Home Blog Page 596

চটকদার থাম্বনেইলে সেনাবাহিনীর হাতে আওয়ামী লীগ ১৩ নেতা বা মন্ত্রী আটক হওয়ার ভুয়া খবর

0

গত ১০ সেপ্টেম্বর “দেশ ছাড়লো প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি। আওয়ামী লীগের ১৩,জন নেতাকে গ্রেফতার করলো সেনাবাহিনী” শীর্ষক শিরোনাম এবং প্রায় একই দাবি সম্বলিত থাম্বনেইলে একটি ভিডিও ইউটিউবে প্রচার করা হয়েছে। 

আওয়ামী লীগ

ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিওটি দেখুন ভিডিও (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়,প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি গোপনে দেশ ছাড়া এবং সেনাবাহিনী কর্তৃক ১৩ জন আওয়ামী লীগ নেতা বা মন্ত্রী গ্রেফতার হওয়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি বরং অধিক ভিউ পাওয়ার আশায় ভিন্ন ভিন্ন ঘটনার একাধিক ভিডিও যুক্ত করে চটকদার থাম্বনেইল ও শিরোনাম ব্যবহার করে কোনোরূপ তথ্যসূত্র ছাড়াই ভিত্তিহীনভাবে উক্ত তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। 

অনুসন্ধানের শুরুতে প্রচারিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। উক্ত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ভিডিওটি কয়েকটি ভিন্ন ঘটনার ভিডিও ক্লিপ প্রযুক্তির সাহায্য যুক্ত করে তৈরি করা হয়েছে। 

৯ মিনিট ৫১ সেকেন্ডের এই ভিডিওটির শুরুতে কয়েকটি ভিন্ন ঘটনার ভিডিওর খণ্ডাংশ দেখানো হয়। পরবর্তীতে ভিডিওটিতে চ্যানেলটির উপস্থাপক আলোচিত দাবিটির উদ্দেশ্যে দুটি ভিডিও ক্লিপ দেখান।

ভিডিওগুলো দেখানোর আগে আলোচিত ভিডিওটিতে চ্যানেলটির উপস্থাপক বলেন, ‘নতুন করে আবারও আলোচনায় পুলিশ। আপনারা জানেন প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি মেইন মেইন দায়িত্বশীল দেশের বাহিরে গিয়েছে। অন্যদিকে এই সুযোগে পুলিশ ছাত্রলীগকে গ্রেফতার করে থানার মধ্যে নিয়ে কঠিন থেকে কঠিন নির্যাতন এমনকি দাঁত ফেলে দিচ্ছে প্লাস দিয়ে। তো কঠিন এক অবস্থা হয়েছে। অনেকেই এই বিষয়টা বলতেছে আগামী নির্বাচন কে কেন্দ্র করেই নাকি পরিবর্তন হচ্ছে। অন্যদিকে পুলিশ প্রধান যিনি মূলত তারও কিন্তু চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য দিচ্ছে যে পুলিশের পক্ষে পুলিশ পুলিশের মতনই থাকবে। সর্বপ্রথম থানার মধ্যে ছাত্রলীগের যে কাহিনীটা ঘটেছে সেটা দেখাবো।’

পরবর্তীতে প্রথম ভিডিও ক্লিপটিতে থাকা লোগোর সূত্র ধরে অনুসন্ধানে গত ১১ সেপ্টেম্বর ‘1A News’ নামক একটি ইউটিউব চ্যানেলে “মধ্যরাতে কেন্দ্রীয় দুই ছাত্রলীগ নেতাকে বেধড়ক পেটালো রমনা থানার এডিসি হারুন রহস্য কি?” শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। এই ভিডিওর সঙ্গে ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিওটিতে থাকা প্রথম ভিডিও ক্লিপটির মিল খুঁজে পাওয়া যায়। 

Video Comparison by Rumor Scanner 

ভিডিওতে বলা হয়, ‘দর্শক মধ্যরাতের দারুণ খবর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে পেটালেন এডিসি হারুন আপনারা জানেন এডিসি হারুন তিনি রমনা বিভাগের এডিসি হারুন এবং এডিসি হারুনের বিরুদ্ধে বিএনপি,জামায়াত,ছাত্রলীগ পরিষদ সহ যারা এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে তাদেরকে নির্দয়ভাবে পেটান। এবং সর্বশেষ তিনি সুপ্রিমকোর্টের ভেতর সাংবাদিকদের চরমভাবে পিটিয়েছে। এবং এতকাল তিনি পেটালেও ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগ দাঁত কেলিয়ে হাসত কিন্তু এবার তিনি ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে এমনভাবে পিটিয়েছেন দর্শক দেখার মতো না….।’

উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড অনুসন্ধানে গত ১০ সেপ্টেম্বর জাতীয় দৈনিক কালবেলার অনলাইন সংস্করণে “কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে পেটালেন এডিসি হারুন” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে এ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে শাহবাগ থানায় ধরে নিয়ে বেদম পিটিয়েছেন পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদ। দুইজন হলেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাবির শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম। তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’

উক্ত প্রতিবেদনে থাকা তথ্যগুলো প্রচারিত ভিডিওটিতে দেখানো প্রথম ভিডিওটির ২ মিনিট ৩৪ সেকেন্ড থেকে হুবহু পাঠ করা হয়। কিন্তু প্রচারিত ভিডিওটিতে কিংবা উক্ত প্রতিবেদনের কোথাও প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির দেশ ছাড়া সহ ১৩ জন আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতার বিষয়ক কথা উল্লেখ ছিলো না। 

অনুরূপভাবে আলোচিত ভিডিওটির দ্বিতীয় ক্লিপটির উৎস অনুসন্ধানে নয়া দুর্বার নামক একটি ফেসবুক পেজে “আন্দোলনরত ১৩ জন গ্রেফতার” শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওটির সাথে আলোচিত ভিডিওটির দ্বিতীয় ক্লিপটির মিল খুঁজে পাওয়া যায়। 

ভিডিওটিতে বলা হয়,’আপনারা জানেন যে কার্যক্রম টা আমরা চালাচ্ছিলাম এর ধারাবাহিকতায় আমরা একটা র‍্যালি নিয়ে বের হয়েছিলাম। এবং এই র‍্যালিটা যখন শাহবাগ থানার সামনে যায় তখন শাহবাগ থানার যারা পুলিশ ভাইবোনেরা ছিলেন তারা আমাদের উপর বেধড়ক মারধর করেন…।’ অর্থাৎ, উক্ত বক্তব্যকে কোনো প্রকার প্রাসঙ্গিকতা ছাড়াই ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিওটিতে যুক্ত করা হয়েছে। 

Video comparison by Rumor Scanner 

মূলত, সপ্তাহ খানেকের ব্যবধানে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দীন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পৃথক দুই দেশে রাষ্ট্রীয় সফরকে কেন্দ্র করে ‘B tv news 24’ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে দেশ ছাড়লো প্রধামন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি, সেনাবাহিনী কর্তৃক ১৩ জন আওয়ামী লীগ  নেতা বা মন্ত্রীকে গ্রেফতার শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও ইউটিউবে প্রচার করা হয়। তবে অনুসন্ধানে জানা যায়,দাবিটি সঠিক নয়। আদতে ১৩ জন আওয়ামী লীগ নেতা বা মন্ত্রীকে গ্রেফতারের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। অধিকতর ভিউ পাবার আশায় চটকদার থাম্বনেইল ও শিরোনাম ব্যবহার করে কোনোপ্রকার নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র ছাড়াই আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত ৫ থেকে ৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ৪৩তম ‘আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলন’ এবং ১৮তম ‘পূর্ব এশিয়া শীর্ষ সম্মেলনে’ যোগ দিতে ০৪ সেপ্টেম্বর ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। ইন্দোনেশিয়া ও সিঙ্গাপুরে ১৩ দিনের সফর শেষে গত ১৬ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। অন্যদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে নয়াদিল্লিতে ৯-১০ সেপ্টেম্বর জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে গত ০৮ সেপ্টেম্বর ভারত সফরে যান শেখ হাসিনা এবং ১০ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরেন

সুতরাং, সেনাবাহিনী কর্তৃক ১৩ জন আওয়ামী লীগ নেতা বা মন্ত্রীকে গ্রেফতার দাবিতে ইউটিউবে প্রচারিত তথ্যটি মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

চটকদার থাম্বনেইলে মির্জা ফখরুল এর গ্রেফতারের ভুয়া সংবাদ প্রচার 

0

সম্প্রতি,”ইন্না-লিল্লাহ!এইমাত্র গ্রেফতার মির্জা ফখরুল। নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের নতুন কৌশল” শীর্ষক শিরোনামের একটি ভিডিও ইউটিউবে প্রচার করা হয়েছে। 

মির্জা ফখরুল

ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিওটি দেখুন ভিডিও ( আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেফতারের কোনো ঘটনা ঘটেনি বরং অধিক ভিউ পাওয়ার আশায় ভিন্ন ভিন্ন একাধিক ভিডিও যুক্ত করে চটকদার থাম্বনেইল ও শিরোনাম ব্যবহার করে কোনোরূপ তথ্যসূত্র ছাড়াই ভিত্তিহীনভাবে উক্ত তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। 

গুজবের সূত্রপাত 

অনুসন্ধানে ‘B tv news 24’ নামক ইউটিউব চ্যানেলে “ইন্না-লিল্লাহ! এইমাত্র গ্রেফতার মির্জা ফখরুল। নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের নতুন কৌশল ” শীর্ষক শিরোনামে ভিডিওটি পাওয়া যায়। 

পরবর্তীতে উক্ত ভিডিওর মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়ে। 

তথ্যযাচাই 

অনুসন্ধানের শুরুতে প্রচারিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। উক্ত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ভিডিওটি কয়েকটি ভিন্ন ইস্যুর খন্ডিত ভিডিও প্রযুক্তির সাহায্যে যুক্ত করে তৈরি করা হয়েছে। 

৮ মিনিট ৩০ সেকেন্ডের এই ভিডিওটির শুরুতে কয়েকটি ভিন্ন ঘটনার ভিডিওর খন্ডাংশ দেখানো হয়। পরবর্তীতে ভিডিওটিতে চ্যানেলটির উপস্থাপক আলোচিত দাবিটির উদ্দেশ্যে দুটি ভিডিও দেখান। যেখানে রয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুউল আলম হানিফ এবং পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের ভিন্ন দুইটি ভিডিও ক্লিপ।

প্রথম ভিডিওটি দেখানোর আগে আলোচিত ভিডিওটিতে চ্যানেলটির উপস্থাপক বলেন, নির্বাচনের আগ মুহূর্তে বিশেষ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাকে গ্রেফতার করা হবে এমন কিছু তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ এবং এই চাপ নাকি উপর থেকে তাদেরকে সদা সর্বদাই ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

মাহবুবউল আলম হানিফ এর ভিডিওতে কি আছে? 

অনুসন্ধানে গত ৮ আগস্ট Rtv News এর ইউটিউব চ্যানেলে “ড.ইউনুসের জন্য বিদেশিরা যে বিবৃতি দিয়েছেন তা টাকা দিয়ে কেনা :হানিফ। Rtv News” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। এই ভিডিওটির সঙ্গে ইউটিউব এ প্রচারিত ভিডিওটির মিল খুঁজে পাওয়া যায়। 

Comparison by Rumor Scanner 

উক্ত ভিডিওটিতে মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ড.ইউনুসের জন্য বিদেশিরা যে বিবৃতি দিয়েছেন তা টাকা দিয়ে কেনা। কারণ বিবৃতি দাতারা এই মামলা ও বিচারকার্য সম্পর্কে কিছুই জানে না। কুষ্টিয়া সদর উপজেলার অডিটরিয়ামে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপকার ভোগীদের প্রণোদনা ও আর্থিক সহায়তা বিতরণের অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। 

তবে হানিফ এর বক্তব্যে এমন কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি যা ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিওটির থাম্বনেইলে উপস্থাপিত তথ্যের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক। 

অর্থাৎ কোনো যোগসূত্র ছাড়াই মাহবুবউল আলম হানিফ এর ভিডিওটিকে “ইন্না-লিল্লাহ! এইমাত্র গ্রেফতার মির্জা ফখরুল। নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের নতুন কৌশল” শীর্ষক শিরোনাম যুক্ত ভিডিওটিতে যুক্ত করা হয়েছে। 
অনুরূপভাবে গত ৯ সেপ্টেম্বর ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশন এর ইউটিউব চ্যানেলে “জাতীয় নির্বাচন ঘিরে আন্তর্জাতিক কোনো চাপ নেই: আইজিপি। Chowdhury Abdullah Al-Mamun। Independent TV” শীর্ষক শিরোনামে ইউটিউবে প্রচারিত দ্বিতীয়  ভিডিওটির মূল ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot : Independent Television 

উক্ত ভিডিওটিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্পর্কে কোনো কথা বলেননি পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। উক্ত বক্তব্যকে কোনোপ্রকার প্রাসঙ্গিকতা ছাড়াই ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিওটিতে যুক্ত করা হয়েছে।

মূলত, ‘B tv news 24’ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কে গ্রেফতার করা হয়েছে শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও ইউটিউবে প্রচার করা হয়। তবে অনুসন্ধানে জানা যায় অধিকতর ভিউ পাবার আশায় চটকদার থাম্বনেইল ও শিরোনাম ব্যবহার করে কোনোপ্রকার নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র ছাড়াই আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হয়।

সুতরাং, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গ্রেফতারের দাবিতে একটি ভিডিও ইউটিউবে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

তারেক রহমান জামিন পেয়ে বাংলাদেশে আসছেন দাবিটি মিথ্যা

0

সম্প্রতি, ‘তারেক রহমানের মামলায় জামিন হইছে তারেক রহমান আসছে বাংলাদেশে’ শীর্ষক দাবিতে ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটক এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও প্রচার করা হচ্ছে।

তারেক রহমান

টিকটকে প্রচারিত এমন কিছু ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, তারেক রহমানের মামলায় জামিন হওয়া এবং তার বাংলাদেশে আসার দাবিতে প্রচারিত ভিডিও সত্য নয়। প্রকৃতপক্ষে, ২০১৬ সালে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত রাজনৈতিক কর্মশালায় ধারণকৃত ভিডিওর সাথে বিভ্রান্তিকর শিরোনাম যুক্ত করে উক্ত ভিডিওটি প্রচার করা হচ্ছে। এছাড়াও গত ২ আগস্ট তারেক রহমানকে ৬ মামলায় ৯ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। 

তারেক রহমানের জামিন পাওয়ার তথ্যটির সত্যতা যাচাইয়ে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে, দৈনিক আজকের পত্রিকার অনলাইন পোর্টালে  ‘৬ মামলায় সাজা হলো তারেকের’ শীর্ষক শিরোনামে গত ২ আগস্ট প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Ajker Patrika

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকের মামলায় তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানকে সাজা দেয় ঢাকার সিনিয়র বিশেষ জজ আদালত ও মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান। রায়ে তারেক রহমানকে ৯ বছর ও জোবাইদাকে ৩ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এছাড়াও প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে গত ২ আগস্ট মহানগর দায়রা জজ আদালতের রায়ের একাধিক সংবাদ পাওয়া গেলেও তার জামিনের বিষয়ে কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি।

পরবর্তী অনুসন্ধানে তারেক রহমানের বাংলাদেশে আসার ভিডিও দাবিতে প্রচারিত ফুটেজের সত্যতা যাচাইয়ে অনুসন্ধান চালায় রিউমর স্ক্যানার টিম। 

রিভার্স সার্চের মাধ্যমে, JSSD UK নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে  ‘দেশনায়ক তারেক রহমানের সভায় প্রবেশ | রাজনৈতিক কর্মশালা ২০১৬’ শীর্ষক শিরোনামে ২০১৬ সালের ২৮ নভেম্বর প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। 

Screenshot: Youtube

ভিডিওটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আলোচিত ভিডিওর সাথে উক্ত ভিডিওর ৫ সেকেন্ড থেকে ৪২ সেকেন্ড পর্যন্ত হুবহু মিল রয়েছে। 

ভিডিওটি থেকে আরও জানা যায়, উক্ত ভিডিওটি ২০১৬ সালের ২১ নভেম্বর পূর্ব লন্ডনের রিজেন্ট বেঙ্কুয়েটিং হলে যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত রাজনৈতিক কর্মশালা-র সময় ধারণ করা হয়। 

অর্থাৎ, তারেক রহমানের মামলায় জামিন পাওয়া এবং বাংলাদেশে আসার তথ্যটি সত্য নয়।

মূলত, গত ২ আগস্ট জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা এক মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৯ বছর এবং তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানের ৩ বছরের কারাদণ্ড দেয় সিনিয়র বিশেষ জজ আদালত ও মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান। এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকে তারেক রহমানের মামলায় জামিন হয়েছে এবং তিনি বাংলাদেশে আসছেন দাবিতে একটি ভিডিও প্রচার করা হচ্ছে। তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা যায়, সম্প্রতি তারেক রহমান তার চলমান কোনো মামলায় জামিন পাননি এবং বাংলাদেশে এসেছেন দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি ২০১৬ সালে পূর্ব লন্ডনে যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত একটি কর্মশালায় ধারণকৃত।

সুতরাং, তারেক রহমানের মামলায় জামিন হওয়া এবং তার দেশে আসার দাবিটি মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

এডিসি হারুনের সাথে বিয়ের পোশাক পরিহিত এই নারী এডিসি সানজিদা নন

0

সম্প্রতি, এডিসি হারুন ও এডিসি সানজিদা আফরিনের বিয়ের ছবি দাবি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। 

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ)।

পরবর্তীতে উক্ত ছবিকে এডিসি হারুন ও এডিসি সানজিদা আফরিনের বিয়ের ছবি দাবি করে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। 

গণমাধ্যমে প্রচারিত প্রতিবেদন দেখুন আরটিভি, সময়ের আলো, ঢাকা মেইল, তৃতীয় মাত্রা, কারেন্ট নিউজ, ভোরের আকাশ। 

একই ছবিকে এডিটেড দাবি করে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন যুগান্তর, কালবেলা, বিডি জার্নাল, সোনালী নিউজ, ফ্রিডম বাংলা নিউজ। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, পুলিশের সাময়িক বরখাস্তকৃত অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশীদ ও ডিএমপির ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) সানজিদা আফরিনের বিয়ের ছবি দাবিতে প্রচারিত ছবিটি এডিটেড নয় এবং ছবিতে থাকা নারীটি (এডিসি) সানজিদা আফরিন নন। প্রকৃতপক্ষে এটি এডিসি হারুন অর রশীদের সাথে তার স্ত্রী ডা. ফারিয়া তাসনিমের ছবি।

দাবিটি নিয়ে সত্যতা যাচাইয়ে ওপেন সোর্স অনুসন্ধানের মাধ্যমে এডিসি হারুন অর রশীদের ছোট ভাই শরীফুল ইসলামের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুঁজে পায় রিউমর স্ক্যানার টিম।

পরবর্তীতে শরীফুল ইসলামের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট সূত্রে এডিসি হারুন ও এডিসি সানজিদা আফরিনের বিয়ের ছবি দাবিতে প্রচারিত ছবিটি সম্পর্কে জানতে তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি রিউমর স্ক্যানারকে জানান, ছবির নারীটি সানজিদা আফরিন নন। বরং ছবির নারীটি তার ভাবী ডাক্তার ফারিয়া তাসনীম।

শরীফুল ইসলামের প্রদত্ত তথ্যের সূত্রে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ২০২০ সালের ১০ জুলাই ‘ভাই ও ভাবী। অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার হারুন অর রশীদ ও ডাক্তার ফারিয়া তাসনিম। তোমাদের নতুন জীবনে শুরুতে রইল অভিনন্দন ও শুভ কামনা।’ শীর্ষক একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Facebook Post

এছাড়া ফরহাদুল ইসলাম শান্ত নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টেও একইদিনে প্রায় একই ক্যাপশনে আলোচিত ছবিটিসহ আরও একটি ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। 

Screenshot: Facebook Post

অনুসন্ধানের এ পর্যায়ে ছবিটির বিষয়ে অধিকতর নিশ্চিত হওয়ার লক্ষ্যে হারুনের সাথে বিয়ের পোশাক পরিহিত নারীটির সঙ্গে ইন্টারনেটে পাওয়া এডিসি সানজিদা আফরিনের ছবির তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। এতে দুই নারীর মুখমণ্ডলের গঠনগত পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়।

Image Analysis: Rumor Scanner

পাশাপাশি অনুসন্ধানে জাতীয় দৈনিক আজকের পত্রিকায় গত ১৪ সেপ্টেম্বর  ‘এডিসি হারুনের সঙ্গে সানজিদার বিয়ে হয়নি, তাই ছাড়াছাড়িরও প্রশ্ন নেই’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এডিসি সানজিদা আফরিনের বড় বোন হোসনে আরা কামনা জানান, রাষ্ট্রপতির এপিএস মামুনই সানজিদার স্বামী। এডিসি হারুন তাঁর কলিগ মাত্র। তাঁর সঙ্গে সানজিদার বিয়ে হয়নি। প্রতিবেদনটি থেকে আরও জানা যায়, ২০১৭ সালের ১০ মার্চ গাজীপুরের কাপাসিয়ার বাসিন্দা রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হক মামুনের সঙ্গে সানজিদা আফরিন নিপার বিয়ে হয়।

এছাড়াও সংবাদ মাধ্যমের কাছে সানজিদা আফরিন নিজেও দাবি করেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমি বুলিংয়ের শিকার হচ্ছি। অনেকে নোংরা মানসিকতার পরিচয় দিচ্ছে। একটি ছবি ছড়িয়ে দিয়ে হারুন স্যারের সঙ্গে আমার বিয়ের কল্পকাহিনি প্রচার করছে। ছবির ওই নারী আমি নই।’

মূলত, গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর শাহবাগ থানায় তুলে নিয়ে ছাত্রলীগের দুই নেতাকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠে পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে। এর আগে বারডেম হাসপাতালে ডিএমপির ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) সানজিদা আফরিনের চিকিৎসা নেওয়াকে কেন্দ্র করে এডিসি হারুনের সঙ্গে সানজিদা আফরিনের স্বামী রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হক মামুনের বাগবিতণ্ডা হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরবর্তীতে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এডিসি হারুন ও এডিসি সানজিদা আফরিনের বিয়ের ছবি দাবিতে একটি ছবি ছড়িয়ে পড়ে। তবে অনুসন্ধানে দেখা যায়, দাবিটি সঠিক নয়। এডিসি হারুনের সাথে বিয়ের পোশাক পরিহিত ঐ নারী তার স্ত্রী ডা. ফারিয়া তাসনিম। 

উল্লেখ্য, এডিসি হারুন ও এডিসি সানজিদা আফরিনের উল্লিখিত ঘটনাটির পর অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদকে প্রথমে বদলি এবং পরে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরবর্তীতে তাকে রংপুর রেঞ্জের ডিআইজির কার্যালয়ে যুক্ত করা হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে যে, এডিসি সানজিদা আফরিনকেও রংপুরে বদলি করা হয়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে বিষয়টি মিথ্যা বলে প্রতীয়মান হয়।

এ নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন দেখুন 

সুতরাং, এডিসি হারুন ও এডিসি সানজিদা আফরিনের বিয়ের ছবি দাবি করে ইন্টারনেটে প্রচারিত এই বিষয়টি মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

জাইমা রহমানের লন্ডন পলিটিক্যাল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১ম হওয়ার তথ্যটি মিথ্যা

0

সম্প্রতি, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমান লন্ডনের পলিটিক্যাল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১ম স্থান অর্জন করেছেন দাবিতে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে। 

জাইমা রহমান

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কন্যা জাইমা রহমানের লন্ডনের পলিটিক্যাল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম হওয়ার দাবিটি ভিত্তিহীন।

অনুসন্ধানে, ‘লন্ডন পলিটিক্যাল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা লন্ডনে কোনো পলিটিক্যাল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি।

মূলত, ২০২১ সালের ১৩ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কন্যা জাইমা রহমানের নামে পরিচালিত একটি ভুয়া ফেসবুক পেজে (Zaima Rahman) কোনো প্রকার তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই ‘জাইমা রহমান লন্ডনের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাজনৈতিক বিষয়ক পরীক্ষা দিয়ে বিশ্বে প্রথম হয়েছেন’ শীর্ষক তথ্যটি প্রথম প্রচার করা হয়। যা পরবর্তী সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। সাম্প্রতিক সময়ে এই বিষয়টিকেই কিছুটা বিকৃত করে জাইমা রহমান লন্ডনের পলিটিক্যাল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১ম স্থান অর্জন করেছেন দাবিতে প্রচার করা হয়। তবে লন্ডন বা অন্য কোনো দেশে এই নামে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ই নেই।

উল্লেখ্য, পূর্বেও জাইমা রহমান রাজনৈতিক বিষয়ক পরীক্ষায় বিশ্বে প্রথম হওয়ার একটি দাবি ইন্টারনেটে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে সেসময় বিষয়টিকে মিথ্যা শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।

বাংলাভিশনের ফটোকার্ড সম্পাদনার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য বিকৃত করে প্রচার

সম্প্রতি, ‘প্রশাসনের কাছে আরেকবার সুযোগ চাইলেন শেখ হাসিনা’ শীর্ষক শিরোনামে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাভিশনের আদলে তৈরি একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে। 

প্রধানমন্ত্রীর

ফেসবুকে প্রচারিত এমনকিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ‘প্রশাসনের কাছে আরেকবার সুযোগ চাইলেন শেখ হাসিনা’ শীর্ষক শিরোনামে বাংলাভিশন কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রকাশ করেনি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এমন কোনো বক্তব্য দেননি বরং  বাংলাভিশনের ফটোকার্ডটির শিরোনাম ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে’প্রশাসনের কাছে’ শীর্ষক শব্দদ্বয় যুক্ত করে এটি তৈরি করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম।

 Screenshot: Facebook

ফটোকার্ডটির উপরের বাম কোণে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাভিশন এর লোগো ব্যবহার করা হয়েছে। এই সূত্রে ধরে বাংলাভিশন এর ফেসবুক পেজ হতে একটি ফটোকার্ড সংগ্রহ করে আলোচিত ফটোকার্ডটির সাথে তূলনামূলক বিশ্লেষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। এতে বেশকিছু পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। প্রথমত আলোচিত ফটোকার্ডে ‘প্রশাসনের কাছে’ শীর্ষক শব্দদয় যে ফন্টে লেখা হয়েছে সে ফন্টের সাথে বাংলাভিশনে ব্যবহৃত ফন্টের মিল নেই। দ্বিতীয়ত বাংলাভিশন এর ফটোকার্ডের নিচে সংবাদমাধ্যমটির ওয়েবসাইটের ঠিকানা এবং ‘নিউজ লিংক কমেন্টে’ শীর্ষক বাক্য উল্লেখ থাকলেও আলোচিত ফটোকার্ডটিতে এই তথ্যগুলো অনুপস্থিত।

Photocard Comparison by Rumor Scanner

অনুসন্ধানে কি-ওয়ার্ড সার্চ পদ্ধতি ব্যবহার করে বাংলাভিশনের ওয়েবসাইট, ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ এবং  ইউটিউব চ্যানেলে সাম্প্রতিক সময়ে উক্ত তথ্য সম্বলিত কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাছাড়া, অন্যকোনো গণমাধ্যমেও প্রধানমন্ত্রীর এমন কোনো মন্তব্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

তবে বাংলাভিশনের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে গত ০২ আগস্ট ‘আরেকবার সুযোগ চাইলেন শেখ হাসিনা’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ফটোকার্ড এবং এর কমেন্টে একই শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Bangla Vision Facebook

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ০২ আগস্ট রংপুর জেলা স্কুল মাঠে রংপুর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নতির জন্য আরেকবার আওয়ামী লীগ সরকারকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় যেতে সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।

অর্থাৎ, এই ফটোকার্ডটির শিরোনাম ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনা করে ‘প্রশাসনের কাছে’ শীর্ষক শব্দদ্বয় যুক্ত করে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

Photocard Comparison by Rumor Scanner 

পাশাপাশি, উপরোক্ত বিষয়গুলো পর্যালোচনা করলে এটা স্পষ্ট যে, আলোচিত এই ফটোকার্ডটি বাংলাভিশনের নয় এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এমন কোনো বক্তব্য প্রদান করেননি।

মূলত, গত ০২ আগস্ট রংপুর জেলা স্কুল মাঠে রংপুর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নতির জন্য আরেকবার আওয়ামী লীগ সরকারকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় যেতে সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান। এবিষয়ে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাভিশন তাদের ফেসবুক পেজে ‘আরেকবার সুযোগ চাইলেন শেখ হাসিনা’ শীর্ষক শিরোনামে একটি ফটোকার্ড এবং সংবাদ প্রকাশ করে। পরবর্তীতে সেই ফটোকার্ডটির শিরোনাম ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে ‘প্রশাসনের কাছে’ শীর্ষক শব্দদয় যুক্ত করে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত আট মাসে বিভিন্ন গণমাধ্যমের নাম, লোগো, শিরোনাম এবং নকল ফটোকার্ড ব্যবহার করে অপপ্রচারের বিষয়ে বিস্তারিত ফ্যাক্ট ফাইল প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।

উল্লেখ্য, পূর্বেও বিভিন্ন গণমাধ্যমের ফটোকার্ড নকল করে মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হলে সেসময় বিষয়গুলো নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার। এমন কয়েকটি প্রতিবেদন দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে

সুতরাং, বাংলাভিশনকে উদ্ধৃত করে ‘প্রশাসনের কাছে আরেকবার সুযোগ চাইলেন শেখ হাসিনা’ শীর্ষক শিরোনামে  প্রচারিত তথ্যটি মিথ্যা এবং আলোচিত ফটোকার্ডটি এডিটেড বা বিকৃত।

তথ্যসূত্র

বিএনপিকে সমালোচনা করে দেওয়া ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যকে বিকৃত করে প্রচার

0

সম্প্রতি, “ইলেকশন হলে কী হবে সেটা বুঝতে হলে, বোঝাতে হলে কী দরকার, ইলেকশন করা। এই দেশে একশো বছরেও শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসতে পারবে না।” শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।

ওবায়দুল

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু ভিডিও দেখুন পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ)

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ‘একশো বছরেও শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসতে পারবে না’ শীর্ষক কোনো বক্তব্য দেননি বরং ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় তার পুরোনো একটি বক্তব্যের খণ্ড খণ্ড অংশ জোড়া লাগিয়ে উক্ত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটির সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ‘বাংলা ভিশন’ এর ফেসবুক পেজে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি “বিএনপিই খালেদা জিয়াকে রাজনীতিতে নিষিদ্ধ করেছে: কাদের” শীর্ষক শিরোনামে একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

Video comparison by Rumor Scanner

ভিডিওতে ৩ মিনিট ৫৫ সেকেন্ড এর দিকে ওবায়েদুল কাদেরকে “সুষ্ঠু নির্বাচন দিলে আওয়ামী লীগের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে, তাই এতো ভয়।” শীর্ষক একটি লিখিত প্রশ্ন পড়তে দেখা যায়।

পরবর্তীতে ঐ প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, “ঘোড়ার ডিম বলে না? এই কথার অর্থ ঘোড়ার ডিম।”

এছাড়া, ভিডিওতে ৪ মিনিট ১০ সেকেন্ড থেকে পরবর্তী সময়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “ইলেকশন হলে কী হবে সেটা বুঝতে হলে, বোঝাতে হলে কী দরকার, ইলেকশন করা। এই দেশে একশো বছরেও শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসতে পারবে না। এই দম্ভোক্তি করেছে আপনার নেত্রী। তিনি কোথায় আর শেখ হাসিনা কোথায়।”

অর্থাৎ, ওবায়দুল কাদের উক্ত কথা গুলো বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন।

একইদিনে ওবায়দুল কাদেরের উক্ত বক্তব্যটি ইন্ডিপেনডেন্ট টিভির ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার করে।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মহিলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

Screenshot from Independent Tv

মূলত, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মহিলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বক্তব্য প্রদানকালে বিএনপিকে নিয়ে সমালোচনা করে বলেন, “ইলেকশন হলে কী হবে সেটা বুঝতে হলে, বোঝাতে হলে কী দরকার, ইলেকশন করা। এই দেশে একশো বছরেও শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসতে পারবে না। এই দম্ভক্তি করেছে আপনার নেত্রী। তিনি কোথায় আর শেখ হাসিনা কোথায়।” সম্প্রতি সেই অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদেরের দেওয়া বক্তব্যের “এই দম্ভক্তি করেছে আপনার নেত্রী। তিনি কোথায় আর শেখ হাসিনা কোথায়।” শীর্ষক অংশ ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় বাদ দিয়ে শুধুমাত্র “ইলেকশন হলে কী হবে সেটা বুঝতে হলে, বোঝাতে হলে কী দরকার, ইলেকশন করা। এই দেশে একশো বছরেও শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসতে পারবে না।” শীর্ষক অংশটুকু বিকৃতভাবে ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে। যার ফলে আলোচিত ভিডিওটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।

প্রসঙ্গত, পূর্বেও ইন্টারনেটে একাধিকবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য বিকৃত করে প্রচার করা হলে সেসময় বিষয়গুলো নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার। প্রতিবেদন গুলো দেখুন-

সুতরাং, ‘ইলেকশন হলে কী হবে সেটা বুঝতে হলে, বোঝাতে হলে কী দরকার, ইলেকশন করা। এই দেশে একশো বছরেও শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসতে পারবে না।” শীর্ষক দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত ভিডিও সম্পূর্ণ এডিটেড বা বিকৃত।

তথ্যসূত্র

কালবেলা’র ফটোকার্ড নকল করে আমির খসরুকে নিয়ে রুমিন ফারহানার নামে ভুয়া মন্তব্য প্রচার

0

সম্প্রতি, জাতীয় দৈনিক ‘কালবেলা’র সূত্রে আমীর খসরুকে ‘অক্ষম পুরুষ’, বললেন রুমিন ফারহানা শীর্ষক তথ্য সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।

রুমিন ফারহানা

ফেসবুকে প্রচারিত এমনকিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে নিয়ে এমন কোনো মন্তব্য করেননি এবং উল্লিখিত দাবিতে কালবেলাও কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি বরং গণমাধ্যমটির আদলে তৈরি একটি ফটোকার্ড ব্যবহার করে উক্ত দাবিটি প্রচার করা হচ্ছে। 

দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত ফটোকার্ডটি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, উক্ত ফটোকার্ডটিতে কালবেলা’র লোগো এবং ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখ উল্লেখ রয়েছে।

পরবর্তীতে উল্লিখিত তথ্যের সূত্র ধরে কালবেলা’র ফেসবুক পেজ পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। অনুসন্ধানে গণমাধ্যমটির ফেসবুক পেজে গত ১৩ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত এমন কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। গণমাধ্যমটির ওয়েবসাইটেও এ সংক্রান্ত কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি। 

এ বিষয়ে জানতে কালবেলা অনলাইন বিভাগের প্রধান পলাশ মাহমুদের সাথে যোগাযোগ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। তিনি রিউমর স্ক্যানারকে বলেন, “কালবেলা কি এমন কোনো নিউজ করতে পারে? এটা মূলত, কালবেলা এখন জনপ্রিয় হওয়ায় কালবেলার পোস্টার (ফটোকার্ড) ব্যবহার করে এটা করছে যাতে মানুষকে বিভ্রান্ত করা যায়। সাইবার জগতে যারা প্রপাগাণ্ডা ছড়ায়, গুজব ছড়ায় এটা তাদের কাজ।”

তাছাড়া, অন্যান্য গণমাধ্যম এবং নির্ভরযোগ্য কোনো সূত্রেও রুমিন ফারহানা এমন মন্তব্য করেছেন শীর্ষক কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি।

পরবর্তীতে উক্ত বিষয়ে জানতে রুমিন ফারহানার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি রিউমর স্ক্যানারকে জানান, “না, এটি ফেক নিউজ। আমি এমন কোনো মন্তব্য করিনি।”

মূলত, সম্প্রতি জাতীয় দৈনিক ‘কালবেলা’র সূত্রে আমীর খসরুকে ‘অক্ষম পুরুষ’, বললেন রুমিন ফারহানা শীর্ষক তথ্য সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে। কিন্তু রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, রুমিন ফারহানা এমন কোনো মন্তব্য করেননি। কালবেলাও এমন কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি।  গণমাধ্যমটির আদলে তৈরি একটি ফটোকার্ড ব্যবহার করে উক্ত দাবিটি প্রচার করা হচ্ছে। রুমিন ফারহানাও বিষয়টি ভুয়া বলে রিউমর স্ক্যানারকে নিশ্চিত করেছেন।

উল্লেখ্য, পূর্বেও কালবেলাকে সূত্র উল্লেখ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে ভুয়া তথ্য প্রচার করা হয় এবং তা নিয়েও ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল রিউমর স্ক্যানার। এমন দুইটি প্রতিবেদন দেখুন এখানে এবং এখানে। 

প্রসঙ্গত, গত আট মাসে বিভিন্ন গণমাধ্যমের নাম, লোগো, শিরোনাম এবং নকল ফটোকার্ড ব্যবহার করে অপপ্রচারের বিষয়ে বিস্তারিত ফ্যাক্ট ফাইল প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।

সুতরাং, ‘কালবেলা’র সূত্রে আমির খসরুকে ‘অক্ষম পুরুষ’ বললেন রুমিন ফারহানা শীর্ষক দাবিতে প্রচারিত ভুয়া তথ্যটি কালবেলার আদলে তৈরি ফটোকার্ডের মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

  • Rumor Scanner’s Own Analysis 
  • Statement from Palash Mahmud 
  • Statement from Rumin Farhana

শেখ হাসিনা, তাঁর মেয়ে ও বোনের প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল লুটের দাবিতে ভুয়া চেক ভাইরাল

0

সম্প্রতি ‘পারিবারিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল লুট, হাসিনা হাতিয়ে নিয়েছে ১০০ কোটি টাকা রেহানা ১০০ কোটি টাকা পুতুল ৫০ কোটি টাকা’ শীর্ষক দাবিতে একটি ব্যাংক চেকের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনা

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট  (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও বোন শেখ রেহানার অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার দাবিতে প্রচারিত চেকটি ভুয়া। প্রকৃতপক্ষে চেকটিতে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের নাম ও নাম্বারের মিল না থাকাসহ বেশ কিছু অসংগতি পাওয়া গেছে। এছাড়া চেকটি বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের প্রণোদনার একটি চেক সম্পাদনার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে।

দাবিটি নিয়ে অনুসন্ধানের শুরুতেই রিউমর স্ক্যানার টিম চেকটিতে প্রদত্ত তথ্যসমূহ যাচাই করে। এ যাচাইয়ের কাজে ওপেন সোর্স থেকে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গকে দেওয়া একাধিক চেকের সাহায্য নেওয়া হয়।

অসংগতি ১: প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের অ্যাকাউন্ট নাম এবং নাম্বার ভুল

Image Analysis: Rumor Scanner 

‘পারিবারিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল লুট’ দাবিতে ভাইরাল চেকটি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সেখানে প্রদত্ত প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের অ্যাকাউন্ট নাম PM’s Relief Fund এবং অ্যাকাউন্ট নাম্বার দেওয়া 4435403007037। 

অপরদিকে ওপেন সোর্সে পাওয়া প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের চেক বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের অ্যাকাউন্ট নাম PRODHAN MONTRIR TRAN O KALYAN TAHABIL এবং অ্যাকাউন্ট নাম্বার হলো 0107333004093

অর্থাৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পারিবারিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল লুট দাবিতে প্রচারিত চেকটিতে প্রদত্ত প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের অ্যাকাউন্ট নাম এবং নাম্বারটি ভুল।

অসংগতি ২: একই চেকে ভিন্ন ভিন্ন অ্যাকাউন্ট নাম্বার

Image Analysis: Rumor Scanner 

অনুসন্ধানে দেখা যায়, পারিবারিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল লুট দাবিতে প্রচারিত চেকটির দুই জায়গায় অ্যাকাউন্ট নাম্বারের ভিন্নতা রয়েছে।

চেকটি বিশ্লেষণে দেখা যায়, এর একস্থানে অ্যাকাউন্ট নাম্বার রয়েছে 4435403007037। আবার এরই নিচে যে অ্যাকাউন্ট নাম্বারটি রয়েছে সেটি হলো 4435403000037। অর্থাৎ শেষ চার সংখ্যার এক জায়গায় লেখা ৭০৩৭, অন্য জায়গায় লেখা ০০৩৭। 

অসংগতি ৩: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিবের সিল ও স্বাক্ষর

পাশাপাশি ওপেন সোর্সে পাওয়া প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের চেকগুলোতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিবের সিল ও স্বাক্ষর লক্ষ্য করা যায়, যা আলোচিত চেকটিতে অনুপস্থিত।

Image Analysis: Rumor Scanner 

অসংগতি ৪: চেকে উল্লিখিত ব্যাংকের শাখায় বিভ্রান্তি 

আলোচিত চেকটিতে দেখা যায়, সেখানে সোনালী ব্যাংকের শাখা উল্লেখ করা হয়েছে তেজগাঁও শাখা, ঢাকা। 

Image Analysis: Rumor Scanner 

তবে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যান তহবিলের প্রকৃত চেকগুলোতে সোনালী ব্যাংকের শাখা উল্লেখ করা আছে প্রাইম মিনিস্টার অফিস কর্পোরেট, ঢাকা।

অসংগতি ৫: চেকে ভাষাগত অসংগতি 

চেকটি নিয়ে বিশ্লেষণে দেখা যায়, চেকটিতে সহায়তা গ্রহণকারীর নাম অর্থাৎ শেখ হাসিনার নাম ও অর্থের পরিমাণ ইংরেজিতে উল্লেখ রয়েছে। 

Image Analysis: Rumor Scanner 

তবে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের প্রাপ্ত চেকগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সেখানে এই তথ্যগুলো বাংলায় উল্লেখ থাকে। 

অসংগতি ৬: চেকে উল্লিখিত অর্থের সাথে দাবিকৃত অর্থের পরিমাণে অসংগতি

উক্ত চেক সম্বলিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত পোস্টগুলোর দাবি অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী, তার মেয়ে ও বোন তিনজনে ত্রাণ তহবিল থেকে সর্বমোট ২৫০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তবে চেকটি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সেখানে অর্থের পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে একশো কোটি টাকা। 

Image Analysis: Rumor Scanner 

এছাড়া চেকটিতে প্রদত্ত তারিখ অনুযায়ী এই ঘটনা গত ২২ আগস্টের। তবে এ নিয়ে অনুসন্ধানে কোনো নির্ভরযোগ্য গণমাধ্যম সূত্রে এমন কোনো তথ্য কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি।

চেকটি আসলে কার?

রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে চলতি বছরের গত ২৪ মে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে ‘ঢাকা আইনজীবী সমিতিকে ছয় কোটি সত্তর লক্ষ পনের হাজার আটশত পঁচাত্তর টাকার আইনজীবী প্রণোদনার চেক প্রদানের মাধ্যমে বার কাউন্সিল হতে প্রণোদনা অর্থ বিতরণ শুরু হল‘ শীর্ষক শিরোনামে একটি বিজ্ঞপ্তি খুঁজে পাওয়া যায়। 

Screenshot: Bangladesh Bar Council

এই বিজ্ঞপ্তিতে ব্যবহৃত চেকের ছবিটির সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পারিবারিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল লুট দাবিতে প্রচারিত চেকটির অ্যাকাউন্ট নাম্বার ও স্বাক্ষরের হুবহু মিল খুঁজে পাওয়া যায়। 

উল্লেখ্য, একই চেক সম্পাদনা করে ইতোপূর্বে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নামে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে চিকিৎসা সহায়তা নেওয়ার দাবিতেও প্রচার করা হয়েছিল। যেসব বিষয় নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার টিম। 

ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন দুইটি দেখুন 

মূলত, গত আগস্টে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা নিতে যাওয়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ৫০ লাখ টাকা চিকিৎসা সহায়তা বিদেশ ভ্রমণে গিয়েছেন এমন দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি চেকের ছবি ছড়িয়ে পড়ে। যা অনুসন্ধানে ভুয়া হিসেবে প্রমাণিত হয়। পরবর্তীতে একই চেক একই দাবিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নামেও প্রচার করা হয়। সম্প্রতি এই চেকটিই আবার ঈষৎ সম্পাদনা করে  প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও বোন শেখ রেহানার অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে। 

সুতরাং, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার মেয়ে ও বোনের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত চেকটি ভুয়া এবং উল্লিখিত দাবিটি মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

জাস্টিন ট্রুডোর সাথে তারেক রহমানের ভাইরাল এই সেলফিটি এডিটেড

0

সম্প্রতি, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সেলফি তুলেছেন দাবিতে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে। 

তারেক রহমান

ফেসবুকে প্রচারিত সাম্প্রতিক কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সাথে তারেক রহমানের ভাইরাল এই সেলফিটি আসল নয় বরং ইন্টারনেট থেকে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সাথে জাস্টিন ট্রুডোর তোলা একটি সেলফি সংগ্রহ করে তা এডিটের মাধ্যমে সেখানে বারাক ওবামার স্থানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মাথা বসিয়ে উক্ত ছবিটি তৈরি করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে কানাডার গণমাধ্যম CBC এর ওয়েবসাইটে ২০১৯ সালের ১৭ অক্টোবর ‘Do celebrity endorsements turn into votes on election day?’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জাস্টিন ট্রুডোর আলোচিত ছবির অনুরূপ একটি ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। এই ছবিটিতে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সাথে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে দেখা যায়।

Screenshot: CBC

প্রতিবেদনে উল্লেখিত ছবিটির বিস্তারিত বিবরণী থেকে রয়টার্সের সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৯ জুন কানাডার অটোয়াতে নর্থ আমেরিকান লিডার’স সামিটে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সাথে এই সেলফিটি তুলেছিলেন।

এই ছবিটির সাথে তারেক রহমানের সাথে জাস্টিন ট্রুডোর সেলফি দাবিতে প্রচারিত সেলফিটির মিল রয়েছে। এই দুই সেলফির পোশাক এবং ব্যাকগ্রাউন্ডের হুবহু মিল পাওয়া যায়।

Image Comparison by Rumor Scanner  

পরবর্তীতে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে ২০১৬ সালের ৩০ জুন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর এক্স অ্যাকাউন্টেও (সাবেক টুইটার) ট্রুডোর সাথে ওবামার এই সেলফিটি খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: X (Former Twitter)

অর্থাৎ, উপরোক্ত বিষয়গুলো পর্যালোচনা করলে এটা স্পষ্ট যে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সাথে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভাইরাল এই সেলফিটি বিকৃত।

মূলত, ২০১৬ সালে কানাডার অটোয়াতে নর্থ আমেরিকান লিডার’স সামিটে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সাথে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো একটি সেলফি তুলেছিলেন। এই দুই রাষ্ট্রনেতার সেসময়ে তোলা সেলফিটি ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করে সেখানে বারাক ওবামার স্থানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মাথা বসিয়ে উক্ত সেলফিটি তৈরি করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, পূর্বেও বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ছবি ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় এডিট করে প্রচার করা হলে সেগুলো শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার। এমন দুইটি প্রতিবেদন দেখুন এখানে এবং এখানে

উল্লেখ্য, সম্প্রতি তারেক রহমানের ঘোড়ার পিঠে চড়ার ছবি দাবিতে একটি এডিটেড ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষিতে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।

সুতরাং, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সাথে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভাইরাল এই সেলফিটি এডিটেড বা বিকৃত। 

তথ্যসূত্র