Home Blog Page 539

টিম সেইফার্ট শরিফুল ইসলামকে নিয়ে লাইভ করেননি 

গত বছরের (২০২৩) ২৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বনাম নিউজিল্যান্ডের টি২০ সিরিজের ২য় ম্যাচ চলাকালীন বাংলাদেশের শরিফুল ইসলামের ওভারের পঞ্চম বলে ড্যারিল মিচেল ব্যাট করলে তা নন স্ট্রাইকে থাকা সেইফার্টের মাথায় আঘাত লাগে। এর সাথে সাথেই তিনি মাটিতে পড়ে যান। তখন সেইফার্টের হেলমেটে লেগে বল সরাসরি শরিফুলের হাতে চলে আসে। প্রথমে শরিফুল স্টাম্প ভাঙতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এই অবস্থায় তিনি সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে আর স্ট্যাম্প ভাঙেননি। স্টাম্প ভাঙ্গলেই সেইফার্ট আউট হতেন। শরিফুলের এমন আচরণে সে সময় আলোচনা সমালোচনাও হয়। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সম্প্রতি একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচারিত হচ্ছে যাতে দাবি করা হচ্ছে, শরিফুলের উদারতা দেখে নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটার টিম সেইফার্ট লাইভে এসেছেন।

টিম সেইফার্ট

টিকটকে প্রচারিত ভিডিওটি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

এই প্রতিবেদন প্রকাশ অবধি এই ভিডিওটি দেখা হয়েছে সাড়ে ৮৮ হাজারেরও বেশি বার। ভিডিওটিতে প্রায় ৪ হাজার পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিক্রিয়া করা হয়েছে।

ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, টিম সেইফার্ট শরিফুল ইসলামকে নিয়ে লাইভে এসে কোনো মন্তব্য করেননি বরং ইএসপিএন ক্রিকইনফোতে টিম সেইফার্টের করোনাকালীন আইপিএল নিয়ে দেওয়া সাক্ষাতকারের ভিডিওর ক্লিপ যুক্ত করে আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হচ্ছে। 

অনুসন্ধানের শুরুতে ভিডিওতে প্রচারিত আলোচিত দাবি নিয়ে প্রাসঙ্গিক একাধিক কি ওয়ার্ড সার্চ করেও গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে উক্ত দাবির সত্যতা পাওয়া যায়নি। 

পরবর্তীতে আলোচিত ভিডিওটিতে প্রচারিত ক্লিপটির বিষয়ে পৃথকভাবে অনুসন্ধান চালায় রিউমর স্ক্যানার টিম।

অনুসন্ধানে ক্রীড়া বিষয়ক গণমাধ্যম ইএসপিএন ক্রিকইনফোর ফেসবুক পেজে ২০২১ সালের ২৫ মে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত ভিডিওর একটি অংশই আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওতে যুক্ত করা হয়েছে।

Video Comparison: Rumor Scanner

ভিডিও থেকে জানা যায়, টিম সেইফার্ট সেদিন কোভিড-১৯ চলাকালীন ভারতীয় প্রিমিয়ার লীগ – আইপিএল নিয়ে কথা বলছিলেন।

মূলত, ২০২১ সালের মে মাসে টিম সেইফার্ট ক্রীড়া গণমাধ্যম ইএসপিএন ক্রিকইনফোর এক সাক্ষাতকারে কোভিড-১৯ চলাকালীন ভারতীয় প্রিমিয়ার লীগ – আইপিএল নিয়ে কথা বলছিলেন। সম্প্রতি, এই ভিডিও ব্যবহার করে ডিজিটাল প্রযুক্তির সাহায্যে সম্পাদনা করে টিম সেইফার্ট শরিফুল ইসলামকে নিয়ে লাইভে এসে মন্তব্য করেছেন দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

সুতরাং, পুরোনো ও ভিন্ন ঘটনায় নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটার টিম সেইফার্টের ভিডিও ফুটেজ ব্যবহার করে শরিফুল ইসলামকে নিয়ে লাইভে এসে মন্তব্য করেছেন শীর্ষক একটি দাবি ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

  • Espn cricinfo – Facebook
  • Rumor Scanner’s own analysis 

দানি আলভেস জেলের ভেতর আত্মহত্যা করেননি

0

বার্সেলোনার একটি নৈশক্লাবে ২৩ বছর বয়সী এক তরুণীর সঙ্গে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করার অপরাধে গত জানুয়ারিতে সাড়ে চার বছরের কারাদণ্ড পেয়েছেন বার্সেলোনা ও ব্রাজিলের সাবেক তারকা ফুটবলার দানি আলভেস। এই ঘটনার পরবর্তী সময় ‘দানি আলভেস জেলের ভেতর আত্মহত্যা করেছেন’ দাবিতে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

দানি আলভেস

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, দানি আলভেস জেলের ভেতর আত্মহত্যা করেছেন দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সত্য নয় বরং পাওলো আলবুকার্ক নামের ব্রাজিলের এক সাংবাদিকের এক্স পোস্টের প্রক্ষিতে তার আত্মহত্যার গুজব ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে আলভেসের ভাই এবং তার প্রেস অফিস নিশ্চিত করেন, আলভেস আত্মহত্যা করেননি।

গুজবের সূত্রপাত

বিষয়টির সত্যতা যাচাইয়ে প্রাসঙ্গিক কিছু কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে কিছু ইংরেজি ভাষার অনলাইন পোর্টালে একই দাবিতে প্রচারিত প্রতিবেদন (,) খুঁজে পাওয়া যায়।

প্রতিবেদনগুলোর দাবি অনুসারে, ব্রাজিলের সাংবাদিক পাওলো আলবুকার্ক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার)-এ বার্সেলোনা ও ব্রাজিলের জাতীয় দলের সাবেক ডিফেন্ডারের আত্মহত্যার খবর প্রকাশ করেছেন।

উক্ত প্রতিবেদনগুলোর সূত্রে পাওলো আলবুকার্কের আলোচ্য এক্স পোস্টটি খুঁজে পাওয়া যায়। বাংলাদেশ সময় ৯ মার্চ দিবাগত রাত ১টা ১৯ মিনিটে প্রচারিত উক্ত পোস্টে আলবুকার্ক লিখেন, “আমার কাছে পৌঁছানো তথ্য অনুসারে, ড্যানিয়েল আলভেস নিজেকে হত্যা করেছেন।” এই পোস্টে তিনি ড্যানিয়েল আলভেসের পরিচয় স্পষ্টভাবে লিখেননি।

১০ মার্চ সকাল ৯টা ১৭ মিনিটে প্রচারিত ভিন্ন একটি এক্স পোস্টে আলভেসের পরিচয় সম্পর্কে তিনি লিখেন, “আমি আমার হারিয়ে যাওয়া কাজিন ড্যানিয়েলজিনহোর কথা বলেছিলাম। তাকে ইতোমধ্যে জীবিত অবস্থায় পাওয়া গেছে।”

Screenshot: X.

‘LIBERTA DEPRE’ নামের একটি এক্স অ্যাকাউন্টে দানি আলভেসের ভাই নেই আলভেসের (Ney Alves) এ বিষয় দেওয়া বক্তব্যের ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। নেই আলভেস দানি আলভেসের আত্মহত্যা দাবি খণ্ডন করে বলেন, ‘একজন নারীর পুরুষদের বাথরুমে প্রবেশের ঘটনায় দানি আলভেসের শাস্তির পর, কিছু লোক তার মৃত্যু কামনা করছে। তার জেলে যাওয়াটা কি যথেষ্ট নয়? আর সবচেয়ে অসম্ভব ব্যাপার হলো, তারা চায় আলভেস মারা যাক।’

স্পেনের জাতীয় দৈনিক ক্রীড়া সংবাদপত্র মার্কাও নেই আলভেসের এই বক্তব্য নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

এছাড়া, রেডিও ইতালিয়া এবং টিএনটি স্পোর্টসের বার্সেলোনা প্রতিনিধি মার্সেলো বেচলার এক্স পোস্টের মাধ্যমে জানান, “ড্যানিয়েল আলভেসের প্রেস অফিস সাবেক এই খেলোয়াড়ের আইনজীবীর সাথে যোগাযোগ করার পর, এই সন্ধ্যায় ছড়িয়ে পড়া (আত্মহত্যার) গুজবটি অস্বীকার করেছে।”

Screenshot Source: X. 

মূলত, নারী ধর্ষণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ব্রাজিলের সাবেক ফুটবলার দানি আলভেসকে সাড়ে চার বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন স্পেনের আদালত। জেলে থাকা অবস্থায় দানি আলভেস আত্মহত্যা করেছেন দাবিতে একটি তথ্য সম্প্রতি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে। তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, ছড়িয়ে পড়া এই তথ্যটি গুজব। পাওলো আলবুকার্ক নামের ব্রাজিলের এক  সাংবাদিকের এক্স পোস্টের মাধ্যমে এই গুজবের সূত্রপাত ঘটে। এছাড়া দানি আলভেসের ভাই এবং তার প্রেস অফিস নিশ্চিত করেন আলভেস আত্মহত্যা করেননি।

সুতরাং, জেলে থাকা অবস্থায় বার্সেলোনা ও ব্রাজিলের সাবেক তারকা ফুটবলার দানি আলভেস আত্মহত্যা করেছেন দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

“কুমিল্লাকে ঘৃণা করি এবং কুমিল্লার হয়ে আর কোনোদিন খেলবো না” শীর্ষক মন্তব্য ইমরুল কায়েস করেননি 

সম্প্রতি, “কুমিল্লাকে ঘৃণা করি! বেঁচে থাকতে আর ওই দলে খেলবো না, নতুন রূপ নিয়ে নতুন দলে যাব, একি বললেন ইমরুল” শীর্ষক ক্যাপশনে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। 

কুমিল্লাকে ঘৃণা করি

ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ইউটিউবে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, বিপিএলের ফ্রেঞ্চাইজি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে নিয়ে ইমরুল কায়েস এমন কোনো মন্তব্য করেননি বরং ২০২১ সালে দেওয়া ইমরুল কায়েসের বক্তব্যকে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনা করে চটকদার থাম্বনেইলে আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে। 

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে উক্ত ভিডিওটিতে ইমরুল কায়েসকে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে নিয়ে কোনো নেতিবাচক কথা বলতে দেখা যায়নি। 

পরবর্তীতে, ইমরুল কায়েসের বক্তব্যের সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে Cricfrenzy এর ইউটিউব চ্যানেলে ২০২১ সালের ০১ ফেব্রুয়ারি “ভালো পারফর্ম করেও আমি কারো সাহায্য পাইনি, অবিচার হয়েছে আমার ওপর- ইমরুল” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত ইমরুল কায়েসের একটি সাক্ষাৎকারের ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। 

উক্ত সাক্ষৎকারের সাথে আলোচিত ভিডিওটির মিল রয়েছে। এই ভিডিওটিতে ইমরুল কায়েসকে জাতীয় দল থেকে নিজের বাদ পড়ার বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়।

Video Comparison: Rumor Scanner

অর্থাৎ, জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া বিষয়ে ইমরুল কায়েসের মন্তব্যের একটি পুরোনো ভিডিওকে বিপিএলে তার দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের সাথে অপ্রাসঙ্গিকভাবে জড়িয়ে উক্ত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে। 

অনুসন্ধানে গণমাধ্যম, ইমরুল কায়েসের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ, কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে ইমরুল কায়েস ভবিষ্যতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে বিপিএলে খেলবেন না শীর্ষক দাবির সত্যতা পাওয়া যায়নি।

মূলত, গত পহেলা মার্চ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) এর দশম আসরের ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ৬ উইকেটে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় ফরচুন বরিশাল। উক্ত ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের একাদশে জায়গা পাননি দলটি’র সাবেক অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। এরই প্রেক্ষিতে ইন্টারনেটে “কুমিল্লাকে ঘৃণা করি! বেঁচে থাকতে আর ওই দলে খেলবো না, নতুন রূপ নিয়ে নতুন দলে যাব, একি বললেন ইমরুল” শীর্ষক শিরোনাম ও থাম্বনেইল ব্যবহার করে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আলোচিত দাবিটি সঠিক নয়। ইমরুল কায়েস এমন কোনো মন্তব্য করেননি। কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই ইমরুল কায়েসের ভিন্ন একটি মন্তব্যের ভিডিও ক্লিপ ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে আলোচিত দাবি সম্বলিত শিরোনাম ও থাম্বনেইল যুক্ত করে উক্ত ভিডিওটি প্রচার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বিপিএলের সদ্য সমাপ্ত আসরকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ভুয়া তথ্য প্রচারের প্রেক্ষিতে একাধিক ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।

সুতরাং, ইমরুল কায়েস “কুমিল্লাকে ঘৃণা করি! বেঁচে থাকতে আর ওই দলে খেলবো না, নতুন রূপ নিয়ে নতুন দলে যাব,” শীর্ষক মন্তব্য করেছেন দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

লাসিথ মালিঙ্গা লাইভে এসে বাংলাদেশ দলকে নিয়ে কোনো নেতিবাচক মন্তব্য করেননি

গত ০৯ মার্চ বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কার মধ্যকার তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে বাংলাদেশ পরাজিত হয়। এরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, শ্রীলঙ্কার সাবেক ক্রিকেটার লাসিথ মালিঙ্গা বাংলাদেশকে নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন।

লাসিথ মালিঙ্গা

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

এই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া অবধি উক্ত দাবিতে ফেসবুকে ভাইরাল ভিডিওটি প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ বার দেখা হয়েছে। ভিডিওটিতে প্রায় ১২ হাজার পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। ভিডিওটিতে প্রায় ৯০০ মন্তব্য করা হয়েছে। তাছাড়া ভিডিওটি ১ শত ৩৮ হাজার বার শেয়ার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, লাসিথ মালিঙ্গা বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কার ম্যাচ প্রসঙ্গে বাংলাদেশকে নিয়ে কোনো নেতিবাচক মন্তব্য করেননি বরং মালিঙ্গার ভিন্ন মন্তব্যের একটি ভিডিও ক্লিপ ও বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কার মধ্যকার অনুষ্ঠিত ম্যাচের কিছু ছবির সাথে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে আলোচিত দাবি সম্বলিত শিরোনাম ও থাম্বনেইল যুক্ত করে উক্ত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম।

ভিডিওটি’র সংবাদপাঠ অংশে বলা হয়, ” এত লাফালাফি কোথায় গেলো বাংলাদেশের? বাংলাদেশকে চরম অপমান করলেন লাসিথ মালিঙ্গা।বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচের পর লাইভে এসে তিনি বলেন, এটাই শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশকে এবার টাইম আউট করে দিলো। বাংলাদেশের কি এতেও লজ্জ্বা হলো না?”

বিষয়টি যাচাইয়ে আলোচিত ভিডিও থেকে কিছু স্থিরচিত্র নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে শ্রীলঙ্কার সাবেক ক্রিকেটার লাসিথ মালিঙ্গার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে গত ০৯ মার্চ প্রকাশিত একটি লাইভ ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত ভিডিওটিতে লাসিথ মালিঙ্গাকে বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কার মধ্যকার ম্যাচ প্রসঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। সেখানে তিনি শ্রীলঙ্কান পেসার নুয়ান তুশারা ও ব্যাটার কুশল মেন্ডিসের প্রশংসা করে সিরিজ জয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। তবে সেখানে তাকে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলকে নিয়ে কোনো নেতিবাচক মন্তব্য করতে দেখা যায়নি।

এই ভিডিওটি’র একটি অংশের সাথে আলোচিত ভিডিওটি’র লাসিথ মালিঙ্গার বক্তব্যের অংশের মিল পাওয়া যায়।

Video Comparison by Rumor Scanner

অর্থাৎ, এই ভিডিওটির সাথে আলোচিত দাবির কোনো মিল নেই।

তাছাড়া, লাসিথ মালিঙ্গার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে একই দিনে প্রচারিত অপর একটি লাইভ ভিডিওতেও তাকে উক্ত ম্যাচের বিষয়েই কথা বলতে দেখা যায়। তবে সেখানেও তাকে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলকে নিয়ে কোনো নেতিবাচক মন্তব্য করতে দেখা যায়নি।

পাশাপাশি, গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্যকোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে নিয়ে লাসিথ মালিঙ্গার নেতিবাচক কোনো মন্তব্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

মূলত, গত ০৯ মার্চ বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কার মধ্যকার তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে ২৮ রানের ব্যবধানে বাংলাদেশ পরাজিত হয়। এর প্রেক্ষিতে শ্রীলঙ্কান সাবেক পেসার লাসিথ মালিঙ্গা ফেসবুক লাইভে এসে দলকে অভিনন্দন জানিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করেন। পরবর্তীতে উক্ত ভিডিওটি’র সাথে বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কার ম্যাচের কিছু ছবি যুক্ত করে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে তাতে ‘বাংলাদেশকে এমন অপমান আগে কেউ করেনি! জিতেই লাইভে এসে শান্তদের অপমান করে একি বললেন লাসিত মালিঙ্গা’ শীর্ষক শিরোনাম ও থাম্বনেইল যুক্ত করে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে নিয়ে লাসিথ মালিঙ্গা কোনো নেতিবাচক মন্তব্য করেননি।

সুতরাং, শ্রীলঙ্কান সাবেক পেসার লাসিথ মালিঙ্গা লাইভে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

  • Lasith Malinga Facebook: Video (1)
  • Lasith Malinga Facebook: Video (2)
  • Rumor Scanner’s Own Analysis

বিপিএলে মাহমুদউল্লাহ ছক্কা মারার প্রেক্ষিতে রোহিত শর্মা তাকে নিয়ে লাইভ করেননি 

গত ২২ জানুয়ারি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ – বিপিএল এ ফরচুন বরিশাল বনাম খুলনা টাইগার্স এর মধ্যকার ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ ১৯ বলে ২৭ রান করেন। এর মধ্যে তিনি দুইটি ছয় মারেন। ছয় দুটির দৈর্ঘ যথাক্রমে ৮০ মিটার এবং ৮২ মিটার হয়। এই খেলার প্রেক্ষিতে মাহমুদুল্লাহর ১২০ মিটার ছক্কা দেখে ভারতীয় ক্রিকেটার রোহিত শর্মা লাইভে এসে মাহমুদুল্লাহকে নিয়ে কথা বলেছেন দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

মাহমুদউল্লাহ

টিকটকে প্রচারিত ভিডিওটি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।এই প্রতিবেদন প্রকাশ অবধি এই ভিডিওটি দেখা হয়েছে সাড়ে ৪৬ হাজারেরও বেশি বার। ভিডিওটিতে ২ হাজার পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিক্রিয়া করা হয়েছে।

একই দাবিতে ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, রোহিত শর্মা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে লাইভে এসে কোনো মন্তব্য করেননি বরং ২০২২ সালে হিন্দুদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান হলি নিয়ে রোহিত শর্মার করা একটি ভিডিওর ক্লিপ যুক্ত করে আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হচ্ছে। 

অনুসন্ধানের শুরুতে ভিডিওতে প্রচারিত আলোচিত দাবি নিয়ে প্রাসঙ্গিক একাধিক কি ওয়ার্ড সার্চ করেও গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে উক্ত দাবির সত্যতা পাওয়া যায়নি। 

পরবর্তীতে আলোচিত ভিডিওটিতে প্রচারিত ক্লিপটির বিষয়ে পৃথকভাবে অনুসন্ধান চালায় রিউমর স্ক্যানার টিম।

অনুসন্ধানে রোহিত শর্মার ফেসবুক পেজে ২০২২ সালের ১৮ মার্চ প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত ভিডিওর একটি অংশই আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওতে যুক্ত করা হয়েছে।

Video Comparison: Rumor Scanner

ভিডিও থেকে জানা যায়, রোহিত শর্মা সেদিন হিন্দুদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান হলির শুভেচ্ছা জানান এবং লা লীগার ম্যাচের ফলাফলের উপর একটি অফিসিয়াল ফুটবল পুরষ্কার দেওয়ার কথা বলেন। তবে এই ভিডিওতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে তিনি কিছুই বলেননি।

মূলত, রোহিত শর্মা ২০২২ সালের মার্চ মাসে হিন্দুদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান হলির শুভেচ্ছা জানান এবং লা লীগার ম্যাচের ফলাফলের উপর একটি অফিসিয়াল ফুটবল পুরষ্কার দেওয়ার কথা বলেন। সম্প্রতি, এই ভিডিও ব্যবহার করে ডিজিটাল প্রযুক্তির সাহায্যে সম্পাদনা করে রোহিত শর্মা লাইভে এসে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে লাইভে এসে মন্তব্য করেছেন দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

সুতরাং, পুরোনো ও ভিন্ন ঘটনায় ভারতীয় ক্রিকেটার রোহিত শর্রমার ভিডিও ফুটেজ ব্যবহার করে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে লাইভে এসে মন্তব্য করেছেন শীর্ষক একটি দাবি ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

নাফিসা কামাল মিডিয়ার সামনে এসে তাওহীদ হৃদয়কে বিয়ের প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য করেননি  

গত পহেলা মার্চ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল) ফাইনালের মধ্য দিয়ে শেষ হলো এবারের বিপিএলের দশম আসর। চলতি বছর বিপিএলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে খেলেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটার তাওহীদ হৃদয়। সম্প্রতি, শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম টিকটকে একটি ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মালিকনাফিসা কামাল মিডিয়ার সামনে এসে বলেছেন যে তিনি তাওহীদ হৃদয়কে বিয়ে করবেন। 

নাফিসা কামাল

উক্ত দাবিতে টিকটকে প্রচারিত ভিডিওটি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

এই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া অবধি টিকটকে প্রচারিত ভিডিওটি প্রায় ৩০ হাজারের অধিক মানুষ দেখেছে এবং ভিডিওটিতে প্রায় দেড় হাজার পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, নাফিসা কামাল গণমাধ্যমে এসে তাওহীদ হৃদয়কে বিয়ের প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য করেননি বরং সদ্য সমাপ্ত বিপিএলের দশম আসরের প্লেয়ার্স ড্রাফট শেষে দলের সম্ভাবনা এবং ড্রাফট নিয়ে গত বছর সংবাদমাধ্যমে তার দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করার সময়কার একটি ছবির সাথে আলোচিত দাবিটি যুক্ত করে প্রচার করা হয়েছে। 

অনুসন্ধানের শুরুতে ভিডিওতে প্রচারিত আলোচিত দাবি নিয়ে প্রাসঙ্গিক একাধিক কি ওয়ার্ড সার্চ করেও গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে উক্ত দাবির সত্যতা পাওয়া যায়নি।

পরবর্তীতে আলোচিত দাবিতে যুক্ত নাফিসা কামালের ছবিটির বিষয়ে অনুসন্ধানে ডিবিসি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর “ট্রফির অপেক্ষায় নাফিসা কামাল। DBC NEWS” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। এই ভিডিওর একটি স্থিরচিত্রই আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওতে যুক্ত করা হয়েছে। 

Video Comparison : Rumor Scanner 

প্রতিবেদনে নাফিসা কামালকে বিপিএলে নিজের দল নিয়ে সন্তুষ্টির কথা জানান। তবে এই ভিডিওতে তিনি তাওহীদ হৃদয়কে বিয়ে করার বিষয়ে কোনো কথা বলেননি। 

একই দিনে দ্য ডেইলি স্টারের ওয়েবসাইটে “হৃদয়কে নিয়ে রোমাঞ্চিত নাফিসা” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, প্লেয়ার্স ড্রাফটে তাওহীদ হৃদয়কে পেয়ে তিনি বলেন, ‘নতুন খেলোয়াড় যাদেরকে নিয়ে দল করেছি যেমন তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে আমি খুবই রোমাঞ্চিত। আমাদের যেটা সংস্কৃতি বিদেশিরা অভিজ্ঞ হয় অনেক পুরনো, অভিজ্ঞ টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড় আর স্থানীয়রা তরুণ, চ্যালেঞ্জিং, নতুন এবং এক্সাইটিং খেলোয়াড়। ওই কম্বিনেশনটা আমাদের জন্য কাজ করে।’ তবে তার পুরো বক্তব্যের কোথাও তিনি তাওহীদ হৃদয়কে বিয়ে করবেন সংক্রান্ত কোনো কিছু বলেননি। 

মূলত, ২০২৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয় সদ্য সমাপ্ত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের দশম আসরের প্লেয়ার ড্রাফটস। ড্রাফট শেষে দলের সম্ভাবনা এবং প্লেয়ারদের বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মালিক নাফিসা কামাল। সম্প্রতি, নাফিসা কামালের উক্ত সাক্ষাৎকারের ভিডিওর একটি স্থিরচিত্রের সাথে তাওহীদ হৃদয়ের একটি স্থিরচিত্র যুক্ত করে ইন্টারনেটে প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, তিনি মিডিয়ার সামনে এসে তাওহীদ হৃদয়কে বিয়ে করার কথা বলেছেন। তবে রিউমর স্ক্যানার অনুসন্ধানে দেখেছে যে, আলোচিত দাবিটি সঠিক নয়। এছাড়া, গণমাধ্যম কিংবা অন্য কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রেও আলোচিত দাবির পক্ষে কোনো তথ্য বা সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

উল্লেখ্য, পূর্বেও নাফিসা কামাল লাইভে এসে তাওহীদ হৃদয়কে বিয়ে করার কথা বলেন দাবিতে ভিন্ন একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হলে সেসময় বিষয়টি নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।  

সুতরাং, মিডিয়ার সামনে এসে নাফিসা কামাল তাওহীদ হৃদয়কে বিয়ে করার কথা বললেন দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

ওয়াসিম আকরাম ক্রিকেট ছেড়ে অভিনয়ে যোগ দেওয়া সংক্রান্ত মন্তব্যটি তামিমকে উদ্দেশ্য করে বলেননি 

0

সম্প্রতি, “ওকে বলে দিন ক্রিকেট ছেড়ে অভিনয়ে যোগ দিতে”- শীর্ষক মন্তব্যটি পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ওয়াসিম আকরাম বাংলাদেশের ওপেনার তামিম ইকবালের উদ্দেশ্যে করেছেন দাবিতে আরটিভির ফটোকার্ডের ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। 

ওয়াসিম আকরাম

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ওয়াসিম আকরাম “ওকে বলে দিন ক্রিকেট ছেড়ে অভিনয়ে যোগ দিতে”- শীর্ষক মন্তব্যটি বাংলাদেশের ওপেনার তামিম ইকবালকে উদ্দেশ্য করে করেননি বরং পাকিস্তানের ব্যাটার আব্দুল্লাহ শফিককে উদ্দেশ্য করে বলা তার এই মন্তব্যকে বিভ্রান্তিকরভাবে তামিমের নাম জড়িয়ে প্রচার করা হচ্ছে।  

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ফটোকার্ড পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এতে বেসরকারি টেলিভিশন আরটিভির ডিজাইন সম্বলিত এবং উক্ত ফটোকার্ডটি প্রচারের তারিখ ০৯ মার্চ, ২০২৪ উল্লেখ রয়েছে। 

Screenshot: Facebook Claim Post 

এর সূত্র ধরে অনুসন্ধানে আরটিভির ফেসবুক পেজে গত ০৯ মার্চ প্রকাশির একটি ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Rtv Facebook Page

উক্ত ফটোকার্ডটির সাথে আলোচিত ফটোকার্ডটির মিল রয়েছে। 

আরটিভির পোস্টের কমেন্ট বক্সে থাকা প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, চলমান পিএসএলে ইমাদ ওয়াসিমের সাধারণ এক ক্যাচ নিয়ে উদযাপন করায় আব্দুল্লাহ শফিকের উপর চটে বসেন ওয়াসিম আকরাম। 

এক সাক্ষাৎকারে ওয়াসিম আকরাম শফিককে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘সেগুলোর ব্যাপারে কী বলবে। এক ক্যাচ ধরেই সে চুপ থাকতে বলে দিল! ওকে কেউ বলে দিন, ওর আসলে ক্রিকেট ছেড়ে নাটকে নাম লেখানো উচিত।’

পরবর্তীতে এ বিষয়ে অনুসন্ধানে খেলাধুলা ভিত্তিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম OneCricket এর ওয়েবসাইটে গত ০৮ মার্চ “‘Drama Karo…’ – Wasim Akram Slams Abdullah Shafique’s Ultra-Aggressive Celebration” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য জানা যায়।

পাশাপাশি, একই তথ্যে সংবাদ প্রকাশ করেছে WISDEN, CricFolks এবং INSIDE SPORT

অর্থাৎ, ওয়াসিম আকরাম বাংলাদেশের ওপেনার তামিম ইকবালকে উদেশ্য করে উক্ত মন্তব্য করেননি। 

মূলত, চলমান পাকিস্তান প্রিমিয়ার লিগে (পিএসএল) পাকিস্তানের ক্রিকেটার ইমাদ ওয়াসিমের সাধারণ এক ক্যাচ নিয়ে বেশ উদযাপন করেন পাকিস্তানের আরেক ব্যাটার আব্দুল্লাহ শফিক। এই উদযাপন দেখে চটেছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ওয়াসিম আকরাম। সম্প্রতি, এক সাক্ষাৎকারে তিনি আব্দুল্লাহ শফিককে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘ওকে কেউ বলে দিন, ওর আসলে ক্রিকেট ছেড়ে নাটকে নাম লেখানো উচিত।’ পরবর্তীতে ওয়াসিম আকরাম উক্ত মন্তব্যটি তামিম ইকবালকে উদ্দেশ্য করে করেছেন দাবিতে ছড়িয়ে পড়ে। 
সুতরাং, “ওকে বলে দিন ক্রিকেট ছেড়ে অভিনয়ে যোগ দিতে” শীর্ষক মন্তব্যটি ওয়াসিম আকরাম তামিম ইকবালের উদ্দেশ্যে করেছেন দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

আইনমন্ত্রী ও ওবায়দুল কাদেরকে সংসদ থেকে টেনে বের করে দেওয়ার গুজব

সম্প্রতি, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে জাতীয় সংসদ থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে দিয়েছে দাবিতে ‘সংসদ থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে দিলো আইনমন্ত্রী ও ওবায়দুল কাদেরকে’ শীর্ষক থাম্বনেইল ও একই তথ্য সম্বলিত একটি শিরোনামে একটি ভিডিও ইউটিউবে প্রচার করা হয়েছে।

আইনমন্ত্রী

ইউটিউবে প্রচারিত এমন ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আনিসুল হক ও ওবায়দুল কাদেরকে জাতীয় সংসদ থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে দেওয়ার দাবিটি সঠিক নয় বরং, পাকিস্তানের সংসদে বাজেট অধিবেশনকে কেন্দ্র করে হওয়া হাতাহাতির ঘটনায় প্রকাশিত দুটি ভিডিও প্রতিবেদনের কিছু অংশের সাথে মিশরের জর্ডানের সংসদে এমপিদের মধ্যে ঘটা হাতাহাতির ঘটনার ফুটেজ যুক্ত করে আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে।

অনুসন্ধানে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি পর্যালোচনা করে ভিডিওটির শুরুতে একজন সংবাদ পাঠিকাকে দেখতে পাওয়া যায়। যার পরই একটি হাতাহাতির ভিডিও দেখানো হয়। পরবর্তীতে আরেকজন সংবাদ পাঠককে দেখতে পাওয়া যায়। এদের কেউই আলোচিত দাবিটির বিষয়ে কোনো তথ্য উপস্থাপন করেননি। এরপর একজনের অপ্রাসঙ্গিক একটি আন্দোলনের ভিডিও দেখানো হয়।

ভিডিও যাচাই ১

আলোচিত ভিডিওর প্রথম ভিডিও ক্লিপটির বিষয়ে অনুসন্ধানে সংবাদ পাঠিকার ‘পার্লামেন্ট অধিবেশন শুরু হতেই স্পিকারের আসনের পাশে জড়ো হয়ে’ শীর্ষক কথার সূত্র ধরে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে Jamuna TV এর ইউটিউব চ্যানেলে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভ-হট্টগোল দিয়ে শুরু পাকিস্তানের সংসদ অধিবেশন | Pakistan Parliament | Jamuna TV শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি মাল্টিমিডিয়া প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আলোচিত ভিডিওর শুরুতে দেখানো সংবাদপাঠিকার ভিডিওটির সাথে এটির  মিল রয়েছে।

Video Comparison by Rumor Scanner

এছাড়াও প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের প্রথম অধিবেশনের দিন স্পিকারের আসনের পাশে জড়ো হয়ে কারাবন্দি ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে স্লোগান দেন স্বতন্ত্র এমপিরা। উক্ত সংবাদটি এই ঘটনার উপর ভিত্তি করেই করা হয়েছে। যার সাথে আলোচিত দাবিটির কোনো সম্পর্ক নেই।

ভিডিও যাচাই ২

পরবর্তীতে আলোচিত ভিডিওতে দেখানো হাতাহাতির ভিডিওটি অনুসন্ধানে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম The Guardian এর ইউটিউব চ্যানেলে ২০২১ সালের ২৯ ডিসেম্বর MPs push and shove in Jordan parliament brawl শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

ভিডিওটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আলোচিত ভিডিওতে দেখানো হাতাহাতির ভিডিওটির সাথে উক্ত ভিডিওর মিল রয়েছে।

Video Comparison by Rumor Scanner

পাশাপাশি ভিডিওটি থেকে জানা যায়, উক্ত হাতাহাতির ঘটনাটি বাংলাদেশের নয় বরং জর্ডানের সংসদের। সেসময় প্রস্তাবিত সংবিধান সংশোধন নিয়ে বিতর্কের সময় একজন সংসদ সদস্যের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে এই হাতাহাতি শুরু হয়।

ভিডিও যাচাই ৩

সর্বোপরি আলোচিত ভিডিওতে দেখানো দ্বিতীয় সংবাদের ভিডিওটি অনুসন্ধানে সংবাদপাঠকের ‘পার্লামেন্ট অধিবেশনে দ্বিতীয় দিনের মত বাঁধা দেওয়া হয়’ শীর্ষক কথাটির সূত্র ধরে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে Jamuna TV এর ইউটিউব চ্যানেলে ২০২১ সালের ১৫ জুন বাজেট অধিবেশনকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে হাতাহাতি | Pakistan Parliament Clash শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি মাল্টিমিডিয়া প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

প্রতিবেদনটি পর্যলোচনা করে আলোচিত ভিডিওতে দেখানো সংবাদপাঠকের ভিডিও ক্লিপটির সাথে মিল পাওয়া যায়।

Video Comparison by Rumor Scanner

এছাড়াও প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, পাকিস্তানের পার্লামেন্টে দ্বিতীয় দিনের মত বাজেট অধিবেশনে বিরোধী দলীয় নেতা শাহবাজ শরিফের বক্তব্যে বাঁধা দেওয়া হলে সরকার এবং বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। যা নিয়েই উক্ত সংবাদটি প্রচার করা হয়েছে। এর সাথে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক কিংবা সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কোনো সম্পর্ক নেই।

পরবর্তীতে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের কোনো সংসদ অধিবেশনে আলোচিত দাবিটির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ কোনো ঘটনা  ঘটেছে কিনা তা জানতে প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমেও গণমাধ্যম কিংবা কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

মূলত, ২০২১ সালে জর্ডানের সংসদে প্রস্তাবিত সংবিধান সংশোধন নিয়ে বিতর্কের এক পর্যায়ে এক সংসদ সদস্যের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে সেসময় পার্লামেন্ট ভবনে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। সম্প্রতি, উক্ত ঘটনার ভিডিওর সাথে পাকিস্তানের সংসদ ভবনের পুরোনো একটি হাতাহাতির ঘটনার সংবাদ এবং সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের সংসদ ভবনে ইমরান খানের মুক্তি দাবিতে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের দেওয়া স্লোগানের ঘটনায় প্রকাশিত সংবাদের ভিডিও যুক্ত করে ‘সংসদ থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে দিলো আইনমন্ত্রী ও ওবায়দুল কাদেরকে’ শীর্ষক থাম্বনেইলে একটি ভিডিও ইউটিউবে প্রচার করা হয়েছে।

সুতরাং, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে জাতীয় সংসদ থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে দেওয়া হয়েছে দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

জাইকার নাম ব্যবহার করে কথিত শিক্ষা প্রকল্পের ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার

সম্প্রতি ‘জাইকা শিক্ষা প্রকল্পের শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমে নিয়োগ’ শীর্ষক শিরোনামে একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ একটি গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। 

উক্ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করেছে বাংলাদেশ পোস্ট। 

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

একই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সম্বলিত ফেসবুকের কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ),  এখানে (আর্কাইভ),  এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ‘জাইকা শিক্ষা প্রকল্পের শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমে নিয়োগ’ শীর্ষক কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জাইকা বাংলাদেশ প্রকাশ করেনি বরং জাইকার পক্ষ থেকে এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ভুয়া বলে রিউমর স্ক্যানারকে নিশ্চিত করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে প্রচারিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। 

Screenshot: Facebook 

সেখানে বলা হয়, ‘জাইকা বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি সাহায্য-সংস্থা। জাইকা স্কুলে বিভিন্ন পদের জন্য যোগ্য মহিলা ও পুরুষ নিয়োগ করা হবে। বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিকের নিকট হতে পদের পাশে উল্লিখিত শিক্ষাগত যোগ্যতা ও নিম্নবর্ণিত শর্ত সাপেক্ষে আনলাইনে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দরখাস্ত আহবান করা যাচ্ছে। অনলাইন (Online) ব্যতীত অন্য কোন মাধ্যমে প্রেরিত আবেদন গ্রহনযোগ্য হবে না। উল্লেখ্য যে, নির্বাচিত প্রার্থীদের কর্মস্থান নিজ জেলায় রাখা হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, নাগরিকত্ব সনদের ফটোকপি এবং পদের নাম সহ পূর্ণাঙ্গ জীবন বৃত্তান্ত এই ই-মেইলে [email protected] পাঠাতে হবে। পরবর্তীতে নির্বাচিত প্রার্থীদের ই- মেইল/ ফোনের মাধ্যমে জানানো হবে। শুধুমাত্র যোগ্য ও নির্বাচিত প্রার্থীকে ৩০০/- টাকা ব্যাংক ড্রাফট বাবদ জমা দিতে হবে।’

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে প্রদর্শিত ইমেইল এড্রেসটি ([email protected]) লক্ষ্য করলে দেখা যায়, এটি জাইকার কিংবা জাইকা বাংলাদেশের প্রাতিষ্ঠানিক ইমেইল নয়, বরং এটি একটি জিমেইল অ্যাকাউন্ট; যা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি নিয়ে সন্দেহ তৈরি করে। 

পরবর্তীতে জাইকার অফিশিয়াল ওয়েবসাইটের বাংলাদেশ সেকশনে গিয়ে সেখানে প্রদর্শিত ইমেইল ঠিকানাটি যাচাই করে দেখা যায় এটি এমন [email protected]।  

Screenshot: JICA Bangladesh 

অর্থাৎ প্রচারিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে প্রদর্শিত ইমেইল ঠিকানাটি জাইকার অফিশিয়াল ইমেইল ঠিকানা নয়।

আলোচিত বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয় জাইকার শিক্ষা প্রকল্পের অফিস ঢাকার লালমটিয়াতে অবস্থিত। কিন্তু জাইকা বাংলাদেশের ওয়েবসাইট থেকে জানা যায় জাইকা বাংলাদেশ-এর অফিসের বর্তমান ঠিকানা: চতুর্থ তলা, বে’স গ্যালারিয়া, ৫৭ গুলশান অ্যাভিনিউ (সিডব্লিউএস–এ১৯), গুলশান–১, ঢাকা–১২১২।

এছাড়াও গুগল ম্যাপ ও প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে লালমাটিয়ায় জাইকার কোনো অফিসের সন্ধান পাওয়া যায়নি।

পরবর্তীতে জাইকার অফিশিয়াল ওয়েবসাইটের বাংলাদেশ সেকশনে  ‘জাইকা শিক্ষা প্রকল্পের শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমে নিয়োগ’ শীর্ষক কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি।

Screenshot: JICA Bangladesh 

এছাড়াও জাইকার অফিশিয়াল ওয়েবসাইটের বাংলাদেশ সেকশন পর্যালোচনার মাধ্যমে শিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশে পরিচালিত তাদের প্রজেক্ট সমূহের তালিকায় ‘শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম’ নামে কোনো প্রজেক্টের উল্লেখ পাওয়া যায়নি। 

পাশাপাশি, জাইকা বাংলাদেশের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ কিংবা অন্যকোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে জাইকা শিক্ষা প্রকল্পের শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমে নিয়োগ সম্পর্কিত কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে জানতে জাইকা বাংলাদেশ অফিসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, জাইকা উক্ত প্রক্রিয়ায় কোনো কর্মী নিয়োগ দিয়ে থাকে না। প্রচারিত চাকরীর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি সম্পূর্ণ ভুয়া। ইন্টারনেট থেকে এটি সরিয়ে নেওয়ার জন্যে তারা কাজ করছেন বলেও জানান।

মূলত, জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)-এর নামে ইন্টারনেটে একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হচ্ছে। রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা যায়, জাইকা শিক্ষা প্রকল্পের শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমে নিয়োগ শীর্ষক সম্প্রতি প্রচারিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি ভুয়া। তাছাড়া জাইকার ওয়েবসাইট কিংবা অন্যান্য নির্ভরযোগ্য সূত্রে এমন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

সুতরাং, জাইকা শিক্ষা প্রকল্পের শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমে নিয়োগ দাবিতে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

ভারতে হাত প্রতিস্থাপনের এই ঘটনা দিল্লীতে প্রথম, পুরো ভারতে নয় 

গত ০৬ মার্চ , ভারতের নয়াদিল্লির একদল চিকিৎসক একটি দুর্ঘটনায় দুই হাত হারানো এক ব্যক্তির শরীরে নারীর হাত প্রতিস্থাপন করেন। হাত প্রতিস্থাপনের এই ঘটনা ভারতের ইতিহাসে প্রথম বলে দেশের কতিপয় গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়।

হাত প্রতিস্থাপনের

উক্ত দাবিতে প্রচারিত গণমাধ্যমের প্রতিবেদন দেখুন কালবেলা, জনকণ্ঠ, ভোরের কাগজ। 

একই দাবিতে ফেসবুকের কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সম্প্রতি ভারতে যে হাত প্রতিস্থাপনের ঘটনা ঘটেছে তা দেশটির ইতিহাসে প্রথম নয় বরং পূর্বেও একাধিকবার ভারতে হাত প্রতিস্থাপনের ঘটনা ঘটেছে। তবে দিল্লীতে এটাই প্রথম ঘটনা। 

আলোচিত দাবিটি উল্লেখ করে দেশের যে সকল গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশ করেছে তার সবক’টির সূত্রই ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। আমরা তাই শুরুতে এনডিটিভির এ সংক্রান্ত সংবাদটির খুঁজে বের করেছি। গত ০৬ মার্চ সংবাদমাধ্যমটি ‘Delhi Painter Gets Hands Back As Organ Donation Meets Surgical Excellence’ শিরোনামে এই সংবাদটি প্রকাশ করে। তবে এই সংবাদে স্পষ্ট করেই বলা আছে, এমন ঘটনা দিল্লীতে প্রথম। তাছাড়া, ভারতে এই ঘটনা প্রথম শীর্ষক কোনো তথ্য এই সংবাদে উল্লেখ পাওয়া যায়নি। 

আমাদের অনুসন্ধানে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনের ওয়েবসাইটে ২০১৭ সালে “First two bilateral hand transplantations in India (Part 1): From vision to reality” শীর্ষক শিরোনামের একটি গবেষণাপত্র খুঁজে পাওয়া যায়।

ইন্ডিয়ান জার্নাল অব প্লাস্টিক সার্জারি জার্নালে প্রকাশিত সে গবেষণাপত্র থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে ভারতের অমৃতা ইন্সটিটিউটে প্রথম হাত প্রতিস্থাপন করা হয়।

এই তথ্যের সূত্র ধরে ভারতের কোচির অমৃতা হাসপাতালের ওয়েবসাইটে  Composite Tissue Allotransplantation বিভাগের একটি ওয়েবপেজ খুঁজে পাওয়া যায়।

Source: Amrita Hospital 

উক্ত ওয়েবপেজ থেকে জানা যায় যে, ২০১৫ সালের ১৩ জানুয়ারি অমৃতা ইনস্টিটিউটের কম্পোজিট টিস্যু অ্যালোট্রান্সপ্লান্ট টিমের সদস্যরা ভারতে প্রথমবারের মতো হাত প্রতিস্থাপনের কাজ করেন। একই বছরের এপ্রিল মাসে দ্বিতীয়বার হাত প্রতিস্থাপন করে অমৃতা ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকদল।

এরপর একাধিকবারই ভারতে হাত প্রতিস্থাপনে ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ২০২২ সালে পূর্ব ভারতে প্রথম হাত প্রতিস্থাপন করা হয় দেশটির কলকাতা শহরে। 

মূলত, সম্প্রতি ভারতের দিল্লিতে  প্রথম হাত প্রতিস্থাপনের কাজ সম্পন্ন করেন চিকিৎসকরা। এ ঘটনাকেই ভারতের প্রথম হাত প্রতিস্থাপনের ঘটনা দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যাচ্ছে, ভারতের প্রথম হাত প্রতিস্থাপন করা হয় দেশটির কোচিতে, ২০১৫ সালে। এরপর একাধিকবারই দেশটিতে হাত প্রতিস্থাপনের ঘটনা ঘটেছে।  

সুতরাং, সম্প্রতি দিল্লিতে প্রথম হাত প্রতিস্থাপনের ঘটনাকে ভারতের প্রথম হাত প্রতিস্থাপনের ঘটনা দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর। 

তথ্যসূত্র