সম্প্রতি, ইসলামিক বক্তা মুফতি কাজী ইব্রাহীম ইন্তেকাল করেছেন দাবিতে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।
ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ইসলামিক বক্তা মুফতি কাজী ইব্রাহীম ইন্তেকাল করার আলোচিত দাবিটি সঠিক নয় বরং, বর্তমানে তিনি সুস্থ সবল অবস্থায় কাতারে অবস্থান করছেন।
আলোচিত দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে অনুসন্ধান চালায় রিউমর স্ক্যানার টিম। এতে মুফতি কাজী ইব্রাহীম-এর মৃত্যুর বিষয়ে গণমাধ্যম কিংবা কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে দাবিটির পক্ষে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
পরবর্তীতে দাবিটি নিয়ে অনুসন্ধানে মুফতি কাজী ইব্রাহীমের ফেসবুক পেজ পর্যবেক্ষণ করে আজ (১১ জানুয়ারি) সকাল ১০টা ১৪ মিনিটে আলহামদুলিল্লাহ রাব্বুল আলামিন এর ইচ্ছায় আমি বেঁচে আছি, গুজবে কান দেবেন না। শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি লাইভ ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।
ভিডিওটি পর্যালোচনা করে জানা যায়, মুফতি কাজী ইব্রাহীম বর্তমানে কাতারে অবস্থান করছেন এবং তিনি সুস্থ সবল রয়েছেন। তার মৃত্যুর খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়লে তার শুভাকাঙ্খীরা তাকে ফোন করে তথ্যটি জানান। তাই সংবাদটি দ্বারা অন্যরা যেন বিভ্রান্ত না হোন সেজন্যে তিনি লাইভে এসে তার মারা যাওয়ার তথ্যটি যে একটি গুজব তা সবাইকে জানান। এছাড়াও ইসলামে গুজব ছড়ানোর বিষয়ে কী বলা হয়েছে সে বিষয়েও লাইভ ভিডিওটিতে নানা ব্যাখ্যা দেন তিনি।
মূলত, কোনো প্রকার নির্ভরযোগ্য তথ্য প্রমাণ ছাড়াই সম্পূর্ণ ভিত্তিহীনভাবে সম্প্রতি ইসলামিক বক্তা মুফতি কাজী ইব্রাহীমের মৃত্যুর একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়। তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা যায়, মুফতি কাজী ইব্রাহীম মারা যাননি। তিনি বর্তমানে কাতারে অবস্থান করছেন এবং সেখানে সুস্থ সবল অবস্থায় রয়েছেন।
সুতরাং, ইসলামিক বক্তা মুফতি কাজী ইব্রাহীমের ইন্তেকাল করার সংবাদ দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
তথ্যসূত্র
- Mufti Kazi Ibrahim Facebook Page: আলহামদুলিল্লাহ রাব্বুল আলামিন এর ইচ্ছায় আমি বেঁচে আছি, গুজবে কান দেবেন না।
- Rumor Scanner’s Own Analysis