Home Blog Page 40

বিএনপি-জামায়াতের সংঘর্ষ দাবিতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের ভিডিও প্রচার

সম্প্রতি ‘এই মুহুর্তে আব্দুল্লাহপুর বিএনপি জামায়াতের দুই পক্ষের সংঘর্ষ ভয়াবহতার রূপ নিয়েছে। সাধারণ মানুষের ঘর বাড়িতে হামলা হচ্ছে..’ ক্যাপশনে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)৷

এরূপ দাবিতে ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি আব্দুল্লাহপুরে বিএনপি-জামায়াতের কোনো সংঘর্ষের ঘটনার নয় এবং ০৩ আগস্ট বিএনপি-জামায়াতের এমন কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। প্রকৃতপক্ষে, কিশোরগঞ্জের আব্দুল্লাপুর গ্রামে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের ভিডিওকে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে৷ 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম চ্যানেল আইয়ের ফেসবুক পেজে গত ০১ জুলাই প্রকাশিত পোস্টে একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওতে থাকা দৃশ্যাবলীর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির মিল রয়েছে। 

Comparison: Rumor Scanner 

পোস্টটির ক্যাপশন থেকে জানা যায়, কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। গত ০১ জুলাই সকালে উপজেলার খয়েরপুর-আব্দুল্লাপুর ইউনিয়নের আব্দুল্লাপুর গ্রামে ঘটে এ সহিংস ঘটনা। সংঘর্ষ চলাকালে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কামাল পাশা ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ফরহাদ আহমেদের মধ্যে পারিবারিক ও রাজনৈতিক বিরোধ চলছিল। এই পুরনো দ্বন্দ্বই রূপ নেয় সহিংসতায়। 

একই বিষয়ে অনলাইন গণমাধ্যম ঢাকা মেইলের ওয়েবসাইটে গত ০১ জুলাই ‘অষ্টগ্রামে বিএনপির দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আহত ৪০’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনেও একই ধরণের চিত্র ও তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়। 

উল্লিখিত গণমাধ্যম দুইটির প্রতিবেদনেও আলোচিত ভিডিওর আলোচিত সংঘর্ষে জামায়াতে ইসলামীর সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

সুতরাং, আব্দুল্লাহপুরে বিএনপি-জামায়াতের সংঘর্ষের ভিডিও দাবিতে কিশোরগঞ্জের আব্দুল্লাপুর গ্রামে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের ভিডিও প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

৩ আগস্ট পুলিশের সাথে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের দৃশ্য দাবিতে ২০২৪ সালের রাবির কোটা আন্দোলনের ভিডিও প্রচার 

গত ০৩ আগস্ট রাজধানীর শাহবাগে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

এরই প্রেক্ষিতে, ‘০৩-০৮-২০২৫ আজ এই মুহুর্তে শাহবাগে সমাবেশ শেষে, বিএনপির নেতাকর্মীরা রাস্তায় যাওয়ার পথে এনসিপির বিরুদ্ধে স্লোগান দিলে, ঢাকায় বিভিন্ন জায়গায় বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ চলছে’ ক্যাপশনে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। 

ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় এবং ছাত্রদলের ০৩ আগস্টের সমাবেশকে ঘিরে এমন কোনো সংঘর্ষের তথ্যও পাওয়া যায়নি। প্রকৃতপক্ষে, উক্ত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি গত বছরের জুলাই মাসে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষের ঘটনার। 

অনুসন্ধানে ‘Deep Pain’ নামক একটি ফেসবুক পেজ থেকে গত বছরের ১৭ জুলাই প্রচারিত একটি ভিডিও পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত ভিডিওর মিল রয়েছে। 

Video Comparison By Rumor Scanner 

পোস্টটির ক্যাপশনে বলা হয়, প্রচারিত ভিডিওটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ওপর পুলিশের হামলার ঘটনার। 

উক্ত সূত্র ধরে অনুসন্ধানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও ডিবিসি নিউজের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি এমএইচ সাইফুর রহমানের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকেও একই তারিখে উক্ত ভিডিওটি পোস্ট হতে দেখা যায়। সাইফুর রহমান তার পোস্টে বলেন, দৃশ্যটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে র‍্যাব, পুলিশ ও বিজিবির টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের। 

এরপর প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে বাংলা ট্রিবিউনের ওয়েবসাইটে গত বছরের ১৭ জুলাই “রাজশাহী বিশ্বদ্যিালয়ে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, ১৭ জুলাই সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজশাহী বিশ্বদ্যিালয়ে (রাবি) পুলিশের সঙ্গে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা গেট হয়ে ক্যাম্পাসের ভেতরে প্রবেশ করে পুলিশ। এতে শিক্ষার্থীদের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে ইটভাঙা শুরু করেন। ভাঙা ইট ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখেন জোহা চত্বর সংলগ্ন প্যারিস রোডে। সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটের দিকে টিয়ারশেল ছুড়ে পুলিশ। এতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলেও কিছু সময় পরে আবারও একত্রিত হয়ে স্লোগান দিতে শুরু করেন। পুলিশের প্রায় ৩০ মিনিট অভিযানের পর শিক্ষার্থীরা আবারও ছত্রভঙ্গ হয়ে যান তারা। এতে সাংবাদিকসহ অনেক শিক্ষার্থী টিয়ারশেলে আহত হন।

অনলাইন সংবাদমাধ্যম ঢাকা পোস্টও সেসময় একই তথ্যে সেসময় সংবাদ প্রকাশ করেছে। 

বিষয়টি অধিকতর যাচাইয়ের জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও ডিবিসি নিউজের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি এমএইচ সাইফুর রহমানের সাথে কথা বলে রিউমর স্ক্যানার টিম। তিনি জানান, প্রচারিত ভিডিওটি গত বছরের ১৭ জুলাই সন্ধ্যায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপের ঘটনার।

অর্থাৎ, প্রচারিত ভিডিওটি ২০২৪ সালের ১৭ জুলাই তারিখে রাবিতে শিক্ষার্থীদের সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষের ঘটনার।

পাশাপাশি, প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে গত০৩ আগস্ট ছাত্রদলের সমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকায় পুলিশের সাথে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের কোনো তথ্য গণমাধ্যমে পাওয়া যায়নি। 

সুতরাং, গত বছরের জুলাই মাসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনার ভিডিওকে গত০৩ আগস্ট ছাত্রদলের সমাবেশের পর পুলিশের সাথে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র 

আয়ারল্যান্ড সরকার শেখ হাসিনাকে বৈধ প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেনি

0

সম্প্রতি ‘ব্রেকিং নিউজ এবার বৈধ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম ঘোষণা করেছেন ন্যাটো ভুক্ত দেশ আয়ারল্যান্ড সরকার…….. হেগ ডেভেলপমেন্ট ডিভিশন বৈঠক চলাকালীন বাংলাদেশ প্রসঙ্গ আসলে তিনি এই মন্তব্য করেন। প্রধানমন্ত্রী সেগ্রী ল্যারি আজ শেখ হাসিনা সরকার বৈধ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করেছেন’ শীর্ষক ক্যাপশনে একটি পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। 

ফেসবুকে প্রচারিত পোস্টগুলো দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে আয়ারল্যান্ড সরকার শেখ হাসিনাকে বৈধ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করেনি। প্রকৃতপক্ষে কোনোরকম নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে। আলোচিত পোস্টে সংযুক্ত ছবিতে অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডার প্রধানমন্ত্রী গ্যাস্টন ব্রাউনের সাথে করমর্দনরত নারী সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিমন্ত্রী রিম বিনতে ইব্রাহিম আল হাশিমি। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করলে আলোচিত দাবিটির সপক্ষে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। এছাড়া, আলোচিত দাবিতে প্রচারিত পোস্টগুলো পর্যবেক্ষণ করলে তাতেও আলোচিত দাবিটির সপক্ষে কোনো তথ্যপ্রমাণ উল্লেখ থাকতে দেখা যায়নি।

পরবর্তীতে, পোস্টে সংযুক্ত ছবিটির রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডা ভিত্তিক স্থানীয় অনলাইন সংবাদমাধ্যম “Trumpet News” এর ওয়েবসাইটে ২০২৫ সালের ২ জুলাই “Prime Minister Browne Advances National Agenda Through Strategic Bilateral Engagements at FfD4” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবির সাথে উক্ত প্রতিবেদনে সংযুক্ত ছবিটির হুবহু মিল খুঁজে পাওয়া যায়। 

Comparison: Rumor Scanner

উক্ত প্রতিবেদনের বিবরণী থেকে জানা যায়, অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গ্যাস্টন ব্রাউন স্পেনের সেভিয়ায় অনুষ্ঠিত ‘Fourth International Conference on Financing for Development (FfD4)’ এর দ্বিতীয় দিনে অগ্রাধিকারভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন ইস্যুগুলো নিয়ে লক্ষ্যভিত্তিক আলোচনা করেন, যার মধ্যে ছিল ঋণমুক্তির কৌশল, জলবায়ু সহনশীলতা বিষয়ক অর্থায়ন, এবং সক্ষমতা উন্নয়ন কর্মসূচি।

Screenshot: Trumpet News

প্রতিবেদনে সংযুক্ত গ্যাস্টন ব্রাউন ও রিম আল হাশিমির ছবি সম্পর্কে বলা হয়, এটি সম্মেলনের ফাঁকে অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডার প্রধানমন্ত্রী গ্যাস্টন ব্রাউনের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী রিম আল হাশিমির সঙ্গে আলোচনার ছবি। 

উল্লেখ্য, আয়ারল্যান্ডের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নাম মিখাইল মার্টিন। এছাড়া হেগ ডেভলপমেন্ট ডিভিশন বৈঠক বলে কোনো অনুষ্ঠানের নাম বিশ্বস্তসূত্রে খুঁজে পাওয়া যায় নি। 

সুতরাং, আয়ারল্যান্ড সরকার শেখ হাসিনাকে বৈধ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করেছে শীর্ষক দাবিটি ভুয়া ও বানোয়াট।

তথ্যসূত্র 

আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কর্তৃক শেখ হাসিনাকে বৈধ প্রধানমন্ত্রী ঘোষণার দাবিটি বানোয়াট

0

সম্প্রতি, আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী গ্লোবাল হিউমার নামক কথিত বৈঠকে শেখ হাসিনাকে বৈধ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করেছেন এবং এই নিয়ে মোট আটটি দেশ শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেব বৈধতা দিল – এই দাবিতে দুটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

পোস্টগুলোর ক্যাপশনে বলা হয়, ‘ব্রেকিং নিউজ এবার বৈধ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম ঘোষণা করেছেন আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্র মন্ত্রী মেসর্ফার………..  বিশ্বে নেতাদের অংশগ্রহণে গ্লোবাল হিউমার বৈঠকে এমন মন্তব্য করেন তিনি। আমরা একটি রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ সুপরিকল্পিত বৈঠক করতে সক্ষম হয়েছি  আমাদের সাক্ষাৎটি ছিলো একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহুর্ত এই নিয়ে ৮ টি দেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম বৈধ ঘোষণা করলেন।।’

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কর্তৃক শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বৈধ ঘোষণা করা হয়নি। ‘মেসর্ফার’ নামে আর্জেন্টিনার কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর তথ্যও খুঁজে পাওয়া যায়নি, বর্তমানে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হলেন জেরার্ডো ওয়ের্থেইন (Gerardo Werthein)। এই দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ‘গ্লোবাল হিউমার’ নামে কথিত কোনো বৈঠকের তথ্যও খুঁজে পাওয়া যায়নি। প্রকৃতপক্ষে, কথিত ঘোষণার ছবি দাবিতে ২০২৩ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী রিম আল হাশিমি এবং আর্জেন্টিনার সেই সময়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরো-র ভিন্ন বিষয়ে বৈঠকের ছবি প্রচার করা হয়েছে।

প্রথম ছবি যাচাই

এই বিষয়ে অনুসন্ধানে ‘Santiago Cafiero’ নামের এক্স অ্যাকাউন্টে ২০২৩ সালের ১৩ জুন প্রচারিত একটি পোস্টে ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়। 

Comparison : Rumor Scanner

পোস্টটির ক্যাপশন ভাষান্তর করে জানা যায়, ছবিটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী রিম আল হাশিমি-র সঙ্গে সেই সময়ের আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরো-র বৈঠকের ঘটনার। পোস্টে বাংলাদেশ বা শেখ হাসিনাকে নিয়ে কোনো তথ্যের উল্লেখ ছিল না।

তাছাড়া, আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে ‘মেসর্ফার’ নামের কোনো ব্যক্তিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ছবিতে থাকা পুরুষটি হলেন সেই সময়ের আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরো।

অর্থাৎ, ছবিতে থাকা নারী হলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী রিম আল হাশিমি এবং পুরুষটি আর্জেন্টিনার সাবকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরো।

এছাড়া, প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে গ্লোবাল হিউমার নামে কোনো সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক বৈঠক বা অনুষ্ঠানের তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

দ্বিতীয় ছবি যাচাই

এই বিষয়ে অনুসন্ধানে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ২০২৩ সালের ১৩ জুন ‘Argentina y Emiratos Árabes firmaron memorando sobre cooperación técnica’ শিরোনামের একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত পোস্টে দ্বিতীয় ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়।

Comparison : Rumor Scanner

প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী রিম আল হাশিমি-র আর্জেন্টিনা সফরকালে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরো-র নেতৃত্বাধীন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রণালয় একটি কারিগরি সহযোগিতা বিষয়ক মেমোরান্ডাম স্বাক্ষর করেছিল।

অর্থাৎ, এটি নিশ্চিত যে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী রিম আল হাশিমি এবং আর্জেন্টিনার সেই সময়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরো-র এই ছবিগুলো ২০২৩ সালের জুনের। 

তাছাড়া, প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে আর্জেন্টিনাসহ মোট আটটি দেশ শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেব বৈধতা দিয়েছে এমন কোনো তথ্য আন্তর্জাতিক বা দেশিয় গণমাধ্যম কিংবা অন্য কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে খুঁজে পাওয়া যায়নি। স্বাভাবিকভাবে এমন কোনো ঘটনা ঘটলে তা গণমাধ্যমে সংবাদ হতো।

এছাড়াও, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও আর্জেন্টিনা সরকারের প্রতিনিধিরা ‘গ্লোবাল হিউমার’ নামের কোনো বৈঠক করেছেন এমন তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। ‘মেসর্ফার’ নামের আর্জেন্টিনার কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নামও খুঁজে পাওয়া যায়নি।

আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট পর্যক্ষেণ করে জানা যায়, বর্তমানে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হলেন জেরার্ডো ওয়ের্থেইন (Gerardo Werthein)।

উল্লেখ্য, Tamanna Akhter Yesman নামে পরিচালিত এই ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি ভুয়া। সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিমন্ত্রী রিম আল হাশিমির ছবি ব্যবহার করে এই ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে আওয়ামী লীগের পক্ষে রাজনৈতিক প্রভাব তৈরির চেষ্টা নিয়ে গত ১৯ জুন বিস্তারিত ফ্যাক্টস্টোরি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।

সুতরাং, ২০২৩ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী রিম আল হাশিমি এবং আর্জেন্টিনার সেই সময়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরো-র ভিন্ন বিষয়ে বৈঠকের ছবিকে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বৈধ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

পুরোনো ভিডিওর অডিও সম্পাদনা করে জুলাই সনদের বিরুদ্ধে আ’লীগের মিছিল দাবিতে প্রচার 

আগামীকাল ৫ আগস্ট জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবসে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে ঐতিহাসিক জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করা হবে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এরই মধ্যে “ঢাকায় জুলাই সনদ ঘোষণার বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে আওয়ামীলীগ” শীর্ষক ক্যাপশনে দলীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাম্প্রতিক মিছিল দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে। 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে। 

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাম্প্রতিক সময়ের কোনো মিছিলের নয় বরং, গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বরে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একটি সমাবেশের ভিডিও। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ‘Bithi Nath’ নামক একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ২০২৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বর “জেগে জেগেছে সনাতনী জেগেছে। জয় শ্রী রাম, আজকে মশাল মিছিল” শিরোনামে একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওতে থাকা দৃশ্যের সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর দৃশ্যের মিল রয়েছে। 

Video Comparison by Rumor Scanner 

তবে, উক্ত ভিডিওর দৃশ্যের সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর দৃশ্যের মিল থাকলেও অডিওতে তফাৎ দেখতে পাওয়া যায়। মূল ভিডিওতে ‘সনাতনীদের অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘আমার মন্দিরে হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘আদিবাসীদের অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘জয় শ্রীরাম’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে শোনা গেলেও আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওতে “দেখতে পাচ্ছি যে, হঠাৎ করে আওয়ামীলীগ মাঠে অবস্থান করছে” শীর্ষক অডিও শোনা যাচ্ছে। 

অর্থাৎ, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মিছিলের ভিডিওর অডিও পরিবর্তন করে আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।

এছাড়া, ‘Rudro Nirmol Paul’ নামক আরেকটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একই তারিখে অর্থাৎ ২০২৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত একই ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। ভিডিওটির ক্যাপশনে মিছিলের এটিকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতিবাদ মিছিল বলে দাবি করা হয় এবং স্থান হিসেবে ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের উল্লেখ পাওয়া যায়। 

পরবর্তীতে উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে বাংলা ট্রিবিউনের ওয়েবসাইটে ২০২৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বরে “৮ দফা দাবিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মশাল মিছিল” শিরোনামে আলোচ্য বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, ২০২৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় দুর্গাপূজার ছুটি বৃদ্ধি ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় জড়িতদের বিচারসহ ৮ দফা দাবিতে মশাল মিছিল করেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। মশাল মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে রাজু ভাস্কর্য-টিএসসির মেট্রোরেল স্টেশন হয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংলগ্ন রমনা কালী মন্দিরে গিয়ে শেষ হয়। 

অর্থাৎ, জুলাই সনদ ঘোষণার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ মাঠে নেমেছে দাবিতে গত বছরের সেপ্টেম্বরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একটি মিছিলের ভিডিওর অডিও পরিবর্তন করে প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পাদিত। 

তথ্যসূত্র

ছাত্রলীগ করায় কিশোরকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা দাবিতে ভিন্ন ঘটনার ভিডিও প্রচার

সম্প্রতি, ছাত্রলীগ করার দায়ে ১৫ বছরের এক কিশোরকে গণপিটুনি দিতে হত্যা করা হয়েছে দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে। 

ফেসবুকে প্রচারিত এমন পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি ছাত্রলীগ কর্মীকে গণপিটুনি দিয়ে হওয়ার কোনো ঘটনার নয়। প্রকৃতপক্ষে, ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে রাজধানীর খিলক্ষেতে এক কিশোরকে গণপিটুনি দেওয়ার ভিডিওকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

আলোচিত ভিডিওটির বিষয়ে অনুসন্ধানে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে Asadujjaman Ridoy নামের একটি ফেসবুক আইডিতে গত ১৯ মার্চ প্রচারিত একটি ভিডিওর সন্ধান পাওয়া যায়। 

Video Comparison by Rumor Scanner 

ভিডিওটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, উক্ত ভিডিওর ৩০ সেকেন্ডের ফুটেজ থেকে বেশকিছু অংশের সাথে আলোচিত ভিডিওর মিল রয়েছে। মূলত উক্ত ভিডিওটি আলোচিত ভিডিওর একটি বর্ধিত সংস্করণ। ভিডিওটির শিরোনামে দাবি করা হয়, এটি গত ১৮ মার্চের ভিডিও। গণপিটুনির শিকার ওই কিশোরের বিরুদ্ধে ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠলে তাকে পুলিশ গ্রেফতার করে। থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় উত্তেজিত জনতা তাকে পুলিশের গাড়ি থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করে বলে পোস্টটিতে দাবি করা হয়।

প্রাপ্ত তথ্যের সূত্র ধরে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যম একুশে টেলিভিশনের ইউটিউব চ্যানেলে গত ১৯ মার্চ খিলক্ষেত ধ/র্ষ/ণের অভিযোগে তরুণকে পি/টিয়ে আ/হ/ত: পুলিশ গাড়িতে হা/ম/লা  শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

Information Comparison by Rumor Scanner

প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করে এতে ওই কিশোরকে মারধরের ফুটেজ পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, খিলক্ষেতের মধ্যপাড়া এলাকায় ধর্ষণের অভিযোগে স্থানীয় ব্যক্তিরা এক কিশোরকে মারধর করছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযুক্ত কিশোরকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় খিলক্ষেত বাজার এলাকায় পৌঁছালে কয়েকশ স্থানীয় লোকজন পুলিশের ওপর অতর্কিতে হামলা চালান। এসময় পুলিশের গাড়িও ভাঙচুর করেন তারা। এ ঘটনায় বেশকয়েকজন পুলিশ সদস্যসহ অভিযুক্ত কিশোর গুরুতর আহত হয়। পরবর্তীতে তাদের চিকিৎসার জন্যে হাসপাতালে নেওয়া হয় বলেও প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়।  

পরবর্তীতে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে এঘটনায় মূলধারার গণমাধ্যম প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য জানা যায়।

অর্থাৎ, গণপিটুনির শিকার ওই কিশোরকে ছাত্রলীগ করার দায়ে নয় বরং, শিশু ধর্ষণের অভিযোগে মারধর করা হয়। 

সুতরাং, ধর্ষণের অভিযোগে কিশোরকে মারধরের ভিডিওকে ছাত্রলীগ করার দায়ে ১৫ বছরের কিশোরকে গণপিটুনি দিতে হত্যা করার দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের জন্য জামায়াত-শিবিরের কাছে এনসিপির ক্ষমা চাওয়ার দাবি সংক্রান্ত প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি ভুয়া

0

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জাতীয় নাগরিক পার্টি – এনসিপির লেটারহেডে প্রচারিত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির ছবি প্রচার করা হয়েছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি প্রচার করে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, “অবশেষে রগ বাচাতে শিবিরের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা এনসিপির! তাও প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে!! এই দিনটাও দেখতে হলো মাবুদ”।

অর্থাৎ, দাবি করা হয়েছে, প্রচারিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি জাতীয় নাগরিক পার্টি – এনসিপির একটি আসল প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

উল্লেখ্য, প্রেস বিজ্ঞপ্তিটিতে লেখা রয়েছে, “এনসিপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের এক জরুরি সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে আজকের পর থেকে শুক্রবার ব্যতীত এনসিপির কোনো সভা-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে না। এবং কারো যাতে নামাজ আদায় করতে সমস্যা না হয় এজন্য সমাবেশ স্থল বায়তুল মোকাররমের আশে পাশে রাখা হবে। এছাড়া জামায়াত-শিবিরের সাথে গত কয়েকদিনের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের জন্য এনসিপি নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করছে।”

এরূপ দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের জন্য জামায়াত-শিবিরের কাছে এনসিপির নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া বিষয়ক প্রচারিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি আসল নয়। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পক্ষ থেকে আলোচিত ছবিটি ভুয়া বলে রিউমর স্ক্যানারকে নিশ্চিত করা হয়েছে।

অনুসন্ধানে শুরুতে আলোচিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি আসল হওয়ার সপক্ষে নির্ভরযোগ্য সূত্রে কোনো  তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপি’র মূল ফেসবুক পেজ ও এনসিপি’র মিডিয়া সেলের ফেসবুক পেজ পর্যবেক্ষণ করলেও আলোচিত ছবিটির অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।

প্রচারিত ছবিটি পর্যবেক্ষণ করলে তাতে স্বাক্ষরকারী হিসেবে জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাতের নাম দেখা যায়। অতঃপর আলোচিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিটির বিষয়ে সালেহ উদ্দিন সিফাতের সাথে যোগাযোগ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। তিনি নিশ্চিত করেন, প্রচারিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি ভুয়া।

সুতরাং, উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের জন্য জামায়াত-শিবিরের কাছে এনসিপির নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া বিষয়ক প্রচারিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি ভুয়া ও বানোয়াট।

তথ্যসূত্র

  • Statement of Saleh Uddin Sifat, Joint Office Secretary, National Citizen Party (NCP)
  • Rumor Scanner’s analysis

ড. ইউনূসের পদত্যাগ দাবিতে উত্তরায় ছাত্রজনতার মিছিল দাবিতে ছাত্রলীগের ২০২০ সালের মিছিলের ভিডিও প্রচার

সম্প্রতি অনলাইনে একটি মিছিলের ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হয়েছে, ভিডিওটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের পদত্যাগ দাবিতে ঢাকার উত্তরায় ছাত্রজনতার মিছিলের দৃশ্য।

এরূপ দাবিতে টিকটকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত মিছিলের ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় এবং এটি উত্তরারও নয়। এছাড়া, উক্ত মিছিলের সাথে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের পদত্যাগ দাবিরও কোনো সম্পর্ক নেই। প্রকৃতপক্ষে, ২০২০ সালে কুষ্টিয়ায় শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাংচুরের প্রতিবাদে ঢাকার গুলিস্তানের শহীদ আবরার ফাহাদ অ্যাভিনিউ এলাকায় (সাবেক বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ) নিষিদ্ধ ঘোষিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল করে। এটি সেই ঘটনারই একটি ভিডিও।

অনুসন্ধানে ‘মিডিয়া সন্দ্বীপ’ নামক একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ২০২০ সালের ৭ ডিসেম্বরে প্রচারিত একটি ভিডিও পোস্ট পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওটির প্রায় ৫ মিনিট পরবর্তী সময়ের সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির হুবহু মিল পাওয়া যায়।

Comparison : Rumor Scanner

ভিডিওটির ক্যাপশনে বলা হয়, “কুষ্টিয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙ্গার প্রতিবাদ এবং জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ। বঙ্গবন্ধু এভিনিউ থেকে সরাসরি যুক্ত হয়েছি Zakaria Ibn Yusuf”।

উক্ত নামের সূত্র ধরে অনুসন্ধানে সাংবাদিক জাকারিয়া ইবনে ইউসুফের ফেসবুক পেজে একই ক্যাপশনে ২০২০ সালের ০৫ ডিসেম্বর প্রকাশিত একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত পোস্টটিতে সংযুক্ত মিডিয়া কনটেন্টটি এই মূহুর্তে দেখা যাচ্ছে না৷ তবে উক্ত পোস্টটিতে আলোচিত ভিডিওটিরই সংযুক্তি ছিল এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়। সাংবাদিক জাকারিয়া ইবনে ইউসুফের ফেসবুক পেজে প্রচারিত উক্ত ভিডিওটি ইতোপূর্বেও নানা সময়ে রিউমর স্ক্যানারের নানা প্রতিবেদনে ব্যবহৃত হয়েছে।

ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি ইব্রাহিম হোসেনের সেই সময়ের একটি ফেসবুক পোস্ট থেকেও একই তথ্য জানা যায়।

মূল ভিডিওটির প্রসঙ্গ কুষ্টিয়ায় শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙার ঘটনার বিষয়ে অনুসন্ধান করলে জাতীয় দৈনিক ‘প্রথম আলো’র ওয়েবসাইটে ২০২০ সালের ৫ ডিসেম্বরে প্রকাশিত প্রতিবেদনের সূত্রে জানা যায়, “কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্যে দুর্বৃত্তরা ভাঙচুর চালিয়েছে। এতে ভাস্কর্যের বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। (২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর দিবাগত) রাত দুইটার দিকে দুজনকে দেখা যাচ্ছে তারা ভাস্কর্য ভাঙচুর করছে।..”

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের উক্ত ভিডিওটি ব্যবহার করে বিভিন্ন সময়ে প্রচারিত গুজবের প্রেক্ষিতে রিউমর স্ক্যানারে প্রকাশিত ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে। 

সুতরাং, ২০২০ সালে কুষ্টিয়ায় শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাংচুরের প্রতিবাদে ঢাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিলের একটি ভিডিওকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের পদত্যাগ দাবিতে ঢাকার উত্তরায় ছাত্রজনতার মিছিলের দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

নরেন্দ্র মোদির ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে ট্রাম্পের পোস্ট দাবিতে ভুয়া স্ক্রিনশট প্রচার

গত ৩০ জুলাই ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর প্রেক্ষিতে সম্প্রতি, ট্রাম্পের শুল্ক সম্পর্কিত বক্তব্যের বিপরীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কোনো উত্তর দেননি জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ডোনাল্ট ট্রাম্প একটি পোস্ট করেছেন দাবিতে দেশীয় গণমাধ্যমগুলোতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।  

প্রতিবেদনে দাবি করা হয় ট্রাম্প পোস্টটিতে ‘আমি বিশ্বাস করতে পারছি না যে প্রধানমন্ত্রী মোদি এখনও আমার টুইট, বিবৃতি বা শুল্ক সম্পর্কিত বক্তব্যের কোনও উত্তর দেননি। আমরা ভারতকে অনেক বড় বড় চুক্তি, প্রতিরক্ষা সহায়তা দিয়েছি, তবুও তিনি সম্পূর্ণ নীরব। এমনকি একটা ধন্যবাদও আসেনি। ভুলে যাবেন না, আমিই সেই ব্যক্তি যিনি ভারত ও পাকিস্তানকে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে বাধ্য করেছিলাম। অন্য কেউ এটা করতে পারতো না। অনেকেই বলেছিল এর জন্য আমার নোবেল পুরষ্কার পাওয়া উচিত ছিল। আমেরিকান কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ভারত প্রথম থেকেই লাভবান হচ্ছে। আমি সবসময় মোদিকে পছন্দ করি। কিন্তু এই ধরণের অসম্মান ভোলার নয়। ব্যবসার জন্য খারাপ। বন্ধুত্বের জন্য খারাপ। ‘ শীর্ষক কথাগুলো লিখেছেন।

উক্ত দাবিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন মানবজমিন, একুশে টিভি, আমাদের সময় এবং ঢাকা ওয়াচ। 

এছাড়াও একই দাবিতে গণমাধ্যমের ফেসবুক পেজে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ভারতের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করার দাবিটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে,সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে করা ট্রাম্পের কোনো একটি পোস্টের স্ক্রিনশট ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে আলোচিত পোস্টটি তৈরি করা হয়। গণমাধ্যমগুলোতে ভুয়া ওই পোস্টটির বরাতে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। 

ট্রাম্পের পোস্টটির বিষয়ে অনুসন্ধানে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথিত ওই পোস্টটির একটি স্ক্রিনশটটি খুঁজে পাওয়া যায়। স্ক্রিনশটের দাবি অনুযায়ী, এটি ডোনাল্ড ট্রাম্পের ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাকাউন্টের একটি পোস্ট।

Post Screenshot Comparison by Rumor Scanner 

তবে ট্রাম্পের ট্রুথ সোশ্যালের অ্যাকাউন্ট পর্যালোচনা করে এমন কোনো পোস্টের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এছাড়াও কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে ট্রাম্পের আলোচিত পোস্টটি করার বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। যা থেকে ধারণা করা যাচ্ছে, ট্রাম্পের ট্রুথ সোশ্যালের অ্যাকাউন্টের কোনো একটি পোস্টের স্ক্রিনশট নিয়ে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সেটি সম্পাদনার মাধ্যমে আলোচিত পোস্টটি তৈরি করা হয়েছে। 

এছাড়াও স্ক্রিনশটটিকে ভুয়া ছবি যাচাইকারী ওয়েবসাইট Fake Image Detector-এ পরীক্ষা করা হলে স্ক্রিনশটটি কম্পিউটারের সহায়তায় তৈরি বলে জানা যায়। 

Image from Fake Image Detector by Rumor Scanner

অর্থাৎ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল উক্ত ভুয়া পোস্টের স্ক্রিনশটের বরাতে দেশিয় গণমাধ্যমগুলোতে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। 

সুতরাং, ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের বিষয়ে নরেন্দ্র মোদীর সাড়া না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পোস্ট করার দাবিটি মিথ্যা এবং উক্ত দাবিতে প্রচারিত স্ক্রিনশটটি ভুয়া।

তথ্যসূত্র

  • Truth Social Donald Trump Account
  • Fake Image Detector
  • Rumor Scanner’s Analysis

শেখ হাসিনাকে আন্তর্জাতিক আদালত বৈধ প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেনি, এই এখতিয়ারও সংস্থাটির নেই

0

সম্প্রতি, “শেখ হাসিনা কে বৈধ প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করলেন আন্তর্জাতিক আদালত আলহামদুলিল্লাহ” ক্যাপশনে একটি ক্যাপশন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তর্জাতিক আদালত বাংলাদেশের বৈধ প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দেয়ার দাবিটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে কোনোরকম নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করলে আলোচিত দাবিটির সপক্ষে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। এছাড়া, আলোচিত দাবিতে প্রচারিত পোস্টগুলো পর্যবেক্ষণ করলে তাতেও আলোচিত দাবিটির সপক্ষে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। 

অনুসন্ধানে জানা যায়, আন্তর্জাতিক আদালত বলতে সাধারণত International Court of Justice (ICJ) কে বোঝানো হয়, যেটি মূলত আন্তর্জাতিক আইন ও রাষ্ট্রের মধ্যে যে কোনো বিতর্ক নিষ্পত্তি করে থাকে। তবে এটি কোনো ব্যক্তিকে বৈধ বা অবৈধ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণার ক্ষমতা রাখে না।

আন্তর্জাতিক আদালতের ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল কিংবা এক্স অ্যাকাউন্টে আলোচিত দাবির সপক্ষে কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায় নি। 

সুতরাং, আন্তর্জাতিক আদালত শেখ হাসিনাকে বৈধ প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছে শীর্ষক দাবিটি ভুয়া ও বানোয়াট। 

তথ্যসূত্র

  • International Court of Justice – Website 
  • International Court of Justice – X Account 
  • International Court of Justice – YouTube Channel 
  • Rumor Scanner’s analysis