বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভুয়া তথ্য, প্রোপাগান্ডা, পাল্টা-প্রোপাগান্ডার প্রচার বাড়ছে। প্রোপাগান্ডা, বিভ্রান্তিকর তথ্য এবং ভুয়া খবর জনমতের মেরুকরণ ও ম্যানিপুলেশন, সহিংসতা উস্কে দেওয়া, সর্বোপরি গণতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। নির্বাচনকে ঘিরে ভুয়া তথ্যের প্রচার সামনে আরও উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন।
বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ও মিথ্যা সংবাদ ব্যাপকভাবে নানান কৌশলে ও নানান উপায়ে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে তেমন একটি আলোচিত কৌশল হল বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের নিউজ ফটোকার্ড এডিট করে নিজেদের মতো সংবাদ বা তথ্য বসিয়ে প্রচার। অনলাইনে যারা জনগণের মতামতের জগতকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়, জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চায়, উস্কে দিতে চায়, তারা ভুয়া তথ্যকে আরও বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের নিউজ ফটোকার্ড এডিটের মাধ্যমে প্রচার করার এ কৌশল অবলম্বন করছে, যা গত কয়েকমাসে ব্যাপকভাবে বেড়েছে। লোকজনও সেগুলোকে আসল মনে করে বিশ্বাস করে নিচ্ছে, প্রভাবিত হচ্ছে এবং কেউ কেউ শেয়ারও করছে।
বাংলাদেশে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর মধ্যে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং টুইটার অন্যতম। সংবাদমাধ্যমগুলো গত কয়েকবছর আগেও তাদের সোস্যাল মিডিয়া পেজে নিউজ আর্টিকেল সরাসরি প্রচার করার মাধ্যমে সংবাদ পরিবেশন করতো। গত কয়েকবছরে সামাজিক মাধ্যমে গণমাধ্যমগুলোর সংবাদ প্রকাশের কৌশলে পরিবর্তন এসেছে। আগের মতো আর্টিকেল পোস্ট করার পাশাপাশি এখন নতুন করে যুক্ত হয়েছে নিউজ ফটোকার্ড প্রকাশ। সোস্যাল মিডিয়ায় নিউজ পরিবেশনকে আরও বেশি আকর্ষণীয় এবং অধিকসংখ্যক রিচ পেতে এ ব্যবস্থার প্রবর্তন ঘটে। ফটোকার্ডে সাধারণত সংবাদ সংশ্লিষ্ট একটি ছবি এবং সংবাদের হেডলাইনকে সুন্দর ডিজাইনে উপস্থাপন করা হয়। এর ফলে সামাজিক মাধ্যমে সেই সংবাদের পাবলিক এংগেজমেন্ট এবং রিচ বেশি পাওয়া যায়। সংবাদকে আকর্ষণীয় ও অধিকসংখ্যক মানুষের কাছে পৌছানোর নিমিত্তে গণমাধ্যমের প্রবর্তিত এ মাধ্যমকে সম্প্রতি অপব্যবহার করে ভুয়া তথ্য প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে নিচ্ছে অনলাইন দৃষ্কিতিকারীরা। বিভিন্ন গণমাধ্যমের নিউজ ফটোকার্ড এডিট করে ভুয়া তথ্য প্রচারের ফলে ভুয়া তথ্য অধিকতর বিশ্বস্তভাবে উপস্থাপিত হচ্ছে।
গত ২৮ অক্টোবর প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি ঘিরে অন্তত ২০ টি ভুয়া ফটোকার্ড প্রচারিত হয়েছে। মহাসমাবেশ ও শান্তি সমাবেশ ঘিরে লোকজনকে বিভ্রান্ত করতে নকল ফটোকার্ডে পাল্টাপাল্টি ভুয়া তথ্যের প্রচার দেখা যায়। প্রথম আলো এবং কালবেলার ফটোকার্ড নকল করে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ স্থগিতের এবং দ্য ডেইলি স্টারের ফটোকার্ড নকল করে বিএনপির ২৮ অক্টোবরের সমাবেশের তারিখ একদিন পিছানোর ভুয়া দাবি প্রচার করা হয়। প্রথম আলোর নিউজ ফটোকার্ড নকল করে ‘২৮ অক্টোবর নেতা-কর্মীরা ঢাকায় না এসে নিজ জেলায় সমাবেশে অংশগ্রহন করুন’ শীর্ষক মন্তব্যকে বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নামে ভুয়া মন্তব্য প্রচারিত হয়।
২৮ অক্টোবর ঢাকায় পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় দেশের মূল ধারার সংবাদমাধ্যম একাত্তর টিভির সৌমিত্র মজুমদার, সমকালের কাজল হাজরা এবং জাগোনিউজ২৪ এর বিভাষ দিক্ষীত বিপ্লব বিএনপি ও শিবির কর্মীদের আক্রমণের শিকার হয়েছেন দাবিতে গণমাধ্যম তিনটির আদলে তৈরি ফটোকার্ড প্রচার করা হয়। তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে সাংবাদিক আক্রমণের শিকার এ দাবিগুলো ভুয়া হিসেবে প্রমাণিত হয়। একাত্তর টিভি, সমকাল ও জাগোনিউজ২৪ এমন কোনো সংবাদের ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি এবং উল্লেখিত সাংবাদিকরা কোনো আক্রমণের শিকার হননি বলে গণমাধ্যমগুলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়।
ভীতি ছড়াতেও নকল ফটোকার্ড প্রচারিত হয়েছে। বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশের দিন সকালে মানবজমিন এবং যমুনা টেলিভিশনের ফটোকার্ড নকল করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে “২৮শে অক্টোবর সমাবেশে কমপক্ষে ৮০-১০০ টা লাশ চায় তারেক জিয়া” শীর্ষক ভুয়া তথ্য প্রচার করা হয়।
ঢাবির বিশেষ সমাবর্তন স্থগিত দাবিতেও প্রচারিত হয় ভুয়া ফটোকার্ড। প্রথম আলো ও কালবেলা’র ডিজাইন নকল করে নিরাপত্তা বা হরতালজনিত কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের(ঢাবি) বিশেষ সমাবর্তন স্থগিত হওয়ার গুজব প্রচারিত হয়।
গত ১লা নভেম্বর “২ নভেম্বর নগরবাসীকে চলাচলের ক্ষেত্রে সতর্কতার পরামর্শ ডিএমপির, গোয়েন্দা রিপোর্টে নাশকতার আশঙ্কা” শীর্ষক কালবেলার ভুয়া ফটোকার্ড প্রচারিত হয়। যেটি কালবেলার আসল ফটোকার্ড হিসেবে নিয়ে বিএনপির আইসিটি সেক্রেটারি একেএম ওয়াহিদুজ্জমানও পোস্ট করেন এবং কিছুক্ষণ পর ডিলিট করেন।
গত ২ নভেম্বর মূলধারার চারটি সংবাদমাধ্যমের ফটোকার্ড নকল করে সরকার পতন ও নতুন সরকার গঠন নিয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নামে ভুয়া মন্তব্য প্রচারিত হয়। প্রথম আলো, একাত্তর টেলিভিশন, আজকের পত্রিকা এবং কালবেলা’র ডিজাইন সম্বলিত পৃথক ৪ টি ফটোকার্ডে ৩ নভেম্বরের মধ্যে বর্তমান সরকারের পতন ও ১৫ নভেম্বরের মধ্যে জাতীয় সরকার গঠন শীর্ষক এ ভুয়া মন্তব্য প্রচার করা হয়।
একই দিনে কালবেলার ফটোকার্ড এডিট করে ছাত্রদল নেত্রী মানসুরা আলমকে জড়িয়ে প্রচারিত হয় ভুয়া গণধর্ষণের খবরও। অনুসন্ধানে দেখা যায় নয়াপল্টনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও আইন বিভাগের ছাত্রী মানসুরা আলমের গণধর্ষণের শিকার হওয়ার বিষয়ক কোনো ঘটনা ঘটেনি এবং দৈনিক কালবেলাও উক্ত শিরোনামে কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রকাশ করেনি। বরং কালবেলার ফটোকার্ড এডিট করে প্রচার করা হয়েছিল ভুয়া তথ্য।
এছাড়াও রিউমর স্ক্যানার গত কয়েকমাসে সংবাদমাধ্যমের নিউজ ফটোকার্ড এডিট করে ভুয়া তথ্য ছড়ানোর অসংখ্য উদাহরণ দেখেছে, তা নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রকাশ করেছে।
নকল ফটোকার্ড কিভাবে চিনবেন? কিভাবে নকল ফটোকার্ড যাচাই করবেন?
নকল ফটোকার্ড কিছুক্ষেত্রে শনাক্ত করা সহজ হলেও অনেক সময় শুধু দেখে শনাক্ত করা সহজ হবে না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ফটোকার্ডের ফন্ট, ওভারভিউ দেখে ভুয়া ফটোকার্ড বোঝা গেলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা সম্ভব হয় না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের আসল ফটোকার্ড সংগ্রহ করে তার ওপরই এডিট করেই ভুয়া ফটোকার্ড তৈরি করা হয়। নকল ফটোকার্ড দক্ষতার সাথে হুবহু নকল করে তৈরি করা হলে সেক্ষেত্রে শুধু দেখে আসল-নকল চেনা দুষ্কর হয়ে পড়ে।
উদাহরণ হিসেবে নিচের ডিবিসি নিউজের ফটোকার্ডটি দেখা যাক। এই ফটোকার্ডটি আসল কি নকল তা দেখে বলা অনেকের পক্ষেই সম্ভব। যদিও কেউ কেউ আছে যারা এ ফটোকার্ডকেও আসল হিসেবে গ্রহণ করবে। ফটোকার্ডটির ফন্ট, বানান ইত্যাদি কারণে দেখেই বলা যেতে পারে এটি ডিবিসি নিউজের ফটোকার্ড এর ওপর এডিটকার্য সম্পাদন করে প্রচারিত একটি ভুয়া ফটোকার্ড।
এবার নিচের ফটোকার্ডটি দেখুন। এখানে মানবজমিন এর ফটোকার্ডে বিএনপি নেত্রী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার একটি বক্তব্য দেখা যাচ্ছে। যদিও এই ফটোকার্ডটি ভুয়া, কিন্তু উপরের মতো কেবল দেখেই এই ফটোকার্ডটি আসল না নকল তা কিন্তু বলা যাচ্ছে না। এসব ক্ষেত্রে মূলত বিভ্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। একটি ভুয়া বক্তব্য তৈরি করে তা রুমিন ফারহানার নামে মানবজমিন এর ফটোকার্ডে সুন্দর করে এডিট করে প্রচার করার কারণে অনেকেই এটি বিশ্বাস করে নেবে, প্রতিক্রিয়া দেখাবে– ঘটেছেও তাই।
এখন প্রশ্ন হলো যখন দক্ষতার সাথে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের ফটোকার্ড এমনভাবে নকল করা হবে তখন কিভাবে আমরা ফটোকার্ড আসল না নকল চিনব! উপরের এই প্যারাটি প্রথমে ‘কিভাবে নকল ফটোকার্ড চিনবেন’ শিরোনাম দিয়ে শুরু করা হয়েছিল, কিন্তু পরে দেখা গেল অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নকল ফটোকার্ড দেখে চেনার উপায় নেই। বরং এক্ষেত্রে ফটোকার্ড যাচাই করার পর তা আসল না নকল নিশ্চিত হতে হবে। পরে তাই এই প্যারার হেডিং এর সাথে কিভাবে নকল ফটোকার্ড যাচাই করবেন কথাটি যুক্ত করতে হয়েছে। তো চলুন কিভাবে ফটোকার্ড আসল কি নকল তা যাচাই করার সরল একটি পদ্ধতি জেনে রাখা যাক।
উদাহরণ হিসেবে নিচের ফটোকার্ডটি নেয়া যাক। ফটোকার্ড দেখলে বোঝা যাচ্ছে এটি গত ২৭ অক্টোবর প্রকাশিত প্রথম আলোর ফটোকার্ড, যেখানে মঞ্চে উঠে ওবায়দুল কাদেরকে অতিরিক্ত কথা বলতে নিষেধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শীর্ষক একটি তথ্য প্রচার করা হয়েছে।
এখন এই ফটোকার্ড আসল না নকল তা আমরা সহজভাবে চলুন যাচাই করার চেষ্টা করি। যাচাই এর আগে আমাদের তথ্যের প্রতি সন্দেহপ্রবন হওয়ার প্রয়োজন আছে। এই সন্দেহ যাচাই করার তাড়না বা প্রবণতা সৃষ্টি করবে। ব্যক্তি জীবনে সন্দেহবাতিক হওয়া ভালো না হলেও তথ্য বিশ্বাসের ক্ষেত্রে সন্দেহপ্রবন হওয়া ভালো। তথ্যের প্রতি আপনার সন্দেহপ্রবণতা ওই তথ্য যাচাই করে নিয়ে বিশ্বাস করার অভ্যাস তৈরিতে সহযোগিতা করবে। তথ্যের প্রতি এই সন্দেহপ্রবনতাকে ক্রিটিকাল থিংকিং এর একটি চর্চা ধরে নিতে পারেন যে আমি সবকিছু সহজ-সরলভাবে বিশ্বাস করে নিতে চাই না। এই তথ্য কিভাবে আসলো, এই মন্তব্য কি আসলেই করেছে, এই তথ্যের সূত্র কি, প্রথম আলো এমন কোনো ফটোকার্ড প্রকাশ করেছে কি না, আমি এ তথ্য মূল উৎস থেকে দেখে বিশ্বাস করতে চাই। এ বিষয়টি ওপরের ফটোকার্ডের ক্ষেত্রে হবে– এটা যেহেতু প্রথম আলোর নিউজ ফটোকার্ড তাই প্রথম আলোর পেজ থেকে দেখে তারপর আমি এটা বিশ্বাস করতে চাই।
অর্থাৎ, নকল ফটোকার্ড এর ফাঁদে পড়ে ভুয়া তথ্য যাতে বিশ্বাস না করে ফেলি সেজন্য ফটোকার্ডের ক্ষেত্রে আমাদের থার্ড পার্টি কারো কাছ থেকে দেখে তা গ্রহণ না করে যে সংবাদমাধ্যমের ফটোকার্ড তাদের পেজে দেখে গ্রহণ করার চর্চা করতে হবে। এমতবস্থায় ফটোকার্ডের ক্ষেত্রে সবসময় সংবাদমাধ্যমের পেজ তথা মূল সোর্স থেকে দেখে নেয়া জরুরি।
উপরের ফটোকার্ডটি থেকে দেখা যাচ্ছে এটি প্রথম আলোর ২৭ অক্টোবরে প্রকাশিত। তাহলে এটা সহজে যাচাই এর জন্য প্রথম আলোর ফেসবুক পেজে যেতে হবে। তারপর ফটোস অপশনে গিয়ে ২৭ অক্টোবরে প্রথম আলোয় প্রকাশিত সকল ফটোকার্ড অনুসন্ধান করলেই ওই ফটোকার্ড প্রথম আলো প্রকাশ করেছে কিনা তা জানা যাবে। এভাবে সাধারণত কোনো ফটোকার্ড আসল না নকল তা সহজেই যাচাই করা সম্ভব। কিংবা ফটোকার্ডের লেখা কপি করে তা সার্চ করে অনুসন্ধানের মাধ্যমেও জানা যেতে পারে। উপরের এ ফটোকার্ড যাচাই করতে গিয়ে দেখা গেছে এটি প্রথম আলোর ফটোকার্ড এডিট করে প্রচারিত একটি ভুয়া ফটোকার্ড।
কোনো কোনো ক্ষেত্রে এমন হতে পারে যে একটি সংবাদমাধ্যম ফটোকার্ড প্রকাশের পর তা কোনো কারণে সরিয়ে ফেলেছে। এক্ষেত্রে কিছুটা অ্যাডভান্স অনুসন্ধান করে সেটা বের করার প্রয়োজন হতে পারে। তবে এটি নিয়ে ভাবনার কিছু নেই এমন ঘটনা কম ক্ষেত্রেই ঘটবে, আর এমন ঘটেছে সন্দেহ হলে আসলেই এমন ঘটেছে কি না তা নিজে অনুসন্ধান করে বের করার চেষ্টা করা যেতে পারে কিংবা আমাদের জানানো যেতে পারে। আমাদের যেকোনো সন্দেহজনক তথ্য পাঠালে আমরা দ্রুততম সময়ে তা যাচাই করে দেওয়ার চেষ্টা করে থাকি। আমাদের সাথে যোগাযোগের জন্য আমাদের ফেসবুক পেজ, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমেইল কিংবা আমাদের ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট করার মাধ্যমে সন্দেহজনক তথ্য যাচাইয়ের অনুরোধ করা যায়।