Home Blog Page 373

ঈদের কেনাকাটা শেষে ফেরার পথে ছেলের সামনেই বাবাকে হত্যা করার ঘটনাটি বাংলাদেশের নয়, ভারতের 

0

সম্প্রতি, “ঈদের কেনাকাটা শেষে ফিরছিলেন ছেলের সামনেই বাবাকে কুপিয়ে হত্যা” শীর্ষক শিরোনামে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল যমুনা টেলিভিশনের একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে এই ঘটনাটি বাংলাদেশের।

ঈদের

যমুনা টেলিভিশনের ফটোকার্ড যুক্ত করে উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ঈদের কেনাকাটা শেষে ফেরার পথে ছেলের সামনেই বাবাকে হত্যা করার এই ঘটনাটি বাংলাদেশের নয় বরং ঘটনাটি ভারতের নদীয়ার নাকাশিপাড়া থানার হরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘুর্নি এলাকার। 

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত পোস্টগুলোতে ব্যবহৃত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় ফটোকার্ডটিতে বেসরকারি ইলেকট্রনিক টেলিভিশন যমুনা টেলিভিশনের লোগো রয়েছে এবং প্রচারের তারিখ হিসেবে ৪ এপ্রিল ২০২৪ এর কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

পরবর্তীতে এসব তথ্যের সূত্র ধরে ফেসবুকে ম্যানুয়ালি অনুসন্ধানের মাধ্যমে যমুনা টিভির ফেসবুক পেজে আলোচিত ফটোকার্ডটি (আর্কাইভ) খুঁজে পাওয়া যায়।  

Screenshot : Jamuna Television 

উক্ত ফটোকার্ড পোস্টের মন্তব্য ঘরে এসম্পর্কিত একটি  প্রতিবেদনের (আর্কাইভ) উল্লেখ পাওয়া যায়। 

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ভারতের নদীয়ার নাকাশিপাড়া থানার হরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘুর্নি এলাকার বাসিন্দা জাহিদুল শেখ ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত হয়েছেন। তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য সাগিরা বিবির স্বামী। গত ৩ এপ্রিল সাগিরা বিবি এবং তার স্বামী জাহিদুল শেখ তার পরিবার এবং কয়েকজন প্রতিবেশীকে নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করে বাড়ি ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে। 

এছাড়া একই বিষয়ে শিরোনামে ভারতের কথা উল্লেখ না করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দেশীয় গণমাধ্যম চ্যানেল ২৪(আর্কাইভ)।

প্রতিবেদনের শিরোনামে ঘটনাটির স্থানের নাম উল্লেখ না করায় বিষয়টি নিয়ে নেটিজেনদের মনে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। বিস্তারিত প্রতিবেদন না পড়েই তারা বিষয়টিকে বাংলাদেশের মনে করে বিভিন্ন নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। 

Image Collage : Rumor Scanner 

পরবর্তীতে বিষয়টি অধিকতর নিশ্চিতের জন্য কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম Hindustan Times এর বাংলা সংস্করণে গত ৪ এপ্রিল “ইদের বাজার করে ফেরার পথে হামলা, ৮ বছরের ছেলের সামনেই TMC কর্মীকে কুপিয়ে খুন” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়। 

অর্থাৎ, ঈদের কেনাকাটা করে ফেরার পথে ছেলের সামনেই বাবাকে হত্যার ঘটনাটি বাংলাদেশের নয়। তবে এসম্পর্কিত খবরের শিরোনামে স্থানের নাম না উল্লেখ করায় ঘটনাটি বাংলাদেশের ভেবে নেটিজেনরা বিভ্রান্ত হয়েছেন।

পাশাপাশি, মূলধারার গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্যকোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে ঈদের কেনাকাটা করে ফোরার পথে বাবার সামনেই ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা সংক্রান্ত কোনো সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি।

মূলত, ভারতের নদীয়ার নাকাশিপাড়া থানার হরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘুর্নি এলাকার বাসিন্দা জাহিদুল শেখ তার পরিবার সহ ঈদের কেনাকাটা করে বাড়ি ফেরার পথে তার ছেলের সামনেই তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। উক্ত বিষয়ে বাংলাদেশের একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত ফটোকার্ড ও গণমাধ্যমের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনের শিরোনামে ঘটনাটির স্থানের নাম উল্লেখ না করে সংবাদ প্রচার করা হয়। পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা বিষয়টিকে বাংলাদেশের ঘটনা মনে করে ফেসবুকে প্রচার করেন।

উল্লেখ্য, পূর্বেও ভারতের একাধিক ঘটনা বাংলাদেশের দাবিতে প্রচারিত হলে তা নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার। এমন কয়েকটি প্রতিবেদন দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে

সুতরাং, ভারতে ঈদের কেনাকাটা করে ফোরার পথে ছেলের সামনেই বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করার ঘটনাটি বাংলাদেশে স্থানের নাম উল্লেখ না করে ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

সাকিব-শিশির দম্পতির নতুন সন্তান হয়নি, ভাইরাল ছবিটি ২০২১ সালের 

0

সম্প্রতি, ‘সাকিবের ঘরে নতুন চাঁদের আগমন’ ক্যাপশনে সদ্য ভূমিষ্ঠ সন্তানসহ সাকিব আল হাসান ও তার স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশিরের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সম্প্রতি সাকিব-শিশির দম্পতির সন্তান হয়নি বরং প্রচারিত ছবিটি পুরোনো। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে, রিভার্স ইমেজ সার্চ করে এ সংক্রান্ত মূল ছবিটি শিশিরের ফেসবুক ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টে খুঁজে পাওয়া যায়। ২০২১ সালের ১৯ জুলাই প্রকাশিত এই পোস্টগুলো থেকে জানা যায়, সে বছরের ১৫ মার্চ তাদের তৃতীয় সন্তানের জন্ম হয়। সেই সময়েরই ছবি এটি। এই ছবিটিই সম্প্রতি করা পোস্টগুলোতে ব্যবহার করা হয়েছে। 

Screenshot collage: Rumor Scanner 

এছাড়াও, তৃতীয় সন্তানের আগমনের বিষয়ে ২০২১ সালের পহেলা জানুয়ারি,  সাকিব তার ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করেছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে সন্তান জন্মদানের কথা জানিয়ে তিনি বা শিশির কোনো পোস্ট করেননি।

মূলত, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘সাকিবের ঘরে নতুন চাঁদের আগমন’ ক্যাপশনে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও তার স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশিরের একটি ছবি ছড়িয়ে পড়েছে যাতে দাবি করা হচ্ছে, এটি সাকিবের নতুন সন্তানের ছবি। তবে রিউমর স্ক্যানার অনুসন্ধানে দেখেছে, ছবিটি ২০২১ সালে সাকিব-শিশির দম্পতির তৃতীয় সন্তান জন্মদানের সময়ের ছবি যা তারা তখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন। এছাড়াও, সাম্প্রতিক সময়ে এই দম্পতির ঘরে নতুন সন্তান জন্মের কোনো খবর মেলেনি।  

সুতরাং, সাকিব শিশির দম্পতির নতুন সন্তান হয়েছে দাবিতে ২০২১ সালের পুরোনো ছবি ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

সাভারে দুর্ঘটনায় নিহত ইকবাল কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে কোরআন রাখার ঘটনায় গ্রেপ্তার ইকবাল নন

0

২০২১ সালের অক্টোবর মাসে কুমিল্লার নানুয়াদিঘির পাড়ের পূজামণ্ডপে মুসলিম সম্প্রদায়ের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন শরিফ রাখার ঘটনায় ইকবাল হোসেন নামে এক ব্যক্তি শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সম্প্রতি সময় টিভির একটি ফটোকার্ড প্রচার করে দাবি করা হয়েছে, কুমিল্লার সেই ইকবাল হোসেন অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গিয়েছেন।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ছবি এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে কোরআন রাখার ঘটনায় গ্রেপ্তার ইকবাল হোসেন মারা যাননি বরং সাভারে তেলবাহী লরি উল্টে যশোরের ইকবাল হোসেন নামের এক ব্যক্তির মারা যাওয়ার ঘটনায় সময় টিভির ফেসবুক পেজে প্রকাশিত ফটোকার্ড ব্যবহার করে উক্ত ভুল দাবিটি প্রচার করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে উক্ত দাবিতে প্রচারিত পোস্ট গুলোর সাথে ছবিযুক্ত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। এতে বেসরকারি ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম সময় টিভি’র একটি লোগো দেখা যায়। ফটোকার্ডটি প্রকাশের তারিখ গত ৩ এপ্রিল উল্লেখ করা হয়েছে।

উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে সময় টিভির ফেসবুক পেজ বাংলার সময় এ গত ০৩ এপ্রিল “কথা ছিল ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসবেন ইকবাল হোসেন। কিন্তু সেই আসা আসবেন, তবে জীবিত নয় লা’শ হয়ে” শীর্ষক ক্যাপশনে প্রকাশিত আলোচিত ফটোকার্ডটি খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Facebook

এছাড়া পোস্টে ক্যাপশনের নিচে সংযুক্ত সময় টিভির ওয়েবসাইটে “ঈদে ইকবাল বাড়িতে আসছেন ঠিকই, তবে চিরদিনের ছুটিতে!” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Somoynews.tv

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ২ এপ্রিল সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে তেলবাহী লরি উল্টে ৫ গাড়িতে আগুনের ঘটনায় যশোরের ইকবাল হোসেন মারা যান। তিনি যশোরের চৌগাছা উপজেলার সুখপুকুরিয়া ইউনিয়নের বর্ণি গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে।

কুমিল্লায় পূজা মণ্ডপে কোরআন রাখার ঘটনায় গ্রেপ্তার ইকবাল হোসেন এখন কোথায়?

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে অনলাইন পোর্টাল বিডিনিউজ২৪ এ ২০২৩ সালের ১৪ অক্টোবর “কুমিল্লায় মণ্ডপে হামলার ২ বছর: ইকবাল ছাড়া সবাই জামিনে” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কুমিল্লার নানুয়াদিঘির পাড়ের পূজামণ্ডপে কোরআন রাখার ঘটনায় ইকবাল হোসেন এখনো কারাগারে বন্দি আছেন।

মূলত, গত ২ এপ্রিল সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে তেলবাহী লরি উল্টে ৫ গাড়িতে আগুন লাগার দুর্ঘটনায় যশোরের চৌগাছা উপজেলার সুখপুকুরিয়া ইউনিয়নের বর্ণি গ্রামের ইকবাল হোসেন নামক এক ব্যক্তি মারা যান। উক্ত ঘটনার ভিত্তিতে পরবর্তীতে বেসরকারি ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম সময় টিভিতে সংবাদ প্রতিবেদন এবং ফটোকার্ড প্রকাশিত হয়। তবে সম্প্রতি, ফেসবুকে সময় টিভির সেই ফটোকার্ডটি যুক্ত করে ২০২১ সালে কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে কোরআন শরিফ রাখার ঘটনায় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া ইকবাল হোসেন মারা গিয়েছেন দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

সুতরাং, কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে কোরআন রাখার ঘটনায় আলোচিত ইকবাল হোসেন মারা গিয়েছেন দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

+৯২ এবং +৯৯ নম্বরের ফোনকল রিসিভ করলেই ফোন হ্যাক হয়ে যাওয়ার দাবিটি মিথ্যা

সম্প্রতি, +৯২ এবং +৯৯ দিয়ে শুরু হওয়া নম্বর থেকে আসা ফোনকল রিসিভ করলেই ফোন হ্যাক হয়ে যাবে দাবিতে একটি তথ্য ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে।

উক্ত দাবিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন কালবেলা (ইউটিউব) এবং একাত্তর টিভি (ইউটিউব)।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

একই দাবিতে টিকটকে প্রচারিত কিছু ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, +৯২ এবং +৯৯ দিয়ে শুরু হওয়া নম্বর থেকে আসা ফোনকল রিসিভ করলেই ফোন হ্যাক হয়ে যাওয়ার দাবিটি সত্য নয় বরং এ প্রক্রিয়ায় ফোন হ্যাক হওয়া অসম্ভব।

বিষয়টির সত্যতা যাচাইয়ে এ বিষয়ে অনুসন্ধানে দেখা যায়, গত ৮ এপ্রিল একজন পুলিশ কর্মকর্তা তার ফেসবুক পেজে প্রচারিত একটি ভিডিওতে (আর্কাইভ) দাবি করেন, +৯২ এবং +৯৯ দিয়ে শুরু নম্বর থেকে আসা ফোনকল রিসিভ করলেই ফোন হ্যাক হয়ে যাবে।

Screenshot Source: Facebook.

অনুসন্ধানে জানা যায়, উক্ত পুলিশ কর্মকর্তার নাম জাহাঙ্গীর আলম। তিনি টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই)। ২৭ লক্ষ ফলোয়ারের ফেসবুক পেজ থেকে প্রায়ই সচেতনতা মূলক ভিডিও প্রচার করেন তিনি। উক্ত পেজেই কল রিসিভ করলেই ফোন হ্যাক হওয়া সংক্রান্ত উক্ত ভিডিওটি প্রচার করেছিলেন তিনি। যা পরবর্তীতে একাধিক গণমাধ্যমেও প্রচার করা হয়।

তবে গত ১৩ এপ্রিল একটি নতুন ভিডিওতে (আর্কাইভ) জাহাঙ্গীর আলম তার আগের ভিডিওতে দেওয়া ভুল তথ্য সম্পর্কে কথা বলেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, শুধু ফোনকল রিসিভ করলেই ফোন হ্যাক হওয়া সম্পর্কিত তার পূর্ববর্তী ভিডিওতে দেওয়া তথ্যটি ভুল ছিল। এই ভুলের কারণে তিনি তার পূর্ববর্তী ভিডিওটি অপসারণ করার সিদ্ধান্ত নেন এবং এই সিদ্ধান্তের কথা নতুন ভিডিওতে জানান।

নম্বরের শুরুতে থাকা +৯২ এবং +৯৯ সংখ্যাগুলো কি?

ফোন নম্বরের শুরুতে যোগ চিহ্ন (+) এর পরে থাকা সংখ্যাগুলো আন্তর্জাতিক ডায়ালিং কোড বা কান্ট্রি কোড নামে পরিচিত। প্রতিটি দেশের নিজস্ব একটি কান্ট্রি কোড থাকে। যেমন, বাংলাদেশের কান্ট্রি কোড হলো ৮৮০। ৯২ হলো পাকিস্তানের কান্ট্রি কোড। অন্যদিকে, ৯৯ হলো বেশ কিছু দেশের কান্ট্রি কোডের প্রথমাংশ, যেমন— ৯৯২ তাজিকিস্তানের কান্ট্রি কোড, ৯৯৩ তুর্কমেনিস্তানের কান্ট্রি কোড, এবং ৯৯৪ আজারবাইজানের কান্ট্রি কোড।

কেবল ফোন রিসিভের মাধ্যমে কি হ্যাক সম্ভব?

অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার এভিজি (AVG) এর ওয়েবসাইটে ফোন হ্যাকিং সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সাধারণ কলের মাধ্যমে ফোন হ্যাক হওয়া সম্ভব নয়।

সাইবার সিকিউরিটি সফটওয়্যার কোম্পানি অ্যাভাস্টের ওয়েবসাইটে ফোন হ্যাকিং সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তরে জানানো হয়েছে, ফোনকল সরাসরি ফোন হ্যাকের উৎস হতে পারে না। কিন্তু ফোনকল  ফিশিং আক্রমণ বা অন্যান্য প্রতারণার জন্য ব্যবহৃত হতে পারে। 

অ্যাভাস্টের ভিন্ন একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ফোনকলের মাধ্যমে সরাসরি হ্যাকিংয়ের শিকার হওয়া অসম্ভব। তবে ফোন কলের মাধ্যমে সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাটাক করা হতে পারে।

সাইবার সিকিউরিটি কোম্পানি ক্যাসপারেস্কির একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং হলো এক ধরনের প্রতারণা কৌশল যা মানুষের ভুলকে কাজে লাগিয়ে ব্যক্তিগত তথ্য প্রাপ্তি, অ্যাক্সেস লাভ, অথবা মূল্যবান সম্পদ অর্জনের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়।

অর্থাৎ, কেবল ফোনকল রিসিভের মাধ্যমে ফোন হ্যাক হওয়া অসম্ভব। তবে কলের মাধ্যমে প্রতারক ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে বিভিন্ন প্রতারণা করতে পারে।

পরবর্তীতে এসব কলের নেপথ্য জানতে অনুসন্ধানের মাধ্যমে গত ১ এপ্রিল মূলধারার সংবাদমাধ্যম ডেইলি স্টারে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সম্প্রতি বাংলাদেশে একটি নতুন ধরনের ডিজিটাল প্রতারণা ছড়িয়ে পড়েছে। এই প্রতারণায় ব্যক্তিদেরকে ইংরেজিতে চাকরির প্রস্তাব দিয়ে ফোন কল করা হয়। এই ফোনকলগুলো প্রায়শই বিদেশি নম্বর থেকে আসে এবং ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রোটোকল (VoIP) ব্যবহার করে করা হয়। চক্রগুলো সাধারণত প্রথমে অল্প পরিমাণ টাকা দিয়ে বিশ্বাস স্থাপন করে। তাদের কোম্পানিতে বিনিয়োগ করলে অতিরিক্ত সুদসহ অর্থ ফেরত দেবে, বড় অঙ্ক পাঠালে বেশি সুদ পাওয়া যাবে—এমন প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয় চক্রগুলো।

গেলো বছরের দৈব চয়ন ভিত্তিতে নভেম্বরে একই বিষয় নিয়ে একটি কেস স্টাডি প্রকাশ করেছিল রিউমর স্ক্যানার টিম। রিউমর স্ক্যানারের সেই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দৈবচয়নভিত্তিতে কোনো ব্যক্তিকে মুঠোফোনে প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা আয়ের সুযোগের কথা জানিয়ে খুদে বার্তা বা ফোনকল দেওয়া হয়৷ কেউ যদি তাতে সাড়া দেয়, তাকে কিছু টাস্ক দেওয়া হয়। টাস্ক সম্পন্ন হওয়া সাপেক্ষে প্রথমদিকে কিছু অর্থ প্রদান করা হলেও পরবর্তীতে বিনিয়োগ করতে প্রলুব্ধ করা হয় ভুক্তভোগীকে। সে ফাঁদে পা দিয়ে অর্থ খুইয়ে প্রতারিত হওয়ার প্রমাণও পেয়েছিল রিউমর স্ক্যানার টিম।

মূলত, +৯২ এবং +৯৯ দিয়ে শুরু হওয়া নম্বর থেকে আসা ফোনকল রিসিভ করলেই ফোন হ্যাক হয়ে যাবে দাবিতে একটি তথ্য ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, এই দাবিটি মিথ্যা। আসলে, ফোন নম্বরের শুরুতে থাকা ‘+’ চিহ্নের পরের সংখ্যাগুলো হলো কান্ট্রি কোড।  ৯২ হলো পাকিস্তানের কান্ট্রি কোড এবং ৯৯ হলো বেশ কিছু দেশের কান্ট্রি কোডের প্রথমাংশ। তাছাড়া কেবল একটি ফোন কল রিসিভের মাধ্যমে ফোন হ্যাক হওয়া সম্ভব নয়। তবে প্রতারকরা কলের সাহায্যে ভিক্টিমের ব্যক্তিগত তথ্য প্রতারণার উদ্দেশ্যে সংগ্রহ করতে পারে।

সুতরাং, +৯২ এবং +৯৯ দিয়ে শুরু হওয়া নম্বর থেকে আসা ফোনকল রিসিভ করলেই ফোন হ্যাক হয়ে যাওয়ার দাবিটি মিথ্যা।

তথ্যসূত্র


ঈদের সালামি চাইতে গিয়ে প্রেম ও বিয়ের দাবিতে প্রথম আলোর লোগোযুক্ত ভুয়া স্ক্রিনশট প্রচার 

0

সম্প্রতি, ‘ঈদের সালামি চাইতে গিয়ে প্রেম অত:পর বিয়ে’ শীর্ষক শিরোনামে দৈনিক প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত  প্রতিবেদনের  স্ক্রিনশট দাবিতে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে। 

ঈদের সালামি

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো তাদের ওয়েবসাইটে ‘ঈদের সালামি চাইতে গিয়ে প্রেম অত:পর বিয়ে’ শীর্ষক শিরোনামে কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। প্রকৃতপক্ষে, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে প্রথম আলোর ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনের আদলে আলোচিত স্ক্রিনশটটি তৈরি করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত স্ক্রিনশটটি পর্যালোচনা করে দেখে রিউমর স্ক্যানার টিম। এতে দেখা যায়, ‘ঈদের সালামি চাইতে গিয়ে প্রেম অত:পর বিয়ে’ শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত প্রতিবেদনটিতে প্রথম আলোর লোগোর পাশাপাশি এটি প্রকাশের তারিখ হিসেবে ১০ এপ্রিল ২০২৪ উল্লেখ করা হয়েছে।

উক্ত দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে লোগো এবং তারিখের সূত্র ধরে প্রথম আলোর ফেসবুক পেজ এবং ওয়েবসাইট অনুসন্ধান করেও গত ১০ এপ্রিল প্রকাশিত এমন কোনো প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

পরবর্তীতে একই দিনে প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে সালামি জমিয়ে একটা ক্রিকেট ব্যাট কিনেছিলাম শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের স্ক্রিনশটের সাথে আলোচিত স্ক্রিনশটটির তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম।

প্রতিবেদন দুটির স্ক্রিনশট পাশাপাশি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, দুটো প্রতিবেদনের শিরোনামের ফন্টের রঙের ভিন্নতাও লক্ষ্য করা যায়।

পরবর্তীতে আলোচিত প্রতিবেদনের প্রতিবেদক ‘তোজিস্লাম’ নামটির সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে Toji Islam নামের একটি ফেসবুক পেজে গত ১০ এপ্রিল করা সম্ভাব্য প্রথম পোস্টটি খুঁজে পাওয়া যায়। প্রথম আলোর প্রতিবেদনের আদলে তৈরি স্ক্রিনশটে থাকা প্রতিবেদকের নাম ‘তোজিস্লাম’ এর সাথে উক্ত পেজের ইংরেজি নামের মিল রয়েছে।

Screenshot: Facebook 

অর্থাৎ, প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এটি প্রতীয়মান হয় যে, Toji Islam নামের পেজটি থেকে প্রথম আলোর প্রতিবেদনের আদলে এই  স্ক্রিনশটটি তৈরি করে তা ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়।

মূলত, গত ১১ এপ্রিল ছিল মুসলিম জনগোষ্ঠীর বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। ঈদকে কেন্দ্র করে সালামি দেওয়া নেওয়া নিয়ে প্রতিবছরই তরুণ-তরুণীদের মাঝে এক উচ্ছ্বাস বিরাজ করে। মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশের সুবাদে গত কয়েকবছরে যা এক নতুন মাত্রা পেয়েছে। তরুণ সমাজে গড়ে উঠেছে সালামি চাওয়ার এক নতুন সংস্কৃতি। এরই প্রেক্ষিতে সম্প্রতি, ‘ঈদের সালামি চাইতে গিয়ে প্রেম অত:পর বিয়ে’ শীর্ষক শিরোনামে প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন দাবিতে একটি স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রথম আলো এমন কোনো সংবাদ প্রকাশ করেনি। প্রকৃতপক্ষে, Toji Islam নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় আলোচিত স্ক্রিনশটটি তৈরি করে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়।

সুতরাং, ‘ঈদের সালামি চাইতে গিয়ে প্রেম অতঃপর বিয়ে’ শীর্ষক শিরোনামে দৈনিক প্রথম আলোর সংবাদ দাবিতে  প্রচারিত স্ক্রিনশটটি ভুয়া ও বানোয়াট।

তথ্যসূত্র

সংশোধন/ Correction

২৯ জুন, ২০২৪ : বিভিন্ন ওয়েবসাইটগুলো মোবাইল ডিভাইসে ওয়েব পেজগুলোর লোডিং স্পিড বৃদ্ধি এবং ব্যবহারকারীদের উন্নত অভিজ্ঞতা প্রদানের জন্য এএমপি (AMP) সংস্করণ ব্যবহার করে। প্রথম আলোর অনেক প্রতিবেদনেও এএমপি এবং সাধারণ সংস্করণ দেখা যায়। এই প্রতিবেদনের একটি অংশে আলোচ্য স্ক্রিনশটটি এডিটেড প্রমাণ করতে গিয়ে আমরা প্রথম আলোর সাধারণ সংস্করণের প্রতিবেদনের স্ক্রিনশটের সাথে আলোচ্য স্ক্রিনশটটির পার্থক্য দেখাই। তবে আলোচ্য স্ক্রিনশটটি সাধারণ সংস্করণের প্রতিবেদনের স্ক্রিনশট এডিট করে তৈরি করা হয়নি বরং এএমপি সংস্করণের প্রতিবেদনের স্ক্রিনশট এডিট করে তৈরি করা হয়েছে। একজন সচেতন পাঠক এএমপি ভার্সনের বিষয়টি অবহিত করলে প্রতিবেদন থেকে উক্ত বিষয়টি প্রত্যাহার করা হয়।

কারামুক্ত নয়, এক মামলায় জামিন হয়েছে মামুনুল হকের 

সম্প্রতি, দীর্ঘ ৩ বছর পর ঈদের আগেই মুক্তি পেলেন মামুনুল হক আলহামদুলিল্লাহ শীর্ষক থাম্বনেইলে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিওটি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

এই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া অবধি ভিডিওটি দেখা হয়েছে ১ হাজার পাঁচশত ৬৬ বার। ভিডিওটিতে সাড়ে দুইশত ৭৬টি পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে।

একই দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসমন্ধানে জানা যায়, হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক কারামুক্তি পাননি বরং তিনি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় করা ধর্ষণ মামলায় জামিন পেয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে ভিন্ন প্রেক্ষাপটের ভিন্ন ভিডিও যুক্ত করে কোনোপ্রকার নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে উক্ত ভিডিওটির কোথাও মামুনুল হক কারামুক্তির দাবি সম্পর্কিত প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি। এমনকি ভিডিওটিতে আলোচিত দাবির সাথে প্রাসঙ্গিক কোনো তথ্যের উল্লেখ পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ ভিডিওটি’র থাম্বনেইলে প্রচারিত দাবিটির সাথে বিস্তারিত অংশের অসামঞ্জস্যতা রয়েছে।

আলোচিত ভিডিওটিতে প্রচারিত দাবির বিষয়ে আরও অনুসন্ধানে ভিডিওটিতে দেখানো ভিডিও ক্লিপগুলোর বিষয়ে আলাদাভাবে অনুসন্ধান চালায় রিউমর স্ক্যানার টিম।

ভিডিও যাচাই ০১

আলোচিত ভিডিওটিতে প্রথম দিকের ক্লিপটিতে প্রদর্শিত বেসরকারি ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া ATN News এর লোগো’র সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে ATN News এর ইউটিউব চ্যানেলে গত ৪ এপ্রিল “জামিন পেলেন মামুনুল হক, মুক্তি মিলবে কবে?” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি সংবাদ প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত ভিডিও প্রতিবেদনের একটি অংশই আলোচিত ভিডিওতে যুক্ত করা হয়েছে। 

Video Comparison: Rumor Scanner

উক্ত ভিডিও প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় করা ধর্ষণ মামলায় মামুনুল হক জামিন পেয়েছেন। গত ৪ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত জামিন মঞ্জুর করে।

তবে, এই প্রতিবেদনে দাবির বিষয়ে মামুনুল হকের কারামুক্তির বিষয়ে কোনো তথ্য উপস্থাপন লক্ষ্য করা যায়নি।

ভিডিও যাচাই ০২

আলোচিত ভিডিওটিতে প্রথম দিকের ক্লিপটিতে প্রদর্শিত অনলাইন এক্টিভিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মোস্তফা ফিরোজ’র বক্তব্যের সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে Voice Bangla এর ইউটিউব চ্যানেলে গত ৪ এপ্রিল “হঠাৎ মামুনুল হকের জামিনে যে বার্তা পাওয়া যাচ্ছে…। Mostofa Feroz I Voice Bangla” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত ভিডিওর একটি অংশই আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওতে ব্যবহার করা হয়েছে।

Video Comparison: Rumor Scanner

ভিডিও থেকে জানা যায়, সেদিন তিনি গত ৪ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে সোনারগাঁ থানায় করা ধর্ষণ মামলায়  মামুনুল হক জামিন পাওয়া নিয়ে আলোচনা করেন। 

এই ঘটনার সাথেও আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর কোনো সম্পর্ক নেই।

অনুসন্ধানে গত ৪ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে সোনারগাঁ থানায় করা ধর্ষণ মামলায় মামুনুল হকের জামিন হওয়া নিয়ে দেশের একাধিক গণমাধ্যমে (, , ) সংবাদ প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। তবে কোন প্রতিবেদনে উক্ত মামলায় কারামুক্তির বিষয়ে কোনো তথ্য জানা যায়নি। বরং তার বিরুদ্ধে আরও মামলা থাকায় তিনি এ মামলায় জামিন পেলেও কারামুক্তি পাচ্ছেন না বলে জানানো হয়েছে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে। 

মূলত, গত ৪ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে সোনারগাঁ থানায় করা ধর্ষণ মামলায় হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্মমহাসচিব মামুনুল হক জামিন পান। এই তথ্যের ভিত্তিতে দেশের বেসরকারি ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এটিএন নিউজ একটি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এছাড়া একই তথ্যের ভিত্তিতে অনলাইন এক্টিভিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মোস্তফা ফিরোজ তার ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও প্রকাশ করে। সম্প্রতি, এই দুইটি ভিডিও ফুটেজ একত্রে যুক্ত করে মামুনুল হক জামিনে কারামুক্তি পেয়েছেন দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় করা ধর্ষণ মামলায় মামুনুল হক জামিন পেয়েছেন, কারামুক্তি পাননি।

সুতরাং, ভিন্ন ভিন্ন প্রেক্ষাপটের ভিডিও ফুটেজ যুক্ত করে হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্মমহাসচিব মামুনুল হক জামিনে কারামুক্তি পেয়েছেন দাবিতে ইন্টারনেটে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে দেয়ালিকায় ‘শেখ হাসিনা ভোট চোর’ শীর্ষক লেখাটি এডিটেড 

0

সম্প্রতি, “শেখ হাসিনা ভোট চোর” শীর্ষক লেখা সম্বলিত একটি দেয়ালিকার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। 

পহেলা বৈশাখ

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ছবিতে থাকা দেয়ালে শেখ হাসিনা ভোট চোর শীর্ষক লেখা নেই বরং ‘চৈত্র সংক্রান্তি’ লেখা সম্বলিত একটি দেয়ালিকার ছবিকে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে আলোচিত ছবিটি তৈরি করা হয়েছে। 

মূলত, পহেলা বৈশাখের আগের দিন চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে দেশজুড়ে নানা অনুষ্ঠান-উৎসবের আয়োজন করা হয়ে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় উক্ত উৎসবকে কেন্দ্র করে ২০১৭ সালের পহেলা বৈশাখের আগের দিন ‘চৈত্র সংক্রান্তি’ লেখা সম্বলিত একটি দেয়ালিকার ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। পরবর্তীতে উক্ত ছবিটিকেই ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে ‘শেখ হাসিনা ভোট চোর’ শীর্ষক লোখা যুক্ত করে প্রচার করা হয়েছে। 

উল্লেখ্য, পূর্বেও একই দাবিতে ছবিটি ইন্টারনেটে প্রচার করা হলে সেসময় বিষয়টি নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার। 

ইসরায়েলে ইরানের ড্রোন হামলার দৃশ্য দাবিতে পুরোনো ভিডিও প্রচার

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানের দূতাবাসের নিকটে ইসরায়েলের হামলায় ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের একজন সিনিয়র কমান্ডার ও ছয় কর্মকর্তা নিহত হলে এই হামলার প্রতিবাদে গত ১৩ এপ্রিল রাতে ইসরায়েলে কয়েকশ ড্রোন ও মিসাইল হামলা চালায় ইরান। এরই প্রেক্ষিতে ইরান কর্তৃক ইসরায়েলে ড্রোন ও মিসাইল হামলার ভিডিও দাবিতে একটি ভিডিও গণমাধ্যমসহ ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে গণমাধ্যমে প্রচারিত ভিডিও দেখুন কালবেলা (ফেসবুক)।

ফেসবুকে উক্ত দাবিতে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

একই দাবিতে গণমাধ্যমের ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারিত ভিডিও দেখুন কালবেলা

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি ইরান কর্তৃক ইসরায়েলে ড্রোন হামলার নয় বরং ভিডিওটি পুরোনো এবং ভিন্ন ঘটনার।

ভিডিওটির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে world weapons নামক ইউটিউব চ্যানেলে ২০১৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি “Night volley of Russian MLRS “Grad”. Fire!!!” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও (আর্কাইভ) খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়।

Video Comparison: Rumor Scanner

ভিডিওটি বিস্তারিত বিবরণীতে দাবি করা হচ্ছে, এটি রাশিয়ার মিলিটারি বাহিনীর রাতে ফায়ারিং এর ভিডিও।

পরবর্তীতে coud.com ওয়েবসাইটে Slava Bodarev অ্যাকাউন্ট থেকে ২০১৫ সালের ১৬ ডিসেম্বরে রাশিয়ান ভাষায় প্রকাশিত একটি ভিডিও (আর্কাইভ) ফুটেজে আলোচিত দৃশ্যটি খুঁজে পাওয়া যায়। তবে ভিডিওটির দৃশ্যধারণের সঠিক স্থান সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।

Screenshot: coud.com

আরো অনুসন্ধানে ২০১৪ সালের নভেম্বরেও একই ভিডিও ইন্টারনেটে পাওয়া যায়। দেখুন এখানে। 

অর্থাৎ, ভিডিওটির প্রকৃত ঘটনা ও স্থান সম্পর্কে নিশ্চিত কোনো তথ্য জানা না গেলেও এটি নিশ্চিত যে ভিডিওটি সম্প্রতি ইরান কর্তৃক ইসরায়েলে ড্রোন হামলার নয়।

মূলত, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলি হামলার জবাবে ১৩ এপ্রিল ইরান নিজেদের ভূখন্ড থেকে সরাসরি ইসরায়েলে ড্রোন ও মিসাইল দিয়ে হামলা চালায়। সম্প্রতি, এই হামলার দৃশ্য দাবিতে একটি ভিডিও গণমাধ্যমসহ ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আলোচিত ভিডিওটি উক্ত ঘটনার নয়। প্রকৃতপক্ষে ভিডিওটি অন্তত ২০১৪ সাল থেকেই ইন্টারনেটে বিদ্যমান।

সুতরাং, ইন্টারনেটে বিদ্যমান পুরোনো ভিডিওকে গত ১৩ এপ্রিল ইরান কর্তৃক ইসরায়েলে ড্রোন হামলার দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

২০৩০ সালে তিনটি ঈদ অনুষ্ঠিত হওয়ার দাবিটি গুজব

সম্প্রতি, ২০৩০ সালে তিনটি ঈদ অনুষ্ঠিত হবে দাবিতে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে। 

তিনটি ঈদ

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

একই দাবিতে ২০২২ সালে গণমাধ্যমে প্রচারিত এমন কিছু প্রতিবেদন দেখুন সোনালী নিউজ , বাংলাভিশন

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০৩০ সালে দুইবার রমজান মাসের আগমন ঘটলেও মূলত পূর্ণ রমজান আসবে একবারই এবং ২০৩০ সালে ঈদ তিনটি নয় বরং ২টি ঈদ-ই অনুষ্ঠিত হবে। 

মূলত, হিজরি ক্যালেন্ডার চন্দ্রমাস এবং প্রচলিত গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার সৌরমাসের ভিত্তিতে হওয়ায় হিজরি ক্যালেন্ডারে ৩৫৪ দিনে বর্ষপূর্তি হয় এবং গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে বছর পূরণ হয় ৩৬৫ বা ৩৬৬ দিনে। অর্থাৎ প্রতিবছর ১০ বা ১১ দিনের তফাৎ থেকে যায়। এই পার্থক্যের কারণে ২০৩০ সালে এক বছরে দুইবার রামজান মাসের আগমন ঘটবে। যার একটি ওই বছরের ৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ফেব্রুয়ারি ৩ তারিখে শেষ হবে। একই বছরের ২৬ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপর রমজান মাসের ৬ দিন পাওয়া যাবে। অর্থাৎ, ২০৩০ সালে একই বছরে দুইবার রমজান আসলেও পূর্ণ রমজান আসবে একবারই। তাই ঈদুল ফিতর মূলত সেবছর একবারই আসবে, অন্যটি ২০৩১ সালে অনুষ্ঠিত হবে। গ্লোবাল ইসলামিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২০৩৩ সালে দুইবার পূর্ণ রমজান মাস আসায় সে বছর দুইবার ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হবে, যার ফলে ২০৩৩ সালে তিনটি ঈদ অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ্য, পূর্বেও একই দাবিটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে সেসময় দাবিটিকে মিথ্যা হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।

ইসরায়েলে ইরানের হামলার খবরে আল আকসায় ফিলিস্তিনিদের উল্লাসের দাবিতে পুরোনো ভিডিও প্রচার

সিরিয়ায় ইরানের দূতাবাসের নিকটে ইসরায়েলের হামলায় ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের একজন সিনিয়র কমান্ডার ও ছয় কর্মকর্তা নিহত হলে এই হামলার প্রতিবাদে গত ১৩ এপ্রিল রাতে ইসরায়েলে ইরানের কয়েকশ ড্রোন ও মিসাইল হামলা চালায় ইরান। এর প্রেক্ষিতে ইরান কর্তৃক ইসরায়েলে হামলা করার খবর শুনে আল-আকসা মসজিদের প্রাঙ্গণে ফিলিস্তিনিদের আনন্দ করছে দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

ইসরায়েলে

ফেসবুকে উক্ত দাবিতে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ইরান কর্তৃক ইসরায়েলে হামলার খবর শুনে আল-আকসা মসজিদের প্রাঙ্গণে ফিলিস্তিনিদের আনন্দ করছে দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি উক্ত ঘটনার নয় বরং ভিডিওটি পুরোনো এবং ভিন্ন ঘটনার।

ভিডিওটির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে gokyuzundeki.gizem নামক ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে গত ৬ এপ্রিলে প্রকাশিত একই ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

Video Comparison: Rumor Scanner

ভিডিওর ক্যাপশনে উক্ত দৃশ্যের বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ পাওয়া যায়নি। 

আরো অনুসন্ধান করে نير حسون Nir Hasson ניר חסון নামের একটি এক্স অ্যাকাউন্টে গত ৫ এপ্রিলে ভিন্ন দিক থেকে তোলা একই মূহুর্তের ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: X

এই ভিডিও থেকে জানা যায়, এটি গত রমজান মাসের শেষ শুক্রবারের নামাজ ও শবে কদর রাতের সময়ে ধারণ করা।

মূলত, গত ৫ এপ্রিলে ফিলিস্তিনের আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে রমজান মাসের শেষ শুক্রবারের ও শবে কদর রাতে মুসল্লিদের ধ্বনিতে মুখরিত হয়। সম্প্রতি সেই মূহুর্তে ধারণ করা একটি ভিডিও ইরান কর্তৃক ইসরায়েলে ড্রোন হামলা করার খবর শুনে আল-আকসা মসজিদের প্রাঙ্গণে ফিলিস্তিনিদের আনন্দ করছে দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

সুতরাং, আল-আকসায় মুসল্লিদের ভিন্ন ও পুরোনো ঘটনার একটি ভিডিওকে ইসরায়েলে ইরানের ড্রোন হামলা করার খবর শুনে ফিলিস্তিনিরা আনন্দ করছে দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

  • gokyuzundeki.gizem – Instagram Post
  • نير حسون Nir Hasson ניר חסון – X Post 
  • Rumor Scanner’s own analysis