বাস্তবে এডওয়ার্ড মরড্রেক নামে দুমুখো মানুষের অস্তিত্ব নেই

সম্প্রতি“১৯শ শতকে জন্ম নেয়া বাস্তবের দুমুখো মানুষটির নাম এডওয়ার্ড মরড্রেক যিনি ২৩ বৎসর বয়সে আত্মহত্যা করেন। তিনি ডাক্তারদের কাছে তার অন্য মাথাটি কেটে ফেলার অনুরোধ করতেন” শীর্ষক দাবি সম্বলিত কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

বাস্তবে এডওয়ার্ড

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায় এডওয়ার্ড মরড্রেক বাস্তবের দুমুখো মানুষ নয় বরং এটি একটি কাল্পনিক চরিত্র এবং এডওয়ার্ড মরড্রেক এর ছবি দাবিতে প্রচারিত ছবিগুলো নিতান্তই শৈল্পিক কাজ যার অস্তিত্বের এখন পর্যন্ত কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

মূলত, ১৮৯৫ সালে আমেরিকান লেখক চার্লস লটিন হিলড্রেক The Boston Sunday Post পত্রিকায় এডওয়ার্ড মরড্রেক’কে নিয়ে একটি কাল্পনিক গল্প প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে ১৮৯৬ সালে ডাক্তার George M. Goulad এবং Walter L. Pyle এর মেডিকেল কেস স্টাডি নিয়ে তাদের প্রকাশিত একটি বইয়ে এডওয়ার্ড মরড্রেক এর কাল্পনিক গল্পটির উল্লেখ পাওয়া যায়। বই প্রকাশের পরপর ই এডওয়ার্ড মরড্রেকের গল্পটি মানুষের মধ্যে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে থাকে। এরই ধারাবাহিক সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুমোখো মানুষের কিছু ছবি সম্বলিত একটি দাবি প্রচার করে বলা হচ্ছে, ১৯শ শতকে জন্ম নেয়া বাস্তবের দুমুখো মানুষটির নাম এডওয়ার্ড মরড্রেক যিনি ২৩ বৎসর বয়সে আত্মহত্যা করেন। তিনি ডাক্তারদের কাছে তার অন্য মাথাটি কেটে ফেলার অনুরোধ করতেন। তবে রিউমর স্ক্যানার টিম যাচাই করে দেখেছে যে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত এডওয়ার্ড মরড্রেক নামক চরিত্রটি কাল্পনিক

এবং এডওয়ার্ড মরড্রেক এর ছবি দাবিতে প্রচারিত ছবিগুলো মোমের তৈরি যা জার্মানির হ্যামবার্গ শহরে অবস্থিত Panoptikum যাদুঘরে রয়েছে।

উল্লেখ্য, পূর্বেও প্রায় একই দাবিতে ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সেসময় বিষয়টি নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। 

আরও পড়ুন

spot_img