Home Blog Page 516

নির্বাচনী সহিংসতায় মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে ভুল তথ্য ফেসবুকে

গত ০৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের আগের রাত অর্থাৎ ০৬ জানুয়ারি রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভোটকেন্দ্র দখল নিয়ে সংঘর্ষে মৃত্যুর ভিন্ন ভিন্ন সংখ্যা প্রচার হতে দেখেছে রিউমর স্ক্যানার টিম। 

০৭ জানুয়ারি মধ্যরাত থেকে শুরু করে দিনভর একাধিক পোস্টে দাবি করা হচ্ছিল, সে সময় পর্যন্ত ভোটকেন্দ্র দখল নিয়ে সারাদেশে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের সমর্থকদের সাথে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমর্থকদের সংঘর্ষে ২৫ জন নিহত হয়েছে। 

অনলাইন এক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য ফেসবুকে লাইভ ভিডিওর মাধ্যমে এ সংক্রান্ত দাবি করলেও পরে ভিডিওটি সরিয়ে নেন (গুগল ড্রাইভে ভিডিওটি দেখুন এখানে)। লাইভ ভিডিও প্রকাশের কিছুক্ষণ পরেই তিনি তার ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দেন যাতে ২৫ জন নিহত হওয়ার কথা সরাসরি উল্লেখ না করে দাবি করেন, ২৫ উইকেটের পতন হয়েছে। 

মৃত্যুর সংখ্যা

২৫ জন নিহত হওয়া সংক্রান্ত দাবিতে কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)। 

কিছু পোস্টে মৃতের সংখ্যা ২৮ জন বলেও দাবি করা হয়েছে। দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)। 

আমাদের নজরে এমন পোস্টও এসেছে যেখানে মৃতের সংখ্যাটা ৪৫ জন বলে দাবি করা হয়েছে। দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

পরদিন (০৮ জানুয়ারি) ফেসবুকের কিছু পোস্টে এই সংখ্যার দাবিটি ৭০ এ গিয়ে দাঁড়িয়েছে। 

এ সংক্রান্ত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)। 

অর্থাৎ, ভোটকেন্দ্র দখলসহ নির্বাচন কেন্দ্রিক সহিংসতায় সর্বনিম্ন ২৫ জন থেকে সর্বোচ্চ ৭০ জন পর্যন্ত মৃত্যুর দাবি ছড়িয়েছে ফেসবুকে। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ভোটকেন্দ্র দখলসহ নির্বাচন কেন্দ্রিক সহিংসতায় ২৫, ২৮, ৪৫ বা ৭০ জন নিহতের দাবিটি সঠিক নয় বরং গত ১৮ ডিসেম্বর নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর পর ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত নয় জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে নির্বাচনের দিন (০৭ জানুয়ারি) নিহত হয়েছে দুইজন। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে গত ০৬ জানুয়ারি ‘বিবিসি নিউজ বাংলা’র ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে জানানো হয়, ১৮ ডিসেম্বর নির্বাচনি প্রচার শুরুর পর থেকে ০৫ জানুয়ারি পর্যন্ত (সেদিন সকালেই প্রচারণা শেষ হয়) ১৮ দিনে ১৫৬টি জায়গায় নির্বাচনি সংঘাত ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। আর এতে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। 

মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামালের সংগঠন মানবাধিকার সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশনের বার্ষিক রিপোর্টের বরাত দিয়ে একই তথ্য দিয়েছে ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা। 

জাতীয় গণমাধ্যম প্রথম আলো একই তথ্য উল্লেখ করে জানিয়েছে, নির্বাচনী প্রচারে প্রাণহানির প্রথম ঘটনা ঘটে গত ২৩ ডিসেম্বর, মাদারীপুরের কালকিনিতে। সেদিন স্বতন্ত্র প্রার্থীর এক সমর্থককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এছাড়া, মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় গত ০৩ জানুয়ারি (বুধবার) দিবাগত রাতে নৌকার প্রার্থীর এক সমর্থককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। অন্যদিকে, একইদিন দুপুরে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার বাদুরা গ্রামে নির্বাচনী সহিংসতায় আহত স্বতন্ত্র প্রার্থীর এক কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। তবে পুলিশ বলছে ভিন্ন কথা। পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি পূর্বশত্রুতার জের ধরে ঘটেছে। 

নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালীন মৃত্যুর একই সংখ্যা নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত আরো কিছু প্রতিবেদন দেখুন চ্যানেল২৪, সময়ের আলো, সংবাদ। 

পরবর্তীতে নির্বাচনের আগেরদিন (০৬ জানুয়ারি) ভোটকেন্দ্র দখল বা সংশ্লিষ্ট কারণগুলোয় কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে কিনা এমন তথ্যের অনুসন্ধানে দেখা যায়, সেদিন সকালে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে ভোট কেন্দ্র পাহারায় থাকা এক গ্রাম পুলিশের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্মা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, ‘তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে।’

এর বাইরে সেদিন একাধিক স্থানে ভোটকেন্দ্রে আগুন দেওয়াসহ সহিংসতার বিভিন্ন ঘটনা ঘটলেও এসব ঘটনায় কেউ নিহত হয়নি।  

অন্যদিকে, নির্বাচনের দিন (০৭ জানুয়ারি) সহিংসতায় দুইজন মৃত্যুর খবর দিয়েছে গণমাধ্যমগুলো (, , )। মুন্সিগঞ্জে নৌকা প্রার্থীর এক সমর্থককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আর কুমিল্লায় তর্কাতর্কির একপর্যায়ে ঈগল প্রতীকের কিছু সমর্থকের ধাক্কায় মাটিতে পড়ে গিয়ে মারা গেছেন এক ব্যক্তি। 

এছাড়া, মাদারীপুরনেত্রকোনায় নির্বাচন পরবর্তী বিজয় মিছিলে হামলার ঘটনায় দুইজন মারা যাওয়ার খবর এসেছে গণমাধ্যমে। এর বাইরে ঝালকাঠিতে একজন নিহত হয়েছে।

মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রকাশিত তাদের এক বার্ষিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, সে বছর (৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত) নির্বাচনী সহিংসতায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১০। 

Screenshot: MSF

মূলত, গত ০৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গেল ডিসেম্বরে নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর পর থেকে নির্বাচন পরবর্তী সময়েও বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচনের আগের রাত অর্থাৎ ০৬ জানুয়ারি রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নির্বাচনী সহিংসতা ও সংঘর্ষে মৃত্যুর ভিন্ন ভিন্ন সংখ্যা (২৫, ২৮, ৪৫, ৭০) প্রচার হতে দেখেছে রিউমর স্ক্যানার টিম। কিন্তু রিউমর স্ক্যানার টিম অনুসন্ধানে দেখেছে, নিহতের যে সংখ্যাগুলো প্রচার করা হয়েছে তার কোনোটিই সঠিক নয়। নির্বাচনের প্রচারণা শুরুর পর থেকে প্রচারণার শেষ দিন পর্যন্ত সহিংসতায় মারা গেছে তিনজন। এছাড়া, নির্বাচনের আগের দিন একজন, নির্বাচনের দিন দুইজন এবং নির্বাচনের পরের দিন থেকে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত সহিংসতায় মারা গেছে তিনজন। এ হিসেবে এখন অবধি মোট নিহতের সংখ্যা নয় জন। এছাড়া, মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, ২০২৩ সালে (৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত) নির্বাচনী সহিংসতায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১০। অর্থাৎ, নির্বাচনী সহিংসতায় মৃত্যুর সংখ্যা কোনোভাবেই ২৫ বা তার উপরের সংখ্যাগুলোয় পৌঁছায়নি। 

উল্লেখ্য,  ২০১৮ সালে একাদশ জাতী‌‌য় সংসদ নির্বাচনে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরুর দিন থেকে নির্বাচন শেষ হওয়া পর্যন্ত ২১ দিনে সারা দেশে ২২ জন নিহত হয়। এর মধ্যে ভোটের দিনের সহিংসতাতেই ১৭ জন নিহত হয়।

সুতরাং, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সহিংসতায় নয়জন মারা গেলেও মৃত্যুর ভিন্ন ভিন্ন সংখ্যা ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর। 

তথ্যসূত্র

ফেসবুকে বিরোধিতাকারীদের নিয়ে সময় টিভির নকল ফটোকার্ডে প্রধানমন্ত্রীর নামে ভুয়া মন্তব্য প্রচার

0

সম্প্রতি, “যারা ফেইসবুকে আমার বিরোধিতা করে, তারা স্বাধীনতা বিরোধী, তাদেরকে রিমান্ডে নিয়ে হাড়গুঁড় ভাঙা হবে” শীর্ষক একটি মন্তব্যকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্য দাবিতে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ‘সময় টিভি’র ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটোকার্ড ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।

ফেসবুকে বিরোধিতাকারীদের

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা “যারা ফেইসবুকে আমার বিরোধিতা করে, তারা স্বাধীনতা বিরোধী, তাদেরকে রিমান্ডে নিয়ে হাড়গুঁড় ভাঙা হবে” শীর্ষক কোনো মন্তব্য করেননি এবং সময় টিভিও উক্ত তথ্য সম্বলিত কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রকাশ করেনি বরং আলোচিত এই ফটোকার্ডটি ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। সেখানে উক্ত ফটোকার্ডটি প্রচারের কোনো তারিখ উল্লেখ করা হয়নি।

Screenshot: Facebook Claim Post

দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে ফটোকার্ডটিতে থাকা লোগোর সূত্র ধরে সময় টিভি’র ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে সাম্প্রতিক সময়ে উক্ত শিরোনাম বা তথ্য সম্বলিত কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাছাড়া, সময় টিভি’র ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল বা অন্যকোনো গণমাধ্যমেও উক্ত দাবির বিষয়ে কোনো তথ্য বা সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি।

Photocard Comparison by Rumor Scanner

অর্থাৎ, “যারা ফেইসবুকে আমার বিরোধিতা করে, তারা স্বাধীনতা বিরোধী, তাদেরকে রিমান্ডে নিয়ে হাড়গুঁড় ভাঙা হবেঃ প্রধানমন্ত্রী” শীর্ষক শিরোনামে সময় টিভি কোনো ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি।

পাশাপাশি, গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্য দাবিতে প্রচারিত উক্ত মন্তব্যের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।

আলোচিত ফটোকার্ডটিতে থাকা ছবি যাচাই

উক্ত দাবিতে প্রচারিত ফটোকার্ডটিতে প্রদর্শিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিটির বিষয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে গত ১০ জানুয়ারি প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Bangladesh Awami League Facebook

এই ভিডিওটিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পোশাক এবং অঙ্গভঙ্গির সাথে আলোচিত ফটোকার্ডের ছবির মিল পাওয়া যায়।

Comparison by Rumor Scanner

জানা যায়, গত ১০ জানুয়ারি রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ও আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় উপলক্ষ্যে আয়োজিত জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রদানের সময়ের ভিডিও এটি। তবে উক্ত ভিডিওতে কোথাও আলোচিত ফটোকার্ডে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য দাবিতে প্রচারিত বাক্যের উল্লেখ পাওয়া যায়নি। 

অর্থাৎ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উক্ত মন্তব্যটি করেননি।

মূলত, “যারা ফেইসবুকে আমার বিরোধিতা করে, তারা স্বাধীনতা বিরোধী, তাদেরকে রিমান্ডে নিয়ে হাড়গুঁড় ভাঙা হবে” শীর্ষক একটি মন্তব্যকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্য দাবিতে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সময় টিভি’র ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সাম্প্রতিক সময়ে ফেসবুকে প্রচার করা হয়। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমন কোনো মন্তব্য করেননি এবং সময় টিভিও উক্ত তথ্য সম্বলিত কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রকাশ করেনি বরং আলোচিত এই ফটোকার্ডটি ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, পূর্বেও সময় টিভি’র নকল ফটোকার্ড প্রচার করা হলে তা শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার। এমন কয়েকটি প্রতিবেদন দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে

সুতরাং, “যারা ফেইসবুকে আমার বিরোধিতা করে, তারা স্বাধীনতা বিরোধী, তাদেরকে রিমান্ডে নিয়ে হাড়গুঁড় ভাঙা হবেঃ প্রধানমন্ত্রী” শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত সময় টিভি’র লোগো সম্বলিত ফটোকার্ডটি ভুয়া ও বানোয়াট।

তথ্যসূত্র

মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক বাংলাদেশের নির্বাচনের ফলাফল বাতিল এবং যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ কর্তৃক পুনরায় নির্বাচন ঘোষণার ভুয়া দাবি

গত ০৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত নির্বাচনকে ঘিরে আজ ১১ জানুয়ারি Sabai Sikhi নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে ‘নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করলো স্টেট ডিপার্টমেন্ট, পুনরায় নির্বাচনের ঘোষণা দিলো জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র’ শীর্ষক দাবি সম্বলিত শিরোনাম ও থাম্বনেইল ব্যবহার করে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে।

নির্বাচনের ফলাফল বাতিল

ভিডিওটি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

এই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া অবধি ভিডিওটি প্রায় ১০ হাজার বার দেখা হয়েছে। ভিডিওটিতে প্রায় ৪ শত পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে।

পরবর্তীতে এই ভিডিওটি আরও একটি ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার করা হয়েছে। সেটি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

Sabai Sikhi চ্যানেল থেকে প্রচারিত উক্ত ভিডিওটি’র লিংক শেয়ার করে ফেসবুকে প্রচারিত একটি পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল বাতিলের দাবিটি সঠিক নয় এবং যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘে কর্তৃক পুনরায় নির্বাচনের ঘোষণাও দেওয়া হয়নি বরং অধিক ভিউ পাওয়ার আশায় চটকদার শিরোনাম ও থাম্বনেইল ব্যবহার করে ভিন্ন ভিন্ন ঘটনার পুরোনো দুটি ভিডিও ক্লিপ যুক্ত করে আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। উক্ত ভিডিওটিতে কোথাও উক্ত দাবি সম্পর্কিত কোনো তথ্যের উল্লেখ পাওয়া যায়নি।

ভিডিওটিতে প্রচারিত ভিডিও ক্লিপগুলো পৃথকভাবে যাচাই করেছে রিউমর স্ক্যানার টিম।

ভিডিও যাচাই ০১

আলোচিত ভিডিওটিতে প্রচারিত ১ম ভিডিও ক্লিপটি থেকে কিছু স্থিরচিত্র নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ‘এনটিভি’র ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৩ সালের ০৬ জানুয়ারি ‘বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

এই ভিডিওটি’র সাথে আলোচিত ভিডিওটি’র মিল পাওয়া যায়।

Video Comparison by Rumor Scanner 

সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তার লক্ষ্যে আমরা অনড় অবস্থানেই আছি। এই দায়বদ্ধতা থেকেই সম্প্রতি পররাষ্ট্র দপ্তর ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে, যার মাধ্যমে বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে বাধাদানকারীদের ভিসা দেয়ার ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা হবে।’

অর্থাৎ, এই ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় এবং এর সাথে আলোচিত দাবির কোনো সম্পর্ক নেই।

ভিডিও যাচাই ০২

আলোচিত ভিডিওটিতে প্রচারিত ২য় ভিডিও ক্লিপটি থেকে কিছু স্থিরচিত্র নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ‘সময় টিভি’র ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৩ সালের ০৮ নভেম্বর ‘বাংলাদেশে সহিংসতামুক্ত নির্বাচন দেখতে চায় জাতিসংঘ’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

এই ভিডিওটি’র সাথে আলোচিত ভিডিওটি’র একটি অংশের মিল পাওয়া যায়।

Video Comparison by Rumor Scanner

সেখানে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র ডুজারিক বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি, দেশটিতে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সংস্থার অবস্থান খুব স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছি আমরা। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে নির্বাচনের আগে কোনও হয়রানি, নির্বিচার গ্রেপ্তার বা সহিংসতা দেখতে চাই না। এসবের বিরুদ্ধে কথা বলেছি আমরা।

অর্থাৎ, এই ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় এবং এর সাথে আলোচিত দাবির কোনো সম্পর্ক নেই।

পাশাপাশি, গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্যকোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল বাতিল কিংবা যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ কর্তৃক পুনরায় নির্বাচন ঘোষণার দাবির সত্যতা পাওয়া যায়নি।

তবে, বাংলাদেশে ০৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মানদণ্ড’ মেনে অনুষ্ঠিত হয়নি বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য। বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার প্রায় দুইদিন পর দেশ দু’টি এ নিয়ে পৃথক বিবৃতি দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানায়।

তাছাড়া, গত ০৯ জানুয়ারি জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্রের কার্যালয়ের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে সংস্থাপ্রধানের সহযোগী মুখপাত্র ফ্লোরেন্সিয়া সোতো নিনো জানান, বাংলাদেশের পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে জাতিসংঘ। বাংলাদেশে যা ঘটছে, তার প্রতি নজর রাখছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

এছাড়াও, টানা চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। আজ ১১ জানুয়ারি বঙ্গভবনে মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে এই শুভেচ্ছা জানান তিনি।

মূলত, গত ০৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন সময়ে যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ সহ অন্যান্য প্রভাবশালী দেশ ও সংস্থার তৎপরতা দেখা গেছে। এরই প্রেক্ষিতে আজ ১১ জানুয়ারি Sabai Sikhi নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে ‘নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করলো স্টেট ডিপার্টমেন্ট, পুনরায় নির্বাচনের ঘোষণা দিলো জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র’ শীর্ষক দাবি সম্বলিত শিরোনাম ও থাম্বনেইল ব্যবহার করে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে। তবে অনুসন্ধানে জানা যায়, উক্ত দাবিগুলো সঠিক নয় বরং অধিক ভিউ পাওয়ার আশায় চটকদার শিরোনাম ও থাম্বনেইল ব্যবহার করে ভিন্ন ভিন্ন ঘটনার পুরোনো দু’টি ভিডিও ক্লিপ যুক্ত করে আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে আলোচিত দাবিগুলোর সত্যতা পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, গত ০৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৮টি আসনের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক ২২২টি আসনে জয়ী হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া জাতীয় পার্টি ১১টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ১টি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি ১টি, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি ১টি এবং স্বতন্ত্র পদে মোট ৬২ টি আসনে জয়লাভ করেন প্রার্থীরা।

সুতরাং, মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল বাতিল এবং যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ কর্তৃক পুনরায় নির্বাচন ঘোষণার দাবিতে প্রচারিত তথ্যগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

আবুল হাসান মাহমুদ আলী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নয়, অর্থমন্ত্রী হয়েছেন 

0

আজ ১১ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতির বাসভবন বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ গ্রহণ পরবর্তী সময়ে রাত ৮:১২ মিনিটে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ডিবিসি নিউজের ফেসবুকে পেজে দিনাজপুর-৪ (খানসামা ও চিরিরবন্দর) আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য আবুল হাসান মাহমুদ আলী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন দাবি করে একটি ফটোকার্ড প্রকাশ করা হয়।

আবুল হাসান মাহমুদ আলী

ফেসবুকে প্রচারিত ফটোকার্ড যুক্ত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সদ্য ঘোষিত নতুন মন্ত্রিসভায় নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য আবুল হাসান মাহমুদ আলী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পাননি বরং তিনি অর্থ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন। অন্যদিকে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন চট্টগ্রাম- ৭ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ।

আবুল হাসান মাহমুদ আলীকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কিনা সে বিষয়ে অনুসন্ধানে রাত ৮ টা ৬ মিনিটে মূলধারার অনলাইন সংবাদমাধ্যম sarabangla.net এর সিনিয়র সাংবাদিক নৃপেন রায়ের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে প্রচারিত মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনের স্বাক্ষরিত নতুন মন্ত্রিসভার দপ্তর বন্টন সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একটি প্রজ্ঞাপন খুঁজে পায় রিউমর স্ক্যানার টিম।

Screenshot: Facebook

উক্ত প্রজ্ঞাপনটি পড়ে জানা যায়, নতুন মন্ত্রিসভায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন চট্টগ্রাম-৭ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য ও সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ। অপরদিকে দিনাজপুর- ৪ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

ইন্টারনেটে নতুন মন্ত্রিসভার দপ্তর বন্টন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনের ছবি আসার কিছুক্ষণ পরই এ নিয়ে লাইভ ব্রিফিংয়ে আসেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। লাইভ ব্রিফিংয়ে তিনি নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের স্ব স্ব দপ্তরের নাম পড়ে শোনান। তার ব্রিফিংয়ের তথ্যের সাথে ইন্টারনেটে পাওয়া প্রজ্ঞাপনের হবহু মিল পাওয়া যায়।

অর্থাৎ, দিনাজপুর-৪ (খানসামা ও চিরিরবন্দর) আসন থেকে সদ্য নির্বাচিত সংসদ সদস্য আবুল হাসান মাহমুদ আলী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নয়, অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন। 

মূলত, গত ০৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন লাভ করে টানা চতুর্থবার সরকার গঠনের সুযোগ পেয়েছে আওয়ামী লীগ। গত ১০ জানুয়ারি সংসদে ২৯৮ জন সংসদ সদস্যকে শপথ বাক্য পাঠ করান স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। এরপর আজ ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় গণভবনে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। এর আগে ১০ জানুয়ারি রাতে নতুন মন্ত্রিসভার দায়িত্ব পেতে চাওয়া ২৫ জন পূর্ণমন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। এরই মধ্যে দিনাজপুর-৪ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য আবুল হাসান মাহমুদ আলী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন- শীর্ষক শিরোনামে বেসরকারি টেলিভিশন ডিবিসি নিউজ একটি ফটোকার্ড প্রকাশ করে। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আবুল হাসান মাহমুদ আলী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পাননি বরং তিনি অর্থ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া, বোয়ালখালীর একাংশ) আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ।

সুতরাং, দিনাজপুর-৪ আসন থেকে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য আবুল হাসান মাহমুদ আলী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন দাবিতে গণমাধ্যমে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

নির্বাচনে হেরে মাহিয়া মাহি পাগল হয়ে গেছেন দাবিতে পাঁচ বছরের পুরোনো ভিডিও ভাইরাল

সম্প্রতি, রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসন থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। হারার পর তিনি পাগল হয়ে গেছেন দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

ভিডিওতে মাহিকে বলতে শোনা যায়, “হ্যালো! আমার একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলেছি। ইউটিউব চ্যানেলে আমিই শুধু ভিউয়ার, আমিই সাবস্ক্রাইব করি, আমিই ভিডিও দেখি।”

এ সংক্রান্ত একটি ভিডিওই প্রায় ৭৭ লাখ বার দেখা হয়েছে। এছাড়াও, ৭৪ হাজারেরও অধিক ব্যবহারকারী ভিডিওটিতে রিয়েক্ট দিয়েছেন। 

উক্ত ভিডিওসহ একই দাবিতে ফেসবুকের  আরো কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, নির্বাচনে হেরে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি পাগল হয়ে যাওয়া শীর্ষক দাবিতে যে ভিডিওটি প্রচার করা হচ্ছে তা সাম্প্রতিক সময়ের নয় বরং ২০১৮ সালে মাহিয়া মাহির ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত একটি ভিডিওকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে, মাহির অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে ২০১৮ সালের ২০ এপ্রিল “My YouTube channel || Mahiya Mahi” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত ভিডিওটির মিল খুঁজে পাওয়া যায়। 

Comparison By Rumor Scanner

উক্ত ভিডিও পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, সেসময় নিজের ইউটিউব চ্যানেলের প্রচারণার জন্য একটি ভিডিও আপলোড করেন মাহি।

অর্থাৎ, প্রচারিত ভিডিওটি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বেই আপলোডকৃত এবং নির্বাচনের সঙ্গে উক্ত ভিডিওর কোনোরূপ সম্পর্ক নেই।

এছাড়াও, গণমাধ্যম এবং নির্ভরযোগ্য কোনো সূত্র থেকে আলোচিত দাবির সত্যতা পাওয়া যায়নি।

তাছাড়া, মাহিয়া মাহির ফেসবুক পেজে গত ০৮ জানুয়ারির একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

Mahiya Mahi Sarker Facebook Page

উক্ত ভিডিওতে মাহি নির্বাচন পরবর্তী নিজের মতামত ব্যক্ত করেন। তবে তার পাগল হয়ে যাওয়া শীর্ষক কোনো দৃশ্য ভিডিওতে পরিলক্ষিত হয়নি।

মূলত, ২০১৮ সালের ২০ এপ্রিল নিজের ইউটিউব চ্যানেলে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি নিজের চ্যানেলের প্রচারণার একটি ভিডিও আপলোড করেন। সেই ভিডিওকেই সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হারার পর মাহিয়া মাহি পাগল হয়ে গেছেন দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, পূর্বে মাহিয়া মাহিকে জড়িয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হলে সে বিষয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।

সুতরাং, নির্বাচনে হেরে মাহিয়া মাহি পাগল হয়ে গেছেন দাবিতে একটি পুরোনো ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি শীর্ষক মন্তব্য করেননি সিইসি

সম্প্রতি, পুনরায় নির্বাচন নিয়ে একি বললো প্রধান নির্বাচন কমিশনার। নির্বাচন সুষ্ঠ হয়নি।– শীর্ষক শিরোনাম এবং নির্বাচন সুষ্ঠ হয়নি বললো প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নতুন করে পুনরায় নির্বাচন হবে একি বললো– শীর্ষক থাম্বনেইলে একটি ভিডিও ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম ইউটিউবল প্রচার করা হয়েছে। 

আলোচিত ভিডিওটিতে দাবি করা হচ্ছে, গত ০৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল এবং তিনি পুনরায় নির্বাচন দেওয়ার  সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।  

নির্বাচন সু্ষ্ঠু হয়নি

ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রধান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি শীর্ষক কোনো মন্তব্য করেননি এবং পুনরায় নির্বাচন হবে বলেও ঘোষণা দেননি বরং ডয়েচে ভেলেকে সিইসির দেওয়া একটি সাক্ষাৎকার এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সমালোচনা করে অনলাইন এক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্যের দেওয়া বক্তব্য ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় জোড়া লাগিয়ে  চটকদার থাম্বনেইল ও শিরোনামে ভিডিওটি প্রচার করা হচ্ছে। 

ভিডিও যাচাই- ১

আলোচিত ভিডিওটিতে সিইসির সাক্ষাৎকার নিতে দেখা যায় ডয়েচে ভেলের বাংলা বিভাগের প্রধান খালেদ মুহিউদ্দীনকে। পরবর্তীতে অনুসন্ধানে ‘DW খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’ নামক ইউটিউব চ্যানেলে গত ০৮ জানুয়ারি “মুখোমুখি প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারের একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। 

উক্ত ভিডিওটির সাথে আলোচিত ভিডিওটিতে থাকা সিইসির বক্তব্যের হুবহু মিল রয়েছে। 

Video Comparison: Rumor Scanner 

উক্ত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে গত ০৮ জানুয়ারি ডয়েচে ভেলের বাংলা বিভাগের প্রধান খালেদ মুহিউদ্দীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের একটি সাক্ষাৎকার নেন। 

তবে, ১২ মিনিট ৪৬ মিনিটের সাক্ষাৎকারে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি বা পুনরায় নির্বাচন হওয়া নিয়ে কোনো কথা বলতে শোনা যায়নি। 

ভিডিও যাচাই- ২

এই অংশে অনলাইন এক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্যকে বক্তব্য দিতে দেখা যায়। পিনাকী ভট্টাচার্যের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে  তার ইউটিউব চ্যানেলে গত ০৮ জানুয়ারি “ইন্তেকাল কমিশনের হাত মারার নির্বাচন।। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন ২০২৪” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও (আর্কাইভ) খুঁজে পাওয়া যায়। 

উক্ত ভিডিওটির সাথে আলোচিত ভিডিওটির হুবহু মিল রয়েছে। 

Video Comparison: Rumor Scanner 

উক্ত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে জানা যায়, অনলাইন এক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সমালোচনা করতে গিয়ে ব আওয়ামী লীগ সরকার ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। 

২০ মিনিট ২৩ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে পিনাকী ভট্টাচার্যকে নির্বাচন সুষ্ঠু না হওয়া নিয়ে সিইসির মন্তব্য এবং পুনরায় নির্বাচন হবে এসংক্রান্ত কোনো তথ্য উল্লেখ করতে দেখা যায়নি। 

এছাড়া, প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে নির্বাচন সুষ্ঠু না হওয়া নিয়ে সিইসির মন্তব্য এবং পুনরায় নির্বাচন হওয়ার দাবি সংক্রান্ত কোনো তথ্য গণমাধ্যমে খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

মূলত, গত ০৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) দায়িত্ব পালন করেছেন কাজী হাবিবুল আউয়াল। নির্বাচন পরবর্তী ডয়েচে ভেলেকে নির্বাচনের সার্বিক বিষয় নিয়ে একটি সাক্ষাৎকার দেন সিইসি কাজী হাবিবুল। পরবর্তীতে সাক্ষাৎকার দেওয়া ভিডিওটির একটি অংশের সাথে নির্বাচন এবং সিইসিকে নিয়ে সমালোচনা করে অনলাইন এক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্যের দেওয়া একটি বক্তব্যের একটি অংশ ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় জোড়া লাগিয়ে  নির্বাচন সুষ্ঠ হয়নি বললো প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নতুন করে পুনরায় নির্বাচন হবে একি বললো– শীর্ষক দাবিতে প্রচার করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, প্রচারিত দাবিগুলো মিথ্যা। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এরূপ কোনো মন্তব্য করেননি।

সুতরাং, সিইসি বলেছেন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি এবং পুনরায় নির্বাচন হবে দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত তথ্যগুলো মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

  • DW খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়- CEC Interview
  • Pinaki Bhattacharya- YouTube Video 
  • Rumor Scanner’s Own Analysis 

ছবির শিশুটি আগুনে পুড়ে যাওয়া বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী নয় 

0

গত ০৫ জানুয়ারি রাজধানীর গোপীবাগে ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ ট্রেনে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। সম্প্রতি ‘সেদিনের আগুন লাগা ট্রেনের সবচেয়ে কিউট যাত্রী’ শীর্ষক দাবিতে একটি শিশুর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

গত ১০ জানুয়ারি ‘অভিমানি জীবনের গল্প নামের’ একটি ফেসবুক পেজ থেকে এ দাবিতে প্রকাশিত একটি পোস্টে (আর্কাইভ) মাত্র ৩৭ ঘণ্টার ব্যবধানে ১ লক্ষ ৩৩ হাজার রিয়্যাক্ট পড়েছে। পোস্টটিতে ১৪শ এর অধিক কমেন্ট এবং ২৯৪ বার শেয়ার করা হয়েছে।  

আগুনে পুড়ে

ফেসবুকের নিজস্ব মনিটরিং টুলস ক্রাউট্যাঙ্গেল অনুযায়ী, প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত একই ক্যাপশনে ৮৮টি পোস্ট হয়েছে এবং সবগুলো পোস্ট মিলিয়ে ৮২ হাজারেরও অধিক রিয়্যাক্ট পড়েছে। উল্লেখযোগ্য যে, ফেসবুকের এই টুলস ব্যক্তিগত আইডি থেকে করা পোস্টের সংখ্যা দেখায় না এবং যেসব ফেসবুক পেজ, গ্রুপ ও ভেরিফাইড আইডির পোস্ট দেখায় সেগুলোরও নির্দিষ্ট ফলোয়ার সংখ্যা পেরিয়ে আসতে হয়। অর্থাৎ ছড়ানোর প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি।

একই দাবিতে ছড়িয়ে পড়া কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত শিশুর ছবিটি দুর্বৃত্তের আগুনে পুড়ে যাওয়া বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের কোনো যাত্রীর নয় বরং অন্তত ২০২২ সালের মার্চ থেকেই এই ছবিটি ইন্টারনেটে থাকার প্রমাণ পেয়েছে রিউমর স্ক্যানার। এছাড়া দাবিকৃত ছবির ইন্টেরিয়র ডিজাইনের সাথে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের ইন্টেরিয়র ডিজাইনেরও পার্থক্য রয়েছে।

সূত্রের সন্ধান

এ বিষয়ের সত্যতা জানতে চেয়ে অসংখ্য ফ্যাক্টচেক অনুরোধ পাই আমরা। পরবর্তীতে এ নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করি। গত ০৯ জানুয়ারি রাত ৮টা ৫৪ মিনিটে ‘Love You’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে এই ক্যাপশনে সম্ভাব্য প্রথম পোস্ট (আর্কাইভ) খুঁজে পাওয়া যায়। গত ০৫ জানুয়ারি বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন লাগে। অর্থাৎ ঘটনার প্রায় ৪ দিন পর উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রথম পোস্ট করা হয়। পোস্টটিতে কোনো তথ্যসূত্রও উল্লেখ করা হয়নি। এই দাবিতে সম্ভাব্য প্রথম পোস্টটিও করা হয়েছে একটি ফেসবুক পেজ থেকে, শিশুটির পরিবার বা বিশ্বস্ত কোনো সূত্র থেকে এই তথ্য আসেনি। এমনকি বিশ্বস্ত কোনো সূত্র কিংবা গণমাধ্যমে এখন অবধি এই বিষয়ে কোনো সংবাদ প্রচার হতে দেখা যায়নি।

বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় শিশুর ছবিটি রিভার্স ইমেজ সার্চ করে ২০২২ সালের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে ভিন্ন দুইটি ফেসবুক পেজে (,) হুবহু একই ছবি খুঁজে পাই।

পরবর্তীতে আরো বিস্তারিত অনুসন্ধান করে ২০২২ সালের ২৬ মার্চ আরবি নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে একই ছবিযুক্ত একটি পোস্ট পাই আমরা। তবে উপরোক্ত কোনো পোস্টেই শিশুর পরিচয় সম্পর্কে কোনো তথ্য উল্লেখ করা হয়নি। আমাদের বিস্তারিত অনুসন্ধানেও শিশুর নাম কিংবা পরিচয় জানা যায়নি। 

Screenshot: Facebook.

ছবির শিশুর পরিচয় জানতে চেয়ে আমাদের অনুসন্ধানে প্রাপ্ত এই শিশুর ছবিযুক্ত প্রথম পোস্টকারী আরবি নামের উক্ত ফেসবুক আইডির সাথে যোগাযোগ করি। কিন্তু প্রতিবেদনটি লেখা অবধি কোনো প্রত্যুত্তর আসেনি।

এছাড়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে নীল রঙের দুইটি সিটের মধ্যকার ফাঁকা অংশ দিয়ে শিশুর ছবিটি তোলা হয়েছে। এই সূত্র ধরে আগাই আমরা। ২০২৩ সালের ২০ এপ্রিল ইউটিউবে বেনাপোল এক্সপ্রেসের একটি ভিডিও খুঁজে পাই। ভিডিওতে দুই রঙের সিট (,) দেখা যায়, যা আলোচ্য ছবিতে থাকা সিটের রঙের সাথে মিলে না। এছাড়া দাবিকৃত ছবিতে ধরার হাতল লক্ষ্য করা গেলেও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে এমন হাতল দেখা যায়নি। যা থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় ছবিটি বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের নয়।

Image Comparison: Rumor Scanner.

এছাড়াও গত ০৬ জানুয়ারি ডয়েচে ভেলে বাংলার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গের সূত্র দিয়ে জানানো হয়েছে, গত ০৫ জানুয়ারি পুড়ে যাওয়া বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত চারজনের মধ্যে কোনো শিশু নেই।

মূলত, গত ০৫ জানুয়ারি রাজধানীর গোপীবাগে ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ ট্রেনে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। পুড়ে যাওয়া এ ট্রেনের ‘সবচেয়ে কিউট যাত্রী’ উল্লেখ করে একটি শিশুর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। কিন্তু রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যাচ্ছে, প্রচারিত শিশুর এই ছবিটি পুরোনো। ২০২২ সালের মার্চে ফেসবুকে প্রচারিত একটি পোস্টে একই ছবি পাওয়া যায়। এছাড়া দাবিকৃত ছবির ইন্টেরিয়র ডিজাইনের সাথে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের ইন্টেরিয়র ডিজাইনের পার্থক্য রয়েছে।

সুতরাং, গত ৫ জানুয়ারি পুড়ে যাওয়া বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী দাবিতে ফেসবুক থেকে সংগৃহীত একটি শিশুর পুরোনো ছবি প্রচার করা হচ্ছে; যা মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল জামিনে মুক্তি পাননি

0

সম্প্রতি, “এই মাত্র বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জামিনে মুক্তি পেলেন।” শীর্ষক দাবিতে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।

জামিনে মুক্তি

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিনে মুক্তি পাননি বরং তিনি পল্টন ও রমনা থানার পৃথক নয়টি মামলায় জামিন পেলেও আরও দুই মামলায় জামিন অপেক্ষমাণ থাকায় তার এখনই কারামুক্তির সুযোগ নেই। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে অনলাইন পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনে গত ১০ জানুয়ারি “৯ মামলায় জামিন পেলেন মির্জা ফখরুল, তবে মুক্তি পাচ্ছেন না এখনই” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, রমনা ও পল্টন থানায় আলাদা নয়টি মামলাতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জামিন পেয়েছেন। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালতে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় এ জামিন মঞ্জুর হয়। তবে ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের দিন নাশকতার অভিযোগে অপর দুই মামলায় জামিন অপেক্ষমাণ থাকায় তিনি এখনই কারামুক্তি পাচ্ছেন না।

জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোয় গত ১০ জানুয়ারি “মির্জা ফখরুল ৯ মামলায় জামিন পেলেন” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়।

অর্থাৎ, মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে পরোয়ানা থাকা এগারোটি মামলার মধ্যে নয়টি মামলায় জামিন পেলেও আরও দুইটি মামলায় জামিন অপেক্ষমাণ থাকায় তিনি এখনো কারাগারে আছেন।

উল্লেখ্য, গত ২৯ অক্টোবর প্রধান বিচারপতির বাসভবনের ফটক ভেঙে ইটপাটকেল নিক্ষেপের মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে প্রথমে গ্রেপ্তার এবং পরে কারাগারে পাঠানো হয়।

মূলত, গত ২৮ অক্টোবরে ঢাকায় বিএনপির সমাবেশের দিন পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় মোট ১১টি মামলায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে একটি মামলায় ২৯ অক্টোবর তাকে প্রথমে গ্রেপ্তার এবং পরে কারাগারে পাঠানো হয়। গত ১০ জানুয়ারি আদালতের শুনানিতে নয়টি মামলায় তিনি জামিন পান। উক্ত জামিনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিনে মুক্তি অর্থাৎ কারামুক্তি পাওয়ার দাবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। তবে অনুসন্ধানে জানা যায়, দাবিটি সঠিক নয়। গত ১০ জানুয়ারি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নয়টি মামলায় জামিন পেলেও আরও দুইটি মামলায় জামিন অপেক্ষমাণ থাকায় তিনি এখনই কারামুক্তি পাচ্ছেন না। এই দুই মামলায় কারামুক্তির আগ পর্যন্ত তাকে কারাগারেরই থাকতে হবে।

সুতরাং, বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

নৌকা প্রতীকে সিল মারা ব্যালটের ভাইরাল এই ভিডিওটি ঢাকা-১৯ আসনের নয়

গত ০৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৯ আসনের একটি ভোট কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকে সিল মারা ব্যালটের দৃশ্য দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে।

নৌকা প্রতীকে সিল মারা

ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিওটি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

এই প্রতিবেদন প্রকাশ অবধি ভিডিওটি প্রায় ১ লক্ষ ১৭ হাজারবার দেখা হয়েছে। শেয়ার করা হয়েছে প্রায় ৩ হাজার ৫ শত বার। এছাড়া ভিডিওতে প্রায় ৩ হাজার ৩ শত পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ভোট কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকে সিল মারা ব্যালটের ভিডিওটি ঢাকা-১৯ আসনের নয় বরং ভিডিওটি কুমিল্লা-৭ (চান্দিনা) আসনে নৌকা প্রতীকে সিল মারা ব্যালটের।

ভিডিওটির সত্যতা জানতে ভিডিওটির কিছু কি-ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চ করে অনলাইন পোর্টাল ঢাকা পোস্ট’র ওয়েবসাইটে গত ৭ জানুয়ারি “আগে থেকে নৌকায় সিল মেরে রাখা অর্ধশতাধিক ব্যালট বাতিল” প্রকাশিত একটি প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

প্রতিবেদনে সাথে সংযুক্ত ছবির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর দৃশ্যের মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

Video Comparison: Rumor Scanner

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৭ (চান্দিনা) আসনে ভোট শুরু হওয়ার আগে থেকে সিল মেরে রাখা ৫৩টি ব্যালট পেপার বাতিল করেছে প্রশাসন।

এছাড়া, জাতীয় দৈনিক দ্য বিজনেস স্টান্ডার্ড এ গত ৭ জানুয়ারি “কুমিল্লার একাধিক কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের সিল মারা ব্যালট জব্দ, পরে বাতিল” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৭ আসনের চান্দিনা উপজেলায় তিনটি ভোটকেন্দ্রে আগে থেকে নৌকায় সিল মারা ব্যালট জব্দ করা হয়। গত ৭ জানুয়ারি ভোটের দিন উপজেলার দোল্লাই নবাবপুর উচ্চ বিদ্যালয়, মহিচাইল উচ্চ বিদ্যালয় এবং নাওতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র থেকে এসব ব্যালট জব্দ করা হয়।

এছাড়া আসন দুইটির প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রতীক যাচাই করে ভাইরাল ভিডিওর ব্যালটে থাকা প্রতীকের সাথে কুমিল্লা-৭ আসনের প্রার্থীদের প্রতীকের হুবহু মিল এবং ঢাকা-১৯ আসনের প্রার্থীদের প্রতীকের অমিল খুঁজে পাওয়া যায়। যেমন- ভাইরাল হওয়া ভিডিওর ব্যালটে গাছমা ও ডাব প্রতীকের ছবি দেখা গেলেও ঢাকা-১৯ আসনের প্রার্থীদের এই প্রতীকগুলো ছিল না।

Comparison by Rumor Scanner
Comparison by Rumor Scanner

মূলত, গত ৭ জানুয়ারি সারাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোট চলাকালে কয়েকটি আসনের বেশকয়েকটি কেন্দ্রে প্রকাশ্যে ব্যালটে নৌকা প্রতীকে সিল মারার অভিযোগ উঠে এবং নৌকায় সিল মারার ঘটনায় কয়েকটি ভিডিও ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়। গণমাধ্যম সূত্রে কুমিল্লা-৭ (চান্দিনা) আসনের অন্তত তিনটি কেন্দ্রে নৌকার সিল মারা ব্যালটের অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা পাওয়া যায় এবং উক্ত ব্যালটগুলো বাতিল হওয়া কথা জানানো হয়। তবে কুমিল্লা-৭ আসনের একটি কেন্দ্রের নৌকায় সিল মারা ব্যালটের একটি ভিডিও ঢাকা-১৯ আসনের ভোট জালিয়াতির ভিডিও দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়।

প্রসঙ্গত, ৭ জানুয়ারি দুপুরে ভোট চলাকালে কেন্দ্র দখল, জাল ভোট দেওয়া, এজেন্টদের জোরপূর্বক কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন কুমিল্লা- ৭ (চান্দিনা) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের মুনতাকিম আশরাফ টিটু।

সুতরাং, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৭ (চান্দিনা) আসনে ভোট কেন্দ্রে নৌকায় সিল মারা ব্যালটের ভিডিও ঢাকা-১৯ আসনের দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

মুফতি কাজী ইব্রাহীমের মৃত্যুর গুজব

0

সম্প্রতি, ইসলামিক বক্তা মুফতি কাজী ইব্রাহীম ইন্তেকাল করেছেন দাবিতে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

মুফতি কাজী

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ),  এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ),  এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ইসলামিক বক্তা মুফতি কাজী ইব্রাহীম ইন্তেকাল করার আলোচিত দাবিটি সঠিক নয় বরং, বর্তমানে তিনি সুস্থ সবল অবস্থায় কাতারে অবস্থান করছেন।

আলোচিত দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে অনুসন্ধান চালায় রিউমর স্ক্যানার টিম। এতে মুফতি কাজী ইব্রাহীম-এর মৃত্যুর বিষয়ে গণমাধ্যম কিংবা কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে দাবিটির পক্ষে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। 

পরবর্তীতে দাবিটি নিয়ে অনুসন্ধানে মুফতি কাজী ইব্রাহীমের ফেসবুক পেজ পর্যবেক্ষণ করে আজ (১১ জানুয়ারি) সকাল ১০টা ১৪ মিনিটে আলহামদুলিল্লাহ রাব্বুল আলামিন এর ইচ্ছায় আমি বেঁচে আছি, গুজবে কান দেবেন না। শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি লাইভ ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Facebook

ভিডিওটি পর্যালোচনা করে জানা যায়, মুফতি কাজী ইব্রাহীম বর্তমানে কাতারে অবস্থান করছেন এবং তিনি সুস্থ সবল রয়েছেন। তার মৃত্যুর খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়লে তার শুভাকাঙ্খীরা তাকে ফোন করে তথ্যটি জানান। তাই সংবাদটি দ্বারা অন্যরা যেন বিভ্রান্ত না হোন সেজন্যে তিনি লাইভে এসে তার মারা যাওয়ার তথ্যটি যে একটি গুজব তা সবাইকে জানান। এছাড়াও ইসলামে গুজব ছড়ানোর বিষয়ে কী বলা হয়েছে সে বিষয়েও লাইভ ভিডিওটিতে নানা ব্যাখ্যা দেন তিনি।

মূলত, কোনো প্রকার নির্ভরযোগ্য তথ্য প্রমাণ ছাড়াই সম্পূর্ণ ভিত্তিহীনভাবে সম্প্রতি ইসলামিক বক্তা মুফতি কাজী ইব্রাহীমের মৃত্যুর একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়। তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা যায়, মুফতি কাজী ইব্রাহীম মারা যাননি। তিনি বর্তমানে কাতারে অবস্থান করছেন এবং সেখানে সুস্থ সবল অবস্থায় রয়েছেন।

সুতরাং, ইসলামিক বক্তা মুফতি কাজী ইব্রাহীমের ইন্তেকাল করার সংবাদ দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র