Home Blog Page 603

নাম লোগো শিরোনাম আর নকল ফটোকার্ডে অপপ্রচার: বিব্রতকর পরিস্থিতিতে গণমাধ্যম

0

একটি দেশে সংবাদ বা নানা তথ্য জনগণের কাছে পৌঁছাতে মিডিয়া শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে কাজ করে থাকে। প্রযুক্তির এই যুগে টেলিভিশন শুধু টেলিভিশনে কিংবা প্রিন্ট মিডিয়া শুধু ছাপা কাগজে আর সীমাবদ্ধ নেই। সময়ের চাহিদা আর প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার লড়াইয়ে নিত্য নতুন উপায়ে দর্শক এবং পাঠকের কাছে পৌঁছাতে উন্মুখ হয়ে থাকে মিডিয়া হাউজগুলো। সেই জায়গা থেকে গেল কয়েক বছরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে গণমাধ্যমের উপস্থিতি আগের তুলনায় কয়েকগুণ বেড়েছে। গণমাধ্যমগুলো নিউজের লিংক শেয়ারের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আরও বেশি দর্শকের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা হিসেবে ফেসবুকে নিজেদের পেজে ফটোকার্ড নামে সংবাদ প্রচারের নতুন একটি উদ্যোগ নেয়। সংবাদের শিরোনাম এবং প্রাসঙ্গিক ছবি ব্যবহার করে তৈরি করা এসব ফটোকার্ড ফেসবুক ব্যবহারকারীদের কাছে অল্প সময়ে বেশ গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে, বিশেষ করে চলতি বছরের (২০২৩) শেষ কয়েক মাসে এই ফটোকার্ড নিয়েই বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে দেশের বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমকে। 

রিউমর স্ক্যানার টিম চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত গণমাধ্যমের আদলে তৈরি নকল ২৩ টি ফটোকার্ডের বিষয়ে ফ্যাক্টচেক প্রকাশ করেছে, যেগুলো গণমাধ্যমের আদলে ফটোকার্ড তৈরি করে ভুল তথ্য প্রচার করা হচ্ছিল বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। 

তবে শুধু ফটোকার্ডই নয়, গেল আট মাসে গণমাধ্যমের নাম ও লোগো ব্যবহার করে ভুল তথ্য প্রচার করার ০৯ টি প্রমাণ পেয়েছে রিউমর স্ক্যানার। এসব ক্ষেত্রে দেখা গেছে, কোনো একটি ভিত্তিহীন সংবাদের সাথে সূত্র হিসেবে কোনো একটি গণমাধ্যমের লোগো বা নাম যুক্ত করে দিয়ে প্রচার করা হয়েছে। অথচ, সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যম এমন কোনো তথ্যই প্রকাশ করেনি। 

এর বাইরে গত আট মাসে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের শিরোনাম এডিট করে ভিন্ন শিরোনাম যুক্ত করে প্রচার করার সাতটি প্রমাণ পেয়েছে রিউমর স্ক্যানার৷

Infogram: Rumor Scanner

এই পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করে ভুল তথ্য প্রচারে জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো’র নাম সবচেয়ে বেশি (১৮) ব্যবহার করা হয়েছে, শতকরা হিসেবে যা ৪৬ শতাংশ। এছাড়া, চ্যানেল২৪ এর নামে ০৪ টি, একাত্তর টিভি, সময় টিভি ও কালবেলার নামে ০২ টি এবং আরটিভি, দ্য ডেইলি স্টার, জাগোনিউজ২৪, এনটিভি, ডিবিসি নিউজ, আজকের পত্রিকা, রাইজিং বিডি, ইনডিপেনডেন্ট টিভি, নিউজ২৪, বাংলাদেশ প্রতিদিন ও দেশ রূপান্তর এর নামে একটি করে ভুল তথ্য প্রচার করা হয়েছে।

এই পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করে সবচেয়ে বেশি ভুল তথ্য প্রচার করা হয়েছে রাজনৈতিক বিষয়ে (২৭), যা মোট সংখ্যার ৬৯ শতাংশ। এছাড়া, শিক্ষা বিষয়ে ১৫ শতাংশ, বিনোদন বিষয়ে ০৮ শতাংশ ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে।

গণমাধ্যমের নাম, লোগো, শিরোনাম এবং নকল ফটোকার্ড ব্যবহার করে চলতি বছরের শেষ তিন মাসে আশঙ্কাজনক হারে ভুল তথ্য প্রচারের প্রবণতা বেড়েছে। মোট প্রচারিত ৩৯ টি ভুল তথ্যের মধ্যে জুন থেকে আগস্টেই ছড়িয়েছে ৩৩ টি। এর মধ্যে গত মাসে (আগস্ট) এই পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করে ভুল তথ্য প্রচারের হার ছিল ৪৯ শতাংশ।

রাজনৈতিক বিষয়ে গণমাধ্যমের আদলে নকল ফটোকার্ড, গণমাধ্যমের নাম ও লোগো এবং খবরের শিরোনাম বিকৃত করে ছড়ানো হয়েছে ২৭ টি ভুয়া তথ্য। এর মধ্যে এপ্রিলে ০২ টি, মে’তে ০১ টি, জুনে ০৪ টি, জুলাইতে ০৯ টি এবং আগস্টে ১১ টি ভুল তথ্য প্রচার করা হয়েছে। চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে রাজনীতি বিষয়ে গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে ভুল তথ্য ছড়ানোর প্রবণতা অনিয়মিত হলেও শেষ তিন মাসে এই সংখ্যা ক্রমেই বেড়েছে। 

এর মধ্যে এককভাবে এইচএসসির বিষয়ে সবচেয়ে বেশি (৬) ভুল তথ্য প্রচার করা হয়েছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও হিরো আলমের বিষয়ে ০৫ টি করে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও ছাত্রলীগের বিষয়ে ০৪ টি করে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিষয়ে ০৩ টি এবং বিএনপি, তোফায়েল আহমেদ, নির্বাচন, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, নুরুল হক নূরের বিষয়ে একটি করে ভুল তথ্য প্রচার করা হয়েছে।

নকল ফটোকার্ড: অস্বস্তি গণমাধ্যমে 

গণমাধ্যমের আদলে নকল ফটোকার্ড তৈরি করে চলতি বছরের গত আট মাসে প্রচারিত ২৩ টি ভুয়া তথ্যের মধ্যে প্রথম আলো’র আদলে ফটোকার্ড তৈরি করার প্রচার করা হয়েছে সবচেয়ে বেশি (১৩ টি) ভুল তথ্য, শতকরার হিসেবে যা প্রায় ৫৬ শতাংশ। এর বাইরে চ্যানেল২৪ এর আদলে ০৩ টি, একাত্তর টিভির আদলে ০২ টি এবং ডিবিসি নিউজ, এনটিভি, জাগোনিউজ২৪, দ্য ডেইলি স্টার, আরটিভির আদলে ০১ টি করে নকল ফটোকার্ড তৈরি করে ভুল তথ্য প্রচারের ঘটনা ঘটেছে।

রিউমর স্ক্যানার টিম এই পরিসংখ্যানটি বিশ্লেষণ করে দেখেছে, এসব ফটোকার্ডের মাধ্যমে রাজনৈতিক বিষয়েই সবচেয়ে বেশি (১৩) ভুল তথ্য প্রচার করা হয়েছে। এ বিষয়ে ভুল তথ্য প্রচারের হার ৫৭ শতাংশ। এছাড়া, শিক্ষা বিষয়ে ২৬ শতাংশ, বিনোদন বিষয়ে ১৩ শতাংশ এবং খেলা বিষয়ে ০৪ শতাংশ হারে ভুয়া তথ্য প্রচারে গণমাধ্যমের আদলে নকল ফটোকার্ড ব্যবহার করা হয়েছে। রাজনীতি বিষয়ে ছড়ানো ১৩ টি  ফটোকার্ডের মাধ্যমে এপ্রিলে ০২ টি, মে’তে ০১ টি, জুনে ০৩ টি, জুলাইতে ০৪ টি এবং আগস্টে ০৩ টি ভুল তথ্য প্রচার করা হয়েছে। 

এ বছরের শুরুর তিন মাসে ফেসবুকে গণমাধ্যমের ফটোকার্ড নকলের প্রবণতা দেখা না গেলেও পরের পাঁচ মাসে এই বিষয়টি বাড়তে দেখেছে রিউমর স্ক্যানার৷ বিশেষ করে গত তিন মাসে এই পদ্ধতিতে ভুল তথ্য ছড়ানোর হার ক্রমান্বয়ে বেড়েছে৷ মোট ২৩ টি নকল ফটোকার্ডের মধ্যে জুন থেকে আগস্টেই ছড়িয়েছে ২০ টি৷

চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয় গত ১৭ আগস্ট। কিন্তু আগস্টের শুরুর দিকে এই পরীক্ষার তারিখ পেছানো এবং নম্বর পুনর্বন্টনসহ চার দফা দাবি নিয়ে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। সেসময় নানা ভুল তথ্য ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার মধ্যে একাধিক গণমাধ্যমের আদলে তৈরি নকল ফটোকার্ডেও ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। রিউমর স্ক্যানার টিম এমন ০৬ টি নকল ফটোকার্ড শনাক্ত করতে পেরেছে, যেগুলোতে এইচএসসির বিষয়ে ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে। চলতি বছর একক কোনো ঘটনা বা বিষয়ে গণমাধ্যমের আদলে তৈরি নকল ফটোকার্ডে ভুল তথ্য ছড়ানোর ক্ষেত্রে এইচএসসি পরীক্ষাই ছিল সবচেয়ে এগিয়ে। এছাড়া, হিরো আলমের বিষয়ে ০৫ টি, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিষয়ে ০৩ টি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, নুরুল হক নুর ও দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিষয়ে একটি করে ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে নকল ফটোকার্ডে।

গত ৭ এপ্রিল প্রথম আলো’তে মাহফুজ আনামের লেখা “সাংবাদিকেরাই কেবল সাংবাদিকতাকে বাঁচাতে পারেন” শীর্ষক একটি কলামের কয়েকটি বক্তব্য প্রথম আলো তাদের ফেসবুক পেজে ডিজিটাল ব্যানার আকারে প্রকাশ করে। মাহফুজ আনাম এর বক্তব্যের ওপর প্রকাশিত প্রথম আলোর সেই ডিজিটাল ফটোকার্ড তিনটিকেই মূলত বিকৃত করে সেখানে ভিন্ন বক্তব্য বসিয়ে মাহফুজ আনামের বক্তব্য দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

Collage: Rumor Scanner

রিউমর স্ক্যানার টিমের পর্যবেক্ষণে মাহফুজ আনাম বিষয়ে প্রকাশিত এই ফ্যাক্টচেকের পর প্রথম আলোর তৈরি ফটোকার্ড দাবিতে আরও ১২ টি নকল ফটোকার্ড প্রচার করার নজির পাওয়া গেছে। মাসভিত্তিক পরিসংখ্যানে প্রথম আলোর আদলে ভুয়া ফটোকার্ড সবচেয়ে বেশি প্রচার করা হয়েছে গত আগস্টে (০৫ টি)। এছাড়া, এপ্রিলে ০২ টি, মে’তে ০১ টি, জুনে ০৩ টি এবং জুলাইতে ০২ টি নকল ফটোকার্ড প্রচার করা হয়েছে ফেসবুকে।  

প্রথম আলোর নকল ফটোকার্ডগুলো পর্যবেক্ষণ করে আমরা দেখেছি, ১৩ টি ফটোকার্ডের মধ্যে ০৯ টিই রাজনৈতিক বিষয়ে। এর মধ্যে গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুরের বিষয়ে ০১ টি, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিষয়ে ০২ টি (, ), হিরো আলমের বিষয়ে ০৩ টি (, , ) এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদন্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিষয়ে ০১ টি নকল ফটোকার্ড ছড়ানো হয়েছে। রাজনৈতিক বিষয় ছাড়াও প্রথম আলোর আদলে নকল ফটোকার্ড তৈরি করে চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়ে চারটি (, , , ) ভুল তথ্য প্রচার করা হয়েছে।

প্রথম আলোর আদলে তৈরি নকল ফটোকার্ডের বিষয়ে রিউমর স্ক্যানারের ফ্যাক্টচেকগুলো দেখুন , , , , , , , , , ১০, ১১, ১২, ১৩। 

বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ‘চ্যানেল২৪’ এর ফেসবুক পেজে গত ১৫ জুন “সালমানের হাত ধরে এবার বলিউডে মিয়া খলিফা, জল্পনা তুঙ্গে” শীর্ষক শিরোনামে একটি ফটোকার্ড প্রচারিত হয়। পরবর্তীতে উক্ত ফটোকার্ডের শিরোনাম বিকৃতির মাধ্যমে ‘সালমান খানের হাত ধরে বাকিটা সময় কাটাতে চান মিয়া খলিফা, বাকিটা ইতিহাস’ শীর্ষক শিরোনামে ফটোকার্ড তৈরি করে চ্যানেল২৪ এর ফটোকার্ড দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করে।

Image comparison: Rumor Scanner

বিনোদন বিষয়ক ভুল তথ্য সম্বলিত এই ফটোকার্ড ছাড়াও পরবর্তী সময়ে চ্যানেল২৪ এর আদলে তৈরি করা আরো দুইটি নকল ফটোকার্ডে ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়তে দেখেছে রিউমর স্ক্যানার। এর মধ্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরএইচএসসির বিষয়ে একটি করে ভুল তথ্য প্রচারিত হয়েছে ফেসবুকে। এই দুই ভুল তথ্যই গত আগস্টে ছড়িয়েছে।  

চ্যানেল২৪ এর আদলে তৈরি নকল ফটোকার্ডের বিষয়ে রিউমর স্ক্যানারের ফ্যাক্টচেকগুলো দেখুন , , ৩।

এইচএসসির বিষয়ে গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে নকল ফটোকার্ডে ভুল তথ্য ছড়ানোর শিকার হয়েছে একাত্তর টিভিও।

গত ১৩ আগস্ট ‘এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে আসতে পারে নতুন সিদ্ধান্ত’ শীর্ষক একটি তথ্যকে একাত্তর টিভির আদলে তৈরি একটি ফটোকার্ডের মাধ্যমে ফেসবুকে প্রচার করা হয়৷ রিউমর স্ক্যানার টিম অনুসন্ধান করে জানতে পারে, একইদিন ‘এইচএসসির স্থগিত চার পরীক্ষার নতুন তারিখ ঘোষণা।’ শীর্ষক শিরোনামের একাত্তর টিভির একটি ফটোকার্ডকে নকল করে উক্ত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

Image Comparison: Rumor Scanner

এছাড়া, গণমাধ্যমটির আদলে তৈরি নকল আরেক ফটোকার্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিষয়েও ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে।

Image Comparison: Rumor Scanner

একাত্তর টিভির আদলে তৈরি নকল ফটোকার্ডের বিষয়ে রিউমর স্ক্যানারের ফ্যাক্টচেকগুলো দেখুন , ২।

এছাড়া, অভিনেতা আফরান নিশোর বিষয়ে আরটিভির আদলে ০১ টি, হিরো আলমের বিষয়ে দ্য ডেইলি স্টারের আদলে ০১ টি, হিরো আলমের বিষয়ে জাগোনিউজ২৪ এর আদলে ০১ টি, ব্রাজিলের জুলি রিমে ট্রফির বিষয়ে এনটিভির আদলে ০১ টি এবং তসলিমা নাসরিনের বিষয়ে ডিবিসি নিউজের আদলে ০১ টি নকল ফটোকার্ডে ভুয়া তথ্য ছড়ানো হয়েছে।

গণমাধ্যমের নাম ও লোগো ব্যবহার: রাজনৈতিক বিষয়ে সিংহভাগ ভুল তথ্য

গণমাধ্যমের নাম লোগো ব্যবহার করে চলতি বছরের গত আট মাসে প্রচারিত ০৯ টি ভুয়া তথ্যের মধ্যে প্রথম আলো’কে সূত্র হিসেবে ব্যবহার করে ছড়িয়েছে সবচেয়ে বেশি (০৪ টি) ভুল তথ্য, শতকরার হিসেবে যা প্রায় ৪৪ শতাংশ। এর বাইরে চ্যানেল২৪, সময় টিভি, আজকের পত্রিকা, কালবেলা এবং রাইজিং বিডি’র নাম ও লোগো ব্যবহার করে ০১ টি করে ভুল তথ্য প্রচারের ঘটনা ঘটেছে।

রিউমর স্ক্যানার টিম এই পরিসংখ্যানটি বিশ্লেষণ করে দেখেছে, গণমাধ্যমের নাম ও লোগো ব্যবহার করার মাধ্যমে রাজনৈতিক বিষয়েই সিংহভাগ (৮) ভুল তথ্য প্রচার করা হয়েছে, শতকরা হিসেবে যা ৮৯ শতাংশ। এছাড়া, ধর্মীয় বিষয়ে একটি ভুয়া তথ্য প্রচারে গণমাধ্যমের নাম ও লোগো ব্যবহার করা হয়েছে।

এ বছরের শুরুর পাঁচ মাসে ফেসবুকে গণমাধ্যমের নাম ও লোগো ব্যবহার করে ভুল তথ্য প্রচারের প্রবণতা দেখা না গেলেও পরের তিন মাসে এই পদ্ধতিতে ভুল তথ্য ছড়ানোর হার নিয়মিতভাবে বেড়েছে৷ মোট ০৯ টি এমন ভুল তথ্যের মধ্যে জুনে ছড়িয়েছে ০২ টি। পরের দুই মাসে এই সংখ্যা যথাক্রমে ০৩ ও ০৪ টি। এর মধ্যে রাজনীতি বিষয়ে জুনে ০১ টি, জুলাইতে ০৩ টি এবং আগস্টে ০৪ টি ভুল তথ্য প্রচার করা হয়েছে।

রিউমর স্ক্যানার টিম গণমাধ্যমের নাম ও লোগো ব্যবহার করে ছড়ানো ভুল তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করে দেখতে পেয়েছে, এই পদ্ধতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিষয়ে সবচেয়ে বেশি (৩) ভুল তথ্য প্রচার করা হয়েছে। এছাড়া, একই পদ্ধতিতে ড. ইউনূসের বিষয়ে ২ টি, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বিষয়ে ০১ টি ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে।

প্রথম আলো নাম ও লোগো ব্যবহার করে যে চারটি ভুল তথ্য প্রচার করা হয়েছে তার মধ্যে গত জুনে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বিষয়ে ০১ টি, জুলাইতে ছাত্রলীগের বিষয়ে ০১ টি এবং আগস্টে শেখ হাসিনাড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিষয়ে ০১ টি করে ভুল তথ্য প্রচার করা হয়েছে। 

এছাড়া, চ্যানেল২৪ এর সূত্র ব্যবহার করে গত জুলাইতে ছাত্রলীগের বিষয়ে ০১ টি, সময় টিভির নাম ও লোগো ব্যবহার করে গত জুনে শেখ হাসিনার বিষয়ে ০১ টি, রাইজিং বিডির লোগো ব্যবহার করে গত জুলাইতে শেখ হাসিনার বিষয়ে ০১ টি, আজকের পত্রিকা’র সূত্র ব্যবহার করে ছাত্রলীগের বিষয়ে ০১ টি, কালবেলা’র সূত্র ব্যবহার করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিষয়ে ০১ টি ভুল তথ্য প্রচার করা হয়েছে।

শিরোনাম বিকৃতি: যা খবরে নেই তাই লিখে অপপ্রচার

গণমাধ্যমের খবরের শিরোনাম বিকৃতি ঘটিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্টে ০৭ টি ভুয়া তথ্য ছড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম আলো, সময় টিভি, ইনডিপেনডেন্ট টিভি, কালবেলা, নিউজ২৪, বাংলাদেশ প্রতিদিন, দেশ রূপান্তর এর একটি করে প্রকাশিত খবরের শিরোনাম বিকৃতি করে ভুল তথ্য ছড়ানোর প্রমাণ পেয়েছে রিউমর স্ক্যানার। 

রিউমর স্ক্যানার টিম এই পরিসংখ্যানটি বিশ্লেষণ করে দেখেছে, গণমাধ্যমের প্রকাশিত খবরের শিরোনাম বিকৃত করে রাজনৈতিক বিষয়েই সিংহভাগ (৬) ভুল তথ্য প্রচার করা হয়েছে, শতকরা হিসেবে যা ৮৬ শতাংশ।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে ফেসবুকে গণমাধ্যমের শিরোনাম বিকৃত করে ০১ টি ভুল তথ্য প্রচার করা হয়। পরের পাঁচ মাসে এই পদ্ধতিতে ভুল তথ্য না ছড়ালেও জুলাই ও আগস্টে এই সংখ্যা বেড়েছে। উক্ত দুই মাসে এই পদ্ধতিতে ছড়ানো ভুল তথ্যের সবগুলোই ছিল রাজনীতি বিষয়ে।

রিউমর স্ক্যানার টিম গণমাধ্যমের খবরের শিরোনাম বিকৃত করে ছড়ানো ভুল তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করে দেখতে পেয়েছে, এই পদ্ধতিতে গত জুলাইতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (নিউজ২৪ এর শিরোনাম বিকৃত করে), গত আগস্টে ড. মুহাম্মদ ইউনূস (কালবেলার শিরোনাম বিকৃত করে), গত জুলাইতে ছাত্রলীগ (প্রথম আলোর শিরোনাম বিকৃত করে), গত আগস্টে তোফায়েল আহমেদ (বাংলাদেশ প্রতিদিনের শিরোনাম বিকৃত করে), গত আগস্টে বিএনপি (দেশ রূপান্তরের শিরোনাম বিকৃত করে), গত আগস্টে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (ইনডিপেনডেন্ট টিভির শিরোনাম বিকৃত করে) এবং গত জানুয়ারিতে জাতীয় বিষয়ে (সময় টিভির শিরোনাম বিকৃত করে) একটি করে ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে।

রাষ্ট্রপতির ছবি ব্যবহার করে ১৭ হাজার টাকা অনুদানের ভুয়া ক্যাম্পেইন

0

সম্প্রতি, রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন চুপ্পুর ছবি সহ একটি ওয়েবসাইট থেকে ১৭ হাজার টাকা সহায়তা এবং নগদ অনুদান দেওয়ার দাবিতে একটি তথ্য ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে প্রচার করা হচ্ছে।

রাষ্ট্রপতি

যা দাবি করা হচ্ছে

রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন চুপ্পুর ছবিসহ একাধিক ওয়েবসাইটের লিংক ফেসবুকে শেয়ার করে সীমিত আয় এবং নিয়মিত বা অনিয়মিত কর্মীদের জন্য ১৭ হাজার টাকা সহায়তা এবং নগদ অনুদান দিচ্ছে দাবিতে প্রচার করছে। ওয়েবসাইটে একটি রেজিস্ট্রেশন লিংকে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করার পর প্রার্থীর কাছে যোগাযোগ করা হবে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ) এবং পোস্ট (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সীমিত আয় এবং নিয়মিত বা অনিয়মিত কর্মীদের জন্য ১৭ হাজার টাকা সহায়তা দেওয়ার দাবিটি সত্য নয় বরং ভুয়া ওয়েবসাইট তৈরি করে প্রতারণার উদ্দেশ্যে অনুদান প্রদানের এমন প্রলোভন দেখানো হচ্ছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে ১৭ হাজার টাকা অনুদানের প্রলোভন দেখানো ওয়েবসাইটটিতে প্রবেশ করে রিউমর স্ক্যানার টিম।

Screenshot: Scam Website

ওয়েবসাইটটিতে প্রবেশ করলে ‘আপনার ফোন নম্বর লিখুন, তারপর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যোগাযোগ করার জন্য একটি পাঠ্য বার্তায় পাঠানো যাচাইকরণ কোডটি লিখুন’ এমন কিছু তথ্য আসে এবং পরবর্তী ধাপে যেতে বলা হয়।

ক্লিক করার পর ‘w.elephantparkcm.com’ নামক ওয়েবসাইটে ফোন নাম্বার দিয়ে সাইন আপ করতে বলা হয়।

Screenshot: Scam Website

ওয়েবসাইটে থাকা তথ্যানুযায়ী ফোন নাম্বার প্রবেশ করলে এসএমএসের মাধ্যমে মোবাইল ফোনে একটি ওটিপি পিন কোড আসে।

Screenshot: Scam Website

তবে গোপন পিন কোডটি প্রবেশ করে পরের ধাপে যেতে চাইলে আবার চেষ্টা করতে বলা হয়। কিন্তু ফোনে কোনো টাকা আসেনি।

Screenshot: Scam Website

এছাড়া বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক এমন কোনো অনুদান প্রদানের তথ্য পাওয়া যায়নি।

অর্থাৎ, উপরোক্ত তথ্য উপাত্ত পর্যালোচনা করলে এটা স্পষ্ট যে, এটি একটি ভুয়া ক্যাম্পেইন।

মূলত, রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিনের ছবি ব্যবহার করে ১৭ হাজার টাকার অনুদান প্রদানের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হচ্ছে। তবে উক্ত ক্যাম্পেইনের লিংকে ঢুকে প্রদত্ত সকল ধাপ অতিক্রম করে দেখা যায় সেখানে অনুদান দেওয়া হচ্ছে না। প্রকৃতপক্ষে রাষ্ট্রপতির ছবি দিয়ে ভুয়া ওয়েবসাইট তৈরি করে প্রতারণার উদ্দেশ্যে এই ক্যাম্পেইনটি পরিচালনা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে বিকাশের ওয়েবসাইট নকল করে প্রতারণার উদ্দেশ্যে প্রলোভন দেখানো হলে সে সময় উক্ত বিষয়টিকে মিথ্যা শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার। 

সুতরাং, রাষ্ট্রপতির মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের ছবি ব্যবহার করে বেকার ও নিম্ন আয়ের লোকদের ১৭ হাজার টাকা অনুদান দেওয়ার দাবিতে প্রচারিত ওয়েবসাইটটি ভুয়া এবং দাবিটি সম্পূর্ণ প্রতারণামূলক।

তথ্যসূত্র

খালেদা জিয়া নোবেল পাওয়ার যোগ্য শীর্ষক মন্তব্যটি যুগান্তরের নয়, বিএনপি নেতার

0

সম্প্রতি, জাতীয় দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের শিরোনামের স্ক্রিনশট শেয়ার করে ফেসবুকের একাধিক পোস্টে দাবি করা হচ্ছে, যুগান্তর “বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে নোবেল পাওয়ার যোগ্য বেগম খালেদা জিয়াশীর্ষক তথ্য জানিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

খালেদা জিয়া

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, যুগান্তরের সূত্রে প্রচারিত তথ্যটি যুগান্তরের নিজস্ব কোনো তথ্যের ভিত্তিতে করা সংবাদ নয় বরং বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বক্তব্যকে কোট করে প্রকাশিত সংবাদকে যুগান্তরের নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে করা সংবাদ দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে কি-ওয়ার্ড সার্চ করে দৈনিক যুগান্তরের ওয়েবসাইটে গত ৩১ আগস্ট ‘বাংলাদেশে দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে নোবেল পাওয়ার যোগ্য খালেদা জিয়া’ (আর্কাইভ) শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত আলোচিত প্রতিবেদনটি খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Daily Jugantor

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ৩১ আগস্ট এক আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘খালেদা জিয়া বিএনপির দ্বিতীয় পিলার। বাংলাদেশে দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে যদি কেউ নোবেল পায় সেটা খালেদা জিয়া পাওয়ার যোগ্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘কথাটি এ কারণে বলছি যে গণতন্ত্রের জন্য মানুষ কতটা ত্যাগ স্বীকার করতে পারে। তার (খালেদা জিয়া) স্বামী যখন যুদ্ধে গেলেন তাকে গ্রেফতার করে ক্যান্টনমেন্টে রাখা হলো। তখন তো অনেকেই ঘরে বসেছিল। কেউ কেউ পাকিস্তানি মেজরের গাড়িতে করে হাসপাতালে গেছে, ভাতা নিছে। কিন্তু তাকে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। তার স্বামীকে হত্যা করার পরে তিনি দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য রাস্তায় নেমে এসেছিলেন। তার প্রতি একটু শ্রদ্ধাবোধ থাকলে তাকে এভাবে মিথ্যা মামলায় জেলে আটক করে রাখত না।’ 

‘বাংলাদেশে দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে যদি কেউ নোবেল পায় সেটা খালেদা জিয়া পাওয়ার যোগ্য।’ শীর্ষক শামসুজ্জামান দুদুর বক্তব্যকে কোট করে কোটেশন দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে যুগান্তর। 

অর্থাৎ, আলোচিত প্রতিবেদনের শিরোনাম একজন ব্যক্তির বক্তব্যের অংশ কোট করে বানানো হয়েছে। এখানে, যুগান্তরের নিজস্ব কোনো সূত্র বা তথ্য নেই। 

একই ঘটনায় যুগান্তরের মতোই একই শিরোনামে দেশের আরো দুই গণমাধ্যমের প্রতিবেদন দেখুন এখানে, এখানে। 

মূলত, বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে নোবেল পাওয়ার যোগ্য বেগম খালেদা জিয়া- শীর্ষক একটি তথ্য জাতীয় দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার সূত্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। তবে, রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, যুগান্তরের ওয়েবসাইটে গত ৩১ আগস্ট বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর একটি বক্তব্যকে শিরোনামে কোটেশনের মাধ্যমে উদ্বৃত্ত করে সংবাদ প্রকাশ করা হয়, যা পরবর্তীতে যুগান্তরের নিজস্ব সূত্র বা তথ্যে সংবাদ দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে। এর ফলে নেটিজেনদের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। 

সুতরাং, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর বক্তব্যকে কোট করে প্রকাশিত সংবাদকে যুগান্তরের নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে করা সংবাদ দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

ছাত্রলীগের সমাবেশের ছবি ব্যবহার করে বাংলা ট্রিবিউনের আদলে ভুয়া ফটোকার্ড প্রচার

0

সম্প্রতি, ‘১০ টাকা মূল্যে টুপি কিনতে তোফাজ্জল সুন্নাহ ঘরে লক্ষ মানুষের উপচে পরা ভির’ শীর্ষক শিরোনামে বাংলা ট্রিবিউনের আদলে তৈরি একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, উক্ত শিরোনামে বাংলা ট্রিবিউন কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি। প্রকৃতপক্ষে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে বাংলা ট্রিবিউনের আদলে তৈরি আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। সেখানে এই সংবাদটি প্রচারের তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩।

Screenshot: Facebook

অনুসন্ধানের শুরুতে কি ওয়ার্ড সার্চ পদ্ধতি ব্যবহার করে বাংলা ট্রিবিউনের ওয়েবসাইট, ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ এবং ইউটিউব চ্যানেলে গত  ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ তারিখে বা তার আগে পরে উক্ত তথ্য সম্বলিত কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি।

তাছাড়া, এই ফটোকার্ডটিতে উল্লেখিত ‘১০ টাকা মূল্যে টুপি কিনতে তোফাজ্জল সুন্নাহ ঘরে লক্ষ মানুষের উপচে পরা ভির’ শিরোনামে একাধিক ভুল বানানও খুঁজে পাওয়া যায়। 

Screenshot: Facebook

পরবর্তী অনুসন্ধানে দেশের মূলধারার ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম ডিবিসি নিউজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে গত ০১ সেপ্টেম্বর ‘ছাত্রলীগের সমাবেশে মাদ্রাসার ছাত্ররা’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: DBC News Facebook

এই ভিডিওটি থেকে নেওয়া একটি ছবির সাথে আলোচিত ফটোকার্ডটিতে উল্লেখিত ছবিটির মিল পাওয়া যায়।

Image Comparison by Rumor Scanner

অর্থাৎ, আলোচিত ফটোকার্ডে উল্লেখিত ছবিটি টুপি কেনার ঘটনার নয় এবং বাংলা ট্রিবিউনও এমন কোনো ফটোকার্ড প্রচার করেনি।

পরবর্তীতে বিষয়টি অধিকতর নিশ্চিতের জন্য বাংলা ট্রিবিউনের চীফ রিপোর্টার সালমান তারেকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি রিউমর স্ক্যানারকে আলোচিত এই ফটোকার্ডটি তাদের নয় বলে জানান।

মূলত, গত পহেলা সেপ্টেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত ছাত্রলীগের সমাবেশে পাঞ্জাবি-টুপি পরিহিত মাদ্রাসা ছাত্রদের যোগ দেওয়ার তথ্য জানিয়ে মূলধারার ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম ডিবিসি নিউজ একটি ভিডিও প্রতিবেদন প্রকাশ করে। পরবর্তীতে সেই ভিডিও থেকে নেওয়া একটি স্থিরচিত্রের সাথে ‘১০ টাকা মূল্যে টুপি কিনতে তোফাজ্জল সুন্নাহ ঘরে লক্ষ মানুষের উপচে পরা ভির’ শীর্ষক শিরোনাম যুক্ত করে বাংলা ট্রিবিউনের আদলে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, পূর্বেও বিভিন্ন গণমাধ্যমের ফটোকার্ড নকল করে মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হলে সেসময় বিষয়গুলো নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার। এমন কয়েকটি প্রতিবেদন দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে

সুতরাং, ‘১০ টাকা মূল্যে টুপি কিনতে তোফাজ্জল সুন্নাহ ঘরে লক্ষ মানুষের উপচে পরা ভির’ শীর্ষক শিরোনামেবাংলা ট্রিবিউনের আদলে তৈরি ফটোকার্ডটি এডিটেড বা বিকৃত।

তথ্যসূত্র

এইচএসসি’র পরে বিয়ে বাধ্যতামূলক দাবিতে প্রথম আলোকে উদ্ধৃত করে ভুয়া সংবাদ প্রচার

0

সম্প্রতি, ‘এইচএসসি পাশ করার সাথে সাথেই করতে হবে বিয়ে‘ শীর্ষক শিরোনামে মূলধারার সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো’র লোগো এবং মাজহারুল আসিফ নামের কথিত চীফ রিপোর্টারের নাম যুক্ত করে একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে। 

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, এইচএসসি’র পরে বিয়ে বাধ্যতামূলক দাবিতে প্রথম আলো কোনো সংবাদ প্রকাশ করেনি। প্রকৃতপক্ষে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় প্রথম আলো’র লোগো এবং কথিত রিপোর্টারের নাম যুক্ত করে উক্ত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত দাবি সম্বলিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। এতে ‘এইচএসসি পাশ করার সাথে সাথেই করতে হবে বিয়ে’ শীর্ষক শিরোনামে কথিত সংবাদটি প্রকাশের তারিখ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ৩০ আগস্ট, ২০২৩ এবং ফটোকার্ডটিতে মাজহারুল আসিফ নামের কথিত এক চীফ রিপোর্টারের নাম যুক্ত করা হয়েছে।

Screenshot: Facebook

অনুসন্ধানে কি ওয়ার্ড সার্চ পদ্ধতি ব্যবহার করে প্রথম আলোর ওয়েবসাইট, ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ এবং ইউটিউব চ্যানেলে গত ৩০ আগস্ট বা তার আগে পরে উক্ত তথ্য সম্বলিত কোনো সংবাদ প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এছাড়া, আলোচিত এই ফটোকার্ডে উল্লিখিত প্রথম আলো’র কথিত চীফ রিপোর্টার মাজহারুল আসিফের পরিচয় অনুসন্ধানে এই নামে গণমাধ্যমটিতে কর্মরত কোনো চীফ রিপোর্টারের খোঁজ পাওয়া যায়নি।

এই নামে গণমাধ্যমটিতে কোনো চীফ রিপোর্টার নেই বলে রিউমর স্ক্যানারকে নিশ্চিত করেছেন প্রথম আলো’র অনলাইন বিভাগের প্রধান শওকত হোসেন মাসুম।

তাছাড়া, প্রথম আলো ছাড়াও অন্যকোনো গণমাধ্যমেও প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চ করে আলোচিত দাবি সম্পর্কি কোনো সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি।

অর্থাৎ, উপরোক্ত বিষয়গুলো পর্যালোচনা করলে এটা স্পষ্ট যে, প্রথম আলো এইচএসসি পরীক্ষা পাশের পর বিয়ে বাধ্যতামূলক করার বিষয়ে কোনো সংবাদ প্রতিবেদন বা ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি।

মূলত, এইচএসসি পাশ করার সাথে সাথেই বিয়ে বাধ্যতামূলক দাবি করে প্রথম আলোর লোগো এবং কথিত চীফ রিপোর্টার মাজহারুল আসিফের নাম যুক্ত করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া ফটোকার্ডের প্রেক্ষিতে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রথম আলো তাদের ওয়েবসাইটে বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর অ্যাকাউন্টে এমন কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রচার করেনি। তাছাড়া, মাজহারুল আসিফ নামে গণমাধ্যমটিতে কোনো চীফ রিপোর্টার নেই। পাশাপাশি, এইচএসসি পরীক্ষা পাশের পর বিয়ে বাধ্যতামূলক করার বিষয়টিও সঠিক নয়।

উল্লেখ্য, পূর্বেও বিভিন্ন গণমাধ্যমের ফটোকার্ড নকল করে মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হলে সেসময় বিষয়গুলো নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার। এমন কয়েকটি প্রতিবেদন দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে

সুতরাং, এইচএসসি পরীক্ষা পাশের পর বিয়ে বাধ্যতামূলক দাবিতে প্রথম আলো লোগো ও কথিত প্রতিবেদকের নাম যুক্ত করে প্রচারিত ফটোকার্ডটি বানোয়াট ও এবং উল্লিখিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

সমুদ্রে সূর্যাস্তের এই ছবিটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে তৈরি

সম্প্রতি,“এটা হাতে আঁকা কোনো শিল্পকর্ম নয়। সমুদ্রে সূর্যাস্তের অসাধারণ ফটোগ্রাফি।” শীর্ষক ক্যাপশনে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে উক্ত দাবিতে প্রচারিত কিছু ছবি দেখুন পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ) এবং পোস্ট (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সমুদ্রে সূর্যাস্তের অসাধারণ ফটোগ্রাফি দাবিতে প্রচারিত ছবিটি বাস্তব নয় বরং এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সাহায্যে ছবি তৈরির টুলস মিডজার্নি দিয়ে তৈরি ছবি।

রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে, ‘absolutely.ai’ নামক ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে গত ১৬ আগস্টে প্রকাশিত ছবির সাথে উক্ত দাবিতে প্রচারিত ছবির হুবহু মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

(Image Comparison by Rumor Scanner

উক্ত ইনস্টাগ্রাম পোস্টে থাকা ক্যাপশন থেকে জানা যায়, পোস্টকৃত ছবিটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দ্বারা ছবি তৈরির টুলস মিডজার্নি দিয়ে তৈরি।

এছাড়া বিষয়টি অধিকতর যাচাইয়ের লক্ষ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে তৈরি ছবি শনাক্তকরণ ওয়েবসাইট ‘huggingface.co’ ছবিটির ব্যাপারে জানতে চাইলে ওয়েবসাইটটি ছবিটি ৭৫% কৃত্রিম হিসেবে চিহ্নিত করে।

Screenshot from ‘huggingface.co’

মূলত, গত ১৬ আগস্ট কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সাহায্যে ছবি তৈরির ওয়েবসাইট ‘absolutely.ai’ এর ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে সমুদ্র সূর্যাস্তের একটি ছবি পোস্ট করা হয়। যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহায়তায় তৈরি। পরবর্তীতে উক্ত ছবিটি সমুদ্রে সূর্যাস্তের আসল ছবি দাবিতে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে।

উল্লেখ্য, পূর্বে ঘরবাড়িসহ মানুষের মুখ সদৃশ একটি ছবিকে ক্যামেরায় তোলা বাস্তব ছবি দাবিতে প্রচার করা হলে তা শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন করে রিউমর স্ক্যানার।

সুতরাং, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে তৈরি সমুদ্রে সূর্যাস্তের ছবিকে ক্যামেরায় ধারণকৃত বাস্তব ছবি দাবিতে ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

এক নারীর সাথে বই নিয়ে আলোচনাকালে ধারণকৃত ড. ইউনূসের ছবি বিকৃত করে প্রচার

0

সম্প্রতি, ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং এক নারীর একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে। ছবিতে তাদের দুজনকে একটি বই নিয়ে আলোচনা করতে দেখা যাচ্ছে। যেখানে বইটির মলাটে এক নারীর বিকিনি পরিহিত ছবি রয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত একটি পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং ছবিটি যুক্ত করে ফেসবুক প্রচারিত একটি ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এক নারীসহ এক বিকিনি পরিহিত নারীর দৃশ্যযুক্ত মলাটের বই দেখার দাবিতে প্রচারিত এই ছবিটি এডিটেড। প্রকৃতপক্ষে, এক নারীর হাতে থাকা একটি বই নিয়ে আলোচনা কালে ধারণ করা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের একটি ছবিকে ফটোশপের মাধ্যমে বিকৃত করে বইটির মলাটে বিকিনি পরিহিত এক নারীর ছবি যুক্ত করা হয়েছে।

অনুসন্ধানে রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতির মাধ্যমে ফটো শেয়ারিং ওয়েবসাইট Gettyimages এ ‘Nobel Peace Prize 2006, Bangladeshi bank’ শিরোনামে প্রকাশিত মূল ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Gettyimages

ছবির বর্ণনা থেকে জানা যায়, ছবিটি তুলেছেন এএফফির চিত্রগ্রাহক অরল্যান্ডো সিয়েরা।

ছবির বর্ণনায় লেখা হয়, “নোবেল শান্তি পুরস্কার ২০০৬ জয়ী বাংলাদেশী ব্যাংকার এবং অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূস (বাম) ২০০৭ সালের ১১ ডিসেম্বর ক্রিসিয়েন্ডো বিয়েন(গ্রোয়িং আপ ওয়েল) এর পরিচালক গুয়াতেমালান এডনা ডে মোরালেসের সাথে ‘গ্রামীণ ব্যাংক’ শীর্ষক তার একটি বই নিয়ে গুয়াতেমালা সিটিতে আলোচনা করছেন। ইউনূস বাংলাদেশের স্বল্প আয়ের মানুষদের গ্যারান্টি ছাড়াই ঋণ দেওয়ার বিষয়ে তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গুয়াতেমালার প্রেসিডেন্ট অস্কার বার্গারের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন।” 

Image Comparison by Rumor Scanner

মূলত, ২০০৭ সালে গুয়াতেমালার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট অস্কার বর্গারের সাথে সাক্ষাৎ করেন নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সে সময় গুয়েতেমালার এক নারী সংগঠকের সাথে ইউনূসের নিজের একটি বই নিয়ে আলাপকালে এএফপির চিত্রগ্রাহক অরল্যান্ডো সিয়েরা একটি ছবি ধারণ করেন। সাম্প্রতিক সময়ে সেই ছবিতে ফটোশপের সহায়তায় বিকিনি পরিহিত এক নারীর ছবি যুক্ত করে ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত ২২ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের মাধ্যমে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিচার শুরু হয়। এর আগে গত ৬ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছিলেন আদালত।

উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জড়িয়ে ইন্টারনেটে প্রচারিত একাধিক ভুল তথ্যকে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার। এমন কিছু প্রতিবেদন দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে

সুতরাং, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এক নারীর সাথে নিজের বই নিয়ে আলাপকালে বিকিনি পরিহিত নারীর দৃশ্যযুক্ত বইয়ের মলাটের যে ছবিটি ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে; সেটি বিকৃত।

তথ্যসূত্র

প্রয়াত কৃষিবিজ্ঞানী ড. কাজী এম বদরুদ্দোজা কাজী পেয়ারার জনক নন 

0

সম্প্রতি, কৃষিবিজ্ঞানী ড. কাজী এম বদরুদ্দোজার মৃত্যুর সংবাদে তাকে ‘কাজী পেয়ারার জনক’ উল্লেখ করে একটি তথ্য গণমাধ্যম সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। 

Photo Collage by Rumor Scanner 

উক্ত দাবিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন ইউএনবি, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস), ডেইলি স্টার (বাংলা), ডেইলি স্টার (ইংরেজি), সমকাল, বাংলা ট্রিবিউন, সময় টিভি, ঢাকা পোস্ট, বিডিনিউজ২৪, দেশ রূপান্তর, নিউজ২৪, একাত্তর টিভি, ঢাকা ট্রিবিউন, বাংলাদেশ প্রতিদিন, সময়ের আলো, বাংলানিউজ২৪, বাংলা ভিশন, দৈনিক ইত্তেফাক, কালের কণ্ঠ, যুগান্তর, এনটিভি, ডিবিসি নিউজ, চ্যানেল আই, চ্যানেল আই (ইউটিউব), আজকের পত্রিকা, আমাদের সময় ডটকম, দৈনিক আমাদের সময়, কালবেলা, প্রতিদিনের বাংলাদেশ, ভোরের কাগজ, ঢাকা মেইল, ডেইলি বাংলাদেশ, রাইজিং বিডি,খোলা কাগজ, নয়া দিগন্ত,  সাম্প্রতিক দেশকাল, বাংলাদেশ জার্নাল, নয়া শতাব্দী, আলোকিত বাংলাদেশ, পূর্বপশ্চিমবিডিএবিনিউজ২৪, নিউজ জি২৪, ২৪লাইভ নিউজপেপার, দ্যা রিপোর্ট (বাংলা), প্রতিদিনের সংবাদ, দৈনিক শিক্ষা, সংবাদ প্রকাশ, আজকের দর্পণ, নাগরিক, নীলফামারী বার্তা, বাংলা নিউজ নেটওয়ার্ক, বায়ান্ন টিভি, ডেইলি মতবাদ, নোয়াখালি সমাচার, বিজ্ঞানচিন্তা, ডেইলি মেসেঞ্জার

একই বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে পরবর্তীতে সংশোধন করে নিয়েছে অনলাইন পোর্টাল জাগোনিউজ২৪। 

গণমাধ্যমের ফেসবুক পেজ সহ অন্যান্য পেজে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ) এবং পোস্ট (আর্কাইভ)। 

Photo Collage by Rumor Scanner 

একই দাবিতে উইকিপিডিয়ায় প্রকাশিত নিবন্ধ দেখুন কাজী এম বদরুদ্দোজা 

এছাড়া পূর্বেও ড. কাজী এম বদরুদ্দোজাকে কাজী পেয়ারার জনক উল্লেখ করে গণমাধ্যমে বিভিন্ন সময় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এমন কিছু প্রতিবেদন দেখুন জনকণ্ঠ, যায়যায়দিন, একুশে টিভি। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সদ্যপ্রয়াত কৃষিবিজ্ঞানী ড. কাজী এম বদরুদ্দোজা কাজী পেয়ারার জনক নন।প্রকৃতপক্ষে কাজী পেয়ারার উদ্ভাবন বা নামকরণের কোনো কিছুর সাথেই তার জড়িত না থাকার বিষয়টি তিনি নিজেই তার জীবদ্দশায় নিশ্চিত করেছিলেন। 

দাবিটি নিয়ে অনুসন্ধানে কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে  ইংরেজি দৈনিক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের বাংলা সংস্করণে চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি ‘পেয়ারা মানেই এখন কাজী পেয়ারা! কে এই কাজী!‘ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

প্রতিবেদনটিতে ইউটিউবে বিদ্যমান কৃষিবিজ্ঞানী ড.কাজী এম বদরুদ্দোজার একটি সাক্ষাৎকার সূত্রে উল্লেখ করা হয় যে, কাজী পেয়ারা উদ্ভাবন কিংবা নামকরণ কোনো কিছুতেই ড.কাজী এম বদরুদ্দোজার কোনো সম্পর্ক নেই। কাজী পেয়ারার যখন নামকরণ করা হয় তখন তিনি বাংলাদেশ এগ্রিকালচার রিসার্চ ইনস্টিটিউট এ চাকরিই করতেন না। সেসময় তিনি অবসর নিয়েছিলেন। কাজী পেয়ারার উদ্ভাবনের পর তার কিছু অনুসারী তার প্রতি ভালোবাসা থেকে এই নামটি দেন।

এই প্রতিবেদনের সূত্রে  পরবর্তী অনুসন্ধানে Agriculture 360 নামক একটি ইউটিউব চ্যানেলে ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর ‘যেভাবে কাজী পেয়ারা এলো বাংলাদেশে! The popular guava of Bangladesh (আর্কাইভ)’ শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত  একটি ভিডিওতে  ড. কাজী এম বদরুদ্দোজার দেওয়া একটি সাক্ষাৎকার খুঁজে পাওয়া যায়। 

সাক্ষাতকারটিতে ড. কাজী এম বদরুদ্দোজা বলেন, কাজী পেয়ারাকে আমার নামে নামকরণ করা হয়েছে। ওটা আমি করিওনি, যখন এটা আমার নামে নামকরণ করা হয়, তখন ওখানে আমি চাকরিও করতাম না। রিটায়ার্ড করেছি। রিটায়ার্ড করে আমি বাংলাদেশ এগ্রিকালচার ইনস্টিটিউট (বারি) ছেড়ে চলে আসছি। আমি তখন রিটায়ার্ড পারসন। তারপর সেখানে আমার যারা ফলোয়ার ছিল, তারা ভালোবাসা থেকে ঐ পেয়ারাটা যখন নতুন বের হলো, আমার নামে নাম দিলো কাজী পেয়ারা। সেটা আমি দেইনি।’ 

এছাড়া অনুসন্ধানে বেসরকারি টিভি চ্যানেল২৪ এর ইউটিউব চ্যানেলে ২০১৬ সালের ১৫ অক্টোবর ‘‘কাজী পেয়ারা খ্যাত’ কৃষিবিজ্ঞানী কাজী এম বদরুদ্দোজার কথা (আর্কাইভ)’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকেও নিশ্চিত হওয়া যায়, কাজী পেয়ারা উদ্ভাবনের পর ড. কাজী এম বদরুদ্দোজার প্রতি ভালোবাসা থেকেই কাজী পেয়ারাকে তার নামে নামকরণ করা হয়েছে। 

পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে অধিকতর নিশ্চিত হওয়ার জন্য রিউমর স্ক্যানার টিম বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (গবেষণা) ড. মো: আব্দুল্লাহ ইউছুফ আখন্দের সাথে যোগাযোগ করে। 

তিনি রিউমর স্ক্যানারকে বলেন, কাজী পেয়ারা বারিতে উদ্ভাবন করে উনার নামে নামকরণ করা হয়েছে। তবে  ড. কাজী বদরুদ্দোজা স্যারের অবদান অনেক বেশি। শুধু বাংলাদেশে না। এশিয়া, ভিয়েতনাম, নাইজেরিয়াসহ আন্তর্জাতিকভাবেই উনার অবদান অনেক। শুধু কাজী পেয়ারার জনক বললে উনাকে আসলে ছোট করা হয়।

পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে পেয়ারা নিয়ে কাজ করা প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এ এস এম মেজবাহ উদ্দীনের সাথে যোগাযগের পরামর্শ দেন। 

পরবর্তীতে ড. এ এস এম মেজবাহ উদ্দীনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি রিউমর স্ক্যানারকে বলেন, আসলে উনি এটা উদ্ভাবন করেন নাই। ১৯৮৪ সালে তৎকালীন ফল বিভাগ (বর্তমানে উদ্যানতত্ত্ব গবেষণাকেন্দ্রের ফল বিভাগ) এই কাজী পেয়ারার জাতটা বের করেছে। ড. কাজী বদরুদ্দোজা ছিলেন আমাদের ফাউন্ডার এবং ডিরেক্টর। উনাকে সম্মান করে উনার নাম অনুসারে ঐ সময়ের বিজ্ঞানীরা জাতটার নাম কাজী পেয়ারা নামকরণ করেন।  

মূলত, গত ৩০ আগস্ট ( বুধবার) প্রখ্যাত কৃষিবিজ্ঞানী, কৃষি সংগঠন ও ন্যাশনাল ইমেরিটাস সাইন্টিস্ট ড.কাজী এম বদরুদ্দোজা মারা যান। তার মৃত্যুর সংবাদে তাকে কাজী পেয়ারার জনক উল্লেখ করে বিভিন্ন গণমাধ্যম এ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি তথ্য প্রচার করা হয়। তবে এ নিয়ে অনুসন্ধানে দেখা যায়, ড.কাজী এম বদরুদ্দোজা কাজী পেয়ারার জনক ছিলেন না। ১৯৮৪ সালে কাজী পেয়ারার জাতটি আবিষ্কারের পর ড.কাজী এম বদরুদ্দোজার সম্মানার্থে তার নামানুসারে সে সময়ের বিজ্ঞানীরা কাজী পেয়ারার নামকরণ করেন। তিনি নিজেও জীবদ্দশায় এক সাক্ষাতকারে বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন। 

সুতরাং, সদ্য প্রয়াত কৃষিবিজ্ঞানী ড.কাজী এম বদরুদ্দোজা কাজী পেয়ারার জনক দাবিতে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

ভিডিওটিতে দেখানো পাথরটি লোহা গলানো কোনো অলৌকিক পাথর নয়

0

সম্প্রতি ‘আফগানিস্তানে পাওয়া একটি পাথরে হাত দিলে ঠাণ্ডা লাগে কিন্তু লোহার জিনিস রাখলে গলে যায়’ শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে। 

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আলোচিত ভিডিওতে দেখানো লোহা গলার কারণ কোনো আলৌকিক পাথর নয় বরং ভিডিওটিতে ব্যবহৃত লোহাটি গ্যালিয়াম নামক একটি ধাতু দিয়ে তৈরি যেটির গলনাংক ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর আশে পাশে।

মূলত, গ্যালিয়াম এমন একটি ধাতু যার গলনাংক 29.8°C. অর্থাৎ এর ধর্ম হলো এটি ২৯° সেলসিয়াস তাপমাত্রায় গলতে শুরু করে। আলোচিত ভিডিওতে থাকা পেরেকগুলো সেই গ্যালিয়াম ধাতুর-ই তৈরি ফলে পেরেকগুলো বাহিরের উষ্ণ অবস্থানে থাকা কালো পাথরের উপর রাখার পর সেটি তার রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী গলতে শুরু করে। গ্যালিয়াম ধাতুর তৈরি পেরেক গলার ঐ ভিডিওটিকেই সম্প্রতি আফগানিস্তানে পাওয়া পাথর যা লোহা গলাতে পারে দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, বিষয়টি পূর্বেও ইন্টারনেটে ব্যাপকভাবে প্রচার করা হলে সেসময় এটিকে মিথ্যা হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।

ভাইরাল এই ছবিতে রোনালদিনহোর পাশে থাকা ব্যক্তিটি তার বাবা নয়

0

সম্প্রতি, ব্রাজিলিয়ান ফুটবল তারকা রোনালদিনহো এবং তার বাবার ছবি দাবিতে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে। 

ফেসবুকে প্রচারিত এমন একটি পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আলোচিত এই ছবিটিতে শিশু বয়সের রোনালদিনহোর সাথে ফুটবল পায়ে নিয়ে দাড়ানো ব্যক্তিটি তার বাবা নন বরং ছবিতে রোনালদিনহোর পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এই ব্যক্তি রোনালদিনহোর বড় ভাই রবার্তো ডি আসিস মোরেইরা। 

অনুসন্ধানের শুরুতে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে  ব্রাজিলিয়ান ফুটবল তারকা রোনালদিনহোর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে ২০১৬ সালের ১২ অক্টোবর আলোচিত ছবিটির অনুরূপ একটি ছবি খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Ronaldinho Gaucho Verified Facebook Page

ছবিটির বিস্তারিত বিবরণী থেকে জানা যায়, ছবিতে প্রদর্শিত রোনালদিনহোর সাথের ব্যক্তিটি তার ভাই রবার্তো ডি আসিস মোরেইরা। ১৯৯০ সালে তারা দুইভাই তাদের মায়ের জন্য ছবিটি তুলেছিলেন।

পরবর্তীতে প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড অনুসন্ধানের মাধ্যমে SPORTS BRIEF নামের একটি ওয়েবসাইটে ২০২২ সালের ০৫ জুলাই ‘Rare Photo of Brazilian Legend Ronaldinho and His ‘Biggest Football Mentor’ Roberto De Assis Emerges’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে আলোচিত ছবিটির অনুরূপ  ছবির পাশাপাশি একই স্থানে তোলা আরেকটি ছবি খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: SPORTS BRIEF

এই প্রতিবেদন থেকেও জানা যায়, ছবিটিতে প্রদর্শিত ব্যক্তি রোনালদিনহোর ভাই রবার্তো ডি আসিস মোরেইরা এবং তারা উভয়ে একই ক্লাবে খেলতেন।

অর্থাৎ, আলোচিত এই ছবিটিতে রোনালদিনহোর পাশে দাড়িয়ে থাকা ব্যক্তি তার বাবা নন।

মূলত, ১৯৯০ সালে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল তারকা রোনালদিনহো এবং তার বড় ভাই রবার্তো ডি আসিস মোরেইরা তাদের মায়ের জন্য একটি ছবি তোলেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সেই ছবিটি ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করে রোনালদিনহো এবং তার বাবার ছবি দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, পূর্বেও রোনালদিনহোর সাথে থাকা ব্যাক্তিকে মেসি দাবিতে প্রচার করা হলে সেসময় বিষয়টি শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার। প্রতিবেদনটি পড়ুন-

সুতরাং, বড় ভাই রবার্তো ডি আসিস মোরেইরার সাথে রোনালদিনহোর শৈশবের একটি ছবিকে  রোনালদিনহো ও তার বাবার ছবি দাবিতে ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র