Home Blog Page 594

দক্ষিণ ভারতীয় অভিনেত্রী সাই পল্লবীর সাথে পরিচালক পেরিয়াসামির বিয়ের গুজব

0

সম্প্রতি, দক্ষিণ ভারতীয় অভিনেত্রী সাই পল্লবী এবং পরিচালক রাজকুমার পেরিয়াসামির গলায় মালা পরিহিত একটি ছবিকে তাদের বিয়ের ছবি দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।

সাই পল্লবী

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আলোচিত এই ছবিটি দক্ষিণ ভারতীয় অভিনেত্রী সাই পল্লবী এবং পরিচালক রাজকুমার পেরিয়াসামির বিয়ের ছবি নয় বরং এটি সাই পল্লবীর পরবর্তী চলচ্চিত্র SK21-এ চুক্তিবদ্ধ হওয়ার সময়ে তোলা ছবি।

অনুসন্ধানের শুরুতে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে ভারতের তামিল সংবাদমাধ্যম Dinamani এর ওয়েবসাইটে গত ১২ আগস্ট প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে আলোচিত ছবিটির অনুরূপ একটি ছবি খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Dinamani News

সেখানে উল্লিখিত বিস্তারিত বিবরণী থেকে জানা যায়, পরিচালক রাজকুমার পেরিয়াসামির SK21 চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার সময়ে পেরিয়াসামি এবং সাই পল্লবীর এই ছবিটি তোলা হয়। এই চলচ্চিত্রটিতে সাই পল্লবীর বিপরীতে অভিনয় করবেন অভিনেতা শিবাকার্তিকেয়ন।

পরবর্তীতে, রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে পরিচালক রাজকুমার পেরিয়াসামির ভেরিফাইড এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে গত ০৯ মে সাই পল্লবীর জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে দেওয়া একটি পোস্টে দুই জনের বেশ কিছু ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। এই পোস্টের কোথাও তাদের বিয়ে সম্পর্কিত কোন বিষয়ের কথা পাওয়া যায়নি। 

Screenshot: Rajkumar Periasamy X(Former Twitter)

এই ছবিগুলোর মধ্যে আলোচিত ছবিটির পূর্ণদৈর্ঘ্যের মূল ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Rajkumar Periasamy X(Former Twitter)

অর্থাৎ, উপরোক্ত বিষয়গুলো পর্যালোচনা করলে এটা স্পষ্ট যে, আলোচিত এই ছবিটি তাদের বিয়ের কোনো ছবি নয়।

তাছাড়া, রাজকুমার পেরিয়াসামি আগে থেকেই বিবাহিত। তিনি ২০১৮ সালে যশ্বিনি নামের এক নারীকে বিয়ে করেছেন।

পাশাপাশি, ভারতীয় গণমাধ্যম বা অন্যকোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে দক্ষিণ ভারতীয় অভিনেত্রী সাই পল্লবী এবং পরিচালক রাজকুমার পেরিয়াসামির বিয়ের বিষয়ে কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

মূলত, চলতি বছরের মে মাসে দক্ষিণ ভারতীয় অভিনেত্রী সাই পল্লবী পরিচালক রাজকুমার পেরিয়াসামির চলচ্চিত্র SK21 এ চুক্তিবদ্ধ হন। সেসময়ে এই মুভির কলাকুশলীদের সাথে সাই পল্লবী বেশকিছু ছবি তোলেন। সাই পল্লবীর সাথে পরিচালক রাজকুমার পেরিয়াসামির গলায় মালা পরিহিত একটি ছবিও তখন তোলা হয়৷ সম্প্রতি, সেই ছবিটি ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করে ক্রপ করে এই দুই তারকার বিয়ের ছবি দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, পূর্বেও অভিনেত্রী সাই পল্লবী মুসলিম হওয়ার গুজব ছড়িয়ে পড়লে তা শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।

সুতরাং, চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার সময়ে তোলা দক্ষিণ ভারতীয় অভিনেত্রী সাই পল্লবী এবং পরিচালক রাজকুমার পেরিয়াসামির গলায় মালা পরিহিত একটি ছবিকে তাদের বিয়ের ছবি দাবিতে ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

‘এক দফা এক দাবি শেখ হাসিনা কবে যাবি’ শীর্ষক স্লোগান সম্বলিত প্রচারিত এই ভিডিওটি এডিটেড

0

সম্প্রতি, ‘এক দফা এক দাবি শেখ হাসিনা কবে যাবি’ শীর্ষক শীরোনামে এক তরুণীর নেতৃত্বে এক দল তরুণীর স্লোগানের একটি ভিডিও শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম টিকটক এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।

এক দফা এক দাবি

ফেসবুকে প্রচারিত এমন ভিডিও দেখুন পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ)

টিকটকে প্রচারিত এমন ভিডিও দেখুন পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ)।

ভিডিওতে যা বলতে শোনা যাচ্ছে

‘ভেঙ্গে দাও- গুড়িয়ে দাও, ভোট ডাকাতদের আস্তানা, ভেঙ্গে দাও- গুড়িয়ে দাও, আওয়ামী লীগের আস্তানা, ভেঙ্গে দাও- গুড়িয়ে দাও, এক দফা এক দাবি, শেখ হাসিনা কবে যাবি। হাসিনা তুই এখন যাবি, এক দফা এক দাবি।’

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ‘এক দফা এক দাবি শেখ হাসিনা কবে যাবি’ শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত ভিডিওটি এডিটেড। প্রকৃতপক্ষে ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত ভিন্ন একটি ভিডিও থেকে অডিও যুক্ত করে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় উক্ত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে। 

ভিডিও যাচাই

ভিডিওটির কিছু কি-ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে জাতীয় দৈনিক ‘সমকাল’ এর ফেসবুক পেজে গত ১ সেপ্টেম্বর “ছাত্র সমাবেশে ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগ নেত্রীদের মিছিল-স্লোগান” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত ভিডিওর একটি অংশের সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর হুবহু মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

Video Comparison by Rumor Scanner

ভিডিওতে ইডেন মহিলা শাখা ছাত্রলীগ কর্মীদের “জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ, নেতা মোদের শেখ মুজিব। ইডেন কলেজের মাটি, ছাত্রলীগের ঘাঁটি। … কোনো নেত্রী আছে? আছে। কোন সে নেত্রী? শেখ হাসিনা, শেখ হাসিনা। ইডেন কলেজ, শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা, ইডেন কলেজ। বার বার দরকার, শেখ হাসিনা সরকার। উন্নয়নের সরকার, বার বার দরকার। মেট্রোরেলের সরকার, বার বার দরকার।” শীর্ষক স্লোগান দিতে শোনা যায়। 

সমকালের উক্ত ভিডিওর সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে মূলধারার সংবাদমাধ্যম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড এর ওয়েবসাইটে গত ০১ সেপ্টেম্বর “সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের সমাবেশ আজ, চলছে নেতাকর্মীদের স্লোগান” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, গত ১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কর্তক ছাত্রসমাবেশের আয়োজন করা হয়। উক্ত সমাবেশের প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

অডিও যাচাই

এক দফা এক দাবি শেখ হাসিনা কবে যাবি শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত ভিডিওটির অডিও অনুসন্ধানে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধানে ‘ঝরনা চৌধুরী’ নামক একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে গত ২৬ আগস্ট প্রকাশিত ভিডিওর অডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির অডিওর মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

ভিডিওটি বিশ্লেষণ করে দেখা যায় এটি বিএনপি কর্তৃক আওয়ামী লীগের বিপক্ষে আন্দোলনের ভিডিও। উক্ত ভিডিওর ১ থেকে ১৮ সেকেন্ড পর্যন্ত এক তরুণীর নেতৃত্ব একদল নেতা-কর্মীকে স্লোগান দিতে দেখা যায়। স্লোগানে বলতে শোনা যায়, “ভেঙ্গে দাও- গুড়িয়ে দাও, ভোট ডাকাতদের আস্তানা, ভেঙ্গে দাও- গুড়িয়ে দাও, আওয়ামী লীগের আস্তানা, ভেঙ্গে দাও- গুড়িয়ে দাও,। এক দফা এক দাবি, শেখ হাসিনা কবে যাবি। হাসিনা তুই এখন যাবি, এক দফা এক দাবি।”

অর্থাৎ, গত ১ সেপ্টেম্বর সমকালের ফেসবুক পেজে প্রচারিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কর্তৃক আয়োজিত ছাত্রসমাবেশে ইডেন মহিলা কলেজ শাখা ছাত্রলীগ কর্মীদের স্লোগানের ভিডিও সংগ্রহ করে বিএনপি কর্তৃক আওয়ামী লীগের বিপক্ষে আন্দোলনের স্লোগানের পুরোনো একটি ভিডিওর অডিও অংশ ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে আলোচিত ভিডিওতে জুড়ে দেওয়া হয়েছে।

মূলত, গত ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কর্তৃক আয়োজিত ছাত্রসমাবেশে ইডেন মহিলা কলেজ শাখা ছাত্রলীগ কর্মীদের শেখ হাসিনা সরকারকে সমর্থন জানিয়ে দেওয়া স্লোগানের অডিও আওয়ামী লীগের বিপক্ষে বিএনপির আন্দোলনে দেওয়া স্লোগানে বিএনপির নেতা কর্মীদের “এক দফা এক দাবি হাসিনা তুই এখন যাবি, এক দফা এক দাবি হাসিনা তুই কবে যাবি?” শীর্ষক স্লোগানের অডিও যুক্ত করে আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, পূর্বে ছাত্রলীগ নেত্রীদের স্লোগান বিকৃত করে প্রচার করা হলে বিষয়টি শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার। প্রতিবেদনটি দেখুন-

সুতরাং, ‘এক দফা এক দাবি শেখ হাসিনা কবে যাবি’ শীর্ষক স্লোগান শিরোনামে  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত এই ভিডিওটি সম্পূর্ণ এডিটেড বা বিকৃত।

তথ্যসূত্র

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্ট থেকে ডলার গায়েবের ঘটনা ঘটেনি

0

সম্প্রতি, “বাংলাদেশ ব্যাংকের ভোল্ট থেকে ডলার গায়েব! পরিমাণ কত এখনো জানা যায়নি” শীর্ষক একটি দাবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।

ফেসবুকে প্রচারিত কিছু ফেসবুক পোস্ট দেখুন পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ) এবং পোস্ট (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্ট থেকে ডলার গায়েব হওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি বরং নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্যসূত্র ছাড়াই ভিত্তিহীনভাবে আলোচিত এই দাবিটি ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে উক্ত দাবিতে প্রচারিত পোস্টগুলো বিশ্লেষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। ফেসবুকের নিজস্ব মনিটরিং টুলস ক্রাউডট্যাংগেল ব্যবহার করে জানা যায়, Maruf Sikder’ নামক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্ট থেকে ডলার গায়েব শীর্ষক দাবিতে সম্ভাব্য প্রথম পোস্টটি খুঁজে পাওয়া যায়। লক্ষ্য করে দেখা যায়, উক্ত পোস্ট তিনি কোনো তথ্যসূত্র ব্যবহার করা হয়নি।

Screenshot from facebook

এছাড়া একই দাবিতে অন্যান্য ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রচারিত পোস্টে কোনো তথ্যসূত্র খুঁজে পাওয়া যায়নি।

পরবর্তীতে দাবিটি নিয়ে অধিকতর অনুসন্ধানে প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমেও দেশের কোনো নির্ভরযোগ্য গণমাধ্যম সূত্রেও বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্ট থেকে ডলার গায়েব হওয়ার ব্যাপারে কোনো তথ্যের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশ ব্যাংকে পূর্বে অর্থাৎ ২০১৬ সালে রিজার্ভ চুরির ঘটনা ঘটেছিল। তবে তা ভল্ট থেকে নয়। এ বিষয়ে জাতীয় দৈনিক ‘প্রথম আলো’ এর অনলাইন ভার্সনে ২০১৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন এখানে।  

মূলত, সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্ট থেকে ডলার গায়েব শীর্ষক একটি দাবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়তে দেখেছে রিউমর স্ক্যানার। তবে অনুসন্ধানে দেখা যায়, দাবিটি সঠিক নয়। উক্ত দাবিতে প্রচারিত পোস্টগুলো কোনো প্রকার তথ্যসূত্র ছাড়াই প্রচার করা হয়েছে। তাছাড়া, গণমাধ্যমেও এ সংক্রান্ত কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি। 

উল্লেখ্য, গত ০৩ সেপ্টেম্বর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শুল্ক বিভাগের গুদামে থাকা লকার থেকে ৫৫ কেজির বেশি স্বর্ণ চুরির ঘটনা ঘটে।

প্রসঙ্গত, পূর্বে বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ে ইন্টারনেটে ভুল তথ্য প্রচার করা হলে সেই বিষয়গুলো চিহ্নিত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার। প্রতিবেদন গুলো দেখুন,

সুতরাং, বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্ট থেকে ডলার গায়েব শীর্ষক একটি দাবি ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

৫০ হাজার নয়, এশিয়া কাপ ফাইনালে ম্যাচসেরার উপহার পাঁচ হাজার ডলার মাঠকর্মীদের দিয়েছেন ভারতের সিরাজ

0

সম্প্রতি, চলতি বছরের এশিয়া কাপে ভারত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ম্যান অফ দা ম্যাচের পুরো ৫০ হাজার ডলার মাঠকর্মীদের উপহার দিয়েছেন ভারতের ক্রিকেটার মোহাম্মদ সিরাজ শীর্ষক একটি দাবি ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।

ম্যাচসেরার উপহার

ফেসবুক প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ)।

সিরাজ সাড়ে ৫ কোটি টাকা উপহার দিয়েছেন এমন দাবিতে ফেসবুক পোস্ট দেখুন পোস্ট (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, মোহাম্মদ সিরাজের ৫০ হাজার ডলার মাঠকর্মীদের উপহার দেওয়ার দাবিটি সত্য নয় বরং সিরাজ সেদিন প্রাইজমানি হিসেবে পাঁচ হাজার ডলার পান এবং সেই টাকা তিনি মাঠকর্মীদের উপহার দেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া তথ্যটির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে ভারতীয় গণমাধ্যম ‘The Statesman’ এর ওয়েবসাইটে গত ১৭ সেপ্টেম্বর “Asia Cup: Siraj dedicates MoM prize money worth Rs 4.15 lakh to Colombo ground staff” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি সংবাদ প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot from ‘The Statesman’

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা এশিয়া কাপ ফাইনাল-২০২৩ এ প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ হয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটার মোহাম্মদ সিরাজ। প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচের প্রাইজমানি হিসেবে তিনি পাঁচ হাজার ডলার পেয়েছিলেন এবং সেই সম্পূর্ণ টাকা তিনি মাঠকর্মীদের উপহার দিয়ে দেন।

ক্রিকেট বিষয়ক গণমাধ্যম ‘ESPN CricInfo’ এর ওয়েবসাইটে একইদিন (১৭ সেপ্টেম্বর) “They deserve it fully’ – Siraj donates Asia Cup final prize money to groundspersons” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনেও একই তথ্য উল্লেখ রয়েছে। 

Screenshot from ESPNCricinfo

এছাড়া উক্ত প্রতিবেদন আরও জানা যায়, পুরো এশিয়া কাপে মাঠকর্মীদের অবদানস্বরূপ এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল এর পক্ষ থেকে তাদের ৫০ হাজার ডলার উপহার দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে আরো অনুসন্ধান করে ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সিরাজের দেওয়া বক্তব্য থেকেও বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। ভিডিওটি দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)। 

মূলত, গত ১৭ সেপ্টেম্বর ভারত বনাম শ্রীলঙ্কার মধ্যকার এশিয়া কাপ ফাইনাল-২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়। সেই ম্যাচে ভারতের ক্রিকেটার মোহাম্মদ সিরাজ প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ হিসেবে পাঁচ হাজার ডলার প্রাইজমানি পান। সিরাজ তার এই পুরস্কারের পুরো অংশ মাঠকর্মীদের উপহার দেওয়ার ঘোষণা দেন। কিন্তু ফেসবুকে দাবি করা হয়েছে, সিরাজ ৫০ হাজার ডলার মাঠকর্মীদের উপহার দিয়েছেন, যা সত্য নয়। তবে এই টুর্নামেন্টে মাঠকর্মীদের উল্লেখযোগ্য অবদান থাকার কারণে খেলা শেষে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল এর পক্ষ থেকে তাদের জন্য ৫০ হাজার ডলার পুরষ্কার ঘোষণা করা হয়।

উল্লেখ্য, ১৭ সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত ভারত বনাম শ্রীলঙ্কার মধ্যকার এশিয়া কাপ ফাইনাল-২০২৩ খেলায় ভারত ১০ উইকেটে জয় লাভ করে।

প্রসঙ্গত, পূর্বে ভারতীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে ইন্টারনেটে ভুল তথ্য প্রচার করা হলে বিষয়টি শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার। এমন কিছু প্রতিবেদন দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে

সুতরাং, ভারতের ক্রিকেটার মোহাম্মদ সিরাজ এশিয়া কাপে প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচের প্রাইজমানি হিসেবে পাওয়া পাঁচ হাজার ডলার মাঠকর্মীদের উপহার দেওয়ার তথ্যকে ৫০ হাজার ডলার উপহার দিয়েছেন শীর্ষক দাবিতে ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

কালবেলার নকল ফটোকার্ডে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা রাকিবকে জড়িয়ে প্রচারিত তথ্যটি অধিকাংশ মিথ্যা

0

সম্প্রতি ‘বিএনপির ছাত্রদল নেতার জন্মদিন পালন করতে কুড়িগ্রামে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল হাসান রাকিব’ শীর্ষক শিরোনামে জাতীয় দৈনিক কালবেলার আদলে তৈরি একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন পোস্ট  (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ছাত্রদল নেতার জন্মদিন পালন করতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতার কুড়িগ্রামে যাওয়ার দাবিতে  দৈনিক কালবেলার নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি ভুয়া। এছাড়া রাব্বি ইসলাম বাঁধন পূর্বে ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলেও বর্তমানে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।

কালবেলার ফটোকার্ডটি বানোয়াট 

অনুসন্ধানের শুরুতে ফেসবুকে প্রচারিত কালবেলার ফটোকার্ডটির সত্যতা সম্পর্কে যাচাইয়ে দেখা যায়, ফটোকার্ডটিতে ১৬ সেপ্টেম্বর তারিখ উল্লেখ রয়েছে। 

এই তারিখ সূত্রে কালবেলার ফেসবুক পেজ কালবেলা নিউজ, কালবেলা অনলাইনকালবেলা ওয়ার্ল্ড ঘুরে উক্ত তারিখে গণমাধ্যমটি কর্তৃক প্রকাশিত এমন কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি।  

এছাড়া ফটোকার্ডটিতে ব্যবহৃত ফন্টের সাথে কালবেলার ফেসবুক পেজে প্রকাশিত ফটোকার্ড বিশ্লেষণ করে দুই ফটোকার্ডে ব্যবহৃত ফন্টে বৈসাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়।

Photocard Comparison by Rumor Scanner

এসব থেকে প্রতীয়মান হয় যে,  ছাত্রদল নেতার জন্মদিন পালন করতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতার কুড়িগ্রামে যাওয়ার দাবিতে দৈনিক কালবেলার নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি ভুয়া।

রাব্বি ইসলাম বাঁধনের রাজনৈতিক পরিচয়

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত পোস্টগুলোর সূত্রে দেখা যায়, রাব্বি ইসলাম বাঁধনকে কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রদলের ১নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দাবি করা হচ্ছে।

এ নিয়ে অনুসন্ধানে ২০১৭ সালের ২৩ এপ্রিল জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের তৎকালীন সভাপতি রাজিব আহসান ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আকরামুল হাসান স্বাক্ষরিত কুড়িগ্রাম জেলা শাখা ছাত্রদলের একটি তালিকা খুঁজে পাওয়া যায়। এ তালিকাটি খুঁজে দেখা যায়, এতে ৫ নং যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে রাব্বি ইসলাম বাঁধনের নাম রয়েছে। 

Image: collected from facebook

এছাড়া সে সময়ে একইদিনে অনলাইন পোর্টাল জাগো নিউজে ‘ছাত্রদলের ৭ ইউনিটের নতুন কমিটি ঘোষণা’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনেও ৫ নং যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে তার নাম খুঁজে পাওয়া যায়। পাশাপাশি ২০১৮ সালে ঘোষিত জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কুড়িগ্রাম জেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটিতেও  (আর্কাইভ) ৫ নং যুগ্ম সম্পাদক হিসেবেই তার নাম খুঁজে পাওয়া যায়।

Image: collected from facebook

অর্থাৎ রাব্বি ইসলাম বাঁধন কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রদলের ১নং যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন না। তবে এ পর্যন্ত অনুসন্ধানে প্রতীয়মান হয় যে, রাব্বি ইসলাম বাঁধন নামে এক ব্যক্তি কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রদলের একজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

পরবর্তীতে রাব্বি ইসলাম বাঁধন নামের এই ব্যক্তিই সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত রাব্বি ইসলাম বাঁধন কিনা সে বিষয়ে অধিকতর নিশ্চয়তার জন্য অনুসন্ধানে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি ও কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য আল আমিনের ‘ভুরুঙ্গামারী‌তে আমরাই ছাত্রদল প‌রিবারের একাংশ’ শীর্ষক একটি পোস্টে  রাব্বি ইসলাম বাঁধনের একটি ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। 

Screenshot: Facebook post 

এছাড়া জেলা ছাত্রদলের নতুন কমিটি ঘোষণায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব তারেকসহ ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অভিনন্দন জানিয়ে করা জেলা ছাত্রদলের কর্মসূচিতে রাব্বি ইসলাম বাঁধনের একটি ছবি খুঁজে পাওয়া যায়, যেটি সেসময় জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আমিমুল ইহছান তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টেই পোস্ট করেছিলেন।

Screenshot: Facebook post 

এসব পোস্ট থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়, কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রদলের কমিটিতে থাকা রাব্বি ইসলাম বাঁধনই আলোচিত রাব্বি ইসলাম বাঁধন। 

অপরদিকে বাঁধনের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক কার্যক্রম নিয়ে অনুসন্ধানে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ঘুরে দেখা যায়, তিনি অন্তত ২০২২ সাল থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত। 

Screenshot: Facebook post  

তার ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টতা সম্পর্কিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে  (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে  (আর্কাইভ)। 

এছাড়া কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি রাজু আহমেদ কর্তৃক ২০২২ সালে রাব্বি ইসলাম বাঁধনকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

এসব পোস্ট থেকে প্রতীয়মান তিনি পূর্বে ছাত্রদলের রাজনীতি ও সংগঠনটির কুড়িগ্রাম জেলা শাখার ৫ নং যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও বর্তমানে তিনি সক্রিয়ভাবে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত। 

মূলত, গত ১৫ সেপ্টেম্বর কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগ কর্মী রাব্বি ইসলাম বাঁধনের জন্মদিন ছিল। তার এ জন্মদিনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহ সভাপতি রাকিবুল হাসান রাকিব। তার এ উপস্থিতিকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জাতীয় দৈনিক কালবেলার আদলে তৈরি একটি ফটোকার্ড সূত্রে ছাত্রদল নেতার জন্মদিন পালন করতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতার কুড়িগ্রামে যাওয়ার একটি দাবি ছড়িয়ে পড়ে। তবে অনুসন্ধানে দেখা যায়, উক্ত দাবিতে কালবেলাকে উদ্ধৃত করে প্রচারিত ফটোকার্ডটি ভুয়া। পাশাপাশি ফটোকার্ডটিতে যে ব্যক্তিকে ছাত্রদল নেতা হিসেবে দাবি করা হয়েছে তার প্রসঙ্গে জানা যায়, তিনি পূর্বে ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলেও অন্তত ২০২২ সাল থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। 

সুতরাং, ছাত্রদল নেতার জন্মদিন পালন করতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল হাসান রাকিবের কুড়িগ্রামে গিয়েছেন দাবিতে দৈনিক কালবেলাকে উদ্ধৃত করে প্রচারিত ফটোকার্ডটি ভুয়া এবং প্রচারিত ফটোকার্ডে উল্লিখিত তথ্যটি অধিকাংশ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

কালবেলা’র ফটোকার্ড নকল করে প্রধানমন্ত্রীর নামে ভুয়া তথ্য প্রচার

0

সম্প্রতি, জাতীয় দৈনিক ‘কালবেলা’র সূত্রে সরকারি ওয়েবসাইটে প্রধানমন্ত্রীর নামের পাশে ‘ভোট চোর’ শীর্ষক তথ্য বা শিরোনামে একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, সরকারি ওয়েবসাইটে প্রধানমন্ত্রীর নামের পাশে ‘ভোট চোর’ শীর্ষক শিরোনামে দৈনিক কালবেলা কোনো ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি এবং বাস্তবে এমন কোনো ঘটনাও ঘটেনি বরং গত ১৭ সেপ্টেম্বর কালবেলার ফেসবুক পেজে ‘সরকারি ওয়েবসাইটে চেয়ারম্যানের নামের পাশে ‘ভোট চোর’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত ফটোকার্ডের শিরোনাম বিকৃত করে উক্ত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে কালবেলার আদলে তৈরি আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। সেখানে এই সংবাদটি প্রচারের তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩।

Screenshot: Facebook

দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে ফটোকার্ডটিতে থাকা তারিখ এবং কালবেলার লোগোর সূত্র ধরে কালবেলার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে ১৭ সেপ্টেম্বর প্রচারিত ফটোকার্ডগুলো পর্যালোচনা করে উক্ত শিরোনাম বা তথ্য সম্বলিত কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়াও কালবেলার ওয়েবসাইট কিংবা অন্যকোনো গণমাধ্যমেও উক্ত দাবিতে প্রচারিত কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি। 

তবে  একই দিনে কালবেলার ফেসবুক পেজে সরকারি ওয়েবসাইটে চেয়ারম্যানের নামের পাশে ‘ভোট চোর’ শীর্ষক শিরোনাম বা তথ্য সম্বলিত একটি ফটোকার্ড এবং এর কমেন্টে একই শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Facebook

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে স্থানীয় এক তথ্যপ্রত্যাশী জাতীয় তথ্য বাতায়নের লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চরমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের অপশনে প্রবেশ করলে পরিষদের চেয়ারম্যানের নামের পাশে ‘ভোট চোর’ শব্দটি দেখতে পান। পরে তিনি তার নিজের ফেসবুক আইডিতে এ সংক্রান্ত একটি স্ট্যাটাস দিলে তা মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়, যা নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। 

অর্থাৎ, কালবেলার ফেসবুক পেজে ১৭ সেপ্টেম্বর প্রচারিত এই ফটোকার্ডটির শিরোনাম এবং ছবি এডিট করে তাতে ‘সরকারি ওয়েবসাইটে প্রধানমন্ত্রীর নামের পাশে ‘ভোট চোর’ শীর্ষক শিরোনাম ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি যুক্ত করে আলোচিত ফটোকার্ডটি প্রচার করা হচ্ছে।

 Photocard Comparison by Rumor Scanner 

মূলত, গত ১৫ সেপ্টেম্বর লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের  এক তথ্যপ্রত্যাশী জাতীয় তথ্য বাতায়নের উপজেলার চরমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের অপশনে প্রবেশ করলে পরিষদের চেয়ারম্যানের নামের পাশে ‘ভোট চোর’ শব্দটি দেখতে পান। পরে তিনি তার নিজের ফেসবুক আইডিতে উক্ত তথ্যটি জানিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন।এরই প্রেক্ষিতে ১৭ সেপ্টেম্বর দৈনিক পত্রিকা কালবেলার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ‘সরকারি ওয়েবসাইটে চেয়ারম্যানের নামের পাশে ভোট চোর’ শীর্ষক শিরোনামে একটি ফটোকার্ড প্রচারিত হয়। পরবর্তীতে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় উক্ত ফটোকার্ডের শিরোনাম এবং ছবি বিকৃতের মাধ্যমে ‘সরকারি ওয়েবসাইটে প্রধানমন্ত্রীর নামের পাশে ‘ভোট চোর’ শীর্ষক শিরোনামে কালবেলার ফটোকার্ড দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়।

উল্লেখ্য, পূর্বেও কালবেলাকে সূত্র উল্লেখ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে ভুয়া তথ্য প্রচার করা হয় এবং তা নিয়েও ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল রিউমর স্ক্যানার। এমন তিনটি প্রতিবেদন দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে

সুতরাং, মূলধারার গণমাধ্যম কালবেলাকে উদ্ধৃত করে ‘সরকারি ওয়েবসাইটে প্রধানমন্ত্রীর নামের পাশে ‘ভোট চোর’ শীর্ষক দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত তথ্যটি মিথ্যা এবং উক্ত দাবিতে প্রচারিত ফটোকার্ডটি এডিটেড বা বিকৃত। 

তথ্যসূত্র

বিএনপিকে সমালোচনা করে দেওয়া শামীম ওসমানের বক্তব্যকে বিকৃতভাবে প্রচার

0

সম্প্রতি, “হরে কৃষ্ণ হরে রাম শেখ হাসিনার বাবার নাম” শীর্ষক একটি বক্তব্য নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান দিয়েছেন দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।

শামীম উসমান

ফেসবুক প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ) এবং পোস্ট (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান ‘হরে কৃষ্ণ হরে রাম শেখ হাসিনার বাবার নাম’ শীর্ষক কোনো বক্তব্য দেননি বরং ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় তার পুরোনো একটি বক্তব্যের খণ্ড খণ্ড অংশ জোড়া লাগিয়ে উক্ত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া তথ্যটির মূল সূত্র অনুসন্ধানে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে জাতীয় দৈনিক ‘কালবেলা’ এর ফেসবুক পেজে গত ১৬ সেপ্টেম্বর “প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধুকে গালি কোনোভাবেই মেনে নিবো না-শামীম ওসমান” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot from Facebook

ভিডিওটিতে শামীম ওসমানকে বলতে দেখা যায়, “আমাদেরকে গালি দেক, যারা আমাদেরকে মেরেছে ১৪ বছর হয়ে গেছে কাউকে ফুলের টোকা দেই নাই। কিন্তু শেখ হাসিনাকে নিয়ে জাতির পিতাকে নিয়ে যে অশ্লীল ভাষায় নারায়নগঞ্জে গালি দিচ্ছে আমরা এটা মেনে নিতে পারি না। সবচেয়ে সভ্য কথা যেটাকে বলে, সেটাও সবচেয়ে জঘন্য। কি বলে, হরে কৃষ্ণ হরে রাম শেখ হাসিনার বাবার নাম। বঙ্গবন্ধুর নাম শেখ মুজিবুর রহমান। আল্লাহর একটা নামের মাঝে রহমান আছে সেই রহমান। আর বললো কি? মুসলমানের বিবেকে আঘাত করলো, মুসলমানের একিনে আঘাত করলো।”

অর্থাৎ, তিনি এসব কথা বিএনপিকে কেন্দ্র করে বলছিলেন।

একইদিনে শামীম ওসমানের উক্ত বক্তব্যটি বাংলা ভিশনের ফেসবুক পেজে প্রচার করে।

গত ১৬ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান জনসমাবেশের এক বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

Screenshot from Bangla Tribune

মূলত, গত ১৬ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান এক জনসমাবেশে বক্তব্য প্রদানকালে বিএনপিকে নিয়ে সমালোচনা করে বলেন, “আমাদেরকে গালি দেক, যারা আমাদেরকে মেরেছে ১৪ বছর হয়ে গেছে কাউকে ফুলের টোকা দেই নাই। কিন্তু শেখ হাসিনাকে নিয়ে জাতির পিতাকে নিয়ে যে অশ্লীল ভাষায় নারায়ণগঞ্জে গালি দিচ্ছে আমরা এটা মেনে নিতে পারি না। সবচেয়ে সভ্য কথা যেটাকে বলে, সেটাও সবচেয়ে জঘন্য। কি বলে, হরে কৃষ্ণ হরে রাম শেখ হাসিনার বাবার নাম। বঙ্গবন্ধুর নাম শেখ মুজিবুর রহমান। আল্লাহর একটা নামের মাঝে রহমান আছে সেই রহমান। আর বললো কি? মুসলমানের বিবেকে আঘাত করলো, মুসলমানের একিনে আঘাত করলো।” শীর্ষক অংশ ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় বাদ দিয়ে শুধুমাত্র “হরে কৃষ্ণ হরে রাম শেখ হাসিনার বাবার নাম” শীর্ষক অংশটুকু বিকৃতভাবে ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে। যার ফলে আলোচিত ভিডিওটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।

প্রসঙ্গত, পূর্বে শামীম ওসমানকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর ছবি ইন্টারনেটে প্রচার করা হলে বিষয়টি শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।

সুতরাং, বিএনপিকে সমালোচনা করে ‘হরে কৃষ্ণ হরে রাম শেখ হাসিনার বাবার নাম’ শীর্ষক শামীম ওসমানের দেওয়া বক্তব্যের খণ্ডিত অংশ কালবেলাকে উদ্ধৃত করে ইন্টারনেটে বিকৃতভাবে প্রচার করা হচ্ছে।

তথ্যসূত্র

ভিন্ন এক ব্যক্তির কণ্ঠস্বর যুক্ত করে আয়মান সাদিকের এডিটেড বক্তব্য প্রচার

0

সম্প্রতি, টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আয়মান সাদিকের ১৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে। 

আয়মান সাদিক

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এবং এখানে (আর্কাইভ)।

যা দাবি করা হচ্ছে 

ভিডিওটিতে ১০ মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আয়মান সাদিককে একজন ভালো ফাউন্ডার বা সিইও হওয়ার বিষয়ে বলতে শোনা যায়, “If you are the founder, you are the CEO, your job is three. One, hire a beautiful girl. Two, win over the girl. And third, marry the girl. এই তিনটা কাজ যদি প্রপারলি করতে পারো, You are a good founder and CEO, বাকিগুলো করার দরকার নাই।”

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আলোচিত এই ভিডিওটির বক্তব্যের পুরো কণ্ঠস্বর আয়মান সাদিকের নয়। প্রকৃতপক্ষে ভিন্ন এক ব্যক্তির কণ্ঠস্বর এবং ভিন্ন সাবটাইটেল যুক্ত করে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে। 

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। সেখানে টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আয়মান সাদিককে বলতে শোনা যায়, “If you are the founder, you are the CEO, your job is three. One, hire a beautiful girl. Two, win over the girl. And third, marry the girl. এই তিনটা কাজ যদি প্রপারলি করতে পারো, You are a good founder and CEO, বাকিগুলো করার দরকার নাই।”

বক্তব্যটি বাংলায় অনুবাদ করলে এর অর্থ দাঁড়ায়, “যদি আপনি ফাউন্ডার বা সিইও হন তাহলে আপনার কাজ হলো তিনটি (ভালো সিইও হওয়ার পদ্ধতি)। প্রথমত, একজন সুন্দরী মেয়ে নিয়োগ করুন। দ্বিতীয়ত, তাকে (মনকে) জয় করুন এবং তৃতীয়ত, তাকে বিয়ে করুন। এই তিনটি কাজ যদি প্রোপারলি করতে পারো তাহলে তুমি ভালো ফাউন্ডার এবং সিইও।”

আলোচিত ভিডিওটির বিভিন্ন অংশে আয়মান সাদিকের কণ্ঠস্বরের ভিন্নতা খুঁজে পায় রিউমর স্ক্যানার টিম। ভিডিওটির ‘hire a beautiful girl’,  ‘win over the girl’ এবং ‘marry the girl’ অংশের সাথে অন্যসব অংশে আয়মান সাদিকের কণ্ঠস্বরের পার্থক্য রয়েছে।

বিষয়টি যাচাইয়ে এই ভিডিওটি থেকে কিছু স্থিরচিত্র নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে 2 Cents Podcast নামের একটি ফেসবুক পেজে গত ১৩ সেপ্টেম্বর ‘How to be a good founder or CEO’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। 

Screenshot: 2 Cents Podcast Facebook

সেখানে আয়মান সাদিককে একজন ভালো সিইও এবং ফাউন্ডার হওয়ার জন্য ভিন্ন তিনটি বিষয় বলতে শোনা যায়। তিনি বলেন, If you are the founder, you are the CEO, your job is three. One, set the vision for the company and give the directions. Two, maintain all internal and external stakeholders meaning Government, NBR, Tax সব. And third, make sure the company doesn’t run out of money, meaning that fund raising, profitable হইলেতো luck. এই তিনটি কাজ যদি প্রোপারলি করতে পারো তাহলে তুমি ভালো ফাউন্ডার এবং সিইও।”

অর্থাৎ, আলোচিত ভিডিওটিতে একজন ভালো ফাউন্ডার এবং সিইও হওয়ার প্রথম পদ্ধতি হিসেবে hire a beautiful girl, দ্বিতীয় পদ্ধতি হিসেবে win over the girl এবং তৃতীয় পদ্ধতি হিসেবে marry the girl বাক্যগুলো বলা হলেও মূল ভিডিওতে সেখানে প্রথম পদ্ধতি হিসেবে set the vision for the company and give the directions, দ্বিতীয় পদ্ধতি হিসেবে maintain all internal and external stakeholders meaning Government, NBR, Tax এবং তৃতীয় পদ্ধতি হিসেবে make sure the company doesn’t run out of money, meaning that fund raising এর কথা বলা হয়।

পরবর্তীতে প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড অনুসন্ধানের মাধ্যমে 2 Cents Podcast এর ইউটিউব চ্যানেলে গত ১৩ আগস্ট প্রকাশিত আয়মান সাদিকের বক্তব্যের এই ভিডিওটির দীর্ঘ সংস্করণ বা মূল ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়। ভিডিওটির ২৭.৪৩ মিনিট থেকে ২৮.৮ মিনিট পর্যন্ত এ বিষয়ে বলা হয়।

Screenshot: 2 Cents Podcast YouTube

অর্থাৎ, উপরোক্ত বিষয়গুলো পর্যালোচনা করলে এটা স্পষ্ট যে, আলোচিত ভিডিওটি ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে সেখানে ভিন্ন এক ব্যক্তির কণ্ঠস্বর এবং ভিন্ন সাবটাইটেল যুক্ত করে প্রচার করা হয়েছে।

মূলত, গত ১৩ সেপ্টেম্বর টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আয়মান সাদিকের ‘How to be a good founder and CEO’ শীর্ষক বক্তব্যের একটি ভিডিও 2 Cents Podcant নামের একটি প্রতিষ্ঠান তাদের ফেসবুক পেজ এবং ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করে। পরবর্তীতে উক্ত ভিডিওটি ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে সেখানে ভিন্ন এক ব্যক্তির কণ্ঠস্বর এবং ভিন্ন সাবটাইটেল যুক্ত করে প্রচার করা হয়।

উল্লেখ্য, পূর্বেও ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদিত ভিডিও শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার। এমন কয়েকটি প্রতিবেদন দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে

সুতরাং, ভালো ফাউন্ডার হতে, সুন্দরী মেয়ে নিয়োগ করুন শীর্ষক মন্তব্যটি আয়মান সাদিকের মন্তব্য দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিওটি বিকৃত।

তথ্যসূত্র

  • 2 Cents Podcast Facebook: Reel Video
  • 2 Cents Podcast YouTube: Full Video
  • Rumor Scanner’s Own Analysis

ড. ইউনূসের আগামী তিন বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দাবিটি মিথ্যা

0

সম্প্রতি, “অগ্রীম শুভেচ্ছা স্যার। আগামী তিন বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী। আবার রুখে দাঁড়াবে বাংলাদেশ” শীর্ষক দবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। 

প্রধানমন্ত্রী

ফেসবুকে প্রচারিত এমন একটি ভিডিও দেখুন ভিডিও (আর্কাইভ)। 

টিকটকে প্রচারিত এমন একটি ভিডিও দেখুন ভিডিও (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আগামী তিন বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী ড. ইউনূস শীর্ষক দাবিটি সঠিক নয় বরং নোবেলবিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে গত ৬ আগস্ট আদালত শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলার বিচারকার্যের আদেশ দেন। এই দিনে আদালতে হাজির হওয়ার সময়কালীন একটি ভিডিওকে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে। 

অনুসন্ধানের শুরুতে উক্ত ভিডিওটিতে থাকা চ্যানেল ২৪ এর লোগো ধরে কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ‘চ্যানেল ২৪’ এর ইউটিউব চ্যানেলে গত জুন মাসে “শ্রম আইন লংঘন:নোবেলবিজয়ী ড. ইউনূসের বিচার শুরু। Dr Yunus। Channel 24” শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। ৪ মিনিট ২৪ সেকেন্ডের এই ভিডিওটির ৩ মিনিট ৫৫ সেকেন্ড থেকে পরের অংশটুকুর সাথে দাবিকৃত ভিডিওটির হুবহু মিল খুঁজে পাওয়া যায়। 

photo Comparison by Rumor Scanner 

পরবর্তীতে ভিডিওটির সূত্র ধরে চ্যানেল ২৪ এর অনলাইন সংস্করণে গত ৬ জুন “শ্রম আইন লঙ্ঘন : নোবেলবিজয়ী ড. ইউনূসের বিচার শুরু” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

উক্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২১ সালের ৯ আগস্ট শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে ঢাকার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতর। ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে এ মামলা করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান। বিবাদীদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন আদালত।উক্ত মামলায় অভিযোগ গঠন করে ২০২৩ সালের ৬ জুন ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর উপস্থিতিতে উক্ত মামলার বিচারকার্য শুরু করার রায় দেন আদালত।

পাশাপাশি উক্ত প্রতিবেদনে থাকা তথ্য অনুযায়ী আরো অনুসন্ধানে গত ৬ জুন ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের বাংলা সংস্করণে ” শ্রম আদালতে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনেও একই বিষয় তুলে ধরা হয়। 

অর্থাৎ, গত ৬ জুন ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগের মামলায় আদালতে হাজির হওয়ার সময়কালীন একটি ভিডিওকেই বর্তমানে আগামী তিন বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী ড. মুহাম্মদ ইউনূস দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে। 

এছাড়া অনুসন্ধানে মূলধারার কোনো গণমাধ্যমে আগামী তিন বছরের জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রধানমন্ত্রী বিষয়ক কোনো সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

মূলত,গত বছরের অর্থাৎ ২০২২ সালের ৯ আগস্ট শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে ঢাকার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতর। উক্ত মামলায় অভিযোগ গঠন করে চলতি বছরের অর্থাৎ ২০২৩ সালের ৬ জুন ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর উপস্থিতি উক্ত মামলার বিচারকার্য শুরু করার রায় দেন আদালত। এই দিন আদালতে উপস্থিত হওয়ার সময়কার একটি ভিডিওকে সম্প্রতি আগামী তিন বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী ড. মুহাম্মদ ইউনূস শীর্ষক দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এবং ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম টিকটকে প্রচার করা হচ্ছে। এছাড়া নির্ভরযোগ্য কোনো গণমাধ্যমেও আগামী তিন বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিষয়ক কোনো সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি।  

উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে নোবেলবিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস কে কেন্দ্র করে প্রচারিত একাধিক গুজব নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার টিম। 

এমন কিছু প্রতিবেদন দেখুন  

সুতরাং, আগামী তিন বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী ড.মুহাম্মদ ইউনূস শীর্ষক দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

চটকদার থাম্বনেইলে সেনাবাহিনীর হাতে আওয়ামী লীগ ১৩ নেতা বা মন্ত্রী আটক হওয়ার ভুয়া খবর

0

গত ১০ সেপ্টেম্বর “দেশ ছাড়লো প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি। আওয়ামী লীগের ১৩,জন নেতাকে গ্রেফতার করলো সেনাবাহিনী” শীর্ষক শিরোনাম এবং প্রায় একই দাবি সম্বলিত থাম্বনেইলে একটি ভিডিও ইউটিউবে প্রচার করা হয়েছে। 

আওয়ামী লীগ

ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিওটি দেখুন ভিডিও (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়,প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি গোপনে দেশ ছাড়া এবং সেনাবাহিনী কর্তৃক ১৩ জন আওয়ামী লীগ নেতা বা মন্ত্রী গ্রেফতার হওয়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি বরং অধিক ভিউ পাওয়ার আশায় ভিন্ন ভিন্ন ঘটনার একাধিক ভিডিও যুক্ত করে চটকদার থাম্বনেইল ও শিরোনাম ব্যবহার করে কোনোরূপ তথ্যসূত্র ছাড়াই ভিত্তিহীনভাবে উক্ত তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। 

অনুসন্ধানের শুরুতে প্রচারিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। উক্ত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ভিডিওটি কয়েকটি ভিন্ন ঘটনার ভিডিও ক্লিপ প্রযুক্তির সাহায্য যুক্ত করে তৈরি করা হয়েছে। 

৯ মিনিট ৫১ সেকেন্ডের এই ভিডিওটির শুরুতে কয়েকটি ভিন্ন ঘটনার ভিডিওর খণ্ডাংশ দেখানো হয়। পরবর্তীতে ভিডিওটিতে চ্যানেলটির উপস্থাপক আলোচিত দাবিটির উদ্দেশ্যে দুটি ভিডিও ক্লিপ দেখান।

ভিডিওগুলো দেখানোর আগে আলোচিত ভিডিওটিতে চ্যানেলটির উপস্থাপক বলেন, ‘নতুন করে আবারও আলোচনায় পুলিশ। আপনারা জানেন প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি মেইন মেইন দায়িত্বশীল দেশের বাহিরে গিয়েছে। অন্যদিকে এই সুযোগে পুলিশ ছাত্রলীগকে গ্রেফতার করে থানার মধ্যে নিয়ে কঠিন থেকে কঠিন নির্যাতন এমনকি দাঁত ফেলে দিচ্ছে প্লাস দিয়ে। তো কঠিন এক অবস্থা হয়েছে। অনেকেই এই বিষয়টা বলতেছে আগামী নির্বাচন কে কেন্দ্র করেই নাকি পরিবর্তন হচ্ছে। অন্যদিকে পুলিশ প্রধান যিনি মূলত তারও কিন্তু চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য দিচ্ছে যে পুলিশের পক্ষে পুলিশ পুলিশের মতনই থাকবে। সর্বপ্রথম থানার মধ্যে ছাত্রলীগের যে কাহিনীটা ঘটেছে সেটা দেখাবো।’

পরবর্তীতে প্রথম ভিডিও ক্লিপটিতে থাকা লোগোর সূত্র ধরে অনুসন্ধানে গত ১১ সেপ্টেম্বর ‘1A News’ নামক একটি ইউটিউব চ্যানেলে “মধ্যরাতে কেন্দ্রীয় দুই ছাত্রলীগ নেতাকে বেধড়ক পেটালো রমনা থানার এডিসি হারুন রহস্য কি?” শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। এই ভিডিওর সঙ্গে ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিওটিতে থাকা প্রথম ভিডিও ক্লিপটির মিল খুঁজে পাওয়া যায়। 

Video Comparison by Rumor Scanner 

ভিডিওতে বলা হয়, ‘দর্শক মধ্যরাতের দারুণ খবর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে পেটালেন এডিসি হারুন আপনারা জানেন এডিসি হারুন তিনি রমনা বিভাগের এডিসি হারুন এবং এডিসি হারুনের বিরুদ্ধে বিএনপি,জামায়াত,ছাত্রলীগ পরিষদ সহ যারা এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে তাদেরকে নির্দয়ভাবে পেটান। এবং সর্বশেষ তিনি সুপ্রিমকোর্টের ভেতর সাংবাদিকদের চরমভাবে পিটিয়েছে। এবং এতকাল তিনি পেটালেও ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগ দাঁত কেলিয়ে হাসত কিন্তু এবার তিনি ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে এমনভাবে পিটিয়েছেন দর্শক দেখার মতো না….।’

উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড অনুসন্ধানে গত ১০ সেপ্টেম্বর জাতীয় দৈনিক কালবেলার অনলাইন সংস্করণে “কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে পেটালেন এডিসি হারুন” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে এ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে শাহবাগ থানায় ধরে নিয়ে বেদম পিটিয়েছেন পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদ। দুইজন হলেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাবির শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম। তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’

উক্ত প্রতিবেদনে থাকা তথ্যগুলো প্রচারিত ভিডিওটিতে দেখানো প্রথম ভিডিওটির ২ মিনিট ৩৪ সেকেন্ড থেকে হুবহু পাঠ করা হয়। কিন্তু প্রচারিত ভিডিওটিতে কিংবা উক্ত প্রতিবেদনের কোথাও প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির দেশ ছাড়া সহ ১৩ জন আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতার বিষয়ক কথা উল্লেখ ছিলো না। 

অনুরূপভাবে আলোচিত ভিডিওটির দ্বিতীয় ক্লিপটির উৎস অনুসন্ধানে নয়া দুর্বার নামক একটি ফেসবুক পেজে “আন্দোলনরত ১৩ জন গ্রেফতার” শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওটির সাথে আলোচিত ভিডিওটির দ্বিতীয় ক্লিপটির মিল খুঁজে পাওয়া যায়। 

ভিডিওটিতে বলা হয়,’আপনারা জানেন যে কার্যক্রম টা আমরা চালাচ্ছিলাম এর ধারাবাহিকতায় আমরা একটা র‍্যালি নিয়ে বের হয়েছিলাম। এবং এই র‍্যালিটা যখন শাহবাগ থানার সামনে যায় তখন শাহবাগ থানার যারা পুলিশ ভাইবোনেরা ছিলেন তারা আমাদের উপর বেধড়ক মারধর করেন…।’ অর্থাৎ, উক্ত বক্তব্যকে কোনো প্রকার প্রাসঙ্গিকতা ছাড়াই ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিওটিতে যুক্ত করা হয়েছে। 

Video comparison by Rumor Scanner 

মূলত, সপ্তাহ খানেকের ব্যবধানে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দীন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পৃথক দুই দেশে রাষ্ট্রীয় সফরকে কেন্দ্র করে ‘B tv news 24’ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে দেশ ছাড়লো প্রধামন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি, সেনাবাহিনী কর্তৃক ১৩ জন আওয়ামী লীগ  নেতা বা মন্ত্রীকে গ্রেফতার শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও ইউটিউবে প্রচার করা হয়। তবে অনুসন্ধানে জানা যায়,দাবিটি সঠিক নয়। আদতে ১৩ জন আওয়ামী লীগ নেতা বা মন্ত্রীকে গ্রেফতারের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। অধিকতর ভিউ পাবার আশায় চটকদার থাম্বনেইল ও শিরোনাম ব্যবহার করে কোনোপ্রকার নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র ছাড়াই আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত ৫ থেকে ৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ৪৩তম ‘আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলন’ এবং ১৮তম ‘পূর্ব এশিয়া শীর্ষ সম্মেলনে’ যোগ দিতে ০৪ সেপ্টেম্বর ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। ইন্দোনেশিয়া ও সিঙ্গাপুরে ১৩ দিনের সফর শেষে গত ১৬ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। অন্যদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে নয়াদিল্লিতে ৯-১০ সেপ্টেম্বর জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে গত ০৮ সেপ্টেম্বর ভারত সফরে যান শেখ হাসিনা এবং ১০ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরেন

সুতরাং, সেনাবাহিনী কর্তৃক ১৩ জন আওয়ামী লীগ নেতা বা মন্ত্রীকে গ্রেফতার দাবিতে ইউটিউবে প্রচারিত তথ্যটি মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র