সম্প্রতি ‘এই মুহুর্তে আব্দুল্লাহপুর বিএনপি জামায়াতের দুই পক্ষের সংঘর্ষ ভয়াবহতার রূপ নিয়েছে। সাধারণ মানুষের ঘর বাড়িতে হামলা হচ্ছে..’ ক্যাপশনে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)৷
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি আব্দুল্লাহপুরে বিএনপি-জামায়াতের কোনো সংঘর্ষের ঘটনার নয় এবং ০৩ আগস্ট বিএনপি-জামায়াতের এমন কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। প্রকৃতপক্ষে, কিশোরগঞ্জের আব্দুল্লাপুর গ্রামে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের ভিডিওকে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে৷
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম চ্যানেল আইয়ের ফেসবুক পেজে গত ০১ জুলাই প্রকাশিত পোস্টে একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওতে থাকা দৃশ্যাবলীর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির মিল রয়েছে।

পোস্টটির ক্যাপশন থেকে জানা যায়, কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। গত ০১ জুলাই সকালে উপজেলার খয়েরপুর-আব্দুল্লাপুর ইউনিয়নের আব্দুল্লাপুর গ্রামে ঘটে এ সহিংস ঘটনা। সংঘর্ষ চলাকালে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কামাল পাশা ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ফরহাদ আহমেদের মধ্যে পারিবারিক ও রাজনৈতিক বিরোধ চলছিল। এই পুরনো দ্বন্দ্বই রূপ নেয় সহিংসতায়।
একই বিষয়ে অনলাইন গণমাধ্যম ঢাকা মেইলের ওয়েবসাইটে গত ০১ জুলাই ‘অষ্টগ্রামে বিএনপির দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আহত ৪০’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনেও একই ধরণের চিত্র ও তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়।
উল্লিখিত গণমাধ্যম দুইটির প্রতিবেদনেও আলোচিত ভিডিওর আলোচিত সংঘর্ষে জামায়াতে ইসলামীর সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
সুতরাং, আব্দুল্লাহপুরে বিএনপি-জামায়াতের সংঘর্ষের ভিডিও দাবিতে কিশোরগঞ্জের আব্দুল্লাপুর গ্রামে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের ভিডিও প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।
তথ্যসূত্র
- Channel i – Facebook Post
- Dhaka Mail – অষ্টগ্রামে বিএনপির দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আহত ৪০