সম্প্রতি ‘বিশ্বকাপের ফাইনালে মেসির গায়ে জড়ানো আরব গ্রাউন-বিশত তৈরি বাংলাদেশের বগুড়ায়!’ শীর্ষক শিরোনামে একটি ভিডিও গণমাধ্যম সূত্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
আরটিভির ফেসবুক পেইজে প্রচারিত প্রতিবেদনটি দেখুন এখানে।
প্রতিবেদনটির আর্কাইভ দেখুন এখানে।
আরটিভির ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারিত ভিডিওটি দেখুন এখানে।
আর্কাইভ দেখুন এখানে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, মেসিকে পরিয়ে দেয়া বিস্ত বগুড়ায় তৈরি হয়নি বরং তা কাতারেই কাতারের প্রতিষ্ঠান Bisht Al-Salem এ তৈরি হয়েছে।
গত ১৯ জানুয়ারী, বৃহস্পতিবার দেশের বেসরকারি টিভি চ্যানেল আরটিভির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেইজ ও ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারিত ভিডিওটি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ভিডিওটির শিরোনাম ও থাম্বনেইলে উল্লেখ করা হয়েছে, বিশ্বকাপের ফাইনালে মেসির গায়ে জড়ানো আরব গ্রাউন-বিশত বাংলাদেশের বগুড়ায় তৈরি হয়েছে।
তবে প্রতিবেদনটির বিস্তারিত অংশের ১ মিনিট ১৪ সেকেন্ডে প্রতিবেদক বিশ্বকাপ জয়ের পর মেসির গায়ে জড়ানো বিশতটির তৈরি নিয়ে বলেন, ‘কেউ বলছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন আল হামাদ আল থানি মেসিকে যে বিশতটি উপহার দিয়েছেন সেটি তৈরি হয়েছে বগুড়ায়। কেউ আবার করেছেন এর প্রতিবাদ৷
সব ছাপিয়ে মেসির গায়ের বিশতটি গত এক যুগ ধরে বগুড়ায় তৈরি হচ্ছে আরব দেশগুলোর জন্য।
পরবর্তীতে প্রতিবেদনটির ৩ মিনিট ৩০ সেকেন্ড সময়ে প্রতিবেদক বলেন, ‘আরবের দেশগুলোর শাহী পরিবারের পোশাক সাধারণত তৈরি হয় বিশেষ বা রয়্যাল ব্র্যান্ডগুলোতে। আর্জেন্টিনার মেসির জন্য ও আরেকটি ফ্রান্সের অধিনায়ক হুগো লরিসের জন্য জাপানি নাজাফি ফেব্রিক দিয়ে এই বিশত দুইটি হাতে তৈরি করেছেন ২০ জন কারিগর৷ এতে সোনা ও রূপার কারুকাজ সহ সাতটি প্রলেপ দেওয়া হয়েছে বলেও জানা যায়।’
এসব তথ্যের বাইরে প্রতিবেদনটির কোথাও মেসির গায়ের বিশতটি যে বাংলাদেশে তৈরি এমন কোনো তথ্য প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায় না।
অপরদিকে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা যায়, মেসিকে পরিয়ে দেয়া বিশতটি কাতারের প্রতিষ্ঠান Bisht Al-Salem তৈরি করা হয়েছে।
মূলত, কাতারের বিস্ত আল সালেমে কর্মরত বাংলাদেশী কর্মী রবিউল ইসলাম রনি, যিনি বগুড়ার বিস্ত আল-নুরের মালিকানার সাথেও যুক্ত। কাতারের সেই প্রতিষ্ঠান Bisht Al-Salem এর তৈরি বিস্ত মেসির গায়ে পড়ানোয় রবিউল তার ফেসবুক আইডিতে ‘আমাদের কোম্পানির বানানো বিশত নিজ হাতে শেখ তামিম মেসিকে পরিয়ে দিচ্ছে’* শীর্ষক একটি পোস্ট করলে অনেকেই পোশাকটি তার বগুড়ার প্রতিষ্ঠানের তৈরি ভেবে ভুলভাবে প্রচার শুরু করে। প্রকৃতপক্ষে মেসিকে পরিয়ে দেয়া বিস্ত কাতারের আল সালেমের ওয়ার্কশপেই তৈরি হয়।
বিশ্বকাপ ২০২২ শেষ হওয়ার পর পরও বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে তখন বিষয়টিকে মিথ্যা হিসেবে উল্লেখ করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল রিউমর স্ক্যানার টিম।