Home Blog Page 532

হাথুরুসিংহেকে আইনের আওতায় আনতে হবে শীর্ষক কোনো মন্তব্য মাশরাফি করেননি

সম্প্রতি, ‘হাথুরুসিংহকে আইনের আয়তায় আনতে হবে মুশফিককে উদযাপনে বাধা দেওয়ায় মাশরাফি’ শীর্ষক থাম্বনেইল ও একই তথ্য সম্বলিত শিরোনামে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

হাথুরুসিংহেকে

ফেসবুকে প্রচারিত এমন ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)

ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারিত এমন ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

এই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া অবধি ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিওটিই দেখা হয়েছে প্রায় ৩২ হাজার বার। এছাড়াও ভিডিওটিতে প্রায় ২ হাজার ৭০০ পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিক্রিয়াও দেখানো হয়েছে। পাশাপাশি ভিডিওটি ৪৯ বার শেয়ার করা হয়েছে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, মুশফিকুর রহিমকে হেলমেট উপযাপনে বাধা দেওয়ায়  মাশরাফি বিন মর্তুজা হাথুরুসিংহেকে আইনের আওতায় আনাতে হবে বলে  কোনো মন্তব্য করেননি। প্রকৃতপক্ষে, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য করে তার দেওয়া পুরোনো এক বক্তব্যের ভিডিওর কিছু অংশ কাট করে আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি পর্যালোচনা করে রিউমর স্ক্যানার টিম। এতে ভিডিওটির শুরুতে মাশরাফি বিন মর্তুজাকে ‘ক্রিকেট বোর্ডের সবার কোড অফ কন্ডাক্ট থাকা উচিত। সবাইকে আইনের আওয়াতায় আসা উচিত’ শীর্ষক মন্তব্য করতে দেখা যায়। এরপর ভিডিওটির উপস্থাপক দাবি করেন, শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ ওয়ানডে সিরিজে জয় লাভের পর মুশফিকুর রহিম অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে ব্যঙ্গ করে ‘হেলমেট উদযাপন’ করতে গেলে কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে মুশফিকুর রহিমকে হাত জোড় করে তাকে তা করতে বারণ করেন। যার প্রেক্ষিতে মুশফিককে উদযাপনে বাধা দেওয়ায় মাশরাফি বিন মর্তুজা ‘খেলার পর খেলোয়াড়রা উদযাপন করবে এটাই স্বাভাবিক বিষয়। তবে মুশফিককে উদযাপনে হাথুরুসিংহে যেভাবে বাধা দিয়েছেন এটা মেনে নেওয়ার মত না। তাই এসব বিষয়ে যাতে হাথুরুসিংহে আর হস্তক্ষেপ করতে না পারে সেজন্যে বিসিবির কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনে হাথুরুসিংহেকে আইনের আওতায় আনতে হবে।’ শীর্ষক মন্তব্য করেছেন। 

আলোচিত দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে ভিডিওর শুরুতে দেখানো মাশরাফি বিন মর্তুজার ক্লিপটির কয়েকটি কী-ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে Ekattor TV এর ইউটিউব চ্যানেলে ২০২১ সালের ২৪ মার্চ শুধু ক্রিকেটাররাই কথা বলতে পারবেন না: মাশরাফি | Khelajog | Ekattor TV শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি ভিডিও প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

Screenshot: Youtube 

ভিডিওটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, উক্ত ভিডিওর ৫৪ সেকেন্ড থেকে ১ মিনিট সময় পর্যন্ত অংশের সাথে আলোচিত ভিডিওতে থাকা মাশরাফি বিন মর্তুজার ক্লিপের হুবহু মিল রয়েছে।

Video Comparison by Rumor Scanner 

এছাড়াও ভিডিওটি থেকে জানা যায়, উক্ত ভিডিওটি মূলত একাত্তর টেলিভিশনের খেলাধুলা বিষয়ক অনুষ্ঠান খেলাযোগ-এ মাশরাফির দেওয়া সাক্ষাৎকারের ঘটনায় ধারণকৃত। ভিডিওটিতে তাকে বিসিবি‘র কর্মকাণ্ড নিয়ে নানা মন্তব্য করতে দেখা যায়। কোড অফ কন্ডাক্টের কারণে খেলোয়াড়রা বোর্ড নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে না পারলেও বোর্ডের কর্মকর্তারা খেলোয়াড়দের নিয়ে গণমাধ্যমের সামনে যা তা মন্তব্য করেন দাবি করে তিনি বলেন, ‘ক্রিকেট বোর্ডের সবার কোড অফ কন্ডাক্ট থাকা উচিত। সবাইকে আইনের আওতায় আসা উচিত। প্লেয়াররা শুধু কথা বলতে পারবে না আর সবাই যা মন চায় তাই বলে যাবে এটা তো হতে পারে না।’

তাছাড়াও ভিডিওটিতে তাকে হাথুরুসিংহে কিংবা মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে দেখা যায়নি। পাশাপাশি এটিও লক্ষ্য করা যায় যে ভিডিওটি বর্তমান সময়ের নয়; প্রায় তিন বছর পূর্বের।

অর্থাৎ, মাশরাফি বিন মর্তুজার ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তাদের নিয়ে করা পুরোনো মন্তব্যকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে। 

এছাড়াও মাশরাফি বিন মর্তুজা হাথুরুসিংহেকে নিয়ে এমন কোনো মন্তব্য করেছেন কিনা তা জানতে প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে গণমাধ্যম কিংবা কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে এ বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

মূলত, গত ১৮ মার্চ চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আয়োজিত হয় বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচ। উক্ত ম্যাচে ৪ উইকেটে জয়ের মাধ্যমে ২-১ ব্যবধানে সিরিজে জয় লাভ করে বাংলাদেশ। সিরিজ জয়ের শিরোপা নিয়ে উদযাপনের সময় সবার মাঝে হেলমেট নিয়ে হাজির হন মুশফিকুর রহিম। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে ব্যঙ্গ করে ‘হেলমেট উদযাপন’ করতে গেলে সেসময় হাত জোড় করে তাকে তা করতে বারণ করেন কোচ চান্ডিকা হাথুরুসিংহে। যার প্রেক্ষিতে সম্প্রতি, মুশফিকুর রহিমকে ‘হেলমেট উদযাপন’-এ বাধা দেওয়ায় হাথুরুসিংহেকে আইনের আওতায় উচিত বলে মন্তব্য করেছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টানেটে প্রচার করা হয়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা যায়, মাশরাফি বিন মর্তুজা কোচ চান্ডিকা হাথুরুসিংহেকে নিয়ে আলোচিত মন্তব্যটি করেননি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য করে তার দেওয়া পুরোনো এক বক্তব্যের ভিডিওর কিছু অংশ কাট করে আলোচিত ভিডিওটি প্রচার করা হচ্ছে।

সুতরাং, মুশফিককে উদযাপনে বাধা দেওয়ায় মাশরাফি হাথুরুসিংহেকে আইনের আওতায় আনতে বলেছেন দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত তথ্যটি মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

মাহেন্দ্র সিং ধোনি সংবাদ সম্মেলনে মুস্তাফিজুর রহমানকে অপমান করেননি

সম্প্রতি, ‘সংবাদ সম্মেলনে এসে মুস্তাফিজুর রহমানকে অপমান করলো মাইনন্দ্রো ছীন ধনি’ শীর্ষক শিরোনামে ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে। 

 ধোনি

টিকটকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

এই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া অবধি টিকটকে প্রচারিত উক্ত দাবির একটি ভিডিওই দেখা হয়েছে প্রায় ৫ লাখ ৭১ হাজার ৬৭০ বার। এছাড়াও ভিডিওটিতে প্রায় ১৫ হাজার ৯৮৬ পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিক্রিয়াও দেখানো হয়েছে। পাশাপাশি ভিডিওটি ৮০ বার শেয়ার করা হয়েছে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, চেন্নাই সুপার কিংসের সাবেক অধিনায়ক মাহেন্দ্র সিং ধোনি সংবাদ সম্মেলনে এসে মুস্তাফিজুর রহমানকে অপমান করার দাবিটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে চেন্নাই সুপার কিংসের সাবেক অধিনায়ক মাহেন্দ্র সিং ধোনির পুরোনো ভিডিও ক্লিপের সাথে মুস্তাফিজুর রহমানের কিছু ছবি যুক্ত করে আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। ভিডিওটির শুরুতে মাহেন্দ্র সিং ধোনির একটি ভিডিও দেখানো হয়। যার পরবর্তীতে ভিডিওটির উপস্থাপক দাবি করেন মাহেন্দ্র সিং ধোনির উক্ত ভিডিওটি একটি সংবাদ সম্মেলনের। যেখানে তিনি বাংলাদেশের বোলার মুস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে ‘মোস্তাফিজকে নিয়ে বড় ভুল করেছি। সাম্প্রতিক সময়ে মোস্তাফিজ ফর্মহীনতায় ভুগছেন। এমন মুহুর্তে আমরা না বুঝতে পেরেই তাকে দলে নিয়েছি। আসলে মোস্তাফিজকে দলে নেওয়া আমাদের ঠিক হয়নি। মোস্তাফিজের পরিবর্তে অন্যকোনো খেলোয়াড়কে দলে নিলে আমাদের জন্যে ভালো হতো। সত্যি বলতে মোস্তাফিজকে দলে নিয়ে আমরা বড় ভুল করেছি ‘ শীর্ষক মন্তব্য করেছেন।’ কিন্তু আলোচিত ভিডিওর শুরুতে দেখানো ক্লিপে মহেন্দ্র সিং ধোনিকে শীর্ষক কোনো কথা বলতে শোনা যায়নি। 

তাই উক্ত দাবির সত্যতা যাচাইয়ে আলোচিত ভিডিওটির শুরুতে প্রদর্শিত মাহেন্দ্র সিং ধোনি’র বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপ থেকে কিছু স্থিরচিত্র নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে আইপিএল ফ্রেঞ্চাইজি চেন্নাই সুপার কিংস এর ইউটিউব চ্যানেলে ২০২১ সালে ২১ নভেম্বর “My last T20 game will be in Chennai” – Thala – Full Speech from the Super Celebrations শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Youtube 

উক্ত ভিডিওটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আলোচিত ভিডিওর শুরুতে দেখানো মাহেন্দ্র সিং ধোনি’র বক্তব্যের ভিডিওটির সাথে উক্ত ভিডিওর একটি অংশের হুবহু মিল রয়েছে। মূলত, উক্ত ভিডিওটি আলোচিত ভিডিওতে দেখানো ক্লিপটির ফুল ভিডিও। 

Video Comparison by Rumor Scanner 

ভিডিওটি পর্যালোচনার মাধ্যমে মাহেন্দ্র সিং ধোনিকে আইপিএল এবং চেন্নাই সুপার কিংস নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য দিতে দেখা যায়। কিন্তু ভিডিওটির কোথাও তাকে মুস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে কোনো কথা বলতে দেখা যায়নি। এছাড়াও লক্ষ্য করা যায়, ভিডিওটি ২০২১ সালের যা আজ থেকে দুই বছর আগের।  

এছাড়া, সাম্প্রতিক সময়ে মাহেন্দ্র সিং ধোনি মুস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে আলোচিত মন্তব্যটি করেছেন কিনা জানতে বিভিন্ন কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমেও গণমাধ্যম কিংবা নির্ভরযোগ্য কোনো সূত্রে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

মূলত, ২২ মার্চ চেন্নাই সুপার কিংস এবং র‍য়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু এর ম্যাচের মধ্য দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে আইপিএলের ১৭ তম আসর। এরই মধ্যে আইপিএলকে ঘিরে ইন্টারনেটে বিভিন্ন ধরনের তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। এরই প্রেক্ষিতে সম্প্রতি, চেন্নাই সুপার কিংসের সাবেক অধিনায়ক মাহেন্দ্র সিং ধোনি এক সংবাদ সম্মেলনে মুস্তাফিজুর রহমানকে অপমান করে ‘মোস্তাফিজকে দলে নিয়ে আমরা বড় ভুল করেছি’ শীর্ষক মন্তব্য করেছেন দাবিতে ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা যায়, মাহেন্দ্র সিং ধোনি সম্পর্কিত আলোচিত দাবিটি সত্য নয়। প্রকৃতপক্ষে, চেন্নাই সুপার কিংসের একটি অনুষ্ঠানে মাহেন্দ্র সিং ধোনির বক্তব্য দেওয়ার ভিন্ন ও পুরনো একটি ভিডিওর সাথে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীনভাবে আলোচিত দাবিটি যুক্ত করে প্রচার করা হচ্ছে। যার সাথে আলোচিত দাবির কোনো সম্পর্ক নেই।

সুতরাং, সংবাদ সম্মেলনে গিয়ে মুস্তাফিজুর রহমানকে মাহেন্দ্র সিং ধোনির অপমান করার দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত তথ্যটি মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ দলে ফিরছেন না তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস 

সম্প্রতি, অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত’র আবেদনের প্রেক্ষিতে ক্রিকেটার তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ দলে ফিরছেন দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে। 

টিকটকে প্রচারিত এমন ভিডিও দেখুন এখানে(আর্কাইভ), এখানে(আর্কাইভ)

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায় যে, ক্রিকেটার তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ দলে ফিরছেন না। দলের অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্তও তামিম ও ইমরুলকে দলে ফেরানোর বিষয়ে কোনো আবেদন করেছেন বলে জানা যায়নি। প্রকৃতপক্ষে, কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র ছাড়াই আলোচিত ভিডিওটি প্রচার করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতেই একাধিক প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চ করেও আলোচিত দাবির বিষয়ে কোনো সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

পরবর্তীতে, প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে, যমুনা টিভির ওয়েবসাইটে গত ১৮ মার্চ “চমক রেখে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের স্কোয়াড ঘোষণা করলো বিসিবি” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

Source: Jamuna TV

উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায় বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কার মধ্যে অনুষ্ঠিতব্য টেস্ট সিরিজকে সামনে রেখে ১৫ সদস্যের টেস্ট স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বিসিবি। উক্ত স্কোয়াডের সদস্যরা হলেন নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), জাকির হাসান, মাহমুদুল হাসান জয়, সাদমান ইসলাম, লিটন কুমার দাস, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, শাহাদাত হোসেন দীপু, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাঈম হাসান, তাইজুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, মুশফিক হাসান ও নাহিদ রানা।

অর্থাৎ, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট স্কোয়াডে ওপেনার তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েসকে রাখা হয়নি।

উল্লেখ্য, আলোচিত ভিডিওটি প্রচারিত হওয়ার পর গত ১৮ মার্চ অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার তৃতীয় ওডিআই ম্যাচের স্কোয়াডেও ছিলেন না তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস।

২০২৩ সালের ৬ জুলাই অকস্মাৎ আন্তজার্তিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান ওপেনার তামিম ইকবাল। তার অবসর ক্রিকেট মহলে জন্ম দেয় নানা আলোচনা-সমালোচনার। পরবর্তীতে ১ দিনের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুরোধে অবসরের ঘোষণা প্রত্যাহার করেন তামিম ইকবাল। তবে অবসরের সিদ্ধান্ত থেকে ফিরলেও তাকে সেসময়ের পর থেকে এখন পর্যন্ত আর জাতীয় দলের খেলতে দেখা যায়নি।

সম্প্রতি বিপিএল ২০২৪ আসরে তামিম ইকবাল সর্বোচ্চ রান করে টুর্নামেন্ট সেরা হওয়ার পর পরই চাঙ্গা হয় তাকে জাতীয় দলে ফেরানোর দাবি। 

তবে, এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত গণমাধ্যমে প্রকাশিত একাধিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে জানা যায় তামিম ইকবালের আন্তজার্তিক ক্রিকেটে ফেরার বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারে নি কোনো পক্ষই। বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সাথে আলোচনার পরই এ বিষয়ে সিধান্ত নেওয়া হবে বলে প্রতিবেদনগুলোতে জানানো হয়। 

এ সংক্রান্ত কিছু প্রতিবেদন দেখুন-

এসব প্রতিবেদন থেকে স্পষ্টতই প্রতীয়মান হয় যে অবসর ভেঙে ক্রিকেটার তামিম ইকবালের আন্তজার্তিক ক্রিকেটে ফেরার বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি।

পরবর্তীতে, আলোচিত ভিডিওতে প্রচারিত বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের ভিডিও ফুটেজটির ব্যাপারে আলাদাভাবে অনুসন্ধান চালায় রিউমর স্ক্যানার টিম।

ভিডিও যাচাই

প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে, News 24 sports এর ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৪ সালের ৭ মার্চ “তামিমের মতো ওপেনার বাংলাদেশেই নাই: পাপন | News24 Sports” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত ভিডিওর একটি অংশের সাথে আলোচিত ভিডিওতে প্রচারিত ফুটেজের মিল খুঁজে পাওয়া যায়। 

Comparison Image By Rumor Scanner

উক্ত ভিডিওতে নাজমুল হাসান পাপন শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টি টুয়েন্টি সিরিজে সাকিব, তামিম, মুশফিকের মতো সিনিয়র প্লেয়ার ছাড়াই বাংলাদেশ যেভাবে খেলছে তার প্রশংসা করেন। এছাড়াও তিনি এও বলেন, তামিমের মত ওপেনার দেশে আর নেই।

মূলত, গত ৭ মার্চ বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা টি টুয়েন্টি সিরিজ চলাকালীন দলের সিনিয়র খেলোয়াড়দের ছাড়াই দলের ভালো খেলার প্রশংসা করেন বিসিবি সভাপতি এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন। তার সে বক্তব্যের একটি ভিডিও ফুটেজ ব্যবহার করেই সম্প্রতি “অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত’র আবেদনের প্রেক্ষিতে ক্রিকেটার তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ দলে ফিরছেন” শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েসকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলমান সিরিজে বাংলাদেশ জাতীয় দলে ফেরানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

সুতরাং, অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্তর আবেদনের প্রেক্ষিতে ক্রিকেটার তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ দলে ফিরছেন দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত তথ্যটি মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

ভারতীয় শিশুকে বাংলাদেশি শিশু দাবি করে আর্থিক প্রচারণা 

0

সম্প্রতি, “ছোট্ট #আয়েশা আক্তার আলভিয়া কে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন।” শীর্ষক দাবিতে এক শিশুর কয়েকটি ছবি সংযুক্ত করে একটি মানবিক সাহায্যের আবেদন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আয়েশা আক্তার আলভিয়া নামে প্রচারিত ছবির শিশুটি বাংলাদেশের নয় বরং ছবিগুলো আশু সাইনী নামের ভারতের এক শিশুর।

মূলত, বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয় নগরের অসুস্থ শিশু আয়েশা আক্তার আলভিয়ার চিকিৎসার জন্য ৫ লক্ষ টাকা প্রয়োজন দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কিছু ছবি প্রচার করা হয়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ছবিতে থাকা শিশুটির নাম আশু সাইনি। তার বয়স ৩ বছর। সে একজন ছেলে শিশু। গণ অর্থায়ন প্লাটফর্ম Milaap এর ফান্ডরাইজিং পোস্ট হতে জানা যায়, ২০২১ সালে আশু’র অ্যাকিউট লিভার ফেইলিউর, স্টেজ 3 অ্যাকিউট রেনাল ফেইলিউর এবং হেমোলাইটিক ইউরেমিক সিনড্রোম (HUS) ধরা পড়ে। তার লিভার স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারে না এবং তার কিডনি তার রক্ত ​​থেকে বর্জ্য ফিল্টার করতে পারে না। সেসময় আশুর চিকিৎসার জন্য ১০ লাখ টাকা প্রয়োজন বলে ডাক্তার জানিয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, পূর্বেও একই দাবিতে ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হলে সেসময় বিষয়টি নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।

রিশাদ হোসেনকে আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের দলে নেওয়ার গুজব

সম্প্রতি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হয়েছে, ভারতীয় ক্রিকেটার ও আইপিএল ফ্রেঞ্চাইজি চেন্নাই সুপার কিংস এর সদ্য সাবেক অধিনায়ক মাহেন্দ্র সিং ধোনির চাওয়াতে দলটির হয়ে এবারের আইপিএলে খেলবেন বাংলাদেশি লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন।

রিশাদ

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

উক্ত দাবিতে প্রচারিত সমজাতীয় ইউটিউব ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

উক্ত দাবিতে প্রচারিত সমজাতীয় টিকটক ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, বাংলাদেশি লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনকে আইপিএল ফ্রেঞ্চাইজি চেন্নাই সুপার কিংস দলে নেয়নি এবং দলটির সদ্য সাবেক অধিনায়ক মাহেন্দ্র সিং ধোনিও তাকে নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি বরং ধোনির বক্তব্যের পুরোনো একটি ভিডিওর সাথে রিশাদ হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমানের কিছু ছবি যুক্ত করে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে আলোচিত ভিডিওগুলো তৈরি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে শুরুতে আলোচিত ভিডিওগুলো পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। ভিডিওগুলোর শুরুতে মাহেন্দ্র সিং ধোনির বক্তব্যের একটি ভিডিও ক্লিপের পাশাপাশি রিশাদ হোসেনের কিছু স্থিরচিত্র বা ছবি দেখানো হয়। ভিডিওগুলোতে আলোচিত দাবির পক্ষে কোনো নির্ভরযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাছাড়া, প্রাসঙ্গিক একাধিক কি ওয়ার্ড সার্চ করেও গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্যকোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে উক্ত দাবির সত্যতা পাওয়া যায়নি।

পরবর্তীতে বিষয়টি যাচাইয়ে আলোচিত ভিডিওগুলোর শুরুতে প্রদর্শিত মাহেন্দ্র সিং ধোনি’র বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপ থেকে কিছু স্থিরচিত্র নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে আইপিএল ফ্রেঞ্চাইজি চেন্নাই সুপার কিংস এর ইউটিউব চ্যানেলে ২০২১ সালে ২১ নভেম্বর “My last T20 game will be in Chennai”- Thala’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত ভিডিওটিতে দলটির অধিনায়ক মাহেন্দ্র সিং ধোনিকে আইপিএল এবং চেন্নাই সুপার কিংসের বিষয়ে বক্তব্য দিতে দেখা যায়। তবে সেখানে তাকে বাংলাদেশি লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনের বিষয়ে কোনো কথা বলতে দেখা যায়নি।

এই ভিডিওটি’র একটি অংশের সাথে আলোচিত ভিডিওগুলোর শুরুতে দেখানো মাহেন্দ্র সিং ধোনি’র বক্তব্যের অংশের হুবহু মিল পাওয়া যায়।

Image comparison by Rumor Scanner

অর্থাৎ এই ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় এবং এর সাথে আলোচিত দাবির কোনো সম্পর্ক নেই।

পরবর্তীতে, ম্যানুয়ালি অনুসন্ধানের মাধ্যমে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ (আইপিএল) এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে চলতি মৌসুমের জন্য চেন্নাই সুপার কিংস এর ক্রিকেটারদের একটি তালিকা খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত তালিকায় বাংলাদেশি লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনের নাম পাওয়া যায়নি।

অর্থাৎ, বাংলাদেশি লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনকে আইপিএল ফ্রেঞ্চাইজি চেন্নাই সুপার কিংস দলে নেয়নি।

তাছাড়া, এবারের আইপিএলের চূড়ান্ত তালিকায় জায়গা পেয়েছিলেন বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার। এদের মধ্যে ছিলেন পেসার মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ এবং শরিফুল ইসলাম। মুস্তাফিজের ভিত্তিমূল্য ছিল ২ কোটি রুপি, তাসকিনের ভিত্তিমূল্য ছিল ৭৫ লাখ রুপি এবং শরিফুলের ভিত্তিমূল্য ছিল ৫০ লাখ রুপি। তবে পরবর্তীতে পেসার শরিফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদ নিলাম থেকে তাদের নাম প্রত্যাহার করে নেন। ফলে বাংলাদেশ থেকে শুধুমাত্র মোস্তাফিজুর রহমানের নামই নিলাম তালিকায় ছিল। এরপর ২০২৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের (আইপিএল) ২০২৪ আসরের নিলাম অনুষ্ঠিত হলে সেখান থেকে চেন্নাই সুপার কিংস মোস্তাফিজুর রহমানকে ভিত্তিমূল্য ২ কোটি রূপিতে দলে ভেড়ায়।

অর্থাৎ, চলতি বছরের আইপিএলে একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলতে গত ১৯ মার্চ ভারতের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন পেসার মোস্তাফিজুর রহমান।

মূলত, আগামীকাল (২২ মার্চ) ভারতের চেন্নাইয়ে আইপিএলের ১৭ তম আসর শুরু হচ্ছে। এরই মধ্যে আইপিএলকে ঘিরে ইন্টারনেটে বিভিন্ন ধরনের তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। এরই প্রেক্ষিতে সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হয়েছে, ভারতীয় ক্রিকেটার ও আইপিএল ফ্রেঞ্চাইজি চেন্নাই সুপার কিংস এর সদ্য সাবেক অধিনায়ক মাহেন্দ্র সিং ধোনির চাওয়াতে দলটির হয়ে এবারের আইপিএলে খেলবেন বাংলাদেশি লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, উক্ত দাবিটি সঠিক নয় বরং ধোনির বক্তব্যের পুরোনো একটি ভিডিওর সাথে রিশাদ হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমানের কিছু ছবি যুক্ত করে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, বাংলাদেশি লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনকে আইপিএল ফ্রেঞ্চাইজি চেন্নাই সুপার কিংস দলে নেয়নি এবং দলটির সদ্য সাবেক অধিনায়ক মাহেন্দ্র সিং ধোনিও তাকে নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

প্রসঙ্গত, চেন্নাই সুপার কিংসের নতুন অধিনায়ক মনোনীত হয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটার ঋতুরাজ গায়কোয়াড। আজ চেন্নাই সুপার কিংসের এক ফেসবুক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, পূর্বেও আইপিএল নিয়ে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের জড়িয়ে বিভিন্ন ভুয়া তথ্য প্রচারের প্রেক্ষিতে একাধিক ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।

সুতরাং, বাংলাদেশি লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনকে আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের দলে নেওয়া হয়েছে দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

এমভি আবদুল্লাহর নয়, আটককৃত এই জলদস্যুরা ইরানের আল নাইমি জাহাজের

0

গত ১২ই মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহকে জিম্মি করে সোমালিয়ান জলদস্যুরা। এরই প্রেক্ষাপটে “আলহামদুলিল্লাহ ভাই জলদস্যুরা ধরা পড়েছে ১৭ নাবিকদের প্রাণ বাঁচালো ইন্ডিয়ান সৈনিকরা” শীর্ষক শিরোনামে একটি ছবি ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

টিকটকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে(আর্কাইভ), এখানে(আর্কাইভ), এখানে(আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ছবিটি বাংলাদেশের পতাকাবাহী এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ জিম্মিকারী সোমালিয়ান জলদস্যুদের নয় বরং এটি চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি ভারতীয় নৌবাহিনী কর্তৃক পূর্ব সোমালিয়ান উপকূলে ইরানি পতাকাবাহী একটি মাছ ধরার জাহাজ থেকে গ্রেফতারকৃত সোমালিয়ান জলদস্যুদের ছবি।

রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম AP News এর ওয়েবসাইটে ২০২৪ সালের ৩১ জানুয়ারি “India’s navy rescues two hijacked boats. British military warns of two pirate groups in Indian Ocean” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন আলোচিত ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়। 

Source: AP News

উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে, ভারতীয় নৌবাহিনী গত ২৯ জানুয়ারি পূর্ব সোমালিয়ান উপকূল থেকে ইরানি পতাকাবাহী একটি মাছ ধরার জাহাজকে সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত করে। এ ঘটনায় ১০ জন সোমালিয়ান জলদস্যু গ্রেফতার করে জাহাজে থাকা ১৯ জন পাকিস্তানি কেবিন ক্রু উদ্ধার করে ভারতীয় নৌবাহিনী। 

পরবর্তীতে উক্ত ঘটনার সূত্র ধরে, ভারতীয় নৌবাহিনীর মুখপাত্রের ভেরিফাইড এক্স(সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্ট SpokespersonNavy থেকে ২০২৪ সালের ৩০ জানুয়ারি প্রকাশিত একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot Source: X

উক্ত টুইটে আলোচিত ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়। 

উক্ত টুইটে ভারতীয় নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত ২৯ জানুয়ারি সোমলিয়ার পূর্ব উপকূলে ১৯ পাকিস্তানি নাবিকসহ ইরানি পতাকাবাহী আল নাইমি নামের একটি জাহাজ উদ্ধার করে ভারতীয় নৌবাহিনী। এ ঘটনায় ১১জন সোমালিয়ান জলদস্যুকে আটক করেছে তারা।

প্রসঙ্গত, গত ১২ই মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ জন নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহকে জিম্মি করে সোমালি জলদস্যুরা। পরবর্তীতে, জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জলদস্যুরা জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলের দিকে নিয়ে যায়। এই প্রতিবেদনে প্রকাশ অবধি জাহাজটি সোমালিয়ান জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। 

মূলত, চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি ইরানি পতাকাবাহী আল নাইমি জাহাজকে সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাত থেকে উদ্ধার করে ভারতীয় নৌবাহিনী। এঘটনায় ভারতীয় নৌবাহিনীর হাতে আটককৃত সোমালিয়ান জলদস্যুদের একটি ছবিকেই সম্প্রতি ভারতীয় নৌবাহিনীর হাতে আটক এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ জিম্মিকারী সোমালিয়ান জলদস্যুদের ছবি দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে, ভারতীয় নৌবাহিনী বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিন্মি করা সোমালিয়ান জলদস্যুদের এখন অবধি আটক করতে পারেনি।

সাম্প্রতিক সময়ে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ নিয়ে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া একাধিক তথ্য যাচাই করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।

সুতরাং, ভারতীয় নৌবাহিনী কর্তৃক ভিন্ন একটি জাহাজ জলদস্যুদের কাছ থেকে উদ্ধারের ঘটনায় আটককৃত জলদস্যুদের ছবিকে এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ জিম্মিকারী সোমালিয়ান জলদস্যুদের ভারতীয় নৌবাহিনী কর্তৃক আটকের ছবি দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

ছবিটিতে থাকা ২৯ জনের মধ্যে ২৮ জনের নোবেল পাওয়ার বিভ্রান্তিকর দাবি 

0

সম্প্রতি, ‘এটি পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে ‘বুদ্ধিমান’ লোকেদের গ্রুপ ফটো। ছবিটিতে আছেন অ্যালবার্ট আইনস্টাইন, ম্যারি কুরি, নিল বোর এবং অন্যান্য। ছবির ২৯ জনের মধ্যে ২৮ জনই নোবেল পুরস্কার বিজয়ী’ শীর্ষক দাবিতে উইকিপিডিয়াকে সোর্স হিসেবে উল্লেখ করে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।

নোবেল

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ছবিটিতে থাকা ২৯ জন ব্যক্তির মধ্যে ২৮ জন নোবেল পুরস্কার পাননি বরং ছবিতে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে কেবল ১৭ জন নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন।

মূলত, গেল কয়েক বছর ধরেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা পদার্থবিদদের একসাথে তোলা একটি ছবির সাথে “এদের ২৯ জনের মধ্যে ২৮ জনই নোবেল পেয়েছেন।” শীর্ষক একটি তথ্য ফেসবুকে প্রচার হয়ে আসছে। তবে অনুসন্ধানে নোবেল প্রাইজের ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, ছবিতে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে ১৭ জন নোবেল পেয়েছেন। নোবেলজয়ী সেই ১৭ জন বিজ্ঞানী হচ্ছেন, লুই দ্য ব্রগলি, আরউইন স্রোডিঞ্জার, উলফগ্যাং পাউলি, চার্লস উইলসন, ভার্নার হাইজেনবার্গ, পিটার ডিবে, মেরী কুরি, উইলিয়াম ব্রাগ, ম্যাক্স প্ল্যাংক, পল ডিরাক, আর্থার কম্পটন, ম্যাক্স বর্ন, আর্ভিং ল্যাংমিয়র, হেন্ড্রিক লোরেন্‌ৎস, নিলস বোর, আলবার্ট আইনস্টাইন, ওয়েন উইলিয়ান্স রিচার্ডসন। যাদের নাম এই ছবিতে উল্লেখ আছে কিন্তু নোবেল পাননি তারা হলেন: অগাস্টে পিকার্ড, পল ইয়েরেনফেস্ট, এডুয়ার্ড হার্জেন, থিওফিল ডি ডোন্ডের, জুলস এমিল ভারশাফেল্ট, রালফ এইচ ফাউলার, লিঁও ব্রিলুয়াঁ, মার্টিন নুডসেন, হান্স ক্রেমার্স, পল ল্যাংগেভিন, এমিল অঁরিও।

উল্লেখ্য, পূর্বেও দাবিটি ইন্টারনেটে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হলে সেসময় বিষয়টি বিভ্রান্তিকর হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।

রমজান উপলক্ষে ইসলামী ব্যাংক থেকে ৮০ হাজার টাকা উপহার দেওয়ার ক্যাম্পেইনটি ভুয়া

0

সম্প্রতি, “Islami Bank Bangladesh Limited – Ramadan gifts” শিরোনামে একটি ক্যাম্পেইনের লিংক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট হয়ে এবং বিভিন্ন মেসেজিং এপে মেসেজের মাধ্যমে কপি-সেন্ড ও ফরোয়ার্ড হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে।

 ইসলামী ব্যাংক

উক্ত লিংক সম্বলিত ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমার স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, রমজান উপলক্ষে ইসলামী ব্যাংক “Islami Bank Bangladesh Limited – Ramadan gifts. Through the questionnaire, you will have a chance to get 80000 taka” শীর্ষক কোনো ক্যাম্পেইনের আয়োজন করেনি এবং এই ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণ করে কিছু প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ৮০ হাজার টাকা পাওয়ার বিষয়টি মিথ্যা। 

ক্যাম্পেইন লিংক ও সাইটটি পর্যবেক্ষণে দেখা যায় একটি ভুয়া ও ভুঁইফোঁড় ওয়েবসাইট থেকে ‘ইসলামী ব্যাংক’ এর নামে প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে ৮০ হাজার টাকা জিতে নেওয়ার সুযোগ শীর্ষক এ ক্যাম্পেইনটি চালানো হচ্ছে। মূলত ইসলামী ব্যাংকের মূল ওয়েবসাইট কিছুটা নকল করার চেষ্টা করে ইসলামি ব্যাংকের ওয়েবসাইট হিসেবে উপস্থাপন করে ভুয়া ওয়েবসাইট (আর্কাইভ) তৈরি করা হয়েছে।

বর্তমানে ইসলামী ব্যাংকের নামে ‘PLC’ রয়েছে এবং  তাদের ওয়েবসাইটেও তার উল্লেখ রয়েছে। অপরদিকে ভুয়া ওয়েবসাইটটিতে পিএলসি’র উল্লেখ নেই।

Screenshot : Comparison between real & fake website 

লিংকে প্রবেশ করে দেখা যায় সেখানে “Congratulations, Islami Bank Bangladesh Limited – Ramadan gifts. Through the questionnaire, you will have a chance to get 80000 taka” লেখা প্রদর্শিত হয় এবং ৪টি প্রশ্ন উল্লেখ করা হয়েছে।’ 

প্রশ্নগুলো হলো-

Screenshot Collage By Rumor Scanner

প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়ার পর দেখা যায় নতুন আরেকটি পেজে তারা একটি অভিনন্দনপত্র দেয় এবং সেখানে ‘আপনার পুরস্কার জিতে নেওয়ার একটি সুযোগ আছে। উপহার নিতে হলে আপনাকে সঠিক বক্স নির্বাচন করতে হবে এবং সর্বোচ্চ তিনবার চেষ্টা করে সঠিক বক্সটি থেকে উপহার নেওয়ার সুযোগ পাবেন’ এমনটা লেখা থাকে। 

Screenshot: Islami Bank gift scam

এরপর সঠিকভাবে বক্স বেছে নেওয়ার শর্তে ক্যাম্পেইনের লিংকটি ৫টি গ্রুপ এবং ২০ জন বন্ধুকে শেয়ার করতে বলা হয়। পাশাপাশি নিজের ঠিকানা প্রদান করে নিবন্ধন সম্পন্ন করে ৫ থেকে ৭ দিনের ভেতর উপহার দেওয়ার কথা বলা হয়।

Screenshot: Fake Islami Bank Website gift scam

এছাড়া ইসলামী ব্যাংক এর অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ এবং ওয়েবসাইটে এ রমজান উপলক্ষে ৮০ হাজার টাকার কোনো ক্যাম্পেইনের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।  

মূলত, একটি ভুয়া ওয়েবসাইট থেকে পবিত্র রমজান উপলক্ষে ইসলামী ব্যাংকের নাম করে প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে ৮০ হাজার টাকা ৫ থেকে ৭ দিনের ভেতর উপহার দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে একটি ক্যাম্পেইন লিংক ৫ টি গ্রুপ অথবা ২০ জনকে শেয়ার করতে বলা হচ্ছে এবং কেউ কেউ এটিকে ইসলামি ব্যাংকের আসল ক্যাম্পেইন হিসেবে নিয়ে বিশ্বাস করে এই ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণ করে স্ক্যাম লিংকটি ছড়িয়ে দিচ্ছে। 

সাম্প্রতিক সময়ে রমজান উপলক্ষে প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে ৮০ হাজার টাকা উপহার দেওয়ার এই ভুয়া ক্যাম্পেইন আড়ং এর নামেও প্রচার করা হয়েছিল। যা স্ক্যাম শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল রিউমর স্ক্যানার। 

সুতরাং, রমজান উপলক্ষে ইসলামী ব্যাংক  ৮০ হাজার টাকা উপহার দেওয়ার ক্যাম্পেইনটি সম্পূর্ণ ভুয়া। 

তথ্যসূত্র

ভারতীয় শিশু জোহানের ছবিকে বাংলাদেশি শিশুর ছবি দাবিতে আর্থিক প্রতারণা

0

সম্প্রতি, ‘আর ৫০ হাজার টাকা মত হলে আবিরের চিকিৎসা হয়ে যাবে ইনসআল্লাহ। শিশুটির চিকিৎসার জন্য ৪ লক্ষ টাকার প্রয়োজন।’ শীর্ষক শিরোনামে এক শিশুর কয়েকটি ছবি সংযুক্ত করে একটি মানবিক সাহায্যের আবেদন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুনে এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ),  এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আবির হোসেন নামে প্রচারিত ছবিগুলো বাংলাদেশের কোনো শিশুর নয়। প্রকৃতপক্ষে, ছবিগুলো জোহান আনসারি নামের ভারতীয় এক শিশুর। বিলিয়ারি অ্যাট্রেসিয়া সংক্রান্ত জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় জোহানের উক্ত ছবিগুলো তোলা হয়।

মূলত, আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবিগুলো বাংলাদেশি কোনো শিশুর নয়। প্রকৃতপক্ষে, ছবিগুলো ভারতীয় নাগরিক রুকাইয়া এর সন্তান জোহান আনসারির। বিলিয়ারি অ্যাট্রেসিয়া সংক্রান্ত জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকাকালীন তার উক্ত ছবিগুলো তোলা হয়। জোহানের চিকিৎসার জন্যে অর্থনৈতিক সহায়তা চেয়ে ভারতীয় গণ-অর্থায়ন প্ল্যাটফর্ম Impact Guru তাদের ফেসবুক পেজে জোহানের ছবি প্রচার করলে সেখান থেকে জোহান ও তার পরিবারের ছবি সংগ্রহ করে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়। এছাড়াও Impact Guru এর ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, জোহান বর্তমানে তার পরিবারের সাথে নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন।

উল্লেখ্য, প্রায় একই দাবিতে বিষয়টি পূর্বেও একাধিকবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হলে সে সময়ে বিষয়টি মিথ্যা হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার টিম।

আরটিভি’র ফটোকার্ড বিকৃত করে প্রধানমন্ত্রীর নামে ভুয়া মন্তব্য প্রচার 

0

সম্প্রতি, “বিবেক কাজ করলে নিজেকে এত বড় পাপ কাজে জড়াতাম না” শীর্ষক শিরোনামে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভি’র আদলে তৈরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি যুক্ত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে। 

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা “বিবেক কাজ করলে নিজেকে এত বড় পাপ কাজে জড়াতাম না” শীর্ষক মন্তব্য করেননি এবং আরটিভিও প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য দাবিতে এমন কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রকাশ করেনি বরং আরটিভি’র ফেসবুক পেজে ভিন্ন ব্যক্তির একই মন্তব্য সম্বলিত একটি ফটোকার্ড ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর ছবি যুক্ত করে তার মন্তব্য দাবিতে প্রচার করা হয়েছে। 

গুজবের সূত্রপাত 

অনুসন্ধানের শুরুতে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে কাদের মিয়া নামক একটি ফেসবুক আইডি থেকে গত ১৮ মার্চ বিকেল ৫ টা ০১মিনিটে করা সম্ভাব্য প্রথম পোস্টটি (আর্কাইভ) খুঁজে পাওয়া যায়। এরপর থেকেই আলোচিত ফটোকার্ডটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। 

Screenshot : Fb Post 

আলোচিত ফটোকার্ড পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়,উক্ত ফটোকার্ডটিতে আরটিভির লোগোর পাশাপাশি ফটোকার্ডটি প্রকাশের তারিখ হিসেবে ০৩ অক্টোবর ২০২৩ উল্লেখ করা হয়েছে।

Screenshot : Fb post 

দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত ফটোকার্ডে থাকা গণমাধ্যমের লোগো এবং তারিখের সূত্র ধরে আরটিভি’র ফেসবুক পেজ (, )  এবং ওয়েবসাইটে ২০২৩ সালের ০৩ অক্টোবর প্রকাশিত এমন কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড পাওয়া যায়নি। 

তবে, ২০২৩ সালের ০৩ অক্টোবর আরটিভি’র ফেসবুক পেজে “বিবেক কাজ করলে নিজেকে এত বড় পাপে জড়াতাম না” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়। 

Screenshot : Rtv Facebook Page 

এই পোস্টে ব্যবহৃত ফটোকার্ডের সঙ্গে আলোচিত ফটোকার্ডটির শিরোনামের হুবহু মিল খুঁজে পাওয়া যায়। তবে আরটিভি’র ফটোকার্ডে যুক্ত ছবির সাথে আলোচিত ফটোকার্ডের ছবির অমিল পাওয়া যায়।

Photocard Comparison : Rumor Scanner 

এসব বিশ্লেষণ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, এই ফটোকার্ডটিতে যুক্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিটি ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনা করে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

পরবর্তীতে আলোচিত ফটোকার্ডে যুক্ত ছবিটির বিষয়ে অনুসন্ধানে রিভার্স ইমেজ সার্চের দ্য বিসনেস স্ট্যান্ডার্ডের ওয়েবসাইটে ২০২০ সালের ১৩ জুন “Bangladesh lost a patriot, PM says mourning Nasim’s death” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনে থাকা ছবির সাথে আলোচিত ফটোকার্ডে ব্যবহৃত ছবির মিল খুঁজে পাওয়া যায়। 

Screenshot : TBS Website 

উক্ত প্রতিবেদনে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বলে জানানো হয়। 

মূলত, ২০২৩ সালের ২১ সেপ্টেম্বর রাতে চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা থানাধীন ১২ নম্বর ঘাট এলাকায় লাগেজভর্তি মরদেহের আটটি খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করে পতেঙ্গা থানা পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের পুত্রবধূ আনার কলিকে আটক করে পুলিশ। পরবর্তীতে, উক্ত ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আনার কলির “বিবেক কাজ করলে নিজেকে এত বড় পাপ কাজে জড়াতাম না” শীর্ষক মন্তব্য সম্বলিত শিরোনামে একটি ফটোকার্ড ও সংবাদ প্রকাশ করে আরটিভি। উক্ত ফটোকার্ডটিকেই ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর ছবি যুক্ত করে “বিবেক কাজ করলে নিজেকে এত বড় পাপে জড়াতাম না” শীর্ষক মন্তব্যকে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

সুতরাং, আরটিভি’র নাম ব্যবহার করে “বিবেক কাজ করলে নিজেকে এত বড় পাপে জড়াতাম না” শীর্ষক শিরোনামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে প্রচারিত তথ্যটি মিথ্যা এবং উক্ত দাবিতে প্রচারিত ফটোকার্ডটি এডিটেড বা বিকৃত।

তথ্যসূত্র