Home Blog Page 559

যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক শেখ হাসিনার পাসপোর্ট বাতিলের গুজব

0

সম্প্রতি, ”হাসিনার পাসপোর্ট বাতিল করলো যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি শেখ হাসিনাকে জোবাইডেনের চিঠি” শীর্ষক শিরোনাম এবং “শেখ হাসিনাকে সরাসরি চিঠি দিল জোবাইডেন পাসপোর্ট বাতিল করলো যুক্তরাষ্ট্র।” থাম্বনেইলে একটি ভিডিও ইউটিউবে প্রচার করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক

ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিওটি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

এই প্রতিবেদন প্রকাশ অবধি ভিডিওটি দেখা হয়েছে সাড়ে ১৩ হাজার বারেরও বেশি। ভিডিওটিতে ৪ শত ৭১ টি পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিক্রিয়া দেখানো হয়েছে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়,মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাসপোর্ট বাতিল করে তাকে কোনো চিঠি পাঠায়নি বরং গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভিন্ন প্রেক্ষাপটের সংবাদের ভিডিও ক্লিপ যুক্ত করে নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। আলোচিত ভিডিওটি’র শিরোনাম এবং থাম্বনেইলে উল্লেখিত দাবিগুলোর সাথে ভিডিওটি’র বিস্তারিত অংশের মিল পাওয়া যায়নি। 

ভিডিওতে প্রচারিত আলোচিত দাবিগুলো নিয়ে প্রাসঙ্গিক একাধিক কি ওয়ার্ড সার্চ করেও গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্যকোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে উক্ত দাবির সত্যতা পাওয়া যায়নি। 

অনুসন্ধানের এপর্যায়ে আলোচিত ভিডিওটিতে প্রচারিত ভিডিও ক্লিপগুলোর বিষয়ে পৃথকভাবে অনুসন্ধান চালায় রিউমর স্ক্যানার টিম।

ভিডিও যাচাই ০১

ভিডিওটির কিছু কি-ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চ করে জাতীয় দৈনিক কালবেলা’র ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৩ সালের ২৭ মার্চ “প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি সংবাদ প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত প্রতিবেদনের একটি অংশই আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওতে যুক্ত করা হয়েছে।

Video Comparison: Rumor Scanner

ভিডিও থেকে জানা যায়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠির মাধ্যমে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। চিঠিতে জো বাইডেন গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের গুরুত্বও তুলে ধরেন। এটি সেই ঘটনা নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন।

ভিডিও যাচাই: ০২

ভিডিওটির বিষয়ে অনুসন্ধানে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধানে বেসরকারি ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যম NTV এর ইউটিউব চ্যানেলে গত ৪ ফেব্রুয়ারি “বাংলাদেশের নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়নি: পিটার হাস” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত প্রতিবেদনের একটি অংশের সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বক্তব্যদানের ফুটেজ অংশের হুবহু মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

Video Comparison: Rumor Scanner

ভিডিও থেকে জানা যায়, গত ৪ ফেব্রুয়ারি সচিবালয়ে পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। তিনি ‘বাংলাদেশের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। তারপরও বাংলাদেশের সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে কাজ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। বিশেষ করে, জলবায়ু বিষয়ে কাজ চলমান থাকবে।’

ভিডিও যাচাই: ০৩

প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধানে সিনিয়র সাংবাদিক মোস্তফা ফিরোজের ইউটিউব চ্যানেলে Voice Bangla গত ৪ ফেব্রুয়ারি “শেখ হাসিনাকে বাইডেনের চিঠি, কী লেখা আছে?” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত প্রতিবেদনের একটি অংশই আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওতে যুক্ত করা হয়েছে।

Video Comparison: Rumor Scanner

উক্ত ভিডিওতে সাম্প্রতিক সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দেওয়া চিঠির বিষয়ে জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো’র ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পড়ে শোনাতে দেখা যায়।

প্রথম আলো’র ওয়েবসাইটে গত ৪ ফেব্রুয়ারি “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জো বাইডেনের চিঠি”  প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস গত ৪ ফেব্রুয়ারি সকালে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে লেখা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের চিঠি হস্তান্তর করেন। 

চিঠিতে জো বাইডেন বাংলাদেশের উচ্চাভিলাষী অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে সমর্থনের পাশাপাশি একটি অবাধ ও মুক্ত ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল প্রতিষ্ঠার অভিন্ন স্বপ্ন পূরণে অংশীদারত্ব প্রতিষ্ঠায় ঢাকার সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

তবে উক্ত চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাসপোর্ট বাতিল সংক্রান্ত কোনো তথ্যের উল্লেখ পাওয়া যায়নি।

মূলত, বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ২০২৩ সালের ২১ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একটি চিঠি পাঠান। চিঠিটিতে জো বাইডেন বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের গুরুত্ব তুলে ধরেন। এই তথ্যের ভিত্তিতে সেসময় জাতীয় দৈনিক কালবেলার ইউটিউব চ্যানেলে একটি সংবাদ প্রতিবেদন প্রচারিত হয়। এছাড়া, গত ৪ ফেব্রুয়ারি সচিবালয়ে পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক শেষে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। তারপরও বাংলাদেশের সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে কাজ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। বিশেষ করে, জলবায়ু বিষয়ে কাজ চলমান থাকবে।’ এই তথ্যের ভিত্তিতে বেসরকারি ইলেকট্রনিক মিডিয়া এনটিভিতে সংবাদ প্রচারিত হয়। তাছাড়া, গত ৪ ফেব্রুয়ারিতে Voice Bangla নামক ইউটিউব চ্যানেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দেওয়া চিঠির বিষয়ে আলোচনা করা হয়। সম্প্রতি, এই ভিডিওগুলো থেকে কিছু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ফুটেজ সংগ্রহ করে সেগুলো  ডিজিটাল প্রযুক্তির সাহায্যে একত্র করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাসপোর্ট বাতিল করেছে দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

সুতরাং, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাসপোর্ট বাতিল করে তাকে সরাসরি চিঠি পাঠিয়েছে দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত তথ্যটি মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

আসন্ন এসএসসি পরীক্ষায় সেনাবাহিনী পরীক্ষার হলে গার্ড দেবে দাবিতে গুজব

0

আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে চলতি বছরের (২০২৪) এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। নিয়ম এবং রেওয়াজ অনুযায়ী প্রতিবছরই এই পরীক্ষায় স্কুল শিক্ষকগণ হলগার্ড হিসেবে এবং পরীক্ষা কেন্দ্রে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দায়িত্বে থাকতে দেখা যায়। তবে এই নিয়মের এবার ব্যত্যয় ঘটবে বলে একটি দাবি প্রচার করা হচ্ছে ইন্টারনেটে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, এবারের এসএসসি পরীক্ষায় হলে গার্ডে থাকবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

এসএসসি পরীক্ষায়

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

এই প্রতিবেদন প্রকাশের আগ পর্যন্ত ফেসবুকে সর্বাধিক ভাইরাল হওয়া এ সংক্রান্ত ভিডিওটি প্রায় ১৬ লক্ষ বা ১.৬ মিলিয়ন বার দেখা হয়েছে। এছাড়া ভাইরাল পোস্টগুলোর মন্তব্যঘর ঘুরে পোস্টটির দাবির প্রেক্ষিতে অধিকাংশ নেটিজেনকে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানাতে দেখা যায়।

টিকটকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

এই প্রতিবেদন প্রকাশের আগ পর্যন্ত টিকটকে সর্বাধিক ভাইরাল হওয়া এ সংক্রান্ত ভিডিওটি প্রায় ৯ লক্ষ ৩১ হাজারের বেশি বার দেখা হয়েছে। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় পরীক্ষার হল বা হলের বাইরে সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে শীর্ষক দাবিটি সঠিক নয় বরং কোনো তথ্য প্রমাণ ছাড়া আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে। এছাড়া, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও দাবিটি মিথ্যা বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

এছাড়া, বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এবং ফেসবুক পেজেও এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। 

তবে, ৫ ফেব্রুয়ারি প্রথম আলো এর ওয়েবসাইটে “এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নিলেন শিক্ষামন্ত্রী” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। 

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও একজন ট্যাগ অফিসার নিয়োগ করা হবে। ট্যাগ অফিসার ট্রেজারি, থানা হেফাজত থেকে কেন্দ্র সচিবসহ প্রশ্ন বের করে পুলিশি পাহারায় সব সেট প্রশ্নপত্র কেন্দ্রে নিয়ে যাবেন। তারপর পরীক্ষা শুরু হওয়ার ২৫ মিনিট আগে প্রশ্নের সেট কোড ঘোষণা করা হবে। সে অনুযায়ী কেন্দ্র সচিব, ট্যাগ অফিসার ও পুলিশ কর্মকর্তার স্বাক্ষরে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খোলা হবে।

ঢাকা পোস্ট এর ওয়েবসাইটে গত ২৮ জানুয়ারি “এক মাস বন্ধ থাকবে সব কোচিং সেন্টার” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে সেদিন এসএসসি সংক্রান্ত জাতীয় মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা হওয়ার বিষয়টি জানা যায়। এই প্রতিবেদনেও প্রথম আলোর মতোই আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক একই তথ্য উল্লেখ পাওয়া যায়। তবে সেনাবাহিনী পরীক্ষার হলে গার্ড দেবে- শীর্ষক কোনো তথ্য প্রতিবেদনগুলোতে উল্লেখ ছিল না।  

এ বিষয়ে জানতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়েরের সাথে কথা বলেছে রিউমর স্ক্যানার। তিনি জানিয়েছেন, এমন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তথ্যটি মিথ্যা। 

মূলত, গত বছরের ২১ ডিসেম্বর মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার রুটিন প্রকাশিত হয়। এরপর গত ২৪ জানুয়ারি প্রবেশপত্র বিতরণের নোটিশ প্রদান করা হয়। এরই মধ্যে ‘মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষা-২০২৪ এ পরীক্ষার হলে গার্ড থাকবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী’ শীর্ষক একটি দাবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, উক্ত দাবিটি সঠিক নয়। এমন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে রিউমর স্ক্যানারকে জানানো হয়েছে। 

সুতরাং, এসএসসি পরীক্ষা-২০২৪ এ পরীক্ষার হলে গার্ড থাকবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শীর্ষক একটি দাবি ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে অংশ নেননি

0

সম্প্রতি, বিশ্ব ইজতেমার মোনাজাতে খালেদা জিয়া, টঙ্গী থেকে জাতিকে সুখবর দিলেন খালেদা জিয়া শীর্ষকথাম্বনেইল এবং বিশ্ব ইজতেমার মোনাজাতে অংশ নিলেন খালেদা জিয়া, টঙ্গী থেকে জাতিকে সুখবর দিলেন খালেদা শীর্ষক শিরোনামে একটি ভিডিও ইউটিউবে প্রচার করা হয়েছে।

ইজতেমা

উক্ত দাবিতে ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

এই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া অবধি ভিডিওটি দেখা হয়েছে ৬ হাজার ৮ শত বার। ভিডিওটিতে ২ শত ৮১ টি পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিক্রিয়া দেখানো হয়েছে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর চেয়ারপারসন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া টঙ্গীতে চলতি বছরের সদ্য সমাপ্ত বিশ্ব ইজতেমার প্রথম ধাপের আখেরি মোনাজাতে অংশ নেননি বরং ভিন্ন প্রেক্ষাপটের পূর্বে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের একাধিক ভিডিও ক্লিপ যুক্ত করে নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই আলোচিত দাবি সম্বলিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। আলোচিত ভিডিওটি’র শিরোনাম এবং থাম্বনেইলে উল্লেখিত দাবিগুলোর সাথে ভিডিওটি’র বিস্তারিত অংশের মিল পাওয়া যায়নি। 

ভিডিওতে প্রচারিত আলোচিত দাবিগুলো নিয়ে প্রাসঙ্গিক একাধিক কি ওয়ার্ড সার্চ করেও গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্যকোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে উক্ত দাবির সত্যতা পাওয়া যায়নি। 

আলোচিত ভিডিওটিতে প্রচারিত দাবির বিষয়ে আরও অনুসন্ধানে ভিডিওটিতে দেখানো ভিডিও ক্লিপগুলোর বিষয়ে আলাদাভাবে অনুসন্ধান চালায় রিউমর স্ক্যানার টিম।

ভিডিও যাচাই ০১

আলোচিত ভিডিওটিতে প্রথম দিকের ক্লিপটির বিষয়ে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ অনুসন্ধানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে ২০১৫ সালের ২ সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর দৃশ্যের একটি অংশের মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

Video Comparison: Rumor Scanner

ভিডিও থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৬ আগস্টে বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর সাবেক চীফ অব স্টাফ রিয়ার এডমিরাল মাহবুব আলী খানের ৩১ তম শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে ধানমন্ডি আবাসিক এলাকায় তার নিজ বাসভবনে আয়োজিত কোরআনে তাফসীর ও দোয়া মাহফিলে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া উপস্থিত ছিলেন। এটি সেই ঘটনার একটি ভিডিও।

অর্থাৎ, ভিডিওটি বেগম খালেদা জিয়ার বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণের নয়।

ভিডিও যাচাই ০২

প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ অনুসন্ধান করে, বেসরকারি ইলেকট্রনিক মিডিয়া সময় টিভির ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৩ সালের ১৫ জানুয়ারি “শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত ভিডিওর একটি অংশই আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওতে ব্যবহার করা হয়েছে।

Video Comparison: Rumor Scanner

ভিডিও থেকে জানা যায়, এটি ২০২৩ সালের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত নিয়ে সময় টিভিতে প্রতিবেদনের ভিডিও। তবে এই প্রতিবেদনে সেসময় বেগম খালেদা জিয়ার ইজতেমায় উপস্থিত থাকার বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।

এছাড়া, দেশিয় এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ২০২৪ সালে সশরীরে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে অংশগ্রহণ করার কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

তবে, অনুসন্ধানে ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে গুলশানের নিজ বাসভবন থেকে টঙ্গীতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণ করার তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়।

মূলত, ২০১৫ সালের ৬ আগস্টে বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর সাবেক চীফ অব স্টাফ রিয়ার এডমিরাল মাহবুব আলী খানের শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে ধানমন্ডিতে তার নিজ বাসায় আয়োজিত কোরআনে তাফসীর ও দোয়া মাহফিলে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া উপস্থিত ছিলেন। যা সেসময় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারিত হয়। এছাড়া, ২০২৩ সালের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত নিয়ে দেশের বেসরকারি ইলেকট্রনিক মিডিয়া সময় টিভি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সম্প্রতি, উক্ত পৃথক দুইটি ভিডিও ফুটেজ একত্রে যুক্ত করে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া টঙ্গীতে চলতি বছরের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাতে অংশ নিয়েছেন দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে। 

সুতরাং, ভিন্ন ভিন্ন প্রেক্ষাপটের পুরোনো ভিডিও ও সংবাদ প্রতিবেদনের ফুটেজ যুক্ত করে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে অংশ নিয়েছেন দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

এটি ছাত্রী-শিক্ষকের নাচের ভিডিও নয়

0

সম্প্রতি, ছাত্রী-শিক্ষকের নাচের ভিডিও দাবিতে ‘বুক চিনচিন করছে হায়’ শীর্ষক গানে এক যুবক ও এক কিশোরীর নাচের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

ছাত্রী-শিক্ষকের

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

এই প্রতিবেদন প্রকাশ অবধি এ বিষয়ে সর্বাধিক ভাইরাল ভিডিওটি প্রায় ২০ লক্ষ বা ২ মিলিয়ন বার দেখা হয়েছে। ভিডিওটিতে ৯ হাজারের অধিক মন্তব্য এবং প্রায় ৪৭ হাজার পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। ভিডিওটি প্রায় ৩ হাজার ২ শতের অধিক বার শেয়ার করা হয়েছে। এছাড়া ভাইরাল পোস্টগুলোর মন্তব্যঘর ঘুরে পোস্টটির দাবির প্রেক্ষিতে অধিকাংশ নেটিজেনকে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানাতে দেখা যায়।

একই দাবিতে টিকটকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ‘বুক চিন চিন করছে হায়’ শীর্ষক গানে নৃত্য পরিবেশনের এই ভিডিওটি কোনো ছাত্রী-শিক্ষকের নয় বরং কুমিল্লার একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২০২৩ সালের বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের একটি অনুষ্ঠানে ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী ও একজন যাদু শিল্পীর নাচের দৃশ্য এটি৷

মূলত, ২০২৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার তিতাসের ‘মাছিমপুর আর আর ইনস্টিটিউশন’ নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের একটি অনুষ্ঠানে ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী ও একজন যাদু শিল্পী ‘বুক চিন চিন করছে হায়’ শীর্ষক গানে নৃত্য পরিবেশন করেন। উক্ত নাচের ভিডিও সাম্প্রতিক সময়ে ছাত্রী-শিক্ষকের নাচের ভিডিও দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বছর এই ভিডিওটি নতুন শিক্ষা কারিকুলামে ছাত্রী-শিক্ষকের নাচের দৃশ্য দাবিতে ব্যাপকভাবে ইন্টারনেটে ভাইরাল হলে সেসময় বিষয়টি মিথ্যা শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী মিজানুর রহমান চৌধুরীর জন্মদিন ও ১৯৭৩ সালে তাঁর মন্ত্রিত্ব নিয়ে ভুল তথ্য প্রচার  

0

সাবেক প্রধানমন্ত্রী মিজানুর রহমান চৌধুরীর বিষয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গণমাধ্যমের খবরে দাবি করা হয়, ০২ ফেব্রুয়ারি তাঁর জন্মদিন। 

উক্ত গণমাধ্যমসহ ইন্টারনেটের আরো কতিপয় মাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, ‘মিজানুর রহমান চৌধুরী ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মন্ত্রী সভায় তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন।’

মিজানুর রহমান চৌধুরীর

উক্ত দাবিতে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন দেখুন নিউজজি২৪

মুক্ত বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়া’তেও তাঁর মন্ত্রিত্ব বিষয়ক দাবিটি প্রচার করা হয়েছে। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, মিজানুর রহমান চৌধুরীর জন্মদিন ০২ ফেব্রুয়ারি নয় বরং ২০০৬ সালের উক্ত তারিখে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তাছাড়া, ১৯৭৩ সালের মন্ত্রিসভায় তিনি তথ্য মন্ত্রণালয়ের নয়, দায়িত্বে ছিলেন সাহায্য ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে জাতীয় দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার ওয়েবসাইটে ২০২১ সালের ০২ ফেব্রুয়ারি মিজানুর রহমান চৌধুরীর মেজ ছেলে আমানুল্লাহ মিজান রাজুর স্ত্রী বেনজির চৌধুরী আইভির লেখা একটি কলাম খুঁজে পাওয়া যায়। কলামে তিনি লিখেছেন, ২০০৬ সালের ০২ ফেব্রুয়ারি সাবেক প্রধানমন্ত্রী মিজানুর রহমান চৌধুরী মারা যান। 

তাছাড়া, ২০০৬ সালের ০৩ ফেব্রুয়ারি আরেক জাতীয় দৈনিক The Daily Star পত্রিকার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আগের দিন অর্থাৎ ০২ ফেব্রুয়ারি মিজানুর রহমান চৌধুরী রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে মারা যান৷

একই প্রতিবদন থেকে জানা যাচ্ছে, তিনি ১৯২৮ সালের ১৯ অক্টোবর চাঁদপুরে জন্মগ্রহণ করেন। 

অর্থাৎ, এটা নিশ্চিত যে, ২০০৬ সালের ০২ ফেব্রুয়ারি জনাব মিজানুর রহমান চৌধুরীর জন্মদিন ছিল না৷ 

পরবর্তী অনুসন্ধানে বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বাংলাদেশে এ পর্যন্ত গঠিত মন্ত্রিপরিষদের তালিকা পর্যবেক্ষণ করে  ১৯৭৩ সালের মন্ত্রিসভার তালিকাটি খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত তালিকায় সাহায্য ও পুনর্বাসন মন্ত্রী হিসেবে মিজানুর রহমান চৌধুরীর নাম উল্লেখ রয়েছে। তিনি ১৯৭৩ সালের ১৬ মার্চ থেকে একই বছরের ১৭ মে পর্যন্ত উক্ত পদে দায়িত্ব পালন করেন। তবে ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর প্রথম মন্ত্রিসভায় তিনি তথ্য ও বেতারমন্ত্রী ছিলেন।

এছাড়াও ‘মুক্তিযুদ্ধ ই আর্কাইভ’ এর ওয়েবসাইটে ‘বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদ (১৯৭৩ – ১৯৭৫)’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনেও মিজানুর রহমান চৌধুরীর বিষয়ে একই তথ্য উল্লেখ পাওয়া যায়। 

আরো নিশ্চিত হতে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক আর্কাইভ ‘সংগ্রামের নোটবুক’ এর সহায়তায় মূলধারার গণমাধ্যম ইত্তেফাকের ১৯৭৩ সালের ১৭ মার্চ প্রিন্ট সংস্করণের প্রথম পাতায় আগের দিন মন্ত্রিসভার শপথ সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হওয়ার তথ্য পাওয়া যায়। উক্ত দিনের পত্রিকাটিতে ‘কার কোন দফতর’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মিজানুর রহমান চৌধুরী ১৯৭৩ সালে গঠিত মন্ত্রিসভায় সাহায্য ও পুনর্বাসন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। 

Image Source: Ittefaq Print Edition, 17th March 1973 

মূলত, সাবেক প্রধানমন্ত্রী মিজানুর রহমান চৌধুরীর বিষয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গণমাধ্যমের খবরে দাবি করা হয়, ০২ ফেব্রুয়ারি তাঁর জন্মদিন এবং গণমাধ্যমসহ উইকিপিডিয়ায় দাবি করা হয়, তিনি ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মন্ত্রিসভায় তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, দাবিগুলো সঠিক নয়। ০২ ফেব্রুয়ারি তাঁর জন্মদিন নয়, ২০০৬ সালের এই তারিখে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তাছাড়া, মিজানুর রহমান চৌধুরী ১৯৭৩ সালে গঠিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মন্ত্রিসভায় সাহায্য ও পুনর্বাসন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন। তবে, ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর প্রথম মন্ত্রিসভায় তিনি তথ্য ও বেতারমন্ত্রী ছিলেন।

সুতরাং, সাবেক প্রধানমন্ত্রী মিজানুর রহমান চৌধুরীর জন্মদিন ০২ ফেব্রুয়ারি এবং ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মন্ত্রিসভায় তিনি তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন শীর্ষক দাবি ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে, যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

মাদক গ্রহণের এই ভিডিওটি এমপি নিক্সনের মেয়ে নাজোরা মুজিব চৌধুরীর নয়

0

সম্প্রতি, ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর, চরভদ্রাসন) আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরীর মেয়ে দাবিতে এক নারীর মাদক গ্রহণের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে। 

নিক্সনের মেয়ে

যা দাবি করা হচ্ছে

মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরী এমপি নির্বাচিত হওয়া উপলক্ষে তার মেয়ের মাদক গ্রহণের ভিডিও এটি।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

এই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া অবধি উক্ত দাবিতে প্রচারিত সবচেয়ে ভাইরাল ভিডিওটি দেখা হয়েছে প্রায় ৫ লক্ষ ২৮ হাজার বার। এছাড়া, ভিডিওটি ১ শত ৭১ টি পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা হয়েছে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আলোচিত ভিডিওতে দেখানো নারী সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরীর মেয়ে নন। ভিডিওতে মাদক গ্রহণ করা নারীর প্রকৃত পরিচয় না পাওয়া গেলেও নিক্সন চৌধুরীর মেয়ের চেহারার সাথে উক্ত নারীর চেহারার কোনো মিল পাওয়া যায়নি। 

আলোচিত দাবির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য শুরুতে সংসদ নিক্সন চৌধুরীর মেয়ের চেহারার সাথে আলোচিত দাবিতে দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর নারীর চেহারার চেহারা মিলিয়ে দেখার চেষ্টা করে রিউমর স্ক্যানার।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে নিক্সন চৌধুরীর মেয়েকে নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায় নিক্সন চৌধুরীর মেয়ের নাম নাজোরা মুজিব চৌধুরী।

উক্ত সূত্র ধরে অনুসন্ধানে এমপি নিক্সন চৌধুরীর অফিসিয়াল ভ্যারিফাইড ফেসবুকে পেজে ২০২৩ সালের ২২ ডিসেম্বর প্রকাশিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণার একটি ভিডিওতে তার মেয়ে নাজোরা মুজিব চৌধুরীর বক্তব্য খুঁজে পাওয়া যায়।

তবে নিক্সন চৌধুরীর ফেসবুক পেজে প্রচারিত তার মেয়ে নাজোরা মুজিব চৌধুরীর ছবির সাথে আলোচিত ভিডিওর মাদক গ্রহণ করা নারীর চেহারার কোনো মিল খুঁজে পাওয়া যায় নি।

Video Comparison: Rumor Scanner

পরবর্তীতে প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড অনুসন্ধানের মাধ্যমে নাজোরা মুজিব চৌধুরীকে নিয়ে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যম প্রকাশিত প্রতিবেদনে (, , ) থাকা তার ভিডিও ও ছবির সাথে আলোচিত ভিডিওর নারীর চেহারা বিশ্লেষণ করেও কোনো মিল পায়নি রিউমর স্ক্যানার টিম।

তবে অনুসন্ধানে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর নারীর আসল পরিচয় খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়নি।

এছাড়া, একই ভিডিওটি ২০২৩ সালে পৃথক পৃথক দাবিতে (ছাত্রলীগ নেত্রী পোস্ট (আর্কাইভ), শামীম ওসমানের স্ত্রী পোস্ট (আর্কাইভ) প্রচার করা হয়। তবে ঐ সকল পোস্টে দাবি সমর্থিত কোনো তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি। 

মূলত, সম্প্রতি ফেসবুকে এক নারীর মাদক গ্রহণের একটি ভিডিও পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে ভিডিওর নারী ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরীর মেয়ে নাজোরা মুজিব চৌধুরী। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে নিক্সন চৌধুরীর মেয়ে নাজোরা মুজিব চৌধুরীর চেহারার সাথে প্রচারিত ভিডিওতে মাদক গ্রহণ করা নারীর চেহারা মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি। আলোচিত ভিডিওটি অতীতেও ভিন্ন ভিন্ন দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হলেও এই নারীর প্রকৃত পরিচয় জানা যায়নি।

উল্লেখ্য, পূর্বে একই ভিডিও সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের স্ত্রীর মাদক গ্রহণের দৃশ্য দাবিতে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে সেসময় দাবিটিকে মিথ্যা হিসেবে শুনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।

সুতরাং, এমপি নিক্সন চৌধুরীর মেয়ে নাজোরা মুজিব চৌধুরী দাবিতে ভিন্ন এক নারীর মাদক গ্রহণের ভিডিও ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

২০২৪ সালের নবম শ্রেণির ইসলাম শিক্ষা বইয়ে ‘জিহাদ’ বিষয়ক পাঠ নেই

0

গত ২৭ জানুয়ারি ইসলামি চিন্তাবিদ ও বক্তা শায়খ আহমাদুল্লাহর ভেরিফাইড ইউটিউব চ্যানেলে ‘পাঠ্য বইয়ে শরীফার গল্প ছাড়াও ইসলাম বিরোধী ১০ বিষয়” শীর্ষক শিরোনামে একটি ভিডিও (আর্কাইভ) প্রকাশিত হয়।

পরদিন ২৮ জানুয়ারি উক্ত ভিডিওর বিষয়গুলোসহ পাঠ্য বইয়ের আরো কিছু বিষয় উল্লেখ করে Abdullah Al Monsur নামের এক ব্যক্তির ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট (আর্কাইভ) করা হয়। 

পরবর্তীতে ৩১ জানুয়ারি বাংলাদেশের জাতীয় পুরুষ দলের ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের স্ত্রী জান্নাতুল কাউছার তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট (আর্কাইভ) করেন।

পোস্টটির শুরুতে দাবি করা হচ্ছে, “নবম শ্রেণীর ইসলাম শিক্ষা বই থেকে ইসলামের অকাট্য ফরজ বিধান জি*হা*দ পুরাই ডিলিট (বিলুপ্ত) করে দেয়া হয়েছে।”

পরবর্তীতে উক্ত পোস্টগুলোকে গুজব উল্লেখ করে নবম-দশম শ্রেণির ইসলাম শিক্ষা বইয়ের সূচিপত্রের ছবি যুক্ত করে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে। যেখানে বলা হচ্ছে, আপনারা বই খুললেই প্রমাণ পাবেন নবম শ্রেণীর ইসলাম শিক্ষা বই থেকে জিহাদ বিলুপ্ত করা হয়নি।

ইসলাম শিক্ষা

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০২৪ সালের নবম শ্রেণির ইসলাম শিক্ষা বই থেকে জিহাদ বিষয়ক পাঠ বাদ দেওয়ার দাবিটি সত্য। জিহাদ বিষয়ক পাঠ বাদ দেওয়া হয়নি দাবিতে প্রচারিত পোস্টগুলোতে যুক্ত পাঠ্যসূচির ছবিটি ২০২৩ সালে এনসিটিবি কর্তৃক প্রকাশিত ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বইয়ের।

দাবির সূত্রপাত

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত দাবির উৎসের খোঁজ করার চেষ্টা চালিয়েছে রিউমর স্ক্যানার টিম। অনুসন্ধানে ‘Abdullah Harun Jewel’ নামক ফেসবুক অ্যাকাউন্টে সম্ভাব্য প্রথম পোস্টটি (আর্কাইভ) পোস্টটি খুঁজে পাওয়া যায়। যদিও পরবর্তীতে পোস্টটি সরিয়ে ফেলা হয়।

Screenshot : Facebook Post

একই অ্যাকাউন্ট থেকে পূর্ববর্তী পোস্ট সরিয়ে ফেলারকারণ উল্লেখ করে পরবর্তীতে আরও একটি পোস্ট (আর্কাইভ) করা হয়। যেখানে বলা হয়, ‘২০২৩ সালের পাঠ্যবই দেখে লেখায় ভুল হয়েছে। আমি ক্ষমাপ্রার্থী। অভিযোগ সত্য যে, নবম শ্রেণির ইসলাম শিক্ষা বইয়ে জিহাদ অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি’।

পরবর্তীতে আলোচিত দাবিতে যুক্ত পাঠ্যসূচির ছবিটির বিষয়ে অনুসন্ধানে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের ওয়েবসাইটে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক স্তরের (এনসিটিবি) নবম-দশম শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বইয়ে হুবহু সূচিপত্রের ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়। 

Screenshot Comparison : Rumor Scanner

২০২৩ শিক্ষাবর্ষের নবম-দশম শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বইয়ে আলোচিত সূচিটির উল্লেখ পাওয়া যায় যেখানে জিহাদ বিষয়ক পাঠ বিদ্যমান। 

অর্থাৎ, গতবছরের ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের নবম-দশম শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বইয়ের পাঠ্যসূচির ছবিটিই ২০২৪ সালের বইয়ের ছবি দাবিতে প্রচার করা হয়েছে। 

চলতি শিক্ষাবর্ষের ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বইয়ে কি ‘জিহাদ’ বিষয়ক পাঠ বিদ্যমান?

চলতি শিক্ষাবর্ষের অর্থাৎ ২০২৪ সালে জাতীয় শিক্ষাক্রম এ পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সংস্করণে প্রকাশিত ইসলাম শিক্ষা বইয়ে ‘জিহাদ’ বিষয়ক পাঠ আছে কিনা সে বিষয়ে অনুসন্ধান করে রিউমর স্ক্যানার টিম। অনুসন্ধানে এনসিটিবির ওয়েবসাইটে থাকা ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের নবম-দশম শ্রেণির  ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বইটির সূচিপত্র পর্যবেক্ষণ করে ‘জিহাদ’ বিষয়ক পাঠের উল্লেখ পাওয়া যায়নি।

Screenshot : NCTB’s Website

তাছাড়া, পুরো বইয়ের পাঠগুলো আলাদাভাবে খুঁজেও আলোচিত দাবিটির সত্যতা পাওয়া যায়নি। 

অর্থাৎ, নতুন শিক্ষাবর্ষে নবম-দশম শ্রেণির ইসলাম শিক্ষা বই থেকে জিহাদ পাঠ বাদ দেওয়া হয়েছে। 

মূলত, ২০২৪ সালের নবম-দশম শ্রেণির ইসলাম শিক্ষা বই থেকে ‘জিহাদ’ বিষয়ক পাঠ বাদ দেওয়া হয়েছে দাবিতে বাংলাদেশের পুরুষ ক্রিকেট দলের সিনিয়র সদস্য মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের স্ত্রী জান্নাতুল কাউছার তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট করেন। পরবর্তীতে উক্ত পোস্টটিকে গুজব দাবি করে নবম-দশম শ্রেণির ইসলাম শিক্ষা বইয়ের সূচিপত্রের একটি ছবি যুক্ত করে ‘নবম শ্রেনীর ইসলাম শিক্ষা বই থেকে ‘জিহাদ’ বিষয়ক পাঠ বাদ দেওয়া হয়নি’ দাবিতে ইন্টারনেটে প্লাটা আরেকটি  তথ্য প্রচার করা হয়। তবে রিউমর স্ক্যানার যাচাই করে দেখেছে যে, নবম-দশম শ্রেণির ইসলাম শিক্ষা বই থেকে জিহাদ পাঠ বাদ দেওয়া হয়নি দাবিতে প্রচারিত পোস্টে যুক্ত ছবিটি নবম-দশম শ্রেণির ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বইয়ের। প্রকৃতপক্ষে নবম-দশম শ্রেণির ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ইসলাম শিক্ষা বইয়ের নতুন সংস্করণে ‘জিহাদ’ পাঠ বাদ দেওয়া হয়েছে। 

সুতরাং, ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের নবম-দশম শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বইয়ের সূচিপত্র একটি ছবি যুক্ত করে নবম-দশম শ্রেণির ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ইসলাম শিক্ষা বইয়ে ‘জিহাদ’ বিষয়ক পাঠ বিদ্যমান রয়েছে দাবিতে ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে সকল সিম অপারেটর হতে বিনামূল্যে ইন্টারনেট দেওয়ার অফারটি ভুয়া 

0

সম্প্রতি, ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে সকল সিমে অপারেটরে বিনামূল্যে ইন্টারনেট দেওয়ার অফার দিয়েছে- শীর্ষক দাবিতে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। 

পোস্টগুলোতে ৫০, ৩৫, ৩০ এবং ২৫ জিবি ইন্টারনেট  দেওয়ার তথ্য প্রচার করা হচ্ছে।

 বিনামূল্যে ইন্টারনেট

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, ৫০, ৩৫, ৩০ এবং ২৫ জিবি ফ্রি ইন্টারনেট অফার লিংকটি ভুয়া এবং উক্ত লিংকে প্রবেশ করে ফ্রি ইন্টারনেট পাওয়ার বিষয়টিও মিথ্যা বরং লিংকে প্রবেশ করলে জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রদর্শন হতে দেখা যায়। 

আলোচিত পোস্টগুলোতে brizy.site নামক একটি ডোমেইন লিংক দেওয়া হয়। এই লিংকটিতে ঢুকলে প্রথমেই সিম অপারেটরের নাম আসে এবং ফ্রি ইন্টারনেটের অফারটি আসে। পরবর্তীতে সেখানে যেই সিমের নামেই ক্লিক করা হয়েছে সেটি থেকেই জুয়ার ওয়েবসাইটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

Image Collage: Rumor Scanner

এছাড়া, কয়েকটি পোস্টে দেওয়া লিংকের ঠিকানায় প্রবেশ করে কোনো ওয়েবসাইট পাওয়া যায়নি। 

অর্থাৎ, ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে বিনামূল্যে ইন্টারনেট দেওয়ার তথ্যটি ভুয়া। 

মূলত, ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে সকল সিম অপারেটর হতে ব্যবহারকারীদের বিনামূল্যে ইন্টারনেট দেওয়া হচ্ছে দাবিতে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, কোনো সিম অপারেটরের পক্ষ থেকে এমন কোনো বোনাস ঘোষণা করা হয়নি। প্রকৃতপক্ষে জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচারণার স্বার্থে ৫০, ৩৫, ৩০ এবং ২৫ জিবি ইন্টারনেটের প্রলোভন দেখিয়ে আলোচিত ওয়েবসাইট লিংকটি প্রচার করা হচ্ছে। 

উল্লেখ্য, এ ধরণের স্ক্যাম লিংকের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়া আইডি হ্যাক, ব্যক্তিগত ড্যাটা চুরি ও ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে অনলাইন নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করার নজির রয়েছে। 

প্রসঙ্গত, এর আগেও নববর্ষ উপলক্ষে একইভাবে ভুয়া ক্যাম্পেইন ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার টিম।

সুতরাং, ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ৫০, ৩৫, ৩০ এবং ২৫ জিবি ফ্রি ইন্টারনেটের যে অফার লিংকটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে; তা সম্পূর্ণ ভুয়া।

তথ্যসূত্র

  • Rumor Scanner’s Own Analysis 

প্রধানমন্ত্রী ব্যারিস্টার সুমনকে পদত্যাগের নির্দেশ দেননি 

0

সম্প্রতি, সংসদে ক্ষমা চাইলেন ব্যারিস্টার সুমন, পদত্যাগের নির্দেশ দিলো হাসিনা– শীর্ষক থাম্বনেইল এবং ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দিলো ব্যারিস্টার সুমন, কষ্টে সংসদে সুমনের কান্নাকাটি– শীর্ষক শিরোনামে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে।

ভিডিওটিতে দাবি করা হচ্ছে, হবিগঞ্জ-৪ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেনে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন সংসদে ক্ষমা চেয়েছে এবং তাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন। 

দত্যাগের নির্দেশ

উক্ত দাবিতে ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, হবিগঞ্জ-৪ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন সংসদে ক্ষমা চাননি এবং তাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগের নির্দেশ দেননি বরং ভিন্ন কয়েকটি ভিডিও ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনা করে চটকদার থাম্বনেইলে এবং শিরোনামে আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। আলোচিত ভিডিওটি’র শিরোনাম এবং থাম্বনেইলে উল্লেখিত দাবিগুলোর সাথে ভিডিওটি’র বিস্তারিত অংশের মিল পাওয়া যায়নি। 

ভিডিওতে প্রচারিত আলোচিত দাবিগুলো নিয়ে প্রাসঙ্গিক একাধিক কি ওয়ার্ড সার্চ করেও গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্যকোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে উক্ত দাবির সত্যতা পাওয়া যায়নি। 

অনুসন্ধানের এপর্যায়ে আলোচিত ভিডিওটিতে প্রচারিত ভিডিও ক্লিপগুলোর বিষয়ে পৃথকভাবে অনুসন্ধান চালায় রিউমর স্ক্যানার টিম।

ভিডিও যাচাই-১

সংবাদ পাঠকের পঠিত সংবাদের সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে News24 এর ইউটিউব চ্যানেলে ২০১৮ সালের ৬ নভেম্বর “চার টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীকে পদত্যাগের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর/কাল পদত্যাগ করবেন মোস্তফা জব্বার” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি সংবার প্রতিবেদন পাওয়া যায়। 

উক্ত ভিডিও প্রতিবেদনটির একটি অংশের সাথে আলোচিত ভিডিওটিতে থাকা নিউজ২৪ এর সংবাদ প্রতিবেদনের ফুটেজের হুবহু মিল রয়েছে। 

Video Comparison: Rumor Scanner 

উক্ত সংবাদ প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, এটি ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্ববর্তী সময়ে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীদের পদত্যাগের নির্দেশ নিয়ে প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদনের ভিডিও।

ব্যারিস্টার সুমন একাদশ জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য কিংবা টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী ছিলেন না। তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তাই এই ভিডিও প্রতিবেদনের সাথে আলোচিত দাবির কোনো সম্পর্ক নেই।

ভিডিও যাচাই-২

ভিডিওর এই অংশে প্রদর্শিত ব্যারিস্টার সুমনের বক্তব্যের ফুটেজের সূত্র ধরে অনুসন্ধানে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে Desh Tv এর ইউটিউব চ্যানেলে গতবছরের ২১ ডিসেম্বর “এমপি হওয়া কি টাকা কামানোর জায়গা?: ব্যারিস্টার সুমন” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি সাক্ষাৎকারের ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত ভিডিওটির একটি অংশই আলোচিত ভিডিওটিতে যুক্ত করা হয়েছে।  

Video Comparison: Rumor Scanner 

উক্ত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণার সময় ব্যারিস্টার সুমন Desh Tv কে একটি সাক্ষাৎকার দেন। সেই সাক্ষাৎকারের ভিডিও এটি।

অর্থাৎ এই ভিডিও নির্বাচনের আগে হওয়ায় আলোচিত দাবির সাথে এই ভিডিও কোনো সম্পর্ক নেই।

ভিডিও যাচাই-৩

ব্যারিস্টার সুমনের সাক্ষাৎকারের এই ক্লিপের বিষয়ে অনুসন্ধানে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে ATN Bangla এর ইউটিউব চ্যানেলে গত ৩১ জানুয়ারি “এমপি হয়েই চাপে ব্যারিস্টার সুমন” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি সাক্ষাৎকারের ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। 

উক্ত ভিডিওটির একটি অংশই আলোচিত ভিডিওটিতে যুক্ত করা হয়েছে। 

Video Comparison: Rumor Scanner 

উক্ত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে জানা যায়, এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর সম্প্রতি ব্যারিস্টার সুমন ATN Bangla কে একটি সাক্ষাৎকার দেন। সেই সাক্ষাৎকারের ভিডিও এটি। ১ মিনিট ২৫ সেকেন্ডের পর থেকে ব্যারিস্টার সুমনের দেওয়া বক্তব্যের সাথে আলোচিত ভিডিওটিতে থাকা ব্যারিস্টার সুমনের বক্তব্যের হুবহু মিল রয়েছে। 

এখানেও ব্যারিস্টার সুমনের বক্তব্যে পদত্যাগ ও ক্ষমা চাওয়া সংক্রান্ত কোনো কথা বলতে বা মন্তব্য করতে শোনা যায়নি। 

ভিডিও যাচাই-৪

ভিডিওতে প্রদর্শিত ব্যারিস্টার সুমনের বক্তব্যের এই অংশের ফুটেজ অনুসন্ধানে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে Rtv এর ইউটিউব চ্যানেলে গত ১০ জানুয়ারি “সংসদে এতো মানুষের দরকার নাই: ব্যারিস্টার সুমন” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি সাক্ষাৎকারের ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। 

উক্ত ভিডিওটির একটি অংশের সাথে আলোচিত ভিডিও এই অংশের হুবহু মিল রয়েছে। 

Video Comparison: Rumor Scanner 

উক্ত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে জানা যায়, ১০ জানুয়ারি সকাল ১০টার পর সংসদ ভবনের নিচতলায় শপথ নেয়ার পর প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের ব্যারিস্টার সুমন বলেন, সংসদে যেসব মানুষ দেখলাম, আরও কমানো যায়। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা মাঝে মাঝে চুপ হয়ে যান। এটা হওয়া যাবে না।

এই সাক্ষাৎকারেও তার পদত্যাগ ও ক্ষমা চাওয়া সংক্রান্ত কোনো মন্তব্য করতে শোনা যায়নি। 

মূলত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-৪ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন গত ১০ জানুয়ারি এমপি হিসেবে তিনি শপথ গ্রহণ করেছেন। পরবর্তীতে গত ৩০ জানুয়ারি প্রথম সংসদ অধিবেশনেও তিনি অংশগ্রহণ করেছেন। এরইমধ্যে সংসদে ক্ষমা চাইলেন ব্যারিস্টার সুমন, পদত্যাগের নির্দেশ দিলো হাসিনা– শীর্ষক থাম্বনেইলে এবং ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দিলো ব্যারিস্টার সুমন, কষ্টে সংসদে সুমনের কান্নাকাটি– শীর্ষক শিরোনামে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আলোচিত দাবিটি মিথ্যা। প্রকৃতপক্ষে, ভিন্ন কয়েকটি ভিডিও ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনা করে অধিক ভিউ পাওয়ার আশায় চটকদার থাম্বনেইল এবং শিরোনাম ব্যবহার করে প্রচার করা হয়েছে। এছাড়া, গণমাধ্যমেও এ-সংক্রান্ত দাবির কোনো  সত্যতা পাওয়া যায়নি। 

সুতরাং, ব্যারিস্টার সুমন সংসদে ক্ষমা চেয়েছেন এবং  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত তথ্যগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

মালদ্বীপে ভারত বয়কটের সাম্প্রতিক দৃশ্য দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি পুরোনো 

সম্প্রতি, মালদ্বীপে ইন্ডিয়া বিরোধী ক্যাম্পেইন– দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ভারত বয়কটের

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, মালদ্বীপে ভারত বয়কট ক্যাম্পেইনের দৃশ্য দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় বরং ভিডিওটি গতবছরের জুন মাসে মালদ্বীপে অনুষ্ঠিত ‘ইন্ডিয়া আউট’ আন্দোলনের প্রতিবাদ মিছিলের। 

অনুসন্ধানের শুরুতে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে ভারতীয় গণমাধ্যম Scroll.in এর ওয়েবসাইটে গতবছরের পহেলা জুলাই “After ‘India Out’ protests, Maldives government issues condemnation” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। 

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত বছর ‘ইন্ডিয়া আউট’ প্রতিবাদের পরে মালদ্বীপ সরকারের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। প্রতিবাদকারীদের অভিযোগ ছিল, ইব্রাহীম সলিহ সরকার দিল্লিমুখী এবং ভারতের সৈন্যদেরকে দ্বীপরাষ্ট্রটিতে উপস্থিত থাকার অনুমতি দেয়।

উক্ত প্রতিবেদনটিতে Razzan নামক এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টের গতবছরের ২৯ জুন করা একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। (আর্কাইভ

উক্ত পোস্টে থাকা ভিডিওটির সাথে আলোচিত ভিডিওটির হুবহু মিল রয়েছে।

Video Comparison: Rumor Scanner 

উক্ত পোস্টটির ক্যাপশনে ‘#IndiaOut’ লিখা।

এছাড়া, ভারতীয় গণমাধ্যম Hindustan Times এর ওয়েবসাইটে গতবছরের পহেলা জুলাই “Maldivian Govt Decries ‘India Out’ Protests; Says ‘Won’t Tolerate Hatred Against Modi…‘ | Watch” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। 

উক্ত প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য জানা যায়। 

অর্থাৎ, আলোচিত ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয়। 

মূলত, সম্প্রতি মালদ্বীপের সরকার বদলের পরে দেশটির মাটিতে ভারতীয় সৈন্যদের উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে ভারত-মালদ্বীপ সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়। এরইমধ্যে ‘মালদ্বীপে ইন্ডিয়া বিরোধী ক্যাম্পেইন’- দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আলোচিত ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয়। গতবছরের ২৯ জুন মালদ্বীপে ‘ইন্ডিয়া আউট’ স্লোগানে একটি প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। সেই মিছিলের ভিডিও এটি। 

সুতরাং, গতবছরের জুন মাসে মালদ্বীপে অনুষ্ঠিত ‘ইন্ডিয়া আউট’ আন্দোলনের ভিডিওকে সাম্প্রতিক সময়ে মালদ্বীপে ভারত বয়কটের দৃশ্য দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে, যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র