Home Blog Page 541

দ্য হান্ড্রেডের ড্রাফটে শুধু সাকিব-জাহানারা নয়, আছেন আরও ১৪ বাংলাদেশি

২০২১ সালে ইংল্যান্ডে চালু হয় ১০০ বলের ক্রিকেট প্রতিযোগিতা দ্য হান্ড্রেড। এবারের আসর শুরু হবে আগামী ২৩ জুলাই। ২০ মার্চ লন্ডনে অনুষ্ঠেয় এবারের আসরের জন্য ড্রাফটে থাকা পুরুষ ও নারী খেলোয়াড়দের তালিকা গতকাল (০৫ মার্চ) প্রকাশ করেছে হান্ড্রেড কর্তৃপক্ষ। দেশের কতিপয় গণমাধ্যমের খবরে দাবি করা হচ্ছে, ড্রাফটে শুধু বাংলাদেশের দুইজন ক্রিকেটারের নাম এসেছে। এরা হলেন সাকিব আল হাসান এবং জাহানারা আলম। 

দ্য হান্ড্রেডের

উক্ত দাবিতে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন দেখুন ঢাকা পোস্ট, দেশ রূপান্তর, ঢাকা টাইমস, প্রতিদিনের বাংলাদেশ, ক্রিকফ্রেঞ্জি

একই দাবিতে গণমাধ্যমের ফেসবুক পেজের পোস্টসহ অন্যান্য পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, দ্য হান্ড্রেডের আসন্ন আসরের ড্রাফটে বাংলাদেশ থেকে শুধু সাকিব ও জাহানারার নাম থাকার বিষয়টি সঠিক নয় বরং ড্রাফটে এরা ছাড়াও আছেন আরও ১৪ বাংলাদেশি ক্রিকেটার। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ভারতের ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজে গতকাল (৫ মার্চ) প্রকাশিত এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, দ্য হান্ড্রেড এর ড্রাফটে চলতি বছর ২২ টি দেশের ৮৯০ জন পুরুষ ও নারী ক্রিকেটার নাম লিখিয়েছেন। ক্রিকবাজ বলছে, বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান ও জাহানারা আলমও এই তালিকায় আছেন। তবে ক্রিকবাজের প্রতিবেদনে তালিকায় বাংলাদেশের আর কেউ আছে কিনা সে বিষয়ে স্পষ্ট করা হয়নি। 

পরবর্তীতে দ্য হান্ড্রেড এর ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত দুইটি তালিকা (পুরুষ ও নারী) পাওয়া যায়। পুরুষ ক্রিকেটারদের তালিকায় বাংলাদেশি ১৫ ক্রিকেটার রয়েছেন। সাকিব আল হাসান ছাড়া বাকি ১৪ জন হলেন তামিম ইকবাল, লিটন দাস, তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম, নাসুম আহমেদ, জাকের আলী, তানজিদ হাসান, আফিফ হোসেন, শামীম হোসেন, তাওহীদ হৃদয়, শহিদুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ, সৌম্য সরকার এবং রনি তালুকদার। এছাড়া, নারী ক্রিকেটারদের তালিকায় একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে আছেন জাহানারা আলম। 

মূলত, ইংল্যান্ডের ১০০ বলের ক্রিকেট প্রতিযোগিতা দ্য হান্ড্রেড এর এবারের  আসরের জন্য ড্রাফটে থাকা পুরুষ ও নারী খেলোয়াড়দের তালিকা গতকাল (০৫ মার্চ) প্রকাশ করেছে হান্ড্রেড কর্তৃপক্ষ। এ সংক্রান্ত খবরে দেশের কতিপয় গণমাধ্যম দাবি করেছে, ড্রাফটে শুধু বাংলাদেশের দুইজন ক্রিকেটারের নাম এসেছে। এরা হলেন সাকিব আল হাসান এবং জাহানারা আলম। তবে রিউমর স্ক্যানার টিম অনুসন্ধানে দেখেছে, দাবিটি সঠিক নয়৷ প্রকৃতপক্ষে, ‘দা হান্ড্রেড’-এর আসন্ন আসরের প্লেয়ার্স ড্রাফটে সাকিব ও জাহানারাসহ ১৬ বাংলাদেশি ক্রিকেটার নাম লিখিয়েছেন। বাকি ১৪ জন হলেন  তামিম ইকবাল, লিটন দাস, তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম, নাসুম আহমেদ, জাকের আলী, তানজিদ হাসান, আফিফ হোসেন, শামীম হোসেন, তাওহীদ হৃদয়, শহিদুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ, সৌম্য সরকার এবং রনি তালুকদার।

সুতরাং, ইংল্যান্ডের দ্য হান্ড্রেড প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের ১৬ জন ক্রিকেটার ড্রাফটে থাকার তথ্যকে দুই বাংলাদেশি ড্রাফটে থাকার দাবিতে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

বাস্তবে এডওয়ার্ড মরড্রেক নামে দুমুখো মানুষের অস্তিত্ব নেই

0

সম্প্রতি“১৯শ শতকে জন্ম নেয়া বাস্তবের দুমুখো মানুষটির নাম এডওয়ার্ড মরড্রেক যিনি ২৩ বৎসর বয়সে আত্মহত্যা করেন। তিনি ডাক্তারদের কাছে তার অন্য মাথাটি কেটে ফেলার অনুরোধ করতেন” শীর্ষক দাবি সম্বলিত কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

বাস্তবে এডওয়ার্ড

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায় এডওয়ার্ড মরড্রেক বাস্তবের দুমুখো মানুষ নয় বরং এটি একটি কাল্পনিক চরিত্র এবং এডওয়ার্ড মরড্রেক এর ছবি দাবিতে প্রচারিত ছবিগুলো নিতান্তই শৈল্পিক কাজ যার অস্তিত্বের এখন পর্যন্ত কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

মূলত, ১৮৯৫ সালে আমেরিকান লেখক চার্লস লটিন হিলড্রেক The Boston Sunday Post পত্রিকায় এডওয়ার্ড মরড্রেক’কে নিয়ে একটি কাল্পনিক গল্প প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে ১৮৯৬ সালে ডাক্তার George M. Goulad এবং Walter L. Pyle এর মেডিকেল কেস স্টাডি নিয়ে তাদের প্রকাশিত একটি বইয়ে এডওয়ার্ড মরড্রেক এর কাল্পনিক গল্পটির উল্লেখ পাওয়া যায়। বই প্রকাশের পরপর ই এডওয়ার্ড মরড্রেকের গল্পটি মানুষের মধ্যে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে থাকে। এরই ধারাবাহিক সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুমোখো মানুষের কিছু ছবি সম্বলিত একটি দাবি প্রচার করে বলা হচ্ছে, ১৯শ শতকে জন্ম নেয়া বাস্তবের দুমুখো মানুষটির নাম এডওয়ার্ড মরড্রেক যিনি ২৩ বৎসর বয়সে আত্মহত্যা করেন। তিনি ডাক্তারদের কাছে তার অন্য মাথাটি কেটে ফেলার অনুরোধ করতেন। তবে রিউমর স্ক্যানার টিম যাচাই করে দেখেছে যে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত এডওয়ার্ড মরড্রেক নামক চরিত্রটি কাল্পনিক

এবং এডওয়ার্ড মরড্রেক এর ছবি দাবিতে প্রচারিত ছবিগুলো মোমের তৈরি যা জার্মানির হ্যামবার্গ শহরে অবস্থিত Panoptikum যাদুঘরে রয়েছে।

উল্লেখ্য, পূর্বেও প্রায় একই দাবিতে ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সেসময় বিষয়টি নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। 

বাংলা সিয়েরা লিওনের সরকারি ভাষা নয়

২০০২ সালের পর থেকে প্রায় প্রতিবছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলা ভাষা এবং সিয়েরা লিওনকে জড়িয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে কিছু দাবি ছড়িয়ে পড়ে। দাবি করা হয়ে থাকে, সিয়েরা লিওনের দ্বিতীয় রাষ্ট্রভাষা বা অন্যতম রাষ্ট্রভাষা বা সরকারি ভাষা বা দাপ্তরিক ভাষা বাংলা

সিয়েরা

সম্প্রতি, উক্ত দাবিতে গণমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদ দেখুন চ্যানেল আই (ফেসবুক)  এবং মোহনা টিভি (ফেসবুক)।

ওপার বাংলার গণমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদ দেখুন আজতাক এবং নিউজ১৮

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের দীর্ঘ অনুসন্ধানে জানা যায়, বাংলা সিয়েরা লিওনের দ্বিতীয় সরকারি, দাপ্তরিক বা রাষ্ট্রভাষা নয়; বরং দেশটির একমাত্র সরকারি ভাষা ইংরেজি। সিয়েরা লিওনে ক্রিও, লিম্বা, মেন্দে, এবং তেমনে সহ আরও কয়েকটি ভাষা প্রচলিত রয়েছে, যার মধ্যে ক্রিও সর্বজনীন ভাষা হিসেবে প্রচলিত।

মূলত, ২০০২ সালে সিয়েরা লিওনে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে, দেশটির তৎকালীন সাবেক প্রেসিডেন্ট আহমেদ তেজান কাব্বাহ বাংলা ভাষাকে কেন্দ্র করে একটি ঘোষণা করেন।  এই ঘোষণা নিয়ে বিভিন্ন সূত্রের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। কিছু সূত্র অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট কাব্বাহ বাংলাকে সিয়েরা লিওনের সরকারি ভাষা হিসেবে ঘোষণা করেছেন। অপর কিছু সূত্র অনুযায়ী, বাংলাকে দেশটির সম্মানজনক ভাষা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে রিউমর স্ক্যানারের দীর্ঘ অনুসন্ধানে জানা যায়, সিয়েরা লিওনের একমাত্র সরকারি ভাষা ইংরেজি। কিন্তু ইংরেজির নিয়মিত ব্যবহার সল্পসংখ্যক শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর মধ্যে সীমাবদ্ধ। দেশটির ভাষাগত বৈচিত্র্য এবং সামাজিক-রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ক্রিও, মেন্দে, তেমনে প্রভৃতি ভাষার ব্যাপক চর্চা লক্ষ্য করা যায়। দেশটিতে অন্তত ১৮টি ভাষা প্রচলিত রয়েছে। তবে এদের মধ্যে ক্রিও দেশটির সর্বজনীন ভাষা। অন্তত ৯৫ শতাংশ মানুষ এটি বুঝতে পারে। রিউমর স্ক্যানারের দীর্ঘ অনুসন্ধানে দেশটিতে বাংলা ভাষার প্রচলন দেখা যায়নি। এ প্রসঙ্গে দেশটিতে ভাষা নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থা দ্য ইনস্টিটিউট ফর সিয়েরা লিওনিয়ান ল্যাঙ্গুয়েজেস (টিআইএসএলএল) এর প্রোগ্রাম ডিরেক্টর লামিন হেনরি কার্গবো বলেছেন, বাংলা ভাষা কখনো সিয়েরা লিওনের সরকারি ভাষা হিসেবে ঘোষণা করা হয়নি। প্রয়াত সাবেক প্রেসিডেন্ট আহমাদ তেজন কাব্বাহ কেবল বাংলা ভাষাকে সিয়েরা লিওনের ভাষার তালিকায় বিবেচনা কিংবা অন্তর্ভুক্ত করার কথা উল্লেখ করেছিলেন, সরকারি ভাষা হিসেবে নয়। এর পেছনের কারণ হিসেবে সিয়েরা লিওনের গৃহযুদ্ধ চলাকালীন বাংলাদেশের অবদান ও সহায়তার স্বীকৃতি উল্লেখ করা হয়েছে। তবে, বাংলা ভাষা সিয়েরা লিওনের জনগণ বা সরকারের দ্বারা কখনো সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পায়নি। সিয়েরা লিওনে ইংরেজি ভাষাই একমাত্র সরকারি ভাষা হিসেবে প্রচলিত এবং বাকি ভাষাগুলো অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত হয়।

উল্লেখ্য, ২০০২ সাল থেকে প্রচারিত এই দাবিটি দীর্ঘ অনুসন্ধানের মাধ্যমে খণ্ডণ করে পূর্বেই ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার টিম।  

মাঠে খালেদা জিয়ার ছবি হাতে তামিম ইকবালের এই ছবিটি এডিটেড

0

সম্প্রতি, বিপিএল চলাকালীন খেলার মাঠে ক্রিকেটার তামিম ইকবাল ও একজন যুবক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ছবি একত্রে ধরে থাকার একটি ভিডিও শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম টিকটকে প্রচার করা হয়েছে।

জিয়া

টিকটকে প্রচারিত ভিডিওটি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

এই প্রতিবেদন প্রকাশ অবধি এই ভিডিওটি দেখা হয়েছে প্রায় ৯ হাজার বার। ভিডিওটিতে প্রায় ৫ হাজার পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে এবং প্রায় ৭৫ বার শেয়ার হয়েছে।

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, তামিম ও একজন যুবক একত্রে বেগম খালেদা জিয়ার ছবি ধরে রাখার দাবিতে প্রচারিত ছবিটি আসল নয় বরং বিপিএলে ম্যাচ শেষে তামিমের একজন শুভাকাঙ্ক্ষীর উপহার দেওয়া হাতে আঁকা তামিমের পরিবারের ছবির স্থলে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনা করে খালেদা জিয়ার ছবি যুক্ত করে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।

ছবিটির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে অনলাইন পোর্টাল ঢাকা পোস্ট’র ওয়েবসাইটে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ভক্তের উপহারও পেলেন ম্যাচসেরা তামিম শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি সংবাদ প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

Screenshot : Dhaka Post

উক্ত প্রতিবেদনের সাথে যুক্ত ফিচার ছবির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবির বেগম খালেদা জিয়ার অংশ ব্যতিত বাকি অংশের হুবহু মিল খুঁজে পাওয়া যায়। 

Image Comparison : Rumor Scanner

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল)-এ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারিয়ে তামিম ইকবালের দল ফরচুন বরিশাল জয়লাভ করে। সেদিন ম্যাচ শেষে মাহিন নামে একজন শুভাকাঙ্ক্ষী হাতে আঁকা তামিম ইকবালের পুরো পরিবারের ছবি তাকে উপহার দেন।

এবিষয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধানে MD Mahin Hasan নামক উক্ত ব্যক্তির ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি করা একটি পোস্টে একই ছবি (আর্কাইভ) খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot : Md Mahin Hasan’s Facebook Post

উক্ত ছবিতেও খালেদা জিয়ার স্থলে তামিম ইকবালের পরিবারের সদস্যদের ছবি দেখতে পাওয়া যায়।

পোস্টটিতে তিনি তামিমকে দেওয়া ছবিটি উপহার হিসেবে দিয়েছেন জানিয়ে লিখেন, “আলহামদুলিল্লাহ। কোথার থেকে শুরু করবো বুঝতেছি না। মানুষটার সাথে দেখা করার স্বপ্ন দীর্ঘদিন ধরেই। ছবিটা আমি প্রায় ১৫ দিন সময় নিয়ে এঁকেছি ভাইকে দিবো বলে। আর আজ আসলো আমার সেই দীর্ঘদিনের অপেক্ষার ফল। ভাইয়া এতো ভালো একটা ইনিংস খেলছে আর আমি সেরা ফ্যান হয়েছি। ভাইয়া শুধু যে আমার ছবিটা নিয়েছে এমনটা না, আমাকে কথাও দিয়েছে যে, নিজের একটা জার্সি আমাকে দিবে। আলহামদুলিল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ।”

এছাড়াও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে গত ২৩ ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত একটি ফেসবুক পোস্টেও একই ছবি পাওয়া যায়। 

Screenshot : Facebook Post 

পাশাপাশি পোস্টটি থেকে জানা যায়, মো. মাহিন হাসান গত ২৩ ফেব্রুয়ারির ম্যাচে সবচেয়ে উদ্যমী শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে মনোনীত হন।

মূলত, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ-(বিপিএল) এ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারিয়ে তামিম ইকবালের দল ফরচুন বরিশাল জয়লাভ করে। সেদিন ম্যাচ শেষে মো. মাহিন হাসান নামে একজন শুভাকাঙ্ক্ষী তামিম ইকবালের পুরো পরিবারের হাতে আঁকা ছবি তামিমকে উপহার দেন। সম্প্রতি, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে উক্ত ছবির স্থলে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ছবি যুক্ত করে প্রচার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, পূর্বে তামিম ইকবাল ও তার শুভাকাঙ্ক্ষী মো. মাহিন হাসানের একই ছবিতে তামিম ইকবালের পরিবারের ছবির স্থলে বেগম খালেদা জিয়ার ভিন্ন আরেকটি ছবি এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি বসিয়ে প্রচার করা হলে তা এডিটেড হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার। প্রতিবেদনগুলো দেখুন এখানে এবং এখানে। 

সুতরাং, তামিম ইকবাল ও একজন যুবক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-র চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ছবি একত্রে ধরে থাকার দাবিতে প্রচারিত ছবিটি এডিটেড বা বিকৃত।

তথ্যসূত্র

আবুধাবির বিএপিএস সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রথম বা দ্বিতীয় মন্দির নয়

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে বিএপিএস (BAPS) নামক একটি হিন্দু মন্দিরের উদ্বোধন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ আবুধাবিতে স্থাপিত প্রথম এই মন্দিরকে দেশটিরই প্রথম হিন্দু মন্দির দাবি করেছে কতিপয় গণমাধ্যম। একাধিক গণমাধ্যমে এমনও দাবি এসেছে যে মন্দিরটি আমিরাতের দ্বিতীয় হিন্দু মন্দির।

এটি দেশটির প্রথম হিন্দু মন্দির দাবিতে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের প্রতিবেদন দেখুন একাত্তর টিভি, যমুনা টিভি (ফেসবুক), বাহান্ন নিউজ। 

আবুধাবি

এছাড়া এই মন্দিরটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দ্বিতীয় হিন্দু মন্দির দাবিতে বাংলাদেশের গণমাধ্যমে সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন সময় টিভি, যুগান্তর, জনকণ্ঠ, যায়যায়দিন, বাংলাভিশন, সংবাদ প্রকাশ, বাংলাদেশ মোমেন্টস, শেয়ার নিউজ২৪

পূর্বে বিভিন্ন সময়ে একই দাবিগুলোতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন দৈনিক বাংলা (২০২৩), বাংলাদেশ জার্নাল (২০২২), নয়া দিগন্ত(২০২৩), দেশ রূপান্তর (২০২৩)।

একই দাবি ভারতের গণমাধ্যমেও এসেছে। দেখুন হিন্দুস্তান টাইমস

উক্ত দাবিগুলোতে গণমাধ্যমের ইউটিউব চ্যানেলের প্রতিবেদন দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

একই দাবিগুলোর বিষয়ে ফেসবুকের পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)

একই দাবিতে ভারতের ফেসবুক অ্যাকাউন্টের পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবির বিএপিএস হিন্দু মন্দির দেশটির প্রথম বা দ্বিতীয় হিন্দু মন্দির নয় বরং দেশটিতে দুইয়ের অধিক মন্দির রয়েছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে বিএপিএস মন্দিরের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি উদ্বোধন হওয়া এই মন্দির মধ্যপ্রাচ্যের প্রথম ঐতিহ্যবাহী পাথুরে হিন্দু মন্দির। তবে এই সাইট থেকে 

আলোচিত দাবিগুলোর বিষয়ে কোনো তথ্য মেলেনি। তবে দুবাইভিত্তিক সংবাদমাধ্যম Gulf News এর এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, এটিই আবুধাবির প্রথম হিন্দু মন্দির। একই তথ্য এসেছে সিএনএন এবং আল জাজিরাতেও। 

সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের একটি আর্কাইভ থেকে জানা যাচ্ছে, সে সময় দুবাইতেই দুইটি হিন্দু মন্দির ছিল। এর মধ্যে প্রথমটি চালু হয় ১৯৫৮ সালে৷ অর্থাৎ, সেসময়ে উল্লিখিত দুইটি এবং সম্প্রতি চালু হওয়া একটি মন্দির মিলে এই মুহূর্তে অন্তত তিনটি হিন্দু মন্দির থাকার কথা আরব আমিরাতে। তবে গালফ নিউজের গত ডিসেম্বরের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, ১৯৫৮ সালে চালু হওয়া মন্দিরটি জানুয়ারিতে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ, অন্তত দুইটি মন্দির রয়েছে আরব আমিরাতে। এ থেকে সহজেই নিশ্চিত হওয়া যায় যে, যে সকল গণমাধ্যম বিএপিএস’কে দেশটির প্রথম হিন্দু মন্দির বলে দাবি করছে তা সঠিক নয়৷ 

আমরা এ বিষয়ে জানতে আবুধাবিতে সদ্য উদ্বোধন হওয়া বিএপিএস হিন্দু মন্দিরটির কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেছি। তাদের পক্ষ থেকে মন্দিরের প্রেস টিম লিড বিশাল প্যাটেল রিউমর স্ক্যানারকে বলেছেন, “মন্দিরটি মধ্যপ্রাচ্যের প্রথম ঐতিহ্যবাহী পাথুরে হিন্দু মন্দির শীর্ষক তথ্যটি যেমন সত্য তেমনি এটি আবুধাবিরও প্রথম হিন্দু মন্দির। তবে দুবাইতে ছোট ছোট অনেক মন্দির আছে৷”

অনুসন্ধানে আমরা আরব আমিরাতে অন্তত তিনটি মন্দির থাকার প্রমাণ পেয়েছি। এর একটি দুবাইয়ের জেবেল আলীতে, একটি বার দুবাইতে এবং অন্যটির অবস্থান জুমিরাহতে। 

এছাড়া, তিনটি ভ্রমণ এবং ব্লগ সাইটের মাধ্যমে আরব আমিরাতে যথাক্রমে , এবং টি হিন্দু মন্দির থাকার বিষয়ে জানা যাচ্ছে। 

মূলত, সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে বিএপিএস (BAPS) নামক একটি হিন্দু মন্দিরের উদ্বোধন হয়েছে। এই মন্দিরকে দেশটিরই প্রথম হিন্দু মন্দির দাবি করেছে কতিপয় গণমাধ্যম। কিছু গণমাধ্যমে এমনও দাবি এসেছে যে মন্দিরটি আমিরাতের দ্বিতীয় হিন্দু মন্দির। কিন্তু রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, উক্ত দাবিগুলো সঠিক নয়৷ আবুধাবির প্রথম এই হিন্দু মন্দির আমিরাতের প্রথম বা দ্বিতীয় হিন্দু মন্দির নয়। উক্ত মন্দিরটি নির্মিত হওয়ার অনেক আগে থেকেই দেশটিতে দুইয়ের অধিক মন্দির রয়েছে।  

প্রসঙ্গত, দুবাইয়ে জেবেল আলির মন্দিরটিকে বিশ্বের ২য় বৃহত্তম মন্দির শীর্ষক দাবি ২০২২ সালে ইন্টারনেটে প্রচারের প্রেক্ষিতে সেসময় ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল রিউমর স্ক্যানার। 

সুতরাং, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে বিএপিএস হিন্দু মন্দিরকে দেশটির প্রথম (কারো দাবি দ্বিতীয়) হিন্দু মন্দির দাবিতে গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।।

তথ্যসূত্র 

ভবনে অগ্নিকাণ্ডের দৃশ্যটি বাংলাদেশের নয়

গত ০৮ জানুয়ারি ‘Sk.. Saimon. 3’ নামের একটি টিকটক অ্যাকাউন্টে “দেশে এগুলো কি হচ্ছে একটার পর একটা, ভিডিওটি শেষ পর্যন্ত দেখে যাও” শীর্ষক দাবি সম্বলিত ওয়াটার মার্কে একটি ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ভিডিও পোস্ট (আর্কাইভ) করা হয়।

ভবনে অগ্নিকাণ্ডের

পরবর্তীতে উক্ত ভিডিওটি ডাউনলোড করে টিকটক, ইউটিউব ও ফেসবুকে প্রচার করা হয়।

টিকটকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

পোস্টগুলোতে দাবি করা হচ্ছে, ভিডিওটি বাংলাদেশে কোনো অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার।

এই প্রতিবেদন প্রকাশ অবধি ‘Sk.. Saimon. 3’ নামের একটি টিকটক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রচারিত ভিডিওটি প্রায় ৩৬ লক্ষবার দেখা হয়েছে, ভিডিওতে প্রায় ১ লক্ষ ৫ হাজার পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। ভিডিওটি শেয়ার করা হয়েছে প্রায় ২ হাজার ৪ শত বার।

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ভবনে অগ্নিকাণ্ডের দৃশ্যটি বাংলাদেশের নয় বরং এটি ২০২৩ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরে একটি ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার। 

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে ‘Kashmir Now’ শীর্ষক একটি লোগো লক্ষ্য করা যায়। 

Screenshot: Tiktok Claim Post

পরবর্তীতে লোগোর সূত্র ধরে অনুসন্ধানে The Kashmir Now নামক একটি ইউটিউব চ্যানেলে গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর “A massive fire erupts in Habba Kadal.” (আর্কাইভ) শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। 

উক্ত ভিডিওটির সাথে আলোচিত ভিডিওটির হুবহু মিল রয়েছে। 

Video Comparison: Rumor Scanner 

উক্ত ভিডিও থেকে জানা যায়, আগুন লাগার দৃশ্যটি জম্মু ও কাশ্মীর এর গ্রীষ্মকালীন রাজধানী শ্রীনগরের হাবা কাদালের কাছে একটি ভবনে ব্যাপক বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার। 

পরবর্তীতে এ বিষয়ে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে কাশ্মীর ভিত্তিক গণমাধ্যম Greater Kashmir এর ওয়েবসাইটে গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর “Fire damages godown, residential building at Nai Sarak” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। 

উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ১৭ সেপ্টেম্বর শ্রীনগরের নতুন সড়কের চারতলা একটি ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। 

অর্থাৎ, আলোচিত ভিডিওটি বাংলাদেশের নয়। 

মূলত, ২০২৩ সালে জম্মু ও কাশ্মীর এর গ্রীষ্মকালীন রাজধানী শ্রীনগরে বিস্ফোরণের ফলে একটি ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ঐ অগ্নিকাণ্ডের একটি ভিডিওকেই বাংলাদেশের অগ্নিকাণ্ডের ভিডিও দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

সুতরাং, জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরের একটি ভবনে আগুন লাগার দৃশ্যকে বাংলাদেশের দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র 

এআই ছবির ভিত্তিতে অনন্ত আম্বানির প্রাক-বিবাহ অনুষ্ঠানে ইলন মাস্ক উপস্থিত থাকার গুজব ইন্টারনেটে 

0

সম্প্রতি, “মুকেশ আম্বানি ও নিতা আম্বানির ছেলে অনন্ত আম্বানি এবং রাধিকা মার্চেন্টের প্রাক-বিবাহ অনুষ্ঠানে এলেন পৃথিবীর সেরা ধনী ইলন মাস্ক।” শীর্ষক দাবিতে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।

ইলন মাস্ক

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, ইলন মাস্ক মুকেশ আম্বানির ছেলে অনন্ত আম্বানির প্রাক-বিবাহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না বরং উক্ত দাবিতে প্রচারিত ছবিটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে তৈরি করা হয়েছে।

মুকেশ আম্বানির ছেলে অনন্ত আম্বানির প্রাক-বিবাহ অনুষ্ঠানে ইলন মাস্ক উপস্থিত থাকার বিষয়ে প্রাসঙ্গিক একাধিক কি ওয়ার্ড সার্চ করেও দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে উক্ত দাবির সত্যতা পাওয়া যায়নি।

এছাড়া একই দাবিতে ইলন মাস্কের প্রচারিত ছবিটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। পর্যবেক্ষণে উক্ত ছবির হাতের অংশে কিছু অস্বাভাবিকতা ধরা পড়ে। এ ধরনের অস্বাভাবিকতা সাধারণত এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে তৈরি ছবির ক্ষেত্রে দেখা যায়।

Screenshot: ফাচেবুক

পরবর্তীতে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে Elon Musk (Parody) নামক একটি এক্স অ্যাকাউন্টে গত ১ মার্চ প্রকাশিত একই ছবি (আর্কাইভ) খুঁজে পাওয়া যায়।

পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় এটি ইলন মাস্কের নামে তৈরি একটি নকল অ্যাকাউন্ট।

Screenshot: X

তবে ইলন মাস্কের অফিসিয়াল ভেরিফাইড এক্স অ্যাকাউন্টে এই ছবি খুঁজে পাওয়া যায়নি।

বিষয়টি আরও অধিকতর নিশ্চিত হওয়ার জন্য ‘Hive Moderation’ নামের এআই শনাক্তকারী ওয়েবসাইটে আলোচ্য ছবিটি যাচাই করে দেখেছে রিউমর স্ক্যানার টিম। এতে জানা যায়, ছবিটি এআইয়ের সাহায্যে তৈরি।

Screenshot: hivemoderation.com

মূলত, ভারতের ধনকুবের মুকেশ আম্বানির কনিষ্ঠ সন্তান অনন্ত আম্বানি এবং ‘অ্যাঙ্কর হেল্‌থকেয়ার’-এর সিইও বিনোদ মার্চেন্টের কন্যা রাধিকা মার্চেন্ট এর প্রাক-বিবাহ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো অতিথিদের তালিকায় আছেন বিল গেটস, মার্ক জাকারবার্গ, ইভাঙ্কা ট্রাম্প ও সুন্দর পিচাইয়ের মতো ব্যক্তিত্বরা। এই প্রাক-বিবাহ অনুষ্ঠান ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এখন সরগরম। এরই মধ্যে মুকেশ আম্বানির ছেলে অনন্ত আম্বানির প্রাক-বিবাহ অনুষ্ঠানে ইলন মাস্ক উপস্থিত হয়েছেন দাবিতে ইলন মাস্কের একটি ছবি ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায় প্রচারিত ছবিটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই দিয়ে তৈরি করা।

প্রসঙ্গত, পূর্বে বিভিন্ন সময় এআই দিয়ে তৈরিকৃত ছবি বাস্তব দাবিতে প্রচার করা হলে সেগুলো শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।

সুতরাং, ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানির ছেলে অনন্ত আম্বানির প্রাক-বিবাহ অনুষ্ঠানে ইলন মাস্ক উপস্থিত থাকার দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি মিথ্যা এবং একই দাবিতে প্রচারিত ছবিটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে তৈরি।

তথ্যসূত্র

আরটিভির ফটোকার্ড বিকৃত করে অগ্নিকাণ্ডে নিহত তরুণীকে নিয়ে ভুয়া তথ্য প্রচার 

0

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি, প্রিয় মানুষ এর আগুন এ পুড়ে মৃত্যু সহ্য করতে না পারায় যুবক এর আত্নহত্যা– শীর্ষক শিরোনামে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভি’র আদলে তৈরি একজন নারী ও একজন পুরুষের ছবিযুক্ত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। 

অগ্নিকাণ্ডে

টিকটকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

দাবি করা হচ্ছে, রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত প্রেমিকার মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে এক যুবক আত্নহত্যা করেছেন।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বেইলি রোডে বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রেমিকার মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে কোনো যুবক আত্মহত্যা করেননি এবং আরটিভিও উক্ত দাবিতে কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি বরং গত ০১ মার্চ আরটিভি’র ফেসবুক পেজে প্রকাশিত একটি ফটোকার্ড ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে উক্ত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ফটোকার্ড পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়,উক্ত ফটোকার্ডটিতে আরটিভির লোগোর পাশাপাশি ফটোকার্ডটি প্রকাশের তারিখ হিসেবে ০১ মার্চ ২০২৪ উল্লেখ করা হয়েছে। 

Screenshot: Tiktok Claim Post

দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত ফটোকার্ডে থাকা গণমাধ্যমের লোগো এবং তারিখের সূত্র ধরে আরটিভি’র ফেসবুক পেজ (, )  এবং ওয়েবসাইটে গত ০১ মার্চ প্রকাশিত এমন কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড পাওয়া যায়নি। 

তবে, গত ০১ মার্চ আরটিভি’র ফেসবুক পেজে “শপিং শেষে রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়ে ৩ বোনের মৃত্যু” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ফটোকার্ড পাওয়া যায়। 

Screenshot: Rtv Facebook Page 

উক্ত ফটোকার্ডে থাকা নারীর ছবি, গ্রাফিক্যাল ডিজাইন ও তারিখের সাথে আলোচিত ফটোকার্ডে থাকা নারীর ছবি, গ্রাফিক্যাল ডিজাইন ও তারিখের হুবহু মিল রয়েছে। তবে আলোচিত ফটোকার্ডের শিরোনাম ও ফন্টের সাথে আরটিভির ফটোকার্ডের শিরোনাম ও ফন্টের অমিল পরিলক্ষিত হয়।

Photo Card Comparison By Rumor Scanner 

উক্ত পোস্টের কমেন্ট বক্সে একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।  

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বেইলি রোডের বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত হয়েছেন দুইবোন ফৌজিয়া আফরিন রিয়া ও সাদিয়া আফরিন আলিশা। তাদের বাবা কোরবান আলী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘রিয়ার মালয়েশিয়া যাওয়ার ফ্লাইট ছিল শুক্রবার (১ মার্চ) রাতে। বিদেশ যাওয়ার আগের দিন রাতে বোনকে নিয়ে শপিং করতে যায় রিয়া। সেখানে শপিং শেষে রেস্টুরেন্টে গিয়ে আর ফেরেনি দুবোন। বৃহস্পতিবার রাতে বেইলি রোডের বহুতল ভবনে লাগা আগুনে মৃত্যু হয় আমার মায়েদের।’

একই ঘটনায় মারা গেছেন তাদের খালাতো বোন নুসরাত জাহান নিমু। 

অর্থাৎ, আরটিভির এই ফটোকার্ড নকল করেই আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

মূলত, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বেইলি রোডের বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত হয়েছেন আপন দুইবোন ফৌজিয়া আফরিন রিয়া ও সাদিয়া আফরিন আলিশা এবং একই ঘটনায় মারা গেছেন তাদের খালাতো বোন নুসরাত জাহান নিমু। এরই প্রেক্ষিতে “শপিং শেষে রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়ে ৩ বোনের মৃত্যু” শীর্ষক শিরোনামে দুইবোনের ছবি যুক্ত করে আরটিভি তাদের ফেসবুক পেজে একটি ফটোকার্ড প্রকাশ করে। পরবর্তীতে উক্ত ফটোকার্ডটি ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনা করে “প্রিয় মানুষ এর আগুন এ পুড়ে মৃত্যু সহ্য করতে না পারায় যুবক এর আত্নহত্যা”- শীর্ষক শিরোনামে এক বোনের ছবির স্থলে অন্য একজন পুরুষের ছবি যুক্ত করে একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়। 

সুতরাং, বেইলি রোডে বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রেমিকার মৃত্যুতে যুবকের আত্নহত্যার দাবিটি মিথ্যা এবং উক্ত দাবিতে আরটিভির নামে প্রচারিত ফটোকার্ড এডিটেড বা বিকৃত। 

তথ্যসূত্র

যমুনা টিভির সংবাদের ছবি বিকৃত করে ওবায়দুল কাদেরের ছবি যুক্ত করে প্রচার 

0

সম্প্রতি, শহরের সব কাক যাচ্ছে কোথায়?- শীর্ষক শিরোনামে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছবি যুক্ত যমুনা টেলিভিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনের আদলে তৈরি একটি স্ক্রিনশটের মাধ্যমে ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে। 

ওবায়দুল কাদেরের

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, শহরের সব কাক যাচ্ছে কোথায়? শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত যমুনার সংবাদে ওবায়দুল কাদেরের ছবি যুক্ত ছিল না বরং গত ০৪ মার্চ প্রকাশিত যমুনার সংবাদটির ফিচারে থাকা কাকের ছবির স্থলে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনা করে ওবায়দুল কাদেরের ছবি যুক্ত করে প্রচার করা হয়েছে। 

অনুসন্ধানের শুরুতে যমুনা টেলিভিশনের ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনের আদলে তৈরি এই স্ক্রিনশটটিতে সংবাদ প্রচারের তারিখ ০৪ মার্চ, ২০২৪ লক্ষ্য করা যায়। 

Screenshot: Facebook Claim Post 

দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে স্ক্রিনশটে থাকা তারিখ এবং যমুনা টেলিভিশনের লোগোর সূত্র ধরে গণমাধ্যমটির ওয়েবসাইটে গত ০৪ মার্চ প্রকাশিত সংবাদগুলো পর্যালোচনা করে ওবায়দুল কাদেরের উক্ত ছবিযুক্ত কোনো সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

তবে, একই শিরোনাম ব্যবহার করে গত ০৪ মার্চ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আলোচিত স্ক্রিনশটের সংবাদের সাথে উক্ত সংবাদের ক্যাটাগরি, শিরোনাম, প্রকাশের তারিখ এবং সময়েরও মিল রয়েছে। 

Screenshot Comparison: Rumor Scanner 

উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, রাজধানী শহর ঢাকায় মানুষের উপকারী পাখি কাক প্রতিনিয়ত কমছে। কাক কমে যাওয়া নিয়ে করা প্রতিবেদন এটি। 

মূলত, সম্প্রতি যমুনা টেলিভিশনের ওয়েবসাইটে শহরের সব কাক যাচ্ছে কোথায়?- শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি সংবাদে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছবি যুক্ত একটি প্রতিবেদনের স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, যমুনা টেলিভিশন ওবায়দুল কাদেরের ছবি যুক্ত এমন কোনো সংবাদ প্রকাশ করেনি। প্রকৃতপক্ষে, গত ০৪ মার্চ শহরের সব কাক যাচ্ছে কোথায়?- শীর্ষক তথ্য বা শিরোনামে প্রকাশিত একটি সংবাদের ছবি বিকৃত করে আলোচিত স্ক্রিনশটটি তৈরি করা হয়েছে। 

সুতরাং, যমুনা টেলিভিশনের ওয়েবসাইটে “শহরের সব কাক যাচ্ছে কোথায়?”- শীর্ষক তথ্য বা শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে ওবায়দুল কাদেরের ছবিটি এডিটেড বা বিকৃত। 

তথ্যসূত্র

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় “জিয়া পরিবারের কেউ নেতৃত্বে থাকলে দল করব না” শীর্ষক মন্তব্য করেননি

0

সম্প্রতি, “জিয়া পরিবারের কেউ নেতৃত্বে থাকলে দল করব না: গয়েশ্বর রায়” শীর্ষক শিরোনামে একটি তথ্য ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

ফেসবুকে প্রচারিত এমনকিছু পোস্ট দেখুন এখানে(আর্কাইভ), এখানে(আর্কাইভ), এখানে(আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় “জিয়া পরিবারের কেউ নেতৃত্বে থাকলে দল করব না” শীর্ষক কোনো মন্তব্য করেননি বরং কোনোরকম তথ্যসূত্র ছাড়াই আলোচিত মন্তব্যটি গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের নামে প্রচার করা হচ্ছে।

অনুসন্ধানের শুরুতেই একাধিক প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চ করেও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম কিংবা নির্ভরযোগ্য কোনো সূত্র থেকে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের আলোচিত মন্তব্যটির সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি।

পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া পোস্টগুলো বিশ্লেষণ করে Bangla News PointBangla News Feed নামের দুটি ফেসবুক পেজে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি একই সময়ে (সন্ধ্যা ৬টা) প্রকাশিত গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের আলোচিত মন্তব্য সম্বলিত সম্ভাব্য প্রথম পোস্ট খুঁজে পায় রিউমর স্ক্যানার টিম।

Collage By Rumor Scanner

উক্ত ফেসবুক পোস্টে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের ছবি ও আলোচিত মন্তব্য সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সংযুক্ত করা হয়। তবে, উক্ত পোস্টের ক্যাপশন কিংবা ফটোকার্ডে গয়েশ্বর রায়ের আলোচিত মন্তব্যটি কবে, কোথায় করেছেন সে সম্পর্কে কোনো তথ্যসূত্র উল্লেখ করা হয়নি।

এ ব্যাপারে অধিকতর সত্যতা নিশ্চিতের উদ্দেশ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবিরে’র সাথে যোগাযোগ করা হলে, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এরূপ কোনো মন্তব্য করেননি বলে রিউমর স্ক্যানারকে নিশ্চিত করেন তিনি।

তিনি আরও জানান, একটি মহল দীর্ঘদিন যাবৎ বিএনপি ও জিয়া পরিবারকে নিয়ে ষড়যন্ত্র ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করছে। এমন অনৈতিক প্রচারণা থেকে বিরত থাকার আহ্বানও জানান তিনি।

মূলত, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় “জিয়া পরিবারের কেউ নেতৃত্বে থাকলে দল করব না” শীর্ষক মন্তব্য করেছেন দাবিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি তথ্য প্রচার করা হচ্ছে, তবে অনুসন্ধানে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের আলোচিত মন্তব্যের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। এছাড়াও, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এরূপ কোনো মন্তব্য করেননি বলে বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির রিউমর স্ক্যানারকে নিশ্চিত করেছেন।

উল্লেখ্য, পূর্বেও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের নামে ভুয়া মন্তব্য প্রচারিত হলে সে বিষয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেন রিউমর স্ক্যানার টিম। 

সুতরাং, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় “জিয়া পরিবারের কেউ নেতৃত্বে থাকলে দল করব না” শীর্ষক মন্তব্য করেছেন দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র