Home Blog Page 532

ক্রিকেট ছেড়ে শাদাব খান পুলিশে যোগ দেননি

0

সম্প্রতি, ‘পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার শাদাব খান পাকিস্তান পুলিশের ডিএসপি পদে যোগ দিয়েছেন’ শীর্ষক দাবিতে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।

শাদাব খান পুলিশে যোগ

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন –এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

‘ক্রিকেট ছেড়ে পুলিশে যোগ দিলেন পাকিস্তানের শাদাব খান। পেলেন ডিএসপি পদ’ শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

তবে উক্ত ভিডিওটি’র বিস্তারিত অংশে সম্মানসূচক ডিএসপি পদের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।

কতিপয় গণমাধ্যমের ফেসবুক পেজেও উক্ত সংবাদটি ‘পাঞ্জাব পুলিশের ডিএসপি হলেন শাদাব খান’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশের পর পোস্টের কমেন্টে অনেক নেটিজেনকে শাদাব খান পুলিশে তার ক্যারিয়ার শুরু করেছেন ভেবে বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, শাদাব খান ক্রিকেট ছেড়ে পাকিস্তান পুলিশের ডিএসপি পদে যোগ দেননি বরং দেশটির পাঞ্জাব রাজ্য পুলিশ তাকে সম্মানসূচক ডিএসপি পদে নিয়োগ দিয়েছেন যার মাধ্যমে তিনি উক্ত রাজ্য পুলিশের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ করতে পারেন। 

বিষয়টি যাচাইয়ে ম্যানুয়ালি অনুসন্ধানের মাধ্যমে পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার শাদাব খানের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে গত ২০ নভেম্বর প্রকাশিত এ সম্পর্কিত একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Shadab Khan Facebook

উক্ত পোস্টে শাদাব খান বলেন, ‘পাঞ্জাব পুলিশের আইজি এবং ডিপার্টমেন্ট আমাকে সম্মানসূচক ডিএসপি করেছেন। ভিন্ন উপায়ে সেবা দেওয়ার সুযোগ পাওয়ায় আমি সম্মানিতবোধ করছি। আমরা পরিবর্তনের কথা বলেছি, চলুন আমরা যে পরিবর্তন চাই সেটি বাস্তবায়ন করি। পরবর্তী প্রজন্মকেও আহবান জানাই, সম্ভব হলে তারা যেন দেশের সেবা করার জন্য সরকারি সেক্টরগুলোতে যোগ দেয়।’

পরবর্তীতে পাকিস্তানের পাঞ্জাব রাজ্য পুলিশের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে একই তারিখে প্রকাশিত এক পোস্ট থেকেও শাদাব খানের পাঞ্জাব পুলিশের অনারারি ডিএসপি হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়।

Screenshot: Punjab Police Pakistan Facebook

মূলত, গত ২০ ডিসেম্বর পাকিস্তানের পাঞ্জাব রাজ্য পুলিশ পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার শাদাব খানকে শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজের জন্য অনারারি বা সম্মানসূচক ডিএসপি মনোনীত করে।  পরবর্তীতে ফেসবুকে উক্ত ছবি প্রচার করে ‘পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার শাদাব খান পাকিস্তান পুলিশের ডিএসপি পদে যোগ দিয়েছেন’ শীর্ষক দাবিটি ছড়িয়ে পড়ে এবং শাদাব ক্রিকেট খেলা ছেড়ে পুলিশে যোগ দিয়েছেন ভেবে নেটিজেনদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়; যা সঠিক নয়। 

উল্লেখ্য, পূর্বে পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার নাসিম শাহ ক্রিকেট ছেড়ে পুলিশে যোগদান করার তথ্য প্রচার করা হলে সেসময় বিষয়টি বিভ্রান্তিকর শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।

সুতরাং, পাকিস্তানের ক্রিকেটার শাদাব খানের পাঞ্জাব পুলিশের সম্মানসূচক ডিএসপি হওয়ার বিষয়টিকে ক্রিকেট ছেড়ে পুলিশে যোগদানের দাবিতে ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

  • Shadab Khan Facebook: Post
  • Punjab Police Pakistan Facebook: Post
  • Rumor Scanner’s Own Analysis

জামায়াতে ইসলামীর সাথে পুলিশের সংঘর্ষের এই ভিডিওটি পুরোনো

জামায়াতে ইসলামী ও পুলিশের সংঘর্ষ শীর্ষক শিরোনামে একটি ভিডিও গত ১৩ ডিসেম্বরের দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।

পুলিশের সংঘর্ষে

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও পুলিশের সংঘর্ষের ভিডিওটি গত ১৩ ডিসেম্বরের নয় বরং ২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গণমিছিলে পুলিশের সাথে জামায়াত নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ভিডিওকে সাম্প্রতিক দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

ভিডিওটির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য কিছু কি-ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চ করে Mahbub Parvez Shagir নামক ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বরে “জামায়াতে ইসলামী সাথে পুলিশের সংঘর্ষ চলছে” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত ভিডিওর সাথে উক্ত আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর দৃশ্যের মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

Video Comparison: Rumor Scanner

পরবর্তীতে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ইউটিউব চ্যানেলে ২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর “পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে রাজধানীতে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের বিশাল গনমিছিল |” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত ভিডিও পাওয়া যায়।

ভিডিও থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর জননেতা জনাব মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন এর নেতৃত্বে গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

এছাড়া, দেশিয় বেসরকারি টিভি চ্যানেল ২৪ এর ইউটিউব চ্যনেলে ২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর “মালিবাগে জামায়াত-পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবদন থেকে জানা যায়, বিএনপির গণমিছিল কর্মসূচিকে সংহতি প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীও গণমছিলের আয়োজন করে। অনুমতি ছাড়া গণমিছিল করায় পুলিশ বাধা দিলে জামায়াতের নেতাকর্মীদের সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।

১৩ ডিসেম্বরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে কিনা তার অনুসন্ধানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। উক্ত ওয়েবসাইটে দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি এটিএম মাছুম এর একটি বিবৃতি খুঁজে পাওয়া যায়।

বিবৃতি থেকে জানা যায়, গত ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মানববন্ধনের আয়োজন করলে পুলিশ সেই কর্মসূচীতে হামলা করে। হামলার পাশাপাশি অউলিশের বিরুদ্ধে জামায়াতের কয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করারও অভিযোগ করেন তিনি।

এছাড়া অনুসন্ধনে গত ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কর্তৃক আয়োজিত মানববন্ধনের পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ভিডিওর (,) সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর মিল পাওয়া যায়নি।

মূলত, ২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর বিএনপির গণমিছিল কর্মসূচির সাথে সংহতি প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গণমিছিলের আয়োজন করে। তবে অনুমতি ছাড়া গণমিছিল করা অভিযোগে পুলিশ জামায়াতে ইসলামীর গণমিছিলে বাধা দেয়। পরবর্তীতে তা পুলিশ ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় রূপ নেয়। যা সে সময় বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট এবং দেশিয় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেই ঘটনার একটি ভিডিওকে গত ১৩ ডিসেম্বরের পুলিশ-জামায়াত সংঘর্ষের ভিডিও দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

সুতরাং, জামায়াতে ইসলামী ও পুলিশের সংঘর্ষের সাম্প্রতিক ভিডিও দাবিতে গত বছরের জামায়াত-পুলিশ সংঘর্ষের একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

সেনাবাহিনীর সহায়তায় কারাগার থেকে মির্জা ফখরুলের মুক্তি পাওয়ার গুজব

গত ২১ ডিসেম্বর Sabai Sikhi নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে ‘কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েই সেনাবাহিনীর সহায়তা চাইলো মির্জা ফখরুল’ শীর্ষক শিরোনাম এবং ‘সেনাবাহিনীর সহায়তায় এইমাত্র কারাগার থেকে মুক্তি পেলো মির্জা ফখরুল’ শীর্ষক থাম্বনেইল ব্যবহার করে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে।

মির্জা ফখরুলের মুক্তি

ভিডিওটি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

এই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া অবধি ভিডিওটি প্রায় ১১ হাজার বার দেখা হয়েছে। এছাড়া ভিডিওটিতে প্রায় আড়াই শত পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে।

পরবর্তীতে একই ভিডিও আরেকটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে প্রচার করা হয়। ভিডিওটি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

উক্ত ভিডিওটি’র ইউটিউব লিংক শেয়ার করে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সেনাবাহিনীর সহায়তায় কারাগার থেকে মুক্তি পাননি বরং অধিক ভিউ পাবার আশায় চটকদার শিরোনাম ও থাম্বনেইল ব্যবহার করে নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এটি ভিন্ন ভিন্ন কয়েকটি পুরোনো ঘটনার ভিডিও ক্লিপ এবং ছবি নিয়ে তৈরি একটি ভিডিও প্রতিবেদন যেখানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং পুলিশ সদস্যদের পুরোনো কিছু কার্যক্রমের দৃশ্য দেখানো হয়।

ভিডিওটি’র সংবাদপাঠ অংশে বলা হয়, “অবশেষে হাইকোর্টের নির্দেশে মুক্তি পেলো মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ইতোমধ্যেই কারাগার থেকে বের হয়ে বিএনপির কার্যালয়ে অবস্থান করছেন। ইতোমধ্যেই বিএনপির আন্দোলনকে আরও চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নেতাকর্মীকে নির্দেশ প্রদান করেন।”

উক্ত বিষয়গুলো নিয়ে প্রাসঙ্গিক একাধিক কি ওয়ার্ড সার্চ করেও গণমাধ্যম কিংবা অন্যকোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে দাবিগুলোর সত্যতা পাওয়া যায়নি।

উক্ত ভিডিওটিতে দেখানো ভিন্ন দুইটি ভিডিও ক্লিপের বিষয়ে পৃথকভাবে অনুসন্ধান চালায় রিউমর স্ক্যানার টিম।

ভিডিও যাচাই-১

আলোচিত ভিডিওটিতে দেখানো প্রথম ভিডিও ক্লিপটি থেকে কিছু স্থিরচিত্র নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে গত ২৯ অক্টোবর ‘বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর’কে আদালতে আনা হয়েছে’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: BNP YouTube Channel

এই ভিডিওটি’র সাথে আলোচিত ভিডিওটিতে দেখানো প্রথম ভিডিও ক্লিপের হুবহু মিল পাওয়া যায়।

Video Comparison by Rumor Scanner

অর্থাৎ, এই ভিডিওটি গত ২৯ অক্টোবর মির্জা ফখরুলকে আদালতে নেওয়ার সময়ের।

ভিডিও যাচাই-২

আলোচিত ভিডিওটিতে দেখানো দ্বিতীয় ভিডিও ক্লিপটি থেকে কিছু স্থিরচিত্র নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল যমুনা টিভির ইউটিউব চ্যানেলে চলতি বছরের ০৯ জানুয়ারি ‘জেল থেকে বের হয়েই ফখরুলের হুঙ্কার, ‘পিছু হটবার কোনো পথ নেই’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Jamuna TV YouTube

এই ভিডিওটি’র সাথে আলোচিত ভিডিওটিতে দেখানো দ্বিতীয় ভিডিও ক্লিপের হুবহু মিল পাওয়া যায়।

Video Comparison by Rumor Scanner

অর্থাৎ, এই ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় বরং ভিডিওটি চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের সময়ের।

এছাড়াও, মূলধারার গণমাধ্যম ডেইলি স্টারের অনলাইন সংস্করণে গত ২১ ডিসেম্বর ‘মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদন গ্রহণের আদেশ চেম্বার আদালতে বহাল’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, নয়টি মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন আবেদন গ্রহণ এবং আবেদনের শুনানি ও নিষ্পত্তি করতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতকে দেওয়া  হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেননি চেম্বার আদালত।

তবে বিচারিক আদালত জামিন আবেদন গ্রহণ না করলে সেই আদেশের বিরুদ্ধে রিট আকারে আসতে পারে কি না, এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ১৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। ওইদিন আপিল বিভাগে এ বিষয়ে শুনানি হবে। গত ২১ ডিসেম্বর হাইকোর্টের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।

অর্থাৎ, উপরোক্ত বিষয়গুলো পর্যালোচনা করলে এটা স্পষ্ট যে, সেনাবাহিনীর সহায়তায় কারাগার থেকে সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মুক্তি পাওয়ার দাবিটি সঠিক নয়।

মূলত, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় রমনা থানায় দায়ের করা মামলায় গত ২৯ অক্টোবর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেদিনই আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। তবে সম্প্রতি Sabai Sikhi নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে সেনাবাহিনীর সহায়তায় মির্জা ফখরুল কারাগার থেকে মুক্তি পেলো শীর্ষক একটি ইন্টারনেটে প্রচার হয়েছে। তবে অনুসন্ধানে জানা যায়, উক্ত দাবিটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে, আদালতে বেশ কয়েকবার মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদন করা হলেও আদালত এখনও তাকে জামিন দেয়নি। 

উল্লেখ্য, পূর্বেও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন দাবিতে একই ইউটিউব চ্যানেল থেকে ভিন্ন একটি ভিডিও প্রচারের প্রেক্ষিতে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।

সুতরাং, সেনাবাহিনীর সহায়তায় কারাগার থেকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মুক্তি পেয়েছেন দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

স্বতন্ত্র ও নৌকা প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষে সারাদেশে ১০০ জন নিহতের গুজব

সম্প্রতি, “স্বতন্ত্র প্রার্থী ও নৌকা পার্থীর সংঘর্ষ সারাদেশে নিহত ১০০” শীর্ষক শিরোনাম ও থাম্বনেইলে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে। 

স্বতন্ত্র ও নৌকা প্রার্থী

ফেসবুকে প্রচারিত এমনকিছু ভিডিও দেখুন এখানে(আর্কাইভ), এখানে(আর্কাইভ)

ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিওটি দেখুন এখানে(আর্কাইভ)

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, স্বতন্ত্র ও নৌকা প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষে ১০০ জন নিহত হওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি বরং অধিক ভিউ পাবার আশায় চটকদার থাম্বনেইল ব্যবহার করে কোনোপ্রকার নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র ছাড়া আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। আলোচিত ভিডিওতে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের সংবাদ উপস্থাপনের ভিডিওর খণ্ডাংশ দেখানো হয়।

ভিডিও যাচাই-১

প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে, গত ১৭ ডিসেম্বর Jamuna TV এর ইউটিউব চ্যানেলে “রাজশাহীতে আ. লীগ প্রার্থীর কর্মীকে হাতুড়ি দিয়ে মারধর | Rajshahi Election Clash | Jamuna TV” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও প্রতিবেদন খুঁজে পায় রিউমর স্ক্যানার টিম।

উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত ভিডিওতে প্রচারিত ভিডিও ক্লিপের মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

Comparison Image By Rumor Scanner

উক্ত ভিডিও থেকে জানা যায়, রাজশাহীর বাগমারায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর এক কর্মীকে হাতুড়ি পেটার অভিযোগ উঠেছে স্বতন্ত্র প্রার্থীর অনুসারীদের বিরুদ্ধে। তবে, উক্ত ঘটনায় কোনো ব্যক্তি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

ভিডিও যাচাই-২

প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে, গত ১ ডিসেম্বর Jamuna TV এর ইউটিউব চ্যানেলে “নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ | Shariatpur | A. League Cla-sh” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত ভিডিও প্রতিবেদনটির সাথে আলোচিত ভিডিওতে প্রচারিত ভিডিও ক্লিপের মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

Comparison By Rumor Scanner

উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, শরীয়তপুরের নড়িয়ায় নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ৫ জন। তবে, উক্ত ঘটনায় কোনো ব্যক্তির নিহত হওয়ার তথ্য পাওয়া যায়নি। 

ভিডিও যাচাই-৩

প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে, গত ১৭ ডিসেম্বর ATN News এর ইউটিউব চ্যানেলে “নির্বাচনের আগে সহিংসতার শঙ্কা | BD Election | BNP vs Awamileague | BD Politics | ATN News” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পায় রিউমর স্ক্যানার টিম। 

উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত ভিডিওতে প্রচারিত ভিডিও ক্লিপের মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

Comparison Image By Rumor Scanner

ভিডিও প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বাংলাদেশে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সরকার এবং বিরোধীপক্ষের মধ্যে সৃষ্ট দূরত্বের ফলে নির্বাচনের পূর্বে সংঘাত বাড়তে পারে বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বৈশ্বিক ঝুঁকি পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা Crisis 24. ১৬ ডিসেম্বর প্রকাশিত সে প্রতিবেদনে Crisis 24 আরও জানায় সে আগামী সপ্তাহগুলোতে সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর বিক্ষোভ সমাবেশ বাড়তে পারে।

অর্থাৎ, উক্ত ভিডিও ক্লিপটি প্রাসঙ্গিকতা ছাড়াই আলোচিত ভিডিওতে ব্যবহার করা হয়েছে।

প্রাসঙ্গিক কী ওয়ার্ড সার্চের জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম কিংবা নির্ভরযোগ্য কোনো সূত্র থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং নৌকা প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে ১০০ জন নিহত হওয়ার দাবির কোনো সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি।

তবে, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণায় সারাদেশে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের মধ্যে সংঘাত ও হামলায় এখন অবধি পিরোজপুর, ময়মনসিংহ, মাদারীপুরে মোট তিনজন ব্যক্তির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

মূলত, আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সারাদেশে প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। বিএনপি নির্বাচন বয়কট করায় এবার নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীদের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবা হচ্ছে নৌকার মনোনয়ন বঞ্চিত আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের। এরই মাঝে দেশের বিভিন্ন স্থানে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমর্থক মধ্যে সংঘর্ষ ও হামলায় খবর পাওয়া গেছে। এসব ঘটনায় হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। এরই প্রেক্ষিতে 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্বতন্ত্র ও নৌকা প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে ১০০ জন নিহত হয়েছে শীর্ষক শিরোনাম ও থাম্বনেইলে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। তবে অনুসন্ধানে দেখা যায়, আলোচিত দাবিটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে দেশজুড়ে স্বতন্ত্র ও নৌকার প্রার্থীদের সংঘর্ষ ও হামলায় এখন অবধি ৩ জন ব্যক্তি মারা গেছেন। অধিক ভিউ পাবার আশায় ভিন্ন ভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদ প্রতিবেদনের ভিডিও যুক্ত করে করে তাতে চটকদার থাম্বনেইল ব্যবহার করে কোনোপ্রকার নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র ছাড়াই আলোচিত দাবির ভিডিওটি প্রচার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, পূর্বেও চটকদার শিরোনাম ও থাম্বনেইল ব্যবহার করে বিভিন্ন ভুয়া তথ্য প্রচারের প্রেক্ষিতে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার। এমন কয়েকটি প্রতিবেদন দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে

সুতরাং, সারাদেশে স্বতন্ত্র ও নৌকা প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষে ১০০ জন নিহত হয়েছে দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত বিষয়টি সম্পুর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

রাজনীতি না করার শর্তে তারেক রহমানের দেশে আসা এবং স্ত্রীকে তালাকের বিষয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার 

সম্প্রতি, “রাজনীতি না করার শর্তে দেশে আসছেন তারেক জিয়া হঠাৎ বউ তালাক দিয়ে একি সিদ্ধান্ত অবাক সবাই” শীর্ষক থাম্বনেইলে ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম ইউটিউবে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে। 

স্ত্রীকে তালাক

ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিওটি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রাজনীতি না করার শর্তে দেশে আসা কিংবা তার স্ত্রীকে তালাক দেওয়া সংক্রান্ত কোনো তথ্য তারেক রহমান কিংবা বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়নি বরং ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় ভিন্ন ভিন্ন ঘটনার একাধিক ভিডিও ক্লিপ যুক্ত করে কোনো প্রকার নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র ছাড়াই আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে। 

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এটি ভিন্ন ভিন্ন কয়েকটি ঘটনার ভিডিও ক্লিপ এবং ছবি নিয়ে তৈরি একটি ভিডিও প্রতিবেদন, যেখানে দাবিটি প্রসঙ্গে তারেক রহমান, ভয়েস বাংলার প্রতিষ্ঠাতা মোস্তফা ফিরোজ এবং একটি সংবাদ প্রতিবেদনের ভিডিও দেখানো হয়।  

ভিডিও যাচাই – ০১

আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটিতে থাকা প্রথম ভিডিওটির অনুসন্ধানে Voice Bangla নামক ইউটিউব চ্যানেলে গত ১৬ ডিসেম্বর “ভোটের বিপক্ষে কেন প্রচার করা যাবে না? সংবিধানে কোথায় লেখা আছে?।Mostofa Feroz। Voice Bangla” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। 

এই ভিডিওটির একটি অংশের সাথে আলোচিত ভিডিওটিতে যুক্ত প্রথম ভিডিওটির হুবহু মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

Video Comparison  : Rumor Scanner 

ভিডিওটিতে ভয়েজ বাংলার প্রতিষ্ঠাতা এবং সাংবাদিক মোস্তফা ফিরোজ আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ পাঠ করে নিজস্ব মতামত ব্যক্ত করেন। 

ভিডিও যাচাই – ০২ 

দ্বিতীয় ভিডিওটির অনুসন্ধানে কিওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে ‘Channel Europe’ নামক একটি ইউটিউব চ্যানেলে “মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে বউ তালাক দিলেন আ.লী নেতা” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি সংবাদ প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

উক্ত প্রতিবেদনের একটি অংশের সাথে আলোচিত ভিডিওতে থাকা দ্বিতীয় ভিডিওটির হুবহু মিল খুঁজে পাওয়া যায়। 

Video Comparison : Rumor Scanner 

উক্ত সংবাদ প্রতিবেদনে জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার চরবানি পাকুড়িয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনের মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে বলা হয়। 

অর্থাৎ এই ভিডিওটিকে অপ্রাসঙ্গিকভাবে আলোচিত দাবিতে যুক্ত করা হয়েছে।

ভিডিও যাচাই – ০৩

আলোচিত ভিডিওটিতে সবশেষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একটি ভিডিও বার্তা দেখানো হয়। 

উক্ত ভিডিওটির অনুসন্ধানে কিওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে তারেক রহমানের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে গত ১৭ ডিসেম্বর প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। 

এই ভিডিওটির একটি অংশের সাথে আলোচিত ভিডিওটিতে থাকা তারেক রহমানের ভিডিওটির হুবহু মিল খুঁজে পাওয়া যায়। 

Video Comparison : Rumor Scanner 

ভিডিওটির বিস্তারিত বর্ণনা থেকে জানা যায় গত ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ বিজয় দিবস উপলক্ষে দেশবাসী এবং নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য বক্তব্য দেন তারেক রহমান। 

উক্ত ভিডিওটিকে কোনো প্রকার প্রাসঙ্গিকতা ছাড়াই আলোচিত ভিডিওটিতে যুক্ত করা হয়েছে। 

অর্থাৎ প্রচারিত ভিডিওটিতে ভিন্ন ভিন্ন ঘটনার যে ভিডিও ক্লিপগুলো যুক্ত করা হয়েছে সেগুলোতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রাজনীতি না করার শর্তে দেশে ফেরা এবং স্ত্রীকে তালাক দেওয়া বিষয়ক কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

এছাড়া, বাংলাদেশের মূলধারার কোনো গণমাধ্যম কিংবা অন্যকোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে আলোচিত দাবিগুলো প্রসঙ্গে কোনো সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি।

মূলত, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বর্তমান সরকারের পদত্যাগ এবং সেনাবাহিনীর অধীনে নির্বাচন করার দাবিতে বিএনপি-জামায়াতসহ আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে আন্দোলন করে আসছে। এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ইন্টানেটে নানা ধরনের তথ্য প্রচার হয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ইন্টানেটে “রাজনীতি না করার শর্তে দেশে আসছেন তারেক জিয়া হঠাৎ বউ তালাক দিয়ে একি সিদ্ধান্ত অবাক সবাই” শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়। রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত দাবিগুলো সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে, অধিক ভিউ পাবার আশায় ভিন্ন ভিন্ন ঘটনার কয়েকটি ভিডিও ক্লিপ এবং ছবি যুক্ত করে তাতে চটকদার থাম্বনেইল ও শিরোনাম ব্যবহার করে কোনোপ্রকার নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র ছাড়াই আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে। এছাড়া, গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্যকোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে দাবিগুলোর সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২০০৮ সাল থেকে স্বপরিবারে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। সেনাসমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকারের সময় গ্রেফতার হবার পর জামিন পেয়ে তিনি চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্য যান। সেখানে তিনি এখন স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি পেয়েছেন বলে জানা যায়।

সুতরাং, রাজনীতি না করার শর্তে তারেক রহমানের দেশে আসা এবং স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত তথ্যগুলো মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র 

রাষ্ট্রপতির ছেলের বাসা থেকে অবৈধ টাকা উদ্ধারের গুজব

0

সম্প্রতি, রাষ্ট্রপতির ছেলের বাসায় অবৈধ টাকার পাহাড়, ফেসে গেলো রাষ্ট্রপতি ও তার ছেলে আরশাদ আদনান- শীর্ষক শিরোনামে এবং থাম্বনেইলে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। 

ভিডিওটিতে দাবি করা হচ্ছে, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিনের ছেলে আশরাফ আদনানের বাসায় অবৈধ টাকা পাওয়া গিয়েছে। 

রাষ্ট্রপতির

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত কিছু ভিডিও পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ইউটিউব প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিনের ছেলে আশরাফ আদনানের বাসা থেকে অবৈধ টাকা উদ্ধার করা হয়নি বরং অধিক ভিউ পাবার আশায় ভিন্ন ঘটনার একটি সংবাদ প্রতিবেদনের সাথে চটকদার শিরোনাম ও থাম্বনেইল ব্যবহার করে নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এটি ভিন্ন ভিন্ন ঘটনার পুরোনো কয়েকটি ভিডিও ক্লিপ এবং ছবি যুক্ত করে সম্পাদনার মাধ্যমে তৈরি একটি ভিডিও। এছাড়া, ভিন্ন ঘটনার একটি সংবাদ প্রতিবেদনও দেখা যায়। 

ভিডিও যাচাই 

আলোচিত ভিডিওটিতে থাকা সংবাদ প্রতিবেদনটিতে বাংলাদেশের বেসরকারি টেলিভিশন নিউজ২৪ এর লোগো সম্বলিত একটি সংবাদ প্রতিবেদন দেখা যায়।

লোগো’র সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে নিউজ২৪ এর ইউটিউব চ্যানেলে ২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি “আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে টাকার পাহাড়। ২০ কোটি নগদ টাকা উদ্ধার” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। (আর্কাইভ

উক্ত ভিডিও প্রতিবেদনটির সাথে আলোচিত ভিডিওতে থাকা প্রতিবেদনটির হুবহু মিল রয়েছে। 

Video Comparison: Rumor Scanner

উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, রাজধানীর পুরান ঢাকায় ওয়ারীর লালমোহন সাহা স্ট্রিট এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতা দুই ভাই এনামুল-রূপনের বাসায় অভিযান চালিয়ে নগদ ২০ কোটি টাকা, বৈদেশিক মুদ্রাসহ বিপুল পরিমাণে স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। পাশাপাশি ঐ বাসা থেকে তখন পাঁচ কোটি টাকার এফডিআরও উদ্ধার করা হয়েছিল। ২৪ ফেব্রুয়ারি দিনগত রাত থেকে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে সেসময় পুরান ঢাকার ওই বাসায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম।

অর্থাৎ, আলোচিত দাবির ভিডিওটিতে থাকা সংবাদ প্রতিবেদনটি রাষ্ট্রপতির ছেলের বাসায় টাকা উদ্ধার সম্পর্কিত কোনো ঘটনার নয় বরং ভিন্ন ঘটনার।

পরবর্তীতে, রাষ্ট্রপতির ছেলে আশরাফ আদনানের বাসা থেকে অবৈধ টাকা উদ্ধারের দাবির বিষয়টি অধিকতর যাচাইয়ের জন্য প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করলে গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমের বিশ্বস্ত কোনো সূত্রে এসংক্রান্ত সংবাদের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। 

মূলত, ২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পুরান ঢাকায় আওয়ামী লীগ নেতা দুই ভাই এনামুল-রূপনের বাসায় অভিযান চালিয়ে নগদ ২০ কোটি টাকা, বৈদেশিক মুদ্রাসহ বিপুল পরিমাণে স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। সেসময় উক্ত বিষয়ে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল নিউজ২৪ এর ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিওর সাথে সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিনের ছেলে আশরাফ আদনানের বাসা থেকে অবৈধ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে দাবি জুড়ে দিয়ে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।  

সুতরাং, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিনের ছেলে আশরাফ আদনানের বাসা থেকে অবৈধ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

মমতাজ কাউয়া কাদের শীর্ষক কোনো গান গাননি, ভাইরাল ভিডিওর অডিওটি সম্পাদিত

0

সম্প্রতি, “শোনো কাউয়া কাদের মিয়া” শীর্ষক শিরোনামে সংগীতশিল্পী মমতাজের গানের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত ফেসবুকের ভাইরাল একটি ভিডিও বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মমতাজের কণ্ঠে কাউয়া কাদের শীর্ষক গান দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি এখন অবধি প্রায় ৯ লাখ বার দেখা হয়েছে। ৫ হাজারের অধিক ফেসবুক ব্যবহারকারী ভিডিওটি শেয়ার করেছেন।

ভিডিওটি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

কাউয়া কাদের

একই ভিডিও নিয়ে ফেসবুকে আরও কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

একই দাবিতে টিকটকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সংগীতশিল্পী মমতাজ ‘কাউয়া কাদের’ শীর্ষক কোনো গান গাননি বরং মমতাজের পরিবেশিত গাউসুল আজম বাবা নূরে আলম গানের ভিডিওর সাথে কাউয়া কাদের শীর্ষক গানের অডিও জুড়ে দিয়ে আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।

ভিডিও যাচাই 

প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে, গত ০৮ ফেব্রুয়ারি Raj Bangla Media নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে “মমতাজ বেগম ভান্ডারী গানে নারায়ণগঞ্জে কোট কোট মানুষের ঢল| গাউসুল আজম বাবা নাচ R নাচ Momtaz 2023” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। 

উক্ত ভিডিওর ২ মিনিট সময় থেকে পরবর্তী ৩০ সেকেন্ড অংশে মমতাজের পোশাক পরিচ্ছদ এবং অঙ্গভঙ্গির সাথে আলোচিত ভিডিওর পোশাক পরিচ্ছদ এবং অঙ্গভঙ্গির হুবহু মিল খুঁজে পাওয়া যায়। সেসময় মমতাজ গাউসুল আজম বাবা নূরে আলম শীর্ষক একটি গানের পরিবেশনা করছিলেন।

ভিডিওর শিরোনাম এবং বিস্তারিত বিবরণী থেকে জানা যায়, উক্ত ভিডিওটি নারায়ণগঞ্জে একটি পালাগানের অনুষ্ঠানে ধারণকৃত।

Comparison Image By Rumor Scanner

পরবর্তীতে, একই ইউটিউব চ্যানেলে “ফুল পালা | বড় পীর-খাজা বাবা | ২০ বছর পর পালা গাইলেন মমতাজ বেগম ও কাজল দেওয়ান” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত সেদিনের অনুষ্ঠানের বিস্তৃত দৈর্ঘ্যের একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

তবে ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে মমতাজকে কাউয়া কাদের শীর্ষক কোনো গান পরিবেশনা করতে দেখা যায়নি। 

এ থেকে স্পষ্টতই প্রতীয়মান হয় যে, মমতাজের সেদিনের অনুষ্ঠানের ভিডিও ক্লিপের সাথে ভিন্ন অডিও ক্লিপ ডিজিটাল প্রযুক্তির সাহায্যে এডিট করে আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।

অডিও যাচাই

প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে Bangladesh Political News নামের ইউটিউব চ্যানেলে গত ২১ অক্টোবর “কাওয়া কাদের কে নিয়ে অস্থির বিনোদনের সম্পুর্ন নতুন গান” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। 

উক্ত ভিডিওর অডিও গানের সাথে আলোচিত ভিডিওর গানের অডিওর মিল খুঁজে পাওয়া যায়। 

মূলত, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সঙ্গীতশিল্পী ও রাজনীতিবিদ মমতাজ বেগম নারায়ণগঞ্জে একটি পালাগানের অনুষ্ঠানে গাউসুল আজম বাবা নূরে আলম শীর্ষক গান পরিবেশন করেন। তার সেই পরিবেশনার ভিডিওর সাথে ভিন্ন একটি গানের অডিও ডিজিটাল প্রযুক্তির সাহায্যে যুক্ত করে মমতাজ ‘কাউয়া কাদের’ শীর্ষক গান গেয়েছেন দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে, যা সঠিক নয়।

উল্লেখ্য, পূর্বে সংগীত শিল্পী ঐশী কাউয়া কাদের র্শীষক গান গেয়েছেন দাবিতে একটি তথ্য ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে সে বিষয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। 

সুতরাং, সংগীতশিল্পী মমতাজের গাওয়া কাউয়া কাদের শীর্ষক গানের ভিডিওটি এডিটেড বা বিকৃত।

তথ্যসূত্র

শামীম ওসমান তাহেরীকে ওয়াজে নৌকা নৌকা জিকির করতে বলেননি

গত ১৫ ডিসেম্বর বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল দেশটিভির টকশো ‘সপ্তাহের দেশ’ এ আলোচনার জন্য অতিথি হয়ে আসেন সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি।. অনুষ্ঠানের ৫ মিনিট ১১ সেকেন্ড সময়ে জনাব রনিকে বলতে শোনা যায়, “যারা তাহেরী (ইসলামি বক্তা মুফতি গিয়াস উদ্দীন আত্ব তাহেরী) সাহেবের জিকির নিয়ে গালাগালি করতেন, তারা, বড় বড় নেতারা তাহেরী সাহেবের কাছে গিয়ে রিকুয়েষ্ট করে হাতে পায়ে ধরে বলে, হুজুর একটু জিকির করেন, জিকিরের মধ্যে নৌকা নৌকা কইরেন আরকি, এই ঘটনা টেলিভিশনে ভাইরাল হইসে। শামীম ওসমানের (আওয়ামী লীগ নেতা) মতো মানুষ তাহেরী সাহেবের হাত ধরে একটু জিকির করতে বলছে।”  

দেশ টিভিতে প্রচারিত উক্ত টকশোটি দেখুন এখানে। ভিডিওর আলোচিত অংশটি দেখুন এখানে। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান মুফতি তাহেরীকে ওয়াজে নৌকা নৌকা জিকির করতে বলেছেন শীর্ষক সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনির দাবিটি সঠিক নয় বরং নারায়ণগঞ্জের একটি ওয়াজে শামীম ওসমান তাহেরীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি দুইটা জিকির করেন, আমরা শুনতে শুনতে যাই গা। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে ফেসবুকে মুফতি গিয়াস উদ্দীন আত্ব তাহেরীর অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে গত ২২ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের আলোচিত এই ওয়াজ মাহফিলের লাইভ ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

ভিডিওর ১১ মিনিট ২২ সেকেন্ড সময় থেকে শামীম ওসমান কর্তৃক জনাব তাহেরীকে উদ্দেশ্য করে বলতে শোনা যায়, আপনি দুইটা জিকির করেন, আমরা শুনতে শুনতে যাই গা। 

শামীম ওসমানের আলোচিত বক্তব্যটি আরো স্পষ্টভাবে শুনুন এই লিংকে।  

সম্প্রতি আরেক ওয়াজ মাহফিলে জনাব তাহেরী গোলাম মাওলা রনির আলোচিত বক্তব্যটির সমালোচনা করেন। তাহেরী তার বক্তব্যে স্পষ্ট করেন যে শামীম ওসমান তাকে নৌকা নৌকা উচ্চারণ করে জিকির করতে বলেননি। 

মূলত, গত ২২ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের এক ওয়াজ মাহফিলে অংশ নেন ইসলামি বক্তা মুফতি গিয়াস উদ্দীন আত্ব তাহেরী। সেই মাহফিলে উপস্থিত হন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। তিনি তাট বক্তব্যের শেষে তাহেরীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি দুইটা জিকির করেন, আমরা শুনতে শুনতে যাই গা। এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে পরবর্তীতে সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি একটি টেলিভিশনের টকশোতে দাবি করেন, শামীম ওসমানের মতো বড় বড় নেতারা তাহেরী সাহেবের কাছে গিয়ে রিকুয়েষ্ট করে হাতে পায়ে ধরে বলে, জিকিরের মধ্যে নৌকা নৌকা করেন। কিন্তু রিউমর স্ক্যানার সেদিনের লাইভ ভিডিও বিশ্লেষণ করে দেখেছে, জনাব শামীম ওসমান এমন কোনো মন্তব্য করেননি।

উল্লেখ্য, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য গত ২৬ নভেম্বর দলীয় প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করে আওয়ামী লীগ। এই তালিকায় দেখা যায়, নারায়নগঞ্জ-৪ থেকে আবারো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন শামীম ওসমান। অন্যদিকে গত ১৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে নির্বাচনী প্রচারণা। নিয়ম অনুযায়ী এর পূর্বে প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর এখতিয়ার নেই। 

সুতরাং, তাহেরীকে জিকিরে নৌকা নৌকা করতে বলেছেন শামীম ওসমান শীর্ষক গোলাম মাওলা রনির দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

রাগ করে তারেক রহমানের দল ছেড়ে দেওয়ার গুজব

সম্প্রতি, ‘রাগ করে দল ছেড়ে দিলেন তারেক জিয়া খুশি হয়ে প্রধানমন্ত্রীর একি সিদ্ধান্ত’ শীর্ষক থাম্বনেইল সম্বলিত একটি ভিডিও ইউটিউবে প্রচার করা হয়েছে। 

তারেক রহমানের দল ছেড়ে

ইউটিউবে প্রচারিত এমন ভিডিও ‍দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, রাগ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দল ছেড়ে দেওয়ার মত কোনো ঘটনা ঘটেনি। বরং, অধিক ভিউ পাবার আশায় চটকদার থাম্বনেইল ব্যবহার করে ভিন্ন ভিন্ন ঘটনার ভিডিওকে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সমন্বয়ের মাধ্যমে ভিত্তিহীনভাবে উক্ত দাবিটি প্রচার করা হচ্ছে। 

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। এতে দেখা যায়, ভিডিওটির ইন্ট্রোর পর উপস্থাপক বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে নিয়ে গোপন তথ্য ফাস করলেন সাংবাদিক সাহেদ আলম ভাই। এদিকে, গ্রেফতার আদম তমিজি হককে নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিলেন জ্যাকব মিল্টন। অন্যদিকে, সরকারের নতুন কারিকুলাম নিয়ে একি তথ্য দিলেন জাহেদুর রহমান।’ এরপর তিনি না টেনে দর্শকদের পুরো ভিডিওটি দেখার আহ্বান জানান। দর্শকদের উদ্দেশ্যে দেখানো তিনটি ভিডিও পর্যালোচনা করে দেখা যায়, উপস্থাপকের বিবৃতির মতই ভিডিও তিনটিতেও তারেক রহমানের রাগ করে দল ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে কোনো তথ্য নেই। 

ভিডিও যাচাই ১

আলোচিত ভিডিওটিতে দর্শকদের উদ্দেশ্যে উপস্থাপকের দেখানো প্রথম ভিডিওটির সূত্র অনুসন্ধানে ভিডিওতে থাকা ‘SHAHED ALAM SHOW’ এবং ‘এখন পাত্তা পাচ্ছে না কথিত কিংস পার্ট’র নেতারা’ তথ্য দুটির সূত্র ধরে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে Bangla InfoTube নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে গত ১৪ ডিসেম্বর সেই কিংস পার্টি ‘র কারো হিসাব মিলছে না ! শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Youtube

ভিডিওটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আলোচিত ভিডিওটির প্রথম অংশের সাথে উক্ত ভিডিওর হুবহু মিল রয়েছে। 

Video Comparison by Rumor Scanner

তবে উক্ত ভিডিওর কোথাও তারেক রহমানের রাগ করে দল ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ভিডিওটিতে মূলত সাহেদ আলম নামের একজন ব্যক্তি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনা করেন। 

ভিডিও যাচাই ২

পরবর্তীতে আদম তমিজি হককে নিয়ে দেখানো ভিডিওটির সূত্র অনুসন্ধানে ভিডিওটির ডান পাশের উপরে থাকা NAGORIK TV লেখা সম্বলিত লোগোটির সূত্র ধরে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে Nagorik TV এর ইউটিউব চ্যানেলে গত ১৪ ডিসেম্বর হাসিনার দুঃশাসন নিয়ে কথা বলায় আদম তমিজিকে গ্রেপ্তার! @NagorikTV শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Youtube

উক্ত ভিডিওটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আলোচিত ভিডিওটির সাথে উক্ত ভিডিওর হুবহু মিল রয়েছে। 

Video Comparison by Rumor Scanner

তবে ভিডিওটির সাথে আলোচিত ভিডিওর দাবির কোনো সম্পর্ক নেই। ভিডিওটি মূলত Nagorik TV এর অনলাইন একটি টকশোর ভিডিও। যেখানে Nagorik TV এর উপস্থাপক জ্যাকব মিলন নামের একজন ব্যক্তির সাথে আদম তমিজি হককে নিয়ে নানা বিষয়ে আলোচনা করেন।

ভিডিও যাচাই ৩

আলোচিত ভিডিওটির সর্বশেষ ভিডিও অনুসন্ধানে ভিডিওটির ডান পাশের উপরে থাকা ZAHED’S TAKE লেখাটির সূত্র ধরে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে Zahed’s Take নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে গত ১৫ ডিসেম্বর নতুন কারিকুলাম নিয়ে সরকার উন্মাদ হয়ে গেছে কেন? Zahed’s Take । জাহেদ উর রহমান । Zahed Ur Rahman শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। 

Screenshot: Youtube

ভিডিওটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আলোচিত ভিডিওর সর্বশেষ অংশের সাথে উক্ত ভিডিওর হুবহু মিল রয়েছে।

Video Comparison by Rumor Scanner

ভিডিওটিতে মূলত লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক Zahed Ur Rahman নতুন শিক্ষা কারিকুলাম নিয়ে সরকারকে সমালোচনা করে বিভিন্ন মন্তব্য করেন। যার সাথে আলোচিত ভিডিওর থাম্বনেইলের দাবিগুলোর সাথে কোনো সম্পর্ক নেই। 

 বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তার কর্মকাণ্ডের তথ্য তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে নিয়মিত প্রচার করা হয়। তাই আলোচিত দাবির বিষয়ে জানতে তার ফেসবুক পেজটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। অনুসন্ধানে তার ফেসবুক পেজে এ সম্পর্কিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বরং সরকার পতনের আন্দোলনের কর্মসূচির বিষয়ে ফেসবুকে তার সরব উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়েছে।

এছাড়া, প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে মূলধারার কোনো গণমাধ্যম অথবা অন্যকোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে আলোচিত দাবিগুলোর প্রসঙ্গে কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

অর্থাৎ, কয়েকটি অপ্রাসঙ্গিক ভিডিওকে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় যুক্ত করে আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে। 

মূলত, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান রাজনৈতিক আশ্রয়ের অংশ হিসেবে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। এর মাঝে বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতাকে কেন্দ্র করে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পেয়েছেন তিনি। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই বিদেশ থেকে অনলাইনে দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে দিকনির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন বিএনপির এই নেতা। সর্বশেষ গত ২০ ডিসেম্বর এক ভিডিও বার্তায় সরকার পতনের দাবিতে অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা দেন তিনি। তবে এরই মাঝে  সম্প্রতি, ‘রাগ করে দল ছেড়ে দিলেন তারেক জিয়া খুশি হয়ে প্রধানমন্ত্রীর একি সিদ্ধান্ত’ শীর্ষক থাম্বনেইল সম্বলিত একটি ভিডিও ইউটিউবে প্রচার করা হয়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আলোচিত দাবিটির কোনো সত্যতা নেই। তারেক রহমান কিংবা বিএনপির পক্ষ থেকে এমন কোনো তথ্য জানানো হয়নি। প্রকৃতপক্ষে, অধিক ভিউ পাবার আশায় সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক কয়েকটি ভিডিও ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সমন্বয়ের মাধ্যমে তাতে চটকদার থাম্বনেইল ব্যবহার করে কোনোপ্রকার নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র ছাড়াই আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে।

সুতরাং, রাগ করে তারেক রহমানের দল ছেড়ে দেওয়া এবং তাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খুশি হয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

মুস্তাফিজকে পেলে চেন্নাইকে ট্রফি এনে দেবেন শীর্ষক কোনো মন্তব্য করেননি ধোনি

0

সম্প্রতি, ভারতের সাবেক ক্রিকেটার এবং আইপিএলের দল চেন্নাই সুপার কিংসের খেলোয়াড় মাহেন্দ্র সিং ধোনি আইপিএল ২০২৪ এর নিলামের পূর্বে “আপনি আমাকে চারজন স্টার্ক এনে দেন, আমি আপনাকে ফাইনালে নিয়ে যাব কিন্তু আপনি আমাকে একজন মুস্তাফিজ এনে দেন, আমি আপনাকে ট্রফি এনে দিব” শীর্ষক একটি মন্তব্য করেছেন দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।

ট্রফি

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, মাহেন্দ্র সিং ধোনি আইপিএল ২০২৪ এর নিলামের পূর্বে মুস্তাফিজকে নিয়ে মিচেল স্টার্কের সাথে তুলনা করে এমন কোনো মন্তব্য করেননি বরং কোনো তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই ভিত্তিহীনভাবে উক্ত মন্তব্যটি মাহেন্দ্র সিং ধোনির নামে প্রচার করা হয়েছে। 

গুজবের সূত্রপাত

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে ‘Deuliya Rashtro – দেউলিয়া রাষ্ট্র’ নামের একটি ফেসবুক পেজে গত ১৯ ডিসেম্বর “আপনি আমাকে চারজন স্টার্ক এনে দেন, আমি আপনাকে ফাইনালে নিয়ে যাব কিন্তু আপনি আমাকে একজন মুস্তাফিজ এনে দেন, আমি আপনাকে ট্রফি এনে দিব” শীর্ষক তথ্যে ফটোকার্ড (আর্কাইভ) সম্বলিত সম্ভাব্য প্রথম ফেসবুক পোস্টটি খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Facebook

এই পেজের বিস্তারিত বিবরণী থেকে জানা যায়, পেজটি একটি রসাত্মক বা ব্যঙ্গধর্মী ফেসবুক পেজ।

Screenshot: Facebook

পরবর্তীতে মুস্তাফিজ নিয়ে মাহেন্দ্র সিং ধোনির মন্তব্য দাবিতে প্রচারিত ফটোকার্ডটি ফেসবুকে বাস্তব দাবিতে ছড়িয়ে পড়ে।

Screenshot: Facebook

অনুসন্ধানে কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে মুস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে মাহেন্দ্র সিং ধোনির এমন কোনো মন্তব্যের সত্যতা পাওয়া যায়নি।

মূলত, মাহেন্দ্র সিং ধোনি আইপিএল ২০২৪ এর নিলামের পূর্বে মুস্তাফিজকে নিয়ে মিচেল স্টার্কের সাথে তুলনা করে “আপনি আমাকে চারজন স্টার্ক এনে দেন, আমি আপনাকে ফাইনালে নিয়ে যাব কিন্তু আপনি আমাকে একজন মুস্তাফিজ এনে দেন, আমি আপনাকে ট্রফি এনে দিব” শীর্ষক মন্তব্য করেছেন দাবিতে একটি তথ্য ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে। তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, ধোনি মুস্তাফিজকে নিয়ে এমন কোনো মন্তব্য করেননি। প্রকৃতপক্ষে একটি রসাত্মক বা ব্যঙ্গধর্মী ফেসবুক পেজ থেকে প্রকাশিত একটি পোস্ট পরবর্তীতে সত্য দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত হয়।

উল্লেখ্য, গত ১৯ ডিসেম্বর চেন্নাই সুপার কিংস বাংলাদেশি ক্রিকেটার মুস্তাফিজুর রহমানকে ২ কোটি ভারতীয় রূপি দিয়ে কিনে নেয়। মুস্তাফিজকে কেনার পরপরই চেন্নাই সুপার কিংস তাদের ফেসবুক পেজে একাধিক পোস্ট (, , ) দিয়ে নিশ্চিত করে। 

সুতরাং, “আপনি আমাকে চারজন স্টার্ক এনে দেন, আমি আপনাকে ফাইনালে নিয়ে যাব কিন্তু আপনি আমাকে একজন মুস্তাফিজ এনে দেন, আমি আপনাকে ট্রফি এনে দিব” শীর্ষক একটি মন্তব্যকে মাহেন্দ্র সিং ধোনির মন্তব্য দাবিতে ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

  • Deuliya Rashtro – দেউলিয়া রাষ্ট্র – Facebook Post
  • Rumor Scanner’s own analysis