এগুলো মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থায় হাতি ও ডলফিনের বাস্তব ছবি নয়

অন্তত ২০২১ সাল থেকে মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থায় হাতি ও ডলফিনের দৃশ্য দাবি করে দুটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে।

২০২১ সালে ফেসবুকে প্রচারিত এমন পোস্ট দেখুন: এখানে

সম্প্রতি ফেসবুকে প্রচারিত একই দাবি দেখুন: এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে

একই দাবিতে ইন্সটাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন: এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আলোচিত ছবিগুলো বাস্তবে মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থায় হাতি ও ডলফিনের দৃশ্য নয়। বরং, এগুলো সিলিকন মডেল ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে, যা ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের একাধিক অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত হয়েছে।

ছবিগুলো ঘিরে অনুসন্ধানে ‘হোক্সআই’ নামের একটি এক্স প্রোফাইলে ২০২১ সালে প্রচারিত একটি পোস্ট পাওয়া যায়। সেখানে এসব ছবির দাবি খণ্ডন করে জানানো হয়, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকে প্রচারিত ‘In the Womb’ টিভি সিরিজে প্রাণীদের সিলিকন মডেল ব্যবহার করা হয়েছিল।

ওই পোস্টের সূত্র ধরে ডেভিড বারলো নামের একটি ওয়েবসাইটে একটি ভিডিও পাওয়া যায়। একই নামের ইউটিউব চ্যানেলেও ২০১৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত একই ধরনের একটি ভিডিও পাওয়া যায়। উভয় ভিডিওর সঙ্গে আলোচিত হাতির ছবির মিল দেখা যায়।

একইভাবে, ডলফিনের ক্ষেত্রেও ডেভিড বারলোর ওয়েবসাইটইউটিউব চ্যানেলে থাকা ভিডিওর সঙ্গে মিল পাওয়া যায়। ওয়েবসাইটে সংযুক্ত নথিতে উল্লেখ রয়েছে, এসব ভিডিওতে দেখানো প্রাণীগুলো সিলিকন মডেল ব্যবহার করে তৈরি।

পরবর্তীতে, ডেভিড বারলোর ওয়েবসাইটে হাতি ও ডলফিন ছাড়াও আরও কিছু প্রাণীর গর্ভকালীন অবস্থা তুলে ধরা ভিডিওর কালেকশন পাওয়া যায়। বর্ণনায় জানানো হয়, প্রাণীর ভ্রূণ থেকে জন্ম পর্যন্ত বিকাশের চিত্র ফুটিয়ে তুলতে বাস্তব প্রাণীর পরিবর্তে নিখুঁতভাবে নির্মিত মডেল ব্যবহার করা হয়েছে। এতে নৈতিক ও ব্যবহারিক জটিলতা এড়িয়ে গর্ভকালীন অভ্যন্তরীণ দৃশ্য ঘনিষ্ঠভাবে উপস্থাপন সম্ভব হয়েছে। এসব দৃশ্যের অনেকগুলোই ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের জনপ্রিয় তথ্যচিত্র “Animals in the Womb” ও “Extreme in the Womb”-এ ব্যবহার করা হয়েছে।

সুতরাং, কৃত্রিমভাবে তৈরি সিলিকন মডেলের ছবি হাতি ও ডলফিনের বাস্তব মাতৃগর্ভের দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হয়েছে, যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

spot_img