গত ২০ মার্চে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বক্তব্য দেওয়ার সময় বলেন, “দেশে বিনা শুল্কে মদ আমদানি করা হয়। অথচ খেজুর আনতে হয় শুল্ক দিয়ে।”।
মির্জা আব্বাসের উক্ত মন্তব্য নিয়ে দেশের একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন জাগোনিউজ২৪ ও নয়া দিগন্ত।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, মদ ও খেজুর আমদানি নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের করা মন্তব্যটি সঠিক নয়। দেশে মদ শুল্কমুক্ত রেখে খেজুর আমদানিতে ২০৮ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়নি বরং পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে খেজুরের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। বর্তমানে খেজুর আমদানিতে ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন শুল্ক ও করের মাধ্যমে প্রায় ৪৩ শতাংশ শুল্প-কর পরিশোধ করতে হয়।
মূলত, গত ২০ মার্চে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, “দেশে বিনা শুল্কে মদ আমদানি করা হয়। অথচ খেজুর আনতে হয় শুল্ক দিয়ে।”। মির্জা আব্বাসের এই মন্তব্য তখন দেশের একাধিক গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়। তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, মির্জা আব্বাসের এই দাবি সত্য নয়। গত ০৮ ফেব্রুয়ারি পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে খেজুরের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। বর্তমানে খেজুর আমদানিতে ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন শুল্ক ও করের মাধ্যমে প্রায় ৪৩ শতাংশ শুল্ক-কর রিশোধ করতে হবে, যা পূর্বে ৫৩ শতাংশ ছিল। পবিত্র রমজান সামনে রেখে আমদানির এ সুবিধা আগামী ৩০ মার্চ পর্যন্ত প্রযোজ্য থাকবে। অন্যদিকে বাংলাদেশে মদ আমদানির শুল্কহার ৫৯৬ থেকে ৬১১ শতাংশ। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনাপত্তি নিয়ে বিদেশি কূটনীতিক সহ বিশেষ সুবিধাভোগী বিদেশি নাগরিক কূটনৈতিক বন্ডেড ওয়্যারহাউস থেকে ফুড স্টাফ (মদ, সিগারেট ও মদজাতীয় পণ্য) এবং অন্যান্য জিনিসপত্র শুল্কমুক্ত সুবিধায় কিনতে পারেন।
উল্লেখ্য, আলোচ্য দাবিটি চলতি বছরের মার্চেও ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছিল। সেসময় দাবিটিকে মিথ্যা হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।