Home Blog Page 550

সাকিব আল হাসানের মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে সাইফুজ্জামান শিখর কোনো নেতিবাচক মন্তব্য করেননি

সম্প্রতি, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাকিব আল হাসান মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ায় আসনটির বর্তমান সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর সাকিবকে নিয়ে বিভিন্ন নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এবং শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকে প্রচার করা হয়েছে।

সাকিব আল

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

একই ভিডিও নিয়ে টিকটকে প্রচারিত একটি পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সাকিব আল হাসানের মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করা এই ব্যক্তি সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর নয় বরং ভিন্ন এক ব্যক্তি নিজেকে সাইফুজ্জামান শিখর হিসেবে দাবি করে উক্ত মন্তব্য করে মজার ছলে আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করেছেন।

গুজবের সূত্রপাতঃ 
অনুসন্ধানের শুরুতে প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে উক্ত ভিডিওটি নিয়ে গাজীপুর টিভি – Gazipur TV নামের একটি ফেসবুক পেজে গত ২৬ নভেম্বর ‘মাগুরা ১ এর বর্তমান এমপি সাইফুজ্জামান শিখর যা বলেন সাকিব সম্পর্কে মনে মনে’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত মূল  ভিডিওটি (আর্কাইভ) খুঁজে পায় রিউমর স্ক্যানার টিম। ভিডিও পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, নিজেকে সাইফুজ্জামান শিখর হিসেবে দাবি করা এক ব্যক্তি আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাগুরা-১ আসন থেকে সাকিব আল হাসানের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে বিভিন্ন নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন।

Screenshot: Facebook 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে দেখা যায়, আলোচিত এই ভিডিওটিতে প্রদর্শিত বক্তব্য প্রদানকারী ব্যক্তি আসল সাইফুজ্জামান শিখর নয়। ভিডিওটিতে উক্ত ব্যক্তির একপাশে সাকিব আল হাসান এবং অন্য পাশে যে ব্যক্তি রয়েছেন তিনি আসল সাইফুজ্জামান শিখর। তবে ভিডিওটিতে নিজেকে শিখর দাবি করে রাজনৈতিক বিষয়ে আলোচনাকারী ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে উক্ত ফেসবুক পেজটি পর্যবেক্ষণ করে সেখানে একই ব্যক্তির বিভিন্ন ইস্যুতে আরও কিছু সার্কাজম বা কমেডিধর্মী ভিডিও (, , ) খুঁজে পাওয়া যায়। ফলে নিশ্চিত হওয়া যায়, এই ব্যক্তিই আলোচিত ভিডিওটির নির্মাতা এবং তিনি বিভিন্ন বিষয়ে সার্কাজম বা কমেডিধর্মী ভিডিও তৈরি করেন।

ভিডিওটির কমেন্টবক্স পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, সেখানে অধিকাংশ ফেসবুক ব্যবহারী উক্ত ব্যক্তিকে আসল সাইফুজ্জামান শিখর ভেবে বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন। এমন কয়েকটি মন্তব্য দেখুন।

Comment Collage by Rumor Scanner

অর্থাৎ, মজার উদ্দেশ্যে তৈরি উক্ত ভিডিওটি পরবর্তীতে বাস্তব দাবিতে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে।

কি ওয়ার্ড অনুসন্ধানের মাধ্যমে আজ ৩০ নভেম্বর মূলধারার অনলাইন গণমাধ্যম বাংলানিউজ২৪ এর ওয়েবসাইটে ‘শিখরকে সঙ্গে নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন সাকিব’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: banglanews24

উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সাকিব আল হাসান মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়ে তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন উক্ত আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর।

তাছাড়া, এর আগে গত ২৭ নভেম্বর মূলধারার গণমাধ্যম যুগান্তরের অনলাইন সংস্করণে ‘সাকিবের পক্ষে সবাইকে মাঠে নামতে বললেন শিখর’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, নিজে দলীয় মনোনয়ন না পেলেও তার বর্তমান সংসদীয় আসন (মাগুরা-১) থেকে সাইফুজ্জামান শিখর নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করতে দলের সবাইকে মাঠে নামতে বলেছেন।

অর্থাৎ, মাগুরা-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেলেও তিনি দল মনোনীত প্রার্থী সাকিব আল হাসানকে জয়ী করার লক্ষ্যে দলীয় নেতাকর্মীদের কাজ করতে বলেছেন। তাছাড়া সাকিব আল হাসানের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়ে তার উপস্থিতিও প্রমাণ করে তিনি দলীয় প্রার্থী সাকিব আল হাসানের পক্ষেই রয়েছেন।

পাশাপাশি, মূলধারার গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্যকোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে এখন পর্যন্ত উক্ত আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখরকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নের বিষয়ে দলীয় সিদ্ধান্তের বিরোধিতা কিংবা সাকিব আল হাসানের বিপক্ষে কোনো মন্তব্য করতে দেখা যায়নি।

মূলত, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক সহ অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় সাম্প্রতিক সময়ে এক ব্যক্তি নিজেকে মাগুরা-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর হিসেবে দাবি করে মজার ছলে উক্ত আসন থেকে শিখরের মনোনয়ন না পাওয়া এবং রাজনীতির মাঠে না থেকেও সাকিব আল হাসানের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে বিভিন্ন নেতিবাচক মন্তব্য করে একটি ভিডিও তৈরি করেন। পরবর্তীতে উক্ত ভিডিওটি ইন্টারনেটে বাস্তব দাবিতে ছড়িয়ে পড়ে। প্রকৃতপক্ষে মাগুরা-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর সাকিব আল হাসানকে নিয়ে কোনো নেতিবাচক মন্তব্য করেননি বরং তিনি সাকিব আল হাসানকে বিজয়ী করতে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঠে নামতে বলেছেন।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২৬ নভেম্বর ২৯৮ আসনে নৌকা প্রতীকের চূড়ান্ত প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এতে দলটির প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ পড়েন মাগুরা-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক সহকারী একান্ত সচিব সাইফুজ্জামান শিখর। তার পরিবর্তে উক্ত আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।

উল্লেখ্য, পূর্বেও বিশ্বকাপে ব্যর্থতার দায়ে সাকিব হেনস্তার শিকার দাবিতে ভিন্ন ঘটনার ভিডিও বিকৃত করে প্রচার করা হলে তা নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।

সুতরাং, নিজে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে উক্ত আসনে সাকিব আল হাসানের মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

বেগম খালেদা জিয়ার পুরনো বক্তব্যকে বিকৃত করে প্রচার 

0

সম্প্রতি, “২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে গোপন মিটিং- এ যা বলেছিলেন খালেদা জিয়া” শীর্ষক শিরোনামে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। 

বেগম খালেদা জিয়ার

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

টিকটিকে প্রচারিত এমন একটি পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রচারিত বক্তব্যটি ২০০১ সালের নয় বরং ২০১৭ সালের বেগম খালেদা জিয়ার এই বক্তব্যের আলাদা সময়ের খণ্ড খণ্ড অংশের মন্তব্য সংযুক্ত করে বিকৃত আকারে উপস্থাপন করা হয়েছে।

মূলত, ২০১৭ সালের পহেলা জানুয়ারি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনিস্টিটিউট মিলনায়তনে ছাত্রদল আয়োজিত ছাত্র সমাবেশে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া একটি দীর্ঘ বক্তব্য দেন। উক্ত বক্তব্যে তাঁর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ সরকারকে ইঙ্গিত দিয়ে করা সমালোচনা সূচক মন্তব্যের দুটি আলাদা সময়ের খণ্ড খণ্ড অংশকে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সংযুক্তের মাধ্যমে বিকৃত আকারে বিভ্রান্তিকর শিরোনামে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, পূর্বেও একই ভিডিও ব্যাপকভাবে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে সেসময় বিষয়টি নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।

মাহিয়া মাহির সাথে ডা. মুরাদ হাসানের ভাইরাল এই ছবিটি সম্পাদিত

0

সম্প্রতি, চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি’র সাথে সংসদ সদস্য ডা. মুরাদ হাসানের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।

মাহিয়া মাহির

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সংসদ সদস্য (এমপি) ডা. মুরাদ হাসান এবং চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সাথে সংসদ সদস্য ডা. মুরাদ হাসানের এই ছবিটি বাস্তব নয় বরং স্বামী রাকিব সরকারের মাহির তোলা একটি ছবি ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে রাকিবের মুখমণ্ডলের স্থলে ডা. মুরাদ হাসানের মুখমণ্ডল জুড়ে দিয়ে উক্ত ছবিটি তৈরি করা হয়েছে।

আলোচিত দাবির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য রিভার্স ইমেজ সার্চ করে সিনে বাংলা জগৎ নামক ফেসবুক গ্রুপে গত ৩১ অক্টোবরে প্রকাশিত একটি পোস্ট (আর্কাইভ) খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত পোস্টের সংযুক্ত ছবির সাথে উক্ত আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবির হুবহু মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

Comparison: Rumor Scanner

পরবর্তীতে, অনুসন্ধানে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গত ৩০ সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত ফেসবুক পোস্ট থেকে জানা যায়, সেদিন মাহিয়া মাহি এবং রাকিব সরকারের ছেলে ফারিশ’র মুখে ভাত অনুষ্ঠান উপলক্ষে তোলা কিছু ছবি প্রকাশ করেন। উক্ত ফেসবুক পোস্টের সাথে সংযুক্ত কিছু ছবিতে মাহিয়া মাহি এবং তার স্বামী রাকিব সরকারের পোশাকের সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবির মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

Comparison: Rumor Scanner

এছাড়া মাহিয়া মাহির ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গত ৩০ সেপ্টেম্বরে পোস্টকৃত ছবি গুলো ভালো করে পর্যবেক্ষণ করে ছবি গুলোর নিচের দিকে কার্টেসী হিসেবে Shahriar Tamim শীর্ষক ওয়াটার মার্ক লক্ষ্য করা যায়।

Photo: Facebook

পরবর্তীতে এই ওয়াটার মার্কের সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে Photography by Shahriar TAmim নামের ফেসবুক পেজে গত ১২ নভেম্বর প্রকাশিত একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Facebook

উক্ত ফেসবুক পোস্টের সাথে সংযুক্ত মাহিয়া মাহি এবং রাকিব সরকারের ছেলে ফারিশ’র মুখে ভাত অনুষ্ঠানের বেশ কিছু ছবির পাশাপাশি আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবির আসল ছবিটিও খুঁজে পাওয়া যায়।

মূলত, গত সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি এবং রাকিব সরকারের ছেলে ফারিশ’র মুখে ভাত অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানের ফটোগ্রাফি করেন শাহরিয়ার তামিম নামের একজন ফটোগ্রাফার। পরবর্তীতে শাহরিয়ার তামিম তার ফেসবুক পেজ Photography by Shahriar TAmim এ মাহিয়া মাহি এবং রাকিব সরকারের ছেলে ফারিশ’র মুখে ভাত অনুষ্ঠানের কিছু ছবি প্রকাশ করেন। তবে সম্প্রতি, সেই অনুষ্ঠানে তোলা মাহিয়া মাহি এবং তার স্বামী রাকিব সরকারের একসাথে তোলা ছবি ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে রাকিব সরকারের মুখমণ্ডল বাদ দিয়ে তাতে সংসদ সদস্য ডা. মুরাদ হাসানের মুখমণ্ডল যুক্ত করে ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।

সুতরাং, চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সাথে সংসদ সদস্য ডা. মুরাদ হাসানের ছবি দাবিতে ইন্টারনেট প্রচারিত এই ছবিটি এডিটেড বা বিকৃত।

তথ্যসূত্র

৯ বছর নয়, মুমিনুল হক টেস্টে উইকেট পেয়েছেন প্রায় দুই বছর পর

সিলেটে গত ২৮ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্ট। টেস্টের দ্বিতীয় দিনের প্রথম ইনিংসে গতকাল বোলিং করতে এসে উইকেট পেয়েছেন বাংলাদেশের মুমিনুল হক। ইন্টারনেটের বিভিন্ন মাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, মুমিনুল ৯ বছর পর টেস্টে উইকেট পেয়েছেন। ফেসবুকের কিছু পোস্টে এমনও দাবি করা হয়েছে যে, তিনি ৯ বছর পর টেস্টে বোলিং করেছেন। 

মুমিনুল হক

উক্ত দাবিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন আজকের পত্রিকা। 

একই দাবিতে ফেসবুক প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)। 

তাছাড়া, গতকাল মুমিনুল উইকেট পাওয়ার পর টেলিভিশন কমেন্ট্রিতে ধারাভাষ্যকারও দাবি করেন, মুমিনুল ৯ বছর পর বোলিং করেছেন।

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, মুমিনুল ৯ বছর পর টেস্টে উইকেট পেয়েছেন শীর্ষক দাবিটি সঠিক নয় বরং ২০২২ সালের জানুয়ারিতেও তিনি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই টেস্টে এক উইকেট পান। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট Howstat এ মুমিনুল হকের প্লেয়ার প্রোফাইল থেকে জানা যাচ্ছে, মুমিনুল সর্বশেষ গত এপ্রিলে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে বোলিং করেছিলেন। সেই ম্যাচে এক ওভার বোলিং করে কোনো উইকেট পাননি তিনি।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, টেস্টে মুমিনুল সর্বশেষ উইকেট পেয়েছেন ২০২২ সালে জানুয়ারিতে। ক্রাইস্টচার্চে সেবার দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নেমে প্রথম ইনিংসে ৩ ওভার বোলিং করে এক উইকেট পান তিনি।  

অর্থাৎ, ৯ বছর পূর্বে নয়, মুমিনুল টেস্টে উইকেট পেয়েছেন গত বছরই৷ 

মূলত, সিলেটে গত ২৮ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের টেস্টের দ্বিতীয় দিনের প্রথম ইনিংসে বোলিং করতে এসে উইকেট পান বাংলাদেশের মুমিনুল হক। এ বিষয়ে কতিপয় গণমাধ্যমে মুমিনুল ৯ বছর পর টেস্টে উইকেট পেয়েছেন এবং ফেসবুকের কিছু পোস্টে তিনি ৯ বছর পর টেস্টে বোলিং করেছেন শীর্ষক দাবি করা হয়৷ তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, দাবিটি সঠিক নয়। মুমিনুল সর্বশেষ গত এপ্রিলে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে বোলিং করলেও কোনো উইকেট পাননি তিনি। টেস্টে মুমিনুল সর্বশেষ উইকেট পেয়েছেন ২০২২ সালে জানুয়ারিতে। 

প্রসঙ্গত, মুমিনুল ওডিআই ক্রিকেটে সর্বশেষ উইকেট পেয়েছেন ২০১৪ সালে, পাকিস্তানের বিপক্ষে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে মুমিনুলের কোনো উইকেট নেই। 

সুতরাং, গেল বছর টেস্টে উইকেট পেলেও মুমিনুল ৯ বছর পর টেস্টে উইকেট পেয়েছেন শীর্ষক একটি দাবি ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে, যা বিভ্রান্তিকর। 

তথ্যসূত্র

নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপি নেত্রী রুমিন ফারহানার বক্তব্য বিকৃত করা প্রচার 

সম্প্রতি, বিএনপির সাথে বেইমানী করলো রুমিন ফারহানা– শীর্ষক ক্যাপশনে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। 

ভিডিওটিতে বিএনপি’র নেত্রী রুমিন ফারহানাকে বলতে শোনা যায়, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে রফা করেছি আমাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনটা ছেড়ে দেবে। 

রুমিন ফারহানার

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু রিল ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আলোচিত ভিডিওতে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বিএনপি ছেড়ে দিয়ে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র কাছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন চাওয়া নিয়ে এই মন্তব্যটি করেননি বরং দেশটিভির “দেশ সাম্প্রতিক” একটি টকশোতে সঞ্চালকের এক প্রশ্নের জবাবে রুমিন ফারহানার করা দীর্ঘ মন্তব্যের একটি ছোট অংশ কেটে উক্ত ভিডিওটি তৈরী করা হয়েছে।

গুজবের সূত্রপাত 

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, উক্ত ভিডিওটিতে “বাংলা পলিটিক্স” লিখা একটি লোগো রয়েছে। সেই লোগো’র সূত্র ধরে Bangla Politix নামক ফেসবুক পেজটিতে গত ২৮ নভেম্বর “বিএনপির সাথে বেইমানী করলো রুমিন ফারহানা” শীর্ষক ক্যাপশনে প্রকাশিত একটি রিল ভিডিও খুঁজে (আর্কাইভ) পাওয়া যায়।

উক্ত ভিডিওটির সাথে আলোচিত ভিডিওটির হুবহু মিল খুঁজে পাওয়া যায়। 

এছাড়াও, পেজটির ক্যাটেগরি সেকশনে গিয়ে দেখা যায়, এটি একটি কমেডি পেজ। বিভিন্ন সময়ে এই পেজটি থেকে বিভিন্ন কমেডিধর্মী পোস্ট প্রচার করতে দেখা যায়।

Screenshot: Facebook 

অর্থাৎ, এই পেজটি থেকে আলোচিত ভিডিওটি ব্যাঙ্গাত্মক হিসেবে প্রথমে প্রচার হয় এবং পরবর্তীতে তা বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে।

পরবর্তীতে রুমিন ফারহানার মূল বক্তব্যটির বিষয়ে অনুসন্ধান করে রিউমর স্ক্যানার টিম। অনুসন্ধান করে বেসরকারি টেলিভিশন দেশটিভির ইউটিউব চ্যানেলে গত ২৫ নভেম্বর “বিএনপি চাইলে কি এখন নির্বাচনে আসতে পারবে?” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি টকশো খুঁজে পাওয়া যায়। 

৩৮ মিনিট ৪৫ সেকেন্ডের টকশোটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ২০ মিনিটে সঞ্চালক ‘এমন অভিযোগ তো আপনাদের বিরুদ্ধেও রয়েছে যে ২০১৮ তে আপনারা ৮০ আসন ভাগাভাগির একটি নির্বাচনে গিয়েছিলেন’ শীর্ষক একটি প্রশ্ন করেন। এই প্রশ্নের জবাবে রুমিন ফারহানা বলেন, ৮০ আসন ভাগাভাগির আপনি প্রমাণ দেন।…প্রত্যেকটা গণমাধ্যম দেখেন একদম কে কী বলছে কোট করে দিচ্ছে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি আমাকে তিনটা আসন দিতে হবে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে রশা করেছি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনটা ছেড়ে দেবে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে রশা করেছি আমাকে পাঁচটা দেওয়া হবে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি আমাদের প্রধান বিরোধী দল করতে হবে। আর কী চান?এরকম একটা নিউজ আমাদের দেখাতে পারবেন বা একটা উক্তি আমাদের নেতাদের সেই সময়কার?

অর্থাৎ, রুমিন ফারহানার এই দীর্ঘ মন্তব্যের একটি অংশ কাট করে বিকৃতভাবে প্রচার করা হচ্ছে।

মূলত, গত ২৫ নভেম্বর বেসরকারি টেলিভিশন দেশটিভির ইউটিউব চ্যানেলে “বিএনপি চাইলে কি এখন নির্বাচনে আসতে পারবে?” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি টকশোতে রুমিন ফারহানা উপস্থিত ছিলেন। সেই টকশোতে সরকারের সাথে ভাগাভাগি করে বিএনপির নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার অভিযোগ প্রসঙ্গে সঞ্চালকের করা প্রশ্নের জবাবে রুমিন ফারহানা সঞ্চালকের কাছে উক্ত দাবির প্রমাণ দিয়ে পাল্টা প্রশ্ন করেন। সম্প্রতি রুমিন ফারহানার এই পাল্টা প্রশ্ন করার একটি অংশ ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় কাট করে    “রুমিন ফারহানা বিএনপি ছেড়ে দিয়ে শেখ হাসিনা’র কাছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে নির্বাচনের কথা বলেছেন।” শীর্ষক দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। 

উল্লেখ্য, পূর্বেও বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বক্তব্য বিকৃত করে ইন্টারনেটে প্রচার করা হলে সেগুলো শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার। প্রতিবেদনগুলো দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে

সুতরাং, “বিএনপির সাথে বেইমানী করলো রুমিন ফারহান” শীর্ষক দাবিতে ইন্টারনেট প্রচারিত এই ভিডিওটি বিকৃত।

তথ্যসূত্র

বাংলাদেশি নাগরিকদের ভারতীয় ভিসা বন্ধের গুজব

0

সম্প্রতি, ‘ভারত বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা ও পাসপোর্ট বন্ধ করে দিয়েছে’ শীর্ষক দাবিতে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।

ভিসা বন্ধের

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন পেজ, গ্রুপ এবং অ্যাকাউন্ট থেকে উক্ত দাবিটি ভিডিও এবং টেক্সট আকারে প্রচারিত হয়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের  ভারতীয় ভিসা বন্ধ করা হয়নি বরং নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই ভিত্তিহীনভাবে উক্ত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে বিষয়টি যাচাইয়ে বাংলাদেশের ভারতীয় হাই কমিশনের ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। সেখানে বাংলাদেশি নাগরিকদের  জন্য ভারতীয় ভিসা বন্ধের বিষয়ে কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

Screenshot: High Commission of India, Bangladesh

তাছাড়া, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষণ করেও বাংলাদেশের নাগরিকদের ভিসা নিষেধাজ্ঞা, বন্ধ বা স্থগিতের বিষয়ে কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

Screenshot: Ministry of External Affairs India

এছাড়াও, ইন্ডিয়ান ভিসা এপ্লিকেশন সেন্টার এর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। সেখানে দেখা যায়, ভিসা আবেদন পক্রিয়া পূর্বের ন্যায় স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে। বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভারতীয় ভিসা বন্ধের কোনো তথ্য সেখানে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

Indian Visa Application Center, Bangladesh

পাশাপাশি, গণমাধ্যম কিংবা নির্ভরযোগ্য অন্যকোনো সূত্রে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভারতীয় ভিসা বন্ধ, নিষেধাজ্ঞা কিংবা স্থগিত হওয়ার তথ্য পাওয়া যায়নি।

মূলত, গত ১৯ নভেম্বর ভারতে অনুষ্ঠিত ওডিআই বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে পরাজিত হয় ভারত। সে ম্যাচে বাংলাদেশি ক্রিকেট সমর্থকদের একাংশের ভারতের পরাজয়ে উল্লাস করার বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে ভারতে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ ভারতীয়দের মধ্যে কেউ কেউ বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভারতীয় ভিসা বন্ধের দাবি জানান। পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘ভারত বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা ও পাসপোর্ট বন্ধ করে দিয়েছে’ শীর্ষক দাবিটি ছড়িয়ে পড়ে। তবে অনুসন্ধানে বিষয়টির সত্যতা পাওয়া যায়নি। এখন পর্যন্ত ভারতের পক্ষ থেকে এধরণের কোনো ঘোষণা আসেনি।

উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে ইন্টারনেটে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের নিষিদ্ধের গুজব প্রচার করা হলে বিষয়টি নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।

সুতরাং, বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভারত ভিসা ও পাসপোর্ট বন্ধ করে দিয়েছে শীর্ষক তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

  • High Commission of India, Bangladesh: https://www.hcidhaka.gov.in/
  • Ministry of External Affairs India: https://www.mea.gov.in/
  • Indian Visa Application Center, Bangladesh: https://www.ivacbd.com/
  • Rumor Scanner’s Own Analysis

ইন্ডিয়ান আইডলের মঞ্চে বাংলাদেশি যুবকের গাওয়া প্রবাসীর গানের এই ভিডিওটি এডিটেড

সম্প্রতি, ‘ইন্ডিয়ান মঞ্চে সেরা প্রবাসীর গান, আমি টাকার এক মেশিন’ শীর্ষক শিরোনামে এক যুবকের গান গাওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এবং শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকে প্রচার করা হচ্ছে।

ইন্ডিয়ান

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

টিকটকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ইন্ডিয়ান আইডলের মঞ্চে প্রবাসীদের নিয়ে উক্ত যুবকের গান গাওয়ার এই ভিডিওটি আসল নয় বরং ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। 

ভিডিওটির শুরুতেই এক যুবককে ভারতীয় এক টেলিভিশন প্রোগ্রামে মাইক্রোফোন হাতে ‘আমি টাকার এক মেশিন’ শীর্ষক গানটি গাইতে শোনা যায়। গানটি শুনে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিচারকের দায়িত্বে থাকা মঞ্চে উপস্থিত তারকাদের মুগ্ধ হতে দেখা যায়।

ভিডিওটিতে ভারতের তারকা সঙ্গীত শিল্পী হিমেশ রেশামিয়া ও নেহা কক্কর সহ বেশ কয়েকজন তারকাকে এসময় মঞ্চে দেখা যায়।

এবিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত ভিডিওটি থেকে বেশকিছু স্থিরচিত্র নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে রিউমর স্ক্যানার টিম।

আলোচিত ভিডিওটির শুরুতে ভারতীয় জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী হিমেশ রেশামিয়াকে দেখানো হয়। সে দৃশ্যের স্থিরচিত্র রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে সনি এন্টারটেইনমেন্ট’র অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ‘SET India’তে ২০২২ সালের ০১ অক্টোবর প্রকাশিত Indian Idol প্রোগ্রামের একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: YouTube

উক্ত ভিডিওর একটি দৃশ্যের সাথে আলোচিত ভিডিওটির একটি দৃশ্যের হুবহু মিল পাওয়া যায়। তবে ফেসবুকে প্রচারিত আলোচিত ভিডিওটি’তে গান গাওয়া যুবককে এই ভিডিওটিতে দেখা যায়নি।

Video Comparison by Rumor Scanner 

এছাড়াও, আলোচিত ভিডিওটির শুরুর দিকে ভারতীয় জনপ্রিয় সংঙ্গীত শিল্পী নেহা কক্করকেও দেখানো হয়। সে দৃশ্যের স্থিরচিত্র রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে সনি এন্টারটেইনমেন্ট’র অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ‘SET India’তে ২০২১ সালের ১১ জানুয়ারি প্রকাশিত Indian Idol Season 12 এর একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: YouTube

উক্ত ভিডিওর একটি দৃশ্যের সাথে আলোচিত ভিডিওটির একটি দৃশ্যের হুবহু মিল পাওয়া যায়। তবে ফেসবুকে প্রচারিত আলোচিত ভিডিওটিতে গান গাওয়া যুবককে এই ভিডিওটিতেও দেখা যায়নি।

Video Comparison by Rumor Scanner 

অর্থাৎ, আলোচিত ভিডিওটি উক্ত টেলিভিশন প্রোগ্রামের কয়েকটি দৃশ্য যুক্ত করে তৈরি করা হয়েছে।

পরবর্তীতে অধিকতর অনুসন্ধানে ভাইরাল ভিডিওটি’র নির্মাতা সবুজ খানকে খুঁজে পায় রিউমর স্ক্যানার টিম। তিনি তার ফেসবুক পেজে গত নভেম্বর ইন্ডিয়ান মঞ্চে সেরা প্রবাসীর গান।  আমি টাকার মেশিন’ শীর্ষক গানের ভিডিওটি পোস্ট করে জানান, “ভিডিওটি এডিট করা। দয়াকরে কেউ সিরিয়াসলি নিবেন না।”

Screenshot: Sobuj Khan Facebook

অর্থাৎ, উপরিউক্ত বিষয়গুলো পর্যালোচনা করলে এটা স্পষ্ট যে, আলোচিত ভিডিওটি আসল নয়।

মূলত, সবুজ খান নামের এক যুবক ইন্ডিয়ান আইডল পোগ্রামে ভারতীয় তারকাদের উপস্থিতির পুরোনো কিছু ভিডিও ক্লিক সংগ্রহ করে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় ‘প্রবাসী গান’ শীর্ষক একটি গান সম্পাদনার মাধ্যমে যুক্ত করে নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট করেন। পরবর্তীতে উক্ত ভিডিওটি ‘ইন্ডিয়ান মঞ্চে সেরা প্রবাসীর গান, আমি টাকার এক মেশিন’ শীর্ষক শিরোনামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এবং শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকে আসল ভিডিও দাবিতে ছড়িয়ে পড়ে।

উল্লেখ্য, পূর্বেও একই ব্যক্তির ইন্ডিয়ান আইডল অনুষ্ঠানের মঞ্চে মাকে নিয়ে গান গাওয়ার ভিডিও ইন্টারনেটে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে সেসময় ভিডিওটিকে এডিটেড হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।

সুতরাং, ‘ইন্ডিয়ান মঞ্চে সেরা প্রবাসীর গান, আমি টাকার এক মেশিন’ শীর্ষক ইন্টারনেটে প্রচারিত বাংলাদেশি যুবকের গান গাওয়ার ভিডিওটি এডিটেড বা বিকৃত।

তথ্যসূত্র

‘খালি মাঠে বসে আর গোল দেওয়ার সুযোগ নেই’ শীর্ষক কোনো মন্তব্য করেননি ড. ইউনূস

সম্প্রতি, “খালি মাঠে আর গোল দেওয়ার সুযোগ নেই। দেশের মানুষকে প্রস্তুত থাকতে হবে: ড. ইউনূস” শীর্ষক একটি তথ্য নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মন্তব্য দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে। 

খালি মাঠে বসে গোল

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ড. মুহাম্মদ ইউনূস ”খালি মাঠে আর গোল দেওয়ার সুযোগ নেই। দেশের মানুষকে প্রস্তুত থাকতে হবে।” শীর্ষক কোনো মন্তব্য করেননি বরং কোনো তথ্যসূত্র ছাড়াই ভিত্তিহীনভাবে উক্ত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে।

মূলত, বাংলাদেশি নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘খালি মাঠে বসে গোল আর দেওয়ার সুযোগ নেই’ শীর্ষক মন্তব্য করেছেন দাবিতে একটি তথ্য সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ কয়েক মাস ধরেই প্রচার হয়ে আসছে। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, এমন মন্তব্য ড. ইউনূস করেননি। বরং গত ০৬ জুন ‘Md jashim uddin’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে সূত্রহীনভাবে ড. ইউনূসকে উদ্ধৃত করে আলোচিত মন্তব্যটি প্রথম প্রচার করা হয় এবং পরবর্তীতে তা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে যায়। এছাড়া ইউনূস সেন্টারের সাথে যোগাযোগ করা হলে প্রতিষ্ঠাটি জানায়, এটি সম্পূর্ণ ভুয়া।  

উল্লেখ্য, পূর্বেও বিষয়টি ব্যাপকভাবে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে সেসময় বিষয়টি নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।

আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ফ্রি ৫০ জিবি ইন্টারনেট শীর্ষক অফারটি ভুয়া

সম্প্রতি, ‘আসন্ন ২০২৪ নির্বাচন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ৫০ জিবি এমবি ফ্রি’ শীর্ষক শিরোনামে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

ফ্রি ৫০ জিবি

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আসন্ন ২০২৪ নির্বাচন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ৫০ জিবি ফ্রি ইন্টারনেট অফার লিংকটি ভুয়া এবং উক্ত পদ্ধতি ব্যবহার করে ৫০ জিবি ইন্টারনেট পাওয়ার বিষয়টিও মিথ্যা।

প্রচারিত লিংকটিতে ঢুকলে প্রথমেই বিনামূল্যে ইন্টারনেট নেওয়ার জন্য একটি অপশন আসে এবং তারপর মোবাইল নাম্বার দিতে হয়। মোবাইল নাম্বার দেওয়ার পর উক্ত নাম্বারটিতে অফারটি প্রযোজ্য কিনা সেটি চেক করা হয়। 

তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা যায়, উক্ত নাম্বারের স্থানে এক ডিজিটের সংখ্যা কিংবা অপ্রাসঙ্গিক কোনো সংখ্যা প্রদান করা হলেও ওয়েবসাইটটি সেই নাম্বারের জন্যে অফারটি প্রযোজ্য বলে দেখায়।

Screenshot: freemb.elementfx.com

পরবর্তীতে এই ধাপগুলো অনুসরণ করলে ১০ মিনিটের মধ্যে ৫০ জিবি ফ্রি ইন্টারনেট অফারের কনফার্মেশন মেসেজ পাওয়া যাবে বলে ওয়েবসাইটটি জানান দেয়।

মোবাইল নাম্বার দেওয়ার পর ৫০ জিবি ইন্টারনেট ফ্রি পেতে হলে শর্ত হিসেবে এই লিংকটি ফেসবুক মেসেঞ্জারে ১২ জন বন্ধুকে শেয়ার করতে বলা হয়। এছাড়াও উক্ত বার্তার নিচে ‘নির্দেশনায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী: শেখ হাসিনা’ তথ্যটি দেখতে পাওয়া যায়।

Screenshot: freemb.elementfx.com

অনুসন্ধানের স্বার্থে রিউমর স্ক্যানার তাদের সকল নির্দেশনা অনুসরণ করেছে। কিন্তু কোনো ধরণের ইন্টারনেট অফার পাওয়া যায়নি। শেয়ারকৃত ১২ জনও সকল নির্দেশনা অনুসরণ করেছে, তবে সেই ১২ জনের কেউই ৫০ জিবির ইন্টারনেটের এই ফ্রি অফারটি পায়নি।

এছাড়াও প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে বিনামূল্যে ৫০ জিবি ইন্টারনেট প্রদানের ক্যাম্পেইনের বিষয়ে কোনো গণমাধ্যমেই কোনোপ্রকার তথ্য পাওয়া যায়নি।  

মূলত, ওয়েবসাইটটি নিজেদের প্রচারণার স্বার্থে ৫০ জিবি ইন্টারনেটের প্রলোভন দেখিয়ে এই লিংকটি ছড়াচ্ছে।

উল্লেখ্য, এ ধরণের স্ক্যাম লিংকের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়া আইডি হ্যাক, ব্যক্তিগত ডাটা চুরি ও ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে অনলাইন নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করার নজির রয়েছে।

প্রসঙ্গত, পূর্বেও রমজান উপলক্ষে ৫০ জিবি ফ্রি ইন্টারনেটের অফার, নববর্ষ উপলক্ষ্যে বিনামূল্যে ৫০ জিবি ইন্টারনেটের অফার, দারাজের নাম ব্যবহারে  ৩০ জিবি ফ্রি ইন্টারনেট এবং হোয়াটসঅ্যাপের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ৫০ জিবি ফ্রি ইন্টারনেট শীর্ষক একাধিক মিথ্যা তথ্য শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার টিম।

সুতরাং, আসন্ন ২০২৪ নির্বাচন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ৫০ জিবি ফ্রি ইন্টারনেট দেওয়া হচ্ছে দাবিতে যে অফার লিংকটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভুয়া।

তথ্যসূত্র

  • Rumor Scanner’s Own Analysis

আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে পিটার হাসের নামে ভুয়া মন্তব্য প্রচার 

সম্প্রতি, “ঢাকায় ফিরে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের চমক।  নির্বাচন হবে না বললো পিটার হাস” শীর্ষক শিরোনামে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। 

পিটার হাসের

ফেসবুকে প্রচারিত এমন একটি পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিওটি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

টিকটকে প্রচারিত এমন একটি পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে না সংক্রান্ত কোনো মন্তব্য করেননি বরং অধিক ভিউ পাবার আশায় চটকদার শিরোনাম ও থাম্বনেইল ব্যবহার করে নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এটি ভিন্ন ভিন্ন ঘটনার কয়েকটি ভিডিও ক্লিপ এবং ছবি যুক্ত করে সম্পাদনার মাধ্যমে তৈরি একটি ভিডিও প্রতিবেদন।

প্রথম ও দ্বিতীয় ভিডিও ক্লিপ যাচাই 

আলোচিত ভিডিওটির শুরুতে বাংলা ভিশন এবং চ্যানেল ২৪ এর সংবাদ পাঠের দুইটি ভিডিও ক্লিপ দেখতে পায় রিউমর স্ক্যানার টিম। উক্ত সূত্র ধরে কিওয়ার্ড সার্চ পদ্ধতিতে অনুসন্ধানে দেখা যায় আলোচিত ভিডিওতে যুক্ত দুটি ভিডিও ক্লিপই গত ২৭ নভেম্বর মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসে’র ছুটি কাটিয়ে ঢাকা ফেরা নিয়ে বাংলা ভিশন এবং চ্যানেল ২৪ এর ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত ভিডিও প্রতিবেদন থেকে নেওয়া। 

Video Comparison : Rumor Scanner 
Video Comparison : Rumor Scanner 

উক্ত দুইটি প্রতিবেদনের কোথাও মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে উদ্ধৃত করে আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে না শীর্ষক কোনো তথ্য বলা হয়নি।

তৃতীয় ভিডিও ক্লিপ যাচাই 

আলোচিত ভিডিওটির পরবর্তী অংশে অনলাইন একটিভিস্ট ডঃ ফয়জুল হকের একটি ভিডিও দেখানো হয়। কি ওয়ার্ড সার্চ পদ্ধতিতে অনুসন্ধানে গত ২৭ নভেম্বর Dr. Fayzul Huq নামক ইউটিউব চ্যানেলে “পিটার হাঁস ঢাকায়! নাকে খত আওয়ামীলীগের! পতনের ভয়ে কাপছে হাসিনা। ড.ফয়জুল হক Dr.Fayzul Huq peter haas” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একই ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়। 

Video Comparison : Rumor Scanner 

উক্ত ভিডিওটিতে তিনি পিটার হাস এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। 

ভিডিওটির কোথাও পিটার হাস নির্বাচন হবে না বলেছেন সংক্রান্ত কোনো বিষয়ের উল্লেখ পাওয়া যায়নি। 

চতুর্থ ও পঞ্চম ভিডিও ক্লিপ যাচাই 

আলোচিত ভিডিওটির পরবর্তী অংশে দেখানো ভিডিওগুলোর সূত্র ধরে অনুসন্ধানে গত ২৭ নভেম্বর 1A News এবং Voice Bangla এর ইউটিউব চ্যানেলে একই ভিডিওগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।

Video Comparison : Rumor Scanner 
Video Comparison : Rumor Scanner 

উক্ত ভিডিওগুলোতে গত ২৭ নভেম্বর বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের ঢাকা ফেরা বিষয়ক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের দেশে ফেরা বিষয়ক সংবাদ প্রতিবেদনের বিভিন্ন অংশে পড়ে শোনান চ্যানেল দুইটির উপস্থাপক যার সাথে আলোচিত দাবিটির কোনো প্রকার প্রাসঙ্গিকতা খুঁজে পায়নি রিউমর স্ক্যানার টিম।

এছাড়া, গণমাধ্যম কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কোনো গ্রহণযোগ্য সূত্রে আলোচিত দাবির বিষয়ে কেনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

মূলত, গত ১৬ নভেম্বর ছুটি কাটাতে শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। ছুটি কাটিয়ে গত ২৭ নভেম্বর ঢাকায় ফিরেছেন তিনি। এরই মধ্যে ‘ঢাকায় ফিরে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের চমক। নির্বাচন হবে না বললো পিটার হাস’ শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়। তবে ভিডিওটি নিয়ে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পিটার হাস এমন কোনো মন্তব্য করেননি। প্রকৃতপক্ষে অধিক ভিউ পাবার আশায় পিটার হাসের ছুটিয়ে কাটিয়ে দেশে ফেরার বিষয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন এবং এই বিষয় নিয়ে অনলাইন এক্টিভিস্টদের আলোচনার  কয়েকটি ভিডিও ক্লিপ  যুক্ত করে তাতে চটকদার থাম্বনেইল ও শিরোনাম ব্যবহার করে কোনোপ্রকার নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র ছাড়াই আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে। 

প্রসঙ্গত, আগামী ৭ জানুয়ারি রোববার ভোটগ্রহণের দিন রেখে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষনে এই ঘোষণা দেন তিনি।

সুতরাং, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে না শীর্ষক মন্তব্য করেছেন দাবিতে ইন্টারনেট প্রচারিত তথ্যটি মিথ্যা।

তথ্যসূত্র