Home Blog Page 600

চ্যানেল২৪ এর ফটোকার্ড বিকৃত করে ঢাবির শিক্ষার্থীর ভুল ছবি প্রচার

0

সম্প্রতি, “ফেসবুকে সুইসাইড নোট পোস্ট, পুলিশ গিয়ে দেখে আড্ডা দিচ্ছে ঢাবি শিক্ষার্থী” শীর্ষক শিরোনামের সাথে এক ব্যক্তির ছবি ব্যবহার করে মূলধারার গণমাধ্যম ‘চ্যানেল২৪’ এর আদলে তৈরি করা একটি ফটোকার্ডের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)  এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, “ফেসবুকে সুইসাইড নোট পোস্ট, পুলিশ গিয়ে দেখে আড্ডা দিচ্ছে ঢাবি শিক্ষার্থী” শীর্ষক তথ্যে যে ব্যক্তির ছবি সম্বলিত ফটোকার্ডটি চ্যানেল২৪ এর দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে তা চ্যানেল২৪ প্রকাশ করেনি বরং সম্প্রতি চ্যানেল২৪ এর ফেসবুক পেজে একই শিরোনামে প্রচারিত একটি ফটোকার্ডে থাকা ঢাবির এক শিক্ষার্থীর ছবির স্থলে উক্ত ব্যক্তির ছবি বসিয়ে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে। 

অনুসন্ধানের শুরুতে চ্যানেল২৪ এর প্রচারিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। এতে সংবাদটি প্রচারের তারিখ দেখানো হয়েছে ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩।

দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে ফটোকার্ডটিতে থাকা তারিখ এবং চ্যানেল২৪ এর লোগোর সূত্র ধরে চ্যানেল২৪ এর ফেসবুক পেজে গত ০৬ সেপ্টেম্বর প্রচারিত একটি ফটোকার্ড পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। এই ফটোকার্ডে একই শিরোনাম থাকলেও আলোচিত ব্যক্তির ছবির স্থলে ভিন্ন আরেক ব্যক্তির ছবি দেখা যায়।

Photocard Comparison by Rumor Scanner 

অর্থাৎ, চ্যানেল২৪ এর ফেসবুক পেজে প্রকাশিত একটি ফটোকার্ডে থাকা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ছবি বদলে দিয়ে ভিন্ন ব্যক্তির ছবি বসিয়ে প্রচার করা হয়েছে। 

পরবর্তী অনুসন্ধানে একই তারিখে চ্যানেল২৪ এর ওয়েবসাইটে “ফেসবুকে সুইসাইড নোট পোস্ট, পুলিশ গিয়ে দেখে আড্ডা দিচ্ছে ঢাবি শিক্ষার্থী” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, প্রেমের সম্পর্কে ভাটা পড়ায় রাজবাড়ী শহরের ৭নং ওয়ার্ডের ভবানিপুর গ্রামের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষ পড়ুয়া শিক্ষার্থী ফেরদৌস নাঈম ফেসবুকে সুইসাইড নোট লিখে আত্মহত্যার মিথ্যে হুমকি দিয়েছেন। সেই সুইসাইড নোটটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে রাজবাড়ী জেলা পুলিশের নজরে আসে। তাৎক্ষণিক পুলিশের মোবাইল টিম ওই যুবককে উদ্ধার করতে বাড়িতে গিয়ে দেখে পরিবারের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছে যুবক।  

এ বিষয়ে আরো অনুসন্ধান করে ফেসবুকে ছড়িয়েপড়া ফটোকার্ডটিতে থাকা ব্যক্তির সন্ধান পেয়েছে রিউমর স্ক্যানার। শামিম হোসেন নামে উক্ত ব্যক্তি আলোচিত ছবিটি তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে প্রোফাইল পিকচার হিসেবে আপলোড করেন গত ০২ সেপ্টেম্বর। শামিমের অ্যাকাউন্ট থেকে জানা যায়, তিনিও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। বর্তমানে তিনি ইংরেজি বিভাগে পড়াশোনা করছেন। 

Screenshot source: Facebook 

মূলত, রাজবাড়ীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষ পড়ুয়া শিক্ষার্থী ফেরদৌস নাঈম ফেসবুকে সুইসাইড নোট লিখে আত্মহত্যার মিথ্যে হুমকি দেওয়ার পর পুলিশের মোবাইল টিম ওই যুবককে উদ্ধার করতে বাড়িতে গিয়ে দেখে পরিবারের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছে যুবক। এ বিষয়ে গত ০৬ সেপ্টেম্বর ‘চ্যানেল২৪’ এর ফেসবুক পেজে উক্ত ব্যক্তির ছবি সম্বলিত একটি ফটোকার্ড প্রচারিত হয়। পরবর্তীতে উক্ত ফটোকার্ডে থাকা ব্যক্তির ছবিটির স্থলে ঢাবির আরেক শিক্ষার্থীর ছবি বসিয়ে ফেসবুকে প্রচার করা হয়। 

উল্লেখ্য, গত আট মাসে বিভিন্ন গণমাধ্যমের নাম, লোগো, শিরোনাম এবং নকল ফটোকার্ড ব্যবহার করে অপপ্রচারের বিষয়ে বিস্তারিত ফ্যাক্ট ফাইল প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।

সুতরাং, চ্যানেল২৪ এর ফটোকার্ডে থাকা ঢাবির এক শিক্ষার্থীর ছবির স্থলে ঢাবির আরেক শিক্ষার্থীর ছবি বসিয়ে ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে; যা এডিটেড বা বিকৃত।

তথ্যসূত্র

ক্রিকেটার মুশফিক-ইমরুলের ছবি বিকৃত করে প্রচার 

0

সম্প্রতি, বাংলাদেশের ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম ও ইমরুল কায়েসের সিঁড়িতে বসে থাকার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে। ছবিটিতে দুই ক্রিকেটারের পেছনের আয়নার দেয়ালে “Brazil Chudina” শীর্ষক আপত্তিকর শব্দদ্বয় লেখা দেখা যাচ্ছে। 

মুশফিক-ইমরুলের

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম ও ইমরুল কায়েসের সিঁড়িতে বসে থাকা ছবির পেছনে ব্রাজিলকে উদ্দেশ্য করে বলা আপত্তিকর লেখাটি ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় এডিট করে বসানো হয়েছে। 

আলোচিত ছবিটির সত্যতা যাচাইয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে ক্রিকেটার ইমরুল কায়েসের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ২০১৬ সালের ১১ ডিসেম্বর করা একটি পোস্টে  আলোচিত ছবির প্রায় অনুরূপ একটি ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। 

ইমরুলের ঐ পোস্টের ক্যাপশন থেকে জানা যায়, ছবিটি অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে তোলা।

Screenshot: Imrul Kayes Instagram Post 

ছবিটি বিশ্লেষণ করে আলোচিত ছবির সাথে একটি পার্থক্য খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ছবিতে দুই ক্রিকেটারের পেছনে ‘Adina’ শীর্ষক শব্দ দেখা গেলেও আলোচিত ছবিতে এই শব্দের পরিবর্তে ‘Brazil Chudina’ শীর্ষক শব্দদ্বয় দেখা যায়।

Image Comparison by Rumor Scanner

অর্থাৎ, মূল ছবিতে থাকা ‘Adina’ লেখাটি কেটে দিয়ে “Brazil Chudina” শীর্ষক শব্দদ্বয় যুক্ত করা হয়েছে।

মূলত, ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে দুইটি টেস্ট ম্যাচ, তিনটি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ এবং তিনটি টি২০ ম্যাচ খেলার জন্য নিউজিল্যান্ড সফর করে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সিরিজ শুরুর ১০ দিন আগে বাংলাদেশ দল অস্ট্রেলিয়ায় ক্যাম্প করে অনুশীলন করে। সেই সময় অষ্ট্রেলিয়ার সিডনিতে মুশফিক ও ইমরুলের তোলা একটি ছবিকে এডিটের মাধ্যমে ব্রাজিলকে উদ্দেশ্য করে আপত্তিকর লেখা সংযুক্ত করে সাম্প্রতিক সময়ে ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে। 

উল্লেখ্য, পূর্বেও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গের তোলা ছবিকে এডিট করে ইন্টারনেটে প্রচার করা হলে সেসময় সেগুলো শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার। প্রতিবেদনগুলো পড়ুন এখানে, এখানে এবং এখানে। 

সুতরাং, ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম ও ইমরুল কায়েসের সিঁড়িতে বসে থাকার ছবির পেছনে “Brazil Chudina” শীর্ষক লেখাটি এডিটেড বা বিকৃত।

তথ্যসূত্র

বিএনপি ও জিয়া পরিবার নিয়ে গুগল সার্চে নেতিবাচক তথ্য আসছে দাবিতে বানোয়াট স্ক্রিনশট প্রচার

0

সম্প্রতি, গুগলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি এবং সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাম সার্চ করলে ফলাফল হিসেবে নেতিবাচক শব্দ প্রদর্শিত হয় দাবিতে কয়েকটি স্ক্রিনশট সম্বলিত একটি কোলাজ ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে। 

ফেসবুকে প্রচারিত এমনকিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

যা দাবি করা হচ্ছে

ফেসবুকে প্রচারিত পোস্টগুলোতে বলা হচ্ছে, 

“বিএনপি ও দুর্নীতি যেন একে অপরের সমার্থক। বাংলাদেশের রাজনীতিতে দুর্নীতির ব্যাপক বিস্তার, রাষ্ট্রীয় সম্পদ তছরুপ করার জন্য সার্চ ইঞ্জিন গুগলের কাছেও এখন জনপ্রিয় বিএনপি। কেননা তাদের নামে গুগলে সার্চ করার সাথে সাথে তাদের নামের বিশেষণ গুলো এমনটা দেখায়।
তারেক জিয়া= খাম্বা চোর
জিয়াউর রহমান= খুনি জিয়া
খালেদা জিয়া= এতিমের টাকা চোর
বিএনপি= বাংলাদেশ নাশকতা পার্টি”

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, বিএনপি এবং জিয়া পরিবারের সদস্যের নাম গুগলে সার্চ দিলে আলোচিত এই নেতিবাচক শব্দগুলো প্রদর্শিত হয় না বরং ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় এডিট করে এই শব্দগুলো বসিয়ে আলোচিত দাবিতে কোলাজ ছবিটি তৈরি করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে গুগল সার্চ ব্যবহার করে রিউমর স্ক্যানার টিম। 

বিএনপি লিখে সার্চ করলে গুগলে যা দেখা যায়

সার্চ ইঞ্জিন গুগলে ‘বিএনপি’ নামটি টাইপ করে সার্চ করার পর ফলাফল হিসেবে প্রথমেই Political Party হিসেবে Bangladesh National Party উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও সেখানে বিএনপির উইকিপিডিয়া পেজ, ছবি এবং দলটির সাম্প্রতিক কার্যক্রম সম্পর্কিত কিছু সংবাদ প্রদর্শিত হতে দেখা যায়।

Screenshot: Google Search

অর্থাৎ, ফেসবুকে প্রচারিত পোস্টে গুগলে ‘বিএনপি’ শব্দটি লিখে সার্চ দিলে ‘বাংলাদেশ নাশকতা পার্টি’ ফলাফল আসার কথা বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে তা আসেনি।

খালেদা জিয়া লিখে সার্চ করলে গুগলে যা দেখা যায়

সার্চ ইঞ্জিন গুগলে ‘খালেদা জিয়া’ নামটি টাইপ করে সার্চ করার পর ফলাফল হিসেবে প্রথমেই খালেদা জিয়াকে Former Prime Minister of Bangladesh হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া সেখানে খালেদা জিয়ার উইকিপিডিয়া পেজ, ছবি এবং তার সাম্প্রতিক অসুস্থতা এবং চিকিৎসা সম্পর্কিত কিছু সংবাদ প্রদর্শিত হতে দেখা যায়।

Screenshot: Google Search

অর্থাৎ, ফেসবুকে প্রচারিত পোস্টে গুগলে ‘খালেদা জিয়া’ নামটি লিখে সার্চ দিলে ‘এতিমের টাকা চোর’ শীর্ষক ফলাফল আসার কথা বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে তা আসেনি।

জিয়াউর রহমান লিখে সার্চ করলে গুগলে যা দেখা যায়

সার্চ ইঞ্জিন গুগলে ‘জিয়াউর রহমান’ নামটি টাইপ করে সার্চ করার পর ফলাফল হিসেবে প্রথমেই জিয়াউর রহমানকে Former President of Bangladesh হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও সেখানে বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের উইকিপিডিয়া পেজ, ছবি এবং তার বিষয়ে প্রকাশিত কিছু সংবাদ প্রদর্শিত হতে দেখা যায়।

Screenshot: Google Search 

অর্থাৎ, ফেসবুকে প্রচারিত পোস্টে গুগলে ‘জিয়াউর রহমান’ নামটি লিখে সার্চ দিলে ‘খুনি জিয়া’ শীর্ষক ফলাফল আসার কথা বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে তা আসেনি।

তারেক জিয়া লিখে সার্চ করলে গুগলে যা দেখা যায়

সার্চ ইঞ্জিন গুগলে ‘তারেক জিয়া’ নামটি টাইপ করে সার্চ করার পর ফলাফল হিসেবে প্রথমেই তারেককে Tarique Rahman এবং Vice Chairman of Bangladesh Nationalist Party হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও সেখানে তারেকের উইকিপিডিয়া পেজ, ছবি এবং তার বিষয়ে প্রকাশিত কিছু সাম্প্রতিক সংবাদ প্রদর্শিত হতে দেখা যায়।

Screenshot: Google Search

অর্থাৎ, ফেসবুকে প্রচারিত পোস্টে গুগলে ‘তারেক জিয়া’ নামটি লিখে সার্চ দিলে ‘খাম্বা চোর’ শীর্ষক ফলাফল আসার কথা বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে তা আসেনি।

এছাড়া, গুগলে কিছু সার্চ করলে বানান ভুলের ক্ষেত্রে গুগল কাছাকাছি কিছু শব্দ সাজেশন দেখায় যে এই জিনিসটি খোঁজা হচ্ছে কিনা। সে অনুযায়ী আলোচিত ওই নেতিবাচক শব্দগুলো কোনভাবেই প্রদর্শিত হওয়ার কথা নয়।

অর্থাৎ, উপরোক্ত তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করলে এটা স্পষ্ট যে, গুগলে বিএনপি এবং জিয়া পরিবারের সদস্যের নাম লিখে সার্চ দিলে ফলাফল হিসেবে সেখানে বাংলাদেশ নাশকতা পার্টি, এতিমের টাকা চোর, খুনি জিয়া এবং খাম্বা চোর শীর্ষক শব্দগুলো প্রদর্শিত হতে দেখা যায় না।

মূলত, গুগলে বিএনপি লিখে সার্চ করলে ‘বাংলাদেশ নাশকতা পার্টি’, খালেদা জিয়া লিখে সার্চ করলে ‘এতিমের টাকা চোর’, জিয়াউর রহমান লিখে সার্চ করলে ‘খুনি জিয়া’ এবং তারেক জিয়া লিখে সার্চ করলে ‘খাম্বা চোর’ শীর্ষক লেখা প্রদর্শিত হয় দাবি করে কয়েকটি স্ক্রিনশট সম্বলিত একটি কোলাজ ছবি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়। তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আলোচিত এই দাবিটি সঠিক নয়। মূলত ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় স্ক্রিনশট গুলোতে নেতিবাচক এই শব্দগুলো যুক্ত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে এই কোলাজ ছবিটি প্রচার করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, পূর্বে বিভিন্ন ঘটনায় ইন্টারনেটে ভুয়া স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষিতে একাধিক ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।

সুতরাং, বিএনপি এবং জিয়া পরিবারের সদস্যদের নাম গুগলে সার্চ করলে বাংলাদেশ নাশকতা পার্টি, এতিমের টাকা চোর, খুনি জিয়া এবং খাম্বা চোর শীর্ষক শব্দ সম্বলিত একটি কোলাজ ছবি প্রচার করা হচ্ছে; যা এডিটেড বা বিকৃত।

তথ্যসূত্র

বাংলাদেশই একমাত্র নয়, জোটের বাইরের আরও ৮ টি দেশ জি২০ সম্মেলনে অংশ নিয়েছিল

0

সম্প্রতি ‘জি-২০’র সদস্য না হয়েও আমন্ত্রণ পেয়েছে একমাত্র বাংলাদেশ’ দেওয়া হচ্ছে শীর্ষক দাবিতে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।

ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট  (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ভারতের দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকার সূত্রে দেশটিতে অনুষ্ঠিত জি২০ সম্মেলনে সদস্য না হয়েও একমাত্র বাংলাদেশের আমন্ত্রণ পাওয়ার দাবিটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে উক্ত সম্মেলনে জি২০ এর সদস্য নয় এমন আরও ৮ টি দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে এই সম্মেলনে দক্ষিণ এশিয়া থেকে একমাত্র বাংলাদেশই আমন্ত্রণ পেয়েছে।  

আনন্দবাজার পত্রিকা সূত্রে ভুল তথ্য প্রচার

জি২০ সম্মেলনে সদস্য না হয়েও একমাত্র বাংলাদেশের আমন্ত্রণ পাওয়ার দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত পোস্টগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, উক্ত পোস্টগুলোতে এই তথ্যের সূত্র হিসেবে ভারতীয় বাংলা ভাষার দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকাকে উদ্ধৃত করা হয়েছে। 

তবে গণমাধ্যমটিতে জি২০ সম্মেলনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ নিয়ে প্রতিবেদনগুলো বিশ্লেষণ করে জি২০ সম্মেলনে সদস্য না হয়েও একমাত্র বাংলাদেশের আমন্ত্রণ পাওয়ার বিষয়ে এমন কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

জি২০ সম্মেলনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ নিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত এমন কিছু প্রতিবেদন দেখুন 

Screenshot: Anandabazar Patrika

এই প্রতিবেদনগুলো থেকে পাওয়া তথ্য মতে বরং নিশ্চিত হওয়া যায়, বাংলাদেশ জি২০ জোটটির সদস্য না হলেও দক্ষিণ এশিয়া থেকে এই সম্মেলনে কেবল বাংলাদেশকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।  

সম্মেলনে বাংলাদেশ ছাড়াও জি২০ জোটের বাইরে আমন্ত্রণ পেয়েছে ৮ দেশ  

অনুসন্ধানে দেখা যায়, ভারতে সদ্য অনুষ্ঠিত এই জি২০ সম্মেলনে বাংলাদেশ ছাড়াও এই জোটের বাইরে আরও ৮ টি দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

এ নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম দ্যা হিন্দুতে চলতি বছরের গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ‘‘Nine guest countries’ to summit will be ultimately guided by ‘continuity’ of G20’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে ভারতের সভাপতিত্বে এ বছরের জি২০ সম্মেলনে জোটভুক্ত দেশগুলোর বাইরে অতিথি রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ, মিশর, মরিশাস, নেদারল্যান্ডস, নাইজেরিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর, স্পেন এবং আরব আমিরাতের নাম পাওয়া যায়।  

পরবর্তীতে সদ্যসমাপ্ত জি২০ সম্মেলনের ওয়েবসাইট ঘুরেও এই সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে একই দেশগুলোর নাম খুঁজে পাওয়া যায়।  

Screenshot: g20.org 

এছাড়া জি২০ ইন্ডিয়ার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ ঘুরেও দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও এই আমন্ত্রিত দেশের অতিথিরা সম্মেলনে অংশগ্রহণ করতে ভারতে এসেছিলেন। 

যেমন, নাইজেরিয়া, নেদারল্যান্ডস ও সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীদের জি২০ সম্মেলনে অংশ নিতে ভারতে আগমন সংক্রান্ত ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে।  

অর্থাৎ এই সম্মেলনে জি২০ সম্মেলনে বাংলাদেশ ছাড়াও এই জোটের বাইরে আরও ৮ টি দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। যারা জি২০ জোটের সদস্য নয়। 

উল্লেখ্য, জি২০ বা গ্রুপ অব টুয়েন্টি হচ্ছে কতগুলো দেশের একটি জোট, যারা বিশ্ব অর্থনীতির বিষয়ে পরিকল্পনার জন্য আলোচনা করতে বৈঠক করে। জি২০ ভুক্ত দেশগুলোর আওতায় বিশ্ব অর্থনীতির ৮৫ শতাংশ এবং বিশ্ব বাণিজ্যের ৭৫ শতাংশ। বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ জনগণও রয়েছে এসব দেশে।

এর সদস্য রাষ্ট্রগুলো হচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং আরো ১৯টি দেশ। এসব দেশ হচ্ছে – আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, দক্ষিণ কোরিয়া, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র। 

মূলত, গত ৯-১০ সেপ্টেম্বর ভারতের রাজধানী দিল্লিতে দেশটির সভাপতিত্বে এবারের জি-২০ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনে জোটভুক্ত দেশগুলোর বাইরেও বাংলাদেশসহ আরও ৮ টি দেশকে অতিথি রাষ্ট্র হিসেবে এই সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এর মধ্যে দক্ষিণ এশিয়া থেকে একমাত্র বাংলাদেশ এই সম্মেলনে আমন্ত্রণ পেয়েছে। দক্ষিণ এশিয়া থেকে একমাত্র বাংলাদেশের এই আমন্ত্রণের বিষয়টিই পরবর্তীতে ভারতীয় গণমাধ্যম দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা সূত্রে জি-২০’র সদস্য না হয়েও আমন্ত্রণ পেয়েছে একমাত্র বাংলাদেশ’ শীর্ষক দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে। তবে অনুসন্ধানে দেখা যায়, আনন্দবাজার পত্রিকায় এমন কোনো তথ্য প্রচার করা হয়নি।

সুতরাং, জি-২০’র সদস্য না হয়েও একমাত্র বাংলাদেশ এই সম্মেলনে আমন্ত্রণ পাওয়ার দাবিটি সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর। 

তথ্যসূত্র

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে ইনকিলাবকে উদ্ধৃত করে ভিত্তিহীন তথ্য প্রচার

সম্প্রতি,“তত্ত্বাবধায়ক সরকার ঘোষণার সাথে সাথে প্রায় ৭০-৮০ লক্ষ প্রবাসী দেশে আসতে প্রস্তুত” শীর্ষক একটি তথ্য দেশীয় সংবাদমাধ্যম দৈনিক ইনকিলাবের সূত্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ইনকিলাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ঘোষণার সাথে সাথে প্রায় ৭০-৮০ লক্ষ প্রবাসী দেশে আসার বিষয়ে কোনো সংবাদ প্রকাশিত হয়নি বরং সম্পূর্ণ ভিত্তিহীনভাবে ইনকিলাবের সূত্রে এ দাবিটি প্রচার করা হয়েছে।

দেশীয় গণমাধ্যম ইনকিলাবের বরাতে ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ঘোষণার পর ৭০-৮০ লক্ষ প্রবাসী দেশে আসতে প্রস্তুত’ শীর্ষক দাবিটি প্রচার করা হয়। ইনকিলাব এমন কোনো সংবাদ প্রকাশ করেছে কি না সে বিষয়ে অনুসন্ধান করে রিউমর স্ক্যানার।

অনুসন্ধানে ইনকিলাবের ওয়েবসাইট এবং অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে আলোচিত দাবির বিষয়ে কোনো সংবাদ বা তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

কি-ওয়ার্ড সার্চ করার মাধ্যমে দাবিটি নিয়ে অনুসন্ধানে ইনকিলাব ছাড়াও অন্য কোনো সংবাদমাধ্যমেও আলোচিত দাবিটি নিয়ে প্রকাশিত কোনো সংবাদ খুঁজে পায়নি রিউমর স্ক্যানার টিম।

এছাড়াও, গত কয়েকদিনে বিভিন্ন গণমাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে প্রকাশিত সংবাদ পর্যবেক্ষণ করে দেখেছে রিউমর স্ক্যানার। পর্যবেক্ষণে তত্ত্বাবধায়ক সরকার সম্পর্কিত সংবাদগুলিতে আলোচিত দাবির বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। 

তবে মূলধারার অনলাইন গণমাধ্যম বাংলা ট্রিবিউনের ওয়েবসাইটে গত ১৪ আগস্ট ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না, প্রধানমন্ত্রীও পদত্যাগ করবেন না: ওবায়দুল কাদের’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

সেখানে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের মেসেজ একটাই। কেয়ারটেকার ইজ নো মোর। নো কেয়ারটেকার।  প্রাইম মিনিস্টার রেজিগনেশন নো। এগুলো পরিবর্তনের সুযোগ নেই।’

পরবর্তীতে গত ২০ আগস্ট মূলধারার ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম একাত্তর টিভির ইউটিউব চ্যানেলে ‘যুক্তরাষ্ট্র, ভারত বা ইইউ কেউই প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কথা বলেনি’ শীর্ষক শিরোনামে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য নিয়ে প্রকাশিত একটি ভিডিও প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

সেখানে ওবায়দুল কাদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপীয় ইউনিয়ন কেউই প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা নির্বাচন কমিশন নিয়ে কথা বলেনি।

তাছাড়া, ২০১১ সালে বাংলাদেশে আপিল বিভাগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সর্ম্পকিত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে। পরবর্তীতে এই ব্যবস্থা আর পূর্ণবহাল করা হয়নি।

অর্থাৎ, উপরোক্ত তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করলে এটা স্পষ্ট যে, দেশের মূলধারার সংবাদমাধ্যম দৈনিক ইনকিলাব তত্ত্বাবধায়ক সরকার ঘোষণার সাথে সাথে প্রায় ৭০-৮০ লক্ষ প্রবাসী দেশে আসার বিষয়ে কোনো সংবাদ প্রকাশ করেনি।

মূলত, বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ভুয়া তথ্য প্রচার হতে দেখা যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ঘোষণার পর ৭০-৮০ লক্ষ প্রবাসী দেশে আসার বিষয়ে একটি তথ্য দেশের মূলধারার সংবাদমাধ্যম দৈনিক ইনকিলাবের সূত্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়। তবে অনুসন্ধানে ইনকিলাব কিংবা অন্য কোনো সংবাদমাধ্যমে এমন কোনো সংবাদ বা এ সম্পর্কিত কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

প্রসঙ্গত, গত আট মাসে বিভিন্ন গণমাধ্যমের নাম, লোগো, শিরোনাম এবং নকল ফটোকার্ড ব্যবহার করে অপপ্রচারের বিষয়ে বিস্তারিত ফ্যাক্ট ফাইল প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।

উল্লেখ্য, পূর্বেও কালবেলাকে সূত্র উল্লেখ করে একই দাবি প্রচার করা হলে সেসময় বিষয়টি নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।

সুতরাং, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ঘোষণার সাথে সাথে প্রায় ৭০-৮০ লক্ষ প্রবাসী দেশে আসতে প্রস্তুত’ শীর্ষক তথ্যকে দৈনিক ইনকিলাবের সংবাদ দাবিতে প্রচারের বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

বিশালাকৃতির এই কুকুরের ছবিটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে তৈরি

0

সম্প্রতি, ১৯০২ সালের সর্বশেষ দৈত্যাকার আইরিশ গ্রে হাউন্ড শীর্ষক দাবিতে একটি বিশালাকৃতির কুকুরের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।

যা দাবি করা হচ্ছে

উক্ত ক্যাপশন এবং ছবিসহ প্রকাশিত ফেসবুক পোস্ট গুলোর কমেন্ট বক্সে অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারী এই ছবিটিকে বাস্তব মনে করছেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু ছবি দেখুন পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ) এবং পোস্ট (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সর্বশেষ দৈত্যাকার আইরিশ গ্রে হাউন্ড কুকুর দাবিতে প্রচারিত ছবিটি বাস্তব নয় বরং এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সাহায্যে ছবি তৈরির টুলস মিডজার্নি দিয়ে তৈরি করা ছবি।

রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে, ‘Crushed AI’ নামক ফেসবুক গ্রুপে ‘Antoine Jo’ নামক অ্যাকাউন্ট থেকে গত ৩১ আগস্ট প্রকাশিত ছবির সাথে উক্ত দাবিতে প্রচারিত ছবির হুবহু মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

Image Comparison by Rumor Scanner

Crushed AI’ নামক ফেসবুক গ্রুপটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই টুলস ব্যবহার করে ছবি তৈরি করে এই পাবলিক গ্রুপটিতে শেয়ার করা হয়।

বিষয়টি অধিকতর অনুসন্ধানে ‘Antoine Jo’ এর ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে কিছু ছবি সম্বলিত একটি পোস্টে আলোচিত ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot from Facebook

এর ফেসবুক পোস্টের ক্যাপশনে দেওয়া হ্যাশট্যাগ থেকে জানা যায় ছবি গুলো তিনি বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে ছবি তৈরির টুলস মিডজার্নি ব্যবহার করে বানিয়েছেন।

এছাড়া একই পোস্টে ‘তিনি এই ছবি গুলো কোথায় পেয়েছেন?’ একজন এমন প্রশ্ন করলে তিনি জানান,  গুলো তিনি মিডজার্নির সাহায্যে তৈরি করেছেন।

Screenshot from Facebook

এছাড়া বিষয়টি অধিকতর যাচাইয়ের লক্ষ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে তৈরি ছবি শনাক্তকরণ ওয়েবসাইট ‘hivemoderation.com’ ছবিটির ব্যাপারে জানতে চাইলে ওয়েবসাইটটি ছবিটি ৯৯.৯% কৃত্রিম হিসেবে চিহ্নিত করে।

Screenshot from ‘hivemoderation.com’

মূলত, গত ৩১ আগস্ট Antoine Jo নামক এক ব্যক্তি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ছবি শেয়ারিং সংক্রান্ত ফেসবুক গ্রুপ ‘Crushed AI’ এ ‘১৯০২ সালের সর্বশেষ দৈত্যাকার আইরিশ গ্রে হাউন্ড’ শীর্ষক ক্যাপশনে একটি বিশালাকৃতির কুকুরের ছবি প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে ৪ সেপ্টেম্বর Antoine Jo তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে উক্ত ছবি সহ আরও বেশ কিছু ছবি প্রকাশ করে জানান যে এই ছবিগুলো তিনি বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে ছবি তৈরির টুলস মিডজার্নি ব্যবহার করে তৈরি করেছেন। পরবর্তীতে উক্ত ছবিটি আসল ছবি দাবিতে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে। যার ফলে আলোচিত ছবিটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।

প্রসঙ্গত, পূর্বে সমুদ্রে সূর্যাস্তের একটি ছবিকে বাস্তব দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হলে বিষয়টি শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।

সুতরাং, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে তৈরি একটি বিশালাকৃতির কুকুরের ছবিকে ক্যামেরায় ধারণকৃত বাস্তব ছবি দাবিতে ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

চন্দ্রপৃষ্ঠে অশোকস্তম্ভের ছবিটি ডিজিটাল আর্টওয়ার্কের মাধ্যমে তৈরি করা

0

সম্প্রতি, চন্দ্রপৃষ্ঠে অশোকস্তম্ভের ছবি দাবিতে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।

Facebook Screenshot 

ফেসবুকে প্রচারিত এরূপ কিছু পোস্ট দেখুন এখানে(আর্কাইভ), এখানে(আর্কাইভ), এখানে(আর্কাইভ), এখানে(আর্কাইভ), এখানে(আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, চাঁদের মাটিতে অশোকস্তম্ভের ছবিটি বাস্তব নয় বরং ডিজিটাল আর্টওয়ার্কের মাধ্যমে ছবিটি তৈরি করা হয়েছে।

প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড সার্চ পদ্ধতি অনুসরণ করে, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই সময় এর ওয়েবসাইটে ২০২৩ সালের ২৮ আগস্ট প্রকাশিত “Chandrayaan-3 Picture : চাঁদের মাটিতে অশোকস্তম্ভের ছাপ? জানুন ভাইরাল ছবির সত্যতা” শীর্ষক শিরোনামের একটি প্রতিবেদন খুঁজে পায় রিউমর স্ক্যানার টিম।

প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, কৃষাণশু গর্গ নামের জনৈক ব্যক্তি ডিজিটাল আর্টওয়ার্কের মাধ্যমে কাল্পনিক এই ছবিটি তৈরি করেন।

Source: এই সময়

পাশাপাশি, রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে Hiclipart এর ওয়েবসাইটে আলোচ্য ছবির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ ভেক্টরের ছবিও খুঁজে পাওয়া যায়।

পরবর্তীতে, কৃষাণশু গর্গ নামের যে ব্যক্তি ছবিটি তৈরি করেছিলেন তার ইনস্টগ্রাম অ্যাকাউন্টে অনুসন্ধান চালায় রিউমর স্ক্যানার টিম। অনুসন্ধানে দেখা যায়, ২০২৩ সালের ২৪ আগস্ট krishanshugarg নামের ভেরিফাইড ইনস্টগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে আলোচ্য ছবিটি পোস্ট করা হয়।

পোস্টের ক্যাপশন থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, উক্ত ছবিটি কৃষাণশু গর্গ এর তৈরি একটি আর্টওয়ার্ক। উপরন্তু, পোস্টের ক্যাপশন থেকে আরও নিশ্চিত হওয়া যায় যে, অনেকেই এই ছবিটিকে চাঁদের মাটিতে অশোকস্তম্ভের বাস্তব ছবি হিসেবে প্রচার করছেন। ইনস্টগ্রাম পোস্টে কৃষাণশু গর্গ এই ভুল তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানান।

Source: krishanshugarg

মূলত, কৃষাণশু গর্গ নামের জনৈক আর্টিস্ট ডিজিটাল আর্টওয়ার্কের মাধ্যমে চন্দ্রপৃষ্ঠে অশোকস্তম্ভের ছাপ সম্বলিত এলটি কাল্পনিক ছবি তৈরি করেন। পরবর্তীতে, সেই ছবিটিই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযান-৩ এর বাস্তব ছবি দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে, ছবিটি চন্দ্রপৃষ্ঠে অশোকস্তম্ভের ছবিটি ডিজিটাল আর্টওয়ার্কের মাধ্যমে তৈরি।

প্রসঙ্গত, পূর্বেও ভারতের চন্দ্রযান-৩ এর তোলা ছবির ব্যাপারে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে পড়লে সে বিষয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।

সুতরাং, একটি ডিজিটাল আর্টওয়ার্ককে চাঁদের পৃষ্ঠে অশোকস্তম্ভের বাস্তব ছবি দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানে বন্যা ও ভূমিধ্বসের ঘটনায় দেশীয় গণমাধ্যমে ভুল ছবি প্রচার

পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানে জুলাই মাসে ভারী বর্ষণের কারণে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধ্বসের ঘটনায় বাংলাদেশের একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ৫টি ভিন্ন ছবি ব্যবহার করা হয়েছে।

Image Comparison by Rumor Scanner

ছবিগুলো ব্যবহার করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, বাংলা ট্রিবিউন, দৈনিক ইত্তেফাক, বাংলা ভিশন, আলোকিত বাংলাদেশ, একুশে সংবাদ, অর্থসূচক, দৈনিক ইনকিলাব, একাত্তর টিভি, প্রতিদিনের সংবাদ, ঢাকা পোস্ট, নিউজজি২৪, পিবিএ এজেন্সি

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রচারিত ছবিগুলো সাম্প্রতিক সময়ের নয় বরং পূর্বের ভিন্ন ভিন্ন ঘটনার ছবিকে সাম্প্রতিক ঘটনার দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

পাকিস্তানে রেকর্ড বৃষ্টির ঘটনার ছবি যাচাই

ছবি যাচাই ০১

এই ছবিটি ব্যবহার করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বাংলা ট্রিবিউন

কিন্তু ছবিটি উক্ত ঘটনার নয়।

ছবিটির মূল সূত্রের বিষয়ে অনুসন্ধানে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক গণমাধ্যম ‘VOA’ এ ২০১৩ সালের ৫ই আগস্ট প্রকাশিত একটি সংবাদ প্রতিবেদনে ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot from ‘VOA’

সংবাদ প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে ভারী মৌসুমি বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যার কারণে সেই অঞ্চলের কিছু অংশ প্লাবিত হওয়ার পর উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা চলার ছবি।

অর্থাৎ, গণমাধ্যমে প্রচারিত এই ছবিটি পাকিস্তানে জুলাইয়ের বন্যার ঘটনার নয়।

ছবি যাচাই ০২

Screenshot from ‘Ittefaq’

এই ছবিটি ব্যবহার করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দৈনিক ইত্তেফাক, চ্যানেল আই, চ্যানেল আই, বাংলা ভিশন, আলোকিত বাংলাদেশ, একুশে সংবাদ

উক্ত দাবিতে প্রচারিত ছবিটির মূল সূত্রের বিষয়ে অনুসন্ধানে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক গণমাধ্যম সংস্থা ‘Reuters’ এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে আলোচিত ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot from ‘Reuters’

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সেই সময় পাকিস্তানের সোহবাতপুরে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি ও বন্যার পর পুরুষরা তাদের জিনিসপত্র নিয়ে প্লাবিত রাস্তা ধরে হাঁটছিলো।

অর্থাৎ, গণমাধ্যমে প্রচারিত এই ছবিটি পাকিস্তানে জুলাইয়ের বন্যার ঘটনার নয়।

ছবি যাচাই ০৩

Screenshot from ‘Arthosuchak’

এই ছবিটি ব্যবহার করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে অর্থসূচক

কিন্তু ছবিটি উক্ত ঘটনার নয়।

ছবিটির বিষয়ে অনুসন্ধানে ছবি শেয়ারিং এবং স্টোরেজ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান Getty Images এর ওয়েবসাইটে ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot from ‘Getty Images’

সেখানে উল্লেখিত বিস্তারিত বিবরণী থেকে জানা যায়, এই ছবিটির ফটোগ্রাফার আনাদোলু এজেন্সির হারুন সাবাউন। এটি ২০২১ সালের ১১ আগস্টে আফগানিস্তানের কাবুলের একটি পার্কে হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত পরিবার দুর্ভোগের শিকার হওয়ার ছবি।

অর্থাৎ, গণমাধ্যমে প্রচারিত এই ছবিটিও পাকিস্তানে জুলাইয়ের বন্যার ঘটনার নয়।

আফগানিস্তানে রেকর্ড বৃষ্টির ঘটনার ছবি যাচাই

ছবি যাচাই ০১

Screenshot from ‘Dhaka Post’

এই ছবিটি ব্যবহার করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে  দৈনিক ইনকিলাব, একাত্তর টিভি, প্রতিদিনের সংবাদ, ঢাকা পোস্ট, নিউজজি২৪

কিন্তু ছবিটি উক্ত ঘটনার নয়।

রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে ইমেজ শেয়ারিং সাইট ‘istockphoto’ তে ২০১৬ সালের ২২ জানুয়ারি প্রকাশিত আলোচিত ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot from ‘istockphoto’

ছবিটির বিস্তারিত বিবরণী থেকে জানা যায়, ছবিটি ২০১৬ সালের বন্যার ছবি।

অর্থাৎ, গণমাধ্যমে প্রচারিত এই ছবিটি আফগানিস্তানে জুলাইয়ের বন্যার ঘটনার নয়।

ছবি যাচাই ০২

Screenshot from Pba.agency

এই ছবিটি ব্যবহার করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পিবিএ এজেন্সি

কিন্তু ছবিটি উক্ত ঘটনার নয়।

ছবিটির মূল সূত্রের বিষয়ে অনুসন্ধানে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক গণমাধ্যম সংস্থা ‘Reuters’ এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot from ‘Reuters’

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এটি ২০২২ সালের ২৮ আগস্ট পাকিস্তানের সোহবাতপুরে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি ও বন্যার পর মানুষজন তাদের জিনিসপত্র নিয়ে প্লাবিত রাস্তা ধরে হাঁটার ছবি।

অর্থাৎ, গণমাধ্যমে প্রচারিত এই ছবিটিও আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক বন্যার ঘটনার নয়।

মূলত, গত জুলাই মাসের শেষের দিকে ভারী বর্ষণের কারণে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধ্বসে আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানে হতাহতের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় দেশীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানে বন্যা ও ভূমি ধ্বসের পুরোনো ৫টি ভিন্ন ঘটনার ছবি ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে পাকিস্তান সম্পর্কিত ৩টি ছবি এবং আফগানিস্তান সম্পর্কিত ২টি ছবি সংবাদ প্রতিবেদনে প্রচার করা হয়। প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোতে আলোচিত ছবিগুলোর ক্যাপশনে ফাইল ফটো বা পুরোনো ঘটনার ছবি শীর্ষক কোনো তথ্যও দেওয়া হয়নি। এতে করে স্বাভাবিকভাবে ছবিগুলো পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনার বলে প্রতীয়মান হয়, যা বিভ্রান্তির জন্ম দিয়েছে।

উল্লেখ্য, পূর্বে পাকিস্তানে ভারী বৃষ্টি ও বন্যার খবরে গণমাধ্যমে পুরোনো ছবি ব্যবহার করা হলে সেসময় বিষয়টি নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।

সুতরাং, আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানে জুলাই মাসে ভারী বর্ষণের কারণে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধ্বসে হতাহতের ঘটনায় বাংলাদেশের গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে একাধিক পুরোনো ঘটনার ছবিকে ফাইল ফটো বা পুরোনো ছবি উল্লেখ ছাড়াই প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

ছাত্রলীগ নেত্রীদের মিছিলে জামাই চাই স্লোগান শীর্ষক ভিডিওটি এডিটেড 

0

সম্প্রতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রোকেয়া হল শাখার নেত্রীদের জামাই চাই জামাই চাই বিক্ষোভ মিছিল- শীর্ষক ক্যাপশনে একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে। 

ভিডিওটিতে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘জামাই চাই জামাই চাই, জামাই ছাড়া উপায় নাই। দাবি আমার একটাই, জামাই ছাড়া উপায় নাই।’ এমন স্লোগান দিচ্ছে মেয়েরা। 

ফেসবুকে প্রচারিত এমনকিছু ভিডিও পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ‘জামাই চাই জামাই চাই, জামাই ছাড়া উপায় নাই। আমার দাবি একটাই, জামাই ছাড়া উপায় নাই’ শীর্ষক স্লোগানের অডিওটি এডিট করে ছাত্রলীগের মিছিলের একটি ভিডিওর সাথে বসানো হয়েছে। 

ভিডিও যাচাই

অনুসন্ধানের শুরুতে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে গত ১ সেপ্টেম্বর দৈনিক সমকালের ফেসবুক পেজে “ছাত্রলীগের সমাবেশে রোকেয়া হল শাখার নেত্রীদের বিশাল মিছিল” শীর্ষক ক্যাপশনে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। 

৩ মিনিট ২৫ সেকেন্ডের ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে ‘জামাই চাই জামাই চাই, জামাই ছাড়া উপায় নাই। আমার দাবি একটাই, জামাই ছাড়া উপায় নাই’ শীর্ষক কোনো স্লোগান দিতে শোনা যায়নি। 

এছাড়া, দৈনিক সমকালের ফেসবুক পেজে প্রকাশিত ভিডিওটির সাথে প্রচারিত ভিডিওর সাথে হুবহু মিল রয়েছে এবং প্রচারিত ভিডিওতে সমকালের লোগোটিও দেখা যায়।

Video Comparison by Rumor Scanner

অর্থাৎ, ছাত্রলীগের মিছিলের একটি ভিডিওর কিছু অংশ কেটে তার সাথে স্লোগানের অডিওটি এডিট করে বসানো হয়েছে। 

অডিও যাচাই

অডিও নিয়ে অনুসন্ধানে কি ওয়ার্ড সার্চে Eagle Music নামক একটি ফেসবুক পেজে ২০২০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর অডিওর সাথে আলোচিত স্লোগানের ভিডিওর অডিওর হুবহু মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ‘জামাই চাই জামাই.চাই, জামাই ছাড়া উপায় নাই। আমার দাবি একটাই, জামাই ছাড়া উপায় নাই’- শীর্ষক স্লোগানটি ‘বউ চাই জামাই চাই’ নামক একটি নাটকের অংশ। 

মূলত, গত ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ কর্তৃক রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একটি ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেই সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল শাখার ছাত্রলীগ নেত্রীদের যোগ দিতে যাওয়ার সময়ের একটি মিছিলের ভিডিওতে একটি নাটকের অডিও এডিটের মাধ্যমে সংযুক্ত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেপ্রচার করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, পূর্বেও মিছিলের ভিডিওর সাথে একই ধরণের অডিও এডিট করে বসিয়ে প্রচার করা হলে তা শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার। 

সুতরাং, ‘জামাই চাই জামাই চাই, জামাই ছাড়া উপায় নাই। আমার দাবি একটাই, জামাই ছাড়া উপায় নাই’ শীর্ষক স্লোগান সম্বলিত ভিডিওটি এডিটেড। 

তথ্যসূত্র

  • Daily Samakal Facebook Post 
  • Eagle Music Facebook Post 
  • Rumor Scanner’s Own Analysis

প্রতি হাজার বছর পর পর সকল মানুষের বয়স একই হবার দাবিটি কি সত্য?

0

সম্প্রতি,‘আজ বিশ্বের সকল মানুষের বয়স ২০২৩’ শীর্ষক দাবিতে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে।

Screenshot: Facebook

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচারিত এমন তথ্য দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, বিশ্বের সকল মানুষের বয়স আজ ২০২৩ এবং প্রতি ১০০০ বছরে কোনো বিশেষ দিনে এমন ঘটনা ঘটার দাবিটি সত্য নয়। বরং বছরের যেকোনো দিনে নিজের জন্ম সালের সাথে বর্তমান বয়স যোগ করা হলে চলতি সাল পাওয়া যায়।

অনুসন্ধানের শুরুতে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে  sustainingcommunity নামক ওয়েবসাইটে It’s simple maths, not a once in a 1000 year phenomenon শীর্ষক শিরোনামে ২০১৭ সালের ২২ অক্টোবর প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Sustaining Community

প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০১৭ সাল, ২০১৮ সাল এবং ২০১৯ সালেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উক্ত দাবিটি প্রচার করা হয়। 

Screenshot: Sustaining Community

প্রতিবেদনটিতে আরও উল্লেখ করা হয়, পৃথিবীতে আমাদের যাপিত মোট বছরের সাথে যদি আমাদের জন্ম সাল যোগ করা হয় তবে বর্তমান সাল পাওয়া যাবে।

Screenshot: Sustaining Community

উক্ত দাবির সত্যতা যাচাইয়ে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে Australian Associated Press (AAP) এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে Age and birth year claim doesn’t occur every 1000 years শীর্ষক শিরোনামে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর প্রকাশিত একটি ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Australian Associated Press

প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাইন্স কলেজের বীজগণিতের প্রভাষক ও রিসার্চ ফেলো ড. আনন্দ দেওপুরকর AAP কে জানান, যদি কেউ তার বয়সের সাথে তার জন্মসাল যোগ করেন তাহলে সবসময়ই বর্তমান সাল পাবেন। এটা ১০০০ বছরে একবার নয়, বরং যেকোনো বছরেই হয়ে থাকে।

Screenshot: Australian Associated Press

বিষয়টি পরিষ্কারভাবে বোঝানোর জন্যে প্রতিবেদনে ড. আনন্দ দেওপুরকরের দেওয়া একটি উদাহরণ ব্যবহার করা হয়েছে। 

Screenshot: Australian Associated Press

অর্থাৎ, প্রতি হাজার বছরে বিশ্বের সকল মানুষের বয়স একই হবার দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সত্য নয়।

মূলত, ‘প্রত্যেকের বয়স আজ ২০২৩ আপনি কি জানেন বিশ্বের সকল মানুষের বয়স আজ একই? আজ একটি খুব বিশেষ দিন এবং এটি প্রতি হাজার (১০০০) বছরে একবারই ঘটে। আপনার বয়স+ আপনার জন্মের বছর ,প্রতিটি ব্যাক্তির জন্য হবে =২০২৩’ শীর্ষক দাবিতে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা যায়, যেকোনো বছরের যেকোনো দিনে যে কেউ তার জন্মসালের সাথে তার বয়স যোগ করলে বর্তমান সাল পাবে। এটি হাজার বছরে একবার ঘটে না। 

সুতরাং, প্রতি হাজার বছরে সকলের বয়স একই হবার দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র