Home Blog Page 370

ভিডিওটি হিজাব পরার কারণে ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়ে দমন-পীড়নের কোনো ঘটনার নয় 

0

সম্প্রতি, হিজাব পড়াকে কেন্দ্র করে ভারতের বিশ্ব বিদ্যালয়ে চলছে দমন – পীড়ন। শীর্ষক শিরোনামে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

উক্ত প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া অব্দি আলোচিত দাবিতে সবচেয়ে ভাইরাল ভিডিওটি ৪৩ লক্ষেরও বেশিবার দেখা হয়েছে এবং তিন হাজার ভিন্ন ভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিক্রিয়া দেখানো হয়েছে। এছাড়া ভিডিওটি ৫২ হাজার বার শেয়ার করা হয়েছে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি হিজাব পরার কারণে ভারতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনার নয় বরং এটি ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) বাস্তবায়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পুলিশ প্রতিহত করার ভিডিও।

ভিডিওটির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে Hashim Azmi নামক এক্স অ্যাকাউন্টে গত ১২ মার্চ প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর অডিও ব্যতিত বাকি অংশের সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়।

Video Comparison: Rumor Scanner

ভিডিওটির বিস্তারিত বিবরণী থেকে জানা যায়, এটি ভারতের দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা।

একই পোস্টে এক প্রতিত্তরে ভিডিওটির প্রকাশক জানান, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) বাস্তবায়নের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করায় বিরোধীরা তাদের প্রতিহত করে।

এই বিষয়ে অধিকতর অনুসন্ধানে ভারতীয় গণমাধ্যম Latestly এর ওয়েবসাইটে গত ১২ মার্চ “Students Detained From Delhi University While Staging Protest Against Implementation of Citizenship Amendment Act” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

প্রতিবেদনটিতে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর একটি দৃশ্যও খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Latestly

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) বাস্তবায়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় পুলিশ প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থীকে আটক করে।

অর্থাৎ, আলোচিত ভিডিওর সাথে হিজাব পরা নিয়ে দমন-পীড়নের কোনো সম্পর্ক নেই।

মূলত, গত ১২ মার্চ ভারতের দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) বাস্তবায়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় পুলিশ প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থীকে আটক করে। সম্প্রতি সেই ভিডিওটি হিজাব পরাকে কেন্দ্র করে ভারতের বিশ্ববিদ্যালয় দমন-পীড়নের দৃশ্য  দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

সুতরাং, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) বাস্তবায়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঘটনায় শিক্ষার্থী আটকের ভিডিওকে হিজাব পরার কারণে শিক্ষার্থীদের ওপর দমন-পীড়ন দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

হালনাগাদ/ Update

২১ এপ্রিল, ২০২৪ : এই প্রতিবেদন প্রকাশ পরবর্তী সময়ে এ সংক্রান্ত দাবিগুলোর আর্কাইভ লিংক প্রতিবেদনে সংযুক্ত করা হলো।

মির্জা ফখরুলের স্ত্রীকে জড়িয়ে তারেক রহমানের নামে ভুয়া মন্তব্য প্রচার

0

সম্প্রতি, “বিপাকে ফখরুল, মির্জা ফখরুলের শশুর বাড়ি ভারতের মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে হওয়ায় স্ত্রীকে আউট করে দিতে বলেছে তারেক” শীর্ষক দাবি সম্বলিত একটি ফটোকার্ড ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

স্ত্রীকে

ফেসবুকে প্রচারিত এমনকিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের শ্বশুরবাড়ি ভারতের মুর্শিদাবাদে হওয়ার কারণে তার স্ত্রীকে দল থেকে আউট করে দিতে বলেননি বরং কোনোরকম তথ্যসূত্র ছাড়াই আলোচিত মন্তব্যটি তারেক রহমানের নামে প্রচার করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতেই একাধিক প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চ করেও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম কিংবা নির্ভরযোগ্য কোনো সূত্র থেকে মির্জা ফখরুলের স্ত্রীর বিষয়ে তারেক রহমানের আলোচিত মন্তব্যটির সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি।

পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া পোস্টগুলো বিশ্লেষণ করে ভাইরাল (আর্কাইভ) ও Dokhine Dishari – দক্ষিণের দিশারী (আর্কাইভ) নামের দুটি ফেসবুক পেজে গত ২৮ মার্চ একই সময়ে (বিকাল ৩টা) প্রকাশিত মির্জা ফখরুলের স্ত্রীর বিষয়ে তারেক রহমানের আলোচিত মন্তব্য সম্বলিত সম্ভাব্য প্রথম পোস্ট খুঁজে পায় রিউমর স্ক্যানার টিম।

Image: Facebook

উক্ত ফেসবুক পোস্টে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি ও আলোচিত মন্তব্য সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সংযুক্ত করা হয়। তবে, উক্ত পোস্টের ক্যাপশন কিংবা ফটোকার্ডে তারেক রহমানের আলোচিত মন্তব্য কখন, কোথায় করেছেন সে সম্পর্কে কোনো তথ্যসূত্র উল্লেখ করা হয়নি।

এ ব্যাপারে অধিকতর সত্যতা নিশ্চিতের উদ্দেশ্যে বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং ও দলটির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান’র সাথে যোগাযোগ করে রিউমর স্ক্যানার টিম।

তারেক রহমান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের শ্বশুরবাড়ি ভারতের মুর্শিদাবাদে হওয়ার কারণে তার (মির্জা ফখরুল) স্ত্রীকে আউট করে দিতে বলেছেন দাবিতে প্রচারিত মন্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, “এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।”

তবে তিনি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের শ্বশুরবাড়ি ভারতের মুর্শিদাবাদে হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেন। 

শায়রুল কবির খান আরও জানান, “এক শ্রেণীর মানুষ অসৎ উদ্দেশ্যে একেকবার একেক রকম ইস্যু তুলতে চায়। মূলত বিএনপি নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের মধ্যে বিভ্রান্ত তৈরি করতে ও জিয়া পরিবারের সদস্যদের সাথে ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি করাতে এমন তথ্য প্রচার করে।”

মূলত, সম্প্রতি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান একই দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের শ্বশুরবাড়ি ভারতের মুর্শিদাবাদে হওয়ার কারণে তার স্ত্রীকে দল থেকে আউট করে দিতে বলেছেন শীর্ষক দাবি সম্বলিত একটি ফটোকার্ড ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে তারেক রহমানের আলোচিত মন্তব্যের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। তারেক রহমানের মন্তব্য দাবিতে প্রচারিত মন্তব্যটি মিথ্যা ও বানোয়াট বলে বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান নিশ্চিত করেছেন।

সুতরাং, তারেক রহমান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের শ্বশুরবাড়ি ভারতের মুর্শিদাবাদে হওয়ার কারণে তার স্ত্রীকে দল থেকে আউট করে দিতে বলেছেন দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

  • ভাইরাল – Facebook Post
  • Dokhine Dishari – দক্ষিণের দিশারী – Facebook Post
  • Statement from Shairul Kabir Khan

বাংলাদেশের কমনওয়েলথের সদস্য পদের ক্রম নিয়ে বিভ্রান্তির নেপথ্যে কী?

0

১৯৭১ এ স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশ যে কয়টি আন্তর্জাতিক সংস্থায় যোগদান করেছে বা সদস্যপদ লাভ করেছে, কমনওয়েলথ তার মধ্যে প্রথম৷ 

১৯৭২ সালের ১৮ এপ্রিল বাংলাদেশ কমনওয়েলথের সদস্য হিসেবে যোগদান করে৷ কমনওয়েলথ বর্তমানে ৫৬ টি দেশের এক আন্তর্জাতিক সংস্থা যেগুলোতে বিশ্বের ২.৫ বিলিয়ন অর্থাৎ, প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ বসবাস করে৷ তবে, বাংলাদেশ কমনওয়েলথের কততম সদস্য এটা নিয়ে অনেকের মধ্যেই বিভ্রান্তির দেখা দেয়৷ অনেকে দাবি করেন বাংলাদেশ কমনওয়েলথের ৩৪তম সদস্য, অনেকে আবার দাবি করেন বাংলাদেশ কমনওয়েলথের ৩২তম সদস্য। এই বিভ্রান্তির নেপথ্য জানতে অনুসন্ধান করে রিউমর স্ক্যানার। 

রিউমার স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, বাংলাদেশ কমনওয়েলথের ৩৪তম সদস্য কিন্তু, কমনওয়েলথে বাংলাদেশ যোগদান করেছে ৩২তম সদস্য হিসেবে। তাছাড়া, কমনওয়েলথের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটেও বাংলাদেশকে ৩৪তম সদস্য বলেই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।  তবে, দুরকম সংখ্যা হওয়ার কারণ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নিতে আমাদের আরেকটু বিস্তারিত আলোচনা করতে হবে।

ইতোমধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ ১৯৭২ সালে কমনওয়েলথে যোগদান করেছে। বাংলাদেশ যোগদানের আগে মোট ৩৩ টি দেশ ইতোমধ্যে কমনওয়েলথের সদস্য ছিল৷ কিন্তু, ১৯৬১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ১৯৭২ সালে পাকিস্তান কমনওয়েলথ থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে৷ তাই, দুই দেশ কমে কমনওয়েলথে তখন সক্রিয় সদস্য দেশ ছিলো ৩১ টি। এই হিসেবে বাংলাদেশ ৩২তম সদস্য দেশ হিসেবে সদস্যপদ লাভ করে।

উল্লেখ্য যে, বর্ণবাদ নীতির বিরুদ্ধে সদস্য প্রদেশের চাপজনিত আরো কিছু রাজনৈতিক কারণে ১৯৬১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা নিজেদের নাম কমনওয়েলথ সংস্থা থেকে প্রত্যাহার করে৷ তবে, ১৯৯৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা আবারও কমনওয়েলথে ফিরে আসে৷ অন্যদিকে বাংলাদেশকে কমনওয়েলথের সদস্যপদ দেওয়ার প্রতিবাদে পাকিস্তান ১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারী কমনওয়েলথ ছেড়ে চলে যায়। 

পাকিস্তানও পরবর্তীতে ১৯৮৯ সালের ২ আগস্ট কমনওয়েলথে আবারও ফিরে আসে।

এই দুই দেশ ফিরে আসায় বাংলাদেশের সদস্যক্রম ৩৪তম হয়ে যায়৷ বর্তমানে কমনওয়েলথ সংস্থাও বাংলাদেশকে তাদের ৩৪তম সদস্য বলেই অভিহিত করে৷ তবে, কমনওয়েলথে যোগদানের সময় সাউথ আফ্রিকা ও পাকিস্তান ছাড়া মোট ৩১ টি দেশ সক্রিয় সদস্য থাকায় বাংলাদেশ ৩২তম সদস্য হিসেবে যোগদান করে। 

তাই, যদি জিজ্ঞেস করা হয় বাংলাদেশ কমনওয়েলথের কততম সদস্য? উত্তর হবে: ৩৪তম৷ আবার, যদি জিজ্ঞেস করা হয়, বাংলাদেশ কততম সক্রিয় দেশ হিসেবে সদস্যপদ লাভ করেছে? তখন উত্তর হবে: ৩২তম।

তথ্যসূত্র

পিরিয়ডে নারীদের নারিকেল, শসা, ঠাণ্ডা পানি খাওয়া এবং শ্যাম্পু ব্যবহারে বাধা নেই

0

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি পিরিয়ডের সময় নারীদের ৪ টি কাজ করতে বারণ করে একটি ভিডিও শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম টিকটকে প্রচার করা হয়েছে।

ভিডিওতে পিরিয়ডের সময় নারীদের নারিকেল, শসা এবং ঠাণ্ডা পানি না খেতে এবং শ্যাম্পু ব্যবহার না করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

পিরিয়ডে

উক্ত দাবিতে টিকটকের পোস্টটি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এই প্রতিবেদন প্রকাশ অবধি ভিডিওটি প্রায় ১৯ লক্ষ বার দেখা হয়েছে। ভিডিওতে ৪০ হাজার পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। ভিডিওটি শেয়ার করা হয়েছে প্রায় ১১ হাজার ২’শ বার এবং মন্তব্য করা হয়েছে ৪৬৮ টি।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, নারীদের পিরিয়ডের সময় নারিকেল, শসা ও ঠাণ্ডা পানি খাওয়া যাবে না এবং শ্যাম্পু ব্যবহার করা যাবে না শীর্ষক দাবিগুলো সঠিক নয় বরং কোনো প্রকার নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র ছাড়াই বিগত কয়েক বছর ধরেই উক্ত ভিত্তিহীন দাবিগুলো প্রচার হয়ে আসছে।

মূলত, বিগত কয়েক বছর ধরেই নারীদের পিরিয়ডের সময় নারিকেল, শসা ও ঠাণ্ডা পানি খাওয়া যাবে না এবং শ্যাম্পু ব্যবহার করা যাবে না শীর্ষক দাবি প্রচার হয়ে আসছে। কিন্তু রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, এসব দাবি সঠিক নয়। গত বছর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে রিউমর স্ক্যানার টিমকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। তাছাড়া, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের একাধিক স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞও এসব দাবি একবাক্যে ভিত্তিহীন বলে রায় দিয়েছেন। এছাড়া, বৈজ্ঞানিকভাবেও এসব দাবির কোনো ভিত্তি নেই বলে জানিয়েছেন তারা। 

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে ইন্টারনেটে একই দাবিগুলো ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষিতে দাবিগুলোকে মিথ্যা হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল রিউমর  স্ক্যানার।

আল আকসা মসজিদের আসল দলিল ও চাবির ছবি দাবিতে ভুয়া তথ্য প্রচার

0

সম্প্রতি, মুসলিমদের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান মসজিদুল আকসা বা আল-আকসা মসজিদের আসল দলিল ও চাবির ছবি দাবিতে এক বৃদ্ধের হাতে ধরে রাখা একটি দলিল এবং চাবির ছবি ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকে প্রচার করা হয়েছে।

আল আকসা

টিকটকে প্রচারিত এমন পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রচারিত ছবিটি আল-আকসা মসজিদের দলিল ও চাবির দৃশ্যের  নয়। প্রকৃতপক্ষে, ছবিটি ফিলিস্তিনি এক ব্যক্তির যিনি ইসরায়েলে নিজের বসতবাড়ি ফেলে চলে এসেছেন। ছবিটিতে তাকে সেই বাড়ির দলিল ও চাবি হাতে দেখা যাচ্ছে। মাহমুদ আবু হামদা নামের এক ফটোগ্রাফার ২০১১ সালে উত্তর গাজার বেইত হানুন ক্রসিংয় এলাকায় উক্ত ছবিটি তোলেন। 

আলোচিত দাবিটির বিষয়ে অনুসন্ধানে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে Ad&Company নামের একটি ফেসবুক পেজে একই ছবিটি  প্রচার হতে দেখা যায়।

Screenshot: Facebook

উক্ত পোস্টের শিরোনাম থেকে জানা যায়, ছবিটি একজন ফিলিস্তিনি ব্যক্তির যার বসতবাড়ি দখলেনিয়ে নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ছবিটির বাম পাশে উপরে থাকা ছবিটির ফটোগ্রাফারের একটি ওয়াটার মার্ক দেখতে পাওয়া যায়। যা পর্যালোচনার মাধ্যমে Mahmoud Abu Hamda শীর্ষক লেখাটি পাওয়া যায়।

পরবর্তীতে ছবিটির ফটোগ্রাফারের ওয়াটার মার্ক থেকে প্রাপ্ত Mahmoud Abu Hamda লেখাটির সূত্র ধরে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে Mahmoud Abu Hamda photographer নামের একটি পেজের সন্ধান পাওয়া যায়। পেজটি থেকে জানা যায়, Mahmoud Abu Hamda নামের উক্ত ব্যক্তি একজন ফিলিস্তিনি ফটোগ্রাফার। এছাড়াও পেজটি থেকে তার ইন্সটাগ্রাম আইডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

 Comparison: Rumor Scanner

উক্ত ছবিটির সম্পর্কে জানতে Mahmoud Abu Hamda  সাথে যোগাযোগ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। তিনি জানান, ছবিটি তারই তোলা। ২০১১ সালে উত্তর গাজার বেইত হানুন ক্রসিং এলাকায় তিনি এই ছবিটি তোলেন। মূলত আল-নাকবা দিবস উপলক্ষ্যে ছবির ব্যক্তি ইসরায়েলে ফেলে আসা তার বসতবাড়ির দলিল ও চাবি প্রদর্শন করছিলেন। তবে ১০ বছরেরও অধিক সময় অতিবাহিত হওয়ায় উক্ত ব্যক্তির নাম ভুলে গিয়েছেন বলেও জানান তিনি।  

পরবর্তীতে আল আকসা মসজিদের দলিলের বিষয়ে অনুসন্ধানে প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমেও কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

তবে বর্তমানে কারা আল আকসা মসজিদ রক্ষণাবেক্ষণ এবং নিয়ন্ত্রণ করছেন তা জানতে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক গণমাধ্যম Middle East Monitor এবং ইসরায়েলি গণমাধ্যম The Times of Israel এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত দুটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

 Comparison: Rumor Scanner

প্রতিবেদনগুলো থেকে জানা যায়, Islamic Waqf of Jerusalem বা Jerusalem Waqf নামের একটি প্রতিষ্ঠান আল-আকসা মসজিদের তত্ত্বাবধায়ন করে থাকেন। বর্তমানে আজ্জাম আল-খাতিব প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

পরবর্তীতে Jerusalem Waqf সম্পর্কে অনুসন্ধানে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে ইহুদিদের অনলাইনভিত্তিক বিশ্বকোষ Jewish Virtual Library এর ওয়েবসাইটে Jerusalem Islamic Waqf শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

Screenshot: Jewish Virtual Library

প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, Jerusalem Islamic Waqf একটি ইসলামিক ধর্মীয় ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠান। এটি মূলত হারাম আল-শরিফ, ডোম অব দ্য রক বা কোব্বাতুস সাখরা এবং আল আকসা মসজিদের সকল বিষয় তত্ত্বাবধায়ন করে থাকেন। 

মূলত, ১৯১৭ সালে ফিলিস্তিনের ভূমিতে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েল রাষ্ট্র স্থাপনের ঘোষণার পর সাত লাখের বেশি ফিলিস্তিনিকে নিজ ভূমি থেকে বিতাড়িত ও রাষ্ট্রহীন হওয়ার বিপর্যয় শুরু হয়। আরবিতে বিপর্যয়কে বলা হয় ‘নাকবা’। ফিলিস্তিনিরা প্রতিবছর ১৫ মে তারিখটিকে ‘আল-নাকবা’ দিবস হিসেবে পালন করে থাকেন। ২০১১ সালে উত্তর গাজায় আল-নাকবা পালনকালে মাহমুদ আবু হামদা নামের একজন ফিলিস্তিনি ফটোগ্রাফার নিজ বসতবাড়ি থেকে বিতাড়িত এক ব্যক্তির বাড়ির দলিল ও চাবি হাতে একটি ছবি তোলেন। সম্প্রতি উক্ত ছবিটি আল-আকসা মসজিদের আসল দলিল ও চাবির ছবি দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, ইন্টারনেটে আল আকসা মসজিদের দলিল ও চাবির কোনো ছবির অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।


সুতরাং, আল-আকসা মসজিদের আসল দলিল ও চাবির ছবি দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

এইচএসসি-২০২৪ এর প্রতি শিক্ষার্থীকে ৮ হাজার টাকা দেওয়ার গুজব 

0

সম্প্রতি, ‘উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি)- ২০২৪ এর সকল শিক্ষার্থী পাবে ৮ হাজার টাকা’- শীর্ষক একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি)-২০২৪ এর সকল শিক্ষার্থীকে ৮ হাজার করে টাকা প্রদানের কোনো ঘোষণা শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি বরং কোনো তথ্য প্রমাণ ছাড়া দাবিটি ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে। 

অনুসন্ধানের শুরুতে এইচএসসি-২০২৪ সকল পরিক্ষার্থীদের ৮ হাজার টাকা দেওয়ার ঘোষণা হয়েছে কিনা সে বিষয় জানতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটফেসবুক পেজ এবং প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাসহায়তা ট্রাস্টের ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষণ করলে এসংক্রান্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। 

তবে, গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর প্রথম আলো এর ওয়েবসাইটে “একাদশের শিক্ষার্থীরা সহায়তা পাবেন ৮০০০ টাকা, আবেদনের সময় বাড়ল” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। 

উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের কলেজে ভর্তি নিশ্চিত করতে সহায়তা দেওয়া হবে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাসহায়তা ট্রাস্ট থেকে। একাদশ শ্রেণি ও আলিম প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়া অসচ্ছল পরিবারের শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত করতে সহায়তা বাবদ আট হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। 

অর্থাৎ, সকল শিক্ষার্থীদের নয় বরং অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের ৮ হাজার টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। 

গত ফেব্রুয়ারি মাসে আবারও প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাসহায়তা ট্রাস্ট থেকে শিক্ষার্থীদের সহায়তা প্রদানের ঘোষণা দেওয়া হয়৷ 

তবে, এখানে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২০২৪ সালে মাধ্যমিক ও সমমান পর্যায়ে (ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি) ভর্তিকৃত ও অধ্যয়নরত অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত করতে ভর্তি–সহায়তা বাবদ পাঁচ হাজার টাকা দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। 

অর্থাৎ, এখানে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি বা স্কুলে ভর্তিকৃত ও অধ্যয়নরত অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের সহায়তা প্রদানের কথা বলা হয়।

এছাড়া, গত ফেব্রুয়ারি মাসেই দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাসহায়তা ট্রাস্ট থেকে অনুদান প্রদানের ঘোষণা দেওয়া হয়। 

এই ঘোষণায় ষষ্ঠ থেকে স্নাতক ও সমমান শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা অনুদান হিসেবে এককালীন ১০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত দেওয়ার কথা বলা হয়৷ 

অর্থাৎ, এইচএসসি ২০২৪ এর সকল শিক্ষার্থীকে ৮ হাজার টাকা করে দেওয়ার কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি।

মূলত, গত বছরের ডিসেম্বরে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাসহায়তা ট্রাস্ট সহায়তা বাবদ আট হাজার টাকা দেওয়া ঘোষণা দেওয়া হয়। এছাড়া, গত ফেব্রুয়ারি মাসে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি অর্থাৎ স্কুলে ভর্তিকৃত ও অধ্যয়নরত অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত করতে ভর্তি–সহায়তা বাবদ পাঁচ হাজার টাকা দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয় এবং একই মাসে ষষ্ঠ থেকে স্নাতক ও সমমান শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা অনুদান হিসেবে এককালীন ১০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত দেওয়ার কথা বলা হয়৷ এরইমধ্যে, ‘উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি)- ২০২৪ এর সকল শিক্ষার্থী পাবে ৮ হাজার টাকা’- শীর্ষক একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আলোচিত দাবিটি মিথ্যা। শিক্ষা মন্ত্রণালয় কিংবা সরকারের পক্ষ থেকে এমন কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি।

সুতরাং, ‘উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি)- ২০২৪ এর সকল শিক্ষার্থী পাবে ৮ হাজার টাকা’ শীর্ষক দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

আরটিভির ফটোকার্ড বিকৃত করে ঈদ সালামি নির্ধারণের নামে ভুয়া তথ্য প্রচার

0

সম্প্রতি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে “এ বছর সালামি জনপ্রতি সর্বনিম্ন ০.৭৫ পয়সা ও সর্বোচ্চ ৩.৮৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে ” শীর্ষক শিরোনামে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভি’র আদলে তৈরি একটি ফটোকার্ড প্রচার করা হয়েছে। 

ঈদ

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

উক্ত দাবিতে সবচেয়ে ভাইরাল পোস্টটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এ প্রতিবেদন প্রকাশ অবধি পোস্টটিতে ৯৭৪ টি পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। এবং ১২৩ টি  মন্তব্য করা হয়েছে। এছাড়াও পোস্টটি প্রায় ৩০ বার শেয়ার করা হয়েছে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আরটিভি “এ বছর সালামি জনপ্রতি সর্বনিম্ন ০.৭৫ পয়সা ও সর্বোচ্চ ৩.৮৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে ” শীর্ষক দাবিতে কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি বরং গত ৭ এপ্রিল আরটিভি’র ফেসবুক পেজে প্রকাশিত একটি ফটোকার্ড ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে উক্ত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ফটোকার্ড পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, উক্ত ফটোকার্ডটিতে আরটিভির লোগোর পাশাপাশি প্রকাশের তারিখ হিসেবে ০৭ এপ্রিল ২০২৪ উল্লেখ করা হয়েছে। 

দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত ফটোকার্ডে থাকা গণমাধ্যমের লোগো এবং তারিখের সূত্র ধরে আরটিভি’র ফেসবুক পেজ (আর্কাইভ) এবং ওয়েবসাইটে গত ০৭ এপ্রিল প্রকাশিত এমন কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

এছাড়াও, আলোচিত ফটোকার্ডের ফন্টের সাথে আরটিভির প্রচলিত ফটোকার্ডের বেশকিছু অমিল খুঁজে পাওয়া যায়। আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে ফন্ট, ফন্ট সাইজ ও ফন্টের কালারের ভিন্নতা ও ফটোকার্ডে প্রদর্শিত ছবির অবস্থানে অমিল পরিলক্ষিত হয়। এছাড়াও ফটোকার্ডের একদম নিচের ডান দিকে একটি জলছাপ দেখা যায়, যা আরটিভির প্রচলিত ফটোকার্ডে থাকে না। 

যা থেকে স্পষ্টতই প্রতীয়মান হয় যে, আরটিভির লোগো সম্বলিত আলোচিত ফটোকার্ডটি ডিজিটাল প্রযুক্তির সাহায্যে সম্পাদনা করে তৈরি করা হয়েছে।

Photocard Comparison: Rumor Scanner

উল্লেখ্য, মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রতিবছর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জনপ্রতি ফিতরা প্রদানের সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ পরিমাণ নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও কখনোই ইসলামিক ফাউন্ডেশন কিংবা সরকারের পক্ষ থেকে জনপ্রতি সালামি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়না।

মূলত, সম্প্রতি “এ বছর সালামি জনপ্রতি সর্বনিম্ন ০.৭৫ পয়সা ও সর্বোচ্চ ৩.৮৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে” শীর্ষক দাবিতে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভি’র ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটোকার্ড ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, আরটিভি এমন কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রকাশ করেনি। প্রকৃতপক্ষে, গণমাধ্যমটির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাকাউন্টগুলোতে প্রচারিত ফটোকার্ড নকল করে আলোচিত দাবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে। 

সুতরাং, “এ বছর সালামি জনপ্রতি সর্বনিম্ন ০.৭৫ পয়সা ও সর্বোচ্চ ৩.৮৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে” শীর্ষক দাবিতে আরটিভির নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি এডিটেড বা সম্পাদিত। 

তথ্যসূত্র

কাবা শরীফের ছাদে ফেরেশতা দেখা যাওয়ার গুজব 

২০২৩ সাল থেকে পবিত্র কাবা শরীফের ছাদে হঠাৎ ফেরেশতা দেখা গিয়েছে দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার হয়ে আসছে।

ইউটিউবে প্রচারিত এমন ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফেরেশতা

টিকটকে প্রচারিত এমন ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, পবিত্র কাবা শরীফের ছাদে হঠাৎ ফেরেশতা দেখা যাওয়ার দাবিটি সঠিক নয়। এছাড়া আলোচিত ভিডিওর থাম্বনেইলে সময় টিভি লোগোর আদলে ‘সয়ম’ ও একজন সংবাদ পাঠকের ছবি যুক্ত করা হলেও সময় টিভি বা অন্য কোনো গণমাধ্যম এ সংক্রান্ত কোনো সংবাদও প্রচার করেনি। প্রকৃতপক্ষে, জেসন কার্লোস নামের এক ব্যক্তির বানানো পুরোনো সিজিআই বা অ্যানিমেশন ভিডিওকে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ভিডিওর থাম্বনেইলটি পর্যালোচনা করে রিউমর স্ক্যানার টিম। এতে দেখা যায়, সময় টিভির থাম্বনেইলের আদলে তৈরি থাম্বনেইলটির লোগোর স্থানে সময় লেখাটির পরিবর্তে ‘সয়ম’ লেখা রয়েছে। এছাড়াও আলোচিত থাম্বনেইলটিতে একজন সংবাদ পাঠক, আকাশে ফেরেশতা দাবিতে অস্পষ্ট দুটি বস্তু এবং কাবা শরীফের একটি ছবি দেখতে পাওয়া যায়। 

পরবর্তীতে সময় টিভি বা অন্য কোনো গণমাধ্যম এমন কোনো সংবাদ প্রকাশ করেছে কিনা তা জানতে এবং আলোচিত থাম্বনেইলে ব্যবহৃত সংবাদ পাঠকের ছবিটি অনুসন্ধানে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ ও সময় টিভির ইউটিউব চ্যানেল পর্যবেক্ষণের মাধ্যমেও এমন কোনো সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি।

আলোচিত ভিডিওতে আকাশে ফেরেশতার ছবি দাবিতে ব্যবহৃত দৃশ্যটি পূর্বেও ইসরায়েলের মসজিদে ফেরেশতা নেমে আসার দৃশ্য দাবিতে প্রচার হলে সেসময় তা মিথ্যা শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার। 

প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, উক্ত ভিডিওটি একটি সিজিআই বা অ্যানিমেটেড ভিডিও। ২০১৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারী জেসন কার্লোস নামক একজন ইউটিউবার তার ইউটিউব চ্যানেলে ব্রাজিলের আকাশে দুটি ফেরেশতা ক্যামেরা বন্দী করার দাবিতে উক্ত ভিডিও প্রচার করেন। কিন্তু তিনি যখন জানতে পারেন তার ভিডিওটি স্যোশাল মিডিয়ায় সত্য ঘটনা দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে তখন তিনি তার আপলোড করা ভিডিওটি কিভাবে তৈরি করা হয়েছে তা বিস্তারিত জানিয়ে আরেকটি ভিডিও প্রকাশ করেন।  ভিডিওটি তৈরির বিভিন্ন প্রক্রিয়া বিস্তারিত দেখিয়ে ২০১৪ সালে ৬ ডিসেম্বর তিনি দ্বিতীয় ভিডিওটি পোস্ট করেন।

সর্বোপরি, কাবা শরীফের ছাদে ফেরেশতার ছবি দাবিতে উপস্থাপিত ছবিটির বিষয়ে অনুসন্ধানে রয়েল্টি ফ্রি স্টকে ইমেজ সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান Dreamstime এর ওয়েবসাইটে আলোচিত ছবিটির প্রায় কাছাকাছি একটি ছবি পাওয়া গেলেও মূল ছবিটি পাওয়া যায়নি। 

 Comparison by Rumor Scanner

তবে বিভিন্ন সময় ইন্টারনেটে উক্ত ছবিটি প্রচারিত হতে দেখা যায় (), (), ()। ছবিটি সূক্ষ্মভাবে পর্যালোচনা করলে স্পষ্টভাবেই বোঝা যায় উক্ত এটি ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় তৈরি করা হয়েছে।

পরবর্তীতে কাবা শরীফের ছাদে কখনো ফেরেশতা দেখা গিয়েছে কিনা তা জানতে বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমেও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম কিংবা কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

মূলত, পবিত্র কাবা শরীফের ছাদে হঠাৎ ফেরেশতা দেখাতে পাওয়ায় লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড় জড়ো হয়েছে দাবিতে একটি ভিডিও ২০২৩ সাল থেকে  ইন্টারনেটে প্রচার হয়ে আসছে। তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আলোচিত দাবিটি সত্য নয়। প্রকৃতপক্ষে, সিজিআই বা অ্যানিমেশনের মাধ্যমে তৈরি পুরোনো একটি ভিডিওকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।

সুতরাং, কাবা শরীফের ছাদে ফেরেশতা দেখতে পাওয়ার দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত তথ্যটি মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

‘এক মাসে হ্যান্ডলিং কমেছে চারগুণ’ শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত সংবাদ প্রতিবেদনের ছবিটি এডিটেড

0

দীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধনার পর গত ১১ এপ্রিল পালিত হয় মুসলিম জনগোষ্ঠীর বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। এর আগের এক মাস পালিত হয় রমজান।  সম্প্রতি, ক্যাপশনে রমজান মাসের প্রসঙ্গ এনে  ‘এক মাসে হ্যান্ডলিং কমেছে চারগুণ’ শীর্ষক শিরোনামে সংবাদপত্রে প্রকাশিত একটি কথিত প্রতিবেদনের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে। 

ফেসবুকে প্রচারিত এমন পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ‘এক মাসে হ্যান্ডলিং কমেছে চারগুণ’ শীর্ষক শিরোনামে কোনো সংবাদপত্র কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। বরং জাতীয় দৈনিক পত্রিকা যুগান্তরে ২০১৯ সালে চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডলিং সক্ষমতা বৃদ্ধি নিয়ে ‘এক যুগে হ্যান্ডলিং বেড়েছে চারগুণ’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের শিরোনাম ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে আলোচিত সংবাদের ছবিটি তৈরি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত প্রতিবেদনের ছবিটি পর্যালোচনা করে রিউমর স্ক্যানার টিম। এতে প্রতিবেদনটির শিরোনামের উপরে ‘চট্টগ্রাম বন্দর’ লেখা দেখা যায়। এছাড়াও প্রতিবেদকের নামের স্থানে শাহরিয়ার এবং চট্টগ্রাম ব্যুরো লেখাটি দেখতে পাওয়া যায়। পাশাপাশি প্রতিবেদনের শুরুর দিকে ‘এক যুগে চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্য তথা কনটেইনার হ্যান্ডলিং চারগুণ বেড়েছে’ লেখাটি দেখতে পাওয়া যায়।

Screenshot: Facebook 

প্রাপ্ত তথ্যের সূত্র ধরে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে জাতীয় দৈনিক যুগান্তরের ওয়েবসাইটে ২০১৯ সালের ১১ অক্টোবর চট্টগ্রাম বন্দর: এক যুগে হ্যান্ডলিং বেড়েছে চারগুণ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

Screenshot: Jugantor

প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করে এর প্রতিবেদকের নামের স্থানে ‘শহীদুল্লাহ শাহরিয়ার, চট্টগ্রাম ব্যুরো’ লেখাটি দেখতে পাওয়া যায়। যার সাথে আলোচিত প্রতিবেদনের প্রতিবেদকের নামের মিল রয়েছে। এছাড়াও প্রতিবেদনটির ইন্ট্রো পর্যালোচনা করে ‘এক যুগে চট্টগ্রাম বন্দরের সার্বিক পণ্য তথা কনটেইনার হ্যান্ডলিং অন্তত চারগুণ বেড়েছে।’ শীর্ষক বাক্যটি খুঁজে পাওয়া যায়।

Article Comparison by Rumor Scanner 

পরবর্তীতে  ২০১৯ সালের ২২ অক্টোবর প্রকাশিত দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার ই-পেপার অনুসন্ধান করে এর ২০ নাম্বার পাতায় ‘এক যুগে হ্যান্ডলিং বেড়েছে চারগুণ’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

Screenshot: Jugantor E-Paper

প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, উক্ত প্রতিবেদনের সাথে আলোচিত প্রতিবেদনের শিরোনামের অমিল ব্যতীত বাকি অংশের হুবহু মিল রয়েছে। 

Article Comparison by Rumor Scanner 

প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, বেসরকারি অপারেটরদের হাতে হ্যান্ডলিং কার্যক্রম ছেড়ে দেয়া, বন্দরের টার্মিনাল ও জেটি বৃদ্ধিসহ নানা পদক্ষেপের কারণে এক যুগে চট্টগ্রাম বন্দারের সার্বিক পণ্য তথা কনটেইনার হ্যান্ডলিং বেড়েছে চারগুণ। ২০০৬ সালে কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছিল ৮ লাখ ৭৬ হাজার ১৮৬ টিইইউএস (টুয়েন্টি ফিট ইক্যুভেলেন্ট ইউনিটস বা ২০ ফুট সমমান)। এক যুগ পর ২০১৮ সালে এসে তা প্রায় চারগুণ বেড়ে ৩০ লাখ টিইইউএসে উন্নীত হয়।

অর্থাৎ, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় উক্ত প্রতিবেদনটির শিরোনাম এডিট বা সম্পাদনা করে আলোচিত সংবাদের ছবিটি তৈরি করা হয়েছে।

মূলত,  সম্প্রতি ‘এক মাসে হ্যান্ডলিং কমেছে চারগুণ’ শীর্ষক শিরোনামে সংবাদপত্রে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের ছবি ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আলোচিত শিরোনামে কোনো সংবাদপত্র কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। প্রকৃতপক্ষে, দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় ২০১৯ সালে চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডলিং নিয়ে ‘এক যুগে হ্যান্ডলিং বেড়েছে চারগুণ’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের শিরোনাম ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে।

সুতরাং, ‘এক মাসে হ্যান্ডলিং কমেছে চারগুণ’ শীর্ষক শিরোনামে সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ছবি দাবিতে প্রচারিত ছবিটি এডিটেড বা সম্পাদিত।

তথ্যসূত্র

হালনাগাদ/ Update

২০ এপ্রিল, ২০২৫: প্রতিবেদনে ‘হ্যান্ডলিং’ শব্দটি ভুলবশত ‘হ্যান্ডেলিং’ লেখা হয়েছে। এটি সংশোধন করা হলো৷ এছাড়া প্রতিবেদনের শুরুর অংশ এবং মাঝের একটি অংশ থেকে অপ্রাসঙ্গিক বাক্য প্রত্যাহার করা হয়েছে।

সিজিআই দিয়ে তৈরি ভিডিওকে ইরান কর্তৃক ইসরায়েলকে আক্রমণের দৃশ্য দাবিতে প্রচার  

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানের দূতাবাসের নিকটে ইসরায়েলের হামলায় ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের একজন সিনিয়র কমান্ডার ও ছয় কর্মকর্তা নিহত হলে এই হামলার প্রতিবাদে গত ১৩ এপ্রিল রাতে ইসরায়েলে কয়েকশ ড্রোন ও মিসাইল হামলা চালায় ইরান। এর প্রেক্ষিতে, ‘ইরান ইসরায়েলে আক্রমন করছে’ শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।

উক্ত দাবিতে এক্সে (টুইটার) প্রচারিত কিছু ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

উক্ত দাবিতে টিকটকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ইরান কর্তৃক ইসরায়েল আক্রমণের দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি বাস্তব কোনো ঘটনার নয় বরং ২০২১ সালে সিজিআই দিয়ে তৈরি এই ভিডিওকে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ‘Boris 🇨🇺’ নামক ইন্সটাগ্রাম একাউন্টে ২০২১ সালের ৯ অক্টোবর প্রকাশিত একটি ভিডিওর (আর্কাইভ) সাথে আলোচিত ভিডিওটির মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

ভিডিওটির ক্যাপশনে স্পষ্টভাবেই উল্লেখ করা হয়েছে, ভিডিওটি সিজিআই দিয়ে তৈরি।

Screenshot collage: Rumor Scanner 

এছাড়াও, মূল পোস্টের কমেন্ট সেকশনে অনেকে ভিডিওটি নিয়ে প্রশ্ন তুললে Boris ভিডিওটি সিজিআই দিয়ে তৈরির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

সিজিআই (CGI) এর পূর্ণরূপ হলো কম্পিউটার জেনারেটেড ইমাজেরি। এটা একধরনের কম্পিউটার টেকনোলজি যার মাধ্যমে কম্পিউটার গ্রাফিক্স ব্যবহার করে মুভির কোনো দৃশ্য তৈরি করা হয়। সাধারণত অবাস্তব এবং বাস্তবে শুট করা অসম্ভব এমন দৃশ্য সিজিআই এর মাধ্যমে তৈরি করা হয়।

এর আগে ২০২২ সালেও ভিডিওটি ইউক্রেন-রাশিয়ার সংঘাতের ভিডিও হিসেবে প্রচার করা হয়। 

মূলত, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলি হামলার জবাবে ১৩ এপ্রিল ইরান নিজেদের ভূখন্ড থেকে সরাসরি ইসরায়েলে হামলা চালায়। এর প্রেক্ষিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, এটি ইরান কর্তৃক ইসরায়েলে আক্রমণের ভিডিও। তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, এই ভিডিওটি বাস্তব কোনো ঘটনারই নয়। ভিডিওটি ২০২১ সালে সিজিআই দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল।  

সুতরাং, ইরান কর্তৃক ইসরায়েলকে আক্রমণের দাবিতে তিন বছর পূর্বের সিজিআই দ্বারা তৈরি ভিডিও প্রচার করা হচ্ছে; যা মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র