Home Blog Page 510

ছবিগুলো নাসা বা ইসরো তুলেনি এবং এগুলো সূর্যের সবচেয়ে কাছের ছবিও নয় 

সম্প্রতি, ‘এই পর্যন্ত পাওয়া সূর্যের সবচেয়ে কাছ থেকে তোলা ছবি’ শীর্ষক শিরোনামে কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, ছবিগুলো ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নাসা) তুলেছে। আবার দাবি করা হচ্ছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) এই ছবিগুলো তুলেছে। 

সূর্যের

ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) এসব ছবি তুলেছে দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নাসা) এসব ছবি তুলেছে দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আলোচিত এগুলো সূর্যের সবচেয়ে কাছের ছবি নয় এবং ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নাসা) বা ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) এই ছবিগুলো তুলেনি বরং ছবিগুলো রবার্ট আরনল্ড নামের একজন অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফারের টেলিস্কোপের সাহায্যে তুলেছে।

রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতি ব্যবহার করে, ফ্রি-অ্যাস্ট্রোনমি ফোরাম Cloudy Night এর ওয়েবসাইটে ২০১০ সালের ১৩ মার্চে ‘robert_arnold’ নামের একজন ব্যবহারকারী কর্তৃক প্রকাশিত মূল ছবিগুলো পাওয়া যায়।

Image  Comparison: Rumor Scanner

ফোরামটি সম্পর্কে জানা যায় যে, এটা মূলত টেলিস্কোপ রিভিউ ফোরাম এবং মহাকাশ বিষয়ে কৌতুহলীরা মহাকাশ সম্বন্ধীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করে থাকেন।

রবার্ট আরনল্ডের ক্যাপশন অনুসন্ধানের মাধ্যমে জানা যায় ব্রাইট প্রমিনেন্স হলো সূর্যের উজ্জ্বলতম অংশের আধিপত্য। সূর্যপৃষ্ঠ থেকে নানা ধরনের অগ্ন্যুৎপাত ও শক্তি অহরহ নির্গত হয়। এর মধ্যে রয়েছে অতি বেগুনি রশ্মি ফ্লেয়ার (Flares), প্রমিনেন্স (Prominence), সানস্পট (Sunspots) এবং করোনাল মাস ইজেকশন (Coronal Mass Ejections) বা সিএমই (CME)। রবার্ট আরনল্ডের তোলা সোলার প্রমিন্যন্সের সময়কালে অর্থাৎ ২০১০ সালের ৩০ মার্চ সূর্যের সম্ভাব্য সৌর ঝড়ের ছবি প্রথম প্রকাশ করে নাসা।

পরবর্তীতে, National Science Foundation তাদের অফিশিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে (সাবেক টুইটার) ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি ‘’Inouye Solar Telescope দিয়ে তোলা সূর্যের অবিশ্বাস্য কাছের একটি ছবি (অনুবাদিত)” শিরোনামে একটি ছবি প্রকাশ করে।

পাশাপাশি, ২০২০ সালের ১৬ জুলাই নাসা তাদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে ‘ESA/NASA’s Solar Orbiter Returns First Data, Snaps Closest Pictures of the Sun’শিরোনামে ‘সূর্যের সবচেয়ে কাছের ছবি’ প্রকাশ করে। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ESA) এবং নাসা যৌথ ভাবে সূর্য পরিভ্রমণকারী স্পেস পাঠায় ২০২০ সালের সালের ৯ ফেব্রুয়ারি। সৌর যানটি একই বছরের ৩০ মে সূর্যের ছবি তুলতে সক্ষম হয়। সৌরযানটির পাঠানো ছবি সম্পর্কে নাসার গড্ডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টার, গ্রিনবেল্ট মেরিল্যান্ড-এর প্রজেক্ট সাইন্টিস্ট হলি গিলবার্ট বলেন, এই অবিশ্বাস্য ছবিগুলোই এখন পর্যন্ত সূর্যের সবচেয়ে কাছের ছবি। 

এছাড়াও, নাসার প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতে ২০২০ সালের ১৬ জুলাই  বিবিসি-তে প্রকাশিত Solar Orbiter: Closest ever pictures taken of the Sun শিরোনামে একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, নাসার প্রকাশিত সূর্যের নতুন ছবিটি সূর্যের উপরিভাগের ৭৭ মিলিয়ন কিলোমিটার দূর থেকে তোলা হয়েছে এবং প্রতিবেদন অনুযায়ী এটাই ক্যামেরায় তোলা সূর্যের সবচেয়ে কাছের ছবি।

এছাড়া, ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) এর ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, আদিত্য L1 সূর্য অভিযানে ২০২৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর গিয়েছিলো। আর এই ছবিগুলো তোলা হয়েছিলো ১৩ বছর পূর্বে। তাই এই ছবিগুলো ইসরোর আদিত্য L1 দিয়ে তোলা সম্ভব না।

মূলত, ২০১০ সালে রবার্ট আরনল্ড নামে একজন মহাকাশপ্রেমী টেলিস্কোপ দিয়ে সূর্যের কিছু ছবি তোলেন। সম্প্রতি এই ছবিগুলো এ পর্যন্ত পাওয়া সূর্যের সবচেয়ে কাছ থেকে তোলা ছবি যা ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নাসা) এবং ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) তুলেছে দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ছবিগুলো এ যাবত কালের সূর্যের সবচেয়ে স্বচ্ছ এবং কাছের ছবি নয়। টেলিস্কোপের সাহায্যে সূর্যের সবচেয়ে কাছের ছবি National Science Foundation ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি প্রকাশ করে। অন্যদিকে সৌর যান পাঠিয়ে সূর্যের সবচেয়ে কাছের ছবি নাসা ২০২০ সালের ১৬ জুলাই প্রকাশ করে। এছাড়া ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) সূর্য অভিযানের জন্য আদিত্য L1 যান পাঠায় ২০২৩ সালে। তার ১৩ বছর পূর্ব থেকেই আলোচিত ছবিগুলোর অস্তিত্ব ইন্টারনেটে রয়েছে।

সুতরাং, নাসা এবং ইসরোর তোলা সূর্যের সবচেয়ে কাছের ছবি দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

জো বাইডেন শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেননি 

গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ২২২টি সংসদীয় আসনে জয়লাভ করে সরকার গঠন করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। তবে গত ১৭ জানুয়ারি ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম ইউটিউবে “ফাইনালি পুনরায় তফসিল ঘোষণা করলেন সিইসি শেখ হাসিনাকে কঠিন হুমকি দিল যুক্তরাষ্ট্র।Bd news today” শীর্ষক শিরোনাম এবং “হাসিনাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিল জোবাইডেন ফাইনালি পূনরায় তফসিল ঘোষণা করলেন সিইসি” শীর্ষক থাম্বনেইলে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে। 

জো বাইডেন

ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিওটি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেননি এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালও পুনরায় নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করেননি বরং অধিক ভিউ পাওয়ার আশায় চটকদার শিরোনাম ও থাম্বনেইল ব্যবহার করে ভিন্ন ভিন্ন ঘটনার পুরোনো কিছু ভিডিও ক্লিপ যুক্ত করে আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। উক্ত ভিডিওটিতে কোথাও জো বাইডেন কর্তৃক শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারের নির্দেশ কিংবা প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের পুনরায় নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার দাবির স্বপক্ষে কোনো দৃশ্য দেখা যায়নি।

ভিডিওটিতে প্রচারিত ভিডিও ক্লিপগুলো পৃথকভাবে যাচাই করেছে রিউমর স্ক্যানার টিম।

ভিডিও যাচাই – ০১

আলোচিত ভিডিওটিতে দাবিটি প্রসঙ্গে দেখানো ১ম ভিডিওটিতে ভয়েজ বাংলার প্রতিষ্ঠাতা ও সাংবাদিক মোস্তফা ফিরোজকে দেখা যায়। ভিডিওটির অনুসন্ধানে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে ভয়েজ বাংলার ইউটিউব চ্যানেলে গত ১৭ জানুয়ারি “নির্বাচন হয়েছে একপক্ষীয় ও পাতানো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ’ I Mostofa Feroz I Voice Bangla” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

Video Comparison : Rumor Scanner

উক্ত ভিডিওটির একটি অংশের সাথে আলোচিত ভিডিওর মোস্তফা ফিরোজের ফুটেজ অংশের  হুবহু মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

ভিডিওতে মোস্তফা ফিরোজকে গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নিজস্ব মতামত ব্যক্ত করতে দেখা যায়। ভিডিওর কোথাও তাকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কর্তৃক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গ্রেফতারের নির্দেশ কিংবা সিইসির পুনরায় নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার বিষয়ে কিছু বলতে দেখা যায়নি। 

ভিডিও যাচাই – ২ 

আলোচিত ভিডিওটির পরবর্তী অংশে বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ ও সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনিকে দেখা যায়। ভিডিওটির অনুসন্ধানে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে গোলাম মাওলা রনির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে গত ১৭ জানুয়ারি “বাংলাদেশ নিয়ে হোয়াইট হাউজে গরম আলোচনা!  পেন্টাগনের নতুন টার্গেট! আ.লীগের ভবিষ্যৎ কি!” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। এই ভিডিওটির একটি অংশই আলোচিত ভিডিওটিতে যুক্ত করা হয়েছে। 

Video Comparison : Rumor Scanner 

ভিডিওতে গোলাম মাওলা রনিকে নির্বাচনকেন্দ্রিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে দেখা গেলেও আলোচিত দাবি প্রসঙ্গে কোনো কিছু বলতে শোনা যায়নি। 

অর্থাৎ গোলাম মাওলা রনির এই ভিডিওটি সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিকভাবে আলোচিত দাবিতে যুক্ত করা হয়েছে। 

এছাড়া গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্যকোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কর্তৃক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারের নির্দেশ কিংবা নির্বাচন কমিশন কর্তৃক পুনরায় নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার দাবির সত্যতা পাওয়া যায়নি।

মূলত, গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত নির্বাচনে ২৯৮টি আসনের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক ২২২টি আসনে জয়ী হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। নির্বাচনের পরবর্তী সময়ে নির্বাচনের ফলাফলকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ রাজনৈতিক দলগুলোকে জড়িয়ে ইন্টারনেটে বিভিন্ন তথ্য প্রচার আসছে৷ এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৭ জানুয়ারি “হাসিনাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিল জোবাইডেন ফাইনালি পূনরায় তফসিল ঘোষণা করলেন সিইসি” শীর্ষক শিরোনামে ইন্টারনেটে একটি তথ্য প্রচার করা হয়েছে। তবে অনুসন্ধানে গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে উক্ত দাবির সত্যতা পাওয়া যায়নি। প্রকৃতপক্ষে অধিক ভিউ পাওয়ার আশায় চটকদার শিরোনাম ও থাম্বনেইল ব্যবহার করে ভিন্ন ভিন্ন ঘটনার পুরোনো কিছু ভিডিও ক্লিপ যুক্ত করে আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।

সুতরাং, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কর্তৃক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারের নির্দেশ এবং সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের পুনরায় নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত তথ্যগুলো মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র 

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিলের গুজব

0

সম্প্রতি, এখন থেকে স্কুল-কলেজ শনিবারও খোলা থাকবে– শীর্ষক একটি তথ্য নবনির্বাচিত শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বরাতে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। 

শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

একই দাবিতে টিকটকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করার কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীও সম্প্রতি উল্লিখিত দাবিতে কোনো মন্তব্য করেননি বরং কোনো তথ্য প্রমাণ ছাড়াই আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হচ্ছে। 

আলোচিত দাবিটি নিয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে গণমাধ্যম বা নির্ভরযোগ্য কোনো সূত্রে এ-সংক্রান্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে নবনির্বাচিত শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বক্তব্য নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত একাধিক প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

দৈনিক সমকালে গত ১৯ জানুয়ারি “নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করার বিকল্প নেই: শিক্ষামন্ত্রী” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। 

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সেদিন চট্টগ্রামে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, সমালোচনার ভয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন থেকে সরকার পিছপা হবে না। ভালো কিছু করার লক্ষ্যে সরকার দৃঢ়তার সঙ্গে কিছু বিষয়ে অবশ্যই সিদ্ধান্ত নেবে। নতুন শিক্ষা কারিকুলামের সমালোচনা হলেও এর বাস্তবায়ন ছাড়া বিকল্প নেই।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘যে সিদ্ধান্তগুলো শিক্ষাবিদ, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বসে নেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে সমালোচনা নেওয়ার সক্ষমতা রাজনীতিবিদদের থাকতে হবে। আমি রাজনৈতিক নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আছি। আমাদের বিশেষজ্ঞরা তাদের জায়গা থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে শিক্ষাব্যবস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’ 

এই মতবিনিময় সভায় শিক্ষামন্ত্রী শনিবার স্কুল-কলেজ খোলা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। 

এছাড়া, বিডিনিউজ২৪ এর ওয়েবসাইটে গত ১৪ জানুয়ারি ‘প্রয়োজনে’ নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নে পরিবর্তন: নতুন শিক্ষামন্ত্রী– শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত আরেকটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ১৪ জানুয়ারি প্রথম কর্মদিবসে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল; তিনি বলেছেন, নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নে ‘প্রয়োজনে’ অবশ্যই পরিবর্তন আনা হবে।

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “আমাদের দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ শিক্ষা মন্ত্রী ছিলেন, আমাদের দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। উনারা সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। “শিক্ষাবর্ষ মাত্র শুরু হয়েছে। ধারাবাহিক মূল্যায়নের কাজগুলোও শুরু হয়েছে। কাজ করতে গিয়ে যদি কোনো সমস্যা মনে হয়, তাহলে পরিবর্তন অবশ্যই আসবে।”

এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, “নতুন কারিকুলাম হঠাৎ করে আসেনি। এটা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। এই আলোচনা সমালোচনাগুলোকে মাথায় রেখেই সেখানে দুর্বলতা থাকলে, সমস্যা থাকলে সেটা সমাধান করা হবে। মূল্যায়ন নিয়ে একটা আলোচনা আছে, সেই মূল্যায়ন যাতে কোনো প্রতিবন্ধকতায় পরিণত না হয়, সেটাকে আমরা বিবেচনায় রেখে এগিয়ে যাব। শিক্ষায় একটা ধারাবাহিকতা থাকে। এখানে নতুন করে কিছু করার অবকাশ নেই। সেই ধারাবাহিকতার মধ্য দিয়ে রূপান্তর ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হবে। স্মার্ট সিটিজেন তৈরি করার জন্য স্মার্ট এডুকেশন সিস্টেম আমাদের প্রয়োজন। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করব।”

এই প্রতিবেদনেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল ঘোষণার দাবির বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর কোনো কোনো বক্তব্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এছাড়া, বিষয়টি অধিকতর যাচাইয়ের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়েরের সঙ্গে যোগাযোগ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। তিনি বলেন, “মন্ত্রণালয় থেকে এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।”

মূলত, সদ্য সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ২০২২ সালে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে নতুন কারিকুলামের পাইলটিংয়ের জন্য নির্ধারিত পাঠ্যপুস্তক বিতরণ অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন, ২০২৩ সাল থেকে প্রাথমিক থেকে শুরু করে সব পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই দিন করে সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে। এরপর ২০২৩ সাল থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সপ্তাহে শুক্র ও শনিবার দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি থাকছে। তবে সম্প্রতি ‘নতুন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী শনিবারের ছুটি বাতিল করে স্কুল-কলেজ খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন’- শীর্ষক একটি তথ্য ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, দাবিটি মিথ্যা। শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর মহিবুল হাসান চৌধুরী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেননি। 

সুতরাং, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করা হয়েছে দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ফেসবুকে লাইভে এসে সাকিব আল হাসানের সমালোচনা করেন নি

সম্প্রতি বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভে এসে হবিগঞ্জ- ৪ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের পক্ষ নিয়ে মাগুরা- ১ আসনে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের সমালোচনা করেছেন দাবিতে ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম ইউটিউবে প্রচার করা হয়েছে।

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ

ভিডিওটি এই প্রতিবেদন প্রকাশ অবধি প্রায় ৫ হাজার বার হাজারবার দেখা হয়েছে এবং একশতর বেশি অ্যাকাউন্ট থেকে রিয়েকশন করা হয়েছে।

ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিওটি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ক্রিকেটার মাহিয়া মাহমুদউল্লাহ ফেসবুকে লাইভে এসে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের পক্ষ নিয়ে সাকিব আল হাসানের সমালোচনা করেন নি বরং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের পুরনো এবং ভিন্ন প্রেক্ষাপটের ভিডিও উক্ত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। ভিডিওটিতে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ও ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দুইটি পৃথক ভিডিও ক্লিপের পাশাপাশি সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং সায়েদুল হক সুমনের কিছু ছবি প্রদর্শিত হতে দেখা যায়।

ভিডিওটি’র সংবাদপাঠ অংশে বলা হয়, ‘সাকিব অনেক অহংকারী ও বেয়াদব। এবার ফেসবুক লাইভে এসে ব্যারিস্টার সুমনকে মারতে চাওয়ার ঘটনা নিয়ে সাকিবকে রীতিমতো ধুয়ে দিল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।’ তবে ভিডিওতে উক্ত দাবিতে প্রেক্ষিতে কোনো সূত্র উল্লেখ করা হয়নি।

প্রাসঙ্গিক একাধিক কি ওয়ার্ড সার্চ করে গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্যকোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে মাহমুদউল্লাহর এরূপ কোনো মন্তব্যের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি।

পরবর্তীতে আলোচিত ভিডিওটিতে থাকা ভিডিও ক্লিপটির বিষয়ে আলাদাভাবে অনুসন্ধান চালায় রিউমর স্ক্যানার টিম।

ভিডিও যাচাই: ০১

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ভিডিওটির বিষয়ে অনুসন্ধানে তার অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে ২০১৯ সালের ১৮ আগস্ট প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত ভিডিওর একটি অংশের সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ফুটেজের অংশের হুবহু মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

Video Comparison: Rumor Scanner

ভিডিও বার্তায় জানান, তিনি গণমাধ্যমে সাকিব আল হাসান আর তার মাঝে দ্বন্দ্বের জানতে পারে। তবে তার এবং সাকিব আল হাসানের সাথে কোনো ধরণের সম্পর্কের অবনতি হয়নি।

ভিডিও যাচাই: ০২

ভিডিওটির বিষয়ে অনুসন্ধানে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে ২০২৩ সালের ১৬ মার্চ প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত ভিডিওর একটি অংশের সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর ব্যারিস্টার সুমনের ফুটেজ অংশের হুবহু মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

Video Comparison: Rumor Scanner

ভিডিওতে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন সাকিব আল হাসানের বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা মামলার পলাতক আসামি আরাভ খানের জুয়েলারি দোকান উদ্বোধন করতে যাওয়ার সমালোচনা করেন এবং সাকিবের বিরুদ্ধে সেসময় ভারত-বাংলাদেশ সিরিজ চলাকালে হোটেল সোনারগাঁওয়ে তার (সুমন) ওপর হামলা চেষ্টার অভিযোগ করেন।

মূলত, ২০১৯ সালে ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করে জানান, গণমাধ্যমে সাকিব আল হাসান আর তার মাঝে দ্বন্দ্বের ব্যাপারে প্রকাশিত তথ্যটি মিথ্যা। তাদের মাঝে কোনো সমস্যা নেই এবং তাদের কোনো ধরণের সম্পর্কের অবনতি হয়নি। এছাড়া ২০২৩ সালে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে তাকে হামলা চেষ্টা করার  অভিযোগ তুলে তার ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। সম্প্রতি উক্ত দুইটি ভিডিও ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় যুক্ত করে করে ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভে এসে হবিগঞ্জ- ৪ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের পক্ষ নিয়ে মাগুরা- ১ আসনে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের সমালোচনা দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

সুতরাং, ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের পক্ষ নিয়ে সাকিব আল হাসানের সমালোচনা করেছেন দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

শোয়েব মালিকের সাথে সানা জাভেদের বিয়েটি মালিকের দ্বিতীয় নয়, তৃতীয় বিয়ে

0

গত ২০ জানুয়ারি পাকিস্তানি ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও অলরাউন্ডার শোয়েব মালিক পাকিস্তানি টেলিভিশন অভিনেত্রী সানা জাভেদের সাথে তার নতুন বিয়ের খবর জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে তাদের দুটি ছবি প্রকাশ করেন (ফেসবুক), (ইনস্টাগ্রাম), (এক্স)। সানা জাভেদের সাথে তার এ বিয়ের ঘটনাকে গণমাধ্যম শোয়েব মালিকের দ্বিতীয় বিয়ে হিসেবে দাবি করে সংবাদ প্রকাশ করেছে। 

বিয়ে

উক্ত দাবিতে দেশের গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন ডিবিসি নিউজ, সময়ের কণ্ঠস্বর, দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস, অনফিল্ড (ইউটিউব), রেডিও টুডে, ২৪লাইভনিউজপেপার, ফ্রিডম বাংলা নিউজ, ঢাকা পোস্ট, বাংলানিউজ২৪, ডেইলি বাংলাদেশ, কালবেলা, ভোরের কাগজ, নিউজ২৪, বাংলাদেশ প্রতিদিন, বণিক বার্তা, এনটিভি, আজকের পত্রিকা, যুগান্তর, প্রথম আলো, জাগোনিউজ২৪, এমটিনিউজ২৪, দ্য বাংলাদেশ টুডে, সময়ের আলো, একুশে সংবাদ, পদ্মা টাইমস২৪, ঢাকা প্রকাশ (ফেসবুক)।

একই দাবিতে ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন দেখুন নিউজ১৮, বিজনেস টুডে, দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, দ্য ইকোনমিক টাইমস, জি নিউজ, এবিপি আনন্দ

একই দাবিতে গণমাধ্যমের ফেসবুক পেজের পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

একই দাবিতে টিকটকের ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

এছাড়া, শোয়েব মালিক তার প্রথম বিয়ে সারেন ২০০৬ সালে শীর্ষক দাবিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন মাছরাঙা টিভি (ইউটিউব)

তাছাড়া উক্ত ঘটনায় শোয়েব মালিকের নতুন স্ত্রী সানা জাভেদের এটি তৃতীয় বিয়ে শীর্ষক দাবিতে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন দেখুন ঢাকা মেইল। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, সানা জাভেদের সাথে শোয়েব মালিকের অনুষ্ঠিত বিয়েটি তার দ্বিতীয় বিয়ে নয় বরং এটি তার তৃতীয় বিয়ে। এর আগে ২০০২ এবং ২০১০ সালে আরো দুইটি বিয়ে করেছিলেন মালিক। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক গণমাধ্যম The Guardian এর ওয়েবসাইটে ২০১০ সালের ১২ এপ্রিল Sania Mirza marries Shoaib Malik in Hyderabad শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: The Guardian

প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, সেদিন ভারতীয় টেনিস খেলোয়াড় সানিয়া মির্জার সাথে শোয়েব আক্তার বিবাহ বন্ধানে আবদ্ধ হন। এর এক সপ্তাহ পূর্বেই আয়েশা সিদ্দিকী নামের আরেকজন ভারতীয় নারীর সাথে শোয়েব মালিকের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। আয়েশার সাথে ২০০২ সালের জুন মাসে  মালিকের বিয়ে হয়েছিল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। 

Screenshot: The Guardian

The Guardian এর ওয়েবসাইটে ২০১০ সালের ৪ এপ্রিল Malik-Mirza wedding in doubt as woman says she is cricketer’s wife শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত আরেকটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: The Guardian

এই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আয়েশা সিদ্দিকী নামের একজন ভারতীয় নারীর সাথে ইন্টারনেটে পরিচয় হওয়ার পর ২০০২ সালের জুন মাসে উক্ত নারীর সাথে শোয়েব মালিকের টেলিফোনের মাধ্যমে বিয়ে হয়। কথিত আয়েশা সিদ্দিকী নামের ওই নারীর সাথে দেখা করতে তিনি কয়েকবার ভারতের হায়দ্রাবাদ শহরে গেলেও সে তার সাথে দেখা করেন না। পরিবর্তে তিনি নানা সময় শোয়েব মালিককে নিজের ছবি পাঠান। পরবর্তীতে শোয়েব মালিক জানতে পারেন আয়েশা সিদ্দিকীর ছবি দাবি করে যে নারীর ছবি তাকে পাঠানো হতো সেটি আসলে উক্ত নারীর নয়; ভিন্ন একজন নারীর। তাই শোয়েব মালিক দাবি করেন তার সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। 

Screenshot: The Guardian

এছাড়াও কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে দেশিয় ইংরেজি গণমাধ্যম The Daily Star এবং কয়েকটি ভারতীয় গণমাধ্যমে শোয়েব মালিক এবং তার প্রথম স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকীর বিবাহ বিচ্ছেদের বেশকিছু সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়। এমন কিছু সংবাদ দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।  

অর্থাৎ, সানা জাভেদের সাথে তার বিয়ের বিষয়টিকে গণমাধ্যমে দ্বিতীয় বিয়ে বলে দাবি করা হলেও এটি শোয়েব মালিকের তৃতীয় বিয়ে। 

এছাড়াও শোয়েব মালিকের নতুন স্ত্রী সানা জাভেদের এটি তৃতীয় বিয়ে দাবিতে গণমাধ্যমে প্রচারিত তথ্যটির সত্যতা যাচাইয়ে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে পাকিস্তানি গণমাধ্যম Geo News এর ওয়েবসাইটে ২০ জানুয়ারি Who is Sana Javed? Star cricketer Shoaib Malik’s new bride  শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

 Screenshot: Geo News

প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, শোয়েব মালিকের পূর্বে ২০২০ সালে সানা জাভেদ পাকিস্তানের গায়ক ও গীতিকার উমাইর জসওয়ালকে বিয়ে করেন। তবে এই জুটির বিয়েটি বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। কিন্তু উক্ত প্রতিবেদনের কোথাও এটি ব্যতিত তার অন্যকোনো বিয়ের বিষয়ে উল্লেখ পাওয়া যায়নি।

 Screenshot: Geo News 

পরবর্তীতে উক্ত তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমেও আরেকটি পাকিস্তানি গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে একই তথ্য পাওয়া যায়।

মূলত, সানিয়া মির্জা ও শোয়েব মালিকের বিবাহ বিচ্ছেদের গুঞ্জনের মধ্যেই গত ২০ জানুয়ারি শোয়েব মালিক তার ব্যক্তিগত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্রোফাইলগুলোতে তার নতুন বিয়ের সংবাদ দেন। পাকিস্তানি টেলিভিশন অভিনেত্রী সানা জাভেদের সাথে নতুন করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন জানিয়ে তাদের দুজনের ছবি প্রকাশ করেন পাকিস্তানী ক্রিকেট দলের সাবেক এ অধিনায়ক। তার এই বিয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশীয় গণমাধ্যমগুলোতে দাবি করা হয় এটি শোয়েব মালিকের দ্বিতীয় বিয়ে। তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা  যায়, সানা জাভেদের সাথে শোয়েব মালিকের বিয়েটি মালিকের দ্বিতীয় বিয়ে নয়। এটি তার তৃতীয় বিয়ে। ২০০২ সালে তিনি তার প্রথম স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকীকে বিয়ে করেন। এরপর ২০১০ সালে সানিয়া মির্জার সাথে বিয়ে হয় মালিকের। 

সুতরাং, সানা জাভেদের সাথে শোয়েব মালিকের বিয়েটি শোয়েবের তৃতীয় বিয়ে হলেও কতিপয় গণমাধ্যমে এটিকে শোয়েবের দ্বিতীয় বিয়ে দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর। 

তথ্যসূত্র

চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের ভিডিও প্রতিবেদন সম্পাদনা করে ফেসবুকে জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার

সম্প্রতি, বাংলাদেশি আরিফ খান নামক একজন আবুধাবি প্রবাসী ‘গ্লোরি ক্যাসিনো’ অ্যাপে খেলে ৪৮ কোটি টাকা জিতেছেন দাবিতে বাংলাদেশি বেসরকারি ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের একটি সংবাদ প্রতিবেদন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে। 

জুয়ার বিজ্ঞাপন

ফেসবুকে প্রচারিত উক্ত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিক আরিফ খান ‘গ্লোরি ক্যাসিনো’ খেলে ৪৮ কোটি টাকা জিতেন নি বরং তিনি ‘মাইটি ২০ মিলিয়ন’ নামক লটারির রফেল ড্র’র পুরষ্কার হিসেবে ৪৮ কোটি টাকা পান। উক্ত বিষয় নিয়ে নিয়ে চ্যানেল টুয়েন্টিফোরে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।

দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ের শুরুতে প্রতিবেদনে থাকা লোগো এবং তথ্যের সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে বেসরকারি ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের ইউটিউবে ২০২২ সালের ৫ জুন “মাইটি 20 মিলিয়ন’ র‍্যাফেল ড্রয়ে বাংলাদেশের আরিফ জিতে গেলেন ৪৮ কোটি টাকা!” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি সংবাদ প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর দৃশ্যের মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

Video Comparison: Rumor Scanner

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আরিফ খান নামক সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিক সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবির ‘মাইটি ২০ মিলিয়ন’ নামক লটারির রফেল ড্র’র পুরষ্কার হিসেবে ৪৮ কোটি টাকা পান। তবে উক্ত প্রতিবেদনে গ্লোরি ক্যাসিনো খেলে আরিফ খান ৪৮ কোটি টাকা জিতেছেন শীর্ষক কোনো তথ্য বা চিত্র খুঁজে পাওয়া যায় নি।

মূলত, ২০২২ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিক আরিফ খান সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবির ‘মাইটি ২০ মিলিয়ন’ নামক লটারির রফেল ড্র’র পুরষ্কার হিসেবে ৪৮ কোটি টাকা পান। পরবর্তীতে উক্ত বিষয়টি নিয়ে দেশিয় বেসরকারি ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমে চ্যানেল টুয়েন্টিফোরে সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সম্প্রতি চ্যানেল টুয়েন্টিফোরে প্রকাশিত সেই প্রতিবেদনে ডিজিটাল প্রযুক্তির সাহায্যে সম্পাদনা করে ‘গ্লোরি ক্যাসিনো’ নামক জুয়ার অ্যাপের গ্রাফিক্স যুক্ত করে আরিফ খান উক্ত অ্যাপে খেলে ৪৮ কোটি টাকা জিতেছেন দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

সুতরাং, সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিক আরিফ খানের আবুধাবিতে রফেল ড্র’র পুরষ্কার হিসেবে ৪৮ কোটি টাকা পাওয়ার ঘটনাকে ‘গ্লোরি ক্যাসিনো’ খেলে তার অর্থ পাওয়ার ঘটনা দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি মিথ্যা এবং উক্ত দাবিতে চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের নামে প্রচারিত ভিডিওটি সম্পাদিত। 

তথ্যসূত্র

জমির নামজারি প্রক্রিয়া বাতিল হওয়ার দাবিটি মিথ্যা

সম্প্রতি, ‘জমির নামজারি সিস্টেম বাতিল হয়েছে’ শীর্ষক একটি তথ্য ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। 

জমির নামজারি

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ইউটিউবে প্রচারিত এমন কিছু ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, জমির নামজারি প্রক্রিয়া বাতিল হয়নি বরং নামজারি বা মিউটেশন প্রক্রিয়া এখনো আছে। এছাড়া, ভূমি মন্ত্রণালয় থেকেও নামজারি প্রক্রিয়া বাতিল হওয়ার দাবিটি গুজব বলে জানানো হয়েছে। 

শুরুতে নামজারি প্রক্রিয়া বাতিল হয়েছে কিনা এ বিষয়ে অনুসন্ধান করে রিউমর স্ক্যানার টিম। অনুসন্ধানে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে গণমাধ্যম ও বিশ্বস্ত সামাজিক মাধ্যমে এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। 

তবে, দৈনিক যুগান্তরে গত ১৮ জানুয়ারি “নামজারি প্রক্রিয়া বাতিলের সংবাদ গুজব-ভূমি মন্ত্রণালয়” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। 

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বুধবার ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা যাচ্ছে কিছু ব্যক্তি নামজারি প্রক্রিয়া বাতিল হয়েছে মর্মে বিভিন্ন তথ্য কিংবা ভিডিও কনটেন্ট তৈরি ও শেয়ার দিচ্ছেন। এতে অনেকেই বিভ্রান্ত হচ্ছেন। প্রকৃত তথ্য হচ্ছে, বাংলাদেশের বর্তমান ভূমি ব্যবস্থাপনায় নামজারি প্রক্রিয়া বাতিলের কোনো সুযোগ নেই।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটিতে আরও বলা হয়, সরকার জনগণের সুবিধার্থে ও ভোগান্তি কমাতে নামজারি প্রক্রিয়া সহজ করার উদ্যোগ নিয়েছে। জমি ক্রয় কিংবা অন্য কোনোভাবে মালিকানা পরিবর্তন পরবর্তী ভূমি নিবন্ধনের পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে নামজারি সম্পন্ন করার ব্যবস্থা করা হয়েছে রেজিস্ট্রেশন-মিউটেশন আন্তঃসংযোগের মাধ্যমে।

একই তথ্যে সংবাদ প্রকাশ করেছে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম। প্রতিবেদন দেখুন- কালের কণ্ঠ এবং কালবেলা

এছাড়া, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এ-সংক্রান্ত একটি পোস্ট (আর্কাইভ) খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Ministry Of Land, Bangladesh Facebook Post 

পোস্টটিতে বলা হয়, জমির নামজারি প্রক্রিয়া বাতিল হয়নি বরং নামজারি প্রক্রিয়াটি সহজতর করার জন্য ভূমি নিবন্ধনের পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে নামজারি সম্পন্ন করার ব্যবস্থা করা হয়েছে “রেজিস্ট্রেশন-মিউটেশন আন্তঃসংযোগ” এর মাধ্যমে। গতবছরের ২৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বয়ংক্রিয় নামজারির এই প্রক্রিয়া কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। বর্তমানে দেশের ১৭টি উপজেলায় এই কার্যক্রম চলমান। 

মূলত, ‘সম্প্রতি জমির নামজারি সিস্টেম বাতিল হয়েছে’ শীর্ষক একটি তথ্য ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, জমির নামজারি প্রক্রিয়া বাতিল হয়নি বরং নামজারি প্রক্রিয়াটি সহজতর করার জন্য ভূমি নিবন্ধনের পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে নামজারি সম্পন্ন করার ব্যবস্থা করা হয়েছে “রেজিস্ট্রেশন-মিউটেশন আন্তঃসংযোগ” এর মাধ্যমে। গতবছরের ২৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বয়ংক্রিয় নামজারির এই প্রক্রিয়া কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। বর্তমানে দেশের ১৭টি উপজেলায় এই কার্যক্রম চলমান। ভূমি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেও নামজারি পক্রিয়া বাতিলের দাবিকে মিথ্যা বলে জানানো হয়েছে। 

সুতরাং, সম্প্রতি জমির নামজারি প্রক্রিয়াবাতিল হওয়ার দাবিটি মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

১৬ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীদের কোচিংয়ে যেতে না পারার ঘটনাটি বাংলাদেশের নয়, ভারতের

0

সম্প্রতি, ‘১৬ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীরা কোচিংয়ে যেতে পারবে না’ শীর্ষক একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।

কোচিংয়ে

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ১৬ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীদের কোচিংয়ে যেতে না পারার উক্ত ঘটনাটি বাংলাদেশের নয় বরং এটি ভারতের। কোচিং সেন্টারগুলোর জন্য জারিকৃত নতুন নির্দেশনা স্বরূপ এ সিদ্ধান্ত নেয় ভারতের শিক্ষা মন্ত্রণালয়। 

অনুসন্ধানের শুরুতে ফেসবুকে প্রকাশিত পোস্টগুলোর সূত্র ধরে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে দেশীয় একাধিক গণমাধ্যমে (ডিবিসি নিউজ, দেশ রুপান্তর, ডেইলি বাংলাদেশ, শিক্ষাবার্তা, দ্য বাংলাদেশ মোমেন্টস, জুম বাংলা নিউজ) এবিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot : DBC News 

প্রচারিত প্রতিবেদনগুলো পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, সংবাদগুলোর শিরোনামে ঘটনাটির স্থান উল্লেখ করা না হলেও প্রতিবেদনগুলোর বিস্তারিত অংশে এটি ভারতের শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্দেশিত ঘটনা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

তাছাড়া একাধিক গণমাধ্যম তাদের ফেসবুক পেজে (,, ) ঘটনাটি’র বিস্তারিত উল্লেখ না করে শুধুমাত্র শিরোনাম এবং ফটোকার্ড পোস্ট করার ফলে ঘটনাটি ভারতের হলেও স্থানের নাম উল্লেখ না করে বাংলাদেশে প্রচার করায় বিষয়টি বাংলাদেশের ভেবে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে এবং বাংলাদেশের নেটিজেনরা বিষয়টি সঠিকভাবে না জেনেই ঘটনাটি বাংলাদেশের মনে করেছেন। 

Screenshot : DBC News 

উক্ত পোস্টগুলোর কমেন্টবক্স বিশ্লেষণ করে নেটিজেনদের ঘটনাটি বাংলাদেশের ভেবে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করতে দেখা যায়।

Screenshot Collage : Rumor Scanner 

পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে কি ওয়ার্ড অনুসন্ধানের মাধ্যমে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি’র ওয়েবসাইটে গত ১৮ জানুয়ারি ‘Coaching Centres Cannot Enrol Students Below 16 Years: Government’শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ভারতের শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ঘোষিত নতুন নির্দেশিকা অনুসারে কোচিং সেন্টারগুলো ১৬ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীদের নথিভুক্ত করতে পারবে না। কোচিং সেন্টারগুলোর অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্যই এই সিদ্ধান্ত। 

অর্থাৎ, ১৬ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীদের কোচিংয়ে যেতে না পারার উক্ত ঘটনাটি বাংলাদেশের নয়। তবে এ সম্পর্কিত খবরের শিরোনামে স্থানের নাম না উল্লেখ করে বাংলাদেশে প্রচার করায় ঘটনাটি বাংলাদেশের ভেবে নেটিজেনরা বিভ্রান্ত হয়েছেন।

পাশাপাশি, মূলধারার গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্যকোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে সাম্প্রতিক সময়ে ১৬ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীরা কোচিংয়ে যেতে পারবে না বিষয়ক কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

মূলত, সম্প্রতি ভারতের শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক কোচিং সেন্টারগুলোর অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধি কমানোর উদ্দেশ্য ১৬ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীদের কোচিং সেন্টারগুলো নথিভুক্ত করতে পারবে না শীর্ষক নির্দেশিকা প্রদান করা হয়। নির্দেশিকায় বলা হয়, শুধুমাত্র মাধ্যমিক বিদ্যালায়ের পরীক্ষায় সফলভাবে পাশ করার পরই কোচিংয়ে ভর্তি হতে পারবে শিক্ষার্থীরা। উক্ত বিষয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের বরাতে বাংলাদেশের একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের শিরোনামে ঘটনাটির স্থানের নাম উল্লেখ না করে প্রচার করা হয়। পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা বিষয়টি বাংলাদেশের ঘটনা মনে করে ফেসবুকে প্রচার করেন।

উল্লেখ্য, পূর্বেও ভারতের একাধিক ঘটনা বাংলাদেশের দাবিতে প্রচারিত হলে তা নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার। এমন কয়েকটি প্রতিবেদন দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে  এবং এখানে

সুতরাং, ১৬ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীদের কোচিংয়ে ভর্তি হতে না পারার ভারতের ঘটনাকে বাংলাদেশে স্থানের নাম উল্লেখ না করে ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার লাইভে এসে ক্ষমা চাওয়ার গুজব

গত ১৪ জানুয়ারি Media Cell 24 নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে ‘হঠাৎ লাইভে এসে ক্ষমা চাইলেন খালেদা জিয়া, দেশবাসীর প্রতি এ কি বার্তা দিলেন’ শীর্ষক দাবি সম্বলিত শিরোনাম ও থাম্বনেইল ব্যবহার করে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে।

খালেদা জিয়ার লাইভে

ভিডিওটি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

এই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া অবধি ভিডিওটি দেখা হয়েছে প্রায় ২ লাখ ৯৩ হাজার বার। ভিডিওটিতে প্রায় ৮ হাজার পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিক্রিয়া দেখানো হয়েছে।

উক্ত ভিডিওটি’র লিংক শেয়ার করে ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সাম্প্রতিক সময়ে লাইভে এসে কারো কাছে ক্ষমা চাননি বরং খালেদা জিয়ার পুরোনো সাক্ষাতকারের একটি ভিডিও’র সাথে উক্ত দাবি সম্বলিত শিরোনাম এবং থাম্বনেইলে খালেদা জিয়ার পুরোনো অপর একটি ছবি যুক্ত করে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় তাতে ‘লাইভ’ আইকন বসিয়ে আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। উক্ত ভিডিওটিতে কোথাও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারো কাছে ক্ষমা চাইতে দেখা যায়নি। ভিডিওটিতে খালেদা জিয়াকে দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলতে দেখা যায়।

আলোচিত দাবিটি’র সত্যতা যাচাইয়ে ভিডিওটি থেকে কিছু স্থিরচিত্র নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে ‘Voice of America’ এর বাংলা বিভাগের ইউটিউব চ্যানেলে ২০১১ সালের ২৮ মে ‘Khaleda Zia’s Exclusive Interview with VOA’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: VOA বাংলা YouTube

ভিডিওটিতে উল্লেখিত বিস্তারিত তথ্য থেকে জানা যায়, ২০১১ সালে সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগকে দেওয়া বিএনপি চেয়ারপারসোন খালেদা জিয়ার একান্ত সাক্ষাতকারের ভিডিও এটি। সেখানে তিনি দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন।

এই ভিডিওটি’র সাথে আলোচিত ভিডিওটি’র হুবহু মিল পাওয়া যায়।

Video Comparison by Rumor Scanner

অর্থাৎ, এই ভিডিওটি প্রায় ১২ বছর পূর্বের এবং এটি খালেদা জিয়ার লাইভে এসে ক্ষমা চাওয়ার কোনো ভিডিও নয়।

আলোচিত ভিডিওটি’র থাম্বনেইলে ব্যবহৃত খালেদা জিয়ার ছবিটিও পুরোনো

আলোচিত ভিডিওটি’র থাম্বনেইলে ব্যবহৃত ছবিটিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মাস্ক পরিহিত অবস্থায় দেখা যাচ্ছে। উক্ত ছবিটি নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে মূলধারার গণমাধ্যম কালের কণ্ঠ’র অনলাইন সংস্করণে ২০২১ সালের ০৫ মে ‘খালেদা জিয়ার করোনা জয়’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে আলোচিত ছবিটি’র অনুরূপ একটি ছবি খুঁজে পাওয়া যায়।

Image Comparison by Rumor Scanner

অর্থাৎ, এই ছবিটিও সাম্প্রতিক সময়ের নয় এবং এর সাথে আলোচিত দাবির কোনো সম্পর্ক নেই।

পাশাপাশি, মূলধারার গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্যকোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার লাইভে এসে কারো কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবির সত্যতা পাওয়া যায়নি।

এছাড়াও, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সর্বশেষ অবস্থার বিষয়ে জানা যায়, তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে পাঁচ মাসের বেশি সময় চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় নিজের গুলশানের বাসভবনে ফিরেছেন। খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড ১১ জানুয়ারি থেকে থেকে তাকে গুলশানের বাসায় প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে গত বছরের ৯ আগস্ট হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকে সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

মূলত, ২০১১ সালে সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা’র বাংলা বিভাগের কাছে একান্ত সাক্ষাতকারে দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। উক্ত সাক্ষাতকারের একটি ভিডিও সেসময় সংবাদমাধ্যমটি’র বাংলা বিভাগের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হয়। সম্প্রতি সেখান থেকে উক্ত ভিডিওটি সংগ্রহ করে গত ১৪ জানুয়ারি Media Cell 24 নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে ‘হঠাৎ লাইভে এসে ক্ষমা চাইলেন খালেদা জিয়া, দেশবাসীর প্রতি এ কি বার্তা দিলেন’ শীর্ষক দাবি সম্বলিত শিরোনাম ও থাম্বনেইলের সাথে খালেদা জিয়ার পুরোনো অপর একটি ছবি যুক্ত করে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় তাতে ‘লাইভ’ আইকন বসিয়ে আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া লাইভে এসে কারো কাছে ক্ষমা চাননি।

প্রসঙ্গত, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাসহ ১১টি মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি হবে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি।  কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামান রবিবার শুনানি মুলতবি করে নতুন তারিখ ধার্য করেছেন বলে জানান অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল। বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি স্থগিত করা হয়।

উল্লেখ্য, পূর্বেও ইন্টারনেটে খালেদা জিয়াকে জড়িয়ে বিভিন্ন ভুয়া তথ্য প্রচারের প্রেক্ষিতে একাধিক ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার। এমন কয়েকটি প্রতিবেদন দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে

সুতরাং, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া লাইভে এসে ক্ষমা চেয়েছেন দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

এনটিভির ফটোকার্ড নকল করে পেলেকে জড়িয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার 

0

সম্প্রতি, জুলেরিমে ট্রফিকে ফিফা ওয়ার্ল্ডকাপ বলায় একবার ক্ষেপে গিয়েছিলেন পেলে– শীর্ষক একটি তথ্যে বা শিরোনামে ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার পেলের ছবিসহ মূলধারার গণমাধ্যম এনটিভির ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।

এনটিভির ফটোকার্ড

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমার স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, জুলেরিমে ট্রফিকে ফিফা ওয়ার্ল্ডকাপ বলায় একবার ক্ষেপে গিয়েছিলেন পেলে শীর্ষক শিরোনামে এনটিভি কোনো ফটোকার্ড কিংবা সংবাদ প্রচার করেনি বরং ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় এনটিভির ফটোকার্ড নকল করে ভুয়া এই ফটোকার্ডটি প্রচার করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভি’র ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত ফটোকার্ডগুলো পর্যালোচনা করেও উক্ত শিরোনামে বা তথ্য সম্বলিত কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়াও, এনটিভি’র ওয়েবসাইট এবং ইউটিউব চ্যানেল পর্যালোচনা করেও উক্ত দাবির বিষয়ে কোনো সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এছাড়া আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে আলোচিত ফটোকার্ডটির গ্রাফিকাল ডিজাইনের সাথে এনটিভি’র ফেসবুক পেজে প্রচারিত ফটোকার্ডের ডিজাইনের মিল পাওয়া গেলেও প্রচারিত ফটোকার্ডটিতে ব্যবহৃত ফন্টের সাথে এনটিভি’র ব্যবহৃত ফন্টের অমিল খুঁজে পাওয়া যায়।

Photo card Comparison By Rumor Scanner 

অর্থাৎ, এনটিভি’র ফটোকার্ডের ডিজাইন নকল করেই আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে বলে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে প্রতীয়মান হয়েছে।

পাশাপাশি, এনটিভি ছাড়া অন্য কোনো সংবাদমাধ্যমেও আলোচিত দাবিটির বিষয়ে কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

এছাড়া, বিষয়টি অধিকতর নিশ্চিতের জন্য রিউমর স্ক্যানারের পক্ষ থেকে এনটিভির স্পোর্টস বিটের স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট বর্ষণ কবীরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি নিশ্চিত করেন, এনটিভি এমন কোনো ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি।

মূলত, সম্প্রতি জুলেরিমে ট্রফিকে ফিফা ওয়ার্ল্ডকাপ বলায় একবার ক্ষেপে গিয়েছিলেন পেলে– শীর্ষক একটি তথ্যে বা শিরোনামে পেলের ছবিযুক্ত মূলধারার গণমাধ্যম এনটিভির আদলে তৈরি একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। কিন্তু রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, এনটিভি এমন কোনো ফটোকার্ড প্রচার করেনি যা গণমাধ্যমটির পক্ষ থেকেও নিশ্চিত করা হয়েছে। তাছাড়া, অন্য কোনো গণমাধ্যমেও এ-সংক্রান্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। 

উল্লেখ্য, পূর্বেও এনটিভি’র ফটোকার্ড নকল করে গুজব প্রচার করা হলে তা শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার। 

সুতরাং, এনটিভি’র নাম ব্যবহার করে জুলেরিমে ট্রফিকে ফিফা ওয়ার্ল্ডকাপ বলায় একবার ক্ষেপে গিয়েছিলেন পেলে– শীর্ষক দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি মিথ্যা এবং প্রচারিত ফটোকার্ডটিও ভুয়া ও বানোয়াট।

তথ্যসূত্র