Home Blog Page 41

আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কর্তৃক শেখ হাসিনাকে বৈধ প্রধানমন্ত্রী ঘোষণার দাবিটি বানোয়াট

0

সম্প্রতি, আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী গ্লোবাল হিউমার নামক কথিত বৈঠকে শেখ হাসিনাকে বৈধ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করেছেন এবং এই নিয়ে মোট আটটি দেশ শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেব বৈধতা দিল – এই দাবিতে দুটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

পোস্টগুলোর ক্যাপশনে বলা হয়, ‘ব্রেকিং নিউজ এবার বৈধ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম ঘোষণা করেছেন আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্র মন্ত্রী মেসর্ফার………..  বিশ্বে নেতাদের অংশগ্রহণে গ্লোবাল হিউমার বৈঠকে এমন মন্তব্য করেন তিনি। আমরা একটি রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ সুপরিকল্পিত বৈঠক করতে সক্ষম হয়েছি  আমাদের সাক্ষাৎটি ছিলো একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহুর্ত এই নিয়ে ৮ টি দেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম বৈধ ঘোষণা করলেন।।’

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কর্তৃক শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বৈধ ঘোষণা করা হয়নি। ‘মেসর্ফার’ নামে আর্জেন্টিনার কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর তথ্যও খুঁজে পাওয়া যায়নি, বর্তমানে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হলেন জেরার্ডো ওয়ের্থেইন (Gerardo Werthein)। এই দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ‘গ্লোবাল হিউমার’ নামে কথিত কোনো বৈঠকের তথ্যও খুঁজে পাওয়া যায়নি। প্রকৃতপক্ষে, কথিত ঘোষণার ছবি দাবিতে ২০২৩ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী রিম আল হাশিমি এবং আর্জেন্টিনার সেই সময়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরো-র ভিন্ন বিষয়ে বৈঠকের ছবি প্রচার করা হয়েছে।

প্রথম ছবি যাচাই

এই বিষয়ে অনুসন্ধানে ‘Santiago Cafiero’ নামের এক্স অ্যাকাউন্টে ২০২৩ সালের ১৩ জুন প্রচারিত একটি পোস্টে ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়। 

Comparison : Rumor Scanner

পোস্টটির ক্যাপশন ভাষান্তর করে জানা যায়, ছবিটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী রিম আল হাশিমি-র সঙ্গে সেই সময়ের আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরো-র বৈঠকের ঘটনার। পোস্টে বাংলাদেশ বা শেখ হাসিনাকে নিয়ে কোনো তথ্যের উল্লেখ ছিল না।

তাছাড়া, আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে ‘মেসর্ফার’ নামের কোনো ব্যক্তিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ছবিতে থাকা পুরুষটি হলেন সেই সময়ের আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরো।

অর্থাৎ, ছবিতে থাকা নারী হলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী রিম আল হাশিমি এবং পুরুষটি আর্জেন্টিনার সাবকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরো।

এছাড়া, প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে গ্লোবাল হিউমার নামে কোনো সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক বৈঠক বা অনুষ্ঠানের তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

দ্বিতীয় ছবি যাচাই

এই বিষয়ে অনুসন্ধানে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ২০২৩ সালের ১৩ জুন ‘Argentina y Emiratos Árabes firmaron memorando sobre cooperación técnica’ শিরোনামের একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত পোস্টে দ্বিতীয় ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়।

Comparison : Rumor Scanner

প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী রিম আল হাশিমি-র আর্জেন্টিনা সফরকালে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরো-র নেতৃত্বাধীন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রণালয় একটি কারিগরি সহযোগিতা বিষয়ক মেমোরান্ডাম স্বাক্ষর করেছিল।

অর্থাৎ, এটি নিশ্চিত যে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী রিম আল হাশিমি এবং আর্জেন্টিনার সেই সময়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরো-র এই ছবিগুলো ২০২৩ সালের জুনের। 

তাছাড়া, প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে আর্জেন্টিনাসহ মোট আটটি দেশ শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেব বৈধতা দিয়েছে এমন কোনো তথ্য আন্তর্জাতিক বা দেশিয় গণমাধ্যম কিংবা অন্য কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে খুঁজে পাওয়া যায়নি। স্বাভাবিকভাবে এমন কোনো ঘটনা ঘটলে তা গণমাধ্যমে সংবাদ হতো।

এছাড়াও, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও আর্জেন্টিনা সরকারের প্রতিনিধিরা ‘গ্লোবাল হিউমার’ নামের কোনো বৈঠক করেছেন এমন তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। ‘মেসর্ফার’ নামের আর্জেন্টিনার কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নামও খুঁজে পাওয়া যায়নি।

আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট পর্যক্ষেণ করে জানা যায়, বর্তমানে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হলেন জেরার্ডো ওয়ের্থেইন (Gerardo Werthein)।

উল্লেখ্য, Tamanna Akhter Yesman নামে পরিচালিত এই ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি ভুয়া। সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিমন্ত্রী রিম আল হাশিমির ছবি ব্যবহার করে এই ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে আওয়ামী লীগের পক্ষে রাজনৈতিক প্রভাব তৈরির চেষ্টা নিয়ে গত ১৯ জুন বিস্তারিত ফ্যাক্টস্টোরি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।

সুতরাং, ২০২৩ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী রিম আল হাশিমি এবং আর্জেন্টিনার সেই সময়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরো-র ভিন্ন বিষয়ে বৈঠকের ছবিকে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বৈধ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

পুরোনো ভিডিওর অডিও সম্পাদনা করে জুলাই সনদের বিরুদ্ধে আ’লীগের মিছিল দাবিতে প্রচার 

আগামীকাল ৫ আগস্ট জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবসে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে ঐতিহাসিক জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করা হবে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এরই মধ্যে “ঢাকায় জুলাই সনদ ঘোষণার বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে আওয়ামীলীগ” শীর্ষক ক্যাপশনে দলীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাম্প্রতিক মিছিল দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে। 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে। 

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাম্প্রতিক সময়ের কোনো মিছিলের নয় বরং, গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বরে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একটি সমাবেশের ভিডিও। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ‘Bithi Nath’ নামক একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ২০২৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বর “জেগে জেগেছে সনাতনী জেগেছে। জয় শ্রী রাম, আজকে মশাল মিছিল” শিরোনামে একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওতে থাকা দৃশ্যের সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর দৃশ্যের মিল রয়েছে। 

Video Comparison by Rumor Scanner 

তবে, উক্ত ভিডিওর দৃশ্যের সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর দৃশ্যের মিল থাকলেও অডিওতে তফাৎ দেখতে পাওয়া যায়। মূল ভিডিওতে ‘সনাতনীদের অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘আমার মন্দিরে হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘আদিবাসীদের অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘জয় শ্রীরাম’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে শোনা গেলেও আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওতে “দেখতে পাচ্ছি যে, হঠাৎ করে আওয়ামীলীগ মাঠে অবস্থান করছে” শীর্ষক অডিও শোনা যাচ্ছে। 

অর্থাৎ, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মিছিলের ভিডিওর অডিও পরিবর্তন করে আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।

এছাড়া, ‘Rudro Nirmol Paul’ নামক আরেকটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একই তারিখে অর্থাৎ ২০২৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত একই ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। ভিডিওটির ক্যাপশনে মিছিলের এটিকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতিবাদ মিছিল বলে দাবি করা হয় এবং স্থান হিসেবে ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের উল্লেখ পাওয়া যায়। 

পরবর্তীতে উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে বাংলা ট্রিবিউনের ওয়েবসাইটে ২০২৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বরে “৮ দফা দাবিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মশাল মিছিল” শিরোনামে আলোচ্য বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, ২০২৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় দুর্গাপূজার ছুটি বৃদ্ধি ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় জড়িতদের বিচারসহ ৮ দফা দাবিতে মশাল মিছিল করেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। মশাল মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে রাজু ভাস্কর্য-টিএসসির মেট্রোরেল স্টেশন হয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংলগ্ন রমনা কালী মন্দিরে গিয়ে শেষ হয়। 

অর্থাৎ, জুলাই সনদ ঘোষণার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ মাঠে নেমেছে দাবিতে গত বছরের সেপ্টেম্বরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একটি মিছিলের ভিডিওর অডিও পরিবর্তন করে প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পাদিত। 

তথ্যসূত্র

ছাত্রলীগ করায় কিশোরকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা দাবিতে ভিন্ন ঘটনার ভিডিও প্রচার

সম্প্রতি, ছাত্রলীগ করার দায়ে ১৫ বছরের এক কিশোরকে গণপিটুনি দিতে হত্যা করা হয়েছে দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে। 

ফেসবুকে প্রচারিত এমন পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি ছাত্রলীগ কর্মীকে গণপিটুনি দিয়ে হওয়ার কোনো ঘটনার নয়। প্রকৃতপক্ষে, ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে রাজধানীর খিলক্ষেতে এক কিশোরকে গণপিটুনি দেওয়ার ভিডিওকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

আলোচিত ভিডিওটির বিষয়ে অনুসন্ধানে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে Asadujjaman Ridoy নামের একটি ফেসবুক আইডিতে গত ১৯ মার্চ প্রচারিত একটি ভিডিওর সন্ধান পাওয়া যায়। 

Video Comparison by Rumor Scanner 

ভিডিওটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, উক্ত ভিডিওর ৩০ সেকেন্ডের ফুটেজ থেকে বেশকিছু অংশের সাথে আলোচিত ভিডিওর মিল রয়েছে। মূলত উক্ত ভিডিওটি আলোচিত ভিডিওর একটি বর্ধিত সংস্করণ। ভিডিওটির শিরোনামে দাবি করা হয়, এটি গত ১৮ মার্চের ভিডিও। গণপিটুনির শিকার ওই কিশোরের বিরুদ্ধে ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠলে তাকে পুলিশ গ্রেফতার করে। থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় উত্তেজিত জনতা তাকে পুলিশের গাড়ি থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করে বলে পোস্টটিতে দাবি করা হয়।

প্রাপ্ত তথ্যের সূত্র ধরে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যম একুশে টেলিভিশনের ইউটিউব চ্যানেলে গত ১৯ মার্চ খিলক্ষেত ধ/র্ষ/ণের অভিযোগে তরুণকে পি/টিয়ে আ/হ/ত: পুলিশ গাড়িতে হা/ম/লা  শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

Information Comparison by Rumor Scanner

প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করে এতে ওই কিশোরকে মারধরের ফুটেজ পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, খিলক্ষেতের মধ্যপাড়া এলাকায় ধর্ষণের অভিযোগে স্থানীয় ব্যক্তিরা এক কিশোরকে মারধর করছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযুক্ত কিশোরকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় খিলক্ষেত বাজার এলাকায় পৌঁছালে কয়েকশ স্থানীয় লোকজন পুলিশের ওপর অতর্কিতে হামলা চালান। এসময় পুলিশের গাড়িও ভাঙচুর করেন তারা। এ ঘটনায় বেশকয়েকজন পুলিশ সদস্যসহ অভিযুক্ত কিশোর গুরুতর আহত হয়। পরবর্তীতে তাদের চিকিৎসার জন্যে হাসপাতালে নেওয়া হয় বলেও প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়।  

পরবর্তীতে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে এঘটনায় মূলধারার গণমাধ্যম প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য জানা যায়।

অর্থাৎ, গণপিটুনির শিকার ওই কিশোরকে ছাত্রলীগ করার দায়ে নয় বরং, শিশু ধর্ষণের অভিযোগে মারধর করা হয়। 

সুতরাং, ধর্ষণের অভিযোগে কিশোরকে মারধরের ভিডিওকে ছাত্রলীগ করার দায়ে ১৫ বছরের কিশোরকে গণপিটুনি দিতে হত্যা করার দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের জন্য জামায়াত-শিবিরের কাছে এনসিপির ক্ষমা চাওয়ার দাবি সংক্রান্ত প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি ভুয়া

0

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জাতীয় নাগরিক পার্টি – এনসিপির লেটারহেডে প্রচারিত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির ছবি প্রচার করা হয়েছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি প্রচার করে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, “অবশেষে রগ বাচাতে শিবিরের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা এনসিপির! তাও প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে!! এই দিনটাও দেখতে হলো মাবুদ”।

অর্থাৎ, দাবি করা হয়েছে, প্রচারিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি জাতীয় নাগরিক পার্টি – এনসিপির একটি আসল প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

উল্লেখ্য, প্রেস বিজ্ঞপ্তিটিতে লেখা রয়েছে, “এনসিপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের এক জরুরি সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে আজকের পর থেকে শুক্রবার ব্যতীত এনসিপির কোনো সভা-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে না। এবং কারো যাতে নামাজ আদায় করতে সমস্যা না হয় এজন্য সমাবেশ স্থল বায়তুল মোকাররমের আশে পাশে রাখা হবে। এছাড়া জামায়াত-শিবিরের সাথে গত কয়েকদিনের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের জন্য এনসিপি নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করছে।”

এরূপ দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের জন্য জামায়াত-শিবিরের কাছে এনসিপির নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া বিষয়ক প্রচারিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি আসল নয়। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পক্ষ থেকে আলোচিত ছবিটি ভুয়া বলে রিউমর স্ক্যানারকে নিশ্চিত করা হয়েছে।

অনুসন্ধানে শুরুতে আলোচিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি আসল হওয়ার সপক্ষে নির্ভরযোগ্য সূত্রে কোনো  তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপি’র মূল ফেসবুক পেজ ও এনসিপি’র মিডিয়া সেলের ফেসবুক পেজ পর্যবেক্ষণ করলেও আলোচিত ছবিটির অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।

প্রচারিত ছবিটি পর্যবেক্ষণ করলে তাতে স্বাক্ষরকারী হিসেবে জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাতের নাম দেখা যায়। অতঃপর আলোচিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিটির বিষয়ে সালেহ উদ্দিন সিফাতের সাথে যোগাযোগ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। তিনি নিশ্চিত করেন, প্রচারিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি ভুয়া।

সুতরাং, উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের জন্য জামায়াত-শিবিরের কাছে এনসিপির নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া বিষয়ক প্রচারিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি ভুয়া ও বানোয়াট।

তথ্যসূত্র

  • Statement of Saleh Uddin Sifat, Joint Office Secretary, National Citizen Party (NCP)
  • Rumor Scanner’s analysis

ড. ইউনূসের পদত্যাগ দাবিতে উত্তরায় ছাত্রজনতার মিছিল দাবিতে ছাত্রলীগের ২০২০ সালের মিছিলের ভিডিও প্রচার

সম্প্রতি অনলাইনে একটি মিছিলের ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হয়েছে, ভিডিওটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের পদত্যাগ দাবিতে ঢাকার উত্তরায় ছাত্রজনতার মিছিলের দৃশ্য।

এরূপ দাবিতে টিকটকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত মিছিলের ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় এবং এটি উত্তরারও নয়। এছাড়া, উক্ত মিছিলের সাথে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের পদত্যাগ দাবিরও কোনো সম্পর্ক নেই। প্রকৃতপক্ষে, ২০২০ সালে কুষ্টিয়ায় শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাংচুরের প্রতিবাদে ঢাকার গুলিস্তানের শহীদ আবরার ফাহাদ অ্যাভিনিউ এলাকায় (সাবেক বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ) নিষিদ্ধ ঘোষিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল করে। এটি সেই ঘটনারই একটি ভিডিও।

অনুসন্ধানে ‘মিডিয়া সন্দ্বীপ’ নামক একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ২০২০ সালের ৭ ডিসেম্বরে প্রচারিত একটি ভিডিও পোস্ট পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওটির প্রায় ৫ মিনিট পরবর্তী সময়ের সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির হুবহু মিল পাওয়া যায়।

Comparison : Rumor Scanner

ভিডিওটির ক্যাপশনে বলা হয়, “কুষ্টিয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙ্গার প্রতিবাদ এবং জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ। বঙ্গবন্ধু এভিনিউ থেকে সরাসরি যুক্ত হয়েছি Zakaria Ibn Yusuf”।

উক্ত নামের সূত্র ধরে অনুসন্ধানে সাংবাদিক জাকারিয়া ইবনে ইউসুফের ফেসবুক পেজে একই ক্যাপশনে ২০২০ সালের ০৫ ডিসেম্বর প্রকাশিত একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত পোস্টটিতে সংযুক্ত মিডিয়া কনটেন্টটি এই মূহুর্তে দেখা যাচ্ছে না৷ তবে উক্ত পোস্টটিতে আলোচিত ভিডিওটিরই সংযুক্তি ছিল এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়। সাংবাদিক জাকারিয়া ইবনে ইউসুফের ফেসবুক পেজে প্রচারিত উক্ত ভিডিওটি ইতোপূর্বেও নানা সময়ে রিউমর স্ক্যানারের নানা প্রতিবেদনে ব্যবহৃত হয়েছে।

ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি ইব্রাহিম হোসেনের সেই সময়ের একটি ফেসবুক পোস্ট থেকেও একই তথ্য জানা যায়।

মূল ভিডিওটির প্রসঙ্গ কুষ্টিয়ায় শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙার ঘটনার বিষয়ে অনুসন্ধান করলে জাতীয় দৈনিক ‘প্রথম আলো’র ওয়েবসাইটে ২০২০ সালের ৫ ডিসেম্বরে প্রকাশিত প্রতিবেদনের সূত্রে জানা যায়, “কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্যে দুর্বৃত্তরা ভাঙচুর চালিয়েছে। এতে ভাস্কর্যের বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। (২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর দিবাগত) রাত দুইটার দিকে দুজনকে দেখা যাচ্ছে তারা ভাস্কর্য ভাঙচুর করছে।..”

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের উক্ত ভিডিওটি ব্যবহার করে বিভিন্ন সময়ে প্রচারিত গুজবের প্রেক্ষিতে রিউমর স্ক্যানারে প্রকাশিত ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে। 

সুতরাং, ২০২০ সালে কুষ্টিয়ায় শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাংচুরের প্রতিবাদে ঢাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিলের একটি ভিডিওকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের পদত্যাগ দাবিতে ঢাকার উত্তরায় ছাত্রজনতার মিছিলের দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

নরেন্দ্র মোদির ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে ট্রাম্পের পোস্ট দাবিতে ভুয়া স্ক্রিনশট প্রচার

গত ৩০ জুলাই ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর প্রেক্ষিতে সম্প্রতি, ট্রাম্পের শুল্ক সম্পর্কিত বক্তব্যের বিপরীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কোনো উত্তর দেননি জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ডোনাল্ট ট্রাম্প একটি পোস্ট করেছেন দাবিতে দেশীয় গণমাধ্যমগুলোতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।  

প্রতিবেদনে দাবি করা হয় ট্রাম্প পোস্টটিতে ‘আমি বিশ্বাস করতে পারছি না যে প্রধানমন্ত্রী মোদি এখনও আমার টুইট, বিবৃতি বা শুল্ক সম্পর্কিত বক্তব্যের কোনও উত্তর দেননি। আমরা ভারতকে অনেক বড় বড় চুক্তি, প্রতিরক্ষা সহায়তা দিয়েছি, তবুও তিনি সম্পূর্ণ নীরব। এমনকি একটা ধন্যবাদও আসেনি। ভুলে যাবেন না, আমিই সেই ব্যক্তি যিনি ভারত ও পাকিস্তানকে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে বাধ্য করেছিলাম। অন্য কেউ এটা করতে পারতো না। অনেকেই বলেছিল এর জন্য আমার নোবেল পুরষ্কার পাওয়া উচিত ছিল। আমেরিকান কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ভারত প্রথম থেকেই লাভবান হচ্ছে। আমি সবসময় মোদিকে পছন্দ করি। কিন্তু এই ধরণের অসম্মান ভোলার নয়। ব্যবসার জন্য খারাপ। বন্ধুত্বের জন্য খারাপ। ‘ শীর্ষক কথাগুলো লিখেছেন।

উক্ত দাবিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন মানবজমিন, একুশে টিভি, আমাদের সময় এবং ঢাকা ওয়াচ। 

এছাড়াও একই দাবিতে গণমাধ্যমের ফেসবুক পেজে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ভারতের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করার দাবিটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে,সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে করা ট্রাম্পের কোনো একটি পোস্টের স্ক্রিনশট ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে আলোচিত পোস্টটি তৈরি করা হয়। গণমাধ্যমগুলোতে ভুয়া ওই পোস্টটির বরাতে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। 

ট্রাম্পের পোস্টটির বিষয়ে অনুসন্ধানে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথিত ওই পোস্টটির একটি স্ক্রিনশটটি খুঁজে পাওয়া যায়। স্ক্রিনশটের দাবি অনুযায়ী, এটি ডোনাল্ড ট্রাম্পের ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাকাউন্টের একটি পোস্ট।

Post Screenshot Comparison by Rumor Scanner 

তবে ট্রাম্পের ট্রুথ সোশ্যালের অ্যাকাউন্ট পর্যালোচনা করে এমন কোনো পোস্টের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এছাড়াও কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে ট্রাম্পের আলোচিত পোস্টটি করার বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। যা থেকে ধারণা করা যাচ্ছে, ট্রাম্পের ট্রুথ সোশ্যালের অ্যাকাউন্টের কোনো একটি পোস্টের স্ক্রিনশট নিয়ে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সেটি সম্পাদনার মাধ্যমে আলোচিত পোস্টটি তৈরি করা হয়েছে। 

এছাড়াও স্ক্রিনশটটিকে ভুয়া ছবি যাচাইকারী ওয়েবসাইট Fake Image Detector-এ পরীক্ষা করা হলে স্ক্রিনশটটি কম্পিউটারের সহায়তায় তৈরি বলে জানা যায়। 

Image from Fake Image Detector by Rumor Scanner

অর্থাৎ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল উক্ত ভুয়া পোস্টের স্ক্রিনশটের বরাতে দেশিয় গণমাধ্যমগুলোতে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। 

সুতরাং, ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের বিষয়ে নরেন্দ্র মোদীর সাড়া না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পোস্ট করার দাবিটি মিথ্যা এবং উক্ত দাবিতে প্রচারিত স্ক্রিনশটটি ভুয়া।

তথ্যসূত্র

  • Truth Social Donald Trump Account
  • Fake Image Detector
  • Rumor Scanner’s Analysis

শেখ হাসিনাকে আন্তর্জাতিক আদালত বৈধ প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেনি, এই এখতিয়ারও সংস্থাটির নেই

0

সম্প্রতি, “শেখ হাসিনা কে বৈধ প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করলেন আন্তর্জাতিক আদালত আলহামদুলিল্লাহ” ক্যাপশনে একটি ক্যাপশন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তর্জাতিক আদালত বাংলাদেশের বৈধ প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দেয়ার দাবিটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে কোনোরকম নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করলে আলোচিত দাবিটির সপক্ষে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। এছাড়া, আলোচিত দাবিতে প্রচারিত পোস্টগুলো পর্যবেক্ষণ করলে তাতেও আলোচিত দাবিটির সপক্ষে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। 

অনুসন্ধানে জানা যায়, আন্তর্জাতিক আদালত বলতে সাধারণত International Court of Justice (ICJ) কে বোঝানো হয়, যেটি মূলত আন্তর্জাতিক আইন ও রাষ্ট্রের মধ্যে যে কোনো বিতর্ক নিষ্পত্তি করে থাকে। তবে এটি কোনো ব্যক্তিকে বৈধ বা অবৈধ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণার ক্ষমতা রাখে না।

আন্তর্জাতিক আদালতের ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল কিংবা এক্স অ্যাকাউন্টে আলোচিত দাবির সপক্ষে কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায় নি। 

সুতরাং, আন্তর্জাতিক আদালত শেখ হাসিনাকে বৈধ প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছে শীর্ষক দাবিটি ভুয়া ও বানোয়াট। 

তথ্যসূত্র

  • International Court of Justice – Website 
  • International Court of Justice – X Account 
  • International Court of Justice – YouTube Channel 
  • Rumor Scanner’s analysis

৩ আগস্ট শহীদ মিনারে ত্রিমুখী সংঘর্ষ দাবিতে ২০২৩ সালের ভিডিও প্রচার 

গত ৩ আগস্ট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছাত্রসমাবেশের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে লিখিত আবেদন করে অনুমতি পেয়েছিল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল। তবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অনুরোধে তারা শেষ পর্যন্ত সমাবেশের স্থান পরিবর্তন করে শাহবাগে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়। একই দিনে শহীদ মিনারে ‘নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার’ শিরোনামে সমাবেশ করে এনসিপি। এই পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে শহীদ মিনার এলাকায় যুবদল, এনসিপি ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষ ঘটেছে দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন: এখানে, এখানে, এখানে, এখানে। 

একই দাবিতে ইন্সটাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন: এখানে, এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা গেছে, সংঘর্ষের ভিডিওটি গতকাল (৩ আগস্ট) এর নয় বরং, এটি ২০২৩ সালে বিএনপির একটি কর্মসূচির সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পুরোনো ভিডিও। এছাড়া গতকাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যুবদল, এনসিপি ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ভিডিওটি বিশ্লেষণ করে, এর নিচের ডান কোণে ‘প্রতিদিন খবর’ লেখা একটি জলছাপ দেখা যায়। এই সূত্র ধরে ‘প্রতিদিন খবর24’ নামে একটি ফেসবুক পেজের সন্ধান পাওয়া যায়। সেখানে অনুসন্ধান চালিয়ে, ২০২৩ সালের ২৩ মে তারিখে প্রকাশিত হুবহু একই ভিডিও পাওয়া যায়। ভিডিওটির ক্যাপশনে বিএনপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের কথা উল্লেখ করা হয়।

Comparison: Rumor Scanner.

তারিখ ও ক্যাপশনের ভিত্তিতে চ্যানেল ২৪-এর ইউটিউব চ্যানেলেও একই দিনের একটি ভিডিও পাওয়া যায়, যার সঙ্গে আলোচিত ভিডিওর দৃশ্যগত মিল দেখা যায়। ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়, সেদিন বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকায় দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

এছাড়া, জাগোনিউজ২৪-এ ২০২৩ সালের ২৩ মে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনেও বলা হয়, ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি সায়েন্সল্যাব এলাকায় পুলিশের বাধায় পণ্ড হয়ে যায়। পদযাত্রা কর্মসূচিটি সাত মসজিদ রোড, রাইফেল স্কয়ার, ঢাকা সিটি কলেজ, সায়েন্সল্যাব, বাটা সিগন্যাল ও কাঁটাবন মসজিদের সামনে গিয়ে শেষ হওয়ার কথা ছিল।

ভিডিও বিশ্লেষণে আরও দেখা যায়, সংঘর্ষের ঘটনাটি ‘রসুই’ নামের একটি রেস্টুরেন্টের সামনে ঘটেছে।

Screenshot: Facebook

গুগল ম্যাপে অনুসন্ধান করে নিশ্চিত হওয়া যায়, রেস্টুরেন্টটি রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় অবস্থিত, যা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে উল্লেখযোগ্য দূরত্বে অবস্থিত। 

তাছাড়া, গতকাল (৩ আগস্ট) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় এ ধরনের কোনো সংঘর্ষের তথ্য গণমাধ্যম বা অন্য কোনো সূত্রে পাওয়া যায়নি।

সুতরাং, ২০২৩ সালে বিএনপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ভিডিওকে গতকাল (৩ আগস্ট) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে  যুবদল, এনসিপি ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষের দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

বিমানবন্দরে প্রবাসীর আর্তনাদের সাম্প্রতিক দৃশ্য দাবিতে পুরোনো ভিডিও প্রচার  

সম্প্রতি, “শাহজালাল (র:) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবাসীদের দেয়া হচ্ছে মহাজনের ভিভিআইপি সেবা” শিরোনামে প্রবাসীর আর্তনাদের দৃশ্য দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। 

পোস্টগুলোতে ঘটনাটির নির্দিষ্ট কোনো সময় উল্লেখ না করায় ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের বলেই ধরে নিচ্ছেন নেটিজেনরা। 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে। 

একই দাবিতে ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, বিমানবন্দরে প্রবাসীর আর্তনাদের ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় বরং, অন্তত ২০২২ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ইন্টারনেটে ভিডিওটির অস্তিত্ব রয়েছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ‘Rabiulhaque24’ নামক একটি ফেসবুক পেজে ২০২২ সালের ০৫ জানুয়ারিতে “একজন প্রবাসীর লাগেজ চুরি স্বর্ণসহ মাটিতে লুটিয়ে পড়ছে প্রবাসী” শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওতে থাকা ব্যক্তি এবং দৃশ্যের সাথে আলোচিত ভিডিওতে থাকা ব্যক্তি এবং দৃশ্যের মিল রয়েছে। 

Video Comparison by Rumor Scanner 

পরবর্তীতে অনুসন্ধানে ‘সিঙ্গাপুরে আমরা প্রবাসী বাংলাদেশী’ নামক আরেকটি ফেসবুক পেজে ২০২২ সালের ০৬ জানুয়ারি প্রকাশিত একই ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর ক্যাপশনে এটি টিকটক থেকে সংগৃহীত ভিডিও এবং আর্তনাদ করা ব্যক্তি সৌদি আরব প্রবাসী বলে জানানো হয়। সেসময় বিমানবন্দরে ঐ প্রবাসী তার স্বর্ণসহ লাগেজ চুরির অভিযোগ করেছিলেন বলেও দাবি করা হয়।

উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে অনুসন্ধানে ‘Mamun’ নামের user706359821 শীর্ষক টিকটক অ্যাকাউন্টে ২০২২ সালের ০৫ জানুয়ারিতে প্রকাশিত একই ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়। 

অর্থাৎ, এটি নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে, বিমানবন্দরে প্রবাসীর আর্তনাদের দৃশ্যটি সাম্প্রতিক সময়ের নয়। 

উল্লেখ্য, গত ০৩ জুন দিবাগত রাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একজন যাত্রীর হট্টগোল, গালিগালাজ ও উত্তেজনার একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়। যদিও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) দাবি ঐ ভিডিওতে বিভ্রান্তিকর ও অসম্পূর্ণ তথ্য উপস্থাপিত হয়েছে।

সুতরাং, অন্তত ২০২২ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ইন্টারনেটে বিদ্যমান বিমানবন্দরের একটি ভিডিওকে সাম্প্রতিক সময়ে বিমানবন্দরে প্রবাসীর আর্তনাদের ভিডিও দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর। 

তথ্যসূত্র 

  • Rabiulhaque24: Facebook Video 
  • সিঙ্গাপুরে আমরা প্রবাসী বাংলাদেশী: Facebook Video  
  • Mamun: TikTok Video 

সাম্প্রতিক সময়ে বরগুনায় আ.লীগের সমাবেশ দাবিতে পুরোনো ভিডিও প্রচার

গত ৩১ জুলাই, ‘আজকের তাজা গরম খবর ৩১/০৭/২০২৫ জুলাই মাস মিছিল কোন বাধা নেই সেনাপ্রধান বড়গুনা ইতিহাস সৃষ্টি করলো আওয়ামীলীগ’ শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে টিকটকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। এই প্রতিবেদন প্রকাশ অবধি ভিডিওটি ৮৬ হাজারেরও অধিকবার দেখা হয়েছে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয়। গত ৩১ জুলাই বরগুনায় আওয়ামী লীগের কোনো সমাবেশ হয়নি। প্রকৃতপক্ষে, পুরোনো ভিন্ন ভিন্ন ঘটনার ভিডিওর খণ্ডিত অংশ জোড়া লাগিয়ে আলোচিত  ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে। 

অনুসন্ধানের শুরুতে প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চ করে গত ৩১ জুলাই বরগুনায় আওয়ামী লীগের সমাবেশ হওয়ার দাবির সপক্ষে গণমাধ্যম কিংবা অন্য কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

ফুটেজ যাচাই- ১

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে ভিডিওটিতে থাকা লোগোর সূত্র ধরে ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম “DBC NEWS” এর ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৪ সালের ১০ আগস্ট ‘বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ মিছিল’ শীর্ষক ক্যাপশনে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির মিল রয়েছে। 

Comparison: Rumor Scanner

এছাড়া, ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম “SOMOY TV” এর ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৪ সালের ১০ আগস্ট ‘এবার বরগুনায় মাঠে নামল আ’লীগ’ শীর্ষক ক্যাপশনে প্রকাশিত একই ঘটনার আরেকটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। 

পরবর্তীতে এ বিষয়ে প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চ করে জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে ২০২৪ সালের ১১ আগস্ট “বরগুনায় আওয়ামী লীগের সমাবেশ, অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘অভিনন্দন’” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ২০২৪ সালের ১০ আগস্ট বরগুনায় মিছিল ও সমাবেশ করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। দেশে সহিংসতার প্রতিবাদ ও শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরাতে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগ সেসময় এই কর্মসূচি পালন করে। সেসময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নবগঠিত অন্তর্বর্তী সরকারকে অভিনন্দন জানান। বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘যে তত্ত্বাবধায়ক (অন্তর্বর্তী) সরকার দায়িত্ব নিয়েছে, তাদের আমরা অভিনন্দন জানাই। তারা ঠিকভাবে দেশকে পরিচালনা করবে, সে আশাবাদ এই দেশের মানুষ করে।’

এ বিষয়ে সেসময় বিভিন্ন গণমাধ্যম একই তথ্যসংবলিত সংবাদ (,,) প্রচার করে।

ফুটেজ যাচাই- ২

ভিডিওতে থাকা আরেকটি  ফুটেজের কিছু কি ফ্রেম  রিভার্স সার্চ করে ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম ‘Desh TV News’ ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৫ সালের ১২ জুলাই ‘রাজধানীর মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী সোহাগ হ*ত্যা*র প্রতিবাদে ঢাবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি মিল রয়েছে।

Comparison: Rumor Scanner

পরবর্তীতে এ বিষয়ে প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চ করে জাতীয় দৈনিক সমকালের ওয়েবসাইটে ২০২৫ সালের ১২ জুলাই “মিটফোর্ডের ব্যবসায়ীকে হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ১১ জুলাই (শুক্রবার) রাত ১০টার দিকে মিটফোর্ডে লাল চাঁদ সোহাগ নামে এক ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রদল। মিছিলটি ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ডাস চত্বর পার্শ্ব রাস্তায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। 

এছাড়াও ভিডিওতে ভিন্ন ভিন্ন ঘটনার আরও কয়েকটি অপ্রাসঙ্গিক ফুটেজ যুক্ত করা হয়েছে যার সাথে আলোচিত দাবির কোনো সম্পর্ক নেই।

সুতরাং, ২০২৪ সালের আগস্টে বরগুনায় আওয়ামী লীগের করা সমাবেশের দৃশ্যসহ ভিন্ন ভিন্ন কয়েকটি ঘটনার দৃশ্য যুক্ত করে সাম্প্রতিক দাবিতে প্রচার করা হয়েছে, যা বিভ্রান্তিকর। 

তথ্যসূত্র