সম্প্রতি, ছাত্রী-শিক্ষকের নাচের ভিডিও দাবিতে ‘বুক চিনচিন করছে হায়’ শীর্ষক গানে এক যুবক ও এক কিশোরীর নাচের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
এই প্রতিবেদন প্রকাশ অবধি এ বিষয়ে সর্বাধিক ভাইরাল ভিডিওটি প্রায় ২০ লক্ষ বা ২ মিলিয়ন বার দেখা হয়েছে। ভিডিওটিতে ৯ হাজারের অধিক মন্তব্য এবং প্রায় ৪৭ হাজার পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। ভিডিওটি প্রায় ৩ হাজার ২ শতের অধিক বার শেয়ার করা হয়েছে। এছাড়া ভাইরাল পোস্টগুলোর মন্তব্যঘর ঘুরে পোস্টটির দাবির প্রেক্ষিতে অধিকাংশ নেটিজেনকে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানাতে দেখা যায়।
একই দাবিতে টিকটকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ‘বুক চিন চিন করছে হায়’ শীর্ষক গানে নৃত্য পরিবেশনের এই ভিডিওটি কোনো ছাত্রী-শিক্ষকের নয় বরং কুমিল্লার একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২০২৩ সালের বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের একটি অনুষ্ঠানে ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী ও একজন যাদু শিল্পীর নাচের দৃশ্য এটি৷
মূলত, ২০২৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার তিতাসের ‘মাছিমপুর আর আর ইনস্টিটিউশন’ নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের একটি অনুষ্ঠানে ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী ও একজন যাদু শিল্পী ‘বুক চিন চিন করছে হায়’ শীর্ষক গানে নৃত্য পরিবেশন করেন। উক্ত নাচের ভিডিও সাম্প্রতিক সময়ে ছাত্রী-শিক্ষকের নাচের ভিডিও দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছর এই ভিডিওটি নতুন শিক্ষা কারিকুলামে ছাত্রী-শিক্ষকের নাচের দৃশ্য দাবিতে ব্যাপকভাবে ইন্টারনেটে ভাইরাল হলে সেসময় বিষয়টি মিথ্যা শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।