সম্প্রতি, “৫১০ কোটি টাকার সম্পত্তি নিয়ে শীর্ষ ধনী ক্রিকেটার মাশরাফী, ক্রিকট্র্যাকারের প্রতিবেদন” শীর্ষক শিরোনামে একটি তথ্য মূলধারার গণমাধ্যমে প্রচারিত হওয়ার মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।

তথ্যটি ছড়িয়ে পড়ার পর মাশরাফি বিন মোর্তজার ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনের সময় নির্বাচনের হলফনামায় প্রায় ৯ কোটি টাকা দেখানোর বিষয়টির সাথে মিলিয়ে আরো একটি তথ্য ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে দাবি করা হয় “নির্বাচনী হলফ নামায় উল্লেখ করা মাশরাফির সম্পদ ৯ কোটি টাকা থেকে মাত্র সাড়ে ৪ বছরে ৫১০ কোটি টাকায় পৌঁছেছে।”

মূলধারার গণমাধ্যম যমুনা টেলিভিশন, আরটিভি, বাংলাভিশন সহ বিভিন্ন পোর্টালে বিষয়টি প্রচারের পর ফেসবুকে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়।

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে,এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে। আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, মাশরাফি বিন মোর্তজার সম্পদের পরিমাণ ৫১০ কোটি টাকা শীর্ষক তথ্যটি সঠিক নয় বরং কতিপয় অনির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিষয়টি প্রচার করা হচ্ছে। পাশাপাশি ইতোমধ্যে যমুনা টেলিভিশন এবং ক্রিকট্র্যাকার উভয়ই তাদের প্রতিবেদন সরিয়ে নিয়েছে।
গুজবের সূত্রপাত
বাংলাদেশের মূলধারার গণমাধ্যম যমুনা টেলিভিশনে ‘৫১০ কোটি টাকার সম্পত্তি নিয়ে শীর্ষ ধনী ক্রিকেটার মাশরাফী, ক্রিকট্র্যাকারের প্রতিবেদন’ শিরোনামে আজ ৩১ অক্টোবর সোমবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিষয়টি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। যদিও পরবর্তীতে যমুনা টেলিভিশন তাদের প্রতিবেদনটি সরিয়ে নেয়।

তাদের সেই প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়,
‘বাংলাদেশের শীর্ষ ধনী ক্রিকেটার সাবেক অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তাজা। বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে না থাকলেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অ্যাম্বাসেডর হিসেবে আছেন এই ‘ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাসটিক’। তার মোট সম্পত্তি ৫১০ কোটি টাকা। আর ৪০৭ কোটি টাকা নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছেন সাকিব আল হাসান। ভারতের ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকট্র্যাকারের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য।’
অর্থাৎ ভারতীয় ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকট্র্যাকারের বরাতে যমুনা টেলিভিশন উক্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছিলো।
পরবর্তীতে অনুসন্ধানে CricTracker এর গত ২৩ অক্টোবর ‘Top 10 Richest Bangladesh Cricketers’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি খুঁজে পাওয়া যায়।

সেখানে দেখা যায় Tejas Rathi নামের একজন ফ্রিল্যান্সার রাইটার উক্ত প্রতিবেদনটি লিখেছেন।
CricTracker এ লেখা ফ্রিল্যান্সার রাইটারের সেই প্রতিবেদনে মাশরাফিকে দেশের শীর্ষ ধনী ক্রিকেটার হিসেবে উল্লেখ করে প্রথম স্থানে তার নাম রেখে লেখা হয়,
“একাধিক ওয়েবসাইটের মতে, মাশরাফির নেট মূল্য $৫০ মিলিয়ন (প্রায় ৪১৪ কোটি রুপি), যা তাকে বাংলাদেশের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেটার করে তুলেছে। তার খেলার দিনগুলিতে, ৩৯ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার বিসিবির সাথে সকল ফরম্যাটের চুক্তিতে ছিলেন। তার জনপ্রিয়তার কারণে তিনি ব্র্যান্ডের পছন্দের তালিকার শীর্ষে রয়েছেন। তিনি গ্রামীণফোন, পূর্ণভা ও ওয়ালটন এবং লাফজ ইন্টারন্যাশনালের মতো কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। ”

অর্থাৎ বাংলাদেশের বেশকিছু গণমাধ্যম যাদের বরাতে এবং যাদের নাম উল্লেখ করে মাশরাফির ৫১০ কোটি টাকার সম্পত্তি থাকার বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে তাদের সেই সূত্র ক্রিকট্র্যাকারও মাশরাফির ৫১০ টাকার সম্পদের মূল সোর্স নয় বরং তারা কতিপয় ওয়েবসাইট থেকে মাশরাফির নেট সম্পদের পরিমাণ সংগ্রহ করে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে।
ক্রিকট্র্যাকার এর ফ্রিল্যান্সার রাইটার যেহেতু বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে তথ্য নিয়ে মাশরাফির সম্পদের পরিমাণ উল্লেখ করেছে। তাই ইন্টারনেটে মাশরাফি মোট সম্পদের পরিমাণ নিয়ে যেসকল ওয়েবসাইট তথ্য প্রকাশ করেছে সেগুলো নিয়ে অনুসন্ধান করে রিউমর স্ক্যানার টিম।
অনুসন্ধানে গত ১৭ অক্টোবর Networthidea.com নামের একটি ওয়েবসাইটে মাশরাফির মোট সম্পদের পরিমাণ উল্লেখ করতে গিয়ে বলা হয়– ২০২০ সালে মাশরাফির মোট সম্পদের পরিমাণ ছিলো আনুমানিক ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

তবে ঠিক কোথায় তারা ২০২০ সালে মাশরাফির সম্পদের পরিমাণ ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পেয়েছে কিংবা কোথা হতে এই তথ্য সংগ্রহ করেছে তা নিয়ে কোন তথ্য সেখানে উল্লেখ করা হয়নি। এছাড়াও তাদের প্রতিবেদনটিতে খুব কাঁচা হাতের ইংরেজি লেখা লক্ষ করা গেছে। সোর্স না থাকায় পরবর্তীকালে ওয়েবসাইটটির নির্ভরযোগ্যতা দেখার চেষ্টা করে রিউমর স্ক্যানার টিম। তবে তাদের ওয়েবসাইটে এডিটরিয়াল প্যানেল সংক্রান্ত কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। ওয়েবসাইটটি পর্যালোচনা করে এটিকে নির্ভরযোগ্য কোন মাধ্যম হিসেবে পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে তাদের ১৭৬ লাইকের একটি ফেসবুক পেজ পাওয়া যায়।

Personage নামের অপর একটি ওয়েবসাইটে ২০২২ সালের আগস্টে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে মাশরাফির মোট সম্পদের পরিমাণ ৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার উল্লেখ করা হয়। তবে এক্ষেত্রেও তারাও কোন সূত্র উল্লেখ করেনি এবং পর্যবেক্ষণে এটি এই তথ্য বিশ্বাসের জন্য অথেনটিক কোন মাধ্যম হিসেবে নেয়া যায়নি। অর্থাৎ এ মাধ্যমটিও নির্ভরযোগ্য নয়, তারাও ভিত্তিহীনভাবেই মাশরাফির সম্পদের পরিমাণ ৬৫ মিলিয়ন ইউএসডি উল্লেখ করেছে।

পরবর্তীতে abtc.ng নামের একটি নাইজেরিয়ান ওয়েবসাইটে এবং ebiography.com নামের অপর একটি ওয়েবসাইটেও মাশরাফির মোট সম্পদের পরিমাণ কোন তথ্যসূত্র ছাড়াই ৫০ মিলিয়ন উল্লেখ করার বিষয়টি পাওয়া যায়।
উপরোক্ত ওয়েবসাইটগুলো ছাড়াও আরো বেশকিছু অনির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইটে মাশরাফির মোট সম্পদের পরিমাণ ৪৮ মিলিয়ন থেকে ৬৫ মিলিয়ন পাওয়া যায়। তবে প্রতিটি ওয়েবসাইট অনুসন্ধান করে দেখা গেছে তারা কেউই তথ্যের সোর্স উল্লেখ করেনি বরং আনুমানিকভাবে সম্পদের পরিমাণ বসিয়ে দিয়েছে এবং দেখা গেছে ওয়েবসাইটগুলোর অধিকাংশই দেশের বাইরের অনির্ভরযোগ্য পোর্টাল। যেমন উপরের নাইজেরিয়ার একটি নিম্ন সারির পোর্টাল মাশরাফির মোট সম্পদের পরিমাণ সূত্রহীনভাবে উল্লেখ করেছে।
এছাড়াও এই ওয়েবসাইটগুলো সেলেব্রিটি নেট সম্পদের পরিমাণ প্রকাশের নির্ভরযোগ্য কোন মাধ্যম বা সংস্থা নয়। যেহেতু মানুষজন সেলিব্রেটিদের লাইফস্টাইল, বায়োডাটা, সম্পদের পরিমাণ ইত্যাদি নিয়ে উৎসাহী ঠিক সেকারণেই মূলত কেবল ক্লিকবেইট উদ্দেশ্যে কতিপয় অনির্ভরযোগ্য এবং নিম্ন সারির ওয়েবসাইটে বিভিন্ন দেশের সেলিব্রিটি সম্পর্কে এ ধরণের তথ্য কোন সূত্র ছাড়াই আপডেট করে থাকে। এক্ষেত্রে সাইটে ভিজিটর পাওয়া এবং সাইট র্যাংক করানোই তাদের মূল লক্ষ্য হয়।

ক্রিকট্র্যাকার এ তেজস রাঠি নামের সেই ফ্রিল্যান্সার রাইটার এর লেখা প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করে রিউমর স্ক্যানার টিম নিশ্চিত হয়েছে যে লেখক ঠিক সে ধরনেরই কতিপয় অনির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইটের বরাতে উক্ত প্রতিবেদনে মাশরাফি বিন মোর্তজার মোট সম্পদের পরিমাণ ৫০ মিলিয়ন উল্লেখ করেছিলেন এবং মাশরাফি বিন মোর্তজার নেট সম্পদের পরিমাণ নিয়ে সে ওয়েবসাইটেগুলোতে কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্র নেই। বরং কোন সূত্র-প্রমাণ ছাড়াই ওয়েবসাইটগুলোতে মাশরাফির মোট সম্পদের পরিমাণ ভুলভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। অনুমাননির্ভর তথ্যের ওপর কিছু অখ্যাত ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনকে উদ্ধৃত করেই মূলত এই তালিকা সাজিয়েছিলেন প্রতিবেদনটির লেখক তেজস রাঠি।
পরবর্তীতে রিউমর স্ক্যানার টিম বিষয়টির ফ্যাক্টসহ বিস্তারিত উল্লেখ করে CricTracker এর সাথে যোগাযোগ করে তাদের প্রকাশিত প্রতিবেদনটি নিয়ে তাদের ব্যাখ্যা এবং বক্তব্য জানতে চাইলে তারা প্রতিবেদনটি ত্রুটিপূর্ণ থাকায় সরিয়ে নেয় এবং বিষয়টি আমাদের নিশ্চিত করে।।

মাশরাফির ২০১৮ সালের হলফনামায় দেখানো আয়ের সাথে মিলিয়ে সমালোচনা
মাশরাফির ২০১৮ সালের নির্বাচনী হলফনামার অর্থ বিবরণী থেকে জানা যায়, তার মোট ৯ কোটি ১৪ লাখ ৫৯ হাজার ৫১ টাকার (৫০ তোলা স্বর্ণ বাদে) সম্পত্তি রয়েছে।

যমুনা টেলিভিশন এর সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর মাশরাফি বিন মোর্তজার ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে হলফনামায় উল্লেখ করা সম্পদের পরিমাণের সাথে ক্রিকট্র্যাকার ওয়েবসাইটের বরাতে যমুনা টেলিভিশনসহ কয়েকটি দেশীয় গণমাধ্যমে প্রচারিত ৫১০ কোটি টাকার ভিত্তিহীন এবং অনির্ভরযোগ্য পরিমাণটির সাথে তুলনা করে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারিত হয়।

প্রকৃতপক্ষে মাশরাফি বিন মোর্তজার বর্তমান প্রকৃত সম্পদের পরিমাণ কত তা যাচাই করা সম্ভব নয়। তবে মাশরাফি মোর্তজার সম্পদের পরিমাণ ৫১০ কোটি শীর্ষক দাবিটি যে সূত্র থেকে এসেছে তা অনির্ভরযোগ্য এবং ভিত্তিহীন তা নিশ্চিত হওয়া যায়।
বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের নেট সম্পদের পরিমাণ অখ্যাত এই ওয়েবসাইটগুলোর কি জানা সম্ভব?
কোন ক্রিকেটার বা যেকোন সেলিব্রেটির মোট সম্পদের পরিমাণ কত সেটা কেবল সে-ই প্রকৃতভাবে বলতে পারবে। এর বাইরে কারোপক্ষেই কোন সেলিব্রিটির প্রকৃত সম্পদের পরিমাণ জানা সম্ভব নয়৷ এখন মাশরাফি কিংবা সাকিব এর মোট সম্পদের পরিমাণ তখনই জানা সম্ভব হবে যখন তারা তাদের আর্থিক বিবরণ প্রকাশ করবে কিংবা তারা যখন সেটা কোন মাধ্যমে প্রকাশ করবে। কিন্তু তারা কি কোন মিডিয়ায় তাদের মোট সম্পদের পরিমাণ কত তা নিয়ে কোনো কথা বলেছে? আমাদের অনুসন্ধানে তাদের বর্তমানে সম্পদের তথ্য পাবলিকলি দেয়া সংক্রান্ত কোন কিছু পাওয়া যায়নি। দেশের কোন মিডিয়াতেই অনুসন্ধান করে মাশরাফি বা সাকিবের প্রকৃত সম্পদের পরিমাণ কত তার প্রকৃত তথ্য পাওয়া যায়না। যখন দেশীয় মিডিয়াতেই মাশরাফি কিংবা সাকিব কিংবা তামিমের প্রকৃত সম্পদের পরিমাণ নিয়ে কোন তথ্য নেই, তখন অখ্যাত, অনির্ভরযোগ্য এবং নিম্ন সারির কতিপয় ওয়েবসাইটের পক্ষে মাশরাফি-সাকিবদের মোট সম্পদের পরিমাণ জানা স্বাভাবিকভাবেই সম্ভব নয়।
যাদের সম্পদের বেশিরভাগ বিভিন্ন কোম্পানির মালিকানায় থাকে তাদের ক্ষেত্রে তবুও অনুমান করে সম্পদের পরিমাণ ধারণা করে এস্টিমেটেড একটা সংখ্যা বলা যায়, যেমনটা ফোর্বস করে থাকে। কিন্তু যাদের সম্পদের মূল্য কোম্পানির মালিকানার ওপর নির্ভর করে না (যেমন, মাশরাফি) তাদের ক্ষেত্রে অনুমান করে সম্পদের পরিমাণ জানাও প্রায় সম্ভব নয়। সেলিব্রেটিদের নেট সম্পদ পরিমাণ মূলত একটি ব্যাপক অনুমান নির্ভর কাজ। ধনী সেলিব্রেটিদের ক্ষেত্রে যাদের সম্পদের পরিমাণ বা মূল্য তাদের কোম্পানির মালিকানার উপর নির্ভর করে না, তাদের মূল্য বা সম্পদের পরিমাণ কত তা খুঁজে বের করা প্রায় অসম্ভব। The celebrity net worth lists are lying to you শিরোনামে Vivid নামের একটি ওয়েবসাইট থেকে এমনটাই জানা যায়। উপরন্তু মাশরাফির সম্পদের পরিমাণ যেসকল ওয়েবসাইট প্রকাশ করেছে তারা নেট সম্পদ প্রকাশের কোনো সংস্থাও নয় এবং অনির্ভরযোগ্য।
The New York Times এ The Big Secret of Celebrity Wealth (Is That No One Knows Anything) শিরোনামে এ প্রতিবেদন পড়ে এ সম্পর্কিত আরো কিছুটা ধারণা পাওয়া যেতে পারে।

মাশরাফির ক্ষোভ
এদিকে অনির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইটের ওপর ভিত্তি করে দেশীয় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে একটি ফেসবুক পোস্ট করেছেন মাশরাফি বিন মোর্তজা। মাশরাফি লিখেছেন,
“ভিনদেশী কোনো হাবিজাবি স্বস্তা ওয়েবসাইট বা ফেসবুক পেজ তাদের মনগড়া যা ইচ্ছা লিখতেই পারে। সেসবকে পাত্তা দেওয়ার কিছু নেই। কিন্তু তাদেরকে সূত্র ধরে নিয়ে যখন আমাদের দেশের নানা ওয়েবসাইট যা ইচ্ছা তাই লিখে দেয়, তখন দুঃখ লাগে বটে !
দেশের একজন মানুষকে নিয়ে লেখা হচ্ছে, আপনারা চাইলেই তো খোঁজ-খবর নিতে পারেন। তা না করে উল্টো তাদের উদ্ভট নিউজের সূত্র ধরে আপনারা নিউজ করছেন। সাংবাদিকতার নীতি-নৈতিকতার ন্যূনতম চর্চা নাহয় করলেন না, অন্তত নিজেদের এতটা স্বস্তা হিসেবে তুলে ধরতেও তো বিবেকে নাড়া দেওয়া উচিত…!”

মূলত, কিছু অনির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইটের দেওয়া ভিত্তিহীন তথ্যের ওপর ভারতীয় ক্রিকেট ভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকট্র্যাকারে বাংলাদেশর শীর্ষ ১০ ধনী ক্রিকেটারের তালিকা এবং সম্পদের পরিমাণ প্রকাশ করে। সেখানে তারা মাশরাফি মোর্তজার সম্পদের পরিমাণ ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ভিত্তিহীন কিছু ওয়েবসাইটের বরাতে উল্লেখ করার পর তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দেশীয় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিভ্রান্তিটি ছড়িয়ে পড়ে। প্রকৃতপক্ষে মাশরাফির সম্পদের পরিমাণ ৫১০ কোটি সংখ্যাটা ভিত্তিহীন এবং এটি অনুমানের ওপর কতিপয় অনির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য।
সুতরাং, মাশরাফি বিন মোর্তজার মোট সম্পদের পরিমাণ ৫১০ কোটি টাকা শীর্ষক তথ্যটি ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা।
তথ্যসূত্র
- Jamuna TV deleted their News
- CricTracker deleted their article due to baseless info.
- Mashrafe’s net worth provider sites are unreliable and have no basis.