Home Blog Page 589

দাফনের পূর্বে কেঁদে ওঠা শিশু দাবিতে পুনরায় ভুল ছবি প্রচার

0

“আল্লাহর রহমত নাকি ডাক্তারের ভুল? মৃ”ত ঘোষণার ২ঘন্টা পর বেঁচে উঠলো শিশুটি” শীর্ষক শিরোনামে একটি তথ্য ও ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

দাফনের পূর্বে দাফনের পূর্বে

ভাইরাল কিছু ফেসবুক পোস্টের আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানেএখানেএখানেএখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আলোচ্য ছবিটি ঢাকা মেডিকেল থেকে মৃত ঘোষণা করা নবজাতকের নয় বরং এটি সুস্থ ও স্বাভাবিক একটি নবজাতকের ছবি।

রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতি ব্যবহার করে, Ashish Biswas নামের একটি ফেসবুক আইডিতে ২১ এপ্রিল ২০১৯ সালে প্রকাশিত মূল ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়। ছবিটির কমেন্ট সেকশনে একজন ব্যক্তি ছবিটি কার জানতে চেয়ে মন্তব্য করলে এটি তার ভাতিজির সন্তান লিখে মন্তব্য করেন তিনি।

দাফনের পূর্বে

এছাড়া, গত বছরের অক্টোবর মাসে একই গুজব ছড়িয়ে পড়লে রিউমর স্ক্যানার সে সময়ে উক্ত বিষয়ে ফ্যাক্টচেকিং প্রতিবেদন প্রকাশ করে এবং রিউমর স্ক্যানার টিমের একজন প্রতিনিধি সেসময়ে আলোচিত ছবির শিশুর পরিবারের সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানান, ‘তাদের শিশুর ছবি ব্যবহার করে ভুল তথ্য প্রচারিত হওয়ায় তারা বিব্রত।’

দাফনের পূর্বে

উল্লেখ্য, গত ১৬ অক্টোবর ২০২০ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত ঘোষণা করা এক নবজাতক দাফনের সময় কেঁদে ওঠে। পরবর্তীতে খবরটিকে কেন্দ্র করে অন্য একটি শিশুর ছবিসহ বিভিন্ন পোস্ট ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে।

দাফনের পূর্বে
প্রতিবেদনটি পড়ুন এখানে
দাফনের পূর্বে
প্রতিবেদনটি পড়ুন এখানে

প্রসঙ্গত, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মৃত ঘোষণার পর কবরস্থানে দাফন করতে গিয়ে নড়েচড়ে ওঠা শিশুটি ২০২০ সালের ২১ অক্টোবরে ঢামেকে মৃত্যুবরণ করে।

দাফনের পূর্বে
প্রতিবেদনটি পড়ুন এখানে

অর্থাৎ, গতবছরে ঢামেকে মৃত ঘোষণার পর দাফনের সময় কেঁদে ওঠা শিশুর ঘটনায় ভিন্ন একটি শিশুর ছবি যুক্ত করে নতুনকরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে যা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: আল্লাহর রহমত নাকি ডাক্তারের ভুল? মৃ”ত ঘোষণার ২ঘন্টা পর বেঁচে উঠলো শিশুটি
  • Claimed By: Facebook Posts
  • Fact Check: Misleading

[/su_box]

তথ্যসূত্র

  1. Facebook Post:https://www.facebook.com/dheman.dheman.9210/posts/414001629424827
  2. BBC News: https://www.bbc.com/bengali/news-54568535
  3. Prothom Alo: https://www.prothomalo.com/bangladesh/capital/%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AB%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A0%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%86%E0%A6%97-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%B9%E0%A7%82%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%81%E0%A6%A6%E0%A7%87-%E0%A6%89%E0%A6%A0%E0%A6%B2-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%9F%E0%A6%BF
  4. Jugantor: https://www.jugantor.com/capital/357464/%E0%A6%A2%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A7%83%E0%A6%A4-%E0%A6%98%E0%A7%8B%E0%A6%B7%E0%A6%A3%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AB%E0%A6%A8%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A7%9C%E0%A7%87-%E0%A6%93%E0%A6%A0%E0%A6%BE-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A7%87

QR Code সম্বলিত ছবিগুলো চীনের থিম পার্কের, জাপানের কবরস্থানের নয়

0

“জাপান এ মৃত ব্যাক্তিদের কবরে বসানো হয়েছে কিউ আর স্ক্যানিং কোড যেটা স্ক্যান করলে জানতে পারবেন মৃত ব্যাক্তি সম্পর্কিত বেঁচে থাকতে সময়ের সকল তথ্য” শীর্ষক শিরোনামে কিউ আর কোড সম্বলিত দুইটি স্তম্ভের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে প্রচার করা হচ্ছে।

জাপান এ কবরে জাপান এ কবরে

ভাইরাল কিছু ফেসবুক পোস্টের আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানেএখানেএখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, এটি জাপানে মৃত ব্যক্তিদের কবরে বসানো কিউ আর কোড নয় বরং ছবিগুলো ২০১৫ সালে দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের চংকিং শহরের একটি থিম পার্ক থেকে তোলা।

রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতি ব্যবহার করে চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংবাদ সংস্থা চায়না নিউজ সার্ভিসের ইংরেজি ভার্সন ECNS এর ওয়েবসাইটে ২০১৫ সালের ০১ এপ্রিলে ‘Online memorial dedicated to WWII victims’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে মূল ছবিটির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়।

জাপান এ কবরে

এছাড়াও একই ছবি China Daily এবং China.org.cn ওয়েবসাইটেও খুঁজে পাওয়া যায়।

জাপান এ কবরে জাপান এ কবরে

পাশাপাশি OCR টুলসের সহায়তায় স্তম্ভের উপরে থাকা লেখাটি শনাক্ত করে অনুবাদের মাধ্যমে দেখা যায় সেখানে চীনা ভাষায় “নানজিং গণহত্যার শিকার” লেখা রয়েছে।

জাপান এ কবরে

মূলত, ২০১৫ সালে দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের চংকিং শহরে ফরেনার্স স্ট্রিট নামে একটি থিম পার্কে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় চীনে জাপানি সেনাদের দ্বারা সংঘটিত নানজিং গণহত্যা এবং চংকিং বোমা হামলায় মৃত ব্যক্তিদের জীবন সম্পর্কে তথ্য দিতে সমাধির মতো দেখতে একপ্রকার স্তম্ভের উপর কিউআর কোডগুলো বসানো হয়। পার্কে আসা দর্শনার্থীরা সেসব কিউআর কোড স্ক্যান করে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

উল্লেখ্য, মূল ছবিটি বিকৃত করে প্রচারের ফলে ছবিটি কবরের বা সমাধির মত দেখতে মনে হলেও এটি প্রকৃতপক্ষে কোন কবর নয় বরং এটি একটি স্মৃতি স্তম্ভ।

অন্যদিকে, ছড়িয়ে পড়া পোস্টগুলোতে সংযুক্ত দ্বিতীয় সমাধিস্তম্ভের ছবিটি বিকৃত করা। রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতি ব্যবহার করে Shutterstock, Depositphotos নামক ফটো স্টক ওয়েবসাইটে মূল ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়।

জাপান এ কবরে জাপান এ কবরে

ছবিটিকে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রতীকী ছবির পাশাপাশি ইন্টারনেটে মিমস তৈরিতেও ব্যবহার করতে দেখা যায়।

জাপান এ কবরে

তাছাড়া, জাপানের কবরস্থান গুলোতে QR কোড বসানো হয়েছে এমন দাবির পক্ষে কোন নির্ভরযোগ্য প্রমাণ ইন্টারনেটে খুঁজে পাওয়া যায় নি।

একই বিষয়ে গত ১৭ ই সেপ্টেম্বরে ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান ফ্যাক্টওয়াচ ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

জাপান এ কবরে

অর্থাৎ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নানজিং গণহত্যা এবং চংকিং বোমা হামলায় নিহতদের জীবন সম্পর্কে তথ্য প্রদানে QR কোড সম্বলিত একটি স্তম্ভের ছবিকে জাপানের কবরস্থানে কিউ আর কোড বসানো হয়েছে দাবিতে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

জাপান এ কবরে

  • Claim Review: জাপান এ মৃত ব্যাক্তিদের কবরে বসানো হয়েছে কিউ আর স্ক্যানিং কোড
  • Claimed By: Facebook Posts
  • Fact Check: False

[/su_box]

তথ্যসূত্র

  1. ECNS: http://www.ecns.cn/hd/2015-04-01/detail-ifytxtex5133454.shtml#
  2. China Daily: https://www.chinadaily.com.cn/china/2015-04/01/content_19966811_2.htm
  3. China Org: http://www.china.org.cn/china/2015-04/01/content_35216560.htm
  4. The Rape of Nanking: https://www.history.com/this-day-in-history/the-rape-of-nanking
  5. Chongqing Bombing: https://ww2db.com/battle_spec.php?battle_id=281
  6. Shutterstock: https://www.shutterstock.com/image-photo/blank-gravestone-other-graves-trees-background-1117496669
  7. Depositphotos: https://depositphotos.com/210920572/stock-photo-blank-gravestone-other-graves-trees.html
  8. NY Post: https://nypost.com/2019/04/06/this-iowa-mans-obituary-is-comedy-gold/

এটি রাশিয়ার সড়ক দুর্ঘটনার পুরোনো ভিডিও, সুইডিশ কার্টুনিস্ট লার্স ভিকসের দুর্ঘটনার নয়

0

সম্প্রতি “মুহাম্মদ (সঃ) কে নিয়ে ব্যাঙ্গচিত্র অঙ্কনকারী লার্স ভিকসের আগুনের আজাবে মৃত্যু” শীর্ষক শিরোনামে একটি সড়ক দুর্ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

লার্স ভিকস লার্স ভিকস

ভাইরাল কিছু ফেসবুক পোস্টের আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানেএখানেএখানেএখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, অনলাইনে ছড়িয়ে পরা ভিডিওটি সুইডিশ কার্টুনিস্ট লার্স ভিকসের সড়ক দূর্ঘটনার নয় বরং এটি রাশিয়ার Izhevsk শহরের রাজধানী উদমুর্তিয়ায় ২০১৪ সালে ঘটা একটি সড়ক দুর্ঘটনার ভিডিও।

ভিডিও সার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার করে UkDevliz.com নামের একটি ওয়েবসাইটে আলোচিত ভিডিওটি নিয়ে প্রকাশিত একটি ভিডিও প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায় এবং প্রতিবেদনটির বাম পাশে www.ren.tv লেখাটি দৃষ্টিগোচর হয়।

লার্স ভিকস

পরবর্তীতে, ren.tv লেখাটির সূত্র ধরে REN TV News এর অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে ২০১৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত মূল ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়।

লার্স ভিকস

মূলত, রাশিয়ার উদমুর্তিয়া প্রজাতন্ত্রের Izhevsk-Mozhgha হাইওয়েতে ২০১৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বরে ৯টি গাড়ির সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।প্রত্যক্ষদর্শীরা সেসময়ে সংঘর্ষের ঘটনার ভিডিও ইউটিউবে প্রকাশ করেন।

লার্স ভিকস

এছাড়াও, ঘটনাটি নিয়ে তৎকালীন সময়ে বেশকিছু রাশিয়ান সংবাদমাধ্যমও প্রতিবেদন প্রকাশ করে, দেখুন এখানে, এখানে, এখানে

লার্স ভিকস
প্রতিবেদনটি পড়ুন এখানে
লার্স ভিকস
প্রতিবেদনটি পড়ুন এখানে
লার্স ভিকস
প্রতিবেদনটি পড়ুন এখানে

উল্লেখ্য, গত ৩ অক্টোবর (রবিবার) সুইডেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় মার্কইয়ার্ড শহরের কাছে একটি সড়ক দূর্ঘটনায় হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর ব্যঙ্গচিত্র অঙ্কনকারী সুইডিশ শিল্পী লার্স ভিকস নিহত হয়।

লার্স ভিকস
প্রতিবেদনটি পড়ুন এখানে
লার্স ভিকস
প্রতিবেদনটি পড়ুন এখানে

অর্থাৎ, ২০১৪ সালে রাশিয়ার Izhevsk শহরের রাজধানী উদমুর্তিয়ায় সংঘটিত হওয়া একটি সড়ক দূর্ঘটনার ভিডিওকে বর্তমানে সুইডিশ শিল্পী লার্স ভিকসের সড়ক দুর্ঘটনার দৃশ্য দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে যা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]
লার্স ভিকস

  • Claim Review: লার্স ভিকস আগুনের আজাবে মৃত্যু
  • Claimed By: Facebook Posts
  • Fact Check: Misleading

[/su_box]

তথ্যসূত্র

  1. Uk Devilz: https://18.ukdevilz.com/watch/-103737677_456239873
  2. Ren TV News Video: https://www.youtube.com/watch?v=cCiG1xHUVZM
  3. Ren TV News Video 2: https://www.youtube.com/watch?v=oxKZ_b6Hrr0
  4. Emergency Situations Ministry of Udmurtia: https://www.youtube.com/watch?v=TMN6N4y-YWw
  5. Ren TV News online: https://ren.tv/news/kriminal/5248-voditel-zazhivo-sgorel-v-svoei-mashine
  6. Fontanka News: https://www.fontanka.ru/2014/09/22/936/
  7. Izhlife: https://izhlife.ru/crime/46465-na-trasse-izhevsk-alnashi-v-pokorezhennom-avto-zazhivo-sgorel-voditel.html
  8. Reuters: https://www.reuters.com/world/europe/swedish-mohammad-cartoonist-lars-vilks-killed-car-crash-2021-10-04/
  9. Insider: https://www.insider.com/tyre-blowout-may-caused-death-muhammad-dog-cartoonist-vilks-police-2021-10

এটি একটি চলচ্চিত্রের দৃশ্য, বিশ্বের প্রথম ট্রেনের নয়

0

“২১১ বছর আগের বিশ্বের প্রথম ট্রেন, ১৮০৯” শীর্ষক শিরোনামে একটি ভিডিও বিগত কিছুদিন যাবত সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে।

বিশ্বের প্রথম ট্রেন বিশ্বের প্রথম ট্রেন

ভাইরাল কিছু ফেসবুক পোস্টের আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানেএখানেএখানে, এখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ভিডিওটি ২১১ বছর আগের বিশ্বের প্রথম ট্রেনের নয় বরং এটি Our Hospitality (১৯২৩) চলচ্চিত্রের একটি দৃশ্য।

আরো পড়ুন: Fact Check: গানটির শিল্পী ইরফান মাক্কি, মাইকেল জ্যাকসন নয়

রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতি ব্যবহার করে ভিডিওটির কিছু স্থিরচিত্র সার্চের মাধ্যমে BusterKeatonTriviaBlog নামের একটি ওয়েবসাইটে ভিডিওর অনুরূপ ছবি খুঁজে পাওয়া যায় এবং ছবিটির নিচে থাকা লেখার মাধ্যমে জানা যায় এটি ‘Our Hospitality’ নামের একটি কমেডি চলচ্চিত্রের দৃশ্য।

বিশ্বের প্রথম ট্রেন

পরবর্তীতে, একটি ইউটিউব চ্যানেলে থেকে ‘Our Hospitality’ মুভিটি খুঁজে পাওয়া যায় যা ২০১৪ সালের ১১ মার্চে আপলোড করা হয়েছিলো এবং চলচ্চিত্রটির ১৫ মিনিটের সময়েই আলোচিত ভিডিও ক্লিপটির উপস্থিতি দেখা যায়।

বিশ্বের প্রথম ট্রেন

বিশ্বের প্রথম ট্রেন

মূলত, ১৯২৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘Our Hospitality’ মুভিটি Buster Keaton এবং John G. (Jack) Blystone এর পরিচালনায় তৈরি একটি সাইলেন্ট কমেডি চলচ্চিত্র।

বিশ্বের প্রথম ট্রেন

আলোচিত ভিডিওতে আরেকটি বিষয় দাবি করা হয়েছে যে বিশ্বের প্রথম এই ট্রেন ১৮০৯ সালে যাত্রা শুরু করে। তবে এই দাবিটিও মিথ্যা।

ইতিহাস নির্দেশনা বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘Historic Uk’ এর তথ্য অনুযায়ী ১৮০৪ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে Richard Trevithichick (1771-1833) বিশ্বের প্রথম বাষ্প ইঞ্জিন স্থাপন করেছিলো।

বিশ্বের প্রথম ট্রেন

এনসাইক্লোপিডিয়া ওয়েবসাইট ব্রিটানিকা ডট কমের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী ইংল্যান্ডের স্টকটন এবং ডার্লিংটন রেলওয়ে ছিলো বিশ্বের প্রথম রেলওয়ে যা বাষ্পীয় ট্র্যাকশন সহ মালবাহী এবং যাত্রী পরিষেবা পরিচালনা করে। প্রথম ইঞ্জিনটি ১৮২৫ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ডার্লিংটন থেকে স্টকটন পর্যন্ত গিয়েছিলো এবং ট্রেনটির আগে ঘোড়ায় চড়ে একজন একটি ব্যক্তি পতাকা বহন করেছিলো যাতে লেখা ছিলো “Periculum privatum utilitas publica (“The private danger is the public good”).”

বিশ্বের প্রথম ট্রেন

এছাড়া, বিশ্বের প্রথম ট্রেনের ভিডিও ১৮০৯ সালে তোলার দাবি করা হলেও বিবিসির প্রকাশিত নিবন্ধ অনুসারে, Louis Le Prince নামের এক ব্যক্তি ১৮৮৮ সালের অক্টোবরে ইংল্যান্ডের লিডসে প্রথম চলচিত্র শুট করেছিলো।

বিশ্বের প্রথম ট্রেন

যেটি ১০/১২ ফ্রেম প্রতি সেকেন্ডে প্রাচীনতম বেঁচে থাকা চলচ্চিত্র হিসেবে গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডেও জায়গা করে নেয়।

বিশ্বের প্রথম ট্রেন

অর্থাৎ, ১৯২৩ সালের Our Hospitality চলচ্চিত্রের একটি ভিডিও ক্লিপকে ১৮০৯ সালের বিশ্বের প্রথম ট্রেন দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

বিশ্বের প্রথম ট্রেন

  • Claim Review: ২১১ বছর আগের বিশ্বের প্রথম ট্রেন, ১৮০৯
  • Claimed By: Facebook Posts
  • Fact Check: False

[/su_box]

তথ্যসূত্র

  1. Buster Keaton Trivia: https://busterkeatontrivia-blog.tumblr.com/post/12127355036/69-the-diminutive-steam-engine-used-in-the-film
  2. Full Movie: https://youtu.be/cRNObtP_Fgo?t=1119
  3. IMDb: https://www.imdb.com/title/tt0014341/
  4. Historic UK: https://www.historic-uk.com/HistoryUK/HistoryofBritain/Steam-trains-railways/
  5. Brittanica: https://www.britannica.com/topic/Stockton-and-Darlington-Railway
  6. BBC News: https://www.bbc.com/news/entertainment-arts-33198686
  7. Guinness World Records: https://www.guinnessworldrecords.com/world-records/first-surviving-film

পঙ্গু হাসপাতালে এবছর বিনামূল্যে কৃত্রিম পা সংযোজনের তথ্যটি ভুয়া

0

“বিনামূল্যে ঢাকার পংগু হাসপাতালে কৃত্তিম পা সংযোজন (১৫ অক্টোবর পর্যন্ত) সংবাদ টি পরিচিত জন কে বলুন। যদি কারো উপকার হয়।” শীর্ষক শিরোনামে একটি তথ্য বিগত কয়েক বছর যাবত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে প্রচারিত হচ্ছে।

বিনামূল্যে কৃত্রিম পা

ভাইরাল কিছু ফেসবুক পোস্ট ভার্সন দেখুন এখানেএখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, চলতি বছরে পঙ্গু হাসপাতালে বিনামূল্যে কৃত্রিম পা লাগানো হচ্ছে না বরং বিনামূল্যে কৃত্রিম পা সংযোজনের ক্যাম্পেইনটি ২০১৭ সালের।

মূল ঘটনা: ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে একটি বেসরকারির সংস্থার সহায়তায় বিনামূল্যে কৃত্রিম পা সংযোজনের একটি প্রোগ্রাম চালু হয়েছিলো যার মেয়াদ ছিল ওই বছরের ১৫ ই অক্টোবর পর্যন্ত।

বিনামূল্যে কৃত্রিম পা

মূলত সেই সময়ে বিনামূল্যে কৃত্রিম পা সংযোজন নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার হওয়া তথ্যটিই পরবর্তী বছর গুলোতে সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে পুনরায় কপি-পেস্ট আকারে প্রচার হয়ে আসছে।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সাল থেকে বিভিন্ন দেশের অনুদানের মাধ্যমে পঙ্গু হাসপাতালে কৃত্রিম পা সংযোজনের কার্যক্রম চলছে।

তবে, বর্তমানে পঙ্গু হাসপাতালে এরকম কোন সেবা চালু নেই বলে পঙ্গু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে নিশ্চিত হয়েছে রিউমর স্ক্যানার।

গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসেও গুজবটি ছড়িয়ে পড়লে রিউমর স্ক্যানার সে সময়ে ফ্যাক্টচেকিং প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

বিনামূল্যে কৃত্রিম পা

তাছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কৃত্রিম পা সংযোজনের প্রচারিত গুজব নিয়ে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) কর্তৃপক্ষ ৫ অক্টোবর সকাল ১১ঃ৪০ মিনিটে তাদের অফিশিয়াল ফেসবুকে একটি নোটিশের মাধ্যমে জানিয়েছে, “এধরনের খবর একেবারেই ভিত্তিহীন এবং বিভ্রান্তিমূলক। উক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে এ ধরনের কোন খবর প্রকাশিত হয় নাই এবং এর সাথে প্রতিষ্ঠানের কোন সংশ্লিষ্টতাও নাই।”

অর্থাৎ, পঙ্গু হাসপাতালে বিনামূল্যে কৃত্রিম পা সংযোজনের পুরোনো একটি ক্যাম্পেইনকে চলতি বছরের দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: বিনামূল্যে ঢাকার পংগু হাসপাতালে কৃত্তিম পা সংযোজন (১৫ অক্টোবর পর্যন্ত)
  • Claimed By: Facebook Posts
  • Fact Check: False

[/su_box]

তথ্যসূত্রঃ

  1. Rumor Scanner Called Hospital
  2. Prothom Alo 2017: https://www.prothomalo.com/bangladesh/%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AE-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%9C%E0%A7%80%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6
  3. Channel 24: https://www.youtube.com/watch?v=m6EC4AFOMvQ

Fact Check: এটি একটি পেইন্টিং, জামবেজি নদী নয়

0

“নদীটি জাম্বিয়ায় অবস্থিত, জামবেজি নদী” শীর্ষক শিরোনামে মানুষের মুখের অনুরূপ নদীর একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে প্রচার হয়ে আসছে।

জামবেজি নদী জামবেজি নদী

ভাইরাল কিছু ফেসবুক পোস্টের আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানেএখানে, এখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, জাম্বিয়ায় অবস্থিত জামবেজি নদী দাবিতে প্রচারিত ছবিটি আসল নয় বরং এটি একজন শিল্পীর তৈরি করা পেইন্টিং।

রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতি ব্যবহার করে Gallerix নামের একটি ওয়েবসাইটে ছবিটির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়। ছবিটিকে ২০১৬ সালের ২৬ আগস্টে Gallerix ওয়েবসাইটে Natalia Livitchuk নামের একজন ব্যবহারকারী “Appeasement” শিরোনামে পেইন্টিং হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করেছেন।

জামবেজি নদী

 

Gallerix ওয়েবসাইটের বর্ণনা থেকে জানা যায় এটি রাশিয়ান ভাষাভাষীদের জন্য বৃহৎ ভার্চুয়াল জাদুঘর।

একই ছবিটির অস্তিত্ব ArtOnline.ru ওয়েবসাইটে খুঁজে পাওয়া যায়, যেখানে ছবিটির মূল্য প্রায় ৬০০ ডলার ধরা হয়েছে। ছবির বর্ণনা থেকে জানা যায় এটি 52×50 সেন্টিমিটার পরিমাপের একটি এক্রাইলিক চিত্রণ। ArtOnline.ru ওয়েবসাইটে থাকা Natalia Livitchuk এর প্রোফাইল থেকে জানা যায় তিনি ১৯৮৭ সালে Latvian Academy of Arts থেকে স্নাতকত্ব লাভ করেছেন।

জামবেজি নদী

এছাড়াও, চিত্রণটিকে Social Network for Creative People নামের একটি রাশিয়ান ওয়েবসাইটে খুঁজে পাওয়া যায়।

জামবেজি নদী

একই বিষয়ে AFP সহ ততোধিক আন্তর্জাতিক ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান দাবিটিকে মিথ্যা শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

প্রসঙ্গত, ইন্টারনেটে মিথ্যা শিরোনামে প্রচারিত ছবিটি নিয়ে Natalia Livitchuk বার্তা সংস্থা AFP কে এক ইমেইল বার্তায় জানান “আমি ২০১৬ সালে এই পেইন্টিংটি তৈরি করে VK[dot].com এ পোস্ট করেছি। এটাকে বলা হয় ‘এ্যাপেসমেন্ট’ এবং শান্তি ও প্রকৃতির সৌন্দর্যের প্রতীক। পুরো রচনাটি আমার কল্পনা থেকে এসেছে এবং আমি বিদ্যমান নদীগুলোকে উৎস হিসাবে ব্যবহার করি নি। এই নদী আমার আত্মা থেকে প্রবাহিত হয়েছে”।

তাছাড়া গুগলের সহায়তায় ইন্টারনেটে পাওয়া জামবেজি নদীর প্রকৃত ছবির সাথে আলোচিত ছবির কোন মিল পাওয়া যায় না।

জামবেজি নদী

অর্থাৎ, একজন শিল্পীর তৈরি এক্রাইলিক চিত্রণকে জাম্বিয়ার জামবেজি নদী দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে প্রচার করা হচ্ছে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: নদীটি জাম্বিয়ায় অবস্থিত, জামবেজি নদী
  • Claimed By: Facebook Posts
  • Fact Check: False

[/su_box]

তথ্যসূত্র

  1. Gallerix: https://nat-liv01.in.gallerix.ru/expo/simvolizm/umirotvorenie/
  2. ArtOnline.ru: http://www.artonline.ru/painting_info/204377
  3. Social Network for Creative People: https://www.neizvestniy-geniy.ru/cat/design/holst/1653247.html?lightDiz=1
  4. Getty Images: https://www.gettyimages.com/photos/zambezi-river?phrase=zambezi%20river&sort=best

আরো পড়ুন: বঙ্গবন্ধু গাঁজার খামার শিরোনামে প্রচারিত ছবিটি ভুয়া

ছবিটি আসল অ্যালবিনো বাদুড়ের নয় বরং এটি উলের তৈরি খেলনা

0

Albino Bat – অ্যালবিনো বাদূড়” শীর্ষক শিরোনামে একটি সাদা রঙ এর বাদুড়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে প্রচার হয়ে আসছে।

অ্যালবিনো বাদুড়

অ্যালবিনো বাদুড়

ভাইরাল কিছু ফেসবুক পোস্টের আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানেএখানেএখানে, এখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, অ্যালবিনো ব্যাট দাবিতে প্রচারিত ছবির বাদুরটি আসল নয় বরং এটি একজন শিল্পীর দ্বারা নির্মিত খেলনা বাদুড়।

রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতি ব্যবহার করে ‘Anna Yastanna’ নামের একটি ইন্সটাগ্রাম আইডিতে ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে প্রকাশিত আলোচিত খেলনা বাদুড়টির একাধিক ছবির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়। ইন্সটগ্রামের পোস্টগুলো দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে

অ্যালবিনো বাদুড়
ইন্সটগ্রামের পোস্টগুলো দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে

মূলত, Anna Yastanna একজন সাইবেরিয়ান শিল্পী। তিনি হস্তনির্মিত উলের খেলনা তৈরি করেন এবং খেলনাগুলো অনলাইন ক্রয়বিক্রয় ভিত্তিক মার্কেটপ্লেস Etsy তে বিক্রি করেন।

অ্যালবিনো বাদুড়

এছাড়াও, ২০২০ সালের ৮ আগস্টে Anna Yastanna তার একটি খেলনা বাদুড় তৈরির প্রক্রিয়ার ভিডিও নিজের ফেসবুক পেজে প্রকাশ করেন।

অ্যালবিনো বাদুড়

একই বিষয়ে AFP সহ ততোধিক আন্তর্জাতিক ফ্যাক্টচেকিং সংস্থা ছবিটিকে বিভ্রান্তিকর হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

প্রসঙ্গত, ইন্টারনেটে বিভ্রান্তিকর শিরোনামে প্রচারিত ছবিগুলো নিয়ে Yastanna, বার্তা সংস্থা AFP কে জানায় তিনি এই খেলনা দুই বছর পূর্বে তৈরি করেছিলেন এবং এটা তার একজন ক্রেতার অর্ডার ছিলো।”

অর্থাৎ, উলের তৈরি খেলনা অ্যালবিনো বাদুড়ের ছবিকে আসল অ্যালবিনো বাদুড় দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেগুলোতে প্রচার করা হচ্ছে যা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: Albino Bat – অ্যালবিনো বাদূড়
  • Claimed By: Facebook Posts
  • Fact Check: Misleading

[/su_box]

তথ্যসূত্র

  1. Anna Yastanna Instagram: Post 1, Post 2, Post 3, Post 4
  2. Anna Yastanna Instagram Account: https://www.instagram.com/yast.anna/
  3. Etsy Online Shop: https://www.etsy.com/hk-en/listing/839132006/felted-white-little-batalbino-bat-plush?show_sold_out_detail=1&ref=nla_listing_details
  4. Anna Yastanna Facebook: https://www.facebook.com/yastanna/videos/1622556554586739/

বঙ্গবন্ধু গাঁজার খামার শিরোনামে প্রচারিত ছবিটি ভুয়া

0

সম্প্রতি “বঙ্গবন্ধু গাঁজার খামার। এখানে আওয়ামী লীগের সকল অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের জন্য বৈধ গাঁজা চাষ করা হয়” শীর্ষক শিরোনামে একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

বঙ্গবন্ধু গাঁজার খামার বঙ্গবন্ধু গাঁজার খামার

ভাইরাল কিছু ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানেএখানেএখানে, এখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আলোচিত ছবিটির মূল ছবি একটি অনলাইন পত্রিকা থেকে সংগ্রহীত এবং মূল ছবিটি মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার যা বিকৃত করে সেখানে ভুয়া সাইনবোর্ড যুক্ত করা হয়েছে।

রিভার্স সার্চ ইমেজ পদ্ধতি ব্যবহার করে ২০২০ সালের ৩০ জুলাইয়ে বণিক বার্তা পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে “মেহেরপুরে এক বিঘা জমিতে গাঁজার বাগান, ধ্বংস করলো পুলিশ” শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। মূলত বণিক বার্তায় প্রকাশিত সেই প্রতিবেদনের ছবিকেই বিকৃত করে ভুয়া একটি সাইনবোর্ড বসানো হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু গাঁজার খামার

বঙ্গবন্ধু গাঁজার খামার
ইডিট করা ছবি বামে এবং অরজিনাল ছবি ডানে

এছাড়াও কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে এনটিভি, ডিবিসি নিউজ, সমকালের সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন এবং ইউটিউব ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

বঙ্গবন্ধু গাঁজার খামার

২০২০ সালের ৩০ জুলাইয়ে এনটিভির ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন এখানে

বঙ্গবন্ধু গাঁজার খামার

মূলত, মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মটমুড়া গ্রামে মাছ ব্যবসার আড়ালে দুলাল নামক এক ব্যক্তি এক বিঘা জমিতে গাঁজা চাষ করেছিলো। পরবর্তীতে ২০২০ সালের ৩০ জুলাই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গাঁজা বাগানের দুই শতাধিক গাঁজা গাছ কেটে সেগুলো আলামত হিসেবে জব্দ করেছিলো পুলিশ।

উল্লেখ্য, ১৯৮০ সালের শেষের দিক থেকে বাংলাদেশে সব ধরণের গাঁজা চাষ, পরিবহন, বিক্রয়, ক্রয় এবং দখল অবৈধ

অর্থাৎ, পুলিশ কর্তৃক গাঁজার বাগান ধ্বংসের ছবিকে বিকৃত করে ভুয়া সাইনবোর্ড যুক্ত করে বঙ্গবন্ধু গাঁজার খামার দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে যা সম্পূর্ণ গুজব।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: বঙ্গবন্ধু গাঁজার খামার। এখানে আওয়ামী লীগের সকল অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের জন্য বৈধ গাঁজা চাষ করা হয়
  • Claimed By: Facebook Posts
  • Fact Check: False

[/su_box]

তথ্যসূত্র

  1. Bonik Barta: মেহেরপুরে এক বিঘা জমিতে গাঁজার বাগান, ধ্বংস করলো পুলিশ / Archive 
  2. NTV News: মেহেরপুরে ১৫ কাঠা জমিজুড়ে গাঁজার বাগান / Archive
  3. Samakal: মেহেরপুরে গাঁজা বাগানের সন্ধান / Archive
  4. DBC News: মেহেরপুরে ১৫ কাঠা জমিতে গাঁজা বাগানের সন্ধান / Archive
  5. NTV YouTube: মেহেরপুরে ১৫ কাঠা জমিতে গাঁজা চাষ
  6. Bonik Barta YouTube: মেহেরপুরে এক বিঘা জমিতে গাঁজার বাগান, ধ্বংস করলো পুলিশ
  7. Wikipedia: বাংলাদেশে গাঁজা

ছবিটি পাকিস্তানে শ্রীলংকা ক্রিকেট দলকে নিরাপত্তা প্রদানের, নিউজিল্যান্ড দলের নয়

0

“নিউজিল্যান্ডের প্লেয়ারদের এভাবেই সিকিউরিটি দিয়ে পাকিস্থানে রাখা হয়েছিলো” শীর্ষক শিরোনামে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

ভাইরাল কিছু ফেসবুক পোস্টের আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানেএখানেএখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ছবিটি সাম্প্রতিক সময়ে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের পাকিস্তান সফরের নয় বরং এটি শ্রীলংকা ক্রিকেট দলের ২০১৯ সালে পাকিস্তান সফরের ছবি।

রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতি ব্যবহার করে ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরে Azzam Ameen নামের একটি ভেরিফাইড টুইটার আইডিতে আলোচিত ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়।

শ্রীলংকা ক্রিকেটের অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরে “Asantha De Mel speaks on Security provided to the ‘National Team’ in Pakistan” শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিওতেও নিউজিল্যান্ড দলকে নিরাপত্তা প্রদানের চিত্র দাবিতে প্রচারিত ছবিটির সাথে মিল থাকা একটি ভিডিওচিত্র খুঁজে পাওয়া যায়।

এছাড়াও, শ্রীলংকার অনলাইন পত্রিকা ‘The Morning’ এও ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সালে “Presidential level security for SL Team in Pakistan” শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায় যেখানে আলোচিত ছবিটির অস্তিত্ব রয়েছে।

প্রতিবেদনটি পড়ুন এখানে

মূলত, ২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বরে শ্রীলংকা ক্রিকেট দল পাকিস্তান সরকারের রাষ্ট্রপ্রধানের সমমানের নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে লিমিটেড ওভার সিরিজ খেলার জন্য পাকিস্তান সফরে গিয়েছিলো। এর আগে ২০০৯ সালে পাকিস্তানের লাহোরে শ্রীলংকা ক্রিকেট দলের উপর সশস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটে এবং ঘটনাটির পর থেকে পাকিস্তান দল তাদের বেশিরভাগ হোম ম্যাচ সংযুক্ত আরব আমিরাতে খেলেছে।

প্রতিবেদনটি পড়ুন এখানে
প্রতিবেদনটি পড়ুন এখানে

প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ১৮ বছর পর নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল পাকিস্তান সরকারের বিশেষ নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতিতে তিন সপ্তাহের সফরে পাকিস্তানে যায়। কিন্তু ১৭ সেপ্টেম্বরে তাদের প্রথম ম্যাচ শুরুর কয়েক মিনিট পূর্বে নিউজিল্যান্ড সরকারের থেকে একটি নিরাপত্তা সতর্কতার কারণে তারা তাদের লিমিটেড অভার সিরিজের পাকিস্তান সফরটি বাতিল করে।

প্রতিবেদনটি পড়ুন এখানে
প্রতিবেদনটি পড়ুন এখানে
প্রতিবেদনটি পড়ুন এখানে

অর্থাৎ, ২০১৯ সালে পাকিস্তানে সফররত শ্রীলংকান ক্রিকেট দলকে নিরাপত্তার প্রদানের পুরোনো ছবিটিকে বর্তমানে নিউজিল্যান্ড দলকে নিরাপত্তা প্রদানের চিত্র দাবিতে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে যা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: নিউজিল্যান্ডের প্লেয়ারদের এভাবেই সিকিউরিটি দিয়ে পাকিস্থানে রাখা হয়েছিলো
  • Claimed By: Facebook Posts
  • Fact Check: Misleading

[/su_box]

তথ্যসূত্র

  1. Azzam Ameen Twitter: https://twitter.com/AzzamAmeen/status/1178652521692303360
  2. Sri Lanka Cricket YouTube: https://www.youtube.com/watch?v=W2HKQWeoBxg
  3. The Morning: Presidential level security for SL Team in Pakistan
  4. Outlook India: How Is Pakistan Guarding Sri Lankan Cricketers From Killer Terrorists
  5. AP News: Under heavy security, Sri Lanka cricket team tours Pakistan
  6. Stuff: Black Caps arrive in Pakistan amid ‘highest level of security’ for first tour in 18 years
  7. New Zealand Cricket: BLACKCAPS tour of Pakistan abandoned
  8. DW: নিরাপত্তার কারণে পাকিস্তান সফর বাতিল করলো নিউজিল্যান্ড

ফেরাউনের পাসপোর্টের ছবিটি আসল নয়, এটি একটি আর্টওয়ার্ক

0

“১৯৭৪ সালে মিশরের রাজা দ্বিতীয় ফেরাউনের নামে এই পাসপোর্টটি ইস্যু করা হয়েছিলো” শীর্ষক শিরোনামে একটি পাসপোর্টের ছবি ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে।

ফেরাউনের পাসপোর্ট

ফেরাউনের পাসপোর্ট

ভাইরাল কিছু ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানেএখানেএখানেএখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ফেরাউন বা দ্বিতীয় রামসেস এর পাসপোর্ট দাবিতে প্রচারিত পাসপোর্টটি আসল নয় বরং ছবিটি একজন শিল্পীর তৈরি ডিজিটাল আর্টওয়ার্ক।

আলোচিত পাসপোর্টের ছবিটির বাম পাশে থাকা বারকোডের নিচে HERITAGEDAILY.COM নামের একটি ওয়েবসাইটের নাম লক্ষ্য করা যায় এবং কি-ওয়ার্ড সার্চ পদ্ধতিতে Heritage Daily নামে একটি ওয়েবসাইট খুঁজে পাওয়া যায়। Heritage Daily মূলত একটি প্রত্নতত্ত্ব বা পুরাতত্ত্ব বিষয়ক ওয়েবসাইট।

পরবর্তীতে Heritage Daily ওয়েবসাইটে ২০২০ সালের ২৫ মার্চে “The passport of Ramesses II” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায় যেখানে ফেরাউনের দাবিতে প্রচারিত পাসপোর্টটির মত হুবুহু আরেকটা পাসপোর্টের অস্তিত্ব রয়েছে

ফেরাউনের পাসপোর্ট

পাসপোর্টের ছবির নিচে লেখা রয়েছে ‘Image Credit – HeritageDaily – An artist’s creation of the passport – Image is for representative purposes – The actual passport is not publicly available. অর্থাৎ ‘পাসপোর্টটি শুধুমাত্র নমুনাস্বরূপ উদ্দেশ্যে বানানো হয়েছে, প্রকৃত পাসপোর্ট জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত নয়’।

ন্যাশনাল জিওগ্রাফির একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, “ফেরাউনের মমিকে যখন প্যারিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তখন মমির মুখমন্ডল সহ একটি বৈধ মিশরীয় পাসপোর্ট তৈরি করা হয় এবং পাসপোর্টে ফেরাউনের পেশা হিসেবে “রাজা (মৃত)” উল্লেখ করা ছিলো”। 

ফেরাউনের পাসপোর্ট

কিন্তু সেই সময়ে কোন পাসপোর্ট তৈরি করা হয়েছিলো কিনা এই বিষয়টি নিয়ে দ্বিমত রয়েছে। তাই রিউমর স্ক্যানার টিম বিষয়টি আলাদাভাবে যাচাই করে দেখেনি।

তবে সেই সময়ে যদি কোন পাসপোর্ট তৈরি হয়েও থাকে তবুও এ বিষয়টি নিশ্চিত যে সেই পাসপোর্ট এবং বর্তমানে প্রচারিত পাসপোর্টটি এক নয়। কারণ বর্তমানে প্রচারিত পাসপোর্টটি ২০২০ সালে আর্টওয়ার্ক হিসেবে প্রথম প্রকাশিত হয়েছে।

১৯৭৬ সালে দ্যা নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ছত্রাক সংক্রমণের সাথে যুক্ত রোগের চিকিৎসার জন্য রামসেসের মমিকে প্যারিসে স্থানান্তর করা হয়েছিলো এবং ফরাসি সামরিক বিমান কায়রো জাদুঘর থেকে রামসেস এর মমি নিয়ে এসে তাকে Garde républicaine বা Republican Guard সম্মান দিয়েছিলো।

ফেরাউনের পাসপোর্ট

উল্লেখ্য, প্রাচীন ইতিহাস এনসাইক্লোপিডিয়া World History অনুসারে ১৯তম রাজবংশের তৃতীয় ফারাও বা দ্বিতীয় রামসেস ৯৬ বছর বেচে ছিলেন।

ফেরাউনের পাসপোর্ট

অর্থাৎ, ডিজিটাল পদ্ধতিতে নির্মিত একটি নমুনাস্বরূপ পাসপোর্টের ছবিকে ফেরাউনের প্রকৃত/আসল পাসপোর্ট দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: ১৯৭৪ সালে মিশরের রাজা দ্বিতীয় ফেরাউনের নামে এই পাসপোর্টটি ইস্যু করা হয়েছিলো
  • Claimed By: Facebook Posts
  • Fact Check: False

[/su_box]

তথ্যসূত্রঃ-

  1. Heritage Daily: The Passport of Ramesses II / Archive
  2. National Geographic: Mummy mugshots and other strange passport facts / Archive 
  3. Ancient History Encyclopedia: Ramesses II / Archive
  4. The New York Times: Paris Mounts Honor Guard For a Mummy / Archive