Home Blog Page 374

ইসরায়েলে ইরানের হামলার দৃশ্য দাবিতে প্রচারিত এই ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি

0

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের একটি কনস্যুলার ভবনে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই হামলায় ইরানের জ্যেষ্ঠ কয়েকজন সামরিক কমান্ডার নিহত হন। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে গত ১৩ এপ্রিল ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ড্রোন ও মিসাইল হামলা চালিয়েছে ইরান৷ ইরান এই হামলার নাম দিয়েছে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ’।

উক্ত হামলার দৃশ্য দাবিতে ড্রোন হামলায় ধ্বংসপ্রাপ্ত ঘরবাড়ির একটি ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

টিকটকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ড্রোন হামলায় ধ্বংসপ্রাপ্ত ঘরবাড়ির আলোচ্য ছবিটি গত ১৩ এপ্রিল ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ইরানের করা ড্রোন ও মিসাইল হামলার দৃশ্য নয় বরং উক্ত ছবিটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি।

আলোচ্য ছবির বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে ভাইরাল ছবিটির বাম সাইডে আরবি ভাষার একটি লোগো লক্ষ্য করে রিউমর স্ক্যানার টিম। লোগোটির সূত্রে إيران بالعربية (Iran In Arabic) নামের একটি এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্ট খুঁজে পাওয়া যায়। গত ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাত ২টা ৪৮ মিনিটে এই অ্যাকাউন্ট থেকে ভাইরাল এই ছবিটি (আর্কাইভ) পোস্ট করা হয়। ছবিটির ক্যাপশনে সূরা হুদের ৮২নং আয়াত লেখা হয়েছে। যার বাংলা অনুবাদ, “অতঃপর যখন আমার আদেশ এসে গেল, তখন আমি জনপদের উপরকে নীচে উল্টে দিলাম এবং ক্রমাগত পোড়ামাটির পাথর বর্ষণ করলাম।”

উক্ত পোস্টটির ক্যাপশন কিংবা রিপ্লাইয়ে ছবিটি সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে এই ছবিটি সম্পর্কে জানতে Iran In Arabic এর সাথে যোগাযোগ করে রিউমর স্ক্যানার টিম, তবে প্রতিবেদনটি প্রকাশ অবধি কোনো প্রত্যুত্তর পাওয়া যায়নি। 

তবে একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সূত্রে (,,) জানা যায়, ইসরায়েলের ওপর ইরানের হামলার ঘটনা রাতে ঘটেছে। কিন্তু ভাইরাল ছবিটিতে দিনের দৃশ্য দেখা যাচ্ছে।

গতকাল ১৪ এপ্রিল ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ইসরায়েলের এক সামরিক মুখপাত্র জানিয়েছেন গত ১৩ এপ্রিল ইরানের হামলায় মোট ৩৬০টি গোলাবারুদ নিক্ষেপ করা হয়েছিল, যার মধ্যে ছিল ১৭০টি বিস্ফোরক ড্রোন, ৩০টি ক্রুজ মিসাইল এবং ১২০টি ব্যালিস্টিক মিসাইল।

ইরানের ছোড়া ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের ৯৯ শতাংশই প্রতিরোধ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েল। তবে একটি সামরিক ঘাঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা স্বীকার করেছে তারা। এছাড়া দক্ষিণের আরাদ অঞ্চলে ধ্বংসাবশেষ থেকে ছিটকে আসা স্প্লিন্টারে এক ১০ বছর বয়সী মেয়ে গুরুতরভাবে আহত হওয়ার ঘটনার কথাও জানিয়েছে ইসরায়েল।

এছাড়া ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান বলেছেন, ইরান কেবল ইসরায়েলের সামরিক স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। কোনো বেসামরিক বা অর্থনৈতিক স্থান লক্ষ্য করে তারা হামলা চালায়নি।

তাছাড়া বিশ্বস্ত কোনো সূত্রেও আলোচ্য ছবির মতো ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের তথ্য পাওয়া যায়নি। 

এদিকে ‘AI or Not’ এবং ‘Hive Moderation’ নামের দুটি এআই শনাক্তকারী ওয়েবসাইটে উক্ত ছবিটি যাচাই করে দেখা যায় এটি এআইয়ের সাহায্যে তৈরি।

Screenshot: AI or Not & Hive Moderation.

মূলত, ইরানের একটি কনস্যুলার ভবনে ইসরায়েলের হামলার জবাবে গত ১৩ এপ্রিল ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ড্রোন ও মিসাইল হামলা চালিয়েছে ইরান৷ এই হামলার দৃশ্য দাবিতে ড্রোন হামলায় ধ্বংসপ্রাপ্ত ঘরবাড়ির একটি ছবি ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ভাইরাল এই ছবিটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি। বিশ্বস্ত কোনো সূত্রে আলোচ্য ছবির মতো ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের তথ্য পাওয়া যায়নি। তাছাড়া ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন ইরান কেবল ইসরায়েলের সামরিক স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে, কোনো বেসামরিক বা অর্থনৈতিক স্থান তাদের হামলার লক্ষ্য ছিল না।

সুতরাং, এআই দিয়ে তৈরি একটি ছবিকে গত ১৩ এপ্রিল ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ইরানের করা ড্রোন ও মিসাইল হামলার বাস্তব দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

২০২২ সালে বিশ্বে প্রতিদিন ১০০ কোটি টন খাদ্যের অপচয় শীর্ষক ভুল তথ্য গণমাধ্যমে

গত ২৭ মার্চ জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি (ইউএনইপি) তাদের খাদ্য অপচয় সূচক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এই প্রতিবেদনের বরাতে দেশের একাধিক গণমাধ্যমের সংবাদে দাবি করা হয়, ২০২২ সালের হিসাব অনুযায়ী বিশ্বে প্রতিদিন ১০০ কোটি টন খাদ্যের অপচয় হয়েছে।

খাদ্যের অপচয়

উক্ত দাবিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন সময় টিভি, ডিবিসি নিউজ, নিউজ২৪, চ্যানেল২৪, ভোরের কাগজ, সমকাল, জনকণ্ঠ, আরটিভি, ইনকিলাব, দেশ টিভি, দীপ্ত টিভি (ইউটিউব), বাংলাদেশ প্রতিদিন, যায়যায়দিন, প্রতিদিনের সংবাদ, দেশ রূপান্তর, মানবকণ্ঠ, ডেইলি বাংলাদেশ, অর্থসংবাদ, দৈনিক করতোয়া, বিজনেস বাংলাদেশ, সাম্প্রতিক দেশকাল, নতুন সময়, ঢাকা পোস্ট, ঢাকা প্রকাশ, জাগোনিউজ২৪, গণমুক্তি, বিবার্তা২৪, এবিনিউজ২৪, একুশে সংবাদ, আমার সংবাদ, ঢাকা রিপোর্ট২৪, জনমত, মত ও পথ, স্বাধীন আলো, দৈনিক শিক্ষা, বাংলা ইনসাইডার, জুম বাংলা, বাংলাদেশ টাইমস, স্বদেশ প্রতিদিন, আপন দেশ, তরঙ্গ নিউজ, বাঙ্গি নিউজ, লাইভ২৪বাংলা নিউজপেপার।  

একই দাবিতে গণমাধ্যমের ফেসবুক পেজসহ ফেসবুকের আরো কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, জাতিসংঘ ২০২২ সালে বিশ্বে প্রতিদিন ১০০ কোটি টন খাদ্য নষ্ট হয়েছে জানিয়ে কোনও রিপোর্ট প্রকাশ করেনি বরং তাদের প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিশ্বে প্রতিদিন ১০০ কোটি জনের খাদ্য নষ্ট হয়েছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ২৭ মার্চ প্রকাশিত জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচীর এ সংক্রান্ত প্রেস রিলিজ থেকে জানা যাচ্ছে, ২০২২ সালে বিশ্বে দৈনিক ১০০ কোটি জনের মিল বা খাবার নষ্ট করা হয়েছে। সে বছরের পুরোটা সময় প্রায় ১০৫ কোটি টন খাবার নষ্ট হয়েছে। 

এ সংক্রান্ত মূল রিপোর্টেও একই তথ্য উল্লেখ পাওয়া যায়।  

Screenshot: UNEP Report 

খাবার অপচয়ের এই চিত্রকে ‘বৈশ্বিক ট্র্যাজেডি’ হিসেবে ফুড ওয়েস্ট ইনডেক্স শীর্ষক এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়, বিশ্বের প্রায় ৭৮ কোটির বেশি মানুষ যখন না খেয়ে আছে, তখন শত কোটি টন খাবার ময়লার ঝুড়িতে ফেলা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক একাধিক গণমাধ্যমের খবরেও একই তথ্য এসেছে। দেখুন আল জাজিরা, সিএনএন, চায়না ডেইলি।

মূলত, গত ২৭ মার্চ জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি (UNEP) তাদের খাদ্য অপচয় সূচক প্রতিবেদন প্রকাশ করে জানায়, ২০২২ সালে বিশ্বে প্রতিদিন ১০০ কোটি জনের খাদ্য নষ্ট হয়েছে। তবে দেশের একাধিক গণমাধ্যমের সংবাদে দাবি করা হয়, সে বছর বিশ্বে প্রতিদিন ১০০ কোটি টন খাদ্যের অপচয় হয়। প্রকৃতপক্ষে, সে বছরের পুরোটা সময় প্রায় ১০৫ কোটি টন খাবার নষ্ট হয়েছে। 

সুতরাং, জাতিসংঘের সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে ২০২২ সালে বিশ্বে প্রতিদিন ১০০ কোটি জনের খাদ্য নষ্ট হওয়ার তথ্যকে গণমাধ্যমে বিশ্বে প্রতিদিন ১০০ কোটি টন খাদ্য নষ্ট হয়েছে দাবিতে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।  

তথ্যসূত্র 

পানিতে ডুবে বাবা-মেয়ের মৃত্যুর দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি বানোয়াট

0

সম্প্রতি, নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও মেয়েকে বুক থেকে ছাড়েননি বাবা, পানিতে ডুবে দুজনই একসাথে মারা গিয়েছে শীর্ষক দাবিতে একটি ছবি ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।


ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ),  এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, পানিতে ডুবে বাবা মেয়ের মারা যাওয়ার দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে, উক্ত দুর্ঘটনায় মেয়ে বুলবুলিসহ একই পরিবারের ৮ জন মারা গেলেও মেয়ের বাবা রতন মারা যাননি।

মূলত, ২০২০ সালের ১৮ আগস্ট আত্মীয়ের জানাজায় অংশগ্রহণ করতে গিয়ে ময়মনসিংহের ফুলপুরে মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে শিশুসহ একই পরিবারের ৮ জন নিহত হয়। এর প্রেক্ষিতে সম্প্রতি,”‘মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও আদরের মেয়েকে বুক থেকে ছাড়েননি এই বাবা, পানিতে ডুবে মৃত্যু হয় দুই জনেরই।’ শীর্ষক দাবিতে  একটি ছবি ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে। তবে অনুসন্ধানে জানা যায়, মাইক্রোবাস পুকুরে পড়ে আলোচিত ছবিটির মেয়ে বুলবলিসহ পরিবারের ৮ সদস্য মারা গেলেও তার বাবা রতন ঐ দুর্ঘটনায় মারা যাননি। 

উল্লেখ্য, পূর্বেও একই দাবিটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে  সেসময় দাবিটিকে মিথ্যা হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।

শিশুর সাথে চিতাবাঘের এই ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি

0

সম্প্রতি, এটা হলিউডের কোন এনিমেশন না, এটা বাস্তব,চিতাবাঘের সাথে পাকিস্তানের গুলমিনা৷ বিড়াল ভেবে বড় করে এখন তার পোষ্য হয়ে গেছে৷ চিতাবাঘ নাকি ছবি তুলতে খুব পছন্দ করে৷ শীর্ষক দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ছবি প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত কিছু ছবি দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

চিতাবাঘের

এছাড়া ছবিটি বাস্তব কিনা সে বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেও একাধিক ফেসবুক পোস্ট করা হয়েছে। এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, শিশুর সাথে চিতাবাঘের এই ছবিটি বাস্তব নয় বরং ছবিটি আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে babrak নামক একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে গত ২৪ মার্চে করা একটি পোস্টে (আর্কাইভ) আলোচ্য ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Instagram

এই ছবিটির বিষয়ে উক্ত পোস্টে একজন ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী জিজ্ঞাসা করলে পোস্টদাতা জানান, এই ছবিটি তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে ছবি তৈরির টুলস মিডজার্নি দিয়ে তৈরি করেছেন।

Screenshot: Instagram

এছাড়া, সম্প্রতি তিনি তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি স্টোরি পোস্ট করে এই ছবির বিষয়ে বলেন, ‘মানুষেরা জানেনা যে এটি বাস্তব কিংবা সিজিআই (কম্পিউটার জেনারেটেড ইমাজিনারি) কিনা।”

সেই স্টোরিতে তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে ছবি তৈরির টুলস #midjourney উল্লেখ করে নির্ভুল ও সুন্দর ভাবে কাজ করার জন্য @nvidia (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন কম্পিউটার প্রোগ্রামিং) কে ধন্যবাদ জানান।

Screenshot: Instagram

পরবর্তীতে উক্ত ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টটি পর্যবেক্ষণ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা তৈরি আরও বহু ডিজিটাল আর্টওয়ার্কের সন্ধান পায় রিউমর স্ক্যানার টিম।

Screenshot: Instagram

যা থেকে স্পষ্টতই প্রতীয়মান হয় যে, উক্ত ফেসবুক ব্যবহারকারী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে ডিজিটাল আর্টওয়ার্ক তৈরি করে থাকেন।

মূলত, গত ২৪ মার্চ babrak নামের একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে ছবি তৈরির টুল মিডজার্নি ব্যবহার করে তৈরি এক শিশুর সাথে চিতাবাঘের একটি ছবি প্রকাশ করা হয়। পরবর্তীতে উক্ত ছবিটিই বাস্তব ছবি দাবিতে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে।

উল্লেখ্য, পূর্বেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা তৈরি কলার ছবিকে বাস্তব দাবিতে প্রচার করা হলে সে বিষয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার। 

সুতরাং, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে তৈরি শিশুর সাথে চিতাবাঘের ছবিকে বাস্তব ছবি দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

এটি ইরানের ভয়ে ইসরায়েলিদের দেশ ছেড়ে পালানোর ভিডিও নয় 

সিরিয়ার ইরানের কনস্যুলেট ভবনে ইসরায়েলের হামলায় শীর্ষস্থানীয় কমান্ডার নিহত হওয়ার পর থেকেই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধের হুমকি দিয়ে আসছিল ইরান। গত ১৩ এপ্রিল ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার মধ্যে দিয়ে সেই হুমকি বাস্তবে রূপ নিয়েছে। এরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, ইরানের হামলার ভয়ে ইসরায়েলিরা দেশ ছাড়ছে। 

ইরানে

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি ইরানের ভয়ে ইসরায়েলিদের দেশ ছাড়ার নয় বরং ২০১৮ সালে রোমের একটি মেট্রো স্টেশনে এস্কেলেটরের নিয়ন্ত্রন হারিয়ে সিড়ি ভেঙ্গে যাওয়ার ঘটনায় লোকজনের নিচের দিকে পড়ে যাওয়ার সময়কার ভিডিওকেই আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে। 

আলোচিত ভিডিওটির বিষয়ে অনুসন্ধানে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি’র ওয়েবসাইটে ২০১৮ সালের ২৮ অক্টোবর “Russian fans injured as Rome metro escalator gives way” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনে যুক্ত ভিডিওটির সাথে আলোচিত ভিডিওটির মিল খুঁজে পাওয়া যায়। 

Video Comparison : Rumor Scanner 

উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, রোমের একটি মেট্রো স্টেশনে এস্কেলেটর নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় সিড়ি ভেঙ্গে লোকজন নিচের দিকে গড়িয়ে ২০ জনেরও অধিক আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে অনেকেই রাশিয়ান ফুটবল দল সিএসকেএ মস্কোর ভক্ত। 

অর্থাৎ ভিডিওটি ইসরায়েলিদের দেশ ছাড়ার নয়। 

মূলত, ২০১৮ সালে রোমের একটি মেট্রো স্টেশনের এস্কেলেটর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সিড়ি ভেঙ্গে যায়। যার ফলে এতে থাকা লোকজন নিচের দিকে পড়তে থাকে। উক্ত ঘটনার একটি ভিডিও সম্প্রতি ইরান কর্তৃক ইসরায়েলে হামলার ঘটনায় ‘ইরানের ভয়ে ইসরায়েলিরা দেশ ছাড়ছে’ দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে। 

সুতরাং, ইরানের ভয়ে ইসরায়েলিদের দেশ ছাড়ার দাবিতে ইন্টারনেটে পুরোনো ও ভিন্ন ঘটনার ভিডিও প্রচার করা হচ্ছে ; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

ইসলামী ছাত্রশিবির নিয়ে ভাইরাল এই মন্তব্যটি মারজুক রাসেলের নয়

0

সম্প্রতি, অভিনেতা মারজুক রাসেল “উচিত কথা বললে শিবির ট্যাগ দেওয়া হয়। তাহলে কি বাংলাদেশে শিবির যারা করে তারাই শুধু উচিত কথা বলে?” শীর্ষক মন্তব্য করেছেন দাবিতে একটি তথ্য ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে।

আলোচিত পোস্টটিতে যা আছে

উক্ত পোস্টগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, Marzuk Russell নামের একটি পেজের একটি পোস্টে করা মন্তব্যকে উক্ত তথ্যের সূত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। Marzuk Russell নামের সেই ফেসবুক পেজের একটি পোস্টে পোস্টদাতা নিজেই কমেন্ট বক্সে লিখেন “উচিত কথা বললে শিবির ট্যাগ দেওয়া হয়। তাহলে কি বাংলাদেশে শিবির যারা করে তারাই শুধু উচিত কথা বলে?”

মারজুক

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে(আর্কাইভ), এখানে(আর্কাইভ), এখানে(আর্কাইভ), এখানে(আর্কাইভ), এখানে(আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, শিবির নিয়ে করা আলোচিত এই পোস্টটি অভিনেতা মারজুক রাসেলের নয় বরং তার নামে পরিচালিত একটি ফ্যান পেজের মন্তব্য ঘর থেকে আলোচ্য ভুল দাবিটির সূত্রপাত হয়েছে। 

অনুসন্ধানের শুরুতে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে Marzuk Russell নামের ফেসবুক পেজটিতে পোস্ট (আর্কাইভ) খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত পোস্টের কমেন্ট সেকশনে পোস্টদাতা লেখেন, “উচিত কথা বললে শিবির ট্যাগ দেওয়া হয়। তাহলে কি বাংলাদেশে শিবির যারা করে তারাই শুধু উচিত কথা বলে?”

Screenshot Source: Facebook

উক্ত পেজটির বায়ো এবং ডিটেইলস সেকশনে গিয়ে দেখা যায়, এটি একটি ফ্যান পেজ।

Screenshot Source: Facebook

পরবর্তীতে কি-ওয়ার্ড সার্চ করে Marzuk Russell নামের ভিন্ন একটি পেজ খুঁজে পাওয়া যায়। পেজটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় এটিতে মোট ১৮ হাজারেরও বেশি লাইক এবং ১ লক্ষ ১২ হাজারেরও অধিক ফলোয়ার রয়েছে। এছাড়া, পেজটিতে গত ১৬ জানুয়ারি প্রকাশিত একটি লাইভ ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। 

ভিডিওটি অভিনেতা মারজুক রাসেলের একটি লাইভ ভিডিও। লাইভে এসে মারজুক রাসেল জানান, উক্ত পেজটি তার নিজের। এছাড়াও তিনি জানান, “দীর্ঘদিন ধরে লক্ষ্য করছি আমার নাম ও ছবি ব্যবহার করে কতগুলো জনপ্রিয় ফ্যানপেজ বিভিন্ন ব্যক্তি, সংগঠন এবং সংস্থাকে উদ্দেশ্য করে তাদের নিজস্ব মতামত প্রচার করছে। যার কারণে সাধারণ মানুষজন বিভ্রান্ত হচ্ছেন। দীর্ঘদিন আমার কোনো পেজ ছিল না। তবে ’ত্যালফ্যাল ছাড়া যে রান্ধে’, ‘পাশা ভাই’ এমন বিষয়ভিত্তিক কয়েকটি অনিয়মিত পেজ ছাড়া ফেসবুকে আর কোনো সক্রিয়তা ছিলো না। তবে তিনি এই পেজ খুলে লাইভ করে এটি তার অফিসিয়াল পেজ বলে জানান। পাশাপাশি তিনি তার নামে চালানো অন্য পেজের বিষয়ে সাইবার সিকিউরিটি বিভাগে মৌখিক ভাবে বলে রেখেছেন বলে জানান।

অর্থাৎ, Marzuk Russell নামের যে ফেসবুক পেজকে সূত্র উল্লেখ করে আলোচিত মন্তব্যটি ছড়ানো হচ্ছে সেই পেজটি অভিনেতা মারজুক রাসেলের নয়।

পরবর্তীতে, ২০২৩ সালের ১৭ অক্টোবর Lylah নামের একটি ফেসবুক পেজে হুবহু একই ক্যাপশনের একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। কিন্তু উক্ত পোস্টের ক্যাপশনে মন্তব্যটি মারজুক রাসেলের- এমন কোনো সূত্র উল্লেখ ছিল না।

Screenshot Source: Facebook

যা থেকে স্পষ্টতই প্রতীয়মান, যে আলোচিত মন্তব্যটি অনেক আগে থেকেই ফেসবুকে বেনামে প্রচারিত হয়ে আসছে ও সম্প্রতি মারজুক রাসেলের নামের সাথে জুড়ে দিয়ে প্রচার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্ররাজনীতি বন্ধ রাখার দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে, ছাত্রলীগ বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতি চালু করার দাবিতে সভা-সমাবেশ করছে। সাম্প্রতিক এই ইস্যুতে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ রাখার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা শিবির ও হিজবুত তাহরির সদস্য বলে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে অভিযোগ ওঠে। যদিও এসব সংগঠনের সাথে নিজেদের সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

মূলত, গত ১ এপ্রিল বুয়েটে ছাত্র রাজনীতির সাম্প্রতিক ইস্যু নিয়ে একটি পোস্ট অভিনেতা মারজুক রাসেলের নামে পরিচালিত একটি ফেসবুক পেজ থেকে প্রচার করা হয়। সেই পোস্টের মন্তব্য ঘরে পোস্টদাতা নিজেই “উচিত কথা বললে শিবির ট্যাগ দেওয়া হয়। তাহলে কি বাংলাদেশে শিবির যারা করে তারাই শুধু উচিত কথা বলে?” শীর্ষক একটি মন্তব্য করেন। পরবর্তীতে সেই মন্তব্যটিকে মারজুক রাসেলের মন্তব্য ভেবে নেটিজেনরা সেটি শেয়ার করেন। তবে অনুসন্ধানে দেখা যায়, আলোচিত এই মন্তব্যটি যে পেজ থেকে করা হয়েছে সেটি মারজুক রাসেলের আসল পেজ নয় বরং সেটি তার নামে পরিচালিত একটি ফ্যান পেজ। প্রকৃতপক্ষে মারজুক রাসেল এরূপ কোনো মন্তব্য করেননি। 

উল্লেখ্য, পূর্বেও অভিনেতা মারজুক রাসেলের নামে ধর্ম ও ক্রিকেটকে জড়িয়ে একটি মন্তব্য ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে তা শনাক্ত ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।

সুতরাং, অভিনেতা মারজুক রাসেলের নামে পরিচালিত ফ্যান পেজ থেকে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিয়ে করা একটি মন্তব্য মারজুক রাসেলের মন্তব্য দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

মদ ও খেজুরের আমদানি শুল্ক নিয়ে মির্জা আব্বাসের মন্তব্যটি সঠিক নয়

0

গত ২০ মার্চে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বক্তব্য দেওয়ার সময় বলেন, “দেশে বিনা শুল্কে মদ আমদানি করা হয়। অথচ খেজুর আনতে হয় শুল্ক দিয়ে।”।

মির্জা আব্বাসের উক্ত মন্তব্য নিয়ে দেশের একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন জাগোনিউজ২৪নয়া দিগন্ত

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, মদ ও খেজুর আমদানি নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের করা মন্তব্যটি সঠিক নয়। দেশে মদ শুল্কমুক্ত রেখে খেজুর আমদানিতে ২০৮ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়নি বরং পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে খেজুরের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। বর্তমানে খেজুর আমদানিতে ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন শুল্ক ও করের মাধ্যমে প্রায় ৪৩ শতাংশ শুল্প-কর পরিশোধ করতে হয়। 

মূলত, গত ২০ মার্চে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, “দেশে বিনা শুল্কে মদ আমদানি করা হয়। অথচ খেজুর আনতে হয় শুল্ক দিয়ে।”। মির্জা আব্বাসের এই মন্তব্য তখন দেশের একাধিক গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়। তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, মির্জা আব্বাসের এই দাবি সত্য নয়। গত ০৮ ফেব্রুয়ারি পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে খেজুরের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। বর্তমানে খেজুর আমদানিতে ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন শুল্ক ও করের মাধ্যমে প্রায় ৪৩ শতাংশ শুল্ক-কর রিশোধ করতে হবে, যা পূর্বে ৫৩ শতাংশ ছিল। পবিত্র রমজান সামনে রেখে আমদানির এ সুবিধা আগামী ৩০ মার্চ পর্যন্ত প্রযোজ্য থাকবে। অন্যদিকে বাংলাদেশে মদ আমদানির শুল্কহার ৫৯৬ থেকে ৬১১ শতাংশ। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনাপত্তি নিয়ে বিদেশি কূটনীতিক সহ বিশেষ সুবিধাভোগী বিদেশি নাগরিক কূটনৈতিক বন্ডেড ওয়্যারহাউস থেকে ফুড স্টাফ (মদ, সিগারেট ও মদজাতীয় পণ্য) এবং অন্যান্য জিনিসপত্র শুল্কমুক্ত সুবিধায় কিনতে পারেন।

উল্লেখ্য, আলোচ্য দাবিটি  চলতি বছরের মার্চেও ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছিল। সেসময় দাবিটিকে মিথ্যা হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।

নিজের দাঁত তুলে গার্লফ্রেন্ডকে নেকলেস বানিয়ে দেওয়ার ঘটনাটি বাস্তব নয় 

0

সম্প্রতি, “এই সেই ব্যাক্তি বিশ্ব রেকর্ড এই লোক নিজেই নিজের সব দাঁত তুলে গার্লফ্রেন্ড এর জন্য দাঁত দিয়ে নেকলেস বানিয়েছে। ভালোবাসা মানুষকে শুধু অন্ধ না ফোকলা ও বানিয়ে দেয়”- শীর্ষক শিরোনামে কয়েকটি ছবি সম্বলিত একটি তথ্য ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। 

দাঁত

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

টিকটকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, নিজ দাঁত তুলে সেই দাঁত দিয়ে তৈরি নেকলেস প্রেমিকাকে উপহার দেওয়ার ঘটনাটি সত্য নয় বরং  নিছক মজার ছলে করা একটি পোস্ট থেকে আলোচিত ভুল তথ্যের সূত্রপাত হয়েছে।।

মূলত, মোস্তফা সলিমান এল সায়েদ মিশরের একজন অভিনেতা। নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক অ্যাউন্ট থেকে তিনি আলোচ্য ছবি দুইটি সংযুক্ত করে লেখেন “সত্যিই, আমার জীবনে দেখা ভালোবাসার সবচেয়ে সেরা উপায় হল, আপনার সবগুলা দাত খুলে আপনার ভালবাসার মানুষকে দিয়ে দেওয়া।” (আরবিতে – بجد من اجمل معاني الحب اللي شوفتها في حياتي انك تخلع كل سنانك و ضروسك وتهديها للانسانة اللي بتحبها )। এরপর থেকেই ছবি দুইটি বিভ্রান্তিকরভাবে ইন্টারনেটে প্রচার হয়ে আসছে। এ বিষয়ে মোস্তফার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি আলোচ্য দাবিটি সত্য নয় জানিয়ে রিউমর স্ক্যানারকে বলেন, ছবি দুইটির মধ্যে প্রথমটি তিনি ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করে করেছেন এবং দ্বিতীয়টি তিনি নিজেই বিকৃত করেছেন।

উল্লেখ্য, পূর্বেও একই ছবিগুলো যুক্ত করে দাবিটি ইন্টারনেটে প্রচার করা হলে সেসময় বিষয়টি নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার। 

পারফেক্ট হওয়ায় কাকাকে তার সাবেক স্ত্রীর ডিভোর্স দেওয়া সংক্রান্ত মন্তব্যের বিষয়টি ভুয়া

ব্রাজিলের সাবেক ফুটবলার কাকার সাথে ২০০৫ সালে বিয়ে হয় ক্যারোলিন সেলিকোর। প্রায় দশ বছর সংসারের পর ২০১৫ সালে ডিভোর্স হয়ে যায় দুজনের। বিচ্ছেদের আরও প্রায় ৯ বছর পর সম্প্রতি তাদের বিচ্ছেদের কারণ নিয়ে আলোচনা নতুন করে প্রকাশ্যে এসেছে। ইন্টারনেটের বিভিন্ন মাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, ক্যারোলিন আলোচিত এই বিচ্ছেদ নিয়ে এক বক্তব্যে বলেছেন, ‘কাকা আমার সঙ্গে কখনো প্রতারণা করেনি। সবসময় আমার সঙ্গে ভালো আচরণ করেছে, আমাকে অসাধারণ একটি পরিবার দিয়েছে। কিন্তু আমি সন্তুষ্ট হতে পারিনি, সবসময় মনে হতো কী যেন নেই। সমস্যা হলো, আমার জন্য সে বেশি নিখুঁত ছিল।’ কিছু সংবাদমাধ্যমের দাবি, ক্যারোলিন এই বক্তব্যটি স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম এল পাইস’কে দিয়েছেন। 

উক্ত বক্তব্য সম্বলিত দাবি নিয়ে দেশের গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন ইনডিপেনডেন্ট টিভি, কালবেলা, সময় টিভি, নিউজ২৪, যুগান্তর, চ্যানেল আই (ফেসবুক), ঢাকা মেইল, সময়ের কণ্ঠস্বর, জুম বাংলা, বাংলাদেশ মোমেন্টস

কাকা

একই দাবিতে ‘ডেইলি বাংলাদেশ’ সংবাদ প্রকাশ করেও পরবর্তীতে তাদের ওয়েবসাইট এবং ফেসবুক পেজ থেকে সরিয়ে নিয়েছে। দেখুন নিচের স্ক্রিনশটে – 

তাছাড়া, একই দাবিতে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত কিছু প্রতিবেদন দেখুন দ্য সান যুক্তরাজ্য, গোল, সিএনএন ইন্দোনেশিয়া, এনডিটিভি ইন্ডিয়া, ইনফোবে, আই নিউজ ইন্দোনেশিয়া, জিনিউজ ইন্ডিয়া, এস, ইএসইউরো, ভক্স নিউজ আলবেনিয়া, ওকে ডায়ারিও

একই দাবিতে ফেসবুকের কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, কাকার সাবেক স্ত্রী ক্যারোলিন সেলিকোর ডিভোর্সের কারণ বিষয়ক মন্তব্য দাবিতে ইন্টারনেটে ভাইরাল হওয়া সাম্প্রতিক বক্তব্যটি তার নয়৷ তিনি এমন কোনো মন্তব্য করেননি বলে নিজেই রিউমর স্ক্যানারকে জানিয়েছেন। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে কথিত বক্তব্যের সূত্রপাতের খোঁজ করেছে রিউমর স্ক্যানার। বিভিন্ন কিওয়ার্ড সার্চ করে এল পাইস এর মূল ওয়েবসাইটে আমরা এ সংক্রান্ত কোনো সংবাদ পাইনি৷ তবে গণমাধ্যমটির কলম্বিয়া শাখার ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশের প্রমাণ পায় রিউমর স্ক্যানার। গত ১২ এপ্রিল “Controversial reason why footballer Kaká’s ex-wife decided to divorce: “he was too perfect for me”” শিরোনামে (স্প্যানিশ থেকে অনূদিত) প্রকাশিত প্রতিবেদনটি অবশ্য প্রকাশের পরই ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে নেয় ‘এল পাইস’ কর্তৃপক্ষ। ইন্টারনেট আর্কাইভ থেকে সংগৃহীত এই প্রতিবেদন পড়ে দেখা যায়, ক্যারোলিনের কথিত এই বক্তব্যের সূত্র হিসেবে এল পাইসের প্রতিবেদনে SomosAnalistas নামে একটি এক্স অ্যাকাউন্টের (সাবেক টুইটার) নাম উল্লেখ করা হয়েছে। 

আমরা মেক্সিকো ভিত্তিক ফুটবলের নানা খবরাখবর সংক্রান্ত এই এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে ক্যারোলিনের কথিত বক্তব্য সম্বলিত আলোচিত এক্স পোস্টটি খুঁজে বের করেছি। 

Screenshot: X Post

গত ১২ এপ্রিল সকাল ৮ টা ১২ মিনিটে প্রকাশিত এই এক্স পোস্টটি এখন পর্যন্ত প্রায় এক কোটির বেশিবার ভিউ হয়েছে। তবে এই এক্স পোস্টে কথিত বক্তব্যটির কোনো সূত্র উল্লেখ করা হয়নি।  

আরো পড়ুনঃ মুস্তাফিজের বোলিংয়ে খুশি হওয়ায় ধোনি কর্তৃক ২ কোটি টাকা ও বিএমডব্লিউ গাড়ি উপহারের ভুয়া দাবি ইন্টারনেটে

এ বিষয়ে আরো অনুসন্ধান করে ১১ এপ্রিল রাত দশটায় ফেসবুকে Pelada com amigos নামে ব্রাজিলের দেড় মিলিয়ন ফলোয়ার সমৃদ্ধ একটি পেজেও একই বক্তব্য সম্বলিত একটি পোস্ট পাওয়া যায়। এই পোস্টেও বক্তব্যটির কোনো সূত্র উল্লেখ করা হয়নি। 

Screenshot: Facebook  

আলোচিত বক্তব্যটির বিষয়ে জানতে পরবর্তীতে রিউমর স্ক্যানারের পক্ষ থেকে ক্যারোলিন সেলিকোর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ইমেইলে মাধ্যমে রিউমর স্ক্যানারকে জানান, “আমার জন্য সে বেশি নিখুঁত ছিল, এজন্য তাকে ডিভোর্স দিয়েছি – এমন কোনো মন্তব্য আমি কখনো করিনি।” 

ক্যারোলিন বলছেন, আমি দেখলাম ডিভোর্সের প্রায় দশ বছর পর এই বিষয় নিয়ে কেউ কথা বলতে চাচ্ছে। সেসময়ের বছরগুলোয় আমরা আমাদের সম্পর্ক নিয়ে কাজ করেছি। আমরা এখন দুজনই আমাদের জীবন নিয়ে খুশি। 

মূলত, ব্রাজিলের সাবেক ফুটবলার কাকার সাবেক স্ত্রী ক্যারোলিন সেলিকোর বিষয়ে ইন্টারনেটের বিভিন্ন মাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, ক্যারোলিন তাদের বিচ্ছেদ নিয়ে এক বক্তব্যে বলেছেন, ‘কাকা আমার সঙ্গে কখনো প্রতারণা করেনি। সবসময় আমার সঙ্গে ভালো আচরণ করেছে, আমাকে অসাধারণ একটি পরিবার দিয়েছে। কিন্তু আমি সন্তুষ্ট হতে পারিনি, সবসময় মনে হতো কী যেন নেই। সমস্যা হলো, আমার জন্য সে বেশি নিখুঁত ছিল।’ কিছু সংবাদমাধ্যমের দাবি, ক্যারোলিন এই বক্তব্যটি স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম এল পাইস’কে দিয়েছেন। কিন্তু রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, এল পাইসের কলম্বিয়া শাখার ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ প্রকাশিত হলেও পরবর্তীতে তা সরিয়ে নেওয়া হয়। তাছাড়া উক্ত সংবাদে একটি এক্স পোস্টের সূত্রে উক্ত দাবি প্রকাশ করা হলেও আলোচিত এক্স পোস্টটিতেও উক্ত দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ না সূত্র উল্লেখ করা হয়নি। বরং ক্যারোলিন নিজেই রিউমর স্ক্যানারকে জানিয়েছেন যে তিনি এমন কোনো মন্তব্য করেননি৷ 

সুতরাং, পারফেক্ট হওয়ায় কাকাকে তার সাবেক স্ত্রী ডিভোর্স দিয়েছেন শীর্ষক একটি দাবি গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র 

  • Statement from Caroline Celico
  • Rumor Scanner’s own investigation 

হালনাগাদ/ Update

১৪ এপ্রিল, ২০২৪ : এই প্রতিবেদন প্রকাশ পরবর্তী সময়ে আরো কতিপয় গণমাধ্যম একই দাবি সম্বলিত খবর আমাদের নজরে আসার প্রেক্ষিতে উক্ত প্রতিবেদনগুলোকে দাবি হিসেবে যুক্ত করা হলো।

১১ এপ্রিল ঈদুল ফিতর উদযাপনে বাংলাদেশই একমাত্র মুসলিম দেশ নয়

0

সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আজ (১০ এপ্রিল) পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। বাংলাদেশের জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির ঘোষণা অনুয়ায়ী, বাংলাদেশের আকাশে ০৯ এপ্রিল চাঁদ দেখা না যাওয়ায় আগামীকাল ১১ এপ্রিল পালিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর। এই ঘোষণার পর ইন্টারনেটের বিভিন্ন মাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, একমাত্র মুসলিম দেশ হিসেবে আগামীকাল (১১ এপ্রিল) ঈদ পালিত হবে বাংলাদেশে। 

ঈদুল ফিতর

উক্ত দাবিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন কালবেলা, যুগান্তর, ঢাকা পোস্ট, আরটিভি, সময়ের আলো, বাংলাদেশ প্রতিদিন, ঢাকা ট্রিবিউন (ইউটিউব), এনটিভি, নয়া শতাব্দী, আলোকিত বাংলাদেশ, বাংলানিউজ২৪, একুশে টিভি, বণিক বার্তা, মানবকণ্ঠ, দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস, ঢাকা মেইল, জুম বাংলা, বিডি২৪রিপোর্ট, ঢাকা প্রকাশ, প্রবাসীর দিগন্ত, জনবাণী, বার্তা বাজার, সোনালী নিউজ, সানবিডি২৪, বিডি২৪লাইভ, বিবার্তা২৪, রেডিও টুডে নিউজ, প্রবাস টাইমস, অধিকার বিডি, নিউজ জোন, শিক্ষা বার্তা, স্বদেশ প্রতিদিন, স্বাধীন আলো

একই দাবিতে গণমাধ্যমের ফেসবুক পেজসহ অন্যান্য ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আগামীকাল ১১ এপ্রিল ঈদুল ফিতর উদযাপনে বাংলাদেশই একমাত্র মুসলিম দেশ নয় বরং মুসলিম অধ্যুষিত দেশ ব্রুনাইতেও একইদিন ঈদ উদযাপিত হবে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে গণমাধ্যমের এ সংক্রান্ত দাবির সূত্রপাত খোঁজার চেষ্টা করেছে রিউমর স্ক্যানার৷ এ বিষয়ে গতরাত ১০ টা ৫৮ মিনিটে প্রথম সংবাদ প্রকাশ করে ঢাকা পোস্ট। গণমাধ্যমটি উক্ত দাবির সূত্র হিসেবে উল্লেখ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের চেয়ারম্যান যুবাইর এহসান হকের একটি ফেসবুক পোস্ট। 

জনাব যুবাইর গতরাত ১০ টা ৩৭ মিনিটে এ বিষয়ে যে পোস্টটি করেন তাতে স্পষ্টত এমন কোনো দাবি করা হয়নি যে, ১১ এপ্রিল ঈদুল ফিতর উদযাপনে বাংলাদেশই একমাত্র মুসলিম দেশ। বরং তিনি ১০ ও ১১ এপ্রিল ঈদ উদযাপন করতে যাওয়া মুসলিম দেশগুলোর তালিকা দিয়ে জানতে চেয়েছেন ১১ এপ্রিল বাংলাদেশের সাথে আর কোনো দেশ ঈদ পালন করবে কিনা। 

Screenshot: Facebook 

অর্থাৎ, ঢাবি শিক্ষকের দেওয়া তথ্যকে বিভ্রান্তিকরভাবে গণমাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে। 

বাংলাদেশ ছাড়া আর কোনো মুসলিম দেশ ১১ এপ্রিল ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে যাচ্ছে কিনা সে বিষয়ে অনুসন্ধানে আমরা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশ ব্রুনাইয়ের খোঁজ পাই৷ দেশটির অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি এক ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছে, গতকাল দেশটিতে চাঁদ দেখা না যাওয়ায় ১১ এপ্রিল শাওয়াল মাস শুরু হবে। ব্রুনাইয়ের সংবাদমাধ্যম বর্নিও বুলেটিন সূত্রেও একই তথ্য মিলেছে। 

Screenshot collage: Rumor Scanner

বর্নিও বুলেটিনের প্রতিবেদনে ঈদকে হারি রায়া হিসেবে সম্বোধন করা হয়েছে যা মালয় ভাষার শব্দ। মালয় দেশটির সরকারি ভাষা। চার লক্ষাধিক মানুষের দেশটির সরকারি ধর্ম ইসলাম। দেশটির মোট জনসংখ্যার ৬৬ শতাংশই মুসলিম৷ 

মূলত, আগামীকাল ১১ এপ্রিল বাংলাদেশে পালিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর। এ সংক্রান্ত সরকারি ঘোষণার পর ইন্টারনেটের বিভিন্ন মাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, একমাত্র মুসলিম দেশ হিসেবে আগামীকাল (১১ এপ্রিল) ঈদ পালিত হবে বাংলাদেশে। তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যাচ্ছে, ১১ এপ্রিল ঈদুল ফিতর উদযাপনে বাংলাদেশই একমাত্র মুসলিম দেশ নয়। মুসলিম অধ্যুষিত দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আরেক দেশ ব্রুনাইতেও একইদিন ঈদ উদযাপিত হবে।

সুতরাং, ১১ এপ্রিল ঈদুল ফিতর উদযাপনে বাংলাদেশই একমাত্র মুসলিম দেশ শীর্ষক একটি দাবি গণমাধ্যমসহ ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর। 

তথ্যসূত্র 

হালনাগাদ/ Update

১২ এপ্রিল, ২০২৪ : এই প্রতিবেদন প্রকাশ পরবর্তী সময়ে আরো একাধিক গণমাধ্যমে একই দাবি সম্বলিত প্রতিবেদন আমাদের নজরে আসার প্রেক্ষিতে উক্ত প্রতিবেদনগুলোকেও দাবি হিসেবে যুক্ত করা হলো।