, ডেইলি ক্যাম্পাস, দ্যা রিপোর্ট লাইভ, রিদ্মিক নিউজ, আলোকিত বাংলাদেশ, অলরাউন্ডার, অন ফিল্ড, ক্রিকফেঞ্জি, প্যাভিলিয়ন, খেলা৭১, আমার বার্তা, অপরাজেয় বাংলা, বাংলা ইনসাইডার, সোনালী নিউজ, বিজনেস আওয়ার২৪, বাংলাদেশ টুডে, বাংলাদেশ মোমেন্টস,  বিবিএস বাংলা, একুশে সংবাদ, গো নিউজ, শেয়ার নিউজ, জুম বাংলা, সাম্প্রতিক দেশকাল, নিউজজি২৪,  দৈনিক শিক্ষা, কালের আলো, বিজনেস ইনসাইডার, ফ্রিডম বাংলা নিউজ, দৈনিক করতোয়া, প্রবাসীর দিগন্ত,  বিডি২৪লাইভ, ডেল্টা টাইমস, জনবাণী, আজকের দর্পণ, একাত্তর পোস্ট, সুখবর.কম, অর্থ সংবাদ, এমটিনিউজ২৪, সানবিডি২৪, স্বাধীন আলো, বিএনএনিউজ, মত ও পথ, বহুমাত্রিক, জবাবদিহি, লাস্ট নিউজবিডি। 

উক্ত বিষয়ে গণমাধ্যমের পেজসহ ফেসবুকের বিভিন্ন পেজে প্রচারিত পোস্ট দেখুন– পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট  (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট  (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ)।

একই দাবিতে বাংলাদেশের একাধিক ক্রিকেটারের ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া পোস্ট দেখুন- পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ)।

গণমাধ্যমের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুনএটিএন বাংলা, চ্যানেল২৪, ৭১ টিভি, প্রিয় নিউজ। 

এছাড়া মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক গণমাধ্যম খালিজ টাইমস, ডয়েচে ভেলে বাংলা, দেশীয় গণমাধ্যম চ্যানেল২৪, ঢাকা পোস্ট, সারাবাংলা.নেট, ডেইলি বাংলাদেশ(বাংলা), সংবাদ ও ক্রিক ফ্রেঞ্জি এই বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করলেও পরবর্তীতে তা সরিয়ে নেয়।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, বাংলাদেশের সাবেক পেস বোলিং কোচ ও জিম্বাবুয়ের সাবেক ক্রিকেটার হিথ স্ট্রিক মারা যাননি বরং তাঁর এক সাবেক টিমমেটের বরাতে গণমাধ্যম সূত্রে উক্ত খবরটি ইন্টারনেটে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। 

এ নিয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত দাবিতে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সের ওয়েবসাইটে গত ২৩ আগস্ট ‘Former Zimbabwe captain Streak dies aged 49′  শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত  প্রতিবেদনটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। 

Screenshot: Reuters

প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, হিথ স্ট্রিকের সাবেক টিমমেট হেনরি ওলোঙ্গা এক টুইট বার্তায় হিথ স্ট্রিক ৪৯ বছর বয়সে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গিয়েছেন।

এই নিউজের সূত্রে হেনরি ওলোঙ্গার টুইটার অ্যাকাউন্ট ঘুরে এমন কোনো টুইট খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে অনুসন্ধানে তার টুইটটির একটি আর্কাইভ সংস্করণ খুঁজে পাওয়া যায়। 

Image: Henry Olonga’s Tweet

টুইটটিতে তিনি লিখেন, হিথ স্ট্রিক মারা গেছেন। তবে কখন, কিভাবে মারা গেছেন এমন কোনো তথ্য তার টুইটটিতে ছিল না।

পরবর্তীতে তার আরেকটি টুইট পাওয়া যায়, যেখানে তিনি হিথ স্ট্রিকের জীবিত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমি নিশ্চিত করছি হিথ স্ট্রিকের মৃত্যুর বিষয়টি গুজব। আমি তার সাথে মাত্রই কথা বললাম। তিনি জীবিত আছেন।

Screenshot: Henry Olonga Tweet

পরবর্তীতে জিম্বাবুইয়ান গণমাধ্যম Chronicle এ ২৩ আগস্ট ‘Heath Streak is alive – Mother‘ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

Screenshot: Chronicle 

প্রতিবেদনটিতে হিথ স্ট্রিকের মা কারেন স্ট্রিককে উদ্ধৃত করে বলা হয়, হিথ স্ট্রিকের মারা যাওয়ার তথ্যটি গুজব। তিনি বেঁচে আছেন। 

Screenshot: Chronicle 

কারেন স্ট্রিক গণমাধ্যমটিকে আরও জানান, হিথের স্বাস্থ্য ভালো না। তবে সে ভালো আছে।

এছাড়া পরিবারটির মুখপাত্র জোসেফ রেগোও তার জীবিত থাকার তথ্যটি নিশ্চিত করে বলেন, হিথের মারা যাওয়ার তথ্যটি সত্য নয়। 

Screenshot: Chronicle 

পাশাপাশি ওপেন সোর্স অনুসন্ধানে যে সময়ে হিথ স্ট্রিকের মৃত্যুর দাবিটি প্রচার হচ্ছিল, সে সময়েই (বাংলাদেশ সময় সকাল ১১ টা ১০ মিনিটে) তার একটি ছবিও জিম্বাবুয়ের সাবেক স্পিনার  Rayand Julie Barbour Price এর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে খুঁজে পাওয়া যায়। 

Screenshot: Rayand Julie Barbour Price

এই পোস্টের আগেও তার আরও একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। বাংলাদেশ সময় সকাল ১০ টা ৫৩ মিনিটে দেওয়া ঐ পোস্টে তিনি লিখেন, হিথ স্ট্রিক মারা যাননি। তিনি জীবিত আছেন। আমরা একসাথে বসে চা খাচ্ছি এবং সূর্যোদয় দেখছি।

Screenshot: Rayand Julie Barbour Price

উপরিউক্ত তথ্যসমূহ পর্যালোচনা করে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, হিথ স্ট্রিকের মৃত্যুর দাবিটি পুরোপুরি গুজব।

মূলত, জিম্বাবুয়ের সাবেক ক্রিকেটার ও বাংলাদেশের সাবেক পেস বোলিং কোচ হিথ স্ট্রিক চতুর্থ স্তরের ক্যান্সারে ভুগছেন এবং দক্ষিণ আফ্রিকাসহ নিজ দেশে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যেই গত ২২ আগস্ট রাতে দেশটির আরেক সাবেক ক্রিকেটার হেনরি ওলোঙ্গা একটি টুইট বার্তায় তার মৃত্যুর খবর জানান। পরবর্তীতে তার এই টুইটের বরাতে দেশি-বিদেশি গণমাধ্যম সূত্রে হিথ স্ট্রিকের মৃত্যুর খবর ইন্টারনেটে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। তবে পরবর্তীতে হেনরি ওলোঙ্গাই আবার ২৩ আগস্ট আরেকটি টুইটে জানান, হিথ স্ট্রিকের মৃত্যুর তথ্যটি গুজব, তিনি বেঁচে আছেন। পরবর্তীতে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানেও দেখা যায়, হিথ স্ট্রিকের পরিবারই তার মৃত্যুর দাবিটিকে গুজব আখ্যায়িত করে তার জীবিত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

সুতরাং, জিম্বাবুয়ের সাবেক ক্রিকেটার হিথ স্ট্রিকের মৃত্যু দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

মাহাথির মোহাম্মদ খালেদা জিয়াকে এশিয়ার ম্যান্ডেলা বলে আখ্যায়িত করেননি

0

সম্প্রতি,“খালেদা জিয়া এশিয়ার ম্যান্ডেলা, অচিরেই বিশ্বনেতা হবেন- মাহাথির মোহাম্মদ।” শীর্ষক শিরোনামে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। 

ফেসবুকে প্রচারিত এমনকিছু পোস্ট দেখুন এখানে(আর্কাইভ), এখানে(আর্কাইভ), এখানে(আর্কাইভ), এখানে(আর্কাইভ)।

যা দাবি করা হচ্ছে

মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে এশিয়ান নেলসন ম্যান্ডেলা হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা যায়, মালেশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে এশিয়ান নেলসন ম্যান্ডেলা উল্লেখ করে  কোনো মন্তব্য করেননি বরং অগ্রহণযোগ্য ও ভিত্তিহীন সূত্রের বরাতে উক্ত তথ্যটি প্রচার করা হচ্ছে।

মূলত, অনুসন্ধানে জানা যায়, উক্ত দাবিটি প্রথম সূত্রপাত ঘটে ২০১৮ সালের ১৪ মার্চ। পত্রিকা ডট কম (potryka.com) নামক পোর্টালে “খালেদা জিয়া এশিয়ার ম্যান্ডেলা, অচিরেই বিশ্বনেতা হবেন: মাহাথির শীর্ষক শিরোনামে ”প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পায় রিউমর স্ক্যানার টিম। উক্ত প্রতিবেদনে তথ্যসূত্র হিসেবে ‘দ্য মালয় মেইল’ এর নাম উল্লেখ করা হয়। 

কিন্তু, উল্লিখিত সূত্র ‘দ্য মালয় মেইল’ এর ওয়েবসাইটে অনুসন্ধান করে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া সম্পর্কে মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের এরকম কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

পাশাপাশি, বিষয়টি নিয়ে সেসময়ে (২০১৮ সালের মার্চে) দেশীয় গণমাধ্যমেও মাহাথির মোহাম্মদ কর্তৃক খালেদা জিয়াকে নিয়ে মন্তব্য করার এরকম কোনো সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, পূর্বেও বিষয়টি ব্যাপকভাবে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে এটিকে মিথ্যা হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।

তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ ‘এই সোনার বাংলা জ্বালাইয়া দিল শেখের বেটি হাসিনা’ শীর্ষক গান গাননি

0

সম্প্রতি, “এই সোনার বাংলা জালাাইয়া দিল শেখের বেটি হাসিনা।” শীর্ষক একটি গান তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ গেয়েছেন দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে। 

ভিডিওটি দেখুন এখানে(আর্কাইভ), এখানে(আর্কাইভ), এখানে(আর্কাইভ), এখানে(আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ ‘এই সোনার বাংলা জ্বালাইয়া দিল শেখের বেটি হাসিনা’ শীর্ষক গানটি গাননি বরং ২০২০ সালে আরটিভিতে হাসান মাহমুদের গাওয়া রবীন্দ্রসংগীত ‘বধু মিছে রাগ করো না’ গানটির ভিডিওর সাথে আলোচিত ‘এই সোনার বাংলা জ্বালাইয়া দিলো শেখের বেটি হাসিনা’ শীর্ষক গানটির অডিও ডিজিটাল এডিটিং এর মাধ্যমে যুক্ত করে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।

ভিডিওটির কি-ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে মূলধারার গণমাধ্যম আরটিভির ইউটিউব চ্যানেল ‘Rtv Music’ এ ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর “Bodhu Miche Raag Korona | বধু মিছে রাগ করো না | Hasan Mahmud | Rabindra Sangeet | Rtv Music” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিওর সাথে আলোচিত ভিডিওর মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

Source: Rtv Music

আরটিভিতে প্রচারিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ সেদিন আরটিভিতে রবীন্দ্রসংগীত ‘বধু মিছে রাগ করো না’ গানটি গেয়েছিলেন বলে জানা যায়।

পাশাপাশি, প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড অনুসন্ধানের মাধ্যমে ‘One Olus’ নামক ইউটিউব চ্যানেলে ২০১৩ সালের ২৯ নভেম্বর  প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

Source: One Olus

One Plus ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারিত ভিডিওটিতে গাওয়া গানের সাথে অর্থাৎ ভিডিওটির ব্যাকগ্রাউন্ড অডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর ব্যাকগ্রাউন্ড অডিওর মিল খুঁজে পাওয়া যায়। ভিডিওটির বিস্তারিত অংশ থেকে জানা যায় এই গানটি বাউল মদন কুমার বিএনপির একটি সমাবেশে গেয়েছিলেন।

মূলত,‘এই সোনার বাংলা জ্বালাইয়া দিল শেখের বেটি হাসিনা’ শীর্ষক একটি গান তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ গেয়েছেন দাবিতে সম্প্রতি ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে। তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, উক্ত গানটি তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ গাননি। প্রকৃতপক্ষে ২০২০ সালে আরটিভিতে হাসান মাহমুদের গাওয়া রবীন্দ্রসংগীতের ভিডিওর সাথে মদন কুমার নামের জনৈক বাউল শিল্পীর আলোচ্য গানের অডিও জুড়ে দিয়ে ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে। 

উল্লেখ্য, পূর্বেও বিষয়টি ব্যাপকভাবে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে এটিকে মিথ্যা হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।

বাংলাদেশের জনপ্রিয় দল-মার্কা নিয়ে জাতিসংঘ কোনো জরিপ প্রকাশ করেনি

0

সম্প্রতি, “জাতিসংঘের জরিপে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মার্কা ধানের শীষ আর সবচেয়ে জনপ্রিয় দল বিএনপি” শীর্ষক একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক প্রচারিত হচ্ছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন পোস্ট ( আর্কাইভ), পোস্ট ( আর্কাইভ),পোস্ট ( আর্কাইভ), পোস্ট ( আর্কাইভ) এবং পোস্ট ( আর্কাইভ

ফ্যাক্টচেক

রিউমার স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, জাতিসংঘের জরিপে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মার্কা ধানের শীষ আর সবচেয়ে জনপ্রিয় দল বিএনপি শীর্ষক তথ্যটি সঠিক নয় বরং কোনো প্রকার নির্ভরযোগ্য তথ্য ছাড়াই এই দাবিটি প্রচার করা হচ্ছে।

মূলত, জাতিসংঘ থেকে এ ধরণের কোনো জরিপ পরিচালনা করা হয়না। রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে, জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে এই ধরণের কোনো জরিপের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় নি। তাছাড়া, জাতিসংঘ ব্যতীত অন্য কোনো দেশীয় ও আন্তর্জাতিক কোনো গ্রহণযোগ্য সংস্থা বাংলাদেশের জনপ্রিয় দল এবং বাংলাদেশের জনপ্রিয় মার্কা নিয়ে জরিপ করেছে এমন কোনো তথ্য ইন্টারনেটে খুঁজে পাওয়া যায় নি। অন্যদিক, দেশীয় বা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে জাতিসংঘের এই জরিপ সংক্রান্ত কোনো সংবাদ প্রকাশিত হয় নি।

উল্লেখ্য, পূর্বেও বিষয়টি ব্যাপকভাবে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে এটিকে মিথ্যা শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।