টিকটকে উক্ত দাবিতে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস যোদ্ধা কর্তৃক ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর হেলিকপ্টার ধ্বংস করার দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি বাস্তব নয় বরং এআরএমএ থ্রি নামক একটি সিমুলেশন গেমের দৃশ্যকে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ভিডিওটির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে ‘RIMStudio’ নামক ইউটিউব চ্যানেলে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত একটি ভিডিওর সাথে আলোচিত ভিডিওটির মিল খুঁজে পাওয়া যায়।
Video Comparison: Rumor Scanner
ভিডিওটির টাইটেলে থাকা তথ্য থেকে জানা যায়, উক্ত ভিডিওটি এআরএমএ থ্রি নামক একটি সিমুলেশন গেমের দৃশ্য। গেমটির অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকেও বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়।
এছাড়া, অনুসন্ধানে ইউটিউবে ‘এআরএমএ ৩’ সিমুলেশন ভিডিও গেমের আরও বেশ কিছু গোলাগুলির ভিডিও খুজে পাওয়া যায়। এমন কিছু ভিডিও দেখুন (১, ২, ৩, ৪, ৫)।
মূলত, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর হেলিকপ্টার ধ্বংস করেছে দাবিতে একটি ভিডিও সম্প্রতি ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে। কিন্তু রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, উক্ত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি বাস্তব নয়। প্রকৃতপক্ষে, ভিডিওটি এআরএমএ ৩ নামক একটি সিমুলেশন গেমের দৃশ্য থেকে সংগ্রহ করা।
প্রসঙ্গত, পূর্বে ফিলিস্তিন এবং ইসরায়েলের সংঘর্ষ নিয়ে ইন্টারনেটে বিভ্রান্তিকর ছবি এবং ভিডিও প্রচার করলে তা শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।
সুতরাং, ফিলিস্তিনের হামাস যোদ্ধা কর্তৃক ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর হেলিকপ্টার ধ্বংস করেছে দাবিতে ইন্টারনেটে এআরএমএ ৩ নামক সিমুলেশন গেমের দৃশ্য প্রচার করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর।
সম্প্রতি, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সাথে কথিত বৈঠক শেষে ‘আপাতত ফিলিস্তিনের শান্তি রক্ষার দাবি জানানো আমাদের এজেন্ডায় নেই, আমাদের সকল মনযোগ এক দফা দাবির আন্দোলনে।’ শীর্ষক মন্তব্য করেছেন দাবিতে ইংরেজি জাতীয় দৈনিক ডেইলি স্টারের ফটোকার্ডের ডিজাইন সম্বলিত একটি ছবি ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।
টিকটকে প্রচারিত এমন কিছু ভিডিও দেখুন- এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ফিলিস্তিনের শান্তি রক্ষার বিষয়টি বিএনপি’র এজেন্ডায় নেই শীর্ষক কোনো মন্তব্য মির্জা ফখরুল করেননি এবং মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাথে ০৮ অক্টোবর তার কোনো বৈঠকও হয়নি। তাছাড়া, ডেইলি স্টারও এ সংক্রান্ত কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রকাশ করেনি।
দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে ফটোকার্ডটিতে থাকা তারিখ ও ডেইলি স্টারের লোগোর সূত্রে গণমাধ্যমটির বাংলা সংস্করণের ফেসবুক পেজে গতকাল (০৮ অক্টোবর) জাতীয়, আন্তর্জাতিক ও খেলাধুলা মিলিয়ে গণমাধ্যমটি কর্তৃক প্রকাশিত ১১ টি ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়। তবে এসব ফটোকার্ডের মধ্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে নিয়ে এমন কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি।
পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে অধিকতর যাচাইয়ের জন্য রিউমর স্ক্যানার টিম বিএনপি চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবিরের সঙ্গে যোগাযোগ করে।
তিনি রিউমর স্ক্যানারকে বলেন, পিটার হাসের সাথে এমন কোনো বৈঠক হয়নি। এগুলো অসৎ উদ্দেশ্যে তৈরি করা। এরকম অসৎ উদ্দেশ্য থেকে বিরত থাকার আহবান জানাচ্ছি।
পাশাপাশি ডেইলি স্টারের বাংলা সংস্করণের সম্পাদক গোলাম মোর্তোজা ফটোকার্ডটি সম্পর্কে রিউমর স্ক্যানারকে বলেন, “ডেইলি স্টার এমন কোনো প্রতিবেদন বা ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি। এটা শতভাগ মিথ্যা প্রপাগান্ডা। যার সঙ্গে ডেইলি স্টারের কোনো সম্পর্ক নেই।”
মূলত, গত ০৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলে হামলা শুরু করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ০৮ অক্টোবর জাতীয় দৈনিক ডেইলি স্টারের একটি ফটোকার্ড ব্যবহার করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সাথে বৈঠক শেষে ‘আপাতত ফিলিস্তিনের শান্তি রক্ষার দাবি জানানো আমাদের এজেন্ডায় নেই, আমাদের সকল মনযোগ এক দফা দাবির আন্দোলনে।’ শীর্ষক মন্তব্য করেছেন দাবিতে ফেসবুকে একটি তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। তবে অনুসন্ধানে দেখা যায়, ডেইলি স্টারে এমন ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রকাশিত হয়নি। পাশাপাশি এদিন মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মির্জা ফখরুলের কোনো বৈঠকও হয়নি।
সুতরাং, ফিলিস্তিনের শান্তি রক্ষার বিষয়টি বিএনপি’র এজেন্ডায় নেই বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল শীর্ষক দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং এ বিষয়ে প্রচারিত ফটোকার্ডটিও বিকৃত বা এডিটেড।
তথ্যসূত্র
Statement of Shairul Kabir, BNP Media Cell
Statement of Golam Mortaza, Daily Star Bangla Editor
সম্প্রতি, ‘থার্মাল ক্যামেরা যাতে কিনা অদৃশ্যও দেখা যায় সেই ক্যামেরায় রের্কড করা হয়েছে এই ভিডিওটি! দেখা দেখা গিয়েছে পাদও!!’ শীর্ষক শিরোনামে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।
প্রচারিত ভিডিওটিতে দাবি করা হচ্ছে, থার্মাল বা ইনফ্রারেড ক্যামেরা ব্যবহার করে মানুষের বাতকর্মের বা পাদের ছবি ধারণ করা সম্ভব।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, থার্মাল বা ইনফ্রারেড ক্যামেরা ব্যবহার করে মানুষের বাতকর্মের ছবি ধারণ করা সম্ভব নয়। প্রকৃতপক্ষে, Banana Factory নামের একটি ইউটিউব চ্যানেল ২০১৬ সালে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় থার্মাল ক্যামেরায় ধারণ করা কয়েকটি ফুটেজে বিনোদনের উদ্দেশ্যে বাতকর্মের ইফেক্ট যুক্ত করে ইউটিউবে একটি ভিডিও প্রচার করে। বর্তমানে উক্ত ভিডিওটির কিছু অংশ কেটে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।
আলোচিত ভিডিওটির মূল সূত্র অনুসন্ধানে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে Banana Factory নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি ‘People farting on thermal camera in public!’ শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।
ভিডিওটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আলোচিত ভিডিওটির সাথে উক্ত ভিডিওতে দেখানো থার্মাল ক্যামেরায় ধারণ করা অংশগুলোর সাথে হুবহু মিল রয়েছে।
Video Comparison by Rumor Scanner
ভিডিওটির বিস্তারিত বিবরণী থেকে জানা যায়, এই চ্যানেলটির সদস্যরা থার্মাল ক্যামেরার সহায়তায় মানুষের বাতকর্মের ছবি ধারণ করা যায় কি না এটি জানার কৌতুহল থেকে ক্যামেরাটি ব্যবহার করে পাবলিক প্লেসে কিছু ভিডিও ধারণ করেন। কিন্তু দেখা যায়, ক্যামেরাটি তা ধারণ করতে ব্যর্থ হয়। তাই তারা মানুষদের হাসানোর উদ্দেশ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় ভিডিওটি সম্পাদনা করে তাতে বাতকর্মের ইফেক্ট ব্যবহার করে ভিডিওটি তৈরি করে প্রচার করেন।
এছাড়া বিবরণীতে থার্মাল ক্যামেরা প্রসঙ্গে বলা হয়, থার্মাল ক্যামেরা হল এমন এক ধরনের ক্যামেরা, যা মূলত ইনফ্রারেড রেডিয়েশনের সহায়তায় ছবি তৈরি বা ধারণ করে। সাধারণ ক্যামেরা যে প্রক্রিয়ায় দৃশ্যমান আলোর সহায়তায় ছবি ধারণ করে অনেকটা সেই প্রক্রিয়ায় এটি কাজ করে । তবে সাধারণ ক্যামেরা যেখানে দৃশ্যমান আলোর ৪০০-৭০০ ন্যানোমিটার তরঙ্গদৈর্ঘ্য পর্যন্ত সংবেদনশীল, সেখানে থার্মাল ক্যামেরা ১০০০-১৪০০০ ন্যানোমিটার তরঙ্গদৈর্ঘ্য পর্যন্ত সংবেদনশীল। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নজরদারি কার্যক্রম পরিচালনা করতে এবং অনুসন্ধানে এর ব্যবহার করে থাকেন। এছাড়াও বৈদ্যুতিক তার সংযোগের সাথে যুক্ত প্রকৌশলীরা সম্ভাব্য ত্রুটি অনুসন্ধানে এটি ব্যবহার করেন।
Screenshot: Banana Factory Youtube channel
পরবর্তীতে অনুসন্ধানে উক্ত দাবির সত্যতা যাচাইয়ে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক ডিজিটাল আধেয় বা কন্টেন্ট প্রকাশক LAD Bible এর ওয়েবসাইটে গত ২৫ আগস্ট ‘Experts expose truth behind ‘fart’ shown in viral infrared footage’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।
প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, আলোচিত দাবির সত্যতা যাচাই করতে Mythbusters নামের বৈজ্ঞানিকদের একটি দল Fart-o-matic নামের একটি যন্ত্র তৈরি করে। যা মানুষের শরীর থেকে নির্গন্ত বায়ুর তাপমাত্রার অনুকরণে বায়ু নির্গমন করতে সক্ষম। তাদের পরীক্ষায় দেখা যায়,উক্ত যন্ত্র থেকে নির্গত বায়ু থার্মাল ক্যামেরায় ধরা পড়ে না। থার্মাল ক্যামেরায় কোনো গ্যাসের ছবি ধরা পড়ার জন্যে সেই গ্যাসের তাপমাত্রা পারিপার্শ্বিক তাপমাত্রার চেয়ে ঠান্ডা অথবা গরম হতে হবে। এটি দেখানোর জন্যে তারা একটি কম্প্রেস্ড গ্যাসের স্প্রে বোতল থেকে স্প্রে করে পরীক্ষা করেন। তখন দেখা যায়, তুলনামূলক ঠান্ডা এই গ্যাস থার্মাল ক্যামেরায় স্পষ্টভাবে দৃ্শ্যমান হয়।
এছাড়া Thermal Warrior নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে ২০১৭ সালের ৫ এপ্রিল ‘Can Infrared See Your Farts?’ শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত আরেকটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।
উক্ত ভিডিওটি থেকে জানা যায়, গ্যাসের চিত্র ধারণ করার জন্যে এক ধরনের বিশেষ থার্মাল ক্যামেরার প্রয়োজন হয়। সাধারণ থার্মাল ক্যামেরার সহায়তার গ্যাস দেখতে পাওয়া যায় না। গ্যাসের চিত্র ধারণ করার জন্য জনপ্রিয় থার্মাল ক্যামেরা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান FLIR একটি বিশেষ থার্মাল ক্যামেরা তৈরি করেছে। মূলত গ্যাস লিকেজের হাত থেকে পরিবেশের সুরক্ষার স্বার্থে এই বিশেষ ধরনের ক্যামেরা তৈরি করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি এই থার্মাল ক্যামেরাগুলোতে একটি বিশেষ তরঙ্গদৈর্ঘ্য নির্ধারণ করেছে, যাতে করে গ্যাসের রেডিয়েশনের চিত্র ধারণ করা সম্ভব হয়।
পাশাপাশি উক্ত ভিডিওতে আরও দেখানো হয়, , থার্মাল ক্যামেরার সহায়তায় মানুষের বাতকর্মের চিত্র ধারণ করা সম্ভব নয়।
মূলত, ২০১৬ সালে Banana Factory নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলের সদস্যরা থার্মাল ক্যামেরা ব্যবহার করে মানুষের বাতকর্মের ছবি ধারণ করা সম্ভব কি না সেটি জানতে একটি পরীক্ষামূলক ভিডিও ধারণ করে। কিন্তু তাতে বাতকর্মের ছবি ধারণ করা সম্ভব না হলে তারা ডিজিটাল প্রযুক্তি সহায়তায় তাতে বাতকর্মের ইফেক্ট যুক্ত করে বিনোদনের উদ্দেশ্যে তাদের ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিও প্রচার করে। সম্প্রতি সেই ভিডিওটিরই কিছু অংশ কেটে নিয়ে থার্মাল ক্যামেরার মাধ্যমে মানুষের বাতকর্মের চিত্র ধারণ করা সম্ভব দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।
সুতরাং, থার্মাল বা ইনফ্রারেড ক্যামেরা ব্যবহার করে মানুষের বাতকর্মের ছবি ধারণ যায় দাবিতে একটি ভিডিও প্রচার করা হচ্ছে; যা মিথ্যা।
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, চলমান ওয়ান ডে বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের সাথে বাংলাদেশের জয়ের পর তামিম ইকবালের শুভেচ্ছা জানানোর দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয়। বরং এটি ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত নারী ওয়ান ডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের প্রথম জয়ের পর ধারণ করা তামিম ইকবালের শুভেচ্ছা বার্তার ভিডিও।
উক্ত ভিডিওর সাথে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত ভিডিওটির হুবহু মিল খুঁজে পাওয়া যায়।
Video Collage: Rumor Scanner
ভিডিওটিতে তামিম ইকবাল বলেন, ‘বাংলাদেশ নারী দলকে আমার ও বাংলাদেশ দলের তরফ থেকে অনেক অনেক অভিনন্দন বিশ্বকাপে প্রথম জয়ের জন্য। এত বড় আসরে প্রথম জয়, সত্যিই স্পেশাল। সামনের ম্যাচগুলোর জন্য আমাদের পক্ষ থেকে শুভ কামনা।’
অর্থাৎ ২০২২ সালে নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত নারী ওয়ান ডে বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। এই জয়ে সেসময় তাদেরকে অভিনন্দন জানিয়ে নিজের পেজ থেকে ভিডিওয়ের মাধ্যমে শুভেচ্ছা বার্তা জানান বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ওডিআই সংস্করণের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
এই ভিডিওটিকেই সম্প্রতি চলমান ওয়ান ডে বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের সাথে বাংলাদেশের জয়ের পর তামিম ইকবালের শুভেচ্ছা জানানোর দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।
এছাড়া অনুসন্ধানে দেখা যায়, আলোচিত ভিডিওটি Sports X নামের যে ফেসবুক পেজ থেকে প্রচার করা হচ্ছে, সে পেজ থেকে হুবহু একই ভিডিও পূর্বেও বিভিন্ন খেলা শেষে বাংলাদেশের জয় উপলক্ষে তামিম ইকবালের শুভেচ্ছা বার্তার ভিডিও দাবিতে প্রচার করা হয়েছিল।
যেমন, গত ৩ সেপ্টেম্বর এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়ের পর তামিমের শুভেচ্ছা বার্তা দাবিতে প্রচারিত এই ভিডিওটি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।
১৫ সেপ্টেম্বর এশিয়া কাপেই ভারতের বিপক্ষে জয় উপলক্ষে তামিমের শুভেচ্ছা বার্তা দাবিতে প্রচারিত এই ভিডিওটি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।
Video Collage: Rumor Scanner
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ওডিআই সংস্করণের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল ২০২৩ বিশ্বকাপেপ্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ের পর নিজের ভেরিফাইড পেজ থেকে শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়ে একটি পোস্ট দেন।
মূলত, ২০২২ সালে নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত নারী ওয়ান ডে বিশ্বকাপে প্রথমবার খেলতে গিয়ে পাকিস্তানকে হারিয়ে প্রথম জয় ছিনিয়ে আনে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। তাদের এই জয়ের পর বাংলাদেশ জাতীয় পুরুষ ক্রিকেট দলের সাবেক ওডিআই অধিনায়ক তামিম ইকবাল নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে একটি শুভেচ্ছা বার্তার ভিডিও পোস্ট করেন। তার সেই ভিডিওকেই সম্প্রতি ২০২৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় পাওয়ায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে তামিম ইকবালের শুভেচ্ছা বার্তার ভিডিও দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।
সুতরাং, আফগানিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ের পর তামিম ইকবাল শুভেচ্ছা জানিয়ে বার্তা দিয়েছেন দাবিতে একটি ভিডিও প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, চিত্রনায়িকা শবনম বুবলির নির্বাচন করার দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি সঠিক নয়। বরং এটি চলচ্চিত্র নির্মাতা সাইফ চন্দন পরিচালিত ‘লোকাল’ সিনেমার একটি দৃশ্যের ভিডিও ক্লিপ।
অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম।
যেহেতু শবনম বুবলি একজন চিত্রনায়িকা, সেহেতু আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি কোনো সিনেমার শুটিংয়ের ভিডিওচিত্র হতে পারে- এমন সম্ভাবনা ধরে অনুসন্ধান করে রিউমর স্ক্যানার টিম।
এতে প্রাসঙ্গিক একাধিক কিওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে গত ১৬ এপ্রিল দৈনিক ইত্তেফাক এর ওয়েবসাইটে “লোকাল’র ট্রেলারে আদর-বুবলি,নির্মাণে পাচ্ছে প্রশংসা” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।
উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, নির্মাতা সাইফ চন্দনের ‘লোকাল’ সিনেমায় অভিনয় করছে চিত্রনায়িকা শবনম বুবলি এবং আদর আজাদ। গত ১৫ এপ্রিল সিনেমার ট্রেলার মুক্তি পায়। পৌনে তিন মিনিট দৈর্ঘ্যের এই ট্রেলার থেকে আঁচ করা হয়, ছবিটির গল্প মূলত একটি অঞ্চলের ক্ষমতা দখলের লড়াই ঘিরে আবর্তিত হয়েছে। এই লড়াইয়ে আইন-অপরাধ থেকে শুরু করে রাজনীতি, রোমান্স জায়গা করে নিয়েছে সমান্তরালভাবে।
প্রতিবেদন থেকে বিষয়টি স্পষ্ট যে, লোকাল সিনেমাটি আঞ্চলিক ক্ষমতা দখল লড়াইকে ঘিরে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকে কেন্দ্র করে বানানো হয়েছে।
উক্ত সিনেমার ট্রেলারটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ট্রেলারটির ১ মিনিট ১৩ সেকেন্ডে চিত্রনায়িকা বুবলি তার নাম রুপালী বলে উল্লেখ করেন। আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটিতেও শবনম বুবলির নাম রুপালী বলে উল্লেখ করা হয়।
Screenshot : Facebook Claim Post
একইসাথে উক্ত ট্রেলারে দেখানো একটি অংশে শবনম বুবলির পরিহিত শাড়ির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটিতে থাকা বুবলির শাড়ির মিল খুঁজে পাওয়া যায়।
Video Comparison by Rumor Scanner
পাশাপাশি উক্ত সিনেমার ট্রেলারে দেখানো নির্বাচনী প্রচারণার পোস্টারে উল্লেখিত জায়গার (লক্ষীনগর পৌরসভা) সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটিতে দেখানো জায়গারও মিল খুঁজে পাওয়া যায়।
অর্থাৎ, উপরিউক্ত বিষয়গুলো থেকে এটি স্পষ্ট যে, চিত্রনায়িকা শবনম বুবলির অভিনীত সিনেমা ‘লোকাল’র একটি ভিডিওচিত্রকে তার নির্বাচনে আসার দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।
মূলত, চলচ্চিত্রনির্মাতা সাইফ চন্দনের রাজনীতি ও রোমান্সকেন্দ্রিক সিনেমা লোকাল। এ সিনেমায় অভিনয় করেন চিত্রনায়িকা শবনম বুবলি এবং তরুণ আদর আজাদ। গত এপ্রিলে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মুক্তিপ্রাপ্ত এই সিনেমাটি একটি অঞ্চলের ক্ষমতা দখলের লড়াইকে ঘিরে নির্মিত। উক্ত চলচ্চিত্রের একটি দৃশ্যে শবনম বুবলিকে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে দেখা যায়। পরবর্তীতে এই দৃশ্যটিকে কেন্দ্র করেই ইন্টারনেটে একটি দাবি ছড়িয়ে পড়ে যে, চিত্রনায়িকা বুবলি নির্বাচন করছেন।
সুতরাং, অভিনেত্রী শবনম বুবলি নির্বাচন করছে দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে;যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
সম্প্রতি, “ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা ইসরাঈলের সামরিক হেলিকপ্টার ভূপাতিত করেছে” শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এবং শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম টিকটকে প্রচার করা হচ্ছে।
টিকটকে প্রচারিত এমন একটি ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর হেলিকপ্টার ধ্বংস করার দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিওটি বাস্তব নয়। বরং ভিডিওটি এআরএমএ ৩ নামক একটি সিমুলেশন গেম থেকে ধারণকৃত।
দাবিটি নিয়ে অনুসন্ধানে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে ইউটিউবে পাওয়া প্রায় এক বছরের পুরানো বেশ কিছু ভিডিওয়ের (১,২,৩,৪,৫) সাথে উক্ত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির মিল খুঁজে পাওয়া যায়।
Video Comparison by Rumor ScannerVideo Comparison by Rumor ScannerVideo Comparison by Rumor Scanner
ভিডিওগুলোর বিস্তারিত বিবরণী থেকে জানা যায়, এগুলো এআরএমএ ৩ নামক একটি সিমুলেশন গেমের দৃশ্য। এখানে দেখানো হেলিকপ্টার উড্ডয়ন, গুলি ছোড়া, উড়োজাহাজ ধ্বংস হওয়া এবং কালো ধোঁয়া নির্গত হওয়া এসবের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত ভিডিওটির প্রায় সব কার্যক্রম একই হিসেবে প্রতীয়মান হয়।
উক্ত প্রতিবেদনেও গণমাধ্যমটি আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওগুলো এআরএমএ ৩ সিমুলেশন গেমের দৃশ্য হিসেবে নিশ্চিত করে।
মূলত, গত ০৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলে হামলা শুরু করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর উড়োজাহাজ ধ্বংস করে ফেলেছে দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, উক্ত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি বাস্তব নয়। প্রকৃতপক্ষে ভিডিওটি এআরএমএ ৩ নামক একটি সিমুলেশন গেমের দৃশ্য থেকে সংগ্রহ করা এবং অনেক আগে থেকেই ইন্টারনেটে বিদ্যমান।
উল্লেখ্য, ‘এআরএমএ ৩’ মিলিটারি বা সামরিক যুদ্ধের পরিবেশে তৈরি একটি ভিডিও গেম।
প্রসঙ্গত, ফিলিস্তিন এবং ইসরায়েলের চলমান সাংঘর্ষ নিয়ে একাধিক ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।
সম্প্রতি, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস “বিনা ভোটে যারা নির্বাচিত এমপি উপজেলা চেয়ারম্যান সহ জনপ্রতিনিধি দাবি করে তাদের সকলকে ভিসা নীতির আওতায় আনা হবে” শীর্ষক মন্তব্য করেছেন দাবিতে প্রথম আলো’র ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ডিজাইন সম্বলিত একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়।
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস “বিনা ভোটে যারা নির্বাচিত এমপি উপজেলা চেয়ারম্যান সহ জনপ্রতিনিধি দাবি করে তাদের সকলকে ভিসা নীতির আওতায় আনা হবে” শীর্ষক কোনো মন্তব্য করেননি এবং প্রথম আলোও উক্ত শিরোনামে কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি বরং, প্রথম আলো’র একটি প্রতিবেদনের স্ক্রিনশট ডিজিটাল প্রযুক্তির সাহায্যে বিকৃত করে পিটার হাসের নামে এই ভুয়া মন্তব্যটি প্রচার করা হয়েছে।
সংবাদের স্ক্রিনশট যাচাই
অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত স্ক্রিনশটটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। প্রচারিত স্ক্রিনশটটির ওপরের বাম কোনে ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ লেখা দেখতে পাই আমরা। সাধারণত প্রথম আলো’র ওয়েবসাইটে নিউজ পড়ার সময় সাইটের ওপরে লোগোর নিচে পাঠকের নিউজ পড়ার সময়কাল প্রদর্শিত হয়। অন্যদিকে প্রতিবেদন প্রকাশের সময়কাল উল্লেখ থাকে প্রতিবেদনের ক্রেডিট লাইনের নিচে। তবে আলোচিত স্ক্রিনশটটিতে ক্রেডিট লাইনের নিচে কোনো সময়কাল উল্লেখ নেই। এছাড়া প্রথম আলো’র ওয়েবসাইটের ক্রেডিট লাইনে ‘প্রতিবেদক, ঢাকা’ শব্দদ্বয়ের পূর্বে নিজস্ব বা কূটনৈতিক শব্দদ্বয় উল্লেখ থাকে অর্থাৎ ‘নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা’ বা ‘কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা’। আলোচিত স্ক্রিনশটে সেটিও অনুপস্থিত।
Indication by Rumor Scanner
এসকল অসংগতি ছাড়াও বিষয়টি সম্পর্কে অধিকতর নিশ্চয়তার লক্ষ্যে ২৭ সেপ্টেম্বর এবং তার পূর্বে পিটার হাসের বিষয়ে প্রথম আলো’র ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলো পড়ে দেখে রিউমর স্ক্যানার টিম। অনুসন্ধানে এমন কোনো প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি।
উক্ত প্রতিবেদনে জানা যায়, বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস মার্কিন ভিসা নীতির বিষয়ে বলেন, রাজনৈতিক দলের সদস্য, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সাবেক-বর্তমান সরকারি কর্মকর্তাদের পাশাপাশি গণমাধ্যমও আগামী দিনে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতিতে যুক্ত হবে।
আলোচিত স্ক্রিনশটটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আলোচিত স্ক্রিনশটের সংবাদের ফিচারে থাকা মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি. হাসের ছবির হুবহু এবং প্রতিবেদকের ক্রেডিট লাইনের আংশিক মিল রয়েছে। তবে প্রথম আলো’র এই প্রতিবেদনের ফিচারে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের লোগো না থাকলেও আলোচিত স্ক্রিনশটের ফিচারে সেটি সংযুক্ত রয়েছে।
Screenshot Comparison by Rumor Scanner
অর্থাৎ, উপরোক্ত তথ্য থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে প্রথম আলো’র ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এই প্রতিবেদনটির স্ক্রিনশট এডিট করেই আলোচিত স্ক্রিনশটটি তৈরি করা হয়েছে।
মূলত, গত ২৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আমেরিকার ভিসানীতি গণমাধ্যমও যুক্ত হবে বলে জানান। এ বিষয়ে গত ২৪ সেপ্টেম্বর প্রথম আলো’র ওয়েবসাইটে “ভিসা নীতিতে গণমাধ্যমও যুক্ত হবে: পিটার হাস” শীর্ষক শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে উক্ত প্রতিবেদনের একটি স্ক্রিনশট নিয়ে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় এর শিরোনাম বিকৃতের মাধ্যমে “বিনা ভোটে যারা নির্বাচিত এমপি উপজেলা চেয়ারম্যান সহ জনপ্রতিনিধি দাবি করে তাদের সকলকে ভিসা নীতির আওতায় আনা হবে” শীর্ষক শিরোনামে প্রথম আলোর সংবাদ দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার গত ২২ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
উল্লেখ্য, পূর্বেও প্রথম আলো’র ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনের স্ক্রিনশট নকল করে পিটার হাসের নামে ভুয়া মন্তব্য প্রচার করা হলে সে বিষয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার। প্রতিবেদনগুলো দেখুন
সুতরাং, জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোকে উদ্ধৃত করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বরাত দিয়ে “বিনা ভোটে যারা নির্বাচিত এমপি উপজেলা চেয়ারম্যান সহ জনপ্রতিনিধি দাবি করে তাদের সকলকে ভিসা নীতির আওতায় আনা হবে” শীর্ষক দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত তথ্যটি মিথ্যা এবং উক্ত দাবিতে প্রচারিত ছবিটি এডিটেড বা বিকৃত।
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ফিলিস্তিনে ইসরাইলের বিমান হামলার দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ছবিটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় বরং ২০২১ সালে ফিলিস্তিনের দক্ষিণ গাজা স্ট্রিপে ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর হামলার ছবিকে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।
মূলত, সম্প্রতি ফিলিস্তিনের উপর ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর হামলার ঘটনার দাবিতে একটি ছবি ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে। কিন্তু রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, উক্ত ছবিটি সাম্প্রতিক সময়ের নয়। প্রকৃতপক্ষে, আলোচিত ছবিটি প্রায় দুই বছরেরও বেশি সময় পূর্বের। ২০২১ সালের ১১ মে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী ফিলিস্তিনের দক্ষিণ গাজা স্ট্রিপে হামলার সময় ছবিটি তোলা হয়।
প্রসঙ্গত, পূর্বে ২০২১ সালে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ভবন ধসের ভিডিওকে সাম্প্রতিক দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করলে তা শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।
সুতরাং, ফিলিস্তিনের ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর হামলার ঘটনার পুরনো একটি ছবিকে সাম্প্রতিক ফিলিস্তিন ও ইসরাইল যুদ্ধের ছবি দাবিতে ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।
সম্প্রতি, “আপনাদের প্রিয় মুসলিম রাষ্ট্র আজারবাইজান একধাপ এগিয়ে নিজেদের আইকনিক টাওয়ারে লাইটিং করে সমবেদনা জানিয়েছে।” শিরোনামে একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে ইসরায়েলের ওপর হামাসের সাম্প্রতিক আক্রমণের প্রেক্ষিতে আজারবাইজান তাদের একটি আইকনিক টাওয়ার ইসরায়েলের পতাকার আদলে লাইটিং করে সমবেদনা জানিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ইসরায়েলে হামাসের সাম্প্রতিক হামলার প্রেক্ষিতে আজারবাইজান সমবেদনা জানিয়ে তাদের আইকনিক টাওয়ার ইসরায়েলের পতাকার আদলে লাইটিং করেছে শীর্ষক দাবিটি সঠিক নয়, বরং ২০১৫ সালে আজারবাইজানে ইউরোপিয়ান গেমসে ইসরায়েলসহ অংশগ্রহণকারী সকল দেশের পতাকা দেশটির ফ্লেম টাওয়ারো প্রদর্শন করার ঘটনার পুরোনো ছবিকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।
রিভার্স ইমেজ সার্চ করার মাধ্যমে, লস অ্যাঞ্জেলেসে আজারবাইজানের কনস্যুলেট জেনারেলের ফেসবুক পেজ ‘Consulate General of Azerbaijan in Los Angeles’ এ ২০১৫ সালের ৩০ জুনের একটি পোস্টে একই ছবি খুঁজে পাওয়া যায়।
পোস্টের শিরোনামে উল্লেখ করা হয়, আজারবাইজানে ইউরোপীয় গেমসে ইসরায়েল দলের অংশগ্রহণকে সম্মান জানিয়ে বাকুর ফ্লেম টাওয়ারসে ইসরায়েলি পতাকা প্রদর্শিত হয়েছে।
Screenshot : FB/ Azerbaijan consulate in LA
একই তারিখে কনস্যুলেটটির টুইটার (বর্তমানে এক্স) অ্যাকাউন্টেও “আজারবাইজানের বাকু গেমস ২০১৫-এ টিম ইসরায়েলের অংশগ্রহণকে সম্মান জানিয়ে বাকুর ফ্লেম টাওয়ারসে ইসরায়েলি পতাকা প্রদর্শিত হয়েছে” শিরোনামে উক্ত ছবিটি পোস্ট করা হয়।
Screenshot : X/Azerbaijan in LA
পরবর্তী অনুসন্ধানে maberajo নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে “Flame Towers Baku with all Europe Flags” শিরোনামে ২০১৫ সালের ২৮ জুন প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।
ভিডিওটি পর্যবেক্ষণে ২০১৫ সালে আজারবাইজানের বাকুতে অনুষ্ঠিত ইউরোপিয়ান গেমসে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর তাদের পতাকা বাকুর ফ্লেম টাওয়ারে প্রদর্শিত হতে দেখা যায়।
ভিডিওতে ইসরায়েলের পতাকা দেখানোর দৃশ্যের সাথে প্রচারিত ছবির হুবহু মিল খুঁজে পাওয়া যায়। ভিডিওর বর্ণনা থেকে জানা যায়, ভিডিও আপলোডকারী, এই ভিডিওটি ২০১৫ সালের ১৮ জুন আজারবাইজানের বাকুতে অনুষ্ঠিত ইউরোপিয়ান গেমসের সময় ধারণ করেছেন।
Screenshot : YT/maberajo
এছাড়াও, সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েলে হামাসের হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজারবাইজানের বাকুতে অবস্থিত ফ্লেম টাওয়ার ইসরায়েলের পতাকার আদলে লাইটিং করা হয়েছে এমন কোনো তথ্য বা সংবাদ অনুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য কোনো সূত্রেই পাওয়া যায়নি।
মূলত, ২০১৫ সালের জুনে প্রথমবারের মতো আজারবাইজানের বাকুতে অনুষ্ঠিত হয় ইউরোপিয়ান গেমস। উক্ত গেমসে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর পতাকা বাকুর ফ্লেম টাওয়ারে প্রদর্শন করা হয়। ইসরায়েলও সেই গেমসের অংশগ্রহণকারী দল হওয়ায় তাদের পতাকাও অন্য দেশগুলোর সাথে সেখানে প্রদর্শিত হয়। ২০১৫ সালের এই ইউরোপিয়ান গেমসের সময়ে ইসরায়েলের পতাকা বাকুর ফ্লেম টাওয়ারে প্রদর্শনের ছবিটিই সম্প্রতি ইসরায়েলের ওপর হামাসের হামলার ঘটনায় আজারবাইজান সমবেদনা জানিয়ে তাদের ফ্লেম টাওয়ার ইসরায়েলের পতাকা দিয়ে লাইটিং করেছে শীর্ষক দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।
সুতরাং, হামাসের ইসরায়েলে হামলার ঘটনায় সমবেদনা জানিয়ে আজারবাইজান তাদের ফ্লেম টাওয়ার ইসরায়েলের পতাকার আদলে লাইটিং করার দাবিটি মিথ্যা এবং প্রচারিত ছবিটি পুরোনো।
তথ্যসূত্র
FB & X post by Consulate General of Azerbaijan in Los Angeles
সম্প্রতি, “৩০ ব্যক্তির উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিলো অস্ট্রেলিয়া, মাহা বিপদে শেখ হাসিনা।” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও ইউটিউবে প্রচার করা হচ্ছে।
যা দাবি করা হচ্ছে
ভিডিওটির থাম্বনেলের লেখায় দাবি করা হচ্ছে যে ৫ শর্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩০ ব্যক্তির ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিলো অস্ট্রেলিয়া, মাহা বিপদে শেখ হাসিনা’।
উক্ত দাবিতে ইউটিউবে প্রচারিত এমন ভিডিও দেখুন ভিডিও (আর্কাইভ)।
একই ভিডিও পরবর্তীতে ফেসবুকেও শেয়ার হয়। এমন একটি পোস্ট দেখুন পোস্ট (আর্কাইভ)
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ৫ শর্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩০ ব্যক্তির ওপর অস্ট্রেলিয়ার ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার দাবিটি সত্য নয়। প্রকৃতপক্ষে, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বাধাদানকারী ব্যক্তিদের নিষেধাজ্ঞার আহ্বানে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে ১৫ এমপির চিঠি দেওয়ার খবরটি উক্ত দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।
অনুসন্ধানের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩০ ব্যক্তির ওপর অস্ট্রেলিয়ার ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। উক্ত ভিডিওর শুরুতে ‘অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে ১৫ এমপির চিঠি, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বাধাদানকারীদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আহ্বান’ শীর্ষক একটি সংবাদ শিরোনাম দেখা যায় এবং একই দাবিতে ভিডিওটির ১২ সেকেন্ড থেকে ৩২ সেকেন্ড পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর নেত্রী রুমিন ফারহানা বক্তব্য দেন।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী ব্যক্তিরা যাতে অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশ করতে না পারে তা নিশ্চিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবেনিজকে অস্ট্রেলিয়ার ১৫ জন এমপি চিঠি দিয়েছেন।
চিঠিতে অস্ট্রেলিয়ার এমপিরা বলেন, আমরা গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করে এমন যেকোনো কাজকে উদ্বেগজনক মনে করি। এরমধ্যে আছে, ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখানো এবং রাজনৈতিক দল, ভোটার, সুশীল সমাজ ও মিডিয়াকে মত প্রকাশে বাঁধা দেয়া। এমন অবস্থায়, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী ব্যক্তিরা যাতে অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশ করতে না পারে তা নিশ্চিত করার জন্য ম্যাগনিটস্কি নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে হোক বা অন্য কোনো উপায়ে হোক, যুক্তরাষ্ট্রের মতো আমাদেরও অনুরূপ নীতি প্রণয়ন করা অত্যাবশ্যক।
অর্থাৎ, উক্ত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর ভেতরে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্তকারী ব্যক্তিদের অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার দেওয়ার দাবিতে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে ১৫ জন এমপির চিঠি লেখার তথ্য থাকলেও ভিডিওটির শিরোনাম এবং টাইটেল ভিন্ন দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩০ ব্যক্তির ওপর অস্ট্রেলিয়ার ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার দাবির বিষয়ে অনুসন্ধানে বাংলাদেশে অবস্থিত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনের ওয়েবসাইটে এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এছাড়া, বাংলাদেশি কোনো গণমাধ্যমেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩০ ব্যক্তির ওপর অস্ট্রেলিয়ার ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার দাবিতে প্রকাশিত কোনো সংবাদ প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়নি।
মূলত, গত ৪ অক্টোবর বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী ব্যক্তিরা যাতে অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশ করতে না পারে তা নিশ্চিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবেনিজকে অস্ট্রেলিয়ার ১৫ জন এমপি চিঠি দেন। তবে সম্প্রতি এই বিষয়টিই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩০ ব্যক্তির ওপর অস্ট্রেলিয়ার ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার দাবিতে ইউটিউবে প্রচার করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত ২২ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার জানান, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র এখনও পর্যন্ত বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশিত ভিসা নীতির আওতায় নিষেধাজ্ঞায় পড়া ব্যক্তিদের নাম বা তালিকা প্রকাশ করেনি।
উল্লেখ্য, পূর্বে বিভিন্ন ব্যক্তির ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার করলে বিষয়গুলো শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার। এমন কয়েকটি প্রতিবেদন দেখুন :
সুতরাং, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্তকারী ব্যক্তিদের অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার দেওয়ার দাবিতে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে ১৫ জন এমপির চিঠি লেখার খবরকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩০ ব্যক্তির ওপর অস্ট্রেলিয়ার ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার দাবিতে ইউটিউবে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।