Home Blog Page 534

পুরোনো ১ টাকার কয়েনে ৯ কোটি টাকা পাওয়ার ভুয়া দাবি 

0

সম্প্রতি “আপনিও পেতে পারেন ৯ কোটি টাকা যদি থাকে পুরনো ১ টাকার কয়েন!” শীর্ষক শিরোনামে একটি তথ্য ভূইফোঁড় অনলাইন পোর্টালের বরাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। 

১ টাকার কয়েনে

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, পুরোনো এক টাকার কয়েনের বিনিময়ে ৯ কোটি পাওয়ার দাবিটি সঠিক নয় বরং ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রচারিত একটি তথ্যকে বাংলাদেশে ভুলভাবে উপস্থাপন করে ১৯৮৫ সালের পূর্বের ১ টাকার কয়েন বা মুদ্রার মূল্য ৯ কোটি টাকা দাবিতে উপস্থাপন করে প্রচার করা হচ্ছে। 

মূলত, ভারতে ২০২১ সালে হওয়া এক নিলামে ১৮৮৫ সালে ছাপাকৃত ব্রিটিশ আমলের এক রূপীর কয়েনের দর ওঠে ভারতীয় ১০ কোটি রূপী। যেটি নিয়ে সেসময় ভারতীয় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারিত হয়৷ এসব সংবাদে মুদ্রা সংগ্রহ ও ক্রয়-বিক্রয়ের পদ্ধতি সম্পর্কেও আলোচনা করা হয়। এদিকে, বাংলাদেশে বর্তমানে সোনালী রঙের এক টাকার মুদ্রাটি এখন আর খুব একটা দেখা যায় না। এরই প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে ভারতীয় এক রুপীর কয়েনের ১০ কোটি নিলাম দর ওঠার তথ্যটি ভুলভাবে উপস্থাপন করে ১৯৮৫ সালের পূর্বের ১ টাকার কয়েন বা মুদ্রার মূল্যমান ৯ কোটি টাকা দাবিতে উপস্থাপন করে প্রচার করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, পূর্বেও একই দাবিতে বিষয়টি একাধিকবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হলে সে সময় বিষয়টিকে মিথ্যা হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার টিম। 

বঙ্গবন্ধুর গাঁজার খামার লেখাযুক্ত সাইনবোর্ডটি এডিটেড 

0

সম্প্রতি “বঙ্গবন্ধু গাঁজার খামার। এখানে আওয়ামী লীগের সকল অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের জন্য বৈধ গাঁজা চাষ করা হয়” শীর্ষক লেখাযুক্ত একটি সাইনবোর্ডের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

বঙ্গবন্ধুর

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ভাইরাল ছবিটিতে যে স্থান দেখা যাচ্ছে তাতে কোনো সাইনবোর্ডই ছিল না বরং ২০২০ সালে মেহেরপুরে এক ব্যক্তির গাঁজার বাগানে পুলিশের অভিযানের পর সেখান থেকে তোলা সাইনবোর্ডবিহীন একটি ছবিতে আলোচিত সাইনবোর্ডের ছবি যুক্ত করে উক্ত দাবিতে প্রচার হয়ে আসছে। 

মূলত, মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মটমুড়া গ্রামে মাছ ব্যবসার আড়ালে দুলাল নামক এক ব্যক্তি এক বিঘা জমিতে গাঁজা চাষ করেছিল। পরবর্তীতে ২০২০ সালের ৩০ জুলাই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গাঁজা বাগানের দুই শতাধিক গাঁজা গাছ কেটে সেগুলো আলামত হিসেবে জব্দ করেছিল পুলিশ। পুলিশ কর্তৃক উক্ত গাঁজার বাগান ধ্বংসের ছবিকে বিকৃত করে ভুয়া সাইনবোর্ড যুক্ত করে বঙ্গবন্ধু গাঁজার খামার দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, পূর্বেও একই দাবিতে ছবিটি প্রচার করা হলে সেটিকে মিথ্যা শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার টিম।

এনসিটিবির পাঠ্য বইয়ের নয়, ‘ঝর্ণার গল্প’ শিরোনামের পাঠের ছবিটি পুরোনো একটি পাইলট প্রকল্পের বইয়ের

0

গত ০৮ জানুয়ারি এইচএসসি বিষয়ক একটি গ্রুপে মো: মেহেদী হাসান রিমন নামে এক ব্যক্তি একটি বইয়ের পাতার ছবি পোস্ট (আর্কাইভ) করেন। বইয়ের এই পাতায় ‘ঝর্ণার গল্প’ শিরোনামের পাঠ্যতে একটি শিশুকে দেখা যাচ্ছে। তার পাশে লেখা রয়েছে, “সে খেয়াল করলো তার বুকের দু’পাশটা ফুলে যাচ্ছে এবং বগলে ও যৌনাঙ্গে চুল গজাচ্ছে।” 

উক্ত ব্যক্তি এই পোস্টের ক্যাপশনে লিখেছেন, “এটাও শিখাইতে হবে? জেমস ডায়েরি নামক একটা বই মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদেরকে দেওয়া হচ্ছে। এদের আসলে উদ্দেশ্য কি? একটা বেহায়া প্রজন্ম তৈরি করা?” জনাব রিমন তার পোস্টের কমেন্টে আলোচিত বইটির কাভারের ছবিও যুক্ত করেছেন যাতে বইটির নাম ‘আমার জেমস ডায়েরি’ উল্লেখ রয়েছে। এটাও উল্লেখ রয়েছে, এটি জেনারেশন ব্রেকথ্রো প্রকল্পের বই। 

পাঠ্য বই

পোস্টের ছবিটি পরবর্তীতে ভিন্ন ভিন্ন ক্যাপশনে ফেসবুকে প্রচার হতে দেখেছে রিউমর স্ক্যানার টিম। 

আমাদের নজরে এমন পোস্টও (আর্কাইভ) এসেছে, যেখানে ছবির বইটিকে সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবই বলে দাবি করা হয়েছে। 

তাছাড়া, এই বইকে নতুন শিক্ষা কারিকুলামের বই বলেও প্রচার করতে দেখা গেছে কিছু পোস্টে। 
এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, বইয়ের ভেতরের পৃষ্ঠার প্রচারিত ছবিটি সপ্তম শ্রেণি বা দেশের কোনো পাঠ্য বইয়ের পৃষ্ঠার ছবিই নয় বরং ২০২২ সালে দেশের কিছু জেলার নির্দিষ্ট কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেষ হওয়া একটি পাইলট প্রকল্পের জন্য তৈরি করা বইয়ের ছবিকে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে ‘আমার জেমস ডায়েরি’ নামের আলোচিত বইটির পিডিএফ সংস্করণ অনলাইনেই খুঁজে পেয়েছি আমরা। 

বইটির কাভারে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডসহ একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থার লোগো রয়েছে। এটি বইটির দ্বিতীয় সংস্করণ যা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) কর্তৃক ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রকাশিত হয়। বইটি পর্যবেক্ষণ করে জানা যাচ্ছে, এটি জেনারেশন ব্রেকথ্রু নামে একটি প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য প্রকাশ করা হয়েছে। এই প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের পরিচালক হিসেবে আছেন প্রফেসর ড. প্রবীর কুমার ভট্টাচার্য্য, যিনি বইটির সার্বিক নির্দেশনায় রয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বইটি প্রকাশ করেছে ‘প্লান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ’ নামে একটি সংস্থা। তাছাড়া, বইটির সম্পাদনা ও পরিমার্জনের দায়িত্বে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) একাধিক কর্মকর্তা রয়েছেন। বইটির ৫৫ নং পৃষ্ঠায় আলোচিত ছবিটির সন্ধান মিলেছে যেখানে ১২ বছর বয়সী ঝর্ণা নামে এক মেয়ের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে যে কিনা তার শারীরিক কিছু পরিবর্তন নিয়ে চিন্তায় পড়েছে।

Screenshot collage: Rumor Scanner

আমরা অনুসন্ধানে বিবিসি বাংলার ওয়েবসাইটে এই প্রকল্পটির বিষয়ে একটি প্রতিবেদন খুঁজে পেয়েছি। ২০১৯ সালের ২৬ মার্চ প্রকাশিত প্রতিবেদনটি থেকে জানা যাচ্ছে, নির্দিষ্ট কিছু বিদ্যালয়ে গত ৫ বছর ধরে বাংলাদেশ সরকারের ‘জেনারেশন ব্রেকথ্রু’ নামের একটি প্রকল্পের আওতায় একটি শ্রেণীকক্ষ তৈরি করা হয়েছে। কক্ষটির নাম দেয়া হয়েছে ‘কিশোর কিশোরী কর্নার’। আর এখানে তারা পড়ছে ‘জেমস’ নামে একটি কোর্স যেটির পূর্ণরূপ দাঁড়ায় ‘জেন্ডার ইকুয়িটি মুভমেন্ট ইন স্কুলস’। এই প্রকল্পের আওতায় এসেছে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীরা। 

বিবিসি বাংলা লিখেছে, বিদেশী দাতাদের অর্থায়নে ২০১৪ সালে ৫ বছর মেয়াদী জেনারেশন ব্রেকথ্রু প্রকল্পটি শুরু হয় বাংলাদেশের চারটি জেলার ৩৫০টি বিদ্যালয়ে। এই প্রকল্পের পরিচালক হিসেবে বিবিসি বাংলা ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেনের নাম উল্লেখ করেছে। 

ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলছিলেন, তারা অচিরেই প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায় শুরু করতে যাচ্ছেন। সেখানে বিদ্যমান সাড়ে তিনশো বিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত করা হবে আরো দুশোটি বিদ্যালয়।

Screenshot: BBC Bangla 

বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন প্রকাশের দিন পাঁচেক পর ৩১ মার্চ জার্মান ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে বাংলা’র ওয়েবসাইটেও এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। 

ডয়চে ভেলে জানাচ্ছে, জেনারেশন ব্রেক থ্রু প্রকল্পটি নতুন ৫টি জেলার ২৫০টি স্কুলে আবার চালু হচ্ছে৷ ক্যানাডা সরকার অর্থায়ন করবে৷ আর সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের সব স্কুলে আগামী অর্থবছর থেকে চালু হবে৷ আর ২০২৩ সালের মধ্যে বাকি ৬টি বিভাগের ৫০ ভাগ স্কুলে চালুর পরিকল্পনা রয়েছে৷

Screenshot: DW Bangla

সে বছরই প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায় চালুর বিষয়ে জানা যায় এ সংক্রান্ত শিক্ষক সহায়িকা থেকে। তবে প্রকল্পটি বর্তমানে চালু রয়েছে কিনা সে বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। 

আমরা এ বিষয়ে জানতে শুরুতে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এবং এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) প্রফেসর মোঃ মশিউজ্জামানের সাথে কথা বলেছি। 

জনাব তপন কুমার সরকার জানান, তিনি এ প্রকল্প সম্পর্কে এই মুহূর্তে অবগত নন৷ 

জনাব মশিউজ্জামান রিউমর স্ক্যানারকে বলেছেন, “এই প্রকল্প আমাদের নয়। এটা মাউশির (মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর) প্রকল্প। তাই মেয়াদ জানা নেই। মাউশি থেকে বিস্তারিত জানা যাবে। 

আমরা পরবর্তীতে প্রকল্পটির ২য় পর্যায়ের পরিচালক এবং মাউশির প্রশিক্ষণ উইংয়ের পরিচালক ড. প্রবীর কুমার ভট্টাচার্য্যের সাথে এ বিষয়ে কথা বলেছি। তিনি রিউমর স্ক্যানারকে বলেছেন, প্রকল্পটি বর্তমানে চালু নেই। ২০২২ সালেই এটি শেষ হয়ে গেছে। এর আগে চালু থাকা অবস্থায় নিয়মিত শ্রেণিকক্ষে এটি চালু ছিল না। এটির জন্য আলাদা শ্রেণিকক্ষ বরাদ্দ ছিল। সেখানেই এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পড়ানো হতো। 

অর্থাৎ, ছড়িয়ে পড়া পৃষ্ঠার ছবিটি যে বইয়ের তার সাথে বর্তমান শিক্ষা কারিকুলাম বা দেশের কোনো শ্রেণির পাঠ্যক্রমের সম্পর্ক নেই। 

তাছাড়া, এনসিটিবির ওয়েবসাইটে চলতি বছরের বইগুলো পর্যবেক্ষণ করে উক্ত পাতা সম্বলিত কোনো পাঠের খোঁজ মেলেনি। 

মূলত, ‘ঝর্ণার গল্প’ শিরোনামের পাঠ সম্বলিত একটি বইয়ের পৃষ্ঠার ছবিকে সম্প্রতি সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবই (কতিপয় পোস্টে নতুন শিক্ষা কারিকুলামের বই দাবি) বলে দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু রিউমর স্ক্যানার টিম অনুসন্ধানে দেখেছে, আলোচিত পৃষ্ঠার ছবিটি ‘আমার জেমস ডায়েরি’ নামের একটি বইয়ের। এটির সাথে বর্তমান শিক্ষা কারিকুলাম বা দেশের কোনো শ্রেণির পাঠ্যক্রমের সম্পর্ক নেই। প্রকৃতপক্ষে, ২০১৪ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) কর্তৃক জেনারেশন ব্রেকথ্রু নামে একটি প্রকল্প চালু করা হয়। যার দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য ২০১৯ সালে বইটি প্রকাশ করা হয়েছিল। ২০২২ সালে প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হয়। এর আগে প্রকল্পের আওতায় দেশের কিছু জেলার নির্দিষ্ট কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গতানুগতিক শ্রেণি কার্যক্রমের বাইরে আলাদা শ্রেণিকক্ষে বইটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পড়ানো হতো। উক্ত বইটির একটি পৃষ্ঠার ছবি ব্যবহার করে আলোচিত দাবিগুলো প্রচার করা হচ্ছে।

সুতরাং, ২০২২ সালেই বন্ধ হয়ে যাওয়া একটি পাইলট প্রকল্পের বইয়ের পৃষ্ঠার ছবিকে নতুন শিক্ষা কারিকুলাম ও সপ্তম শ্রেণির বইয়ের ছবি দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।  

তথ্যসূত্র

১৫ ফেব্রুয়ারি হরতাল নেই, এসএসসি পরীক্ষার রুটিনও পরিবর্তন হয়নি 

0

সম্প্রতি, ১৫ই ফেব্রুয়ারি হরতাল, তাই SSC- ২০২৪ রুটিন পরিবর্তন হবে– শীর্ষক দাবিতে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। 

এসএসসি পরীক্ষার

টিকটকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ১৫ ফেব্রুয়ারি কোনো হরতাল নেই এবং এটিকে কেন্দ্র করে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তন হওয়ার দাবিটিও সঠিক নয় বরং কোনো তথ্য প্রমাণ ছাড়াই তথ্যটি প্রচার করা হচ্ছে।  

অনুসন্ধানের শুরুতে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে আসন্ন ১৫ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। 

এছাড়া, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটেও এ-সংক্রান্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। 

তবে, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে গত ২৪ জানুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মোঃ আবুল বাশার সাক্ষরিত মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার প্রবেশপত্র বিতরণ সংক্রান্ত একটি নোটিশ পাওয়া যায়। 

Screenshot: Secondary and Higher Secondary Education Board 

নোটিশে বলা হয়, ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি প্রবেশপত্র বিতরণ করা হবে এবং ৮ তারিখের মধ্যে বিতরণ সম্পন্ন করতে হবে। এছাড়া, যদি প্রবেশপত্রে কোনো ত্রুটি থাকে তা সংশোধনের জন্য ৭ থেকে ১৩ তারিখ পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। 

অর্থাৎ, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সর্বশেষ নোটিশে প্রবেশপত্র বিতরণের তথ্য জানানো হয়েছে।

পরবর্তীতে, আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি কোনো রাজনৈতিক দল হরতালের কর্মসূচী ঘোষণা করেছে কি না সে বিষয়ে অনুসন্ধান করে রিউমর স্ক্যানার টিম। প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি হরতালের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। 

তবে, প্রথম আলো এর ওয়েবসাইটে গত ২৭ জানুয়ারি “৩০ জানুয়ারি ‘লাল কার্ড’ দেখাবে এবি পার্টি” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। 

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের প্রথম দিন ৩০ জানুয়ারি ‘লাল কার্ড’ কর্মসূচি দিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)। শনিবার বিকেলে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ ঘোষণা দেন এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান।

এছাড়া, একই দিনে একই গণমাধ্যমে “আওয়ামী লীগও ৩০ জানুয়ারি কর্মসূচি দিল”- শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। 

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আওয়ামী লীগ ৩০ জানুয়ারি সারা দেশে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে। ওই দিন দলটি দেশের সব মহানগর, জেলা ও উপজেলায় শান্তি, গণতন্ত্র ও উন্নয়ন সমাবেশ করবে। শনিবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে এক সমাবেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ঘোষণা দেন। 

এছাড়া, গত ২৭ জানুয়ারি বিএনপিও ৩০ জানুয়ারি দেশের সব মহানগর, জেলা, উপজেলা, থানা ও পৌরসভায় কালো পতাকা মিছিল কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে।  

মূলত, গত বছরের ২১ ডিসেম্বর মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার রুটিন প্রকাশিত হয়। এরপর গত ২৪ জানুয়ারি প্রবেশপত্র বিতরণের নোটিশ প্রদান করা হয়। এরইমধ্যে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি হরতাল, তাই এসএসসি পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তন হবে- শীর্ষক একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আলোচিত দাবিটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে, আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি আসন্ন এসএসসি পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এছাড়া, এই প্রতিবেদন প্রকাশের আগ পর্যন্ত আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি কোনো রাজনৈতিক দল হরতালের ডাকও দেয়নি। 

সুতরাং, আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি হরতাল, তাই এসএসসি- ২০২৪ রুটিন পরিবর্তন হবে- শীর্ষক তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

পরিবারের অমতে দুই তরুণীর পালিয়ে বিয়ে করার ঘটনাটি বাংলাদেশের নয় 

0

সম্প্রতি, ‘মেনে নেয়নি পরিবার, পালিয়ে বিয়ে করলেন দুই তরুণী’ শীর্ষক শিরোনামে একটি সংবাদ বাংলাদেশের দাবিতে বেসরকারি টেলিভিশন “সময় টেলিভিশন” এর একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।

দুই তরুণীর পালিয়ে বিয়ে

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, পরিবার মেনে না নেওয়ায় দুই তরুণীর পালিয়ে বিয়ে করার ঘটনাটি বাংলাদেশের নয় বরং ঘটনাটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদহের।

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত পোস্টগুলোতে ব্যবহৃত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। সময় টিভি’র সূত্র ধরে সময় টিভির ফেসবুক পেজে আলোচিত ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Somoy Tv Facebook Page 

উক্ত গণমাধ্যমের ফেসবুক পেজে ফটোকার্ড নিয়ে প্রচারিত পোস্টের ক্যাপশনে এ সম্পর্কিত একটি  প্রতিবেদন পাওয়া যায়। 

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদহের দুই তরুণীর মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে প্রথম আলাপ হয়। ধীরে ধীরে সেই আলাপ বেশ গাঢ় হতে থাকে। দু’জন একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। কিন্তু বিষয়টি মেনে নেয়নি তাদের পরিবার। এরপর পরিবারের মতের বিরুদ্ধে গিয়েই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন ওই দুই তরুণী। 

এছাড়া একই বিষয়ে শিরোনামে ভারতের কথা উল্লেখ না করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আরও কিছু গণমাধ্যম। প্রতিবেদন দেখুন

প্রতিবেদনগুলোর শিরোনামে ঘটনাটির স্থানের নাম উল্লেখ না করায় বিষয়টি নিয়ে নেটিজেনদের মনে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। বিস্তারিত প্রতিবেদন না পড়েই তারা বিষয়টিকে বাংলাদেশের মনে করে বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন।

Comment Collage by Rumor Scanner

পরবর্তীতে বিষয়টি অধিকতর নিশ্চিতের জন্য কি ওয়ার্ড অনুসন্ধানের মাধ্যমে ভারতীয় গণমাধ্যম  Hindustan Times বাংলা এর ওয়েবসাইটে গত ২৫ জানুয়ারি “মেনে নেয়নি পরিবার, প্রেমের টানে মন্দিরে একে অপরকে বিয়ে করল মালদার ২ যুবতী” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। 

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, পপি মণ্ডল এবং প্রতিমা বিশ্বাস নামের ভারতীয় দুই তরুণী  দীর্ঘদিন ধরেই প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন। বিয়ে করতে চাইলে বিষয়টি তাদের বাড়ি থেকে না মেনে নেওয়ায় পালিয়ে বিয়ে করেন তারা। 

অর্থাৎ, পরিবার মেনে না নেওয়ায় দুই তরুণীর পালিয়ে বিয়ে করার ঘটনাটি বাংলাদেশের নয়। তবে এ সম্পর্কিত খবরের শিরোনামে স্থানের নাম না উল্লেখ করায় ঘটনাটি বাংলাদেশের ভেবে নেটিজেনরা বিভ্রান্ত হয়েছেন।

মূলত, সম্প্রতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদহের দুই তরুণীর মধ্যে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়। তবে, এই বিয়েতে মন ছিলো না পরিবারের। পরবর্তীতে পরিবারের অমতেই পালিয়ে বিয়ে করেন তাঁরা। উক্ত বিষয়ে বাংলাদেশের একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের শিরোনামে ঘটনাটির স্থানের নাম উল্লেখ না করে সংবাদ প্রচার করা হয়। পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা বিষয়টি বাংলাদেশের ঘটনা মনে করে ফেসবুকে প্রচার করেন।

উল্লেখ্য, পূর্বেও ভারতের ঘটনা বাংলাদেশের দাবিতে প্রচারিত হলে তা নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার। এমন কিছু প্রতিবেদন দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে

সুতরাং, পরিবার মেনে না নেওয়ায় ভারতের দুই তরুণীর পালিয়ে বিয়ে করার ঘটনাটি স্থানের নাম উল্লেখ না করে বাংলাদেশের ঘটনা দাবিতে ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র 

রাম মন্দিরের ভিডিও দাবিতে প্রেম মন্দিরের ভিডিও প্রচার

সম্প্রতি, ভারতের অযোধ্যার রাম মন্দিরের ভিডিও দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।

রাম মিন্দিরের

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত কিছু ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ভিডিওটি ভারতের অযোধ্যার রাম মন্দিরের নয় বরং এটি ভারতের উত্তর প্রদেশের মথুরা জেলার বৃন্দাবনে অবস্থিত প্রেম মন্দিরের ভিডিও। 

অনুসন্ধানের শুরুতে ভিডিওটি ভালো করে পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। পর্যবেক্ষণ করে ভিডিওটিতে ‘Banarashi Bhaukal’ শীর্ষক লেখা দেখতে পাওয়া যায়।

Screenshot: Facebook

পরবর্তীতে উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে কিওয়ার্ড সার্চ করে Banarasi Bhaukal নামক একটি ফেসবুক পেজে গত ১২ জানুয়ারি প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

Video Comparison: Rumor Scanner

উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচ্য ভিডিওর হুবহু মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

ভিডিওর ক্যাপশন থেকে জানা যায়, ভিডিওটি ভারতের উত্তর প্রদেশের মথুরা জেলার বৃন্দাবনে অবস্থিত প্রেম মন্দিরের।

পরবর্তীতে আলোচ্য ভিডিওটির সাথে প্রেম মন্দিরের গুগল স্যাটেলাইট ভিওয়ের সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়।

Comparison: Rumor Scanne

অন্যদিকে ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসে গত ২১ জানুয়ারি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে অযোধ্যার রাম মন্দিরের ছবি খুঁজে পাওয়া যায়।

Comparison: Rumor Scanner

তবে আলোচ্য ভিডিওর সাথে রাম মন্দিরের কোনো মিল পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, গত ২২ জানুয়ারি ভারতের অযোধ্যায় অবস্থিত রাম মন্দির উদ্বোধন করা হয়।

মূলত, গত ১২ জানুয়ারি Banarasi Bhaukal নামক একটি পেজে ভারতের উত্তর প্রদেশের মথুরা জেলার বৃন্দাবনে অবস্থিত প্রেম মন্দিরের একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়। উক্ত ভিডিও গত ২২ জানুয়ারি ভারতের অযোধ্যার উদ্বোধন হওয়া রাম মন্দিরের ভিডিও দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে।

সুতরাং, ভারতের উত্তর প্রদেশে অবস্থিত প্রেম মন্দিরের একটি ভিডিও অযোধ্যার রাম মন্দিরের ভিডিও দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথিত বিলে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের গুজব

গত ০৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে উক্ত নির্বাচনে ২২২ আসনে বিজয়ী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সরকার গঠিত হয়। তবে গত ২৪ জানুয়ারি Sabaj Shikhi নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে ‘রাতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিলে অনুমোদন দিলো রাষ্ট্রপতি, সেনাবাহিনীর অধিনে পুনরায় নির্বাচন সিএসসি (সিইসি)’ শীর্ষক শিরোনাম ও ‘রাতেই সেনাবাহিনীর একশন শুরু, তত্ত্বাবধায়ক বিলে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন’ শীর্ষক থাম্বনেইল ব্যবহার করে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে।

কথিত বিলে

ভিডিওটি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

পরবর্তীতে আরও একটি ইউটিউব চ্যানেলে উক্ত ভিডিওটি প্রচার করা হয়। সেটি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

Sabai Sikhi ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারিত উক্ত ভিডিওটি’র লিংক শেয়ার করে ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়,তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথিত বিলে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন দেওয়ার দাবিটি সঠিক নয় বরং সম্প্রতি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো বিলই রাষ্ট্রপতির নিকট উত্থাপন করা হয়নি  এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল কর্তৃক সেনাবাহিনীর অধীনে পুনরায় নির্বাচন গ্রহণের দাবিটিও সঠিক নয়। 

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এটি ভিন্ন ভিন্ন কয়েকটি ঘটনার পুরোনো ভিডিও ক্লিপ নিয়ে তৈরি একটি ভিডিও। 

আলোচিত ভিডিওটি’র শিরোনাম এবং থাম্বনেইলে উল্লেখিত দাবিগুলোর সাথে ভিডিওটি’র বিস্তারিত অংশের মিল পাওয়া যায়নি। উক্ত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণে কোথাও রাষ্ট্রপতি কর্তৃক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিলে অনুমোদন কিংবা সিইসি কর্তৃক সেনাবাহিনীর অধীনে পুনরায় নির্বাচন গ্রহণের বিষয়ে কোনো তথ্যের উল্লেখ পাওয়া যায়নি। তাছাড়া উক্ত ভিডিওটিতে কোথাও রাষ্ট্রপতি কিংবা সিইসি সম্পর্কিত কোনো ভিডিওটি ক্লিপও দেখা যায়নি। অর্থাৎ, আলোচিত ভিডিওটি’র শিরোনাম ও থাম্বনেইলে উল্লেখিত তথ্যের সাথে এর বিস্তারিত অংশের অমিল রয়েছে।

অনুসন্ধানের এপর্যায়ে আলোচিত ভিডিওটিতে প্রচারিত ভিডিও ক্লিপগুলোর বিষয়ে আলাদা আলাদাভাবে অনুসন্ধান চালায় রিউমর স্ক্যানার টিম।

ভিডিও যাচাই- ০১

আলোচিত ভিডিওটি থেকে কিছু স্থিরচিত্র নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ‘ইনডিপেনডেন্ট টিভি’র ইউটিউব চ্যানেলে ২০২০ সালের ২১ মার্চ ‘ভোটার উপস্থিতির সম্ভাবনা যেহেতু কম, আপনারা ভোট করলে করতে পারেন’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

এই ভিডিওটি’র একটি অংশের সাথে আলোচিত ভিডিওটিতে প্রচারিত শুরুর দিকের একটি ভিডিও ক্লিপের মিল পাওয়া যায়।

Video Comparison by Rumor Scanner

উক্ত ভিডিওটিতে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের তৎকালীন সিনিয়র সচিব ও বর্তমান নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীরকে ঢাকা-১০, গাইবান্ধা-৩ ও বাগেরহাট-৪ আসনের উপ-নির্বাচনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলতে দেখা যায়।

অর্থাৎ, এই ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় এবং এর সাথে আলোচিত দাবির কোনো সম্পর্ক নেই।

ভিডিও যাচাই- ০২

আলোচিত ভিডিওটি থেকে কিছু স্থিরচিত্র নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে ‘DW খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’ নামের ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৩ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর ‘সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কতদূর’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

এই ভিডিওটি’র একটি অংশের সাথে আলোচিত ভিডিওটিতে দেখানো অধ্যাপক আসিফ নজরুলের বক্তব্যের অংশের মিল পাওয়া যায়।

Video Comparison by Rumor Scanner

উক্ত ভিডিওটিতে ডয়েচে ভেলের সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত টকশোতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলকে নির্বাচন ও রাজনৈতিক বিষয়ে কথা বলতে দেখা যায়।

অর্থাৎ, এই ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় এবং এর সাথে আলোচিত দাবির কোনো সম্পর্ক নেই।

মূলত, ০৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত ২৯৮ আসনের ফলাফলে ২২২ টি আসন লাভ করে টানা চতুর্থবার সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। তবে গত ২৪ জানুয়ারি Sabaj Shikhi নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে ‘রাতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিলে অনুমোদন দিলো রাষ্ট্রপতি, সেনাবাহিনীর অধিনে পুনরায় নির্বাচন সিএসসি (সিইসি)’ শীর্ষক শিরোনাম ও ‘রাতেই সেনাবাহিনীর একশন শুরু, তত্ত্বাবধায়ক বিলে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন’ শীর্ষক থাম্বনেইল ব্যবহার করে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়। রিউমর স্ক্যানার টিম অনুসন্ধান করে দেখেছে, উক্ত দাবিগুলো সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে ভিন্ন প্রেক্ষাপটের পুরোনো কয়েকটি ভিডিও’র সাথে চটকদার শিরোনাম ও থাম্বনেইল যুক্ত করে আলোচিত ভিডিওটি প্রচার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, পূর্বেও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ইস্যুতে রাষ্ট্রপতি, সিইসি এবং সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে বিভিন্ন ভুয়া প্রচারের প্রেক্ষিতে একাধিক ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার। এমন কয়েকটি প্রতিবেদন দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে

সুতরাং, রাষ্ট্রপতি কর্তৃক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথিত বিলে অনুমোদন ও সিইসি কর্তৃক সেনাবাহিনীর অধীনে পুনরায় নির্বাচন গ্রহণের ঘোষণা দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত তথ্যগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

ইতালির গায়িকা জুলিয়া মার্কিনের ব্রা নিলামে তোলার গুজব 

0

সম্প্রতি, “সালটা ১৯৫৫ সাল ইতালির বিখ্যাত গায়িকা ‘জুলিয়া মার্কিন’ শহরের একটি চত্তরে দারিয়ে তার নিজের শরীর থেকে ব্রা খুলে বলেন!! এটা বিক্রি করতে চাই কে কতো দিবেন? উপস্থিত জনগণ মরিয়া হয়ে ওঠে এবং ব্রাটির দাম ৩০০০ হাজার ডলার পর্যন্ত মূল্য নির্ধারণ হয়!…” শীর্ষক শিরোনামে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে। 

জুলিয়া মার্কিনের ব্রা

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ১৯৫৫ সালে ইতালির বিখ্যাত নায়িকা জুলিয়া মার্কিনের রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে ব্রা খুলে সেটি নিলামে তোলার বিষয়টি সত্য নয় বরং আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবিটি আমেরিকান অভিনেত্রী কেটি হোমসের, যিনি ১৯৬৯ সালে তৎকালীন সময়ে নারী মুক্তির দাবিতে সংগঠিত একটি আন্দোলনে অংশ নেওয়া একজন নারীর ছবিকে ২০১৮ সালে হার্পারস বাজার’স নামক একটি ম্যাগাজিনের জন্য পুনঃনির্মাণ করেছেন।

মূলত, নারী অধিকারের জন্য আন্দোলনে ১৯৬৯ সালে একজন প্রতিবাদীকে শ্রদ্ধা জানাতে জোই গ্রসম্যান নামে একজন চিত্রগ্রাহক ২০১৮ সালে আমেরিকান অভিনেত্রী কেটি হোমসকে সঙ্গে নিয়ে ‘হার্পারস বাজার’স নামে একটি ম্যাগাজিনের জন্য ছবি তুলেন৷ ছবিটিতে দেখা যায়, কেটি হোমস একটি জনবহুল জায়গায় ব্রা হাতে দাঁড়িয়ে আছেন। কিন্তু এই ছবিটিকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ১৯৫৫ সালে ইতালির বিখ্যাত নায়িকা জুলিয়া মার্কিনের রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে ব্রা খুলে সেটি নিলামে তোলার দাবিতে ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, পূর্বেও একই দাবিতে ছবিটি ইন্টারনেটে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে সেসময় দাবিটিকে মিথ্যা শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার টিম। 

রাজউক কলেজের ভাইরাল শিক্ষক ও ছাত্রীর বিয়ের দাবিতে ভিন্ন দম্পতির বিয়ের ভিডিও প্রচার 

0

গত বছর (২০২৩) রাজধানীর রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের এক শিক্ষক এবং ছাত্রীর ব্যক্তিগত আলাপ ভাইরাল হওয়াকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি “অবশেষে বিয়ে হলো রাজউক কলেজের সেই ইংরেজি শিক্ষক ও ছাত্রীর” শীর্ষক শিরোনামে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। 

শিক্ষক ও ছাত্রীর বিয়ের

ফেসবুকে প্রচারিত এমন দুইটি পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, রাজধানীর রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের ভাইরাল ছাত্রী ও শিক্ষকের বিয়ে হয়নি বরং ২০২৩ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বরিশালে বিয়ে হওয়া ভিন্ন এক দম্পতির বিয়ের ছবি ও ভিডিও ব্যবহার করে উক্ত দাবিটি ছড়িয়ে পড়েছে। 

মূলত, ২০২৩ সালে রাজধানীর একটি কলেজের ছাত্রী-শিক্ষকের ব্যক্তিগত আলাপ ভাইরাল হওয়াকে কেন্দ্র করে ‘অবশেষে বিয়ে হলো রাজউক কলেজের সেই ইংরেজি শিক্ষক ও ছাত্রীর’ দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, উক্ত ছাত্রী ও শিক্ষকের বিয়ে হয়নি। তাছাড়া, ভাইরাল হওয়া বিয়ের ভিডিওটি ২০২৩ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বরিশালে বিয়ে হওয়া ভিন্ন এক দম্পতির।

উল্লেখ্য, পূর্বেও একই দাবিতে ভিডিওটি ইন্টারনেটে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে সেটিকে মিথ্যা শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। 

রামমন্দির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আতশবাজির ট্রাকে আগুন লাগার ভুল তথ্য গণমাধ্যমে

গত ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হয় ভারতের অযোধ্যায় নির্মিত বহুল আলোচিত রামমন্দির। গত ১৬ জানুয়ারি রাতে অযোধ্যার কাছাকাছি উত্তরপ্রদেশের উন্নাও শহরের খড়গিখেদা নামের একটি গ্রামে আতশবাজিবাহী একটি ট্রাকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনায় ভারতীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে দেশীয় কতিপয় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। এতে দাবি করা হয়, ট্রাকটিতে অযোধ্যায় নির্মিত রামমন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের জন্যে আতশবাজি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। 

রামমন্দির

গণমাধ্যমের এমন কিছু প্রতিবেদন দেখুন চ্যানেল ২৪, আরটিভি

উক্ত দাবিতে গণমাধ্যমের ফেসবুক পেজে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

এছাড়াও একই দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত আরও কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ভারতের উত্তরপ্রদেশের উন্নাও শহরে আগুন লাগা ট্রাকটি রামমন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠানের জন্যে আতশবাজি নিয়ে যাচ্ছিল নাবরং, ট্রাকটি তামিলনাড়ু থেকে বাহরাইচ নামের একটি শহরে দোকানে সরবরাহের জন্য আতশবাজি, শিশুদের পোস্টার, চলচ্চিত্র শিল্পীদের পোস্টার এবং ধর্মীয় পোস্টার নিয়ে যাচ্ছিল।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে ভারতীয় গণমাধ্যম Times of India এর ওয়েবসাইটে গত ১৮ জানুয়ারি Truck carrying fireworks from TN to Bahraich catches fire শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Times of India

প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, আতশবাজিবাহী ট্রাকটি তামিল নাডু থেকে বাহরাইচ-এর উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল। কিন্তু উন্নাওয়ের খড়গিখেদা নামের একটি গ্রামে পৌছানোর পর ট্রাকটিতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এছাড়াও উক্ত প্রতিবেদনে ট্রাকটির সাথে অযোধ্যার রামমন্দিরের সংশ্লিষ্টতার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

আরো অনুসন্ধান করে উন্নাও পুলিশের ভেরিফাইড এক্স (টুইটার) একাউন্টে গত ১৭ জানুয়ারি করা একটি টুইট খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: X

হিন্দি ভাষার উক্ত টুইট থেকে জানা যাচ্ছে,  গত ১৭ জানুয়ারি ভোর চারটায় আতশবাজি বোঝাই ট্রাক নম্বর TN 28 AL 6639 পূর্বা থানার অন্তর্গত খড়গিখেদা গ্রামের কাছে অজ্ঞাত কারণে আগুন ধরে যায়। ট্রাকটি তামিলনাড়ু থেকে বাহরাইচ যাচ্ছিল এবং এতে দোকানে সরবরাহের জন্য আতশবাজি, শিশুদের পোস্টার, চলচ্চিত্র শিল্পীদের পোস্টার এবং ধর্মীয় পোস্টার বোঝাই করা ছিল।

এছাড়াও Mamta Tripathi নামের একজন ভারতীয় গণমাধ্যম কর্মীর এক্স অ্যাকাউন্টে উন্নাও পুলিশের ডেপুটি এসপি সোনম সিংয়ের উক্ত ঘটনায় দেওয়া বক্তব্যের একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: X

এই ভিডিওতেও এসপি সোনম সিংকে একই তথ্য দিতে দেখা যায়। 

মূলত, গত ১৬ জানুয়ারি রাতে ভারতের উত্তরপ্রদেশের উন্নাও শহরের খড়গিখেদা নামের একটি গ্রামের পাশে সড়কে আতশবাজিবাহী ট্রাকে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এর কদিন পর ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় নবনির্মিত আলোচিত রামমন্দিরটির উদ্বোধন করা হয়। দুর্ঘটনাস্থল থেকে অযোধ্যার দূরত্ব নিকটে হওয়ায় ট্রাকটি রামমন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আতশবাজি নিয়ে যাচ্ছিল দাবিতে উক্ত ট্রাকের ভিডিওসহ তথ্যটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ভারতীয় গণমাধ্যমের  বরাতে সংবাদ প্রকাশ করে। তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা যায়, অগ্নিকান্ডের শিকার আতশবাজিবাহী ট্রাকটি অযোধ্যর আলোচিত রামমন্দির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আতশবাজি নিয়ে যাওয়ার দাবিটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে, ট্রাকটি তামিল নাডু থেকে বাহারাইচ নামের একটি অঞ্চলে দোকানে সরবরাহের জন্য আতশবাজি, শিশুদের পোস্টার, চলচ্চিত্র শিল্পীদের পোস্টার এবং ধর্মীয় পোস্টার নিয়ে যাচ্ছিল।

সুতরাং, দোকানে সরবরাহের আতশবাজিবাহী ট্রাকে আগুন লাগার ঘটনাকে গণমাধ্যমে অযোধ্যার রামমন্দির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আতশবাজিবাহী ট্রাক দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র